User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
কলকাতা-আগ্রা-জয়পুর-সিমলা-মানালি-দিল্লী-কলকাতা এই ছিলো শিক্ষক ও ছাত্রছাত্রীদের দীর্ঘ ভ্রমণের পথ।এই স্থানগুলোতে ঘুরতে গেলে বইটি সাথে রাখা সহায়ক হবে বলে মনে করি। এক স্টার কম দিতে হলো কারণ ভ্রমণ দিনলিপিটির বেশ কিছু জায়গায় মাস্টার মশাই প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত(!) ইতিহাস ঝেড়েছেন।
Was this review helpful to you?
or
ভ্রমণ সবসময়ই আনন্দদায়ক। সেই আনন্দ আরো বহুগুণ বেড়ে যায় সদলবলে হইহই রইরই করে বেড়িয়ে পড়লে। আবার ভ্রমণ পিয়াসী মনে অন্যের ভ্রমণের গল্প শুনেও সমান ভাবে মুগ্ধতায় ডুবে গিয়ে নিজেও উতলা হওয়া যায়। যেকোনো ভ্রমণেই অফুরান ভালোলাগার পাশাপাশি রাশি রাশি অভিজ্ঞতার ভান্ডার সমৃদ্ধ করার অকৃত্রিমতায় ভরে ওঠে। তেমনি শাহ্ মোস্তফা খালেদের 'ভারত ভ্রমণের দিনলিপি' বইটির ভাজে ভাজে ফুটে উঠেছে লেখকের মুগ্ধতার আবেশে সুনিপুণ অভিজ্ঞতার বহুরূপী, বহুমাত্রিক বয়ান। লেখক একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক। একজন ভালো মনের এবং মানের পরিব্রাজক, সেটা বইটি পরতে গিয়েই টের পাওয়া যায় বেশ ভালোভাবেই । ডিপার্টমেন্ট এর বেশ কিছু ছাত্র ছাত্রী, সহধর্মিণী সমেত মোট ১৫ দিনের ভারত ভ্রমন কালে প্রতিদিনের রোজনামচার সাজানো গোছানো অসাধারণ ব্যাঞ্জনাময় সংকলিত রুপান্তর ই এই 'ভারত ভ্রমণের দিনলিপি '। বইয়ের ভাষা অত্যন্ত মাধুর্যময়। বিভিন্ন জায়গার চোখ খোলা বর্ণনা, ছোটখাট সুনিপুণ বৃত্তান্ত, দরকারি তথ্য উপাত্ত, ব্যাক্তি ও দলগত গল্পের সুশোভিত সম্ভার বইটিকে যথেষ্টই নান্দনিক করে তুলেছে। লেখকের উপস্থাপনার মুন্সিয়ানায় আগ্রা, সিমলা, জয়পুর, মানালি, দিল্লি, কলকাতা চোখের সামনে খেলে যায়। তাছাড়া ছাত্র-ছাত্রী, লেখকের সহধর্মিণীর, এবং লেখকের নিজের বিভিন্ন টুকরো ঘটনা কখনো হাসায় কখনোবা ভালোলাগার রেশ বইয়ে দেয়। গাইড এবং গাইডেড ট্যুর নিয়ে লেখক এবং দলের অভিজ্ঞতা এবং উপলব্ধি বেশ উপভোগ্য। 'ইতিহাসের সাক্ষী দিল্লি' এই চ্যাপ্টার পড়তে গিয়ে মনে চাঞ্চল্য খেলা করে। '১৬৪৪ থেকে ১৬৫৬ সালের মধ্যে সম্রাট শাহজাহান নির্মাণ করছেন মসজিদ-ই-নুমা। নামটির অর্থ বেশ, 'mosque commanding view of the world । দিল্লি জামে মসজিদ হিসেবেই বেশি পরিচিত তিন গম্বুজ বিশিষ্ট এই মসজিদ। মাঝের সুপ্রশস্থ চত্বর, ঠিক কেন্দ্রে অজু করার চৌবাচ্চা ও চারপাশের উঁচু দেয়াল নিয়ে এই মসজিদ কিছুটা ফতেহপুরের মসজিদের কথা মনে করিয়ে দেয়'। বইজুড়েই এরকম তথ্য উপাত্ত, বর্ণনার মাধুর্য, তরুণ ছাত্র-ছাত্রীদের সরব উপস্থিতি, শব্দ ও ভাষার সুদক্ষ মিশেল বইটিকে যথেষ্টই উপভোগ্য ও জীবন্ত করে তুলেছে।। বি.দ্র: বইটি পড়তে গিয়ে টের পাইনি, পরে দেখেছি এটি লেখকের প্রথম বই। চমৎকার। বি.দ্র: বইটি পড়তে গিয়ে টের পাইনি, পরে দেখেছি এটি লেখকের প্রথম বই। চমৎকার।
Was this review helpful to you?
or
ছোটবেলা থেকে এখন পর্যন্ত আমার গল্পের বই পড়ার আগ্রহ বরাবরই কম। এযাবৎ লেখাপড়ার বইয়ের বাইরে গল্পের বই পড়েছি বলতে গেলে হাতে গোনা অল্প। যা পড়েছি তার বেশিরভাগই প্রেমের গল্প বা রোমান্টিক উপন্যাস। ভ্রমণ বিষয়ক বই বলতে জীবনে প্রথম পড়লাম শাহ্ মোস্তফা খালেদ রচিত 'ভারত ভ্রমণের দিনলিপি' বইটি। শাহ্ মোস্তফা খালেদ একজন কর্মঠ, নিষ্ঠাবান, পরিশ্রমী ও কাজের ব্যাপারে আত্ম-নিয়োজিত শিক্ষক। পাশাপাশি একজন উচ্চমানের লেখক। তাঁর লেখার সমালোচনা করার যোগ্যতা আমার মতো সাধারণ মানুষের নাই বললেই চলে। আর আমি তার মতো সাবলীল লেখকও নই যে খুব সহজে লিখে ফেলব। তবে ধন্যবাদ লেখককে, তাঁর জন্যে আমি এই বইটি পড়ে রিভিউ লেখার সুযোগ পেয়েছি। বইটি পড়তে পড়তে আমি ২০১৬ সালে ফিরে গেছি, যখন ২০ জন সহযাত্রী নিয়ে আমি ১৫ দিনের একটি হেকটিক ট্যুরে উত্তর ভারত ঘুরে বেরাচ্ছি। ওই ভ্রমণে যে ছয়টি শহরকে কেন্দ্র করে ঘুরে বেরিয়েছি, এই বইটিতে লেখক তার বিশদ বর্ণনা দিয়েছেন। খুব নিখুঁতভাবে বিভিন্ন জায়গার সংস্কৃতি, পূর্ব ইতিহাস - মুঘল ও ইংরেজ আমলের ইতিহাস, প্রেমের নিদর্শন, রেস্তরাঁ, হোটেল, শপিং মল, সিনেমাহল, বাগান, ঝর্না, পাহাড়, নদী ইত্যাদির বর্ণনা করেছেন। কখনো ট্রেনে, কখনো গাড়িতে বা বিভিন্ন জায়গায় বসে লেখা রচনাটি পড়তে গিয়ে মনে হয়েছে লেখক অনেক জায়গায় প্রকৃতি ও প্রেমের নিদর্শন দেখে নিজেও ভাবাবেগে আক্রান্ত হয়েছেন। সে ভাবকে অতিক্রম করে তিনি ট্যুরের অভিভাবক হিসেবে তাঁর দায়িত্বটাই গুরুদায়িত্ব হিসেবে পালন করেছেন। বইটি পড়ে আমি আবারও হারিয়ে যাই আগ্রার তাজমহল, সিমলার মল চত্বর, সিমলা থেকে মানালি যাওয়ার পথ, দিল্লি ও কলকাতায় ফেরার ট্রেনের যাত্রা। বইটিতে ভ্রমণের মাঝে মাঝে লুকিয়ে আছে প্রেম - প্রকৃতির প্রেম, মানুষের প্রেম, ইতিহাসে অমর প্রেম। সৃষ্টির শুরু থেকেই প্রেমের শুরু। প্রতিটি মানুষের মনেই প্রেম দোলা দেয়। সে দোলা অনুভব করতে আজই বইটি সংগ্রহ করুন, জেনে নিন উত্তর ভারতে ঘুরতে যাওয়ার স্থানসমুহকে। শিক্ষা সফরে যাওয়া বন্ধুরা ছাড়াও, যারা মধুচন্দ্রিমায় যেতে চান, অথবা যারা কর্মব্যস্ততা-সংসার ও রাস্তার যানজটে অতিষ্ট, তারাও সপরিবারে ঘুরে আসতে পারেন পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের এই শহরগুলোয়। লেখক চেষ্টা করেছেন সবকিছুর বিস্তারিত তুলে ধরতে। এমনকি কোথায় কম খরচে শপিং করতে পারেন, এবং বাংলাদেশে সাধারণভাবে দুষ্প্রাপ্য ভারতীয় পণ্যের বিষয়েও লেখক তথ্য দিয়েছেন। লিখেছেন প্রিয়জনকে কী উপহার দিতে পারেন ভারত থেকে এনে। লেখকের প্রথম বই হিসেবে 'ভারত ভ্রমণের দিনলিপি' বইটি বেশ চমৎকার। কিছু ছোটোখাটো ছাপার ভুল আছে, কিন্তু সামান্যই। সার্বিক বিবেচনায় 'ভারত ভ্রমণের দিনলিপি' একটি ইন্ডিয়া ট্যুর গাইড। আমার বিশ্বাস বইটি পড়লে যে কোনো পাঠকই ভারত ভ্রমণের স্বাদ আস্বাদন করতে পারবেন। ভাষার মাসে বসন্তের রোদেলা শীতল বাতাসে ভালবাসার হাত ধরে লেখক শাহ্ মোস্তফা খালেদ লিখিত ভ্রমণ ও প্রেমের কাহিনী 'ভারত ভ্রমণের দিনলিপি' বইটি সংগ্রহ করুন বইমেলায় অন্যরকম প্রকাশনীর ৪৫৭ নম্বর স্টল অথবা আদর্শ প্রকাশনীর ৩২৬-২৮ নম্বর স্টল থেকে। রকমারি(ডট)কম-এ অর্ডার করতে পারেন http://bit.ly/2DOMOa0 লিংকে। ইতিমধ্যেই বইটির প্রথম মুদ্রণ শেষ। যারা এখনও সংগ্রহ করেননি, দ্বিতীয় মুদ্রণ শেষ হওয়ার আগেই সংগ্রহ করে ফেলুন। ট্যুরের ছবি দেখার জন্য https://www.facebook.com/pg/BharatVromonerDinlipi/photos/ লিংক ঘুরে আসুন।
Was this review helpful to you?
or
আমি বইটি পড়েছি। বলা যেতে পারে লেখকের লেখার হাত সম্পর্কে পূর্বেকার ধারণা থাকায় বেশ আগ্রহ নিয়েই বইটি পড়েছি। বইটি যখন কিনি, আমার সাথে যিনি ছিলেন, তিনি বলছিলেন, --ভ্রমণকাহিনী পড়াটা তার জন্যে খানিকটা কষ্টকর। তা এরকম যাদের অবস্থা, তাদের জন্য বলতে চাই, বইটি শুধুমাত্র একটি ভ্রমণকাহিনী নয়, এর প্রত্যেকটি পাতায় সুচারুরূপে যেভাবে ভারতের নানান দর্শনীয় স্থানের এবং স্থাপত্যের বর্ণনা রয়েছে, তার পাশাপাশি যেভাবে উঠে এসেছে এদের প্রত্যেকটির ব্যাপারে নাম না জানা বিভিন্ন তথ্য, তাতে এটি খুব স্পষ্ট যে, এটি লেখকের প্রচুর গবেষণার ফসল। আসলে ভ্রমণকাহিনী পড়তে আবার ভাল লাগেনা কারু এমন কখনো শুনিনি। আমার ভ্রমণপিপাসু মন বইটি পড়তে গিয়ে বারবার ফিরে গেছে ছেলেবেলার সেই সময়টাতে যখন সত্যজিৎ রায়ের 'ফেলুদা' কিংবা সুনীল গঙোপাধ্যায়ের 'কাকাবাবু সমগ্র' গোগ্রাসে গিলতাম। পাঠকদের বইটি পড়া দরকার শুধুমাত্র এই জন্যে নয় যে এটি থেকে যারা ভারতভ্রমণে আগ্রহী বা কোনকারণে পিছপা হয়েছেন তাদের ভারত ভ্রমণের ইচ্ছা আরো দ্বিগুণ হয়ে যাবে, বরঞ্চ এইজন্যেই পড়া উচিৎ কারণ এতে সেই সসময়কার ভারত উপমহাদেশের( বাংলাদেশও এক সময় যার অংশ ছিল) বৈশিষ্ট্য, শিল্প-সংস্কৃতি ও স্থাপত্যশৈলী'র অন্যরকম দিক উন্মোচিত হয়েছে, যা এখনো আমাদের অনেকের কাছেই অজানা। আমার মতে,পরিব্রাজকের পক্ষে স্থানের দর্শন সম্ভব। কিন্তু সেই দর্শনীয় স্থানের বিশ্লেষণ একমাত্র লেখকের দ্বারাই সম্ভব। যা এই বইয়ে অত্যন্ত সাবলীল ভঙ্গিতে প্রকাশ পেয়েছে। বইটি পড়তে পড়তে মনে হয়েছে, যেন নিজেরাই ভ্রমণে বেরিয়েছি, কাছের মানুষদের সাথে নিয়ে...নব উন্মোচনের পথে...দূর দূরান্তের পথে..... বইটি এবারের একুশে'র বইমেলায় "অন্যরকম'' -এর স্টলে পাওয়া যাচ্ছে। এছাড়াও 'রকমারি' তে অর্ডার করলেও পাওয়া যাবে।
Was this review helpful to you?
or
ভারত ভ্রমণের দিনলিপি। বইটি নিয়ে বেশ উৎসাহী এবং একই সাথে বেশ আশাবাদী ছিলাম। আর বইটি পড়ার পর এখন মনে হচ্ছে অনেক দিন পর একটি স্বার্থক ভ্রমন কাহিনী পড়ার স্বাদ পেলাম.। দেশ থেকে বাহিরে কোথাও ঘুরতে যাওয়া আসলেই এক রোমাঞ্ছকর ব্যাপার তবে সাধারনত এমন স্বার্থক ভাবে পুরো ভ্রমনটিকে একটি বই হিসেবে তুলে ধরতে অন্তত আমি আগে দেখি নি। সিমলা প্রবেশ এর মুখে জেগে থাকতে না পেরে স্যারের কিছুটা আক্ষেপ আবার ভারতের রাজধানীর বিখ্যাত মিষ্টি সকলকে না খেতে পারানো বা যাত্রা পথে বিরতি এমন কোন বিষয় আমার চোখে পড়ে নি যার মধ্যে কাব্যিক রস পাই নি।আর তাই হয়ত পুরো ভ্রমনটি প্রায় ১৫ দিনের হলেও কাহিনীটি এক দিনেই পড়ে শেষ করেছি কারন রোমাঞ্ছ ইতিহাস এর যে অপরূপ মেল বন্ধন বইটিতে ঘটানো হয়েছে তা আসলেই পাঠককে ধরে রাখার জন্য যথার্থ। সিমলা,দিল্লি,রাজস্থান এর কাব্যিক বর্ননা যেমন ছিল অসাধারন তেমনি ইতিহাসের পরিপূর্ণ উল্ল্যেখ বইটিকে করেছে আলাদা.। আবার ভ্রমনের হাস্য রসের মিশ্রণ বা দেশে ফেরার আকুলতার অভিব্যক্তিও ছিল মনমুগ্ধকর। তবে ভ্রমনের এর প্রতি আগ্রহ আমার নিজের ক্ষেত্রে বইটি পড়ার প[র বহুলাংশে বেড়ে গিয়েছে। তবে পরিশেষ বলতে পারি যে বইটি পড়ার সময় সত্যি মনে হচ্ছিল আমি যেন সেখানেই আছি। ভারত ভ্রমনে।
Was this review helpful to you?
or
এবারের বইমেলায় প্রকাশিত "ভারত ভ্রমণের দিনলিপি" বইটি পড়লাম। বইটির ভাষাগত সাবলীলতা এতোটাই গতিময় যে গত পাঁচদিন যাবৎ বইটা পুরোপুরি শেষ করার একটা অদম্য ইচ্ছা তাড়িয়ে নিয়ে বেড়াচ্ছিলো। বইটিকে ভ্রমণ কাহিনী না বলে ভ্রমণ গল্প বলাটাই ঠিক হবে। এই ভ্রমণ গল্পে একদিকে যেমন ভারতের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, স্থাপত্যকলা আর বৈচিত্রপূর্ণ জীবনাচরণের খুঁটিনাটি তুলে ধরা হয়েছে অন্য দিকে ভারতের সমৃদ্ধ ইতিহাস আর সংস্কৃতির বিশদ বর্ণনাও জায়গা করে নিয়েছে সমান দক্ষতায়। শেষ করার পর নতুন করে আবারও ভারত ভ্রমণের ইচ্ছে জাগছে। বইটির যে দিক গুলো ভালো লেগেছে: (এক) ভাষাগত কাঠিন্যের অনুপিস্থিতি, যেমনটা পাওয়া যায় সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় বা হুমায়ুন আহমেদ স্যার-এর লেখনীতে। (দুই) লেখকের অন্তর্ভেদী দৃস্টিভঙ্গি এবং তার সাবলীল ও আকর্ষণীয় উপস্থাপনা, যা কিনা সাহিত্যপ্রেমী কিংবা ভ্রমণ পিয়াসু সব ধরণের পাঠককে তৃপ্ত করে অনায়াসে। বইটির যে দিকটা আরো ভালো হতে পারতো: ভ্রমণকালীন ছবির উপস্থিতি বইটিকে আরো উপভোগ্য করে তুলতো। লেখকের অনবদ্য বর্ণনায় ফুটে ওঠা কল্পিত দৃশ্যগুলোর সাথে বাস্তবচিত্র মিলিয়ে নেবার সুযোগ পেতো পাঠককুল। (অবশ্য ছবি দেখার জন্য বইটির শেষে একটি ফেসবুক পেজের লিংক দেয়া আছে)। তবে সব মিলিয়ে "ভারত ভ্রমণের দিনলিপি"-কে অসাধারণ লেখণী বলেই মনে হয়েছে, লেখকের প্রথম লেখা হিসেবে যথেষ্ট পরিপক্ক। যারা ভারত ভ্রমণ করেননি অথবা করেছেন সবার জন্যই বইটি উপভোগ্য।
Was this review helpful to you?
or
"ভারত ভ্রমণের দিনলিপি",কাব্যিক ভাষায় লিখিত একটি হাস্যরসাত্মক মজার ভ্রমণ দিনলিপি। "অন্ধকারের জমিনে আলোর খেলা দেখছি।অন্ধকারের মাঝে যেন আলোর গান শুনতে পাচ্ছি।ধ্বংসের গান,সৃষ্টির গান।বাতাস যেন আলোদের গায়ে-অন্ধকারের গায়ে বাড়ি খেতে খেতে মূর্ছনা তুলছে।আমি জানালের পাশে বসে অন্ধকারের গান শুনি।" উপরের অনুচ্ছেদটিতে কাব্যিক পরিচয় যেমন পাওয়া যায় তেমনি নিচের অনুচ্ছেদটিতে পাওয়া যায় হাস্যরস। " গাইডেড ট্যুর নিয়ে আমার অসুবিধা কি,সেটা আমি আগেই বলেছি।এই গাইড ভদ্রলোক সেটা আরো বাড়িয়ে তুললেন।তার পেছনে পেছনে হাটতে হবে,তিনি গুরুত্বপূর্ণ দর্শনীয় জায়গায় গিয়ে দাড়াবেন হড়বড় করে ওই স্থানের বা বিষয়ের গুরুত্ব ও তাৎপর্য ব্যাখ্যা করে একটি 'গরু রচনা' করবেন।" বইটি পড়ে আমি অনেক আনন্দ পেয়েছি। খালেদ স্যারকে অনেক ধন্যবাদ ও আন্তরিক অভিনন্দন এরকম অসাধরণ একটি বই লিখার জন্য। ভ্রমণপিপাসু মানুষ ও মনের একঘেয়েমিতা দূর করার জন্য বইটি একবার হলেও পড়া উচিত। বইটি পাওয়া যাচ্ছে বইমেলার অন্যরকম প্রকাশনীর ৪৫৭ নম্বর স্টলে।
Was this review helpful to you?
or
ভ্রমণ গ্রন্থের প্রতি আবেদন আর উচ্ছাসটা খুব ছোটবেলা থেকেই | "কুয়ালালামপুর থেকে সিঙ্গাপুর" - নামের একটা ভ্রমণ গ্রন্থ থেকে এর শুরু | তখন ক্লাস থ্রি বা ফোর এ পড়ি হয়তো | লেখক এর নামটা এখন আর মনে করতে পারিনা | ওটাই বোধ হয় ছিল বড়োদের বই এর সাথেও আমার প্রথম পরিচয় | তার পর থেকে সব রকমের ভ্রমণ বিষয়ক বইগুলো হয়ে গেলো প্রিয় পাঠ্য গুলোর অন্যতম | তাই হঠাৎ করেই যখন শুনলাম আমার বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের সহচর ও বনধু খালেদের তেমনি একটা ভ্রমণ গ্রন্থ বের হচ্ছে এবারের একুশে বইমেলায়, আমার আর তর সইছিলোনা কখন বইটা হাতে পাবো | একসাথে কত ঘুরে বেড়িয়েছি এই বন্ধুটির সাথে একুশে বই মেলায়, আর সেই মেলায় আমার এই বন্ধুটিরই নিজের লেখা একটা বই প্রকাশিত হবার খবরে ভিতরে ভিতরে তুমুল আন্দোলিতও হলাম অনেকটাই | বইটার একটা কপি এই সুদূর টরন্টো শহরে এতো তাড়াতাড়ি হাতে পাবো আশা করিনি | অবশ্য খুব কাকতালীয় ভাবেই বইটা পেয়ে গেলাম হাতে | বই এর মলাটটা দেখেই এক অন্য রকম ভালো লাগা খেলে গেলো মনে | আরেক বন্ধুর কাছ থেকে পেয়েই শুরু করে দিলাম পড়া, আর কি দারুন ভাবেই না কেটে গেলো সপ্তাহান্তের দিনগুলো | কি সহজ সাবলীল ভাবেই না ভারত ভ্রমণের কাহিনী উঠে এসেছে বই এর প্রতিটা পাতায়, সাথে লেখকের চেতনাজগৎ আর চিন্তা সূত্রের সুলিখিত বর্ণনা | প্রতিদিনকার রোজনামচার মতো করে লেখা সুখপাঠ্য এক নিশ্বাসে পড়ে ফেলার মতো একটা বই | বইটা হাতে পাবার আগে ভাবিনি এতো লেখা থাকবে বইটাতে, সত্যিই অনেক গুলো পৃষ্ঠা, অনেক ক্ষেত্রেই অনেক ডিটেলস এ বর্ণনা করা, অনেক সময় নিয়ে, যত্ন করে | সাথে সমগ্র ভারতবর্ষের ইতিহাস, ঐতিহ্য, আর সংষ্কৃতির চমৎকার সাবলীল অনুযোজন | সাথে আছে লেখকের ভ্রমনা সঙ্গী ছাত্র ছাত্রীদের আরো কিছু কর্মকান্ডের মজার উপস্থাপনা | লেখক পত্নীর সাথে লেখকের ভ্রমণকালীন রসায়ণটাও জমেছিলো বেশ | বইটার পাতায় পাতায় ফুটে উঠেছে সহজ শান্ত ধীর স্থির কিন্তু বেশ গোছানো একটা বর্ণনা, ঠিক যেমনটা দেখেছি লেখক খালেদের কৈশোরোত্তীর্ণ সময়টাকে | লেখকের রুচিবোধের ছাপ বইটার মলাট ডিজাইনের মধ্যেও দারুণভাবে বিকশিত | ব্যাক্তিগতভাবে, বইয়ের মলাটটা কেন জানি খুব অন্যরকম একটা মাধুর্য আর সৌন্দর্যের কথা মনে করিয়ে দেয় | লেখক কে ধন্যবাদ সুন্দর একটা বই পাঠকদের উপহার দেওয়ার জন্য | লেখকের কাছে আরও লেখার প্রত্যাশা রইলো |
Was this review helpful to you?
or
ছোটবেলা থেকেই ঘুরে বেড়ানোর সখ আমার মারাত্মক। ছোটবেলায় বাবা-মার কাছে ঘ্যান ঘ্যান করতাম। আর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় কোন ছুটি কিংবা সুযোগ পেলেই ব্যাগ কাধে নিয়ে বেরিয়ে যেতাম। পরবর্তীতে কাজের সুবাদেও ঘুরে বেড়ানো হয়েছে অনেক। এমনি করে বাংলাদেশের ৫৭ জেলা আর বাংলাদেশ ছাড়াও এশিয়ার বেশ কয়েকটি দেশ ঘুরা হয়ে গেছে। এদের মাঝে প্রতিযোগীতা কিংবা অফিসিয়াল কাজ ছাড়া ভারত দেশটিতে তেমন ঘুরে বেড়ানো হয়নি। প্রাকৃতিক ঐশ্বর্যের দিক দিয়ে সৃষ্টিকর্তা ভারতকে মোটামুটি সব উপকরণ দিয়েই পরিপূর্ণ করে দিয়েছে। তাই আমার কাছে মনে হয়, বেশ লম্বা সময় নিয়ে ভারত ভ্রমণ করলে বিশ্বের অনেক দেশের অনেক কিছুই দেখা হয়ে যায়। ভ্রমণ মানে শুধু ঘুরে বেড়ানো আর সেলফি তোলা না। সেখানের ইতিহাস, আশেপাশের ছোটখাটো ঐতিহ্য, খাবার-দাবার ইত্যাদি আমার কাছে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। যারা শাহ মোস্তফা খালেদ স্যারকে চিনেন, তারা জানেন যে, স্যারের সবচেয়ে অসাধারণ দিক, স্যার শুধু দেশ-বিদেশ ঘুরেই বেড়ান না। যখন যেখানে থাকে, সেখানের প্রতিদিনের দিনলিপি লিখে রাখেন। শেয়ার করেন সবার সাথে। এমনি করেই ফেসবুক কিংবা ডায়েরি লিখে রাখা দিনলিপিগুলোকে সংকলন করে লিখলেন, "ভারত ভ্রমণের দিনলিপি" ভ্রমণ বই বলতে গেলে যার নাম চলে আসে, তিনি হলেন, সৈয় মুজতবা আলী। যারা উনার বই পড়েছে তারা জানে ভ্রমণ ব্যাপারটা কতটা আকর্ষণীয় ও হাস্যরসাত্মক করে পাঠকের সামনে উপস্থাপন করা যায়। খালেদ স্যারের ব্যাপরটাও তাই। যারা ইতিমধ্যে স্যারের লেখা কিংবা ফেসবুকে শেয়ার করা স্ট্যাটাস পড়েছে, তারা সেটা জানে। একটানা পড়ে যাবার মতন একটি বই। পরার সময় মনে হয় নিজেই ঐ সময়টাতে বইয়ে উল্লেখিত স্থানগুলো দিয়ে যাচ্ছি। আর প্রতিটা দিনের শেসে (অধ্যায়ের শেষাংশে) কিছু দার্শনিক, নন্দন্তাত্ত্বিক বাক্য ঐ মুহুর্তের অনুভূতিকে নিংড়ে বের করে নিয়ে আসে পাঠকের কাছে। যারা এখন পড়ে দেখননি, পড়ে দেখতে পারেন, একবার হলেও নিজের মাঝে ভ্রমণ করার সাধ জাগবে :)
Was this review helpful to you?
or
বইটি মূলত ভ্রমণ কাহিনী, খালেদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ওর ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে বছর দুয়েক আগে ভারতের বেশ কিছু শহর ঘুরে এসেছিল, সেই ভ্রমণের ফাঁকে ফাঁকে লিখে চলেছিল ভ্রমণের বর্ণনা। ভারতবর্ষ এক অসামান্য রহস্যের লীলাভূমি, ভারতবর্ষের বেশিরভাগ অংশই বর্তমান ভারতের ভৌগলিক সীমানার ভেতরে থাকায় সেই রহস্যের সিংহভাগই ভারতের দখলে। একটি দেশের ভেতরে অন্তত পঁচিশটি ভাষা, এবং সেগুলোর শতাধিক ডায়ালেক্ট, অন্তত পঞ্চাশটি জাতি ও শত শত গোত্র-উপজাতি মিলে ভারতে সৃষ্টি করেছে হাজার হাজার বছরের পুরনো সভ্যতা ও সংস্কৃতির এক অপূর্ব মিলনমেলা। বিচিত্র বিষয় হচ্ছে একই দেশে এরা নিজেদের সংস্কৃতি, ভাষা ও সংস্কার ধরে রেখেছে অন্যদের পাশাপাশি। রাজনৈতিক বিবেচনায় ভারত আমার পছন্দের দেশ না হলেও সাংস্কৃতিক বিবেচনায় ভারতের ঐশ্বর্যকে আমি ভালই হিংসা করি। ভারত ভ্রমণের অনেকদিনের শখ আমার, কখনও সময় সুযোগ সেভাবে হয়ে উঠেনি এখন পর্যন্ত, তবে প্রথম সুযোগেই আমার ইচ্ছা ভারতে দীর্ঘ সময় বেড়িয়ে আসার। আমার একজন নর্থ ইন্ডিয়ান বন্ধু আছে, সে প্রায়ই বলে, ভারত দেখতে হলে একমাস খুবই অল্প সময়। অন্তত কয়েক বছর সময় করে দেখা উচিৎ। কথা খুব একটা ভুল না। ভারত না দেখার সেই অতৃপ্তির কিছুটা ঘুচল খালেদের ভারত ভ্রমণের দিনলিপি পড়ে। ঝরঝরে গদ্যে লেখক বর্ণনা করেছেন ঢাকা থেকে যাত্রা শুরু করে ভারতের ছয়টি ভিন্ন ভিন্ন শহরের চিত্র, সংস্কৃতি আর জীবনযাত্রাকে। কিছুটা ব্যক্তিগত আলোচনা এসেছে রচনায়, কিছুটা ছাত্র-ছাত্রীদের আলোচনা এসেছে, তবে সেটা ভ্রমণকাহিনীকে প্রভাবিত করতে পারেনি সেভাবে। পাঠক হিসেবে মনে হয়নি লেখকের ট্যুরের একজন অতিরিক্ত সদস্য হয়ে আছি, সুপাঠ্য রচনাতে আগাগোড়া মনে হয়েছে পাঠক হিসেবেই, লেখকের চোখ দিয়েই, দেখছি ভারতের তুষারস্নাত প্রান্তর থেকে ঘাম চিটচিটে তৃষ্ণার্ত মরু শহরের জীবনযাত্রা। ভ্রমণ কাহিনীর রস আছে রচনাতে, সঙ্গে আছে পাঠকের চিন্তার খোরাক জোগাতে স্থান, কাল ও পাত্র সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য। যেমন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে যুদ্ধবন্দী হিসেবে আটককৃত পাকিস্তানি সৈন্যদের ভারত ১৯৭২ এ পাকিস্তানের কাছে ফেরত দিয়ে দিয়েছিল বাংলাদেশের কাছ থেকে কোন অনুমতি নেয়া ছাড়াই - এমন কিছু চমকপ্রদ তথ্য রয়েছে বইটিতে, ভ্রমণ সংক্রান্ত আলোচনার সঙ্গে। আছে লেখকের নিজস্ব কিছু যৌক্তিক পর্যবেক্ষণ। যেমন, সম্রাট শাজাহান আগ্রার তাজমহল তৈরী করতে গিয়ে রাজকোষ প্রায় খালি করে ফেলেছিলেন, নিজের খেয়াল মিটাতে গিয়ে সরকারকে নিঃস্ব করে ফেলেছিলেন, সেটার জন্যে সম্রাটের সমালোচনাও কম হয়নি। কিন্তু আজ এতগুলো বছর পর যে ভারত এই তাজমহলকে কুমিরের ছানার মত পর্যটকদের কাছে প্রদর্শন করে প্রচুর আয় করছে, অর্থনৈতিক এই দূরদর্শীতা যে সম্রাট শাজাহানের ছিল - এমন কিছু ব্যক্তিগত পর্যবেক্ষণ লেখক নিজের মত করে বয়ান করে গেছেন ভ্রমণের কলম চালানোর পাশাপাশি। এটা লেখকের মুন্সিয়ানা বলতে হবে। লেখকের প্রথম প্রকাশিত গ্রন্থ এটি হলেও লেখালেখির সঙ্গে খালেদের সম্পর্ক নতুন নয়, এক যুগেরও বেশি সময় ধরে পত্র-পত্রিকা, সাময়িকী ও ছোটকাগজে লিখে গেছে খালেদ, একসময় সম্পাদনা করেছে 'বাংলাদেশ আইটি মনিটর' নামে একটা ত্রৈমাসিক কম্পিটার ভিত্তিক প্রকাশনা [নাম ও প্রকাশনার ফ্রিকোয়েন্সি স্মৃতি থেকে লিখছি, একটু এদিক-ওদিক হতে পারে], সম্ভবত বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হিসেবে কম্পিউটিং সংক্রান্ত এমন প্রকাশনা বাংলাদেশে খালেদ (ও পত্রিকার অন্যান্যরা)-ই প্রথম করেছিল। যাহোক, প্রথম প্রকাশিত গ্রন্থ হিসেবে ভারত ভ্রমণের দিনলিপি কে চমৎকারই বলতে হবে। যদিও ফেসবুকে নোট আকারে প্রকাশের জন্য লেখা রচনাগুলোকে বইয়ের টেক্সট হিসেবে পরিবর্তনের সময় কিছুটা অসামঞ্জস্য সৃষ্টি হয়েছে, তবে দক্ষ পাঠকের চোখ ব্যতীত সেই ত্রুটি দৃশ্যমান নয়। কিছু মুদ্রণ প্রমাদ রয়েছে, বইয়ের একদম শুরুতেই 'পান্ডুলিপি' শব্দের মুদ্রণ প্রমাদ দৃষ্টিকটু। আশা করা যায় আগামী মুদ্রণে এইসব ভুল সংশোধন করা হবে। ভ্রমণ কাহিনীর এক অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হচ্ছে ভ্রমণের সদস্যদের সঙ্গে পাঠকের পরিচয় করিয়ে দেয়া, সেটা করা হয়নি, বরং কখনও কখনও অপ্রাসঙ্গিকভাবে লেখক পত্নীর ও নামহীন ছাত্র/ছাত্রী হিসেবে কয়েকজনের উল্লেখ এসেছে।বইয়ের শেষে নির্ঘণ্টের মত করে যুক্ত করা হয়েছে ভ্রমণসঙ্গীদের তালিকা, যেটা আসা উচিৎ ছিল বইটির প্রথম অধ্যায়ে। ট্রাভেল এজেন্সির তপু ভাই বা মাহমুদ সাহেবকে যেভাবে অনুভব করা গেছে রচনার মাঝখানে, নির্ঘণ্টে আসা নামের গুরুত্বপূর্ণ ভ্রমণসঙ্গীদের সেভাবে অনুভব করা যায়নি। পাঠক কিছুটা হারিয়ে খুঁজেছেন ভ্রমণসঙ্গীদের। যেহেতু কখনও ভারত ভ্রমণ করা হয়নি, ব্যক্তিগতভাবে আমি কিছুটা আশা করছিলাম এমন একটা ভ্রমণে কেমন খরচ হতে পারে সেটার একটা আনুমানিক হিসাব, যেটা হয়তো ভবিষ্যতে অনেককে সাহায্য করতে পারত একটা অনুমান করতে। অল্প কিছু ভুল ভ্রান্তি সত্ত্বেও রচনা হিসেবে যে বইটি অনবদ্য হয়েছে এটা অস্বীকার করার কোন উপায় নেই। ভ্রমণ পিপাসু পাঠকদের জন্য অবশ্য পাঠ্য একটি বই, বিশেষত যাঁরা ভারতে গিয়েছেন বা যেতে চান। যাঁরা যেতে পারছেন না, তাঁরাও ভারতকে অনেকটা দেখতে পাবেন এই বইটির ভেতর দিয়ে। ভারতের মত সুবিশাল একটি বিষয়কে দুই মলাটে বেঁধে ফেলা অসম্ভব, তবে অন্তত ভারতের বিশালত্বকে কিছুটা অনুধাবন করা সম্ভব হবে বইটি পড়ে।
Was this review helpful to you?
or
অনেকদিন পরে দারুন একটা ভ্রমন কাহিনী পড়লাম। একটু ক্লাসিক্যাল স্টাইলের বাংলায় লেখা। পড়ে বোঝার উপায় নেই এটা লেখকের প্রথম বই। প্রচ্ছদটাও বেশ। লেখক নাকি পেশায় ইনফরমেশন টেকনোলোজির সহকারি অধ্যাপক। আমি ভেবেছিলাম বাংলার হবে। ব্যাক কভারে দুজন গুণীজনের মন্তব্যের স্টাইলটা ভাল লেগেছে। বিদেশি বইতে এমন মার্কেটিং স্ট্র্যাটেজি পরিচিত হলেও বাংলায় খুব একটা দেখা যায় না। প্রকাশকের ব্যবসায়িক বুদ্ধি আছে বলতে হবে। সম্ভবত প্রকাশনা সংস্থারও প্রথম বই এটা। ব্যাপারটা কেমন জানি দুই ওপেনারের দুজনেরই অভিষেক ম্যাচ টাইপ হয়ে গেল। এই যুগলবন্দীর অটুট থাকুক। উৎসর্গপাতার জন্য লেখককে ধন্যবাদ। মিয়া মোহাম্মদ মনিরুজ্জামানের হাজার হাজার ছাত্র দেশে বিদেশে প্রতিষ্ঠিত। প্রথম হয়েও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতায় না গিয়ে দায়িত্ব নিয়েছিল রাইফেলস স্কুল অ্যান্ড কলেজের। তাঁর ছাত্রদের মাঝেই তিনি বেঁচে থাকবেন। বইটার গায়ের দাম ২৭০ টাকা। একুশের বই মেলা উপলক্ষে ২৫% কমিশনে ২০০ টাকা। তো সব মিলিয়ে ১৭৬ পৃষ্ঠার বইয়ের জন্য কমই মনে হল।
Was this review helpful to you?
or
"অন্ধকারের জমিনে আলোর খেলা দেখছি। অন্ধকারের মাঝে যেন আলোর গান শুনতে পাচ্ছি। ধ্বংসের গান, সৃষ্টির গান। আলোর গান, অন্ধকারেরও গান। একই গান। রেলগাড়ির গতির কারণেই অনুভূতিটা আরো প্রগাঢ় হচ্ছে বোধকরি। বাতাস যেন আলদের গায়ে- অন্ধকারের গায়ে বাড়ি খেতে খেতে মূর্ছনা তুলছে। আমি জানালার পাশে বসে অন্ধকারের গান শুনি।" - ভারত ভ্রমণের দিনলিপি মন্ত্রমুগ্ধের মতো নিখুঁত হাতের লেখা ভ্রমণকাহিনী পড়তে পড়তে প্রকৃতি আর সাহিত্যের গভীরে চলে যেতে চান? ভালোবাসেন ভ্রমণ করতে ও ভ্রমণের গল্প শুনতে? তাহলে এই বইটা আপনাকে পড়তেই হবে। ভ্রমণকাহিনীর ফাঁকে কখন যে আনমনা হয়ে লেখকের সঙ্গেই আজমির এক্সপ্রেসে চেপে চলে যাবেন রাজস্থানের জয়পুরে কিংবা সিমলায় টেরই পাবেন না।