User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
It will be a great book for children.
Was this review helpful to you?
or
"প্রিয় সন্তান ও আপনার প্রয়োজনের একটি বই" -------------------------------------- জেদ, জেদ ও জেদ --------------------------- দৃশ্য - এক. শীতের সকালে ছেলে দুটোর উপরে জানালার কাঁচ গলে যখন আলোছায়া খেলা করছে, আপনার মনে হচ্ছিল বাচ্চাগুলো যেন দেবদূত কোন। আড়াই বছরের আদরের একমাত্র সন্তান ছেলেটি সদ্য কিনে দেওয়া ওর ব্লকগুলো দিয়ে সমবয়সী চাচাতো ভাইয়ের সাথে বিল্ডিং বানানোর খেলা খেলছে। "ঘরেতে ভ্রমর এলো গুনগুনিয়ে" গানটি গুনগুন করতে করতে রান্নাঘরে গেলেন। তারপর কিছুক্ষণের মধ্যেই শুনলেন গগনবিদারী চিৎকার। দৌড়ে গিয়ে দেখা গেল আপনার ছেলেটি চাচাতো ভাইয়ের সাথে রীতিমতো হাতাহাতি করছে, ভাইয়ের হাত থেকে নিজের খেলনা কেড়ে নিচ্ছে। সেই সাথে সমান তালে দুইজনই চিৎকার করে কাঁদছে। আপনি আপনার ছেলেকে টেনে নিয়ে বকা শুরু করলেন, ওকেই দোষারোপ করতে থাকলেন। চিৎকারের মাত্রা আরো বেড়ে গেল। আপনার ছেলে কিছুতেই নিজের খেলনা শেয়ার করতে রাজি না। দৃশ্য - দুই. আপনার তিন বছরের সন্তানটি খাওয়া নিয়ে অনেক ঝামেলা করে। মুখ থেকে থু করে ফেলে দেয়, জোর করে খাওয়াতে গেলে জেদ করে হাতের কাছে যা পায় ছুড়ে মারতে থাকে। দৃশ্য - তিন. আপনার দুই বছরের মেয়েটি মোবাইলে ডোরা কার্টুন দেখছিল। জরুরি ফোন করার জন্য হাত থেকে মোবাইল নিয়ে নিলেন আর সাথে সাথে শুরু হলো মেয়ের দেয়ালভাঙ্গা চিৎকার আর হাত-পা ছুড়াছুড়ি। মোবাইলটি দিচ্ছেন না তাই একসময় মাটিতে শুয়ে গড়াগড়ি খেতে লাগল। বাধ্য হয়ে ওকে থামানোর জন্য তাড়াতাড়ি কাজ না সেড়েই মোবাইল ফোনটি ওকে দিয়ে দিলেন। শূন্য থেকে চার বছরের নিচের বাচ্চারা আক্ষরিক অর্থেই অবুঝ শিশু। ওরা যখন জেদ করে তা হলো রাগ আর হতাশার বায়োলজিক্যাল রেসপন্স। জোরে একটানা চিৎকার করতে থাকা, উলটো হয়ে পড়ে যাওয়া, হাত পা ছুড়তে থাকা, দম আটকে কাশতে কাশতে বমি করে দেয়া - এগুলোকে টেম্পার ট্যান্ট্রাম (temper tantrum) বলা হয়। টেম্পার ট্যান্ট্রাম সাধারণত দুই থেকে চার বছর বয়সীদের মাঝে বেশি দেখা যায়। সমবয়সীদের সাথে বন্ধুত্ব করতে না পারা, নিজের কিছু শেয়ার করতে না চাওয়া - এগুলোও এই বয়সী শিশুদের বৈশিষ্ট্য। চার বয়সের নিচের বাচ্চাদের যুক্তি-তর্ক, বেগ-আবেগ, গতি-দুর্গতি বোঝার জন্য হৃদয় ও মস্তিষ্ক সেভাবে গঠিত হয়না। চারপাশের সাধারণ ব্যাপার স্যাপার আমার আপনার কাছে স্বাভাবিক বলে মনে হলেও ওদের কাছে তা অনেক বেশী বিভ্রান্তিকর। চকলেট, চিপস, আইস্ক্রিম খেতে কি দারুণ মজা! বড়রা কেন খেতে নিষেধ করে? বইয়ের পাতা ছিড়ে টুকরো টুকরো করলে, বড়রা কেনই বা এতে রাগ করে, ওর ছোট্ট মাথায় তা কিছুতেই ঢোকে না। ছোট বোনটির খেলনা ওর খেলতে ইচ্ছা করলে কেড়ে নিতেই পারে, এতে ওকে কেনইবা বকা দেয়া হবে? কার্টুন যে সময়টা সবচেয়ে বেশি মজা লাগতে থাকে, ঠিক তখনই মা বাবা মিলে যোগসাজসে আর দেখতে দেয় না! এসব কারণে তার জেদ মাথায় উঠে। সে যদি বুঝতো যা কিছুই করা হয় তা তার মঙ্গলের জন্যই, তাহলে সে কি কখনো জেদ করত! এবয়সে এ ধরণের জেদগুলো করাটাই তো স্বাভাবিক, তাই না? এই বয়সের শিশুরা যা বোঝাতে চায় বা বলতে চায় তা প্রকাশ করার সঠিক ভাষা ওর জানা থাকে না। বড়রা কি চায় তা-ও অনেক সময় বুঝা বেশ কষ্টসাধ্য ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়, আর সে তো নিতান্ত শিশু। কাঁচা মাটিতে গড়া রক্তমাংসের মানব, তাকে যেভাবে গড়া হয়, তেমনিভাবেই তো সে গড়ে উঠবে। এই জেদগুলো মূলত যে সব কারনে হয়ে থাকে সেগুলো হলো- ১) অনুভূতি প্রকাশের অযোগ্যতা ২) স্বাধীনভাবে ইচ্ছেমত কিছু করতে না পারা ৩) পরিস্থিতির উপর নিয়ন্ত্রণ না থাকা ৪) ক্ষুধা, একঘেয়েমি, ক্লান্তি, বিষণ্ণতা ও অতিরিক্ত উত্তেজনা এই সমস্যাগুলো কি আদৌ সমাধান করা সম্ভব? জ্বি, সম্ভব। কিভাবে!! পৃথিবীতে আপনার সবচেয়ে মূল্যবান যা, তা নিশ্চয়ই আপনার সন্তান। সে অনুযায়ী আমরা কতটুকু তাদেরকে সময় দেই! তাদের যতটুকু প্রাপ্য তা থেকেও হয়ত অনেকানেক কম। ঠিক আছে সময় না'হয় কাজের ব্যস্ততায় দিতে পারছি না। কিন্তু তাদের জন্য একটু আলাদা করে বেশী গুরুত্ব, বেশী যত্ন তো তুলে রাখতেই হবে। সাধারণত শূন্য থেকে চার বছরের বাচ্চারা অবুঝ হবে, এটাই স্বাভাবিক। ওরা যখন ভীষণরকম জেদ করে, তা হলো রাগ আর হতাশার বায়োলজিক্যাল রেসপন্স। তুমুল রকমে জেদ করা, জোরে একটানা চিৎকার করতে থাকা, উলটো হয়ে পড়ে যাওয়া, হাত পা ছুড়তে থাকা, দম আটকে কাশতে কাশতে বমি করে দেয়া - এগুলোকে টেম্পার ট্যান্ট্রাম (temper tantrum) বলা হয়। সাধারণত দুই থেকে চার বছর বয়সীদের মাঝে এটা বেশি দেখা যায়। সমবয়সীদের সাথে বন্ধুত্ব করতে না পারা, নিজের কিছু শেয়ার করতে না চাওয়া, স্কুলে যেতে বা চাওয়া, অন্য কারো সাথে সহজে মিশতে না পারা - এগুলোও এই বয়সী শিশুদের বৈশিষ্ট্য। পিতামাতা হিসেবে তাদের সাথে আপনি বা আমি তো অবুঝের মতো আচরণ করতে পারিনা, কোনভাবেই করা উচিত তো নয়ই। অভিভাবকেরা বাচ্চার চার বছর বয়সের মধ্যেই যদি তাদের মানসিকতা, মনের মধ্যে ক্রিয়াশীল বোধগুলো সম্পর্কে বোঝার চেষ্টা না করে, জানতে না পারে তবে চার থেকে আট বছর বয়স পর্যন্ত বাচ্চাদের গড়ে তোলার মূল সময়টাতে, গাইড করা - পথ দেখানোর সময়টাতে নিজের অজান্তেই বড়রকমে ভুল হয়ে যেতে পারে। আদৌতে যা তার পরবর্তী জীবনে মারাত্মক ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে। "নামটি দিলাম ধেংগি" বইটিতে শিশুদের বয়সভিত্তিক শ্রেণীবিভাগ করে ছড়া ও অভিভাবক হিসেবে করনীয় সম্পর্কে সামান্য ধারণা দেবার চেষ্টা করা হয়েছে। যদিও এ চেষ্টা পুরো মহাকাশের তুলনায় ছোট্ট একটি চড়ুই পাখি বটে। ছোট্ট পাখিটি তো আগে উড়তে শিখুক, তারপর না হয় দল বাঁধবে। আপনার কৌতূহল মেটাতে চাইলে আসছে অমর একুশে গ্রন্থমেলায় ছোটদের বইয়ের জগতের স্বনামধন্য প্রাকশনী 'আদিগন্ত' থেকে প্রকাশিত, প্রবাসী শিল্পী 'ধীমান রঞ্জন মন্ডল' এর প্রচ্ছদ, ও বাংলাদেশের বর্তমান সময়ের জনপ্রিয় চিত্রকর 'মইনুদ্দিন খালেদ' এর আকর্ষণীয় অঙ্গসজ্জায় সম্পূর্ণ রঙিন- তরুণ কবি ছড়াকার ও কথাসাহিত্যিক মেহেদী হাসান তামিম এর - "নামটি দিলেম ধেংগি - এক" প্রথম পর্ব ছোট সোনামনি থেকে দুরন্ত কৈশোরে উপনীত বন্ধুদের জন্য ক্রমান্বয়ে সাজানো সচিত্র ৩০ টি কবিতা। "নামটি দিলেম ধেংগি - দুই" দ্বিতীয় পর্ব - এতে থাকছে সন্তান লালন পালনে- পিতামাতা, অভিভাবক, পরিবার, স্কুল-কলেজ, শিক্ষক-শিক্ষিকা ও পরিবেশ এর ভূমিকা ও করণীয় সম্পর্কে বিভিন্ন প্রয়েজনীয় বিষয়ে সহজ আলোচনা।