User login

Sing In with your email

Email Address
Password
Forgot Password?

Not Account Yet? Create Your Free Account

Send

Recipients:
Message:

Share to your friends

Copy link:

    Our Price:

    Regular Price:

    Shipping:Tk. 50

    • Size:
    • Color:
    QTY:

    প্রিয় ,

    সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
    মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?

    Please Login to Continue!

    Our User Product Reviews

    Share your query and ideas with us!

    Customer Reviews

      By mahmud mushahid

      27 Feb 2023 08:52 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      আলহামদুলিল্লাহ পড়ে শেষ করেছি,, মির্জা গালিব, লেখক ও রকমারির সকলের প্রতি আন্তরিক দোয়া ও শুভ কামনা রইল৷

      By MD. Zubayer

      06 Apr 2022 06:34 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      মির্জা গালিব বরাবরই আমার সর্বোচ্চ পর্যায়ে। আর অনুবাদকের প্রশংসা করতেই হবে।।

      By Samin Yasar

      15 Oct 2021 10:37 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      অসাধারণ একটি বই। বাংলা সাহিত্যে নতুন সংযোজন।

      By Hasan Imam

      04 Jul 2021 06:14 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      ভালো

      By Imran Parosh

      29 Jun 2021 02:48 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      দারুণ বই

      By bangladesh sahittaacademy

      09 Jun 2021 08:20 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      গালিবের প্রতি পাঠকদের আকর্ষণ ভাষার প্রতিবন্ধকতা অতিক্রম করে বৈশ্বিক কাব্যভাষার মূলধারায় চলে এসেছে। গালিবের কবিতা বিভিন্ন ভাষার কাব্যপ্রেমীদের স্মৃতির অংশে পরিণত হয়েছে। কবি হিসেবে গালিব 'জটিল', শুধু আবেগ ও কল্পনার গভীরতা প্রকাশের দিক থেকে নয়; শব্দের সৌন্দর্য আর পৃথিবীর মোহময়তার গভীর অনুভূতির কারণে গালিবের গজলের মূল শক্তি শব্দের নিবিড়তা আর বর্ণনাভঙ্গির সাবলীলতা, তার আধুনিক মনের কল্পনা, সৃজনশীল প্রশ্ন, মনস্তাত্ত্বিক প্রমাণের অনুসন্ধান, ক্ষণস্থায়ী রহস্যময়তা,উদ্ভাবনী যুক্তি এবং গতানুগতিক ভাষাকে লঙ্ঘন অবজ্ঞা করার সামর্থ্য—যে কারণে সেই সব গজল হয়েছে কালোত্তীর্ণ।

      By Juwel Khan

      04 Apr 2021 05:56 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      দারুন

      By Kirmani liton

      09 Aug 2020 02:07 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      খুব সুন্দর অনুবাদ কবিতার বই। পড়ে মুগ্ধ হয়েছি।

      By Hasin Moajjem

      24 Dec 2019 09:19 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      অসাধারণ একটি বই।

      By কিশোর কলম

      03 Oct 2019 01:49 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      অনেক সুন্দর একটি বই। বেশ ভালো লাগলো।

    • Was this review helpful to you?

      or

      Very good book. I read. Awesome.

    • Was this review helpful to you?

      or

      বইটি আশা করি সবার ভালো লাগবে।

      By হাসান রাউফুন

      10 Aug 2019 09:15 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      নির্বাচিত একটি বই। পড়ে দেখুন ।

      By Jane alom

      09 Aug 2019 01:08 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      প্রতিভা প্রকাশ এর বই মানেই নির্বাচিত বই। অসাধারণ সমৃদ্ধ।

      By anik mahadi

      02 Aug 2019 01:26 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      বইটি ভালো লাগবে আশা করি।

      By wasima wasifa

      28 Jul 2019 04:54 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      অনুবাদটি স্বরবৃত্ত ছন্দে করা হয়েছে। অনুবাদক অনেক সহজ ও আকর্ষণীয় শব্দ প্রয়োগ করেছেন। এমন অনুবাদ সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হয় সহজে।

      By al amin

      28 Jul 2019 03:03 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      অসাধারণ একটি বই।

      By Mahbub Zaman

      25 Feb 2018 11:31 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      মির্জা গালিব নামে পরিচিত হলেও মির্জা আসাদুল্লাহ খান গালিব তাঁর পুরাে নাম । ২৭ ডিসেম্বর ১৭৭৯ সালে ভারতের আগ্রায় জন্মগ্রহণ করেন। ভারতবর্ষে মােঘল-সাম্রাজ্যের শেষ ও ব্রিটিশ শাসনের শুরুর দিককার একজন উর্দু এবং ফার্সি ভাষার কবি। সাহিত্যে তার। অনন্য অবদানের জন্য তাঁকে দাবির-উলমালিক ও নাজিম-উদ-দৌলা উপাধি দেওয়া। হয়। তাঁর সময়কালে ভারতবর্ষে মােঘল সাম্রাজ্য তার ঔজ্জ্বল্য হারায় এবং শেষে ১৮৫৭ সালের সিপাহীবিদ্রোহ এর মধ্য দিয়ে ব্রিটিশরা পুরােপুরিভাবে মােঘলদের ক্ষমতাচ্যুত করে সিংহাসন দখল করে। গালিবের শিক্ষা-দীক্ষার ব্যাপারে আমাদের জ্ঞান খুবই সীমিত। আমরা এটাই জানি যে, সে সময়ে মুহাম্মদ নামে একজন প্রসিদ্ধ বিদ্বান আগ্রায় এক মাদ্রাসা খুলেছিলেন। গালিবকে শিক্ষালাভের জন্য সেই মাদ্রাসায় পাঠানাে হয়েছিলাে। এই মাদ্রাসায় তিনি ফার্সির কিছু প্রাচীন লেখকের গদ্য রচনাও অধ্যয়ন করেছিলেন। শুরুতে ফার্সিতেই লিখতেন। কিন্তু অচিরেই তিনি বুঝতে পারেন যে, আত্মপ্রকাশের মাধ্যম ‘মাতৃভাষা হওয়া উচিত। তখন থেকে তিনি কেবল উর্দুতেই লিখতে থাকেন। ১৫ ফেব্রুয়ারি ১৮৬৯ সালে এই জগতখ্যাত লেখক মৃত্যুবরণ করেন।

      By kamolkuri sangshad

      20 Oct 2024 11:13 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      এমন অসাধারণ বই বাংলাদেশে আর খুঁজে পাইনি। মির্জা গালিবের কবিতায় মগ্নতা খুঁজে পাই।

      By afsanamimi

      17 Nov 2019 09:56 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      সায়ীদ উসমানের অনুবাদে মির্জা গালিব: প্রেম ও আধ্যাত্মিকতার অপূর্ব সম্মিলন .... বিখ্যাত লেখকদের রচনা পড়ে পাঠক আলোড়িত হন। লেখকের মতো পাঠক ভাবতে শেখেন। আর সেই বিখ্যাত পূর্বসূরীর লেখা পড়ে পরবর্তী সময়ে তার পরপুরুষ লেখক সে রকম লেখার চেষ্টা করেন। আবার অবাক করার বিষয়- সেই বিখ্যাত লেখকের লেখায় প্রভাবিত হয়ে, লেখা পাঠ করে আমরা সাধারণ পাঠকরাও আলোড়িত। তাই অমর কবিতা পড়ে সাধারণ মানুষের মনের খোরাক যেমন জোটে, ঠিক তেমনি অমর কবিতা পাঠ করে একজন লেখকের লেখার খোরাকও জুটতে পারে। যেমন গালিবের শের বিরহের স্বাদ প্রিয় আমার/মিলনের স্বাদ চাই না তাই কবির জুটুক বিরহ আর/ মিলনের স্বাদ পাক সবাই। প্রথমত কেন কবি বিরহ পেতে চান? মিলনকে তিনি কেন ভয় পান। কারণ আমরা অনেকেই জানি “ভালোবাসা মিলনে মলিন বিরহে উজ্জ্বল হয়।” এখন প্রশ্ন হতে পারে কোথা থেকে আমরা এ কবিতা জানলাম। উত্তরটা খুব সোজা। আর তা হলো যে জ্বলে আগুন জ্বলের কবি হেলাল হাফিজ থেকে। কারণ কবিরা জানে, বিরহের আগুনে পুড়লে তিনি প্রেমিক হিসেবে খাঁটি সোনা হতে পারবেন। তিনি হতে পারবেন খাঁটি প্রেমিক। পাবেন আরও কয়েকটি ভালোবাসার কবিতা। তাই হেলাল হাফিজের এই কবিতার ভাবার্থকে যদি সারংশ হিসেবে দাঁড় করানো চেষ্টা করি- তবে তা সত্য হবে গালিবের এই রুবাইয়াৎ এ। অথবা বলুন প্রিয়াকে চাঁদের সাথে তুলনা করা, পূর্ণিমা হিসেবে মেয়েদের নাম রাখা, বা জোৎস্না হিসেবে মেয়েদের নাম রাখা বা কবিতায় এবং গানে বলা “লোকে বলে আমার ঘরে চাঁদ উঠেছে/ নাগো না আমার বন্ধু এসেছে” এই যে উপমা তা কিন্তু এই গালিবের হাত দিয়ে প্রথম এসেছে এমনটা হওয়ার সম্ভাবনাই প্রকট। যেমন প্রভুর এ কোন কারিশমা সে/আমার ঘরে আজ এসেছে এসো এসো দেখো সবাই/ আমার ঘরে চাঁদ উঠেছে। মির্জা গালিব প্রেম ও আধ্যাত্মিকতার অপূর্ব সম্মিলন। তার এ প্রেম ও আধ্যত্মিকতা আমাদের এক অনন্য ভালোবাসার জোয়ারে ভাসতে সাহায্য করে। মিলন ও বিরহ এ দুইয়ের যে চিত্রায়ন তিনি করতে পেরেছেন, তা অনন্য। তার উদাহরণ উপস্থাপন অন্য কারও পক্ষে কঠিন। যেমন গালিব যখন বলেন- লালন তখন বলেন- মিলন হবে কখন কবে/প্রিয়ার স্মৃতি নেই তো মনে প্রেমের ফাগুন জ্বাললো আগুন/ছাই হলো সব সেই আগুনে। মিলন হবে কত দিনে/ আমার মনের মানুষের সনে মেঘের বিদ্যুৎ মেঘে যেমন/ লুকালে না পায় অন্বেষণ। কালারে হারায়ে তেমন/ ঐ রূপ হেরি এ দর্পণে। আমার মনের মানুষের সনে। আর এখানে যদি আমরা লালনের “মিলন হবে কত দিনে” গানটিতে এই দুই মহামানব নিজেকের প্রেমিকাকে কাছে না পেয়ে আহত হৃদয়ে কবিতা বা গান লিখেছেন। একজন দ্বারস্থ হয়েছেন গজলের বা রুবাইয়্যাতের। আর একজন দ্বারস্থ হয়েছেন গানের। তবে একজনের মনে ফাগুন এলে প্রেমের আগুন জ্বলে, অন্য জনের মেঘের বিদ্যুতের মতো জ্বলে নিজেকে হারিয়ে ফেলেন। একজন লালন যখন প্রেমিকাকে না পেয়ে নিজেকে হারিয়ে ফেলেন, একজন গালিব সেখানে নিজেকে প্রেমের আগুনের পুড়ে ছাই হিসেবে অস্তিত্বহীন খুঁজে পান। আর এভাবে একসাথে লালনের গান ও গালিবের গজল যদি পাঠ করি, তবে তার ভাবের সামাঞ্জ্যসতা উপলব্ধি করতে সহজ হবে। প্রেমকে গালিব যতভাবে সজ্ঞায়িত করেছেন, ততভাবে খুব কম কবিই সজ্ঞায়িত করেছেন। সম্ভবত এ কারণে যে কোন পৃথিবীর যুগল যদি কোন কবিতা পড়ে প্রেমে পড়ে, তবে সেই কবিতা গালিবের হওয়ারই সম্ভাবনা বেশি। প্রেম সাধারণ মানুষের আবেগের সর্বোচ্চ প্রকাশ। আর মানুষ যখন আবেগের সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছে, তখন তার হিতাহিত জ্ঞান থাকে না। এ কারণে বলতে হয়, যে প্রেমে পাগলামি নেই, তা প্রকৃত প্রেম নয়। আর এ পাগলামি যুক্ত প্রকৃত প্রেম কী রকম হতে পারে, তা বোঝা যায় গালিবের রুবাইয়্যাত পাঠ করে। কারণ গালিবই প্রেমের ও বিরহের প্রকৃত অবস্থা সহজ ও সাবলিল ভাষায় উচ্চারণ করতে পারেন। এ প্রেম রস আস্বাদন করতে গিয়ে বর্তমানে যে কোন কবির পাঠে সাধারণ পাঠক হারিয়ে যান। তবে এক্ষেত্রে আধ্যাত্মিকতা ও প্রেমের সংমিশ্রণে মাওলানা রুমি অদ্বিতীয়। তারপর সম্ভবত আমরা গালিবের নাম উচ্চারণ করতে পারি। এতকিছুর পরেও গালিব এ উপমহাদেশের ও এ অবিভক্ত ভারতবর্ষের। তাই গালিবই বলতে পারেন প্রেমই নাকি সুখ-ঠিকান/ব্যথার ওষুধ প্রেমেই আছে প্রেমেই এমন ব্যথা পেলাম/যার ওষুধ নেই কারো কাছে। প্রেম নিয়ে হায় জোর চলে না/গালিব এ এক অগ্নিদহন জ্বালিয়ে দিলেও জ্বলে না প্রেম/নিভিয়ে দিলেও নেভে না মন। প্রথম রুবাইয়্যাতে তিনি বলতে চেয়েছেন, প্রেম রোগের কোন অষুধ নেই। দ্বিতীয় রুবাইয়্যাতে তিনি বলেছেন- প্রেমের আবেগ কে নিয়ন্ত্রণ করতে চাইলেও নিয়ন্ত্রণ করা যায় না। প্রেমকে একবার প্রজ্জ্বলন করে সেই প্রেমে নিজেসহ জ্বলে পুড়ে মরতে চাইলে মরা যায় না। এ কথা অন্তত পৃথিবীর কেউ বিশ্বাস করুক আর না করুক বাংলাদেশিরা করি। কারণ আমাদের শিল্পী আব্দুল আলীমের লোকগীতিতে অনেক জনপ্রিয় গান- “প্রেমের মরা জলে ডোবে না” শুনে আমরা অভ্যস্ত। আবার প্রেমকে নিভিয়ে দিয়ে মনের আগুনও নেভানো যায় না। কারণ প্রেম মনের দরজায় বারবার করাঘাত করতে চায়। এ তো গেলো প্রেমের বিষয়। কিন্তু যে আধ্যাত্মিকতা ও প্রেম মিলে একাকার তার উদাহরণ বলতে পারি গালিবের এ পঙক্তি- পারলে না হায় খোদা তাকেই/এনে দিতে আমার কাছে খোদা তোমার কৃতজ্ঞতা/চেয়ো নাই তাই আমার কাছে। অর্থাৎ আল্লাহ আপনার অস্তিত্ব আছে এতে বিশ্বাস করি। আপনার ক্ষমতা অসীম তাও ঠিক। আপনি চাইলেই যাকে ইচ্ছা তাকে সম্মান দিতে পারেন। সম্পদ দিতে পারেন, ধনবান করতে পারেন, আবার যাকে ইচ্ছা তাকে অসম্মান করতে পারেন। দারিদ্র্যে পরিণত করতে পারেন। আপনার যে অশেষ নেয়ামত, তা স্বীকার করে বান্দার উচিত আপনার কৃতজ্ঞতা স্বীকার করা। তবে সামান্য এ প্রেমিক, যে আপনারই সৃষ্টি, তাকে আমার জন্য কেন করে দিলেন না। আপনি ইচ্ছে করেই তা করেননি। আপনার ক্ষমতা থাকা স্বত্তেও যেহেতু আপনি করেননি এ সামান্য বিষয়টি, তাই আমি আপনার বান্দা হিসেবে স্বীকার করি। তবে এ ক্ষেত্রে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে পারলাম না। কারণ খোদা তুমি তাকে এনে দিতে পারলে না আমার জন্য। এ যেন প্রকৃত আধ্যাত্মিক বান্দার শেকওয়া ও জওয়াবে শেকওয়ার মতো তর্ক বিতর্ক। শুধু তাই নয় প্রেমের বৃষ্টিতে ভেঁজা, প্রেমিকা ফুল যে বাগানে ফোটে তার মালি হওয়া, ঘরে চাঁদ ওঠা প্রেমিকা এলে, প্রেমিকাকে গোলাব বলে চিত্রিত করা, রূপে মজে যাওয়া, এমন চিরন্তন কিছু উপমা তিনি বারবার সৃষ্টি করতে পেরেছেন। এখনও কবিরা তাদের কবিতায় এমন পঙক্তি ঘুরিয়ে ফিরিয়ে উপস্থাপন করেন নানাভাবে। আর যে কোন প্রেমিক- তার প্রেমিকাকে ঘায়েল করতে কতোবার যে এ ধরনের শব্দ ব্যবহার করে, তার হিসাব রাখা কঠিন। এমন পঙক্তি লিখে বা পাঠ করে অনেক পাঠক ও লেখক একজন মহৎ কবির কবিতাতে প্রভাবিত হন, আর তা ভেবে আপ্লুত হয়ে তৃপ্ত হন। শুধু তাই নয়, চার পঙক্তির রুবাইয়্যাতে তিনি নারীর মহত্ব ও নারী ছাড়া পুরুষ যে অপূর্ণ, তা বোঝাতে সক্ষম হয়েছেন। তাই নারীর অস্তিত্ব পুরুষের জন্য কতটা অপরিহার্য তা বোঝাতে তিনি বলেছেন চর্তুদিকে জবর খবর / গালিব হবে চূর্ণ যে হায় কবি তখন নারীর সুরায়/ ডুবে গিয়ে পূর্ণতা পায়। আর এ সত্যতা নারী কবিতা সত্যায়ন করেছেন আমাদের কবি কাজী নজরুল ইসলাম। কারণ তিনি বলেছেন “নারী বিরহে, নারীর মিলনে, নর পেল কবি প্রাণ ”। বরং নজরুল তো আরও জোর দিয়ে বলেছেন – “কোন কালে একা হয়নি’ক জয়ী পুরুষের তরবারী/প্রেরণা দিয়াছে, শক্তি দিয়াছে, বিজয়ী লক্ষি নারী।” এই যে মহৎ কবিদের চিন্তার সম্মিলন ও সমন্বয়, তা আমাদের দৃষ্টিভঙ্গিকে প্রসারিত করে। আমরা নতুন করে ভাবতে শিখি। আর এসব সম্ভব হয়- যখন পাঠক হিসেবে লেখকরা সচেতন হবো। লেখক হিসেবে যখন সাহিত্যের স্বাদ নেওয়ার জন্য শুধু একটি ভাষায় সীমাবদ্ধ না থেকে, শুধু বাংলা, শুধু ইংরেজি বা শুধু আরবি বা উর্দুতে সীমাবদ্ধ থাকবো না, বরং অন্য ভাষার সাহিত্য রস আস্বাদনে মনযোগী। আর এক্ষেত্রে বিশ্বসাহিত্য স্বাদ গ্রহণে যথার্থ ও প্রকৃত অনুবাদ আমাদের সাহিত্য রুচিবোধকে উন্নত করতে পারে। তাই অনেকে যখন বলেন- অনুবাদ সাহিত্য মৌলিক সাহিত্য নয়, তখন বিষয়টা তর্কাতীত নয়। যে সাহিত্য প্রকৃত সাহিত্যের প্রসারে সহায়ক ভূমিকা রাখে, প্রকৃত সাহিত্য রচনায় উৎসাহিত করে, তা অবশ্যই প্রকৃত সাহিত্যের শাখা-প্রশাখা। আর যদি অখাদ্য ও কুখাদ্য রচনা করে বই প্রকাশ করা হয় মাতৃভাষায় বা নিজের মতাদর্শ প্রকাশ করা হয়, তবে তা কখনো সাহিত্যের পর্যায় পড়ে না। মৌলিক হওয়া তো দূরের কথা। তাই একজন প্রকৃত লেখক একইসাথে লেখকও অনুবাদক হওয়া উচিত। কারণ লেখকই প্রকৃত অনুবাদ করতে পারে। যেমনটা পেরেছেন সায়ীদ উসমান রুবাইয়াৎ-ই-মির্জা গালিব উর্দু থেকে অনুবাদ করে। যখন সংস্কৃত অক্ষরে উর্দুকে উপস্থাপন করে উচ্চবর্ণের সনাতনী পণ্ডিতরা প্রমাণ করতে চাইলেন হিন্দি প্রকৃত ভাষা, উর্দুকে অনুসরণ করে হিন্দি করা হয়নি, তখন এমন অনেক উর্দু ভাষার মহৎ কবির অস্তিত্ব সে ভাষার মানুষের কাছে অপরিচিত হয়ে যায়। তখন অন্য ভাষার প্রকৃত লেখকরা সায়ীদ উসমানের মতো অনুবাদ করেছেন গালিবকে। যেমন ড. সরফরাজ কে. নিয়াজী রচিত “LOVE SONNETS OF GHALIB” নামের ইংরেজি অনুবাদ উল্লেখযোগ্য। ঠিক এমনই একটি বাংলা অনুবাদন করে গালিবের কবিতার রস আস্বাদনের সুযোগ আমাদের দিয়েছেন। এধরনের প্রচেষ্টার জন্য সায়ীদ উসমানকে ধন্যবাদ দিতে হয়। ধন্যবাদ দিতে হয় প্রকাশককে যে তিনি বই নির্বাচনে বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিয়েছেন।

      By somrat

      27 Jun 2020 03:01 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      গালিব বরাবরি একটা আবেগ এর নাম । প্রেমের মহিমাতে গালিব আমাদের নিয়ে যায়, গালিব এর সাথে ডুবকি লাগাতে চাইলে গালিবের সাথে শুরার আড্ডায় ডুবে যেতে যেতে চাইলে রুবাইয়াৎ-ই-মির্জা গালিব একটা অসাধারণ বই । গালিবের উক্তি শের পঙ্খ সবি আপনাকে আরও ভাবুক করে তুলবে । ? গালিব হৃদয় ছুয়ে যাওয়া মানুষ তার কয়টা কথা কখনো ভুলায় নয় "গালিব শারাব আর ছুবে না এই যে শপত করেছো ফের শরাব খেতে শপথ ভাঙা এ কাজ তোমার প্রিয় ঢের "।

      By md. moinudin

      28 Jul 2019 02:31 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      গালিব গবেষক পুস্পিত মুখোপাধ্যায় লিখেন, “বাংলা সাহিত্যে রবীন্দনাথের যে গুরুত্ব, উর্দু সাহিত্যে মির্জা গালিবের গুরুত্ব তারচেয়ে অধিক বললে অত্যুক্তি হবেনা।” গালিবের গজল, শের, কবিতা উর্দু সাহিত্যে তো বটেই বিশ্ব সাহিত্যেও উজ্জল সম্পদ। মোগল শেষ বাদশাহ বাহাদুর শাহের সভা কবি ছিলেন মির্জা গালিব।

      By নাঈম জান্নাত

      05 Aug 2019 03:21 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      সায়ীদ উসমানের অনুবাদে মির্জা গালিব: প্রেম ও আধ্যাত্মিকতার অপূর্ব সম্মিলন। বিখ্যাত লেখকদের রচনা পড়ে পাঠক আলোড়িত হন। লেখকের মতো পাঠক ভাবতে শেখেন। আর সেই বিখ্যাত পূর্বসূরীর লেখা পড়ে পরবর্তী সময়ে তার পরপুরুষ লেখক সে রকম লেখার চেষ্টা করেন। আবার অবাক করার বিষয়- সেই বিখ্যাত লেখকের লেখায় প্রভাবিত হয়ে, লেখা পাঠ করে আমরা সাধারণ পাঠকরাও আলোড়িত। তাই অমর কবিতা পড়ে সাধারণ মানুষের মনের খোরাক যেমন জোটে, ঠিক তেমনি অমর কবিতা পাঠ করে একজন লেখকের লেখার খোরাকও জুটতে পারে। যেমন গালিবের শের বিরহের স্বাদ প্রিয় আমার/মিলনের স্বাদ চাই না তাই কবির জুটুক বিরহ আর/ মিলনের স্বাদ পাক সবাই। প্রথমত কেন কবি বিরহ পেতে চান? মিলনকে তিনি কেন ভয় পান। কারণ আমরা অনেকেই জানি “ভালোবাসা মিলনে মলিন বিরহে উজ্জ্বল হয়।” এখন প্রশ্ন হতে পারে কোথা থেকে আমরা এ কবিতা জানলাম। উত্তরটা খুব সোজা। আর তা হলো যে জ্বলে আগুন জ্বলের কবি হেলাল হাফিজ থেকে। কারণ কবিরা জানে, বিরহের আগুনে পুড়লে তিনি প্রেমিক হিসেবে খাঁটি সোনা হতে পারবেন। তিনি হতে পারবেন খাঁটি প্রেমিক। পাবেন আরও কয়েকটি ভালোবাসার কবিতা। তাই হেলাল হাফিজের এই কবিতার ভাবার্থকে যদি সারংশ হিসেবে দাঁড় করানো চেষ্টা করি- তবে তা সত্য হবে গালিবের এই রুবাইয়াৎ এ। অথবা বলুন প্রিয়াকে চাঁদের সাথে তুলনা করা, পূর্ণিমা হিসেবে মেয়েদের নাম রাখা, বা জোৎস্না হিসেবে মেয়েদের নাম রাখা বা কবিতায় এবং গানে বলা “লোকে বলে আমার ঘরে চাঁদ উঠেছে/ নাগো না আমার বন্ধু এসেছে” এই যে উপমা তা কিন্তু এই গালিবের হাত দিয়ে প্রথম এসেছে এমনটা হওয়ার সম্ভাবনাই প্রকট। যেমন প্রভুর এ কোন কারিশমা সে/আমার ঘরে আজ এসেছে এসো এসো দেখো সবাই/ আমার ঘরে চাঁদ উঠেছে। মির্জা গালিব প্রেম ও আধ্যাত্মিকতার অপূর্ব সম্মিলন। তার এ প্রেম ও আধ্যত্মিকতা আমাদের এক অনন্য ভালোবাসার জোয়ারে ভাসতে সাহায্য করে। মিলন ও বিরহ এ দুইয়ের যে চিত্রায়ন তিনি করতে পেরেছেন, তা অনন্য। তার উদাহরণ উপস্থাপন অন্য কারও পক্ষে কঠিন। যেমন গালিব যখন বলেন- লালন তখন বলেন- মিলন হবে কখন কবে/প্রিয়ার স্মৃতি নেই তো মনে প্রেমের ফাগুন জ্বাললো আগুন/ছাই হলো সব সেই আগুনে। মিলন হবে কত দিনে/ আমার মনের মানুষের সনে মেঘের বিদ্যুৎ মেঘে যেমন/ লুকালে না পায় অন্বেষণ। কালারে হারায়ে তেমন/ ঐ রূপ হেরি এ দর্পণে। আমার মনের মানুষের সনে। আর এখানে যদি আমরা লালনের “মিলন হবে কত দিনে” গানটিতে এই দুই মহামানব নিজেকের প্রেমিকাকে কাছে না পেয়ে আহত হৃদয়ে কবিতা বা গান লিখেছেন। একজন দ্বারস্থ হয়েছেন গজলের বা রুবাইয়্যাতের। আর একজন দ্বারস্থ হয়েছেন গানের। তবে একজনের মনে ফাগুন এলে প্রেমের আগুন জ্বলে, অন্য জনের মেঘের বিদ্যুতের মতো জ্বলে নিজেকে হারিয়ে ফেলেন। একজন লালন যখন প্রেমিকাকে না পেয়ে নিজেকে হারিয়ে ফেলেন, একজন গালিব সেখানে নিজেকে প্রেমের আগুনের পুড়ে ছাই হিসেবে অস্তিত্বহীন খুঁজে পান। আর এভাবে একসাথে লালনের গান ও গালিবের গজল যদি পাঠ করি, তবে তার ভাবের সামাঞ্জ্যসতা উপলব্ধি করতে সহজ হবে। প্রেমকে গালিব যতভাবে সজ্ঞায়িত করেছেন, ততভাবে খুব কম কবিই সজ্ঞায়িত করেছেন। সম্ভবত এ কারণে যে কোন পৃথিবীর যুগল যদি কোন কবিতা পড়ে প্রেমে পড়ে, তবে সেই কবিতা গালিবের হওয়ারই সম্ভাবনা বেশি। প্রেম সাধারণ মানুষের আবেগের সর্বোচ্চ প্রকাশ। আর মানুষ যখন আবেগের সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছে, তখন তার হিতাহিত জ্ঞান থাকে না। এ কারণে বলতে হয়, যে প্রেমে পাগলামি নেই, তা প্রকৃত প্রেম নয়। আর এ পাগলামি যুক্ত প্রকৃত প্রেম কী রকম হতে পারে, তা বোঝা যায় গালিবের রুবাইয়্যাত পাঠ করে। কারণ গালিবই প্রেমের ও বিরহের প্রকৃত অবস্থা সহজ ও সাবলিল ভাষায় উচ্চারণ করতে পারেন। এ প্রেম রস আস্বাদন করতে গিয়ে বর্তমানে যে কোন কবির পাঠে সাধারণ পাঠক হারিয়ে যান। তবে এক্ষেত্রে আধ্যাত্মিকতা ও প্রেমের সংমিশ্রণে মাওলানা রুমি অদ্বিতীয়। তারপর সম্ভবত আমরা গালিবের নাম উচ্চারণ করতে পারি। এতকিছুর পরেও গালিব এ উপমহাদেশের ও এ অবিভক্ত ভারতবর্ষের। তাই গালিবই বলতে পারেন প্রেমই নাকি সুখ-ঠিকান/ব্যথার ওষুধ প্রেমেই আছে প্রেমেই এমন ব্যথা পেলাম/যার ওষুধ নেই কারো কাছে। প্রেম নিয়ে হায় জোর চলে না/গালিব এ এক অগ্নিদহন জ্বালিয়ে দিলেও জ্বলে না প্রেম/নিভিয়ে দিলেও নেভে না মন। প্রথম রুবাইয়্যাতে তিনি বলতে চেয়েছেন, প্রেম রোগের কোন অষুধ নেই। দ্বিতীয় রুবাইয়্যাতে তিনি বলেছেন- প্রেমের আবেগ কে নিয়ন্ত্রণ করতে চাইলেও নিয়ন্ত্রণ করা যায় না। প্রেমকে একবার প্রজ্জ্বলন করে সেই প্রেমে নিজেসহ জ্বলে পুড়ে মরতে চাইলে মরা যায় না। এ কথা অন্তত পৃথিবীর কেউ বিশ্বাস করুক আর না করুক বাংলাদেশিরা করি। কারণ আমাদের শিল্পী আব্দুল আলীমের লোকগীতিতে অনেক জনপ্রিয় গান- “প্রেমের মরা জলে ডোবে না” শুনে আমরা অভ্যস্ত। আবার প্রেমকে নিভিয়ে দিয়ে মনের আগুনও নেভানো যায় না। কারণ প্রেম মনের দরজায় বারবার করাঘাত করতে চায়। এ তো গেলো প্রেমের বিষয়। কিন্তু যে আধ্যাত্মিকতা ও প্রেম মিলে একাকার তার উদাহরণ বলতে পারি গালিবের এ পঙক্তি- পারলে না হায় খোদা তাকেই/এনে দিতে আমার কাছে খোদা তোমার কৃতজ্ঞতা/চেয়ো নাই তাই আমার কাছে। অর্থাৎ আল্লাহ আপনার অস্তিত্ব আছে এতে বিশ্বাস করি। আপনার ক্ষমতা অসীম তাও ঠিক। আপনি চাইলেই যাকে ইচ্ছা তাকে সম্মান দিতে পারেন। সম্পদ দিতে পারেন, ধনবান করতে পারেন, আবার যাকে ইচ্ছা তাকে অসম্মান করতে পারেন। দারিদ্র্যে পরিণত করতে পারেন। আপনার যে অশেষ নেয়ামত, তা স্বীকার করে বান্দার উচিত আপনার কৃতজ্ঞতা স্বীকার করা। তবে সামান্য এ প্রেমিক, যে আপনারই সৃষ্টি, তাকে আমার জন্য কেন করে দিলেন না। আপনি ইচ্ছে করেই তা করেননি। আপনার ক্ষমতা থাকা স্বত্তেও যেহেতু আপনি করেননি এ সামান্য বিষয়টি, তাই আমি আপনার বান্দা হিসেবে স্বীকার করি। তবে এ ক্ষেত্রে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে পারলাম না। কারণ খোদা তুমি তাকে এনে দিতে পারলে না আমার জন্য। এ যেন প্রকৃত আধ্যাত্মিক বান্দার শেকওয়া ও জওয়াবে শেকওয়ার মতো তর্ক বিতর্ক। শুধু তাই নয় প্রেমের বৃষ্টিতে ভেঁজা, প্রেমিকা ফুল যে বাগানে ফোটে তার মালি হওয়া, ঘরে চাঁদ ওঠা প্রেমিকা এলে, প্রেমিকাকে গোলাব বলে চিত্রিত করা, রূপে মজে যাওয়া, এমন চিরন্তন কিছু উপমা তিনি বারবার সৃষ্টি করতে পেরেছেন। এখনও কবিরা তাদের কবিতায় এমন পঙক্তি ঘুরিয়ে ফিরিয়ে উপস্থাপন করেন নানাভাবে। আর যে কোন প্রেমিক- তার প্রেমিকাকে ঘায়েল করতে কতোবার যে এ ধরনের শব্দ ব্যবহার করে, তার হিসাব রাখা কঠিন। এমন পঙক্তি লিখে বা পাঠ করে অনেক পাঠক ও লেখক একজন মহৎ কবির কবিতাতে প্রভাবিত হন, আর তা ভেবে আপ্লুত হয়ে তৃপ্ত হন। শুধু তাই নয়, চার পঙক্তির রুবাইয়্যাতে তিনি নারীর মহত্ব ও নারী ছাড়া পুরুষ যে অপূর্ণ, তা বোঝাতে সক্ষম হয়েছেন। তাই নারীর অস্তিত্ব পুরুষের জন্য কতটা অপরিহার্য তা বোঝাতে তিনি বলেছেন চর্তুদিকে জবর খবর / গালিব হবে চূর্ণ যে হায় কবি তখন নারীর সুরায়/ ডুবে গিয়ে পূর্ণতা পায়। আর এ সত্যতা নারী কবিতা সত্যায়ন করেছেন আমাদের কবি কাজী নজরুল ইসলাম। কারণ তিনি বলেছেন “নারী বিরহে, নারীর মিলনে, নর পেল কবি প্রাণ ”। বরং নজরুল তো আরও জোর দিয়ে বলেছেন – “কোন কালে একা হয়নি’ক জয়ী পুরুষের তরবারী/প্রেরণা দিয়াছে, শক্তি দিয়াছে, বিজয়ী লক্ষি নারী।” এই যে মহৎ কবিদের চিন্তার সম্মিলন ও সমন্বয়, তা আমাদের দৃষ্টিভঙ্গিকে প্রসারিত করে। আমরা নতুন করে ভাবতে শিখি। আর এসব সম্ভব হয়- যখন পাঠক হিসেবে লেখকরা সচেতন হবো। লেখক হিসেবে যখন সাহিত্যের স্বাদ নেওয়ার জন্য শুধু একটি ভাষায় সীমাবদ্ধ না থেকে, শুধু বাংলা, শুধু ইংরেজি বা শুধু আরবি বা উর্দুতে সীমাবদ্ধ থাকবো না, বরং অন্য ভাষার সাহিত্য রস আস্বাদনে মনযোগী। আর এক্ষেত্রে বিশ্বসাহিত্য স্বাদ গ্রহণে যথার্থ ও প্রকৃত অনুবাদ আমাদের সাহিত্য রুচিবোধকে উন্নত করতে পারে। তাই অনেকে যখন বলেন- অনুবাদ সাহিত্য মৌলিক সাহিত্য নয়, তখন বিষয়টা তর্কাতীত নয়। যে সাহিত্য প্রকৃত সাহিত্যের প্রসারে সহায়ক ভূমিকা রাখে, প্রকৃত সাহিত্য রচনায় উৎসাহিত করে, তা অবশ্যই প্রকৃত সাহিত্যের শাখা-প্রশাখা। আর যদি অখাদ্য ও কুখাদ্য রচনা করে বই প্রকাশ করা হয় মাতৃভাষায় বা নিজের মতাদর্শ প্রকাশ করা হয়, তবে তা কখনো সাহিত্যের পর্যায় পড়ে না। মৌলিক হওয়া তো দূরের কথা। তাই একজন প্রকৃত লেখক একইসাথে লেখকও অনুবাদক হওয়া উচিত। কারণ লেখকই প্রকৃত অনুবাদ করতে পারে। যেমনটা পেরেছেন সায়ীদ উসমান রুবাইয়াৎ-ই-মির্জা গালিব উর্দু থেকে অনুবাদ করে। যখন সংস্কৃত অক্ষরে উর্দুকে উপস্থাপন করে উচ্চবর্ণের সনাতনী পণ্ডিতরা প্রমাণ করতে চাইলেন হিন্দি প্রকৃত ভাষা, উর্দুকে অনুসরণ করে হিন্দি করা হয়নি, তখন এমন অনেক উর্দু ভাষার মহৎ কবির অস্তিত্ব সে ভাষার মানুষের কাছে অপরিচিত হয়ে যায়। তখন অন্য ভাষার প্রকৃত লেখকরা সায়ীদ উসমানের মতো অনুবাদ করেছেন গালিবকে। যেমন ড. সরফরাজ কে. নিয়াজী রচিত “LOVE SONNETS OF GHALIB” নামের ইংরেজি অনুবাদ উল্লেখযোগ্য। ঠিক এমনই একটি বাংলা অনুবাদন করে গালিবের কবিতার রস আস্বাদনের সুযোগ আমাদের দিয়েছেন। এধরনের প্রচেষ্টার জন্য সায়ীদ উসমানকে ধন্যবাদ দিতে হয়। ধন্যবাদ দিতে হয় প্রকাশককে যে তিনি বই নির্বাচনে বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিয়েছেন।

      By সায়ীদ উসমান

      10 Jan 2020 01:07 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      গালিব আমার প্রেম। গালিব আমার ভালবাসা। গালিবের সঙ্গে চলতে চলতে, গালিবের সঙ্গে কথা বলতে বলতে, গালিবের সাথে শূরার আড্ডায় ডুবে যেতে যেতে আমি তার ‘রুবাইয়াৎ-ই-মির্জা গালিব’ অনুবাদ করেছি। হায় গালিব, আবার দেখা হবে তোমার সাথে।

    •  

    Recently Viewed


    Great offers, Direct to your inbox and stay one step ahead.
    • You can pay using


    JOIN US

    icon Download App

    Rokomari.com is now one of the leading e-commerce organizations in Bangladesh. It is indeed the biggest online bookshop or bookstore in Bangladesh that helps you save time and money. You can buy books online with a few clicks or a convenient phone call. With breathtaking discounts and offers you can buy anything from Bangla Upannash or English story books to academic, research or competitive exam books. Superfast cash on delivery service brings the products at your doorstep. Our customer support, return and replacement policies will surely add extra confidence in your online shopping experience. Happy Shopping with Rokomari.com!