User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
এক কথায় অসাধারণ।
Was this review helpful to you?
or
খুব ভালো
Was this review helpful to you?
or
I read this book because it was recommended by Reader's Digest as one of the best all time. Needless to say that they weren't wrong. I enjoy reading war
Was this review helpful to you?
or
থ্রীলারধর্মী বই “দ্যা ঈগল হ্যাজ ল্যান্ডেড” তে জ্যাক হিগিন্স জার্মান সেনাবাহিনীর একটি কমান্ডো ইউনিটকে কেন্দ্র করে প্লট সাজিয়েছেন। এখানে তাদেরকে দেখা যাবে জার্মানীর চ্যান্সেলর এডলফ হিটলারের ইচ্ছাকে বাস্তবায়িত করতে এমন এক কমান্ডো মিশনে সামিল হতে যেখানে সফলতার ভাগ অসম্ভবের কোঠায়। মিশনটা কি? খোদ ইংল্যান্ডের মাটি থেকেই ইংল্যান্ডের প্রধান মন্ত্রী উইনস্টন চার্চিল কে অপহরণ করে হিটলারের সামনে হাজির করা। বিশ্ব যুদ্ধের মোড় ঘুরিয়ে দিতে, মিত্র শক্তির মনোবল গুড়িয়ে দিতে হিটলারের এই প্লান সফল করতে হলে কমান্ডোদের কি কি প্রস্তুতি প্রয়োজন পড়বে? কি কি সাহায্য দরকার হবে? কীভাবে বাস্তবায়িত হবে এমন ভয়ানক প্ল্যান? গেস্টাপো প্রধান হেনরিক হিমলার এর চাপে রাজী হয়ে লেফটেন্যান্ট কর্নেল কার্ট স্টাইনার এর নেতৃত্বে সাহসী কিছু জার্মান তরুণ প্রবেশ করে নরফোকের মাটিতে। কারিগরী সহায়তায় থাকে লিয়াম ডেভলিন ও জোয়ানা গ্রে নামক দুই গুপ্তচর। জার্মানীর মাটিতে বসে প্ল্যানের পুরোভাগে থাকে ম্যাক্স র্যা ডল তার সহকারী সার্জেন্ট কার্ল হোফার। হিটলারের এই অসম্ভব চাওয়াকে বাস্তবায়িত করা গিয়েছিল কি? একের পর এক টুইস্ট এর ভিতর দিয়ে পাঠকের জন্য অপেক্ষা করে এর উত্তর! আদী প্রকাশনীর অনুবাদ সবসময়েই ভালো মানের হয়ে থাকে। এই বইটিও তাঁর ব্যতিক্রম নয়। মাঝে মধ্যে কিছু বানান ভুল থাকাটা স্বাভাবিক। বইটির প্রচ্ছদটা দৃষ্টিনন্দন। মূল বইয়ের প্রচ্ছদের আদলেই করা হয়েছে। অনুবাদের মান খুবই সাবলীল। সবশেশে বলা যায়, বিশ্বযুদ্ধে মিত্র পক্ষ নিয়ে অনেক বই লেখা হলেও জার্মানীর সেনা বাহিনিকে কেন্দ্র করে এমন রচনা কমই বলা যায়। জ্যাক হিগিন্সের এই ফ্যান্টাসী টাইপ বইটি সব শ্রেণির পাঠকের জন্য সুখপাঠ্যের উপকরণ নিঃসন্দেহে।
Was this review helpful to you?
or
In November of 1943, an elite team of Nazi paratroopers descends on British soil with a diabolical goal: to abduct Winston Churchill and cripple the Allied war effort. The mission, ordered by Hitler himself and planned by Heinrich Himmler, is led by ace agent Kurt Steiner and aided on the ground by IRA gunman Liam Devlin. As the deadly duo executes Hitler’s harrowing plot, only the quiet town of Studley Constable stands in their way. Its residents are the lone souls aware of the impending Nazi plan, and they must become the most unlikely of heroes as the fate of the war hangs in the balance.
Was this review helpful to you?
or
অত্যন্ত আকর্ষণীয়, পড়া না হয়ে থাকলে আসলেই পরিতাপের বিষয়।
Was this review helpful to you?
or
ঈগল। পাখিদের মধ্যে সবচাইতে বড় শিকারি পাখি। হাজার ফুট উপর থেকে ঝাঁপিয়ে এসে নির্দিষ্ট শিকারকে ছোঁ মেরে নিয়ে যায় কিছু বুঝে উঠার আগেই। দ্য ঈগল হ্যাজ ল্যান্ডেড তেমনই একদল দুর্ধর্ষ মানুষের গল্প যারা ঈগলের চাইতে কোন অংশে কম শিকারি নয়। পোড়খাওয়া, জীবনের প্রতি বিতৃষ্ণা চলে আসা, ভাগ্যের ফেরে চক্রান্ত আর বিশ্বাসঘাতকতার আসামী হওয়া একদল নির্বাসিত দুর্দান্ত সৈনিকের ত্যাগের গল্প। কাহিনী সংক্ষেপঃ বন্ধু মুসোলিনিকে উদ্ধার করে নিয়ে আসার জন্য কমান্ডো পাঠালেন হিটলার, অসম্ভব এই কাজকে সম্ভব করল অটোস্করযেনি নামের এক দুর্ধর্ষ কমান্ডো।স্করযেনির এই সাফল্যে আশাবাদী হয়ে উঠলেন হিটলার । তিনি এবার চেয়ে বসলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী উইনস্টন চার্চিলকে! ফুয়েরারের সেই চাওয়া পূরণ করতে, ইংল্যান্ডের নরফোকে প্যারাস্যুট নিয়ে অবতরণ করল একদল জার্মান কমান্ডো। তাদের নেতৃত্ব দিচ্ছেন লেফটেন্যান্ট কর্নেল কার্ট স্টাইনার। ঈগল কি ধরে নিয়ে আসতে পারবে চার্চিলকে, পাল্টে দিতে পারবে মহাযুদ্ধের গতিপথ? নাকি ব্যর্থ হবে তাদের মিশন? ঈগলরা কি পেরেছিলো তাদের শিকারকে ছোঁ মেরে নিয়ে যেতে? জানতে হলে পড়তে হবে। ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত এ বছর ৭-৮টার বেশি বই শেষ করতে পারিনি। সর্বশেষ পড়েছিলাম শেলডনের ইফ টুমরো কামস। টানটান থ্রিলার শেষ করে ভাবছিলাম যে এমন আর কোন বই পাবো কিনা কে জানে যে বই চোখ সরাতেই দেবে না পৃষ্ঠা থেকে? ভুল ভেবেছিলাম। এক্ষেত্রে এই বইয়ের খোঁজ কোথায় পেলাম সে ব্যাকগ্রাউন্ডটা একটু বলি- ফেবুর বইলাভার গ্রুপগুলায় দেখলাম এক মেম্বার শেখ আব্দুল হাকিমের রুপান্তর ‘কামিনী’ বইটা নিয়ে পোস্ট দিয়েছেন (সম্ভবত; যদ্দুর মনে পড়ে) পিডিএফ চাইলাম। উনিও ইনবক্সে সাথে সাথেই দিয়ে দিলেন, তারপর আবিস্কার করলাম দুইজনেই রিয়াল মাদ্রিদ আর রোনালদো ফ্যান। রিকু পাঠাতে দেরি করলাম না। এর পরে দেখলাম ভাইজান লেখালেখির জগতে আছেন আবার বইমেলায় প্রকাশিতব্য বইয়ের পোস্টও দিচ্ছেন নিয়মিত; বুকস্ট্রিটের পেজেও প্রি-অর্ডার পোস্ট আসছিলো। তখনই বইয়ের কাহিনীটা পছন্দ হয়ে গেলো। মিলিটারি থ্রিলার তাও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়কার- মিলিটারি সংক্রান্ত যে কোন ব্যাপারেই আমার আগ্রহ। মেলায় গিয়েও কিনে আনলাম। পড়া শুরু করেই টের পেলাম আটকে যাচ্ছি আঠার মত। মিলিটারি থ্রিলার কিন্তু ধুন্ধুমার অ্যাকশন নেই দেড়-দু’শ পৃষ্ঠা পর্যন্ত। কিন্তু কাহিনী যেভাবে সেদিকে এগুচ্ছে, আর চরিত্রগুলো চোখের কাছে চলে আসছে; বই শেষ করতে সময় লাগবে না বুঝে গেলাম। লেখকের লেখনীর কারিশমায় প্রায় ভুলেই গিয়েছিলাম যে যুদ্ধে জার্মানি ছিলো মানবতার শত্রুপক্ষ। কিন্তু সেই জার্মান চরিত্রগুলোই নায়কোচিত রূপে ধরা দিচ্ছে চোখে, না চাইতেও একাত্ন হয়ে যাচ্ছি স্টাইনারের ব্যক্তিত্ব-বীরত্বের, হাইনরিখ হিমলার নামের গেস্টাপো প্রধানের শীতল নিষ্ঠুরতা আর জার্মানদের; জার্মান সৈনিকদের হার না মানা দুর্দমনীয় মনোভাব আর পেশাদারিত্ব, দেশের প্রতি দায়িত্ববোধ আর তীব্র জাতীয়তাবোধ যেন বাধ্য করছিলো আমাকে কাছে টানতে। শেষের দিকে চাইছিলামও যেন জয় শেষপর্যন্ত কার্ট স্টাইনারেরই হয়। হোক সে জার্মান, হোক সে হিটলার নামক উম্মাদের ভৃত্য কিন্তু সে-ই আমার হাতে ধরা বইয়ের সব চাইতে আকর্ষণীয় চরিত্র- যার মাঝে মিশে আছে একই সাথে নিষ্ঠুরতা আর অদ্ভুত এক মানতাবোধ। বইয়ের শেষের দিকে শত্রু পরিবেষ্টিত অবস্থায় এই ডায়লগটা পড়ে বুকের মধ্যে খচ করে উঠেছিলো যখন স্টাইনার তার অবশিষ্ট বেঁচে থাকা সঙ্গীদের বলে- ‘আরেকটা লড়াই ছাড়া তোমাদের দেয়ার মত আর কিছু নেই আমার।’ মৃত্যু নিশ্চিত জেনেও হাল ছাড়ে না, হার মানে না, মাথা নোয়ায় না- লেফটেন্যান্ট কর্নেল ওবার্স্ট কার্ট স্টাইনার। বইটা মূলত #লিয়াম_ডেভলিন নামক সিরিজের প্রথম বই। এর পরে আরো ৩টা বই লিখেছেন হিগিন্স যার মূল চরিত্র এই লিয়াম ডেভলিন নিজেই কিন্তু তাকে ছাপিয়ে দ্য ঈগল হ্যাজ ল্যান্ডেডের আসল নায়ক স্টাইনারই। বইয়ের যা ভালো লাগেনিঃ প্রেডিক্টেবল হয়ে গিয়েছিলো বইটা শেষের দিকে। তাতে অবশ্য পড়ার মজা কমেনি বিন্দুমাত্রও। মূল ঘটনা শেষ হওয়ার পরে অবসাদগ্রস্ত হয়ে গিয়েছিলাম যেন। লেখকের বই লিখতে গিয়ে নিজের অভিজ্ঞতাগুলো পড়তে কিছুটা ইচ্ছে করছিলো না। কিন্তু তবুও পড়ে গেছি। বইয়ের শেষে নির্ঘন্ট যুক্ত করে অনুবাদক ইমতিয়াজ আজাদ ভাই দারুন একটা কাজ করেছেন। ছোট ছোট হিস্টোরিক্যাল/মিলিটারি টার্ম হলেও ব্যাকগ্রাউন্ড জানা না থাকলে বইটার পুরো স্বাদ নিতে পারতাম না। আর অনুবাদের কোয়ালিটির কথা বলে আর রিভিউ বড় করবো না জাস্ট এতটুকুই বলি- জ্যাক হিগিন্স নিজেই যদি বাংলায় লিখতো উপন্যাসটা তাহলে ঠিক এইভাবেই লিখতো। অসাধারণ একটা বই শেষ করার পরে মোহগ্রস্ত হয়ে থাকার একটা বদ অভ্যাস আছে আমার। কাইন্ড অফ অবসেশনে ভুগি পরের কয়েকটা দিন। শেষ এমন হয়েছিলো সিক্স অফ ক্রোজ পড়ার পড়ে। আবার হলো এখন।
Was this review helpful to you?
or
Shahrul Islam Sayem #রবিজ_রকমারি_বুক_রিভিউ_কন্টেস্ট #কাহিনী_সংক্ষেপঃ নিজের বন্ধু মুসোলিনিকে উদ্ধার করে নিয়ে আসার জন্য কমান্ডো পাঠালেন হিটলার, অসম্ভব এই কাজকে সম্ভব করল অটো স্করযেনি নামের এক দুর্ধর্ষ কমান্ডো। স্করযেনির এই সাফল্যে আশাবাদী হয়ে উঠলেন হিটলার। তিনি এবার চেয়ে বসলেন ব্রিটিশ প্রধারমন্ত্রী উইনস্টন চার্চিলকে! সবাই প্রথমে বিষয়টাকে তেমন গুরুত্ব না দিলেও, হিটলারকে খুশি করার এই সুযোগটা হাতছাড়া করতে চায় নি হিমলার। তাই তিনি র্যাডলকে এই অভিযানের জন্য সবকিছু ঠিকঠাক করতে বলেন। কিন্তু র্যাডল এই কাজ করতে রাজি হয় না। কিন্তু তাকে তার স্ত্রী আর তার তিন মেয়ের কথা বলে ভয় দেখানোর পরে সে বাধ্য হয়ে রাজি হয়। এরপরে র্যাডল ও তার ব্যক্তিগত সহকারী হোফার এই অভিযানের জন্য বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করতে থাকে এবং বিভিন্ন ধরণের মানুষ জোগাড় করতে থাকে এই অভিযানের জন্য। এদিকে ইংল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী উইনস্টন চার্চিল যাওয়ার কথা বলেন নরফোকের এক বাড়িতে। সেটাইকেই সুযোগ হিসেবে বেছে নেয় র্যাডলরা। তারা খোঁজ নিয়ে দেখে সেখানে জোয়ানা গ্রে নামে তাদের একজন এজেন্ট আছে। আর তার সাহায্যেই সেখানকার পরিস্থিতি সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করছিল র্যাডলরা। অপরদিকে এই অভিযানের জন্য বিভিন্নি জায়গা থেকে খোঁজ নেওয়ার পরে পাওয়া যায় কার্ট স্টাইনারকে। সে প্রথমে র্যাডলের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করলেও যখন জানতে পারে তার বাবাকে হিমলার আটক করেছে এবং তার শাস্তির বিবেচনাও ছেড়ে দিয়ছেন স্টাইনারের কাজ করার উপর, তখন আর না বলার পথ খুঁজে পায় না স্টাইনার। অন্যদিকে যুদ্ধক্ষেত্র প্রস্তুত করার লক্ষ্যে লিয়াম ডেভলিনকে আগেই নরফোকে পাঠানো হয় জোয়ানা গ্রে এর আত্মীয় পরিচয়ে। সেখানে এক ১৭ বছর বয়সী মেয়ে, মলি প্রায়রের সাথে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে ডেভলিন। (তখন ডেভলিনের বয়স ৩৫)। তবে পরে এই মলিই খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ডেভলিন আর জোয়ানা সবকিছু ঠিকঠাক করে রাখার পরে নরফোকে অবতরণ স্টাইনার ও তার দল। তারা কি পারবে চার্চিলকে ধরে নিয়ে আসতে? পাল্টে দিতে পারবে ভয়ংকর যুদ্ধের ফলাফল? হিমলার কি কথা রেখেছিল? #ব্যক্তিগত_মতামতঃ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে লেখা এই থ্রিলারটি নিঃসন্দেহে অসাধারণ বই। কাহিনীর মাঝে মাঝে যে টুইস্টগুলো ভালো লেগেছে। আর শেষের মূল টুইস্টটি ছিলো অকল্পনীয়। উপন্যাসটি পড়ার সময় একবারের জন্যেও ভাবতে পারিনি এরকম হতে পারে মূল টুইস্টইটি। যুদ্ধের ভয়াবহতা, নিষ্ঠুরতা, প্রেম, কর্তব্য পরায়ণতা, বিশ্বাসঘাতকতা ইত্যাদির সংমিশ্রণে উপভোগ্য বই ‘দ্য ঈগল হ্যাজ ল্যান্ডেড’। ব্যক্তিগত রেটিংঃ ৪.৮/৫
Was this review helpful to you?
or
#Book_Review বইঃ দ্য ঈগল হ্যাজ ল্যান্ডেড। The Eagle Has Landed. লেখকঃ জ্যাক হিগিন্স (ছদ্মনাম)। হ্যারি প্যাটারসন (আসল নাম)। রূপান্তরঃ ইমতিয়াজ আজাদ। প্রকাশনঃ আদী প্রকাশন। প্রকাশকালঃ বইমেলা ২০১৮ (বাংলা অনুবাদ)। ১৯৭৫ (মূল উপন্যাস প্রকাশকাল)। প্রকাশকঃ নাফিসা বেগম। প্রচ্ছদঃ রনক। পৃষ্ঠা সংখ্যাঃ ৩৮৪। মুদ্রিত মুল্যঃ ৪৪০ টাকা। রেটিংঃ ৪.৮ / ৫ অনুবাদের রেটিংঃ ৪.৯ / ৫ #সংক্ষিপ্ত_রিভিউঃ নিজের বন্ধু মুসোলিনিকে উদ্ধার করে নিয়ে আসার জন্য কমান্ডো পাঠালেন হিটলার, অসম্ভব এই কাজকে সম্ভব করল অটো স্করযেনি নামের এক দুর্ধর্ষ কমান্ডো। স্করযেনির এই সাফল্যে আশাবাদী হয়ে উঠলেন হিটলার। তিনি এবার চেয়ে বসলেন ব্রিটিশ প্রধারমন্ত্রী উইনস্টন চার্চিলকে ! ফুয়েরারের (লীডারের) সেই চাওয়া পূরণ করতে, ইংল্যান্ডের নরফোকে প্যারাস্যুট নিয়ে অবতরন করল একদল জার্মান কমান্ডো। তাদের নেতৃত্ব দিচ্ছেন লেফটেন্যান্ট কর্নেল কার্ট স্টাইনার। ঈগল কি ধরে নিয়ে আস্তে পারবে চার্চিলকে?? পাল্টে দিতে পারবে মহাযুদ্ধের গতিপথ?? নাকি ব্যর্থ হবে তাদের মিশন?? #গুরুত্বপূর্ণ_চরিত্রসমূহঃ #কার্ট_স্টাইনার একজন সাহসী সৈনিক। যে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন দুর্গম মিশনে সফল হয়েছে। এই গল্পে এক অর্থে তাকে নায়ক বলা যায় আবার আর এক অর্থে তাকে ভিলেন বলা যায়। #হিমলার হলো তৎকালীন রাইখসফুয়েরার। একজন অত্যন্ত কঠোর হৃদয়ের স্বার্থপর একজন মানুষ। যে নিজের কাজের স্বার্থে যেকোনো কিছু করতে দ্বিধা করেন না। স্টাইনারের পরে যে ব্যাক্তিটির সবথেকে বেশি অবদান রয়েছে এই অভিযানে, সে হলো #ম্যাক্স_র্যাডল। নিজের অনিচ্ছার সত্বেও স্ত্রী আর তিন মেয়ের কথা ভেবে #হিমলারের সব কাজ ই করে গেছেন তিনি। এবং #ম্যাক্স_র্যাডলের ব্যাক্তিগত সহকারী #হোফারও সহযোগিতা করেছেন যথেষ্ট। #নিউম্যান হলো র্যাডলের ব্যাক্তিগত সহকারী এবং অসাধারন একজন সৈনিক। স্টাইনারের সাথে বেশিরভাগ অভিযানেই তার সঙ্গী ছিল নিউম্যান। #লিয়াম_ডেভ্লিন হলো এই অভিযানের তৃতীয় প্রধান চরিত্র। অসাধারন দুর্ধর্ষ একজন প্রাক্তন আইরিশ সৈনিক সে। এই অভিযানে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ দুইভাবেই সে তার দায়িত্ব পালন করে। তবে তার চরিত্রগত দিক থেকে সে কিছুটা খারাপ হওয়ায় সেখাঙ্কার একটি স্থানীয় তরুণী #মলি_প্রায়রের (১৭ বছর) সাথে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে সে। (তখন ডেভ্লিনের বয়স ৩৫)। তবে শেষের দিকে মলিই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কাজ করতে সফল হয়। #জোয়ানা_গ্রে হলো এই অভিযানের গুপ্তচর। অর্থাৎ পরোক্ষভাবে বার্তা পাঠানোসহ আরও নানাভাবে এই অভিযানের একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি। তবে অত্যন্ত অল্প সময়ের জন্য এলেও উপন্যাসে বেশ ভালো ভূমিকা রেখেছে #কোনিগ, #মুলার, #গেরিক, #বোমলার। #ব্যক্তিগত_মতামতঃ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে লেখা এই থ্রিলারটি জ্যাক হিগিন্সের লেখা সত্তরের অধিক বইয়ের মধ্যে সেরা কাজ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। অসাধারন কাহিনির বর্ণনার মাধ্যমে কাহিনী ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। যারা থ্রিলার বই পড়তে ভালোবাসে তাদের জন্য একেবারে পারফেক্ত একটা বই। অনুবাদক বইয়ের ভূমিকায় লিখেছেলেন যে থ্রিলারের শেষের চমকটা নাকি খুবই অপ্রত্যাশিত। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পড়ার পরে শেষের থ্রিলটা যখন পড়লাম তখন রীতিমতো হতবাক হয়ে গেলাম। কারন এমন চমক কল্পনাও করতে পারিনি। #অনুবাদ_ও_অনুবাদক_নিয়েঃ অনুবাদ এবং অনুবাদক নিয়ে কোনো অভিযগ নেই। নিখুতভাবে সবকিছুর বর্ণনা রয়েছে। এবং বইটিতে অনেক জার্মান শব্দ থাকায় বোঝার সুবিধার জন্য বইয়ের শেষে নির্ঘণ্ট যুক্ত করা আছে। ****এটা আমার সর্বপ্রথম কোনো বই রিভিউ। তাই তথ্যে কোনো ভুল থাকলে অথবা কোনো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বাদ পড়লে অথবা রিভিউটি খারাপ লাগলে দুঃখিত।**** ধন্যবাদ। #Review_from_Sayem