User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_পাঠক_সমাগম_বুক_রিভিউ_প্রতিযোগিতা মাস:জুলাই সপ্তাহ:৩য় পর্ব:১ বইয়ের নাম: রোহিঙ্গা তরুণী লেখক: অামিরুল মোমেনিন মানিক প্রচ্ছদ:মাহবুব মুর্শেদ পৃষ্টা:৬৪ মুদ্রণ মূল্য:১৫০টাকা সার সংক্ষেপ:ওয়ার্ল্ড ইয়ং লিডার কনফারেন্স।বিভিন্ন সেক্টরে ৩২টি দেশের সম্ভাবনাময় তরুণদের নিয়ে এই অায়োজন বসছে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে।সেখানে অাবিদা ও অাবরার পরিচয়।অাবিদা মায়ানমারের এবং অাবরার বাংলাদেশের প্রতিনিধি হয়ে এসেছে।অাবিদার বাড়ি রাখাইনের মংডুতে। অাবরার ইস্তাম্বুল থেকে ফিরেছে।ওয়ার্ল্ড কনফারেন্স ও মিয়ানমারের অাবিদার স্মৃতি এখনো নতুন চকচকে।নানা বিক্ষিপ্ত চিতায় তার মনটাও ভালো নেই।গতকাল খুলনায় ভয়াবহ জঙ্গি হামলা হয়েছে,সেই ঘটনার উদ্বেগও রেখাপাত করে অাছে অাবরারের মনে।একটা বিষয় নিয়ে সে খানিকটা চিন্তিতও বটে।রাখাইনে নিজেদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় অাবিদারা যে গণতান্ত্রিক স্বাধীনতা অান্দোলন করছে সেটাও কি তাহলে জঙ্গিবাদ?এই ধরনের চিন্তার বুদবুদ তার মাথায়। ডেটলাইন ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০৩৪।মায়ানমারের ইয়াঙ্গুন বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘটে যায় এক ঘৃণিত বর্বরোচিত ঘটনা।টিয়ার্চ অব পিপল (টপ) নামে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের একটি সংগঠন রাখাইনের নাগরিকদের সুরক্ষার দাবিতে মানববন্ধন করে।শান্তিপূর্ণ এ কর্মসূচিতে হামলা চালায় পুলিশ।প্রায় ১০০ জন শিক্ষার্থী নিহত হয়,অাহত হয় অারো অনেকে।এ ঘটনায় বিশ্বব্যাপী এখন নিন্দার টাইফুন চলছে। জাতিসংঘ হুঁশিয়ার দিয়ে বলেছে,এক সপ্তাহের মধ্যে তদন্ত সাপেক্ষে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেয়া হলে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া হবে মায়ানমারের বিরুদ্ধে। যদিও এখনো এক সপ্তাহ পেরোয় নি।প্রথমবারের মতো এই ইস্যুতে চীন ও ভারত কড়া নিন্দা জানিয়েছে।তুরস্ক অারো একধাপ এগিয়ে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযানের হুমকি দিয়েছে।সুতরাং বলা যায়,স্মরণকালেন ভয়াবহ চাপের মধ্যে রয়েছে সেনাবাহিনী সমর্থিত মিয়ানমার সরকার। এদিকে,রাখাইনের অধিবাসীদের অধিকার অাদায়ের সংগঠন ডেমোক্রেটিক মুভমেন্টও তীব্র নিন্দা জানিয়ে দেশব্যাপী বিক্ষোভের ঘোষণা দিয়েছে।২০১৭ সালের মিয়ানমার অার্মি কর্তৃক রাখাইনে স্মরণকালের ভয়াবহ অভিযানের পরই মূলত এই সংগঠনটির যাত্রা শুরু হয়।৭ বছর এই সংগঠন গোপনে কাজ করেছে।সবচেয়ে বড় সুখবর হলো,সংগঠনটি ইতোমধ্যে সার্বজনীনতা অর্জন করেছে।এটি রোহিঙ্গাদের অান্দোলনের প্লাটফর্ম হলেও এখানে মিয়ানমারের গণতন্ত্রমনা হাজার হাজার মানুষ সম্পৃক্ত।এমনকি এই সংগঠনে সামরিক বাহিনীর সাবেক কয়েকজন কর্মকর্তাও রয়েছে।তারা মায়ানমার সুরক্ষার ইস্যুতে এই অান্দোলনের সঙ্গে যুক্ত। ডেমোক্রেটিক মুভমেন্টের সব সফলতার একটাই উৎস,ফাতেমা মংডু।ফাতেমা মংডু সম্পর্কে গত ১০ বছরে নানা তথ্যই শোনা গেছে মিডিয়া মারফত।কিন্তু গ্রহণযোগ্য কোন তথ্য পাওয়া যায় না।তবে এটুকু জানা যায়,২০২৪ সালে অানুষ্ঠানিকভাবে ডেমোক্রেটিক মুভমেন্টের প্রতিষ্ঠা করেন রাখাইনের মংডু অঞ্চলের ফাতেমা মংডু।তার অসাধারণ নেতৃত্ব,কর্মদক্ষতা অার দূরদর্শিতার কারণেই অল্প দিনেই সংগঠনটি মূলধারার মানবাধিকার ও সামাজিক সংগঠনে পরিণত হয়। ব্যস্ত সময় পার করে অাবরার সঙ্গীত,লেখালেখি এবং মানবাধিকার সংগঠন নিয়ে।তবে মাঝে মধ্যে অাবিদা জেরিনের চিন্তা উঁকিঝুঁকি দিচ্ছে মনের মধ্যখানে।হঠাৎ টুং শব্দে মোবাইল ফোনে ইমেইল অাসার অাওয়াজ।একটা পিডিএফ ফাইল।অাবিদা জেরিন এট দ্যা রেইট অফ জিমেইল থেকে এসেছে।মেইলে ১৫ তারিখের কর্মসূচিকে সামনে রেখে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র দফতর থেকে অাবিদাদের ন্যায্য অান্দোলনের পক্ষে জোরালো একটি বিবৃতির ব্যাপারে সহযোগিতার প্রত্যাশা।অাবরারও সহযোগিতা এবং ভালোবাসার কথা বলে মেইলের উত্তর দেয়। ১৫ই মার্চ মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুনে ১৫ থেকে ৩০ লাখ মানুষ অংশ নেয় বিক্ষোভ কর্মসূচিতে।কর্মসূচিতে মিয়ানমার সেনাবাহিনীদের হামলা।সেই হামলায় ডেমোক্রেটিক মুভমেন্টের নেতা চে চু মিন,শাহেদ সালেদিন,শ্রীং প্র, অাবিদা জেরিনের মৃত্যু মৃত্যু হয়েছে বলে নিশ্চিত করে অালজাজিরা।শেষের নামটি শোনার পর হু হু করে কেঁদে উঠে অাবরার। জাতিসংঘ মায়ানমারের বিরুদ্ধে শক্তিশালী অবস্থান নেয় এবং রাখাইনকে স্বতন্ত্র ও স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। রাখাইন রাষ্ট্রের পূর্ণাঙ্গ রূপরেখা তৈরী করতে একটি সেলিব্রেশন সেশনের অায়োজন করা হয় এপ্রিলের ১৪ তারিখে নিউইয়র্কে।বাংলাদেশের মানবাধিকার কর্মী হিসেবে অাবরার অনুষ্ঠানের অামন্ত্রণ পেয়েছেন। জাতিসংঘের সদর দপ্তর।বহু কাঙ্ক্ষিত সেই অনুষ্ঠান।নাম দেয়া হয়েছে সেলিব্রেশন অব রাখাইন।ফাতেমা মংডু।তিনি রাখাইন রাষ্ট্রের রূপরেখা উপস্থাপন করবেন।মঞ্চে উঠেছেন ফাতেমা মংডু।সহস্র ক্যামেরার অালোর ঝলকানি। মাশরুর অাবরারের চোখে বিস্ময়।চোখকেও বিশ্বাস করতে পারছেন না।এ তো অাবিদা জারিন।সেই ইস্তাবুলে সাক্ষাত হওয়া অাবিদা জেরিন।অাবরারকে পাঠানো ইলেকট্রনিক চিঠির প্রেরক অাবিদা জেরিন। অাবিদা কিভাবে ফাতেমা মংডু হয়!তাহলে কি একই চেহারার ভিন্ন দু'জন নারী।না,এটা কিভাবে সম্ভব।চেহারার মিল নাও থাকতে পারো কিন্তু কণ্ঠও এক হয় কিভাবে? বহু কষ্টে ভিভিঅাইপি রেন্সিডেন্সের অতিথিশালায় ফাতেমা মংডুর সাথে সাক্ষাত করে অাবরার।তারপর কি ঘটে? জানতে হলে বইটি পড়তে হবে।অামি না হয় পুরোটাই নাইবা বললাম.......... শেষ কথা, উপন্যাসটি ২০৩৪ সালের প্রেক্ষাপটে লেখা। সুতরাং বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে নয়,ভবিষ্যতের পিঠে চড়ে অনুধাবন করতে হবে উপাখ্যান....... রিভিউ লিখেছেনঃ যায়েদ আল মাহমুদ