User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
ছোট ছোট কথায়, বাক্যে সুন্দর গল্পগুলো। যেহেতু মহিলা লেখক, তাই মেয়েদের দিক থেকে লেখা। একটু অন্যরকম লাগবেই। কিন্তু নারীদের অনুভুতিই ত দেখতে হবে। সব ত আর তামিল সিনেমা না। "দোলনায় বসে আমি দু পা নাচাচ্ছি। এই আগাচ্ছি, এই পিছাচ্ছি,এই ত আবার শুন্যে ভাসছি" মেয়েটি এসেছিল শরতের শেষে। ভালো লেগেছে ব্যচেলর বলে কিনা। পরি পরি ই ই। পরীর স্বপ্ন সবার থাকে। কিন্তু পরীর ও ত স্বপ্ন আছে। সেই আক্ষেপে অদিকে তাকাই না। "দীর্ঘ দিনের অভ্যাস, জড়তা, দুর থেকেই তাকিয়ে থাকা কিংবা অনড় হয়ে যাওয়া বোধগুলো থামিয়ে দেয়" পালট গল্পটাও সুন্দর। আলেয়ার মনেও যে সিনেমার রুপালি পর্দার মত বিশাল এক পর্দা আছে। সেই পর্দায় আলেয়ার কত আবেগ, কত স্বপ্ন, কত সুর কত গান। সে বুঝার কারো সময় নেই। নারী পাঠিকদের অবশ্যই ভালো লাগবে
Was this review helpful to you?
or
Stunning! At first try, I thought this book was far-fetched. Then I started it again yesterday and it didn't feel fabricated at all! Call me naive but I have a hard time letting go of my belief on humanity. There are some gruesome and horrifying acts in the stories along with sad yet hopeful ones. I admire the author for bringing out so many emotions and states of minds so eloquently. Will try her other works.
Was this review helpful to you?
or
গতানুগতিক ধারার বাইরে যেয়ে পাঠক আটকিয়ে রাখার ক্ষমতা আছে লেখিকার, তার অনেকগুলো বই পড়ার সৌভাগ্য আমার হয়েছে, কিন্তু এবারের ত্রিভুজের চতুষ্কোণ তুলনাহীন, পাঠকের কল্পনাকেও হারিয়ে দেয়। তার ভবিষ্যৎ সফলতা কামনা করি।
Was this review helpful to you?
or
লেখকের ছোটগল্প লিখার ক্ষমতা বরাবরই মুগধ করে আমাকে। এবারের গল্পগুলোও তার ব্যতিক্রম নয়। ত্রিভুজের চতুষ্কোণ পরে যেমন চমকে উঠেছিলাম... শুভকামনা সবসময়ের...
Was this review helpful to you?
or
অসাধারন কিছু গল্পের সম্মুখীন হয়ে মুগ্ধ......
Was this review helpful to you?
or
একটা বাগধারা আছে না, আগে দর্শনধারী তারপর গুনবিচারী? মাহরীন ফেরদৌস ওরফে একুয়া রেজিয়ার লেখা ‘ গল্প গুলো বাড়ি গেছে’ বইটা দেখার পর আমার ঠিক সেরকম দশা হলো! এতো সুন্দর ঝকঝকে বর্ণিল প্রচ্ছদ! কেবলই ছুঁয়ে দেখতে ইচ্ছে করে! এরকমটা বেশ কয়েকবারই হলো যে, বই পড়তে পড়তে থমকে গিয়ে কিছুক্ষণ প্রচ্ছদের দিকে মুগ্ধ চোখে তাকিয়ে থাকলাম তারপর আবার বই পড়তে শুরু করলাম! বইটা পড়তে গিয়ে অবশ্য আমার মনে হচ্ছিলো প্যান্ডোরার বাক্স খুলে বসলাম। এক ঝাঁপি নানা বর্ণের গল্প ছুটে বেরিয়ে পড়ে নানা অনুভূতি দিয়ে বই পড়ার মুহুর্ত গুলো বর্ণিল করে তুললো যেন! বিকেলের মৃদু ওম মাখানো আবহাওয়ায় ছোট গল্পের একটা বই নিয়ে বসতে আমার বরাবরই খুব ভালো লাগে, আর গল্প গুলো যদি হয় ভিন্ন ভিন্ন আঙ্গিকের তাহলে তো কথাই নেই। সূচিপত্র দেখে প্রথমে একটু থমকে গিয়েছিলাম, এ ধরনের ভিন্নতা আগে চোখে পড়েনি, আমাদের জীবনকে যদি তিন ভাগে ভাগ করা যায় সূচনা, সায়হ্ন আর মধ্যভাগের মতোই জীবনের গল্প গুলো তিনটি বিভাগে ভাগ করা। সমসাময়িক ঘরানার দশটি ভিন্ন স্বাদের গল্প, কখনো মনকে প্রফুল্ল করে দিচ্ছিলো, কখনো জীবনের রুঢ় বাস্তবতা মনে ভীতির সঞ্চার করছিলো। একদম শুরুর গল্প ‘বোকামানুষি’। খুব পরিচিত প্লট। পাতা উল্টানোর সাথে সাথে গল্পের বাঁক এমনভাবে ঘুরে যাবে ভাবাই যায়না একদম! পুরো বইটির মধ্যে আমার সবচেয়ে পছন্দের গল্পটির নাম ‘আরেকটি রোদের দিনের অপেক্ষায়’ যার শুরুটা পড়েই একটু থমকে গিয়েছিলাম। “আমার জন্ম হলো দু হাজার তেরো সালে, তেইশ বছর বয়সে। কুসুম কুসুম হলুদ রঙ্গা এক বিকেলে আমি জানতে পারলাম এতোদিন আমার জন্ম ভুল ছিলো“ একটু কি হোঁচট খেলাম? জীবনের প্রতিটিদিন পার হবার পরিক্রমায় কখনো হুট করে নিজেকে আবিষ্কার করে ফেলার পর এমনই তো হবার কথা অনুভূতি তাই না? একইভাবে বাজনা, তাহের ফিরে এসেছিলো, মুনিয়া এবং একজন ভালোমানুষের গল্প, আলাদা আলাদা প্রহরের এই গল্প গুলো আমাদের ভিন্ন ভিন্ন স্বাদের আস্বাদ দেয়। যত্ন পাওয়া শব্দের ঠাস বুননে লেখা গল্প গুলো আরেকটু করে যেন মানুষের জীবন পড়তে পারার সুযোগ করে দেয়। মানুষের ভালোবাসা, মানুষের একাকীত্ব, অসহায়ত্ব, মনের অব্যক্তভাব লেখক বড় যত্ন করে ফুটিয়ে তুলেছেন। পড়তে পড়তে কখনো সখনো নিজের মনের খুব গহীন থেকেই দীর্ঘশ্বাস চলে আসছিলো আহারে, আহারে! কখনো আবার ভালো লাগার একটা রেশ মন আবিষ্ট করে রাখছিলো অনেকক্ষণ। মনে হচ্ছিলো গল্পটা শেষ না হোক। গল্পটা বাড়ি না ফিরুক। আমাদের জীবনের অনেক গুলো গল্প থাকে। অনেক রকম গল্প, অনেক বর্ণের গল্প। কখনো ভীষণ বাস্তবে চলি আমরা, ভালোবাসার ক্ষরায় ভুগি, কখনো জীবন থেকে পালিয়ে বেড়াই, আবার কখনো এক মুঠো ছোট সুখ এসে আপনাতেই ধরা দেয়। কখনোবা নিজেকে হুট করে আবিষ্কার করি, নতুন রোদ এসে ছুয়ে দিয়ে যায়, নতুন করে ভাবতে শেখায়। দু মলাটের ছোট্ট পরিসরে এতো গল্পকে এত সযত্নে ফুটিয়ে তোলা চাট্টিখানি কথা নয়, লেখক চমৎকার সব উপমা ব্যবহার করে বর্ণিল পৃথিবীর গল্প গুলো শুনিয়ে গেছেন আপন মুনশিয়ানায়, তাই তাকে সাধুবাদ। অলস একটা দুপুর কিংবা একঘেয়ে রাত্রিজাগানিয়া যদি একটু অন্যরকম করতে চান আমি বলবো বইটি হাইলি রিকমেন্ডেড। আমার পক্ষ থেকে ভিন্ন ভিন্ন স্বাদের গল্প গুলোর জন্য লেখক এবং বইটিকে ৪টি তারা! হ্যাপী রিডিং! :D
Was this review helpful to you?
or
এই বইমেলার (2018) সবচেয়ে পছন্দের বই! এক একটা গল্প, এক এক রকম অনুভূতি! কখনো মন ফুরফুরে ভালো লাগা আর কখনোবা ছাই রঙা ধূসর কষ্ট। কোন কোন চরিত্র এতো সুন্দর মুগ্ধতায় মন ছেয়ে যায়, কোন চরিত্র ছবি আঁকে কঠিন এবং নিষ্ঠুরতার, মনে প্রশ্নের সঞ্চার জাগে, এতো বিচিত্র মানব চরিত্র! জীবন বোধহয় এমনি; বৈচিত্রময় সুন্দর! পুরোনো বাড়ির দেয়ালের ছবিওয়ালা প্রচ্ছদটি ছিলো ভালো লাগার বাড়তি পাওয়া!
Was this review helpful to you?
or
বই রিভিউ গল্পগুলো বাড়ি গেছে -মাহরীন ফেরদৌস বই নিয়ে কিছু কথা -------------------- বাড়িতে ঢুকে গরুর মাংসের ঘ্রাণ পাওয়া, ২০১৩ সালে এসে জন্ম নেওয়া কিংবা দু বছর পর বাড়ি ফিরে আসার কথাগুলো শুনলে কী মনে হয় বলুন দেখি? আমার মনে হয় গল্পের কথা। সাহিত্যের শাখা প্রশাখার মধ্যে প্রিয় জায়গাগুলোর একটা হলো ছোটগল্প। একদম ব্যক্তিগত মতামত হলো বিশ্ব সাহিত্যে বাংলাদেশের লেখক-লেখিকাদের ছোটগল্প আমার কাছে অনেক বেশি সমৃদ্ধ মনে হয় উপন্যাস, কবিতা, গান ইত্যাদির থেকে। এই সমৃদ্ধ শাখাটিতে হাত পাকানোর দলে একুয়া রেজিয়া বর্তমান সময়ের এক উজ্জ্বল নাম। মাহরীন ফেরদৌসের বইয়ের কথা বলতে এসে একুয়া রেজিয়ার লেখার কথা তুলে আনলাম কারণ দুজনে একই ব্যক্তি। ছদ্মনাম থেকে নিজ নামে আসলেও লেখনীর মান বদলেছে সময়ের সাথে সাথে, ধনাত্মক দিকে। তার প্রমাণ হলো ‘গল্পগুলো বাড়ি গেছে’ নামের ছোটগল্পের সংকলনটি। এবার গল্প জমে উঠুক! ------------------------ বইটিতে জায়গা পেয়েছে দশটি গল্প। সবগুলোই কনটেম্পোরারি ঘরানার কিন্তু তারপরও বাস্তবতাকে ছুঁয়ে যেন জীবননাটককে উপস্থাপন করে। ১০ টি গল্পে নানাদিক ও কাহিনী আছে যেগুলোর একটির থেকে আরেকটি কম কৌতূহলোদ্দীপক নয়। যেমন ‘তাহের ফিরে এসেছিল’ গল্পটি থেকে থেকে পাঠককে শেষটুকু জানার জন্য উদগ্রীব করে তুলবে। ‘শেষ প্রিয়মুখ’ গল্পটি বলে দিবে মানুষের জীবনে সব থেকেও কি যেন নেই। এই বোধটা আমাদের দিনে দুপুরে রাতে হুটহাট উদাস করে দিয়ে অদ্ভুত এক মায়াজালের ঘেরাটোপে আটকে দেবে। বইয়ের একদম প্রথম গল্প ‘বোকামানুষি’ পড়ার সময় শুরুতে আমার ততটা ভালো নি। মনে হচ্ছিলো গল্পের প্রধান চরিত্রের ভাবনা, পরিবেশ খুব চেনা চেনা লাগছে কি? এই মধ্যবিত্ত আবহাওয়া, জটিলতা, উপাখ্যান এসব কিছু কি আগেও পড়ে এসেছি? খুব জনপ্রিয় কারও উপন্যাসে? তবে আমাকে খুব দ্রুত ভুল প্রমাণ করেছে গল্পটি। শেষটুকুতে গিয়ে চমকে উঠেছি। আর মনে হয়েছে গল্পের শুরুতেই যে কোন ভাবনা আগে থেকে ঠিক করে নেওয়াই বরং “বোকামানুষি”। আর সম্ভবত এখানেই মুনশিয়ানার এমন প্রকাশ পেয়েছি যে লেখকের পরের কোন গল্পে লেখনী, চরিত্র অংকন বা কাহিনীর মোড়-বর্ণনা কিচ্ছু নিয়ে আর কোনরকম নালিশ করবার সুযোগ পাইনি। তবে পালট, মেয়েটি এসেছিল শরতের শেষে গল্পগুলো হয়ত আরেকটু জমাট বাঁধতে পারত। ‘হিজল বনের জোনাকি’, ‘মুনিয়া ও একজন ভালোমানুষ’ এবং ‘আরেকটি রোদের দিনের অপেক্ষায়’ এই তিনটি গল্প একদম মন ছুঁয়ে গেছে। কারণ বাঙালি হিসাবে বাস্তবঘেঁষা কাহিনীর প্রতি দুর্বলতাটুকু মজ্জাগত! সেই সাথে সহজ লেখনীর একটা নরম আরাম পুরোপুরি বাড়তি পাওনা মনের জন্য। এছাড়া লেখকের লেখা পড়বার পূর্ব অভিজ্ঞতা থেকে বলছি- আমার কাছে মাহরীন ফেরদৌসের লেখার যেদিকটা সবচেয়ে ভালো লাগে তা হলো পাঠককে নিজের লেখার মধ্যে অজান্তে মনোনিবেশ করাতে পারেন। কেননা লেখার বিষয়গুলো বা গল্পের উপাদানগুলো উঠে আসে একদম চারপাশ থেকে। যা কষ্ট করে খুঁজে নিতে হয় না। ভালো লেগেছে গল্পের পরিবেশ দেশের শহর-গ্রাম ছেড়ে বিদেশে গিয়েও ডালপালা মেলেছে অথচ অচেনা হয়নি। “নাহি বর্ণনার ছটা নাহি ঘটনার ঘনঘটা, নাহি তত্ত্ব নাহি উপদেশ, অন্তর অতৃপ্ত রবে,সাঙ্গ শেষ করি মনে হবে, শেষ হইয়া ও হইল না শেষ” সেই যে রবি ঠাকুর ছোটগল্পের এক সংজ্ঞা মাথায় ঢুকিয়ে দিয়ে গেছেন তার থেকে বের হওয়া মুশকিল। অথচ আমার ভালো লেগেছে এই যে গল্পগুলো বাড়ি গেছের প্রায় বেশিরভাগ গল্পেরই নির্দিষ্ট শেষ আছে। দু-একটি বাদে শেষ পর্যন্ত কি হলো? নটে গাছটা আদৌ মুড়লো কি মুড়লোনা এই প্রশ্নটা মাথায় আসে না। এই ব্যাপারটা পাঠক হিসেবে আমাকে বেশ আরাম দিয়েছে। অবশ্য অন্য কারও তেমন নাও লাগতে পারে। তবে, মাঝে মাঝে ঠাকুরের কথার বাইরে গিয়ে অন্তর তৃপ্ত হওয়াটা ভালো। ‘গল্পগুলো বাড়ি গেছে’ এর দশটি গল্প দশ দিগন্তে পাখা মেলে উড়ুক, বাড়ি ফিরে না যাক। কারণ সব গল্পের বাড়ি ফিরতে নেই। ভিন্ন দশটি স্বাদ দশটি গল্পে উঠে আসবার প্রচেষ্টা সফল হয়ে ছড়িয়ে পরুক পাঠকমনে। ��বই- গল্পগুলো বাড়ি গেছে ধরণ- ছোটগল্প �প্রকাশনী- জাগৃতি রেটিং- ৮.৫ / ১০