User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
তুরাশ গল্পটি বিশ্বজিৎ দাসের একটি সায়েন্স ফিকশন গল্প। গল্পটিতে কয়েকটি বিষয় নিয়ে আলোকপাত করা হয়েছে। প্রথমেই আলোচনা করা হয়েছে সুরঞ্জনা, আমি তোমার জন্য কাঁদছি। যেখানে দেশপ্রেম ও প্রিয়তমা স্ত্রীর প্রতি ভালোবাসার সম্পর্কটি ফুটে উঠেছে। তারপর পৃথিবীর ভালোবাসায় একজন মেয়ে স্যাংগ্রিন গ্রহের অধিবাসীর সাথে বিবাহের সম্পর্ক গড়ে তোলেন৷ তখন সে পৃথিবীতে আস্তে চায়। সে রওয়ানাও দিয়ে ফেলে। ইতিমধ্যে পৃথিবীতে ভূ-কম্পনের সৃষ্টি হলে পৃথিবীতে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়৷ তবে সেই মেয়ে ও তার বন্ধু বেঁচে যায়। ইতিমধ্যে সেই বন্ধু তাকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়৷ এতে সে না করতে পারে না। কারণ সে ছেলে সত্যিই তাকে ভালোবাসে। তারপর যখন স্যাংগ্রিন গ্রহ থেকে সে আসে তাকে সে ফিরে যেতে বলে। অর্থাৎ এখানে নিজ বাসভূমির প্রতি ভালোবাসার বিষয়টি বিশেষ ভাবে প্রকাশ পেয়েছে৷ তারপর রূপান্তরে সাজলিন গ্রহে যাওয়ার কথা আলোচনা করা হয়েছে। যেখানে এক পরিবারে সাংসারিক ঝামেলা লেগেই থাকে। তারা এই ঝামেলা মিটানোর জন্য বা মুক্তি পাওয়ার জন্য সেই গ্রহে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু তারা দুজনে একা একা যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। অর্থাৎ কেউই জানতেন না সেখানে যাবেন। অথচ সেখানে যাওয়ার পরে যখন তারা বৃদ্ধ হয়ে যান তখন তারা একে অপরকে চিনতে পেরে অনেক বিস্মিত হয় এবং তাদের ভালোবাসা বৃদ্ধি পায়৷ এরপর বাবনের অন্তর্ধানে গাছ ও মানুষের মধ্যে সম্পর্ককে তুলে ধরা হয়েছে৷ যেখানে বাবন ছিলেন গাছ ভক্ত মানুষ এবং পরিশেষে সে একজন বড় কৃষি বিজ্ঞানী হন। তারপর রবীন্দ্রনাথের জিন ট্রান্সফার নিয়েও আলোচনা করা হয়েছে৷ যেখানে রবীন্দ্রনাথের লেখনি মানুষের ১০০ বছর কাজে লাগবে সেখানে জিন ট্রান্সফারের মাধ্যমে পরের ১০০ বছরও যেন কাজে লাগে এই বিষয়টিকে ভালোভাবে আলোকপাত করা হয়েছে৷ এরপর সময়ের ফাঁদে তারাই পরে যারা ব্যস্ত জীবন নিয়ে থাকে। আমরা আমাদের বাস্তব জীবন দিয়েই বর্ণনা দেই৷ আমরা যখন একে অপরের সাথে গল্প করতে বসি তখন বুঝতেই পারি না কখন সময় কোন পাশে চলে যায়৷ এরপর জিনিয়াসের বিষয় টি আমার খুব ইন্টারেস্টিং লেগেছে। যদি কেউ জিনিয়াস হতে চায় তাহলে নাকি একটি ছোট অপারেশন করলেই চলে। আমরা নাকি ব্রেনের সব অংশ ব্যবহার করি না। যার ফলে অনেক ক্রিয়েটিভিটি আমাদের মৃত্যুর সাথে হারিয়ে যায়৷ আর ছোট্ট অপারেশনের মাধ্যমে মানুষের ব্রেনের অব্যবহৃত অংশটুকু নাকি কার্যকর করে তোলা যায়। তাহলে তো আমিও জিনিয়াস হতে চাই। আপনারা হতে চান তো জিনিয়াস? কেই বা হতে চায় না জিনিয়াস আপনারাই বলুন? এরপর নিখোঁজ হওয়ার ব্যাপারটি আমার কাছে অনেক ইন্টারেস্টিং লাগে। যেখানে ভার্চুয়াল জগতের কথা আলোকপাত করা হয়। একজন কে ভার্চুয়ালিটির মাধ্যমে ক্যামিলিন গ্রহে পাঠিয়ে দেওয়া হলে পরে তাকে খুঁজে পাওয়া যায় না। এবার আসি তুরাশকে নিয়ে বলতে। তুরাশ একটি ছোট মানব শিশু রোবট। অর্থাৎ এই রোবটের মধ্যে মানবিক গুণাবলি সব প্রকাশ পায়৷ এই রোবটটি যাদের বাচ্চা হয় না অর্থাৎ যারা নি:সন্তান তাদের জন্য বানানো হয়েছে। তো গল্পে ইকবাল ও অহনার মাঝে হঠাৎ হাজির হল এই রোবট। তবে একদল লোক তুরাশ কে নিয়ে অনেক আগ্রহী। তারা তুরাশকে নিয়ে যেতে চায়। এর জন্য তারা তুরাশের আবিষ্কারক কে হত্যা করে৷ তারপর ইকবাল ও অহনা তুরাশকে তন্ন তন্ন করে খুঁজে বেড়ায়৷ অবশেষে তারা তুরাশকে খুঁজে পায় যারা তার আবিষ্কারক কে হত্যা করে তাদের থেকে। তারা তুরাশকে মেরে ফেলবে। তার ওপর গুলিও তাক করে। তারপর তুরাশ একজন কে গুলি করে। আরেকজন বেচে গেলে সে তুরাশকে চড় মারে। তখন সে পড়ে যায়৷ তবে পরে সেখান থেকে ইকবাল খুব কৌশলে বের হলো এবং অবশেষে তুরাশকে ঠিক করে নিজেদের কোলে ফেরাল।
Was this review helpful to you?
or
সংগ্রহে আছে, এখনও পড়া হয় নাই যদিও...
Was this review helpful to you?
or
এই বইটি আমার সংগ্রহে আছে।আমার কাছে বইটি এতো ভালো লেগেছে যে আমি কয়েকবার পড়েছি। তুরাশ নামের বড় গল্পটি পড়লেই আমার চোখে জল চলে আসে। এত সুন্দর একটি বই! লেখক আরো সুন্দর সুন্দর সাইফাই লিখবেন এই কামনা করি।বইটির বহুল প্রচার ও প্রসার প্রত্যাশা করছি।