User login

Sing In with your email

Email Address
Password
Forgot Password?

Not Account Yet? Create Your Free Account

Send

Recipients:
Message:

Share to your friends

Copy link:

    Our Price:

    Regular Price:

    Shipping:Tk. 50

    • Size:
    • Color:
    QTY:

    প্রিয় ,

    সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
    মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?

    Please Login to Continue!

    Our User Product Reviews

    Share your query and ideas with us!

    Customer Reviews

    • Was this review helpful to you?

      or

      লেখক জয়নাল আবেদীন কে আমি ব্যক্তিগত বা সোস্যাল মিডিয়ার কোথাও আলোচনার কেন্দ্রে দেখি নি। তবে তার লেখা/গভীরতা/বার্তা প্রদানের কৌসল তাকে সমসাময়িক অনেক লেখক থেকে সহজেই আলাদা করে। রিভিউর কথা বলতে গেলে এতে আপনি কোন রাজপুত্র /রাজকন্যার রোমাঞ্চ পাবেন না, পাবেন আমাদের চারপাশে ঘটে যাওয়া দেখা না দেখা অনেক বাস্তব ঘটনার উদাহরণ, যা উপস্থাপনে লেখক বরাবরই উৎকর্ষতার পরিচয় দিয়েছেন। মার্ক মাই ওয়ার্ডস, এই লেখক একদিন বাংলাদেশের লেখক সমাজের প্রতিনিধিত্ব করবেন। এবং আমার সর্বশেষ অভিমত, অবশ্যই অবশ্যই এই বইটি আরো অনেক জনপ্রিয়তা ডিজার্ভ করে।

      By Jannat Nur Tanni

      26 Sep 2019 05:11 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      #বইয়ের_নাম :শিকল #লেখক :জয়নাল আবেদিন। #প্রকাশনী :ভূমিপ্রকাশ #প্রথম_মুদ্রণ:ফেব্রুয়ারি ২০১৮ (আমি পাঠক হিসেবে বরাবর ই খুঁতখুঁতে প্রকৃতির। সেই দৃষ্টিকোণ থেকে রিভিউ দেয়ার প্রচেষ্টা।) লেখক খুব ক্ষুদ্র পরিসর এ অনেক বৃহৎ একটা গল্প বলার চেষ্টা করেছেন। এই উপন্যাস এমন একটা প্লট এর উপরে লেখা হয়েছে যার জন্য ৩২০ পৃষ্ঠা খুব ই কম!! #কাহিনি_সংক্ষেপ :উপন্যাসে একই সমান্তরাল এ দুটি ভিন্ন সময়ে, দুটি ভিন্ন পরিবারের গল্প বলা হয়েছে। উপন্যাসের প্রথমেই দেখা যায়, জাহানারা বেগমের সংসার।স্বামী মনজুর আহমেদ, পুত্র সাব্বির ও কন্যা অরনীকে নিয়ে মোটামুটি সুখের সংসার।জাহানারা বেগম শক্ত হাতে স্বামী,সংসার সামলানো চিরায়ত বাঙালী গৃহকর্ত্রী,তবে ব্যাক্তিত্ববান মানুষ,মনজুর আহমেদ সাধারন ব্যাংক কর্মকর্তা,ছাপোষা,কিছুটা ব্যাক্তিত্বহীন, শান্তিপ্রিয় মানুষ।সাব্বির আছে জীবনে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার মরিয়া চেষ্টায়,তার জীবনে আছে এক অদ্ভুত চরিত্র। বাদল সরকার!! ধরা ছোয়ার বাইরের মানুষ, যার পরিচয় রহস্যময়। কে এই বাদল সরকার?? কি তার পরিচয়?? আর সাব্বির ই বা কি চায় জীবন থেকে?? আরো আছে সাব্বির এর ছোটবোন অরনী। যে সদ্য যৌবনে পা দেয়া এক সাধারণ উচ্ছল তরুণী!! পারিবারিক অনুশাসনের বেড়াজালে বন্দি হয়ে পোষা বিড়াল জিনক্সি,টিয়া পাখি ফিনক্সি আর ব্যাক্তিগত ডায়েরি নিয়ে তার নিজস্ব জগত!! তার এই জগত টা কি এতটাই স্বাভাবিক থাকবে?? অপরদিকে, জাহিদ আর নিলার সাজানো সংসার, সুখি দম্পতি!! তবুও কি যেন নেই এই সংসারে!! কোথাও একটা শুন্যতা!! এই শুন্যতার স্বরুপ কি?? কেনই বা নিলার মনে হিনমন্যতা জন্মেছে, কেনই বা জাহিদ জীবনের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে?? জাহিদ এই পরিস্থিতি তে কিছু একটা করে সময় কাটাতে পেশাগত জীবনে মনোনিবেশ করতে চাইলো,২ বছর পুরোনো এক সুইসাইড কেইস নিয়ে মাথা ঘামাতে বসল। ভিকটিম এর নাম নন্দিনী চৌধুরী!! অপুর্ব সুন্দরি এই নারী সুইসাইড নোট এ গানের লাইন লিখে গিয়েছিলেন। কে এই নন্দিনী চৌধুরী?? কেন ই বা সুইসাইড নোটে গানের লাইন লিখেছিলেন?? কেন বেছে নিয়েছিলেন আত্নহত্যার পথ?? কেনই বা এই নারী জাহিদ আর নিলার সংসারে সন্দেহের কালো মেঘ ডেকে আনলো?? সব প্রশ্নের জবাব মিলবে উপন্যাসের শেষে। উপন্যাসের সমাপ্তি তে পাঠক এর জন্য অপেক্ষা করছে চিন্তা চেতনা নাড়িয়ে দেয়া সব চমক!! হৃদয়ের গভিরে বেদনার সঞ্চার করে তীব্র হাহাকার আর দীর্ঘশ্বাস রেখে যাবে এই উপন্যাস। #পাঠ_প্রতিক্রিয়া : লেখক অত্যন্ত চতুরতার সঙ্গে উপন্যাসের পাতায় পাতায় পাঠকের মনে প্রশ্ন তৈরি করেছেন। এক অধ্যায় পড়লে পরবর্তী অধ্যায় এ কি হতে পারে তা ভুলেই কল্পনা করা সম্ভব না। উপন্যাসের প্রথম থেকেই সাবলীল গতিতে এগিয়ে চলেছে চরিত্রগুলোর জীবনগাঁথা।উপন্যাসের মাঝামাঝি পর্যায়ে কিছুটা তাড়াহুড়া,অগোছালো ভাব লক্ষনীয় হলেও পরিসমাপ্তি সব অপূর্নতা চোখের জলে ধুয়ে মুছে যায়। মনে একরাশ আক্ষেপ এর জন্ম দিয়ে লেখক দীর্ঘশ্বাস এর সাথে উপন্যাসের সমাপ্তি টেনেছেন। উপন্যাসে বার বার উঠে এসেছে জীবনের নানা ক্ষেত্রে বিভিন্ন শিকলে আটকে গিয়ে পরিস্থির সাথে মানিয়ে নেয়ার, নিয়তির কাছে মাথা নোয়ানোর উপাখ্যান।জীবনের ভাঙা গড়ার খেলার অপুর্ব চিত্র সাফল্যের সাথে ফুটিয়ে তুলতে সক্ষম হয়েছেন লেখক। তবে উপন্যাসের পাতায় পাতায় বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত মানুষের জীবন যাত্রার ব্যাপারে লেখকের অনভিজ্ঞতার ছাপ কিছুটা পরিলক্ষিত হয়েছে। লেখক এর প্রতি পরামর্শ থাকবে ভবিষ্যৎ এ ব্যাপারে মনোযোগী হওয়ার। আপাতদৃষ্টিতে উপন্যাসের কিছু অংশ, ঘটনার পরিপ্রেক্ষিত এ পাত্র পাত্রী দের রিয়্যাকশন অতিরঞ্জিত মনে হলেও, লেখক যে সময়ের গল্প বলতে চেয়েছেন সেই সময়ের প্রেক্ষাপট অনুযায়ী স্বাভাবিক ই ছিল। ২০১৮ এর হিসেবে বিচার করলে সেটা অস্বাভাবিক লাগাটাই স্বাভাবিক।আর কি হওয়া উচিত সেটা বাস্তবতা না,যেটা প্রতিনিয়ত হয় সেটাই বাস্তবতা। পারস্পরিক কথোপকথন এর সময়ে মানুষের কথ্য ভাষা কিছুটা সহজ এবং সাবলীল হয়ে থাকে।কঠিন বাক্যাংশ বা শব্দের ব্যাবহার কম ই থাকে, উপন্যাসের প্রথম দিকে এধরনের কঠিন বাক্যাংশ ব্যাবহার দেখা গিয়েছে, যেটা কিছুটা দৃষ্টিকটু মনে হয়েছে। কিন্তু গল্প যতই এগিয়েছে, ভাষাগত দিক থেকে স্বতঃস্ফূর্ততা,সাবলীলতা ও প্রাঞ্জলতা ততোই বৃদ্ধি পেয়েছে। লেখকের প্রতি পরামর্শ থাকবে ভবিষ্যৎ এ ভাষাগত দিকে নজর দেয়ার!! লেখকের প্রথম উপন্যাস হিসেবে এই সামান্য ব্যাপার গুলো অগ্রাহ্য করাই যায়!! প্রথম উপন্যাসের প্লট হিসেবে এত কঠিন,স্পর্শকাতর একটা বিষয় কে বেছে নেওয়ার জন্য লেখকের সাহসের প্রশংসা করতেই হবে। তবে মানুষটা যে 'জয়নাল আবেদিন'। পাঠক হিসেবে তাই লেখক জয়নাল আবেদিন এর কাছে আমার আশা বরাবরি আকাশচুম্বী!! প্রথম উপন্যাসে লেখক হয়ত আকাশ ছুতে পারেন নি,তবে আকাশের উদ্দেশ্যে ডানা মেলতে পেরেছেন!! তার এই পথ চলা অব্যাহত থাকবে এটাই আশাবাদ রইলো। পরিশেষে, 'শিকল' যৌবনে সদ্য পা দেয়া এক রুপবতি তরুণীর গল্প।

      By Md. Saiful Islam Sohel

      26 Aug 2018 05:59 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      #রকমারি_পাঠক_সমাগম_বুক_রিভিউ_প্রতিযোগিতা_৫ . মাসঃ আগস্ট সপ্তাহঃ তৃতীয় পর্বঃ ৫ বইয়ের নামঃ শিকল লেখকঃ জয়নাল আবেদীন প্রকাশনীঃ ভূমিপ্রকাশ পৃষ্ঠাঃ ৩২০ মূল্যঃ মুদ্রিত মূল্য ৩৬০ অনলাইন পরিবেশক: rokomari.com . ভূমিকা: আজ প্রিয় একজন লেখক এবং মানবতাবোধে উদ্বুদ্ধ একজন মানুষের লিখা বইয়ের রিভিউ লিখতে বসেছি। বইটা নিঃসন্দেহে দারুণ একটা বই। তবে আমার প্রিয় লেখক হওয়াতে আমি উনার বইয়ের প্রশংসার পাশাপাশি খুঁটিনাটি যত ত্রুটি রয়েছে বইটাতে, সেটাও তুলে ধরবো। . লেখক পরিচিতি: জয়নাল আবেদীনের জন্ম সিলেট জেলার জকিগঞ্জ উপজেলার অন্তর্গত এক গ্রামে। কঠিন বাস্তবতা আর নির্মম জীবনকে খুব কাছ থেকে দেখে বড় হয়েছেন লেখক। তাই জীবন সম্পর্কে খুব ভালো ধারণা আছে উনার। যার বহিঃপ্রকাশ তার লিখাতে ফোঁটে উঠে। জয়নাল আবেদীনের লিখা পত্রিকা কিংবা বিভিন্ন সংকলনে আগে প্রকাশ পেলেও শিকল তার প্রথম বই। বইটি প্রকাশ পেয়েছে ২০১৮ সালের অমর একুশে বইমেলায়। বইটি প্রকাশের সময় লেখক ইন্টার্ন ডাক্তার ছিলেন। . কাহিনী সংক্ষেপ: বইটিতে দুটি পরিবারের গল্প প্রাধান্য পেয়েছে। একটি পরিবার হচ্ছে মনজুর আহমেদের। তার পরিবারে রয়েছে স্ত্রী জাহানারা বেগম, পুত্র সাব্বির ও কন্যা অরণী। জাহানারা বেগম একজন আদর্শ গৃহকর্তী ও বুদ্ধিমতী মহিলা আর তার স্বামী একজন ব্যাংক কর্মকর্তা হয়েও ঠিক তার উল্টো। উনাদের ছেলে সাব্বির বেকারত্ব ঘুচাতে ছুটছে সদা। সাব্বির চরিত্রের সাথে মিশে আছে বাদল সরকার নামের এক অদ্ভুত চরিত্র। মনজুর-জাহানারা দম্পতির মেয়ের নাম অরনী। অরনীর জগৎটা নিজের পরিবার, একটি টিয়াপাখি,একটি বিড়াল আরেকটি ডায়েরির মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। নিজের রুপ সৌন্দর্য তার শত্রু হয়ে দাঁড়ায় এক সময়। একসময় অরণী সমাজের ঘৃন্য এক নারীতে রুপান্তরিত হয়। ধর্ষিত হয়ে সে কনসিভ করে। সন্তানের মায়ার শিকলে বাঁধা পড়ে ও নির্মম বাস্তবতার শিকার হয়ে এই মেয়েটি হয়ে উঠে নন্দিনী চৌধুরী। উপন্যাসের দ্বিতীয় পরিবারটি অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার জাহিদ এবং তার স্ত্রী নীলার। এই দম্পতিটিকে আপাতদৃষ্টিতে সুখী দম্পতি মনে হলেও এদের মধ্যে কোথায় যেন একটা অজানা অসুখ কাজ করছে। এই সুন্দর আর পূর্ন সংসারেও কিসের যেন একটা শূন্যতা আর অপূর্নতা মিশে আছে। জাহিদ তার একঘেঁয়েমি জীবনের রেশ কাটাতে কিছু একটা করতে চাইলো। সে বছর দুয়েক আগের একটা মামলা নিয়ে মাথা ঘামাতে বসলো। এই মামলার ঘটনাটি উপন্যাসের অন্যতম আকর্ষণীয় একটি ব্যাপার। মামলার ভিকটিম নন্দিনী চৌধুরী। এই নারী আত্নহত্যা করেছিলো আর সুইসাইড নোটে আর সাধারণ মানুষের মত আত্নহত্যার কারণ না লিখে, লিখেছে বিখ্যাত একটি গান; "জলে ভাসা পদ্ম আমি,শুধুই পেলাম ছলনা"। লেখকের ভাষায় অপূর্ব সুন্দরী এই নারীর অদ্ভুত সুইসাইড নোটটাই কেবল অবাক করার মত ব্যাপার না। আরেকটি অবাক করার মত ব্যাপার হচ্ছে তার মরণোত্তর দেহদান। জাহিদ এই ঘটনার রহস্য উন্মোচন করতে গিয়ে উদ্ভাবন করলো জীবনের ভিন্ন এক পথ। আর এই পথে প্রবেশ করে সে নিজেই হারাতে শুরু করলো একটু একটু করে। নিজের স্ত্রী'র সাথে ঝামেলা শুরু হয় তার। তারপর কি হয়েছিলো? জানতে হলে পড়তে হবে উপন্যাস শিকল। . নামকরণ: যার মেয়ে সমাজের নির্মম বাস্তবতার শিকার হয়ে একটু একটু করে হারিয়ে যেতে থাকে, সেই মা কেবল বুঝতে পারে বুকে কতটা যন্ত্রণা পোষা থাকে। এই গল্প জাহানারা নামের এক অসহায় মায়ের। নিজের ছেলে মেয়ের জীবনের কোন সুন্দর ইতি ঘটেনি। পুরোটা জীবন নিজের সবটুকু বিলিয়ে দিয়েও সে সন্তানের মুখের হাসি কিনতে পারেন নি। মায়ের সাথে সন্তান যেরুপ শিকলে বাঁধা অথবা স্বামীর সাথে স্ত্রী যে শিকলে বাঁধা, সেই শিকলের নামেই বইয়ের নামকরণ হয়েছে। সুতরাং নামকরণের সাথে বইয়ের গল্পের সাদৃশ্য আছে। . বাঁধাই, ফ্রন্ট,পৃষ্ঠা: এই জায়গায় ঘাটতি হয়ে গেছে বইটার। লিখার ফ্রন্ট সাইজ ও কাগজ ভালো হলেও বাঁধাইটাতে ত্রুটি করেছে। . ব্যক্তিগত মতামত: বইয়ের একেবারে প্রথম দিকে আর মাঝখানটাতে কম আকর্ষণ অনুভব করেছি। কাহিনীটা ভালো ছিল কিন্তু ইতোপূর্বে লেখকের যে গল্পগুলো পড়েছি আমি, সে তুলনায় উপন্যাসে ধার কম ছিলো। অরনির বাসা ছেড়ে যাওয়ার সময়কাল একবার চার বছর আরেকবার পাঁচ বছর বলা হয়েছে। এখানে হয়তো লেখক ভুল করেছে, না হয় আমি বুঝতে ভুল করেছি। বড় এবং ছোট পরিসরে লিখা লেখকের গল্প পড়েই লেখকের প্রতি আকৃষ্ট হয়েছিলাম। হঠাৎ করেই প্রথম বইয়ে আশি হাজারের বেশী শব্দ না লিখে আরেকটু ছোট পরিসরে লিখলে হয়তো লেখকের গল্পগুলোর মতই বইটাও বেশী পরিমাণ দাগ কেটে ফেলতো মনে। উনার গল্পগুলোকে অতিক্রম না করতে পারলেও উপন্যাসটা পড়ে আমি তৃপ্তি পেয়েছি বেশ। এত বড় বই কিভাবে শেষ হলো টের পাইনি। বইটা পড়তে গিয়ে একটা ঘোরের মধ্যে তো পড়েছিলামই বটে। যারা পড়েন নি, তারা পড়ে ফেলুন। বুঝে যাবেন যে, একজন ডাক্তারের ভিতর কি চমৎকার লিখনীশক্তি লুকিয়ে আছে। ব্যাক্তিগত রেটিং ৪.৮/৫ . সেরা উক্তি: ১.দুনিয়া আসলে রঙ্গমঞ্চের চেয়েও বেশি ব্যবসাক্ষেত্র। ২.ঈশ্বরের বিশ্বাস মানুষের মত এত ঠুনকো না। ৩.দৃশ্যমান শিকল লাগানো হয় পায়ে। চেষ্টায় এই শিকল ভাঙা সম্ভব। অদৃশ্য শিকল লাগে মগজ আর মনে। অদৃশ্য শিকল থেকে মুক্তি পাওয়া খুব কঠিন। ৪.জগতের নিয়ম হচ্ছে যখন যে দৃশ্য দেখা উচিৎ না সেটাই সবার আগে চোখের সামনে পড়ে। ৫.যে সংসারে স্বামী বিবির ডরে বিলাই হইয়া থাকে, সেই সংসার ভুস কইরা পানিতে ডুইবা যায়। ৬.খুব প্রিয় কেউ হারিয়ে গেলে মনে হয় সে ফিরে এসে বাকি জীবন আমাকে গালি দিক, ঘৃণা করুক, তবুও ফিরে আসুক। . পাঠ প্রতিক্রিয়া: একজন ডাক্তার জয়নাল আবেদীন এবং একজন মানুষ জয়নাল আবেদীনকেও সম্ভবত একদিন ছাড়িয়ে যাবে একজন লেখক জয়নাল আবেদীন। লেখকের প্রথম বই হওয়া সত্বেও একজন পাঠকও বিরক্ত হবে বলে আমার মনে হয়না। জাহানারা, অরণী, জাহিদ হাসান চরিত্রগুলো আমার ভালো লেগেছে। সাব্বির চরিত্রটিকে মনে ধরে নি। অরণী চরিত্রটা পড়তে পড়তে আমার বার বার বাংলাদেশের আলোচিত দুজন নির্যাতিত মেয়ে তনু আর বিউটির কথা মনে পড়ছিলো। আমাদের সমাজ যে একটা অসহায় মেয়ের পাশে না দাঁড়িয়ে উল্টো তাকে আরো বেশী অসহায় করে তুলে সেটা বেশ ভালোভাবে উপলব্ধি করেছি। . লিখেছেনঃ মোঃ হৃদয় মাহমুদ রুবেল

      By Tasnim Rime

      29 Dec 2018 03:53 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      বই: শিকল জনরা: সামাজিক উপন্যাস লেখক: জয়নাল অাবেদীন প্রকাশনী: ভূমিপ্রকাশ প্রকাশ কাল: বইমেলা ২০১৮ পৃষ্ঠা: ৩২০ প্রচ্ছদ: নাশাদ সাকেব মুদ্রিত মূল্য: ৩৬০৳ কাহিনী সংক্ষেপ: শিকল একটা মায়ার গল্প, যে মায়ায় অাবদ্ধ হয়ে এ জগৎ সংসারে মানুষ টিকে থাকে দিনের পর দিন, মেনে নেয় সব কঠিন নির্মমতা। মায়ার জালে অাবদ্ধ এমন কিছু মানুষের জীবনের খন্ডচিত্র নিয়েই শিকল গল্প। দুটো ভিন্ন পরিবারের গল্প এক শিকলে বন্দি হবার এক সুনিপুন কারুকার্য লেখক তার লেখনিতে তুলে ধরেছেন। গল্পটা এক অপরূপা নারী অরণির। নিজ সৌন্দর্যরূপ যার সবথেকে বড় কাল হয়ে দাঁড়ায়। সবাই মুগ্ধ হয় কাছে পেতে চায় কিন্তু কাছে টানার মত কেউ থাকে না। নিষ্পাপ অরণি কালের বিবর্তনে হয়ে ওঠে সমাজের ঘৃনিত অস্পৃশ্য কেউ। একমাত্র সন্তানকে পরিচয় বাঁচাতে নিজেই হয়ে যায় পরিচয়হীন। সমাজের কিছু কালোহাতের ছায়ায় অরণি হয়ে যায় নন্দিনী চৌধুরী। ইনভেস্টিগেশন অফিসার জাহিদ হঠাৎ করে জড়িয়ে পরল এক রহস্যময় কেসে, অজ্ঞাত কারনে সুইসাইড করা নন্দিনী চৌধুরী মরনোত্তর দেহদান করে যায়। সুইসাইড নোটে গানের কলি ছাড়া অার কিছুই পাওয়া যায় না। অনেকদিন ধামাচাপ পড়া কেস নিজের খেয়ালেই অাবার খুঁজে দেখতে শুরু করেন। এদিকে জাহিদের স্ত্রী নীলার মাতৃত্বহীন একাকীত্ববোধ কিংবা অপরগতার কারনে নিজেকে দুর্বল অার সন্দেহপ্রবন করে তোলে জাহিদের প্রতি। একটা সন্তানের অভাববোধ মানসিকভাবে অনেকটা অসুস্থ করে তোলে নীলাকে। বিশ্বাসের খুঁটি কিছুটা যেন নড়বড়ে হয়ে ওঠে। গল্পটা জাহানারা নামক এক দুখিনী মায়ের। সংসার ধর্ম অার সন্তানের জন্য নিজ পরিবার, অাত্মীয় ত্যাগকারী একাকী নারী জাহানারা বেগম, জীবনের শেষদিন পর্যন্ত একাকীত্বের হাহাকার অার অপেক্ষার প্রহর গুনে যে যুদ্ধ করে যায় নিজের সাথে। নিজের সবটা বিলিয়ে দিয়েও যে কিনতে পারেনি নিজের কিংবা সন্তানের মুখের হাসি, এক টুকরা সুখ। মূলত একজন নারীর বিভিন্নরূপ অার সন্তানের সাথে তার নাড়ীর যে শিকল সেই শিকলের কাহিনী কিংবা স্বামী, স্ত্রীর যে ভালোবাসর শিকল, সেই শিকলের গল্পই এ বই। নিজস্ব মতামত : জগতের কোন মানুষ যেমন ব্যক্তিগত না তেমনি শিকল কারো ব্যক্তিগত গল্প না গল্পটা অামাদের সবার। সমাজের বিভিন্ন স্তরে নারী নির্জাতন অার অবহেলার এক বাস্তবচিত্র শিকল। একটা ছোট ঘটনা মানুষের জীবনকে কতটা পাল্টে দিতে পারে কিংবা লোভ, কাম মানুষকে কতটা নিচে নামাতে পারে এ বইয়ের কালো অক্ষরে তা অাছে। অাছে রহস্যাবৃত কিছু মানুষের জীবনের ক্ষত অার ভালোবাসার গল্প, বৈষম্যের যাতাকলে পিষ্ঠ নারীর গল্প। যা পাঠকের চোখের কোনে চিকচিকে পানির কারন হতে পারে। বইয়ের প্রিয় কিছু লাইন: ★সম্পর্ক জিনিসটা তালার মতো। বহুদিন অব্যবহৃত তালা যত দামিই হোক না কেন, একসময় তাতে জং ধরে যায়। হুট করে খোলার দরকার পরলে সহজে খুলতে চায় ন। ★এত বড় দুনিয়া, চোখের সামনে মানুষ অার মানুষ অথচ কথা বলার মত কেউ নেই। ★যাদের বিশ্বাসের দেয়াল নড়বড়ে তারা কারনে অকারনে সন্দেহ করতে পারে। ★অাজন্ম দেবতা ভেবে অাসা মূর্তিকে যখন স্রেফ পাথরের ধ্বংসাবশেষ হিসেবে অাবিস্কার করা হয়, তখন পূজারীর মনের অবস্থা কী হয় সেটা কেবল সেই জানে। ★খুঁত ধরা মানে যে এক ধরনের কেয়ার এটা বুঝতে মানুষ অনেক সময়ই দেরি করে ফেলে। ★কান্নার বিস্তার জীবন ব্যাপী। কান্না একজন মানুষের জন্ম নিশ্চিত করে, নিশ্চিত করে মৃত্যুও। সব ভালোর মাঝেও খুঁত থাকে। তেমনি এ বইয়ের যে দিকটা তালগোল পাকানো মনে হল তা হচ্ছে সময়। কখনো চার বছর, কখনোবা পাঁচবছর অরনির বাসা থেকে চলে যাওয়ার সময়। অার অতীতের কথা বলতে গিয়েও একসাথে দুটো যায়গায় শীতের বর্ননা। হয়তো অামার মনোযোগের অভাবেও ধরতে পারিনি এমন হতে পারে। তবে সময়ের হিসেবটা তালগোলে লাগছে। অার রৌদ্রের অত ছোট বয়সে বড় মানুষের মত পাকা পাকা কথাগুলোও কেমন যেন অসামানযস্য মনে হইছে। তবে সব মিলিয়ে খুব খুব উপভোগ করেছি।

      By Shohab Hossain Sykot

      28 May 2021 02:01 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      এক বৈঠকে পড়ে ফেলার মত বই। অনেক বছর কোন উপন্যাস পড়া হয় না। আবার নতুন করে নেশা হয়ে যাচ্ছে। ধন্যবাদ জয়নাল আবেদীন কে এমন সুস্থ একটি উপন্যাস উপহার দেবার জন্য।

      By reshma ahmed jeba

      23 Feb 2020 03:39 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      যারা বড় লেখা দেখে ভীত তারা এড়িয়ে যেতে পারেন। উপন্যাস- শিকল লেখক- জয়নাল আবেদিন প্রকাশনীঃ ভুমি প্রকাশ প্রকাশকালঃ বইমেলা ২০১৮ মুল্যঃ ৩৬০ পৃষ্ঠা সংখ্যাঃ ৩১৯ প্রারম্ভিকা মানুষ চমক পেতে পছন্দ করে ঠিকই তবে এক জীবনে বেশি চমকের আবির্ভাব অসহনীয়। আর সেটা যদি হয় মন্দ চমক, তাহলে তো চরম দুর্বিষহ একটা অনুভুতি। সারাংশঃ আমাদের আশেপাশে এমন অনেক মানুষই আছে যাদের জীবনে স্বচ্ছ আলো প্রবেশ করেনা কখনওই। অন্ধকার থেকে আরো অন্ধকারে যেয়ে একসময় জীবন শ্বাস ত্যাগ করে। আমরা সেইসব মানুষ কে চিনিনা, কখনও চিনতে চেষ্টাও করিনা কিংবা বলা যায় খোজ ও রাখিনা। বরং দূর থেকে ভাবি যে তারা দুঃখ নিয়ে ইচ্ছেকৃত বিলাসিতা করছে। শিকল উপন্যাস, আমাদের চারপাশে দুঃখে থাকা কয়েক টা চরিত্র নিয়েই, বিশেষ ভাবে অরনী, জাহানারা এবং নীলা চরিত্রটি। জাহানারা চরিত্রটি একইসাথে একজন নববধূর এবং একজন মমতাময়ী মায়ের যিনি কিনা চিরায়ত বাঙালির শাশুড়ী কর্তৃক মানসিক ও শারীরিক নির্যাতনের এবং স্বামীর কর্তৃত্ব পরায়নতার চেষ্টার শিকার এবং একইসাথে তার একমাত্র মেয়ের সবচেয়ে বড় বিপদে নিজের সমর্থন দিয়ে মেয়েকে পুরোটা আগলে রাখার চেষ্টার প্রাচীর। আসলে এই জাহানারা চরিত্রটি আমার মা, আপনার মা, প্রতিটা পাঠকের নিজের মা যারা সন্তানের বিপদে ৫০ রাকাআত নামায অনায়াসেই পড়ে ফেলতে পারে। অন্যদিকে অরনী চরিত্রটি সমাজের প্রায় প্রতিটি নারীরই, বিশেষ করে যারা চোখ ধাধানো মতন সুন্দরী, যাদের প্রতি পদক্ষেপে বিপদ ওৎ পেতে থাকে, যারা চাইলেও বাইরের আলো বেশিক্ষন নিতে পারেনা। সৌন্দর্য মানুষকে বিড়ম্বনায় ফেলে, সৌন্দর্য মানুষকে বিপদে ফেলে তার প্রমান দেয়া অসংখ্য নারী চরিত্রের প্রতিনিধিত্ব করে গেছে এই অরনী চরিত্রটি । আর অরনী কে ঘিরেই মনজুর আহমেদ নামে একজন দায়িত্ব জ্ঞানহীন বাবা, সাব্বির নামক একজন অমানুষ ভাই কিংবা বাদল নামে একজন সত্যিকারের ভালোবাসার মানুষ অথবা জাহিদ নামে একজন সৎ পুলিশ অফিসার কিংবা জাহিদের স্ত্রী নীলার মানসিক টানাপোড়েনের অসুস্থতা পুরো উপন্যাস জুড়ে কাহিনী এগিয়ে নিয়েছে। আমরা প্রায়শই সিনেমা বা নাটকের প্রারম্ভিকায় নাটকের শেষাংশ দেখি যা আমারদের কে ঘটনার শুরুতে নিয়ে মনস্তাত্ত্বিক স্বাক্ষী বানিয়ে দেয়। শিকল উপন্যাস টা এর চেয়েও অদ্ভুতভাবে পাঠককে মনস্তাত্ত্বিক স্বাক্ষী বানিয়েছে ১৬ বছর পুর্বের এবং পরের কাহিনি পাশাপাশি লিখে যেয়ে। পাঠক কে উপন্যাসের প্রায় শেষের দিকে এসে অদ্ভুত একটা অনুভূতির মুখোমুখি পরতে হয় যা আত্মতুষ্টির নামে একটা প্রশ্নহীন উত্তর রেখে যায়............. " সৃষ্টিকর্তার হিসাবের বাইরে কেউ না, কেউওই না, কখনোই না। " উপন্যাসের উক্তি বিশেষঃ √ প্রত্যেকেরই কিছু দুর্বল জায়গা থাকে। সেই দুর্বল জায়গা আঘাত পাওয়ার জন্য সর্বদা প্রস্তুত হয়ে থাকে। ভালো কথা হোক, খারাপ কথা হোক; সেটা প্রায়ই আঘাত হয়ে এই জায়গাতেই এসে লাগে। √ সম্পর্ক জিনিসটা তালার মতো। বহুদিন অব্যবহৃত তালা যত দামিই হোক না কেন, একসময় তাতে জং ধরে যায়। হুট করেই খোলার দরকার পড়লে সহজে খুলতে চায়না। যেকোন গভীর কিংবা আন্তরিক সম্পর্ক কেও চর্চার মধ্যে রাখতে হয়। অন্যথায় একসময় চকচক করা সম্পর্ক নিজেদের অজান্তেই অকেজো তালার মতোই হয়ে যায়। যাকে একসময় হাজারবার ভালোবাসি বলা হয়েছে, তাকে কেমন আছেন বলতেই মুখে বাধে। গলা দিয়ে তখন স্বর বের হয়না। √ কেউ যদি কাউকে সত্যিই ভালোবেসে থাকে তবে তাকে কখনোই অন্য মানুষের কাঠগড়ায় দাড় করানো যায়না। ভালোবাসার বিষয়ে মানুষ টা যদি অপরাধী হয়েও থাকে, তাকে বাইরে থেকে বাঁচিয়ে নিয়ে আসতে হয়। কাঠগড়ায় যদি দাড় করাতেই হয় তবে নিজেকেই হতে হয় কাঠগড়ার কাঠ। কাঠ হয়ে মানুষ টাকে বুঝিয়ে দিতে হয় আমি তোমাকে ঘিরে রেখেছি, আমি তোমাকে রক্ষা করব। √ শূন্যতা অসহ্য ব্যাপার।প্রকৃতি নিজেও শূন্যতা পছন্দ করে না।কোন এলাকা হঠাত করে বায়ুশূন্য হয়ে গেলে সাথে সাথেই অন্য কোথাও থেকে বায়ু এসে শুন্যস্থান পূরণ করতে গিয়ে টর্ণেডোও সৃষ্টি করে ফেলে।মানুষের এই সুযোগ নেই।মানুষ চাইলেও কারো শুন্যস্থান কেউ পূরন করতে পারে না। √একজন শুন্য মানুষ যেখানেই যায় সব কিছুকেও শুন্য করে দেয়। শুন্যের একেবারেই মূল্য নেই তা না। শুন্য কে কোনো সংখ্যার আগে বসালে তার গুরুত্ব নেই সত্য কিন্তু কোনো সংখ্যার পরে বসালে শুন্যের গুরুত্ব অন্য কোনো সংখ্যার চেয়ে কোনো অংশেই কম নয়। শুন্যকে চলতে হয় একটু হিসেব করে, একই ভাবে শুন্য মানুষ কে পা ফেলতে হয় সাবধানে। শুন্য মানুষ কখনোই অন্য মানুষের সামনে যেতে পারেনা। তাকে সর্বদা পেছনেই থাকতে হয়। পিছিয়ে থাকার ত্যাগ দিয়ে সে মহিমান্বিত করে অন্য কাউকে। পেছনে বসেই বুঝিয়ে দেয় তাকে ছাড়া অন্য কারো মর্যাদা কত নিচে, কত সামান্য। শুন্য সংখ্যার মতোই শুন্য মানুষকে পেছন থেকে বসে কেউ আগলে রাখে না, শুন্য মানুষকেই আগলে ধরতে হয় অন্য সবাইকে। এইজায়গায় শুন্য এবং শুন্য মানুষের ধর্ম একই। লাস্ট প্যারার উক্তি গুলো যখন পড়ছিলাম তখন আবেগী হয়েছিলাম এই ভেবে যে বাবা বেঁচে থাকলে আজ আমিও এমন শুন্য মানুষ হতাম না হয়ত। যাই হোক সবশেষ এক লাইনে লিখছি... সব সম্পর্কের শিকল এক নয়, কেউ চায় শিকলে বন্দী হতে কেউবা চায় শিকল মুক্ত হতে। যে শিকল বন্দী হতে চায় সে কখনো শিকল মুক্ত হতে চাওয়া মানুষের প্রার্থনার তীব্রতা বুঝবেনা। কিছু শিকল সম্পর্ককে জীবিত রাখে আর কিছু শিকল আত্মহত্যায় প্ররোচিত করে কিংবা একাকীত্ব কে বেছে নেওয়ায়। শিকল উপন্যাস সম্পর্কে যা সবারই জানা থাকা উচিৎঃ [এই অংশের লেখার কার্টেসী জাহিদ নামক একজনের যার নামেই উপন্যাসের জাহিদ চরিত্র টি ] √ শিকল প্রায় ৯১,০০০ শব্দের উপন্যাস এটা প্রায় সবাই জানেন। আর লেখকের বিভিন্ন পোস্টের মাধ্যমে হয়ত এটাও জেনে গেছেন শেষ ৪০,০০০ শব্দ লিখা হয়েছে মাত্র ৩ দিনে। √ লিখা শুরু করার কিছুদিন পর লেখক সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি আর লিখবেন না। তার কোন কারনে লিখা হয়ে উঠছিলো না(অনেকে এটাকে রাইটার্স ব্লক বলেন)। √ ২২,০০০ ওয়ার্ড লিখার পর তার কাছে বিষয়টা অনেকটা প্রহসনের পর্যায়ে চলে যায়। লেখকের মোটামুটি ধারণা ছিলো তিনি ৩৮,০০০ এর এদিক সেদিক লিখবেন।শেষ পর্যন্ত ৯১,০০০ হাজারের অসাধারণ কিছু পাওয়া। √ উপন্যাসের প্রায় ৮৪,০০০ ওয়ার্ড লিখে একটানে ২২,০০০ ওয়ার্ড কেটে দিয়েছিলেন জয়নাল আবেদিন।

      By Shahana Rahman

      24 Feb 2019 08:29 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      osadharon Boi

      By Habib ullah

      13 Nov 2018 08:32 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      #রকমারি_রিভিউ_প্রতিযোগীতা বইঃ শিকল (উপন্যাস) লেখকঃ জয়নাল আবেদীন প্রকাশনীঃ ভূমি প্রকাশ মূল্যঃ৩৬০ টাকা ( রকমারি মূল্য ৩০৬টা) কখনো কোন বাংলা সিনেমা দেখে মনের অজান্তেই চোখের জল ফেলেছেন? মনে হয় না। তবে আমি দেখেছি এমন অনেককে। অনেক কষ্টের একটা দৃশ্যে এসে নায়িকা কিংবা নায়কের সাথে সাথে তারাও প্রায় কেঁদে ফেলেন।আসলে তারা শুধু সিনেমা দেখেন না, সিনেমার ঐ মানুষটার জায়গায় নিজেকে বসিয়ে উপলব্ধি করেন বলে কান্না আসে। কিংবা দৃশ্যটাকে নিজের সামনে ঘটছে এমনটা মনে করে কান্না করে। অথচ আমরা সেটা দেখে মজা নিতে চেষ্টা করি। কারণ আলগা আবেগ দেখে আমাদের হাসিই চলে আসে। আমার কথায় বলি। আমিও এমন কাউকে কাঁদতে দেখলে হাসতে হাসতে মেঝেতে গড়াগড়ি খেতাম। আর বলতাম ' কি মদস্টিক মার্কা মানুষরে ভাই, অভিনয় আর বাস্তবতার মধ্যে ফারাক বুঝে না"। বাংলা উপন্যাস পড়ে কখনো মনের অজান্তে চোখের জল গড়িয়ে ঠোঁটে এসে পৌঁছেছে আপনার? জানিনা এমন হয়েছে কিনা। তবে ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি, যদি এক ধ্যানে সম্পূর্ণ উপন্যাসের ভিতরে নিজেকে সপে যদি কখনো কোন উপন্যাসের কষ্টের দৃশ্য পড়ে থাকেন তবে আপনার চোখের জল মুখ দিয়ে বেয়ে ঠোঁট অব্ধি না গেলেও চোখ ছলছল অবস্থা কিন্তু হয়েছে। হয়তো পরে বিষয়টা পড়ে নোটিশ করেছেন এমন কিছু। অনেকদিন পর হুট করে 'শিকল' উপন্যাসটা হাতে পেয়ে অফিসের ফাঁকে আর বাসায় ফ্রি সময়কে কাজে লাগিয়ে টানা তিন দিনে শেষ করলাম। কিন্তু কখনো মনে হয়নি আমি পড়ছি! মনে হয়েছে আমার সামনে ঘটে যাওয়া কোন এক বাস্তব জীবনচক্র। যেখানে একজন ধর্ষিতা নারী ঠিকে থাকার জন্য যুদ্ধ করে যাচ্ছেন বাস্তবতার সাথে। একজন মা তার সন্তানকে অভিশাপ মুক্ত করতে তার সর্বশ্য ত্যাগ করতে একটু ভ্রুক্ষেপ করছে না। একজন মা সন্তানের মঙ্গলের জন্য পৃথিবীর সব কিছুর মায়া ত্যাগ করতে কয়েকসেকেন্ড ভাববার মতো সময় ব্যয় করতে চাইছে না। নারীদের জীবনে কিছুই নেই, একদম কিছুই নেই। আছে কেবল সন্তানকে জন্ম দেওয়া, জন্ম দিয়ে বড় করার তীব্র বাসনা। এই সন্তান জিনিসটা না থাকলে নারীর জীবনে বেঁচে থাকার কোন অর্থই থাকতো না। একজন মানুষ সাবেক মুসলিম হয়, সাবেক চাকুরীজীবী হয়, সাবেক স্বামী হয়, সাবেক প্রেমিকা হগ কিন্তু সাবেক ধর্ষিতা হয় না। অনিচ্ছায় অর্জন করা পৃথিবীর খারাপ পরিচয় গুলো সব সময় বর্তমান থাকে। অথচ এগুলোই সাবেক হওয়া উচিৎ ছিলো সবার আগে। একজন নারী নিজের ইচ্ছেতে কখনো ধর্ষিত হয় না, সমাজের কিছু নিন্ম শ্রেণীর মুখোশধারী জানোয়ার তাদের ধর্ষণ করে। অথচ সমাজের কিছু মানুষ সেটাকে বারবার আঙুল উঁচিয়ে দেখিয়ে দিয়ে আরো অনেকবার সেই নারীকে ধর্ষণ করে। আহ! সমাজের কি করুণ অবনতি। উপন্যাসের পরিশেষে 'অরণী' নামের চরিত্রটির জন্য খুব খারাপ লেগেছে। সন্তানের জন্য এত কিছু করে যাওয়া মায়ের সং্খ্যা দিন দিন বাড়ুক এটাই কাম্য। লেখক তার সূচনাতে লিখেছিলেন 'একজন নতুন লেখকের জন্য গল্পের বিষয়বস্তু যতেষ্ট কঠিন ও স্পর্শকাতর'। আর দশটা পাঠকের মতো আপনার উপন্যাস বিশ্লেষণ করার ক্ষমতা আমার নেই। তবে একজন সাধারণ পাঠক হিসেবে বলতে পারি এমন স্পর্শকাতর গল্প আমাদের মতো সাধারণ পাঠকদের চোখের জল মনের অজান্তেই মুখ বেয়ে ঠোঁট অব্ধি স্পর্শ করে।

      By Adil Ahnaf Khan

      19 May 2019 02:18 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      বইটি খুব ভালো ছিলো। লেখক খুব সুন্দর করে গুছিয়ে সকল ঘটনা বর্ণনা করেছেন।বইটি পড়ার সময় একটা বারও মনে হয়নি যে এটা লেখকের প্রথম উপন্যাস। রকমারি পরিবারকেও আমার অসংখ্য ধন্যবাদ। কোনো প্রকার ঝামেলা ছাড়াই অল্প সময়ের মধ্যে বইটি হাতে পেয়েছি। কিন্তু একটি বিষয় আমাকে খুবই হতাশ করেছে।বইটি ছাপা করার সময় হয়তো কোনো সমস্যা হয়েছিলো। যার ফলে ২২৪ থেকে ২৪১ পৃষ্ঠা বইটির মধ্যে পাইনি।হয়তো ছাপা করার সময় পাতাগুলো বাদ পড়ে গিয়েছিল। এই গুরুত্বপূর্ণ পৃষ্ঠাগুলো বাদ পড়ায় উপন্যাসের ঘটনা কোন দিকে প্রবাহিত হচ্ছে তা বুঝতে গিয়ে আমাকে অনেক হিমশিম খেতে হয়েছে। অনাকাঙ্ক্ষিত এই ভুল ছাড়া বাকি সবকিছুই ঠিক ছিলো।

      By তানিম ইশতিয়াক

      13 Nov 2018 07:45 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      #রকমারি_রিভিউ_প্রতিযোগ বই : শিকল (উপন্যাস) লেখক : জয়নাল আবেদীন প্রকাশনী : ভূমিপ্রকাশ মূল্য : ৩৬০ টাকা। ... মানুষের জীবনটা কেমন? বেঁচে থাকার স্বরূপ কী? এসব প্রশ্নের উত্তর হতে পারে বিবিধ। কেউ ভালোবাসার ভাবালুতায় হাসছে, কেউ ভাসছে কষ্টের কচুরিপনায়। কারো জীবনে সচ্ছ্বলতার আনন্দ, কেউ বয়ে বেড়াচ্ছে দারিদ্র্যের দণ্ড। যাপিত জীবনের এই নানাবিধ নৈর্ব্যক্তিক অভিজ্ঞতাগুলো আবার একে অপরের সঙ্গে গভীরভাবে সম্পৃক্ত। অদৃশ্য সুতায় সংযুক্ত দৃশ্যমান সেই সম্পর্কগুলো হতে পারত একটি মালা, কিন্তু দুর্ভাগ্য যে তা হয়ে ওঠে শিকল। শিকলে আবদ্ধ মানুষের ঘাত-প্রতিঘাতের ধারাপাত বর্ণনা করেছেন তরুণ কথাসাহিত্যিক জয়নাল আবেদীন। তীক্ষ্ণ দৃষ্টি ও তীব্র জীবনবোধ নিয়ে অবিশ্বাস্য অচলায়তন তুলে সাজিয়েছেন তার প্রথম উপন্যাস ‘শিকল’। শিকলের চরিত্রগুলো আমাদের খুব চেনা। অথচ তাদের ভেতরকার গল্পগুলো অচেনা মনে হতে পারে! কার্তিক মাসের সুন্দর বিকেলে সুখময় সম্ভাবনায় যে জাহানারা-অরণীর সঙ্গে পরিচয় ঘটে, তাদের জীবনে নেমে আসে ভয়ংকর কালবৈশাখী ঝড়। সেই ঝড়ের অসম্ভব তাণ্ডবে লণ্ডভণ্ড হয় জীবন। তুফানের অবিশ্বাস্য তোড়ে ভেসে যায় পরিবার। সুন্দরী তরুণী অরণীকে হতে হয় হাতবদলের নন্দিনী চৌধুরী। এই বাঁকপরিক্রমায় দেখতে হয় ঝাঁক ঝাঁক কুৎসিত রূপ। কুঁকড়ে উঠতে হয় তীব্র ঘৃণায়। পাঠকের বুকের ভেতর জাগে হড়হড়ে হাহাকার। গলার কাছে কান্না দলা পাকিয়ে ওঠে। নারকীয় নিঃসঙ্গতায় ডুবে যায় সমস্ত সত্তা। ঝড়ঝাপটা ও বৃষ্টিবাদলার পর আলোছড়ানো এক ‘রৌদ্রের’ ক্রমোজ্জ্বল হয়ে ওঠা নতুন আশার সঞ্চার করে। রহস্যময় পৃথিবীতে মানুষ কত অদ্ভুত হতে পারে, তারই স্বরূপ ‘শিকল’। সামাদ নামের একজন মনুষ্যজানোয়ারের উন্মত্ত কামকদাচার কীভাবে বিষিয়ে তোলে নিষ্পাপ অরণীর স্বপ্নলোক। বিত্তের লোভে কতটা বিচ্যূত বদমাইশ হতে পারে সাব্বির, যে নিজের বোনকেও বারবনিতা করে অন্যের হাতে তুলে দিতে একটুও কাঁপে না! নীরব নরকের এই আগুন নিয়ে সমাজের কোনো মাথাব্যথা নেই, অথচ প্রকাশ্যে স্বর্গকন্যার মুখ থেকে শীতসকালের ধোঁয়া বেরুলেও কলস কলস পানি নিয়ে হম্বিতম্বি করে। এমন বিড়ম্বিত ব্যবস্থায় মেধাবী সদ্ভাবাপন্ন বাদলদের ঠাঁই নেই। তাদের প্রতিভার প্রকাশ ঘটাতে হয় অপরাধজগতে। জীবনের এতসব জটিলতা দেখে শুধু মনে হয়, কেন এমন হয়? কেন এমনটাই ঘটে? উত্তর একটাই- সবাই শিকলে বাঁধা। চাইলেই এই শিকল খুলে ফেলা যায় না। হতে হয় অসহায় বলি। অন্যদিকে নীলা-জাহিদের রসায়নটা কেমন? সুখী দাম্পত্য ও সম্মোহিত সম্পর্কের ভেতরেও ঢুকে পড়ে অনাকাঙ্ক্ষিত উৎপাত। তার উৎপত্তিটাও অকস্মাৎ অঘটন থেকে। মৃত সন্তান জন্মদান এবং মা হওয়ার সম্ভাবনা হারানোর খবরে নীলা ঢুকে যায় অস্থিরতায় এক অব্যক্ত জগতে। ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার জাহিদ হাসান নীলাকে সেই জগত থেকে আর ফেরাতে পারে না। এর মধ্যে আত্মহত্যায় মৃত নন্দিনী চৌধুরি তৈরি করে সন্দেহের ফাঁদ। নন্দিনীর তদন্তে নেমে জাহিদ যেন চোরাবালিতেই ডুবতে থাকে। তলিয়ে যাওয়ার আগে মৃত নন্দিনীর রেখে যাওয়া ‘রৌদ্র’ হয়ে ওঠে উঠে আসার স্বাভাবিক সূত্র। আপাত দৃষ্টির অবিশ্বাস্য-অসম্ভাব্য ঘটনাবলির চিত্রায়ন হলেও লেখকের মুন্সিয়ানায় তা অত্যন্ত বিশ্বস্ত হয়ে ওঠে। প্রথম দিকের প্রায় পঞ্চাশ পৃষ্ঠা চতুর্মুখী চরিত্র ও ঘটনার বিক্ষিপ্ততায় উপন্যাসে বুঁদ হতে পারিনি। তবে অধ্যায়ভিত্তিক সেসব অংশগুলোয় দার্শনিক ভাবভঙ্গিমা থাকায় একেকটি ছোটগল্প মনে করে সামনে এগিয়েছি। এটুকু ধৈর্যধারণের পরই মনে হয়েছে আমি শিকলে আটকা পড়েছি। এখন এর শেষ গিঁট না খুলে আর বের হওয়া সম্ভব না। উপন্যাসের আঙ্গিকের কথা চিন্তা করে বুঝতে পেরেছি, লেখক কী অসাধারণ দক্ষতায় প্রথমে চার দিকে চারটি নিরীহ খুঁটি পুঁতেছেন, একটি দিকের সঙ্গে আরেকটির জোড়া দিয়ে আকৃতি দিয়েছেন, বিচ্ছিন্ন অংশগুলোর সংযোগ ঘটিয়ে নকশা করেছেন, সবশেষে সামিয়ানা খাটিয়ে এই আখ্যানপ্রাসাদের পূর্ণতা দিয়েছেন। নির্মিত এই ঘর পরিভ্রমণ শেষে পেছন দরজা দিয়ে বের হওয়ার পর অনুভব করা যায়, তা কতটা দৃষ্টিনন্দন ও সৃষ্টিসুনীল। উপন্যাসের বর্ণনাভঙ্গিতে যে জীবনবোধ ও অনুভূতির প্রলেপ তা অত্যন্ত গভীর ও মজবুত। চরিত্রগুলোর স্বাতন্ত্র্যস্বভাবের উপর ভিত্তি করে ভিন্ন ভিন্ন ভাবধারার সংলাপ সত্যিকার স্বতঃস্ফূর্ত হয়ে ফুটে উঠেছে। এই দিকটা অনুভব করলে বোঝা যায়, লেখক কতটা ধ্যানে ও আন্তরিক আয়োজনে চরিত্রের গভীরে ঢুকে পড়েছিলেন। কথোপকথনে যে দিকটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়েছে, মানুষ যে দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করে অবচেতন মন তার একটা দার্শনিকতা তৈরি করে। এই উপন্যাসের চরিত্রগুলো একেকটি ভাবের দার্শনিক। তাদের কত কত কথামালা যে আমার গভীরে দাগ কেটেছে, পড়ার সময় কত জায়গায় যে আমি দাগ দিয়ে রেখেছি, সেগুলো তুলে ধরতে গেলে অন্য স্বতন্ত্র সংকলন হয়ে যাবে! রক্ষণশীল মুসলিম পারিবারিক প্লটে অনেক ধর্মীয় ধ্যানধারণা ও জীবনাচারণ উঠে এসেছে। সেই জায়গাগুলো লেখক অত্যন্ত দরদি, সংবেদনশীল ও নিরপেক্ষ ভঙ্গিমায় তুলে ধরেছেন। অনেক বিখ্যাত লেখক ধর্মীয় কুসংস্কার ও গ্রামীণ অশিক্ষিত ধর্মাচারণের অজ্ঞতা নিয়ে বলতে গিয়ে ধর্মবিদ্বেষী হয়ে ওঠেন এবং নিজেদের কূপমণ্ডূকতা ও ধর্মীয় মূর্খতা ফুটিয়ে তোলেন। জয়নাল আবেদীন সেখানে গভীর জীবনবোধ ও মানবিক মূল্যবোধের আলোকে ব্যক্ত করেছেন। অনেক দিন পর দীর্ঘ কলেবরের একটি উপন্যাস শেষ করতে পারার সার্থকতা অবশ্যই লেখকের প্রাপ্য। সবচেয়ে বড় কথা, শিকল-এর জীবনবোধ আমাকে সমৃদ্ধ করেছে। পরবর্তী উপন্যাসের অপেক্ষায় থাকব। - তানিম ইশতিয়াক

    •  

    Recently Viewed


    Great offers, Direct to your inbox and stay one step ahead.
    • You can pay using


    JOIN US

    icon Download App

    Rokomari.com is now one of the leading e-commerce organizations in Bangladesh. It is indeed the biggest online bookshop or bookstore in Bangladesh that helps you save time and money. You can buy books online with a few clicks or a convenient phone call. With breathtaking discounts and offers you can buy anything from Bangla Upannash or English story books to academic, research or competitive exam books. Superfast cash on delivery service brings the products at your doorstep. Our customer support, return and replacement policies will surely add extra confidence in your online shopping experience. Happy Shopping with Rokomari.com!