User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
দুজন নারী পুরুষের সম্পর্কের সূত্র ধরে ফিরে দেখা একাত্তর এই উপন্যাসের প্রধান উপজীব্য। দীপুর মুক্তিযােদ্ধা বড় ভাই তপু যুদ্ধের শেষ দিকে সীমান্ত থেকে নিখোঁজ হয়ে যায়। সত্যিই সে শহীদ হয়েছিল কিনা কেউ জানে না। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সরকার ক্ষমতায় এলেও পরিবারটি কোনাে সুযােগ সুবিধা গ্রহণ করেনি বরং এগারাে বছর সরকারি চাকরি করার পরে অজ্ঞাত কারণে। তাকে শাস্তিমূলক বদলি করা হয় মেহেরপুরে। মা বিধবা বড়বােন এবং বােনের ছেলে অতনুকে প্রায় অভিভাবকহীন অবস্থায় রেখে নতুন কর্মস্থলে চলে যায় আসিফ মাহমুদ দীপু। প্রকৌশলী শফিউদ্দিন তালুকদারের শারীরিক মানসিক নির্যাতনে বিপর্যস্ত তার সুন্দরী স্ত্রী মেহনাজ মানসিক আশ্রয় খুঁজে পেয়েছিল আসিফের কাছে। দূর সম্পর্কের লায়লা ভাবীর প্রশ্রয়ে মেহনাজ আসিফের সম্পর্ক যখন দ্রুত ডালপালা বিস্তার করছিল তখন আকস্মিক বিপর্যয়ের মতাে দীপুর অনুপস্থিতি দুজনকেই সার্বক্ষণিক কষ্টের মধ্যে ঠেলে দেয়। মুক্তিযােদ্ধা তপুর বন্ধু এবং সহযােদ্ধা রাশেদ দীপুর মেজবােনকে বিয়ে করে গ্রামেই থেকে গেছে। তার কাছেই সে জেনেছে, শুধু পাকিস্তানিদের সাথে লড়াই নয়, যুদ্ধে যােগ দেয়াটাও কতােটা কঠিন ছিল! মুক্তিযুদ্ধের ভেতরে থেকেও একদল মানুষ ষড়যন্ত্র করে চলেছিল স্বাধীনতা যুদ্ধের বিরুদ্ধে। ‘মেয়েটি যুদ্ধের কথা ভুলে গেছে’ প্রচলিত অর্থে মুক্তিযুদ্ধের উপন্যাস নয়। ১৯৯৭ সালের এপ্রিলে শুরু হওয়া এই কাহিনীতে দীপু এবং মেহনাজের স্মৃতি ও বিস্মৃতি মাঝে মাঝেই আমাদের ফিরিয়ে নিয়ে যায় যুদ্ধের। দিনগুলােতে। যুদ্ধ পরবর্তী বাংলাদেশে বিভ্রান্তি ছড়িয়ে কেমন করে একটি পুরাে প্রজন্মকেই ইতিহাস থেকে দূরে সরিয়ে দেবার ষড়যন্ত্র হয়েছিল এবং শত্রুরা সমাজে প্রাধান্য বিস্তার করেছিল সে কথাও উঠে এসেছে কখনাে দীপু এবং কখনাে তার দৃঢ় ব্যক্তিত্বসম্পন্ন বাবার কথায়। আনন্দঘন এক নিভৃত বিকেলে মুক্তিযুদ্ধ এবং মুক্তিযােদ্ধাদের নিয়ে মেহনাজের নেতিবাচক ধারণা আবিষ্কৃত হবার পরে দুজনের নিবিড় সম্পর্কের মধ্যে হঠাৎই ছন্দপতন ঘটে যায়। আসিফ বুঝতে পারে, তার অবস্থান এখন যুদ্ধ ও প্রেমের একটি মধ্যরেখােয়। রাজনীতির বাইরে দীপু যদি আদিগন্ত বিস্তৃত বাংলাদেশের মাটিতে এসে দাঁড়ায় মেহনাজ কি। তখন তার বৃত্তাবদ্ধ ধারণা থেকে বেরিয়ে এসে পাশে দাঁড়াতে পারবে?
Was this review helpful to you?
or
এই বইটির নাম হওয়া উচিত ছিলো ‘ল্যান্ডফোনের দিনগুলিতে পরকীয়া’ , তাহলেই যথার্থ হত। লেখক দু’জন মানব মানবীর প্রেমের কাহিনী সুনিপুণ দক্ষতায় এঁকেছেন।কিন্তু ঘটনাক্রমে নায়িকা বিবাহিতা। নায়ক কুমার। তো দাঁড়ালো কী পরকীয়া। লেখক খুব সুন্দর লিখেছেন। তার বর্নণা ভঙ্গি চমৎকার।নিয়মিত লিখলে বাংলা সাহিত্য তার হাত ধরেই আরো সমৃদ্ধ হত।তাকে আরো বেশি বেশি লেখার আহবান জানাই।