User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
ভালো নয়। অনেক ভুল তথ্য দিয়ে ভরা
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ লিখনী। পরিচিত গল্পগুলো এত অসাধারণ ভাষায় বর্নিত হয়েছে যে এক বসায় শেষ না করলে পাঠক-মন শান্ত হয় না।
Was this review helpful to you?
or
খুবই সাবলীল রচনা। বেশিরভাগ জায়গাতেই বর্ণনা খুব নির্মেদ। তবে উপন্যাস হিসেবে খুব সফল বলা যাবে না। কেন্দ্রীয় চরিত্র বা পার্শ্বচরিত্রগুলো বিকশিত হয়নি। কেন্দ্রীয় চরিত্রের ইতিহাস্প্রসিদ্ধ ঘটনাগুলই কেবল গল্প আকারে ঘুরেফিরে এসেছে।
Was this review helpful to you?
or
very good
Was this review helpful to you?
or
চমৎকার একটি বই। অসাধারন লেখনী। সকল ইসলামী সাহিত্যে খলিফাগনকে বহুদূরের মানূষ হিসেবে দেখানো হয়েছে বলে মনে হয়। কিন্তু, এই উপন্যাসে ওমর (রা) এবং অন্যান্য যে কয়টি চরিত্র তুলে ধরা হয়েছে, তাদের মহিমান্বিত কীর্তির চেয়ে অনুভূতিগুলো প্রকট হয়ে উঠেছে। সুখপাঠ্য একটি বই। দ্বিতীয় পর্বের অপেক্ষায় আছি।
Was this review helpful to you?
or
হযরত ওমর (রা) ইসলামি খেলাফতের ইতিহাসে সবচাইতে প্রভাবশালী নাম। এই অর্ধ বিশ্ব শাসকের কাঠিন্যের কথাই আমরা বেশি শুনি। কিন্তু এই বইয়ে আপনি নিশ্চিত খুঁজে পাবেন অন্য এক ওমরকে, যিনি প্রজার ব্যথায় কাতর হয়ে আটার বোঝা নেন, প্রসবযাতনায় কাতর বেদুইনদুহিতার তাঁবুতে নিজ স্ত্রীকে নিয়ে যান। আবার কখনো দূর মরুগ্রামে বৃদ্ধার উট খুঁজে দেন। বাংলা সাহিত্যের এরকম ইসলামি ইতিহাস আশ্রিত উপন্যাস খুবই কম। কিন্তু এই বই আপনার এক নিমিষে শেষ হতে বাধ্য। আর যদি হন ইতিহাসভক্ত কিন্তু অনীহা থাকে কাঠখোট্টা ইতিহাসে মুখ ডোবাতে তাহলে রফিক হারিরির "ওমর" আপনার অবশ্যপাঠ্য!
Was this review helpful to you?
or
বইটির বর্ণনাভঙ্গি ছিল বেশ সুখপ[ঠ্য। তবে কিছু ক্ষেত্রে শব্দ ব্যবহারে দুর্বলতা ছিল। বাংলা ভাষায় এ ধরণের কাজ আরো বেশি বেশি হওয়া উচিত।
Was this review helpful to you?
or
বইঃ ওমর লেখকঃ রাফিক হারিরি। অসাধারণ একটি ঐতিহাসিক ইসলামিক সাহিত্য। "ওমর" বইটিতে ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা হযরত ওমর ইবনে খাত্তাব (রাঃ) প্রসঙ্গে বর্ণিত হয়েছে। ওমর (রাঃ) এর চরিত্রে একদিকে যেমন ছিলো কঠোরতা অপর দিকে ছিলো কোমলতা। বইটিতে ফুটে উঠেছে অর্ধ পৃথিবীর খলিফা হওয়া সত্ত্বেও হযরত ওমর (রাঃ) এর অতি সাধারণ সহজ সরল জিবনযাপন। অসাধারণ একটি বই।
Was this review helpful to you?
or
Ami aei book ti porease. Amar kasea onek onek valo leageasea ! ami akhon aei book tar 2part tar opekhai asi. jani na kobea sea 2 part ta pabo.
Was this review helpful to you?
or
Full of spelling and printing mistakes!
Was this review helpful to you?
or
বই এর নাম- ওমর, ক্যাটাগরি - ঐতিহাসিক উপন্যাস, লেখক - রাফিক হারিরি, প্রকাশক - ঐতিহ্য, প্রকাশকাল - ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, পৃষ্ঠা সংখ্যা - ২৮৭, প্রচ্ছদ - ধ্রুব এষ, গায়ের মূল্য - চারশত টাকা 'ওমর' রাফিক হারিরি রচিত একটি ঐতিহাসিক উপন্যাস। উপন্যাসের মূল চরিত্র রচিত হয়েছে মুসলিম জাহানের দ্বিতীয় খলিফা ওমর (রাঃ) নিয়ে। যিনি আমাদের শেষ নবি (সাঃ) এর অন্যতম সাহাবীদের একজন ছিলেন। মুসলিম বিশ্বে সুপ্রতিষ্ঠিত শাসকদের মধ্যে ওমর ছিলেন অন্যতম। এই উপন্যাসে মূলত খলিফা ওমরের রাজ্য শাসন, জীবন যাপন, তখনকার প্রেক্ষাপটে সামাজিক অবস্থা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। ওমর (রাঃ) ছিলেন একজন ন্যায়পরায়ণ, নিষ্ঠাবান, বিশ্বস্ত শাসক। যিনি নিষ্ঠার সাথে সৃষ্টিকর্তার প্রতি প্রত্যেক মুহূর্তে আনুগত্য স্বীকার করেছিলেন বা আজ্ঞা পালন করেছিলেন। যিনি সাধারণ মানুষের প্রতি তার অপার সহানুভূতি এবং উত্তম বিচারের মধ্য দিয়ে পরিচালনা করেছেন সুশাসন ব্যবস্থাপনা। যার সম্পর্কে নবি (সাঃ) বলেছিলেন, ' আমার পর যদি কেউ নবি হতো তাহলে সে হতো ওমর।' তিনি এমন একজন মানুষ ছিলেন যিনি রাষ্ট্রক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হবার পর নিজেকে শাসক হিসেবে নয় সেবক হিসেবে উপস্থাপন করেছেন সকলের কাছে। সমগ্র রাষ্ট্রের মানুষ যখন গভীর রাতে ঘুমে তলিয়ে যেতো, খলিফা ওমরের চোখে তখন ঘুমের কোন বিন্দু চিহ্নই দেখা যেত না। তিনি তাঁর একমাত্র সেবককে নিয়ে রাতের আঁধারে বের হয়ে মদিনার প্রত্যেক প্রান্তে ঘুরে ঘুরে দেখতেন কোথাও বিপদগ্রস্ত হয়ে কেউ পড়ে আছে নাকি। এমন অনেক রাতে তিনি বহুক্রোশ পথ পায়ে হেঁটে নিজে খাবারের বোঝা বহন করে পৌঁছে দিতেন দুঃস্থ মানুষের দ্বারে। সামান্য ভুলের কারণে মাথা নত করতে দ্বিধাবোধ করতেন না কখনো। **তিনি ছিলেন একজন অনুগ্রাহী নেতা। যিনি তার সাম্রাজ্যের কোন মানুষের দুঃখ কষ্ট সহ্য করতে পারতেন না। মদিনায় একবার তিনমাস ব্যাপী খরা চলার কারণে সকলে দুর্ভিক্ষে পড়লো। মদিনার সাধারণ মানুষ দিনের বেলা রোজা রাখতো খাবারের অভাবে আর রাতে তেলে ভিজিয়ে রুটি খেত। রাষ্ট্রের প্রধান হয়েও সাধারণ মানুষের এই কষ্ট সহ্য করতে না পেরে ওমর খরার তিন মাস দিনের বেলা রোজা রাখতেন আর রাতে একবেলা শুকনো রুটি তেলে ভিজিয়ে খেতেন। সারাদিন রোজা রাখার কারণে তার পেটের ভিতর গুরু গুরু শব্দ হতো।শব্দ হলেই পেটে হাত রেখে তিনি বলতেন, ' হে আমার পেট, এই শব্দ করে কোন লাভ নেই। যতদিন না দুর্ভিক্ষের সময় যাচ্ছে ততদিন তুমি ঠিকমতো খাবার পাবে না। শব্দ করো আর কান্নাকাটি করো। কোন লাভ নেই।' **ওমর (রাঃ) ছিলেন নিষ্ঠাবান ব্যক্তিত্বের অধিকারী। যিনি গভীর চিন্তা ভাবনার মধ্য দিয়ে সততার সাথে তার কার্য সম্পাদন করতেন। আবু বকর (রাঃ) মৃত্যুর পর ওমর খলিফা হবার পর প্রথমদিন ফজরের নামাজ শেষে বাড়ি ফিরে দেখেন তাঁর প্রিয়তমা স্ত্রী আতিকা সকালে নাস্তার আয়োজনে খলিফার জন্য তার প্রিয় খাবার যবের রুটি, খেজুর, ডুমুর, উটের দুধ, ভেড়ার শুকনো মাংস আর মধু রেখেছেন। এতো খাবার দেখে তাঁর মন ভরে যায়।কিন্তু খেতে বসে তিনি তার স্ত্রী আতিকার কাছে জানতে চাইলেন, 'আতিকা তুমি কী আমাকে নিশ্চয়তা দিতে পারবে যে মদিনার সবাই আজ এই খাবার দিয়ে সকালের নাস্তা করছে?' আতিকা উত্তরে জানালেন, 'প্রিয় খলিফা কীভাবে সেটা বলবো? মদিনার সকলেতো আর এতো ভালো ভালো খাবার খেতে পারে না' খলিফা বললেন, ' তাহলে আমি কী করে এতো রাজকীয় খাবার খাই?' - ' আপনিতো খলিফা ' -আতিকা, বিচার দিবসে যদি সৃষ্টিকর্তা আমাকে প্রশ্ন করেন, খলিফা হিসেবে তোমাকে দায়িত্ব দেয়ার পর তুমি যা খেয়েছিলে তোমার দেশের মানুষ কী তাই খেতে পেরেছিল? তখন আমি কী জবাব দিবো আতিকা? এই খাবার আমি ততদিন খাব না যতদিন না আমি নিশ্চিত হই আমার দেশের প্রতিটি মানুষ এমন খাবার খেতে সক্ষম। খলিফা হিসেবে আমি ঘরের সদস্যদের মুখে খাবার তুলে ভালো কিছু খেতে পারবো না।' ** ওমর ছিলেন একজন ন্যায়বিচারক। যিনি অন্যায় এর বিরুদ্ধে কঠোরভাবে রুখে দাঁড়াতেন। ন্যায় বিচারের নিকট তার প্রাণপ্রিয় সন্তানদের মৃত্যু সাজাও যেন তাঁর কোমল হৃদয়কে পাথরের মত শক্ত করে দিতে পারে অনায়াসে। তিনি তাঁর সন্তানদের উদ্দেশ্য করে বলেছিলেন, 'আল্লাহর শপথ করে বলছি যাঁর হাত আমার জীবন ও মৃত্যু, যদি কেউ কখনো এমন অভিযোগ নিয়ে আসে যে ওমরের সন্তানেরা ওমরের নির্দেশ মেনে চলছে না তাহলে মনে রাখবে তোমরা ওমরের সন্তান বলে সেই অপরাধের শাস্তি দ্বিগুণ আকারে পাবে। এতে তোমাদের মৃত্যু যদি হয় আমি পছপা হব না।' ওমর বিন খাত্তাবকে সবাই ভয় পেত তাঁর কঠোরতার কারণে। একদিকে অন্যায়ের বিরুদ্ধে তিনি যতটা কঠোর ছিলেন অন্যদিকে সততার প্রতি তিনি ততটাই কোমল ছিলেন। যারা কঠোরতার কারণে তাঁকে অপছন্দ করতো তারা ওমরের ব্যবহারে মুগ্ধ হয়ে সৃষ্টিকর্তার নিকট শুকরিয়া আদায় করতো এটা ভেবে যে, তারা ওমরের মত একজন কোমল মানুষকে মুসলিম জাহানের নেতা হিসেবে পেয়েছেন। ওমর মুসলিম জনতাকে উদ্দেশ্যে করে বলেছিলেন, ' আর যারা থাকবে ন্যায়ের উপর, যারা বিনয়ী, ন্যায় বিচার করবে আমি তাদের প্রতি এতটাই কোমল হব যেভাবে স্নেহাসক্ত একজন পিতা তার প্রিয় সন্তানের প্রতি কোমল হয়। কেউ যদি কারো উপর অন্যায় অবিচার করে আমি তাকে ছাড়ব না। ন্যায়বিচারের জন্য আমি তার মুখমন্ডল বালিতে চেপে ধরব যতক্ষণ না সে তার অপরাধ স্বীকার করে। আর যারা আইন মেনে চলবে কোনো অন্যায় করবে না তাদের পায়ের কাছে আমার মুখমন্ডল আমি মাটিতে চেপে ধরবো।' জনগণের প্রতি ওমরের সার্বক্ষণিক এই দায়বদ্ধতা, ন্যায়পরায়ণতা, সততার সাথে পরিচালিত রাষ্ট্রের প্রত্যেকটি কার্যকলাপ তাঁকে পৃথিবীর ইতিহাসে চির অমর করে রেখেছে। উপন্যাসের প্রত্যেকটা পৃষ্ঠাই যেন একরাশ মুগ্ধতা সৃষ্টি করেছে। #আমার_উপলব্ধি - পড়ার সময় মনে হয়েছে আমি একটা ঘোরের মধ্যে আছি। খলিফা ওমরের চরিত্রের প্রত্যেকটি দিক শিক্ষণীয়। সৃষ্টি করেছে এক অন্যরকম আকর্ষণীয়তা। কখনো তার কোমলতা,সহজতা,ন্যায়পরায়ণতা, কঠোরতা মনের মধ্যে প্রশান্তি এনে দিয়েছে কখনো বা শরীরকে করেছে শিহরিত। জনগণের প্রতি তাঁর অনুরাগীপূর্ণ মনোভাব কাঁদিয়েছে অনেক। পড়তে গিয়ে বারবার অবাক হয়েছি। সৃষ্টিকর্তার প্রতি তাঁর যে অানুগত্যর প্রকাশ ঘটেছে তা এক শিক্ষণীয় দৃষ্টান্ত। খলিফা হওয়া সত্ত্বেও, পুরো শাসনের ভার নিজের হাতে পাওয়া সত্ত্বেও অধিকাংশ সময় তিনি অভাবের মধ্য দিয়েই জীবন যাপন করতেন। প্রয়োজন ব্যতীত এক সুতা পরিমাণ জিনিস তিনি বায়তুল মাল থেকে নিতেন না। এই বিষয়টা গভীরভাবে মনকে স্পর্শ করেছে। বইটি পড়ে সকলেই তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলতে বাধ্য। #লেখক_এবং_বই_সম্পর্কে_ভালোলাগা - রাফিক হারিরি রচিত ইতিহাসকেন্দ্রিক এই উপন্যাসটি নিঃসন্দেহে লেখকের অনবদ্য একটি সৃষ্টি। লেখক তার নান্দনিক লেখার মধ্য দিয়ে পাঠকের কাছে পৌঁছে দিতে পেরেছেন একটি অসাধারণ বই। উপন্যাসটি তথ্যবহুল এবং পড়ার মধ্যে কোন ক্লান্তিবোধ বা একঘেয়ামী অনুভব করিনি। প্রত্যেকটি পৃষ্ঠা পড়ে প্রত্যেকটি ঘটনা জেনে তৃপ্তি পেয়েছি। লেখক যদি এতো চমৎকারভাবে তার সাবলীল লেখার মধ্য দিয়ে ইতিহাসকে পাঠকের সামনে সহজভাবে তুলে ধরেন তবে আমার মত অজ্ঞ পাঠকশ্রেণী নিঃসন্দেহে পুরো ইতিহাসকে জেনে ফেলতে আগ্রহী হয়ে উঠবে। মূলত সহজ ভাষাশৈলীর কারণে উপন্যাসটি হয়ে উঠেছে প্রাঞ্জল। লেখককের প্রতি কৃতজ্ঞতা রইলো এতো চমৎকার একটি বই উপহার দেওয়ার জন্য সেই সাথে পরের খন্ডের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় রইলাম।