User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
আমার পড়া প্রথম হিস্টোরিক্যাল থ্রিলার বই এবং সেরা একটা বই । লেখক এমন সুন্দর করে গল্পের প্লট , ক্যারেক্টার সাজিয়েছেন সত্যিই যে কেউ প্রশংসা করতে বাধ্য । যদি এখনো না পড়ে থাকেন ,পড়ে নিন । হতাশ হবেন না এইটুকু আশা দিতেই পারি । ✨✨✨✨✨
Was this review helpful to you?
or
বাংলাদেশের অন্যতম সেরা হিস্টরিকাল থ্রিলার। অভাবনীয় দুর্দান্ত গতির রোলার কোস্টার রাইড। টানটান সাসপেন্স, ধুন্দুমার থ্রিল আর মাথা নষ্ট ট্যুইস্ট - সবই পরিমাণ মতো পাওয়া যাবে। এটা কেবল বাংলাদেশের বা বাংলা ভাষারই নয়, আন্তর্জাতিক মানের টপ চার্ট হিস্টরিকাল থ্রিলার হবার যোগ্য। সে তুলনায় এখনও আন্ডাররেটেড। কিনুন পড়ুন, পয়সা উসুল হবে আশাকরি।
Was this review helpful to you?
or
onek sundor golpo .love it
Was this review helpful to you?
or
ভালো লেগেছে।
Was this review helpful to you?
or
বাংলাদেশের অন্যতম পর্যটন আকর্ষণ নগরী এবং বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘ সমুদ্র সৈকতের অধিকারী কক্সবাজারে একদিন ভোরে সৈকতে পাওয়া গেল অজ্ঞাত এক লাশ। দূর থেকে লাশটিকে প্রথমে দেখলেই মনে হবে সোজা শান্ত দৃষ্টিতে বসে কেউ যেন সমুদ্র দেখছে। কক্সবাজার থানার এসআই নিজাম উদ্দিন হাওলাদার তদন্ত শুরু করলেও এর কোন কিনারা করতে না পারায় তদন্তে যুক্ত হয় ডিবির জাহিদ হাসান। কিন্তু তবুও কিছু তথ্য জোগাড় করতে না করতেই কন্ট্রাক কিলারের মাধ্যমে খুন হয় জাহিদ হাসান। অবশেষে প্রাইভেট ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি "সিক্রেট শ্যাডো" এর মেজর সাইফ হাসান কক্সবাজারে ছুটি কাটাতে এসেও তিনিও বাধ্য হয়ে যুক্ত হন সেই লাশ আর ডিবি পুলিশ জাহিদ হাসানের খুনের তদন্ত করতে। ঘটনা ঘনঘটায় মেজর সাইফ হাসান বুঝতে পারেন এই ঘটনার মূল রহস্য লুকিয়ে আছে পৃথিবীর অন্য কোথাও। কারণ একইভাবে আজ থেকে সত্তর বছর আগে ১৯৪৮ সালে অস্ট্রেলিয়ার সমরটন বিচে ঠিক একই অবস্থায় এই ঘটনাই ঘটেছিল। সত্তর বছর আগের সেই হত্যাকান্ড পৃথিবীর ইতিহাসে অমিমাংসিত কেস গুলোর মধ্য অন্যতম। তা যেন আবারো অনেকটা ইচ্ছাকৃতভাবেই পুনরাবৃত্তি ঘটানো হয়েছে বাংলাদেশে। আড়ালে থাকা কেউ একজন তাকে ডাকছে সেটার সমাধান করতে। অচিরেই মেজর সাইফ হাসান বুঝতে পারেন এই রহস্যের সমাধান করতে তাকে ডুব দিতে হবে বিশ্ববিখ্যাত ওমর খৈয়ামের যুগে! মূল কাহিনীর প্লট আমার কাছে ভালো লাগলেও কিছু বিষয় আমার কাছে বিরক্তিকর লেগেছে। আযীনের চরিত্রের নানা দিকগুলো যেভাবে গল্পে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করা হয়েছে, তা মোটেও একজন এনএসআই কর্মকর্তার মতো মনে হয় নি। তাকে অনেক বেশিই খাম-খেয়ালী পূর্ণ ইমম্যাচিউর মনে হয়েছে। আযীনকে অন্যভাবে কাহিনীতে সম্পৃক্ত করা গেলে ভালো হতো। প্রথমদিকে কাহিনীর গতিময়তা শেষের দিকে এসে যেন একটু ম্লান হয়ে গিয়েছিলো। শেষ দৃশ্যে যেখানে পৃথিবীর অন্যতম ক্ষমতাধর ব্যক্তিরা বসে বৈঠক করছিলো তার চারপাশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা এতটা দূর্বল; এটা আমার কাছে খটকা লেগেছে। তবে ঐতিহাসিক ব্যাপারগুলি ঠিক সময়মত এবং মাপমতো মনে হয়েছে আমার কাছে, যা প্লটের সাথে মিলে গেছে। সর্বোপরি বইয়ের কাহিনী বেশ উপভোগ্য ছিলো। এক্ষেত্রে লেখকের পরিশ্রম স্বার্থক বলে মনে করি। প্রোডাকশনঃ পেপার কোয়ালিটি, ফন্ট সাইজ এবং বুক বাইন্ডিং আমার কাছে ভালো লেগেছে। কিছু কিছু বানান ভুলের বিষয়টি আমার কাছে খারাপ লেগেছে। ব্যক্তিগত রেটিংঃ ৭/১০।
Was this review helpful to you?
or
nice book
Was this review helpful to you?
or
বই পরিচিতিঃ বই: হিস্টোরিক্যাল থ্রিলার দ্য এন্ড লেখক: আবুল ফাতাহ প্রকাশনী: রোদেলা প্রচ্ছদ : আবুল ফাতাহ পৃষ্ঠাসংখ্যা : ৩১৮ মুদ্রিত মূল্য: ৩৮০ ভূমিকাঃ ১৯৯১সালের ৭এপ্রিল জন্মগ্রহণ করেন আজকের আলোচিত বইয়ের লেখক আবুল ফাতাহ মুন্না। যার আদি নিবাস সিরাজগঞ্জে হলেও এখন বসবাসরত আছেন ঢাকা নগরীতে। শখের বসে লেখালেখি করলেও পেশায় এন্টারপ্রেনার হবার চেষ্টায় আছেন। সে সাথে গ্রাফিক্স ডিজাইনেও বেশ পারদর্শী তিনি। হিস্টোরিক্যাল থ্রিলার "দ্য এন্ড" লেখকের পঞ্চম বই। হিস্টোরিক্যাল নামটা শুনলেই মনেহয় না সেই নাইন টেনের সমাজ বইয়ের গৎবাঁধা একগাদা ইতিহাস? আমারও প্রথমে তাই-ই মনে হয়েছিল। যার কারণে বইটা পাওয়ার পর মন খানিকটা খারাপ হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু পড়ার পর বুঝতে পারলাম আমি কতটা ভুল ছিলাম। তো চলুন বইয়ের কাহিনী সম্পর্কে একটু জেনে আসি.. সংক্ষিপ্ত কাহিনীঃ গল্পের শুরু যার হাত দিয়ে সে হলেন তারা মিয়াঁ, পেশায় একজন পরিচ্ছন্ন কর্মী। প্রতিদিন সূর্য ওঠার আগেই কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের বিচের ময়লা আবর্জনা পরিষ্কার করেন তিনি। ঘটনার দিনেও যথারীতি তিনি তার কাজের জন্য বিচে পৌছুতেই দেখতে পেলেন ঝাউগাছের সাথে হেলান দিয়ে বসে আছে একটি মানুষ। মানুষটার দৃষ্টি সমুদ্রের দিকে নিবদ্ধ, যেন সমুদ্র তাকে সম্মোহিত করে রেখেছে। ঝাউবন সম্পর্কে অনেক ভয়াবহ গল্প শোনা যায়। তারা মিয়াঁ সেসবে তেমন বিশ্বাসী না হলেও চাকরী পাবার পর এ নিয়ে বেশ ভয়ে ছিলেন। আজ পুনরায় সে ভয়টা তিনি পেতে লাগলেন। মানুষটার বসে থাকার মধ্যে অস্বাভাবিকতা আছে। তারা মিয়াঁ মানুষটাকে ডাক দিলেন, কিন্তু মানুষটার মধ্যে কোনো ভাবান্তর দেখা দিল না। না দেখা দিল কোনো নড়াচড়া। ঠিক এক অবস্থাতেই বসে আছেন। ভয় ভয় পায়ে কিছুটা সামনে যেতেই হঠাৎ করে মানুষটা তার কাছে একটা 'দেহ'তে পরিণত হলো। ঝাউগাছগুলোর মতোই যেন নিথর হয়ে আছে মানুষটার বুক। সে একটা লাশের সামনে দাঁড়িয়ে আছে! ক্রাইমসিনে পৌঁছুতেই এসআই নিজাম উদ্দিন দেখতে পেলেন, মানুষটার কানের পিছনে অদ্ভুতভাবে গুঁজে রাখা সিগারেট। আরেকটা সিগারেট আধখাওয়া অবস্থায় পড়ে আছে কোলের উপর। পোশাক পরিচ্ছদের সাথে কানে সিগারেট গুঁজে রাখার ব্যাপারটা যাচ্ছে না কারণ মানুষটা ফর্মাল পোশাক পরে আছেন। সাদা শার্ট, লাল এবং নীল রঙে মেশানো টাই, জুতা ও মোজার রঙ বাদামি, গায়ের কোট ধূসর ও বাদামির মিশেল। সাইফ হাসান বাংলাদেশ আর্মির একজন সাবেক মেজর। মেজর হবার পরপরই বাংলাদেশ আর্মির ইন্টেলিজেন্স উইং এর হয়ে কাজ করতে শুরু করে। উল্লেখযোগ্য কিছু মিশনে তাক লাগানো সফলতার পর যখনই ওকে ইনটেলিজেন্ট উইং এর সেকেন্ড ইন কমান্ড হিসেবে নিয়োগের গুঞ্জন বাতাসে ভেসে বেড়াচ্ছে ঠিক তখনই বাধে বিপত্তি। সাইফ আবিষ্কার করে, আর্মির কিছু পদস্থ অফিসার ক'জন রাজনৈতিক নেতার সাথে হাত মিলিয়ে আর্মির কিছু টপ সিক্রেট ইনফরমেশন লিক করছে। সাইফ প্রতিবাদ করার সাথে সাথেই কর্তারা হাত, চোখ সব উল্টে নেয় ওর থেকে। ফলাফল, ঠিক দু'দিনের মাথায় সাসপেনশন অর্ডার। সাইফের ভাইবোন নেই, বাবা-মাও অনেক আগেই মারা গিয়েছে। কর্নেল আজহার সাইফের বাবার বাল্যকালের বন্ধু। কর্নেল আজহার চৌধুরীর পরামর্শ ও সহযোগিতায় সাইফ গড়ে তোলে প্রাইভেট ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি -সিক্রেট শ্যাডো। এই শ্যাডো বাংলাদেশসহ প্রায় দেশেই কাজ করছে। ঘটনাচক্রে কক্সবাজারের কেসের সাথে জড়িয়ে পড়েন মেজর সাইফ হাসান। তার সাথে জুটে যায় এনএসআই'র লাস্যময়ী এক এজেন্ট। তদন্ত শুরু হতেই দ্রুত ঘটতে শুরু করে একের পর এক পিলে চমকানো ঘটনা। শীঘ্রই সাইফ বুঝতে পারে, সাম্প্রতিক সময়ের মৃত্যুর সাথে আশ্চর্য রকমের মিল আছে আজ থেকে সত্তর বছর আগে পৃথিবীর অন্য এক প্রান্তে ঘটে যাওয়া আরেক মৃত্যুর। যে মৃত্যু আজও পৃথিবীর ইতিহাসে অন্যতম এক অমীমাংসিত রহস্য হয়ে আছে। কী সেই ঘটনা? আসলেই কী সেই রহস্য সত্তর বছর আগেকার? নাকি এর উৎপত্তি হাজার বছর আগের? মেজর সাইফ কি পারবে এই রহস্যের জট খুলতে? ব্যক্তিগত মন্তব্যঃ বইটা শুরু করার পর থেকে একটু বিচলিত ছিলাম যেহেতু হিস্টোরিক্যাল থ্রিলার সেহেতু অনেক অনেক হিস্টোরি থাকবে সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু পড়তে পড়তে মনে হয়েছে বইটা অন্যসব হিস্টোরিক্যাল বই থেকে আলাদা। এখানে হিস্টোরি থাকলেও তা বোরিং ধরণের না। সুন্দরভাবে ঘটনার প্রেক্ষিতে ইতিহাস বর্ণনা করা হয়েছে যা পাঠক সহজে বুঝতে পারবে এবং মনেও রাখতে পারবে। এজন্য লেখককে সাধুবাদ জানাই। তবে একটা ব্যাপার আমার কাছে একটু খারাপ লেগছে তা হলো, বইয়ের কিছু ঘটনা খুব দ্রুত এবং কিছু ঘটনা খুব ঢিলে হয়েছে। সামঞ্জস্যতা বজায় থাকেনি। তবে আমার সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে বইয়ের শেষে দেয়া ফটো অ্যালবামটা। গল্প যে কতোটা সত্য ঘটনার আদলে তৈরি তার প্রমাণ হিসেবে ছবিগুলো অসাধারণ ভূমিকা পালন করে। বইয়ের প্রচ্ছদ এবং নাম দুটোই ভালো লেগেছে। কাহিনীর সাথে বেশ মিলে গেছে। অক্ষর স্পষ্ট ছিলো যার কারণে পড়তে অসুবিধা হয়নি। বইয়ের বাঁধাই ঠিক থাকলেও বানানে একটু সমস্যা ছিলো। এদিকটা আরেকটু ভালোভাবে খেয়াল রাখলে বেশ হতো।সর্বোপরি বলবো পড়ার মত একটি বই।
Was this review helpful to you?
or
কক্সবাজার।পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকত।১২০ কিলোমিটার দীর্ঘ এ সৈকতের একজন পরিচ্ছন্নতা কর্মী তাঁরা মিয়া।সূর্য উঠার এক ঘন্টা আগে এসে ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার করাই তার কাজ।কাজ প্রায় শেষ।তখন তাঁরা মিয়া খেয়াল করলো সৈকতের লাগোয়া ঝাউবনে গাছের সাথে হেলান বসে আছে কেউ।এগোতেই নিজের ভুল বুঝতে পারলো সে।কোনো জল-জ্যান্ত মানুষ নয়।একটা লাশ! সূর্যোদয়কে কি নবজন্ম বলা যেতে পারে?হয়তো অনেক অর্থেই নয় কিন্তু কিছু কিছু ক্ষেত্রে তো অবশ্যই ভোরের সূর্য এক নতুন সূচনা করে।যেমন আজকের ভোর এক প্রাচীন রহস্যের নব সূচনা করতে যাচ্ছে।কে জানতো শান্ত-স্বাভাবিক একটা ভোরের অপেক্ষায় থাকা কক্সবাজার কিছুসময়ের মধ্যেই নড়েচড়ে বসবে তাঁরা মিয়ার 'আবিষ্কারে'! নিজাম উদ্দিন হাওলাদার সাহেব কক্সবাজার থানার সেকেন্ড ইনচার্জ।সৈকতে লাশ পাওয়া রোজকার ঘটনা না।একটু এদিক সেদিক হলেই উপরতলার ঝাড়ি খেতে হবে।তাই উনি কোনো ফাঁক ফোকড় রাখতে রাজি নন।নিজে ঘটনাস্থলে যাওয়ার পাশাপাশি খবর দিয়েছেন ডিটেকটিভ ব্রাঞ্চের জাহিদ হাসানকে। জাহিদ হাসান দু'বছর হলো জয়েন করেছে ফোর্সে।নিবেদিত প্রাণ পুলিশ অফিসারের উদাহরণ সে।কেনো জানি মনে হচ্ছে তাঁর এই খুনটাকে ঘীরে অনেক বড় কিছু ঘোল পাকাচ্ছে।অবশ্য এটা সুইসাইড নাকি খুন সেটাই জানেনা এখনো সে।তবে অস্বাভাবিক অনেকগুলো ব্যাপার লক্ষ করলো জাহিদ।যেমন লাশের কাপড়চোপড়ের গায়ে কোনো লেবেল লাগানো নেই।পকেটে কোনো পরিচয়পত্র তো নেই-ই আছে কেবল একটা চিরুনী আর চুইংগাম।পোস্ট মর্টেম রিপোর্টে মুত্যৃর কারণ অজ্ঞাত।তার থেকেও বড় ব্যাপার লাশের প্যান্টের গোপন পকেটে জাহিদ খোঁজে পেলো একটা চিরকুট।যাতে লেখা তামাম শুদ!দ্য এন্ড! প্রধানমন্ত্রী আসছেন কক্সবাজারে।অতিরিক্ত নিরাপত্তা নেয়া স্বাভাবিক প্রটোকল।প্রাইভেট ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি 'সিক্রেট শ্যাডো' এর চিফ অফ অপারেশন্স মেজর সাইফ হাসানকে বলা হয়েছে সৈকতে পাওয়া লাশটার ব্যাপারে একটু খোঁজ-খবর নিতে।বেড়াতে আসা সাইফের কোনো ইচ্ছা নেই ব্যাপারটাতে নিজেকে জড়ানোর।নিজের হোটেলে ওর সাথে দেখা করে ফেরার পথেই খুন হলো পুলিশ প্রশাসনের এক তরুণ অফিসার।জেদ চেপে গেলো সাইফের।এনএসআইয়ের লাস্যসয়ী এজেন্ট আযীনকে নিয়ে এবার মাঠে সাইফ হাসান।তবে সাদামাটা একটা কেস কতদূর নিয়ে যাবে ওদেরকে তা এ মুহূর্তে ধারণাও করতে পারছেনা ওরা। অপরদিকে দেশের মাটিতে পা রেখেছে দুর্ধর্ষ হিটম্যান গুস্তাভো অস্ত্রোভস্কি।কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে চলেছে সে।নিজেকে কিংবদন্তীর পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া এ কন্ট্রাক্ট কিলারের কি কাজ বাংলাদেশে?ওর পিছনে কলকাঠি নেড়ে যাওয়া অসম্ভব ক্ষমতাধর কিছু মানুষ আর ওমর খৈয়ামের বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থের সাথে কক্সবাজারে ঘটে যাওয়া মামুলি এক হত্যাকান্ডের যোগাযোগ কোথায়? ওয়াও!তুলনামূলক সমালোচনার আগে বলে নিই এ বইটা অসম্ভবভাবে থ্রিলিং।শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সাসপেন্স টেনে নিয়ে যাবে।বাংলায় লেখা হাতেগোণা যে কয়টি হিস্টোরিক্যাল থ্রিলার আছে তার মধ্যে উপরের দিকেই থাকবে আবুল ফাতাহ'র 'দ্য এন্ড'। লেখক সাইফ হাসানের চরিত্র গঠনে বেশ সময় নিয়েছেন।তবে আমার কেনো জানি মনে হয়েছে মেজর সাইফ হাসানকে একটু বেশীই হিরো টাইপ বানানো হয়েছে।মাঝে মাঝে মনে হচ্ছিলো সাইফ হাসান আসলে মুখোশ পরা মাসুদ রানা যে একটু কম একশনে যাচ্ছে বেড়াতে এসেছে বলে।হিটম্যান গুস্তাভো বেশ ইন্টারেস্টিং ক্যারেক্টার।আমার কাছে সাইফ হাসানের থেকে গুস্তাভো অস্ত্রোভস্কিকে বেশী ভালো লেগেছে।এই প্রফেশনাল হিটম্যানকে নিয়ে একটা প্রিকুয়েল করলে মন্দ হবেনা। হিস্টোরিক্যাল থ্রিলারে ইতিহাসের কচকচানি থাকবেই।তবে ইতিহাস একদমই বোরিং লাগেনি লেখকের বর্ণনায়।বেশ সাবলীল।যদিও দু'একটা রিভিউয়ে দেখেছি লেখকের লেখনীতে জড়তা আছে বলতে তবে আমার তেমন মনে হয়নি।বেশ উপভোগ্য।থ্রিলার পছন্দ করেন যারা তাদের খারাপ লাগার কোনো কারণ দেখছিনা।হাতের কাছে থাকলে বসে পড়ুন একটা অসাধারণ জার্নির অভিজ্ঞতা নিতে। লেখক আবুত ফাতাহ'র জন্ম ১৯৯১ সালে।অদ্ভুত ব্যাপার লেখকের আর আমার জন্ম একই দিনে!'দ্য এন্ড' এর একটা প্রিক্যুয়েল বের হয়েছে আদী প্রকাশনী থেকে 'ফেরাউনের গুপ্তধন' নামে। প্রচ্ছদ করেছেন লেখক নিজে।এভারেজ লেগেছে প্রচ্ছদখানা।বাঁধাইয়ের মান ভালো।কাগজও ভালো।প্রিন্টিং মিসটেক তেমন নেই।দু'একটা থাকলেও কোন অসুবিধা হবেনা পড়ায়।তবে বইয়ের নাম 'দ্য এন্ড' না হয়ে 'তামাম শুদ' হলে বেশী মানাতো মনে হচ্ছে।ব্যক্তিগত মতামত আরকি। নাম:দ্য এন্ড লেখক:আবুল ফাতাহ জনরা:হিস্টোরিক্যাল থ্রিলার প্রকাশক:রোদেলা প্রকাশনী দাম:৩৮০ টাকা পৃষ্ঠা:৩০৯
Was this review helpful to you?
or
কিছুটা সিনেমাটিক মনে হলেও থ্রিলার হিসেবে ভালো লেগেছে৷ অহেতুক টেনে নেওয়া এমন কিছু ছিল না। উপন্যাসের মাঝামাঝি উত্তেজনা ছিল অনেক। শেষের দিক টা মনে হয়েছে হুট করে শেষ হয়ে গিয়েছে। রহস্য টার এন্ডিং আরেকটু ইন্টারেস্টিং হতে পারতো।তবে যাদের থ্রিলিং ব্যাপার-স্যাপার ভালো লাগে,থ্রিলিং বই পড়া যাদের অভ্যাস, তারা বইটি পড়ার সময়টুকু ভালো এনজয় করবেন বলে আশা করি।
Was this review helpful to you?
or
কিছুটা সিনেমাটিক মনে হলেও থ্রিলার হিসেবে ভালো লেগেছে৷ অহেতুক টেনে নেওয়া এমন কিছু ছিল না। উপন্যাসের মাঝামাঝি উত্তেজনা ছিল অনেক। শেষের দিক টা মনে হয়েছে হুট করে শেষ হয়ে গিয়েছে। রহস্য টার এন্ডিং আরেকটু ইন্টারেস্টিং হতে পারতো। সবই আমার মনের কথা,হয়ত অন্যদের কাছে ভালো লাগবে।
Was this review helpful to you?
or
আচ্ছা আপনি একটি খুন করলে এভিডেন্স লুকানোর জন্য কি কি করবে? সিম্পল, ভিক্টিম এর মোবাইল ওয়ালেট সড়াবো, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সড়াবো। কিন্তু আমি একটি খুন করলে ভিক্টিম এর গায়ের জামা থেকে লেভেল অর্থাৎ কোন ব্রান্ডের জামা তাও সরিয়ে ফেলবো। স্ট্রেঞ্জ!! ১২০ কিলোমিটার দৈর্ঘ পৃথিবীর বৃহত্তম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার এর বিচের ধারে পাওয়া গেলো একটি লাশ। সোজা শান্ত দৃষ্টিতে বসে থাকা লাশটিকে প্রথমে দেখলেই মনে হবে যেন কেউ বসে সমুদ্র দেখছে। মানুষটিকে যে হত্যা করা হয়েছে তার কোন আলামত নেই। কোন জবরদস্তির ছাপ নেই গায়ে, ইস্ত্রি করা কাপড় পরে সে বসে আছে। তবে কি এটা সুইসাইড? প্রাথমিক তদন্ত এ ভিক্টিমের কাছ থেকে পাওয়া গেলো কিছু অবাক করার মতো জিনিশ চিড়ুনী, চুইংগাম এর প্যাকেট। আর লাশ এর গায়ের কোন কাপড়েই ছিল না ট্রেড মার্ক। আর হিডেন পকেট থেকে পাওয়া যায় একটি চিরকুট যা তে ফারসি ভাষায় লেখা Tamam Shud যার বাংলা অর্থ দ্বারায় দ্য এন্ড বা সব শেষ। পোস্টমর্টেম এর পর জানা যায় কোন এর সায়নাইট এর মাধ্যমে মৃত্যু। মৃত্যু তিন চার ঘন্টা আগে প্রেস্টি খেয়েছিল ভিক্টিম বাট সেই প্রেস্টিতে পয়জনস ছিল না। তাহলে কিভাবে এটা সুইসাইড? আর কিভাবেই পরিকল্পিত হত্যা? ঠিক সেইম ভাবে আজ থেকে সত্তর বছর আগে ১৯৪৮ সালে অস্ট্রেলিয়ার সমরটন বিচে ঠিক সেইম অবস্থায় একি ঘটনা ঘটেছিল। সত্তর বছর আগের সেই হত্যাকান্ড পৃথিবীর ইতিহাসে অমিমাংসিত কেস গুলোর মধ্য অন্যতম। তা যেন আবারো পুনরাবৃত্তি ঘটলো বাংলাদেশে। প্রাথমিক ইনভেস্টিগেশনের জন্য লোকাল থানা তারপর গোয়েন্দা। খুন হয়ে গেলে একজন গোয়েন্দা অফিসার। অচিরেই কেসটা হাতে তুলে নেয় প্রাইভেট এজেন্ট সিক্রেট স্যাডো এর সিয়িনর সদস্য সাবেক আর্মি মেজর সাইফ হাসান। ঘটনার সূত্র ধরে আগাতেই তাকে পারি দিতে হয় অস্ট্রেলিয়ায়। যে গল্প এখান থেকেই শুরু। বের হয়ে আসে আরো পুরানো ইতিহাস ওমার খৈয়ামের রুবাইয়াৎ। তাহলে তামাম সুদ কেসের রহস্য কি? আর কেন এই কেস অস্ট্রেলিয়া ছড়িয়ে বাংলাদেশে? আর কেনই বা টেনে আনা হলো ওমার খৈয়ামকে?মেজর সাইফকেই দিতে হবে এর উত্তর।। যার শুরু ঐ চিরকুট Tamam Shud দ্য এন্ড। পাঠ প্রতিক্রিয়া :: হিস্ট্রিক্যাল থৃলার বরাবরই আমার সবচে প্রিয় একটি সাব-জনরা। তাই প্রায়শ আমি চেষ্টা করি হিস্ট্রিক্যাল থৃলার পড়তে। লেখকের মতে একমুঠো ইতিহাসের সাথে একচিমটি ফিকশন জুরে তৈরি হয় হিস্ট্রিক্যাল ফিকশন আর সেই ফিকশনও থাকতে হবে হিস্ট্রির খুব কাছাকাছি।
Was this review helpful to you?
or
পড়ে শেষ করলাম.... ? আবুল ফাতাহ এর হিস্টোরিক্যাল থ্রিলার #দ্য_এন্ড আমি বলছিঃ- মনটা খারাপ হয়ে গিয়েছিল যখন দেখলাম বইটি হিস্টোরিক্যাল থ্রিলার। হিস্টোরি প্রতি আমার তেমন আগ্রহ নেই। কিনেছি যখন তখন পড়তে হবে তাই বাধ্য হয়েই হাতে নিয়েছিলাম। ভূমিকা পড়ে যখন জানতে পারলাম তিন বছর সময় নিয়ে লেখক বইটি লিখেছেন তখন লেখকের প্রতি করুণা করেই শুরু করি বইটি। তারপর হারিয়ে যাই এই বইটির মধ্যে। গোগ্রাসে গিলতে থাকি হিস্টোরি গুলো। জানতে পারি সেই ৭০ বছর আগের অমীমাংসিত এক ঘটনা। যা পৃথিবীর ইতিহাসে আজও রহস্য। জানতে পারি ওমর খৈয়াম আর ইবনে সিনার কথা। আমি এমন করে বলতেছি যে কেউ ভাববে এটা একটা ইতিহাস মূলক বই। কিন্তু আসলে তা নয়। এটা সত্য ঘটনা অবলম্বনে লেখা। একমুঠো ইতিহাস সাথে এক চিমটি ফিকশন জুড়ে তৈরী হয় হিস্টোরিক্যাল ফিকশন। লেখক ফিকশন এক চিমটির বেশিই ব্যাবহার করে ফেলেছেন। তবে লেখকের ফিকশন থেকে সত্যটাই(হিস্টোরি) বেশি ভালো লেগেছে আমার কাছে।আর লাগবেই তো, কারণ 'ট্রুথ ইজ স্ট্রেঞ্জার দেন ফিকশন'। এই বইতে সবচেয়ে ভালো লেগেছে যাকে তিনি হলেন গল্পের ভিলেন গুস্তাভো অস্তোভস্কি। কুরিয়ার বয় থেকে এসাসিন হওয়ার গল্প খুবই ভালো লেগেছে আমার। লাগার কথাই এসাসিন গেম গুলো যখন খেলতাম তখন আমিও তাদের মতো এসাসিন হতে চাইতাম। গুস্তাভো অস্তোভস্কিকে আমার হিংসা হয়েছে বলা যেতেই পারে। গল্পের আরেকটি জিনিস পড়ে খুব কষ্ট পেয়েছি। যখন পড়ার মস্তানরা ভাই বোনকে রিক্সা থেকে টেনে নামিয়ে ভাইকে মারছিল আর বলছিল তার সামনেই বোনকে ধর্ষণ করা হবে। আমার কোন বোন নেই তাই বোনের ভালোবাসা কেমন তা ঠিক মতো জানতে পারিনি। আমি নিজেকে ওই ভাইয়ের জায়গায় যখন কল্পনা করলাম তখন বুকটা হু হু করে উঠেছিল। খুব কষ্ট পাচ্ছিলাম।তবে সান্ত্বনা ছিল এটা গল্প সত্য নয়। কিন্তু এই সব কি সত্য হয় না? মনটাই খারাপ হয়ে যায়। গল্পের যেটা ভালো লাগেনি সেটা হলো মারামারি সময় গুলো। এগুলো সিনেমাতেও আমার ভালো লাগেনা। বইতে তো আরো না। যাইহোক রেটিং যদি দিতে হয় তবে ৫ এ ৪.৯৫ দিব।....... ?
Was this review helpful to you?
or
It is a great book
Was this review helpful to you?
or
Bibi Rasheda Afrin Rumi . #রবিজ_রকমারি_বুক_রিভিউ_প্রতিযোগিতা . রেটিং:- ৪/৫ কাহিনী সংক্ষেপঃ বাংলাদেশের বিখ্যাত পর্যটন এলাকা কক্সবাজারে হঠাৎ করেই এক অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির লাশ পাওয়া গেলো। হত্যা নাকি আত্মহত্যা? এই নিয়ে বেশ দোটানায় পরতে হলো সবাইকে। পোস্টমর্টেম রিপোর্টেও মৃত্যুর সঠিক কারণ পাওয়া যায়নি। কেসটা পুলিশের হাত ঘুরে ডিবির কাছে যায়। ডিবি পুলিশ জাহিদ লাশের জামা থেকে একটা কাগজ পায় যেখানে অপরিচিত ভাষায় কিছু একটা লেখা ছিলো। লাশ পাওয়ার কদিন পরই প্রধানমন্ত্রীর কক্সবাজার সফরে যাওয়ার কথা, তাই এই ঘটনা সবাইকে আরো ভাবিয়ে তোলে। প্রধানমন্ত্রীর কক্সবাজার সফরের সাথে কি এই মৃত্যুর কোন সম্পর্ক আছে? এই কেস সম্পর্কে কোন সিদ্ধান্তে আসতে না আসতেই আরেকজন খুন হয়ে যায়। এবার পুরো কক্সবাজারবাসী নড়েচড়ে বসে। চারদিকে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। কেসের তদন্তে নামে স্বয়ং সিক্রেট শ্যাডোর চিফ মেজর সাইফ হাসান। তার সাথে সহযোগী হিসেবে থাকে এন.আই.এস. এর এজেন্ট আযীন। রহস্যের জট খুলতে গিয়ে বের হয়ে আসে এক ভয়াবহ অতীত, যা পৃথিবীর ইতিহাসে আজও অমীমাংসিত হয়ে আছে। এই কেসের সাথে জড়িয়ে পড়ে ইতিহাসে এক বিখ্যাত কবির বিখ্যাত এক কাব্যগ্রন্থ। সকল রহস্যের জট খুলতে মেজর সাইফ হাসান তার সহযোগীকে নিয়ে পাড়ি জমায় সেখানে, যেখানে জন্ম নিয়েছিলো এই রহস্য। একে একে বেরিয়ে আসে হাজার বছরের পুরানো ইতিহাস। বেড়িয়ে আসে এক বিখ্যাত ব্যক্তির ভয়াবহ এক আবিষ্কার, যা এতদিন লোকচক্ষুর আড়ালে ছিলো। পাঠপ্রতিক্রিয়াঃ আমি ইতিহাসের ছাত্রী(ইসলামের ইতিহাস)। সে সুবাদে ইতিহাস পড়তে হয়, যদিও ইতিহাস আমার খুব বেশি ভালো লাগে না। এটা হিস্টোরিক্যাল থ্রিলার দেখে প্রথমে পড়ার আগ্রহ পাইনি। কিন্তু বইটা প্রকাশ হওয়ার পর থেকেই ব্যাপক সাড়া ফেলে। বইটা নিয়ে সকলের অনেক উচ্ছ্বাস দেখে কৌতুহলী হয়ে পড়ে ফেলি। তাছাড়া লেখকের অভ্রের সাথে কিছুটা পরিচয় ছিলো, এবং অভ্রকে নিয়ে লেখাগুলো ভালো লেগেছিলো। তাই এটা পড়তে ভরসা পেয়েছি কিছুটা। বলা বাহুল্য আমার ভরসা বৃথা যায়নি। বরং যতটা আশা নিয়ে পড়েছি তারচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে বইটা। এটি এখন পর্যন্ত লেখকের সেরা বই এবং এবছর প্রকাশিত ভালো বইগুলোর মধ্য এটি অন্যতম। লেখক বইয়ের ভূমিকাতে বলেছেন এই বইটি লিখতে উনার নানান কারণে ৩বছর সময় লেগেছিলো। আমি বলবো লেখকের এই সময় নেওয়াটা সার্থক হয়েছে। শুধু বছর বছর অসংখ্য বই লিখে ছাপালেই হয় না। ভালো বই একটাই যথেষ্ট। একটি ভালো বই সবসময় আপনার মনকে সতেজ করে তুলবে, অবসরে আপনাকে খুব ভালো সঙ্গ দিবে, আপনাকে ভাবতে শেখাবে। এই বইটিও ঠিক তেমন ছিলো। বইটির শুরু থেকে শেষ অবধি থ্রিল আর টান টান উত্তেজনায় ভরপুর ছিলো। বইয়ে একের পর এক চমক ছিলো যা পড়ে বিস্মিত হয়েছি। এটি ইতিহাসের সাথে অনেকটা ফিকশন মিশিয়ে দারুণ একটি বই। বইটা পড়লেই বোঝা যায় লেখক এই বই লিখতে কতটা পড়াশুনা করেছেন আর কতটা শ্রম দিয়েছেন। এই বই আপনাকে কখনো নিয়ে যাবে উনিশ শতকে, কখনো শত শত বছর আগে, আবার কখনো নিয়ে যাবে হাজার বছর অতীতে। ইতিহাসের এমনকিছু রোমাঞ্চকর বিষয় জানতে পারবেন যা সত্যি আশ্চর্যজনক। এই বইয়ে শুধু ইতিহাস নয়, বিজ্ঞানেরও এক অসাধারণ সম্পৃক্ততা রয়েছে। এ যেন অতীত, বর্তমান, ভবিষ্যৎ ও বিজ্ঞানের এক অপূর্ব কম্বিনেশন। লেখকের লেখনশৈলী, কাহিনী বর্ণনা চমৎকার। বিদেশি থ্রিলার লেখক এবং অন্য অনেক থ্রিলার লেখকদের বইয়ে সাধারণত আমরা দেখতে পায় ইতিহাসের বিখ্যাত ব্যক্তিদের নিয়ে রহস্য জমাট বাঁধতে শুরু করে। সেই বিখ্যাত ব্যক্তিরা সকলেই অন্য ধর্মের। যেমন কিছুদিন আগে ড্যান ব্রাউনের দ্য ভিঞ্চি কোড পড়লাম। সেখানে লিওনার্দো দা ভিঞ্চি, যিশু, মেরি ম্যাগডেল উনাদের ঘিরে রহস্য জমাট বেঁধেছিলো। কিন্তু আজ পর্যন্ত কোনো মুসলিম ব্যক্তিত্বকে নিয়ে থ্রিলার লেখা হয়নি(অন্তত আমি পড়িনি, তাই হয়তো জানিনা)। দ্য এন্ড বইটিতে আবুল ফাতাহ ভাইয়া এই প্রথমবার(হয়তো আমার জানামতে) মুসলিম ব্যক্তিত্বকে নিয়ে থ্রিলার লিখেছেন। কাকে নিয়ে বা কাদের নিয়ে? থাক আমি না বলি আপনারাই পড়ে দেখুন। বইয়ের প্রচ্ছদ অনেক ভালো লেগেছ। কাহিনীর সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ। এই চমৎকার প্রচ্ছদ করেছেন লেখক নিজেই। মেজর সাইফ হাসান ও সিক্রেট শ্যাডোর কার্যক্রম ভালো লেগেছে। সাইফ হাসান ও সিক্রেট শ্যাডোকে নিয়ে সামনে আরো লেখা চাই। তবে এতসব ভালোর মধ্যেও যে বিষয়গুলো খারাপ লেগেছে তা হলো বইয়ে কিছু বানান ভুল ছিলো(তাও খুব কম, ইগনোর করার মতো। কাহিনীতে ঢুকে পড়লে চোখে পড়ে না)। কাহিনীর শেষের দিকে বোধহয় লেখক বেশি তাড়াহুড়ো করে ফেলেছেন। বইয়ে চোর-পুলিশ টাইপ দৌড়াদৌড়িটা বোধহয় একটু বেশিই ছিলো। আযীনকে লেখক পুরোপুরি ফুটিয়ে তুলতে পারেননি। পুরো কাহিনীতে সে অনেকটা নিষ্ক্রিয় ছিলো। আযীন চরিত্রটিকে আরেকটু সক্রিয় করলে ভালো হতো। তাছাড়া তাকে সাইফের সত্যিকারের সহকারী মনে হয়নি। সহযোগী বা সহকারী হিসেবে ওর আরেকটু ভূমিকা থাকলে ভালো হতো। তবে শেষে আযীনকে নিয়ে একটা ছোট্ট চমক আছে, যেটা পুরো কাহিনীতে মোটেও টের পায়নি। সবকিছু মিলিয়ে আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে।
Was this review helpful to you?
or
বইটা পড়েই মনে হয়েছে লেখক প্রচুর পরিশ্রম করেছেন লেখার জন্য। সুন্দর প্রচ্ছদ, সাবলীল লেখনি। গল্পের গাঁথুনী মজবুত হলেও কেন জানি মনে হয়েছে লেখক গল্প বলার শেষে এসে তাড়াহুড়ো করেছেন। যেখানে কিছু লেখক শুধুমাত্র বইয়ের পাতা বাড়ানোর জন্য অহেতুক গল্প টেনে টেনে লম্বা করেন সেখানে আবুল ফাতাহ শেষে এসে কেন যে তাড়াহুড়ো করেছেন তা বোধগম্য হয়নি। উপন্যাসে পোস্টমর্টেম রিপোর্ট, পুলিশ রিপোর্ট, অস্ত্রের বর্ণনাসহ ছোট ছোট বিষয়ও যত্নের সাথে উপস্থাপন করা হয়েছে। কিন্তু গল্পে জিপিএস ট্র্যাক করে যেভাবে উদ্ধার অভিযান চালানোর বর্ণনা করা হয়েছে তা সেই যত্নের উপস্থাপনাকে ম্লান করে দিয়েছে। বর্তমানে কাউকে ট্র্যক করার জন্য শরীরে ক্ষুদ্র জিপিএস চিপ বসানো হলে তা ধরার জন্য ট্রেসার বা সিগনাল জ্যামের জন্য জ্যামার ব্যবহার করা হয়। পাঠকদের প্রতি অনুরোধ থাকবে বইটা পড়ার জন্য। ভালো লেগেছে লেখকের প্রচেষ্টা। ভালো লেগেছে উপন্যাস।
Was this review helpful to you?
or
বই - দ্য এন্ড | লেখক - আবুল ফাতাহ মুদ্রিত মূল্য - ৩৮০ | পৃষ্ঠা সংখ্যা - ৩১৯ প্রকাশনী - রোদেলা | প্রকাশকাল - বইমেলা ২০১৮ _____________________________________________ #কাহিনী_সংক্ষেপঃ কিছুদিন পরই কক্সবাজারে আসবেন প্রধানমন্ত্রী। এর আগেই, কক্সবাজার বীচে পাওয়া গেল এক অজ্ঞাত মানুষের লাশ। নড়েচড়ে উঠলো গোয়েন্দা সংস্থা। ক্রাইম সিন, এভিডেন্স, পোস্টমর্টেম রিপোর্ট আর ছোট্ট কাগজে লিখা 'তামাম শুদ' দেখে পিলে চমকালো এন.এস.আই সদস্য জাহিদের। প্রাইভেট ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি 'সিক্রেট শ্যাডো' প্রধানমন্ত্রীর অনুরোধে আনঅফিসিয়ালি হ্যান্ডেল করছে এই মিস্ট্রিয়াস কেস। প্রমান ছাড়াই, দিনেদুপুরে হোটেলের সামনে খুন হলো, জাহিদ। এই কেসে জড়িয়ে পড়লেন, সিক্রেট শ্যাডো'র সদস্য মেজর সাইফ। তারসাথে যোগ দিলো, এন.এস.আই সদস্য আযীন। এদিকে, হিটম্যান গুস্তাভো প্রবেশ করেছে বাংলাদেশে, যার শেষ লোকেশন ট্র্যাক হয় কক্সবাজার। কক্সবাজারে দুটি খুন, হিটম্যানের উপস্থিতি, এন.এস.আই সদস্য আযীনকে হত্যা চেষ্টা আর 'তামাম শুদ' শব্দ দুটি চিন্তায় ফেলে দেয় মেজর সাইফকে। এনালাইসিস উইংয়ের সাবেরের দেয়া তথ্য, সাইফকে টেনে নিয়ে যায় সুদূর অস্ট্রেলিয়া। সাথে আযীন। আর এখানে এসে বুঝতে পারে, সে আসেনি তাকে আনা হয়েছে, অদ্ভুতভাবে তাকে জড়িয়ে ফেলা হয়েছে এই কেসে, পিছু হটার কোন উপায় নেই! আর এর পেছেনে কলকাঠি নাড়ছে প্রচন্ড ক্ষমতাধর অদৃশ্য কেউ! কে সে? কেন এসব করছে? __________________________________________ #পাঠ_প্রতিক্রিয়াঃ কিছুক্ষণ আগেই শেষ করলাম, এ বছরের প্রকাশ হওয়ার আগেই সমালোচিত বই 'দ্য এন্ড'। যা হোক এ বিষয়ে কিছু বলতে চাইনা। ইতিহাসের সাথে ফিকশন মিশিয়ে চমৎকার একটি হিস্টোরিকাল থ্রিলার বই 'দ্য এন্ড'। লেখকের তিন বছর সময় নিয়েছেন এই বই লিখতে এটা তার পোস্ট পড়েই জানতে পেরেছিলাম। তবে লেখক যে, প্রচুর খাটাখাটনি আর পড়াশুনা করেছেনে এই বইয়ের পেছনে সেটা বইটি পড়লেই পাঠক সহজেই বুঝতে পারবে। এই বই পাঠককে বর্তমান থেকে নিয়ে যাবে ঊনিশি শতকে, সেখান থেকে টেনে নিয়ে যাবে আরো অতীতে হাজার শতকে, দাঁড় করিয়ে দিবে ইতহাসের, জানিয়ে দিবে অজানা অনেক কিছুই। তবে ইতিহাস জানানোর দায় লেখকের নয়। কতটুকু থ্রিল, কতটুকু ফিকশন আর কতটুকু ইতিহাস তা আলাদা করার দায়ভার পাঠকের উপরই চাপিয়ে দিয়েছেন। একজন নগন্য পাঠক হিসেবে এতটুকু বলিই, এ বছরে যে কয়টা থ্রিলার বইয়ের অপেক্ষায় ছিলাম এক নাম্বারে ছিল, দ্য এন্ড। আর এটা আমাকে নিরাশ করেনি। শুরু থেকে টানটান উত্তেজনা যা চুম্বকের মতোই ধরে রেখেছিল। আজ সেমিস্টার ফাইনালের প্রথম এক্সাম ছিল, আর আমি ভার্সিটি যাওয়ার সময়টা, প্রায় ৪৫ মিনিট এই বইটা পড়েছি। এক্সাম দিয়ে বের হয়েই শুরু করে দিয়েছিলাম পড়া। বাকিটা বুঝে নিন তাহলে...................!!
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_রিভিউ_প্রতিযোগ ডিসেম্বর বইঃ দ্য এন্ড লেখকঃ আবুল ফাতাহ পৃষ্ঠাঃ ৩১৯ মুদ্রিত মূল্যঃ ৩৮০টাকা ধরণঃ হিস্টোরিক্যাল থ্রিলার প্রকাশনীঃ রোদেলা প্রথম প্রকাশঃ বইমেলা ২০১৮ রেটিং:- ৪/৫ কাহিনী সংক্ষেপঃ বাংলাদেশের বিখ্যাত পর্যটন এলাকা কক্সবাজারে হঠাৎ করেই এক অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির লাশ পাওয়া গেলো। হত্যা নাকি আত্মহত্যা? এই নিয়ে বেশ দোটানায় পরতে হলো সবাইকে। পোস্টমর্টেম রিপোর্টেও মৃত্যুর সঠিক কারণ পাওয়া যায়নি। কেসটা পুলিশের হাত ঘুরে ডিবির কাছে যায়। ডিবি পুলিশ জাহিদ লাশের জামা থেকে একটা কাগজ পায় যেখানে অপরিচিত ভাষায় কিছু একটা লেখা ছিলো। লাশ পাওয়ার কদিন পরই প্রধানমন্ত্রীর কক্সবাজার সফরে যাওয়ার কথা, তাই এই ঘটনা সবাইকে আরো ভাবিয়ে তোলে। প্রধানমন্ত্রীর কক্সবাজার সফরের সাথে কি এই মৃত্যুর কোন সম্পর্ক আছে? এই কেস সম্পর্কে কোন সিদ্ধান্তে আসতে না আসতেই আরেকজন খুন হয়ে যায়। এবার পুরো কক্সবাজারবাসী নড়েচড়ে বসে। চারদিকে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। কেসের তদন্তে নামে স্বয়ং সিক্রেট শ্যাডোর চিফ মেজর সাইফ হাসান। তার সাথে সহযোগী হিসেবে থাকে এন.আই.এস. এর এজেন্ট আযীন। রহস্যের জট খুলতে গিয়ে বের হয়ে আসে এক ভয়াবহ অতীত, যা পৃথিবীর ইতিহাসে আজও অমীমাংসিত হয়ে আছে। এই কেসের সাথে জড়িয়ে পড়ে ইতিহাসে এক বিখ্যাত কবির বিখ্যাত এক কাব্যগ্রন্থ। সকল রহস্যের জট খুলতে মেজর সাইফ হাসান তার সহযোগীকে নিয়ে পাড়ি জমায় সেখানে, যেখানে জন্ম নিয়েছিলো এই রহস্য। একে একে বেরিয়ে আসে হাজার বছরের পুরানো ইতিহাস। বেড়িয়ে আসে এক বিখ্যাত ব্যক্তির ভয়াবহ এক আবিষ্কার, যা এতদিন লোকচক্ষুর আড়ালে ছিলো। পাঠপ্রতিক্রিয়াঃ আমি ইতিহাসের ছাত্রী(ইসলামের ইতিহাস)। সে সুবাদে ইতিহাস পড়তে হয়, যদিও ইতিহাস আমার খুব বেশি ভালো লাগে না। এটা হিস্টোরিক্যাল থ্রিলার দেখে প্রথমে পড়ার আগ্রহ পাইনি। কিন্তু বইটা প্রকাশ হওয়ার পর থেকেই ব্যাপক সাড়া ফেলে। বইটা নিয়ে সকলের অনেক উচ্ছ্বাস দেখে কৌতুহলী হয়ে পড়ে ফেলি। তাছাড়া লেখকের অভ্রের সাথে কিছুটা পরিচয় ছিলো, এবং অভ্রকে নিয়ে লেখাগুলো ভালো লেগেছিলো। তাই এটা পড়তে ভরসা পেয়েছি কিছুটা। বলা বাহুল্য আমার ভরসা বৃথা যায়নি। বরং যতটা আশা নিয়ে পড়েছি তারচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে বইটা। এটি এখন পর্যন্ত লেখকের সেরা বই এবং এবছর প্রকাশিত ভালো বইগুলোর মধ্য এটি অন্যতম। লেখক বইয়ের ভূমিকাতে বলেছেন এই বইটি লিখতে উনার নানান কারণে ৩বছর সময় লেগেছিলো। আমি বলবো লেখকের এই সময় নেওয়াটা সার্থক হয়েছে। শুধু বছর বছর অসংখ্য বই লিখে ছাপালেই হয় না। ভালো বই একটাই যথেষ্ট। একটি ভালো বই সবসময় আপনার মনকে সতেজ করে তুলবে, অবসরে আপনাকে খুব ভালো সঙ্গ দিবে, আপনাকে ভাবতে শেখাবে। এই বইটিও ঠিক তেমন ছিলো। বইটির শুরু থেকে শেষ অবধি থ্রিল আর টান টান উত্তেজনায় ভরপুর ছিলো। বইয়ে একের পর এক চমক ছিলো যা পড়ে বিস্মিত হয়েছি। এটি ইতিহাসের সাথে অনেকটা ফিকশন মিশিয়ে দারুণ একটি বই। বইটা পড়লেই বোঝা যায় লেখক এই বই লিখতে কতটা পড়াশুনা করেছেন আর কতটা শ্রম দিয়েছেন। এই বই আপনাকে কখনো নিয়ে যাবে উনিশ শতকে, কখনো শত শত বছর আগে, আবার কখনো নিয়ে যাবে হাজার বছর অতীতে। ইতিহাসের এমনকিছু রোমাঞ্চকর বিষয় জানতে পারবেন যা সত্যি আশ্চর্যজনক। এই বইয়ে শুধু ইতিহাস নয়, বিজ্ঞানেরও এক অসাধারণ সম্পৃক্ততা রয়েছে। এ যেন অতীত, বর্তমান, ভবিষ্যৎ ও বিজ্ঞানের এক অপূর্ব কম্বিনেশন। লেখকের লেখনশৈলী, কাহিনী বর্ণনা চমৎকার। বিদেশি থ্রিলার লেখক এবং অন্য অনেক থ্রিলার লেখকদের বইয়ে সাধারণত আমরা দেখতে পায় ইতিহাসের বিখ্যাত ব্যক্তিদের নিয়ে রহস্য জমাট বাঁধতে শুরু করে। সেই বিখ্যাত ব্যক্তিরা সকলেই অন্য ধর্মের। যেমন কিছুদিন আগে ড্যান ব্রাউনের দ্য ভিঞ্চি কোড পড়লাম। সেখানে লিওনার্দো দা ভিঞ্চি, যিশু, মেরি ম্যাগডেল উনাদের ঘিরে রহস্য জমাট বেঁধেছিলো। কিন্তু আজ পর্যন্ত কোনো মুসলিম ব্যক্তিত্বকে নিয়ে থ্রিলার লেখা হয়নি(অন্তত আমি পড়িনি, তাই হয়তো জানিনা)। দ্য এন্ড বইটিতে আবুল ফাতাহ ভাইয়া এই প্রথমবার(হয়তো আমার জানামতে) মুসলিম ব্যক্তিত্বকে নিয়ে থ্রিলার লিখেছেন। কাকে নিয়ে বা কাদের নিয়ে? থাক আমি না বলি আপনারাই পড়ে দেখুন। বইয়ের প্রচ্ছদ অনেক ভালো লেগেছ। কাহিনীর সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ। এই চমৎকার প্রচ্ছদ করেছেন লেখক নিজেই। মেজর সাইফ হাসান ও সিক্রেট শ্যাডোর কার্যক্রম ভালো লেগেছে। সাইফ হাসান ও সিক্রেট শ্যাডোকে নিয়ে সামনে আরো লেখা চাই। তবে এতসব ভালোর মধ্যেও যে বিষয়গুলো খারাপ লেগেছে তা হলো বইয়ে কিছু বানান ভুল ছিলো(তাও খুব কম, ইগনোর করার মতো। কাহিনীতে ঢুকে পড়লে চোখে পড়ে না)। কাহিনীর শেষের দিকে বোধহয় লেখক বেশি তাড়াহুড়ো করে ফেলেছেন। বইয়ে চোর-পুলিশ টাইপ দৌড়াদৌড়িটা বোধহয় একটু বেশিই ছিলো। আযীনকে লেখক পুরোপুরি ফুটিয়ে তুলতে পারেননি। পুরো কাহিনীতে সে অনেকটা নিষ্ক্রিয় ছিলো। আযীন চরিত্রটিকে আরেকটু সক্রিয় করলে ভালো হতো। তাছাড়া তাকে সাইফের সত্যিকারের সহকারী মনে হয়নি। সহযোগী বা সহকারী হিসেবে ওর আরেকটু ভূমিকা থাকলে ভালো হতো। তবে শেষে আযীনকে নিয়ে একটা ছোট্ট চমক আছে, যেটা পুরো কাহিনীতে মোটেও টের পায়নি। সবকিছু মিলিয়ে আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে।