User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
বইটি পড়া শুরু করলে, শেষ না করে উঠা যায় না। বেশ ভাল।
Was this review helpful to you?
or
It was a Good Story?
Was this review helpful to you?
or
Great
Was this review helpful to you?
or
'স্পাই' অরুণ কুমার বিশ্বাস স্যারের এক অনবদ্য উপন্যাস । এটি যেমন তথ্যের দিক থেকে সমৃদ্ধ তেমনি শব্দ প্রয়োগ এর দিক থেকেও । রনি ও সজীব নামের দুই বন্ধু মঙ্গোলিয়া যাচ্ছিল লাতিন আমেরিকার এক এনজিওর স্পন্সর নিয়ে আলতাই পাহাড় দেখবে বলে।তবে উড্ডয়নকালে বিমানের ফুয়েল ট্যাংক চুয়ে হাইড্রোকার্বন হাওয়া ! ফলে যাত্রীদের জীবন বাঁচাতে জরুরি অবস্থায় জাপানের কানসাই বিমানবন্দরে বিমান অবতরণ করা হয়। বিমান কর্তৃপক্ষ যাত্রীদেরকে জাপানের রয়েল রিগা হোটেলে থাকার ব্যবস্থা করে দেয় এবং কথা দেয় যে পরদিন ভোর রাতে তাদের নিয়ে মঙ্গোলিয়ায় যাবে ।কিন্তু পরের দিন ভোরে সকল যাত্রীকে একই বাসে নিলেও রনি ও সজীব কে আলাদা একটি সুবারু কারে নিয়ে যাওয়া হয় ।প্রথমে তাদের মনে খটকা লাগলেও জাপানিদের বিনয় ও ভদ্রতার কারণে তারা সন্দেহ করেনি যে তারা কিডন্যাপ হতে পারে ।অন্তত কোন জাপানি দ্বারা এ কাজ হতে পারে না। কিন্তু তারা পরে বুঝতে পারে যে তারা কিডন্যাপ হয়েছে কুখ্যাত স্মাগলার নিমকুর হাতে ।কিন্তু ততক্ষনে দেরি হয়ে গেছে। নিমকু তাদের কে তার চোরাচালানের কাজের সঙ্গে যুক্ত করে নেয়। নিমকুর চোরাচালানের প্রধান বস্তু হচ্ছে পৃথিবী থেকে বিলুপ্ত প্রায় প্রাণীদের বোনম্যারো ।এমন একটি বিলুপ্তপ্রায় প্রাণী আফ্রিকান জারবোয়ার বোনম্যারো সজিব ও রনি কে দিয়ে পাচার করাতে চায় ।বিদেশে বেড়াতে এসে একি গেরোর মধ্যে পড়ল তারা! তবে এ বিপদের মাঝে তারা বন্ধু হিসেবে পেয়েছিল জাপানি এক নাগরিক তুবাকে ।তুবা লক্ষী ও মায়াবতী একটি মেয়ে। সে সর্বস্ব দিয়ে তাদেরকে সাহায্য করে । আর দেখা পেয়েছিল বাঙালি ছেলে আকাশের । সেও তার বিচক্ষণতা দিয়ে যথাসাধ্য সাহায্য করেছে তাদের। একেতো নিমকুর বিপদ ,তার উপর রয়েছে জাপানের কাঞ্জি ভাষার দুর্বোধ্যতা। গালি দিচ্ছে না ভালোভাবে কথা বলছে তা বোঝা দায়। বলতে নেই খাবারের কথা। এই বিপদের মাঝেও তারা ঘুরে বেরিয়ে ছিল জাপানের সুন্দর সুন্দর সকল জায়গা । তাদেরকে দুশ্চিন্তামুক্ত করতে তুবাই এ সকল আয়োজন করে। অসাধারণ শব্দের বুননের মাধ্যমে লেখক সাজিয়ে তুলেছেন এই উপন্যাসটিকে । প্রতিমুহূর্তে রহস্যের গন্ধ আর রয়েছে সাসপেন্স। এমন সকল পরিস্থিতিকে মোকাবেলা করে রনি ও সজীব কি বেঁচে ফিরতে পেরেছিল ছিল শেষ পর্যন্ত দুর্ধর্ষ স্মাগলার নিমকুর হাত থেকে? জানতে হলে পড়ুন স্পাই উপন্যাসটি।
Was this review helpful to you?
or
পাঠক হাসবে যখন ‘আরিগাতো গজাইমাছ’ (অনেক ধন্যবাদ) শুনে সজীব বোকার মত বলে বসবে, ‘কী মাছ বললে? গজার মাছ?’ জাপানী ভাষা বুঝতে না পেরে এমন বেশ কয়েকটি চরম হাস্যকর ঘটনা পড়ে যে কেউ হার্ট ভাল রাখার খোড়াক পাবেন। বেশ কিছু মজার মজার জাপানি শব্দও রপ্ত হয়ে যাবে আনমনে। যেমন- ইরাশাতি কুদাছাই (সু স্বাগতম), মান সাকাতা সালিম ( বোবার কোন শত্রু নেই), কেইদাতু (পুলিশ), কোবান (পুলিশ স্টেশন) প্রভৃতি। উন্নতমানের কাগজ, ঝকঝকে ছাপা আর ভালো বাঁধাই পাঠককে এক ফুরফুরে মেজাজ দিবে। তবে বেশ কিছু ত্রুটি বইটির পাঠকদের আহত করবে। যেমন: সজিব-রনির যাওয়ার কথা মঙ্গোলিয়া। যেখানে তাদের জাপান নামারই কোন কথা ছিল না সেখানে তারা ‘এক মাসে জাপানী শেখার বই’ কোথায় পেল? বিষয়টি পরিষ্কার নয়। এর বাইরে কিছু বানান ভুল রয়ে গেছে যেমন- ৩১ পৃষ্ঠার প্রথম লাইনে ‘জুসের জগ’ -এর পরিবর্তে ‘জুসের জাগ’ ছাপা হয়েছে। ৫২ পৃষ্ঠায় দ্বিতীয় প্যারার শেষ লাইনে ‘ফেরিঘাটের’ স্থলে ‘ফের ঘাটের’ ছাপা হয়েছে। ১০১ পৃষ্ঠায় ‘খেলে’ লেখার পরিবর্তে ‘থেলে’ রয়েছে। আশা করি পরবর্তী সংস্করণে লেখক ও প্রকাশক এ বিষয়গুলোতে দৃষ্টি দেবে। লেখক উপন্যাসে চরিত্র বর্ণনায় তার বেশ কিছু উক্তি করেছেন। যেমন- জীবনে জোশ না থাকলে বেঁচে কী লাভ? কিংবা জীবনের জন্য কাজ, কাজের জন্য জীবন নয়। লিখেছেন- যার যত ক্ষমতা, সে-ই তত বড় জুলুমবাজ। দুর্নীতিবাজ পুলিশ সম্পর্কে বলেছেন- সব দেশেই পুলিশের চরিত্র মোটামুটি এক। //রিভিউ: এম.এস.আই খান//
Was this review helpful to you?
or
ভরপুর সাসপেন্স নিয়ে গল্প এগুতে থাকে। বইটা পড়লেই সবগুলো প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন। এক কথায় তিন গোয়ান্দার পর যদি কোন গোয়ান্দা বই ভালো লেগে থাকে (মৌলিক বাংলাদেশী লেখকের) স্পাই পড়ে সেই ভালোলাগাটা পেয়েছি। এখানে বেশ কয়েকটা জিনিস অনেক ভালো লেগেছে যেগুলা না বললেই নয় যেমন – লেখক খুব সুন্দরভাবে জাপানের কালচারটা আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন, তাদের আইন কানুন কতটা সুন্দর সেটা দেখিয়েছেন গল্পের ছলে। জাপানিদের খাবারের প্যাটার্ন কেমন সেটা গল্পের মাঝে খুব সহজেই জানা যায় এবং তাদের যাতায়াত ব্যবস্থা কতটা সহজ এবং সিকিউর সেটাও আমরা জানতে পারি। আরো জানতে পারি জাপান ইকোনোমিকালি কতটা এগিয়ে গিয়েছে সেটাও। আরেকটা জিনিস খুব ভালো লেগেছে সেটা হল – বইটা পড়ে জাপানে না গিয়েও জাপান ঘোরার মজাটা পাওয়া গিয়েছে এখানে। আর জাপানের মজার মজার অনেক শব্দ জানতে পেরেছি লেখকের গল্প বলার মাঝেই। সাথে বাড়তি কিছু মজা ছিলো ছড়া গুলোতে আর মজার মজার কিছু কথোপকথনে। আরেকটা জিনিস খুব ভালো লেগেছে সেতা হল যে জাপান খুব শক্তভাবে স্মাগলারদেরকে দমন করার চেষ্টা করে থাকে, আর রেয়ার কোন বস্তু বা পশু পাচার করতে চাইলে তো কথাই নেই তাদের পুলিশ বাহিনী কোমর বেঁধে নামে দমন করতে। যা আসলেই প্রশংসার দাবীদার, পুলিশ যেমন কড়া তেমনি আবার অনেক সহযোগিতাও করে থাকে। বইটা যে শুধু গল্প না, বইটা পড়লে গল্পের ছলে একেবারে একটা দেশ সম্পর্কে খুব সহজেই জানা যাবে যা অন্যকোনভাবেই এত সহজে জানা সম্ভব না। সাধারণত কোন বই পড়লে নিদিষ্ট কিছু জিনিস মাথায় ঘুরতে থাকে কিন্তু এখানে একেবারে পুরো একটা দেশের অনেক কিছুই মাথায় ঘুরতে থাকে যা পড়া শেষ হয়ে গেলেও থেকে যায় বইয়ের সেই রেশ। ধন্যবাদ।
Was this review helpful to you?
or
This is a real thriller type book.. I expect my readers to read the book
Was this review helpful to you?
or
ধরেন দুই বন্ধু মিলে ঘুরতে যাচ্ছেন অন্য কোনো দেশে। আর যদি সেই দেশে পৌঁছানোর আগে মাঝামাঝি পথে অন্য একটি দেশে ফ্রিতে একরাত থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা হয়ে যায় তবে কেমন হয় ! অবশ্যই এক ঢিলে দুই পাখি মারার মত কাজ, তাই না? আর সেই একরাত থাকার কারনেই যদি এ দেশে আরও কিছুদিন থাকার ব্যবস্থা হয়ে যায় তবে ! তবে তো আরও ভালো, তাই কি না ? কিন্তু সেটা যদি হয় পাসর্পোট হারিয়ে, অন্য কারো নজর বন্দী হয়ে তবে ! তবে বিপত্তি তো ঘঠবে সেখানেই। #সারসংক্ষেপ ঃ তেমনি দুই বন্ধু রনি ও সজীব বোয়িং ৭৮৭ তে করে যাচ্ছিল মাঙ্গোলিয়া, কিন্তু পথিমধ্যে ত্রিশ হাজার ফুট উপরে থাকা অবস্থায় তাদের উড়োযানের যান্ত্রিক ত্রুটির কারনে তারা সহ বাকি সব যাত্রীরা মরতে মরতে বেঁচে গিয়ে অবতরণ করেন জাপানের কানসাই এয়ারপোর্টে। রাতে আর কোনো ভাবে ফ্লাইট করা সম্ভব নয় বলে, সেখানেরই রয়াল রিগা হোটেলে ফ্রিতে এক রাত থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা হয় দুই বন্ধুর। সকাল সকাল আবার তাদের ফ্লাইট, তাই রাতটা কোনো রকম এখানে কাটিয়ে সকালই যাবে কানসাই এয়ারপোর্সে ফ্লাইট ধরতে, দ্বিতীয় বারের মত মাঙ্গোলিয়া যাত্রার উদ্দেশ্যে। কিন্তু সকালে হোটেল রয়াল রিগা থেকে বের হয়ে তারা অপহৃত হয় কানটুপিঅলা 'নিমকু' নামের একজন অপরিচিত লোকের হাতে। সেই নিমকু রনি ও সজীবকে অপহৃত করে তাদের কাছ থেকে মাঙ্গোলিয়া যাবার পাসর্পোট ও তাদের মোবাইলে ফোন নিয়ে নেয়। তার পরিবর্তে সে রনির কিটব্যাগে ঢুকিয়ে দেয় 'ঝা চকচকে এক ধাতব কৌটো ও তার নিয়ন্ত্রণে থাকা নিজস্ব একটি মোবাইল ফোন। এবং বলে দেয় যে এই কৌটাই তাদের প্রাণভোমরা। পরবর্তিতে নিমকু তাদের দু'বন্ধুকে নিয়ে উঠালো -হোতেরো কিরিতে। হোতেরো মানে -হোটেল আর কিরি মানে -কুয়াশা। অর্থাৎ তাদের হোটালের নাম -হোটেল কুয়াশা, সংক্ষেপে বললে হোটেল কিরি। সেখানেই দু'বন্ধুর থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করে দিলো নিমকু এবং বলে দিলো যেন কোনো ভাবেই পুলিশের দ্বারস্থ হওয়া বা কোনো প্রকার চালাকি করা না চলে , তাছাড়া তাদের পাসর্পোট নিমকুর কাছে। তাই তারাও সকল কষ্ট মনে চেপে দিয়ে উঠলো হোটেল কিরিতে। নিমকুর বাধ্যগত হয়ে। সেখানে গিয়েই আলাপ হয় হোটেল কিরিতে চাকরি করা মেয়ে তুবার সাথে। আস্তে আস্তে তারা বেশ ভালো বন্ধু হয়ে উঠে, এবং তাদের সকল সমস্যার কথা খুলে বলে তুবার কাছে। তুবাও তাদের বিভিন্ন ভাবে সাহায্য করা চেষ্টা করে। এদিকে সজীব আকৃষ্ট হয় তুবার প্রতি। রনি বেশ বুদ্ধিমত্তার ছেলে হলেও সজীব একে বারে গো বেচারা। কোনো কিছুতেই তার ততটা গুরুত্ব নেই, উল্টো বিভিন্ন খারাপ অবস্থাতে একেবারে নেতিয়ে যায়। অন্যদিকে রনি বেশ সাহসী ও বুদ্ধিদীপ্ত ছেলে, তার প্রতিটি কথা ও পথচলা হিসাবের। কোনো অবস্থাতেই সে ভেঙ্গে পড়ে না। সর্বদা ধৈর্যশীল ও হিতজ্ঞান সম্পন্ন । এরি মধ্যে কানটুপিঅলা নিমকু তাদের দিয়ে বিভিন্ন অন্যায় কাজ করানো শুরু করে... তার দেওয়া মোবাইলে ফোনে মেসেজের মাধ্যমে নির্দেশ দিয়ে। বাধ্য হয়ে তারাও আর কোনো উপায় না পেয়ে সেই কানটুপিঅলার কথা মতো কাজ করে যাচ্ছে... যেহেতু তাদের কাছে পাসর্পোট নেই তাই পুলিশ উল্টো তাদের অপরাধী ভেবে হাজতে না ভরে সেই ভয়ে। এভাবই নিমকুর হাতের পুতুল হয়ে যায় তারা দুই বন্ধু। আস্তে আস্তে গভীর অপরাধ মূলক কর্মকান্ডের সাথে যুক্ত হয়ে যায় নিমকুর কথা মতো চলে একেবারে না বুঝে...। চক্রান্তের জালে ফেসে যায় তারা। একদা রনি ও সজীব নিমকুর নির্দেশে হিরোশিমা যায় তার দেওয়া একখন্ড ধাতব পদার্থ একটা গাছের কুটরে রেখে আসতে। সেখান থেকে আসার পথেই ভারতীয় এক হোটেলে পরিচয় হয় আকাশের সাথে। অল্প কিছু সময়ের মধ্যে বেশ ভালো বন্ধু বনে যায় আকাশ এবং তারা যে বিপদে আছে সেটা তাদের মুখ দেখে অনুমান করে তাদের সমস্যার কথা জানতে চায় সে । তখন রনি ও সজীব তাকে সব খুলে বলে.... সেই থেকে আকাশ তাদের আশ্বাস দেয় সর্বপ্রকার সাহায্য করার। আকাশের সাথে আলাপ হয়ে দুই বন্ধুর মনোবল আরও দৃঢ় হয় । কিন্তু ঠিক সেই মুহূর্তে নিপ্পন স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেলের খবরে নিমকুর ছবি ভেসে উঠে, আর তা দেখে ওরা সবাই আঁতকে উঠে। খবরে আরও জানায় যে, জাপান পুলিশ নিমকু টুকোন কে হন্য হয়ে খুঁজছে। কেননা সে একজন দুর্ধর্ষ স্মাগলার। দেশ ছুড়ে তার নানা রকম চোরাকারবার আছে। দুষ্প্রাপ্য জন্তু -জানোয়ারের হাড়গোড় ও তেল সংগ্রহ করে নানান জায়গায় পাচার করাই তার কাজ। নিমকুকে ধরার জন্য জাপান পুলিশ খুব শিগগিরই চিরুনি অভিযান চালাবে এবং তার সাথে যদি আরও কেউ যুক্ত থাকে তবে তাদেরও চরম শাস্তির ব্যবস্থা আছে। এমনকী, লাইফ -টাইম জেল হয়ে যেতে পারে। এ কথা শুনে তারা সবাই একেবারে থ হয়ে যায়। এখন ! এখন কী করবে রনি ও সজীব ? তরা কিভাবে বের হবে সেই দুর্ধর্ষ স্মাগলার নিমকুর নজরবন্দি থেকে? আর কিভাবেই বা আকাশ আর তুবা সাহায্য করবে তাদের? যেখানে পুলিশ নিমকু ও তার গুপ্তচরদের খুঁজে বের করতে তৎপর হয়ে উঠেছে? #পাঠ_পতিক্রিয়া ঃ 'স্পাই ' শব্দটি শুনলেই মনে হয় এটা গুপ্তচর ভিত্তিক কিছু একটা হবে। তখনেই মনে প্রশ্ন জাগে আসলে কে কিসের গুপ্তচর ভিত্তি করছে? সেটার ফল কী হবে? এমন কিছুর। সেই দিন থেকে অরুণ কুমার বিশ্বাসের 'স্পাই' উপন্যাসটিও প্রথমে আমার মনে সেই প্রশ্নগুলোই জাগিয়েছিলো । তাই বেশ আগ্রহ নিয়ে বইটা শেষ করে জানতে পারলাম যে আসলে কাহিনীটা কী। 'স্পাই' উপন্যাসটা একটা অ্যাডভেঞ্চার ধর্মী রচনা। সেই দিক থেকে রনি ও সজীবের মাঙ্গোলিয়া যাবার পথে জাপানে অপহৃত হওয়া, এবং নতুন নতুন ঘঠনার সাথে যুক্ত হওয়া বেশ অ্যাডভেঞ্চারেরই প্রমান রাখে। বিশেষত লেখক বেশ স্বাভাবিক ভাষায় এবং স্বাভাবিক জায়গায় যে একটা থ্রিল সৃষ্টি করেছেন তা সত্যিই অনবদ্য । তাছাড়া কিশোর বয়সের দু'টো ছেলের মাধ্যমে তিনি যে সূক্ষ্মতম ভাবচিন্তার পরিচয় দিয়েছেন তা নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবিদার । বইটার শুরু থেকে বেশ চাঞ্চল্যকর একটা আবহে এগিয়েছে শেষ অব্দি, কোথাও কোনো আটকাতে হয়নি আমাকে। ভাষার দিক থেকেও বেশ সহজ ও সাবলীল ভাষা প্রয়োগ উপন্যাসটিকে আরও বেশি প্রাণবন্ত করে তুলেছে। তাছাড়া জাপানের পরিবেশ, প্রকৃতির, সংস্কৃতি ও খাদ্যাভ্যাসের সাথে লেখক খুব সহজেই পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন রনি ও সজীবের সাথে সাথে আমাকেও। আর বইটির সবচেয়ে গুরত্বপূর্ন যে দিকটি, সেটি হচ্ছে জাপানি ভাষার ব্যবহার। লেখক বইটির মধ্যে অসংখ্য জাপানি শব্দের সন্নিবেশ ঘটিয়েছেন যা একজন পাঠককে ভাষাগত দিক দিয়ে নিঃসন্দেহে সমৃদ্ধ করবে। বইটা পড়া অবস্থা একবারও মনে হয়নি যে এখানের রনি ও সজীব অন্য কেউ। সর্বাদা মনে হয়েছে আমি আর আমার কোনো বন্ধু সেই জাপান গিয়ে এসব ঘঠনার মুখোমুখি হয়েছি, এবং সেই ঘঠনা থেকে নিস্তার পাবার জন্য প্রাণপণ চেষ্টা করছি। আমি নিজে স্বয়ং জাপানে হাটছি। বইটিতে ভালো লাগা কিছু উক্তি ঃ ♥ ভয় এমন এক জিনিস, একবার ঢুকে গেলে শত ঝাড়ফুঁকেও সরানো যায় না। ♥ যারা বোকা তারা সুযোগের অপেক্ষায় থাকে। আর যারা বুদ্ধিমান, তারা সময়টাকে নিজের করে নেয়। কখনও হা পিত্যেশ করে না। ♥ হতাশার সাগরে ডুবসাঁতার কেটে কোনো লাভ নেই। বাঁচতে হলে লড়তে হবে। ডু অর ডাই। ♥ চাকরি থেকে বন্ধুত্ব বড়। বইটার প্রিন্ট, বান্ডিং, পেইজ সেগুলোর কথা বলতে গেলে বলা লাগে যে বেশ দক্ষ হাতে কাজ এটা এবং পরম যত্ন সহকারে তৈরী হয়েছে বইটি। অন্যান্য প্রকাশনী থেকে পাঞ্জারী পাবলিকেশন্সের পেইজের মান সত্যই অনেক ভালো...। বানানের ভুল চোখে পরেনি বললেই চলে। তাছাড়া প্রচ্ছদটা গল্পের আবহের সাথে একদম খাপেখাপে মিলে যায়। পরিশেষে এটা বলাই যায়, "স্পাই অ্যাডভেঞ্চারধর্মী ও সুক্ষ্ম রসবোধের গাঁথুনিতে তৈরী এক কিশোর উপাখ্যান। তবে সকল বয়সী পাঠকের জন্য সুপাঠ্য একটি বই। বইটি সম্পর্কে আমার ব্যাক্তিগত রেটিং ঃ ৯/১০