User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
nice book
Was this review helpful to you?
or
অহেতুক টেনে টেনে বড় করা হয়েছে। Not Recommended
Was this review helpful to you?
or
বইটির প্রথম দিকে পরতে অনেক বোর ফিল হয়েছে । তবে বইটি বারবার মত নয় । আমি মুল বই পড়ি নাই তাই বলতে পারব না যে অনুবাদক কতটুকু সার্থক হয়েছে ।
Was this review helpful to you?
or
Nearly every sentence of this book could be a quote for an inspirational poster. It's one of the best books I've read on the value of ones time, Stoicism in general is one of my favorite philosophy schools especially Seneca and Marcus Aurelius. Definitely check out this book, it's easy to read and understand while still being so powerful. I've read it 2 times in a row just because there's so much value concentrated in such a short book.
Was this review helpful to you?
or
খুবই ভালো একটি বই। আমার কাছে উপভোগ করার মতো মনে হয়েছে
Was this review helpful to you?
or
ভালো বই। অনুবাদও ভালো।
Was this review helpful to you?
or
এ বইটি অসাধারণ । বইটি অনুবাদ দুদার্ন্ত হয়েছে। জীবনে উদ্দেশ্য সর্ম্পকে জানতে পারবে। এটি একটি দর্শনের বই। যারা দর্শনের আগ্রহ আছে তাদের অবচ্যই এ বইটি পড়া উচিত ।। প্রত্যেকে এ বইটি পড়া উচিত ।
Was this review helpful to you?
or
আমার পড়া শ্রেষ্ঠ বই দের মধ্যে এই বইটা অন্যতম। জীবন এরকম বই খুব কম পড়েছি অসাধারণ এক কথায়। আমার কাছে পড়ে যা মনে হয়েছে, বইটার সবচেয়ে ইম্পর্টেন্ট লেসন সময়ের মূল্য বুজা এবং বর্তমানে বাঁচা। জীবনে একবার হলেও এই বইটা সবার পড়া উচিত। ❤️
Was this review helpful to you?
or
ভালো বই
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ বই।জানার অনেক কিছুই আছে এখনো।
Was this review helpful to you?
or
হুম
Was this review helpful to you?
or
মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব। মানবসভ্যতার ইতিহাসের অগ্রগতির পিছনে ভুমিকা রেখেছে আমাদের জ্ঞ্যান বিজ্ঞ্যানের উৎকর্ষ। আর তা সম্ভব হয়েছে গবেষকদের জন্য। গবেষণার মাধ্যমে অজানাকে জানা, নতুন উদ্ভাবন, রোগ-শোক-জরাকে জয় করা হয়েছে সম্ভব। গবেষণা বা রিসার্চ, ছোট একটি শব্দ। কিন্তু মানবসভ্যতার ইতিহাসে গবেষণার গুরুত্ব অপরিসীম। প্রাচীন কালের সেই গুহাবাসী মানুষ হতে আজকের একবিংশ শতকের প্রযুক্তি নির্ভর জগতে উত্তরণ ঘটানো সম্ভব হয়েছে একটি কারণেই তা হলো বহু মানুষের গবেষণা। অজানাকে জানা, অচেনা কে চেনা এটাই তো গবেষণা। গবেষণা হলো নতুন কিছু করা, যা আগে করা হয়নি বা করা হলেও ভালো করা হয়নি। সেটা করতে হবে সুনির্দিষ্ট কিছু নিয়ম মেনে এবং এ থেকে বেরিয়ে আসবে নতুন জ্ঞ্যান, ও নতুন তথ্য। গবেষণার কার্যক্ষেত্রের ভিত্তিতে তা হতে পারে মৌলিক গবেষণা অথবা ফলিত গবেষণা। তবে সবধরনের গবেষণার ক্ষেত্রে একতা কথা প্রযোজ্য, তা হলো গবেষণা কোনোকিছুকে খুব কৌশলগত ভাবে পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ করার মাধ্যমে নতুন জ্ঞ্যানের উদ্ভব ঘটানো। জগদীশ চন্দ্র বসু, সত্যেন বোস, প্রফুল্ল চন্দ্র রায়, সিভি রমন, কুদরত-ই-খুদা এরা এক সময় বিশ্বসেরা গবেষণা করেছেন, নোবেল জয় করার মত উচ্চমানের গবেষণা হয়েছে। নিয়মিতভাবে পত্রিকার বিজ্ঞান-প্রযুক্তি পাতা, নানা প্রযুক্তি বিষয়ক সাইট, এসব পড়ার অভ্যাস করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। কোনো কিছু কেন হয়, কিভাবে হয়, সেসবের সমাধান বা ব্যাখ্যা সরাসরি না পড়ে আগে নিজে চিন্তা করে দেখতে হবে, কিছু মাথায় আসে কি না। গবেষণার জন্য রিসার্চ পেপার জোগাড় করতে হয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে গুগল স্কলারে সার্চ দিলে রিসার্চ পেপারের কপি পিডিএফ ফরম্যাটে পাওয়া যায়। আবার অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারে রিসার্চ পাবলিকেশনের সাবস্ক্রিপশন আছে। দুর্বল দিকঃ ড. রাগিব ছিলেন একজন কম্পিউটার বিজ্ঞানী। তিনি বিজ্ঞানের ছাত্র হওয়ায়, বিজ্ঞান নিয়ে বেশী উদাহরণ ও তাদের উদ্যেশ্যে গবেষনা করার কথা তুলে ধরেছেন। বিজ্ঞান ব্যাতীত অন্যান্য বিষয়ের গবেষকরাও যে গবেষণা করতে পারেন সে বিষয়ে তিনি কিছুই উল্লেখ করেন নি। বুয়েটে পড়াশোনার জন্যই তিনি তার আশেপাশের জিনিস নিয়ে অর্থাৎ বিজ্ঞান সম্বলিত বিষয় নিয়ে বেশি আলচনা করেছেন। মন্তব্যঃ বইটা সবার জন্যই অর্থাৎ সকল গবেষকদের জন্যই উপযোগী। কেনোনা এই বইয়ে অনেক জ্ঞ্যানমুলক বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। একজন গবেষকের কিভাবে গবেষণা করা উচিত, কিভাবে গবেষণা পরিচালনা করবেন, পেপার লিখবেন কিভাবে, কোথায় কিভাবে প্রকাশ করবেন এবং অল্প সময়ে পরবেন কিভাবে সবকিছু এই বইটি থেকেই জানা যায়। অনেক তরুণ গবেষক রয়েছেন যারা কিনা সঠিক দিকনির্দেশনার অভাবে তাদের গবেষণাপত্র প্রকাশ করতে পারছেন না। তাঁদের জন্য এই বইটি একটি উত্তম সহায়ক গ্রন্থ হিসেবে পরিগনিত হতে পারে বলে আমার বিশ্বাস।
Was this review helpful to you?
or
Khub valo silo
Was this review helpful to you?
or
ভালো
Was this review helpful to you?
or
awsome book
Was this review helpful to you?
or
সবার পড়া উচিত। শিক্ষনীয় বই।
Was this review helpful to you?
or
অনুবাদ অনেক সুন্দর হয়েছে
Was this review helpful to you?
or
খুবই চমৎকার একটি বই। Highly recommended.
Was this review helpful to you?
or
ভালো অনুবাদ
Was this review helpful to you?
or
'অন দ্য শর্টনেস আব লাইফ' বইটি আমার দৃষ্টিভঙ্গি একদম বদলে দিয়েছে। বইটির প্রতি আমি কৃতজ্ঞ থাকব আজীবন। দর্শনের প্রতি একটা ভালোবাসা তৈরির পিছনে এই বইটিকে মনে রাখবো আজীন। ৮O পৃষ্ঠার বই অথচ প্রতিটা শব্দে, বাক্যে জীবনের সংজ্ঞা নিহিত, একেক লাইন জীবন বদলে দেয়ার মতো। অনুবাদক সাবিদিন ইব্রাহিম সত্যিই চমৎকার একটা বইকে খুব সুন্দর সহজ-সরল ভাবে তুলে ধরেছেন। বইটিতে লেখক সেনেকার পরিচয়, 'অন দ্য শর্টনেস আব লাইফ' বইয়ের সহজ-সাবলীল অনুবাদ, সংক্ষেপে অনুবাদক বইটি থেকে যা শিখলেন, স্টোয়িকবাদ কি এবং সেনেকা পরবর্তী স্টোয়িকবাদ কারা, জীবন পাল্টে দেয়ার মতো ২৫ টি বই, অনুদাকের বই পড়ার মাধ্যমে জীবন দর্শন খুব শিক্ষণীয় ভাবে তুলে ধরেছেন। সর্বোত্তম জীবন-যাপন কোনটি ? যে জীবন জ্ঞান সাধনার, যে জীবন দর্শন চর্চার, যে জীবন চিন্তায় নিবেদিত । অন্যকে সময় দেয়ার আগে নিজেকে কিছু সময় দেয়া শিখুন, পারলে পুরোটা সময় নিজেকেই দিন। আত্নরতিতে মগ্ন হওয়ার জন্য নয় আত্নানুসন্ধানের জন্য। নিজেকে বুঝতে পারলে বিশ্ব এসে ধরা দিবে। আমাদের জীবন ছোট নয়, আমাদেরকে অল্প সময় দেয়া হয়নি। আমরা সময়ের অপচয় করি। ছিদ্র পাত্রে যেমন কোনো পানি থেকে না তেমনি সময় অপচয়কারীর কাছেও কোনো সময় পর্যাপ্ত নয়। বাচার প্রস্তুতি নিতে নিতে জীবন ক্ষয় করে ফেল না। ৫০,৬০ বা ৭০ বছরের পর কিছু একটা করব সেই সব আকাঙ্ক্ষায় বসে থেক না। সেটা নাও আসতে পারে বা সেটা যখন আসবে তখন সে সময়ের প্রয়োজনীয়তা, সমস্যা নিয়েও আসবে। বাঁচুন আজ এবং এখনি। অতীত নিয়ে অনুশোচনা এবং ভবিষ্যত নিয়ে দুর্ভাবনা আমাদের শক্তিমান বর্তমানকে খেয়ে ফেলে। এই ফাঁদ থেকে মুক্ত হউন- আজ এবং এখনি। আমাদের সর্বোত্তম বন্ধু কারা ? যাদের সংস্পর্শে, যাদের সঙ্গপানে আমরা সমৃদ্ধ হই, আলোকিত হই।
Was this review helpful to you?
or
অন দ্য শর্টনেস অব লাইফ ~ সেনেকা সময় সময় - হয়তো আমাদের জীবনের সবচেয়ে অগ্রাহ্য বিষয়। অলসতা, চাটুকারিতা, অপ্রয়োজনীয় কাজ, পরের সমালোচনা এসব করেই আমরা আমাদের জীবনের সবচেয়ে মূল্যবান সময় ব্যয় করে ফেলছি। অথচ তা আমরা তা আঁচও করতে পারছিনা। জীবনের গন্তব্য কি? জীবনের কতটুকু সময় একান্তই নিজের জন্য রাখছি ? আপনি বৃদ্ধকে দেখুন, যারা শেষ নিঃস্বাস গুণছে তাদের কাছে যান, তারা তাদের বয়সটাকেই অস্ত্র হিসেবে দেখায়, অথচ তাদের জিজ্ঞাসা করুন, "আপনি একান্তই নিজের জন্য কতটুকু সময় দিয়েছেন? নিজের জন্য কি অর্জন করেছেন?" উত্তরটা হয়তো দিতে পারবে না। কারণ তিনি তার জীবনের সবটুকুই ব্যয় করেছেন অন্যের জন্যে। অনেকে তা বুঝতে পারে, কিন্তু ততোদিনে প্রয়োজনীয় সময়টুকু শেষ। যে সময় হারিয়েছেন তা ফিরে পাওয়া সম্ভব নয়। খুব সহজ ভাবে বলি, বর্তমানে আপনার ফোনের চার্জ কতটুকু বাকি আছে? ধরুন আপনার ফোনে ১৫% চার্জ আছে, এখন আপনি এই চার্জটুকু অপ্রয়োজনীয় কাজে ব্যয় করতে চাইবেন না নিশ্চয়ই, আপনি এই চার্জটুকু অবশ্যই ব্যাবহার করবেন আপনার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলোতে। এখন চিন্তা করুন আপনি কি একবারও ভেবেছেন আপনি আপনার ফোনের ৮৫% চার্জ শেষ করেছেন, না ভাবেন নি। এখন বিষয়টা নিজের জীবনের সাথে মেলান, আমরা হিসাব করি এখন পর্যন্ত কত বছর বেচেছি! , অথচ হিসাব করিনা আর কতটুকু বছর / সময় বাচবো অথবা হিসাব করিনা আমার জীবনে আর কতটুকু সময় বেচে আছে। কারণ এই হিসাব আমাদের কাছে নেই, অনিশ্চিত । যদি জানতাম তাহলে হয়তো প্রত্যেকটি সেকেন্ডের মূল্য দিতাম, বাকি সময়টুকু একান্তই নিজের জন্য ব্যয় করতাম।। আমরা আমাদের জীবনে সবচেয়ে মূল্য দিয়ে থাকি অর্থকে, অর্থের বিষয়ে আমরা কতো হিসাবি আর সময়ের ব্যাপারে কতো উদাসীন । অথচ এই কৃপণতা হওয়া উচিত ছিল ""সময়"" নিয়ে।
Was this review helpful to you?
or
?????????????
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ বই, অনেক সুন্দর অনুবাদ !
Was this review helpful to you?
or
জীবনকে ভিন্নভাবে ভাবাবে, বিশেষ করে সময়ের অপচয় করার ব্যাপারটাতে বেশ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে । আমরা আমাদের জীবনের অনেক বড়, মূল্যবান সম্পদটিকে কিভাবে অবহেলা করে নষ্ট করে ফেলি,, এসব বিষয় নিয়ে বলেছেন সেনেকা । বইটা পড়ে ফেলুন ।
Was this review helpful to you?
or
সত্যিকার অর্থে বলা যায়, বইটি আমার পড়া শ্রেষ্ঠ বইয়ের তালিকায় রাখাই যায়, এতে কোনো সন্দেহ নেই
Was this review helpful to you?
or
যথেষ্ট ভালো একটা বই। বাংলায় স্টোয়িসিজম নিয়ে লেখা সম্ভবত একমাত্র বই
Was this review helpful to you?
or
Great
Was this review helpful to you?
or
যারা এখনো পপড়েনি অবশ্যপাঠ্য তাদের জন্য!
Was this review helpful to you?
or
রকমারি বুক রিভিউ - বইয়ের নাম-"অন দ্য শর্টনেস অব লাইফ" লেখক-লুকিউস আন্নাকিউস সেনেকা অনুবাদক-সাবিদিন ইব্রাহিম বইয়ের ধরণ-দার্শনিক প্রতিক্রিয়া-এই লেখকের পড়া আমার প্রথম বই এটা।বইটা প্রতিটি বইপ্রেমিকে শেখাবে কিভাবে সময় কাজে লাগাতে হবে।সময়ের অপচয় সম্বন্ধে সচেতন করবে।জীবনের সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ সময় হলেও আমরা যে এর অপব্যবহার সবচেয়ে বেশি করি এটাই বইটিতে তুলে ধরা হয়েছে।পুরো বইটিই একটা চিঠিতে লেখা হয়েছে।আপনারা পড়তে পারেন বইটি আশা করি বইটা পড়লে ঠকবেন না।এছাড়াও পাবেন বইটিতে অনুবাদকের প্রিয় বইয়ের তালিকা,সেগুলোও চাইলে পড়তে পারেন।সব মিলিয়ে বেশ ভালোই লাগবে বইটি।
Was this review helpful to you?
or
অনুবাদের মান ভাল, তবে খুব ভালো নয়।
Was this review helpful to you?
or
forever best book.every man read this book mustly.because this book speak life and learn how to spend your time .
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ একটা বই
Was this review helpful to you?
or
বইটা আজকে পেয়ে এক টানায় পড়ে শেষ করলাম। আমার আগে ইংরেজী ভার্সন(পেঙ্গুইন ক্লাসিক) পড়া ছিল। তাই বাংলা অনুবাদ কিনলাম বাসার অন্যদের পড়ার জন্য। কিন্তু বইটা পড়ে হতাশ হলাম। কিছু শব্দের অনুবাদে লেখকের আরো মনোযোগী হওয়া উচিত ছিল। ইংরেজী ভার্সন পড়ার পর যেমনটি প্রভাব পড়বে একজন নতুন পড়ুয়াদের উপর, বাংলা অনুবাদ তার ধারে কাছেও আসবে না। আর লেখকের উচিত ছিল উনি কোন প্রকাশনী আর লেখকের বইয়ের অনুবাদ করলেন সেটা তুলে ধরার। অনুবাদের সময় মূল লিখার ভাষার মাধুর্যের দিকে আরো ভালোভাবে দৃষ্টিপাত দেওয়া উচিত ছিল। "তুমির" বদলে "আপনি" ব্যবহার করলে আরো শ্রুতিমধুর দেখাতো, পাঠক নিজেকে বইয়ের সাথে আরেকটু বেশী জড়িয়ে নিতে পারতো। আর লেখক নিজের ব্যক্তিগত জিনিস কম টানলেই পারতেন। আরেকটা: আমার বইয়ের বাইন্ডিং টা জগন্য ছিলো, বাইন্ডিংয়ের সুতা ছিড়ে পৃষ্ঠা বের আসছিলো প্রথমবার পড়ার সময়ই।
Was this review helpful to you?
or
চমৎকার একটি বই। বইটিতে থাকা প্রত্যেকটি কথা'ই বাস্তব জীবনের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ। সকলের'ই বইটি পড়া উচিত।
Was this review helpful to you?
or
Please translate Meditation of Marcus Aurelius.
Was this review helpful to you?
or
বইটি আজ ই হাতে পেয়েছি।অর্ডার করেছিলাম ২৬ তারিখ, সেই হিসেবে তারা তারি বইটি পেয়েছি।এর সাথে আরো ২ টা বইও অর্ডার দিয়েছিলাম।* বদলে যান এখনি*, *যদ্যপি আমার গুরু*। তবে আজ শুধু এই বইটিই পড়েছি।সম্পূর্ণ এখনও শেষ দেইনি, তবুও এখন পর্যন্ত খুব ভালো লেগেছে বইটা। আমরা আমাদের সবচেয়ে মূল্যবান যে জিনিস ( সময়) সে জিনিসটাকে ই মূল্য দিতে জানি না।নিছক কোনো এক জিনিস নিয়ে ব্যস্ত আমরা।।
Was this review helpful to you?
or
সেনেকার লেখা অনেক ভালো লাগে..সত্যি আমরা জীবনের মানে বুঝিনা..লেখার প্রতিটি শব্দে জীবনের অর্থ কে লেখিকা বুঝাতে চেয়েছে.. অনেক অনেক ভালো লেগেছে ..
Was this review helpful to you?
or
বইটা পড়ে হতাশ হয়েছি! কারণ বইয়ের প্রায় অর্ধেক অংশজুড়ে অনুবাদকের 25 টি প্রিয় বইয়ের তালিকা দেয়া হয়েছে। যা এ বইটির সাথে মোটেও সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। বইটি নিয়ে যতটা আশাবাদী ছিলাম ততটাই হতাশ হয়েছি তবে কিছুই অংশ বেশ লেগেছে।
Was this review helpful to you?
or
one of the best translated book ever i read...tnx the writer...wish he would write many books...waiting for his writing
Was this review helpful to you?
or
সময় সবচেয়ে মূল্যবান কিন্তু সবচেয়ে বেশি অবহেলিত। সময়ের গুরুত্ব আমরা সবাই জানি কিন্তু গুরুত্ব দেই না। আর জীবন সায়ান্বে দাঁড়িয়ে আমরা সময়ের অপচয়ের জন্যই সবচেয়ে বেশি আফসোস করি। আমরা অনেকেই মনে করি আমরা সময়ের সদ্ব্যাবহার করেছি। কিন্তু যে সব কাজে আমরা সময় ব্যয় করেছি সেনেকার মতে তার অনেকগুলো করে আসলে সময়ের অপচয় করেছি মাত্র। কোন বিবেচনা ছাড়া আমরা অন্যের পিছনে এমনভাবে সময় অপচয় করি যেন আমাদের জীবনে সময় অফুরন্ত। কিন্তু প্রকৃত বিচারে আমাদের জীবনে সময়ের স্বল্পতাই সবচেয়ে বেশি। বর্তমানকে আমরা সবচেয়ে বেশি অবহেলা করি। বর্তমানই সবচেয়ে সংক্ষিপ্ত। আমাদের সামান্য দ্বিধার কারণে আমরা একে হারিয়ে ফেলি। পরবর্তীতে অতীতের দিকে তাকালে এই অবহেলা করার জন্যই আমরা নিজেদেরকে সবচেয়ে বেশি দোষারোপ করি। কিন্তু তখন আর কিছুই করার থাকেনা আফসোস করা ছাড়া। আমরা ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা করে সময় অপচয় করি যদিও আমরা জানি না সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করার জন্য পর্যপ্ত সময় আমরা পাব কি না। সেনেকা দীর্ঘ জীবনের জন্য হাপিত্যেশ না করে সময়ের সর্বোচ্চ সদ্ব্যাবহারের উপর গুরুত্ব দিয়েছেন। শুধুমাত্র সদ্ব্যাবহারের মাধ্যমেই স্বল্প সময়কে আমরা দীর্ঘ করতে পারি। চিঠির আদলে লেখা সেনেকার এই বই পাঠ করা প্রতিটি সচেতন মানুষের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এতে করে জীবনকে উপলব্ধি করার নতুন দ্বার উন্মোচিত হবে। সাবিদিন ইব্রাহিম-এর করা বাংলা অনুবাদটি সুখপাঠ্য।
Was this review helpful to you?
or
valo boi....
Was this review helpful to you?
or
দারুন বই
Was this review helpful to you?
or
দর্শন যাদের ভালো লাগে তাদের জন্য বইটি ভালো হবে। বইটি ছোট কিন্তু অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে শিক্ষা নেয়া যাবে। রোমান দার্শনিক লুকিউস আন্নাইউস কে নিয়ে লিখা এই বইটি। এখানে স্টোয়িকবাদ সম্পর্কেও জানা যাবে। এই বইটির মূল বিষয় সম্পর্কে কিছু লিখছি। বইটি থেকে শিখলাম যে। বাঁচার প্রস্তুতি নিতে নিতে জীবন ক্ষয় করে ফেলো না। ৫০,৬০ বা ৭০ বছরের পর কিছু একটা করবো সেই আকাঙ্খায় বসে থেকো না। সেটা নাও আসতে পারে বা যখন আসবে তখন সে সময়ের প্রয়োজনীয়তা,সমস্যা নিয়েও আসবে বাছুন আজ এবং এখনি। অতীত নিয়ে অনুশোচনা এবং ভবিষ্যৎ নিয়ে দুর্ভাবনা আমাদের শক্তিমান বর্তমানকে খেয়ে ফেলে। এই ফাঁদ থেকে মুক্ত হবার বিভিন্ন পরামর্শ রয়েছে বইটিতে। আমাদের জীবন ছোট নয় আমরাই সময়ের অপচয় করি। ছিদ্র পাত্রে যেমন কোনো পানি থাকে না তেমনি সময় অপচয় কারীর কাছেও কোনো সময় পর্যাপ্ত থাকে না। অন্যকে সময় দেয়ার আগে নিজেকে কিছু সময় দেয়া শিখুন। বইটিতে বলা হয়েছে পারলে পুরো জীবন নিজের জঁন্যই ব্যয় করুন। নিজেকে বুঝতে শিখুন।
Was this review helpful to you?
or
বুক রিভিয়্যু : অন দ্য শর্টনেস অব লাইফ মূল : লাকিউস আন্নাইউস সেনেকা অনুবাদ : সাবিদিন ইব্রাহিম পৃথিবীর সবচেয়ে মূল্যবান জিনিস কী? এই প্রশ্নটি যদি কারো দিকে ছুড়ে দেয়া হয় তবে অকপটেই উত্তর আসবে 'সময়'। কিন্তু আফসোস এই যে, উত্তরটি দেওয়ার ক্ষেত্রে সময়ের মূল্য অনুধাবন করা মানুষের সংখ্যা যৎসামান্য! শৈশবের পাঠ্য বইয়ে পড়েছি "টাইম ইজ মোর ভ্যালুয়েবল দ্যান মানি" সেই কল্যাণেই হয়তো উত্তরটা আমাদের ঝুলিতে সদা প্রস্তুত। কিন্তু বাস্তবিক জীবনে তার প্রয়োগ কতখানি তা তলিয়ে দেখেছেন খুব কম মানুষই। যাঁরা দেখেছেন তাঁদেরকে মনিষীই বলা চলে। স্পেনের কর্ডোভাতে জন্ম নেয়া তেমনি এক মহামানব হচ্ছেন রোমান দার্শনিক লুকিউস আন্নাইউস সেনেকা। জীবনের কানাগলি চড়ে বেড়াতে সময়ের যথাযথ ব্যবহারের তরীকা বাতলে দিয়েছেন তার বিখ্যাত 'অন দ্য শর্টনেস অব লাইফ' নামক ছোট্ট দর্শন কেতাবে। মানুষ তার সারাজীবনে যে প্রশ্নটির উত্তর খুঁজে চরম হতাশায় নিপতিত হন তা হলো- জীবন এত ছোট কেনো? আবার অনেক মনের জিজ্ঞাসা, ভুমণ্ডলে বসবাসকারী কর্মহীন বিভিন্ন পশু-পাখি কিংবা পতঙ্গের জীবন যদি অতিদীর্ঘ হতে পারে তবে মানুষের জীবন কেনো স্বল্প দৈর্ঘ্যের হয়? অথচ পৃথিবীতে সাধিত সকল মহান কাজের কর্তা তো মানুষই। সেনেকা তার এই গ্রন্থে মানব মনের এমন সব প্রশ্নের মূলতপাটন করত সঠিক দীক্ষা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। আর এটি করতে তিনি উদাহরন হিসেবে তুলে এনেছেন জগত বিখ্যাত রাজাধিরাজ, বিশ্ব জয়ী শাসক এবং ভুবন বিজেতা সেনানায়ক আর সমরবীদদের। 'জীবন এত ছোট কেনো?' মানব মনের এই প্রশ্নের তীব্র বিরোধিতা করে সেনেকা বলেন- সত্যিকার অর্থে মানুষের জীবন ছোট নয় বরং জীবনের অনেকটা সময় বেহুদাই ব্যয় হয়। অথচ কত অল্প মানুষই আছে যারা তার সময়টাকে নিজের জন্য উৎসর্গ করেছে। ঠিক একই কথার প্রতিধ্বনি তুলেছেন ভিক্টর হুগো, তিনি বলেছেন- "এমনিতেই জীবন অনেক ছোট, হেলায় সময় নষ্ট করে আমরা সেটাকে আরও ছোট করে ফেলি।" বেশীরভাগ মানুষই বাঁচে অন্যের জন্য, নিজেকে উৎসর্গ করে পার্থিব চাহিদায়, ভোগ-বিলাশ আর আলস্যে কেটে যায় সোনালী দিনগুলো। হয়তো অনেক কিছুই সে অর্জন করে নেয় কিন্তু সবচেয়ে দূরের থেকে যায় নিজের কাছে। জীবনের হিসাব শেষে দেখা যায় সবাইকে সুখী করতে পারলেও যাকে সুখী করা হয়নি সেটা হলো নিজেকে! সমাজের দিকে একটু গভীর দৃষ্টি নিপতিত করলে দেখা যাবে মানুষ তার সম্পত্তির হিসাব নিকাশে এতটাই সিদ্ধ হস্ত যে, তাতে চুল পরিমান ভাগ বসানোর সুযোগ দেয়ার অবকাশ রাখে না অথচ তাদের সময়ের উপর কত চমৎকার বণ্টনই না করে থাকে! কেউ আবার দু'কদম এগিয়ে অন্যের হাতে তুলে দিয়ে আসে। সেনেকা বলেন- "খুব কম মানুষই আছে যারা তার অতীতকে ফিরে দেখার সাহস করে। কারন একমাত্র অতীতই নির্দিষ্ট যেখানে নিজের আমলনামা পুথির মত স্পষ্ট এবং ভাস্বর। জীবনের কতখানি সময় মহাজনের মর্জিতে কেটে গেল, প্রেমিকাই বা নিল কতখানি, বউয়ের সাথে কলহে গেল কত সময় আর সামাজিক দায় কতখানিই বা খেয়ে নিল তার হিসাবটা খরচের খাতায় ফেলে দিয়ে কত আলস্য জীবন যাপন করতে পারে মানুষ! তাদের ভয়গুলো সব মরণশীল প্রণির আর আকাঙ্ক্ষাগুলো মৃত্যুহীনদের।" প্রত্যেকেই যেন এক অনিশ্চয়তার মধ্যে দৌড়াতে থাকে, ভবিষ্যতের কাছে কামনা আর বর্তমানকে নিয়ে উদ্বেগের মধ্যে থাকে। অথচ দ্রুতবেগে ধাবমান বর্তমানকে কাজে লাগালেই যে সুন্দর ভবিষ্যতের আগমন ঘটবে তা নিত্যই ভুলে থাকে। সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ কীভাবে তাদের মূল্যবান সময়কে আলস্যে, আমদে, অহেতুক সাহিত্য চর্চায় আর পানশালায় নষ্ট করছে তার বাস্তব প্রতিচ্ছবিই তুলে এনেছেন বইয়ের প্রথমদিকে এবং এরপরই সময়ের সঠিক ব্যবহারে জীবনকে দীর্ঘ করার বিভিন্ন পথ বাতলে দিয়েছেন। সেনেকার দৃষ্টিতে তারাই সত্যিকার বাঁচা বাঁচে যারা দর্শনের জন্য সময় রাখে। কারন তারা কেবল এক জীবনের হিসেবে সন্তুষ্ট নয় বরং অতীতের সাথে নিজের সম্পর্ক স্থাপন করে সেই সময়কেও নিজের ঝুলিতে পুরে নেয়। সুতরাং তারাই অর্থবহ কোন জীবন যাপন করছে যারা নিজেদের সঙ্গী বানিয়েছে জেনো, পিথাগোরাস, ডেমোক্রিটাস, অ্যারিস্টোটল, থিওফ্রাস্টাসসহ মুক্ত জ্ঞানের বড় সারথীদের। এঁদের কেউই আমাদের ব্যস্ততার অযুহাতে তাড়িয়ে দেবে না, শূন্য হাতে ফেরাবে না, আমাদেরকে মরতে বাধ্য করবে না বরং শিক্ষা দেবে কীভাবে মৃত্যুকে জয় করতে হয়। এঁরা আমাদের সময়কে অনর্থক অপচয় করাবে না বরং তাঁদের কিছু বয়স আমাদের সাথে যোগ করে দেবে। আর এভাবেই আমরা আমাদের বুড়োকালকে সুন্দর করতে পারি, জীবনের এই ক্ষুদ্র সময়কেও বিস্তৃতির ডানায় মেলে ধরতে পারি এবং উপভোগ করতে পারি নিজেকে, নিজের কর্মময় জীবনকে। সেনেকা'র "De Brevitate Vitae" বা "On The Shortness Of Life" বইটি মানব জীবনে সময়কে ব্যবহারের স্বার্থক ম্যানুয়াল হলেও এর বাংলা অনুবাদটি আমার কাছে আরেকটু উপরের মনে হয়েছে। পুরো বইটিতে ছয়টি অনুচ্ছেদের সাথে রয়েছে কয়েক পৃষ্ঠার বিস্তৃত ভূমিকা। যার সহজ ভাষা এবং বর্ণনার ধারা সম্পূর্ন কিতাবের একটি সরল নির্যাস উপহার দেয়। 'অন দ্য শর্টনেস অব লাইফ' প্রথম দিকে অনুবাদের সাথে তুলে ধরা হয়েছে হয়েছে সেনেকা ও স্টোয়িকবাদের পরিচয় পর্ব। আর শেষের দিকে রাখা হয়েছে জীবন পাল্টে দেয়ার মত অনুবাদকের পছন্দের ২৫টি বইয়ের সারাংশ। যেখানে স্থান পেয়েছে প্লাতো, কনফুসিয়াস, লাও জু, সান জু, ম্যাকিয়াভেলি, চাণক্য থেকে শুরু করে স্টুয়ার্ট মিল, বার্ট্রান্ড রাসেল, মহাত্মা গান্ধী, এবং আহমদ ছফা সহ আলো ঝলমল স্কলারদের লেখনি। এছাড়া বিভিন্ন অভিধা'র গুরুত্ব সহজ করে বোঝাতে 'প্যাড়া', 'চুরি-চুট্টামি'র মত প্রচলিত শব্দের ব্যবহারও ভিন্নতা এনেছে বইটিতে। তবে কয়েকটি বাক্যে অর্থের পরিপূর্ণতা বুঝে নিতে একটু কষ্টসাধ্যই হতে পারে। কিন্তু এর পরিমান নেহাতই সামান্য। প্রিয়ভাজন সাবিদিন ইব্রাহিম ভাইয়াকে অসংখ্য ধন্যবাদ এমন সময়ে গুরুত্বপূর্ণ এই বইটি নিজের ভাষায় উপহার দেবার জন্য যে সময়ে মানুষেরা পার্থিব বস্তু কামনায় একেবারেই ভুলতে বসেছে জীবনের শ্রেষ্ঠ সম্পদ 'সময়' কে। সুতরাং যারা সত্যিকার ভাবেই বাঁচতে চায় এবং নিজের জীবনকে ভবিষ্যতের অনিশ্চয়তায় ফেলে না রেখে আজ এবং এখনের সময়টাকেই উপভোগ করতে চায়, অনুবাদকের ভাষায়- 'তাদের জন্য বইটি একটি ভালো সফ্টওয়ার হিসেবে কাজ করবে'।
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_রিভিউ_প্রতিযোগ_ডিসেম্বর বইঃ অন দ্য শর্টনেস অব লাইফ লেখকঃ সেনেকা অনুবাদঃ সাবিদিন ইব্রাহিম ধরনঃ অনুবাদ- দর্শন প্রকাশনীঃ ঐতিহ্য মুল্যঃ১৫০ টাকা কাহিনী সংক্ষেপঃ দার্শনিক সেনেকা স্পেনে জন্মগ্রহণ করলেও পরবর্তী তে রোমে চলে আসেন এবং মায়ের প্রভাবে দর্শনের জগতে প্রবেশ করেন। একসময় সম্রাট নীরুর গৃহচারিকা হলেও পরবর্তী তে উপদেষ্টা হন। পরবর্তী তে নীরুর হত্যাকান্ডের পরিকল্পনায় তাকে জড়িত করা হয় যদিও এটা সত্য ছিলোনা কিন্তু রাজরোষের স্বীকার হন তিনি এবং মৃত্যু দন্ড দেয় তার ছাত্র নীরু। পরবর্তী তে সেনেকা রোমান রাজকর্মচারীকে উদ্দেশ্য করে লিখেছিলেন "অন দ্য শর্টনেস অব লাইফ" অধিকাংশ মানুষকে হরহামেশা এই অভিযোগ করতে দেখা যায় প্রকৃতি আমাদের কে কত কম সময় দিয়েই না পাঠিয়েছে। এত কম সময় যে অল্প কত ব্যতিক্রম ছাড়া অধিকাংশই তো জীবনের প্রস্তুতি নেওয়ার আগে দুনিয়া থেকে বিদায় নিয়ে চলে যাই। এই অভিযোগ শুধু আমজনতার না, অনেক খ্যাতিমান মানুষের মধ্যেও বিদ্যমান। কিন্তু আসল কথাটা হলো আমরা কিন্তু কম সময় নিয়ে আসিনি বরং জীবনের খুব বেশী সময় প্রতিনিয়ত অপচয় করে চলছি। কিন্তু এই পুরো সময় টা যদি বিনিয়োগ করি তাহলে অনেক কিছু অর্জন করা সম্ভব। প্রকৃতি নিয়ে আমাদের এতো অভিযোগ!!! কিন্তু কেন?? সে তো দয়াদ্র। যদি তুমি নিজে সময়কে কাজে লাগাও তাহলে জীবন অনেক দীর্ঘ। কিন্তু আশেপাশে তাকালে আমরা দেখি অর্থহীন কাজে শ্রম দিয়ে যাচ্ছে অনেক মানুষ। অধিকাংশ আবার অন্যের ভাগ্যোন্নয়নে কাজ করে যায় আর নিজেদের নিয়ে অনুযোগ করে কাটিয়ে দেয়। আশেপাশে বদগুনের সমাবেশ,যা আমাদের উপরে উঠতে দেয়না সবসময় বরং নিচে নামিয়ে এনে পরাস্ত করে দেয় আমাদের। আবার কিছু মানুষ আছে যারা উপরের পদের মানুষদেরকে নিয়ে সমালোচনা করে কাটিয়ে দেয়। তুমি আরেকজনের সমালোচনা কিভাবে করো যদি নিজেই নিজের দিকে মনোযোগ না দাও?? বড় মানুষ রা অহংকারী হলেও তারা তোমাকে সময় দিবে পাশে দাড়ানোর সুযোগ দিবে কিন্তু তুমি নিজেই সাহস করছোনা।। কারন তোমার নিজের কথা শোনার জন্য তোমার নিজের ই সময় নাই। সম্পত্তি হারিয়ে গেলে সেটা উদ্ধার করার জন্য মানুষ কে খুনোখুনি করতে দেখা যায় কিন্তু সময় অপচয় হলে তাদের মধ্যে এতোটুকু প্রভাব দেখা যায়না।। সেনেকার বইটি পড়ে এতো টুকু দেখা যায়,সে মনে করেন বাচার প্রস্তুতি নিতে নিতে যেন জীবন ক্ষয় না হয়ে যায়। বছরের পর বছর অপেক্ষা করে সময় নষ্ট করা উচিত না। অতীত নিয়ে অনুশোচনা এবং ভবিষ্যত নিয়ে দুর্ভাবনা আমাদের শক্তিমান বর্তমান কে খেয়ে ফেলে তাই এখান থেকে মুক্ত হতে হবে। ছিদ্র পাত্রে যেমন পানি থাকেনা সময় অপচায়কারীর ও সময় অবশিষ্ট থাকেনা। তাই আজ যাকে সময় দিচ্ছ সেটা নিজের জন্য রেখে আত্মঅনুসন্ধান করো। নিজেকে বুঝতে পারলে বিশ্ব এসে ধরা দেবে। পাঠ্য প্রতিক্রিয়াঃ বইটি যখন শুরু করি প্রথমে জিনিস গুলো বুঝতে একটু দেরী হচ্ছিলো তবে ধীরে ধীরে পাঠ্যদ্ধার করা সম্ভব হয়। আমাদের জীবনে সময় যে কতো গুরুত্ব পুর্ন আর আমরা যে এ যাবতকালে সেটা কতোটুকু অপচয় করে ফেলেছি বইটি পড়ার সময় সেটা হারে হারে ঠিক পাওয়া যায় এবং অনুশোচনা তো আছেই। বইটির আরেকটা কথা খুব ভালো লেগেছে, পড়া এবং অধ্যয়নের যে পার্থক্য.. "অধ্যয়ন শরীর মন মগজ মাথা একসাথে করে কিন্তু পড়া শখের বসে হতে পাড়ে, পরীক্ষার পাশের জন্যও হতে পারে"বইটি পুরোটা পড়ে বারবার সেই ছোটবেলার প্রবাদবাক্যটা মনে পড়ছিলো, "Time
Was this review helpful to you?
or
কারো ধূসর চুল বা কুচকানো চামড়া দেখে ভাবার উপায় নেই সে অনেকদিন বেঁচেছে। সে কেবল অস্তিত্বই টিকিয়ে রেখেছিল। ' - সেনেকা ৪৯ সাল। রোমান সম্রাট নিরোর শিক্ষক দার্শনিক সেনেকা সরকারি কর্মচারী পলিনাসকে উদ্দেশ্যে করে একটি বই লিখলেন। বইটির নাম ছিল 'De Brevitate Vitie'। ইংরেজিতে এই বইটির নাম হলো 'On The Shortness Of Life'। বিখ্যাত স্টয়িক দার্শনিক সেনেকার গ্রন্থটি ইংরেজি থেকে বাংলায় বইটি অনুবাদ করেছেন সাবিদিন ইব্রাহিম। মূল বইটি ৪৮ পাতার হলেও অনুবাদক এবং পাঠক সাবিদিন ইব্রাহিমের নিজস্ব কিছু ভাবনা গ্রন্থটিকেই শুধু সমৃদ্ধ করেনি ; পাঠক হিসেবে আমিও দর্শন সম্পর্কিত মূল্যবান অনেক বইয়ের হদিস পেয়েছি। দর্শন নিয়ে আরো পড়বার আগ্রহ জন্ম নিয়েছে সাবিদিন ইব্রাহিমের কল্যাণে। ভালো-মন্দ যাই ঘটুক সবকিছু মেনে নিতে হবে। জীবন নিয়ে হতে হবে নিস্পৃহ - মোটাদাগে এই হলো স্টয়িক দর্শনের সারকথা। দার্শনিক জেনো স্টয়িক মতবাদের প্রবক্তা। রোমান সম্রাট মারকাস অরলিয়াসও স্টয়িকপন্থী ছিলেন। তাঁর ব্যক্তিগত নোটবুক 'Meditations' স্টয়িক মতাদর্শের প্রেরণাতেই লিখিত। জেনোর মতাদর্শে বিশ্বাসী লুকিউস আন্নাইউস সেনেকার ব্যক্তিগত ধ্যান-ধারণার সংমিশ্রণই হলো 'অন দ্য শর্টনেস অফ লাইফ'। আপনার পাঁচ শ' টাকা হারিয়ে গেলে ব্যথিত হন, প্রিয়জনের সান্নিধ্য না পেলে শোকে কাতর হন। অথচ দিনের পর দিন নষ্ট করছেন সময়। যেন আপনার হাতে রয়েছে অফুরান সময়। যা খুশি করুন, সময় শেষ হওয়ার নয়! ঠিক এইখানেই স্ট্যান্ড নিয়েছেন রোমান দার্শনিক সেনেকা। তিনি বলছেন, ' তুমি যখন জীবন যাপন করো তখন মনে কর যেন অমর থাকবে। মৃত্যুর কথা তোমাদের মাথাতেই আসতে আসে না। কত সময় পার হয়ে গেল টেরই পাও না। তুমি এমনভাবে সময় অপচয় করো যেন কোনো কূপ থেকে পর্যাপ্ত বরাদ্দ পাচ্ছ। ' অন্যকে সুখী করতে প্রতিনিয়ত ব্যয় করছি সময়। কত হাসি-কান্না দিয়ে ঘেরা মুহূর্তের পর মুহূর্তের গাঁথুনি দিয়ে তৈরি মানবজীবন। অথচ শেষ সময়ে এসে, বার্ধক্যে উপনিত হয়ে আফসোস করি, ' আমি বাঁচার কোনো সুযোগই পেলাম না। ' সেনেকার তাঁর পুরো বইতে স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন, বাঁচতে শিখুন। নিজেকে সময় দিন। সাজিয়ে নিন আপনাকে। সেনেকা সাবধান করে দিয়েছেন মৃত্যুভয়ে কাতর বৃদ্ধদের থেকে। তিনি বলেন, ' বুড়ো, অথর্ব লোকেরা প্রতিদিন প্রার্থনায় এই কামনা করে যেন তাদের হিসেবের খাতায় আরও কয়েকটি বছর যোগ হয়। মনে করে তারা যেন আরো জোয়ান হচ্ছে। সত্যিকার অর্থে তারা মিথ্যে দিয়ে নিজেদের বুঝ দিচ্ছে। নিজেদেরকে ফাঁকি দিতে পেরে আনন্দিত হয় যেন তারা নিয়তিকেই ফাঁকি দিতে পেরেছে।' রোমান দার্শনিক সেনেকার চিন্তাকে অত্যন্ত সুন্দর এবং প্রাঞ্জল ভাষায় লিপিবদ্ধ করেছেন সাবিদিন ইব্রাহিম। পড়তে আনন্দ পেয়েছি। মূলত, এই ধরনের গ্রন্থ একবার পড়ার জন্য নয় ; বারবার পাঠের মাধ্যমে নিজেকে ঋদ্ধ করার মতো গ্রন্থ 'অন দ্য শর্টনেস অফ লাইফ'। সাবিদিন ইব্রাহিমের অনুবাদ সম্পর্কে দু'একটি অনুযোগ ছিল। তিনি পুরো বই যতটা সম্ভব সহজবোধ্য করার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু এই প্রচেষ্টার বাড়াবাড়িও চোখে পড়েছে৷ দেখলাম, সমস্যা শব্দটির সমার্থক হিসেবে তিনি বারবার 'প্যারা' শব্দটি ব্যবহার করেছেন। অারওকিছু অপ্রাসঙ্গিক শব্দের ব্যবহারও অনুবাদক করেছেন। সাবিদিন ইব্রাহিম আমার চেয়ে ঢের বড় এবং গুণী পাঠক। তিনি যুতসই শব্দ খুঁজে পান নি এমনটি মেনে নেওয়া আমার মতো দীনহীন পাঠকের জন্য কঠিন এবং ক্ষেত্রবিশেষে বিরক্তিকরও বটে। তাই ল্যাটিন তো জানি না, ইংরেজিতে বইটা পড়ার ইচ্ছাও রইল।
Was this review helpful to you?
or
এমন খুব কম বই-ই আছে যেখানে প্রতিটি বাক্য ভালোলাগার, প্রতিটা শব্দ অনুপ্রেরণা দেয়ার। অন দ্য শর্টনেস অব লাইফ বইটা ঠিক এরকমই।বইটি রোমান দার্শনিক ও নাট্যকার লুকিউস আন্নাইউস সেনেকা তার এক আত্মীয়কে(পলিনাস) উদ্দেশ্য করে লিখেছেন।মূলত তিনি বইটিতে সময়ের সাথে জীবনের সামঞ্জস্যতা তুলে ধরেছেন।বইটিতে শেনেকা পলিনাসকে খুবই গুরুত্বপূর্ণ কিছু উপদেশ দিয়ে গেছে যা খানিকটা এরকম- আমরা হামেশাই এই অভিযোগ করি প্রকৃতি আমাদের কত কম সময় দিয়ে পৃথিবীতে পাঠিয়েছে,এত কম যে অধিকাংশই জীবনের প্রস্তুতি নেয়ার আগেই দুনিয়া ছেড়ে চম্পট দেয়।কিন্তু একটু ছোট্ট একটা চিন্তা করে দেখুন তো আপনি আপনার কতটুকু সময় আপনাকে দেন?সবাই তার নিজের সময়গুলো কাউকে না কাউকে দিচ্ছে,ডাক্তার রোগীকে,উকিল তার মক্কেলকে,প্রেমিক প্রেমিকাকে অথবা প্রেমিকা প্রেমিককে তারা সকলে এমনভাবে সময়টাকে ব্যয় করছে যেন তাদের কাছে অফুরন্ত সময় রয়েছে।অথচ এই সময়কেই জীবনের অন্যান্য ধনরত্নের মতো পাহারা দেয়া উচিত ছিলো।জীবনের সবকিছু ৫০/৬০/৭০ বছরের জন্য ফেলে রাখে অনেকে,তারা কি নিশ্চিত তারা সে দিন পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারবে?অথচ ভবিষ্যতের আশায় বসে থাকা জীবনের সবচেয়ে বড় অপচয়। আপনি সময় নষ্ট করছেন,অন্যের সঙ্গ কামনা করছেন মানে আপনি আপনার নিজের সঙ্গ পছন্দ করছেন না।অন্যের গুনকীর্তন বা সমালোচনার মাধ্যমে মানুষ যে শুধু তার নিজের মূল্যবান সময়ই নষ্ট করে সেকথা বোঝে ক'জন?পৃথিবীতে হাজার হাজার মানুষ সফল, তারপরও তারা একটা পর্যায়ে গিয়ে বলে,"আমার ছুটি কখন হবে?"শেনেকা এর সমাধান বইটিতে দিয়েছেন।সময় তিন অংশে বিভক্ত,অতীত যা সুনিশ্চিত, বর্তমান যা সংক্ষিপ্ততম আর ভবিষ্যত যা অনিশ্চিত।প্রতিটির সঠিক ব্যবহার সম্পর্কে অবগত হতে পারলেই কেবল আপনি সময় নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন।তিনি জীবনে ভ্যালু যোগ করতে বলেছেন,আরো বলেছেন আবেগীয় দূর্বলতার বিরুদ্ধে খড়গ হাতে নামতে।পৃথিবীর সবচেয়ে ব্যস্ততম মানুষটারও বাঁচার জন্য পর্যাপ্ত সময় রয়েছে।ডোন্ট বি বিজি,বি প্রোডাক্টিভ।আপনার বাঁচার সময় আজ,এখনি।বর্তমান খুবই শক্তিমান।অতীত ভবিষ্যৎ ভেবে শক্তিমান বর্তমান নষ্ট করবেন না।জীবন ছোট না,আমরা সময়ের অপচয় করি তাই আমাদের কাছে ছোট মনে হয়।অন্যকে সময় দেয়ার আগে নিজেকে সময় দেয়া শিখুন,পারলে পুরোটা সময় নিজেকেই দিন,নিজেকে বুঝতে পারলে বিশ্ব এসে হাতের মুঠোয় ধরা দেবে।