User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
স্মৃতির বই গুলো খুব অন্য ধাঁচের লেখা। ওর লেখা পড়লে মনে হয় যেন আমি আমার নিজের মনো জগতে ঢুকে গেলাম।
Was this review helpful to you?
or
পেন্সিলের উদ্যোগে জাগৃতি প্রকাশনী থেকে অমর একুশে বইমেলা ২০১৮ উপলক্ষ্যে প্রকাশ পেয়েছে গল্পের বই ‘অলোকপুরীর ডাক’। লেখিকার লেখার যে অংশটা আমার কাছে উল্লেখযোগ্য মনে হয়েছে তা হলো গল্পের দৃশ্যকল্প আঁকায় লেখিকার সিদ্ধহস্ততা। বিশেষ করে পাঠক প্রকৃতির বর্ণনা শুনতে শুনতে হঠাত করে যখন মূল গল্পে ঢুকে পড়বেন তখন দেখা যাবে প্রকৃতির বর্ণনাটা আসলে ছিলো একটা সেট আপ। গল্পের সত্য কে পাঠকের সামনে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার জন্য একটা স্টেজ তৈরির সচেতন প্রয়াস। পাঠক যখন কোনো গল্প পড়েন তখন সেই গল্পের একটা ছবি তার কল্পনায় ভেসে উঠবে এটাই স্বাভাবিক। একজন ভালো গল্পকার হতে হলে গল্পের কাঠামোতে সেই দৃশ্যকল্প তৈরিতে পাঠককে প্রত্যক্ষ ভাবে গাইড করার একটা ক্ষমতা থাকতে হয়। আলোচ্য বইয়ের লেখিকার মধ্যে এই গুণটির বিকাশের সচেতন প্রচেষ্টা প্রত্যক্ষ করা যায়। যেমন তাঁর ‘শ্যাওলা জীবন’ গল্পের কয়েকটি লাইনঃ “একটা জলফড়িং জলে কিঞ্চিৎ তরঙ্গ তুলেই পালিয়ে গেল। খুব অল্পসময়েই তরঙ্গ থামিয়ে পুকুরটা শান্ত হয়ে গেলো ঠিক যেন ধ্যানমগ্ন ঋষি। পুকুরপাড়ের জামগাছের শুকনো একটি ডাল পড়ে আছে ডাঙা আর জল ছুঁয়ে নির্বিকার।” এই লাইন গুলো যেমন পাঠকের চোখে তিনটি দৃশ্য ফুটিয়ে তুলছে তেমনই গল্পের থিমের সাথে মানিয়ে নেওয়ার জন্য পাঠকের মনের পরিবেশটাও তৈরি করছে বৈকি। এই গল্পের প্রধান চরিত্রের জীবনের সাথে খুব মিল এই তিনট লাইনের। মাঝে মাঝে তাঁর জীবন-পুকুরেও এরকম তরঙ্গ ওঠে কিন্তু তা থামিয়ে দেওয়ার জন্য তাকে ধ্যানমগ্ন ঋষির মতই সহ্য করে নিতে হয়। জীবনের চাপিয়ে দেওয়া অসহায়ত্ব কাটাতে তাকেও যেন পুকুরপারের জামগাছের শুকনো ডালের মতোই পরে থাকতে হয়- ডাঙ্গা আর জল ছুঁয়ে নির্বিকার - কখনও শ্বশুরবাড়ি-কখনও বাবার। এর পর গল্প ডালপালা ছড়িয়ে সমাপ্ত হবার পথে বোধ জাগিয়ে যায় এভাবে- “হঠাত পুকুড়ের পাশের বাতাবিলেবু গাছটা থেকে একটা বাতাবিলেবু ঝুপ করে পানিতে পড়ে পুকুড়ের শ্যাওলাগুলোকে ছিন্নভিন্ন করে তলিয়ে গেল। শ্যাওলাভাসা পুকুরটা খানিক পরেই আবার নিজেকে শ্যাওলায় ঢেকে নিয়ে শান্ত হয়ে যায়।” এমন একটা গল্পের জন্য “শ্যাওলা জীবন” এর চেয়ে আর কিইবা ভালো নাম হতে পারে! বইটা সুখপাঠ্য - বিশেষ করে যারা প্রকৃতির সাথে জীবনের ঘনিষ্ঠ দার্শনিক মিল খুঁজে আনন্দ পান তাদের কাছে তো অবশ্যই।
Was this review helpful to you?
or
অলোকপুরীর ডাক স্মৃতি ভদ্র স্মৃতির বই "অলোকপুরীর ডাক" এর প্রচ্ছদ ইতিমধ্যেই সবাই দেখেছেন। আমার মতো আপনাদেরও কি প্রচ্ছদ দেখে একধরণের প্রশান্তি বোধ হয়নি? মনে হয়নি, বইটার মধ্যে গল্পগুলো হবে খুব গভীর জীবনবোধের? "অলোকপুরীর ডাক" বইটি পেন্সিল জাগৃতি প্রতিভা অন্বেষণ পুরস্কার প্রাপ্ত। স্মৃতি আমাকে দুইটা গল্প পড়ার সুযোগ দিয়েছে। গল্প দুটো পড়ে আমার কেমন লাগলো বলতে ইচ্ছা হচ্ছে। প্রথম গল্পটির নাম "সূর্যসন্তান"। গল্পের মূল চরিত্র আরশির জীবনের সত্য প্রকাশের ফলে বদলে গেলো তার চারপাশ। এমন সত্য বদলানো যায় না আবার মেনে নেয়াও সম্ভব না। গল্পটা খুব সুন্দর ভাষায় বর্ণনা করেছে স্মৃতি। ঝরঝরে শব্দমালায় সাজানো গল্পটা পড়তে ভালো লাগে। গল্পের শেষে মনে হলো আরশির জায়গায় একটা ছেলে থাকলে কি একই পরিস্থিতি হতো? দ্বিতীয় গল্প "শ্যাওলা জীবন"। শ্যাওলাদের জীবন নিয়ে কেউ কি ভাবে? শ্যাওলা সবার অপছন্দের, শ্যাওলা ধরা দেয়ালে রং করে হাঁফ ছেড়ে বাঁচে সবাই। ঠিক তেমন জীবন নিরুর - সবার কাছে অপাংতেয়, অপ্রত্যাশিত। কারণ নিরু অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে চায়, নিজের মতো স্বাধীন ভাবে বাঁচতে চায়। তার চাওয়া সমর্থন করে না তার পরিবার। ফলে অন্যায়ের মাঝেই শ্যাওলা হয়ে বেঁচে থাকে নিরু। এমন করে অনেক নিরু কি বেঁচে নেই আমাদের চারপাশে? আছে, আমরা দেখি, কিন্তু শ্যাওলাদের জীবন নিয়ে কে ভাবে বলুন? স্মৃতির লেখায় প্রকৃতির বর্ণনা আপনাকে হাত ধরে গল্পের মাঝে নিয়ে যাবে। তারপর শব্দের আলোর পথে হাঁটতে হাঁটতে আপনি পৌঁছে যাবেন গল্পের শেষে। এই পথ চলতে কখনো হাসবেন, কখনো কষ্ট পাবেন, কখনো আবার গভীর ভাবে ভাবতে শুরু করবেন। তবে সুন্দর সুন্দর শব্দ ছড়ানো পথে হাঁটতে আপনার কষ্ট হবে না। অভিনন্দন স্মৃতি। "অলোকপুরীর ডাক" এ সবাই সাড়া দিক।