User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
আমার খুব প্রিয় মানুষ প্রিয় লেখক।
Was this review helpful to you?
or
বই : বিয়ন্ড দ্য ম্যানমেইড ইউনিভার্স। লেখক : তাসরুজ্জামান বাবু। মূল্য : ২০০টাকা। পৃষ্ঠা : ১১০। প্রচ্ছদ : ধ্রুব এষ। ধরণ : কল্পবৈজ্ঞানিক থ্রিলার। প্রকাশনী : সময়। #লেখক_পরিচিতি জন্ম ৩১ জানুয়ারি, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায়। ৩৫তম বিসিএস এর একজন ক্যাডার। বর্তমানে বাংলাদেশ রেলওয়েতে সহকারী যন্ত্র প্রকৌশলী পদে কর্মরত আছেন। রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট) এ মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ থেকে স্নাতক । ইনস্টিটিউট অব মেরিন টেকনোলজি, বাগেরহাট এ প্রশিক্ষক হিসেবে যোগদানের মাধ্যমে কর্মজীবন শুরু করলেও অভিজ্ঞতাপ্রিয় লেখক পরবর্তিতে কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড, বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড এবং বাংলাদেশ সমরাস্ত্র কারখানায় সহকারী প্রকৌশলী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। লেখালেখির বহুমাত্রিক অঙ্গনে খেয়ালি লেখকের বিচরণ দীর্ঘদিনের। বাল্যকালেই তার সাহিত্যপ্রতিভার স্ফূরন। হাইস্কুলজীবন থেকেই তার গল্প, ছড়া-কবিতা, সায়েন্স ফিকশন, নিবন্ধ, কার্টুন ইত্যাদি দেশের প্রথম সারির জাতীয় দৈনিক ও মাসিক পত্রিকাগুলোতে ছাপতে শুরু করে। ছাত্রজীবনে লেখালেখির পাশাপাশি আঁকাআঁকি, অভিনয়, আবৃত্তি, বক্তৃতা, বিতর্ক ইত্যাদি বিষয়েও পারদর্শিতার স্বাক্ষর রেখেছেন প্রতিযোগিতায় পুরষ্কার প্রাপ্তির মাধ্যমে। #কাহিনী_সংক্ষেপ প্রতি বছর নতুন ব্যাচ এলে তাদের ফ্যাকাল্টি থেকে ট্যুরের আয়োজন করা হয়। উদ্দেশ্য : পরস্পরের মধ্যে আইস ব্রেকিং। সবাই যেন সব শিক্ষক-ছাত্রকে এক এক করে চিনে নিতে পারে এইজন্যেই এই আয়োজন। উন্নত দেশে এরকম করা হয়। তাদের অনুকরণে ফ্যাকাল্টি ডীন শাহনেওয়াজ কবির এখানে এই সংস্কৃতি চালু করেছেন। অঙ্কুর ও তার বন্ধুরাও আনন্দে হৈ হৈ করে উঠল। আলোচনার পর ডীন স্যার তাদের গন্তব্যস্থল নির্ধারণ করলেন মিস্টেরিল্যান্ড। অদ্ভুত রহস্যেঘেরা ছোট এক দ্বীপ। সেন্টমার্টিন থেকে পূর্বদিকে মাত্র আট কিলোমিটার দূরে অবস্থান। দ্বীপটা নিয়ে নানা ভয়ংকর, অবিশ্বাস্য ও আজগুবি কথাবার্তা প্রচলিত থাকলও বছরখানেকের মাথায় টুকটাক টুরিস্ট আসাযাওয়া বাড়তে থাকে। দ্বীপটির নাম মিস্টেরিল্যান্ড হলেও মাঝিদের থেকে জানা যায় স্থানীয়রা বলে "শয়তানের দ্বীপ"। যা শুনে ছাত্র-ছাত্রীদের মত শিক্ষকদের মাঝেও একটা ভয়ার্ত শিহরণ বয়ে যায়। কিন্তু দ্বীপের নয়ন জুড়ানো প্রাকৃতিক সৌন্দর্য সবাইকে সব ভুলিয়ে দিল। তাবু থেকে রাতের আঁধারে দস্যিপনায় মেতে উঠা ছয় তরুণ অঙ্কুর, শাহেদ, আবির, তমাল, বর্ণাঢ্য ও দীপক। ঘুরতে ঘুরতে ঘন ঝোপের আড়ালে হঠাৎ হেলিপ্যাডের মত গোল বৃত্তের মাঝখানে এসে দাঁড়াল ছয়জন। একসাথে ছয়জনে লাফদিয়ে নিজেদের অজান্তেই খুলে ফেলল এক অজানা দিপদের দরজা। অন্যদিকে এই দ্বীপ নিয়ে গবেষণা করতে এসে নিখোঁজ হয়েছেন ইলিয়ন বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই প্রফেসর। আর অপর দিকে একই সময়ে উধাও হয় বিজ্ঞানী জ্যাকব শ্যারন। যে কিনা করে ফেলেছে মহাবিশ্বের সবচেয়ে বিস্ময়কর আবিষ্কারটি! কী সেই আবিষ্কার? কেন এত লুকোচুরি? সবই কি কাকতালীয়? নাকি এ সব একটা ফাঁদ? ছয় বন্ধু কি ফিরে আসতে পারবে চিরচেনা মাটির পৃথিবীতে? পারবে কি পাগল বিজ্ঞানীর পাগলামো থামাতে? পারবে কি তারা আপন গৃহতুল্য অপারস্নেহের আধার এই পৃথীবিকে রক্ষা করতে? #পাঠপ্রতিক্রিয়া এত বড় লেখক পরিচিত দেয়ার কারণ হলো, লেখক নতুন। আমি এই বই পড়ার আগে লেখকের নামও শুনিনি। কিন্তু নতুন হিসেবে লেখক লেখায় যথেষ্ট যত্নবান। আমি সর্বভুক বইপোকা হলেও সায়েন্সফিকশনের দিকে ঝোঁকটা বেশ ভালোই। তাই গোগ্রাসে গিলেছি। প্লট ও গল্পের বিন্যাস ভালো। কিন্তু কিছু জায়গায় জ্ঞানের অত্যধিক কচকচানি ভালো লাগেনি। আর গল্পটা শুরু হয়েই যেনো হুট করে শেষ হয়ে গেছে। হয়ত লেখকের বড্ড তাড়া ছিল! এছাড়া সম্পূর্ণ ভিন্ন আঙ্গিকে রচিত এই কল্পকাহিনীর নামকরণ যথাযথভাবে সার্থক! বই হোক ভালোবাসার প্রতীক।
Was this review helpful to you?
or
অনেক অনেক দিন পর বাংলাদেশের লেখকের লেখা কোন বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিণী পড়লাম। অনেক অনেক দিন পর পড়ার কারণ হচ্ছে আমাদের দেশের বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিণীর সম্মানীত লেখকেরা কেন জানি একই বৃত্তে ঘুরপাক খেয়ে যাচ্ছিলেন। প্রায় একই ধরনের কাহিণী এবং উপস্থাপনা শুধুই বিরক্তির উদ্রেক করেনি এই ধরনের বই পড়া থেকে দূরেও রেখেছিল। রকমারিতে এই বইয়ের রিভিউ দেখে বেশ উৎসাহিত হয়ে অর্ডার করেছিলাম। গতকাল শেষ করলাম পড়া। ছোট্ট একটা চিন্তা বা গল্পই ডাল পালা মেলে রূপান্তরিত হয় উপন্যাসে। এই বইয়ে সেই ছোট্ট চিন্তা বা গল্পটা ভালো হলেও ডালপালাগুলো ঘুনে ধরা হওয়ার কারণে পুরো কাঠামোটায় ভেঙে পড়েছে প্রত্যাশার চাপে। নবীন এই লেখককে সাধুবাদ জানাতে হয় একটি জায়গাতে; সেটা হলো সহজভাবে বিজ্ঞানের কিছু বিষয় উপস্থাপনার জন্য। লেখকের কাছে আশা থাকলো ভবিষ্যতে এমন বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিণী তার কাছ থেকে পাবো যা পড়ে মনে হবে সত্যিই বাঙালীরা দক্ষ বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিণী লেখক। শুভকামনা থাকলো লেখকের প্রতি।
Was this review helpful to you?
or
বইঃ বিয়ন্ড দ্য ম্যানমেইড ইউনিভার্স লেখকঃ তাসরুজ্জামান বাবু ধরণঃ সায়েন্স ফিকশন পৃষ্ঠাঃ ১১২ মূল্যঃ ১৭৬টাকা প্রকাশনঃ সময় প্রকাশন কাহিনী সংক্ষেপঃ বিজ্ঞানী জ্যাকব শ্যারন হঠাৎ করে এক বিস্ময়কর আবিষ্কার করেন। তিন বছর আগে মহাকাশে ছুড়ে দেওয়া তার দ্রুততম স্পেসশিপ হেলেন-৮ খুঁজে বের করে অন্য আরেকটি মহাবিশ্ব। সে মহাবিশ্বে থিয়ান নামের একটি গ্রহে খুঁজে পায় প্রাণের অস্তিত্ব। এত কম সময়ে একটি মহাবিশ্ব পাড়ি দিয়ে আরেকটি মহাবিশ্ব আবিষ্কার সত্যিই এক বিস্ময়কর ঘটনা। এই খবর জানাজানি হলে বিশ্ববাসীর কাছে রাতারাতি তিনি সেরা বিজ্ঞানী হিসেবে পরিচিতি লাভ করবেন। কিন্তু এই খবর অন্যকেউ জানার আগেই শ্যারন ও তার সহকারী থমাস জিগজ্যাগ নিখোঁজ হয়ে যান! এদিকে বাংলাদেশের সেন্টমার্টিনে রাতারাতি গাছপালা সমৃদ্ধ একটি দ্বীপ জেগে উঠে। এ নিয়ে সকলের মধ্যে নানান জল্পনাকল্পনা। কেউ এ দ্বীপ নিয়ে একমতে আসতে পারে না। এর নাম রাখা হয় মিস্টারিল্যান্ড(শয়তানের দ্বীপ)! দ্বীপটি নিয়ে গবেষণা করতে এসেছিলেন আমেরিকার দুজন প্রবাসী বাঙালি প্রফেসর। কিন্তু দ্বীপে যাওয়ার পর তারা যেন হাওয়ায় মিলিয়ে যায়। দ্বীপটিকে ঘিরে সবার মনে একটা চাপা ভয় ও আতঙ্কের সৃষ্টি। তবে কয়েকবছর কেটে যাওয়ার পর সবাই বিষয়টি ভুলে যায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান ফ্যাকাল্টি থেকে ট্যুরের আয়োজন করা হলে সবাই মিস্টারিল্যান্ড যাওয়ার ইচ্ছা পোষণ করে। দলটি সেই দ্বীপে পৌঁছালে রাতের বেলা অদ্ভুত সব ঘটনা ঘটতে থাকে। দিনে আলাদা আলাদা দল করে দ্বীপটি ঘুরতে বের হলে ছয়জনের একটি দল হঠাৎ হারিয়ে যায়। সবাই পুরো দ্বীপ তন্নতন্ন করেও তাদের খুঁজে পায় না। এভাবে একে একে সবাই নিখোঁজ হওয়ার কারণ কি? কি ঘটছে দ্বীপটিতে? যারা নিখোঁজ হচ্ছে তাদের পরিণতি কি হয়েছে? বিজ্ঞানী জ্যাকব শ্যারন ও তার সহকারীর নিখোঁজ হয়ে এবং মিস্টেরিল্যান্ডে নিখোঁজ ঘটনার সাথে কি কোন সম্পর্ক আছে? সবগুলোই কি একইসূত্রে গাঁথা? নাকি কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা মাত্র? পাঠ-পর্যালোচনাঃ আমি সায়েন্স ফিকশন ঘরনার বই খুব একটা পড়িনি। তাছাড়া বিজ্ঞানের ছাত্রী নয় বলে বিজ্ঞানের জটিল বিষয়গুলোও আমার মাথায় ঢুকে না। বিয়ন্ড দ্য ম্যানমেইড ইউনিভার্স বইটি একটি সায়েন্স ফিকশন ঘরানার বই। তবে এখানে বিজ্ঞানের বিভিন্ন টার্মগুলো লেখক অত্যন্ত সহজ ও হাস্যরসের মাধ্যমে তুলে ধরেছেন। কেউ যদি বিজ্ঞানের কিছু নাও জানে তবুও তার এই বইটি পড়তে কোন অসুবিধা হবে না। বইটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ ধরে রাখতে পারে। ছোটখাটো বলে এক বসাতেই শেষ হয়ে যায়। বই পড়তে পড়তে আপনার খালি জানতে ইচ্ছা করবে পরে কি হতে চলেছে বা কি হতে পারে। পৃষ্ঠায় পৃষ্ঠায় লেখক সাসপেন্স জিইয়ে রেখেছেন। নতুন লেখক হিসেবে এমন চমৎকার সার্থক একটি সায়েন্স ফিকশন লেখার জন্য লেখক সত্যিই প্রশংসার দাবীদার। মোটা মোটা গল্প উপন্যাস পড়তে আমার বেশ লাগে, তবে কেউ যদি অযথা অপ্রাসঙ্গিক বিষয় টেনে গল্পটি বড় করতে চায়, তবে সে ক্ষেত্রে সব পাঠকই বোধকরি বিরক্ত হন। এই বইয়ের আরেকটা ভালো দিক হচ্ছে লেখক অযথা কোন প্রসঙ্গ টেনে এনে গল্প বড় করেননি। যেখানে যতটুকু প্রয়োজন ততটুকুই দিয়েছেন। টাইপিং এ কোন বানান চোখে পড়ে নি। কিংবা কে জানে পড়ার নেশায় ছিলাম বলে হয়ত খেয়াল করিনি। আরেকটা বিষয় হচ্ছে, বইটা সায়েন্স ফিকশন, ভৌতিক নয়। তবুও গভীর রাতে যদি কেউ পড়া শুরু করেন তাহলে খানিকটা হলেও ভয় পেতে পারেন(অন্তত আমি পেয়েছি)। হয়ত আমি খুবই ভীতু। তবুও বলব এতে শিউরিত হওয়ার বিষয়ও ছিলো। লেখক সেই দ্বীপে রাতের বেলা একটা দানব পাখির কর্মকাণ্ডের এত নিখুঁত ভাবে বর্ণনা দিয়েছেন যে রাত আড়াইটার সময় পড়তে গিয়ে আমি সত্যিই ভয় পেয়েছি। বইটা কল্পবিজ্ঞান হলেও লেখক সবকিছু যুক্তি দিয়ে বুঝেছেন, কারণ ব্যাখ্যা করেছেন। এটা ভালো লেগেছে। প্রচ্ছদটাও বেশ অর্থপূর্ণ। কাহিনীর ছাপ রয়েছে প্রচ্ছদে। খারাপ দিক বলতে একটা জায়গাতেই শুধু খটকা লেগেছে, সেটা হলো লেখক যে উইলফোর্স প্রয়োগের কথা উল্লেখ করেছেন এই বিষয়টা আদৌ হয় কিনা আমার জানা নেই। তবে না হলেও যেহেতু এটি বিজ্ঞান কল্পকাহিনী সেহেতু এটা মেনে নেওয়া যায়। বিজ্ঞান কল্পকাহিনী তে বিজ্ঞান থাকতেই হবে এমন কোন কথা নেই, বরং একটুখানি বিজ্ঞান ও অনেকখানি কল্পনা মিশিয়ে তবে বিজ্ঞান কল্পকাহিনী হয়। শেষের দিকে লেখক বোধহয় একটু তাড়াহুড়ো করে ফেলেছেন। সমাপ্তি টা খুবই ভালো ছিল, তবে আরো ভালো আশা করি। ভবিষ্যৎ এ লেখক আরো অনেক ভালো ভালো সায়েন্স ফিকশন আমাদের উপহার দিবেন। এটাই আশা করি।
Was this review helpful to you?
or
বর্তমানে বাংলাদেশে প্রচলিত ধরণের সায়েন্স ফিকশনের বৃত্তের বাইরে বেরিয়ে এসে ভিন্ন কিছু ভাবার উদাহরণ হলো এই বইটি। বইটির তরুণ লেখক বিজ্ঞানের সাথে কল্পনাকে এমনভাবে মিশিয়েছেন যার কারণে বইটি একটি পুরোপুরি সুখপাঠ্য বইয়ে পরিণত হয়েছে! না আপনার বিরক্তিকর লাগবে বিজ্ঞানটাকে, আর না কাহিনীটাকে! বইটির কাহিনী য়্যূনিভার্সিটি পড়ুয়া কিছু ছেলে ঘিরে। য়্যূনিভার্সিটি থেকে ফিজিক্স ডিপার্টমেন্টের ছেলেমেয়েরা বেড়াতে যায় মিস্টেরিল্যান্ড নামক এক অদ্ভুত দ্বীপে। কয়েকবছর আগে যে দ্বীপ রাতারাতি জন্মে যায়। স্থানীয় লোকজন দ্বীপটিকে ডাকে 'শয়তানের দ্বীপ' নামে। সেই দ্বীপে গিয়েই ঘটে বিপত্তি। তারা প্রথমরাতেই ভয়াবহ এক অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়। তবে আসল বিপদ ঘটে দ্বিতীয়দিন। তারা এমন এক জায়গায় পৌঁছে যায় যেখানে তাদের জীবনের ওপরই ঝুঁকি নেমে আসে! তবে সেখানেই শেষ নয়, তারা ধীরে ধীরে জানতে পারে এক বিস্ফোরক তথ্য! শুধু তারা নয় বরং পৃথিবী এবং আমাদের পুরো মহাবিশ্বই আছে এক বিশাল বিপদে! কী সেই বিপদ? সামান্য মানুষ হয়ে তারা কি পুরো মহাবিশ্বকে এতবড় বিপদ থেকে উদ্ধার করতে পারবে? জানতে হলে বইটি পড়তে হবে। বইটির মধ্যে কিছু বৈজ্ঞানিক টার্ম সহজভাবে দেয়া আছে যা সবাই বুঝবে। এছাড়া এর কাহিনী এতটাই আকর্ষণীয় যে একবার শুরু করলে শেষ না করে উপায় নেই। গল্প বলার ধরণ খুবই সাবলীল। তবে চরিত্রের কথোপকথন আরও শক্তিশালী হতে পারতো। তরুণ এবং নতুন লেখক হিসেবে বইটি চমৎকার! যেকোন পাঠকের চাহিদা পূরণ করতে সক্ষম হবে বইটি। অ্যাডভেঞ্চার, সায়েন্স ফিকশন আর থ্রিলারের স্বাদ একসঙ্গে পেতে চাইলে বইটি আপনাকে পড়তেই হবে!
Was this review helpful to you?
or
উইলফোর্স! যে উইলফোর্স দিয়ে একটি আস্ত মহাবিশ্বকে বাঁচানো যায় তা দিয়ে কি শত্রুকে বন্ধু বানানো যায় না? _যায়। এবং সব কিছুই করা যায়। (একটি ভিন্ন ধর্মী উচ্ছাস ছড়িয়ে আছে পুরো বই জুড়ে। অসাধারণ এক নৈপূন্য। পুরো ভিন্ন আঙ্গিকের প্রমাণ পাওয়া যাবে বইটিতে, পুরোটা পরে অভিভূত হতে বাধ্য। গ্যারান্টি অসাধারণ একটি বই। অসাধারণ।)
Was this review helpful to you?
or
পাঠ প্রতিক্রিয়া : ইচ্ছাশক্তি দ্বারা যে মানুষ অসাধ্য কে সাধন করতে পারে , এই গল্পটা পড়ে সেটার আরো একবার প্রমাণ পেলাম। গল্পের কাহিনীটা অনেক ভালো লেগেছে। অ্যাডবেঞ্চার, থ্রিল, বিজ্ঞান, হরর সবকিছুর স্বাদ ই পাবেন এই বই টিতে। প্রত্যেকটা পেজ শেষ করার পরই মনে একটা টান টান উত্তেজনা কাজ করেছে যে কি ঘটতে চলেছে এরপরে........!!!! শব্দ ব্যবহারে প্রাঞ্জলতা রয়েছে, সহজ সাবলীল ভাষায় লেখক কাহিনীটাকে তুলে ধরেছেন... ! আশা করি, আপনার সময়ও ভাল কাটবে এই বইটার সাথে।
Was this review helpful to you?
or
পাঠ পতিক্রিয়া: সবচেয়ে অভিনব ব্যাপারটি হলো গল্পের প্লট । প্রথাগত সায়েন্স ফিকশনের মতো নিছক গল্পের সাথে মিশ্রিত একচিমটি ‘অপবিজ্ঞান’ নয় । কিছুটা গল্প, কিছুটা বিশুদ্ধ বিজ্ঞান, আর বাকিটা লেখকের অবিশ্বাস্য কল্পনাশক্তি । এমন হাইপোথিসিসধর্মী সায়েন্স ফিকশন বাংলা ভাষায় এই প্রথম পড়ার অভিজ্ঞতা হলো। বর্তমানে সায়েন্স ফিকশনের একটা গৎবাঁধা ধারা দাঁড়িয়ে গেছে, সেই ধারার মধ্যে একই ধরনের বিষয়বস্তুর চর্বিতচর্বণে সায়েন্স ফিকশন লেখা হচ্ছে। একটা নির্দিষ্ট বয়সের পর এগুলো হাস্যকর ও ছেলেভুলানো মনে হয়। সেই ভিত্তিতে বিবেচনা করলে লেখকের এই বইটি পড়ে রীতিমতো চমকে উঠতে হয়। এককথায় নবীন-প্রবীণ সকলেরই উপযোগী একটি বই । বইটির বর্ণনাভঙ্গিতেও অসাধারণত্বের ছাপ । টুকরো টুকরো বাক্য, যেন দাঁড়িপাল্লায় ওজন করা । একই তালে বয়ে গেছে পুরো কাহিনী জুড়ে । সরল-সিধে ভাষার বর্ণনায় একধরনের মুগ্ধতা ঘিরে আছে। যে কোনো বইয়ে পাঠকের প্রথম বিবেচনা থাকে, লেখকের লেখনশৈলী পাঠককে এক পৃষ্ঠা থেকে অন্য পৃষ্ঠায় টেনে নেয় কিনা। এক্ষেত্রে প্রতি পৃষ্ঠাতেই একটি কথাই বারবার মনে হয়েছে, কী হবে এবার? বাংলা সাহিত্যে সায়েন্স ফিকশন নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট তেমন হয় না। লেখক এই জনরাটির নাম দিয়েছেন কল্পবৈজ্ঞানিক থ্রিলার। অর্থাৎ সায়েন্স ফিকশনের সাথে থ্রিল মিশ্রণ করে লেখক নতুন একটা এক্সপেরিমেন্ট চালাতে চেয়েছেন। এক্ষেত্রে তাঁকে অনেকাংশেই সফল বলা যায় । যদিও সায়েন্স ফিকশন আর থ্রিলের অনুপাতটা সমান ছিল না। তবু একক রচনার মধ্যে কল্পবিজ্ঞান, থ্রিলার, অ্যাডভেঞ্চার, সাসপেন্স, হরর ইত্যাদির সমন্বিত স্বাদ প্রদানের চেষ্টাকে স্বাগত জানাতেই হয় । সবশেষে লেখক এক চিমটি ‘ম্যাজিক রিয়েলিজম’ মিশিয়ে এটিকে একটি আধুনিক সাহিত্যকর্মের আদল দিতে প্রয়াস পেয়েছেন। কাহিনীর শেষে লেখক যে বার্তা পোঁছে দিতে চেয়েছেন তাও খুব আবেদনময়ী । বিজ্ঞানের অতি দুরুহ কিছু বিষয়কে লেখক এত সহজবোধ্য করে উপস্থাপন করেছেন যা বোঝার জন্য বিজ্ঞানের ছাত্র হওয়ার প্রয়োজন নেই । সার্বিক বিবেচনায় বলব, বাংলাদেশের কল্পবিজ্ঞান সাহিত্যে আরো একজন প্রতিশ্রুতিশীল লেখকের আগমনধ্বনি শোনা যায় ।
Was this review helpful to you?
or
বই : বিয়ন্ড দ্য ম্যানমেইড ইউনিভার্স লেখক : তাসরুজ্জামান বাবু ঘরানা : কল্পবৈজ্ঞানিক থ্রিলার প্রকাশনী : সময় প্রকাশন মুদ্রিত মূল্য : ২০০ টাকা প্রথম প্রকাশ : বইমেলা ২০১৮ পৃষ্ঠা সংখ্যা : ১১২ আজকে শেষ করলাম। এককথায় বলি, ‘জাস্ট এমাজিং!!’ বইটার কনসেপ্টটা খুবই নিউ...আমাদের এই ইউনিভার্সের বাইরে যে আরেকটা ইউনিভার্স থাকতে পারে তা ভাবিইনি। ফুল নিউ কনসেপ্ট...সাইফাই+থ্রিলার+লাইট হরর (আমি ফার্স্ট এর দিকে ভয় পেয়েছি)...স্টার্টিংটা বেশ হাসিরও ছিল...সব মিলিয়ে দারুণ কম্বিনেশন...উপস্থাপন ফার্স্ট ক্লাস। উইলফোর্সের বিষয়টা খুব ভালো লেগেছে...এর মাধ্যমে অনেক কিছু শেখার আছে । আমার রেটিং-৯/১০
Was this review helpful to you?
or
কল্পকাহিনী রচিত হয় মানুষের কল্পনাশক্তির উপর নির্ভর করে। অর্থাৎ মানুষের কল্পনাশক্তির বহিঃপ্রকাশ হচ্ছে কল্পকাহিনী। যখন সে কল্পিত কাহিনীর সাথে যুক্ত হয় যুক্তিনির্ভর বিজ্ঞান, তখন তা আর কোনো সাধারণ, তথাকথিত কল্পকাহিনী থাকে না। তখন তার নাম হয়ে যায় সায়েন্স ফিকশন বা বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী । তখন সেটা আর মোটেও রূপকথার গল্পের মত অবিশ্বাস্য থাকে না। বাস্তবে এর কোনো প্রয়োগ না দেখা গেলেও তাতে থাকে বৈজ্ঞানিক যুক্তির শাণিত ধার। এমনই এক বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী নির্ভর বই নিয়ে পাঠক সমাজের মাঝে হাজির হয়েছেন তরুণ লেখক তাসরুজ্জামান বাবু। তিনি তার সৃষ্টিকর্মের নাম দিয়েছেন ‘বিয়ন্ড দ্য ম্যানমেইড ইউনিভার্স’ । ইংরেজি ভাষায় প্রদত্ত এ নামের বাংলা তর্জমা করলে দাঁড়ায়, ‘মানবসৃষ্ট মহাবিশ্বের অন্তরালে’। নাম শুনে বইয়ের বিষয়বস্তু সম্পর্কে কিঞ্চিৎ ধারণা লাভ করা যায় বৈকি! প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, বইয়ের নাম ইংরেজি ভাষায় প্রদত্ত হলেও এটি বাংলা ভাষায় রচিত একটি মৌলিক সাহিত্যকর্ম । কোনো অনুবাদকর্ম বা অন্য কোনো সাহিত্যকর্মে অনুপ্রাণিত হয়ে রচিত সাহিত্যকর্ম নয়। মহাবিশ্বের বাইরে থাকা আরেক মহাবিশ্বের গল্প...। বইয়ের আলোচ্য বিষয়বস্তু সম্পর্কে তো এতক্ষণ তো অনেক বকবকানি হলো। এবার আসা যাক, বইয়ের ভাষাশৈলী ও গুণগত মান সম্পর্কে। যে কোনো বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী নির্ভর বইয়ের একটি অন্যতম প্রধান গুণ বা বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, বইটিতে ঘটনার প্রবাহ এমনভাবে বর্ণিত থাকে যে তাতে পাঠকের জানবার আগ্রহ ক্রমান্বয়েই বাড়তে থাকে। তৃষিত পথিক যেমন একফোঁটা জলের আশায় মরুর পথে পথে ছুটে বেড়ায়, ঠিক তেমনি একজন প্রকৃত পাঠক ঘটনাচক্রের পরবর্তী অংশে কী ঘটতে চলেছে, তা জানবার জন্য ছটফট করতে থাকে। পুরো ঘটনার যবনিকাপাত না ঘটা পর্যন্ত যেন তার শান্তি নেই। এ কাজের পেছনে মূল অবদান থাকে একজন লেখকের। কেননা, লেখকের ভাষাশৈলী এ জ্ঞানতৃষা বহুগুণে বাড়িয়ে তুলতে সদা-সর্বদা এক অনন্য ভূমিকা পালন করে থাকে। পাশাপাশি থাকে লেখকের নিজস্ব বৈজ্ঞানিক জ্ঞান প্রয়োগের মিশেল, যা তাঁর সৃষ্টিকর্মকে পাঠক সমাজে অধিকতর গ্রহণযোগ্য করে তোলে। এসব দিকে বিবেচনায় আলোচ্য বইটি কোনোদিক দিয়ে কোনো অংশে পিছিয়ে নেই। সহজ ভাষায় বিজ্ঞানের বর্ণনার পাশাপাশি সাবলীল ভাষায় সার্বিক উপস্থাপনা বইটিকে আলাদা উচ্চতায় নিয়ে গেছে। এছাড়া বইয়ের ভাষাশৈলী এমন সহজবোধ্য (বিশেষত বিজ্ঞানের বিভিন্ন বিষয়ের বর্ণনার ক্ষেত্রে) যে, স্থান-কাল-পাত্র নির্বিশেষে যেকোনো বয়সী বাংলাভাষী পাঠকের পক্ষে তার মর্মার্থ বুঝতে বিশেষ কোনো বেগ পেতে হবে না। সর্বোপরি, বইটি সকল ধরনের পাঠক ও সাহিত্যবোদ্ধাদের নিকট গ্রহণযোগ্যতা লাভ করতে সমর্থ হবে বলে আমার বিশ্বাস। সবশেষে, নবীন এ লেখকের জন্য রইলো অশেষ শুভ কামনা !
Was this review helpful to you?
or
গল্পটি অঙ্কুর, একজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞানের ছাত্রকে নিয়ে। তাদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তাদেরকে এক ট্যুরে নিয়ে যাওয়া হয় ‘মিস্টেরিল্যান্ডে’। ‘মিস্টেরিল্যান্ড’, রহস্যঘেরা ছোটখাট এক দ্বীপ। দ্বীপটিকে নিয়ে আছে নানা রকমের কথা। অনেকে দ্বীপটিকে বলে থাকে 'শয়তানের দ্বীপ'। অঙ্কুর ও তার পাচঁ বন্ধু খেয়াল করে দেখল দ্বীপটির সব কিছু কেমন জানি অদ্ভূত। ছয় বন্ধু শুরু করে দিল তাদের অভিযান। বের করতে থাকল নানা রকম রহস্য। সাক্ষী হল এমন এক জিনিসের, যার জন্য তারা প্রস্তুত ছিল না। অঙ্কুর ও তার বন্ধুদের অভিযানের সব কথা জানতে বইটি পড়তে হবে। গল্পটি অনেক শিক্ষামূলক । আমাদের ইচ্ছা থাকলে যে আমরা সব করতে পারব এ বিষয়টি খুব সুন্দর করে উল্লেখ করেছেন লেখক। কিশোর-তরুণ থেকে শুরু করে বড়রাও বইটি দারুন উপভোগ করবে ।
Was this review helpful to you?
or
আমার বইটি পড়ে খুবই ভাল লেগেছে । সাধারণত অন্যান্য কল্পবৈজ্ঞানিক থ্রিলারগুলো এতটা তথ্যবহুল হয় না, যতটা তথ্যবহুল এই বইটি! যদি কেউ নিছক কল্পবিজ্ঞান না পড়তে চায় এবং পদার্থ বিজ্ঞানের কিছু থিওরি সম্পর্কে ধারণা পেতে চায় তবে আমি তাকে এই বইটি পড়তে বলব। কেননা বইটিতে রয়েছে Astro-Physic & Quantum-Physics এর বেশ কিছু থিওরি ! যা আপনাকে বিজ্ঞান সম্পর্কে ভাবাবে এবং আগ্রহ বাড়াবে । লেখকের সাবলীল এবং সরল লেখনিভঙ্গির কারণে বিজ্ঞানের কঠিন কিছু বিষয় অতি সহজে বুঝতে পারবেন এই বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনীর মাধ্যমে । এছাড়া লেখক বৈজ্ঞানিক কিছু থিওরির বাইরে নিজে একটি হাইপোথিসিস দাঁড় করান । যার মাধ্যমে তার লেখা ফিকশনটির মূল ভিত্তি গড়েছেন। হাইপোথিসিসটি তার লেখায় একটি অন্য মাত্রা এনে দেয় ।
Was this review helpful to you?
or
বই : বিয়ন্ড দ্য ম্যানমেইড ইউনিভার্স লেখক : তাসরুজ্জামান বাবু ঘরানা : কল্পবৈজ্ঞানিক থ্রিলার প্রকাশনী : সময় প্রকাশন প্রথম প্রকাশ : বইমেলা ২০১৮ পৃষ্ঠা সংখ্যা : ১১২ তিন বছর আগে জ্যাকব শ্যারন এর ছুঁড়ে দেওয়া দ্রুততম স্পেসশিপ হেলেন-৮ মহাবিশ্বে খুঁজে পেয়েছে প্রাণের অস্তিত্ব। কিন্তু সে খবর অন্য কেউ জানার আগেই আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম তোলপাড় করা খবর- 'নিখোঁজ হয়েছেন ইসরাইলের স্পেস রিসার্চ ইন্সটিটিউট এর ডিরেক্টর জ্যাকব শ্যারন ও তার সহকারী থমাস জিগজ্যাগ।' তবে সেই নিখোঁজ সংবাদকে শেষ পাতায় পাঠিয়ে জাতীয় দৈনিকগুলোর সেদিনের প্রধান শিরোনাম- 'সেন্টমার্টিন দ্বীপের পাশে রহস্যময় দ্বীপের উত্থান!' হঠাৎ এক সকালে সেন্টমার্টিন এর বাসিন্দারা দেখল তাদের দ্বীপের পাশে নতুন এক দ্বীপ জেগে উঠেছে। তবে অবাক করা বিষয় হলো রাতারাতি জেগে ওঠা এই দ্বীপ পুরোটাই বিশাল বিশাল গাছগাছালিতে পূর্ণ। যেন কেউ একদম তৈরি করে বসিয়ে দিয়েছে। রহস্যময় এই দ্বীপের নাম দেওয়া হয় 'মিস্টেরিল্যান্ড'। দিনে দিনে এই দ্বীপ নিয়ে গড়ে উঠে অবিশ্বাস্য কথাবার্তা। সেসব গুজব যাচাইয়ে আসেন দুই প্রবাসী বাঙালি গবেষক। কিন্তু দু'দিন পর দ্বীপ নিয়ে রহস্য আরো বাড়িয়ে নিখোঁজ হন তাঁরা। এসব অবিশ্বাস্য ঘটনার কথা শুনে অ্যাডভেঞ্চারের লোভে দ্বীপে পিকনিক করতে আসে ঢাবি'র ফিজিক্স ডিপার্টমেন্টের শিক্ষার্থীরা। কিন্তু পরদিনই গায়েব অঙ্কুর সহ ছয় ছাত্র!...কিন্তু এ কী, এ কোথায় এলো তারা ! অঙ্কুরের বিশ্লেষণী ক্ষমতা বলছে 'ভয়ংকর বিপদ!' জানতে হবে কিছু প্রশ্নের উত্তর- ড. শ্যারন গায়েব হলেন কেন? মিস্টেরিল্যান্ডের সাথে তার গায়েব হওয়ার সম্পর্ক কি? এর সাথে পৃথিবীর ভবিষ্যৎই বা নির্ভর করছে কীভাবে? এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে বেরিয়ে পড়লো এমন এক সত্য, যা সন্দেহ ছুঁড়ে দিল একক মহাবিশ্বের অস্তিত্বের প্রতি... ব্যক্তিগত মতামত : একটি বইয়ের শুরু থেকে মূল ঘটনায় প্রবেশ পর্যন্ত পাঠকের মনোযোগ ধরে রাখা খুব কঠিন কাজ । এক্ষেত্রে লেখক কাজটি ভালভাবেই করেছেন । সোজা কথায়- এক বসায় পড়ে উঠার মতো বই । প্লট নির্বাচনে নতুনত্ব দেখিয়েছেন। সায়েন্স ফিকশনের ধারা অনুযায়ী স্পেসশিপ আছে, এলিয়েন আছে, সায়েন্সের কচকচানিও আছে । তবে এগুলোর উপস্থাপনভঙ্গি ও নতুনত্ব বিরক্ত করেনি বরং আগ্রহ বাড়িয়েছে । এটি লেখকের দ্বিতীয় সায়েন্স ফিকশন। তার লেখা প্রথম সায়েন্স ফিকশন 'তৃতীয় অনুভূতি' গত বছরের অন্যতম রকমারি সায়েন্স ফিকশন বেস্টসেলার । এবারের বইয়ের জন্যেও শুভকামনা রইল।