User login

Sing In with your email

Email Address
Password
Forgot Password?

Not Account Yet? Create Your Free Account

Send

Recipients:
Message:

Share to your friends

Copy link:

    Our Price:

    Regular Price:

    Shipping:Tk. 50

    • Size:
    • Color:
    QTY:

    প্রিয় ,

    সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
    মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?

    Please Login to Continue!

    Our User Product Reviews

    Share your query and ideas with us!

    Customer Reviews

      By A R M Galib

      15 Nov 2021 02:25 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      Good

      By Atik Yasir

      13 Dec 2020 09:19 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      গল্পটা পড়তে তেমন একটা সময় না লাগলেও গল্পটার মূলকথা বুঝতে একটু বেশিই সময় নিয়ে ফেললাম। যাইহোক,ভৌতিক বিষয়টির কথা বাদ দিলে গল্পটাতে ফুটে উঠেছে বর্তমানের শহুরে সমাজের প্রতিচ্ছবি।সারাক্ষণ প্রযুক্তি নির্ভর হয়ে থাকা,পরিবারকে সময় না দেওয়া,নিজের কষ্টগুলোকে বাবা-মা কিংবা কারো সাথে শেয়ার না করে নিজের ভেতরে কষ্টকে পুষে রাখা,ভালোবাসাকে তুচ্ছ করে দেখা প্রভৃতি। বইটিতে যে বিষয়গুলো ভালো লেগেছেঃ ১.একবসায় শেষ করে ফেলার মত। ২.একই কথা বারবার না লিখে পেজ না বাড়ানো। ৩.প্রত্যেকটি চরিত্রকে লেখক খুব সুন্দরভাবে রিপ্রেজেন্ট করেছেন,কোনো খাপছাড়া চরিত্রের দেখা মেলেনি। যে জিনিসগুলো তেমন একটা ভালো লাগেনাইঃ ১.EXTREME BRUTALITY!!!হ্যাঁ,এই জিনিসটা আমার কাছে এক্টু বিরক্তিকর লাগছে।আমার কাছে মনে হয়,অতিপ্রাকৃত জিনিস্টা নিরব হওয়াই শ্রেয়। Silence Can Be Killer! ২.গল্পটিতে একটি বিরাট অংশ যুক্ত আছে একটি ডায়েরির সাথে।কিন্তু,ডায়েরিটা নিয়ে লেখক তেমন কিছু বলেন্নি।আমার মতে,ডায়েরিটির উৎপত্তির পেছনের আসল ঘটনাটি বইটতে উল্লেখ করলে ভালো হত। এককথায়,পড়ার মতো একটি গল্প।

      By RASHIKUR RAHMAN RIFAT

      23 Nov 2019 09:05 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      বইয়ের নাম- অপার্থিব লেখক- সুস্ময় সুমন প্রকাশনী- বাতিঘর প্রকাশনী পৃষ্ঠা সংখ্যা- ১৪৩ মুদ্রিত মূল্য-১৫০ টাকা জীবন ও মৃত্যু একে অপরের পরিপূরক। আলো আঁধার, সাদা কালোর মতই এরা একসাথে থাকে। যেন একটা ঘটলে অপরটা ঘটবেই। হয়তো আজ বা কাল বা অনেক অনেক দিন পরে। কিন্তু ঘটবেই। কিছু কিছু বই থাকে যেগুলার গল্প সারাংশ আকারে তুলে ধরা যায় না। সাধারণ গল্পগুলো থেকে কিছুটা ভিন্ন হয়। কিংবা অল্পতে তুলে ধরতে গেলে আসল ব্যাপারটা বোঝানো যায়না। এই বইটিও তেমন। গল্পটা অবসর প্রাপ্ত এক স্কুল শিক্ষক ও তার পরিবারের। গল্পটা একজন অশরীরী। গল্পটার মুল উপজীব্য ভয় নয়। মৃত্যু। যেন মৃত্যুই এক মাত্র সমাধান। পাঠ পতিক্রিয়া- হরর বই আমি আগে তেমন একটা পড়তাম না। ইদানীং শুরু করেছি। তাই বইটা কেমন সে ব্যাপারে খুব বেশী কিছু বলতে পারবো না। আমার সে জ্ঞান নেই। শুধু নিজের ভালো লাগা বা মন্দ লাগা বলতে পারবো। কাহিনীটা খুব সুন্দর ছিল। বেশ ভালোও লাগছিল। কিন্তু শেষে কিছু জায়গায় উত্তর খুঁজে পাইনি। হালকা অসামঞ্জস্য আর কি। সুস্ময় ভাই বলছে এই বইয়ের প্রিকুয়েল আসবে এরপর। তখন উত্তর পেয়ে যাবো সম্ভবত।

      By Wazedur Rahman Wazed

      14 Sep 2018 05:38 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      "সবার কপালে উপরঅলা সবকিছু দেয় না। এটা মেনে নিয়ে যারা চলতে পারে তারা ভাগ্যবান। আর যারা বিষয়টা মেনে না নিয়ে তড়পাতে থাকে, তারা দূর্ভাগা।" পৃথিবীতে প্রত্যেকটা জিনিসের দুটো দিক আছে। যা একে অপরের বিপরীত। যেমন রাত-দিন, আলো-আঁধার, সত্য-মিথ্যা, জন্ম-মৃত্যু। জন্ম দিয়ে একটা মানুষের জীবন শুরু হলেও মৃত্যুতেই তা আচমকা শেষ। জন্মের ইতিহাস আধুনিক বিজ্ঞান আমাদের জানাতে পারলেও মৃত্যুর পরের ইতিহাস আমরা আজো জানতে পারিনি। মৃত্যু নিজেই কেমন অদ্ভুত। হুট করে আসবে, কাউকে না জানিয়ে, কাউকে না বলে৷ হয়তোবা চলাচলের রাস্তায় কিংবা নিজের ঘরে বসে থাকা অবস্থায়। যুগ যুগ ধরে কৌতুহলপ্রিয় মানুষেরা জানার চেষ্টা করে আসছে মৃত্যুর পরে কি? আর একইসাথে একদল ক্ষমতালোভী চেষ্টা চালিয়ে আসছে অমরত্ব লাভের। আর সকল ধর্মমতে প্রত্যেক অমরত্বের দাবিদারই ঈশ্বর কর্তৃক শয়তান রূপে বিতাড়িত হয়েছে জাগতিক প্রচুর শক্তি নিয়ে। আর মানুষেরা অমরত্বের আশায় করে আসছে সেই শয়তানেরই পূজা। শয়তানের ইশারায় করেছে খুন, চালিয়েছে হত্যাযজ্ঞ। এমনকি শয়তানের অযাচিত এই বর্বরতা থেকে রেহাই পায় না ঈশ্বরের প্রিয় ইমাম, ব্রাক্ষ্মন পুরোহিত, বৌদ্ধ ভিক্ষু কিংবা চার্চের ফাদার। শয়তানকে ডাকার জন্যে বানানো হয় অদ্ভুত আকৃতির সব মূর্তি, অদ্ভুত সব সাংকেতিক চিহ্ন ব্যবহার করা হয়। কেউ কেউ আবার পরবর্তী প্রজন্মের জন্যে তা ডায়েরী আকারে লিপিবদ্ধও করে৷ একসময় শয়তানের সেই আঁধারের রাজ্যেও আলো প্রবেশ করে, তছনছ হয়ে যায় সব, এত এত বছর ধরে করা প্রার্থনাসব এক নিমেষেই ধুলিস্মাৎ হয়৷ শয়তান অভিশাপ দিয়ে পালায়। অনেক..অনেক বছর পর কেউ হয়তো সেই শয়তানের উপাসনার ডায়েরীটা খুঁজে পায়, কৌতূহলে ধুলো পড়া ডায়েরীটা খুলে পড়া শুরু করে। শয়তানও তখন ঈশ্বরকে বিদ্রুপ করে হাসতে হাসতে ফিরে আসে ধরনীর বুকে৷ শয়তানের ইশারায় আবার চলে খুন, হত্যা, ধ্বংসযজ্ঞ। ভালোর অপর পিঠটাই খারাপ আর খারাপের অপর পিঠটাই ভালো। "আগেকার যুগে বলা হত মেয়েরা নাকি কুড়িতেই বুড়ি, সে হিসেব এখন বদলে গেছে। অনেক মেয়ে-সন্তানও আজকাল পরিবারের কাছে শক্ত লাঠি।" বইয়ের ব্যাক কাভার থেকেঃ জন্মের সঙ্গে মৃত্যুর সম্পর্ক সুনিবিড়৷ যেদিন মাতৃগর্ভে জন্ম হয় তখন থেকেই সুনিশ্চিত হয়ে যায় মৃত্যু৷ এ এক চিরন্তন সত্য। কেবল কখন, কোথায় আর কিভাবে হবে তা জানে না কেউ৷ আবার এটাও সত্যি যে, মৃত্যু যখন ভীষণ নির্মম হয়ে উঠে, তার বর্ণনা হয় এরকমঃ "ছিঁড়ে নেয়া গলা থেকে এখনো একটু একটু রক্ত বের হচ্ছে, দেহের সর্বত্র রক্তাক্ত আঁচড়ের চিহ্ন, বুকের দু'পাশের রিব ভেঙ্গে দেবে গেছে, পুরুষাঙ্গ আর অণ্ডকোষ ছিঁড়ে নেয়া হয়েছে, গোটা পেট ফাঁড়া, নাড়িভুঁড়ির পুরোটা রাস্তায় লুটাচ্ছে..." তখন নিশ্চয়ই আপনার পিলে চমকে যাবার কথা। প্রিয় পাঠক, অপার্থিবের নারকীয় জগতে আপনাকে স্বাগতম৷ সুস্ময় সুমনের অপার্থিব বইয়ের ব্যাক কাভার থেকে লেখাটা তুলে দিলাম। বাতিঘর থেকে প্রকাশিত বইটার পেইজ, বাইন্ডিং বরাবরের মতোই৷ ভেবেছিলাম প্রচ্ছদটা ডিলান সাহেবের কিন্তু পরে জানলাম সেলিম হোসেন সাজু নামে কারোর কথা৷ যাই হোক, প্রচ্ছদটা ভালো লেগেছে৷ কাহিনীপ্রসঙ্গঃ শুরুটা বর্তমান সময়ের একটা হাইরেজ বিল্ডিং এর নবম তলা থেকে। ড্রয়িংরুমে বসে পেগের পর পেগ মদ গিলছে মেহবুব। মদটাই তার নিত্যসঙ্গী। মদ ছাড়া কোন গতি নাই৷ নিজের স্ত্রী যখন নিজের বেস্টফ্রেন্ডের সাথেই সম্পর্কে জড়িয়ে যায় তখন মদ ছাড়া উপায় থাকে না৷ মেহবুবের স্ত্রী শায়লা জামশেদের সাথে সম্পর্কে জড়িয়ে গেছে। এত কিছুর পরও কিভাবে যে সংসারটা টিকে আছে তাই ভাবছে মেহবুব। এমন সময় একটা খসখসে আর চাপা-হাসি মেহবুব শুনতে পায়। রুমটা হঠাৎই করে অস্বাভাবিক ঠান্ডা হয়ে গেছে৷ ওদিকে নিজের ঘরে বসে জামশেদের সাথে মোবাইলে ম্যাসেজ চালাচালি করছে শায়লা। শায়লার ঘরেও খসখসে একটা শব্দ হয় কিন্তু সেদিকে শায়লার মন নেই। মনটা পড়ে আছে জামশেদের কাছে৷ এমন সময় খসখসে আর চাপা-হাসির শব্দটা শায়লাকে ভয় পাইয়্যে দেয়। হঠাৎ করেই গেটটা খুলে যায় শব্দ করে। মেহবুব দাঁড়িয়ে আছে সেখানে কিন্তু চিরচেনা সেই মেহবুব নয় যেন কুৎসিত কোন জীব৷ শায়লার উপর ঝাপিয়ে পড়েই কামড় বসালো শায়লার টুঁটি লক্ষ্য করে। শুরুটা বর্তমান সময়ে হলেও গল্পটা মূলত তিন মাস আগেকার। গল্পটা মাহাতাব উদ্দিনের। আলমডাঙ্গা নামক এক মফস্বলে থাকেন তিনি, সাথে থাকেন তার স্ত্রী সফুরা বেগম। অবসরপ্রাপ্ত বাংলার শিক্ষকের একজনই সন্তান যে কিনা ঢাকায় থাকে এবং পাইলট। মাহাতাব উদ্দিনের এমনিতেই ঢাকায় দমবন্ধ লাগে তার উপর ছেলের বউয়ের খড়খড়া ব্যবহার তাকে ব্যথিত করে৷ তাই ঢাকায় যাওয়ার নাম উঠলেই নাক সিটকায় মাহাতাব উদ্দিন। দরকারী কথা ছাড়া ছেলের সাথে তেমন একটা কথাও বলেন না তিনি৷ শুধুমাত্র সফুরা বেগম মা বলে প্রায় প্রায়ই ছেলের সাথে কথা বলেন। বাবা এবং ছেলে দুজনেই আত্মরম্ভী স্বভাবের। মাহাতাব উদ্দিনের বিকেলটা কাটে মজিদ মিয়ার হাতের এক কাপ চা আর এলাকার লোকেদের সাথে কথাবার্তা বলে। প্রতিদিনের মতো একদিন মাহাতাব উদ্দিন মজিদ মিয়া দোকানে যেয়ে এক উদ্ভট ছেলেকে দেখতে পায়। বেশভূষা ভালো হলেও গা-ভর্তি ধুলোবালি, ময়লা আর দুর্গন্ধ। মাথাভর্তি ঝাকড়া চুল আর মাথানীচু করে বিড়বিড় করে কি যেন পড়ছে। ঘটনার পরিক্রমায় ছেলেটার গা ছুঁয়ে দেখে গা জ্বরে পুড়ে যাচ্ছে আর চোখদুটো টকটকে লাল। ছেলেটা বগলে থাকা একটা বেশ পুরানো ডায়েরী নিয়ে মুহুর্তেই জঙ্গলের দিকটায় দৌড়ে উধাও হয়ে যায়। এক সন্ধ্যায় প্রদীপ স্যারের মেয়ে মালতির পোষা বিড়াল কুটমুট একটা অদৃশ্য শক্তির আকর্ষণে জঙ্গলে ছুটে যায়৷ মালতির প্রচণ্ড জ্বর আসে। আর সেদিনই মাহাতাব উদ্দিন স্বপ্নে দেখেন একটা ছেলে জঙ্গলে বসে একটা জীবিত বিড়াল কাঁচা চিবিয়ে খাচ্ছে। ঘুম ভেঙ্গে যায় মাহাতাব উদ্দিনের। ধড়ফড় করে উঠে বসে সে। এসব কি হচ্ছে তার সাথে, তাই সে ভাবে। তার স্ত্রী চলে গেছে ঢাকায় ছেলের কাছে৷ জানালায় চোখ পড়তেই দেখে কেউ একজন জঙ্গলের দিকে মুখ করে দাঁড়িয়ে আছে। মাহাতাব উদ্দিন পিছু নেয় ছায়ামূর্তির। একটা সময় জঙ্গলের মাঝে ছায়ামূর্তিটা অদৃশ্য হয়ে যায়। মাটিতে একটা পুরানো ডায়েরী খুঁজে পায় মাহাতাব উদ্দিন। বাসায় চলে আসে সে। ডায়েরীটাতে অদ্ভুত সাংকেতিক ভাষায় কিছু লেখা। মুহুর্তেই একটা খসখসে আর চাপা-হাসি শোনা যায় মাহাতাব উদ্দিনের রুমে। ঘরের সামনেই কুকুরটা ডেকে উঠে। মাহাতাব উদ্দিনের কুকুরটাকে কাঁচা চিবিয়ে খাওয়ার লোভ জাগে৷ নয়তলার সেই বিল্ডিং এ এমন কি ঘটেছিল? মেহবুবের উপর কি কিছু ভর করেছিল? শায়লাকেই বা কেন কামড় বসালো মেহবুব? জঙ্গলের দিকে দৌড়ে পালানো সেই ছেলেটা কে? ওর হাতের ডায়েরীটা কিসের? মালতির পোষা বিড়াল কুটমুটকে সত্যিই কি কাঁচা চিবিয়ে খাওয়া হয়েছিল? আর মাহাতাব উদ্দিনই বা সেইরকম একটা স্বপ্ন কেন দেখলো? আর কেনইবা এতদিনের পোষা কুকুরটাকে তার হঠাৎ কাঁচা চিবিয়ে খাওয়ার লোভ উঠে? এসব প্রশ্নের উত্তর জানতে হলে সুস্ময় সুমন রচিত অপার্থিব বইটা পড়তে হবে আপনাকে। লেখকপ্রসঙ্গঃ লেখকের সাথে অনেক আগে মিরপুরের ডিওএইচএসে এক শুটিং এর সময় কথা হয়েছিল। সজলকে নিয়ে কোন একটা নাটকের শুটিং ছিল। তখন আমিও মিডিয়াতে টুকটাক কাজ করতাম এক বড় ভাইয়ের সাথে সেই সুবাদেই পরিচয়৷ কিন্তু জানা ছিল না যে উনি লেখেন৷ আর তাছাড়া ২০১৪,১৫,১৬ টানা তিনবছর রিডার্স ব্লকে থাকার ফল হচ্ছে অনেককেই চিনি না কিংবা চিনি অথচ জানিও না। যাই হোক, প্রাথমিক বেড়ে উঠা আর পড়াশুনাটা চট্রগ্রামে হলেও পরবর্তীতে কলকাতা থেকে পড়াশুনা করেন। চাকরি পছন্দ নয় তাই ফ্রিল্যান্সিং দিয়েই জীবিকা নির্বাহ করেন। বর্তমানে নাটক নির্মান পেশায় যুক্ত আছেন৷ লেখালেখির প্রতি প্রবল টান থাকাতেই লেখালেখি করেন৷ বাতিঘর থেকেই আরেকটা বই আছে উনার যার নাম 'আঁধারের জানালাটা খোলা'। "মেয়েরাই কেবল মেয়েদের সাইকোলজি বুঝতে পারে।" লেখালেখিটা যদি লেখকের ধর্তব্যের মধ্যে না থাকে তাহলে পাঠককে চুম্বকের ন্যায় আকর্ষনের ক্ষমতা সে লেখকের লেখায় থাকে না। সুস্ময়দা'র সুবিধাটা হচ্ছে উনি একজন লেখকের পাশাপাশি পরিচালকও৷ তাই বর্ণনাগুলো এমনভাবে লেখা হয়েছে অকপটে তা চোখের সামনে ভেসে উঠে৷ হরর বই পড়ি আবার মুভিও দেখি কিন্তু ছমছমে ভাবটা আমার ক্ষেত্রে তখনই কাজ করে যখন অনস্তিত্বের কিছু ঘটনাটা ঘটায় এবং যার কোন ব্যাখ্যা থাকে না কিংবা পাওয়া যায় না। আছে না অনেক মুভিতে বা গল্পে ভুতের সাথে মারামারি হয় কিংবা অদ্ভুতদর্শন ভুত দেখিয়ে খামাখা ভয় দেখানোর চেষ্টা করা হয় সেরকম না৷ সুস্ময়'দা যা লিখেছেন তা একেবারেই অনস্তিত্বের কিছু একটা৷ ধরাও যাবে না আবার ছোঁয়াও যাবে না কিন্তু আপনার অনুভূতিতে স্পন্দন জাগাবে৷ হরর হিসেবে গা-ছমছমে উপভোগ্য একটা বই৷ এখন কথা হচ্ছে বইটা কি শুধুই হরর? না বইটা হররের পাশাপাশি কিছুটা থ্রিলারও বটে৷ থ্রিলিং পার্ট যদিও জমতে জমতেও জমতে পারেনি (প্রেডিকেটেবল ছিল-আমার কাছে) কিন্তু সেটা বুঝে উঠার সুযোগ হরর পার্টটা আপনাকে দিবে না৷ তবে হ্যা, সাইকোলজিক্যাল বেশ কিছু ব্যাপার খোলামেলা ভাবেই দেখানো হয়েছে। সমাজের উঁচু শ্রেণীর জীবনযাত্রা, উচ্ছনে যাওয়া জীবনযাপন, দিন শেষে অপরাধবোধের বোঝার ভার বয়ে বেড়ানো এসবই চোখে আঙ্গুল তুলে দেখিয়েছেন লেখক। পাশাপাশি গ্রাম্য আর শহরের অতি উঁচু শ্রেণীর ভেদাভেদ দেখিয়ে কিছুটা সামাজিকতার ব্যাপারগুলো বুঝিয়েছেন৷ গল্প, চরিত্র গঠন, গল্পের পটভূমি, গল্পের আবহ তৈরী মোটামুটি লেগেছে। তবে লেখনী সবচাইতে বেশী ভালো লেগেছে৷ পড়তে বসে একেবারে প্রথম লাইন থেকে শেষ লাইন অবধি ধৈর্য্যহারা হতে দেননি লেখক। আমি মনে করি এটাই লেখকের সফলতা। জ্বি অবশ্যই কিছু অসঙ্গতি আছে। বেশকিছু ইংরেজী শব্দের ব্যবহার যদিও অহেতুক মনে হয়নি তবুও চোখে লেগেছে। আর ২টা কি ১টা শব্দগত ভুল ছিল। গল্পটা একদমই সাদামাটা। শুরুটা যতটা দুর্দান্ত শেষটা ঠিক ততটা নয়। কিছু জায়গায় নাটকীয়তা দৃশ্যমান৷ আর তাছাড়া সবার মূলে থাকা ডায়েরীটা সম্পর্কে কিছুই জানানো হয় নি তবে যদি প্রিক্যুয়াল বা সিক্যুয়াল করার ইচ্ছা লেখকের থেকে থাকে তাহলে সাধুবাদ জানাই নয়তো বেশ কিছু প্রশ্ন রয়েই যায়। প্রচ্ছদ আর গল্পের শুরুর ন্যায় দুর্দান্ত না হলেও হরর হিসেবে মোটামুটি উপভোগ্য একটা বই। পড়তে পারেন। বাদবাকি ভালো লাগা কিছু উক্তিঃ "ভালো মানুষের শত্রুর অভাব হয় না।" "অন্যের জন্য নিজেকে উজাড় করে দেয়ার নামই মনুষ্যত্ব।" "জন্মালে যেমন মরতে হয় চাকরীতে জয়েন করলে সেভাবেই রিটায়ার্ড করতে হয়।" "শুধু পড়লেই একজন মানুষ 'মানুষ' হয়ে উঠে না। তার জন্য তাকে স্বশিক্ষিত হতে হয়৷"

      By Nahid

      03 Apr 2018 01:35 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      হরর উপন্যাস। ভালো লিখেছেন। পুরোটাই এনজয় করেছি। মেহেবুব, শায়লা, সারিতা, মাহাতাব উদ্দিন, সফুরা, আজিম, অজিফা, রাসেল, মুহিব, জামশেদ, আসীম গোমেজ, আব্দুল করিম, মালতি রাণী, মিনতি, প্রদীপ স্যার, মজিদ মিয়া, জুবায়ের আর তার চিনির শরবতের মত চা আর...আর...সেই নাম না জানা ছেলেটা...যার গায়ে খুব জ্বর... না...আর বলবো না...বাকীটা পড়ে নিন... #হ্যাপি_রিডিং

      By Khandaker Maidur Rahman

      22 Jan 2020 04:35 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      ভৌতিক রহস্যময় গায়ে কাটা দেয়ার মত। Ending এ এসে ভয় পেয়েছি। রাতের বেলা একা একা পড়া নিষেধ।

      By Md. Rabiul Bari Islam

      13 Apr 2018 06:27 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      Sorry but couldn't help myself from writing. I found it very unnecessary violence and brutality without any objective and sometimes it feels like the writer wants to create a zombie character then he decides to go as devil then its a spirit i do not know what is and it's just unnecessary killing. And the book ends with a lot of question/ unanswered background and without any closing, the book ends. after 80 pages I feel like why the hell all this killing what the hell this devil/ creature/ zombie/ spirit whatever it wanted and why I did waste my time.

      By Rezaul Karim

      03 Nov 2019 03:28 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      কাহিনির শুরুটা হয় শহরে, মেহবুব আর শায়লা নামে এক দম্পতির ফ্ল্যাট থেকে। তারপর কাহিনি ছড়িয়ে পড়ে গ্রাম...সেখান থেকে জঙ্গল...বর্তমান সময়ের ডিজে ক্লাবসহ খ্রিস্টানদের চার্চ...সর্বত্র। ভূতের গল্প মানেই যে শতাব্দির প্রাচীন সময়ে ঢুঁ দিতে হবে, এই আইডিয়াটাকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিছেন লেখক। আর 'অপার্থিব'' পড়ে সেটা আপনি খুব ভাল মতোই টের পাবেন। গোটা বইয়ে বিরক্তির উদ্রেক ঘটায় এমন কোনও অতিরিক্ত বর্ণনা নেই, অহেতুক টেনে লম্বা করার প্রবণতা নেই। তবে হ্যাঁ, বুদ্ধিমান পাঠকের জন্য কিছু ঘটনার ডিটেইল ব্যাখ্যা এড়িয়ে গেছেন লেখক, ছেড়ে দিয়েছেন পাঠকের চিন্তা বা কল্পনার খোরাক হিসাবে। কিংবা আমরা যদি এভাবেও ভেবে নিই যে- "সব ঘটনার ব্যাখ্যা থাকতে নেই", তাহলেও 'অপার্থিব' উপন্যাসটি যথেষ্ট বিনোদন দেবে আপনাকে।

    •  

    Recently Viewed


    Great offers, Direct to your inbox and stay one step ahead.
    • You can pay using


    JOIN US

    icon Download App

    Rokomari.com is now one of the leading e-commerce organizations in Bangladesh. It is indeed the biggest online bookshop or bookstore in Bangladesh that helps you save time and money. You can buy books online with a few clicks or a convenient phone call. With breathtaking discounts and offers you can buy anything from Bangla Upannash or English story books to academic, research or competitive exam books. Superfast cash on delivery service brings the products at your doorstep. Our customer support, return and replacement policies will surely add extra confidence in your online shopping experience. Happy Shopping with Rokomari.com!