User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
??
Was this review helpful to you?
or
নবিজি দাজ্জাল সম্পর্কে কী কী বলেছেন? সে কখন আসবে? তার আকৃতি-প্রকৃতি ও চলন-বলন কেমন হবে? ‘দাজ্জাল : ফিতনা ও পর্যালোচনা’ গ্রন্থের প্রতিপাদ্য মূলত তা-ই। পাশাপাশি কিয়ামতের আরও কিছু আলামতের কথাও প্রসঙ্গত আলোচনায় এসেছে। আলোচনায় এসেছে খতমে নবুওয়াত ও জামানার কীট বায়েজীদ খান পন্নীর দাজ্জালবিষয়ক হাদিস জালিয়াতির কথাও।
Was this review helpful to you?
or
দাজ্জাল নিয়ে আজেবাজে বই পড়ার চেয়ে এরকম একটি বই পড়াই যথেষ্ট। খুব ভালো বই।
Was this review helpful to you?
or
মাশা-আল্লাহ! দাজ্জাল সম্পর্কে এতো চমৎকার তথ্যবহুল লেখা বাংলায় আমার মনে হয় আর দ্বিতীয়টি নেই। কালান্তর প্রকাশনী বরাবরের মতো এই দিকটাতেও অসামান্য ভুমিকা রেখেছে ফিতান নিয়ে বই প্রকাশে৷ প্রকাশনা জগতে কালান্তর সবচেয়ে মানসম্মত এবং প্রিয় এর স্থান দখল করে আছে বলে মনে করি৷
Was this review helpful to you?
or
যদি বলা হয়, কিয়ামতের অন্যতম আলামত কি? তবে কেউ কেউ হয়তো বলবে:দাজ্জালের আগমন।কিন্তু আমরা এখোনো অনেকেই বেখবর এই দাজ্জাল এর পরিচয় সম্পর্কে। কে এই দাজ্জাল?কি তার পরিচয়? হাদিসে কি আসলেই এর আগমন সম্পর্কে আর এর পরিচয় সম্পর্কে বলা হয়েছে? যদি এখন আমরা আমাদের এই স্বল্প জ্ঞান নিয়ে দাজ্জাল কে জানতে চাই,হাদিস থেকে এর পরিচয় বের করতে চাই,তবে তার জন্য আমাদের বহু কষ্ট স্বীকার করতে হবো।তাই আমি বলবো,আপনারা এই বইটি একবার পড়ে দেখুন,দাজ্জাল সম্পর্কে জানতে পারবেন।জানতে পারবেন,দাজ্জাল কেমন হবে, হাদিসে তার সম্পর্কে কি বলা হয়েছে? এককথায় এই বই পড়ে আপনি সহজেই দাজ্জালের পরিচয় সম্পর্কে অবহিত হতে পারবেন ইং শা আল্লাহ ❤️?
Was this review helpful to you?
or
আলহামদুলিল্লাহ
Was this review helpful to you?
or
অসাধারন ।
Was this review helpful to you?
or
মাশাল্লাহ। আল্লাহ রেজাউল করিম আবরারকে নেক হায়াত দান করুক।
Was this review helpful to you?
or
নিঃসন্দেহে দাজ্জাল হলো এই উম্মাহের জন্য সবচেয়ে বড় ফিতনা ও পরীক্ষা। আল্লাহ আমাদের দাজ্জালের হাত থেকে রক্ষা করুন। দাজ্জাল সম্পর্কে অলীক ও ফিকশিয়াস বইপত্র না পড়ে এই বইটি পড়ুন।
Was this review helpful to you?
or
মানুষ অবশ্যই দাজ্জালের ক্ষমতা দেখে বিভ্রান্তিতে পড়বে। কারা দাজ্জালের অনুসারী হবে, গারকাদ গাছের ভূমিকা কি, দাজ্জালের ফিতনা থেকে বাঁচতে কি দুআ-মুনাজাত করা প্রয়োজন আসলে এই বইয়ের বিষয়টিই এমন যে আপনাকে জানতেই হবে। নিজেকে বাঁচাতে চাইলে জানতে হবে। পরিবারের সবাইকে প্রত্যেকটি এই সম্পর্কিত হাদিস শিক্ষা দিতে হবে। এই ছিল আমার প্রতিক্রিয়া। কিভাবে ইসলামকে সঠিকভাবে আঁকড়িয়ে ধরবেন, দাজ্জালের ফিতনা থেকে বাঁচতে কিভাবে রাসূল(সা) দুআ করতেন, সূরা কাহ্ফ পাঠের গুরুত্ব উপলব্ধি, দাজ্জালের শেষ পরিণতি, এবং আমাদের ঈমানের জয় অবশ্যই শিক্ষণীয় ও উপলব্ধিযোগ্য। এই বিষয়টিকে হেলাফেলা বা অবজ্ঞার বিষয় হিসেবে তুলে রাখা মানে বিচার দিবসকে প্রত্যাখ্যান করার সামিল। তাই সচেতনতা জরুরি। বইটির শেষে বায়েজিদ খান পন্নীর আলোচনার বিপরীতে লেখক কিছু প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছেন, চাইলে আপনি যুক্তিখন্ডনে শামিল হউন। তার আগে হাদিস ভালোভাবে বুঝে পড়তে হবে।
Was this review helpful to you?
or
মাওলানা রেজাউল করিম আবরার সাহেবের 'দাজ্জাল' বইয়ের মাধ্যমে কালান্তরের সাথে প্রথম পরিচয়। তারপর একে একে 'আহাফি' পড়লাম, 'বিশ্বাসের বহুবচন' পড়লাম, 'হুমুল্লাজিনা' পড়লাম। 'সুখের মতো কান্না', 'একটি স্বপ্নভেজা সন্ধ্যা' সবই পড়ে নিলাম। 'মমাতি', 'পাগলের মাথা খারাপ', 'বিরাট ওয়াজ মাহফিল' কিছুই বাদ রাখলাম না, পড়ে নিলাম। পড়তে থাকলাম আর কালান্তরের প্রতি মুগ্ধতা বাড়তে থাকলো। তারপর একটা সময় আবিষ্কার করলাম, কালান্তর প্রকাশনী আসলেই তো বিশুদ্ধ আকিদা বিশুদ্ধ ইতিহাসের ময়দানে অনেক কাজ করে যাচ্ছে! কালান্তরের কাজ আরো বেগবান হোক বেগবান থাকুক, আমাদের মুগ্ধতাও আরো বাড়তে থাকুক বাড়তেই থাকুক। আল্লাহ হাফিজ ( ২১.০৪.২৩) #কালান্তর_অনুভূতি_২০২৩
Was this review helpful to you?
or
মাস্ট রিড
Was this review helpful to you?
or
সকল নবী তাঁর উম্মতকে দাজ্জাল সম্পর্কে সতর্ক করেছেন। দাজ্জালের ফিতনা কতটা ভয়াবহ তা নবিগণের এই সতর্কীকরণ থেকেই অনুমেয়। আমাদের নবিজি সাঃ বলেন-আমি দাজ্জাল সম্পর্কে এমন কথা বলব, যা আগের কোনো নবি তাঁর উম্মতকে বলেননি। নবিজি দাজ্জাল সম্পর্কে কী কী বলেছেন? সে কখন আসবে? তার আকৃতি-প্রকৃতি ও চলন-বলন কেমন হবে? 'দাজ্জাল : ফিতনা ও পর্যালোচনা' গ্রন্থের প্রতিপাদ্য মূলত তা-ই। পাশাপাশি কিয়ামতের আরও কিছু আলামতের কথাও প্রসঙ্গত আলোচনায় এসেছে। আলোচনায় এসেছে খতমে নবুওয়াত ও জামানার কীট বায়েজীদ খান পন্নীর দাজ্জাল বিষয়ক হাদিস জালিয়াতির কথাও এসেছে বর্তমান সময়ের আলোচিত আলিম-মাওলানা রেজাউল কারীম আবরার রচিত দাজ্জাল : ফিতনা ও পর্যালোচনা বইয়ে।
Was this review helpful to you?
or
ইমাম মাহদি, দাজ্জাল ও ইয়াজুজ-মাজুজ সম্পর্কে জানাতে বইটি সবাইকে পড়া দরকার।
Was this review helpful to you?
or
বই-দাজ্জাল লেখক - মুফতি রেজাউল কারীম আবরার প্রকাশনী: কালান্তর প্রকাশনী (সিলেট) মূল্য – ২৮০ ১৫০ পেজ এর পুরো বইতে আলোচনা আসে দাজ্জাল কে নিয়ে। এর মধ্যে আসে কেয়ামতের আলামত, দাজ্জাল এর চিহ্ন , দাজ্জাল এর প্রকাশকালে দুনিয়ার অবস্থা কিরুপ হবে , কিভাবে সে জান্নাত জাহান্নাম এর ধোঁকা দিবে, ইসা আঃ দ্বারা দাজ্জাল এর বিরুদ্ধে যুদ্ধ এবং দাজ্জাল পরবর্তী সময়ে দুনিয়া কেমন হবে ইত্যাদি । বই এর শেষ দিকে লেখক হেজবুত তাওহীদ নামক একদল মুসলিমদের ভ্রান্তি নিয়ে আলোচনা করেছেন যারা বিশ্বাস করে বর্তমান ইহুদি সভ্যতাই প্রকৃত দাজ্জাল এবং দাজ্জাল এর কোন জীবন্ত রুপ নেই । পুরো বইতে তামিম দারি রাঃ বর্ণিত হাদিসটি খুব গুরত্তপুরন মনে হয়েছে । রাসুল সাঃ নিজে এ হাদিস এর সত্যতা দিয়েছেন এবং এটি সরাসরি দাজ্জাল এর অস্তিত্ব প্রমান করে । বইটির সবচেয়ে উত্তম দিক কুরআন ও সহিহ হাদিস এর আলোকে আলোচনা করেছেন। বইটির শেষাংশে হেজবুত তাওহীদ এর ভ্রান্ত আকিদার নিরসন করেছেন । তবে কিছু ক্ষেত্রে তাদের দাবি আংশিক যৌক্তিক বা সত্যি হলেও ওভারঅল সহিহ সুন্নাহর বিপরীত । বইটির ভাষা খুব সাবলীল তবে কিছু কথা মনে হয়েছে লেখক একই কথা বারবার বলেছেন যার কারনে বই এর কলেবর বৃদ্ধি পেয়েছে । আল্লাহ্ সবচেয়ে ভালো জানেন আর আমাদের কে দাজ্জাল এর ফিতনা থেকে রক্ষা করবেন আমীন ।
Was this review helpful to you?
or
May Allah protect us
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_রিভিউ_প্রতিযোগ_জানুয়ারি রিভিউ নংঃ১ বইঃ দাজ্জাল লেখকঃ মুফতি রেজাউল কারীম আবরার ক্যাটাগরিঃ ইসলামি বিবিধ বই মূল্যঃ ১৬৮ টাকা (রকমারি মুল্য) প্রকাশনীঃকালান্তর কাহিনী সংক্ষেপেঃ আখেরী যামানায় কিয়ামতের নিকটবর্তী সময়ে মিথ্যুক দাজ্জালের আবির্ভাব ঘটবে। দাজ্জালের আগমণ কিয়ামত নিকটবর্তী হওয়ার সবচেয়ে বড় আলামত। মানব জাতির জন্যে দাজ্জালের চেয়ে অধিক বড় বিপদ আর নেই। বিশেষ করে সে সময় যে সমস্ত মুমিন জীবিত থাকবে তাদের জন্য ঈমান নিয়ে টিকে থাকা অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়বে। সমস্ত নবীই আপন উম্মাতকে দাজ্জালের ভয় দেখিয়েছেন। একদা নবী [সা.] দাড়িয়ে আল্লাহর যথাযোগ্য প্রশংসা করলেন। অতঃপর দাজ্জালের আলোচনা করতে গিয়ে বললেন, আমি তোমাদেরকে তার ফিতনা থেকে সাবধান করছি। সকল নবীই তাদের উম্মাতকে দাজ্জালের ভয় দেখিয়েছেন। কিন্তু আমি তোমাদের কাছে দাজ্জালের একটি পরিচয়ের কথা বলব যা কোন নবীই তাঁর উম্মাতকে বলেন নাই। তা হলো দাজ্জাল অন্ধ হবে। আর আমাদের মহান আল্লাহ অন্ধ নন। একদা রাসূল [সা.] সকাল বেলা আমাদের কাছে দাজ্জালের বর্ণনা করলেন। তিনি তার ফিতনাকে খুব বড় করে তুলে ধরলেন। বর্ণনা শুনে আমরা মনে করলাম নিকটস্থ খেজুরের বাগানের পাশেই সে হয়ত অবস্থান করছে। আমরা রাসূল [সা.]এর নিকট থেকে চলে গেলাম। কিছুক্ষণ পর আমরা আবার তাঁর কাছে গেলাম। এবার তিনি আমাদের অবস্থা বুঝে জিজ্ঞেস করলেনঃ তোমাদের কি হলো? আমরা বললামঃ হে আল্লাহর রাসূল! আপনি যেভাবে দাজ্জালের আলোচনা করেছেন তা শুনে আমরা ভাবলাম হতে পারে সে খেজুরের বাগানের ভিতরেই রয়েছে। নবী [সা.] বললেন, দাজ্জাল ছাড়া তোমাদের উপর আমার আরো ভয় রয়েছে। আমি তোমাদের মাঝে জীবিত থাকতেই যদি দাজ্জাল আগমণ করে তাহলে তোমাদেরকে ছাড়া আমি একাই তার বিরুদ্ধে ঝগড়া করবো। আর আমি চলে যাওয়ার পর যদি সে আগমণ করে তাহলে প্রত্যেক ব্যক্তিই নিজেকে হেফাযত করবে। আর আমি চলে গেলে আল্লাহই প্রতিটি মুসলিমকে হেফাযতকারী হিসেবে যথেষ্ট। দাজ্জালের আগমণের সময় মুসলমানদের অবস্থা : দাজ্জালের আগমণের পূর্ব মুহূর্তে মুসলমানদের অবস্থা খুব ভাল থাকবে। তারা পৃথিবীতে শক্তিশালী এবং বিজয়ী থাকবে। সম্ভবতঃ এই শক্তির পতন ঘটানোর জন্যই দাজ্জালের আবির্ভাব ঘটবে। দাজ্জালের পরিচয় : দাজ্জাল মানব জাতিরই একজন হবে। মুসলমানদের কাছে তার পরিচয় তুলে ধরার জন্যে এবং তার ফিতনা থেকে তাদেরকে সতর্ক করার জন্যে নবী [সা.] তার পরিচয় বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করেছেন। মুমিন বান্দাগণ তাকে দেখে সহজেই চিনতে পারবে এবং তার ফিতনা থেকে নিরাপদে থাকবে। নবী [সা.] তার যে সমস্ত পরিচয় উল্লেখ করেছেন মুমিনগণ তা পূর্ণ অবগত থাকবে। দাজ্জাল অন্যান্য মানুষের তুলনায় স্বতন্ত্র বৈশিষ্টের অধিকারী হবে। জাহেল-মূর্খ ও হতভাগ্য ব্যতীত কেউ দাজ্জালের ধোকায় পড়বেনা। নবী [সা.] দাজ্জালকে স্বপ্নে দেখে তার শারীরিক গঠনের বর্ণনাও প্রদান করেছেন। তিনি বলেন, দাজ্জাল হবে বৃহদাকার একজন যুবক পুরুষ, শরীরের রং হবে লাল, বেঁটে, মাথার চুল হবে কোঁকড়া, কপাল হবে উঁচু, বক্ষ হবে প্রশস্ত, চক্ষু হবে টেরা এবং আঙ্গুর ফলের মত উঁচু। [বুখারি, অধ্যায় কিতাবুল ফিতান] দাজ্জাল নির্বংশ হবে। তার কোন সন্তান থাকবেনা। [বুখারি, অধ্যায় কিতাবুল ফিতান] দাজ্জালের কোন্ চোখ কানা থাকবে? বিভিন্ন হাদীছে দাজ্জালের চোখ অন্ধ হওয়ার কথা বর্ণিত হয়েছে। কোন কোন হাদীছে বলা হয়েছে দাজ্জাল অন্ধ হবে। কোন হাদীছে আছে তার ডান চোখ অন্ধ হবে। আবার কোন হাদীছে আছে তার বাম চোখ হবে অন্ধ। মোটকথা তার একটি চোখ দোষিত হবে। তবে ডান চোখ অন্ধ হওয়ার হাদীছগুলো বুখারী ও মুসলিম শরীফে বর্ণিত হয়েছে। [বুখারি, অধ্যায় কিতাবুল ফিতান] মোটকথা দাজ্জালের অন্যান্য লক্ষণগুলো কারো কাছে অস্পষ্ট থেকে গেলেও অন্ধ হওয়ার বিষয়টি কারো কাছে অস্পষ্ট হবেনা। দাজ্জালের দুই চোখের মাঝখানে কাফের লেখা থাকবে : তাছাড়া দাজ্জালকে চেনার সবচেয়ে বড় আলামত হলো তার কপালে কাফের লেখা থাকবে। প্রতিটি মুসলিম ব্যক্তিই তা পড়তে পারবে। [মুসলিম, অধ্যায় কিতাবুল ফিতান] অপর বর্ণনায় আছে শিক্ষিত-অশিক্ষত সকল মুসলিম ব্যক্তিই তা পড়তে পারবে। মোটকথা আল্লাহ মুমিনের জন্যে অন্তদৃষ্টি খোলে দিবেন। ফলে সে দাজ্জালকে দেখে সহজেই চিনতে পারবে। যদিও ইতিপূর্বে সে ছিল অশিক্ষিত। কাফের ও মুনাফেক লোক তা দেখেও পড়তে পারবেনা। যদিও সে ছিল শিক্ষিত ও পড়ালেখা জানা লোক। কারণ কাফের ও মুনাফেক আল্লাহর অসংখ্য সুস্পষ্ট দলীল-প্রমাণ দেখেও ঈমান আনয়ন করেনি। দাজ্জালের ফিতনাসমূহ ও তার অসারতা : আদম সৃষ্টি থেকে কিয়ামত পর্যন্ত মানব জাতির জন্য দাজ্জালের চেয়ে বড় ফিতনা আর নেই। সে এমন অলৌকিক বিষয় দেখাবে যা দেখে মানুষ দিশেহারা হয়ে পড়বে। দাজ্জাল নিজেকে প্রভু ও আল্লাহ হিসেবে দাবী করবে। তার দাবীর পক্ষে এমন কিছু প্রমাণও উপস্থাপন করবে যে সম্পর্কে নবী [সা.] আগেই সতর্ক করেছেন। মুমিন বান্দাগণ এগুলো দেখে মিথ্যুক দাজ্জালকে সহজেই চিনতে পারবে এবং আল্লাহর প্রতি তাদের ঈমান আরো বৃদ্ধি পাবে। কিন্তু দুর্বল ঈমানদার লোকেরা বিভ্রান্তিতে পড়ে ঈমান হারা হবে। দাজ্জাল নিজেকে রাব্ব বা প্রভু হিসেবেও দাবী করবে। ঈমানদারের কাছে এ দাবীটি সুস্পষ্ট দিবালোকের মত মিথ্যা বলে প্রকাশিত হবে। দাজ্জাল তার দাবীর পক্ষে যত বড় অলৌকিক ঘটনাই পেশ করুক না কেন মুমিন ব্যক্তির কাছে এটি সুস্পষ্ট হবে যে সে একজন অক্ষম মানুষ, পানাহার করে, নিদ্রা যায়, পেশাব-পায়খান করে। সর্বোপরি সে হবে অন্ধ। যার ভিতরে মানবীয় সব দোষ-গুণ বিদ্যমান সে কিভাবে রব্ব ও আল্লাহ হতে পারে!! একজন সত্যিকার মুমিনের মুমিনের বিশ্বাস হলোঃ মহান আল্লাহ সর্বপ্রকার মানবীয় দোষ-ত্রুটি হতে সম্পূর্ণ মুক্ত। কোন সৃষ্টজীবই তার মত নয়। আল্লাহকে দুনিয়ার জগতে কোন মানুষের পক্ষে দেখাও সম্ভব নয়। দাজ্জাল নিজের বর্না দিতে গিয়ে বলবে,আমি হলাম দাজ্জাল। অচিরেই আমাকে বের হওয়ার অনুমতি দেয়া হবে। আমি বের হয়ে চল্লিশ দিনের ভিতরে পৃথিবীর সমস্ত দেশ ভ্রমণ করবো। তবে মক্কা-মদীনায় প্রবেশ করা আমার জন্য নিষিদ্ধ থাকবে। যখনই আমি মক্কা বা মদীনায় প্রবেশ করতে চাইবো তখনই ফেরেশতাগণ কোষমুক্ত তলোয়ার হাতে নিয়ে আমাকে তাড়া করবে। মক্কা-মদীনার প্রতিটি প্রবেশ পথে ফেরেশতাগণ পাহারা দিবে। হাদীছের বর্ণনাকারী ফাতেমা বিনতে কায়েস বলেন, নবী [সা.] হাতের লাঠি দিয়ে আঘাত করতে করতে বললেন, এটাই মদীনা, এটাই মদীনা, এটাই মদীনা। অর্থাৎ এখানে দাজ্জাল আসতে পারবেনা। অতঃপর নবী [সা.] মানুষকে লক্ষ্য করে বললেন, তামীম দারীর হাদীছটি আমার কাছে খুবই ভাল লেগেছে। তার বর্ণনা আমার বর্ণনার অনুরূপ হয়েছে। বিশেষ করে মক্কা ও মদীনা সম্পর্কে। শুনে রাখো! সে আছে সাম দেশের সাগরে (ভূমধ্য সাগরে) অথবা আরব সাগরে। তা নয় সে আছে পূর্ব দিকে। সে আছে পূর্ব দিকে। সে আছে পূর্ব দিকে। এই বলে তিনি পূর্ব দিকে ইঙ্গিত করে দেখালেন। ফাতেমা বিনতে কায়েস বলেন, আমি এই হাদীছটি নবী [সা.]এর নিকট থেকে মুখস্থ করে রেখেছি। এরকম আরো অনেক অজানা তথ্য পাওয়া যাবে দাজ্জাল সম্পর্কে, বইটি পড়লে। এছাড়াও ইয়াজুজ মাজুজ জাতির বর্না রয়েছে বইটিতে। পাঠ্য প্রতিক্রিয়াঃ পড়তে পড়তে মনে হচ্ছিল, পৃথিবীর তথাকথিত সভ্যতা আমাদেরকে ধোঁকা দিয়ে কত পরিকল্পিতভাবে দৈনন্দিন জীবনের প্রতিটি বাঁককে কীভাবে আমাদের জন্য মৃত্যু উপত্যকা বানিয়ে রেখেছে! সেই সঙ্গে ঠিক আমাদেরকেই দাজ্জাল ও তার সহযোগীদের কাতারে অবলীলায় দাঁড় করিয়ে দিয়েছে! আর আমরা ইচ্ছায় অনিচ্ছায় তার আগমনের জন্য, তার পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য নিরলস সহযোগীতা করে যাচ্ছি! আমরা তা আদৌ অনুধাবন করতে পারছিনা। ইশ! আমার আত্মীয় স্বজন, পাড়া প্রতিবেশীসহ এদেশের প্রতিটি মানুষের কাছে যদি বইয়ের সে কথাগুলো, সে তথ্যগুলো বা তার চিত্রটি তুলে ধরা যেত! আমরা হয়তো তখন জাগবো, যখন দাজ্জাল আমার ঘুমন্তাবস্থায় শিয়রে এসে দাঁড়াবে এবং আমাকে জাগিয়ে বলবে, তোমার ঈমানটুকু দিয়ে দাও আর তার প্রতিদান স্বরূপ চোখের ধাঁধার জান্নাতসাদৃশ্য জাহান্নামে প্রবেশ কর! তখন আমার জাগরণ কী উপকার বয়ে আনবে? তাই সচেতনসমাজকে বলবো, অনুগ্রহ করে একবার চোখ খুলে দেখুন, দাজ্জাল কীভাবে পৃথিবীর চারপাশে চক্রান্তের জাল ছড়িয়ে দিয়েছে। দলেদলে কতশত মানুষ সে জালে শিকার হয়ে ধ্বংসের অতল গহবরে ডুবে যাচ্ছে!