User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
বইটি পড়ে খুব ইমোশনাল হয়ে গেছিলাম। এতটা নিখুত আর হৃদয়বিদারক ভাবে বর্ণনা করা হয়েছে
Was this review helpful to you?
or
•সুপ্রভাত ফিলিস্তিন• বলছিলাম সুজান আবুলহাওয়া কর্তৃক রচিত ''সুপ্রভাত ফিলিস্তিন'' বইটির কথা। মূলত এটি একটি ভাষান্তরিত বই। অনুবাদ করেছেন "নাজমুস সাকিব" এবং সম্পাদনা করেছেন ''সালাহউদ্দীন জাহাঙ্গীর''। ভাষান্তরিত বই সাধারণত আমি এড়িয়ে চলার চেষ্টা করি, কারণ একজন লেখক যেই আবেগের তরঙ্গদোলা তার লেখার মধ্যে ঢেলে দেন তা অনুবাদ করা বইয়ে পাওয়া দুষ্কর। কিন্তু সম্পাদকের নাম দেখে এবার আর এড়িয়ে যাওয়ার দুঃসাহস দেখাতে পারলাম না। বইটির মূল নাম, ''মর্নিংস ইন জেনিন"। ফিলিস্তিনের শহর জেনিনের একটি গল্প। ত্বীন আর জয়তুন গাছে আচ্ছাদিত এক ছায়া সুনিবিড় গ্রাম আইনে হুজের গল্প। বইটি এ পর্যন্ত প্রায় ছাব্বিশটি ভাষায় অনূদিত হয়েছে। ক্রয়ের সময় ভেবেছিলাম, হয়ত কারো আত্মজীবনী হবে। কিন্তু আমার ভাবনা নিতান্তই ভুল প্রমাণিত হল।উপন্যাস আকারে লেখা হয়েছে এই বইটি।তবে পুরোপুরি উপন্যাসও বলা চলে না।কিছুটা আত্ম-জীবনীও বটে। লেখিকার ভাষ্যমতে সত্য ঘটনা অবলম্বনে লেখা হয়েছে। তবে পুরোপুরি নয়। কিছুটা কাল্পনিক আর কিছুটা বাস্তবিক। তিনি আরো দাবি করেছেন প্রত্যেকটা চরিত্রের অস্তিত্ব রয়েছে তবে এখানে ছদ্মনাম ব্যবহার করা হয়েছে। বইয়ের ভেতরের অংশ নিয়ে বলতে গেলে, ভাষান্তরিত বই হিসেবে সাহিত্যমান যথেষ্ট ভালো।এদিকে বেশ সুনিপুন ভাবেই নজর দেওয়া হয়েছে। লেখা বেশ ঝরঝরে। যেমন আবেগ ও উচ্ছ্বাসের ছড়াছড়ি তেমনই ভাষা ও সাহিত্যের উদ্ভাস। ভাবের তরঙ্গে, আবেগের উচ্ছ্বাসে, ভাষার নৃত্যে আমি যেন বইয়ের প্রারম্ভ হতে সায়াহ্ন পর্যন্ত দোল খেতে খেতে এগিয়ে গিয়েছি। সাথে সাথে আমি জানতে পেরেছি এক নির্মমতার ইতিহাস।যা এখনো চলমান। নির্যাতিত একটি জাতির বুকফাটা আর্তনাদ সাথে এক পাহাড় সমপরিমাণ দীর্ঘশ্বাস। দিনের পর দিন, বছরের পর বছর, যুগের পর যুগ অনৈতিক ভাবে নিরীহ এক জাতির ওপর চালানো পাশবিক অত্যাচারের এক ভয়ংকর ট্রাজেডি। নিপিড়ীত এক জাতির বিভীষিকাময় উপাখ্যান।নিজ দেশে পরবাসী হয়ে যাবার যত দুঃখবোধ। দিনের পর দিন এক উন্মুক্ত কারাগারে শরণার্থী হয়ে বেঁচে থাকার কী নির্মম যাতনা। এই বইয়ের প্রতিটি অক্ষর যেন রক্ত কালিতে লেখা। যা যে-কোনো পাষাণ হৃদয়েও কাটার মতো বিঁধে যাবে। রক্তস্নাত প্রতিটি বাক্য আমাকে ভাবতে বাধ্য করেছে। কেন তারা আজ এই পাশবিক আচরণের স্বীকার? শুধু মাত্র তারা ফিলিস্তিনি বলে? মুসলিম হিসেবে ফিলিস্তিনে জন্মগ্রহণ করাই কি একমাত্র তাদের একমাত্র অপরাধ? এই গ্রন্থ গল্প বলেছে পুরো ফিলিস্তিনের। মুক্তি সংগ্রামের আদি-অন্ত বয়ান করেছে ভালোবাসার টলটলে চোখে। এ গ্রন্থ আমাকে পড়িয়েছে তিন প্রজন্মের গল্প। আমাকে জানিয়েছে তাদের আত্মত্যাগ এবং সংগ্রামের কথা। নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে প্রতিবাদের কথা। এ বই সুনিপুন ভাবে আমার হৃদয়ে চিত্র এঁকেছে ১৯৪১ সাল থেকে ২০০২ পর্যন্ত নির্যাতিত হয়ে আসা একটি দেশের। এবং এখনো তা নির্যাতনের স্বীকার। যেন আমি দেখতে পাচ্ছি সেই নির্মম নিপীড়ন। যেন আমি শুনতে পাচ্ছি অসহায় নারী-শিশুর আর্তনাদ। তাদের আর্তচিৎকার। যেন আমার শরীরের ওপর দিয়ে তাদের দীর্ঘশ্বাসের লু -হাওয়া বয়ে যাচ্ছে। মহান স্রষ্টার সৃষ্টি ছাড়া আর কারো সৃষ্টি যে নিখুঁত হবে না এটা তো বলাই বাহুল্য।তেমনই এই বইয়েও এমন কিছু আমার দৃষ্টিকটু হয়েছে। লেখিকা বিভিন্ন ভাবে প্রেমকে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছেন। ছেলেমেয়ের অবাধ মেলামেশাকে তিনি প্রাধান্য দিয়েছেন। প্রেমকে তিনি সহজলভ্য বানিয়েছেন।যেন এটা কোনো বিষয়ই নয়। দ্বিতীয় আরেকটি বিষয় চোখে পড়ার মতো ছিল। তা হলো 'এপ্রিল মাস' এ মাসকে তিনি ফুলের মাস বলেছেন। শান্তির মাস হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন, যা আমার মতে নিতান্তই ভুল ছিল। এ মাস হলো ইতিহাসের এক কালো অধ্যায়। তা আবার কীভাবে শান্তির মাস হয়? ফুলের মাস হয়? তৃতীয়ত, মাঝে মাঝে সামান্য অস্পষ্টতা পেয়েছি, যা বুঝতে বেশি বেগ পোহাতে না হলেও সামান্য হয়েছে বৈ কী। এ বইয়ে দু'ভাবে গল্প বলা হয়েছে। এক, চরিত্রকে সামনে রেখে তার বর্ণনা দেওয়া হয়েছে। দুই, চরিত্র নিজেই তার বর্ণনা দিয়েছে। গোলমালটা এখানেই বেঁধেছে। মাঝে মাঝে এমন হয়েছে যে, চরিত্রকে সামনে রেখে বর্ণনা দিতে দিতে হঠাৎ চরিত্র নিজেই নিজের বর্ণনা দেওয়া শুরু করেছে। আবার এমন হয়েছে যে, চরিত্র নিজের বর্ণনা দিতে দিতে হঠাৎ লেখিকা তার বর্ণনা দেওয়া শুরু করেছে।এটা এতোটা দোষণীয় না হলেও নতুন সংকলনের মাধ্যমে সংশোধন করা জরুরী। সর্বশেষ, এ সমান্য কিছু বিষয় বাদ দিলে বেশ ভালোই লেগেছে বইটি। সুতরাং যাদের ইতিহাস জানার আগ্রহ কিন্তু ইতিহাসের বই পড়তে অলসতা লাগে তারা এটা পড়তে পারেন। আশা করি গল্পের স্রোতে আপনি ভেসে যাবেন এক হৃদয়স্পর্শী উপাখ্যানের শেষ প্রান্তে।
Was this review helpful to you?
or
ফিলিস্তিনিদের দুর্দশার কথা বর্ণনা করা হয়েছে। কিন্তু কিছু মনগড়া প্রেম কাহিনী অযথাই অ্যাড করা হয়েছে।
Was this review helpful to you?
or
বইটি পড়ে কান্না করেছি ?
Was this review helpful to you?
or
#আড্ডাখানায়_রকমারি #রিভিউ_২০২৩ ❛মানুষ কীভাবে বাঁচতে পারে, এমন পৃথিবীতে সেই পৃথিবী এমন বছরের পর বছর ধরে এমন অন্যায় ভুলে থাকার ভান করে? মা, এটাই কি বোঝায় যে আমরা ফি লি স্তি নি?❜ এক কথায় প্রকাশে পড়েছিলাম, ❛উপকারীর অপকার করে যে - কৃতঘ্ন❜। আচ্ছা আমরা কারো উপকার করে বিনিময়ে কী আশা করি? একটু কৃতজ্ঞতা কিংবা মিষ্টি একটা হাসি। এমন কখনো হয়েছে আপনার সাথে, যে আপনি এক দুপুরে আয়োজন করে একদল মানুষকে রান্না করে নানা পদের খাবার খাওয়ালেন। বিনিময়ে আশা করলেন তাদের সাথে আপনার সদ্ভাব, সুসম্পর্ক বজায় থাকবে। কিন্তু পরদিন দেখলেন, তারাই আরো সুসংগঠিত হয়ে আপনার উপর হা ম লা চালাচ্ছে এবং আপনার পৈতৃক ভিটে থেকে আপনাকে উচ্ছেদ করছে। যেন আপনিই তাদের সম্পদে এসে ভাগ নিয়ে রেখেছিলেন। কেমন লাগবে তখন? এমনটাই হয়েছিল আরবের সেই মানুষদের সাথে। ভেড়ার মাংসের তৈরি সুস্বাদু খাবার খেয়ে পরদিন ই হু দী সেনারা শান্তি (!) রক্ষার অপারেশন চালিয়েছিল আইনে হুজের সুন্দর গ্রামে। পৃথিবীর মানচিত্রে সুন্দর একটি দেশ ছিল ফি লি স্তি ন। তীন আর জয়তুন ফলের সুবাসে মুখরিত থাকতো ছোট্ট গ্রামগুলো। তাদের ছিল হাজার বছরের ইতিহাস। সেখানে আজানের সাথে সাথে শুরু হতো কর্মচঞ্চল দিনের। ফজরের নামাজ পড়েই তারা ফল সংগ্রহের কাজে নেমে পড়তো। সুখেই কেটে যাচ্ছিল তাদের দিন। সেই গ্রামেই ছিল ইয়াহইয়া নামের এক ব্যক্তির সুখের পরিবার। স্ত্রী বাসিমা, দুই পুত্র হাসান এবং দারবিশকে নিয়ে চলছিল। সুখে থাকলেও আশেপাশে তখন দানা বাঁধছিল অদ্ভুত এক শঙ্কার। ই হু দীদের আক্রোশ যেন দিনকে দিন বাড়ছিল। তারা একক রাষ্ট্র গঠন করতে চাইছিল হাজার বছরের ইতিহাস সমৃদ্ধ জেনিনের বুকে। এই অনিশ্চয়তার মাঝেও তারা পরিবার গঠন করে সুখের জীবন কাটানোর আশা করে যাচ্ছিল। এভাবেই হাসান বিয়ে করে বেদুইন কন্যা ডালিয়াকে। তাদের ঘর আলো করে আসে ইউসুফ। এরপর আসে ইসমাইল। শোনা যাচ্ছিল আমেরিকানদের থেকে ই হু দী রা প্রচুর অ স্ত্র জোগাড় করছিল। অপরদিকে নি র স্ত্র করে দেয়া হয়েছিল ফি লি স্তি নে র বাসিন্দাদের। এমন করেই একদিন ট্রাক ভর্তি ই হু দী সৈন্যরা আক্রমণ করে ছোট্ট জয়তুনের সুবাস ভরা গ্রামে। হ ত্যা করে অসংখ্য মানুষ। লুটপাট চালায়। হারিয়ে যায় ডালিয়ার কোলের শিশু ইসমাইল। নিজ ভিটে ছেড়ে তাদের সকলের স্থান হয় জেনিনের এক শরণার্থী শিবিরে। নিজ ভূখণ্ডে থেকেও তারা হয় বিতাড়িত, আশ্রিত। নিজ ভূখণ্ডে থাকার জন্য তাদের কার্ড বহন করতে হয়। প্রকৃতির কী অদ্ভুত বিচার! সে শরণার্থী শিবিরেই জন্ম হয় হাসান-ডালিয়ার কন্যা আমালের। ছোটোকাল থেকেই আমাল শুনে এসছে তার পৈতৃক বাড়ির কথা। সেখানের তীন জয়তুন ফলের কথা। ফি লি স্তি নের সমুদ্রের কথা। ৪০ প্রজন্ম পর কীভাবে তারা উচ্ছেদ হলো নিজ ভূমি থেকে সেসব ইতিহাস শুনে এসেছে। কল্পনা করেছে একদিন আবার ফিরে যাবে সেই গ্রামে। সেই সুবাস ভরা আপন ভূমিতে। এই আশায় ক্যাম্পের কত মানুষ আছে হিসেব নেই। আশায় থাকতে থাকতে প্রাণ ত্যাগ করেছে কতজন। আমালের জীবনটা ছিল স্বপ্নের। রাজা রানী কিংবা রাজকন্যার মতো সেই স্বপ্ন না। তার এবং তার বান্ধবী হুদার স্বপ্ন ছিল একদিন তারা ফিরে যাবে তাদের আপন ভূমিতে। জেনিনের সকালগুলো শুরু হতো এই প্রত্যাশায় এই বুঝি এলো কোনো সুসংবাদ। শান্তি চুক্তি হলো বুঝি। কিন্তু সে আশার বাস্তবায়ন ছিল মরীচিকার মতো। আমালের শৈশবের সেই ক্যাম্পেও একদিন হা ম লা হলো। সেই সাথে তছনছ হয়ে গেলো আমালের পরিবার। বাবা হারিয়ে গেলো। হারিয়ে গেল বড়ো ভাইও। আর তার মা বেঁচে থেকেও কেমন বদলে গেল। বাবার স্বপ্ন পূরণে আমাল সব কষ্ট ভুলে সামনে এগোনোর প্রত্যয়ে জেনিন ছেড়ে এলো কুদসে লেখাপড়ার জন্য। সেখানে চার বছর অতিবাহিত করে চলল আমেরিকায় উচ্চ শিক্ষার জন্য। এর মাঝেই কতশত হা ম লা, বুলডোজার দিয়ে তাদের প্রাণের পবিত্র ভূমি আঘাতপ্রাপ্ত হলো তার ইয়ত্তা নেই। আজ যাকে শ্বাস নিতে দেখেছে আগামীকাল সেই হয়তো চাপা পরে যায় কোন বিল্ডিংয়ের স্তূপের নিচে। আমাল একদিকে তার জন্ম পরিচয়, অতীত থেকে চাইছিল সব ভুলে সামনে এগোতে। আবার কখনো অতীত তাকে স্মৃতিকাতর করে দিত। মনে পড়ত তার বাবার কথা, ভাইয়ের কথা, তার প্রতি মায়ের সেই লুকোনো ভালোবাসার কথা, হুদার কথা যার সাথে শৈশবের পুরোটাই কাটিয়েছে। ফিলাডেলফিয়ায় এসে সে এমি হয়ে গেলেও আসলে সে ছিল ফি লি স্তি নে র স্বপ্নালু সেই ছোট্ট আমাল। জীবন যখন আমেরিকার ব্যস্ততায় একঘেঁয়ে, একলা তখন আবার সে ফিরে পেলো তার হারিয়ে ফেলা অস্তিত্বকে। ভাই এবং ভাইয়ের বউ ফাতিমার ডাকে আবার চললো সে লেবাননে। বৈরুতের এক শরণার্থী শিবিরে তার ভাই, ভাবী এবং তাদের সদ্যজাত সন্তানকে নিয়ে নতুন এক জীবন শুরু করলো। তখনো অব্যাহত ছিল শান্তি রক্ষার অপারেশনের নামে একক রাষ্ট্র ঘোষণা করা ই স রা য়ে লী দে র হ ত্যা, লুটপাট। তাদের মুডের উপর নির্ভর করতো ফি লি স্তি নি দের জীবন (ঠিক না ৎ সি বাহিনীর করা কান্ডগুলোর মতো না!)। সারা বিশ্ব, জাতিসংঘ সাহায্য এবং যু দ্ধ বন্ধের নামে যেখানে শুধু মিথ্যে আশার বাণী দেখিয়ে যাচ্ছিলো। এই সংঘাতের মাঝেই আমাল খুঁজে পেয়েছিল তার জীবন সঙ্গীকে। মাজিদ তার জীবনকে ভালোবাসায় ভরিয়ে তুলেছিল। নিজ ভূমিতে শরণার্থী হিসেবে হলেও এখানেই থাকার আশা করে ঘর বেঁধেছিল সে। কিন্তু সে যে ফি লি স্তি নি! সুখ তাদের জীবনে এক সেকেন্ডের সঙ্গীও না। আবার শুরু হলো ই স রা য়ে লী সৈন্যদের বো মা হা ম লা, নিমিষেই গুড়িয়ে, নিশ্চিহ্ন করে দিচ্ছিল একের পর এক এলাকা। তাদের মানচিত্র ছোটো করে গড়ছিল ই স রা য়ে ল নামক রাষ্ট্রের মানচিত্র। মাত্র এক বর্গকিলোমিটার এলাকায় বাস করতো ৪৫ হাজার ফি লি স্তি নি। সেটাও অকস্মাৎ হা ম লা য় কমে আসতো। কমে আসতো সেখানের জনসংখ্যা। বিভিন্ন স্থানে হা ম লা র পাশাপাশি ই হু দী রা ছাড় দেয়নি হাসপাতালও! সেখানেও ধ্বং স য জ্ঞ চালায় সাদা চামড়ার এই সৈন্যরা। আর পুরো পৃথিবী তখন নীরব। শক্তিশালী দেশগুলো নীরব সমর্থন দিয়ে যায় তাদের। প্রচার করে "হুমকির মুখে ই স রা য়ে ল"! ফি লি স্তি নে র মুসলিমেরা স ন্ত্রা সী, তারা হ ত্যা করে ই হু দী দের। যারা এসব খবর প্রচার করতো কেউ এই স্থানে এসে দেখে যায়নি। খবর লিখে ফেলতো ইশারায়! যারা দর্শন দিয়ে গেছে অত্যাচারিত এই মানুষগুলোর অবস্থা তারাই যে ক’জন পারতো কিছু খবর বাইরের দুনিয়ায় দিতো। কিন্তু তাতে প্রতিনিয়ত মৃ ত্যু র মুখে থাকা এই নিরপরাধ মানুষদের কোনো উপকার-ই হতো না। অন্তঃসত্ত্বা আমাল এই বিরূপ অবস্থায় আবার পাড়ি জমায় আমেরিকায়। এসে নিজের ভাই, ভাবী, স্বামী, ছোট্ট ভাতিজি এদেরকেও এদেশে নিয়ে আসার ব্যবস্থা করতে থাকে। এরমধ্যেই ঘটে যায় পরপর অনেকগুলো ঘটনা। যা অবশ্যই দুঃখের সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না। আমালের জীবনের সকল সুখ এক মুহূর্তে শেষ হয়ে যায়। শেষ হয়ে যায় তার আবার ফিরে পাওয়া পরিবার। নিজেকে আবার গুটিয়ে নেয় সে পশ্চিমা সেই দেশে। এরপর কেটে যায় আরো অনেকগুলো বছর। ছোট্ট আমাল হয়ে ওঠে এক কন্যার জননী। যে তার মায়ের মতো সমস্ত ভালোবাসা লুকিয়ে মানুষ করেছে তার মেয়েকেও। সেই বেদুইন কন্যার সন্তান হয়ে আমালও নিজেকে গুটিয়ে রাখতো তার মেয়ে সারার থেকে। ইসমাইল, যাকে সেই ছোটোবেলা হারিয়ে ফেলেছিল তার মা। যার মুখে ছিল একটি ক্ষতচিহ্ন। সে কোথায়? হারিয়ে গিয়েছিল না অন্য ঘটনা? এভাবেই কেটেছিল আমালের জন্মের বহু বছর আগে থেকে শুরু হওয়া এক উচ্ছেদের আখ্যান। যা এখনও চলমান। ১৯৪১ থেকে প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে ফি লি স্তি নের মানুষ আশা করে যাচ্ছে তারা আবার ফিরে যাবে জেরুজালেমে। কিংবা মৃ ত্যুর জন্য দিন গুনতে হবে না। সুদিন ফিরিয়ে দিবে সৃষ্টিকর্তা। পাঠ প্রতিক্রিয়া: ❝মর্নিংস ইন জেনিন❞ (বাংলাভাষায় এর অনুবাদ এর নাম ❝সুপ্রভাত ফি লি স্তি ন❞) বইটি সুজান আবুলহাওয়া এর লেখা অসাধারণ একটি বই। যে বইয়ের সব চরিত্র কাল্পনিক হলেও স্থান, ঘটনা, ইতিহাস সবকিছু বাস্তব, দিনের আলোর মতো সত্য। লেখিকা ফি লি স্তি নি আমেরিকান। উপন্যাসটিকে সাহিত্যের আলোকে বিচার করা থেকে ঐতিহাসিক এবং বর্তমানের কঠিন সত্যের আলোকে বিচার করাটাই যৌক্তিক। আসলে কিছু বইয়ের কোনো পাঠ প্রতিক্রিয়া হয় না। এই বইটিও তেমন একটি বই। বইয়ের প্রতিটি পাতা সাগর সমান দুঃখ, কষ্ট, বেদনার প্রতিচ্ছবি। তাদের দুর্দশার একটা চিত্র মাত্র। যা পাঠ করেই আপনি শিউরে উঠবেন। ভাবতে হবে, কীভাবে তারা যুগের পর যুগ ধরে সয়ে আসছে। কীভাবে হাসিমুখে মৃ ত্যু কে আলিঙ্গন করে নিচ্ছে। স্ত্রী কীভাবে হারিয়ে ফেলছে তার ভালোবাসার সঙ্গীকে, একটা হাসোজ্জ্জল পরিবার মুহূর্তই গুড়িয়ে যাচ্ছে বুলডোজারের নিচে। আজ এতো বছর বাদেও সম্প্রতি ঘটে যাওয়া হা ম লা র যে দৃশ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বদৌলতে দেখতে পেয়েছি সেগুলো বিশেষ পরিবর্তন হয়নি, পরিবর্তন কিছু হয়ে থাকলে সেটা হলো আরো আধুনিক মা র ণা স্ত্রের সংযোজন হয়েছে। লা শে র মিছিল, গণ ক ব র, আল্লাহর নামে নিজেকে সঁপে দেয়া সবকিছু এখনো একই রকম আছে। একইরকম আছে মুসলিম রাষ্ট্রগুলো- নিশ্চুপ, নির্বাক। ❛আমাদের উপর দিয়ে তো যাচ্ছে না, ভাই বেঁচে গেছি❜ এমন ভাবধারায় চোখে ইটের চশমা লাগিয়ে দিন কাটিয়ে দিচ্ছে সবাই। আমালের পরিবার সহ তার পরিচিত গণ্ডির সবাই পুরো দেশের একটা ছোট্ট উদাহরণ মাত্র। আমালের সেই পার করা সময়গুলো নিদারুণ কষ্টের হলেও তার মাঝেই হাসির খোরাক খুঁজে নিতো তারা। হোস্টেল জীবনে খাবারের মধ্যে পাওয়া তেলাপোকা কে কত বেশি পায় বা ভুল করে পোকা শুদ্ধ খাবারই গিলে ফেলে এই নিয়ে তারা প্রতিযোগিতা করতো! ভাবতে পারেন? খাবার, নিরাপদ বাসস্থান বা একটু মজার খাবার যেখানে ঈদের চাঁদের মতো ছিল। কদিন আগেই ফেসবুকের একটা ভিডিওতে দেখলাম, ফি লি স্তি নি এক পিতা তার ছোট্ট কন্যাকে ভয় থেকে দূর করতে শেখাচ্ছেন সেখানে অনবরত হতে থাকা বো মা বি স্ফো র ণে র শব্দগুলো নিছক এক খেলার অংশ। ভয়াবহ সে শব্দ হলে হাততালি দিতে বা খুশি হতে! বেঁচে থাকার কী এক করুণ তরিকা! মনসুরের মতো কিশোর বয়সেই অকথ্য নি র্যা ত নের শিকার কেউ যখন আমেরিকায় পাড়ি জমিয়ে অনুভব করতে পারে কেউ মৃ ত্যু, শঙ্কা, হঠাৎ হা ম লা হবার মতো ঘটনা ছাড়াও নিরাপদে বাস করতে পারে, জীবনকে নিজের খুশিমতো চালাতে পারে তখন তারা অবাক হয়। আর পাঠক হয়ে আমি ভাবি সাধারণ একটা জীবনের তাগিদও তাদের কাছে সাত রাজার ধন পাওয়ার মতো! প্রকৃতির কী অদ্ভুত খেলা। যেখানে অ ত্যা চা রী সিমপ্যাথি পাচ্ছে আর নিপীড়িত মানুষ পাচ্ছে স ন্ত্রা সী র তকমা। আর বিশ্ববাসী পক্ষ বিপক্ষ কিংবা নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছি। বইয়ের প্রতিটি পাতায় পবিত্রভূমির মানুষদের কঠিন এই জীবনের বর্ণনা আছে। একজন ই স রা য়ে লীর বিপরীতে যেখানে ৪০ কিংবা তারও বেশি ফি লি স্তি নি র প্রাণ হারাতে হয় সেখানে জীবনের মূল্য কতটুক? একজন সাধারণ নাগরিক হয়ে তাদের দুর্দশার জন্য সৃষ্টিকর্তার দরবারে দোয়া ছাড়া আমার কিছু করার সাধ্য হয়তো নেই। তাদের দুঃখ দুর্দশার কাহিনি পড়ে কিংবা চিত্র দেখে তাদের দুঃখের ভাগীদার হওয়া আসলে যায় না। যুগের পর যুগ তারা যেমন স্বাধীন এবং নিরাপদ জীবনে ফিরে যাবে এই প্রত্যয় নিয়ে সকাল শুরু করে তেমন আশা হয়তো আমিও করতে পারি। কিন্তু স্বপ্ন শুধু তাদের জন্য স্বপ্নই রয়ে যাচ্ছে। এখনও সেখানে সকাল হয়, তবে সকালগুলো স্বস্তির হয় খুব কম-ই। আমাল, হুদা, ইউসুফ কিংবা সারা এর মতো শত শত মানুষ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে তুলতে হয়তো কোনো একদিন কেউ নিরাপদে দিনের শুরু করে বলতে পারবে, ❛সুপ্রভাত ফি লি স্তি ন❜! অনুবাদ: নাজমুস সাকিব এর করা অনুবাদ খারাপ লাগেনি। মূলত বইয়ের সাথে নিজেকে এত বেশি জড়িয়ে ফেলেছিলাম যে অনুবাদের ভাষার দিকে নজর যায়নি। পড়ার সাথে সাথে বর্তমানের তুলনা এবং দৃশ্যগুলো যেন চোখে ভাসছিল। আমার কাছে ফি লি স্তি নের মানুষেরা ফিনিক্স পাখির মতো। জ্বলে পুড়ে গিয়েও তারা ভস্ম থেকে বেরিয়ে আসে নতুন করে বাঁচার প্রত্যয় নিয়ে কিংবা হাসিমুখে কপালে বুলেট নিয়ে। প্রতিবাদ করতে কচি কাচারাও বিশাল ট্যাংকের সামনে পাথর নিয়ে প্রতিরোধ করে। বিনিময়ে হাসিমুখে বরণ করে নেয় মহাকালের পথ। বই: সুপ্রভাত ফি লি স্তি ন লেখিকা: সুজান আবুলহওয়া অনুবাদক: নাজমুস সাকিব প্রকাশনী: নবপ্রকাশ
Was this review helpful to you?
or
পাঠ্য তালিকায় বেশ অনেকগুলো বই-ই পড়ে আছে। শেষ বইটি পড়া শেষে ভাবছিলাম এবার কোনটি পড়া যায়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফিলিস্তিন নিয়ে এত এত লেখালেখি ও মিডিয়ায় ফিলিস্তিনের চলমান অবস্থা দেখে অবশেষে সিদ্ধান্ত নিলাম "সুপ্রভাত ফিলিস্তিন" বইটি পড়ার এবং ফিলিস্তিনের ইতিহাস সম্পর্কে জানবার। "সুপ্রভাত ফিলিস্তিন" বইটি ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভূত লেখিকা সুজান আবুলহাওয়ার লেখা "Mornings in Jenin" বইয়ের অনুবাদ। যা যুদ্ধ ও ভালোবাসার গল্প, মৃত্যুপুরীর মধ্যে বেঁচে থাকার গল্প, যুগ যুগ ধরে নিপীড়িত ফিলিস্তিনিদের গল্প। Mornings in Jenin ফিলিস্তিনের শহর জেনিনের একটি গ্রামের গল্প। ত্বীন আর যায়তুন গাছে আচ্ছাদিত এক ছায়া সুনিবিড় গ্রাম আইনে হুজ। কিন্তু এ গল্প কি কেবলই আইনে হুজের? না, এ গ্রন্থ গল্প বলেছে পুরো ফিলিস্তিনের, ফিলিস্তিনের মুক্তি সংগ্রামের আদি-অন্ত বর্ণনা করেছে ভালোবাসার টলটলে চোখে। সেই বর্ণনায় উঠে এসেছে সংগ্রাম, আত্মদান, ভালোবাসা, প্রেম, প্রতীক্ষা, এবং ফিলিস্তিনের প্রতিটি রক্তবিন্দুর বুকফাটা আর্তনাদ। ৭০ বছরের নিরন্তর প্রতীক্ষা। জন্মভূমি থেকে বিতাড়িত হয়ে জেনিনের জলপাই বাগানে তারা যাপন করছে তাঁবুজীবন। প্রজন্মের পর প্রজন্ম এসে দাঁড়িয়েছে আল-কুদস এর আঙিনায়। একদিন ফিরে পাবে হৃদয়ের হৃত জমিন। প্রতিটি ভোর এসে তাদের কানে শুনিয়েছে বিজয়ের নাকারা। এখনো প্রতিনিয়ত মিছিল হয় শহীদদের নিয়ে, এখনো বিধবা হন ফিলিস্তিনের নারীরা, মায়েরা সন্তানের ছবি বুকে নিয়ে বসে থাকেন অধীর আগ্রহে - কবে ইসরায়েলের কারাগার থেকে মুক্তি পাবে তার কলিজার টুকরা। এখনো সারার মতো নির্ভীক হুংকার তোলে আহেদ তামিমিরা। এখনো পত্রিকায় কিংবা টিভি পর্দায় ভেসে ওঠে মনসুর এর মতো কত শিশুর ছবি। চোখ বেঁধে তাকে নিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি সৈন্যরা। এখনো দেখতে পাই জামিল এর মতো কিশোরেরা পাথর ছুড়ছে ইসরায়েলি ট্যাংক অথবা সৈনিক লক্ষ্য করে। তারপর হয়তো লুটিয়ে পড়ছে রক্তাক্ত দেহ মাটির ওপর। বইটি পড়ার সময় মনের অজান্তেই চোখ বেয়ে নেমে এসেছে নোনাজল। হৃদয়গৃহে তৈরি হয়েছে এক অদ্ভূত হাহাকার, বেদনা, ভালোবাসা, ক্রোধ। কতটা নিষ্ঠুর ইসরায়েলি সৈন্যরা! কতটা বর্বর ইয়াহুদি জাতি! ফিলিস্তিনিদের দুরাবস্তার কথা পড়ছিলাম আর ভাবছিলাম - রাব্বে কারীম আমাদের কত কত নিয়ামতে ডুবিয়ে রেখেছেন, আলহামদুলিল্লাহ। আমাদের স্বাধীন একটি দেশ আছে, একটি পতাকা আছে। মুক্ত বাতাসে স্বাধীনভাবে নিশ্বাস নিতে পারছি আমরা। অন্তত ফিলিস্তিনিদের মতো অবস্থা আমাদের নেই। আলহামদুলিল্লাহ, ছুম্মা আলহামদুলিল্লাহ। فباى الاء ربكما تكذبان ❓ ❤️ ফিলিস্তিন আমাদের ভালোবাসা। আমাদের প্রথম কিবলা আকসার দেশ। যেখান থেকে আমার প্রিয় রাসূল (সা) سيد المرسلين উপাধির সত্যতা লাভ করেছিলেন। যেখান থেকে তিনি মিরাজে গমন করেছিলেন। যেখানে ০১ রাকাত সালাত আদায় করলে ৫০০ রাকাত সালাত আদায় করার সাওয়াব পাওয়া যায়, سبحان الله। অসংখ্য নবী-রাসূলের পদচারণা ছিল যেখানে। স্রষ্টার বিশেষ দানে ধন্য যে ভূমি। সেই পবিত্র ভূমিকে এক প্রকার জাহান্নামে পরিণত করেছে মুসলিম উম্মাহর সবচেয়ে বড় শত্রু ইয়াহুদিরা, দখলদার ইসরায়েলিরা। 'ফিলিস্তিন' বুকের গভীরে লুকানো ক্ষত। সেই ক্ষতকে নতুন করে অনুভব করাবে এই বই। জাগিয়ে দেবে বুকের ভেতর লুকিয়ে থাকা ভালোবাসাকে। এ পর্যন্ত ২৬টি ভাষায় অনূদিত এ উপন্যাসটি জন্মভূমির জন্য ফিলিস্তিনের মানুষের ভালোবাসার এক অবদমিত দলিল হয়ে প্রতিভাত হয়েছে বিশ্বজুড়ে। ফিলিস্তিনের বুকে উদয় হোক এক নতুন সূর্যের, এক নতুন ভোরের। যেই ভোরের সোনালি সকালে থাকবে না ইসরায়েলি সৈন্যের পদচারণা, থাকবে না দুশ্চিন্তার কোন রেখা। যেদিন ফিলিস্তিনি শিশুরা স্বাধীনভাবে ত্বীন আর যায়তুনে ঘেরা নির্মল বাতাস থেকে শ্বাস নেবে বুক ভরে, সেদিন হবে সত্যিকার - সুপ্রভাত ফিলিস্তিন ? ❤️। সেই অস্ত্র আমাকে ফিরিয়ে দাও যে অস্ত্র ব্যাপ্ত হলে নক্ষত্রখচিত আকাশ থেকে আগুন ঝরবে না মানব বসতির বুকে মুহূর্তের অগ্নুৎপাত লক্ষ লক্ষ মানুষকে করবে না পঙ্গু-বিকৃত আমাদের চেতনা জুড়ে তারা করবে না আর্তনাদ সেই অস্ত্র যে অস্ত্র উত্তোলিত হলে বারবার বিধ্বস্ত হবে না ফিলিস্তিন।।
Was this review helpful to you?
or
জাস্ট অসাধারণ।
Was this review helpful to you?
or
Excellent read! I have read both English
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ হৃদয়গ্রাহী রচনা।
Was this review helpful to you?
or
খুব ভালো লাগছে বইটা? এমন বই বাংলায় আরো অনুবাদ হওয়া প্রয়োজন
Was this review helpful to you?
or
????
Was this review helpful to you?
or
Good book to read.
Was this review helpful to you?
or
বইটি ফিলিস্তিনের শহর জেনিনের একটি নিপিড়ীত গ্রামকে ঘিরে লেখক পুরো দীর্ঘ একটি গল্প সাজিয়েছেন। যার মাধ্যমে ১৯৪৮ সাল থেকে শুরু করে ২০০২ পর্যন্ত ফিলিস্তিনের অবস্থা তুলে ধরেছেন। অথবা মাঝেমধ্যে বুঝা গেছে লেখক বাস্তব ইতিহাসই বর্ণনা করেছেন। নিপিড়ীত হওয়া মাজলুৃম ফিলিস্তিনিদের ইতিহাস। পুরো এক প্রজন্মের গল্প। যারা হারায় তাদের আত্মীয়-স্বজনদের, একে একে সাবাইকে হারিয়ে ফেলে। একে একে ধ্বংস হয়ে যায় পুরো এক প্রজন্ম। দীর্ঘ ৭০ বছর ধরে নিপিড়ীত হয়ে আসছে ফিলিস্তিনের মানুষ। লেখক বইটিতে নিপিড়ীত হওয়া ফিলিস্তিনিদের অবস্থা তুলে ধরেছেন। বইটি পড়লে দীর্ঘ ৭০ বছড় ধরে নিপিড়ীত হয়েছেন ফিলিস্তিনিদের অবস্থা জানা যাবে খুব ভালোভাবে।
Was this review helpful to you?
or
এ পর্যন্ত ২৬ টি ভাষায় অনূদিত এ উপন্যাসটি জন্মভূমির জন্য ফিলস্তিনের মানুষের ভালোবাসার এক অবদমিত দলিল হয়ে প্রতিভাত হয়েছে বিশ্বজুড়ে। অনেক কিছু জানলাম বইটির মাধ্যমে। ধন্যবাদ
Was this review helpful to you?
or
এটা বেশ সুন্দর অটো-বাইওগ্ৰাফিক বই
Was this review helpful to you?
or
কি আর বলব আমার হৃদয় ছুঁয়ে গেছে, ?। কখনো চোখের কোণে অশ্রু ফোঁটা আবার কখনো দুই ঠোঁটের ফাঁকে মুচকি হাসি। কখনো হারিয়ে গিয়েছি লেখার মাঝে, নিজেকে আবিষ্কার করেছি আইনে হুজ গ্রামে । প্রতিটি লাইনকে যেন বাস্তবে অনুভব করেছি এবং নিজের মনের মত করে সাজিয়ে নিয়েছি এক অদেখা গ্রামকে। গ্রামের প্রতিটি মানুষের সাথে যেন আমি পরিচিত হয়ে গিয়েছি ( আমালকে ভোলার মতো না ?? ) । আহ, আমার পড়া বেস্ট ইসলামিক উপন্যাস । ?❤️❤️❤️?
Was this review helpful to you?
or
প্যালেস্টাইন নিয়ে উপন্যাস-গল্প-কবিতা-ইতিহাস অনেক পড়া হয়েছে। অনেক ইমেজ, ডকুমেন্টারি, ভিডিও দেখা হয়েছে। কিন্তু এমন কলজেছেঁচা উপন্যাস কখনো পড়েননি। জেনিনের একটি গ্রাম থেকে দূরবীন চোখ দিয়ে প্যালেস্টাইনের ৭০ বছরের ইতিহাসকে উপন্যাসের ফ্রেমে আটকে দেয়া হয়েছে। একটি পরিবারের কাহিনি, একটি পরিবারের চার প্রজন্মের বন্ধন, আত্মত্যাগ, সহমরণ, অবিনাশী চেতনা, প্রেম-ভালোবাসা, হাসি-কান্না—আর এর মাঝ দিয়ে খচ খচ করে কাঁটার মতো রক্তাক্ত করা দানব-নাম—ইসরাইল! না, এ বইয়ে টান টান উত্তেজনার সাসপেন্স নেই। থ্রিলার উপন্যাসের আচমকা কোনো ক্লাইমেক্স দৃশ্য নেই। নেই সাহসী কোনো বীরের গল্প। তবে এ বইয়ের প্রতিজন ফিলিস্তিনি একেকজন বীর। প্রতিজন মা একেকজন খাওলা, একেকজন আসমা। যারা সন্তানের রক্তমাখা শার্ট ফ্রেমে বন্দি করে টাঙিয়ে রাখে ঘরের দেয়ালে। প্রেমিকের জন্য পাঠায় গোলাপ এবং মাথায় বাঁধবার একটি সাদা-কালো কুফেইয়া। ট্যাংক আর যুদ্ধবিমানের ছোঁড়া বোমায় ছিন্ন ভিন্ন দেহের পরিচয় হবে ওটা—আমার স্বামী শহীদ! প্যালেস্টাইনের মুক্তি সংগ্রাম ও মাতৃভূমি হারানোর বিক্ষুব্ধ বেদনাকে ভাষ্য করে সুজান আবুলহাওয়া রচিত ২৫টি ভাষায় অনূদিত বিশ্বব্যাপী আলোড়ন তোলা উপন্যাস ‘মর্নিংস ইন জেনিন’-এর অনুবাদ ‘সুপ্রভাত ফিলিস্তিন’। নাজমুস সাকিব অনূদিত উপন্যাসটি প্রকাশ করছে নবপ্রকাশ।
Was this review helpful to you?
or
প্যালেস্টাইন নিয়ে উপন্যাস-গল্প-কবিতা-ইতিহাস অনেক পড়া হয়েছে। অনেক ইমেজ, ডকুমেন্টারি, ভিডিও দেখা হয়েছে। কিন্তু এমন কলজেছেঁচা উপন্যাস কখনো পড়েননি। জেনিনের একটি গ্রাম থেকে দূরবীন চোখ দিয়ে প্যালেস্টাইনের ৭০ বছরের ইতিহাসকে উপন্যাসের ফ্রেমে আটকে দেয়া হয়েছে। একটি পরিবারের কাহিনি, একটি পরিবারের চার প্রজন্মের বন্ধন, আত্মত্যাগ, সহমরণ, অবিনাশী চেতনা, প্রেম-ভালোবাসা, হাসি-কান্না—আর এর মাঝ দিয়ে খচ খচ করে কাঁটার মতো রক্তাক্ত করা দানব-নাম—ইসরাইল! না, এ বইয়ে টান টান উত্তেজনার সাসপেন্স নেই। থ্রিলার উপন্যাসের আচমকা কোনো ক্লাইমেক্স দৃশ্য নেই। নেই সাহসী কোনো বীরের গল্প। তবে এ বইয়ের প্রতিজন ফিলিস্তিনি একেকজন বীর। প্রতিজন মা একেকজন খাওলা, একেকজন আসমা। যারা সন্তানের রক্তমাখা শার্ট ফ্রেমে বন্দি করে টাঙিয়ে রাখে ঘরের দেয়ালে। প্রেমিকের জন্য পাঠায় গোলাপ এবং মাথায় বাঁধবার একটি সাদা-কালো কুফেইয়া। ট্যাংক আর যুদ্ধবিমানের ছোঁড়া বোমায় ছিন্ন ভিন্ন দেহের পরিচয় হবে ওটা—আমার স্বামী শহীদ! বাকিটা নাহয় বই পড়েই জেনে নেবেন,বইপ্রেমিদের ধন্যবাদ।
Was this review helpful to you?
or
ফিলিস্তিনের আদি থেকে অন্ত বুঝতে হলে এই বইটি পড়ার বিকল্প নেই। সংবিধিবদ্ধ সতর্কিকরণঃ চোখের পানি ধরে রাখতে পারবেন না । অনেক সাবলীল অনুবাদ, পড়ার সময় মনেই হবে না যে এটা একাটা অনুবাদ বই । সম্প্রতি বইটির উপর ভিত্তি করে সিনেমা তৈরি হচ্ছে ।
Was this review helpful to you?
or
ফিলিস্তিনের ৭০ বছরের ইতিহাস সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা দিবে , ফিলিস্তিনের প্রতি আপনার লুকানো ভালবাসা হৃদয়ে আঁচড় কাটবে প্রতিটি পাতায় পাতায় । কিভাবে বংশ পরম্পরায় একটি জাতি নির্যাতিত হচ্ছে বারং বার কিন্তুু কেউ দেখার নেই !! শেষ না করলে ভাল লাগবে না । মাত্র ৩৫২ পৃষ্ঠার বইটি ত্রিশ পৃষ্ঠা মনে হবে । লেখিকা সুজান আবুলহাওয়ার অনেক দিনের গবেষণার ফসল বলা যায় । তিনি তথ্য র জন্য অনেক ঐতিহাসিক লেখকের বই ঘাটাঘাটি করেছেন । ধন্যবাদ দিয়ে তার লেখার দক্ষতাকে ছোট করা হবে । অনুবাদক নামুজ সাকিব কে ধন্যবাদ দিয়ে ছোট করবো না , তার অসাধারণ অনুবাদ হৃদয় জয় করতে সময় লাগে না । ইহুদি কর্তৃক নির্যাতিত ফিলিস্তিনের ইতিহাস আমার কাছে অনেকটা আমাদের দেশে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের রোহিঙ্গা জাতির উপর নির্যাতনের মিল পেয়েছি ! দেরি না করে পড়ে ফেলুন । হাদিয়া দেওয়ার জন্য একটি অসাধারণ বই :)
Was this review helpful to you?
or
বইটি যারা পড়েন নি তাদের পড়তে অনুরোধ জানাচ্ছি , এই বই পড়তে পড়তে কখনও মনে ভালবাসা জেগে উঠবে ফিলিস্তিনের প্রতি,তার মানুষের প্রতি আবার বুকের মাঝে হাহকার করে উঠবে ইসরাইলি সন্ত্রাসীদের নির্মমতায়, চোখের কোণে অশ্রু জমা হবে প্রিয়জন হারানোর বেদনায় । সেই সাথে আপনি জানতে কিভাবে পরিবারের ভালোবাসা হার মানে যুদ্ধের নির্মমতা ও আল কুদসের প্রেমের কাছে । এককথায় ১৯৪৫ হতে ২০০২ পর্যন্ত ফিলিস্তিনিদের সাথে ইসরাইল তথা সমগ্র বিশ্ব কিভাবে অন্যায় ও অবিচার করেছে ।