User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ একটি বই। এমন বই আরো বের করা দরকার।
Was this review helpful to you?
or
অনেক ভালো একটা বই।
Was this review helpful to you?
or
আমার জীবনে পড়া অন্যতম শ্রেষ্ঠ বই। হাজারো বই পড়েছি। কিন্তু এই বইয়ের মতো বই পড়িনি। কোন চিন্তা ছাড়া কিনে ফেলুন।
Was this review helpful to you?
or
বই টি অনেক ইনফরমেটিভ। ইসলাম নিয়ে চিন্তা করার সুযোগ করে দিবে
Was this review helpful to you?
or
masallha oneki sondor boi
Was this review helpful to you?
or
One of the best book!
Was this review helpful to you?
or
Alhamdulliah
Was this review helpful to you?
or
রকমারি কে অনেক ধন্যবাদ। পছন্দের বই গুলো আমার হাতে দ্রুত পৌঁছানোর জন্য।
Was this review helpful to you?
or
Standard মানের বই এটি
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ
Was this review helpful to you?
or
Marvelous
Was this review helpful to you?
or
আলহামদুলিল্লাহ। অনেক কিছু জানতে পারলাম,অনেক ভালো একটা বই।আলহামদুলিল্লাহ ?
Was this review helpful to you?
or
খুবেই ভালো
Was this review helpful to you?
or
খুবই ভালো একটা বই
Was this review helpful to you?
or
Good book
Was this review helpful to you?
or
সত্যিকারের মাস্টারপিস। ❤️
Was this review helpful to you?
or
❤️❤️❤️
Was this review helpful to you?
or
Thanks
Was this review helpful to you?
or
সেই লেভেলের এতো রিসার্চ কিভাবে করলেন?
Was this review helpful to you?
or
Excellent books.
Was this review helpful to you?
or
very informative and very nice book
Was this review helpful to you?
or
সেরা একটি বই।?? সবাইকে পড়ার জন্য অনুরোধ রইল।
Was this review helpful to you?
or
বর্তমান বিশ্বে বিজ্ঞানের উপর মানুষের অগাধ বিশ্বাস। জাফর ইকবাল সাহেব বলেছেন, বিজ্ঞানের উপর আমাদের আস্থা নাকি ঈশ্বরের চেয়েও বেশি। সবার ক্ষেত্রে কথাটা সত্য না হলেও আমাদের প্রজন্মের নামস্বর্বস্ব মুসলিম যুবসমাজের একটা বড় অংশের জন্য কথাটা সত্যি। বিজ্ঞানের উপর এই অগাধ বিশ্বাসের কারণে বিজ্ঞানীরা যখন যা বলে আমরা তাই চোখ বুজে মেনে নেই। এমনকি দেশের পাতি নাস্তিকরা যখন মুখ বেঁকিয়ে বলে, 'কোরআন অবৈজ্ঞানিক। মোমেনরা বিজ্ঞান বুগে না। হি হি।' তখন আমাদের যুবসমাজ এই কথা শুনেই ইসলাম সম্পর্কে সন্দেহ করতে শুরু করে। দুঃখজনক, তবে নিরেট সত্য। এই যুবসমাজের জন্য কষ্টিপাথর বইটি একটি আশীর্বাদস্বরূপ। লেখক শক্তি ভাই তাঁর শক্তিমান লেখনি দিয়ে তুলে ধরেছেন, বিজ্ঞান যা আজ আবিষ্কার করছে মুসলিমরা তা ১৪০০ বছর ধরে সুন্নাহ হিসেবে পালন করে আসছে। বিজ্ঞানবাদীদেরকে বলে দিয়েছেন, তোমরা বিজ্ঞান পালন কর দুনিয়ালাভের জন্য। আমরা মহাবিজ্ঞানীর দেওয়া প্রেসক্রিপশন তাঁর প্রেরিত পুরুষের শেখানো পদ্ধতিতে এতকাল ভক্তিভরে পালন করে এসেছি। তবে দুনিয়ালাভের জন্য নয়, আখিরাতের জন্য। তোমরা তো এগুলার বদলা শুধু দুনিয়াতেই পাবে, আমরা এর বদলা পাব আমাদের মহান রবের কাছে, আখিরাতে। সাথে দুনিয়াবি ফায়দাটুকু তো আছেই। তো বল, কে ব্যাকডেটেড আর কে আপডেটেড? লেখক একেকটা চ্যাপ্টারে একেকটা সুন্নাহ তুলে ধরেছেন, আর দেখিয়ে দিয়েছেন কিভাবে সেগুলো শতভাগ বিজ্ঞানসম্মত। ডান দিয়ে খাওয়ারও যে দুনিয়াবি ফজিলত থাকতে পারে তা আমার কল্পনাতেও ছিল না। পড়তে গিয়ে বারবার চোখ ভিজে যাচ্ছিল, মুখ থেকে অজান্তেই বেরিয়ে আসছিল, সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। হায়! আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা আমাদেরকে কত মহামুল্যবান বস্তু ধরিয়ে দিয়েছেন, আর সেগুলোর প্রতি আমরা 'সুন্নত? তাহলে না মানলেও চলবে' বলে নাক সিঁটকিয়ে এসেছি। লেখক তার প্রতিটা দাবির পক্ষে রেফারেন্স দিয়েছেন। অধিকাংশই পশ্চিমের সাদা চামড়ার বিজ্ঞানীদের রেফারেন্স, কারণ আমাদের পশ্চিমের ধবলধোলাইকৃত মগজে নিজেদের পশ্চিমা প্রভুদের বাণী ছাড়া অন্য কারো কথাকে বিজ্ঞান মনে হয় না। বইয়ের শেষের দিকে একগাদা কুরআনের আয়াতের বিজ্ঞানসম্মততা প্রমাণ করা হয়েছে। এতগুলো আয়াতের উদাহরণ দিয়ে কুরআনের সত্যতা প্রমাণের পরও লেখক ক্ষান্ত হননি। বলে দিয়েছেন, এগুলোই সব নয়। পিকচার আভি বাকি হে মেরে দোস্ত! বাকিগুলা ইনশাআল্লাহ নতুন কোনো বইয়ে আসবে। বইটা সবার জন্য সাজেস্টেড। মুমিন, সন্দেহবাদী, নাস্তিক - সবার জন্যই বইটা চিন্তার জগতে বড় একটা ধাক্কা। মুমিন হলে বইটা পড়ে সুন্নাহর মাহাত্ম্য বুঝবেন, সুন্নাহর প্রতি ভালোবাসা বাড়বে। সন্দেহবাদী হলে বইটা পড়ে বুঝবেন, ইসলামই আসলে বিজ্ঞানসম্মত। লেজকাটা শেয়ালগুলো অপবিজ্ঞানের দোহাই দিয়ে আপনার ইমান হরণ করতে চায়। আপনি নাস্তিক? তাহলে সাহস করে বইটা একবার পড়ে দেখুন, বইটা আপনাকে দ্বিতীয়বার ভাবতে বাধ্য করবে। আপনি সত্যন্বেষী হলে ইসলাম গ্রহণ না করে পারবেন না। তো অপেক্ষা কিসের জন্য করছেন? এবার কিনেই ফেলুন।
Was this review helpful to you?
or
সুন্নত পালনে উৎসাহিত করার জন্য উত্তম বই। এমন বই সবারই পড়া উচিত।
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ বই,আলহামদুলিল্লাহ। আল্লাহ আমাদের কি নিয়ামত দিয়ে তৈরি করেছেন তা হয়তো আমরা কল্পনাও করি না। কষ্টিপাথর এমন এক বই যেখানে ডা. শামসুল আরেফীন দেখিয়েছেন আমরা আল্লাহর কি নেয়ামতে ডুবে আছি। সুন্নাত হলো মানব জীবনের সবচেয়ে সহজ এবং সুন্দর প্রন্থা।তা এই বই পড়লে না চাইলেও বুঝা যায়।অমুসলিমদের অনেক প্রশ্নের জবাব রয়েছে এই বইতে আর মুসলিমদের জন্য রয়েছে দুর্বল ইমানের মুসলিমদের জন্য রয়েছে ইমান সবল করার উপকরণ।ডাবল স্ট্যান্ডার্ড এর পর কষ্টিপাথর হল অসাধারণ এক বই ডা. শামসুল আরেফীনের।❤❤❤
Was this review helpful to you?
or
I have studied many books in my whole life. Cause book is the only friend that can help you increase your knowledge and its a friend indeed.The person who have only books as friend have no enemies.Thats why i try to read as much book as possible.And comparing all the books that i have read, this book is a good one.
Was this review helpful to you?
or
এই বইয়ে মূলত সুন্নাতকে কষ্টিপাথর হিসেবে দেখানো হয়েছে। বিজ্ঞানকে এই পাথরে ঘষা হয়েছে। পাতায় পাতায় দেখানো হয়েছে, সুন্নাত পালনের মধ্যে ইহলৌকিক কত উপকারিতা বিদ্যমান রয়েছে। বিজ্ঞান আজ যা আবিষ্কার করছে, মুসলমানরা বিগত চৌদ্দশ বছর ধরে ধারাবাহিকভাবেই তা পালন করে আসছে। সুন্নাত বিজ্ঞানের ওপর এতটাই অগ্রসর। আর এমনটা কেনই বা হবে না, অথচ রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম’র মাধ্যমে হয়ে এর মূল উৎস তো খোদ মহান রাব্বুল আলামিন স্রষ্টা, সকল জ্ঞান-বিজ্ঞানের যিনি সৃষ্টিকর্তা, যার কাছে অতীত-বর্তমান বলে কোনো কথা নেই, যার ইলম সবকিছুকে পরিব্যাপ্ত করে রেখেছে।
Was this review helpful to you?
or
বই- কষ্টিপাথর লেখক - শামসুল আরেফিন প্রকাশক- অন্যরকম প্রকাশনী প্রচ্ছদ মূল্য - ২০৪ টাকা। - "অসম্পূর্ণকে মানদণ্ড ধরে পরিপূর্ণ কোনকিছুকে বিচার করলে পরিপূর্ণকে অসম্পূর্ণ বা ভুল মনে হবে। ঠিক তেমনি বিজ্ঞান হল অসম্পূর্ণ ও পরিবর্তনশীল, ইসলাম হইলো পরিপূর্ণ ও ধ্রুবক। সুতরাং বিজ্ঞান আজকে যা বলে কালকে তার বিপরীতটাও বলতে পারে, এবং সেটা হয়ে আসছে প্রতিনিয়তই। কিন্তু আমাদের ইসলাম শুরুতে যে বিন্দুতে অবস্থান করছিল, এখনো সে বিন্দুকেই কেন্দ্র ধরে আবর্তিত হচ্ছে এবং হবে ইনশাআল্লাহ। আর সে বিন্দুটি হলো আল কোরআন ও সুন্নাহ। আমরা সেই স্রষ্টার বিধান অনুসরন, অনুকরণ করি যিনি বিজ্ঞানেরও স্রষ্টা। আমরা বিজ্ঞানের সাথে ইসলামকে মিলাই না বরং ইসলামের সাথে বিজ্ঞানকে মেলাবার চেষ্টা করি। সুতরাং বিজ্ঞান ও ইসলামের মধ্যে আপাত কিছু সাংঘর্ষিক বিষয় দেখা দিলে আমরা ইসলামকে স্ট্যান্ডার্ড ধরে বিজ্ঞানের সে বিষয়কে ছুড়ে ফেলি। যার কারনে বিজ্ঞান বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কথা বললেও আমরা প্রায় চৌদ্দশ বছর আগে রাসূলের দেখানো পথ ও পন্থা অবলম্বন করি। এবং মাশাআল্লাহ, বিজ্ঞান যত উন্নতি লাভ করেছে এবং করছে তত ইসলামের লাভ হচ্ছে, রাসূলের সুন্নাহ তত যৌক্তিক, বৈজ্ঞানিক ও আধুনিক মনে হচ্ছে। কারন যা সত্য, তা হাজার বছর পরেও সত্য। যখন সত্যের সামনে মিথ্যা উপস্থিত হয়, তখন মিথ্যা বিলুপ্ত হয়, সত্য থেকে যায়। কেননা মিথ্যা তো বিলুপ্ত হওয়ারই ছিল (বনী ইসরাইল- ৮১) লেখক সাহেব নিজে ঝিনাইদহ ক্যাডেট এবং পরবর্তীকালে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেলের ছাত্র ছিলেন, এবং সম্পাদকের মধ্যে ছিলেন দেশের সনামধন্য মেডিকেলের এসোসিয়েট প্রফেসর এবং ২০০৮ সালে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় সারাদেশে প্রথম হওয়া লেখকের বন্ধু। এবং শরীহ সম্পাদক ছিলেন অত্যন্ত মেধাবী ও কৃতিত্ববান ছাত্র, সিনিয়র মুহাদ্দিস আলি হাসান ওসামা ভাই। আমি লেখক, সম্পাদকদের পরিচয়টা আনলাম এজন্য যেন কেউ বইটাকে ডিফাইন করতে আসলে নিজের সামর্থটুকু মাথায় রাখে। বিষয়টা হলো, অনেক মানুষ আছেন যারা মনে করে ১৪০০ বছর আগের সুন্নাত এই বিজ্ঞানের যুগে যায় না-কি। ব্যাকডেটেট জিনিস আধুনিক যুগে মেনে চললে আধুনিক সমাজের সাথে মিলবে ক্যামনে। আলহামদুলিল্লাহ, শামসুল আরেফিন ভাইয়ের "কষ্টপাথর" মূলত এমন একটা বই যেখানে নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রতিটি সুন্নাতের স্বাস্থ্যগত গুরুত্ব ও যৌক্তিকতা আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের সাথে তুলনা করেছেন। কষ্টিপাথর বইয়ে মূলত সুন্নাতকে কষ্টিপাথর হিসেবে বিবেচনা করে বাকীসব কিছুর তুলনা করা হয়েছে। সুন্নাত পালনের মধ্যে পারলৌকিক ফায়দা আছেই আলহামদুলিল্লাহ। কিন্তু বইয়ে মূলত সুন্নাত পালনে ইহলৌকিক কি উপকারীতা রয়েছে তা দেখানো হয়েছে। এবং এক্ষেত্রে লেখক পশ্চিমা গবেষণা, ফলাফল, রেফারেন্স দিয়েছেন প্রমান হিসেবে। যেন পরবর্তী কালে কেউ অভিযোগ না করতে পারে, "আচ্ছা যেহেতু এটা মুসলমানদের স্বার্থের সাথে যায় তাই সততাকে জলাঞ্জলি দিয়ে তারা নিজেদের মত রায় দিয়েছেন " মাশাআল্লাহ, লেখক সেসকল মানুষদের এমন অভিযোগ টানার অবকাশ রাখেননি। এবং প্রতিটি বিষয়ে ব্যাখ্যার সময় লেখকের সততার বিন্দুমাত্র বিচ্যুতি ঘটেনি। সততার বিচ্যুতি তো ঘটে সেসকল পশ্চিমা সাদা চামড়া, স্বার্থান্বেষী মহলের যারা নিজেদের স্বার্থের সাথে গেলে সেটাকে প্রচার করে, নিজেদের বানিজ্য উসুল হলে প্রকাশ করে নাহলে সেটা অস্বীকার করে ধামাচাপা দেয়। এ সম্পর্কে রাফান আহমেদ ভাইয়ের লেখা "অবিশ্বাসী কাঠগড়ায়" বইয়ে বিস্তারিত পাবেন। আলহামদুলিল্লাহ, মুমিন জেনেশুনে সত্যকে কখনো অস্বীকারও করেনা, ধামাচাপাও দেয়না। লেখক শামসুল আরেফিন ভাই প্রতিটি পৃষ্ঠায় যেন সেটা বুঝিয়ে দিয়েছেন । বইয়ের প্রতিটি টপিক অসাধারণ ভাল লেগেছে। তবে আমাকে পানির ক্রিস্টালের বিষয়টা দারুণভাবে মনে গেঁথেছে। আমার বিশ্বাস, বইটি আমাদের সকলের মনে সুন্নাত ও মুস্তাহাবের প্রতি অগাধ ভক্তি, শ্রদ্ধা ও আনুগত্যবোধ জাগ্রত করবে। জীবনের সকল ক্ষেত্রে, পরিস্থিতিতে সুন্নাত ও মুস্তাহাব পালনে চমৎকার প্রেরনা জোগাবে। লেখক শুরুতেই বলেছিলেন, বইটিতে তিনি চিন্তার খোরাক দিতে চেয়েছেন। বইটি পড়া শেষে মনে হলো, আলহামদুলিল্লাহ, লেখককে ও লেখকের উদ্দেশ্যকে আল্লাহ কবুল করেছেন। এবং তিনি সফল... লেখকের মতো আমিও বলতে চাই, বিশ্বাসী, অবিশ্বাসী, সংশয়বাদী সকলের জন্য বইটি পড়া দরকার, খুউউব দরকার। পরিশেষে, লেখককে আল্লাহ উত্তম কাজের উত্তম প্রতিদান দান করুন... - লেখকের ফেসবুক আইডি- https://www.facebook.com/shamsul.shakti
Was this review helpful to you?
or
বইটা কেনা থেকে পড়া শেষ করা অবধি আমার বইটার প্রতি একটা আকর্ষণ কাজ করছিলো। বইটা যখন পড়তে শুরু করলাম তখন খেয়াল করলাম যে, আমি কত কিছু জানতাম না, আবার যেটুকু জানতাম তার উপকারিতা জানতাম না। বইটা পড়ছিলাম আর মুগ্ধ হচ্ছিলাম। বইটা পড়া শুরু করার পর থেকে শেষ পর্যন্ত এত কিছু জেনেছি যা আগে জানতামই না। দৈনন্দিন সুন্নাত গুলির মাঝে যে এত উপকারিতা আল্লাহ্ সুবহানাহু তায়ালা আনহু রেখে দিয়েছেন বইটা না পড়লে হয়তো জানাই হতো না। বইটার প্রতিটি পাতায় পাতায় ছড়িয়ে আছে অজস্র মহা- মূল্যবান মণি, মুক্তা তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। বইটা এত চমৎকার যে আমার মতে সবারই অবশ্যই পড়া উচিত। অনেক অজানা কিছু জানতে পারবেন বইটা অধ্যায়ন করে ইনশা’আল্লাহ।
Was this review helpful to you?
or
কষ্টিপাথর.... প্রথমে ভেবেছিলাম কেমন যেন হয় বইটা। কিন্তু কেনার পর যখন বইটা পড়া শুরু করলাম তখন পুরো অবাক হয়ে গেলাম। রাসুলুল্লাহ সাঃ এর প্রতিটি সুন্নাতে এত এত উপকার, এত এত বৈজ্ঞানিক উপকার সত্যিই অবাক করার মতো। লেখক খুব সুন্দরভাবে বৈজ্ঞানিক বিষয়গুলো তুলে ধরেছেন।
Was this review helpful to you?
or
প্রশ্নঃ- ভালো বই কি? স্যার আব্দুল্লাহ আবু সায়ীদঃ যে বই পাঠককে ভাবায়, তাই ভালো বই। এতো গেলো ভালো বইয়ের সংজ্ঞা। এই বইটা সেরকম একটা বই। এক কথায় অপূর্ব। লেখক “ডাবল স্ট্যান্ডার্ড” দিয়ে আমাদের ঈমান পোক্ত করতে উৎসাহী করেছিলেন। আর “কষ্টিপাথর” দিয়ে, আমাদের ঈমান, ইসলাম এবং দীনের প্রতি আমাদের commitment কতটুকু দৃঢ় আর বিজ্ঞান জ্ঞানীবৃদ্ধ সুন্নাতের কাছে কতখানি শিশুতুল্য আধুনিক তা যাচাই করার জন্য ভাবতে বাধ্য করেছেন। শুধু ফরজ ইবাদত করে হয়ত জান্নাত পাওয়া সম্ভব, কিন্তু নবীজীর সুন্নাতও ফেলনা নয়। নবীজীর সুন্নাতও স্রষ্টারই আদেশ, তাই সুন্নাত পালনও আমাদের কর্তব্য, নইলে আমরা দাঁড়াবো কার পাশে? আল্লাহ আমাদের হেফাজত করুন। এখন কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলার সময় এসেছে। এখন বলার সময় এসেছে, “সুন্নাত আমার বিজ্ঞানভিত্তিক, বিজ্ঞানটা সুন্নাতভিত্তিক তো?” আল্লাহ আমাদের বোঝার তৌফিক দান করুক। আমরা শিখছি, আরও শিখবো। সত্য পথেই থাকবো।
Was this review helpful to you?
or
বই: কষ্টিপাথর। লেখক: ডা. শামসুল আরেফীন। প্রকাশনী: শুদ্ধি প্রকাশন। মূল্য: ২০০ টাকা। ইসলাম শুধুমাত্র একটি ধর্ম বা মতবাদ নয়। বরং ইসলাম একটি পূর্নাঙ্গ জীবন ব্যবস্থা। জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে রয়েছে তার নিজস্ব রুলস। মানব জীবনের সব সমস্যার সমাধানও রয়েছে এই পথে। অন্যান্য ধর্মগুলো যেমন কিছু আঁচার অনুষ্ঠানের মধ্যে সীমাবদ্ধ, ইসলাম তেমন নয়। ইসলাম তো আমাদের ঘুম থেকে নিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনা পর্যন্ত সকল কর্মকান্ডের সাথেই জড়িয়ে আছে। অন্যান্য মতবাদগুলো যেমন কাল্পনিক কিছু রুপরেখা প্রকাশ পর্যন্তই সীমাবদ্ধ ইসলাম সেরকমও নয়। বরং ইসলাম তো সম্পূর্ন প্রায়োগিক একটি দীন। যা আল্লাহ তার রাসুলের মাধ্যমে জগদ্বাসির সামনে তা প্রয়োগ করে দেখিয়েছেন। তাই এই ধর্মের পূর্ন আদর্শই ছিলেন মুহাম্মদ (স:)। আর সেই আদর্শের নাম হলো সুন্নাহ। বর্তমান মুসলিম সমাজের অবস্থা যেন মনিহারা সাপের মতো। নিজস্ব উন্নত ও সর্বোচ্চ মতবাদ ও জীবন পদ্ধতি ছেড়ে তারা প্রতিনিয়ত ছুটে চলছে পশচিমা ও ইউরোপিয় জীবন পদ্ধতির দিকে! বৃটিশ-ইউরোপিয় শিক্ষা ব্যবস্থা যেন দখল করে নিয়েছে আমাদের মগজগুলো! মুসলিম বিশ্বজুড়ে ওদের প্রবর্তিত শিক্ষা ব্যবস্থা প্রবর্তন করে আমাদের মগজগুলো সম্পূর্ন রুপে ধোলাই করে ছেরেছে! ওদের বুদ্ধিবৃত্তিক ক্রুসেডে আমরা যেন একেবারেই পরাস্ত ও বিপর্যস্ত! বর্তমানে উন্নত সভ্যতা মানেই পশ্চিমা সভ্যতা! আধুনিক লাইফস্টাইল মানেই ইউরোপিয় লাইফস্টাইল!অনেকে মনে করে আমেরিকা ইউরোপ মানেই জান্নাত! তাদের গবেষনা ও মিডিয়া প্রপাগান্ডা হলো ওহী! অশ্লীলতা হলো ফ্যাশন! উলঙ্গপনা মানেই আধুনিকতা! তারা অত্যান্ত সুকৌশলে আমাদের জীবন থেকে ইসলামকে পৃথক করে ফেলেছে! তারপর আমাদেরকে শিখিয়েছে কিভাবে ইউরোপীয় ও ঔপনিবেশিক চশমা দিয়ে ইসলামকে দেখতে হয়! যে চশমায় ইসলাম মানেই মধ্যযুগিয়, সেকেলে, অবৈজ্ঞানিক, কুসংস্কার সর্বস্ব,উন্নতি ও প্রগতির অন্তরায় একটি পুরোনো মতবাদ!! মুহাম্মাদ(স:) এর সুন্নাহকে আমাদের জীবন থেকে নিশ্চিহ্ন করেছে অত্যন্ত চতুরতার সাথে। তাইতো আজ আমরা বলতে শিখেছি সুন্নাহ মানে আরব্য সংস্কৃতি! কখনো কখনো আবার সুন্নাহকে ব্যাকডেটেড আখ্যা দিয়ে জীবন থেকে মুছে ফেলেছি! সুন্নাহ যেন আজ সামাজিক বয়কটের শিকার! তাইতো আজ কেউ শুধু নামাজ পরলেই সে হয় ধার্মিক। আর যে প্রকৃত ধর্ম পালন করে তাকে বলা হয় কট্টর পন্থী! কেউ শাড়ি -চুড়ি পরে মাথায় একটা হিজাব পেচাইলেই হয়ে যায় ধার্মিক। আর যে প্রকৃত পর্দা করে সে হয় গোড়া ধর্মান্ধ! মুসলিমজাতির শান্তি ও সফলতা সবই জড়িত হচ্ছে এই সুন্নাহর সাথে। অথচ তা থেকে আজ আমরা শতো- সহস্র ক্রোশ দুরে!!! এখন আমাদের কাছে বিজ্ঞান যেন ওহীর মতো! তাই বিজ্ঞান যা বলে তাই ই সত্য সেটাই আধুনিক! বাকিসব পুরোনো! অথচ নবী(স:) এর সুন্নাহ হচ্ছে সর্বাধুনিক লাইফস্টাইল! হয়তো তা আমাদের জানার সুযোগও হয়নি। আর তথাকথিত বিজ্ঞান মনস্ক কিছু ব্যক্তি আছে যাদের কাছে সুন্নাহ বা ইসলাম হচ্ছে একটি পুরোনো অকেজো মতবাদ। যার বৈজ্ঞানিক কোনো ভিত্তিই নেই! তাদেরকে বলছি,আচ্ছা ধরুন আধুনিক বিজ্ঞানের কোনো আবিষ্কার বা কোনো গবেষনার রেজাল্ট যদি সুন্নাহর সাথে মিলে যায় তখন কি তাকে কাকতালিয় বলবেন? কিন্তু আধুনিক বিজ্ঞানের প্রত্যেকটা রেজাল্ট যদি চৌদ্দশত বছরের পুরোনো সুন্নাহর সুরে সুর মিলায় তখনও কি বলবেন এসবই কাক্তালিয়? যে বিজ্ঞানকে সত্যের মাপকাঠি ধরেছেন, সেই বিজ্ঞান যদি হাজার বছরের পুরোনো কোনো থিওরিকে সত্যায়ন করে তাহলে কি তা মেনে নিবেন? নাকি আধুনিক বিজ্ঞানের সেইটুকুই মানবেন যেটুকু আপনার প্রবৃত্তির সাথে যায়? বিজ্ঞান যতক্ষন ইসলামের বিপক্ষে আছে ততোক্ষন বিজ্ঞানের সাথে আছেন,আর ইসলামের পক্ষে কিছু প্রমানিত হলে তখন বিজ্ঞানকেও চেনেন না!! এ কেমন ডাবল স্টান্ডার্ড?!! হ্যা তাহলে আপনাদের জন্যই এসেছে এই বই! আশা করি একটু হলেও মূক্তভাবে ভাবতে শিখাবে এই বই। দেখি কি আছে এই বইয়ে.............. → দূর্গের বাইরে পরিখা: এই যে ভাই আপনিই কি সেই ব্যক্তি যার সপ্তাহে অন্তত দুইবার একেবারে ক্লিন শেভ না হলে মুখটা কেমন যেন খচখচ করে, নিজেকে কেমন যেন আনস্মার্ট লাগে, এই বুঝি প্রিয় মানুষটাও অপছন্দ করে বসলো, এরকম মনে হয়???তাহলে এই অধ্যায়টা আপনার জন্যই। দেখুনতো কিছু বুঝতে পারেন কিনা.. → সিন্ধুঘোটকনামা: আমাদের চারপাশে এমন কিছু ব্যক্তি দেখা যায় যাদের দাড়ি নজরুলের মতো হলেও গোঁফ যেন একদম রবি ঠাকুরকেও ছাড়িয়ে যায়!! হুম এই অধ্যায়টা তাদের জন্যই। একটু উঁকি দিয়ে দেখে যানতো আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞান কি বলছে এ বিষয়ে....... → লেফট -রাইট: কিছু ব্যক্তি আছে তাদেরকে যদি বলেন, ভাই যে কোনো কাজ ডান পাশ দিয়ে শুরু করা সুন্নাহ। সুতরাং ডান পায়ের জুতাটা আগে পরুন।এবং জামার ডান হাতাটা......তখনি তারা বলে উঠবে ধুর মিয়া, মানুষ মঙ্গল গ্রহে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে আর আপনি পরে আছেন ডান -বাম নিয়ে! এসব ফালতু ডান বাম বাদ দিয়ে বিজ্ঞান নিয়ে ভাবেন.....!এই অধ্যায়টা তাদের জন্যই প্রস্তুত করা হয়েছে!!! → প্যাকেট: বর্তমান নারী সমাজে আঁটসাঁট পোষাকটাই যেন আধুনিকতার প্রতীক! অনেকের পোষাক দেখেতো মনে হয় যে কাপড়টা পড়ার পরই সেলাইটা করা হয়েছে!! টাইটস -লেগিংস এ গুলোই যেন আধুনিকতার একদম আপগ্রেড ভার্সন!! সেই সাথে ফ্যাশন হাউসগুলোর ব্যবসাও একেবারে রমরমা!! পুরুষ সমাজেও টাইট জিন্স, গ্যাবার্ডিনই স্মার্টনেসের প্রতীক! যতো আঁটসাঁট ততোই স্মার্ট। এই গ্রিস্মের গরমে যখন ফ্যাশন হাউসগুলো আপনাকে বুঝাচ্ছে যে হাফ হাতা শার্ট, টি শার্ট বা খোলামেলা টপস গুলোই আরামদায়ক ও ফ্যাশনেবল। তখন যদি আপনাকে বলা হয় এই গরমে ফুলহাতার ড্রেস পড়াই উপকারী। তাহলে কি মেনে নিবেন? নাকি এই আধুনিক ফ্যাশনের দিকে দৌড়াবেন? জানি আপনি সেদিকেই দৌড়াবেন। তবে আপনি কি জানেন এই আধুনিকতা বা স্মার্টনেস আপনাকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছে? তাহলে একবার পড়েই দেখুন না এই অধ্যায়টা........ → হেডকোয়ার্টারের জলছাদ: বর্তমান প্রজন্মের কাছে মাথার চুলগুলো স্পাইক করে টুইন টাওয়ারের মত খাড়া করে বা বিভিন্ন আধুনিক হেয়ার স্টাইল করে ঘুড়ে বেড়ানোটাই যেন স্মার্টনেসের অন্যতম দাবী। পাশে একটা টুপি পরা ছেলে দেখলেই তাদের মুখে ফুটে ওঠে একটা অবজ্ঞার হাসি। এই অধায়টি সেই সকল স্মার্ট ভাই বোনদের জন্যই....... → প্রাগৈতিহাসিক: এই আধুনিক যুগে যখন মানুষ বিভিন্ন গ্রহে বাড়ি ঘর বানানোর কথা ভাবছে। টিভির স্ক্রিনে এমন সব টুথপেস্টের বিজ্ঞাপন দেখছেন যারা জীবানুদের সাথে ফাইট করে তাদেরকে ১২ ঘন্টার জন্য ধ্বংস করে দিচ্ছে তখন যদি আপনাকে বলি গাছের ডাল -পালা বা শিকড় বাকড় দিয়ে দাত পরিস্কার করতে আপনি কি তা মেনে নেবেন? নাকি আমাকে মানসিক হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করবেন? তার আগে একবার ঘুড়ে আসুন এই অধ্যায় থেকে...... → সমতলাধিকার: ডাইনিংয়ে বসে খাওয়া যেন এখন আধুনিক সভ্যতার ন্যূনতম পরিচায়ক! শহুরে বাসাগুলোতে ডাইনিং ব্যাবস্থা না থাকলে যেন জাতই থাকে না!! তাই সবাই এখন এই ডাইনিংয়ের অনুকরনে সিদ্বহস্ত। অথচ এটা কতোটুকু সাস্থ সম্মত তা ভেবে দেখার সময়ই যেন নেই!!হুম আবার ডাইনিংয়ে বসার আগে এই অধ্যায়টা একটু পড়ে আসুন........ → মাছিমারা কেরানি: আচ্ছা মাছির শরিরেও যে অ্যান্টিডোট থাকতে পারে সেটা কি চৌদ্দশত বছর আগে কারো জানার কথা? হ্যা এটাও জেনেছিলেন আমাদের প্রিয় নবী! এই কিছুদিন আগেও তারা এ নিয়ে খুব হাসা হাসি করতো!! কিন্তু আজ বিজ্ঞান যখন এটাকেও সত্যায়ন করলো তখন যেন এতদিনের চপেটাঘাত সব একবারে পড়লো তাদের গালে। বিস্তারিত জানতে পড়তে হবে এই অধ্যায়........ → জীবনের অপর নাম পানি: সমাজে এখনো এমন কিছু লোক আছে যারা কেউ অসুস্থ হলে হুজুরদের কাছে যায় পানি পড়া বা ঝার ফুক নিতে! আরেক দল এসব দেখে কুসংস্কার বলে তাচ্ছিল্য করে! অথচ যখন এর দ্বারা কেউ সুস্থ হয় তখন বলে যে 'ভক্তিতে মূক্তি '। এখানে কি শধুই ভক্তিতে মুক্তি নাকি এর পিছনে আছে বৈজ্ঞানিক কোনো যুক্তি, জানতে হলে এই অধ্যায়টি পড়তেই হবে। এই অধ্যায় থেকে পানি সংক্রান্ত এমন সব তথ্য জানবেন যা হয়ত আপনি কোনোদিন কল্পনাও করতে পারেন নেই......... এরকম ত্রিশটি বৈজ্ঞানিক রিসার্চ এর ফলাফল নিয়ে হাজির হয়েছে এই বই। যার প্রত্যেকটি ফলাফল সুন্নাহর পক্ষে অবস্থান নিতে বাধ্য হয়েছে। যতো গবেষনা হবে তাও সুন্নাহর সুরেই সুর মিলাবে ইনশা আল্লাহ। কেননা সুন্নাহ হচ্ছে স্রষ্টার পক্ষ থেকে। আর স্রষ্টাই তো সবথেকে ভালো জানেন সৃষ্টির কল্যান কোন পথে এবং কোন পদ্ধতিতে। এরপরো যদি কেউ সৎপথে ফিরে না আসে তাহলে বুঝতে হবে আল কুরআনের ভাষায়....... তারা হলো বোবা, বধির ও অন্ধ সুতরাং তারা প্রত্যাবর্তন করবে না .....(আল কুরআন- ২:৬) পাঠ প্রতিক্রিয়া: বইটি পড়ে সত্যিই নিজেকে কিছু প্রশ্ন করতে বাধ্য হয়েছি। যে ছেলেটা চেগুয়েভারার টুপি পরে তার প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করে, যে ছেলেটা মেসি -রোনাল্ডোর জার্সি গায়ে তার আবেগ- উচ্ছাস প্রকাশ করে, যে ছেলেটা চুলের কাট থেকে শুরে করে পায়ের জুতা পর্যন্ত হলিউড-ভলিউড এর প্রিয় নায়কের অনুসরন করে, এদের থেকে কি নবীর প্রতি আমার আবেগ,ভালোবাসা, শ্রদ্বা কম?? যদি কম না হয়, তাহলে আমি কেন ওদের মতো নবীর প্রতি আমার ভালোবাসা প্রকাশ করতে পারছি না?? আশা করি বইয়ের প্রত্যেকটা অধ্যায় আপনার জ্ঞানের ভুবনকে আন্দোলিত করে তুলবে! আপনাকে নতুন করে ভাবতে শিখাবে। উন্মুক্ত করবে প্রকৃত সত্যের পথ। আমার জীবনে পড়া শ্রেষ্ঠ বইয়ের তালিকায় এটা অনেক শুরুর দিকেই যুক্ত হলো।সুতরাং সবাইকে বইটি পড়ার সর্বাত্মক অনুরোধ রইলো। আশা করি আপনার জীবনের অন্যত্ম সেরা অর্জন হবে বইটি। আল্লাহ লেখককে উত্তম বিনিময় দান করুন।আ-মী-ন।
Was this review helpful to you?
or
কষ্টিপাথর
Was this review helpful to you?
or
আমাদের পালনীয় দৈনন্দিন সুন্নাহগুলোর সাথে যে ‘বিজ্ঞানের’ এক গভীরতম সম্পর্ক, সেই সম্পর্কের ভেদ উন্মোচন করা একটি ব্যতিক্রমধর্মী বই এটি। বলা চলে এই ফিল্ডের আমার দেখা একমাত্র এবং বাংলা ভাষায় সবচেয়ে সেরা বই। লেখক যেহেতু ডাক্তার মানুষ, তাই মেডিক্যাল ফিল্ডের ব্যাপারগুলো দিয়েই সাজিয়েছেন চমকপ্রদ বইটি। ‘দূর্গের বাইরে পরিখা’, ‘স্বপ্ন দেখুন, স্বপ্ন দেখান’, ‘সমতলাধিকার’ ‘আনন্দ ভাগ করলে বাড়ে’, ‘মাতাল ধোঁয়া’ এরকম বেশ মজাদার শিরোনামে সাজানো বইটি।
Was this review helpful to you?
or
অসম্ভব সুন্দর একটা বই । এটা মুমিন ভাইদের জন্য ঈমানকে আরও মজবুদ করার একটা বই। অপর দিকে অমুসলিম ভাইদের জন্য অনেক প্রশ্ন্বের উত্তর। যে সকল ভাই ইসলামের সুন্নাতকে ভালোভাবে না জেনেই বিভিন্ন কুটক্তি করেন (যেমনঃ মুসলিমরা কুসংস্কারোচ্ছন্ন, মূর্খের দল ইত্যাদি ), দয়া করে এই বইটি পড়ার অনুরোধ রইল। ডাঃ শামসুল আরেফীন দ্বীনি ভাইয়ের প্রতি অনুরোধ রইল, পরবর্তি বই প্রকাশের। আর রইল অনেক ভালোবাসা।
Was this review helpful to you?
or
- আপনারা কি নাস্তিক গুরুদের মতবাদ থেকে বেরিয়ে মুক্তভাবে চিন্তা করতে প্রস্তুত আছেন? - যে বিজ্ঞানকে সত্যের মাপকাঠি ধরেছেন, সেই বিজ্ঞান যদি ১৪০০ বছর আগের কোনো জীবনধারা, কোনো মতবাদকে সত্যয়ন করে তা কি মেনে নিতে তৈরি আছেন? - নাকি আপনারা কিছুই মানেন না? শুধু যেটুকু খায়েশের সাথে মেলে আধুনিক জ্ঞানবিজ্ঞানের সেটুকুই নেবেন? যতক্ষণ মনের চাহিদা পূরণ হচ্ছে ততক্ষণ মুক্তচিন্তা করবেন? যতক্ষণ বিজ্ঞান আপাতভাবে ইসলামের বিপক্ষে বলছে ততক্ষণ বিজ্ঞানের সাথে আছেন, আর পক্ষে কিছু প্রমাণ হয়ে গেলেই বিজ্ঞানকেও চেনেন না। তাই কি? এই পুরো বইয়ে আমার নিজের কথা খুবই কম। রেফারেন্স, জার্নাল ও গবেষকের যোগ্যতাসহ দিয়েছি। যাহোক, বিজ্ঞানীরা আজ যা আবিষ্কার করছে তা ১৪০০ বছর আগে একজন প্র্যাকটিস করে গেছেন, তাঁর প্রকৃত অনুসারীরা ১৪০০ বছর ধরে প্র্যাকটিস করছেন— ব্যাপারটা মেনে নেয়া একটু কষ্টের আপনাদের জন্য। আলোচনা আজ এটা নিয়েই, যে বিজ্ঞানকে আপনারা মেনে চলেন তা কত পশ্চাৎপদ আর যে সুন্নাত আমরা মানি তা কতটা আধুনিক, যুগোত্তীর্ণ, কালোত্তীর্ণ। আজ ঘষবো বিজ্ঞানকে, সুন্নাত হলো সেই ‘কষ্টিপাথর । সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। -শামসুল আরেফীন বইটি আজই সংগ্রহ করুন... কষ্টিপাথর (হার্ডকভার) ডা. শামসুল আরেফীন গায়ের মূল্য: ১৭৬/=
Was this review helpful to you?
or
বর্তমানে বিজ্ঞান মনস্ক মুসলিমদের এমন অবস্থা যে, ইমলামি কোন বিধান কে মানতে গেলে চিন্তা করি এ সম্পর্কে বিজ্ঞান কি বলেছে।বর্তমানে অনেক বই রচিত হয়েছে যাতে বিজ্ঞানের আলোকে ইসলামি বিধান কে ঘষা-মাজা করেছে কিন্তু এই পুস্তকে লেখক বিজ্ঞানের আবিষ্কারকে কুরআন-সুন্নাহ নাম কষ্টিপাথর দিয়ে ঘষে দেখিয়েছেন যে, তোমাদের বিজ্ঞান শত বছর পরিশ্রম,কড়ি কড়ি ডলার খরচ করে যা খুঁজে পেয়েছ তা আমাদের নবী (সা:) দেড় হাজার বছর আগেই বলে গেছেন।বইটি নিজের জন্য পড়ুন,অন্যকে জানানোর জন্য পড়ুন।
Was this review helpful to you?
or
বাহ!অসাধারণ একটি বই।আমার জীবন এ পড়া সেরা বই গুলার মাঝে একটা।আমার মনে হয় এটা বেস্ট সেলার পাওয়ার যোগ্য। প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ এর চেয়েও ভাল যুক্তি ও বৈজ্ঞানিক প্রমান সহ উপস্থাপন করায় আরো ভাল লাগলো পড়ে।ডা.শামসুল আরেফিন এর বই এর জন্য অপেক্ষায় থাকি।আলাহামদুলিল্লাহ এমন একটি বই পড়তে পারার জন্য
Was this review helpful to you?
or
আমার পড়া সেরা বইগুলোর মধ্যে একটি
Was this review helpful to you?
or
আরিফ আজাদের ডাবল স্ট্যান্ডার্ড এবং কষ্টি পাথর দুইটি বই প্রশংসার দাবি রাখে।
Was this review helpful to you?
or
Alhamdulillah
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_রিভিউ_প্রতিযোগ_জানুয়ারি রিভিউ নংঃ২২ বইঃ কষ্টিপাথর লেখকঃ ডা. শামসুল আরেফীন, ক্যাটাগরিঃ ইসলামি আদর্শ ও মতবাদ, মূল্যঃ ১৬০ টাকা প্রকাশনীঃশুদ্ধি কাহিনী সংক্ষেপেঃ প্রশংসা একমাত্র আল্লাহর, যিনি সকল দোষত্রুটি থেকে পবিত্র। আমাদের দুরবস্থার জন্য আমাদের কর্মই দায়ী। আমরাই আমাদের গুনাহ-অবাধ্যতার রাস্তা বেছে নিয়ে অনিবার্য আযাবের উপযুক্ত হয়েছি। উনি বিধান করে দিয়েছেন, আমার রাসূলের ইত্তেবা-অনুসরণ –অনুকরণ করলে সম্মান দিব ; আর রাসূলকে ছেড়ে কুফফারের অনুকরণ করলে অপমান চাপিয়ে দেব। আমরা কুফফারের সাথে কদমে কদম মিলিয়ে গুইসাপের গর্তেও যেতে কবুল । আমরা বাই চয়েস বিধানে পড়ে গেছি। আমরাই জুলুম করেছি নিজেদের সাথে, দ্বীনের সাথে, নবীজীর শিক্ষা ও সুন্নতের সাথে। লা ইলাহা ইল্লা আনতা সুবহানাকা ইন্নী কুনতু মিনাজ জ্বোয়ালিমীন। আল্লাহ তাঁকে পাঠালেন সমগ্র বিশ্বের প্রতি রহমত হিসেবে। কাফির-মুশরিক-মুমিন-যিন্দীক সবার জন্য রহমত হিসেবে। কাফির-মুশরিক-যিন্দীকরা তো ওনার উপর জুলুম করলোই, এমনকি আমরা মুমিনরাও কম করলাম না। ওনার চরিত্র হনন করে ইউরোপ যে পরিমাণ গ্রন্থ রচনা করেছে, এতো বেশি রচনা অন্য টপিকে নেই । আর আমরা সুন্নাহ হনন করে যে পরিমাণ আত্মতৃপ্তি পেয়েছি, এতটা অন্য কিছুতে পাইনি। ওরা সীরাতের উপর জুলুম করেছে, আর আমরা সুন্নতের উপর। সুন্নাহকে আমরা এমনভাবে ছেড়েছি, আজ সুন্নাহ দেখলে ‘প্রেমের বদলে ভয়’, ‘ভক্তির বদলে যুক্তি’ আর ‘গ্রহণের বদলে বর্জনের ফতোয়া’ এর কথা মনে আসে। আহ ... সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। ইসলাম যখন সেই কথা বলে তখন অনেকের কাছে মনে হয়, মান্ধাতা আমলের ধ্যান-ধারণা। সে কথাই যখন বিজ্ঞান বলে তখন তারাই সে কথাটি মাথায় তুলে নাচতে শুরু করে।একই জিনিস। ইসলাম যখন বলে এ কাজটি সুন্নত তখন কেউ কেউ মধ্যযুগীয় বর্বরতা বলতেও দ্বিধা করে না, সে কথাই যখন New York Times, Telegraph, Huffington post, Wall Street Journal, cosmopolitan, Independent, Dailymail, Mirror, Time এর মত বড় বড় পত্রিকা; BBC, ABC news এর মত বড় বড় নিউজ চ্যানেল; আর Researchgate, Sciencedirect, PubMed, NCBI-এর মত রিসার্চ পেপার কালেকশন সাইট থেকে যখন রেফারেন্স দিয়ে সাজিয়ে আসে, তখন তারাই অমৃত মিষ্টাণ্ন ভেবে তৃপ্তি সহকারে উদরপূর্তি করে। আসল কথা হলো,আমার বুঝে আসুক বা না আসুক, সুন্নাতের মধ্যেই কল্যাণ, এটাই আমাদের ঈমান। সুন্নাতগুলো সায়েন্সের জন্মের আগেই সায়েন্সের স্রষ্টার দেয়া ‘ভক্তির মোড়কে সায়েন্স’। ১৪০০ বছর উম্মাহ ভক্তির মোড়কে সায়েন্স খেয়েছে। আজ সায়েন্স কারো একচেটিয়া বাণিজ্য। আলোচনা আজ এটা নিয়েই, যে বিজ্ঞানকে আপনারা মেনে চলেন তা কত পশ্চাৎপদ আর যে সুন্নাত আমরা মানি তা কতটা আধুনিক, যুগোত্তীর্ণ, কালোত্তীর্ণ। বইটিতে লেখক বিজ্ঞানকে ঘষেছেন সুন্নাতের কষ্টিপাথর দ্বারা। একটা প্রবাদ আছে, “প্রত্যেক বস্তুই তার মূলের দিকে ফিরে”বিজ্ঞানের এতো সাধনা, এতো পরিশ্রমের ফাইন্ডিংস আজ সুন্নাতের পক্ষে বক্তব্য দিচ্ছে। অথম মুসলমানরা সেই ১৪০০ বছর আগ থেকে এই সুন্নাত অনুসরণ করে আসছে, যা বিজ্ঞান আজ এসে প্রমাণ করলো এগুলো মানুষের জন্য কল্যাণকর। কিন্ত মুসলমানরা এরকম লাভ ক্ষতির আশায় এই সুন্নাতগুলো মেনে আসছেনা, ‘রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এগুলো করেছেন, এগুলো করার জন্য বলেছেন’ স্রেফ এটাই মেনে চলার জন্য যথেষ্ট। আর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যা করার জন্য বলেছেন তার মধ্যে অবশ্যই কল্যাণ আছে। কি কল্যাণ আছে? বিজ্ঞান আজ অনেক দূর এগিয়েছে। বিজ্ঞান আনমনে বের করে এনেছে সুন্নাতের কল্যাণকর দিকগুলো।লেখক বইটিতে বিজ্ঞানের সেইসব তথ্যগুলো দিয়েছেন যেগুলোর কল্যাণকর দিক না জেনেও মুসলমানরা তা অনুসরণ করে আসছে। জানার পর অন্তত এই বোধটা জাগ্রত হতে পারে, তাইতো আসলেই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সুন্নাতের মধ্যেই রয়েছে কল্যাণ। দুনিয়াতেও কল্যাণ, আখেরাতেও কল্যাণ। পাঠ্য প্রতিক্রিয়াঃ লেখাটি সবার জন্য। বইটি সবাই পড়তে পারেন। যারা যুক্তি,রেফারেন্স,বিজ্ঞান দিয়ে বিচার করেন এবং মুক্তভাবে যেকোনো যুক্তি বুঝতে চান আপনারা সবাই পড়তে পারবেন বইটি। হ্যাঁ,যারা মুসলমান আছেন তাদের জন্য অবশ্যই পড়া উচিত। লেখক শেষদিকে আমাদের জন্য খুবই নমনীয় ভাবেই উপদেশ দিয়েছেন। লেখক বলেছিলেন বাধ্য করবেন না,চিন্তার খোরাক দিবেন। সত্যি তিনি পেরেছেন।
Was this review helpful to you?
or
খুবই ভালো, প্রচুর ইনফর্মেশনে ভরা। পড়ুন ভালো লাগবেই ইনশাআল্লাহ।
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ একটি বই । সবার পড়া উচিৎ ।
Was this review helpful to you?
or
সুন্নাহ যে কতটা জরুরী তা এই বইটা না পড়লে হয়তো অনুধাবন করতে পারতাম না। কত অবহেলায় কত সুন্নাহ কে ছেড়ে দিয়েছি! আল্লাহ্ ডাক্তার সাহেবকে আরও জ্ঞান দান করুন। পাশাপাশি আমাদেরকে সুন্নাহ মানার তৌফিক দান করুন
Was this review helpful to you?
or
বই টা অনেক ভালো ।❤❤❤
Was this review helpful to you?
or
মেয়েদের জন্য উপহার!
Was this review helpful to you?
or
যুগের পরিবর্তনের সাথে সাথে আমরা মুসলমানরা নিজেকে খুব মর্ডান ভাবি।। যুগের সাথে তাল মিলিয়ে পোশাক পরাটাই কি মর্ডান বা আধুনিক..? মুসলিম স্বর্ণ যুগের মত এখন তো কাউ কে খুজে পাওয়া যায় না আল রাজি, আল বেরুনী ও ইনবে সিনহার মত চিকিৎসক। মুসলমানদের জন্য মর্ডান সেটাই যেটা রাসূল (সঃ) শিখিয়ে গেছেন।। আর উত্তম বিজ্ঞান তো তাই যা রাসুল (সঃ) করতে বলেছেন। শারুখ সালমান খানের ভক্তরা যদি তাকে অনুশরন করে ছিরা জিন্স পরতে পারে তাহলে আমরা কেনো রাসুল ভক্ত হয়ে টুপি পরতে পারছি না..? সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মী মাথার ত্বকে সরাসরি সংস্পর্শে আসতে থাকলে মাথার ত্বক ক্যান্সারের দিকে মোড় নিতে পারে..!! এটি সাইন্সের ইদানিং আবিষ্কার। অবিশ্বাসিরা দাড়ি টুপিওয়ালা হুজুর দেখলেই ঠাট্টা করে, তাদের কাছে পশ্ন ডাক্তারের পরামর্শে কেনো আজ ক্যাপ পরছেন..?? বইটিতে দাড়ির বিষয়ে আরো তাক লাগানোর সাইন্সের তথ্য আছে। সারে ১৪০০ বছর আগে রাসূল (সঃ) যেটা করেছে তা সুন্নাত হিসাবে জানি। কিন্তু একটা সময় নাস্তিকরা বিজ্ঞানের হালকা ছোয়া পেয়েই বলতে শুরু করে। আমরা নাকি আদিম রীতিনীতি মানি যা আধুনিকের সাথে মানায় না। কিন্তু আজ তাদেরই সাইন্সের ব্যাখ্যায় উচু কোমট ব্যবহার নিষেধ, টাইট জামা পড়া শরিলের ক্ষতি, পাকস্থালী সুস্থতায় ডান কাধ হয়ে শোয়া, বদ হজম এড়াতে বসে খেতে হবে, ১ফোটা জমজম পানির সাথে ১০০০ ফোটা জমজম পানির সাথে মিশাতে তাও জমজমের গুনাগুন অর্জন করবে ইত্যাদি। এগুলো রাসূল (সঃ) কিভাবে উম্মাতের জন্য শিখিয়ে গেলেন, তখন তো সাইন্স ছিলো না। আরে অবিশ্বাসি ভাই সাইন্সের স্রষ্ঠা তখন যে ছিলো এখনো সেও আছে এবং থাকবে........ পশ্চিমা বিজ্ঞানি গোষ্ঠী গবেষণা করতে করতে নিজেদের অজান্তেই আবিষ্কার করে ফেলেন সুন্নাহের সারনির্যাস। যারা কাল ঠাট্টা করতো আমাদের সুন্নাত নিয়ে তারা আজ তাদের ভ্রু কুচকিয়ে গেছে।। আর আমরা যারা সুন্নাত কে অবহেলা করছি তাদের জন্য আরো আফসোস এই জন্যই যে, সুন্নাতের সাওয়াব পরিত্যাগের সাথে দৃশমান বিজ্ঞানের অবহেলায় নিজের শারিরিক ক্ষতি করছি।। অবিশ্বাসিরা কি এখন রাসূলের জিবন ব্যস্থাকে অবিশ্বাস করবে নাকি বিজ্ঞানকে অবহেলা করবে। তারা বিশ্বাস করতে বাধ্য , তাই নিরব। মন্তব্য :- ------- বইটিতে ৩০ টির বেশি অধ্যায়ে ছোট বড় অনেক গুলো সুন্নাত নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।। আর এই সুন্নাত গুলো বর্তমান বিজ্ঞানে গবেষণায় বেরিয়ে এসেছে সাস্থ বিষয়ক নানা চাঞ্চল্য উপকার। বইটির সবচেয়ে আকর্ষনিয় দিক হলো প্রত্যেগটি সুন্নাতকে হাদিসের দ্বারা গুরুত্ব বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে আর বিজ্ঞানের গবেষণার তথ্য সহ চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেওয়ার মত।। বইটি পড়লে যেমন বিশ্বাসিরা সুন্নাত কে যথাযথ পালনে মনোযোগী হবে তেমনি অবিশ্বাসিরা ঠাট্টার বদলে মাথা নত করে বসবে।। বিজ্ঞানি গবেষনার তথ্য প্রতিটি পশ্চিমা বিজ্ঞানিদের আর ক্ষেত্র ভেদে জার্মান ও ভারতের তথ্যও যুক্ত করা হয়েছে।। আর ইচ্ছা করেই মুসলিম দেশের বিজ্ঞানের তথ্য দেওয়া হয়নি কারন অবিশ্বাসিরা বলতে পারে এগুলো আমাদের মন গড়া বানানো।
Was this review helpful to you?
or
“যে বই পড়ে সুন্নাতের প্রতি ভালোবাসা অনেকগুণ বেড়ে যাবে …” . প্রাক কথন- ইসলামের বৈজ্ঞানিক ভিত্তি টাইপের বই পড়তে সবসময়ই নিরুৎসাহী ছিলাম। কারণ, অধিকাংশ বইয়েই ইসলামের বিধানকে টেনেহিঁচড়ে সমসাময়িক বিজ্ঞানের মোড়ক পরানোর চেস্টা করা হয়। অথচ ইসলাম শাস্বত আর বিজ্ঞান নিয়ত পরিবর্তনশীল। কিন্তু এ বইটি যেন ব্যাতিক্রম। লেখক সুন্নতের কষ্টিপাথরে ঘষেছেন বিজ্ঞানকেই। বিজ্ঞান দিয়ে সুন্নত নয়, বরং সুন্নত দিয়ে দেখিয়েছেন তা বিজ্ঞান থেকেও কতই না এগিয়ে। খুব অল্প কিছু বইতেই আপনি প্রত্যেক পাতায় মুগ্ধতা অনুভব করবেন। টানা পড়ে যেতে ইচ্ছে করবে। এটি ছিলো তেমনই এক বই। . বিষয়বস্তু- নবীজির (স) সুন্নত মেনে চললে দুনিয়া-আখিরাত উভয় জাহানেই শান্তি যুক্তির বিচারেও এটি দাবী রাখে যে, এই বিশ্বজাহানের মালিক যিনি, যিনি সৃষ্টি করেছেন সকল বস্তু ও উপায়ান্তর, তাঁর দেখানো পথেই পাওয়া যাবে প্রভূত কল্যাণ। আখিরাতের শান্তির ব্যাপার নাহয় বুঝা গেলো, কিন্তু দুনিয়াতে সুন্নাহসম্মত জীবনবিধান কীভাবে আমাদের শান্তিময় ও সুস্বাস্থ্যময় জীবন কাটাতে সাহায্য করতে পারে? এটিই হচ্ছে এই বইয়ের আলোচ্য বিষয়। . বইইয়ের প্রথম ভাগে লেখক খুবই উপযোগী কিছু ডিসক্লেইমার দিয়ে রেখেছেন। লেখক কেন বই লিখেছেন আর আমরা কেনইবা এ বই পড়বো- এ নিয়ে সুন্দর নাতিদীর্ঘ আলোচনা হয়েছে। যদিও এ বইয়ে সুন্নাহসম্মত অভ্যাসের স্বাস্থ্যগত উপকারিতা আলোচিত হয়েছে; কিন্তু শুধু এ কারণে সুন্নত মানলে আমরাই ক্ষতিগ্রস্ত হবো, কেবল দুনিয়াই পাবো। আখিরাতও পেতে হলে সুন্নতের অনুসরণ করতে হবে শুধু এ কারণে যে- এটি আমার প্রিয় নবির সুন্নত। যে নবিকে অনুসরণের আদেশ দিয়েছেন স্বয়ং আল্লাহ সুবহানাহুওয়াতা’লা। . লেখক মূল আলোচনা শুরু করেছেন দাড়ি না কাটার স্বাস্থ্যগত উপকারিতা নিয়ে। এই অধ্যায় পড়ে মনে হতে পারে, তাহলে যৌনকেশ কেন কাটতে বলা হলো ইসলামে? যেন আপনার মনের কথাই বুঝতে পেরে পরের অধ্যায়ে লেখক যৌনকেশ কাটার বৈজ্ঞানিক কারণ আলোচনা করেছেন। এর পরের অধ্যায়গুলোতে একে একে আলোচিত হয়েছে- * গোফ ছোট রাখার স্বাস্থ্যগত উপকারিতা * ডান দিক দিয়ে সকল ভালো কাজ শুরু করার মানসিক সুফল * বাম পা দিয়ে বাথরুমে ঢুকার একটি বৈজ্ঞানিক কারণ * শুধুমাত্র উযু করে ঘুমানোর মাধ্যমে কীভাবে ভালো ঘুম অর্জন করা যায়, মানসিক শান্তি পাওয়া যায় ও রোগ-বালাই থেকে দূরে থাকা যায় * ডান কাত হয়ে ঘুমানোর উপকারিতা * ঢোলা কাপড় পরার কারণে কীভাবে মুসলিমগণ বেঁচে যাচ্ছে শত স্বাস্থ্য ঝুঁকি থেকে? * সাদা কাপড়, ঢিলে পাজামা ও টুপি পরার উপকারিতা * মিসওয়াকের গুণাগুণ * সুন্নাহসম্মত উপায়ে খাওয়ার সুফল * মাঝে মাঝে রোজা থাকার উপকারিতা * নবজাতকের হাইপোগ্লাইসোমিয়া থেকে বাঁচাতে তাহনীকের সুন্নাহ * পানীয়তে মাছি পড়লে ভালো করে ডুবাবো কেনো? * মলত্যাগের স্বাস্থ্যসম্মত উপায় * কুলুখ নেয়ার যুক্তিসঙ্গগত কারণ * জীবাণু দূরীকরণে মাটির ভূমিকা * উজু করলে কিভাবে নামাজে মনোনিবেশ বাড়ে? * ঝাড়ফুঁক এরও কী বিজ্ঞানসম্মত কারণ থাকতে পারে? * যেকারণে আজ আধুনিক বিজ্ঞানও আঁশযুক্ত খাবার খেতে বলে * রাগ দূর করার নববী পন্থার দিকেই বিজ্ঞান কিভাবে ঝুকলো প্রত্যেক অধ্যায়কেই দুই অংশে ভাগ করা যায়। একদিকে খ্যাতনামা সব পশ্চিমা রিসার্চ জার্নালে প্রকাশিত সুন্নাহসম্মত অভ্যাস নিয়ে লেখা গবেষণাপত্র আর সংবাদপত্রের রিপোর্টকে অবলম্বন করে এগুলোর স্বাস্থ্যগত গুণাবলি তুলে ধরা হয়েছে। আবার অন্যদিকে এই অভ্যাসগুলো যে সুন্নাহ দ্বারা প্রমাণিত তাও উল্লেখ করে উপযোগী রেফারেন্স ও হাদিসও যুক্ত করা হয়েছে। অতঃপর লেখক একটি হেলথ চার্ট দিয়ে দেখিয়েছেন বড়ো বড়ো রোগবালাই কী কী কারণে হয়ে থাকে আর কীভাবে সকল সুন্নাহকে মেনে চললে সুন্নাহ নিজেই একটি প্রেভেন্টিভ মেডিসিন হয়ে যায়। . বইয়ের সবচেয়ে সুন্দর কিছু অংশ- বইয়ের শেষের অংশগুলো ছিলো অসম্ভব সুন্দর, ভালোলাগা অংশ। পড়ে পুলকিত হবেন, সুন্নতের প্রতি আকর্ষণ যেনো আরো বাড়বে। এগুলোসহ বইয়ের ভালোলাগা কিছু জিনিস এখানে তুলে ধরবো- * ‘কাকতালীয়’ অধ্যায়ে লেখক নাস্তিকদের বিশ্বাসের ভিত্তিমূলেই আঘাত হেনেছেন। এতক্ষণ তো কথা হচ্ছিল সুন্নতের বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নিয়ে। এ অধ্যায়ে লেখক কুরআনের ১৪ টি মুজিযা নিয়ে এসেছেন। প্রশ্ন তুলেছেন, নবীজি যদি তাদের মতে ক্ষমতালোভী নেতাই হয়ে থাকতেন, তবে এতকিছু কেন শেখাতে গেলেন আর আজ বিজ্ঞান কেনই বা সেগুলো মেনে নিচ্ছে। . * সুন্নতি জীবনযাপনের দাওয়াত দিতে গেলেই কিছু প্রশ্ন আসে। কেউ কেউ শুধু জায়েয নিয়েই পড়ে থাকে, আবার কেউ কেউ বলে খিলাফাহ নিয়ে কথা না বলে সুন্নত নিয়ে কথা বলবেন না। লেখক তাদের জন্য চিন্তার খোরাক দিয়েছেন ‘প্রলাপ’ অধ্যায়ে। সকল দ্বীনি মেহনতের জন্য উপকারী কিছু পরামর্শ দিয়েছেন। কীভাবে মতভেদ ভুলে কমনগ্রাউণ্ডে কাজ করবো, কিভাবে সমাজ ও রাস্ট্র ব্যাবস্থার ইসলামীকরণের পাশাপাশি নিজেদের শরীরেও, জীবনেও সবক’টি সুন্নত নিয়ে আসবো সেসব জিনিস নিয়ে কথা বলেছেন। . শুধু আরামের সুন্নতের কথা বলে রাষ্ট্র পরিচালনার সুন্নত তরিকার ব্যাপারে উদাসীন হওয়া যাবেনা, চেস্টা করতে হবে। আবার শুধু খিলাফাহ খিলাফাহ বলে টং এর দোকানে দাঁড়িয়ে সিগারেট না টেনে নিজেকেও রাঙ্গাতে হবে আল্লাহর প্রিয় নবির রংয়ে।আমাদের করণীয় কী সে মর্মে একটি গাইডলাইন দেয়ার চেস্টা করেছেন। . * আল্লাহ মানুষকে একটি গুণ দিয়েছেন। তা হল সে না দেখে বিশ্বাস করতে পারে। আর এই গুণ থাকার কারণেই মানুষ হাইপোথিসিস দাঁড় করিয়ে গবেষনা শুরু করে। এটিই বিজ্ঞানের ভিত্তি। সুতরাং, বিজ্ঞানের কোন ক্রেডিট নেই। সবই তো স্রস্টার দান। . * আধুনিক বিজ্ঞানেরও কিছু সমালোচনা করেছেন। পুঁজিবাদী সমাজে গবেষণা প্রচুর হয়, কিন্তু সামনে আসে সেগুলোই যেগুলোতে আপনার পকেট খসানো যায়। অথচ সুন্নাহসম্মত জীবনযাপন করলে আপনার রোগবালাইয়ের বিরুদ্ধে তা প্রেভেন্টিভ মেডিসিন হিসেবে কাজ করবে। আপনাকে রক্ষা করবে কতশত দূরারোগ্য ব্যাধি থেকে। . লেখনী- লেখক বইটি লিখতে যথেষ্ট ঘাটাঘাটি করেছেন। Researchgate, Sciencedirect সহ বিশ্বখ্যাত সব জার্নালের থেকে প্রচুর পরিমাণে গবেষণাপত্র ঘেটেছেন। পশ্চিমা সব বাঘা বাঘা পত্রিকার রিপোর্ট ও ব্যাবহার করেছেন। এমন বইয়ের ভাষা গুরুগম্ভীর হওয়াটাই স্বাভাবিক ছিলো। কিন্তু না, লেখক স্বীয় মুন্সিয়ানার দ্বারা বইকে অসম্ভব সুখপাঠ্য করে রচনা করেছেন। সুযোগ পেলেই ব্যাবহার করেছেন হিউমারের, আবার কখনো অল্প কথায় বিবেককে ধাক্কা দিয়েছেন। লেখক নিজে একজন ডাক্তার, আর সে কারণেই হয়তবা বর্ণনাশৈলী আরো বেশি সাবলীলতা পেয়েছে, যুক্ত হয়েছে মানবদেহের নানা অভ্যান্তরীণ অঙ্গের কার্যপ্রণালীর ছবিও। সর্বোপরি লেখক সমস্ত বইটি এমন বৈঠকি ঢংয়ে লিখে গেছেন যে মনে হবে লেখক আপনার পরিচিত কেউ, একসাথে বসে চা খেতে খেতে আড্ডা দিচ্ছেন। . শেষকথা- আপনি যদি পড়ে না থাকেন, বইটি অবশ্যই পড়বেন। সুন্নতের প্রতি আপনার ভালোবাসা বৃদ্ধি পাবে। বইয়ের পেজ সেটআপ, বানান, প্রচ্ছদ সবকিছুই বেশ ভালো ছিলো। . প্রথমদিকে যখন জেনারেল লাইনের লোকেরা ইসলাম নিয়ে লেখায় আসতে শুরু করলো, অনেকের মনে একটা আশংকা কাজ করতো।যারা আলেম নন, তারা যদি আবার আলেমদের মতো ফাতওয়া দিতে শুরু করেন! কিন্তু না, জেনারেল লাইনের ভাইয়েরা নিজেদের সীমা চিনে নিয়েছেন। যিনি যে অঙ্গনে দুনিয়াবি বিচারে দক্ষ, সেখানে থেকেও লব্ধ জ্ঞানের আলোকে ইসলামের সৌন্দর্য নিয়ে লেখা যায়। ফাতওয়া দেয়া বা ইলমি কাজগুলো আলেমদের হাতেই ন্যাস্ত থাকুক। আলহামদুলিল্লাহ্, ভাইয়েরা নিজেদের গণ্ডি চিনে নিয়েছেন। . এই বইটি এমন এক বই যা ইংরেজী ভাষায় প্রকাশ করে আন্তর্জাতিক বাজারে ছাড়া হলে ব্যাপক পাঠকপ্রিয়তা পাবে বলেই বিশ্বাস করি। সেই লেভেলের একটা কাজ হয়েছে। শেষ করবো লেখকের কিছু আকুতি দিয়ে- * এতিম নবিকে নিজের পরিবারে, শরীরে, ব্যাবসায়, আচার-প্রথায় জায়গা দিবেন এমন কেউ আছেন? * আছেন কি এমন কোনো আল্লাহর বান্দা যিনি চব্বিশ ঘন্টা নবীর সুন্নতে সাজাবেন নিজেকে? * সকল বাঁধা ডিঙ্গিয়ে ব্যাক্তি ও পরিবারজীবনে, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় জীবনে সুন্নতের পাবন্দ করতে কী পারবো আমরা? . বইয়ের নামঃ কষ্টিপাথর লেখকঃ ডা শামসুল আরেফীন শারঈ সম্পাদক- আলী হাসান উসামা প্রকাশনীঃ শুদ্ধি ধরনঃ সুন্নত ও বিজ্ঞান প্রকাশকালঃ ফ্রেব্রুয়ারি ২০১৮ কলেবরঃ ১৭৬ পৃষ্ঠা (পেপারব্যাক) মুদ্রিত মূল্যঃ ২০০ টাকা।
Was this review helpful to you?
or
ডা. শামসুল আরেফিনের কষ্টিপাথর বইটি অসাধারণ। আমি মনে কোনো লেখকের বই যদি ভালো হয় মানুষের উপকারে আসে তাহলে তা কমেন্টে জানানোটা একটা দায়িত্ব। তাহলে মানুষ বুঝতে পারবে এ বইটা তাদের উপকারে আসবে। ইসলামের মাঝেই রয়েছে সকল সমস্যার সমাধান। আমাদের নবীজী (সঃ) আমাদের শিখিয়ে গেছেন আমার মুক্তির পথ। কিন্তুু আমরা সেই ইসলামকে ভুলে আধুনিক নিয়মনীতি কে আকড়ে ধরছি। ইসলামের মাঝে অনেক কিছু আছে যেগুলো এতো অল্প পেজে লেখা সম্ভব নয়। ডা. শামসুল আরেফিন বিভিন্ন রেফারেন্স দিয়ে আমাদের বুঝিয়েছে যে ইসলামকে আমাদের আকড়ে ধরা উচিত৷ তিনি আমাদের ভাবিয়েছেন ইসলাম নিয়ে। আমি মনে করি বইটা সকলের পড়া উচিত।
Was this review helpful to you?
or
অসাধারন একটি বই...আমার জীবনে এতোটা প্রভাববিস্তারকারী বই খুব কম...যারা ব্যাকডেটেড বলে সুন্নাহ বাদ দিত, বইটি পরলে তারাই নিশ্চিৎ এর পিছনে দৌরাতে শুরু করবে...চিন্তার খোরাক রয়েছে অবিশ্বাসীদের জন্যও...
Was this review helpful to you?
or
আল্লাহ লেখককে উওম প্রতিদান দান করুন।
Was this review helpful to you?
or
বইটিতে একজন ডাক্তারের অনুসন্ধানী কন্ঠে চলমান বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে রাসূল (সঃ) এর সুন্নাহর অবস্থান দৃশ্যমান।চমকপ্রদভাবে তলে ধরা হয়েছে ১৪০০ বছর আগের প্রিয় ব্যক্তিত্বের রীতিনীতি যার গুনাগুন আজকের বিজ্ঞান সুস্পষ্টভাবে দেখিয়ে দিচ্ছে।বইটি তাদের জন্য যারা ইসলামকে ব্যাকডেটেড মনে করেন,যারা ইসলাম ও বিজ্ঞানে শীতলতা দেখেন।এক পর্যায়ে পাঠক যখন প্রাত্যহিকতায় সুন্নাহর গুনাগুন(বিজ্ঞানের দৃষ্টিকোণে) দেখে অভিভূত হন,তখনি তিনি বারবার স্মরণ করিয়ে দেন নিয়তের গুরুত্ব।নিয়ত গুনেই বরকত। বলে দেন ,উপকারীতা দেখে নয়,আল্লাহ তায়ালা চেয়েছেন এবং রাসূল পালন করেন বলেই আমাদের পালন করতে হবে।উপকার যা আছে সবই বোনাস।এ সংযোজন (সায়েন্টিফিক ব্যাখ্যা) তো কেবল্ বিক্ষিপ্ত অন্তরকে ঠান্ডা করার জন্য।সাভাবিকভাবেই বইটিতে প্রচুর মেডিক্যান টার্ম ও সুস্পষ্ট রেফারেন্স ইউজ করা হয়েছে। “জীবনের অপর নাম পানি” শিরোনামে লিখিত অংশটা আমারকাছে দারুণ লেগেছে।ব্যক্তিগতভাবে প্রচুর নতুন বিষয় জেনেছি,শিখেছি,সুন্নাহকে নতুনভাবে দেখেছি এবং তা পালনে সচেষ্ঠ হয়েছি। শুদ্ধি পাবলিকেশন থেকে প্রকাশিত বইটির মূদ্রিত মুল্য ২০০ টাকা।মুদ্রন ও বাইন্ডিং মাশাল্লাহ ভালো ছিল।
Was this review helpful to you?
or
আলহামদুলিল্লাহ্! বইটা পড়লে সুন্নাহ্ এর প্রতি ভালোবাসা মজবুত হবে, ইন শা আল্লাহ্!
Was this review helpful to you?
or
বইটির মুদ্রিত মূল্য যেখানে দুইশতো টাকা সেখানে আপনারা দু’শো চল্লিশ দাম দেখিয়ে পনেরো পার্সেন্ট ডিসকাউন্টে কি করে দু’শো চার টাকা চান।? কি করে একটু বলবেন কি? ??? অনেক বইয়ের ক্ষেত্রে আপনাদের এই অসংগতি লক্ষ্য করেছি, যা সত্যিই দুঃখজনক।
Was this review helpful to you?
or
নামঃ কষ্টিপাথর লেখকঃ ডা. শামসুল আরেফিন প্রকাশনীঃ শুদ্ধি পৃষ্ঠাঃ ১৭৬ মূল্যঃ ৳২০০ প্রকাশকালঃ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ আমার রেটিংঃ ৫/৫ রিভিউঃ প্রশ্নঃ- ভালো বই কি? স্যার আব্দুল্লাহ আবু সায়ীদঃ যে বই পাঠককে ভাবায়, তাই ভালো বই। এতো গেলো ভালো বইয়ের সংজ্ঞা। এই বইটা সেরকম একটা বই। এক কথায় অপূর্ব। লেখক “ডাবল স্ট্যান্ডার্ড” দিয়ে আমাদের ঈমান পোক্ত করতে উৎসাহী করেছিলেন। আর “কষ্টিপাথর” দিয়ে, আমাদের ঈমান, ইসলাম এবং দীনের প্রতি আমাদের commitment কতটুকু দৃঢ় আর বিজ্ঞান জ্ঞানীবৃদ্ধ সুন্নাতের কাছে কতখানি শিশুতুল্য আধুনিক তা যাচাই করার জন্য ভাবতে বাধ্য করেছেন। শুধু ফরজ ইবাদত করে হয়ত জান্নাত পাওয়া সম্ভব, কিন্তু নবীজীর সুন্নাতও ফেলনা নয়। নবীজীর সুন্নাতও স্রষ্টারই আদেশ, তাই সুন্নাত পালনও আমাদের কর্তব্য, নইলে আমরা দাঁড়াবো কার পাশে? আল্লাহ আমাদের হেফাজত করুন।
Was this review helpful to you?
or
যুক্তির অসাধারণ সংমিশ্রণে লিখা অতুলনীয় একটি বই
Was this review helpful to you?
or
অসম্ভব সুন্দর একটা বই । এটা মুমিন ভাইদের জন্য ঈমানকে আরও মজবুদ করার একটা বই। অপর দিকে অমুসলিম ভাইদের জন্য অনেক প্রশ্ন্বের উত্তর। যে সকল ভাই ইসলামের সুন্নাতকে ভালোভাবে না জেনেই বিভিন্ন কুটক্তি করেন (যেমনঃ মুসলিমরা কুসংস্কারোচ্ছন্ন, মূর্খের দল ইত্যাদি ), দয়া করে এই বইটি পড়ার অনুরোধ রইল। ডাঃ শামসুল আরেফীন দ্বীনি ভাইয়ের প্রতি অনুরোধ রইল, পরবর্তি বই প্রকাশের। আর রইল অনেক ভালোবাসা।
Was this review helpful to you?
or
বইয়ের নাম কষ্টিপাথর। বাংলা এই শব্দের মানে বলতে আমরা জানি স্বর্ণ পরীক্ষা করার কাজে যে পাথর ব্যবহার করা হয়। এখানে বিজ্ঞানকে পরীক্ষা করা হয়েছে ইসলাম দিয়ে। কারণ আধুনিক বিজ্ঞান গবেষণা করে কিছুদিন আগে যা পেয়েছে তা মুসলমানরা প্রায় ১৪০০ ধরেই মেনে চলছে। তাহলে শুরু করা যাক। বই কষ্টিপাথর। লেখক: ডা. শামসুল আরেফীন বিষয়বস্তু: মুসলমানদের জন্য ইসলাম হচ্ছে দ্বীন যার অর্থ পরিপূর্ণ জীবন-ব্যবস্থা। যেখানে জীবনের সব কাজের ইসলাম-সম্মত পদ্ধতি এবং কিভাবে করতে হবে তার সবটাই বলে দেয়া আছে। ১৪০০ বছর আগেই আমাদের নবী সুন্নাহার মাধ্যমে এসব বলে গিয়েছেন শুধু তাই নয় উনার সুন্নাহ হিসাবে পালন করলে আমাদের জন্য রয়েছে পরকালের সুখ এবং এই জীবনে আল্লাহর নেয়ামত। কিন্তু আধুনিক যুগে স্বল্প জানা বিজ্ঞান, ধর্ম নিরপেক্ষতার নামে ইসলামের বিরোধিতা এবং লোকলজ্জার ভয়ে আমরা এসব থেকে সরে এসেছি এবং ভাবতে শুরু করেছি যে আধুনিক বিজ্ঞান এদের চেয়ে ভালো কিছু দিয়েছে। এই বইতে এমনসব বিষয়কেই তুলে ধরা হয়েছে যেখানে বিজ্ঞান প্রমাণ করেছে ১৪০০ বছর আগে বাতলে দেয়া পদ্ধতি পালনেই বেশী উপকার দুনিয়ায় আর আখিরাতের কথা তো আল্লাহ নিজেই বলেছেন। বইটিতে অবাক করে দিয়েই যুক্ত করা হয়েছে অসংখ্য রেফারেন্স। কি ভেবেছেন হাদিসের? জি তা রয়েছে কিন্তু যুক্ত হয়েছে আধুনিক বিজ্ঞানের দেয়া ভুঁড়ি ভুঁড়ি রেফারেন্স। বিখ্যাত জার্নাল, বিজ্ঞানীদের আর্টিকেল যা পুরো লেখাকেই বিশ্বাসযোগ্য করে তুলে। বইয়ের শেষে "প্রলাপ" নামে একটি অংশ যুক্ত করেছেন লেখক। যেখানে মুসলিমদের বলেছেন কেনও শুধু জায়েজ কাজের মধ্যে থেমে না থেকে আরও বেশী আমল করে নিজেদের স্থান দুনিয়া এবং আখিরাতে আরও সন্মানীত করবেন। পাঠ প্রতিক্রিয়া: পাঠক হিসাবে আমাকে অনেক নতুনই বলতে পারেন। খুব বেশী বই পড়া হয়নি এখনও তবে অনেক বেশী পড়তে চাই। বইয়ের শুরুতেই যখন লেখন ঘোষণা দিলেন তিনি যোগ করেছেন বিদেশী সব রেফারেন্স এবং তিনি নিজেই দেখলাম একজন ডাক্তার যেহেতু বইটি স্বাস্থ্য নিয়েই তাই আরও আগ্রহী হয়ে উঠলাম। টানা ৫০ পেজ পড়ে ফেললাম। খুবই সহজ পাঠ বইটি। লেখা পড়ে বুঝলাম উনি আসলেই অনেক রেফারেন্স দিয়েছেন। চেয়েছিলাম কিছু যাচাই করি। অপেক্ষা করলাম শেষ করার। রাতে বসলাম বই নিয়ে। আরও বেশী মনোযোগ কেড়ে নিলো। অবাক করা সব তথ্য যোগ হতে থাকলো। বলেছিলাম পরীক্ষার কথা। পানি নিয়ে লেখার একটা পার্ট গুগল করলাম। দেখলাম যা যা বলেছেন সবটাই ঠিক। নিজেই অবাক হয়ে গেলাম কেনও আরও আগেই জানলাম না। আমি এখানে নিরপেক্ষভাবে লিখছি কিন্তু পড়বার সময় আরও অনেক আবেগী হয়ে গিয়েছিলাম। লেখাটি সবার জন্য। বইটি সবাই পড়তে পারেন। যারা যুক্তি,রেফারেন্স,বিজ্ঞান দিয়ে বিচার করেন এবং মুক্তভাবে যেকোনো যুক্তি বুঝতে চান আপনারা সবাই পড়তে পারবেন বইটি। হ্যাঁ,যারা মুসলমান আছেন তাদের জন্য অবশ্যই পড়া উচিত। লেখক শেষদিকে আমাদের জন্য খুবই নমনীয় ভাবেই উপদেশ দিয়েছেন। লেখক বলেছিলেন বাধ্য করবেন না,চিন্তার খোরাক দিবেন। সত্যি তিনি পেরেছেন। ব্যক্তিগতভাবে আমি নিজের একটা দোষ বলি। আমি ইসলামিক বই পড়ার আগ্রহ হারাই সঠিক উপস্থাপনার অভাবে, তবে বলছি আরিফ আজাদ সাহেব এবং ডা. শামসুল আরেফীন সাহেবের লেখা পড়ার পর আমি অনেক আগ্রহী হয়ে উঠেছি। আমি তাদের বলবো আপনাদের খুবই দরকার ছিলও এই সময়ে। আপনারা আরও বই লিখবেন তবে খেয়াল রাখবেন যাতে মানটাও ঠিক এমনই থাকে।
Was this review helpful to you?
or
- কী বই পড়তেছিস? নাম দেখি? - কষ্টিপাথর - ওহ! (যার নামই এমন তার ভেতরে কী থাকতে পারে তা বোঝা হয়ে গেছে) বাহ! জনাব/বা! মানুষের বেলায় ঠিকই 'Don't judge a book by its cover' আওড়ানো হয় কিন্তু যে বই নিয়েই প্রবাদটা রচিত সেখানেই হয়ে গেল ডাবল স্ট্যান্ডার্ড! জ্বি, এই ডাবল স্ট্যান্ডার্ড সিরিজ এর লেখক ডা শামসুল আরেফীনেরই এবারের বইমেলার লেখা "কষ্টিপাথর"। আদতে বইটি কষ্টিপাথর হলেও অনেকের জন্যই নাম Touchstone হলে হয়ত বইয়ের বিক্রি বা অন্তত পড়ে দেখার ব্যাপারে তাদের আগ্রহের জায়গাটায় একটু ভিন্ন প্রতিক্রিয়া দেখা দিত। ঐ যে লেখক যেভাবে বলেন, ১৯০ বছরের ইংরেজওয়াশ কি আর সহজে ছাড়ে? যতক্ষণ না সবকিছু ইউরোপিয়ান মানদন্ড ছুঁতে পারছে ততক্ষণ ঠিক জাতে ওঠা যাচ্ছেনা। বইটি একটি কুঠারাঘাত বটে। অনেক জ্ঞানীগুণী ব্যক্তিবর্গ বহুকাল সুন্নাহকে বিজ্ঞান দিয়ে ঘষে গেছেন। আজকে বিজ্ঞানকে একটু সুন্নাহ দিয়ে ঘষার পালা। Why should 'boys' have all the fun? শিশুদের উত্তর তো বয়োঃজ্যেষ্ঠরাই দেবে, তাই না? বইটি মূলত ২ ভাগে, ১ম ভাগে, ১৪০০ বছর ধরে পালন করে আসা সুন্নাহ অর্থাৎ রাসূলের(সা) করা এবং করতে বলা ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র কর্মসমূহকে কীভাবে আজ বিজ্ঞান সম্মতি জ্ঞাপন করছে, কীভাবে এই সেকেলে মুসলিমরা এতটা আধুনিক তরিকায় এ যাবৎকাল ধরে এসব করে যাচ্ছে যেখানে এসবের আবিষ্কার এই সেদিনের মাত্র, কীভাবে তৎকালীন কোন বৈজ্ঞানিক ভিত্তি ছাড়াই আজকের বিজ্ঞানলব্ধ জ্ঞান তখন প্রয়োগ করা হয়েছে, কেন একজন রাষ্ট্রনায়ক হয়ে মানুষের এই দৈনন্দিন খুঁটিনাটি বিষয়ে তিনি বলে গেছেন অথচ ইতিহাসে কোন সম্রাট কেউ নেই যে এই সমস্ত ক্ষুদ্র কাজ ( যেমন শৌচাগার থেকে শুরু করে পানি খাওয়া, খাদ্য গ্রহণ, ঘুমানোর নিয়ম, ডান-বামপন্থা, পোশাকের ব্যবহার ইত্যাদি অসংখ্য) নিয়ে মাথা ঘামিয়েছেন এবং হাজার বছর ধরে তাঁর অনুসারীরা সেটা লিপিবদ্ধ রেখেছে ও মেনে চলেছে, আজ এসে ধরা পড়ছে তার সুফল, কীভাবে এই নিরক্ষর মরুচারীর পক্ষে এই আধুনিক বিজ্ঞান জানা সম্ভব হল? লেখক পাতায় পাতায় অসংখ্য চিকিৎসা বিজ্ঞানের রেফারেন্স টেনে গেছেন, চিকিৎসা বিজ্ঞানের বাইবেলতুল্য জার্নালের সহায়তা নিয়েছেন, ছবির পাশাপাশি লিঙ্ক পর্যন্ত ছেপে দিয়েছেন, এবং যাদের আরবীয় বিজ্ঞান নিয়ে এলার্জি আছে তাদের জন্য ঐসব বাদ দিয়েই অমুসলিমদের বানানো আন্তর্জাতিক মান সম্পন্ন গবেষণার ফলাফল ব্যবহার করেছেন। নাক সিটকানো যাদের স্বভাব, বইটিকে তাই আর দশটি বিজ্ঞান ও ধর্ম বই এর মত ভেবে থাকলে ভুল হতে পারে। আগে পড়ুন, যেই বিজ্ঞানকে স্রষ্টার আসীনে উন্নীত করেছেন সেই বিজ্ঞানই পড়ুন, বিজ্ঞানের উপর ভরসা থাকলে জানুন, আর নাহলে আমার মতের সাথে এই বিজ্ঞান যায়নাই বলে ডাবল স্ট্যান্ডার্ড পালন করুন। বইয়ের ২য় এবং সবচেয়ে ক্ষুদ্র ভাগটি বিশ্বাসীদের জন্য, সুন্নাহকে অর্থাৎ রাসূল(সা) এর তরিকাকেই মুসলিমরা আজ কীভাবে প্রয়োজনীয় নয় বলে উপেক্ষা করে যাচ্ছে, এবং সেই অপ্রয়োজনীয় সুন্নাহের স্থলে বিজাতীয় সুন্নাহ কীভাবে জায়গা করে নিচ্ছে তার সূক্ষ্ম বিশ্লেষণ লেখন করে যাবার চেষ্টা করেছেন। এবং অত্যন্ত ভালবাসার সাথে অন্তর নিংড়ে কিছু কথা শেষে লিখে গেছেন। আমার এই লেখনী যদি কেউ পড়ে থাকেন আমি চাই লেখকের সেই দরদ মাখা কথাগুলো আপনার অন্তর পর্যন্তও পৌঁছাক, নাড়া দেবার দায়িত্ব ঐ বরকতময় অক্ষরগুলোর অধীনে। আস্তিক, নাস্তিক, অমুসলিম হোন আর সংশয়বাদী - এই লেখা আপনাকে চ্যালেঞ্জ করে নয় বরং কেবলই চিন্তার খোরাক যোগাতে, আধুনিক মানুষ, অবশ্যই আধুনিকতাই আপনার কাম্য, ১৪০০ বছর ধরে যদি কিছু অজানা থেকে থাকে জেনে নিতে অসুবিধা কোথায়? "এগুলো সায়েন্সের জন্মের আগেই সায়েন্সের স্রষ্টার দেয়া 'ভক্তির মোড়কে সায়েন্স'। ১৪০০ বছর উম্মাহ ভক্তির মোড়কে সায়েন্স খেয়েছে। আজ সায়েন্স কারও একচেটিয়া বাণিজ্য... এখনো ভক্তির মোড়কেই খান... যুক্তিটা জানুন... কিন্তু খান ভক্তিভরে, ভালোবেসে..." বইঃ কষ্টিপাথর প্রকাশনাঃ শুদ্ধি মুদ্রিত মূল্যঃ ২০০৳ rokomari.com কে ধন্যবাদ সময় মত প্রি অর্ডারের জন্য কল করার জন্য।