Our User Product Reviews

valo

Onek Valo boi

খুবই ভালো বই

আলহামদুলিল্লাহ বইটা খুব ভালো ছিল

Boi ta arektu valo hole valo hoto..cause Dorbol Ghotona

Good

আরিফা যাদের আরেকটি অসাধারণ বই।

আলহামদুলিল্লাহ অসাধারণ একটি বই

ভালো লেগেছে।❤️

ভালো লাগলো পড়ে।

আরিফ আজাদ স্যার এর বই মানেই কিছু অন্যরকম উৎসব। এই বইএ তিনি খুব সুন্দর ও সাবলীল ভাবে নাস্তিকতার বিরুদ্ধে যৌক্তিকতা তুলে ধরেছেন। প্রতিটি মানুসের মনের মাঝে অজানাকে জানার প্রয়াস সাভাবির,, তবে সেই প্রশ্নের ভুল উত্তর পাওয়ার মাদ্ধ্যমে তার ভেতরে ভুল ধারনা টাই বিরাজ করে। আরিফ আজাদ স্যার সেই ভুলটাকেই সঠিকে পরিনত করে দেখিয়েছেন এই বইটিতে। অসংখ্য ধন্যবাদ আরিফ আজাদ স্যারকে। ??

quite good ?❤️❤️??

আলহামদুলিল্লাহ। আমি বইটি হাতে পাওয়ার পর অনেক দূর পড়েও ফেলেছি। অনেক সুন্দরভাবে এবং সাবলীল ভাষায় আরজ আলী মাতব্বরের অযুক্তিক অবাস্তব এবং ধর্ম জ্ঞানহীন প্রশ্ন এবং উক্তি গুলোর, যৌক্তিক এবং ধর্মীয় বিধি বিধান অনুসারে জবাব দিয়েছেন যা হয়তো সাধারণ মানুষের এবং আরজ আলীর মতো লোকেদের কাছে একটু হলেও সঠিক চিন্তা ভাবনার উদ্রেক ঘটাবে। আপনাদের ও পড়ার অনুরোধ রইলো।?

onk shundor boi. sobar akbar kore holeo pora ucit

খুব সুন্দর একটি বই

খুব দ্রুত হাতে পেয়েছি এবং বইয়ে কোনো আঁচড়ও পড়েনি।

ভালো একটি বই

যারা শংসয়বাদ নিয়ে পড়তে আগ্রহী, তাদের জন্য দারুণ একটা বই।

অসাধারণ এক কথায় মাশাআল্লাহ

অবশ্য পাঠ্য । হাইলি রিকমেন্ডেড।

Masha Allah

মাশা-আল্লা। অসাধারন একটা বই।

alhamdulillah sob kichu thik chilo.

High level ?

অসাধারণ ❤️

অসাধারণ একটা বই, খুব ভালো লেগেছে। অনেক কিছু নতুন জানতে পারবেন।।

অনেক সুন্দর

Good

খুবই ভালো বই

❤️

আলহামদুলিল্লাহ খুব ভালো

অসাধারণ সমীকরণ

অনেক কিছু জানলাম। ভালো একটা বই

thes best part of this book is last chapter about evolution. ?

অসাধারণ বই। বাস্তবিক যুক্তি দিয়ে গড়ে তোলা "আরজ আলী সমীপে" অন্তত একবার সবই এটা পড়া উচিৎ।

ভালো

আলহামদুলিল্লাহ। অসাধারণ উপহার লেখকের পক্ষ থেকে। মহান আল্লাহ তা’আলা তাকে উত্তম প্রতিদান দান করুন।

অনেক দোয়া ও ভালোবাসা রঈল

খুবই ভালো ভই

Great Book.

Best

মাশাল্লাহ।অনেক ভালো একটা বই

vlo

আরজ আলী মাতুব্বরের বইয়ের খুবই গোঁজামিল দেয়া সমালোচনা। লেখক খুব চালাকির সাথে জটিল বিষয়গুলি এড়িয়ে গেছেন। বিশেষ করে আরজ আলীর সত্যের সন্ধানে বইয়ের 'ফরায়েজে আউল কেন" এই অংশের সমালোচনা লেখক চতুরতার সাথে এড়িয়ে গেছেন।

সাবলীলভাবে যোক্তিক জবাব।

অনেক ভালো বই আপনারাও নিতে পারেন

Good

nice book ?

এই বইয়ের বিরুদ্ধে লিখলে ডিলেট করা হয়। তবুও লিখছি। বই টা পড়ার আগে আরজ আলী মাতাব্বুরের বইটাও পড়া উচিত। আরজ আলী সাহেবের বইটা যথার্থ ছিল। যেগুলো মানুষের মনের সহজাত প্রশ্ন। আমরা বেশির ভাগ সময় চাপিয়ে যাই। যাই হোক, আফির আজাদের বইটাও পড়লাম । যুক্তি খন্ডনের চেস্টা করেছেন।তবে এভাবে চেস্টা না করে বই এর প্রশ্ন গুলো আরও ভালোভাবে উপলব্ধি করে তারপর উত্তর দেয়ার চেস্টা করা উচিত ছিল। অনেক জায়গায় আরিফ আজাদ যে সমস্ত উত্তর দিয়েছেন সেগুলো খুবই দুর্বল মানের কথা। যেমন - উনি বলেছেন "ব্যাভিচার করলে কেন শাস্তি পাওয়া উচিত সে পাঠ ধর্মের , কোনো কোনো দর্শনে কিছু বলা থাকলেও, বিজ্ঞানে তার উত্তর নেই। " এই কথা টা উনার জানার একেবারেই স্বল্পতা ছাড়া কিছু না।। আপনি চাইলে গুগুল করতে পারেন, আমার কাছে অনেকগুলো বই আছে অপরাধ এবং তার শাস্তি কেমন হওয়া উচিত, কেন হওয়া উচিত। এইসমস্ত বিচার বিশ্লেষণ করা হয়েছে বই গুলোতে। মনোবিজ্ঞান সহ হাজারো বিজ্ঞান এগুলো নিয়ে কাজ করে। এরকম প্রায় অনেক যুক্তিতেই এসব সমস্যা আছে। আবার অনেক জায়গায় ইসলামের পক্ষে যুক্তি দিতে গিয়ে আমার মনে হয় ইসলামের আকীদাতেই সমস্যা করে ফেলেছেন। ইসলামের কিছু ব্যাপার আলেমরাও ব্যাখ্যা দিতেন না। কারন আমার আকলে আসুক বা না আসুক, ভালো লাগুক বা না লাগুক, হাদিসের কথা, কোরানের কথা সত্য মেনে নিতে হবে। সেখানে সুবিধাজনক ব্যাখ্যা গ্রহণ করা উচিত নয়। যাই হোক। আমার জ্ঞানের কমতির জন্যও হতে পারে- আমার কাছে মনে হয়েছে আরজ আলী সাহেবের প্রশ্ন গুলোর উত্তর এভাবে হয় না। সমস্যা গুলো হয়তো আরও জটিল। হয়তো আরও জ্ঞানের প্রয়োজন।

বইগুলোর বিশ্লেষণ ভালো, তবে সব বই পড়ার এখনো সময় হয়নি। সামনে ইনশাআল্লাহ হলে জানাবো।

Good

অসাধারণ বই

Awesome

উনার বই লেখার স্টাইল বেশ ভালই, তবে এই বইতে উনি সেটা ধরে রাখতে পারেননি। উনি যেভাবে একটু ব্যাক্তিগত আক্রমন করলেন, তাতে বলতেই হচ্ছে আরজ আলীর লেভেলে উনি এখনো মেতে পারেননি, সম্ভবত কোনদিন যেতেও পারবেন না। আসলে ইন্টারনেট দুনিয়া যেখানে আরজ আলী মাতুব্বর সম্পর্কে ভুল তথ্যে ঠাসা সেখানে আজাদ সাহেব তেমন রিসার্চ না করেই কপিরাইটিং করে আস্ত বই উপহার দিলেন, তা হতাশ করলো আমার মতো সাধারণ পাঠকদের।

অসাধারণ

আলহামদুলিল্লাহ ভাল

নাস্তিকতার বিরুদ্ধে চমৎকার একটি বই।

rokomari is good

oshadharon

Khubi sundor ekta boi

Too good

great

আপনাকে আল্লাহর জন্য ভালোবাসি

সুন্দর বই

খুবই ভালো। আমি এটা পয়েন্ট হিসেবে বলি তো, ১০/৮ দিব।

great book

প্রিয় বই য়ের তালিকায় উঠে গেল।??

এককথায় অসাধারণ যুক্তি ও বিশ্লেষণ। আরজ আলীর মত নাস্তিকদের শায়েস্তা করার পাশাপাশি দ্বীন সমন্ধে অজানা অনেক অধ্যায় জানলাম।

আরজ আলী সাহেব মেসেজ দিয়েছেন জীবন যেখানে যেমন আছে তার আগে অন্যরকম গল্পগুলো পড়ে মা এবং বাবার দোয়া নিয়ে নবি (সাঃ) এর জীবনের দিকে প্রত্যাবর্তন করো,না হলে উপর ওয়ালার কাছে জবাবদিহি করতে হবে...।

খুব ভালো বই

আলহামদুলিল্লাহ অসাধারণ বই। নাস্তিকতা এবং বিবর্তনবাদ এর মিথ্যা বিষয়ের বিরুদ্ধে।

Very good book

যুক্তিতর্ক এবং বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যার দ্বারা আরজ আলী মাতুব্বর কে কুপোকাত করেছেন লেখক। অসাধারণ ছিলো বইটা।

Fantastic answer.

খুব ভালো সময় উপযোগী বই। প্রতিটি বইয়ে জ্ঞানগর্ভ আলোচনা করা হয়েছে। জাযাকাল্লাহ খাইরান

অসাধারণ বই

Great

Arif azad sir's books mean amazing❤️

nc

আলহামদুলিল্লাহ খুবই ভালো একটি বই।

মা শা আল্লাহ

বইটিতে লেখকের দেওয়া একেকটা জবাব এক কথায় অনন্য?

This book breaks down the anti-Islamic logics made by Araz Ali Matubbor. It will strengthen our belief, and will help us learn the real logics behind Islam.

আরিফ আজাদ যুবকদের আইডল

আরজ আলীকে আরো কজনই লিখেছেন। তাদের লেখা বই কয়েক পাতা পড়ার পর মনে হয়েছে তারা আরজ আলীর প্রশ্নগুলোকে সযতনে পাশ কাটিয়ে নিজেদের অসামান্য জ্ঞান-বুদ্ধি জাহির করার চেষ্টা করেছেন।

বইটি খুবই চমত্কার

ভালো বই ।

It's good

good

নাস্তিক দের জবাব দেওয়ার জন্য ভালো একটা বই....?

নাস্তিক গন কোনো কাল্পনিক গল্প না ক বইয়ের রেফারেন্স নেয় না। বাস্তব প্রমাণ ও যুক্তি মান্যতা দেয়।

Bunch of logical fallacy

sobar pora uchit

Great

আরিফ আজাদ সাহেবের বই গুলো অনেক সুন্দর এবং অনেক যুক্তিনির্ভর যা বর্তমান সমাজের জন্য খুবই জরুরি যা একজন বেখেয়াল লোক কে সঠিক পথে আনার জন্য সাহায্য করবে।

Best Islami book? ?Arif Azad?

নাস্তিকদের জবাব দেওয়ার জন্য মূখ্যম একটা বই।

আলোচিত একটি বই????

ভালো লাগলো

Very Good book.

অসাধারণ লেখনী

নাস্তিকের নাস্তিকতার বিরূদ্ধে,তাদের যুক্তি খন্ডনে এটি একটি উপযুক্ত বই৷ অসাধারণ লেখনি৷ ধন্যবাদ প্রিয় লেখক আরিফ আজাদ৷

মাশা আল্লাহ, নাস্তিকদের প্রশ্নের বিপরীতে অসাধারন উত্তর।। আল্লাহ আরিফ আজাদ ভাইকে উত্তম প্রতিদান দান করুন।।

very good book

আরিফ আজাদ ভাই মানেই আগুন?

অসাধারণ একটি বই।

excellent

আরজ আলির প্রশ্নের উত্তর জানার খুব ইচ্ছে ছিল, ভাল লেগেছে!

masha allah

অসাধারণ

Powerful thinking

Just amazing book

আরিফ আজাদের বই নিয়ে নতুন করে বলার কিছুই নেই।তার অন্যান্য বইয়ের মতো এই বইটিও অসাধারণ।

এই বইটি পড়েছি কোনো ভাবেই আমি যুক্তি পেলাম না আরজ আলী মাতুব্বরের বইয়ের বিপরীতে, আশাকরি আরো ভালো করে স্ট্যাডি করে উনার লিখার জবাব দিবেন।

It was okay type book. I would better read other religious book. That's better in stead of reading this one. That's my personal opinion.

অসাধারণ

ভালো লেগেছে

ভালো।

❤️❤️❤️❤️❤️

Alhamdulillah

alhamdullilah , i thought this is the good book

অসাধারণ

?

Fantastic book!!

কৃতজ্ঞতা

জানার জন্য সবার বইটি পড়া উচিত ❤️

arif ajad is a great writer.

অসাধারণ একটা বই।

অসাধারণ যুক্তির মাধ্যমে আরজ আলী ও তার মতো নাস্তিকদের প্রশ্নের সঠিক ব্যাখ্যা করা হয়েছে। এতো সুন্দর যুক্তিসঙ্গত উত্তরের পরেও যদি কেউ সঠিক দ্বীন চিনতে না পারে তাহলে এটা তার দুর্ভাগ্য।

????

অখাদ্য।

❤

সাজিদ, টেক লাভ ??

বইটি খুব চমৎকার ?

দারুন যুক্তি দিয়ে লিখা হয়েছে বইটি।

নাস্তিক মহলে অত্যাধিক পরিচিত একটি নাম "আরজ আলি মাতুব্বর"। তিনিও ছিলেন একজন নাস্তিক। অন্যান্য নাস্তিকদের মতো তারও বিভিন্ন প্রশ্ন / অভিযোগ ছিল ইসলাম নিয়ে। সেইসব অভিযোগ তিনি লিখে গেছেন তার বিভিন্ন বইয়ে। কিন্তু তার অভিযোগের মধ্যে এমন অনেক অভিযোগ আছে যার কোনো ভিত্তি নেই। মানুষের লোকমুখে প্রচলিত ইসলাম নিয়ে বিভিন্ন বক্তব্যকে কেন্দ্র করে তিনি প্রশ্ন তুলেছিলেন, কিন্তু সেইসব বক্তব্যবের যে কুরআন হাদিসের আলোকে কোনো ভিত্তি নেই তা তিনি জানতেন না। আর তার সেইসব ভিত্তিহীন প্রশ্নের স্বরূপকে মানুষের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন লেখন আরিফ আজাদ, তার "আরন আলী সমীপে" বইটিতে। আরজ আলী মাতুব্বরের বিভিন্ন অভিযোগ যে আসলে ভিত্তিহীন তা ই এই বইয়ে অত্যন্ত সুন্দরভাবে তুলে ধরা হয়েছে।

NICE BOOK

Good

Onak bhalo

Very good analytical book from the sense of philosophy.

Amazing.

বইটি অসাধারণ ?

Must read book

"আরজ আলী মাতুব্বরের গ্রন্থ পড়ে আমি মুগ্ধ ও বিস্মিত হয়েছি নতুন কথা বলে নয়,তাঁর মুক্তবুদ্ধ, সৎসাহস ও উদার চিন্তা প্রত্যক্ষ করে " -----------আহমদ শরীফ।।

অসাধারণ

লেখক ফ্যাক্ট গুলোকে খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন।

অসাধারণ উপস্থাপনা এবং অজানা অনেক কিছুই জানতে পারলাম। সেই সাথে জ্ঞাত হলাম যে আরজ আলী জাহিল ছিলো।

রকমারি এর ডেলিভারি অসাধারণ fast and furious এর মতো। অফার গুলোও সুন্দর

It deserves 5 star!

Excellent

Good.

সেরা একটি বই!

অসাধারণ লেখনি।আরিফ আজাদ ভাইয়ের অন্যতম সেরা বই। নাস্তিকদের তলপেটে আঘাতটা লেগেছে।

সৃষ্টিকুলে স্রষ্টার পরিচায়ক বইটি আমাদের সকলের মনের দুয়ার খুলে দিয়ে বদ-দ্বিনের অন্ধকারকে দুর করে দেবে নিশ্চিই । বইটি শুধুমাত্র মুসলমান নয় বরং সকল ধর্মের মানুষের জন্য উল্লেখ যোগ্য কিছু উপমা ও উদাহরণ বহন করে। আস্তিকতা ও নাস্তিকতার এক অভেদ্য পাচীর তুলে ধরে সবাইকে স্রষ্টার পরিচয় দিয়েছে আমাদের। যার ভুলের মাঝে আছে খুবই সুনিপুন কৌশলে তাদের ভুল শোধরে দেবার দিক নিদর্শন মলে আরজ আলী সমীপে বইটিতে।

অসম্ভব ভালো‌ একটি বই।।

ভালো বই । সাম্প্রতিক কালে অনেক উপকারী ।

My Favorite books. Thanks

best one

আমার পড়াসেরা বইয়েরএকটি

অনেক ভালো একটি বই

নাস্তিকতার মূলোৎপাটন

আরিফ আজাদের বই মানে চমৎকার❤,,,

Great book.

যদিও অনেক আগের বই, অনেক দেরি করে পরলাম, পুরো বইটা পড়ার পর মনে শুধু একটা কথা ই আসতেছে কেন এতো দেরি করে বই টা পড়লাম, অনেক সুন্দর একটা বই মনটা ফ্রেশ হয়ে গেলো। ধন্যবাদ আরিফ আজাদ ভাই জান কে। এবং আরো ধন্যবাদ Rokomari.com কে।।

Best book.

সত্যি অসাধারণ একটি বই

আরজ আলী নামের এক মহা-বিঞ্জানী কে কাউন্টার করছে আরিফ ভাই। বইটি পড়ে অনেক কিছু জানা যাবে ইন-শা-আল্লাহ।

arif azader aro ekti ononno lekha eti...onek sundor vabe boi ti likhechen uni..allah unar gyan aro bariye dik r emin chomotkar lekha aro jeno likhte paren sei asha kori...

আরিফ আযাদ মানেই অসাধারণ কিছু।

অসাধারণ বই ❤️

অনন্য অসাধারণ বই

আগে সত্যের সন্ধানে বইটা পড়ব তারপর এই বইটা পড়ব, সত্যের সন্ধানে এই বইটা কোথায় পাওয়া যাবে আমি খুঁজে পাচ্ছি না কেউ যদি বলেন উপকার হত

রিভিউ: "আরজ আলী সমীপে" লেখকঃ আরিফ আজাদ (হাফিজাহুল্লাহ) আমাদের কারো মাঝে হয়তো একটি বদ্ধমূল ধারণা আছে তা হলো, আমরা মনে করি যারা নাস্তিকবাদের প্রতি ঝুকে পড়ছে তারা মনে হয় সবাই বিজ্ঞানের ঝলক(!) দেখে। আমার মনে হয় ব্যাপারটা এমনটি নয়। আমাদের সমাজের সিংহভাগ ছেলেপুলেরা সরলমনা এবং সমাজে প্রচলিত ইসলামের অনুসারী। বাপদাদা সনদে বর্ণিত বিভিন্ন রেওয়াজ, ঘটনা এবং (জাল) হাদীসকে তারা ইসলামের অংশ মনে করে থাকে। সঠিক ইসলাম সম্পর্কীয় জ্ঞান না থাকায় হক্ব ও বাতিলের পার্থক্যটি তারা বোধ করতে পারে না। তারা যা অধ্যয়ন করে তাই বিশ্বাস করে থাকে। অনেকটা লেখকের প্রতি অন্ধপ্রেমের কারণে। কিন্তু পরিতাপের বিষয় হলো, এদের কাছে প্রচলিত ইসলামের জ্ঞানকেই তারা ইসলামের প্রামাণ্য তথ্য মনে করে থাকে। . উপরিউক্ত প্রকৃতির পাঠকসমাজের এই জ্ঞানের দীনতাকে যুগে যুগে 'টোপ' হিসেবে ব্যবহার করে আসছে কিছু মুক্তমনা নামধারী লেখক। যারা তাদের সাহিত্যের মায়াজালে ফেলে এসব যুবকদের বিভ্রান্ত করার অপপ্রয়াস চালিয়ে আসছে দীর্ঘদিন যাবৎ। তাদের অন্যতম "আরজ আলী"। . "আরজ আলী সমীপে" বইটি পড়ার সময় চোখকান ওয়ালা পাঠকসমাজ হাসি সংবরণ করতে পারবেন না বলেই আমার বোধ হয়। এর একমাত্র হেতু হলো, আরজ আলী কর্তৃক দাবীকৃত কিছু কথিত (জাল) ইসলামিক তথ্য। বইটি পড়ার সময় আমি ভাবছিলাম, যে ব্যক্তি নিজেই জানে না তার থেকে পাঠক কি শিখবে! আসল কথা হলো আরজ আলী যে তথ্যাদি দিয়ে তার বিরুদ্ধাচরণ করেছে আসলে তা আদৌ ইসলামের তথ্যই নয়। এ যেন প্রচলিত মিথ্যাচারের মিথ্যাচরণ। আর তারই দাঁতভাঙা জবাব রয়েছে "আরজ আলী সমীপে" বইটিতে। . এযাবৎ কেও 'আরজ আলীদের' তেমন ফলপ্রসূ উপায়ে এসব মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তথ্যের জবাব প্রদান করেননি যে উপায়ে জবাব প্রদান করেছেন 'আরিফ আজাদ' ভাই (হাফিজাহুল্লাহ)। সরলমনা যুব সমাজের মনে ধীরেধীরে নাস্তিকবাদের বীজ বপনকারীদের জবাব কিভাবে দিতে হয় তার অতুলনীয় দৃষ্টান্ত হলো "আরজ আলী সমীপে" বইটি। যেখানে লেখক ভদ্রভাষায় 'আরজ আলীকে' ধোলাই দিয়েছেন। এবং লেখকের জ্ঞানের দীনতার তীব্রভাবে সমালোচনা করেছেন। . 'আরজ আলীদের' মতো ভণ্ড, মুর্খ ও জ্ঞানপাপী লেখকদের জবাব দিয়ে শ্রদ্ধেয় 'আরিফ আজাদ' ভাই সরলমনা যুবমনে নাস্তিক্যবাদের অঙ্কুরিত বীজ সমূলে উৎপাটন করার জন্য যে প্রয়াস নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন তা যেন সফল হয়। আল্লাহ যেন ভাইয়ের এই প্রয়াসকে কবুল করে নেন। আর জান্নাতে যেন তার সাথে আমাকেও অন্তর্ভুক্ত করে নেন। আমীন ইয়া রব্বুল আ'লামীন।

আধুনিক মানুষ সম্ববত সবচেয়ে কম আগ্রহী তার ধর্ম সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান নিতে আর সে সুযোগে কিছু তথাকথিত লেখক বা মিডিয়া কর্মী যাই বলি ধর্ম বিশেষ করে ইসলামকে তারা ভিন্ন একটি রুপ দিতে চেয়েছে। আর এই টোপ আমরা ভাল করেই গিলেছি। যখন যুক্তি আর বিজ্ঞানের দোহাই দিয়ে বলা তখন সে টোপ না গিলে কোথায় যাই। কিন্তু কিছু অসাধারণ লেখক বা ব্যাক্তি আমাদের সে ছলচাতুরী গুলো চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়, যেমনটি লেখক আরিফ আজাদ আমাদের দেখিয়ে দিয়েছে যে আরজ আলী ধর্মের ব্যাপারে বিশেষ করে ইসলামের ব্যাপারে কতটা জ্ঞানহীন ছিল। তার পরেও অনেক মানুষ আরজ আলীর লেখার টোপ গিলেছে। আর এই টোপ কি করতে পারে আজকের জুগে তার ব্যাখ্যার দরকার আছে কি? যাইহোক "আরজ আলী সমীপে" অসাধারন একটি বই বিশেষ করে তাদের জন্য যারা ইসলাম সম্পর্কে ভুল জানে। সবাইকে পড়তে স্বাগত জানাই।

onk sundor vabe sob kisur Jukti deya ase.. Nastik dr ekdom dat vannga jobab ai boi te deya ase

সত্যিই বইটি মুগ্ধ করার মতো।জ্ঞ্যানের তৃষ্ণা মেটানোর জন্য বইটি যথেষ্ট উপযোগী।শুধু এই বিষয়ের ছাত্র না, সবাই এই বইটি সমানভাবে উপভোগ করতে পারবে।শিখতেও পারবে অনেক কিছু।বইটি পড়ার পর ভালো লাগা কাজ করবেই।অনেক চিন্তার খোরাক যোগাবে বইটি।আমি সবাইকে রেফার করবো বইটি পড়ার জন্য।

খুব ভালো একটা বই। না পড়লে বুঝতে পারবেন না। পড়ার অনুরোধ করছি।

আরজ আলী মাতুব্বর হলো বাংলাদেশের নাস্তিককূলের জ্ঞানপিতা। বড্ড সম্মান করা হয় উনাকে। কিন্তু আফসোসের ব্যাপার হলো, তাদের এই গুরুর দশা আসলে খুবই করুন। সত্যের সন্ধানে লেখা বইটি অজ্ঞতাপ্রসূত প্রশ্ন, কুতর্ক ও বাতুলতায় সয়লাব। বইয়ের উল্লেখযোগ্য অংশকে আতশকাচের নিচে রেখে খণ্ডণ করেছেন তুমুল জনপ্রিয় লেখক আরিফ আজাদ (আল্লাহ্ উনাকে হেফাযত করুন)। বরাবরের মতোই নাস্তিকদের মাথার ঘায়ে কুত্তাপাগল অবস্থা হয়ে গেছে এই বই দেখে। কপিরাইট আইন লঙ্ঘন করে তারা এই বইয়ের পিডিএফ ছেড়ে দিয়েছে। ওদের নৈতিকতা বরাবরই শোচনীয়। বইটি বেশ সহজ ভাষায় লেখা। সাধারণ পাঠকদের জন্য সুখপাঠ্য।

Boi ta poray onekvolo lag lo ki nay labholo

"আরজ আলী সমীপে" লেখকঃ আরিফ আজাদ। আরজ আলী তথাকথিত একজন নাস্তিক লেখক।জন্মেছেন বরিশালে। তিনি তার লেখা বইগুলোতে এক ব্যার্থ চেষ্টা চালিয়েছেন বিজ্ঞানের ভুলে ভরা যুক্তি লোকমুখে শোনা কথা দিয়ে ইসলাম ধর্মকে একহাত দিতে।কিন্তু পাঠকের যদি ধর্ম ও বিজ্ঞান সম্পর্কে একটা পর্যাপ্ত লেভেলের জ্ঞান থাকে তবে তার লেখা বইগুলো পড়ে হাসি আটকিয়ে রাখতে পারবেন বলে মনে হয় না। যাইহোক তথাকথিত কুখ্যাত আরজ আলীর সেই ভুলে ভরা যুক্তির রিবার্টাল দিয়েছেন (বিজ্ঞান ও কুরআনের আলোকে রেফারেন্স সহ)লেখক এই বইটিতে। আমার ব্যক্তিগত রেটিং ৮/১০। আপনি পড়ে দেখতে পারেন।আশা করি খুব ভালো লাগবে।এবং নিজের মনের মধ্যে লুকিয়ে থাকা কিছু প্রশ্নের উত্তর ও পেয়ে যাবেন ইনশাআল্লাহ ?

অসাধারন বই

Nicely oriented those answers and a great response to aroj.

I have studied many books in my whole life. Cause book is the only friend that can help you increase your knowledge and its a friend indeed.The person who have only books as friend have no enemies.Thats why i try to read as much book as possible.And comparing all the books that i have read, this book is a good one.

সাধারনের জন্য বইটা পরিচিত না হলেও যারা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে তাদের এটা পড়া উচিৎ, এতে অনেক জটিল প্রশ্ন আছে, যার সুস্পস্ট উত্তর না জানলে, যে কেউ বিব্ভ্রান্ত হতে পারে।

এই বইটি আমি পরেছি।ধারুন বই

অনেক সুন্দর ব্যাখ্যা। মনে তৃপ্তি আসে

'আরজ আলী মাতুব্বর' স্বশিক্ষিত একজন ব্যক্তিত্বের নাম। কৃষক হয়ে তিনি যা করেছেন তা অনেক প্রশংসাযোগ্য। অনেক বড় বড় দর্শন,বিজ্ঞানের বই পর্যন্ত পড়েছেন(এখান থেকেই একটা শিক্ষা আমরা নিতে পারি,একজন কৃষকের জ্ঞানের কতটা তৃষ্ণা)। একসময় তিনি একটি বই লেখেন। সেই বইয়ে তিনি উল্লেখ করেন, ধর্ম নাকি মানুষের তৈরী বিষয় ইত্যাদি ইত্যাদি প্রশ্ন ?। বইটিতে বিশেষ করে ইসলামকে আঘাত করে কথা বলা হয়েছে। আরিফ আজাদ, আরজ আলী মাতুব্বরের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করছে যুক্তি এবং বৈজ্ঞানিক কৌশল অবলম্বন করে। যা নিঃসন্দেহে প্রশংসাযোগ্য। ধন্যবাদ।

আলহামদুলিল্লাহ পড়ে বেশ উপকৃত হয়েছি। মুসলিম অমুসলিম সকলের জন্য একবার পড়ে দেখা উচিত বলে মনে করি।আপনাদের মনে কোনো দ্বিধা থাকলে তা দূর হবে আশা করি। আল্লাহ সবাইকে কবুল করুন।

নাস্তিকতা একটা রোগ, অন্তরের রোগ। আলো- অন্ধকারের মতো, সত্য- মিথ্যার একটা লড়াই ছিল, আছে, এবং শেষ দিন পর্যন্ত বহাল থাকবে। জাহিলিয়াতের দ্বন্ধগুলো শেষ হয়ে যায়নি এবং যাবেও না। নানান সময়ে নানান রুপে এগুলো আমাদের সামনে এসে ধরা দেবে। “এটা মিথ্যা”, “ওটা অবৈজ্ঞানিক”, “ওটা কেবল অন্ধবিশ্বাস” – এভাবেই তো ওরা ইসলামের দিকে আঙ্গুল তোলে। যুগে যুগে মানুষ বদলায়, কিন্তু ইসলামের সাথে জাহিলিয়াতের দ্বন্ধগুলো আজীবন চলতেই থাকে। বাংলাদেশে তরুন প্রজন্মের মধ্যে নাস্তিকতার ব্যাপারটা কেমন যেন মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। বিশেষ করে ফেসবুকে, ব্লগে এসব নিয়ে তুমুল তর্কাতর্কি হচ্ছে। শত শত মুসলিম তরুন এসবের মধ্য পড়ে বিভ্রান্ত হয়ে ইসলাম থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। তাদের মনের মধ্যে নানারকম প্রশ্ন, সন্দেহ ঢুকিয়ে দিচ্ছে নাস্তিকরা। বাংলাদেশে নাস্তিকতা জগতের গুরু যারা, আরজ আলী মাতুব্বর তাদের মধ্যে একজন। বরিশালে জন্মেছেন, নিজে নিজে স্বশিক্ষিত হয়েছেন। ধর্মের প্রতি একধরনের বিতৃষ্ণা থেকে উনি কলম ধরেছিলেন বলে জানা যায়। এই বিতৃষ্ণা থেকেই উনি ধর্মের বিরুদ্ধে, বিশেষত ইসলাম ধর্ম নিয়ে বেশকিছু প্রশ্ন, আপত্তি ও সন্দেহ নিয়ে “সত্যের সন্ধানে” নামে একটি বই লিখেছিলেন। এই বইয়ের প্রশ্নগুলো নাস্তিক সমাজে বহুল প্রচারিত। বইটি কত যে মুসলিম তরুনের মনের মধ্যে অবিশ্বাসের বীজ বুনে দিয়েছে, ইসলাম থেকে দুরে সরিয়ে দিয়েছে। এই বইয়ের বিপরীতে উনার যুক্তি, প্রশ্নের উত্তর দিয়ে লেখা হয়েছে “আরজ আলী সমীপে” বই। বইটিতে লেখক আরজ আলী সাহেবের প্রশ্নের জবাব তো দিয়েছেনই, সেইসাথে আবার পাল্টা প্রশ্নও ছুড়েছেন। সঠিক প্রশ্ন নিয়ে কেউ যদি ভুল মানুষের কাছে যায়, তাহলে সে ভুল উত্তর পাবে, এবং ভুল জানবে। কিন্তু, ভুল প্রশ্ন নিয়ে কেউ যদি সঠিক মানুষের কাছে যায়, তবুও সে সঠিক উত্তর পাবে। কারণ, সঠিক মানুষটা প্রথমে তার প্রশ্নটাই শুধরে দিবে। তারপর সেই প্রশ্নের উত্তর দিবে। শুধু প্রশ্ন করতে পারাটাই বাহাদুরি নয়, বরং প্রশ্নের উত্তরের জন্য কোথায় আর কার কাছে যাওয়া হচ্ছে সেটাও বেশ গুরুত্বপূর্ণ। আরজ আলী সাহেবের ক্ষেত্রেও ঠিক এটাই হয়েছে। উনি যে বিশেষ আ্যঙ্গেল থেকে ধর্ম, বিশেষ করে ইসলামধর্মকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করেছেন, সেটা আসলে মূল ইসলাম না। দুঃখজনকভাবে, উনি উনার এসব ভুল প্রশ্ন নিয়ে কোন আলিমের কাছে যাননি, যিনি তাকে সত্যের সন্ধানদিতে পারেন। তার বেশিররভাগ কথা শুরুই হয়েছে এভাবে- “মুসলিম ধর্মযাজকদের নিকট শোনা যায়….. “। ইসলাম সম্পর্কে তার জ্ঞান শোনা কথার উপর নির্ভরশীল। উনার যুক্তিগুলোও তাই খুবই হাস্যকর। এ বইয়ের বেশিরভাগ প্রশ্ন খুবই শিশুসুলভ। এসবের সাথে কুরআন- হাদিসের কোনই মিল নেই। আরও দুঃখজনক ব্যাপার হল, উনার এসব ভুল প্রশ্ন, ভ্রান্ত যুক্তি নিয়ে উনি “সত্যের সন্ধানে” নামে একটা বই লিখে ফেলেছেন। যে মানুষ কখনও কোন অথেনটিক সোর্স থেকে ইসলাম সম্পর্কে কোন পড়াশুনা করেননি, তিনি এসেছে ধর্মের ব্যাপারে জ্ঞান বিতরণ করতে! এমন মানুষ কি কাউকে কখনও সত্যের সন্ধান দিতে পারবে? ব্যাপারটা অনেকটা দুর্নীতিগ্রস্ত সরকারের মত- যে প্রশাসন, মিডিয়া, সবকিছুকে নিজের আয়ত্বে রেখে জনগণের উদ্যেশ্যে ঘোষনা দেয়- “আসো, আজ আমি তোমাদের শেখাব নির্বাচন কাকে বলে?” আরজ আলী সাহেবের অবস্থাও তেমনই নয় কি? আরজ আলী সাহেব মারা গেছেন অনেক আগে। উনাকে নিয়ে আমাদের আর কিছুই করার নেই। মৃত্যুর পর উনি কেমন আছেন তা জানার কোন উপায় নেই। কিন্তু, উনি একগাদা উত্তরসুরীকে রেখে গেছেন, যারা উনার হয়ে “নাস্তিকতা ধর্ম” প্রচার করছে। তাদের কারণে শত শত মুসলিম তরুন অন্তরে নাস্তিকতাকে ধারণ করছে। এই বই তাদের জন্যই। এই বইতে আরজ আলী সাহেবের প্রশ্নগুলোর উত্তর দেয়া হয়েছে, আগ্রহী পাঠক না হয় বইয়ের পাতা থেকেই দেখে নিবেন। এই বই কাদের জন্য? ১. ইসলাম নিয়ে যাদের মনে সন্দেহ দানা বেঁধেছে- যারা ইসলামের বেসিক বিষয় নিয়ে সন্দেহে ভুগছেন। ২. যারা নাস্তিকদের করা বিভিন্ন প্রশ্ন নিয়ে চিন্তা করেন, কিন্তু উত্তর খুঁজে পান না- তারা এই বই থেকে খুঁজে নিতে পারেন আপনার উত্তর ৩.যারা নাস্তিক অলরেডি হয়ে গেছেন- বিশ্বাসকে নতুন করে আকড়ে ধরতে চাইলে এই বইটা পড়ুন। ৪.যারা নাস্তিকতার প্রচারক ৫.আপনি যদি বিধর্মী হয়ে থাকেন- আপনিও পড়তে পারেন এই বইটি। এতে আপনার জন্যও চিন্তার খোরাক আছে। এই বইটি কেন পড়বেন? এই বইতে নাস্তিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর এবং যুক্তি দেয়া হয়েছে, আপনার আশেপাশে কোন সংশয়বাদী/ নাস্তিক থাকলে তার প্রশ্নগুলোর যথাযথ উত্তর দিয়ে তাকে সঠিক পথে ফিরে আসতে সাহায্য করবেন। বইটির বিবিধ অংশটি খুবই মজার। “বিবিধ” অংশে বিবর্তনবাদ নিয়ে লেখাগুলো, বিশেষ করে “কিছু ধাপ্পাবাজির গল্প” শিরোনামে যে ঘটনাগুলো আছে, এগুলো যে কারও চোখ খুলে দেয়ার মত। বইটির প্রচ্ছদ খুবই সুন্দর হয়েছে। প্রচ্ছদে আরজ আলী সাহেবের উদ্দেশ্যে একটা চিঠি আছে। চিঠির শেষ লাইনের প্রশ্নটা খুবই চমৎকার। প্রশ্নটা ছিল- “পরিশেষে, কেমন আছেন আপনি? জানার কোন উপায় আছে কি?”

খুব সুন্দর একটি বই।

Recommend

বইটিতে মূলত আরজ আলী মাতুব্বর, যিনি নাস্তিক ও ধর্ম নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন করে একটি বই লিখেছেন, সেই প্রশ্নগুলোরই উত্তর দেওয়া হয়েছে। এই বইটি মূলত নাস্তিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের সঠিক ও যুক্তিসম্মত উত্তরের ওপর রচনা করা। বইটি পড়ে যে কারো ভাল লাগবে। আসলে বইটিতে খুব সুন্দরভাবে ইসলামের বিভিন্ন খুঁটিনাটি তুলে ধরা হয়েছে। এই বইটি পড়লে কোরআনে বলা বিভিন্ন বানীর বৈজ্ঞানিক যুক্তি পাওয়া যাবে। আর অবশ্যই ধর্মকে কেন বিশ্বাস করব তাও জানা যাবে। জানা যাবে বিশ্বাস জিনিসটা আসলে কি।

বাংলাদেশের তথাকথিত নাস্তিক নামের ইসলাম বিদ্বেষী ব্যাক্তিবর্গ,আরোজ আলী তাদের মধ্যে একজন।প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা না থাকার কারণে নানা রকম কুসংস্কারকে ঘিরে তিনি ইসলামকে না না ভাবো প্রশ্নবিদ্ধ করেন।এই বইতে তারই সেইসব প্রশ্নের যুক্তিগত ও বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা দিয়েছেন লেখক আরিফ আজাদ।বইটি পড়লে সকলের ঈমানের জায়গাটুকু একটু হলেও দৃড় হবে।ইনশাআল্লাহ।

অসাধারন একটি বই

অসাধারণ বই❤❤

খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি বই।

মুসলিম হিসাবে আমাদের কিছু কমন প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়। আমাদের মত দেশের মুসলিমদের কুরআন ও হাদীস নিয়ে কেউ গবেষণার করছে তা আমার জানা নেই । ফলে আমরা মুসলিমরা নাস্তিকদের সাধারণ কমন কিছু প্রশ্নের উত্তর দিতে পারি না। “আরজ আলী সমীপে” বইটি পড়ার মাধ্যমে অনেক প্রশ্নের উত্তর আমরা জানতে পারবো।

আরিফ আজাদ এর প্রতিটি বই অস্বাধারণ। যতপড়ি তত একটা ভাললাগা কাজ করি। আল্লাহ আরিফ আজাদ ভাইয়ের জ্ঞানকে আরও সমৃদ্ধি করুক।

এই বইতে নাস্তিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর সুন্দর ভাবে তুলে ধরা হয়েছে। যা বর্তমান যুগে খুবই দরকারি ছিল। আর বইটা যদি পেপারব্যাক কভারে না করে হার্ডকভারে করা হতো তাহলে ভাল হতো।

ইসলাম সর্বকালে, সর্ব যুগে, সর্ব সময়ে বিজয়ী। দুনিয়াতে আলো যেমন আছে, তার বিপরীতে আছে অন্ধকার। সুখ যেমন আছে, তার বিপরীতে আছে কষ্ট। সত্য যেমন আছে, ঠিক তেমনি আছে মিথ্যাও। অন্ধকার যেমন কখনো আলোর স্থান পায় না, দুঃখ যেমন কোনভাবেই সুখের সাথে মিলে না, ঠিক সেভাবে মিথ্যাও কখনো সত্যের উপরে বিজয়ী হতে পারে না। সত্য সত্যই। এবং যা মিথ্যা, তা সবসময়ই মিথ্যা। মিথ্যা তার স্বভাবগতভাবেই মিথ্যা এবং সত্য তার সহজাত কারণেই সত্য। তবুও, জগতে আলো-অন্ধকারের মতো, সত্য-মিথ্যার একটা লড়াই বিরাজমান ছিলো, বিরাজমান আছে, এবং শেষদিন পর্যন্ত এই লড়াই বহাল থাকবে। মেঘের আড়ালে ঢাকা পড়া সূর্য যেমন তার সমস্ত তেজের বিকিরণ ঘটিয়ে মেঘ ফুঁড়ে বের হয়ে আসে, ঠিক সেভাবেই সত্য সর্বদা বিজয়ী হয়ে প্রস্ফুটিত হয়। পৃথিবীজুড়ে ছড়িয়ে দেয় তার দীপ্তিময় আলোকমালা। জাহিলিয়াতের দ্বন্দ্বগুলো শেষ হয়ে যায়নি এবং যাবে না। এগুলো নানান সময়ে নানান রূপে আমাদের সামনে এসে ধরা দিবে। এই দ্বন্দ্ব যেমন থাকবে, যুগে যুগে তার বিপরীতে সত্যের ঝান্ডাবাহী একদল লোকও নিপুণভাবে লড়ে যাবে। আরজ আলী মাতুব্বর ধর্মের মৌলিক বিষয়গুলো নিয়ে সন্দেহ সৃষ্টি করার চেষ্টা করেছেন উনার ‘সত্যের সন্ধান’ বইতে। ‘আরজ আলী সমীপে’ সেই বইয়ের সংশয়, সন্দেহ, যুক্তি এবং তথ্যের বিপরীতে রচিত।

অসাধারণ ❤❤❤

অজ্ঞতা আর অজ্ঞতা। এই অজ্ঞতার দগ্ধে পড়ে রয়েছে লক্ষ-কোটি নাস্তিকগোষ্ঠি। এরই প্রতিচ্ছবি ছিল মাতুব্বর সাহেব আরজ আলী। তার অজ্ঞতায় দগ্ধ হয়েছে আর হচ্ছে আরো অজ্ঞ নাস্তিকগণ। আর যুক্তিগুলো খুবই খোড়া৷ তবে আরিফ আজাদ ভাইয়ের কাউন্টার অসাধারণ। উনি খুবই বিশ্লেষণ ও তাহকিক সহকারে ব্যাখ্যা করেছেন অজ্ঞ আরজ আলীর যুক্তিগুলোকে। বইটি বেস্ট সেলিংয়ের তালিকায় এমনিতেই আসেনি। নাস্তিকদের দাত ভাঙাতে আরজ আলী সমীপে বইটি অনেকটা ভূমিকা রাখবে। অবশেষে লেখকের প্রতি রইল অসংখ্য ধন্যবাদ, শুভকামনা ও দোয়া।

আস্তিক নাস্তিক বিতর্ক চলে আসছে অনেক আগে থেকেই । আলহামদুলিল্লাহ অনেক গুনী লেখক এই বিষয় নিয়ে বাংলায় লিখা লিখে করছে । এতে করে সবাই বাজে তর্ক না করে যৌক্তিকভাবে নাস্তকিদের জবাব দিতে পারছে । আমার কাছে মনে হয় নাস্তিকদের অহেতুক তর্কের অত্যন্ত যুক্তিপূর্ণ ব্যাখ্যা ও সমাধান রয়েছে এই বইটিতে । এবং সবারই এটি পড়া উচিৎ ।

এক কথায় অসাধারণ একটি বই । পড়লে শুধু পড়তেই মন চায়। মন ভালো করার মতো একটি ইসলামিক বই। আমি মনে করি প্রত্যেক মুমিনের এই বইটি পড়া উচিত।

❤❤❤❤❤

এক কথায় এন্টি আরজ আলী। আরজ আলীর উল্লেখ্য লিখিত পুস্তকটির, প্রতিটি লাইন এর প্রতিটি অক্ষরের দাঁত ভাঙ্গা জবাব দেয়া আছে এখানে। সবগুলো জবাবই যুক্তি, সাবলীলভাবেই দেয়া।

আসলেই আজাদ ভাইয়ের মত মানুষ হন না। তিনি যেভাবে নাস্তিকদের কথায় জবাব দেন তা সত্যি প্রশংসিত । আরজ আলী সমীপে আ্শা করবো সবাই কিনবেন। বিশেষ করে যাদের মনে সন্দেহ আছে আমাদের এই পবিত্র ইসলাম সম্পর্কে। আর রকমারি ডট কম আপনাকে খুব সাহায্য করবে সহজ উপায়ে বইটি পেতে

বই: আরজ আলী সমীপে (আরিফ আজাদ) পৃষ্ঠা: 152, প্রচ্ছদ মূল্য: 250 টাকা (পেপারব্যাক) বাংলাদেশের নাস্তিক পাড়ায় একটি পরম শ্রদ্ধেয়, উচ্চারিত এবং বহুল প্রচারিত নাম----আরজ আলী মাতুব্বর। জন্মেছেন বরিশালে। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা না থাকলেও নিজে নিজে স্বশিক্ষিত হয়েছেন বলে জানা যায়। ধর্মের প্রতি বিতৃষ্ণা থেকে ধর্ম নিয়ে বেশকিছু আপত্তি, প্রশ্ন এবং সন্দেহ উত্থাপন করেছিলেন তিনি। যা নাস্তিক সমাজে ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়। আরজ আলী মাতুব্বরের যুক্তির খণ্ডন, পাল্টা যুক্তি এবং তার প্রশ্নগুলোর উত্তর দেওয়াটা ছিল সময়ের অন্যতম দাবী। আমাদের সময়ের অন্যতম তরুণ, প্রতিবাবান জনপ্রিয় লেখক আরিফ আজাদ আরজ আলী মাতুব্বরের প্রশ্নের জবাবে লিখেছেন 'আরজ আলী সমীপে' বইটিতে তিনি আরো আরজ আলী মাতুব্বর- এর উত্থাপিত প্রশ্নগুলোর জবাব তো দিয়েছেন ই, সাথে ছুড়ে দিয়েছেন পাল্টা প্রশ্ন ও।

বইয়ের নামঃআরজ আলী সমীপে লেখকঃআরিফ আজাদ প্রকাশনীঃসমকালীন প্রকাশন মূল্যঃ১৮০ আধুনিক মানুষ সম্ভবত সবচেয়ে কম আগ্রহী তার ধর্ম সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান নিতে আর সে সুযোগে কিছু তথাকথিত লেখক বা মিডিয়া কর্মী যাই বলি ধর্ম বিশেষ করে ইসলামকে তারা ভিন্ন একটি রুপ দিতে চেয়েছে। আর এই টোপ আমরা ভাল করেই গিলেছি। যখন যুক্তি আর বিজ্ঞানের দোহাই দিয়ে বলা তখন সে টোপ না গিলে কোথায় যাই। কিন্তু কিছু অসাধারণ লেখক বা ব্যাক্তি আমাদের সে ছলচাতুরী গুলো চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়, যেমনটি লেখক আরিফ আজাদ আমাদের দেখিয়ে দিয়েছে যে আরজ আলী ধর্মের ব্যাপারে বিশেষ করে ইসলামের ব্যাপারে কতটা জ্ঞানহীন ছিল। তার পরেও অনেক মানুষ আরজ আলীর লেখার টোপ গিলেছে। আর এই টোপ কি করতে পারে আজকের মানুষ ধর্ম সম্পর্কে ধারণা খুব কম যার জন্য তৈরি হয়েছে নানা রকম বিত। আরজ আলী সমীপে বইটি সে সুযোগকে ন্যাস্ত করে দিয়েছে। সত্যিই অসাধারণ একটি বই। কোরআন এর আলোকে যৌক্তিক ব্যাখ্যা দিয়ে মানুষের দৃষ্টিকে সঠিক পথে আনার ক্ষুদ্রতর একটি প্রয়াস দেখতে পাই আরজ আলী সমীপে বইটিতে । যাইহোক "আরজ আলী সমীপে" অসাধারন একটি বই বিশেষ করে তাদের জন্য যারা ইসলাম সম্পর্কে ভুল জানে।প্রত্যেকেরই সঠিক তথ্য জানতে এ বইটি পড়া উচিত। সবাইকে পড়ার আহ্বান জানাচ্ছি।

দারুন একটি বই অনেক অজানা প্রশ্নের জবাব পেলাম

বইটা ভালো।

আরজ আলী মাতাব্বুর রচিত নাস্তিক্যবাদ বিষয়ক বই "সত্যের সন্ধানে"-এর উপযুক্ত জবাবস্ববরূপ শ্রদ্ধেয় আরিফ আজাদ রচনা করেছেন "আরজ আলী সমীপে"।আরজ আলী মুক্তচিন্তার ধারক বাহক হিসেবে ইসলামের যেসব বিষয়কে কটাক্ষ ও প্রশ্নবিদ্ধ করেছেন,সেসব বিষয়কে অত্যন্ত সুনিপুণ ও সহজবোধ্য ভাষায় বিশ্লেষণ করে সেগুলোর অসারতা প্রমাণ করা হয়েছে।সেই সাথে ইসলাম যে পৃথিবী সর্বশ্রেষ্ঠ ধর্ম তাও প্রমাণিত হয়েছে এ বইতে।সকলেরই পড়া উচিত।

ভালো লেগেছে

সত্যি বলতে আরজ আলিকে একদমই জানতাম না। তিনি যে এতো বাজে রকমের লেখা লেখে গেছেন দ্বীনের বিরুদ্ধে তা এখন দেখছি আরিফ আজাদের সুবাদে। ধন্যবাদ আরিফ আজাদকে।

চমৎকার বই!!!

বইয়ের নাম: আরজ আলী সমীপে লেখক: আরিফ আজাদ প্রকাশনী: সমকালীন প্রকাশন পরিবেশক: সিজদাহ.কম প্রথম প্রকাশ: একুশে বইমেলা ২০১৮ প্রচ্ছদ: নুসরাহ পাবলিশিং সার্ভিসেস পৃষ্ঠাসংখ্যা: ১৪৯ পৃষ্ঠা মুদ্রিত মূল্য: ২৫০ টাকা রেটিং: ৪.৫/৫.০ . আমরা মানুষ। আর মানুষ বলেই আমাদের কৌতূহল সর্বদাই থাকে তুঙ্গে। কৌতূহলের কারণেই একটা ছোট্ট শিশু জানতে চায়, আকাশ কেন নীল? আকাশে কী-কী আছে? আকাশ না থাকলে কী হতো? আরজ আলী মাতুব্বর। বরিশালে জন্ম নেওয়া এই মানুষটি ধর্মের প্রতি শুরুতেই বীতশ্রদ্ধ হয়ে পড়েন, যখন দেখতে পান, তার মায়ের মৃতদেহের ছবি তাকে তুলতে দেওয়া হচ্ছে না। তখন থেকেই তার মনে সন্দেহের বীজ বপন হতে শুরু করে। তিনি ধর্মের বিরুদ্ধাচরণ করে লিখতে থাকেন। প্রশ্ন করা ভালো, কিন্তু সেই প্রশ্ন যদি নির্দিষ্ট একটি গোত্রকে টার্গেট করে লেখা হয়, তাহলে ব্যাপারটা কেমন দাঁড়ায়? আরজ আলী ঠিক সেটাই করেছেন তার ‘সত্যের সন্ধানে’ বইতে। নাস্তিকতা এবং বিজ্ঞানকে ভিত্তি করে লেখা বইটি শুধু্ই ধর্মের বিষেদগারে ভরা। আরজ আলী সাহেব ঠিক কী করেছেন? ধর্মের নামে কিছু প্রচলিত কুসংস্কারকে জুড়ে দিয়ে প্রহসন রচনা করেছেন? নাকি সত্যিই তার যুক্তির কোনো ভিত্তি আছে? নাকি প্রচলিত ভাষায় যাকে বলা হয় ‘শিশুদের যুক্তি’ সেটি দিয়েছেন তিনি? এসব প্রশ্নের উত্তর জানার জন্য একটা বই ছিলো বর্তমান যুগে আবশ্যক। সেটাই করেছেন বর্তমান সময়ের একজন জনপ্রিয় লেখক আরিফ আজাদ। ‘সত্যের সন্ধানে’ বইটির খণ্ডন করতে গিয়ে লিখেছেন—‘আরজ আলী সমীপে’। . বইয়ের শুরুতেই ছিলো প্রকাশক, লেখক ও শার’ঈ সম্পাদকের কথা। তারপর আরিফ আজাদ ‘সত্যের সন্ধানে’ বইয়ের মতোই বইটিকে কয়েক অধ্যায়ে ভাগ করে এগিয়েছেন। প্রথমে ‘ভূমিকা’র খণ্ডন, তারপর একে-একে ‘আত্মা’, ‘ঈশ্বর’, ‘পরকাল’, ‘ধর্ম’ ও ‘প্রকৃতি’ বিষয়ক কথাবার্তার যুক্তিখণ্ডন করেছেন। . সত্যি কথা বলতে কি, আরজ আলী মাতুব্বরের ইসলাম সম্পর্কিত কোনো জ্ঞানই ছিলো না। যদিও হিন্দুধর্ম কিংবা অন্যান্য ধর্ম সম্পর্কেও তিনি বইতে বলেছেন, তথাপিও তার লেখায় ইসলামের বিরুদ্ধাচরণই সবচেয়ে বেশি। আরিফ আজাদ আমাদের চোখের সামনে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছেন যে, আরজ আলী যেই ধর্মটাকে জানতেন, সেটা প্রকৃত ইসলাম ছিলো না। বাংলায় তখনকার সময়ে প্রচলিত পীর ব্যবসা কিংবা ভণ্ড আলেমদের কাজকারবারে তিনি যতোটুকু শিখেছেন, তাই লিখেছেন। কিছু-কিছু যুক্তি পড়ে আমি নিজেই হাসছিলাম। বুঝতে পারলাম, আরজ আলীকে কেন ‘শিশুদের যুক্তি প্রদানকারী’ বলা হয়! . #পাঠের_পোস্টমর্টেম পুরো বইয়ে একধরনের সাবলীলতা ছিলো, এটাই চোখে পড়েছে সবচেয়ে বেশি। ছাত্রদেরকে যেভাবে একটা বিষয় বোঝানো হয়, আরিফ আজাদ সেভাবেই আমাদের বুঝিয়েছেন। তার দেওয়া উদাহরণগুলো খুব সুন্দর ছিলো। যেমন ফেরেশতারা আল্লাহর সাহায্যকারী কিনা এমন যুক্তিকে তিনি রোবট দিয়ে, আখিরাতের জীবনকে ফেসবুক দিয়ে বুঝিয়েছেন। তাছাড়া উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কুরআন ও হাদীসের রেফারেন্সও ছিলো। . বর্তমান সময়ের মাথাচাড়া দিয়ে ওঠা নাস্তিকতাকে মাটিতে মিশিয়ে দিতে এই বইটা রেফারেন্স হিসেবে কাজে লাগতে পারে। আর যারা আরজ আলীর ‘যুক্তি’ (!) শুনে বিভ্রান্ত, তাদের জন্য এই বই মাস্ট রিড। পুরো বইয়ে যত্নের ছাপ ছিলো। প্রচ্ছদ, ফন্ট ইত্যাদি খুব সুন্দর হয়েছে। নুসরাহ পাবলিশিংকে ধন্যবাদ। শার’ঈ সম্পাদনা বইটাকে পূর্ণমাত্রা দিয়েছে। . কিছু পূর্ণমাত্রার হাস্যকর যুক্তিকে তিনি সহজেই এড়িয়ে যেতে পারতেন। তাছাড়া কিছু অধ্যায়ে বৈজ্ঞানিক বিষয় দু’বার করে বর্ণনা করা হলো কেন বুঝলাম না। সম্ভবত অনলাইনে প্রকাশের জন্য লেখক এমনটি করেছেন। কিছু ছোটখাটো বানান ভুল ছিলো। প্রকাশক এবং প্রুফরিডাররা এই বিষয়ে দৃষ্টি দেবেন বলে আশা করি। কাগজ অত মোটা নয়, তবুও দামটা কিছুটা বেশিই মনে হলো। . শেষ একটা কথা বলে যাই। বইটা পড়েই কি আমাদের দায়িত্ব শেষ? না। আমাদের উচিত বইটাকে সবার সামনে হাইলাইট করা, রেফারেন্স হিসেবে ব্যবহার করা। এককথায় মার্কেটিং করা। সেটা হতে পারে রিভিউ লিখে, হতে পারে দু’চার লাইনে কেমন লাগলো বইটি সেটি লিখে, ইত্যাদি-ইত্যাদি। কেননা একজন আরজ আলী কিংবা তসলিমা নাসরিনের বইকে বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরার জন্য প্রচুর মিডিয়া আছে, কিন্তু আমাদের তা নেই। তাই যা করার করতে হবে আমাদেরই। . যারা পড়েননি, শীঘ্রি পড়ে ফেলুন বইটি। . এবং আল্লাহই ভালো জানেন।

অসাধারন বই

গোজামিলে পরিপূর্ণ একটি নিম্মমানের বই

অসাধারণ একটি ব‌ই

very quick delivery. just got actually in less than 24 hours. high quality book. thanks rokomari.

#রকমারি_রিভিউ_প্রতিযোগ_জানুয়ারি রিভিউ নংঃ১৮ বইঃ আরজ আলী সমীপে লেখকঃ আরিফ আজাদ, ক্যাটাগরিঃ ইসলামি আদর্শ ও মতবাদ, মূল্যঃ ২০০টাকা প্রকাশনীঃসমকালীন কাহিনী সংক্ষেপেঃ বইটির শিরোনাম দেখেই বোঝা যায় বইটি কি নিয়ে লিখা। স্বশিক্ষত দার্শনিক আরজ আলী মাতুব্বরের বই এ বিভিন্ন সময়ে উঠে আসা প্রশ্নের উত্তর দিতে লেখক আরিফ আজাদ এই প্রশ্নত্তোর ধর্মী বই। এখানে আরজ আলী মাতুব্বরের ইসলাম নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্নের বিপরীতে উত্তরের মাধ্যমে প্রশ্ন গুলোর অসারতা তুলে ধরেছেন। আধুনিক মানুষ সম্ববত সবচেয়ে কম আগ্রহী তার ধর্ম সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান নিতে আর সে সুযোগে কিছু তথাকথিত লেখক বা মিডিয়া কর্মী যাই বলি ধর্ম বিশেষ করে ইসলামকে তারা ভিন্ন একটি রুপ দিতে চেয়েছে। আর এই টোপ আমরা ভাল করেই গিলেছি। যখন যুক্তি আর বিজ্ঞানের দোহাই দিয়ে বলা তখন সে টোপ না গিলে কোথায় যাই। কিন্তু কিছু অসাধারণ লেখক বা ব্যাক্তি আমাদের সে ছলচাতুরী গুলো চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়, যেমনটি লেখক আরিফ আজাদ আমাদের দেখিয়ে দিয়েছে যে আরজ আলী ধর্মের ব্যাপারে বিশেষ করে ইসলামের ব্যাপারে কতটা জ্ঞানহীন ছিল। তার পরেও অনেক মানুষ আরজ আলীর লেখার টোপ গিলেছে। আর এই টোপ কি করতে পারে আজকের জুগে তার ব্যাখ্যার দরকার আছে কি? “প্রথমত, জগতের কোন কোন বিষয়ে দর্শন, বিজ্ঞান ও ধর্ম এক কথা বলে না তা আরজ আলী সাহেব উল্লেখ করেননি। দ্বিতীয়ত, জগতের কিছু কিছু বিষয়ে যে দর্শন, বিজ্ঞান আর ধর্ম এক কথা বলে না তা আসলে সত্য। সত্য এ কারণে যে জগতের সকল বিষয়ে সমানভাবে দর্শন, বিজ্ঞান আর ধর্মকে কথা বলতে হয় না। আরজ আলী সাহেব যে ভুলটা শুরুতেই করে বসেছেন তা হলো, তিনি দর্শন, বিজ্ঞান আর ধর্মকে এক করে ফেলেছেন। অথচ, এ কথা স্বীকার্য যে, এই তিনটি বিষয়ের আলোচ্য বস্তু ভিন্ন ভিন্ন।” লেখক এখানে আরজ আলী সাহেবের যে বাক্যটি উদ্ধৃতি করে উপরের ব্যাখ্যাটি দিলেন তা কি যথাযথ ব্যাখ্যা হয়েছে বলে মনে হয়? লেখক যে বাক্যটি উল্লেখ করেছেন তার সাথে লেখকের প্রতিজবাব বা বক্তব্যে আপাত দৃষ্টিতে তেমন কোন গড়মিল দেখা যাচ্ছে না। এখানে তিনি বরং আরজ আলী’র বক্তব্যকেই মজবুত করেছেন “জগতের কিছু কিছু বিষয়ে যে দর্শন, বিজ্ঞান আর ধর্ম এক কথা বলে না তা আসলে সত্য” এই বাক্যটি দ্বারা। এতে বুঝা যাচ্ছে লেখক শুরুতেই নিষ্প্রয়োজনীয় বা মিমাংশিত একটি বিষয় নিয়ে কথা বলার চেষ্টা করেছেন। তাছাড়াও এখানে আরো একটি বিষয় উল্লেখ করার প্রয়োজন রয়েছে। যদিও বইটির ভূমিকাগুলোতে (বা মুল লেখার বাইরে যেসব ভূমিকা দেয়া হয়েছে) দাবী করা হয়েছে বইটিতে আরজ আলী’র প্রশ্নগুলোর বাংলায় জবাব দেয়া হয়েছে প্রথমবারের মতো। কিন্তু উদ্ধৃত বাক্যটিতে কোন প্রশ্ন ছিল না। প্রশ্ন ছিল একই স্তবকে পরের বাক্য দু’টিতে। “সাধারণত আমরা যাহাকে ‘ধর্ম’ বলি তাহা হইল মানুষের কল্পিত ধর্ম। যুগে যুগে মহাজ্ঞানীগণ এই বিশ্বসংসারের স্রষ্টা ঈশ্বরের প্রতি মানুষের কর্তব্য কি তাহা নির্ধারণ করিবার প্রয়াস পাইয়াছেন। “স্রষ্টার প্রতি মানুষের কি কোন কর্তব্য নাই? নিশ্চয়ই আছে”- এইরূপ চিন্তা করিয়া তাঁহারা ঈশ্বরের প্রতি মানুষের কর্তব্য কি তাহা নির্ধারণ করিয়া দিলেন। অধিকন্তু মানুষের সমাজ ও কর্মজীবনের গতিপথও দেখাইয়া দিলেন সেই মহাজ্ঞানীগণ। এইরূপে হইল কল্পিত ধর্মের আবির্ভাব।” উপরোক্ত স্তবকের জবাবে আজাদ সাহেব নিচের বক্তব্যটি উপস্থাপন করেছেনঃ “আরজ আলী সাহেব উনার পুরো বইটি জুড়ে দর্শন, বিজ্ঞান আর যুক্তিবোধের জয়গান গাইলেও, বইয়ের শুরুতে কোনরকম তথ্য, উপাত্ত, পরীক্ষালব্ধ প্রমাণাদি ছাড়াই দাবি করে বসলেন যে, ধর্মগুলো কথিত ধর্মগুরুদের বানানো। মূল আলোচনায় যাওয়ার পূর্বেই যিনি নিজ বিশ্বাসের ওপর রায় দিয়ে ফলাফল জানিয়ে বসেন, তিনি আমাদের ঠিক কতটুকু সত্যের সন্ধান দিতে পারেন?–––” পাঠ্য প্রতিক্রিয়াঃ প্যারাডক্সিকাল সাজিদ বেশী ভালো লেগেছে। তবে এটাও খারাপ না।। আশা করি নাস্তিকদের মুখ বন্ধ রাখতে এই বইটাও সহায় হবে।

ভালো বই, মনের অনেক অজানা কথা জানা যায়

চমৎকার একটি বই।

বইটি আমার পছন্দের লিষ্টে প্রথম স্থান অর্জন করেছে। আসলেই দূর্দান্ত যুক্তি আর বিজ্ঞান দিয়ে নাস্তিকদের পরাস্ত্র করা হয়েছে। আসলে কুরআন হাদীস চিরসত্য এখানে গবেষণা পর্যালোচনার শেষ নেই, কিন্তু গোরামি ন্যকামি আর অসত্যতার কোনো ঠাই নেই। আরিফ আজাদকে ধন্যবাদ???

Amin

Great Initiative! তবে, আরজ আলী মাতুব্বেরের লেখাকে আমার নাস্তিকতাবাদের উষ্কানি বলে কখনও মনে হয়নি। তিনি কিছু প্রশ্ন করেছেন যেগুলোর সঠিক ব্যাখ্যা তিনি জানতেন না। এরকম অনেক প্রশ্নই অনেকের উপলব্ধিতে উদয় হয়। তাই, আস্তিকতা-নাস্তিকতা বাদ দিয়ে, উত্তর না জানা প্রশ্নের উত্তর খোঁজাটাই সমীচীন বলে মনে হয়।

This book is so nice

অসাধারণ বইটা।

"অল্প বিদ্যা ভয়ংকরী" "আরজ আলী সমীপে" বইটিতে অনেক সুন্দর ভাবে নাস্তিকদের কথার কঠিন জবাব দেওয়া। হয়েছে।

নাস্তিক রা থাকুক অন্ধ বেড়া জালে এবং যে সত্য খুজতে চায় সে আসুক সত্যের অসীম পথে।

ভালোবাসা অভিরাম

আরজ আলী যেভাবে সহজ ভাষায় প্রশ্ন গুলো করে গিয়েছেন লেখক আরিফ আজাদ যদি সেভাবে সহজ ভাষায় উত্তর গুলো দিতেন তাহলে সুন্দর হতো। অনেক জায়গায় প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে লেখক এত বেশি জটিল করে ফেলেছেন যার ফলে পরিষ্কার কোন উত্তর আসে নি। আরজ আলী সাহেব যদি বেঁচে থাকতেন তাহলে প্রচুর পাল্টা ছুঁড়ে দিতেন লেখককে। উত্তরগুলো এমন হওয়া উচিত যেন পাল্টা কোন প্রশ্নের সুযোগ না থাকে। তবে লেখক চেষ্টা করেছেন, তার চেষ্টাকে সাদুবাদ জানায়।

বইটার কনসেপ্ট টা অসাধারণ। কিন্তু শেষের অধ্যায়টা অতিমাত্রায় অবৈজ্ঞানিক।

ভন্ড আরজ আলীর মুখোস উন্মোচন যাজাকাল্লাহু খাইরান আরিফ ভাই

বইয়ের নাম : আরজ আলী সমীপে বইয়ের লেখক : আরিফ আজাদ প্রথম প্রকাশ : ২০১৮ আরজ আলী সমীপে বইটি মূলত এক প্রকার কাউন্টার বুক। বইটিতে যাকে কাউন্টার করা হয়েছে সে হলো বিখ্যাত বাংলার দার্শনিক "আরজ আলী মাতব্বর"। সে ছিলো মূলত একজন নাস্তিক দার্শনিক। তার লেখা বইগুলোতে বিশেষভাবে ইসলামকে ভুল প্রমাণিত করার জন্য মূর্খের মতো নানা অপযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। বর্তমান নাস্তিকদের অনেকেই বর্তমানেও একই ধরনের কিছু যুক্তি ব্যবহার করে। আরজ আলীর বইটিয়ে ইসলামের পাশাপাশি হিন্দুধর্ম নিয়েও নানা মন্তব্য করা হয়েছে। নাস্তিকদের কাছে আরজ আলী মাতব্বর একজন সম্মানীয় ব্যাক্তি। "প্যারাডক্সিকাল সাজিদ" বিখ্যাত সিরিজের লেখক আরিফ আজাদ তার "আরজ আলী সমীপে" বইটিতে আরজ আলী মাতব্বরের লেখা নানা অপযুক্তির দাতভাঙ্গা জবাব দিয়েছেন। বইটির রিভিউ প্যারাডক্সিকাল সাজিদ এর মতোই অসাধারণ। আপনারা যারা পড়ে দেখেননি তারা বইটি পড়তে পারেন। আশা করি সবার ভালো লাগবে। ধন্যবাদ।

আমার দেখা আরজ আলী মাতব্বের যেই শিশুসুলভ প্রশ্ন , আর যৌক্তিকতা সেটি আমাকে দীর্ঘক্ষন হাসিয়েছে।তার এই শিশুসুলভ প্রশ্নের পাল্টা জবাবটা বেশ চমৎকার হয়েছে।তার মধ্য দিয়ে বিবর্তনবাধীরা যেমন করে মানুষকে বোকা বানিয়েছিলো, কিন্তু কে জানতো,তাদের ভুয়া তথ্য গুলোকে উড়িয়ে দিবে।আমার মনে হয় আরজ আলী মাতব্বরকে ইসলাম সম্পর্কে ভালো ভাবে ধারণা নেওয়া উচিত ছিল??

অত্যন্ত সুন্দর একটি বই। ভালো লাগার মত। প্রত্যেকের পড়া উচিত। বরিশালে জন্ম নেওয়া আরজ আলী মাতুব্বরকে অনেকে দার্শনিক,গবেষক,স্বশিক্ষিত হিসেবে অভিহিত করে থাকে কিন্তু তিনি এতটাই গবেষণা করেছেন যে তিনি যে কখন নাস্তিক হয়ে গেছে তা হয়তো তিনি নিজে বুঝতে পারলেও অন্যরা যাতে বুঝতে না পারে সেই কাজটি করে গিয়েছেন কিছু ভালো কাজের মাধ্যমে আর কিছু আবাল লোক আছে তার বিতর্কিত মন্তব্যগুলো বিশ্লেষণ না করেই তাকে নিয়ে মাতামাতি শুরু করে।তিনি যে কত বড় নাস্তিক ছিলেন তা তার লেখা ও মন্তব্যগুলোতেও ফুটে উঠেছে এক্ষেত্রে তার মূর্খতার পরিচয়টি সুস্পষ্ট আর নিজেকে স্বশিক্ষিত দাবি করলেও তার কোনো প্রয়োগ তার লেখায় ফুটে উঠেনি যা মূলত বইটিতে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করে তার বিতর্কিত কর্মকান্ডগুলোর সঠিক জবাব দেওয়া হয়েছ।

আধুনিক মানুষ সম্ববত সবচেয়ে কম আগ্রহী তার ধর্ম সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান নিতে আর সে সুযোগে কিছু তথাকথিত লেখক বা মিডিয়া কর্মী যাই বলি ধর্ম বিশেষ করে ইসলামকে তারা ভিন্ন একটি রুপ দিতে চেয়েছে। আর এই টোপ আমরা ভাল করেই গিলেছি। যখন যুক্তি আর বিজ্ঞানের দোহাই দিয়ে বলা তখন সে টোপ না গিলে কোথায় যাই। কিন্তু কিছু অসাধারণ লেখক বা ব্যাক্তি আমাদের সে ছলচাতুরী গুলো চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়, যেমনটি লেখক আরিফ আজাদ আমাদের দেখিয়ে দিয়েছে যে আরজ আলী ধর্মের ব্যাপারে বিশেষ করে ইসলামের ব্যাপারে কতটা জ্ঞানহীন ছিল। তার পরেও অনেক মানুষ আরজ আলীর লেখার টোপ গিলেছে। আর এই টোপ কি করতে পারে আজকের জুগে তার ব্যাখ্যার দরকার আছে কি? যাইহোক "আরজ আলী সমীপে" অসাধারন একটি বই বিশেষ করে তাদের জন্য যারা ইসলাম সম্পর্কে ভুল জানে। সবাইকে পড়তে স্বাগত জানাই।

বিশ্বাসের কথাগুলো কতটুকু যৌক্তিকতার সাথে সহজ বাক্যে উপস্থাপন করা যেতে পারে, তার বাস্তব প্রমাণ মেলে 'আরিফ আজাদ' ভাইয়ের 'আরজ আলী সমীপে' বইটাতে। অবিশ্বাসের ধূলিকণাগুলোকে বিশ্বাসের বৃষ্টিধারায় সিক্ত করে নির্মল করার মাধ্যমে যে মুন্সিয়ানার পরিচয় তিনি দিয়েছে, তা সত্যিকার অর্থেই প্রশংসনী। আশা রাখি, অদূর ভবিষ্যতেও তিনি বিশ্বাসের পথটাকে কণ্টকময় রাখতে প্রয়াস চালিয়ে যাবেন, ইনশাআল্লা।

তরুণ লেখক আরিফ আজাদের অসাধারণ একটি বই "আরজ আলী সমীপে"। আরিফ আজাদ মাত্র কয়েকটা বই লিখেই বাংলাদেশের তরুণ মনে জায়গা করে নিয়েছেন। তার প্রত্যেকটা বই বেস্ট সেলার। এটাও তার বিপরীত নয়। সূক্ষ বিচার বিশ্লেষণ দ্বারা মানুষকে ইসলামের প্রতি আকৃষ্ট করার আহবান ফুটে ওঠে তার লেখায়। " আরজ আলী সমীপে" আমার পড়া সেরা বইগুলোর মধ্যে অন্যতম।

বইঃআরজ আলী সমীপে মূল্যঃ২৫০(রকমারি মূল্যঃ২১০) আরজ আলী! উপমহাদেশের বিখ্যাত নাস্তিক ছিলেন। তার লেখা বইগুলো কানায় কানায় পূর্ণ থাকত ধর্ম,ঈশ্বর আর পরকাল সম্পর্কিত অবিশ্বাসের কথা। তার যুক্তিগুলো সাধারণভাবে দেখলে আসলেই সত্যি মনে হয়,এজন্য অনেক তরুণ সঠিক রাস্তা না পেয়ে বিপথগামী হয়েছেন। আলহামদুলিল্লাহ...আরিফ ভাই সব যুক্তু ভেঙে চুরমার করে ইসলামের সত্যতা প্রকাশ করেছে এ বইয়ে।সকল মুসলমান,বিশেষ করে তরুণদের এ বই অবশ্যই পড়া উচিত।

আরিফ আজাদ সাহেবের প্রথম বইটি পড়ে উনার বাকি বইগুলো কিনে পড়া শুরু করি; কিন্তু আরজ আলী সমীপে বইটি পড়ে আমি কিছুটা হতাশ হয়েছি। তার কারণ জনাব আরজ আলী যে সময়ে এবং যে পরিস্থিতি উনার বইগুলো লিখেছিলেন আর আরিফ সাহেব যে সময়ে বসে উনার বইয়ের প্রশ্নগুলোর উত্তর দিয়েছেন সেখানে বিশাল ব্যবধান রয়েছে। ব্যক্তি জীবনে আরজ আলী সাহেব ধর্মপরায়ন ব্যক্তি ছিলেন। উনাকে হয়ত ঐ সময়ে ভুল ভাবে পরিচালিত করা হয়েছিল। সঠিক মানুষের সন্ধানও হয়ত উনি পাননি। তাই হয়ত ... । বর্তমান আরজ আলী সাহেবের পাঠকের সংখ্যাও খুব একটা বেশি নয়। আরিফ সাহেব এই বইয়ের মাধ্যমে পক্ষান্তরে আরজ আলী সাহেবের বইয়ের বিক্রি এবং পাঠক হয়ত বাড়িয়ে দিবেন।

বই - আরজ আলী সমীপে লেখক - আরিফ আজাদ প্রকাশনী - সমকালীন প্রকাশন পৃষ্ঠা সংখ্যা - ১৪৯ মুদ্রিত মূল্য - ২৫০৳ বাংলাদেশের নাস্তিকতা-জগতে একটি পরম শ্রদ্ধেয়, উচ্চারিত এবং বহুলপ্রচারিত নাম আরজ আলী মাতুব্বর।জন্মেছেন বরিশালে। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা না থাকলেও নিজে নিজে স্বশিক্ষিত হয়েছেন বলে জানা যায়। ধর্মের প্রতি একধরনের বিতৃষ্ণা থেকে উনি কলম ধরেছিলেন ধর্মের বিরুদ্ধে। এই বিতৃষ্ণা থেকে উনি ধর্ম নিয়ে বেশ কিছু আপত্তি, প্রশ্ন এবং সন্দেহ উত্থাপন করেছিলেন, যেগুলো নাস্তিকসমাজেও বহুল ভাবে ব্যবহৃত হয়; উনি প্রশ্ন করেছেন ধর্ম নিয়ে, ঈশ্বর নিয়ে, আত্মা, পরকাল, প্রকৃতি নিয়ে। ধর্মের সাথে দর্শন আর বিজ্ঞানের অসামঞ্জস্য নিয়েও করেছেন বিস্তর আলোচনা। বাংলা নাস্তিকসমাজের পুরোধা এই লোকের লিখিত বইয়ের জবাব হিসেবে কোনো বই বাংলা ভাষায় ইতিপূর্বে লিখিত হয়নি। "আরজ আলী সমীপে" বইটিতে লেখক আরিফ আজাদ আরজ আলী মাতুব্বরের প্রশ্নগুলোর জবাব তো দিয়েছেনই, সাথে ছুড়ে দিয়েছেন পাল্টা প্রশ্নও। আরজ আলীর বইতে দেখা যায়, তিনি এমন সব বিষয়কে ইসলামের সাথে 'ইসলাম' বলে জুড়ে দিয়েছেন, যা আদতে ইসলাম নয়, বিকৃত কিছু ধর্মচর্চাকে তিনি ইসলাম বলে চালিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেছেন। এটা এজন্যই যে, ইসলাম সম্পর্কে তার জ্ঞান ছিলো অতি সামান্য। তিনি ইসলাম সম্পর্কে যাই জেনেছেন মোটামুটি সবই লোকমুখে শোনা কুসংস্কারাচ্ছন্ন বিষয়, তার দাবির পক্ষে তিনি কোনো রেফারেন্সও তুলে ধরেননি। আর সেগুলোকেই তিনি ইসলাম বলে চালিয়ে দিয়ে ইসলামকে আক্রমণের চেষ্টা করেছেন। অথচ যে কোনো বিষয়ের সমালোচনা করার জন্যও যে আগে সে বিষয়ে ভালোভাবে জানা প্রয়োজন, সেই কমন সেন্সের পরিচয়টুকুও আরজ আলী দেন নি। আসলে তিনি কোনটা ধর্ম আর কোনটা কুসংস্কার, চিনতে না পেরে সব একাকার করে ফেলেছেন। তার প্রশ্নগুলো আমার কাছে মনে হয়েছে নিতান্তই অসাড়, শিশুসুলভ আর বিকৃতমস্তিষ্ক প্রসূত; জুগিয়েছে হাসির খোরাক। আবার যে বিজ্ঞানকে ঈশ্বর জ্ঞান করে তিনি ইসলামকে আক্রমণ করতে নেমেছেন, সেই বিজ্ঞান বিষয়েও তার জ্ঞান অতি নিম্ন পর্যায়ের। তার প্রশ্ন পড়ে আপনাআপনি মনে প্রশ্ন চলে আসে, "এই লোককে কিভাবে স্বশিক্ষিত বলা হয়? এত অসাড় যুক্তি নিয়ে সে নাস্তিকদের গুরুই হয় কিভাবে? এত নিম্নপর্যায়ের জ্ঞান নিয়ে কোনো পাগলেও কি ইসলামকে আক্রমণ করতে আসে?" এই বইয়ের 'বিবিধ' অংশটা লেখক আরিফ আজাদ অতি যত্নসহকারে লিখেছেন। বিবর্তনবাদ নিয়ে যে কেউ পড়াশুনা করতে গেলে এই অধ্যায়টা তার জন্য বেশ কাজে দেবে। কত ভুলভাল জল্পনা-কল্পনা আর জগাখিচুরির মিশেলে যে বিজ্ঞানীরা বিবর্তনবাদকে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করেছেন, আর করে যাচ্ছেন; আর কত অসৎ উপায় যে অবলম্বন করে চলেছেন - ব্যাপারগুলো সত্যি শিউরে ওঠার মতো। লেখক আরিফ আজাদ আসলে অতি ভদ্র ভাষায় ধবলধোলাই করেছেন আরজ আলীকে। নাস্তিকতার বিপক্ষে, আস্তিকতার পক্ষে বইটি একটি শক্তিশালী দলিল হিসেবেই কাজ করবে।

Masha Allah

অসাধারণ লেগেছে।

আরিফ আজাদ সমীপেঃ আরিফ আজাদ সাহেব বাংলাদেশের একজন বেস্টসেলার লেখক। সম্প্রতি উনার আরজ আলি সমীপে বইয়ের শেষের অধ্যায়টি পড়েছি, “বিবর্তন” নিয়ে লেখা অংশটুকু। তিনি যেরকম আক্রমনাত্মক ভঙ্গিমায় লিখেছেন, তাতে আমি বিস্মিত, শিহরিত। ফ্লাট আর্থ সোসাইটির লোকেরা যেভাবে নাসার বিরুদ্ধে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র তত্ত্ব প্রচার করে, উনার লেখাগুলোও ঠিক সেরকম, বিবর্তনের বিরুদ্ধে। কিন্তু দুঃখের বিষয়, কোন যাচাই বাছাই ছাড়াই মানুষজন সেগুলো গ্রহণও করে। এজন্যই কিছু লেখার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছি। সময় কম, তাই সবচেয়ে দৃষ্টিকটু অংশগুলো নিয়েই লিখছি। তিনি লিখেছেন, “আধুনিক বিজ্ঞানের সবচেয়ে বড় ধোঁকা এবং প্রতারণার নাম বিবর্তনবাদ” এ প্রশ্নের উত্তরে আমি যে বিষয়ে কাজ শুরু করেছি সেটা বলি। Caenorhabditis elegans নামের নেমাটোডা পর্বের একটি ক্রিমির উপরে আমার কাজ। একই পরিবেশ, তাপমাত্রা ও খাদ্যের প্রভাবে c. elegans এর locomotion অর্থাৎ চলাফেরা কিভাবে বিবর্তিত হয় এটা দেখার জন্য ২৪০ টি প্রজন্ম পর্যন্ত প্রজনন করা হয়েছে। প্রতি প্রজন্মে দশ হাজার করে ক্রিমি উৎপাদন করা হয়েছে। এরমধ্যে মেইন পপুলেশন হিসেবে নেয়া হয়েছে এক হাজার। এভাবে ৭ বছরে ২৪০ টা প্রজন্ম। আর এই ওয়ার্মগুলো কিভাবে তুলে জানেন? রীতিমত একটা একটা করে তুলতে হয়, অনেক শ্রমসাধ্য কাজ। ভিডিও দিলাম, দেখে নিতে পারেন। আর আপনি বলেন এগুলো প্রতারণা? প্রতারণার জন্য মানুষ এত শ্রম দেয়? এত কষ্ট করে? https://www.youtube.com/watch?v=Zw1u5TmeHvU আপনি বলেছেন, “বিবর্তনের পক্ষে কোন প্রত্যক্ষ প্রমাণ নেই।“ অথচ এর প্রমাণ এত বেশি যে লিখতে চাইলে আস্ত একটা বই লেখা যাবে। নীচের লিংকে পড়ে নিন, কত প্রমাণ চান। http://www.talkorigins.org/faqs/comdesc/ এরপর আপনি বলেছেন “পশ্চিমা বিশ্বে পদোন্নতি পেতে হলে, প্রাতিষ্ঠানিক সম্মান পেতে হলে চোখ বন্ধ করে বিবর্তন বিশ্বাস করতে হয়। একজন বিজ্ঞানী বিবর্তনবাদ নিয়ে সন্দেহ পোষণ করলেও সেটা প্রকাশ করতে পারেন না তার সম্মান, মর্যাদা, ইত্যাদি হারানোর ভয়ে।“ সিরিয়াসলি ভাই? একথা শুনলে নারায়ণের কর্তৃপক্ষও লজ্জা পাবে। যেদেশে ফ্লাট আর্থ সোসাইটির মহাসম্মেলন হয় সেদেশে ভয়ে বিবর্তন বিশ্বাস করবে? সদ্য সাবেক হওয়া প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে আপনার কি মনে হয়? ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স ইন্টারভিউয়েই স্বীকার করেছেন যে বিশ্বাস করেন না। আপনি এই আজগুবি তথ্য কোথায় পেয়েছেন ভাই? আপনি এর স্বপক্ষে “অনুজীব বিজ্ঞানী” জোনাথন ওয়েলসের উক্তি দিলেন। উনি বলেছেন, বিবর্তনের বিপক্ষের প্রমাণগুলো অদৃশ্য করে ফেলা হয়, ধামাচাপা দেয়া হয়। তো আমি এই অণুজীব বিজ্ঞানীর প্রোফাইল ঘাটাঘাটি করে দেখলাম। উনার মাস্টার্স এবং পিএইচডি ছিলো রিলিজিয়াস স্টাডিসে। তিনি অনেক আগে থেকেই এন্টি ইভুল্যুশনিস্ট। এরপর ১৯৯৪ সালে তিনি মাইক্রোবায়োলজিতে সেকেন্ড পিএইচডি নিয়েছেন, উনার পাবলিকেশন তিনটি, মাত্র একটিতে ফার্স্ট অথর। অর্থাৎ ডিগ্রি নিতে যতটুকু কাজ করতে হয় ততটুকু। অথচ এই ডিগ্রি নিয়ে এরপর তিনি যোগ দিয়েছেন ডিসকভারি ইন্সটিটিউটে, যারা ক্রমাগত বিবর্তনের বিরুদ্ধে বিষেদাগার করে। এরপর গবেষণার সাথে নূন্যতম সম্পর্ক নেই, কোথাও কোন কাজের খবর নেই, অথচ তিনি নাম প্রকাশ করছেন অণুজীব বিজ্ঞানী হিসেবে। অথচ মজার ব্যাপার কি জানেন? উনার প্রথম পিএইচডির ডিসারটেশন টপিক দেখেন, “Wells, John Corrigan. 1986. CHARLES HODGE'S CRITIQUE OF DARWINISM: THE ARGUMENT TO DESIGN (EVOLUTION, THEOLOGY). Ph.D. Dissertation, Yale University, 265 pages.” ডিসারটেশন পেপারের কিছু অংশ পড়ে দেখেছি। পরতে পরতে ঘৃণা, ঠিক আপনি যেমন প্রকাশ করেছেন সেরকম। পেপারমথের উদাহরণটি প্রমাণ করে আপনি বিবর্তনের কিছুই বোঝেননি। “প্রকৃতির সাথে খাপ খাইয়ে পরিবর্তিত হওয়া” এটি ল্যামারকের হায়পোথেসিস। বিবর্তনের মেইন বেসিস হচ্ছে রিপ্রোডাকশন। সাম্প্রতিক করোনাভাইরাস নিয়ে উদাহরণ দিই। ধরেন, করোনাভাইরাসের আক্রমণে দুর্বল সব মানুষ মারা গেলো। এরপর যারা সুস্থ হলো, তাঁদের পরবর্তী প্রজন্মে কিছুই হবে না। কারণ তাঁদের ইমিউন সিস্টেম বিবর্তিত হয়েছে। এভাবে অতীতের অনেক ভয়াবহ রোগ পরিণত হয়েছে আজকের সাধারণ সর্দিকাশিতে। এটা বিবর্তনের প্রত্যক্ষ উদাহরণ। এরপর বললেন, কোন মিউটেশন উপকারী নয়। সিরিয়াসলি ভাই? আপনি এন্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স এর কথা শোনেননি? প্যাথোজেনরা কিভাবে শক্তিশালী হয় জানেন না? ইদানীং মশার কয়েলে মশা মরে না, এটা দেখেন না? কো-এভুলিউশনের চমৎকার উদাহরণ হতে পারে হিউম্যান-প্যাথোজেন রিলেশনশীপ। একদিকে মানুষের যেমন সাধারণ রোগ-প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়ছে, অন্যদিকে ভাইরাস মিউটেটেড হয়ে ফেরত আসছে। করোনাভাইরাস কিন্তু অনেক আগে থেকেই ছিলো। কভিড-১৯ একটি নতুন স্ট্রেইন। “কোন মিউটেশনই উপকারী নয়” এই কথার রেফারেন্স দিয়েছেন B.G Ranganathan এর। উনার শিক্ষাগত যোগ্যতা? তিনি ব্যাচেলর্স ডিগ্রি নিয়েছেন বাইবেল স্ট্যাডিজের উপরে এবং মাইনর ছিলো বায়োলজি, ব্যাস। মাস্টার্স ডিগ্রি পর্যন্ত নেই। অথচ উনি মন্তব্য করেছেন ইভুল্যুশনারি বায়োলজির কোর একটি টপিক নিয়ে, মিউটেশন, অতি চমৎকার! আপনি বলেছেন, “দীর্ঘ সময় ধরে বিবর্তনবাদীরা মাছির উপরে মিউটেশনের কাজ চালিয়ে মাছির একটি নতুন প্রজাতি তো দূরের কথা, একটা নতুন এনজাইমও এখন পর্যন্ত তৈরি করে দেখাতে পারেনি।“ বিশ্বাস করেন আরিফ আজাদ ভাই, একথা যদি আমার ডিপার্টমেন্টের প্রথম বর্ষের কোন ছাত্রও শুনে তাহলে হাসতে হাসতে গড়াগড়ি খাবে। প্রমাণ দেয়ার আগে প্রজাতির বায়োলজিক্যাল সংজ্ঞাটা বলে নিই, “A biological species is a group of organisms that can reproduce with one another in nature and produce fertile and viable offspring.” লক্ষ্য করুন, এখানে দুটো জিনিস খুব গুরুত্বপূর্ণ, প্রজননে সক্ষম এবং সুস্থ স্বাভাবিক সন্তান জন্মদান করতে পারতে হবে। এজন্য দৈহিক গঠনে অনেক পার্থক্য থাকার পরও গ্রেইট ডেন এবং পুডলস কুকুরকে আমরা একই প্রজাতি বলি, অথচ সিংহ এবং বাঘকে একই প্রজাতি বলিনা । কারণ? বাঘ-সিংহের মিলনে লাইগার জন্ম নিলেও সে প্রজননে সক্ষম হয় না। এখন ফিরে আসি মাছির ক্ষেত্রে। গবেষণায় সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়, drosophila melanogaster। কৃত্রিম নির্বাচনের মাধ্যমে ল্যাবে এই মাছি থেকে উৎপন্ন করা হয়েছে drosophila synthetica. তো দেখা গেছে melanogaster এবং synthetica এর interbreeding এ viable offspring তৈরি হয় না, বাচ্চা প্রাপ্তবয়স্ক হয় না। এ বিষয়ে নীচের আর্টিকেলটি পড়ে নিতে পারেন। https://journals.plos.org/plosone/article?id=10.1371/journal.pone.0039054 আর বললেন, কিছুই পরিবর্তন করতে পারে নি? আপনার কথা সত্য হলে আধুনিক জীববিজ্ঞানের বিশাল একটা ফিল্ড, “জিনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং” মূল্যহীন হয়ে যায়। জিনেটিক মার্কারের নাম শুনেছেন সম্ভবত। আমরা drosophila melanogaster বা c. elegans এর পুরো জিনোম সিকুয়েন্স জানি। তো আপনি গবেষণার সময় কোনটা কোন মাছি চিনবেন কিভাবে? এজন্য জিন একটু পরিবর্তন করে চোখ লাল করে দেয়া হয়, কখনো পাখা ট্রান্সপারেন্ট করে দেয়া হয়। c. elegans এর রঙ ফ্লোরিসেন্ট করে দেয়া হয় যেন জ্বলজ্বল করে। আপনি যদি মনে করেন সব ষড়যন্ত্র, আমাদের ল্যাবে আপনাকে আমন্ত্রণ, কফি খেতে খেতে সব ঘুরে দেখাবো। এখানে আপনি Michel Pitman রেফারেন্স দিয়েছেন। আবার ঘাটাঘাটি করে দেখলাম তিনি ক্যামব্রিজের একজন স্কুলশিক্ষক, যিনি ক্লাসে বায়োলজি পড়ান। প্রত্যাশিতই ছিলো। মাইকেল পিটম্যানকেও আমার পক্ষ থেকে আমন্ত্রণ জানাবেন মিউটেশন কিভাবে ঘটে সেটা নিজ চর্মচক্ষে দেখার জন্য। এরপর আসি আপনার ফসিল গবেষণায়। আপনার লেখা অনেকটা এরকম যে বিজ্ঞানীরা অনেক কষ্টে একটা করে ফসিল নিয়ে আসে এবং সাধারণ পাবলিকের কাছে ধরা খায়। আপনার উল্লেখিত ফসিলের ঘটনা ব্যাখ্যা করেই শুরু করি। পিল্টডাউন ম্যানঃ ১৯১২ সালে চার্লস ডওসন নামক একজন প্রত্নতত্ত্ববিদ জালিয়াতির মাধ্যমে পিল্টডাউন ম্যান তৈরি করেন। এই জালিয়াতির কারণ কি? নিজেকে বিখ্যাত করে তোলা। যদিও শুরু থেকেই গবেষকরা এটি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। ১৯১৩ সালেই লন্ডনের কিংস কলেজের অধ্যাপক David Waterston ন্যাচার জার্নালে তার সন্দেহ প্রকাশ করেন। ১৯১৫ সালে ফ্রেঞ্চ প্রত্নতত্ত্ববিদ Marcellin Boule একই কথা বলেন। এরপর আমেরিকান প্রাণীবিজ্ঞানী Gerrit Smith Miller ও সহমত প্রকাশ করেন। ১৯২৩ সালে জার্মান গবেষক Franz Weidenreich ফসিল পরীক্ষা করে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হন যে এটি আধুনিক মানুষের ক্রেনিয়াম ও ওরাংওটাং এর চোয়ালের সমন্বয়ে বানানো। অবশেষে ১৯৫৩ সালের নভেম্বর মাসে Kenneth Page Oakley, Sir Wilfrid Edward Le Gros Clark and Joseph Weiner অফিশিয়ালি প্রমাণ করেন যে এই পিল্টডাউন ম্যান সাজানো। এইযে এতগুলো মানুষ, সবাই কিন্তু বিবর্তন গবেষক, সবারই অসামান্য অবদান আছে বিবর্তন গবেষণায়। তাহলে কেন তাঁরা পিল্টডাউন ম্যানের জালিয়াতি ফাঁস করলেন? সূত্রঃ http://www.talkorigins.org/faqs/piltdown.html নেব্রাস্কা ম্যানঃ এই নেব্রাস্কা ম্যান ছিলো Dr. Henry Osborn এবং Dr. William D. Matthew এর অনিচ্ছাকৃত ভুল। কিন্তু মজার ব্যাপার হচ্ছে এই নেব্রাস্কা ম্যান গবেষকদের কাছে কখনোই পুরোপুরি গ্রহণযোগ্য ছিলো না, যতটা বিবর্তন বিরোধীরা এটা নিয়ে মাতামাতি করেন। সূত্রঃ http://www.talkorigins.org/faqs/homs/wolfmellett.html ও ভালো কথা আপনি যে William Bryan এর গবেষনার কথা বললেন, উনি মোটেও কোন গবেষক ছিলেন না। উনি ছিলেন একজন রাজনীতিবিদ ও ধর্মপ্রচারক, যিনি বিবর্তনবিরোধী আন্দোলনের জন্য বিখ্যাত। ১৯২৫ সালে স্কুলে বিবর্তন পড়ানো বন্ধের জন্য করা কুখ্যাত Scopes Trial এ তিনি প্রত্যক্ষ সমর্থন প্রদান করেন। উনার জীবনী উইকিপিডিয়াতেই পাবেন। ওটা বেংগাঃ “বিবর্তনবাদীরা ওটা বেংগাকে শেকল দিয়ে ধরে নিয়ে আসে” এটা একটা ডাহা মিথ্যা কথা। ওটা বেংগাকে কে নিয়ে আসে জানেন? Samuel Phillips Verner নামের একজন খ্রীস্টান মিশনারি। চিড়িয়াখানায় পয়সা কামানোর আশায় তাঁকে অন্যান্য প্রাণীর সাথে প্রদর্শন করা হয় যার সাথে বিবর্তন গবেষকদের দূরবর্তী সম্পর্ক পর্যন্ত ছিলো না। অথচ মজার ব্যাপার, খ্রীস্টান ধর্মযাজকরাই তখন ডারউইনের পেছনে উঠে পড়ে লাগেন। জেমস গরডন নামক একজন পাদ্রী বলেন, “The Darwinian theory is absolutely opposed to Christianity, and a public demonstration in its favor should not be permitted.” অথচ আজ পর্যন্ত কোন বিজ্ঞানী বা গবেষক বলেননি যে আমাদের homo গণের অন্য কোন প্রজাতি গত চল্লিশ হাজার বছরে জীবিত ছিলো। সেখানে বিবর্তন সম্পর্কে ভালো জ্ঞান রাখেন এমন কেউ ওটা বেংগাকে মানুষ ও উল্লুকের মধ্যবর্তী বলবেন সেটা অবিশ্বাস্য। এর মধ্যে আপনি আরেকটি তথ্য গোঁজামিল দিয়েছেন। ওটা বেংগাকে ওই চিড়িয়াখানা থেকে উদ্ধার করেন গরডনই। তাঁকে ইংরেজি শেখানো হয়, তার জন্য ফান্ড তোলা হয়, কিন্তু প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর তার দেশে ফেরার সম্ভাবনা শেষ হয়ে যায়। প্রবল ডিপ্রেশনে পড়ে সে আত্মহত্যা করে ১৯১৬ সালে, চিড়িয়াখানায় প্রদর্শনের বারো বছর পর। ওটা বেংগাকে চিড়িয়াখানায় প্রদর্শন নিঃসন্দেহে ঘৃণ্য একটি কাজ। কিন্তু আপনি এজন্য বিবর্তন বিজ্ঞানীদের দোষ দিচ্ছেন, যা রীতিমত হাস্যকর। এরপর আপনি নিয়ে আসলেন আরও দুটি ফসিল, এবং এর মাধ্যমে আপনি প্রমাণ করলেন যে বিবর্তন মিথ্যা। এইযে নীচের লিস্টসহ ছয় হাজারের বেশি ফসিল সম্পর্কে আপনি কি বলবেন? হ্যাঁ হয়তো, শ্রেণীবিন্যাসে ভুল হতে পারে, পরীক্ষানিরীক্ষায় পরিবর্তন আসতে পারে, কিন্তু তার মানে এই না যে সবগুলো মিথ্যা, জোচ্চুরি! আর এই ভুলগুলো কোন ধর্মযাজক কিন্তু বের করেননি, বের করেছেন জীববিজ্ঞানীরাই! রোগ নির্ণয়ের সময় কি ভুল হয় না? তাহলে চিকিৎসাবিজ্ঞান মানেই ভুয়া? Java Man (Homo erectus) (1891) Heidelberg Man (Homo heidelbergensis) (1907) Peking Man (Homo erectus) (1921) Rhodesian Man (Homo rhodesiensis) (1921) Taung Child 1 (Australopithecus africanus) (1924) Galilee Man (Homo heidelbergensis) (1925) Mojokerto child (Homo erectus) (1936) Mrs. Ples (Australopithecus africanus) (1947) Saldanha man (Homo rhodesiensis) (1953) nutcracker man (Paranthropus boisei) (1959) Chellean Man (Homo erectus) (1960) Tautavel Man (Homo erectus) (1971) AL 288-1 (Lucy) (Australopithecus afarensis) (1974) Dali Man (Homo erectus or Homo heidelbergensis or early Homo sapiens) (1978) Turkana Boy (Homo ergaster) (1984) Wushan Man (Homo erectus) (1985) Altamura Man (Homo neanderthalensis) (1993) Scladina (Homo neanderthalensis) (1993) Ardi ( Ardipithecus ramidus ) (1994) Eurydice (Paranthropus robustus)(1994) Boxgrove Man (Homo heidelbergensis) (1994) Ceprano Man (Homo cepranensis /Homo heidelbergensis)(1994) Daka (Homo erectus) (1997) Madam Buya (Homo heidelbergensis or Homo erectus) (1997) Obi-Rakhmat (Homo neanderthalensis) (2003) Hobbit (Homo floresiensis) (2003) এখানে গুটিকয়েক লিস্ট দিয়েছি। নামকরণ হয়েছে ৬০০০ এর কিছু বেশি, গবেষণাগারে আছে এর চেয়েও কয়েকগুণ বেশী। মহাকাশ গবেষণা শুনলেই যেমন আমাদের মাথায় আসে NASA, তেমনি বিবর্তন গবেষণায় আসে Smithsonian institute. লিংক দিলাম, লিংকে ঘুরে দেখে আসুন এ পর্যন্ত কি কি ফসিল আবিষ্কৃত হয়েছে, কতটুকু আমরা জানতে পেরেছি, কতটুকু আমরা জানি না, এখনো ওপেন রিসার্চ কোশ্চেন কি কি, সব দেখতে পারবেন। So, Please!! Educate yourself!! সুত্রঃ https://humanorigins.si.edu/evid.../human-fossils/fossils... এরপর আপনি Solly Zuckerman এর গবেষণার কথা বলেছেন। প্রথমত, অস্ট্রালোপিথেসাইনরা কখনোই দু’পায়ে হাঁটতো না, এই তথ্যটি ভুল। আপনার দেয়া, বইটি লিবজেন ও সাই হাবে খুঁজলাম, কিন্তু কোথাও খুঁজে পেলাম না। এক জায়গায় শুরুর কয়েকটি পৃষ্ঠা পড়ে মনে হয়েছে এটি মূলত পলেটিক্যাল সায়েন্সের বই। বইয়ের পুরো নাম, “Beyond the ivory tower: the frontiers of public and private science” যেহেতু আমি বইটি পড়তে পারিনি, তাই এটা নিয়ে মন্তব্য করবো না। কিন্তু কোথায় পনেরো বছরের গবেষণার ব্যাপারে পড়তে পারবো কাইন্ডলি বলবেন আমাকে? কিংবা বইটিতে যেখানে গবেষণার কথা লেখা আছে সেই পৃষ্ঠার ছবি? তবে আমি এটুকু জানি, Solly Zuckerman এর ক্লেইমটা ১৯৭০ সালেই ভুল প্রমাণিত হয়েছিলো, সেটা লুসিকে (australopithecus afarensis) খুঁজে পাওয়ার আগেই। এরপরে আসি, Charles E. Oxnard এর বিষয়ে। আপনি কি Oxnard এর ১৯৭৫ সালের পেপার নিজে পড়েছেন? উনি কোথায় অকপটে বলেছেন যে দুই পায়ে হাঁটতো না? আমি এক্সাকটলি উনার কোটেশনটি দিচ্ছি, “while probably bipedal, australopithecines did not walk identically to modern humans” উনি অন্য কোথায় অন্য কথা বলে থাকতে পারেন, সেটি জানি না। তবে উনার মেইন আর্গুমেন্ট ছিলো, অস্ট্রালোপিথেকাসের সাথে মানুষের চেয়ে এইপের সাদৃশ্য বেশি, যেটার বিপক্ষে বেশিরভাগ বিজ্ঞানীরাই অবস্থান নিয়েছেন। কেননা, Oxnard এর গবেষণা মূলত ছিলো মাল্টিভ্যারিয়েট এনালাইসিস ও সিমুলেশন নির্ভর, যেখানে অনেক কমপ্লেক্স ফ্যাকটরকে তিনি ইগ্নোর করেছেন। এখন আমি আসি আপনার “১৯৯৪ সালে Holly Smith এর নিখুঁত গবেষণা” নিয়ে। আমি শিউর এই পেপারটিও আপনি নিজে পড়ে দেখেননি। এইযে আমি সংযুক্ত করলাম সাইহাবের লিংক, পুরো পেপারটি এখানে পড়তে পারবেন। https://sci-hub.do/10.1002/ajpa.1330940303 উনি এক প্রান্তে হোমো সেপিয়েন্স রেখে অপরপ্রান্তে আফ্রিকান এইপসদের রেখে দেখিয়েছেন যে, আধুনিক মানুষের সাথে সাদৃশ্য বেশি erectus এবং neanderthal দের। অপরদিকে habilis এবং Australopithecus afarensis এর সাদৃশ্য বেশি এইপদের দিকে। কিন্তু পুরো পেপারের কোথাও তিনি বলেননি, homo habilis হোমোই না। আমি রীতিমত ভিমড়ি খেয়েছি হোমো ইরেকটাসের কনফারেন্সের আষাঢ়ে গল্পে। নিজে যখন লিখেছিলেন তখনো এই কথা বিশ্বাস করেছিলেন ভাই? ১৮৯১ সালে Pithecanthropus erectus আবিষ্কার হওয়ার পর ১৯৯১ সালে এই আবিষ্কারে একশো বছর পূর্তি উপলক্ষে হোমো ইরেক্টাসের রিসার্চ নিয়ে Senckenberg international conference হয়। আর আপনি বলেছেন হোমো ইরেকটাস আছে কি নাই এ নিয়ে বিতর্ক হয়? বিজ্ঞান কি বিতর্কের জায়গা? যে সম্মেলনে বিতর্ক করে সিদ্ধান্ত নিবে যে হোমো ইরেক্টাস বলে কিছু ছিলো না? মানে ভোটের মাধ্যমে বিল পাশ হবে যে হোমো ইরেকটাস আছে কি নেই? সিরিয়াসলি? এইযে ধরেন আপনার Senckenberg এর আদি ও আসল ওয়েবসাইট। বের করে দেখান কোথায় লেখা আছে যে “বিশ লক্ষ বছরে একমাত্র হোমো সেপিয়েন্সই অন্তর্ভুক্ত?” https://www.senckenberg.de/.../palaeoanthropology-v.../ আপনি লিখেছেন, “বিবর্তনবাদী দৃশ্যপটের প্রত্যেক পরতে পরতে লুকিয়ে আছে ধাপ্পাবাজি আর জালিয়াতির গল্প” কিন্তু দুঃখের বিষয় কি জানেন ভাই? আপনার প্রত্যেকটি তথ্যই বিভ্রান্তিমূলক। এরপরেও আপনাকে বেনিফিট অফ ডাউট দিলাম, হয়তো যেখান থেকে জেনেছেন সেই উৎসটি ভুল। কিন্তু নিজের কাছে সৎ হয়ে, নিজেকেই জিজ্ঞেস করে দেখুন তো, আপনি যা লিখছেন তা কি পুরোপুরি জেনে-বুঝে লিখছেন? আপনার অসংখ্য অনুসারী বাংলাদেশে, যারা আপনার কথা অন্ধভাবে গ্রহণ করে। তাদের কাছে সঠিক তথ্যটি পৌঁছানো কি আপনার নৈতিক দায়িত্ব নয়? শেষকথাঃ আপনি যেরকম ষড়যন্ত্রের রূপকথার গল্পের পসরা সাজিয়ে বসেছেন সেটি ভয়াবহ রকমের মিসলিডিং ও বিপজ্জনক। আর আপনার এত রাগ- ক্ষোভ কেন ভাই? কোন এক সময় আমেরিকা ঘুরতে আসেন, শুধু প্লেন ভাড়া আপনার (এটা আমি এফোরড করতে পারবো না), বাকি থাকা খাওয়া সব আমার। আমি আপনাকে সবকিছু ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে দেখাবো। মনে অবিশ্বাস, খুঁতখুঁতানি, সন্দেহ থাকুক আর না থাকুক, দেখে মজা পাবেন এটুকু আমি নিশ্চিত! সংযোজনঃ ১. ----। ২. কমেন্টে অনেকেই অযাচিতভাবে ধর্ম টেনে নিয়ে আসছেন, আমি বিব্রত। এটি ধর্মবিষয়ক পোস্ট না, আমি শুধুমাত্র আরিফ আজাদ সাহেবের বিজ্ঞান বিষয়ক লেখার ভুলগুলো নিয়ে আলোচনা করেছি। সুতরাং যুক্তি খন্ডন করতে হলে বিজ্ঞান দিয়েই যুক্তি খন্ডন করুন, ধর্ম বিষয়ক কোন কমেন্টের উত্তর আমি দিবো না, ধন্যবাদ --copied from Monjurul Islam Rifat

বর্তমানে নাস্তিক নবক্রুসেডাররা মুখিয়ে আছে মুসলমানদের কলে ফেলানোর জন্য। বাংলাদেশের কুখ্যাত নাস্তিক আরজ আলী ও সেটাই চেয়েছিলেন কিন্তু আরিফআজাদ ভাইয়া কুরআন সুন্নাহভিত্তিক অসাধারণ জবাব দিয়ছেন। আলহামদুলিল্লা!! জগতে আলো-অন্ধকারের মতো, সত্য-মিথ্যার একটা লড়াই বিরাজমান ছিল, আছে, এবং শেষ দিন পর্যন্ত বহাল থাকবে। জাহিলিয়াতের দ্বন্দ্বগুলো শেষ হয়ে যায়নি এবং যাবেও না। এগুলো নানান সময়ে নানান রুপে আমাদের সামনে এসে ধরা দেবে। "ওটা মিথ্যা " "ওটা অযৌক্তিক " "ওটা অবিশ্বাস্য " "ওটা অবৈজ্ঞানিক " "ওটা কেবল অন্ধবিশ্বাস " এরকম নানান প্রশ্ন নিয়ে হাজির হয়েছে তারা। তাদের মিথ্যাচার, যুক্তির অসারতা, অবিশ্বাসের দর্শন, পক্ষপাতী বিজ্ঞান পাঠ এবং বিশ্বাসের বিরুদ্ধে তোলা অভিযোগে "আরজ আলী সমীপে" হতে পারে একটি ভিন্ন মাএার সংযোজন।। যা কিনা নাস্তিকতার বিরুদ্ধে দাঁতভাঙা জবাব।।

নাস্তিকতা একটা রোগ, অন্তরের রোগ। আলো- অন্ধকারের মতো, সত্য- মিথ্যার একটা লড়াই ছিল, আছে, এবং শেষ দিন পর্যন্ত বহাল থাকবে। জাহিলিয়াতের দ্বন্ধগুলো শেষ হয়ে যায়নি এবং যাবেও না। নানান সময়ে নানান রুপে এগুলো আমাদের সামনে এসে ধরা দেবে। “এটা মিথ্যা”, “ওটা অবৈজ্ঞানিক”, “ওটা কেবল অন্ধবিশ্বাস” – এভাবেই তো ওরা ইসলামের দিকে আঙ্গুল তোলে। যুগে যুগে মানুষ বদলায়, কিন্তু ইসলামের সাথে জাহিলিয়াতের দ্বন্ধগুলো আজীবন চলতেই থাকে।

Boeti Islam k khud sundor bhabay represent koray... boeti khud Bhalo

আধুনিক মানুষ সম্ববত সবচেয়ে কম আগ্রহী তার ধর্ম সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান নিতে আর সে সুযোগে কিছু তথাকথিত লেখক বা মিডিয়া কর্মী যাই বলি ধর্ম বিশেষ করে ইসলামকে তারা ভিন্ন একটি রুপ দিতে চেয়েছে। আর এই টোপ আমরা ভাল করেই গিলেছি। যখন যুক্তি আর বিজ্ঞানের দোহাই দিয়ে বলা তখন সে টোপ না গিলে কোথায় যাই। কিন্তু কিছু অসাধারণ লেখক বা ব্যাক্তি আমাদের সে ছলচাতুরী গুলো চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়, যেমনটি লেখক আরিফ আজাদ আমাদের দেখিয়ে দিয়েছে যে আরজ আলী ধর্মের ব্যাপারে বিশেষ করে ইসলামের ব্যাপারে কতটা জ্ঞানহীন ছিল। তার পরেও অনেক মানুষ আরজ আলীর লেখার টোপ গিলেছে। আর এই টোপ কি করতে পারে আজকের জুগে তার ব্যাখ্যার দরকার আছে কি? যাইহোক "আরজ আলী সমীপে" অসাধারন একটি বই বিশেষ করে তাদের জন্য যারা ইসলাম সম্পর্কে ভুল জানে। সবাইকে পড়তে স্বাগত জানাই

এখানে যে ভাবে জবাব গুলি দেওয়া হয়েছে সেগুলি খুবই বুদ্ধি মত্তার সাথে করা হয়েছে . জবাব গুলি সঠিক ছিল। আরজ আলির বইগুলো আমি মোটামুটি সবই পড়েছি। দির্ঘ্য দিন যাবত আমি চেয়েছিলাম যেন কেউ কোন ভাবে এর জবাব দেয়। এবং শেষ পর্যন্ত এটা পেলাম।

এই বই টি পড়ে অনেকে বলেছে গোজামিল দিয়েছে অনেকে তো পড়তেই নারাজ জি আমি তাদের কথাই বলছি যা নিজে অনেক নাস্তিক বলে মনেকরে এবং নিজেকে জ্ঞান পিপাসূ মনে করে। তারা সবসময় কিছু পূর্ব নির্ধারিত প্রশ্ন নিয়ে লাফালাফি করে অথচ যখন কেউ কেউ তাদের গুরুদের করা প্রশ্ন গুলোর উত্তর নিয়ে আসে তখন সেটা পড়বে তো না বরং এটা নিয়ে উল্টা পাল্টা কথা বলবে। অথচ আবার দেখুন তারাই বিভিন্ন জায়গায় বলে বেড়ায় মুসলিমরা নাকি গোড়ামি করে সত্য জানতে চায় না। তাই বইটি পড়ুন নিরপেক্ষ ভাবে বিচার করুন আশা করি সত্য আপনার মধ্যে জাগ্রত হবে।

বইয়ের নাম:আরজ আলী সমীপে ক্যাটাগরি:ইসলামি মতবাদ ও আদর্শ লেখক:আরিফ আজাদ পৃষ্ঠা সংখ্যা:১৪৮ সম্প্রতি বইটা পড়ে শেষ করলাম।আরিফ আজাদ স্যারের অন্যান্য বইয়ের মতো এটাও দারুণ এক বই।বইটা মূলত দেশের এক নাস্তিকবাদী লেখক 'আরজ আলী মাতুব্বর' এর 'সত্যের সন্ধানে' বইয়ে উত্থাপিত বিভিন্ন ধরনের বিভ্রান্তিমূলক প্রশ্নের উত্তর। ব্যাক্তিগত মতামত:আরিফ আজাদ স্যারের বই ভালো লাগার অন্যতম কারণ হলো তিনি তার লেখার মাধ্যমে বোঝান যে, ইসলামের ছোটছোট বিষয়ও আমাদের জন্য শিক্ষণীয়।এই বইয়ের ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি।বইটিতে তিনি আরজ আলী মাতুব্বর এর অনেক বিভ্রান্তিমূলক প্রশ্নের উত্তর উপযুক্ত উদাহরণ ও দলিলসহ বর্ণনা করছেন।সবচেয়ে বড় বিষয় হলো বিবর্তন বলতে আমাদের এখন যা শেখানো হয়, তার যেকোনো অস্তিত্ব নেই, সেটাও তিনি উপযুক্ত প্রমাণ ও ঘটনার মাধ্যমে বর্ণনা করেছেন।উল্লেখ্য, ১৪৮ পৃষ্ঠার বইয়ের ২৯ পৃষ্ঠাই তিনি বিবর্তন নিয়ে আলোচনা করেছেন৷ সর্বোপরি, বইটি পড়ে আমার যেমন ইসলামের জ্ঞান আরো বৃদ্ধি পেয়েছে, তেমনি অনেক অজানা প্রশ্নের উত্তর পেয়েছি,আলহামদুলিল্লাহ

নাস্তিক দের ধর্মগুরু রে দিছে বাশ

Alhamdulillah

আরজ আলী মাতুব্বর সম্পর্কে কম বেশি আমরা অনেকেই জানি। আরজ আলীর রচনায় মুক্তচিন্তা ও যুক্তিবাদী দার্শনিক প্রজ্ঞার ছাপ রয়েছে। সেই আরজ আলীকে উদ্দেশ্য করে প্রিয় লেখক আরিফ আজাদ ''আরজ আলী সমীপে'' নামক একটি অসাধারণ বই লিখেছেন। কুরআনের আলোকে বিজ্ঞানের বিবর্তনে যৌক্তিক ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণধর্মী জ্ঞানমূলক একটি বই। বইটি পড়ে যে কেউ তার জ্ঞানের পরিধি বাড়াতে পারেন।

চমৎকার ভাবে আরিফ আজাদ ভাই, আরজ আলী সাহেবের সেই সব প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন যা সঠিক ভেবে অনেকেই ভ্রান্ত ধারণায় সত্যমিথ্যার দ্বন্দে নিপাতিতো। সঠিক রেফারেন্স এই বইকে সমৃদ্ধ করেছে। যারা আরজ আলী সাহেবের বই পড়ে ইসলাম নিয়ে নানাবীধি দ্বিধাদ্বন্ধে ভুগছেন তাদের জন্য উত্তম ঔষধ।

Oshadharon

অসাধারণ বই।

অসাধারণ আরও একটি বই পাঠকদের দখলে....

আরজ আলী মাতব্বর বাংলাদেশের ইতিহাসে এক ভিলেন যে মনগড়া ও প্রচলিত কুসংস্কারের উপর ভিত্তি করে গড়ে তুলেছিল নাস্তিক্যতার নীল আর অন্ধকার সমাজ। "সত্য সমাগত, মিথ্যা বিতাড়িত "- আল কুরআন। এই অযোক্তিক ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত তাসের ঘরখানা মাটির সাথে কবরস্থ করেন লেখক মহোদয়। অকাট্য যুক্তি ও সত্যের সামনে ঠাঁই মিলে নি মাতব্বর সাহেবের।

বিলম্ব হয়েছে তবে খুব হয়নি তবে আরোও আগে এই উত্তরের খুব প্রয়োজন ছিলো। বিশ্বাস করি এভাবেই সত্যের দৃঢ়তা নিয়ে মিথ্যের বিরুদ্ধে চলবে আপনার প্রতিউত্তর। নাস্তিক হবে কলমে কলমে স্তব্ধ, রুদ্ধ। আলো আসবেই সত্য ও ন্যায়ের পতাকাতে।

খুব ভাল।

কুযুক্তিতে ভরা বই। আরজ আলী কি বলতে চেয়েছেন সেটা আমরা যেমন বুঝেছি, আরিফ আজাদ সাহেবও বুঝেছেন। কিন্তু তিনি সেটা আক্ষরিক অর্থে ধরে আরজ আলীকে বেশ তুলোধুনো করে তৃপ্তির ঢেকুর তুলেছেন। আরিফ আজাদ সাহেব আপনি ফেসবুকে এক্টিভ। আপ্নি নাসিয়াহ- দ্বীনি পরামর্শ গ্রুপে গিয়ে দেখুন আরজ আলী যা বলেছেন তার চেয়ে অনেক হিংস্রাত্মক পোস্ট দেওয়া হচ্ছে এবং সেগুলা হাদিস কোরানের আলোকেই। আপনার মধুর যুক্তিগুলো সেখানে পেশ করে কেন বলছেন না ইসলাম এতোটা হিংস্র না? বলছেন না, কারন তারাও আপ্নার মুরীদ।

যখন দেখি শুদ্ধ বিজ্ঞান চর্চার নামে দেশের প্রথম সারির বিভিন্ন বিজ্ঞান গ্রুপ থেকে নিয়মিত বিবর্তনবাদ নিয়ে ভন্ডামী শুরু হয়েছে এবং কোমলতী ও বিজ্ঞানের জন্য মুখিয়ে থাকা কিশোরেরা তা গোগ্রাসে হজম করে ফেলসে একবার চিন্তাও করে দেখছে না তাদের কী শেখানো হচ্ছে আর কেন শেখানো হচ্ছ, তখন যে কি মনে হয়, তা ভাষায় প্রকাশ করতে পারবো না। আরিফ আজাদ ভাইয়ের ভাষায়, "বিবর্তন তত্ত্বকে' কে গাছ থেকে আপেল পড়ার মতো সত্য হিসেবে ধরে নিয়ে আদম (আ.) কে আদি মানবের লিস্ট থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার প্রয়াস পেয়েছেন, ঠিক সে রকম বিবর্তনবাদী দুনিয়াও বিজ্ঞানকে অপব্যাখ্যা, বিকৃত এবং অর্ধসত্য জিনিসকে প্রচার করে তাদের এজেন্ডা বাস্তবায়নে দৃট়প্রতিজ্ঞ। বিবর্তনবাদ আসলে স্বল্প আলোচনার কোনো বিষয় নয়। তবুও সৃল্প আলোচনার মধ্যে আমি দেখানোর চেষ্টা করেছি যে, বিবর্তনবাদীদের বলে বেড়ানো, প্রচার করা তথ্যগুলো আসলে কতটা সত্যি? তাদের আষাঢ়ে গল্পগুলো সাধারণ মানুষ জানতে পারে না। সাধারণ মানুষ তাদের দেবতা জ্ঞান করে। তারা যা বলে তা-ই বিশ্বীস করে নেয়। এই সুযোগেই তারা তাদের কাল্পনিক গল্পগুলো আমাদের মস্তিষ্কে ঢুকিয়ে দিতে সমর্থ হয়েছে।" বইটি বিবর্তনবাদ কে অনেকটাই চুর্ণবিচুর্ণ করে দিয়েছে। তবে একটি কথা বলি। অনেকেই বলেন, আরিফ ভাই এখানে সায়েন্টিফিকভাবে সবকিছু উপস্থাপন করেন নাই, হ্যান হইছে ত্যান হইছে, এতই পারে তাইলে জার্নালে পাবলিশ করেন না কেন? এদের জন্য একতা কথাই বলবো, আরিফ ভাই দেশের সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করেই বইটি লিখেছেন। তাই যতদূর সম্ভব, বইয়ের ভাষা বোধগোম্য ভাবেই লিখেছেন।

সময়ে দেখা যায় বাংলাদেশে 'মুক্তবুদ্ধি চর্চা' নামে ইসলামবিরোধী কথা প্রচারকারীদের সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছিল। আসলে মূল কাজ যাই হোক না কেন নামের মোড়কে এবং বিজ্ঞান চর্চার মূলা দেখিয়েই এরা ইসলামের নামে আজেবাজে কথা ছাড়াচ্ছিল। কিছুদিন যাবার পর একেবারে দিনের আলোর মতই পরিস্কার হয়ে যায় যে তারা 'ইসলামের বিরুদ্ধে কথা বলাটাই মুক্তমনের চর্চা আর ইসলামের পক্ষে কথা বলাটাই মৌলবাদিতা' এই কথাটাই আসলে প্রচার করে যাচ্ছিল। কিন্তু ইসলামিক সোসাইটিতে এদের রিফিউট করে কাজ তেমন হচ্ছিলই না বলা চলে। এমন পরিস্থিতিতে আরিফ আজাদ ভাই কলম ধরলেন। মনে রাখতে হবে আরিফ আজাদ ভাই ওরা যেমন ইসলাম বিরোধিতা করছিল ঠিক তেমন ভাবে জাস্ট ওদের বিরোধিতা করে লেখা শুরু করেননি। বরং ওদের মিথ্যাচারের জবাবে শুধু ইসলামের প্রকৃত অবস্থানটা তুলে ধরছিলেন। আপাতদৃষ্টিতে মনে হওয়ার কথা এটা আসলে ওই দলের 'মুক্তবুদ্ধি চর্চা'রই মুসলিম ভার্সন হওয়ায় ওরা হয়ত খুশি হয়ে থাকবে। কিন্তু এবার দেখা গেল ওদের আসল রূপ। সর্বশক্তি দিয়ে এবার এই বই গুলার বিরোধিতা করা শুরু করল। 'মুক্তবুদ্ধি চর্চা' টার্ম টাই ছিল সকলেই মতক্স প্রকাশ করবে স্বাধীনভাবে। কিন্তু আস্তে আস্তে ওরা নিজেরাই নিজেদের অবস্থান থেকে উল্টাদিকে ঘুরে আরিফ আজাদ ভাইয়ের পিছে লাগা শুরু করল। এইখানের কিছু রিভিউ তেই দেখা যাচ্ছে ওদের চাপা ক্রন্দন। যারা ইসলাম নিয়ে সংশয়ে পড়েছেন বা ধর্মবিশ্বাস নিয়ে ওদের মিথ্যাচারের কবলে পড়েছেন তাদের সবাইকে বলব বইটি কিনুন।

নাস্তিকতা মানে সকল ধর্মে অবিশ্বাস ও অস্বীকৃতি জানানো কিন্তু পরিতাপের বিষয় হলো, নাস্তিকরা বর্তমানে নিজেদের স্বার্থে কিংবা বিশেষ কোনো গোষ্ঠীর স্বার্থেয় হোক না কেনো তারা এখন নিজেদের নামের আগে নাস্তিকের ছাপ লাগিয়ে এন্টি মুসলিম। আর এটাই চরম সত্যি কারণ বর্তমানে এমন কোনো নাস্তিক পাওয়া যাবে না (পাওয়া গেলেও নিতান্তই সামান্য হাতে গোনা) যেকিনা ইসলাম ধর্ম ছাড়া আর অন্যকোনো ধর্মের বিরুদ্ধে কথা বলে। বর্তমানের আধুনিক যুগেও মানুষ পশুর মল-মূত্র খাই, মানুষের মাঝে ধর্মীয় শ্রেণী ব্যাবধান আরো কতো কি! এসব নিয়ে কোনোদিন কোনো নাস্তিক কথা বলে না,তাদের শরীরের পরতে পরতে চুলকানি শুধুমাত্র ইসলাম নিয়ে। ইসলামের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগগুলো কতোটা ঠুনকো আর হাস্যকর যা কেবলমাত্র ইসলাম নিয়ে অজ্ঞতা আর বিদ্বেষ ই প্রকাশ করে থাকে। কমন কিছু প্রশ্ন আর যুক্তি নিয়েই তাদের বাহাদুরি, যা ইসলাম নয় সেটাকেই ইসলাম হিসেবে চালিয়ে সাধারণ মানুষের মনে বিভ্রান্ত সৃষ্টি করায় এদের মূল লক্ষ্য। অথচ এদের সঠিক ইসলাম সম্পর্কে জানার বিন্দুমাত্রও ইচ্ছা নাই। মূর্খতা ঝেড়ে ফেলে যদি একটু জানার জন্য কিংবা নিজেদের প্রশ্নের উপযুক্ত সোর্চগুলো কতটা মজবুত তা জানার চেষ্টা করতো তাহলে আর এসব প্রশ্ন করে নিজেকে বেকুব আর অজ্ঞ হিসেবে জাহির করতো না। ইসলাম কখনোই আচারসর্বস্ব কোনো ধর্মের নাম নয় যে এটাকে কিছু তন্ত্র-মন্ত্র, কিছু দোয়া-দরুদ আর কিছু উৎসব-আনন্দের গন্ডির মধ্যে ফেলে বিচার করতে হবে। ইসলাম একটি দ্বীনের নাম। দ্বীন অর্থ যতখানি না ধর্ম, তারচেয়েও বেশি পরিপূর্ণ জীবনবিধান। ইসলামে এমন একটি নীতিও নেই, এমন একটি কথাও নেই যা একজন মানুষের কাছে অসম্ভব, অযৌক্তিক ঠেকতে পারে। নাস্তিকদের একজন প্রিয় নাম হলো আরজ আলী মাতুব্বর সাহেব, যেকিনা ছিলো স্ব-শিক্ষায় শিক্ষিত। একাডেমিক পড়াশোনা না করলেও সে প্রচুর পড়াশোনা করেছেন এবং বইও লিখেছে। 'সত্যের সন্ধানে' বইয়ে ইসলাম নিয়ে আনিত অভিযোগগুলো পড়লে একজন বিবেক বুদ্ধি সম্পন্ন মানুষ হাসতে বাধ্য। ইসলামের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগগুলোর উত্তর হিসেবেই আরিফ আজাদ 'আরজ আলী সমীপে' বইটি লিখেছেন। 'সত্যের সন্ধানে' বইটি পড়ে খুশি হওয়া প্রত্যক নাস্তিক তো বটেই সকল মুসলমানেরই বইটি পড়া উচিৎ নিজের মনের খটকাগুলো দূর করার জন্য। প্রত্যেক পৃষ্ঠায় নিহিত অসংখ্য তথ্য, যুক্তির পৃষ্ঠে যুক্তি সমৃদ্ধ বইটির বিবিধ অংশটুকু অর্থাৎ বস্তুবাদীদের বিবর্তনবাদ নিয়ে রচিত লিখাগুলো একজন বিজ্ঞানের ছাত্র হিসেবে আমার খুব ভালো লেগেছে। বস্তুবাদিদের অনেক ষড়যন্ত্র, গল্পের পিছনের গল্প সহ অনেক কিছুই জানা যাবে এই অংশে। "সেদিন আমি তাদের মুখে সিলমোহর লাগিয়ে দিবো। তাদের হাত আমার সঙ্গে কথা বলবে। আর তারা যা করত, সে সম্পর্কে তাদের পাগুলো সাক্ষ্য দিবে।" ___সূরা ইয়াসীন (৩৬) : ৬৫ marufahmed01.wordpress.com

যুক্তির অসাধারণ সংমিশ্রণে লিখা অতুলনীয় একটি বই

Bunch of lies and hypocrisy.

অসাধারণ বই। প্রিন্টও অনেক ভালো।

এটাও বেস্ট সেলারের তালিকায় স্থান পাবে বলে আশাকরি।

প্রমথ চৌধুরী বলেছিলেন,"সুশিক্ষিত লোক মাত্রই স্বশিক্ষিত।" তবে এটা নয় যে স্বশিক্ষিত মানুষ সুশিক্ষিত হবে। এবং এর সবচেয়ে বড় উদাহরণ আরজ আলী মাতুব্বর। একজন মৃত মানুষকে নিয়ে মন্তব্য করা কতটা যৌক্তিক সেটা আমার জানা নেই তবে নাস্তিক মহলে যে সে একজন পূজনীয় মানুষ তাতে সন্দেহ নেই। উপমহাদেশের প্রখ্যাত নাস্তিক আরজ আলী মাতুব্বর যে ইসলাম সম্পর্কে নূন্যতম জ্ঞান রাখতেন না সেটা তার বই পড়লে ই বোঝা যায়। না, আমি তার বই পড়িনি তবে তার বইয়ের কিছু উদ্ধৃতি পড়ে বুঝেছি যে ভদ্রলোক ইসলাম বলতে সমাজে চলা কুসংস্কার ই বুঝতেন। কখনো সঠিক ইসলামের সাথে তার পরিচয় হয়নি। তার অনুসারীদের উচিত জবাব দেওয়া ছিল সময়ের ব্যাপার মাত্র। সেই কাজটি ই করেছেন আরিফ আজাদ ভাই। আরজ আলী সম্পর্কে তার প্রথম লেখা ছিলো প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদে। তারপর এর সম্পূর্ণ প্রকাশ। বইটি সাবলীল ভাষায় লিখেছেন তিনি। উদাহরণগুলো এবং ব্যাখ্যা ছিল অত্যন্ত চমকপ্রদ। তবে ঈশ্বর সংক্রান্ত অধ্যায়ে তকদির এর ব্যাখ্যা একটু কঠিন লেগেছে আমার কাছে। এ ব্যতীত বইটি মাশাল্লাহ!

বইয়ের লেখক পুরো বইয়ে লাফিয়ে বেড়িয়েছে। যুক্তি খন্ডন করতে যেয়ে তিনি নিজের বানানো অপ্রমাণিত চিন্তা সাধারণ মুসলিমদের মাথায় জোর করে ঢুকাতে চেয়েছেন। তিনি নিজেকে মহাজ্ঞানী প্রমাণ করতে চেয়েছেন যদিও আমার মনে হয়েছে দর্শন সম্পর্কে তার ন্যুনতমও জ্ঞান নেই। আরজ আলীর নিজের মনে তৈরি হওয়া সব প্রশ্নই যুক্তিসঙ্গত কিন্তু আরিফ আজাদ হিরো হতে চেয়েছেন এই প্রশ্নগুলোকে ইসলামী দিকে টেনে নিয়ে জবাব দিতে যেয়ে যা অযৌক্তিক এবং অর্থহীন।

ইদানীং ধর্মের স্বপক্ষে কিছুটা সৃজনশীল ধাচের বই লেখাটা খুব লাভজনক।কেননা ধর্মসমালোচকের অভাব না থাকলেও ধর্মপক্ষীয় সৃজনধর্মী লেখক অনেক কম।তাই পাঠক এসব লেখকদের বইয়ের উপরে হামলে পড়ে।তাই এসব বই প্রচন্ড রকম ব্যবসাসফল হয়।যদিও লেখক তার নিজের এথিক্স বা ফিলোসফি ধর্মে গন্ডীতে কতদূর আটকে রাখেন এ বিষয়ে আমি সন্দিহান।তবে এসব লেখকদের অনেকেই যে "বেস্ট ফর বিজনেইস" ধরনের চিন্তাধারা থেকে বই লেখেন এ ব্যাপারে আমি নিশ্চিত।

আরিফ আজাদ ভাই আপনি চালিয়ে যান। অনেক শত্রু হতে পারে আপনার, কিন্তু থেমে থাকবেন না। আল্লাহ্ আপনার জ্ঞান আরো আরো বাড়িয়ে দিবে এই দোয়াই করি ।।

It is going to be best seller

এইবার আর কৌতুক হিসেবেও ভালো হয়নাই। একদল গাধা গাধাই থেকে গেলো। টয়লেট পেপার ভালোই যদিও।

Wonderful Book. Fantastic in reading and scientific as well as logical breakthrough in belief. Go on my brother"Arif Azad". May Allah Grant your efforts and enlighten you more.

অসাধারণ একটা বই। অসংখ্য ধন্যবাদ আরিফ আজাদ ভাইকে।

আরেক বেস্ট সেলারের অপেক্ষায়...

সাম্প্রতিক সময়ে দেখা যায় বাংলাদেশে 'মুক্তবুদ্ধি চর্চা' নামে ইসলামবিরোধী কথা প্রচারকারীদের সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছিল। আসলে মূল কাজ যাই হোক না কেন নামের মোড়কে এবং বিজ্ঞান চর্চার মূলা দেখিয়েই এরা ইসলামের নামে আজেবাজে কথা ছাড়াচ্ছিল। কিছুদিন যাবার পর একেবারে দিনের আলোর মতই পরিস্কার হয়ে যায় যে তারা 'ইসলামের বিরুদ্ধে কথা বলাটাই মুক্তমনের চর্চা আর ইসলামের পক্ষে কথা বলাটাই মৌলবাদিতা' এই কথাটাই আসলে প্রচার করে যাচ্ছিল। কিন্তু ইসলামিক সোসাইটিতে এদের রিফিউট করে কাজ তেমন হচ্ছিলই না বলা চলে। এমন পরিস্থিতিতে আরিফ আজাদ ভাই কলম ধরলেন। মনে রাখতে হবে আরিফ আজাদ ভাই ওরা যেমন ইসলাম বিরোধিতা করছিল ঠিক তেমন ভাবে জাস্ট ওদের বিরোধিতা করে লেখা শুরু করেননি। বরং ওদের মিথ্যাচারের জবাবে শুধু ইসলামের প্রকৃত অবস্থানটা তুলে ধরছিলেন। আপাতদৃষ্টিতে মনে হওয়ার কথা এটা আসলে ওই দলের 'মুক্তবুদ্ধি চর্চা'রই মুসলিম ভার্সন হওয়ায় ওরা হয়ত খুশি হয়ে থাকবে। কিন্তু এবার দেখা গেল ওদের আসল রূপ। সর্বশক্তি দিয়ে এবার এই বই গুলার বিরোধিতা করা শুরু করল। 'মুক্তবুদ্ধি চর্চা' টার্ম টাই ছিল সকলেই মতক্স প্রকাশ করবে স্বাধীনভাবে। কিন্তু আস্তে আস্তে ওরা নিজেরাই নিজেদের অবস্থান থেকে উল্টাদিকে ঘুরে আরিফ আজাদ ভাইয়ের পিছে লাগা শুরু করল। এইখানের কিছু রিভিউ তেই দেখা যাচ্ছে ওদের চাপা ক্রন্দন। যারা ইসলাম নিয়ে সংশয়ে পড়েছেন বা ধর্মবিশ্বাস নিয়ে ওদের মিথ্যাচারের কবলে পড়েছেন তাদের সবাইকে বলব বইটি কিনুন। এখনই কিনুন।

সাম্প্রতিক সময়ে এটি অনেক আলোচিত বই, কোরআনের আলোকে বিজ্ঞানের বিবর্তনে যৌক্তিক ব্যখ্যা দিয়ে ইশ্বর আছেন তার উপযুক্ত প্রমাণ দিয়েছেন | ঈশ্বরের অস্তিত্ব সম্পর্কে সন্দিহান যারা, তাদের সকল প্রকার সন্দেহ দূর করতে এই বইটি আশা করি অনেকটাই সহায়ক হবে। যারা সাধারণ মুসলিম, ইসলাম সম্পর্কে জ্ঞান কম তারা যদি নাস্তিকদের যুক্তি গুলো পরে তাহলে খুব সহজে তাদের কথা বিশ্বাস করবে তাই সকল মুসলিম কেই নাস্তিকদের যুক্তি যে ভুল তা জানতে হবে এবং তার ডিটেলস ব্যাখ্যাও জানতে হবে , এই জন্য এই রিলেটেড সব বই সবার পড়া দরকার ।