User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
Not much exciting.
Was this review helpful to you?
or
Matro ek din er moddhe boi ti peyechi... Khub e fast delivery
Was this review helpful to you?
or
গল্পের প্লটটা খুব ইউনিক। গল্পটি কলেজ পড়ুয়াদের মনে এনে দেয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কল্পনা, আর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা পায় নিজেদের সাথে তুলনা করার সুযোগ। আমাদের এই প্রজন্ম অন্যায় আর অনিয়ম দেখেই বড়ো হচ্ছে। আর এই অন্যায়ের বিচার পাওয়াই এদেশে দুষ্কর। তাছাড়া আমাদের দেশের শিক্ষাব্যবস্থা যে আসলেই বেশ নিম্নমানের, তাতে কোনও সন্দেহই নেই। আসলে আমাদের দেশের পুরো "সিস্টেম"টাই নষ্ট করছে আমাদের ভবিষ্যত। আবার অন্যায়-অবিচারের এই জগতে সাধারণ একজনের জীবনেও নিতে পারে অকল্পনীয় বাক; বদলে যায় তার পুরো জীবন। এই থ্রিলার উপন্যাসে তুলে ধরা হয়েছে এসব অন্যায়-অবিচার ও বাজে সিস্টেমের চিত্র। পুরো বইটাই বেশ আকর্ষণীয়, তবে বেশ কিছু স্থানেই কাহিনী অনেক ধীর মনে হয়েছে।
Was this review helpful to you?
or
recommended to read.
Was this review helpful to you?
or
irrelevent info and lengthy
Was this review helpful to you?
or
কাহিনী সংক্ষেপঃ মুহিব ভেবেছিলো সরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পর তাকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হবে না। প্রেমিকা, পরিবার, বন্ধু এবং বান্ধবীদের নিয়ে উনিশ বছরের সুখী জীবন। প্রশাসনের দুর্নীতি আর অনিয়মের মধ্যেও জীবনটা মানিয়ে নিতে শুরু করেছিলো যখন, একটি ক্যাম্পাস মার্ডার পাল্টে দিলো সবকিছু। পরিবেশটিকে আরও জটিল করে তুলতেই যেনো যোগ দিলেন একজন ক্যালটেক ফেরত শিক্ষক, ভদ্রলোকের বাম হাতটা কনুইয়ের নিচ থেকে কাটা কেনো? ছাত্রনেতারা রাজনীতির নামে কোন অন্ধকার জগতে পা বাড়িয়েছে? এই কেসে কমিউনিস্ট পার্টির আগ্রহটা ঠিক কোথায়? পুলিশ এবং প্রশাসনের নীরবতার কারণ কি? আন্দোলনরত শিক্ষার্থিদের ক্ষোভের উৎপত্তিস্হল কোনটি? একটা খুন ওলোট পালোট করে দিলো বিশ্ববিদ্যালয়টির গতিপথ। পাল্টে দিলো মানুষগুলোকে। “যে হীরকখণ্ডে ঘুমিয়ে কুকুরদল” সরকারী বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অন্ধকার জগতের চিত্রায়ন। কৌতূহলের কাছে সতর্কতার হার মেনে যাওয়া মানব চরিত্রের সহজাত বৈশিষ্ট্য। এ এক হার মেনে নেওয়া উপাখ্যান। ক্ষমতাসীনদের সঙ্গে সাধারণদের না পেরে ওঠার গল্প। তারুণ্যের শক্তি - আদর্শের লড়াই আর মতবাদের সংঘর্ষ। অধিকার আদায়ে বেপরোয়া চিরায়ত বাঙালি ছাত্রদের স্তবগান। সাধারণ এক ছাত্রের জীবন বিশ্ববিদ্যালয়ের আঁধারস্পর্শে ধীরে ধীরে পাল্টে যাওয়ার ক্রমবর্ণনা। মুহিব জানে সে আর পিছিয়ে আসতে পারবে না। পড়াশোনা করতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গনে আসা ছেলেমেয়েগুলো কোন পরিস্হিতিতে হাতে অস্ত্র তুলে নেয় টের পেলো হাড়ে হাড়ে। রিভিউঃ বইটা হাতে নিয়েছিলাম বইয়ের পেছনের ফ্ল্যাপ দেখেই। ক্যাম্পাস পলিটিক্স, প্রশাসনের দুর্নীতি, সিস্টেম পরিবর্তন করতে চাওয়া বিদেশ ফেরত একজন শিক্ষক- বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ছাত্র হিসেবে তিনটি বিষয়ই আগ্রহ তৈরি করার জন্য যথেষ্ট। এরসাথে রসদ হিসেবে ছিল আরও অনেককিছু। সবচেয়ে মজার ব্যাপার হচ্ছে, এই বিষয়গুলো কোনোটাই কিন্তু ফিকশন না। একটা ফিকশনের মাঝে চারপাশে ঘটতে থাকা নন-ফিকশনাল সিরিয়াস টপিক আর ক্যারেক্টারাইজেশন করেছে খুব চমৎকারভাবে। ব্যক্তিগতভাবে কেপির এই বইটাই আমার সবচেয়ে পছন্দের। কারণ আর কিছুই না, আমার মতো আরও অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র নিজেদের জীবনের টুকরো টুকরো ঘটনার সাথে বইটাকে রিলেট করতে পারবে। এমনকি বর্তমানে ক্যাম্পাসে কমিউনিস্ট ছাত্র সংগঠনগুলো কেমন করে কার্যক্রম চালাচ্ছে এবং তাদের মেথড, সবকিছুই ইন ডিটেইলসে বইটাতে ব্যাখ্যা করা আছে। আমি জানি না বইটাতে কেপির জীবনের বাস্তব ঘটনাগুলো ফিকশনালাইজ করা হয়েছে কিনা, তবে টুকরো টুকরো কিছু অংশের প্রভাব যে আছে, তা বলাই বাহুল্য। খুন হবার পর থেকে ঘটনা যেমন করে আবর্তিত হতে থাকে, সেটা একটু বেশি নাটকীয় হয়ে গিয়েছে। তবে এটুকু অংশকে বাদ দিলে কেপির লেখা, লেখার বিষয়- দুটোতেই সাহস আছে। ছেলেটার গাটস আমাকে মুগ্ধ করে। আর বন্ধুদের মাঝে খুনসুটি, বড় ভাইদের র্যাগিং ইত্যাদি অংশগুলো পড়ে যেন নিজের বিশ্ববিদ্যালয়ের চিত্র সামনে পেলাম। আমরা যা আশা করি, আর যা পাই আমাদের জীবনে, দুটোর মাঝে আকাশ-পাতাল তফাত। বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে। আমার ব্যক্তিগত রেটিং ৮/১০ যে হীরকখণ্ডে ঘুমিয়ে কুকুরদল লেখকঃ কিশোর পাশা ইমন জনরাঃ থ্রিলার প্রকাশনীঃ বাতিঘর প্রকাশকালঃ ২০১৮
Was this review helpful to you?
or
নিজ ক্যাম্পাসে হত্যা করা হয়েছে প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রকে। সাধারণ ছাত্র ছিল ছেলেটা, রাজনৈতিক আশ্রয় নেই - তাই স্রেফ ক্যাম্পাস বন্ধ থাকলো ক'দিন, ব্যস! ফুরিয়ে গেল। পরিচিত লাগছে? এমনটা কতোই হয়, তাই না? খুনিরাও তাই ভেবেছিল। প্রতিবারের মতো এবার হলো না, কারণ ওদের চিনে ফেলল একজন। প্রথম বর্ষের ছাত্র মুহিব যে সেই রাতের অন্ধকারে ওখানেই লুকিয়ে ছিল। প্রাণভয়ে বাধা দিতে না পারার আত্মগ্লানি আর এক নির্মম হত্যার খুনীকে সনাক্ত করে ফেলার বোঝা মাথায় চেপে বসলো মুহিবের। কিন্তু সরকারি দলের মদদপুষ্ট ছাত্র সংগঠনের দুই শীর্ষ নেতার বিরুদ্ধে আঙ্গুল তোলার সাহস কি হবে সদ্য ক্যাম্পাসে পা দেওয়া ছেলেটার? কথায় বলে, প্রদীপের তলায় থাকে অন্ধকার। আমাদের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ তথা সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এই প্রবাদের জ্বলজ্বলে প্রমাণ। দূর্নীতি, অনিয়ম আর রাজনীতির কালোছায়া যার প্রতিটি কোনায়। সেই অন্ধকারে এক বিন্দু আলো ফেলেছেন লেখক কিশোর পাশা ইমন, এই উপন্যাসের মাধ্যমে। ছাত্ররাজনীতির নগ্ন সত্য তুলে ধরেছেন যেমন, বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকদের গোঁড়ামি আর প্রতিহিংসাকেও ছেড়ে কথা বলেননি। মুহিব - শামীম - ইলোরার আজিজ মামার টং নিজের ছাত্রজীবনের মধুর মুহুর্তগুলোতে যেমন দোলা দিয়েছে, তেমনি মনে করিয়েছে দাবি আদায়ে উত্তাল আন্দোলনের দিনগুলোও। বইটি কিনেছিলাম অনেক আগে। বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতির প্রেক্ষিতে লেখা, এতোটাই জানা ছিল। তারপর কেন যেন, পড়া হচ্ছিল না। বুয়েটের ছাত্র আবরার ফাহাদ যখন মারা গেল, উপন্যাসটি আবারও উঠে এল হাতে। বইয়ের প্রতিটি পাতা যেন সত্য হয়ে মাথা তুলে দাঁড়ালো। নেতাদের হাতে মার খেয়ে যাওয়া অসহায় সাধারণ ছাত্ররা, তাদের বিচার না পাওয়াতেই অভ্যস্ত হয়ে যাওয়া আর মুখ বুজে থাকার চিত্রে কোনো ফাঁক নেই। আবার এই ছাত্ররাই অন্যায়ের শেষও দেখে নিতে পারে বা ঝাঁপিয়ে পড়তে পারে সহপাঠীর বিপদে। সেজন্য তাদের সংগঠনের প্রয়োজন পড়ে না, মুহিবের মতো সাধারণ ছাত্ররাই একেকজন হয়ে উঠতে পারে অগ্নিস্ফুলিঙ্গ। বইটিতে ব্যবহার করা হয়েছে প্রাপ্তবয়স্কদের ভাষা। ক্যাম্পাসে আদতেই এধরণের বুলি প্রয়োগ অবলীলায় চলে, তাই মানিয়ে গেছে। ছাত্রনেতা রেদোয়ান, তোফায়েল বা জাকির চরিত্রগুলোর উপস্থাপন একেবারে যুৎসই মনে হয়েছে। বন্ধু হিসেবে শামীম এবং ইলোরাও অনবদ্য। শামসের বোন শিয়ার চরিত্রটি পছন্দনীয় হয়নি, মফস্বল শহরের পটভূমিতে তার চলাফেরা বাস্তবতা বিবর্জিত। কুশিক্ষক শাহাবুজ্জামানের ধার্মিক হওয়া এবং সবার প্রিয় শিক্ষক রবিনস্যারকে অধার্মিক চিত্রায়িত করাটা ক্লান্তিকর ছিল। খলচরিত্রদের অকারণে ধার্মিকের রূপ দেওয়ার সেই বহুল-ব্যবহৃত ছাঁচে এখন আর নতুনত্ব পাই না। লেখকের এটি চতুর্থ মৌলিক উপন্যাস হলেও, আমি তাঁর লেখা প্রথম পড়লাম। তাঁর বিস্তৃত পরিসরে গল্প বলার ধরণ ভালো লেগেছে। বইটিতে ছাপার ভুল ছিল অনেক। কি আর কী এর ব্যবহারে বিভ্রান্তিও ছিল। মোটা বই, পড়তে পড়তেই বাঁধাই খুলে এসেছে অনেকটা।
Was this review helpful to you?
or
এক কথায় বলতে গেলে বইটা ভালো লাগলো কারন এখানে অনেক কিছুই আছে যা আমাদের বর্তমান সময়ে ঘটছে । বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতি আর ছাএ রাজনীতি র কালো দিক তুলে ধরা হয়েছে । মুহিব এর চরিত্রটাও ভালো লেগেছে । কিন্তু আমার কাছে একটা জিনিস বাজে লেগেছে সেটা হলো তোফায়েল এর মতো ছেলের সাথে ইলোরার সম্পর্ক । আর মুহিব ইলোরার সম্পর্ক এগিয়ে নিতেও পারত লেখক ।
Was this review helpful to you?
or
নিজ ক্যাম্পাসে হত্যা করা হয়েছে প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রকে। সাধারণ ছাত্র ছিল ছেলেটা, রাজনৈতিক আশ্রয় নেই - তাই স্রেফ ক্যাম্পাস বন্ধ থাকলো ক'দিন, ব্যস! ফুরিয়ে গেল। পরিচিত লাগছে? এমনটা কতোই হয়, তাই না? খুনিরাও তাই ভেবেছিল। প্রতিবারের মতো এবার হলো না, কারণ ওদের চিনে ফেলল একজন। প্রথম বর্ষের ছাত্র মুহিব যে সেই রাতের অন্ধকারে ওখানেই লুকিয়ে ছিল। প্রাণভয়ে বাধা দিতে না পারার আত্মগ্লানি আর এক নির্মম হত্যার খুনীকে সনাক্ত করে ফেলার বোঝা মাথায় চেপে বসলো মুহিবের। কিন্তু সরকারি দলের মদদপুষ্ট ছাত্র সংগঠনের দুই শীর্ষ নেতার বিরুদ্ধে আঙ্গুল তোলার সাহস কি হবে সদ্য ক্যাম্পাসে পা দেওয়া ছেলেটার? কথায় বলে, প্রদীপের তলায় থাকে অন্ধকার। আমাদের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ তথা সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এই প্রবাদের জ্বলজ্বলে প্রমাণ। দূর্নীতি, অনিয়ম আর রাজনীতির কালোছায়া যার প্রতিটি কোনায়। সেই অন্ধকারে এক বিন্দু আলো ফেলেছেন লেখক কিশোর পাশা ইমন, এই উপন্যাসের মাধ্যমে। ছাত্ররাজনীতির নগ্ন সত্য তুলে ধরেছেন যেমন, বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকদের গোঁড়ামি আর প্রতিহিংসাকেও ছেড়ে কথা বলেননি। মুহিব - শামীম - ইলোরার আজিজ মামার টং নিজের ছাত্রজীবনের মধুর মুহুর্তগুলোতে যেমন দোলা দিয়েছে, তেমনি মনে করিয়েছে দাবি আদায়ে উত্তাল আন্দোলনের দিনগুলোও। বইটি কিনেছিলাম অনেক আগে। বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতির প্রেক্ষিতে লেখা, এতোটাই জানা ছিল। তারপর কেন যেন, পড়া হচ্ছিল না। বুয়েটের ছাত্র আবরার ফাহাদ যখন মারা গেল, উপন্যাসটি আবারও উঠে এল হাতে। বইয়ের প্রতিটি পাতা যেন সত্য হয়ে মাথা তুলে দাঁড়ালো। নেতাদের হাতে মার খেয়ে যাওয়া অসহায় সাধারণ ছাত্ররা, তাদের বিচার না পাওয়াতেই অভ্যস্ত হয়ে যাওয়া আর মুখ বুজে থাকার চিত্রে কোনো ফাঁক নেই। আবার এই ছাত্ররাই অন্যায়ের শেষও দেখে নিতে পারে বা ঝাঁপিয়ে পড়তে পারে সহপাঠীর বিপদে। সেজন্য তাদের সংগঠনের প্রয়োজন পড়ে না, মুহিবের মতো সাধারণ ছাত্ররাই একেকজন হয়ে উঠতে পারে অগ্নিস্ফুলিঙ্গ। বইটিতে ব্যবহার করা হয়েছে প্রাপ্তবয়স্কদের ভাষা। ক্যাম্পাসে আদতেই এধরণের বুলি প্রয়োগ অবলীলায় চলে, তাই মানিয়ে গেছে। ছাত্রনেতা রেদোয়ান, তোফায়েল বা জাকির চরিত্রগুলোর উপস্থাপন একেবারে যুৎসই মনে হয়েছে। বন্ধু হিসেবে শামীম এবং ইলোরাও অনবদ্য। শামসের বোন শিয়ার চরিত্রটি পছন্দনীয় হয়নি, মফস্বল শহরের পটভূমিতে তার চলাফেরা বাস্তবতা বিবর্জিত। কুশিক্ষক শাহাবুজ্জামানের ধার্মিক হওয়া এবং সবার প্রিয় শিক্ষক রবিনস্যারকে অধার্মিক চিত্রায়িত করাটা ক্লান্তিকর ছিল। খলচরিত্রদের অকারণে ধার্মিকের রূপ দেওয়ার সেই বহুল-ব্যবহৃত ছাঁচে এখন আর নতুনত্ব পাই না। লেখকের এটি চতুর্থ মৌলিক উপন্যাস হলেও, আমি তাঁর লেখা প্রথম পড়লাম। তাঁর বিস্তৃত পরিসরে গল্প বলার ধরণ ভালো লেগেছে। বইটিতে ছাপার ভুল ছিল অনেক। কি আর কী এর ব্যবহারে বিভ্রান্তিও ছিল। মোটা বই, পড়তে পড়তেই বাঁধাই খুলে এসেছে অনেকটা। বই: যে হীরকখণ্ডে ঘুমিয়ে কুকুরদল লেখক: কিশোর পাশা ইমন প্রকাশনায়: বাতিঘর প্রকাশনী প্রকাশকাল: ফেব্রুয়ারী ২০১৮ প্রচ্ছদ: ডিলান পৃষ্ঠাসংখ্যা: ৪৪৫ মুদ্রিত মূল্য: ৪৫০ টাকা
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_রিভিউ_প্রতিযোগ_মার্চ “যে হীরকখণ্ডে ঘুমিয়ে কুকুরদল” সরকারী বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অন্ধকার জগতের চিত্রায়ন। কৌতূহলের কাছে সতর্কতার হার মেনে যাওয়া মানব চরিত্রের সহজাত বৈশিষ্ট্য। এ এক হার মেনে নেওয়া উপাখ্যান। ক্ষমতাসীনদের সঙ্গে সাধারণদের না পেরে ওঠার গল্প। তারুণ্যের শক্তি - আদর্শের লড়াই আর মতবাদের সংঘর্ষ। আর দশটা মানুষ যে আশা নিয়ে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছিল, মুহিবও তাদের ই একজন। প্রেমিকা, পরিবার, বন্ধু-বান্ধবীদের নিয়ে সবকিছু ঠিকঠাক মতোই চলছিল। প্রশাসনের দুর্নীতি ও অনিয়মও তখন গা সয়ে এসেছিল। ঠিক তখনি ক্যাম্পাসে ঘটলো এক হত্যাকান্ড! যা গল্পের পুরো মোড় ঘুরিয়ে দেয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের মত পবিত্র স্থান যে কুকুরদল দখল করে আছে, তাদের নিয়েই এই গল্প। ৪৪৫ পেজের বিশাল ক্যালিবারের এই বইয়ে কোথাও একঘেয়েমি বা বিরক্তি আপনাকে স্পর্শ করবে না। তবে শুরু থেকেই টানটান উত্তেজনা হয়তো পাবেন না। থ্রিলারের আমেজটা শেষার্ধেই বেশি পাওয়া যাবে। বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র রাজনীতির প্রসঙ্গ বইয়ে বারবার এসেছে। লেখক এখানে বেশ সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছেন, বলতেই হয়! বইটিকে ২০১৮ সালের সেরা থ্রিলার বলা হয়। সফল থ্রিলারের বৈশিষ্ট্য অনুযায়ি, গল্পে যতগুলো রহস্য লেখক তৈরি করেছেন, সবগুলোর যথাযথ ভাবে সমাধান করেছেন। যেসব প্রশ্ন উঠে এসেছে, সেগুলর উত্তর দিয়েছেন। অর্থাৎ কোনো ফাঁক ফোকর লেখক অবশিষ্ট রাখেন নি। তবে বইটি কিছুটা আন্ডাররেটেড। খুব বেশি জনপ্রিয়তা পায় নি। এর কারণ হিসেবে আমার মনে হয় বইটির রাশভারি নামটিই অন্যতম বড় কারণ। বইটি পড়ার সময় আমার এক বন্ধু আমাকে বলেছিল, "পছন্দ করে বই কেনার সময়, এই বইটা আমাকে আকর্ষণ করবে এমন কোনো কারণ তো নেই! এরকম রাশভারি নামের বই এড়িয়ে চলাই আমাদের স্বাভাবিক আচারণ।" বইটি ২০১৮ সালে বাতিঘর প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত হয়েছে। "মিথস্ক্রিয়া" এবং "মৃগতৃষা"র পর বাতিঘর থেকে প্রকাশিত কিশোর পাশা ইমনের ৩য় বই এটি। ৪৪৫ পেজের বইটির গায়ের মূল্য লেখা হয়েছে ৪৫০টাকা। বইটিকে আসলে, পারফেক্ট ৫ তারার বই বলব না। আবার ৪তারা দিলেও অন্যায় হয়। কেপি'র প্রতি এক্সপেকটেশন'টা আরেকটু বেশি। তবুও আমি যেহেতু উদার মনের মানুষ তাই ৫তারা!
Was this review helpful to you?
or
দারুণ উপন্যাস! লেখকের জীবনের কিছু গল্প সম্ভবত এখানে উঠে এসেছে, যেটা গল্পকে আরও প্রাণবন্ত করেছে।
Was this review helpful to you?
or
nice book
Was this review helpful to you?
or
বইয়ের নাম- যে হীরকখণ্ডে ঘুমিয়ে কুকুরদল লেখক- কিশোর পাশা ইমন প্রকাশনী- বাতিঘর পৃষ্ঠা সংখ্যা- ৪৪৫ মুদ্রিত মূল্য- ৪৫০ টাকা গল্পটা মফস্বলে গড়ে ওঠা আর আট-দশটা বিশ্ববিদ্যালয়ের মতই একটা বিশ্ববিদ্যালয়ের। এখানে আছে সরকার সমর্থিত ছাত্রপক্ষ। আছে বিরোধী পক্ষ। আবার সাধারণ ছাত্র যে নেই তাও কিন্তু না। আছে ক্ষুদ্র মস্তিষ্কের কয়েকজন শিক্ষক যারা ছাত্রদের নাজেহাল করতে সর্বদা তটস্থ। আবার এমন শিক্ষকও আছে যাদের দেখলে ভেতর থেকে সম্মান চলে আসে। মুহিব, শামীম, ইলোরা, লিটু। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের ছাত্র। সব কিছু তো ঠিকই চলছিল। হঠাৎ ক্যাম্পাসে খুন হয়ে গেল শামস নামের এক ছেলে। কীভাবে যেন এসবে জড়িয়ে পরলো ওরা । তারপর? ক্যালটেক ফেরত একজন শিক্ষক কেনই বা বাংলাদেশে ফেরত আসলেন? শুধুই কি জন্মভূমির প্রতি ভালোবাসা।? আচ্ছা তার একটা হাত কনুই এর নিচ থেকে কাঁটা কেন? ইলোরার ওপর নজর পরেছে সরকার পক্ষের এক ছাত্র নেতার। ক্যাম্পাসের কিং অফ রেপ এর হাত থেকে বন্ধুকে কীভাবে বাঁচাবে মুহিবরা? ভাইয়ের খুনিকে পাগলের মত খুঁজছে শিয়া। কিন্তু উনিশ বছর বয়সী একটা মেয়ে সিস্টেমের বিরুদ্ধে কীই বা করতে পারবে? পাঠ পতিক্রিয়া- দারুণ, অসাধারণ। এত চমৎকারভাবে বাস্তবতা তুলে ধরা হয়েছে। লেখক আস্তে আস্তে যেন নিজেকে ছাড়িয়ে যাচ্ছেন। আমার ব্যক্তিগতভাবে মৃগতৃষা এবং মিথস্ক্রিয়া থেকে এটা বেশী ভালো লেগেছে। এখন পর্যন্ত পড়া এমাসের সেরা বই নিঃসন্দেহে।
Was this review helpful to you?
or
গল্পটা আপনার আমার মতই একটা সাধারন ছেলের। ঢাকায় বড় হলেও উচ্চশিক্ষার জন্য মফস্বলের এক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছে মুহিব। একটা ছাত্রের জীবনে আর কি চাওয়া থাকতে পারে? পাবলিক ভার্সিটিতে চান্স পেলে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয় না। যদিও আমাদের দেশে সকল প্রশাসনেই অনিয়ম আর দুর্নীতি। তার মাঝেও পড়াশুনা, বন্ধু-বান্ধব নিয়ে ভালোই যাচ্ছিলো মুহিবের দিন। তবে আর চেনা জগতটাকে ওলট-পালট করে দিলো ক্যাম্পাসে একটি খুন। দুর্ভাগ্যক্রমে খুনের সময় স্পটেই ছিলো মুহিব। অন্ধকারে খুনিদের দেখতে না পেলেও কণ্ঠ শুনে খুনিদের ঠিকই চিনে গেছে মুহিব। কিন্তু হঠাৎ করে একজন সাধারন ছাত্র, যার রাজনীতির সাথে কোনো সম্পর্ক নেই তাকে কেন খুন হতে হবে? মুহিব বুঝে গেছে সে আর পিছিয়ে যেতে পারবে না। সাথে জড়িয়ে ফেলেছে ওর কাছের বন্ধুদেরও। শামীম, লিটু, ইলোরা। এর সাথে রহস্যময় মুখ হিসেবে ময়দানে আবির্ভাব হয়েছে শিয়ার। নিহত শামসের কাছের বন্ধু জাকি কিছু একটা লুকাচ্ছে ওদের কাছ থেকে শামসের প্রেমিকাকে দেখা গেলো জাকির হল থেকে কেঁদে বের হচ্ছে ক্যাম্পাসের সরকারী দলের দুই প্রভাবশালী নেতার বিরুদ্ধে কি করতে পারবে মুহিব? তাদের অপরাধ কিভাবে প্রমান করবে? এর ভিতরে জড়িয়ে পড়েছে কমিউনিস্ট পার্টি।। ক্যালটেক ফেরত শিক্ষকের সাথে কিভাবে জড়িয়ে গেলো ঘটলা! অনেকদিন পরে একটা থ্রিলার পড়তে বসলাম। বর্তমানে ফিকশন পড়া হয় খুব কম। তবে সময় কাটানোর জন্য আর একঘেয়েমি দুর করতে থ্রিলারের তুলনা নেই। গত বছর লেখকের মৃগতৃষা পড়ার পরে তার লেখার ভক্ত হয়ে গেছি। এই বইতে লেখক নিজেকে ছাড়িয়ে গেছেন। মার্ডার, মিস্ট্রি, একশনের সাথে যখন আমাদের অতি পরিচিত চেনা জগত মিশে যায় তখন সেটা পাঠকের মনে জায়গা করে নেয়। আগের বইটাতে একটা অচেনা জগত থাকলেও এই বইতে আমাদের অতি পরিচিত জগত। ভার্সিটির ক্যাম্পাস, মেস লাইফ, বন্ধুদের আড্ডা, প্রেমে ছ্যাকা খাওয়া এগুলো তো আমাদের জীবনের প্রতিদিনের ঘটে যাওয়া ঘটনা। ফলে গল্পের ভিতরে ঢুকে গিয়েছি খুব সহজে। আমার এক বড় ভাই মাঝে মাঝে কিছু বইকে রোলার কোস্টারের সাথে তুলনা করেন। আমার কাছে এটাকে ঠিক রোলার কোস্টার মনে হয়েছে। শুরু করার পরে গতি শুধুই বেড়েছে। সেই সাথে ছিলো সরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের অনিয়ম আর দুর্নীতির ফিরিস্তি। লেখক নিজে পাবলিক ভার্সিটির ছাত্র। ফলে কথাগুলো তারই মনের ক্ষোভ থেকে এসেছে। যদিও অনেক খটকার জায়গা ছিলো কিন্তু স্পয়লারের জন্য এড়িয়ে গেলাম। অনেকদিন রিভিউ না লেখার ফলে মনে হচ্ছে লেখার হাতে মড়িচা পরতে বসেছে। লেখাটা নিজেরই পছন্দ হল না। তবে আমার খারাপ রিভিউয়ের জন্য কেউ যদি বইটা না পড়েন তাহলে চমৎকার কিছু মিস করে যাবেন।