User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
========= কাহিনী/বইয়ের সার-সংক্ষেপ ========= “রক্ত মাংসের শরীর নিয়ে নারীকে নিষ্পাপ স্পর্শ করা যায় না হে কবি। নারীর মন স্পর্শ না করে তার দেহ স্পর্শ করাটাই বর্বরতা।” আজব এক শহর ঢাকা। যে শহরের নিয়ন্ত্রণ থাকা মানেই হচ্ছে পুরো বাংলাদেশের উপর নিয়ন্ত্রণ থাকা। আপাত দৃষ্টিতে বা জনগণের চোখে দেশের সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করে ক্ষমতায় থাকা রাজনৈতিক দলের নেতা, এমপি ও সরকারি আমলারা। যাদের মাধ্যমে নির্ধারিত হয় জনগণের ভাগ্য। কিন্তু আসলেই কি তাই হয় যা সাদা চোখে দেখা যায়! এই ঢাকা শহরেই সাধারণ লোকচক্ষুর আড়ালে কাজ করে অদৃশ্য এক শক্তি। যে শক্তিই আসলে নিয়ন্ত্রণ করে ক্ষমতার পালা-বদল থেকে শুরু করে সাধারন জনগণের ভাগ্যও। অদৃশ্য সেই শক্তিই সেসব অন্ধকার জগতের মানুষের কাছে পরিচিত আন্ডারওয়ার্ল্ড নামে। যেখানে নিয়মিত হয় ক্ষমতার পালা-বদল থেকে শুরু করে নিষিদ্ধ ও অপরাধ জগতের সবকিছু! আন্ডারওয়ার্ল্ডের আগের সম্রাটকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে নতুন সম্রাট ক্ষমতায় আসবে; এটাই ছিলো এই অন্ধকার জগতের অলিখিত নিয়ম। কিন্তু নতুন সম্রাট ডেভিড আগের সম্রাট জাহাঙ্গীরকে সরানোর বেলায় সেই নিয়মটাই ভেঙ্গে ক্ষমা করে দিলো জাহাঙ্গীরকে! কারণ হঠাৎই ডেভিডের মনে জায়গা করে নিয়েছে ভালোবাসা ও ক্ষমা নামের কিছু ঐশ্বরিক গুণাবলী। যা আচমকাই দখল করে নিয়েছে ডেভিডের মনকে। কিন্তু এই ঐশ্বরিক গুণাবলী দিয়ে কি ঢাকার আন্ডারওয়ার্ল্ডকে দখলে রাখা যাবে, নাকি ভেঙ্গেচুরে দিবে সেই সাম্রাজ্যকে? ========= পাঠ প্রতিক্রিয়া ========== লতিফুল ইসলাম শিবলীর লেখা এর আগে পড়েছিলাম ‘আসমান’। যা সত্যিকার অর্থেই ছিলো অসাধারণ। উনার এই বই নিয়েও তাই আমার বেশ এক্সপেক্টেশন ছিলো বলা যায়। ঢাকার আন্ডারওয়ার্ল্ড গ্যাংস্টারদের অপরাধ জগৎ ও তৎসংশ্লিষ্ট রাজনীতি নিয়ে ফ্যাক্টস নির্ভর আমার পড়া প্রথম উপন্যাস এটাই। জানিনা অন্যদের কেমন লেগেছে কিন্তু আমার এক্সপেক্টেশন অনুযায়ী কিছুটা হতাশই হয়েছি। বইয়ের কাহিনীর প্লট ভালোই লেগেছে। বইয়ের বিভিন্ন জায়গায় উল্লেখিত কবিতা, বিভিন্ন উক্তিগুলো ভালো ছিলো। খুব বেশি চরিত্রের ঘনঘটা ও অতিরিক্ত বা অপ্রয়োজনীয় বর্ণনাও নেই। যার কারণে পড়ার সময় বিরক্তি লাগেনি। বইয়ের শুরুটা দারুণ হলেও ক্রমশঃ যত ভিতরে গিয়েছি সত্যি বলতে আমার কাছে অনেকটাই মনে হয়েছে বাংলা সিনেমার ত্রিভুজ প্রেমের গল্প। আন্ডারওয়ার্ল্ডের ত্রাস একজন লোক শুধু কথা আর কবিতার কারণে মূহুর্তেই পুরোপুরি পরিবর্তন হয়ে যাবে এটা আমার কাছে অতিমাত্রায় কাল্পনিক ও নাটকীয় মনে হয়েছে; যা ট্রেডিশনাল বাংলা সিনেমাতেই মানায়। শেষের দিকে কাহিনী, ঘটনা সবই পড়ে মনে হয়েছে লেখক যেন খুব দ্রুত তাড়াহুড়ো করে বইটি শেষ করতে চেয়েছেন। বইটি পড়ে মনে হয়েছে কোথাও যেন কিছুর একটা অভাব। তবে আমার ব্যক্তিগত অভিমত বইয়ের কাহিনী আরোও বড় করে শেষটা সিনেম্যাটিক না করে আরোও ট্রাজিক করা যেত। থ্রিলার প্রিয় পাঠকেরা পড়ে দেখতে পারেন। প্রোডাকশনঃ কভার ডিজাইন আমার কাছে মোটামুটি লেগেছে। কয়েক জায়গায় অল্পকিছু বানান ভুল ছিলো। সেগুলো পরবর্তী সংস্করণে ঠিক করা হবে আশা করি। ব্যক্তিগত রেটিংঃ ৬/১০।
Was this review helpful to you?
or
শহরের ভিতরে এক গোপন শহর দখলের লড়াই।বেশ ইন্টারেস্টিং। এক বসাতেই শেষ করে দিয়েছি।তবে আসমান এর তুলনায় শেখনীতে গ্যাপ আছে
Was this review helpful to you?
or
দখল উপন্যাস এর ডেভিট চরিত্র আমার মনে দাগ কটেছে, আমি ডেভিটের মত নারীদের মায়ের মত সম্মান, এবং নেশা থেকে দূরে থাকার অনুপ্রেরণা।
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ
Was this review helpful to you?
or
আমার কেনা শিবলী সাহেবের প্রথম বই দখল। এই এক বই ই আমাকে তার ফ্যান হতে বাধ্য করেছে। এর পর আর তার কোনো বই মিস যায় নাই। আসমান, অন্তিম , ফ্রন্ট লাইন, রাখাল। একেকটা মাস্টার পিস ?
Was this review helpful to you?
or
আমার পড়া সেরা উপন্যাসগুলোর একটি।
Was this review helpful to you?
or
দারুণ বই। পড়ে খুব ভাল লেগেছে।
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ লেখা। উনার লেখা অসম্ভব প্রিয় আমাদের।
Was this review helpful to you?
or
mind blowing
Was this review helpful to you?
or
awesome
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ...❤️❤️
Was this review helpful to you?
or
good
Was this review helpful to you?
or
না, বইটা নিয়ে যে প্রত্যাশা ছিল তা পূরণ হয়নি। এমন দারুণ একটা প্লট নিয়ে একটা মনে রাখার মত ক্রাইম থ্রিলার বা পলিটিক্যাল থ্রিলার হতে পারতো। এবং লতিফুল ইসলাম শিবলী'র মত লেখকের কাছে তা আশা করাই যায়। কিন্তু সেরকম কিছু হয় নি। সিনেমাটিক সীন, ডায়ালগ ছিল প্রচুর। ব্যাক্তিগতভাবে যা আমার অপছন্দের। লেখায় তাড়াহুড়ো'র ছাপ রয়েছে কিছুটা। সেটা সম্ভবত বইমেলায় বই প্রকাশের জন্য প্রকাশকের পক্ষ থেকে তাড়ার কারণে। অথবা বইমেলায় বই বের করতেই হবে লেখকের এমন ধারণা পোষণের জন্য। জেনিফার চরিত্রটাকে প্রথম দিকে যতটা ভালো লেগেছে একটা সময় তেমনি বিরক্ত লেগেছে। কেন লেগেছে, বুঝাতে পারবো না। হয়তোবা, নারীর মন বুঝার ক্ষমতা আমার নেই, সেজন্য। তবে পরিচিত ঢাকা শহরের দৃশ্যপট, ভালো লেগেছে। পাঠক ধরে রাখার মত থ্রিল ও গতিও ছিল। প্রথম দিকে গতি একটু কম হলেও মাঝখান থেকে দ্রুত এগিয়েছে। একই সাথে আমাদের পরিচিত রাজনৈতিক দৃশ্যাবলীর ভেতরের কিছু দৃশ্যের দেখা পেয়েছি, আমরা কম বেশি সবাই জানি এগুলোর সত্যতা। সাম্প্রতিক সময়ে প্রত্যক্ষ করা ক্যাসিনো কেলেংকারি, মাদক, টেন্ডার বাণিজ্যের কারণে গ্রেফতার হওয়া মানুষগুলো দুই বছর আগে প্রকাশিত এই বইটার অনেক গুলো দৃশ্যের সত্যায়ন করে দেয়। বইয়ে কিছু উক্তি রয়েছে মনে রাখার মত। রয়েছে কিছু কবিতা। রয়েছে আন্ডারওয়ার্ল্ড সম্পর্কে মোটামুটি ভালো ধারণা পাওয়া যাবে এমন কিছু বর্ণনা। যাহোক, বইটার সাথে ভালো সময় কেটেছে, তবে মুগ্ধতা রেখে যেতে পারেনি। কেন পারেনি, সেটা পাঠক হিসেবে আমার ব্যর্থতা।
Was this review helpful to you?
or
Perfect for a Movie script. Thoroughly enjoyed.
Was this review helpful to you?
or
বইয়ের নাম- দখল লেখক- লতিফুল ইসলাম শিবলী প্রকাশনী- নালন্দা পৃষ্ঠা সংখ্যা- ১৪২ মুদ্রিত মূল্য- ৩০০ এটা এমন এক গল্প যেখানে একজন নারীর ভালোবাসার জন্য এক প্রেমিক কবি খুনি হয়ে উঠেছিল, আর এক নিষ্ঠুর খুনি হয়ে উঠেছিল ক্ষমাশীল। চিরকুটের মত বলতে গেলে বলতে হয়, যাদুর শহর ঢাকা। প্রাণের শহর ঢাকা। আসলেই তো তাই। ঢাকার মত এত ঘটনাবহুল শহর আর কটা আছে! কিন্তু এই ঢাকার ভেতরেও রয়েছে অন্ধকার রাজ্য। রাজ্যের নাম সার্কেল। সেখানে রয়েছে সম্রাট, সাম্রাজ্য। সম্রাজ্ঞী শুরুতে ছিল না। তবে সম্রাজ্ঞী যুক্ত হবার সময় থেকেই গল্পের শুরু। সার্কেল এর নিয়ম হল নতুন কাউকে সম্রাট করতে হলে আগের সম্রাটকে খুন করতে হবে। সেটারই প্রস্তুতি নিচ্ছিল ডেভিড। সে জাহাঙ্গীরকে সরিয়ে হতে যাচ্ছে নতুন সম্রাট। ঠিক এমন সময় দৃশ্যপটে আগমন জেনিফারের। এই গল্পের সম্রাজ্ঞী সে। কবি অনিন্দ্য আকাশের কবিতা পরে যে বাংলাদেশকে চিনেছে। তার ভুবন ভোলানো কথায় জাহাঙ্গীরকে ক্ষমা করে দেয় ডেভিড। সার্কেল বস হয়ে ওঠে ক্ষমাশীল। প্রথমবারের মত রক্তপাতহীন ভাবে সম্রাট পরিবর্তন হয়। কিংবদন্তিতে পরিণত হয় ডেভিড। এগিয়ে যেতে থাকে গল্প। প্রেমে ব্যর্থ কবি। সম্রাট বনে যাওয়া ডেভিড। সাম্রাজ্যহীন জাহাঙ্গীর আর সম্রাজ্ঞী জেনিফারকে নিয়ে এগিয়ে যেতে থাকে অন্ধকার ঢাকার কাহিনী। পাঠ পতিক্রিয়া- দারবিশ পরে বেশ লেগেছিল। ভিন্ন রকমের একটা কাজ ছিল সেটা। এবারও ভালোই লেগেছে। যদিও গল্পটা বেশ সাদা-মাটা।
Was this review helpful to you?
or
রকমারি_রিভিউ_প্রতিযোগ_আগস্ট_২০১৯ বইয়ের নাম: দখল; লেখক: লতিফুল ইসলাম শিবলী; প্রকাশক: নালন্দা; ধরন:সমকালীন উপন্যাস শবে বরাতের রাত। ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা সবাই মসজিদে ইবাদত-বন্দেগীতে মশগুল। একটা দোকানের শাটার তুলে ভেতরে ঢুকল কয়েকজন যুবক। শাটার নামিয়ে দিল। একটু পর দোকানের ভেতর থেকে ভেসে এলো গুলির আওয়াজ। স্বপন নামের এক তরুণকে হত্যা করে বেরিয়ে এলো যুবকেরা। স্বপন কিন্তু তাদের শত্রু নয়, বরং বন্ধু ছিল। কিন্তু আন্ডারওয়ার্ল্ডের অন্ধকার জগত এতটাই নিষ্ঠুর যে, এখানে স্বার্থের কারণে বন্ধুকেও খুন করতে হয়। এটা ছিল ঢাকার আশকোনায় ২০০০ সালের দিকে ঘটে যাওয়ায় একটি বাস্তব ঘটনা। “দখল” নামের উপন্যাসটি পড়তে গিয়ে বারবার উপরোক্ত ঘটনাটি মনে পড়ছিল। কারণ “দখল” এমন একটি ফিকশন যেটা ঢাকার আন্ডারওয়ার্ল্ডের বিভিন্ন ফ্যাক্টের উপর নির্ভর করে লেখা। খুব সম্ভবত বাংলাদেশের সাহিত্যাঙ্গনে এরকম ফ্যাক্ট নির্ভর গ্যাংস্টার উপন্যাস এটাই প্রথম। কাহিনী: জেনিফার পেশায় শিক্ষিকা এবং কবি "অনিন্দ্য আকাশ" এর কবিতার একজন গুণমুগ্ধ ভক্ত। কবির কবিতাগুলো তার প্রচণ্ড ভাল লাগে। অনিন্দ্য আকাশও জেনিফারকে পছন্দ করে, ভালবাসে মনে মনে, ওকে নিজের করে পাওয়ার বাসনা পোষে। কিন্তু জেনি শুধু কবিতাকেই ভালবাসে, কবিতার রচয়িতাকে নয়। কবি অনিন্দ্য আকাশকে সে স্রেফ কবি, বন্ধু হিসেবে দেখে। একদিন জেনিকে নিয়ে গাজীপুরে নিভৃতে সময় কাটাতে যায় কবি অনিন্দ্য আকাশ। কিন্তু কৌতূহলী জেনির কারণে সব ওলট-পালট হয়ে যায়। লিডার জাহাঙ্গীরকে খুন করে তার জায়গা দখল করতে চাচ্ছে ডেভিড। গাজীপুরের ভাওয়াল জঙ্গলের গভীরে কবর খোঁড়া হয়েছে। জাহাঙ্গীরকে জ্যান্ত মাটি দেয়া হবে। প্রস্তুতি চলছে। জঙ্গলের ভেতরে মানুষের উত্তেজিত কথা শুনতে পেয়ে এগিয়ে যায় জেনি। দেখতে পায় একজন মানুষকে জীবন্ত পুঁতে ফেলার আয়োজন করছে কয়েকজন লোক। নিজের চোখের সামনে এরকম গর্হিত অপরাধ সংগঠিত হবে, এটা জেনি মানতে পারে না। কবি অনিন্দ্য আকাশের বারণ সত্ত্বেও সে ডেভিড ও তার লোকজনের সামনে গিয়ে দাঁড়ায়। এরকম অন্যায়ভাবে খুন করতে নিষেধ করে। ডেভিডকে বোঝানোর চেষ্টা করে হানাহানিতে নয়, প্রকৃত বীরত্ব প্রকাশ পায় ক্ষমায়। ডেভিডকে উদ্দেশ্য করে জেনি বলে, “মানুষ আর অমানুষের মধ্যে পার্থক্য, মানুষ ক্ষমা করতে পারে, অমানুষ সেটা পারে না…” ডেভিড পাল্টা প্রশ্ন ছোঁড়ে, “এই অমানুষের পৃথিবীতে আমার মানুষ হয়ে কী লাভ?” জেনি জানায়, “মানুষ হলে মানুষের ভালবাসা পাওয়া যায়, আর অমানুষের জন্য শুধুই ঘৃণা।” চ্যালেঞ্জ জানায় ডেভিড, “আপনি কি আমার মতো মানুষকে ভালবাসবেন?” কোনো দ্বিধা ছাড়া জেনি জবাব দেয়, “যদি আপনি ক্ষমাশীল হন!” নিজের দলের লোকদের আপত্তি সত্ত্বেও ডেভিড জাহাঙ্গীরকে ক্ষমা করে দেয়। প্রাণ নিয়ে পালাতে দেয় ওকে। ডেভিডের এই ক্ষমাশীল আচরণে মুগ্ধ হয় জেনি। জাহাঙ্গীর বেঁচে গেলেও বিষয়টা গোপন রাখা হয় আন্ডারওয়ার্ল্ডের কাছে। ডেভিড লিডার হিসেবে দায়িত্ব নেয়। ৬ মাস পর ডেভিড জেনির সাথে যোগাযোগ করে। মনে করিয়ে দেয় সেদিন জেনি তাকে বলেছিল ক্ষমাশীল হলে ভালবাসবে। জেনিকে নিজের করে পেতে মরিয়া কবি অনিন্দ্য আকাশ। কিন্তু জেনি তাকে প্রেমিকের দৃষ্টিতে দেখে না। উল্টো ডেভিডের প্রতি জেনি দুর্বল হয়ে পড়ছে। কবি অনিন্দ্য আকাশ কোনোভাবেই এটা মেনে নিতে পারে না। সে গোপনে গোপনে ডেভিডকে শেষ করে দেয়ার পরিকল্পনা আঁটতে শুরু করে। আন্ডারওয়ার্ল্ড লিডার ডেভিডের শত্রুর অভাব নেই। জেনিকে পাওয়ার জন্য তাদের সাথে হাত মেলায় কবি অনিন্দ্য আকাশ। শেষ পর্যন্ত কী ঘটে? জেনিকে কে পায়? কবি অনিন্দ্য আকাশ নাকি আন্ডারওয়ার্ল্ড লিডার ডেভিড? জানতে হলে পড়তে হবে ১৪২ পৃষ্ঠার টানটান উপন্যাস “দখল”। রিভিউ: “দখল” একটি বিনোদনধর্মী থ্রিলার উপন্যাস। ঢাকার আন্ডারওয়ার্ল্ডের সাংগঠনিক কাঠামো, বিভিন্ন অলি-গলি ও দেশের রাজনীতির সাথে আন্ডারওয়ার্ল্ডের সংযোগগুলো পাঠকদেরকে বিস্মিত করবে। ভালবাসা মানুষকে কতটা বদলে দিতে পারে, তা বেশ মোটাদাগে ফুটে উঠেছে এই উপন্যাসে। হিরো থেকে ধীরে ধীরে এন্টি-হিরো হয়ে ওঠা কবি অনিন্দ্য আকাশ আর আন্ডারওয়ার্ল্ডের লিডার থেকে আস্তে আস্তে ক্ষমাশীল মানুষ হয়ে ওঠা ডেভিড; এই চরিত্র দুটি তারই জ্বলন্ত উদাহরণ। মেদহীন, দ্রুতগতি সম্পন্ন “দখল” লেখক লতিফুল ইসলাম শিবলীর দ্বিতীয় উপন্যাস। থ্রিলার সুলভ টুইস্ট না থাকলেও পরিপাটি, সাবলীল লেখনশৈলী, চমকপ্রদ ফ্যাক্টস ও বেশ কিছু নান্দনিক সংলাপের সমন্বয়ে “দখল” হয়ে উঠেছে উপভোগ্য। তবে উপন্যাসটির প্লট অনুযায়ী ব্যপ্তিটা কম বলে মনে হয়েছে। বেশ কিছু পার্শ্ব-চরিত্রের উপর বিস্তারিত আলোকপাত করলে পাঠকদের কাছে বইটি আরও আকর্ষণীয় হয়ে উঠতে পারতো। ২০১৭ সালে প্রকাশিত লেখকের প্রথম উপন্যাস “দারবিশ”-এর মতো ২০১৮ সালের “দখল”ও বেস্টসেলার তকমা পেয়ে গেছে। তবে যারা আগে “দারবিশ” পড়েছেন তাদের অনেকের কাছ থেকে “দখল” খুব একটা আশাব্যাঞ্জক প্রতিক্রিয়া পায়নি।
Was this review helpful to you?
or
Powerful and well written. It holds emotional punch. Loved the characters and the storyline was touching. so it's a well deserved five stars and I would recommend this book to everyone.
Was this review helpful to you?
or
#বুক_রিভিউ_২০১৮ নামঃ দখল লেখকঃ Latiful Islam Shibli প্রকাশনঃ নালন্দা ধরনঃ পলিটিকাল থ্রিলার প্রকাশকালঃ বইমেলা ২০১৮ পৃষ্ঠাঃ ১৪৩ মুদ্রিত মূল্যঃ ৩০০/- গাজীপুরের ন্যাশনাল পার্কের ভেতরটা বেশ ঘন। শালবনে হাটতে হাটতে বেশ ভেতরে চলে এসেছে দু'জন প্রাপ্তবয়সের নারী-পুরুষ। কবি অনিন্দ্য আকাশ ও জেনিফার। জন্ম, বেড়ে ওঠা ও পড়াশোনা ইংল্যান্ডে হলেও বাঙালী বাবার হাত ধরে বাংলা সাহিত্যের প্রেমে পড়া। সেখান থেকে পরিচয় কবি অনিন্দ্যের সাথে। কবি জেনিকে মনেপ্রাণে ভালোবাসলেও, জেনি কবির কবিতাকে ভালোবাসে। কবির কবিতায় জেনি বেঁচে থাকে। কবির জন্য থাকে জেনির ভালোলাগা, মায়া।তাই জেনিকে মুগ্ধ করতেই কবি শালবনের সবুজের মাঝে নিয়ে আসে। কিন্তু অপ্রত্যাশিত ভাবে দেখে ফেলে একদল গ্যাংলিডারদের গোপন অপারেশন। কেরানীগঞ্জ এর কুখ্যাত খুনি জাহাঙ্গীর, খুন হতে চলেছে ঢাকার অপরাধ জগতের আগামী রাজা ডেভিডের হাতে। যে জায়গাটায় খুন হচ্ছে সেখানে আইনের লোকই আসতে সাহস পায়না। কিন্ত কবি না চাইলেও জেনিফার মানতে পারেনা একজন লোকের এভাবে খুন হওয়া। সে সরাসরি ডেভিডের সামনে গিয়ে বিভিন্ন নীতিকথার মাধ্যমে ডেভিডকে খুন থেকে নিরস্ত হতে বলে। ডেভিড প্রথমে অবাক হলেও জেনির ব্যক্তিত্বপূর্ণ কথা ডেভিড কে খুন থেকে বিরত রাখে। নিয়ম ভঙ্গ করে সে। ক্ষমা করে জাহাঙ্গীরকে। তবে জেনিকে ছাড়েনা। সাথে করে নিয়ে যায়। তারপর ঘুরিয়ে তাকে তার ফ্ল্যাটে ছেড়ে দেয়। তারপর চলে যায় রহস্যময় জনতা টাওয়ারে। সারা ঢাকার অন্ধকার জগতের সমস্ত সিন্ডিকেট পরিচালিত হয় যে টাওয়ারে। আজ আনুষ্ঠানিক ভাবে ঢাকার সম্রাট ঘোষণা করা হবে ডেভিড কে। নাম ঘোষণা করবেন কমরেড দস্তগীর। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। কিন্তু উপস্থিত অতিথিদের মাঝে কানা ফারুক কে দেখে মেজাজ বিগড়ে যায় ডেভিডের। কেননা তার গুরু কমরেড বিমল দাশ হত্যায় সরাসরি উপস্থিত ছিল এই কানা ফারুক। তবে কি দস্তগীরই কানা ফারুককে দিয়ে খুন করিয়েছিল মন্ত্রীত্ব লাভের জন্য? সন্দেহ দানা বাধতে থাকে তার মনে। এদিকে কবি পড়েছে নতুন ফ্যাসাদে। জেনি কথা দিয়েছিল ডেভিড যদি ক্ষমা করে দেয় তাহলে ডেভিডকে জেনি ভালোবাসবে। এই কথা দেয়ার সূত্রে জেনি আবিষ্কার করতে থাকে এক নতুন ডেভিডকে। আস্তে আস্তে দুজন দুজনের প্রেমে পড়ে যায়। এটা তো মেনে নিতে পারেনা কবি। তাই সে জাহাঙ্গীর কে খুঁজে নিয়ে তাকে আবার পাপের পথে ফেরায়। জাহাঙ্গীরের দরকার হারানো সাম্রাজ্য, কবির দরকার তার সম্রাজ্ঞী। দুজন মিলে ভয়ংকর ছক কষতে থাকে। কবির প্রখর জ্ঞান ও নীল নকশার ভয়াবহতা দেখে অবাক হয়ে যায় সে ও তার সাগরেদ রা। এদিকে ডেভিডও বসে নেই। গুরুর খুনের বদলা নেবার জন্য উঠে পড়ে লাগে সে। দস্তগীরও বুঝে ফেলে ডেভিডের মনের খবর। ডেভিডের দিকে ধেয়ে আসছে জাহাঙ্গীর ও কবির গোপন ঝড়। সাথে দস্তগীরের হাসিমুখে চোরা হামলা। ডেভিড কি পারবে এতসব সামলে নিতে? কবি কি পেরেছিল তার সম্রাজ্ঞী কে নিজের করে নিতে? জেনি কাকে বেছে নিয়েছিল? জাহাঙ্গীর বা দস্তগীর কি সফল হয়েছিল? নাকি মনে ন্যায় লালন করা ডেভিডই জয়ী হয়েছিল? উত্তর পেতে 'দখল' পড়তে হবে একদমে। দখলঃ শহরের ভিতরে এক গোপন শহর দখলের লড়াই #ব্যক্তিগত_মতামত পলিটিক্স খুবই অপছন্দের একটা বিষয় আমার কাছে। সেই হিসেবে পলিটিকাল কোন বই খুব একটা পড়িনা। পলিটিকাল থ্রিলার তো নয়ই। কিন্তু 'দখল' আমার ভুল ভেঙে দিয়েছে। ঢাকার অপরাধ জগতের ভয়াবহ দিকের অনেক কিছু উঠে এসেছে এই বইয়ে। রাজনৈতিক নেতারা কিভাবে নির্বাচনে অংশ নেয়, কেন দেশে ছিনতাই, ভিক্ষাবৃত্তি, খুন সহ নানান অপরাধ কর্মকাণ্ড ঘটে থাকে তা বেশ ফুটে উঠেছে এই বইয়ে। অপরাধ জগতের চেইন অব কমান্ড কিভাবে নিয়ন্ত্রিত হয় তা বেশ খোলাসা করে আলোচনা করা হয়েছে। বইয়ে রাজনীতি আছে, আছে সংঘাত, আছে প্রেম, ঘৃণা, আছে রাজনীতির চিরন্তন ফলাফল। সবমিলিয়ে আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে বইটি। লেখকের আগের বই 'দারবিশ' থেকেও এই বইয়ের লেখনীর বুনন অনেক চমৎকার হয়েছে, যদিও দুটো দু'ঘরানার বই। সবশেষে একটাই কথা। আমি লেখার বিচার করতে পারিনা। নিতান্তই নগণ্য পাঠক। তাই এটাকে রিভিউ না বলে ব্যক্তিগত মত বলা যেতে পারে। **রেটিং: যে লেখা মন ছুঁয়ে যায়, তার রেটিং আমি দিতে পারিনা। এটা অন্যান্য পাঠকের উপরই ন্যস্ত থাকুক।
Was this review helpful to you?
or
"রাখাল "ভাল লাগছে,,,,, সংগ্রহে রাখার মত একটা বই।
Was this review helpful to you?
or
দখল - লতিফুল ইসলাম শিবলি : ডেভিড , জেনি ও কবি অনিন্দ্য আকাশের গল্প দেখানো হয়েছে । কেউ চায় ভালবাসা দখল করতে , কেউ চায় ক্ষমতা দখল করতে । ২ পক্ষ থাকলে শেষ পর্যন্ত দখল এক পক্ষ কে করতে হয় । কে করবে সেটা । কবির চৌকশ বুদ্ধি আবার ডেভিডের দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা । আচ্ছা ক্ষমা দিয়ে কি সব কিছু দখল করা যায় সেটা জানতে হলে উপন্যাস টি পড়ে দেখতে পারেন । ক্ষমতা দখলের অনেক মার প্যাঁচ থাকে , সেগুলো এবং কবিতা থেকে অনুপ্রেরনা , সে থেকে প্রেম এবং কোন কিছু জয় করে নেয়ার প্রেরণা ও হতে পারে। থ্রিলার প্রেমী দের ভাল লাগার কথা ।
Was this review helpful to you?
or
বইটি বেশ ভালো লেগেছে। খুব সুন্দর ভাবে লেখক বইয়ের মধ্যে বিভিন্ন চরিত্র ফুটিয়ে তুলেছে! ডেভিড চরিত্রও বেশ ভালো ভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। একজন আন্ডার ওয়াল্ডের সন্ত্রাসীও ভালো মানুষ পারে তার প্রমাণ পাওয়া যায়। রাজনীতির খারাপ দিকটি ও স্বাভাবিক ভাগে ফুটে উঠে!
Was this review helpful to you?
or
বই : দখল লেখক : লতিফুল ইসলাম শিবলী প্রকাশন : নালন্দা মূল্য : ৩০০ পৃষ্ঠা : ১৪২ প্রচ্ছদ : হাসিব উজ্জামান গল্পটা হৃদয় দখলের, কিংবা ক্ষমতা দখলের। গল্পটা এক সাদামাটা মায়া নগরীর ভিতরের কদার্য অন্ধকার জগতের। হৃদয় দখলের লড়াইয়ে নিষ্ঠুর খুনির ক্ষমাশীল এবং কোমল হৃদয়ের এক প্রেমিকের খুনি হয়ে উঠার গল্পই দখল! কাহিনী সংক্ষেপঃ ঢাকা শহরের অন্ধকার জগতের নতুন রাজা ডেভিড। মার্কস লেলিন পড়া বাম রাজনীতির ছেলে ডেভিড। অন্ধকার রাজ্যের প্রাক্তন রাজা জাহাঙ্গীরকে সরিয়ে নিজে রাজার সিংহাসন দখল করেছে সে। অন্ধকার জগতের প্রথা অনুযায়ী প্রাক্তন রাজা জাহাঙ্গীরকে জীবিত কবর দিতে হবে তাকে। এটাই যে আন্ডারওয়ার্ল্ডের প্রথা! গোপন এক স্থানে চলছে জাহাঙ্গীরের জ্যান্ত কবরের প্রস্তুতি। হঠাৎই সেই কাজে ব্যঘাত ঘটায় এক অচেনা তরুণী। মেয়েটির অনুরোধ আর ব্যক্তিত্বের কাছে হার মানে ডেভিড। পুরনো প্রথা ভেঙে দেয় সে মেয়েটির জন্য। ক্ষমা করে দেয় জাহাঙ্গীরকে! কিন্তু ভালোবেসে ফেলে সেই তরুণীকে। সেই তরুণীর হৃদয় দখলের যুদ্ধে নেমে যায় সে। সেই অচেনা মেয়েটির নাম জেনিফার। যাকে আরো এক জন ভালোবাসে। অনিন্দ্য আকাশ নামের এক তরুণ কবি। জেনিকে উদ্দেশ্য করেই লিখা সেই কবির সব কবিতা। কিন্তু জেনি সেই কবির কবিতা কে ভালোবাসে! কবিতাকে নিজের মাঝে ধারণ করে। কিন্তু কবিকে ভালোবাসে না। নরম মনের সেই প্রেমিক কবি তরূণীর হৃদয় দখলের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বী হয় ডেভিডের। সে হাত মিলায় আরো এক আহত বাঘের সাথে। জেনির কল্যাণে ক্ষমা পাওয়া জাহাঙ্গীরের সাথে। তারা দু'জন মিলে শুরু করে দখলের লড়াই। দুজনের উদ্দেশ্যই ভিন্ন! একজন চায় তার পুরনো সাম্রাজ্য আরেকজন চায় তার সম্রাজ্ঞী! হৃদয় দখলের যুদ্ধের সাথে জুড়ে যায় ক্ষমতা দখলের যুদ্ধ! যা পরিণত হয় এক ভয়ংকর যুদ্ধে! আর সেই যুদ্ধ ছড়িয়ে যায় পুরো শহর জুড়ে! তারপর, তারপর কি হবে? কে পাবে সেই তরুণীর মনের দখল? আর জাহাঙ্গীরেরই বা কি হবে? সে কি পাবে তার পুরনো সাম্রাজ্যের অধিকারী হতে? এসকল কিছুর উত্তর মিলবে লতিফুল ইসলাম শিবলী-র দখল উপন্যাসে। পাঠ প্রতিক্রিয়াঃ সাদামাটা মায়া নগরীর ভিতরের কদার্য অন্ধকার জগতের গল্পই দখল। যেথায় বিবেকবর্জিত মানুষদের নিত্য বসবাস আর দাবার চালের মতো ক্ষিপ্র কৌশলে এক রাজাকে পরাস্ত করে অন্য রাজার ক্ষমতা দখলের লড়াই চলে প্রতিনিয়ত। আন্ডারওয়ার্ল্ড নামের অন্ধকার কদার্য পৃথিবীর এক বাস্তব প্রতিচ্ছবি ফুটে উঠেছে এই বইয়ে। ভালোবাসা কিভাবে একটা মানুষকে আষ্টেপৃষ্ঠে বদলে দিতে পারে তা খুব সুন্দর করেই লেখক দেখিয়েছেন। তাছাড়া লেখক দস্তগীর চরিত্রের মধ্যদিয়ে সেইসব স্বার্থান্বেষী নেতাদের দেখিয়েছেন যারা নিজেদের স্বার্থের জন্য সবকিছু করতে পারে, সবকিছু! ডেভিড আর জেনিফার চরিত্র দুটি অসম্ভব ভালো লেগেছে। ভালোবাসা একটা মানুষকে কতোটাই না বদলে দিতে পারে তা 'ডেভিড' চরিত্র দেখেই বুঝা যায়। বইটির কাহিনী প্রথম দিকে ধীর লাগলেও শেষমেশ পুরো বই জুড়ে গতির কমতি ছিলো না। গল্পের প্লট ছিলো অসম্ভব সুন্দর। আর টুইস্ট গুলো ছিলো মারাত্মক। যা আমাকে পরবর্তী পৃষ্ঠায় যেতে উৎকন্ঠা বাড়িয়ে দিয়েছে।লেখক বইটিতে ছোটো ছোটো কিছু কবিতা আর চমৎকার কিছু উক্তি দিয়েছেন। যাতে করে বইটা আরো সুন্দর আর আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে। বইয়ের প্রচ্ছদ টাও ছিলো দারুন। শহরের ভিতর এক গোপন শহরের দৃশ্য! সবশেষে বলবো অসাধারণ একটা বই। একরাশ মুগ্ধতা নিয়ে বইটা শেষ করেছি।পড়ে দেখতে পারেন,ভালো লাগবে আশা করি।
Was this review helpful to you?
or
চারপাশের এনভাইরনমেন্ট খুব ভালভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন লেখক। বইটা পড়লে মনে হয় আমিও গল্পটার সাথে নিরবে এগোচ্ছি। আরও লিখে যান।
Was this review helpful to you?
or
লেখকের সাথে এখন আর নতুন করে পরিচয় করানোর কিছু নেই। বহু বছর পর্দার অন্তরালে থাকা লতিফুল ইসলাম শিবলী তার প্রথম উপন্যাস 'দারবিশ' দিয়ে গত বইমেলাতেই ঔপন্যাসিক হিসেবে পাঠকের সামনে চলে এসেছেন। যদিও আমি মনে করি ৯০ দশকের এই লিজেন্ডারি গীতিকারের এক প্যারিসের চিঠি কবিতাই তাকে পরিচয় করিয়ে দেয়ার জন্য যথেষ্ট। প্যারিসের চিঠির পরে আর কিছু না লিখলেও তিনি লিজেন্ড রয়ে যেতেন। যা-ই হোক শিবলী ভাইকে নিয়ে বলা শুরু করলে আমাকে থামানো মুশকিল হয়ে যায়। তাই সেদিকে আর না গিয়ে প্রসঙ্গে আসি। দারবিশের পরেই তার দ্বিতীয় উপন্যাস 'দখল' যা এবারই মেলাতে এসেছে। বরাবরের মতই ঘোর লাগানীয়া লেখা। বইমেলা থেকে ফিরে রাতে এক বসাতেই শেষ করে উঠতে হয়েছে। একজন ঔপন্যাসিকের সবচেয়ে বড় গুনই সম্ভবত পাঠককে ধরে রাখা। আর কবিরা যখন উপন্যাস লিখে তখন সেটাও কাব্যিক হয়ে যায়, মোহাবিষ্ট করে। আমাদের চেনা ঢাকা শহরের ভেতরের এ এক অচেনা শহর। শহরের সীমানার পাঁচটি পয়েন্টের গোপন সার্কেলে বিভক্ত এই শহরকে পরিচালনা করে সরকারের পেছনের এক বেসরকারি সরকার। যেখানে দেশের প্রচলিত আইনের বাইরে রয়েছে নৃশংস বেসরকারী আইন। এখানেও ক্ষমতার লড়াই চলে। চলে দাবার চালের মত ক্ষমতাসীন রাজাকে সরিয়ে জনতা টাওয়ারের ১৮ তলা দখলের ঘোড়ার আড়াই চাল। জনতা টাওয়ার নামে মাফিয়া ডনদের এই রাজপ্রাসাদের দখল দেয়া হয় ক্ষমতাসীন সরকারের ইশারায়। দখলদারকে ১৮ তলার উপরে তুলে সাম্রাজ্য দেয়া হয় আবার প্রয়োজনে শেষে সেখান থেকেই নিচের শক্ত মাটিতে আছড়ে ফেলা হয়। ক্ষমতার রাজনীতির স্পর্শকাতর জায়গাগুলোতেও লেখক তাঁর সাহসী কলমের ছোঁয়া দিয়ে গেছেন। স্বরাষ্টমন্ত্রী দস্তগীরের মত আদর্শের বুলি কপচে যাওয়া বাম রাজনীতি কীভাবে ক্ষমতার লোভে অন্ধ হয়ে আদর্শ বিকিয়ে মিশে যায় পুঁজিবাদের সাথে তা প্রসঙ্গক্রমের উঠে এসেছে। এই দেশের বাম রাজনীতিবিদদের সাথে তা কতটা সঙ্গতিপূর্ণ তা বিবেচনার ভার পাঠকের দায়িত্বেই থাকলো। তবে সব কিছু ছাপিয়ে দখলের মূল উপজীব্য মানুষের ভেতরের পশুত্ব আবার পশুত্ব থেকে মনুষ্যত্বকে বের করে আনা। যার দীক্ষা দিয়েছেন লেখক অন্যতম প্রধান চরিত্র গডফাদার ডেভিডের পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে। মনুষত্ব অর্জনের মূলমন্ত্র হিসেবে লেখক দেখিয়েছেন ক্ষমাকে। যা মানুষ ও পশুর মাঝে পার্থক্য তৈরি করে দেয় বলে উপন্যাসের প্রধান নারী চরিত্র জেনির কন্ঠে তিনি বারবার উচ্চারণ করিয়েছেন। যে মন্ত্রে উজ্জীবিত হয়ে একজন মাফিয়া ডন ডেভিড অন্ধকার জগতের অনেক নিয়মকে বদলে দিয়েছে। উপন্যাসের সবচেয়ে প্রভাবশালী চরিত্র কবি অনিন্দ্য আকাশ। সত্য সুন্দরের কথা কবিরাই বলে যায়। বন্দুকের চাইতে কলম কতটা শক্তিশালী হতে পারে তা এই কবির চরিত্রের ভেতর দিয়ে লেখক ফুটিয়ে তুলতে চেয়েছেন। অত্যন্ত প্রতিভাবান এই কবির চরিত্রটি লেখক সবচেয়ে যত্নের সাথে গড়ে তুলেছেন। হয়ত নিজে কবি বলেই নিজের ভেতরকার অনেক কথাই কবিকে দিয়ে বলাতে চেয়েছেন। ক্ষমা যেমন মানুষকে পশু থেকে মানুষ করে তোলে আবার জিঘাংসা-প্রতিহিংসা কত সহজে মানুষকে পশুতে রুপান্তরিত করে তাও দেখা যাবে অনিন্দ্য আকাশের চরত্রের মধ্য দিয়ে। মহৎ গুন ক্ষমায় মুক্তি পেয়ে গডফাদার জাহাঙ্গীরের মত কেউ বেইমানী করে আবার সন্ত্রাসী লিটনের মত কেউ জীবন দিয়ে প্রতিশ্রুতি রাখে। তবু ক্ষমা করে যেতে হয়..ক্ষমাই মহত্ব। পেয়ে হারানো আবার ফিরে পেতে চাওয়া অন্ধকার জগতের মানুষ জাহাঙ্গীর আর ভালোবাসার মোহে অন্ধ কবি অনিন্দ্য আকাশকে এক পথে এনেছে। দুজনই নিজেদের খুঁজে পেয়েছে পরাজিত হিসেবে। একই প্রতিপক্ষের পেছনে ছুটতে গিয়ে কবি অমর্যাদা করেছে ভালোবাসাকে আর জাহাঙ্গীর অমর্যাদা করেছে ক্ষমার মহত্বকে। ‘দখল'-এর অসঙ্গতির দিক বলতে কিছু কিছু জায়গায় একটু বেশি সিনেম্যাটিক লেগেছে। যেমন ভয়েজ স্পাইং ডিভাইসের ব্যবহার অথবা শেষের দৃশ্যের গ্যাং ফাইট। এছাড়া প্রথম পরিচয়েই অনিন্দ্য আকাশ এবং জাহাঙ্গীরের সন্ধিটা আরো পরে হতে পারতো। কিন্তু সব মিলিয়ে অসাধারণ। সর্বোপরি আমি মনে করি উপন্যাসের প্লটের চাইতেও বেশি শক্তিশালী বিভিন্ন চরিত্রের মধ্য আসা ডায়লগের ম্যাসেজ। যা পাঠকের ভাবনার জগতে আলোড়ন তুলতে পারে। আশা করছি প্রথম উপন্যাস দারবিশের মত ‘দখল’-ও পাঠকের হৃদয়কে দখল করে নিবে। বইয়ের নাম: দখল লেখক: লতিফুল ইসলাম শিবলী প্রকাশক: নালন্দা মূল্য: ৩০০ ফরিদ ফারাবী ০৭০২১৮
Was this review helpful to you?
or
ভালোবাসা, এই ভালোবাসার জন্য একজন সিরিয়াল কিলারের বুকে ফুটেছে ফুল আর একজন কবি হয়েছে খুনী। দখল অসম্ভব ভালো লাগার একটি গল্প। ভালোবাসা কিনা করতে পারে, ভালোবাসার শক্তি ব্যাপক। বইটি পড়ে বুঝতে পারি ভালোবাসাই অসুখ ভালোবাসাই ঔষধ। জী ধন্যবাদ
Was this review helpful to you?
or
বুক রিভিউ : বইয়ের নাম: দখল লেখক: লতিফুল ইসলাম শিবলী প্রকাশনা: নালন্দা প্রচ্ছদ: মো: হাসিব উজ্জামান "শহরের ভেতর এক গোপন শহর দখলের লড়াই" শহরের নাম ঢাকা। এই চিরচেনা ঢাকার অলিতে গলিতে সুপ্ত থাকা অচেনা জগতের রোজকার লড়াই নিয়েই দখল। যে জগতে ভালোবাসা বলে কোনো শব্দের মূল্যায়ন হয়না সেই জগতেই ভালবাসা ঢুকে পরে। আর চেনা শান্তজল ঘোলা করতেও যেন ভালবাসা'ই দায়ী। অশান্তকে শান্ত করে আর শান্তকে করে তুলে অশান্ত। দুইয়ের এই ব্যতিক্রমধর্মী পরিবর্তনে শুরু হয় গোপন যুদ্ধ। এই যুদ্ধ ছড়িয়ে পরে শহরের আড়ালে থাকা আরেকটা গোপন শহরের আনাচেকানাচে। চলতে থাকে হৃদয় দখলের মাতাল যুদ্ধ। কবি অনিন্দ্য আকাশ কবিতা লেখে জেনিফারকে কেন্দ্র করে। আর জেনিফার কবির কবিতায় মুগ্ধ। যে মুগ্ধতায় কোনো রকমের কৃত্রিমতা নেই। থাকতে পারেনা। কবি অনিন্দ্য আকাশ তার কবিতা জেনিফারকে মুগ্ধ করেছিল ঠিকই, কিন্তু নিজের করে পাবার যে আকাঙ্ক্ষা ছিল তার জন্য কি জেনিফার হৃদয় সে জয় করতে পেরেছিল? ঢাকার অন্ধকার জগতের অন্যতম আতঙ্ক হল জাহাঙ্গীর। প্রয়োজন ফুরালে সরকারীদল তাকে এড়িয়ে যায়। জাহাঙ্গীর ঢাকা শহরে রাজ করত সরকারীদলের ছায়া পেয়েছিল বলে। কিন্তু সে ছায়া সরে গেছে। ছায়া সরে যেতেই প্রশাসন মরিয়া হয়ে উঠেছে জাহাঙ্গীরকে ধরতে। কিন্তু পারেনি। সে লুকিয়ে ছিল প্রশাসনকে ফাঁকি দিয়ে। তবে ফাঁকি দিতে পারেনি ডেভিডকে। কোকের সাথে ঘুমের ঔষধ মিশিয়ে জাহাঙ্গীরকে অচেতন করে ধরা হয়েছে। বনখোরিয়া হল শহীদ চেয়ারম্যান -এর এলাকা। সেখান থেকে কিছুটা দূরে জাহাঙ্গীরকে নিয়ে আসা হয় জীবিত অবস্থায় গর্তে পুতে দেবে বলে। এটাই আন্ডারওয়ার্ল্ড এর নিয়ম। এই নিয়ম অতীতে কেউ ভঙ্গ করেনি। এমন কি ক্ষমতা থাকাকালীন সময়ে জাহাঙ্গীরও এই নিয়ম ভঙ্গ করেনি। কিন্তু আজ! আজ তার মনে হল নিয়মের পরিবর্তন হোক। তাই সে বিভিন্ন ভাবে ডেভিডকে উত্তেজিত করবার চেষ্টা করছে। যাতে ডেভিড উত্তেজিত হয়ে বন্দুকের ট্রিগার চেপে দেয় আর মৃত্যুওটা যেন সহজে হয়। কিন্তু ডেভিড উত্তেজিত হল না। সে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করেছে। কিছুতেই নিয়মের ব্যতিক্রম হতে দেয়া যায়না। কবি ও জেনিফা ঝোপের আড়ালে ডেভিড বাহিনীর কর্মকাণ্ড দেখছে। এসব দেখে কবি চেপে গেলেও জেনি নিজেকে আর আড়াল করল না। সরাসরি প্রতিবাদ করতে মুখোমুখি হল ডেভিডের। মুখোমুখি হবার আগে কবি অনিন্দ্য আকাশের উদ্দেশ্য বলে,' তাহলে কবিতায় এসব লেখ কেন?' "বন্ধু তোমার বেঁচে থাকার দাবিতে আমার বুক হবে প্রাচীরের মতো প্রতিবন্ধক ঘাতকের লক্ষ বুলেট প্রতিহত হবে এই বুকে..." জেনিফা আন্ডারওয়ার্ল্ড এর পুরোনো নিয়মটা ভেঙ্গে দিল তার বুদ্ধিমত্তা, সাহস আর ভালবাসা দিয়ে। কিন্তু কবি অনিদ্য আকাশ যখন রিসোর্টের রেস্টুরেন্ট এ জাহাঙ্গীরের মুখোমুখি হয়, তখন সে দাবি করে জেনি ডেভিড এর হাত থেকে জাহাঙ্গীরকে বাঁচায়নিনি, বাঁচিয়েছে তার কবিতা। বাঁচিয়েছে সে। পাঠক হিসেবে মতামত: শুরুতেই বলতে হয় গীতিকবি ও কথাসাহিত্যিক লতিফুল ইসলাম শিবলী (Latiful Islam Shibli) বরাবরই একজন সার্থক লেখক। তার সৃষ্টি "দখল" পাঠক সমাজকে নি:সন্দেহ দখল করে নেবার যোগ্যতা রাখে। লেখক 'দখল'-এ বলেছেন শহরের ভেতর আরেক শহরের কথা, বলেছেন অন্ধকার জগতে রাজ করা কিছু মানুষের কথা যারা রাষ্ট্রের মতো নাগরিকদের উপর ক্ষমতা আর গোপন নিয়ন্ত্রণ চালায়। সেখানে চলে পালাবদল। সেই অন্ধকার জগতে যুদ্ধ কখনো শেষ হয়না। চলতেই থাকে। শেষকথা : 'দখল' পাঠে পাঠকের মন লেখকের প্রতি এবং প্রাণবন্ত ভালবাসা দখলে যাবে।
Was this review helpful to you?
or
Latiful Islam Shibli ভাইর লেখা প্রথম উপন্যাস 'দারবিশ' পড়ার পর থেকেই চিন্তা করছিলাম দ্বিতীয় উপন্যাস কেমন হবে! অবশেষে অপেক্ষার পালা শেষ, পড়ে ফেললাম 'দখল'। 'দখল' কে বলা যেতে পারে পলিটিক্যাল থ্রিলার।'জেল থেকে বলছি ' গানের গীতিকার যে এই ধরণের উপন্যাস লিখবে এটাই স্বাভাবিক। আন্ডারগ্রাউন্ড রাজনীতি নিয়ে এই রকম সাসপেন্সওলা মৌলিক বাংলা বই আমি আগে পড়িনি। 'দখল' হলো একটা হৃদয় দখলের গল্প, ক্ষমতা দখলের গল্প, আমাদের অতি পরিচিত ঢাকা শহরের অন্ধকার জগত দখলের গল্প। ধন্যবাদ লেখককে সম্পূর্ণ নতুনভাবে আমাদের পুরানো শহরটাকে চেনানোর জন্য। কেননা 'Dokhol is fiction based on fact ' reviewed by Afsana Zebin