User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
One of the best books I've ever read.
Was this review helpful to you?
or
খুবই ভালো একটা বই
Was this review helpful to you?
or
আধুনিক সময়ে তরুণ-তরুণীর অধিকাংশ মানুষ নিজেদের জীবনে সফলতা এবং সুখ চান। তাদের সুখ পেতে ঘুরে ফিরে আসবে দামি ল্যাপটপ, মোবাইল, নাটক-সিনেমা, গান এবং ভালোবাসার মানুষের কথা। কিন্তু বাস্তবে এগুলো মানুষকে সুখী করতে পারে না। তাই এখন অনেকে জীবনের উদ্দেশ্য খুঁজছে এবং নতুন জীবন গড়তে চান। আপনি এই বিষয়ে আরও জানতে চাইলে পড়ুন।
Was this review helpful to you?
or
পাখিরা কোলাহল শেষে বাসায় ফিরে,নদীর পানিরাও বাষ্প হয়ে বৃষ্টির বদৌলতে ফিরে আসে, সৃষ্টির প্রতিটা বস্তুর মাঝেই এই ফিরে আসার তাড়ণা বিদ্যমান থাকে।মানুষেরাও ফিরে যাবে একদিন তাদের মহামহিম রবের নিকটে,যেখান থেকে তাদের প্রথম যাত্রা শুরু হয়েছিল। সৌভাগ্যবান ত তারাই যারা তাদের রবের নিকট ফিরে যাওয়ার আগেই রবের নির্দেশিত পথে ফিরে আসে,প্রশান্তিময় গন্তব্যের সন্ধান পেয়ে যায়।এমনই ১৩ জন সত্য সন্ধানীর নীড়ে ফেরার গল্প নিয়েই লেখা হয়েছে বইটি।কিভাবে মানুষ নীড়ে ফেরে,কি কি চ্যালেঞ্জ তাকে পাড়ি দিয়ে আসতে হয়,সৎ পথ প্রাপ্তির পর তার অনুভূতি কেমন,পরবর্তী পথচলা কিভাবে মানিয়ে নিতে শিখে এমনসব ঈমান জাগানিয়া সত্য ঘটনা অবলম্বনে সাজানো "দ্যা রিভার্টস" বইটি। বস্তুবাদের খপ্পরে পড়ে যেখানে অনেক মুসলিমই দ্বীন থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে, সেখানে বস্তুবাদের স্বর্গরাজ্যে বাস করে,বস্তুর সকল ভোগবিলাসের সুযোগ থাকা সত্ত্বেও কেন এই লোকগুলো ইসলামে ফিরে এলেন,আপন ঠিকানা খুঁজে নিলেন তা সত্যিই ভাবনার দাবি রাখে।নিঃসন্দেহে এই বইটি সেই ভাবনার রসদ জোগাবে আমার বিশ্বাস।
Was this review helpful to you?
or
কেমন অনুভূতি হবে আপনার, যখন আপনার সামনে, আপনার চরিত্রহীন বন্ধুকে দেখবেন,, হঠাৎ একদিন মসজিদে যেতে! সেতো এক অজানা অন্ধকার রাস্তা ধরে মুসাফিরের বেশে গন্তব্যহীন ভাবে চলতে শুরু করেছিল। কেনো সে আজ আলোর পথে। কোন সে বাতিঘর যা যে সন্ধান পেয়েছে। যে এক সময় ছিল নগ্নপদ,, নাস্তিকদের রাহাবর,, শহরের পতিতালয়ের ডিরেক্টর ম্যনেজার। কিভাবে সে খুজে পেল শান্তির পথ। পিপাসাক্ত মুসাফির খুজে বেড়াচ্ছে একডোক পানি। যা দিয়ে তার তৃষ্ণা মিটবে। হঠাৎ করে পানির সন্ধান পেয়ে গেলে তার আনন্দ এক অতুলনীয়। হ্যা,, বলছিলাম এমন একটি বইয়ের কথা " দ্যা রিভার্টসঃফিরে আসার গল্প" বইটি যখন পড়তে শুরু করলাম জানতে পারলাম এতো এক শুধু গল্প লেখা, কিন্তু গভীর থেকে জানতে পারলাম এক রোমাঞ্চকর কাহিনি। যারা কিনা ছিল ইসলামের ঘোর শত্রু । শুধু কি তাই, মানুষকে বলে বেড়াইতো ইসলাম একটা সন্ত্রাসী ধর্ম। আর তারা এখন ইসলামের দায়ী। কি জানতে পারবেন বইয়ে,, "দ্যা রিভার্টস: ফিরে আসার গল্প" বইটিতে মোট ১৩ জন মানুষের বদলে যাওয়ার বা ফিরে আসার গল্প বলা হয়েছে। এই ১৩ জন ভিন্ন ভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ। ভিন্ন ভিন্ন অবস্থান থেকে একই গন্তব্যে তাদের প্রত্যাবর্তন। এদের অনেকের জীবনে সবকিছুই ছিল, কিন্তু মানসিক শান্তি ছিল না। থাকবে কিভাবে, তারা তো সত্যের পথ থেকে বিচ্যুত হয়ে গিয়েছে। কারণ ফিতরাত অনুযায়ী সব মানুষই সত্যের উপরে জন্ম লাভ করে। পরবর্তীতে অনেকেই বিভিন্ন কারণে ভুল পথে পরিচালিত হয়। তবে অনেকেই একসময় তাদের ভুল বুঝতে পেরে সত্যের পথে প্রত্যাবর্তন করার সৌভাগ্য লাভ করে। সানডে এক্সপ্রেসের সাংবাদিক ইভন রিডলী ২০০১ সালে তালেবান শাসনামলে পেশাগত কাজে আফগানিস্তানে গিয়ে তালেবানদের হাতে বন্দী হন। তালেবানদের ব্যাপারে রিডলীর খুবই খারাপ ধারণা ছিল। রিডলীর জানতো তালেবানরা খুবই খারাপ মানুষ। তারা নারীদের প্রতি পশুর মত আচরণ করে। তাই রিডলী মনে করেছিল বন্দী হওয়ার পরে তার সাথেও তারা পশুর মতো আচরণ করবে। কিন্তু অবিশ্বাস্যভাবে তারা রিডলীর সাথে খুবই ভাল আচরণ করে। তারা তাকে ইসলাম গ্রহণ করার জন্য আহবান জানায়। জবাবে রিডলী বলে সে মুক্তি পাওয়ার পরে কুরআন পড়বে এবং এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিবে। পরবর্তীতে তিনি মুক্তি লাভের পরে কুরআন পড়েছেন এবং ইসলামের সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে ইসলাম গ্রহণ করেন। ভারতের কট্টরপন্থী হিন্দু সংগঠন শিবসেনার ছাত্র সংগঠনের প্রধান বলবীর সিং ঐতিহাসিক বাবরি মসজিদ ধ্বংস করার অন্যতম প্রধান কারিগর। সে-ই বাবরি মসজিদে প্রথম আঘাতকারী ব্যক্তি। এই কাজের জন্য সে গর্ববোধ করতো। পরবর্তী সময়ে মসজিদ ধ্বংসকারী একজনের করুণ পরিণতি দেখে এবং এই কাজের জন্য নিজের বাবার ভৎসনা শুনে সে খুবই অনুতপ্ত হয়। একসময় সে ইসলাম গ্রহণ করে এবং বাকী জীবন জরাজীর্ণ মসজিদ সংস্কার ও নতুন মসজিদ নির্মাণ করে কাটিয়েছে। বইয়ের অন্যান্য ফিরে আসার গল্পগুলোও এক রোমাঞ্চকর। আর দেরী কেন,, আপনিও পড়ে ফেলুন।
Was this review helpful to you?
or
বই: দ্যা রিভার্টস - ফিরে আসার গল্প।
Was this review helpful to you?
or
নিকষ কালো অন্ধকার। কোথাও বিন্দু পরিমাণ আলোর অস্তিত্ব নেই। অন্ধকারে নিমজ্জিত মানুষগুলো তৃষ্ণার্ত পথিকের মতো হাহাকার করছে একটু আলোর আশায়। হঠাৎ রহমত স্বরূপ আবির্ভূত হলো এক আলোকচ্ছটা। সেই আলোকচ্ছটা সুবহে সাদিকের মতো আলোকিত করতে থাকলো চারদিক। ঘুচে যেতে থাকলো তমানিশার ন্যায় ঘুটঘুটে অন্ধকার। একটু আলোর আশায় অন্ধকারে নিমজ্জিত মানুষগুলো পেল সঠিক পথের দিশা। দিনের আলোর মতো পরিষ্কার হয়ে গেল সত্য-মিথ্যার পার্থক্য। সত্যের অমৃত সুধা পান করে তৃষ্ণার্ত হৃদয় হলো শান্ত। "দ্যা রিভার্টস: ফিরে আসার গল্প" বইয়ে ইসলামের ছায়াতলে আশা এমনই ১৩ জন তৃষ্ণার্ত মানুষের গল্প আমরা জানবো যারা একসময় জাহেলিয়াতের মতো অন্ধকার জগতে ছিল। সত্য অনুসন্ধানে রত এমন কিছু মানুষের হৃদয়ের হাহাকার দেখব। দেখব নানা ধর্মের মানুষের সত্যকে জানার ও সত্যকে উপলব্ধি করার প্রবল আগ্রহ। সাক্ষী হবো সবরকম দ্বিধাদ্বন্দ্ব কাটিয়ে সত্যকে মেনে নেওয়ার মতো সিদ্ধান্ত গ্রহণের এক চমৎকার মুহূর্তের। বইটিতে যে ১৩ জন মানুষের ইসলাম গ্রহণের গল্প তুলে ধরা হয়েছে তারা একেক জন একেক ধর্মের ছিলেন। এদের মধ্যে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার এবং বিভিন্ন দেশের মানুষ ছিলেন। এদের মধ্যে কেউ মুসলিমদের আচার-ব্যবহারে মুগ্ধ হয়ে ইসলামের সৌন্দর্য উপলব্ধি করার মাধ্যমে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। কেউ আবার নিজ ধর্মের বিভিন্ন ত্রুটি উপলব্ধি করে বিভিন্ন ধর্ম নিয়ে গবেষণা করার মাধ্যমে বুঝতে পারেন একমাত্র ইসলামই সত্য ধর্ম। কেউ পৃথিবীতে আসার কারণ, জীবনের উদ্দেশ্য খুঁজতে খুঁজতে ইসলামের ছায়াতলে আসেন। বইটিতে ভারতে বাবরি মসজিদের গম্বুজে প্রথম কুঠার আঘাতকারী বলবীর সিং -এর অনুতপ্ত হয়ে ইসলামের ছায়াতলে আসার গল্পও রয়েছে। মুসলিম হওয়ার পর ওনার নাম হয় মুহাম্মাদ আমির। এই বইয়ের বেশিরভাগ কাহিনীগুলো ইউটিউব থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। "MTV থেকে মক্কা" এবং "মক্কার পথে" কাহিনী দুটি লেখকদের লেখা বই থেকে নির্বাচিত অংশের রূপান্তর। মুহাম্মাদ আমিরের কাহিনী লেখা হয়েছে কয়েকটা পত্রিকা ও অনলাইন পোর্টাল অবলম্বনে। বইটিতে তাদের পরিচয় পর্বও উল্লেখ করা হয়েছে। "দ্যা রিভার্টস: ফিরে আসার গল্প" বইয়ের প্রতিটি কাহিনী হৃদয়স্পর্শী। প্রতিটি গল্পে অবিশ্বাসীরা নিজেদের মনে উদয় হওয়া বিভিন্ন প্রশ্ন এবং নিজেদের জীবনধারার সাথে মিল পাবেন। বিশ্বাসীরাও উপলব্ধি করতে পারবেন জন্মসূত্রে কত মূল্যবান পরশমণি পেয়েছেন। বইয়ের প্রতিটি গল্পেই রয়েছে আঁধার থেকে আলোর পথে ফিরে আসার আহ্বান। গল্পের কোনায় কোনায় লুকিয়ে আছে জীবনের প্রকৃত উদ্দেশ্য খোঁজার আকুতি, জাহেলিয়াতের মতো সেই অন্ধকারাচ্ছন্ন জীবন ত্যাগ করে ইসলামের ছায়াতলে আসার আহ্বান।
Was this review helpful to you?
or
কেমন লাগবে যখন দেখবেন আপনার দীর্ঘ দিনের চেনা-জানা একজন মানুষ জন্ম থেকে যে বিশ্বাস লালন করতো, হঠাৎ সে বিশ্বাস ত্যাগ করে এক নতুন বিশ্বাস বুকে ধারণ করে নিজেকে আমূল বদলে ফেলেছে। আবার আরেকজন মানুষ যে একটি বিশ্বাসকে তীব্র ঘৃণা করে, কিন্তু দেখা গেলো জীবনের একটা পর্যায়ে এসে সেই একসময়ের ঘৃণ্য বিশ্বাসকে পরম মমতায় আঁকড়ে ধরে, তখন কেমন লাগে আপনার? অবাক হবেন নিশ্চয়ই। হ্যাঁ, আসলেই অবাক হওয়ার মতোই ঘটনাগুলো। কিন্তু কখনো কি ভেবেছেন কেন তাদের এই বদলে যাওয়া? কখনো কি খুঁজে দেখেছেন কোন অমোঘ টানে তাদের আজন্ম লালিত বিশ্বাস হঠাৎ করে বদলে গেলো? যারা খুঁজে দেখেছেন তারা নিশ্চয়ই এই ঘটনাগুলোর পেছনের চমকপ্রদ ঘটনা জেনে পুলকিত হয়েছেন। আর যারা কখনো এই ঘটনাগুলোর পেছনের ঘটনা খুঁজে দেখেন নি, চলুন এবার দেখে নেই সেই রোমাঞ্চকর ঘটনাগুলো। "দ্যা রিভার্টস: ফিরে আসার গল্প" বইটিতে মোট ১৩ জন মানুষের বদলে যাওয়ার বা ফিরে আসার গল্প বলা হয়েছে। এই ১৩ জন ভিন্ন ভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ। ভিন্ন ভিন্ন অবস্থান থেকে একই গন্তব্যে তাদের প্রত্যাবর্তন। এদের অনেকের জীবনে সবকিছুই ছিল, কিন্তু মানসিক শান্তি ছিল না। থাকবে কিভাবে, তারা তো সত্যের পথ থেকে বিচ্যুত হয়ে গিয়েছে। কারণ ফিতরাত অনুযায়ী সব মানুষই সত্যের উপরে জন্ম লাভ করে। পরবর্তীতে অনেকেই বিভিন্ন কারণে ভুল পথে পরিচালিত হয়। তবে অনেকেই একসময় তাদের ভুল বুঝতে পেরে সত্যের পথে প্রত্যাবর্তন করার সৌভাগ্য লাভ করে। আমি এই ১৩ টি ঘটনা থেকে কয়েকটি ঘটনার সারসংক্ষেপ আপনাদের সাথে শেয়ার করবো যাতে আপনারা পুরো বইটি সম্পর্কে ধারণা লাভ করতে পারেন। সানডে এক্সপ্রেসের সাংবাদিক ইভন রিডলী ২০০১ সালে তালেবান শাসনামলে পেশাগত কাজে আফগানিস্তানে গিয়ে তালেবানদের হাতে বন্দী হন। তালেবানদের ব্যাপারে রিডলীর খুবই খারাপ ধারণা ছিল। রিডলীর জানতো তালেবানরা খুবই খারাপ মানুষ। তারা নারীদের প্রতি পশুর মত আচরণ করে। তাই রিডলী মনে করেছিল বন্দী হওয়ার পরে তার সাথেও তারা পশুর মতো আচরণ করবে। কিন্তু অবিশ্বাস্যভাবে তারা রিডলীর সাথে খুবই ভাল আচরণ করে। তারা তাকে ইসলাম গ্রহণ করার জন্য আহবান জানায়। জবাবে রিডলী বলে সে মুক্তি পাওয়ার পরে কুরআন পড়বে এবং এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিবে। পরবর্তীতে তিনি মুক্তি লাভের পরে কুরআন পড়েছেন এবং ইসলামের সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে ইসলাম গ্রহণ করেন। ভারতের কট্টরপন্থী হিন্দু সংগঠন শিবসেনার ছাত্র সংগঠনের প্রধান বলবীর সিং ঐতিহাসিক বাবরি মসজিদ ধ্বংস করার অন্যতম প্রধান কারিগর। সে-ই বাবরি মসজিদে প্রথম আঘাতকারী ব্যক্তি। এই কাজের জন্য সে গর্ববোধ করতো। পরবর্তী সময়ে মসজিদ ধ্বংসকারী একজনের করুণ পরিণতি দেখে এবং এই কাজের জন্য নিজের বাবার ভৎসনা শুনে সে খুবই অনুতপ্ত হয়। একসময় সে ইসলাম গ্রহণ করে এবং বাকী জীবন জরাজীর্ণ মসজিদ সংস্কার ও নতুন মসজিদ নির্মাণ করে কাটিয়েছে। ক্রিস্টিন বেকার ছিলেন ইংলিশ মিউজিক চ্যানেল MTV এর উপস্থাপিকা (VJ)। ছিলেন ঝলমলে রঙিন জগতের বাসিন্দা। ইসলামের বিভিন্ন বিষয়ে ছিল তার ঘোরতর আপত্তি। ঘটনাক্রমে ক্রিস্টিনের সাথে পরিচয় হয় পাকিস্তান ক্রিকেট দলের বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক ইমরান খানের (পরবর্তী কালে উনি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন) সাথে। ইমরান খানের মাধ্যমে সে ইসলামের বিভিন্ন খুটিনাটি বিষয়ে জ্ঞান লাভ করে। এরপর নানা ঘটনা প্রবাহ পেরিয়ে একসময় সে ইসলাম গ্রহণ করে। বইয়ের অন্যান্য ফিরে আসার গল্পগুলোও দারুণ চমকপ্রদ। আমি মনে করি প্রত্যাবর্তিত মানুষগুলোর ফিরে আসার এই চমকপ্রদ গল্প আমাদের সবার জানা উচিত। এতে করে অবিশ্বাসীরা আবার বিশ্বাসের পথে ফিরে আসতে অনুপ্রাণিত হবে এবং বিশ্বাসীরাও তাদের বিশ্বাস আরো বেশি করে শাণিত করতে পারবে।
Was this review helpful to you?
or
এই ধর্মবিবর্জিত আধুনিক সময়ে আঠারো-উনিশ বছরের তরুণ-তরুণী আসলে কী চায়? কী তাদের সুখী করে? ঘুরে ফিরে আসবে দামি ল্যাপটপ, মোবাইল, নাটক-সিনেমা, গান, মাদক, কিংবা একজন ভালোবাসার মানুষের কথা। কিন্তু বাস্তবেই কি এগুলো মানুষকে সুখী করতে পারে? তাই যদি হতো, তাহলে কেন আজ ঘরে ঘরে এত অশান্তি? কেন বাড়ছে আত্মহত্যা, হতাশা আর মাদকের ব্যবহার? কেন বাড়ছে খুন, হত্যা,ধর্ষণ? সত্যিকারার্থে মানুষের সুখ কোথায়? কোথায় পাওয়া যায় মনের গভীরের প্রশান্তি? আসলে মানুষের জীবনের উদ্দেশ্যই বা কী? এসব প্রশ্নের উত্তর নিয়ে গঠিত মূল্যবান বই ‘দ্যা রিভার্টস: ফিরে আসার গল্প’।সেখানে আমরা জানব, পশ্চিমা দুনিয়ায় আধুনিক সব সুযোগ-সুবিধার মধ্যে বেড়ে উঠেও কী করে মানুষ শান্তির আশায় হন্য হয়ে ঘুরছে। আমরা জানব, কী করে তারা খুঁজে পেলেন জীবনের আসল উদ্দেশ্য, আলোর পথ। জেনে নেব, অতীত মুছে ফেলে নতুন জীবন গড়তে কোন জিনিস তাদের উদ্বুদ্ধ করেছে।
Was this review helpful to you?
or
good book...
Was this review helpful to you?
or
বই: দ্যা রিভার্টস: ফিরে আসার গল্প লেখক: সামছুর রহমান ওমর ও কানিজ শারমিন সিঁথি প্রকাশনী: গার্ডিয়ান পাবলিকেশনস প্রথম প্রকাশ: ১০ ফেব্রুয়ারী, ২০১৮ পৃষ্ঠা সংখ্যা: ২৫২ মুদ্রিত মূল্য: ৩৬৫ টাকা কেমন লাগবে যখন দেখবেন আপনার দীর্ঘ দিনের চেনা-জানা একজন মানুষ জন্ম থেকে যে বিশ্বাস লালন করতো, হঠাৎ সে বিশ্বাস ত্যাগ করে এক নতুন বিশ্বাস বুকে ধারণ করে নিজেকে আমূল বদলে ফেলেছে। আবার আরেকজন মানুষ যে একটি বিশ্বাসকে তীব্র ঘৃণা করে, কিন্তু দেখা গেলো জীবনের একটা পর্যায়ে এসে সেই একসময়ের ঘৃণ্য বিশ্বাসকে পরম মমতায় আঁকড়ে ধরে, তখন কেমন লাগে আপনার? অবাক হবেন নিশ্চয়ই। হ্যাঁ, আসলেই অবাক হওয়ার মতোই ঘটনাগুলো। কিন্তু কখনো কি ভেবেছেন কেন তাদের এই বদলে যাওয়া? কখনো কি খুঁজে দেখেছেন কোন অমোঘ টানে তাদের আজন্ম লালিত বিশ্বাস হঠাৎ করে বদলে গেলো? যারা খুঁজে দেখেছেন তারা নিশ্চয়ই এই ঘটনাগুলোর পেছনের চমকপ্রদ ঘটনা জেনে পুলকিত হয়েছেন। আর যারা কখনো এই ঘটনাগুলোর পেছনের ঘটনা খুঁজে দেখেন নি, চলুন এবার দেখে নেই সেই রোমাঞ্চকর ঘটনাগুলো। "দ্যা রিভার্টস: ফিরে আসার গল্প" বইটিতে মোট ১৩ জন মানুষের বদলে যাওয়ার বা ফিরে আসার গল্প বলা হয়েছে। এই ১৩ জন ভিন্ন ভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ। ভিন্ন ভিন্ন অবস্থান থেকে একই গন্তব্যে তাদের প্রত্যাবর্তন। এদের অনেকের জীবনে সবকিছুই ছিল, কিন্তু মানসিক শান্তি ছিল না। থাকবে কিভাবে, তারা তো সত্যের পথ থেকে বিচ্যুত হয়ে গিয়েছে। কারণ ফিতরাত অনুযায়ী সব মানুষই সত্যের উপরে জন্ম লাভ করে। পরবর্তীতে অনেকেই বিভিন্ন কারণে ভুল পথে পরিচালিত হয়। তবে অনেকেই একসময় তাদের ভুল বুঝতে পেরে সত্যের পথে প্রত্যাবর্তন করার সৌভাগ্য লাভ করে। আমি এই ১৩ টি ঘটনা থেকে কয়েকটি ঘটনার সারসংক্ষেপ আপনাদের সাথে শেয়ার করবো যাতে আপনারা পুরো বইটি সম্পর্কে ধারণা লাভ করতে পারেন। সানডে এক্সপ্রেসের সাংবাদিক ইভন রিডলী ২০০১ সালে তালেবান শাসনামলে পেশাগত কাজে আফগানিস্তানে গিয়ে তালেবানদের হাতে বন্দী হন। তালেবানদের ব্যাপারে রিডলীর খুবই খারাপ ধারণা ছিল। রিডলীর জানতো তালেবানরা খুবই খারাপ মানুষ। তারা নারীদের প্রতি পশুর মত আচরণ করে। তাই রিডলী মনে করেছিল বন্দী হওয়ার পরে তার সাথেও তারা পশুর মতো আচরণ করবে। কিন্তু অবিশ্বাস্যভাবে তারা রিডলীর সাথে খুবই ভাল আচরণ করে। তারা তাকে ইসলাম গ্রহণ করার জন্য আহবান জানায়। জবাবে রিডলী বলে সে মুক্তি পাওয়ার পরে কুরআন পড়বে এবং এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিবে। পরবর্তীতে তিনি মুক্তি লাভের পরে কুরআন পড়েছেন এবং ইসলামের সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে ইসলাম গ্রহণ করেন। ভারতের কট্টরপন্থী হিন্দু সংগঠন শিবসেনার ছাত্র সংগঠনের প্রধান বলবীর সিং ঐতিহাসিক বাবরি মসজিদ ধ্বংস করার অন্যতম প্রধান কারিগর। সে-ই বাবরি মসজিদে প্রথম আঘাতকারী ব্যক্তি। এই কাজের জন্য সে গর্ববোধ করতো। পরবর্তী সময়ে মসজিদ ধ্বংসকারী একজনের করুণ পরিণতি দেখে এবং এই কাজের জন্য নিজের বাবার ভৎসনা শুনে সে খুবই অনুতপ্ত হয়। একসময় সে ইসলাম গ্রহণ করে এবং বাকী জীবন জরাজীর্ণ মসজিদ সংস্কার ও নতুন মসজিদ নির্মাণ করে কাটিয়েছে। ক্রিস্টিন বেকার ছিলেন ইংলিশ মিউজিক চ্যানেল MTV এর উপস্থাপিকা (VJ)। ছিলেন ঝলমলে রঙিন জগতের বাসিন্দা। ইসলামের বিভিন্ন বিষয়ে ছিল তার ঘোরতর আপত্তি। ঘটনাক্রমে ক্রিস্টিনের সাথে পরিচয় হয় পাকিস্তান ক্রিকেট দলের বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক ইমরান খানের (পরবর্তী কালে উনি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন) সাথে। ইমরান খানের মাধ্যমে সে ইসলামের বিভিন্ন খুটিনাটি বিষয়ে জ্ঞান লাভ করে। এরপর নানা ঘটনা প্রবাহ পেরিয়ে একসময় সে ইসলাম গ্রহণ করে। বইয়ের অন্যান্য ফিরে আসার গল্পগুলোও দারুণ চমকপ্রদ। আমি মনে করি প্রত্যাবর্তিত মানুষগুলোর ফিরে আসার এই চমকপ্রদ গল্প আমাদের সবার জানা উচিত। এতে করে অবিশ্বাসীরা আবার বিশ্বাসের পথে ফিরে আসতে অনুপ্রাণিত হবে এবং বিশ্বাসীরাও তাদের বিশ্বাস আরো বেশি করে শাণিত করতে পারবে।
Was this review helpful to you?
or
বিশ্বাসীদের মনে ইসলাম সম্পর্কে আরো একটিবার নাড়া জাগিয়ে নিজের চিন্তা চেতনা কে নিজের বিশ্বাসকে আরো একটিবার ঝালাই করে নেওয়ার মহৌষধ এই বইটি
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ একটি বই। অসাধারণ লেখক ধন্যবাদ
Was this review helpful to you?
or
Good
Was this review helpful to you?
or
FOUNTAIN PEN ER KAALI NAAI?.
Was this review helpful to you?
or
অস্থির একটা বই। এইখানে যারা ইসলাম ধর্ম গ্রহন করছেন তাদের জীবনের গুল্প গুলো তুলে ধরা হয়েছে। ? বই টি কিনলে খারাপ হবে না।
Was this review helpful to you?
or
বইটিতে ১২ জন বিশ্বাসী মানুষের সাথে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়েছে। যাদের সাথে পরিচিত হওয়াটা প্রেরণা যোগায় এবং ঈমানকে শানিত করে।
Was this review helpful to you?
or
খুব ভালো একটা বই
Was this review helpful to you?
or
It's a fabulous book . specially the story of Imran Khan . And the story of Afghanistan.You can learn about How people get to know about Islam .
Was this review helpful to you?
or
Alhamdulillah
Was this review helpful to you?
or
খুব সুন্দর একটা বই
Was this review helpful to you?
or
সুন্দর বই।
Was this review helpful to you?
or
ফিরে আসা মানে হলো আল্লাহর পথে আসা। একটা জীবন কাটালাম আর জীবনের উদ্দেশ্যেই পূরণ করলাম না! যিনি বানালেন, পেলে বড় করলেন, বুদ্ধি দিলেন তাকেই চিনলাম না। ভ্রান্তি আর মোহেই কি কেটে যাবে স্রষ্টার দেয়া এত দামি একটা জীবন?বইটা ধুব ভাববে জীবনের উদ্দেশ্য, সুখ, কুরআন আর প্রাপ্তি নিয়ে।
Was this review helpful to you?
or
আসলেই এটি একটি অসাধারন এবং চমৎকার বই। বইটিতে আমরা জানবো পশ্চিমা দুনিয়ায় আধুনিক সব সুযোগ-সুবিধার মধ্যে বেড়ে উঠেও কি করে মানুষ শান্তির আশায় হন্যে হয়ে ঘুরছে। আমরা জানবো, কি করে তারা খুঁজে পেলেন জীবনের আসল উদ্দেশ্য, আলোর পথ। জেনে নিবো অতীত মুছে ফেলে নতুন জীবন গড়তে কোন জিনিস তাদের উদ্বুদ্ধ করেছে। . *একজন খ্রিষ্টান পাদ্রি, একজন ধার্মিক যোদ্ধা, অনুশাসন মানা একজন হিন্দু যুবক আর মামার আমন্ত্রনে ফিলিস্তিনে ঘুরতে আসা পোল্যান্ডের এক ইহুদী তরুন। চার ধর্মের চারজন। কেমন করে পাল্টে গেলেন সবাই? *বাবরি মসজিদ নিজভাতে ভেঙেছেন বলবির সিং। এক সময় যা নিয়ে অনেক গর্ব করতেন। কিন্তু তার মনে কিসের এতো ব্যাথা আজ? বাবরী মসজিদ ভেঙে দেয়ার হাত আজ কেন মসজিদ গড়ার কাজে ব্যাস্ত? *লন্ডনের বুকে গড়ে ওঠা তিন যুবক। টাকা পয়সা, অর্থ বিত্ত, খ্যাতির কনো অভাব নেই। তবুও শান্তি নেই মনে। শান্তির আশায় কতকি করে গেলেন! পেয়েছিলেন কি? *আধুনিক আমেরিকার দুজন মানুষ। একজন অবিশ্বাসী নাস্তিক। অন্যজন সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবের স্বপ্নে বিভোর (ডঃ বিলাল ফিলিপস)। দুজনের জীবনে নাটকীয় পরিবর্তন এলো। কিন্তু কি করে? *MTV চ্যানেলের বিশ্ববিখ্যাত উপস্থাপিকা। পুরো ইউরোপের ঘরে ঘরে চেনা মুখ। একদিন দেখা হল পাকিস্তানের বিশ্বকাপ জয়ী ক্রিকেটার ইমরান খানের সাথে। তারপর? . জানতে হলে পড়ুন ‘দ্যা রিভার্টসঃ ফিরে আসার গল্প’
Was this review helpful to you?
or
ইসলাম সম্পর্কে মানুষের মাঝে আগ্রহ জাগিয়ে তোলার মতো অসাধারণ একটা বই। বিশ্বাসী, অবিশ্বাসী সকলের জন্য-ই এই বইটি। বিশ্বাসীদের মনে ইসলাম সম্পর্কে আরো একটিবার নাড়া জাগিয়ে নিজের চিন্তা চেতনা কে নিজের বিশ্বাসকে আরো একটিবার ঝালাই করে নেওয়ার মহৌষধ এই বইটি
Was this review helpful to you?
or
good!
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ একটি বই
Was this review helpful to you?
or
The books were amazing
Was this review helpful to you?
or
বই - দ্য রিভার্টস : ফিরে আসার গল্প রূপান্তর - সামছুর রহমান ওমর, কানিজ শারমিন সিঁথি প্রকাশনী - গার্ডিয়ান পাবলিকেশন্স পৃষ্ঠা সংখ্যা - ২৩৯ মুদ্রিত মূল্য - ৩৫০ টাকা ব্যক্তিগত রেটিং - ৯/১০ পৃথিবীতে অনেক রকমের অনুভূতি আছে। তার মধ্যে অন্যতম সুন্দর একটা অনুভূতি মনের গহীনে হয়, যখন কোন নওমুসলিমের মুসলমান হওয়ার খবর পাই। এই উষ্ণ অনুভূতির কোন তুলনা নেই। অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে দোয়া বেরিয়ে আসে, “হে প্রভু, আমৃত্যু তাকে ঈমানের সাথে রেখো”। হয়ত আমার দোয়ার তার কোন প্রয়োজনই নেই। আল্লাহর অপার রহমত তার উপর আছে বলেই তো তিনি তাকে হেদায়াত দিয়েছেন। হাতে ধরে পৌঁছে দিয়েছেন জাহান্নাম থেকে জান্নাতের দোরগোড়ায়। তবু দোয়া চলে আসে, কেননা আল্লাহ আমাদের দোয়া করতে বলেছেন। এ কথাগুলো রিভিউতে বলার কোন প্রয়োজনীয়তা ছিলনা, বললাম শুধু এটা বোঝাতে যে, রিভার্টসদের প্রতি আমার অনুভূতিটা ঠিক কী। রিভার্ট, যার অর্থ প্রত্যাবর্তন। অন্য কোন ধর্ম গ্রহণকারীদের বলা হয় কনভার্ট, অর্থাৎ ধর্মান্তরিত। কিন্ত নওমুসলিমদের কেন রিভার্টস বলা হয় জানেন? এটা মূলত রাসূল ﷺ এর এই হাদীসের জন্য। আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ প্রত্যেক সন্তানই ইসলামী ফিতরাতের উপর জন্মগ্রহণ করে থাকে। অতঃপর তার মাতা-পিতা তাকে ইয়াহুদী, নাসারা অথবা অগ্নিপূজক বানিয়ে ফেলে। যেরূপে চতুষ্পদ জন্তু পূর্ণাঙ্গ জন্তুই জন্ম দিয়ে থাকে, এতে তোমরা কোন বাচ্চার কানকাটা দেখতে পাও কি? এরপর তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তিলাওয়াত করলেনঃ فِطْرَةَ اللهِ الَّتِيْ فَطَرَ النَّاسَ عَلَيْهَا لَا تَبْدِيْلَ لِخَلْقِ اللهِ ذلِكَ الدِّيْنُ الْقَيِّمُ ‘‘আল্লাহর ফিতরাত, যার উপর তিনি মানবজাতিকে সৃষ্টি করেছেন। আল্লাহ তা‘আলার সৃষ্টি রহস্যে কোন পরিবর্তন নেই। এটাই সরল প্রতিষ্ঠিত দীন।’’ (সূরাহ্ আর্ রূম ৩০: ৩০)। (বুখারী ১৩৫৮, মুসলিম ২৬৫৮) তাই আমরা বিশ্বাস করি, তারা মূলত নিজেদের মূলেই ফিরে আসে। এজন্যই তাদের প্রত্যাবর্তনকারী বলা হয়, ধর্মান্তরিত নয়। এখন আসি বইয়ের ব্যাপারে। বইটাতে মোট তেরোজন নওমুসলিমের মুসলমান হওয়ার কাহিনী বর্ণিত হয়েছে। খ্রিস্টান, ইহুদি, বৌদ্ধ, নাস্তিক এমন বিভিন্ন ব্যাকগ্রাউন্ডের নারী-পুরুষের কথা বলা হয়েছে, যারা জীবনের একটা পর্যায়ে গিয়ে বুঝতে পেরেছেন ইসলামই সঠিক পথ, শান্তির পথ। এদের মধ্যে কারও কারও নাম আমাদের নিকট পরিচিত, কারও না। যেমন ইউসুফ এস্টেস, আব্দুর রহীম গ্রিন, আবু আমিনাহ বেলাল ফিলিপস আমি এদের চিনি। এদের কাহিনী পড়তে তাই এক অন্যরকম ভালোলাগা কাজ করেছে। অন্যদের হয়ত আমি চিনিনা, অন্য পাঠকেরা চেনেন। এই মানুষগুলোর আলোর পথে প্রত্যাবর্তন কিন্তু এত সহজ ছিলনা। যথেষ্ট বন্ধুর পথ পেরিয়ে আশা নিরাশার দোলাচল থেকে বের হয়ে তারা সত্যকে আঁকড়ে ধরতে পেরেছেন। প্রত্যেকটি গল্প যেন চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছিল, কত সহজেই না পেয়ে গেছি মুসলমান উপাধি আর মুসলিম জীবন। কত সৌভাগ্যবান আমরা, মুসলিম পিতামাতার গৃহে, মুসলিম দেশে জন্মগ্রহণ করেছি, যেখানে ইসলামের বিধিনিষেধ মানতে পারিবারিক, সামাজিক কিংবা রাষ্ট্রীয় কোন বাধার সম্মুখীন হতে হয়না। বিভিন্ন পরিস্থিতি তাদের অন্তরে সৃষ্টি করে দিয়েছে একটা ক্ষুদ্র স্ফুলিঙ্গের। তারপর সেটাকে প্রজ্জ্বলিত করতে তাদেরকে কতদিন ধরে খুঁজতে হয়েছে এই আলোর পথ, কত কিছুই না পেরোতে হয়েছে। পরবর্তীতে সুষ্ঠুভাবে দ্বীন মানতে গিয়েও কত না বাধার সম্মুখীন হয়েছেন। আমরা যেমন জন্মেই খাঁটি মুসলিম হয়ে যাইনা, তারাও শুধু শাহাদাহ উচ্চারণ করেই ইসলামের সকল বিধিনিষেধ মেনে চলা শুরু করতে পারেননি। সময় লেগেছে, বাধা এসেছে, তাও আল্লাহর অশেষ রহমতে সকল প্রতিকূলতার মোকাবেলা তারা করেছেন। অনেক অনেক শিক্ষা আছে তাদের কাহিনীগুলোতে, যদি আমরা গ্রহণ করতে পারি। বইয়ের প্রত্যেকটি কাহিনীই ছিল মর্মস্পর্শী, তবে আমার মনে গভীরভাবে দাগ কেটেছে দুজনের গল্প। প্রথমেই বলি “মসজিদ ভাঙা হাত আজ মসজিদ গড়ার কারিগর”, এটির কথা। বাবরি মসজিদে প্রথম আঘাতকারী বলবীর সিং আর তার বন্ধুর কাহিনি পড়তে গিয়ে আমার গায়ের পশম দাঁড়িয়ে গিয়েছিল। আল্লাহর দয়া, আল্লাহর রহমতের সীমা অনেক বড় তা আমরা জানি, কিন্তু এ কাহিনি পড়ে যেন অন্যভাবে অনুভব করছিলাম সেটা। চোখে পানি এসে যাচ্ছিল বারবার। যদিও পুরো বই পড়তে গিয়ে এই ঘটনা ঘটেছে অজস্রবার। তবুও এই গল্পের বেলায় সেটা যেন ছিল বিশেষ। আল্লাহ উনাদের ১০০ মসজিদ মেরামত এবং ১০০ মসজিদ নির্মাণের স্বপ্ন পূরণ করার তাওফিক দান করুন। এরপর “MTV থেকে মক্কা”, ক্রিস্টিন বেকারের কাহিনী। এটা শুরু করার সময়ে আমি বুঝিনি কাহিনীটা এত বড়। এমনকি ইনি যে সূত্রে আমাদের উপমহাদেশে পরিচিত, সেটা সম্পর্কেও আমার কোন ধারণা ছিলনা। তাই ইমরান খানের নাম আসাতে আমি কিছুটা চমকে যাই। তারপর যেন চমৎকার একটা সাসপেন্স ওয়ালা থ্রিলার পড়ে ফেললাম সত্য ঘটনার মোড়কে। শেষটায় মনে মনে বলে উঠলাম, “আল্লাহর লীলা বোঝা বড়ই কঠিন। কার উসিলায় কাকে হেদায়াত দিবেন বলা মুশকিল”। বইয়ের অন্যতম পছন্দের জিনিস ছিল প্রতিটা গল্পের শেষের পাদটীকাগুলো। ছোট ছোট অনেক জিজ্ঞাস ছিল মনে, অনেকদিন থেকে, যেগুলো শুধুমাত্র আলসেমি করে গুগল সার্চ দিয়ে জেনে নেয়া হয়না। সেই বিষয়গুলো সম্পর্কে সুন্দরভাবে জানতে পেরেছি এই পাদটীকাগুলো থেকে। এগুলো সংযোজন করার জন্য লেখকদ্বয়কে অসংখ্য ধন্যবাদ। আর এই বইটা প্রকাশের জন্য গার্ডিয়ান পাব্লিকেশনকে ধন্যবাদ। এই গল্পগুলো আমাদের তরুণ সমাজের পড়া উচিত। শুধু এটা অনুভব করার জন্য নয় যে মুসলমান হয়ে জন্মগ্রহণ করে আমরা কতটা সৌভাগ্যবান, বরং এজন্যেও যে আমাদের মনের সত্যিকারের শান্তি ঠিক কোথায় নিহত। জ্ঞানে-গুণে, ধনে-সম্পদে, খ্যাতি-গৌরবে পরিপূর্ণ সব ব্যক্তিত্ব কীসের টানে ছুটে এসেছেন ইসলামের দিকে, আঁকড়ে ধরেছেন কুরআন? বোঝা উচিত আমাদের। বইটা যেহেতু বিভিন্ন ইন্টারনেট সাক্ষাৎকার, লেকচার এবং ডকুমেন্টারির রূপান্তর, হয়ত আরও ভালো হতে পারত। তবে দুজন অনুবাদক যতটা ভালো কাজ করেছেন, তাতেই ইন শা আল্লাহ এ বইয়ের উদ্দেশ্য পূরণ হবে। আল্লাহ তাদের উত্তম জাযা দান করুন।
Was this review helpful to you?
or
#Bookreviewguardian ? বই :রিভাইভ ইয়োর হার্ট লেখক :ওস্তাদ নোমান আলী খান অনুবাদক:মারদিয়া মমতাজ প্রকাশক:গার্ডিয়ান হার্ডকভার মূল্য :২৫০ টাকা পেপার ব্যাক মূল্য: ২৩০ টাকা পৃষ্ঠা সংখ্যা :১৪৪ প্রথম প্রকাশ:২২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বই-পরিচিতি -------------------- আলোচ্য "রিভাইভ ইয়োর হার্ট" বইটি উস্তাদ নোমান আলী খানের বাছাইকৃত বক্তব্যের সংকলন "Revive your heart:putting life in perspective" বইয়ের বাংলা অনুবাদ " যা গার্ডিয়ান পাবলিকেশন্স এর পক্ষ থেকে প্রথম প্রকাশিত হয় ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সালে । অরিজিনাল বইটি ইংল্যান্ডের প্রখ্যাত প্রকাশনা সংস্থা "kube Publishing Ltd. থেকে প্রকাশিত হয়। এই সংস্থার অনুমতি নিয়ে গার্ডিয়ান প্রকাশন বইটি বাংলায় অনুবাদ করেছেন।বইটির অনুবাদক মারদিয়া মমতাজ। লেখক পরিচিতি --------------------------------- উস্তাদ নোমান আলী খান আরবি ভাষা ও কুরআনিক স্টাডিজের বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠান 'বাইয়্যিনাহ ইনস্টিটিউট'- এর প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও। কুরআনের জ্ঞানে অসাধারণ গভীরতা এবং চমৎকার উপস্থাপনা-শৈলীর কারনে বাংলাদেশসহ সমগ্র বিশ্বের তরুণ প্রজন্মের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয় একজন দায়ি ইলাল্লাহ। তিনি ১৯৭৮ সালে জার্মানির রাজধানী বার্নিল শহরে জন্মগ্রহণ করেন। বর্তমানে তাকে আল-কুরআনের ভাষা বিজ্ঞানী বলা হয়।তিনি রয়াল ইসলামিক স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ সেন্টার অব জর্ডান-এর বিবেচনায় পৃথিবীর প্রভাবশালী ৫০০ জন মুসলিম ব্যক্তিত্বের মধ্যে একজন। অনুবাদক পরিচিতি ----------------------------- "রিভাইভ ইয়োর হার্ট " বইটির অনুবাদক মারদিয়া মমতাজ।তিনি বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) থেকে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং-এ স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। বর্তমানে একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক। তিনি দুই সন্তানের জননী। ইসলাম ও নারীশিক্ষা বিষয়ে গবেষণা ও লেখালেখি করতে ভালোবাসেন। প্রারম্ভিকা ------------------ রিভাইভ কথার অর্থ পুনরুজ্জীবিত করা অর্থাৎ পুনরায় জীবিত করা। বইয়ের এই সুন্দর নামকরণ এর মর্মার্থ হলো মৃত হৃদয়কে পুনরায় উজ্জীবিত করা। নিস্তেজ হৃদয়কে জাগিয়ে তোলার রসদ সমস্ত মজুত আছে এই বইটিতে। নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, আমাদের দেহের ভেতরে একটা মাংসপিণ্ড আছে যাকে আমরা হৃদয় বলি। ওই মাংসপিণ্ড যদি সুস্থ থাকে, তাহলে আমরাও সুস্থ থাকি। আবার ওই মাংসপিণ্ড যদি অসুস্থ হয়, অসুস্থ হয়ে পড়ি আমরাও। এই সুর আমরা কুরআনের একটা আয়াত থেকে পাই। আল্লাহ বলেছেন, ‘চোখ তো অন্ধ হয় না, বরং অন্ধ হয় বক্ষস্থিত অন্তর।’ জীবিত হয়েও মানুষের হৃদয় মৃত থাকে যখন তারা জীবনের উদ্দেশ্য ভুলে দুনিয়ার ভোগবিলাসে মত্ত থাকে। এই সংকলনের মূল উদ্দেশ্য হলো জীবনের প্রকৃত উদ্দেশ্য খুঁজে ফেরা। মূল- আলোচনা ------------------------ লেখক স্মরণ করিয়ে দিতে চান, আমরা যেন বাস্তবতা ভুলে না যায়। পৃথিবীতে আমাদের জীবন ক্ষণস্থায়ী। কিন্তু এই ছোট্ট জীবনটিই একটি ছোট্ট সুযোগের জানালা খুলে দেয়। উত্তম কাজ করার মাধ্যমে সে জানালা দিয়ে অনন্ত জীবনের সবুজ মাঠে প্রবেশ করা যায়। আমাদের এসব কাজের ভিত্তিতেই আল্লাহ সিদ্ধান্ত নেবেন, পরবর্তী জীবনে আমরা জানতে যাওয়ার সৌভাগ্যপ্রাপ্ত কি না। বইয়ের প্রথম অংশ হলো: ♥️দুয়া:আল্লাহর সাথে যোগাযোগের মাধ্যম ------------------------------------------------------------ ১.বিপন্ন সময়ে দোয়া ২.দুয়া ও হতাশা ⭕️২য় অংশ একটি সংক্রিয় মুসলিম কমিউনিটি --------------------------------------------------- ১.সমালোচনা ২.অনুমান করা ৩.নেতৃত্ব ⭕️তৃতীয় অংশ আমাদের আর্থিক লেনদেন ------------------------------------- ১.অর্থ উপার্জন ২.একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুসঙ্গ ⭕️চতুর্থ অংশ কিছু সমসাময়িক বিষয় ----------------------------------- ১.কন্যাসন্তান ২.প্যারিস ভাবনা:শার্লি হেবডো ৩.বাদ্যযন্ত্র শোনার বিপদ ⭕️পঞ্চম অংশ আখিরাত :যাপিত জীবনের মূল লক্ষ্য ------------------------------------------------------ এখানেও তিনটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। ১.জীবন নিয়ে দৃষ্টিভঙ্গি ২.ছোট ছোট পদক্ষেপ ৩.আখিরাত :সংক্ষিপ্ত কিছু কথা। বই-আলাপন ------------------------------ ⭕️প্রথম ভাগ দুআ মুমিনের হাতিয়ার। বান্দার অন্তর নিঃসৃত অব্যক্ত কথা একান্তে উচ্চারিত হয় রবের উদ্দেশ্যে। যেমন মুসা আলাইহি ওয়া সাল্লাম দুআ করেছেন, "হে আমার প্রভু, চলার পথে আপনি আমার জন্য যাই রেখেছেন, নিঃসন্দেহে আমার সেটারই প্রয়োজন।" এটা এমনই শক্তিশালী দুআ যা অল্লাহপাক কুরআনের অংশ বানিয়ে নিয়েছেন এবং কিয়ামত পর্যন্ত যা আমরা পড়তেই থাকবো, স্মরণ করতে থাকব এই অনবদ্য শব্দগুলোকে। গাছের ছায়ায় বসে তিনি আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেছেন শুধু। তাঁর মন থেকে আসা একটি চাওয়া যা একান্ত উচ্চারিত। দুআর ব্যাপারটা হচ্ছে মুলত এটা স্বীকার করে নেওয়া যে, আল্লাহ হচ্ছেন দাতা এবং আমরা তাঁর মুখাপেক্ষী। দুআ আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের সাথে বান্দার বন্ধন দৃঢ় করবে এবং আল্লাহর নিকটবর্তী করে। আল্লাহ তাঁর পুরস্কার ও রহমত শুধু বিশ্বাসীদেরকেই দেন না; অবিশ্বাসী, কাফির এবং সবচেয়ে খারাপ লোকদেরও দেন। তিনি দিতেই থাকেন, দিতেই থাকেন, এবং তিনিই সিদ্ধান্ত নেন কখন কাকে কতটুকু দেবেন। দুআ সবার অলক্ষ্যে রবের সাথে একান্ত কথোপকথন যা আল্লাহর নিকট অত্যন্ত প্রিয়। ⭕️দ্বিতীয় ভাগ সক্রিয় মুসলিম কমিউনিটি অংশে মুসলিম কমিউনিটির তর্ক, আত্ম অহংকার,সমালোচনা, অন্যের ব্যাপারে অযথা অনুসন্ধান, অনুমান থেকে বিরত থাকা এবং নেতৃত্বের বিষয়টি খুব সুন্দরভাবে ফুটে উঠেছে। স্বচ্ছ মন নিয়ে অপর মানুষকে দেখার তাগিদ দেওয়া হয়েছে এই অংশে। অন্যের ভুল না খুঁজে নিজেদের মধ্যে আন্তরিকতা ও হার্দিক সম্পর্ক গড়ে তুলতে হবে মুসলিম উম্মাহর মধ্যে। আল্লাহ আমাদের ওইসব মুসলিমদের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করে নিন, যারা পরস্পরের প্রতি সহানুভূতিশীল, একে ওপরকে ক্ষমা করে মুসলিম উম্মাহকে সামনের পথে এগিয়ে নিয়ে যায়। ⭕️তৃতীয় ভাগ: আর্থিক লেনদেন। আমাদের অর্থ উপার্জনের উৎস কিরূপ হওয়া উচিত সেই বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে। এ অধ্যায়ে খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উঠে এসেছে উপার্জনের ব্যাপারে। কারণ আমরা হালাল উপার্জনের জন্য যতোটা না প্রচেষ্টা চালায় তার থেকে অধিক মনোযোগ দিই রেস্টুরেন্টের খাবার হালাল না হারাম এই বিষয়ে। আমাদের আয় উপার্জনের উৎস যেন হালাল হয় এবং আর্থিক লেনদেন যেন সততা এবং স্বচ্ছতার নীতিতে পরিচালিত হয়। আমাদের অধিক মনোযোগী হওয়া প্রয়োজন আল্লাহর ভয় ও সন্তুষ্টির ব্যাপারে। ⭕️চতুর্থ ভাগ: কিছু সমসাময়িক বিষয় এই অধ্যায়ে এমন একটা বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে যা আল্লাহ তাআলা কিতাবে উল্লেখ করেছেন বিশেষভাবে এবং নবীজির সুন্নাহ অনুযায়ী গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয় তা হলো কন্যা সন্তান নিয়ে মানব সমাজে যে অসন্তুষ্টি দেখা যায়।সমাজে যে কুসংস্কার রয়েছে তার মূলোৎপাটন করা হয়েছে। বাদ্যযন্ত্র এর বিপদ সম্পর্কে ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি ও আলোচনা করা হয়েছে। ⭕️পঞ্চম ভাগ: আখিরাত- যাপিত জীবনের মূল লক্ষ্য--- জীবনের উদ্দেশ্য এবং আখিরাত সম্পর্কিত আলোচনা খুব সুন্দর ভাবে হৃদয়গ্রাহী উপস্থাপন মন কেড়েছে। প্রকৃতপক্ষে কুরআন যে বিষয়ে অধিক আলোচনা হয়েছে এবং নবীজি সাঃ যে বিষয়ে মানুষকে অধিক সচেতন করেছেন তা হলো অন্তিম মুহুর্ত মৃত্যু এবং মৃত্যু পরবর্তী অনন্ত জীবন যার শুরু আছে কিন্তু শেষ নেই। এই যে আখিরাতের পরিণতির ভয় মানুষকে হুঁশিয়ার রাখে জীবনের ছোটো বড় ভুলের ব্যাপারে। কারণ আমরা জানি হাশরের ময়দানে আমাদের সকলকে হাজির হতে হবে মহান স্রস্টার সামনে। এই আখেরাতমুখিতা প্রকৃতপক্ষে মানুষকে আল্লাহমুখী করে।দুনিয়ার জীবনে বান্দার সাথে আল্লাহর নৈকট্য স্থাপন করে। আখিরাতের তুলনায় দুনিয়ার জীবন তুচ্ছ অথচ যার প্রতিটা মুহূর্তের হিসেব দিতে হবে। ভালো-লাগা ------------------- বইটির সরল প্রাঞ্জল উপস্থাপন আকৃষ্ট করে পাঠককে এবং শিরোনাম, সূচীপত্র, পৃষ্ঠাসজ্জা ও প্রচ্ছদ বেশ আকর্ষনীয়। জীবনের উদ্দেশ্য উপলব্ধি করতে এবং কুরআন এর সাথে একাত্মতা তৈরি হয় রিভাইভ ইয়োর হার্ট বইটির মাধ্যমে। পরিশেষে ------------------ আধুনিক যুগের বিশ্বাসী মানুষরা কিভাবে আল্লাহর সাথে হৃদয়ের কথা তুলে ধরবে? কীভাবে আমরা একটা সৌহার্দ্যপূর্ণ এবং পারস্পরিক সহযোগিতা মনোভাবাপন্ন সমাজ গড়ে তুলতে পারি?দুনিয়ার প্রাচুর্য আমাদের মোহগ্রস্ত করে রেখেছে, আমাদের আর কুরআনের সুধা গুলো হৃদয় দিয়ে অনুভব করা হয় না। হৃদয়ের একান্ত গোপনে লুকানো জিজ্ঞাসাকে তৃপ্ত করতে, অন্তরকে উজ্জীবিত করতে একবার হলেও বইটি পড়তে হবে।
Was this review helpful to you?
or
বইঃ দ্যা রিভার্টস লেখকঃ শামছুর রহমান ওমর , কানিজ শারমিন সিঁথি প্রকাশনায়ঃগার্ডিয়ান পাবলিকেশনস টাকাঃ ২৫০ একঝাঁক তরুণ-তরুণী। কর্মমুখর জীবন। অনিশ্চিত ভবিষ্যতের নেশায় ছুটে চলা অহর্নিশ। ক্যারিয়ার, ফেইম, অর্থবিত্তের বলয়ে মত্ত আপাদমস্তক। চাওয়া-পাওয়ার এই দ্বান্দ্বিক বৈষম্যে, মাঝেমধ্যে প্রশ্নবিদ্ধ হয় জীবনের গতিপথ! জীবন মানেই কি ভোগবিলাস? বেঁচে থাকার অর্থ কি কেবলমাত্রই ক্যারিয়ারে? হৃদয়ের অন্তঃকুঠিরে জীবনের উদ্দেশ্য নিয়ে উদিত হওয়া প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে খুঁজতে, আচমকা প্রভাতী কিরণের মতো বেরিয়ে আসে ঝলমলে আলোকরশ্মি। 'ইসলাম' নামক পরশপাথর। যাত্রা হয় নতুন দিবসের, নতুন সময়ের। জাহিলিয়াতের এমন অদৃশ্য-অস্পৃশ্য শৃঙ্খলে বন্দীত্ব গ্রহণ করে, সৃষ্টি যখন চলে যায় স্রষ্টা থেকে যোজন যোজন দূরে, তখনও তার হৃদয়ের কোথাও না কোথাও স্রষ্টাকে জানার সদিচ্ছাটুকু টিমটিম করে জ্বলে। সেই সদিচ্ছা কারোর জন্য রবের করুণায় রূপান্তরিত হয়ে যায়, "হিদায়াহ" নামক আলোকচ্ছটায়। তৈরী হয় কাছে আসার গল্প। সৃষ্টি হয় রিভার্টের উপাখ্যান। এমনই ১৩ জন তৃষ্ণার্ত অমুসলিম মানব-মানবীর ইসলামের শামিয়ানায় প্রত্যাবর্তনের শিহরণ জাগানিয়া গল্প নিয়েই মলাটবন্দী হয়েছে 'দ্যা রিভার্টস' বইটি। কখনো কখনো জীবন হয়ে যায় গল্পের চেয়েও নাটকীয়। জীবনের বাঁকে বাঁকে ঘটে যাওয়া ঘটন-অঘটনে জীবন মাঝেমাঝে হয়ে উঠে রূপকথার চেয়েও অবিশ্বাস্য। এই বইটিতে তুলে আনা হয়েছে এমনই কিছু বাস্তব আত্মকাহিনী আর অনবদ্য জীবনোপলব্ধি যা হার মানাবে গল্প-উপন্যাসকেও। একগুচ্ছ তরুণ-তরুণীর রিভার্টের কাহিনীকথন। পশ্চিমা দুনিয়ার আধুনিক রূপ-রঙে বেড়ে উঠেও কেন একফোঁটা শান্তির জন্য হাপিত্যেশ করে মরেছিলেন তারা? হাজারো উত্থান-পতন ভেদ করে, ক্যারিয়ারের শীর্ষে থাকা একেকজন ব্যক্তিত্ব কিভাবে ছেড়ে আসলেন বিলাসবহুল জীবন? জাহিলিয়াতের তমসাচ্ছন্ন পথ থেকে দ্বীনে পথে ফিরতে কি তাদের সম্মোহিত করেছিলো? প্রত্যেকটা প্রশ্নের উত্তর জানতে, খুলতে হবে আলোচ্য বইটি। পড়তে হবে, স্রোতের অনুকূলে কিংবা প্রতিকূলে গড়ে উঠা একেকটা গল্পের প্রত্যেকটা শব্দমালা। কারণ, বইয়ের সারনির্যাস তুলে ধরতে গেলে, সেটা আর রিভিউ থাকবেনা, হয়ে যাবে গোটা একখানা পুস্তিকা। বইটিতে রয়েছে আফগান যুদ্ধ কভার করতে আসা সাংবাদিক ইভান রিডলির তালেবানের হাতে বন্দী, অতঃপর মুসলিম হয়ে যাওয়ার গল্প। রয়েছে বাবরি মসজিদ স্ব-হস্তে ভাঙা বলবীর সিং'য়ের জীবনোপলব্ধির খোরাক যোগানোর উপাখ্যান। একটা সময় যে কাজ নিয়ে গর্বে বুক ফুলাতেন, সেই কাজ নিয়ে আজ তার মন কেন বিষাদে করে আলিঙ্গন? মসজিদ ভেঙে দেওয়া হস্তদ্বয় আজ কেন মসজিদ গড়তে ব্যকুল? আরো রয়েছে বিশ্বনন্দিত চেনামুখ বিলাল ফিলিপসের প্রত্যাবর্তনের কাহিনী। সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবের স্বপ্লে বিভোর হৃদয়ে আস্তে আস্তে জায়গা করে নিয়েছিলো প্রভুপ্রেমের সাতকাহন। কমিউনিজমের হাত ধরে নাটকীয় ভাবে ঘুরে গিয়েছিলো তার জীবনের বাঁক। রয়েছে MTV চ্যানেলের এক বিশ্ববিখ্যাত উপস্থাপিকা কিংবা এক পপস্টারের আত্মকাহিনী। যাদের একেকটা অনুষ্ঠান, একেকটা অ্যালবাম বরাবরই থাকতো শোবিজ জগতের গসিপে। জনপ্রিয়তার এমন তুঙ্গে থেকেও, বিলাসিতাকে ছুড়ে ফেলে আস্তাকুঁড়ে, তারা বেছে নেন ধর্মীয় জীবন। কিন্তু কিভাবে তারা ছেড়ে এসেছিলেন গ্ল্যামারের শর্বর জগৎ?? এইসব কৌতূহল মিটানোর জন্য অতি অবশ্যই আপনাকে বইটি হাতে নিতে হবে। একেকটা বাস্তব জীবনের গল্পের একেকটা টুইস্ট যেন হার মানাবে ব্লকবাস্টার কোনো মুভি রোমাঞ্চকর কোনো উপন্যাস যাত্রাকেও। অভিজ্ঞ চিন্তা ও দর্শন নাড়া দিতে পারে আপনার মনোজগতও। বইটির প্রত্যেকটা গল্প এতো চমৎকারভাবে সাজানো হয়েছে যে, বইয়ে বুঁদ হয়ে থাকার যায় ঘন্টার পর ঘন্টা। চিত্রময়ী উপস্থাপনের নিগূঢ়তায় নিজেকে মনে হয় প্রত্যেকটা গল্পের অংশীদার৷ মোটের উপর, বইয়ের লেখকদের অসাধারণ জীবনদর্শন আর ফিরে আসার বাস্তব লিখনশৈলীর সমন্বয়ে, বইটি দ্বীনের ব্যাপারে গাফেলহৃদে বিশ্বাসের ফল্গুধারা বওয়ানোর একটি গল্পময় অলংকরণ। কিছু স্থানে টাইপিং মিসটেক ছাড়া কোনো ত্রুটিই চোখে পড়েনি আমার। প্রতিটি গল্পই যেন জীবন্ত, যেন মুখ্য চরিত্রটি বর্ণনা করে যাচ্ছেন তার জীবনের চড়াই-উতরাই কিংবা অন্তর্দ্বন্দের যুৎসই উত্তর, আর আমি তার বিস্মিত,অভিভূত, নির্বাক শ্রোতা। অনুবাদের প্রাঞ্জলতাগুণ দেখে মনে হয়, অনুবাদকদ্বয় পুরোটাই আত্মস্থ করে ফেলেছেন লেখকগণকে। পড়ে মনেই হয়না এটা কোনো অনুবাদ গ্রন্থ। উন্নত বাইন্ডিং,কোয়ালিটি আর মানানসই প্রচ্ছদের জন্য গার্ডিয়ানেওর'ও আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রাপ্য। বস্তুবাদি দুনিয়ার যান্ত্রিক আটপৌরে জীবনে হাঁপিয়ে উঠা এই আমাদের, মাঝে মাঝে প্রত্যাবর্তনের রিমাইন্ডার দিতে হয়। এই বইটা তেমনই এক রিমাইন্ডার। বিশ্বাসী-অবিশ্বাসী-সংশয়বাদী সবার জন্যই মাস্টরিড। বইয়ের সফেদ পাতার হৃদয়গ্রাহী বর্ণনায় কয়েকজন মানব-মানবীর পার্থিব জীবনের ভোগবিলাস ছেড়েছুড়ে, রাব্বের ডাকে সাড়া দেওয়ার ইতিবৃত্ত, গাফেল হৃদয়ে নমনীয়তা দানে যথেষ্ট, ইনশাআল্লাহ।
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ
Was this review helpful to you?
or
দ্যা রিভার্টস : ফিরে আসার গল্প রূপান্তর: কানিজ শারমিন সিঁথি, শামছুর রহমান ওমর মূল্য: ২৫০৳ বইয়ের মূলভাবঃ- ---------------------------- এই ধর্মবিবর্জিত আধুনিক সময়ে আঠারো-উনিশ বছরের তরুণ-তরুণী আসলে কী চায়? কী তাদের সুখী করে? ঘুরে-ফিরে আসবে দামি ল্যাপটপ, মোবাইল, নাটক-সিনেমা, গান, মাদক কিংবা একজন ভালোবাসার মানুষের কথা। কিন্তু বাস্তবেই কি এগুলো মানুষকে সুখী করতে পারে? তাই যদি হতো, তাহলে কেন আজ ঘরে ঘরে এত অশান্তি? কেন বাড়ছে আত্মহত্যা, হতাশা আর মাদকের ব্যবহার? কেন বাড়ছে খুন, হত্যা, ধর্ষণ? সাত্যিকারার্থে মানুষের সুখ কোথায়? কোথায় পাওয়া যায় মনের গভীরের প্রশান্তি? আসলে মানুষের জীবনের উদ্দেশ্যই-বা কী? এসব প্রশ্নের উত্তর নিয়ে আমাদের প্রয়াস ‘দ্যা রিভার্টস : ফিরে আসার গল্প’। এখানে আমরা জানব, পশ্চিমা দুনিয়ায় আধুনিক সব সুযোগ-সুবিধার মধ্যে বেড়ে উঠেও কী করে মানুষ শান্তির আশায় হন্যে হয়ে ঘুরছে। আমরা জানব- কী করে তারা খুঁজে পেলেন জীবনের আসল উদ্দেশ্য, আলোর পথ। জেনে নেব- অতীত মুছে ফেলে নতুন জীবন গড়তে কোন জিনিস তাদের উদ্বুদ্ধ করেছে। বইটি পড়লে যা জানতে পারবেনঃ- ----------------------------------------------------- আফগান যুদ্ধ করতে এসে তালেবানদের হাতে ধরা পড়লেন এক নারী সাংবাদিক। অন্যদিকে, ফিলিস্তিনের গাজায় এসে আটকে গেলেন এক ব্রিটিশ তরুণ। তারপর কি হলো তাদের? এক খ্রিষ্টান পাদ্রী, একজন ধার্মিক বৌদ্ধ, অনুশাসন মানা একজন হিন্দু যুবক, আর মামার আমন্ত্রণে ফিলিস্তিনে ঘুরতে আসা পোল্যান্ডের এক ইহুদি তরুণ। চার ধর্মের চারজন। কেমন করে পাল্টে গেলেন সবাই? বাবরি মসজিদ নিজ হাতে ভেঙেছেন বীরবল সিং। এক সময় যা নিয়ে তিনি অনেক গর্ববোধ করতেন।কিন্তু তার মনে কিসের এত ব্যথা আজ? বাবরি মসজিদ ভেঙে দেওয়া হাত আজ কেন মসজিদ ধরার কাজে ব্যস্ত? লন্ডনের বুকে বেড়ে ওঠা তিন যুবক। টাকা-পয়সা, অর্থ বিত্ত, খ্যাতির কোন অভাব নেই। তবুও শান্তি নাই মনে। শান্তির আশায় কত কি করে গেলেন! পেয়েছিলেন কি আসলে সেই শান্তি? আধুনিক আমেরিকার দুইজন মানুষ। একজন অবিশ্বাসী নাস্তিক, আরেকজন সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবের স্বপ্নে বিভর৷ দুজনের জীবনের নাটকীয় পরিবর্তন এলো, কিন্তু কি করে? MTV চ্যানেলের বিশ্ব বিখ্যাত এক উপস্থাপিকা। পুরো ইউরোপের ঘরে ঘরে পরিচিত মুখ। একদিন দেখা হলো পাকিস্তানের বিশ্বকাপ জয়ী ক্রিকেটার ইমরান খানের সাথে। তারপর কি ঘটল? জানতে হলে পড়ুন "দ্যা রিভার্টস" : ফিরে আসার গল্প। চিন্তা, দর্শন ও জীবন পরিবর্তনের মোট ১৩ টি গল্প নিয়ে সাজানো হয়েছে এ বইটি। #bookreviewguardian
Was this review helpful to you?
or
বিস মিল্লাহ হির রাহমানির রাহিম বই:দ্যা রিভার্টস:ফিরে আসার গল্প রুপান্তর:সামছুর রহমান ওমর কানিজ শারমিন সিঁথি গায়ের মূল্য:৩৬৫ প্রকাশক:গার্ডিয়ান পাবলিকেশন বই পরিচিতি: আমরা যারা ইসলামকে জন্মসূত্রে পেয়েছি আমরা এ মর্ম বুঝতে পারি না। কিন্তু যারা অমুসলিম পরিবেশে বেড়ে উঠেছিল তারা বোঝেন 'ইসলাম' আল্লাহ তা’য়ালার কতো বড় নেয়ামত। তাদের অবস্হা মরুভূমির সেই তৃষ্ণান্ত মুসাফিরের মতো। তাদের হৃদয় অসীম তৃষ্ণার শুষ্ক। প্রখর রৌদ্রে সুকোমল পানীয়ের মতোই ইসলাম তাদের দেহে মনে তৃপ্তি আনে। ইসলাম তাদের কাছে অনেক কষ্টে সাগর সেচে আনা মুক্তার দানার মতো ঝলমলে উজ্জ্বল। যার জ্বলজ্বলে আলো,আঁধারের মাঝেও জ্বলে আলোর রেখা। তেমনি ১৩ জন বিখ্যাত অমুসলিম ভাই ও বোনের ইসলাম গ্রহণের অসাধারণ শিহরণ জাগানো গল্প নিয়ে "দ্যা রিভার্টস (ফিরে আসার গল্প)" বইটি সমৃদ্ধ। জাহেলি জীবন থেকে আলোর পথে ফিরতে কি তাদের মোহিত করলো কীভাবে তারা দ্বীনের অনুশীলনে প্রাণ খুঁজে পেলেন,কীভাবে তারা বন্দিত্ব থেকে মুক্ত জীবনের স্বাদ পেলেন বইটিতে তা স্পষ্টভাবে প্রকাশ করা হয়েছে। ?দ্যা রিভার্টস: ফিরে আসার গল্প বইটিতে যা আছে ........ ১.বন্দি থেকে মুসলিম----ইভান রিডলি ২.আমি ইউসুফ এস্টেট বলছি----ইউসুফ এস্টেট ৩.আসুন বলি 'আলহামদুলিল্লাহ'----লরেন বুথ ৪.জীবনের মানে খুঁজতে গিয়ে----আব্দুর রহিম গ্রিন ৫.রহস্যময় কুরআন----ড.জেফরি ল্যাং ৬.বৌদ্ধ থেকে আলোর পথে----হুসাইন ইয়ি ৭.মসজিদ ভাঙা হাত আজ গড়ার কারিগর----মুহাম্মদ আমির ৮.শৈলেশের গল্প----সালাহ উদ্দিন প্যাটেল ৯.পথহারা এক মুসাফির----ইউসুফ চেম্বারস ১০.কমিউনিজমের হাত ধরে----ড.আবু আমিনাহ বিলাল ফিলিপস ১১.মক্কার পথে----মুহাম্মদ আসাদ ১২.এক পপস্টারের আত্মকাহিনী----ইউসুফ ইসলাম ১৩.MTV থেকে মক্কা----ক্রিসটিন বেকার বন্দি থেকে মুসলিম: বিট্রিশ ইভেন রিডলি ছিলেন বিশ্ববিখ্যাত বেশ কয়েকটি পত্রিকার রিপোর্টার ও সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০১ সালে টুইন টাওয়ারে হামলার পর তিনি আফগানিস্তানে ছদ্মবেশে প্রবেশ করেন সংবাদ সংগ্রহের জন্য। এক পর্যায়ে তালেবানের হাতে তিনি বন্দি হন। তার প্রতি তালেবানদের মার্জিত আচরণ তাকে ইসলাম নিয়ে ভাবতে অনুপ্রাণিত করে। একসময় ইসলাম নিয়ে গভীর অধ্যায়ন শেষে তিনি ইসলাম গ্রহণ করেন। আমি ইউসুফ এস্টেট বলছি: আমেরিকার একজন প্রাক্তন ধর্মযাজক। খ্রিষ্টানদের ত্রিত্ববাদ তাকে খ্রিষ্টান ধর্ম পালনে দ্বিধায় ফেলে দেয়। পরে কোরআনে সূরা নিসার ১৭১ নং আয়াতে আল্লাহ বলেছেন-"তোমরা বলো না আল্লাহ তিনজন।" আবার সুরা ইখলাস পড়ে পরিষ্কারভাবে বুঝে গেলে সৃষ্টকর্তা এক ও অদ্বিতীয়। এরপর একজন মিসরীয় মুসলিমের সংস্পর্শে এসে ইসলাম গ্রহণ করেন। ইসলাম গ্রহণ করার পর দেশে বিদেশের বিভিন্ন সেমিনারে ইসলাম নিয়ে আলোচনা করে আসছেন। আসুন বলি আলহামদুলিল্লাহ:লরেন বুথ একজন ব্রিটিশ সাংবাদিক। বিভিন্ন সংবাদ সংগ্রহ করার জন্য ফিলিস্তিনে যান। সেখানে মুসলিমের সাথে তার পরিচয় হয়। তাদের অমায়িক আচরণে মুগ্ধ হয়ে তিনি সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললেন ইসলাম সম্পর্কে জানতে হবে। তাই কোরআন সংগ্রহ করে পড়া শুরু করলেন এবং ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করলেন। 'আলহামদুলিল্লাহ ' সকল প্রশংসা আল্লাহর। জীবনের মানে খুজতে গিয়ে: ব্রিটিশ নাগরিক আব্দুর রহিম গ্রিসে তার জন্ম ১৯৬২সালে। বাবা ছিলেন জাতিতে রুশ, মা পোলিশ। মায়ের ইচ্ছায় ইংলান্ডের ইয়র্কশায়ার পড়া শুরু করেন। কিন্তু তার কাছে প্রতিটি বিষয় যেন কেমন জানি অপরিষ্কার লাগে । তাই বিভিন্ন ধর্মের বই নিয়ে পড়া শুরু করলেন। শেষমেষ কোরআন পড়ে বুঝতে পারলেন যে ইসলামই সঠিক ধর্ম। এরপর শুরু হলো ইসলামিক পথে চলা। রহস্যময় কুরআন:চাইনিজ বংশোদ্ভূত হুসাইন ইয়ির বৌদ্ধ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। কিন্তু বৌদ্ধ ধর্মের বিভিন্ন অনুশাসনে নিরুৎসাহিত হয়ে হুসাইন খ্রিষ্ট ধর্ম গ্রহণ করেন। মুসলিমদের কুরআন নিয়ে পড়াশোনা করতে গিয়ে কুরআনের তাওহিদের চিত্র তাকে মুগ্ধ করে। এরপর ইসলাম গ্রহণ করে। তিনি বলেন -ইসলামকে মূল্যায়ন করতে গিয়ে কুরআনের শিক্ষার দিকে তাকান,মুসলিমদের দিকে নয়। মসজিদ ভাঙা হাত আজ মসজিদ গড়ার কারিগর:বাবরি মসজিদ নিজ হাতে ভেঙেছেন বলবির সিং।এক সময় যা নিয়ে তিনি গর্ববোধ করতেন। কিন্তু ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করার পর বুঝতে পারলেন এটা বড় পাপ কাজ। তাই তিনি সিদ্ধান্ত নিলেন যে, ১০০ টা মসজিদের সংস্কার এবং নতুন করে ১০০ মসজিদ নির্মাণ করবেন। আল্লাহর রহমতে তার কাজ সুন্দর ভাবে এগিয়ে চলছে। শৈলেশের গল্প : শৈলেশ ছিলেন হিন্দু ধর্মের অনুসারী এবং হিন্দু ধর্মের বিভিন্ন বিধি-বিধান ও রীতিনীতি মানতে গিয়ে তার মনে অনেক প্রশ্ন জাগে। তিনি হিন্দু ধর্ম নিয়ে অনেক পড়াশোনা করেন। পরে ইসলামের বিভিন্ন দিক ও তাওহিদের বাণী তাকে মুগ্ধ করে। একসময় তিনি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। তাই আমাদের মুসলিমদের উচিত বেশি বেশি করে দাওয়াতের কাজ করা। হাশরের মাঠে যদি আল্লাহ অমুসলিমদের জিজ্ঞাসা করেন,তোমরা কি আমার ইবাদত করতে? তারা বলবে 'না '।আল্লাহ বলবেন, কেন? তোমাদের কাছে ইসলামের বাণী আসে নাই? তারা বলবে কই, না তো!আল্লাহ বলবেন কেন,তোমার আশেপাশে কি মুসলিম ছিল না?তারা বলবে' হাজার হাজার ছিল।কিন্তু তারা কোনোদিন একবারের জন্য এসেও আমাদের ইসলামের দাওয়াত দেয় নাই। " পথহারা এক মুসাফির :ইউসুফ চেম্বারসের জন্ম ইংলান্ডের সারেতে। খ্রিষ্টান পরিবারে জন্ম নেওয়া ইউসুফ খুব গভীরভাবে জীবনের উদ্দেশ্য নিয়ে ভেবেছেন। প্রায় একযুগ হন্য হয়ে খুঁজে বেড়াচ্ছিলেন জীবনের মানে। ইসলাম নিয়ে পড়াশোনার দু সপ্তাহের মধ্যে তার মনোজগৎ পরিবর্তন আসে এবং ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। কমিউনিজমের হাত ধরে:ড.আমিনাহ বিলাল ফিলিপস ছিলেন খ্রিষ্টান ধর্মের। সবসমায় গান বাজনা পার্টি নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন। তরুন বয়সে কমিউনিজম আন্দোলন এ জড়িয়ে পড়তেন। এ নিয়ে হতাশ হয়ে পড়েন। পরে ইসলাম নিয়ে পড়াশোনা শুরু করেন। ইসলামের চিন্তা ভাবনা ও দর্শন তার মনেী ওপর দরুণ প্রভাব ফেলে। এরপর ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে। মক্কার পথে:মুহাম্মদ আসাদের ইসলাম ধর্ম গ্রহণের পূর্বে নাম ছিলো লিওপোল্ড লুইস।তিনি ছিলেন সাংবাদিক। পেশাগত কারনে তিনি আরব বিশ্ব ভ্রমণ করেন। আরবদের জীবন ও তাদের জীবনে ধর্মের প্রভাব দেখে তিনি মুগ্ধ হন এবং ইসলাম গ্রহণ করেন। এক পোপস্টারের আত্মকাহিনী :ইউসুফ ইসলামের পূর্ব নাম cat stevens। তিনি ছিলেন বিশ্ব সংগীতের এক বিখ্যাত নাম। তার অসংখ্য গান ইউরোপ,অস্ট্রেলিয়া, আমেরিকার টপ চার্টে স্থান করে নিয়েছিলো। নাম-যশ খ্যাতির শীর্ষে থাকা অবস্থায় তিনি প্রচন্ড হতাশা ও অবসাদে ডুবে যান। শান্তির খোঁজে তিনি নানা ধর্মমত ও মতবাদ নিয়ে পড়াশোনা করেন। পরে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। MTV থেকে মক্কা:ক্রিস্টিন বেকার বিখ্যাত মিউজিক চ্যানেল MTV এর উপস্থাপিকা হিসেবে বিশ্ব জুড়ে তার খ্যাতি ছড়িয়ে পড়েছে। পাকিস্তানের বিশ্বকাপ জয়ী দলের অধিনায়ক ইমরান খানের সাথে সাক্ষাৎ তার জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। ইমরানে সংস্পর্শে এসে তিনি ইসলাম সম্পর্কে আগ্রহী হয়ে উঠেন। একসময় তিনি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। প্রতিটি কাহিনিই মর্মস্পর্শী। প্রতিটি গল্পই আধাঁর থেকে আলোর পথে ফেরার আনন্দে উদ্বেল। বইটি কাদের জন্য: বইটি সবার জন্যই। বইটি পড়লে বুঝতে পারবেন যে অমুসলিমদের মুসলিম হাওয়ার পথে কত কষ্ট করতে হয়েছে এবং কষ্টি পাথরে ঘোষে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছে। মতামত:বইটি অসাধারণ।আমার খুব ভালো লেগেছে। বইটি পড়ে আমার একটি বাক্য বার বার ব্যথিত করেছে তা হলো-"আল্লাহ আপনাকে জিজ্ঞাস করবেন না,তোমার ডাকে কারা শাহাদহ উচ্চারণ করে মুসলিম হয়েছে, কারা হয়নি,আল্লাহ জিজ্ঞাস করবে,আপনার দায়িত্ব আপনারা ঠিকমতো পালন করেছেন কি না। " #bookreviewguardian
Was this review helpful to you?
or
এই বইটা নিরেট আনন্দের।সাথে ছুঁয়ে যেতে পারে একরাশ বেদনা,অকৃত্রিম দীর্ঘশ্বাস।আমরা বিশ্বাস করি,এক উম্মাহ মানে একটাই দেহ,একটাই পরিচয়।যে পরিচয়ে আমরা পরস্পরের ভাই-বোন হয়ে যাই এক নিমিষে।এই যে উত্তম পুরুষে লিখিত গোটা তেরোটা গল্পের সংকলন,এ আর কিছুই নয়...এ আমাদেরই গল্প,আমাদের ভাই-বোনদের জীবন-গাঁথা থেকে নিয়ে আসা টুকরো কিছু কথা। 'দ্যা রিভার্টস'-বইটা আপনাকে কী দেবে?সে ফায়সালা আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা করবেন।আমাকে কী দিয়েছে সেটা শোনাই।অনুভূতির মিল যে মাঝেমাঝেই হয় তা আমি জানি।বইটির আবেদন অন্য কারোর কাছেও একইরকম হতে পারে।আমি একটু কড়া নেড়ে যাই! প্রথম গল্পটা বোন ইভন রিডলির।টুইন টাওয়ারের হামলার সাথে সম্পৃক্ত তাঁর গল্প।পড়তে পড়তে কল্পনায় দেখতে পাই 'নো ম্যানস ল্যান্ড'-এর ধূ ধূ প্রান্তর,গিরিপথ, আপাদমস্তক বোরকায় ঢাকা বোনদের আর ঈমানদীপ্ত কিছু মানুষের নির্ভেজাল হৃদয়।আফগানিস্তানের খুব আন্তরিক কিছু মহিলাদের সাথে কথা বলার পর,ইভন যখন একসময় জানতে পারলো নিষ্পাপ মানুষগুলোকে হত্যা করা হয়েছে শুধুমাত্র সন্দেহ আর ব্যক্তিগত আক্রোশের জন্য...হৃদয়ে যে ব্যথা আমাদের বোনটি অনুভব করেছিলো,তার কিছুটা আমরা পেয়ে যাবো এখানেই।অবর্ণনীয় এক কষ্ট।অন্তরের ব্যথা যে সহজে যায় না!ফরিয়াদ জানাই এর বিচার করবেন তিনি,যার বিচারে কোনো ত্রুটি নেই। ধীরে ধীরে একজন খ্রিষ্টান যাজকের আলোর কাছে ফিরে আসা,সংবাদ সংগ্রহের উদ্দেশ্যে গিয়ে সত্যকে চিনে নেওয়া,এলোপাথাড়ি উচ্ছৃঙ্খল জীবনে হঠাৎ সুবাতাস বয়ে আসা,কুরআনের নূরে অন্তরাত্মা আলোকিত হওয়া,গৌতম বুদ্ধের ধর্ম ছেড়ে সর্বশক্তিমানের সান্নিধ্যের টানে ছুটে আসা,মাসজিদ ভাঙার সংকল্প মাসজিদ গড়ার পাথেয়-তে রূপ নেয়া,মূর্তিপূজায় বিশ্বাসী পরিবার থেকে বের হয়ে এসে পৃথিবীর একমাত্র সত্য ধর্ম গ্রহণ করা,সত্যের সন্ধানে দিগবিদিক ঘুরে বেড়ানো তরুণের আলোর নিশান খুঁজে পাওয়া,নাস্তিকতায় ডুবে যেতে গিয়েও হুট করে ভেসে ওঠা,ইহুদি ঘরানার পারিবারিক প্রথা ত্যাগ করে মুসলিম হয়ে ওঠা,মিউজিকের হারাম জগতকে এক আল্লাহর প্রতি ভালোবাসায় জীবন থেকে সরিয়ে দেয়া,নানান চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে একজন মিডিয়া প্রেজেন্টারের সব কিছুর উপরে আল্লাহর প্রতি ভালোবাসাকে স্থান দেওয়া -একেকটা গল্পে ভিন্ন ভিন্ন চরিত্রের ভাইবোনদের সাথে পরিচয় হবে আপনার।তাদের প্রথমবার স্বলাতে দাঁড়ানোর অনুভূতি পড়তে গিয়ে শিরশির করে উঠতে পারে আপনার গোটা শরীর,হৃদয়ে জমিয়ে রাখা রব্বের প্রতি ভালবাসার কথাগুলোয় কম্পন হতে পারে অন্তরে অথবা সুখ-দুঃখের অশ্রুজলে ভেসে যেতে পারেন আপনি। বইটা যে সময় পড়ছিলাম,লকডাউনের শুরু তখন।আমি তখন সবে নতুন ধাঁচে দেখতে শুরু করেছি ইসলামকে।সমাজের নিয়ম-নীতি গুলোর সাথে ইসলামের অসামঞ্জস্য দেখে চোখ রগড়াচ্ছিলাম।সমাজ,পরিবার,নাফস সমস্ত কিছুর তথাকথিত নিয়মকে কিভাবে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে আল্লাহকে একমাত্র ইলাহ হিসেবে মেনে নিয়ে এবং আল্লাহর কালামকে জীবন-বিধান হিসেবে গ্রহণ করে দুনিয়ায় থাকতে চাই সে বিষয়গুলো নিয়ে ভাবছিলাম।আল্লাহ সহায় হউন।এই ভাইবোনদের মতোই আল্লাহ আমাকে চিনিয়েছেন,সরল পথ কোনটা।কোন পথে সুখ! 'দ্যা রিভার্টস'-এ বর্ণিত ভাইবোনদের মতো আমিও তখন হুট করে যেন আমার রব্ব-কে পেয়ে গিয়েছিলাম।সেজন্যই বইটা একবার পড়ার পর আবারো পড়তে শুরু করেছিলাম প্রথম থেকেই।আহা! লোভ জেগেছে কিছু ব্যাপারে পড়ে।ইচ্ছে হয়েছে আফগানিস্তান চলে যাই যেখানে নন-মাহরামদের সাথে পর্দায় বাধা নেই,কখনো মনে হয়েছে লরেন বুথের মতো ফিলিস্তিনি একজন বোনের পাশে বসে যদি একটু সমব্যথী হতে পারতাম আর কখনোবা ক্রিস্টিন বেকারের মতো ছুটে যেতে পারতাম মক্কায়!বলবীর সিংয়ের বাবার সব বুঝেশুনেও ইসলাম গ্রহণ না করার ব্যাপারটা পুড়িয়েছে অন্তরকে। যার বই পড়তে ভালোবাসেন,তাদের জন্য এটা আমার মাস্ট রীড রেকমেন্ডেড একটা বই।এই বই আপনাকে ভিনদেশী ভাইবোনদের সাথে পরিচয় করিয়ে দেবে খুবই সুন্দর বর্ণনায় আর নিজে হয়তো কিছু অযাচিত প্রশ্নেরও সম্মুখীন হয়ে যেতে পারেন। বইয়ের সাথে সংশ্লিষ্ট সবাইকে আল্লাহ দুনিয়া এবং আখিরাতে কল্যাণ দান করুন।আসসালামু আলাইকুম।
Was this review helpful to you?
or
আমার জীবনে পড়া সেরা বইগুলো একটি এই বইটি। জীবনের মোড় ঘুড়িয়ে দেয়ার মতো একটি বই। নও মুসলিম ভাই-বোনদের জীবনের গল্প পড়লে নিজের ঈমান নিয়ে নিজের কাছে ইতস্তত লাগে, সেই সাথে ঈমানি শক্তিতে সামনে এগিয়ে যাওয়ার উৎসাহ মেলে এই দ্বীনে ফেরার গল্প গুলো পড়লে।
Was this review helpful to you?
or
আমার জীবনের পড়া one of the best
Was this review helpful to you?
or
আলহামদুলিল্লাহ
Was this review helpful to you?
or
ফিরে আসার গল্প: দ্যা রিভাটর্স বইটির পড়তে গিয়ে চিন্তার সাগরে ডুবে গেলাম। অথৈ পানিতে হাতড়াচ্ছিলাম নিজের জীবনকে। কত শত ভাবনা খেলে গেলো নিজের মধ্যে। জীবন মানে কি? জীবনের উদ্দেশ্য কি? শুধু খাচ্ছি-দাচ্ছি চলছি ফিরছি। এটাই কি জীবন হতে পারে? জীবনের যশ খ্যাতি, এত-এত ধন-সম্পত্তি, আরাম আয়েশ সহ বাহ্যিক জীবনের সব কিছু থাকা সত্ত্বেও সবাই কিসের শূন্যতায় ভুগছিলেন? কেন তারা আরাম বিছানায় ঘুমিয়ে শান্তি পাচ্ছিলেন না? কেন তারা তাদের সুস্বাদু খাবার-দাবার, আলিশান বাড়ি ঘরে থেকেও তৃপ্ত হচ্ছিলেন না? কিসের টানে তারা বেছে নিয়েছেন কষ্টের জীবন? চ্যালেঞ্জ করেছেন জীবনকে? চ্যালেঞ্জ করেছেন প্রতিকুল পরিবারকে, বিরুদ্ধবাদী সমাজ কে? গল্পে গল্পে সেসব কথা এই বইয়ে বলা হয়েছে।
Was this review helpful to you?
or
valo
Was this review helpful to you?
or
অাসলে,ইসলামবিহীন প্রতিটি মানবের অন্তরে একধরণের শূন্যতা, না পাওয়া, হাহাকার কিংবা হতাশা বিদমান। তারা পার্থিব সকল প্রয়োজনীয়তায় যতই ভরপুর কিংবা স্বয়ংসম্পূর্ণ হন না কেন তাদের অন্তর ইসলামমুক্ত হবার কারণে তৃপ্তি পেতে পারে না। সুতরাং অনেকে কাঙ্ক্ষিত সেই শান্তিলাভের অাশায় সত্যান্বেষণে ছুটে পড়েন। অার কেউ যদি সত্যলাভে সচেষ্ট হন,ভালোবাসেন তাহলে স্রষ্টা তাকে সহযোগিতা করেন এবং সত্যের দিশা দেন।
Was this review helpful to you?
or
দ্যা রিভার্টস বইটি মূলত মুসলিম বিদ্বেষি বা নওমুসলিমদের ইসলামের ছায়া তলে ফিরে আসার উপর আবর্তিত হয়েছে। ইসলাম যে শান্তির ধর্ম এবং সকল ধর্ম থেকে শ্রেষ্ঠ ধর্ম এই বইয়ের মধ্যে নবমুসলিম ভাইদের জীবন কাহিনীতে সুষ্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে। আবু আমেনা বিলাল ফিলিপস, ইউসুফ এস্টেস সহ আরো অনেকে এখন ইসলামের ছায়াতলে এসে ইসলাম নিয়ে গবেষণা করে ইসলামের বাণী সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দিচ্ছেন৷ আলহামদুলিল্লাহ! বইটি খুব সুন্দরভাবে পাঠকদের সামনে উপস্থাপন করার জন্য পাঠকদ্বয়কে ধন্যবাদ। আশা করি এই বইটি পড়ার মাধ্যমে অনেক নাস্তিক ও নওমুসলিম ভাই উপকৃত হবেন এবং ইসলাম যে শান্তির ও সত্যের ধর্ম সেটা বুঝতে পারবেন।
Was this review helpful to you?
or
সবকিছু থাকতেও জীবনে কেনো যেন প্রশান্তি নেই! কেন নেই, অপূর্ণতা ঠিক কোথায়? এমন কিছু মানুষের অপূর্ণতাগুলো কোথায় এসে পূর্ণতা লাভ করেছে সেগুলো নিয়েই বই - "দ্যা রিভার্টস" সত্যিই অসাধারণ একটি বই। বইটির প্রতিটি গল্পই মর্মস্পর্শী, অন্ধকার থেকে আলোর পথে আসার জীবন কাহিনী নিয়ে সাজানো।
Was this review helpful to you?
or
অসাধার বই এমন গল্প নিয়ে বইটির সিরিজের অপেক্ষায় থাকলাম
Was this review helpful to you?
or
রিভাইভ ইয়োর হার্ট " বইটি অসাধারন মনস্তাত্বিক তৃপ্তিতে ভরপুর।এখানে কিভাবে চিন্তা করতে হয়,কি করে মহান রবের কাছে চাইতে হয় কিভাবে আধ্যাত্নিক সম্পর্ক স্থাপন করতে হয় তার এক অনবদ্য যুক্তি যুক্ত আলোচনা ফুটে উঠেছে।
Was this review helpful to you?
or
চরম ইসলাম বিদ্বেষী মানুষগুলো যদি ফিরে আসে ইসলাম ধর্মে, একজন মুসলিম হয়ে আপনার অনুভূতি কেমন হবে?? যারা ইসলাম এবং মুসলিম সম্পর্কে কুৎসিত ধারনা পোষন করতো। মুসলিম মানেই যারা বুঝতো সন্ত্রাসী, ইসলাম মানেই সন্ত্রাস বাদ। তারাই যখন আলোর মিছিলে শামিল!! বইটা মূলত ফিরে আসার গল্প নিয়ে। পৃথিবী বিখ্যাত ১৩ জন মহামানবের ফিরে আসার গল্প লেখা হয়েছে বইটিতে। যে ঘঠনাগুলো পাবেন:- আফগান যুদ্ধ কাভার করতে এসে তালেবানদের হাতে ধরা পড়লেন এক নারী সাংবাদিক। অন্যদিকে, ফিলিস্তিনের গাজায় এসে আটকে গেলেন এক ব্রিটিশ তরুণী। তারপর কী হলো তাদের? একজন খ্রিস্টান পাদ্রী, একজন ধার্মিক বৌদ্ধ, অনুশাসন মানা একজন হিন্দু যুবক আর মামার আমন্ত্রনে ফিলিস্তিনে ঘুরতে আসা পোলান্ডের এক ইহুদী তরুণ। চার ধর্মের চারজন। কেমন করে পাল্টে গেলেন সবাই? বাবরি মসজিদ নিজ হাতে ভেঙেছেন বলবির সিং। এক সময়ে যা নিয়ে অনেক গর্ববোধ করতেন। কিন্তু তার মনে কীসের এত ব্যথা আজ? বাবরি মসজিদ ভেঙে দেওয়া হাত আজ কেন মসজিদ গড়ার কাজে ব্যস্ত? লন্ডনের বুকে বেড়ে ওঠা তিন যুবক। টাকা-পয়সা, অর্থ-বিত্ত, খ্যাতির কোন অভাব নেই। তবুও শান্তি নেই মনে। শান্তির আশায় কত কী করে গেলেন! পেয়েছিলেন কী? আধুনিক আমেরিকার দুজন মানুষ। একজন অবিশ্বাসী নাস্তিক। অন্যজন সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবের স্বপ্নে বিভোর। দুজনের জীবনে নাটকীয় পরিবর্তন এল। কিন্তু কী করে? MTV চ্যানেলের বিশ্ববিখ্যাত এক উপস্থাপিকা। পুরো ইউরোপের ঘরে ঘরে পরিচিত মুখ। একদিন দেখা হলো, পাকিস্তানের বিশ্বকাপ জয়ী ক্রিকেটার ইমরান খানের সাথে। তারপর? তারপর এক অদ্ভুত পরিবর্তন তাদের মধ্যে। চিন্তা দর্শন ও বাস্তব জীবনে পরিবর্তন আসতে পারে আপনার ও। বইটিকে এত চমৎকার করে সাজানো হয়েছে যে, প্রতিটি গল্প পড়েই মনে হচ্ছে প্রধান চরিত্র যেন আমার সামনে দাঁড়িয়ে গল্প বলছে। আমি তার নির্বাক শ্রোতা। একমিনিটের জন্যও মনে হয়নি এটি একটি অনুবাদ। নির্ভুল বানান, বাইন্ডিং, কাগজের মান সব কিছুই প্রশংসার দাবী রাখে। বইটিতে সব থেকে সুন্দর লেগেছে কমিউনিজমের হাত ধরে ড. আবু আমিনা বিল্লাল ফিলিপ্সের গল্পটি এবং ক্রিস্টিন বেকারের MTV থেকে মক্কা। প্রচন্ড ইসলাম বিদ্বেষী নারীবাদী বৃটিশ সাংবাদিক ইভন রিডলির ঘটনাও অবাক করে দিয়েছিল আমায়। ফিরে আসার গল্পে কেউ নাস্তিক, কেউ হিন্দু, বৌদ্ধ কেউ বা খৃষ্টান। কেউ ই রাতারাতি ইসলাম গ্রহন করেনি। অনেক পড়ালেখা, অনেক গবেষনা, দীর্ঘ সময় রিসার্চের পরেই তারা মুসলিম হয়েছেন। বইটি পড়ে আপনি বলতে বাধ্য হবেন ইসলামই একমাত্র সত্য এবং ত্রুটিমুক্ত ধর্ম। বইটি পড়ে নিজেকে অনেক গর্বিত, ধন্য মনে হয়েছে, একমাত্র সত্য ধর্মের ফিতরাত নিয়ে জন্ম গ্রহন করেছি। আল্লাহর কত বড় অনুগ্রহ!! শুকরিয়া প্রভু। কিন্তু আফসোস! আমরা মুসলিম হয়েও ইসলাম পালনে বেখেয়ালি। অথচ পৃথিবী বিখ্যাত তারকা রা সত্য খুঁজতে গিয়ে ইসলামে প্রবেশ করেছেন।। বইটি চিন্তা, দর্শন, এবং ভাবনার পরিবর্তন ঘটাতে সক্ষম। অসাধারণ একটি বই।
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ একটা বই৷ বিখ্যাত তেরোজন অমুসলিমের ইসলাম গ্রহণের কাহিনী তুলে ধরেছেন লেখক বইটিতে৷ বইটি পড়লে মনে হয় যার কাহিনী বর্ণনা করা হচ্ছে স্বয়ং সে এসেই হয়তো কাহিনী শোনাচ্ছে৷ লেখক ও লেখিকার বর্ণনাভঙ্গী অন্ত্যান্ত চমকপ্রদ৷ যারা ইসলাম ও বিভিন্ন ধর্ম সম্পর্কে জানতে আগ্রহী তারা অবশ্যই বইটি পড়ুন৷ তেরোজনের প্রতিজনই স্বীয় ধর্ম আর ইসলাম ধর্মের উভয়ের মাঝে ইসলাম ধর্মকে কীভাবে শ্রেষ্ঠ মনে করে তারা ইসলাম গ্রহণ করেছেন বিষদভাবে সেসব বর্ণনা করেছে৷ লেখক ও লেখিকার কাছে আহ্বান এমন বই আরো চাই৷
Was this review helpful to you?
or
বইটি পড়ার ইচ্ছা আছে
Was this review helpful to you?
or
#দ্যা রিভার্টস, ফিরে আসার গল্প। অনুবাদ : শামসুর রহমান ওমর, কানিজ শারমিন। দাম:৩৫০,পৃষ্ঠা:২৪০ এটি মূলত নওমুসলিমদের মুসলিম হওয়ার সত্য কাহিনী নিয়ে রচিত একটি বই।অনুবাদের মান ও ভাল। অনেক কিছু জানতে পারবেন এবং শিখতে ও পারবেন। আফগান যুদ্ধ কাভার করতে এসে তালেবানদের হাতে ধরা পড়লেন এক নারী সাংবাদিক। অন্যদিকে, ফিলিস্তিনের গাজায় এসে আটকে গেলেন এক ব্রিটিশ তরুণী। তারপর কী হলাে তাদের? আধুনিক আমেরিকার দুজন মানুষ। একজন অবিশ্বাসী নাস্তিক। অন্যজন সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবের স্বপ্নে বিভাের। দুজনের জীবনে নাটকীয় পরিবর্তন এল। কিন্তু কী করে? MTVচ্যানেলের বিশ্বখ্যাত এক উপস্থাপিকা। পুরাে ইউরােপের ঘরে ঘরে পরিচিত মুখ। একদিন দেখা হলাে পাকিস্তানের বিশ্বকাপ জয়ী ক্রিকেটার ইমরান খানের সাথে। তারপর? জানতে হলে পড়ুন দ্যা রিভার্টস:ফিরে আসার গল্প’। চিন্তা, দর্শন ও জীবন পরিবর্তনের মােট ১৩ টি ঘটনা নিয়ে সাজানাে এই বই।
Was this review helpful to you?
or
It’s an inspiring book, who want to find out "meaning of life"
Was this review helpful to you?
or
সাধারণত কোনো ট্রাভেলের সময়ে বই পড়া বা কোনো ডকুমেন্টসে সময় কাটানোই আমার প্রধান কাজ থাকে। স্ত্রীকে নিয়ে বাসায় ফিরছিলাম।হাতে যে বইটি দেখতে পাচ্ছেন,সেটা পবিত্র দ্বীনে ফিরে আসা নিয়ে লেখা এতো সুন্দর বই,আমি এটাকে বাংলাদেশে এ পর্যন্ত লিখিত অন্যান্য শ্রেষ্ঠ বলব। এ বইটি আমার ব্যাক্তি জীবনে দারুন ইমপ্যাক্ট ফেলে।ইভেন,আমার হিন্দু বন্ধুটিও এ বইয়ের দাওয়াতেই কুরআনের অনুবাদ পড়ছে। বিভিন্ন সময়ে যখন দ্বীনের অনুধাবনমূলক কাজে অলসতা আঘাত দিতে চায়,আমার স্ত্রী আমাকে বই থেকে দু চার লাইন শোনায়,আমি অজান্তেই কান্না করে দেই।আমার স্ত্রীর ক্ষেত্রেও একই কাজ করে। আমাকে মহান রব একজন দ্বীনের সহযোগী দান করেছেন,আলহামদুলিল্লাহ। সাথে আমি এটাও শুকরিয়া করি,আমাদের ভালোবাসার ছায়ায় এ বইটিকেও দান করেছেন। বইটি যেন আমাদের জন্যই লেখা।ভীষণ আবেগী হয়ে যাই বইটি দেখলেই। আমি শত বসন্তে বইটির সাফল্য কামনা করি। কেনই করব না বলুন,আমি এ পর্যন্ত আল্লাহর কাছে যা চাইছি,আল্লাহ আমাকে প্রত্যেক জিনিস দিয়েছেন।ইভেন,আমার এপেন্ডিসাইটিস থেকে পর্যন্ত অপারেশন ব্যাতিত পরিপূর্ণ নিরাময় দান করেছেন দুই রাকাত নামাজের সাহায্যে।আর সেই দুই রাকাত নামাজের জন্যই আমাকে দান করেছেন স্ত্রী। আমার বিয়ের গল্প শুনলে অনেক যুবক ভাই বিবাহের জন্য যখন দুই রাকাত নামাজ পড়বে মনস্থির করে,তেমনই এ বইটিও পড়ার পর পবিত্র দ্বীন নিয়ে ভাবে।আমি আবেগী হব না?
Was this review helpful to you?
or
MasaAllah. It's an unique book.One of my friends borrowed it from me.After finishing the books, he said, ❝If you do even a good work in your life you do it by buying this(The Revert's:firey asar golpo) book?? and buying the book "A Letter to Atheist" Alhamdulillah, really,both of them are masterpiece.❞
Was this review helpful to you?
or
লরেন বুথ পেশায় একজন ব্রিটিশ সাংবাদিক, জন্ম ১৯৬৭ সালে।তিনি ছিলেন সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ারের স্ত্রী শেরি ব্লেয়ারের সৎ বোন।এই চরম ইসলাম বিদ্বেষী লরেন বুথ পেশাগত কারনে২০০৫ সালে ফিলিস্তিন নির্বাচনী সংবাদ সরেজমিনে কভার করতে গিয়েছিলেন ফিলিস্তিনে। এর পর থেকে ইসলামের এমন কোন সৌন্দর্য তাকে তাড়া করে যাচ্ছে ইসলাম গ্রহনের জন্য। সারাজীবন ইসলাম সম্পর্কে না কটুবাক্য শুনে শুনে মুসলিমদেরকে সন্ত্রাসী হিসেবে জানা এই লরেন বুথের জীবনে নেমে আসে নাটকীয়ভাবে এক বৈপ্লবিক পরিবর্তন।ব্রিটেন থেকে তেল আবিব এয়ারপোর্টে নেমে রামাল্লার দিকে টেক্সিযোগে রওয়ানা হলেন যেতে যেতে টেক্সি ড্রাইভার থেকে শুনলেন ফিলিস্তিনিদের উপর ইজরাইলি বাহিনির ৬৩ বছরের অত্যাচার, নির্যাতন, আর নিষ্ঠুরতার করুন কাহিনি।তিনি দেখেছেন ফিলিস্তিনের মানুষেরা এত দুঃখ কষ্ট আর নির্যাতন সহ্য করেও তাদের চোখে মুখে কোন আতংকের চাপ নেই,সবাই হাসি খুশি স্বাভাবিক ভাবেই জীবনযাপন।এই হাসি তৃপ্তিবোধ তাকে দারুন ভাবে অবাক করেছে।সেখানকার মানুষদের মুখে কথায় কথায় একটি শব্দ শুনতেন 'আলহামদুলিল্লাহ' তিনি জানতেন না এই শব্দের অর্থ কি। তিনি ভাবতেন তারা স্রস্টাকে ধন্যবাদ জানাতেন।তিনি তার অন্তর্নিহিত শক্তিকে উপলব্ধি করতে পারেনি তখনো,বুঝতে পারেনি এই একটি শব্দ কি করে আল্লাহর সাথে তার বান্দার সুদৃঢ় সম্পর্ক তৈরি করে।একজন অমুসলিমের ইসলামকে বুঝার জন্য প্রথমে প্রয়োজন 'দাওয়াহ্', দাওয়াহ্ হচ্ছে অনেক তথ্যের সরবরাহ,তিনি তা খুজার চেষ্টা করেন নি, কিন্তু কোন না কোন ভাবে কারো মাধ্যমে তার কাছে দাওয়াহ আসতে লাগলো। এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন ভুমিকা পালন করেছেন সোমালিয়ান টেক্সি ড্রাইভাররা।উত্তর লন্ডনের পথে পথে অধিকাংশ টেক্সি ড্রাইভার ছিলেন সোমালিয়ান।তারা ছিলেন ইসলামের নিরব যোদ্ধা।যখনই কোন যাত্রী তাদের টেক্সিতে উঠতেন তখন তারা সুযোগ বুঝে কোরআন কিংবা হাদিসের বানী শেয়ার করতেন।এতে অনেক যাত্রী ইসলাম সম্পর্কে আগ্রহী হয়ে উঠেন।ফিলিস্তিনে গিয়ে সর্বপ্রথম এক অপরিচিত মুসলিম নারীর সাথে তার সাক্ষাৎ হলে মুসলিম নারীটি তাকে হাত ধরে টেনে তার বাড়িতে নিয়ে গিয়ে তার গায়ে একটি কোট পরিয়ে দিলেন, এবং ব্যাগে কিছু জামা কাপড় দিয়ে তার ফোন নাম্বার লিখে দিয়েছিলেন,এবং সালাম দিয়ে তাকে বিদায় জানালেন,একজন অপরিচিত মানুষের প্রতি একজন মুসলিম নারীর এমন নিবিড় আন্তরিকতা তার হৃদয়ে দারুন ভাবে নাড়া দিয়েছিলো,সেদিন মুসলিমদের সম্পর্কে তার এতদিনকার লালিত চিন্তা -চেতনা বেশ স্বজোরে ধাক্কা খেয়েছিলো। যখনই তিনি সোমালিয়ান ভাইদের টেক্সিতে উঠতেন তখন আসসালামু আলাইকুম বলে সালাম দিতেন, তিনি তা শিখেছেন ফিলিস্তিন গিয়ে, এভাবেই তারা কোরআন হাদিসের বিভিন্ন বানি শেয়ার করতেন,ততদিন আলাপ চারিতার ফাকে ফাকে তার মনটা ইসলামের প্রতি সহানুভূতিশীল হয়ে উঠে, একদিন জেরুজালেমের একজন তরুন তাকে একটি কোরআন উপহার দিয়ে বলছিলো, ম্যাডাম, এটা ফিলিস্তিনিদের পক্ষ থেকে আপনার জন্য উপহার। আমাদের কখনো ভুলে যাবেন না, তিনি বাসায় ফিরে কুরাআন পড়ার চেষ্টা করছিলেন,প্রথমে সূরা ফাতিহার তেমন কিছু বুঝেন নি,এর পর আরো কয়েক পৃষ্ঠা পড়ার চেষ্টা করছিলেন, তার কাছে মনে হচ্ছিলো অতি কর্তৃত্বশালী কেউ একজন গম্ভীর কন্ঠে আদেশ করেছেন,পরকালের কঠোর ভয় দেখাচ্ছেন,মনে মনে কিছুটা নার্ভাস অনুভব করে তিনি কোরআনের কপিটি তিনি স্বযন্তে সেলফে রেখে দেন,ইসলাম কবুলের আগে তা আর খুলেন নি। ২০০৮ সালের একটি ইমেল তার জিবনের গতি পথ পাল্টে দেয়,ইমেলে দুটি কথা ছিলো,১.আপনি কি সাগর পথে গাজা যেতে চান? ২.আপনি কি গাজার পথে সাগর পাড়ি দিতে এই নম্বরে ফোনকরবেন? ইমেলে একাধিক ফোন নম্বর ছিলো। গাজার নারী পুরুষ বৃদ্ধ,শিশুদের জন্য প্রয়োজনীয় ঔষুধ এবং খাদ্য সামগ্রী নিয়ে আমেরিকার কিছু মানবতাবাদী সংগঠন আমারিকা সাইপ্রাস থেকে জাহাজে করে যাত্রা করে গাজায় গিয়ে নোঙ্গর করবে,সফর ছিলো তিনদিনের। এই সফরের উদ্দেশ্য ছিলো গাজার মানুষদের পাশে দাড়ানো আর সমসাময়িক এই নিষ্ঠুর অবোরোধের প্রতিবাদ জানানো। সেসময়ে ইজরাইল ও মিসর একযোগে গাজাকে অবোরোধ করে রাখে।কিন্তুু,তার কি হয়েছিলো সেদিন? কেনো তিনি যথারিতি ৩য় দিন ত্রানবাহী জাহাজের সাথে গাজা থেকে ফিরতে পারলেন না?তিনি গাজার তীরে দাড়িয়ে ত্রানবাহীজাহাজকে বিদায় জানালেন,তিনি রয়ে গেলেন গাজার ভুখন্ডে, সে সময়ে গাজা থেকে নৌপথ ছাড়া আর অন্যকোন পথদিয়ে বের হওয়ার উপায় ছিলোনা। তার কাছে আজ এর কোন ব্যাখ্যা নেই,কেনো তিনি কি বুঝে সেদিন জিবনের ঝুকি নিয়ে গাজায় রয়ে গিয়েছিলেন,সম্ভবত তাকে হিদায়াতের আলোর পথে নিয়ে আসার জন্য এটা ছিলো আল্লাহ তায়ালারই সুমহান পরিকল্পনারই অংশ। সেইবার তাকে ত্রিশ দিন থাকতে হয় ফিলিস্তিনে,তিন দিনের জন্য এসে ত্রিশ দিন, সেময়টা ছিলো রমজান মাস,গাজার মুসলমাদের তখন দারুন দুঃসময়,ঠিক এমন সময় তাদের থেকে তিনি এমন কিছু শিখেছিলেন,যা অনুভব করেছিলেন,তিনি তার অন্তরদিয়ে উপলব্ধি করেছিলেন তাদের বলা 'আলহামদুলিল্লাহ'এর শক্তি কতখানি। একদিন তিনি 'রাফার' আশ্রয় শিবিরে যান,একটি পরিবারের সাথে সাক্ষাৎ করেন,তখন ইফতারের সময় হয়ে এসেছিলো,পরিবারের মুসলিম নারীটি তাকে আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহু বলে অভিবাদন জানালেন,তার শান্ত চেহারায় পরম প্রশান্তি খেলা করছিলো, চারদিকে দারিদ্রতার স্পস্ট ছাপে থাকা সত্তেও একজন মুসলিম নারীর মুখ এতখানি প্রশান্তি মাখা হয় কি করে,সেটা ছিলো তার জন্য বিরাট রহস্য। কিছুটা ক্ষোভের সাথে লরেন বুথ মুসলিম মহিলাটিকে বললেন;কি বুঝে আপনারা রোজা রাখছেন,আপনাদের রব আপনাদেরকে এ অবস্হায় ফেলেছেন,আজ আপনাদের পর্যাপ্ত খবার,পানি কিছুই নেই,বলতে গেলে প্রায় অভুক্ত থাকতে হচ্ছে এ অবস্হায় আলাদা করে রোজা রাখার মানে কি? ফিলিস্তিনি মহিলাটি তার দিকে তাকিয়ে বললেন;আমরা রমজানের রোজা এ কারনে রাখি যাতে দরিদ্র মানুষের কস্ট বুঝতে পারি। এ সময় তার সমস্ত চেহারা নুরের আভায় ঝকমক করছিলো,লরেন বুথের বুকের ভেতরটা হু হু করে উঠলো,আর ভাবলেন তিনি নিজে এত দরিদ্র, এত অভাবী,অথচ তিনি কিনা অন্যের কস্ট বুঝার চেস্টা করছেন,তার দুঃখ কস্ট নিয়ে কোন আপসুস নেই বরং সার্বিক অবস্থায় আল্লাহর নিকট কৃতজ্ঞ। অজানা এক আবেগে লরেন বুথের হৃদয়টি ধুমড়ে মুচড়ে যাচ্ছিলো,আর ভাবছে এই যদি হয় ইসলামের শিক্ষা, এই যদি হয় ইসলামের সৌন্দর্য্য, তবে কারো জিবনে এর চেয়ে উত্তম কিছু আর কি হতে পারে?? ঠিক দুবছর পর এমনি এক রমজান মাসে একটি মসজিদে গিয়ে উপস্থিত সাক্ষীদের সামনে বিপ্লবী ঘোষনা শাহদাহ উচ্চারন করার মাধ্যমে মহান রবের নিকট নিজেকে পূর্ণ আত্নসমর্পন করেন। আর এভাবেই লরেন বুথের জিবনে তৈরি হয় একটি ফিরে আসার গল্প। (আলহামদুলিল্লাহ) পাঠ প্রতিক্রিয়া : মানুষ প্রকৃতপক্ষে কোন বিষয় না জানার কারণে ভূলের মধ্যে থেকে যায়।যখন সে কোন বিষয় জানতে চেষ্টা করে তখন সে সঠিকটাই জানতে পারে।বইটি বর্ণনাত্বক কাহিনী তেমনি বিশ্ববিখ্যাত ব্যক্তিরা প্রকৃত স্রষ্টার পরিচয় নাজেনে মিথ্যার বেড়াজালে ছিলো, কিন্তু ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র শব্দ,'আলহামদুলিল্লাহ', 'সালাম', 'ইনশাআল্লাহ'... এসব শব্দেরমূল অর্থ খুজতে গিয়ে তারা প্রকৃত স্রষ্টার পরিচয় জেনেফিরে এসেছে আলোর পথে। বইটি এত চমৎকার করে অনুবাদ করেছে মনে হয়নি এটি অনুবাদ বই। বইয়ের শিক্ষা: ০১.তাৎক্ষণিক কোন সিদ্ধান্ত না নিয়ে প্রকৃত রহস্য উদঘাটন করে সিদ্ধান্ত নেওয়া। ০২.সত্যর পথে অবিচল থাকা। ০৩.সত্য প্রকাশে সর্বদা বিচরণ থাকা। ০৪.জাতি, ধর্ম,বর্ণ নির্বিশেষে সকলের প্রতি সহমর্মিতা প্রদর্শন করা। বই সম্পর্কিত তথ্য ? বইয়ের নাম: দ্যা রিভার্টস (ফিরে আসার গল্প) রুপান্তর: সামছুর রহমান ওমর ও কানিজ শারমিন। প্রকাশকাল:ফেব্রুয়ারি ২০১৮ প্রকাশনীর নাম: গার্ডিয়ান পাবলিকেশন। মূল্য: ৩২৮ টাকা (মুদ্রিত) পৃষ্ঠা :২৪০ লেখক পরিচিত : সামছুর রহমান ওমর ও কানিজ শারমিন একে অপরের স্বামী -স্ত্রী।বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগ থেকে পড়াশুনা করেছেন। পাশাপাশি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টে কর্মরত আছেন।
Was this review helpful to you?
or
এক বিকেলে আমার ছোট্ট বন্ধু নাফিসা - নাবিলাদের বাসায় গিয়েছি টুকটাক গল্প করার জন্য। আমরা তিনজন বসে আছি - আকাশ পাতাল গল্প করছি আর খেজুর-বাদাম চিবুচ্ছি। এমন সময় ওদের খাটের পাশে পাটপাট করে গুছিয়ে রাখা বইগুলোর দিকে চোঁখ চলে গেল। তো নিজের স্বভাব মতই প্রতিটি বইয়ের নাম দেখে মনে মনে মিলিয়ে নিচ্ছিলাম যে এর মধ্যে কোন কোন বই আমি পড়েছি আর কোন মানিক রতনটি এখনও আমার পড়া বাকি আছে । ঠিক তখনই এক কর্নারে বসে উঁকিঝুঁকি দেয়া 'দ্যা রিভার্টস' বইটি আমার চোখে ধরা পড়ে গেলো! সেদিনই অনুমতি নিয়ে বইটি বাসায় নিয়ে আসলাম। পরের দেড় দিনের মধ্যেই গপাগপ বইটি পড়ে শেষ করে ফেললাম এবং বইটির বিরাট ভক্ত বনে গেলাম! বইটিকে অল্প শব্দে 'অন্ধকার গুহায় আলোর মশাল খুঁজে পাওয়ার গল্প'ও বলা যেতে পারে। পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তের ১৩ জন মানুষের জীবনের গল্প আছে এতে, যারা সবাই ছিলেন বেশ প্রতিষ্ঠিত। উনাদের কেউ হয়তো সাংবাদিকতার কাজ করতেন, কেউ বা ছিলেন বিশ্ব বিখ্যাত মডেল আবার কেউ এসেছেন সম্ভ্রান্ত কৃষক পরিবার থেকে। জীবনে আনন্দ উপভোগের যাবতীয় রসদ উপস্থিত থাকার পরও একটা সময় তারা তাদের চাকচিক্যময় জীবনের প্রতি মোহ হারিয়ে ফেলেন। হৃদয়ের একদম গভীরে কিছু একটার যেন শূণ্যতা বোধ করেন। তাদের মানুষিক প্রশান্তি কোথায় যেন উড়ে যায়। এভাবে বেশ খানিকটা অস্থির সময় কেটে যায়। অনেক চড়াই উৎরাই পাড়ি দিয়ে এক সময় উনারা আলোর সন্ধান পান - দ্বীন ইসলামের সন্ধান পান এবং হেদায়াত প্রাপ্ত হন। তারা কেউ নিজ থেকে ইসলাম নিয়ে পড়াশোনা করেছেন আবার কেউ হয়তো কোন মুসলিম বন্ধুর কাছ থেকে দাওয়াত পেয়েছেন, তারপর জানার চেষ্টা করেছেন। মাধ্যম যাই হোক না কেন, ঘোরতর অন্ধকার রাতে আলোর খোঁজ পাওয়া কিন্তু যথেষ্ঠ কঠিন ছিলো। পরিবার আর সমাজের বাঁধায় কিংবা নফসের ধোঁকায় বারবার পিছু হটতে হয়েছিলো তাদের। কিন্তু শেষমেশ অসীম দয়ালুর ইচ্ছায় ঠিকই ইসলামের ছায়ায় ঠাঁই পেয়েছেন। এইতো গেলো মূল ভাব। এবার বলি কাদেরকে নিয়ে বইটি লেখা হয়েছে। জেনে অবাক হবেন যে উনারা আমাদের অতি পরিচিত আব্দুর রহিম গ্রিন, ড. আবু আমিনাহ বিলাল ফিলিপস, ক্রিস্টিন বেকার সহ আরো অনেক জগৎখ্যাত মানুষ। আমরা অনেকেই ওনাদের চিনি, জানি এবং ভালোবাসি। বইটি পড়লে এই সোনার মানুষগুলোর প্রতি আমাদের ভালোবাসা কয়েকগুণ বেড়ে যাবে। সাথে সাথে দ্বীন পালনের ক্ষেত্রে আমাদের নিজেদের অবস্থানটাও আমরা যাচাই করতে পারবো। আরো অনুধাবন করতে পারবো যে কতটা বন্ধুর পথ পায়ে হাঁটলে হেদায়েতের স্বাদ পাওয়া যায়। পরিশেষে এতটুকুই বলতে পারি যে, 'দ্যা রিভার্টস' একটি অনন্য সাধারণ বই।নিজে পড়ে বন্ধুদের পড়তে দেয়ার মত বই। রঙিন কাগজে মুড়িয়ে প্রিয়জনকে উপহার দেয়ার মত বই।
Was this review helpful to you?
or
বই: দ্যা রিভার্টস - ফিরে আসার গল্প। রূপান্তর : সামছুর রহমান ওমর এবং কানিজ শারমিন। ইবলিশ আল্লাহকে চ্যালেঞ্জ করেছিল, সে আদম সন্তানকে পথভ্রষ্ট করবে৷ সে তার মিশনে সদা তৎপর। বর্তমানে বিশ্বের অবস্থা আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয় ইবলিশের সফলতা। এসব কিছুর মধ্যেও ইসলামই একমাত্র সত্য। সত্য -শান্তির খোঁজ পেয়ে ইসলামের আলোয় আশ্রয় নিয়েছে, এমন অসংখ্য অমুসলিম রয়েছে। ভিন্ন ধর্ম বিশ্বাস/নাস্তিকতা থেকে ইসলামে ফিরে আসার কিছু কাহিনীই মূলত বইটিতে বর্ণনা করা হয়েছে। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে: ইভন রিডলি: বৃটিশ সাংবাদিক। টুইনটাওয়ারের হামলাকে কেন্দ্র করে সংবাদ সংগ্রহ করতে ছদ্মবেশে আফগানিস্তানে যেয়ে ধরা পড়ে তালেবানদের হাতে। এ ব্যাপারে তার লিখিত একটা বই আছে " ইন দ্য হ্যান্ড অব তালেবান "। আপনারা হয়তো পড়ে থাকবেন। তালেবানদের হাত থেকে ছাড়া পাওয়ার বেশ কিছু সময় পড় তিনি ইসলাম গ্রহণ করেন। ইউসুফ এস্টেস: পারিবারিক ভাবেই খ্রীস্টান চার্চের ধর্মযাজক। মিশরের এক লোকের সংস্পর্শে আসার পর বাইবেল আর কুরআনের ব্যাপারে তিনি ভাবেন। খ্রীষ্টধর্মের ত্রিতত্ত্ববাদ আর বাইবেলের একাধিক সংস্করণের ব্যাপার তার মাঝে উদ্বেগ সৃষ্টি করে। তারপর একসময় ইসলাম গ্রহণ করেন। মুহাম্মদ আমীর:বলবীর সিং ওরফে মুহাম্মদ আমীর । ১৯৯২ সালের ৬ ই ডিসেম্বর, ভারতের বাবরি মসজিদের গম্বুজে প্রথম আঘাত হানা ব্যাক্তি। অনুতপ্ত হয়ে পরবর্তীতে মুসলিম হয় আর প্রতিজ্ঞা করে ১০০ মসজিদ নির্মাণ ও ১০০ মসজিদ সংস্কার করার। ড. বিলাল ফিলিপস : অনলাইনে আমাদের সবার পরিচিত নাম, পরিচিত মুখ। কাতার ভিত্তিক " ইসলামিক অনলাইন ইউনিভার্সিটি (IOU)-এর প্রতিষ্ঠাতা। ইসলাম গ্রহনের পূর্বে রক গানে ভক্ত ছিলেন আর কমিউনিজমের আন্দোলনের সাথে যুক্ত ছিলেন। ইসলামি চিন্তা ধারার প্রভাবের ফলে পরবর্তীতে ইসলামে ফিরে আসে। বইটিতে এমন তেরো জনের ফিরে আসার গল্প রয়েছে৷ ভিন্ন ধর্ম বিশ্বাসী হয়েও তারা ইসলামের সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়েছে, ইসলামের ছায়ায় আশ্রয় নিয়েছে। আর আমরা মুসলিম পরিবারে জন্ম নিয়েও কত বেশি ধোঁকায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়েছি। নিজেদের হতভাগা মনে হয়। মহান আল্লাহ আমাদের সরল পথে পরিচালিত করুক। আমরা যেনো ইসলাম/ কুরআনের আলোয় নিজেদের আলোকিত করতে পারি।
Was this review helpful to you?
or
অসাধারন একটি বই,সব গুলো গল্পই অনেক সুন্দর ।
Was this review helpful to you?
or
পৃথিবীর ১৩ জন বিখ্যাত মানুষ। তাঁরা কেউবা ছিলেন খ্রিস্টান কেউ ইহুদী আর কেউবা হিন্দু। তাঁরা ফিরে এসেছেন চিরশান্তির পথ ইসলামে। তাঁদের এই জার্নিটা মোটেও সহজ ছিল না। তাঁদের ইসলামে ফিরে আসার এই জার্নি নিয়ে প্রকাশিত হয়েছে ‘দ্যা রিভার্টস: ফিরে আসার গল্প’ বইটি। আফগান যুদ্ধ কাভার করতে এসে তালেবানদের হাতে ধরা পড়লেন এক নারী সাংবাদিক। অন্যদিকে, ফিলিস্তিনের গাজায় এসে আটকে গেলেন এক ব্রিটিশ তরুণী। তারপর কী হলো তাদের? একজন খ্রিস্টান পাদ্রী, একজন ধার্মিক বৌদ্ধ, অনুশাসন মানা একজন হিন্দু যুবক আর মামার আমন্ত্রনে ফিলিস্তিনে ঘুরতে আসা পোলান্ডের এক ইহুদী তরুণ। চার ধর্মের চারজন। কেমন করে পাল্টে গেলেন সবাই? বাবরি মসজিদ নিজ হাতে ভেঙেছেন বলবির সিং। এক সময়ে যা নিয়ে অনেক গর্ববোধ করতেন। কিন্তু তার মনে কীসের এত ব্যথা আজ? বাবরি মসজিদ ভেঙে দেওয়া হাত আজ কেন মসজিদ গড়ার কাজে ব্যস্ত? লন্ডনের বুকে বেড়ে ওঠা তিন যুবক। টাকা-পয়সা, অর্থ-বিত্ত, খ্যাতির কোন অভাব নেই। তবুও শান্তি নেই মনে। শান্তির আশায় কত কী করে গেলেন! পেয়েছিলেন কী? আধুনিক আমেরিকার দুজন মানুষ। একজন অবিশ্বাসী নাস্তিক। অন্যজন সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবের স্বপ্নে বিভোর। দুজনের জীবনে নাটকীয় পরিবর্তন এল। কিন্তু কী করে? --------- দ্যা রিভার্টসঃ ফিরে আসার গল্প (হার্ডকভার) লেখকঃ শামছুর রহমান ওমর , কানিজ শারমিন মুদ্রিত মূল্য : ৳ ৩৬৫
Was this review helpful to you?
or
#দ্যা রিভার্স : ফিরে আসার গল্প । বইটিতে আফগান যুদ্ধ কভার করতে এসে তালেবানদের হাতে ধরা পড়লেন এক নারী সাংবাদিক । অন্যদিকে ফিলিস্তিনে গাজায় এসে আটকে গেলেন এক ব্রিটিশ তরুণী । তারপর কী হলো তাদের ? একজন খ্রিষ্টান পাদ্রী, একজন ধার্মিক বৌদ্ধ, অনুশাসন মানা একজন হিন্দু যুবক , মামার আমন্ত্রনে ফিলিস্তিনে ঘুরতে আসা পোল্যান্ডের এক ইহুদী তরুন । তারা কিভাবে পাল্টে গেলেন ? বাবরি মসজিদ নিজ হাতে ভেঙ্গেছেন বরবির সিং । যা নিয়ে এক সময় তার গর্বের শেষ ছিল না । কিন্তু তার মনে আজ কিশের ব্যথা ? বাবরি সমজিদ ভেঙ্গে দেয়া হাথ আজে কেন মসজিদ গড়ার কাজে ব্যস্ত ? চিন্তা, দর্শন ও জিবন পরিবর্তনের এমনই মোট 13 টি গল্প নিয়ে সাজানো এই বই । আমরা যারা মুসলিম পরিবারে জন্ম নিয়েও ইসলামকে ভুলে গেছি, বা ভুলে যেতে চাই, তাদেরকে নতুন করে ভাবতে শেখাবে এ বই। যারা ইসলামের মতো মানিক হাতে পেয়েও মর্ম বোঝেন না, তাদেরকে নতুন করে রতন চেনাবে এ বই । বইটি পড়ে আমার অনেক ভালো লেগেছে ।
Was this review helpful to you?
or
#bookreviewguardian বই:দ্যা রিভার্টস, ফিরে আসার গল্প মুদ্রিত মূল্য: ৩৫০ টাকা কবিতা আকারে উপস্থাপন: দ্যা রিভার্টস বইটির নাম অনুবাদে ছিলেন শামছুর রহমান ওমর আর কানিজ শারমিন। বন্ধুর ব্যাগে এমন বই দেখে মূহুর্তেই নিয়ে নিলাম, উল্টিয়ে পেছনের লিখা পড়ে নিজেই চমকে উঠলাম। অন্তরে ঠুং ঠুং কড়া নাড়ানোর শব্দ আসে, ঐ কথাগুলোই উল্লেখিত যা মনে প্রতিনিয়ত ভাসে। কি এক নরম অনূভুতির ঢেউ বয়ে গেল মনে, আমি ও টিক ফিরে আসবো ফিরে আসা গল্পের টানে। ১৩ জন মানুষের ফিরে আসার গল্প এই বই এ আবদ্ধ, ভুল পথ ত্যাগ করে সন্ধান পেল ফিরে আসার পথ শুদ্ধ। ইভন রিডলির ঘটনা নিয়ে শুরু টুইন টাওয়ারের হামলা ছিল সাথে সংযুক্ত, বন্দি থেকে মুসলিম' গল্পে ফুটে উঠেছে ইসলাম যে সব ধর্ম থেকে বিভক্ত। জীবনের মানে খুঁজতে গিয়ে পেয়ে গেলো আলোর সন্ধান, নতুন ভাবে পথ চলা শুরু হলো সাথে নিয়ে ইসলামের বন্ধন। রহস্যময় কুরআন পড়তে গিয়ে খুঁজে পেলো মনের চাওয়া, নিতান্তই ভুল ছিল আনন্দ ফূর্তি আরাম আয়েশে মনের অভিলাষ খুঁজে পাওয়া। কমিউনিজমের হাত ধরে যাত্রা হলো শুরু, সত্যের পথে আর বাকি সময়টা থাকবে পুরো। MTV থেকে মক্কা পৌঁছানোর ঘটনা তো আছেই, সহস্র লড়ায়ের মধ্যে দিয়ে পৌঁছে গেছে সত্যের কাছেই। নিজ হাতে বাবরী মসজিদ ভাঙার সেই বীরবল সীং মসজিদ গড়ার কারিগর হয়ে গেলো, পরিশেষে সে ফিরে আসার পথ খুঁজে পেয়েছিল। রয়ে গেছি পাপের ভিড়ে অন্ধকারে আচ্ছন্ন ছাওনির মাঝে, কেউ বা খুঁজছি হন্য হয়ে জীবনের মানে। মূর্তি পূজা বাদ দিয়ে সত্য ধর্মে ফিরে আসা, মিউজিকের হারাম জগত ত্যাগ করা, সঠিক পথ খুঁজে পাওয়া, অতীতকে বিদায় জানিয়ে নতুন যাত্রা, আলোর পথে হাঁটা, এসবের নিদর্শন মিলে যাবে এই বইয়ের পাতায়, পড়ে দেখো শুরু হবে আলোর পথে ফিরে আসার চিন্তা তোমার ও মাথায়। ফিরে আসার পথ খুঁজে পাবে সবাই এই বইয়ের মধ্য দিয়েই, লেখক,অনুবাদক আর প্রকাশক আমার পক্ষ থেকে সবাইকে অনেক শুভেচ্ছা জানাই।।।
Was this review helpful to you?
or
আপনি যদি গুরুগম্ভীর গৎবাঁধা লিখা পড়তে বোরিং হোন কিংবা প্রযুক্তির সহজলভ্যতার এই যুগে বই পড়ার প্রতি নিচের ঠোঁট উল্টে তাকানো টাইপ উদাসীন মানুষ হোন...বিশ্বাস করুন আপনার জন্যই এই বই! পড়েই দেখুন...পুরো বই শেষ করার উত্তেজনা দমাতে পারবেন না! বইটা যখন হাতে নিয়ে উল্টেপাল্টে দেখছিলাম,তখন বইয়ের পিছনের কভারের এই লিখাটা চোখে পড়ল। "এই ধর্মবিবর্জিত আধুনিক সময়ে আঠারো-উনিশ বছরের তরুণ তরুণী আসলে কী চায়? কী তাদের সুখি করে? ঘুরে ফিরে আসবে দামি ল্যাপটপ,মোবাইল,নাটক-সিনেমা,গান,মাদক কিংবা একজন ভালোবাসার মানুষের কথা। কিন্তু বাস্তবেই কি এগুলো মানুষকে সুখি করতে পারে? তাই যদি হতো,তাহলে কেন আজ ঘরে ঘরে এত অশান্তি? কেন বাড়ছে আত্মহত্যা,হতাশা আর মাদকের ব্যবহার? কেন বাড়ছে খুন,হত্যা,ধর্ষণ? সত্যিকারার্থে মানুষের সুখ কোথায়? কোথায় পাওয়া যায় মনের গভীরের প্রশান্তি? আসলে মানুষের জীবনের উদ্দেশ্যই বা কী?" লিখাটা পড়তে গিয়ে আমার চোখের পলক একটিবারের জন্যও পড়েছিল কিনা জানিনা,তবে আমার মন স্থির হয়ে গিয়েছিলো! মনে হচ্ছিলো আমিও রবী ঠাকুরের মত বলে উঠি..."আমি পাইলাম,তাহাকে পাইলাম,কাহাকে পাইলাম। সে যে আমার সম্পত্তি নয়,সে যে আমার সম্পদ!" বিশ্বাস করুন, এই বইটাকেও তখন আমার সম্পদ মনে হচ্ছিল। আমার ছেলেমানুষি দিশেহারা মন বইটার কভার পেইজের মত অন্ধকারের আবেশে দিশেহারা ছিল। তখন আমিও যেন চারদিকের সেই ঘুটঘুটে অন্ধকারে আলো বিচ্ছুরিত কোন কোমল কক্ষের খোলা জানালার সন্ধান পেলাম! স্থির মনটা হঠাৎই চঞ্চল হয়ে উঠল প্রচন্ডভাবে, গ্রোগাসে বইটা গলাধঃকরণের জন্য..... ?আমার তখন মেজাজ সপ্তমে। প্রচন্ড রেগে গিয়ে কামিজ মাথা পর্যন্ত উঠিয়ে তাদের বললাম, 'এই দেখ! আমার কাছে কোনো অস্ত্র নেই। এত সার্চ করার কি হলো?' 'লা হাওলা ওলা কুওয়াতা....' মুহূর্তের মধ্যেই লোকগুলো সব উল্টো দিকে ফিরে দাঁত মুখ খিচে এমনভাবে দৌড় দিল,যেন ভূতে তাড়া করছে। পরে বুঝেছিলাম,আফগানিস্তানের কোনো মহিলার জন্য এমন আচরণ অত্যন্ত অশোভন। বোরখা পরা সে মহিলা আমার গালে থাপ্পড় মেরে বসল। আমার এমন অশালীন,অসভ্য আচরণ দেখে সে মহিলা দারুণভাবে ধাক্কা খেয়েছিল।.... (গল্পঃ বন্দি থেকে মুসলিম) ?আপনারা যারা পিস টিভি দেখেছেন তারা আমাকে চিনবেন। ঐ যে বিরাট জুব্বা গায়ে লম্বা দাড়িওয়ালা সাদা চামড়ার আমেরিকার। আমার দর্শকবৃন্দ বলে থাকে,আমি নাকি মজা করে কথা বলি। কী জানি!.... (গল্পঃ আমি ইউসুফ এস্টেস বলছি) ?একবার আমি কিবলামুখী হয়ে নামাযে দাঁড়িয়ে গেলাম। আমার গার্লফ্রেন্ড বিছানায় বসে বসে আমাকে দেখছিল। আমি নামায শেষে তার দিকে ফিরিতেই,সে তীক্ষ্ণ গলায় জানতে চাইল, 'এটা তুমি কি করলে?' 'আমি মুসলমান হয়েছি তো,তাই নামায পড়ছিলাম।' 'কী...কী...' সে চিৎকার দিয়ে উঠল 'তুমি...তুমি মুসলমান হয়েছ?' সে বিরামহীন চিৎকার করে গেল। সত্যি কথা বলতে; আমার এই কথা শুনে সে খুব বেশি হতাশ এবং আহত হয়েছিল। সেটা ছিল আমার জীবনের এক কঠিন সময়।.... (গল্পঃ জীবনের মানে খুজতে গিয়ে) ?আমার মেয়ের সাথে একদিন বাগানে হাটছিলাম। সে আমাকে জিজ্ঞাসা করল 'আচ্ছা বাবা! কুরআন পড়ে তোমার নাস্তিকতার পেছনের যুক্তিগুলোর উত্তর পেয়েছ,তা না হয় বুঝলাম। কিন্তু ঠিক কবে থেকে তুমি ঈশ্বরের উপর বিশ্বাস শুরু করলে?'..... (গল্পঃ রহস্যময় কুরআন) ?চোখ বন্ধ করলেই আজও সেই দিনটিকে পরিষ্কার দেখতে পাই। একটি সুউচ্চ মসজিদকে ঘিরে হাজার হাজার উত্তেজিত জনতা। এই আমি বসে আছি মসজিদের গম্বুজের উপর। আমার হাতে উদ্যত কুঠার। অপেক্ষা..কখন সে ঘোষণা আসে। একটু পরেই দূর থেকে স্লোগান ভেসে এল। আর আমি উদ্যত কুঠার সর্বশক্তি দিয়ে নামিয়ে আনলাম মসজিদের দেয়ালে। যেন ভেঙে খানখান না করা পর্যন্ত আমার হৃদয়ের তৃষা মিটবেনা। আকাশ-বাতাস কাঁপিয়ে তখন হর্ষধ্বনি চলছিল 'ভগবান রামের জয়!' (গল্পঃ মসজিদ ভাঙা হাত আজ মসজিদ গড়ার কারিগর) ?যখন আমি নামাযের নিয়ম জানলাম,তখন এতদিনে বুঝতে পারলাম, আমার সেই দত্তক ভাই আসলে একজন মুসলিম। সে সময় আমার একদিকে যেমন খুব আনন্দ হচ্ছিল,অন্যদিকে মনের ভেতর রাগও হচ্ছিল। সুলেমন ইসলাম সম্পর্কে সব জানত, বুঝত। কিন্তু একটিবারের জন্যও আমাকে কিছুই বলেনি।.... (গল্পঃ কমিউনিজমের হাত ধরে) ?মজার বিষয় হলো,আমি এক সুন্দরী প্রতিযোগিতায় জিতে গেলাম। পুরষ্কার হিসেবে পেলাম সানফ্রান্সিসকো আর মাওইতে ফাইভ স্টার হোটেল,প্লেন ভ্রমণ আর দুই দিনের জন্য সার্বক্ষনিক গাড়ি। আমি মনে মনে বেশ রোমাঞ্চ অনুভব করছিলাম। মা ব্যাপারটা একদমই পছন্দ করলেন না। তিনি ভাবছিলেন,এসবই পত্রিকাওয়ালাদের বাড়াবাড়ি.... ব্রিজিতের পার্টিতেই আমার ইমরান খানের সাথে পরিচয় হলো। যার সাথে সাক্ষাৎ আমার জীবনটাই বদলে দিয়েছিল। ইমরান দেখতে লম্বা,সুদর্শন। তবে প্রথম দেখায় তাকে কিছুটা বুড়ো বুড়ো মনে হচ্ছিল। আমাকে বলা হলো, ইনি পাকিস্তানের বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক....... (গল্পঃ MTV থেকে মক্কা) পড়ছিলাম এক একটা লোমহর্ষক কাহিনী। কখনো লোম দাড়িয়ে গেলেও কখনো আবার হেসে উঠেছিলাম তালেবানদের নারীর অন্তর্বাসের ভীতির কথা শুনে কিংবা লেখকের গল্পগুলোর প্রকাশভঙ্গির ধরণ দেখে। যখন এক একজন জগদ্বিখ্যাত এই সব নওমুসলিমের কাহিনী পড়ছিলাম, আমি তাদের জীবনীতে মিশে যাচ্ছিলাম কল্পনায় যেন। অনুভব করছিলাম প্রত্যেকটা হাসিকান্না বিপদ প্রেমপ্রীতি হতাশা নতুবা সত্যের জ্যোতিকে খুজে পাওয়া তাদের দীপ্ত প্রশন্ত অন্তরকে। আমি বারেবারে নিজের বিবেকের কাছে ধিক্কার পাচ্ছিলাম,অন্য ধর্ম থেকে এসেও তাদের আঁকড়ে ধরা ঈমানি জৌলুশ দেখে! আমার জন্মধর্মের প্রতি তাদের ভালোবাসা দেখে! হায় আফসোস! প্রশান্তির নিড় আমার এত কাছে! এই মানুষগুলার চোখের বিশুদ্ধ সমুদ্রজলের ধারা বুঝি আমার গুমোট ধরা অন্তরকেও হাল্কা করে দেয়ার সুযোগ করে দিয়ে গেল! ????? বহুবিধ লেখক সাংবাদিক এর নানান বই পত্রিকায় তুলে ধরা এই ১৩জন নওমুসলিমদের সাড়া জাগানো কাহিনী আমাদের কাছে "দ্যা রিভার্টস-ফিরে আসার গল্প" নামে রুপান্তর করে তুলে ধরেছেন দুইজন নব্য লেখক সামছুর রহমান ওমর এবং কানিজ শারমিন। তাদের সরল প্রাণবন্ত ভাবানুবাদ ও আবেগের স্পর্শে তরতাজা হয়ে উঠেছিলো যেন প্রত্যেকটা গল্প। অন্যদিকে অরুন তরুনের আত্মগঠনে উদ্ধুদ্ধ এইসব সাহিত্য সংস্কৃতির স্রোতস্বিনীর ধারক ও বাহক "গার্ডিয়ান পাবলিকেশন"। আল্লাহ তাদের সবাইকে দুনিয়া এবং আখিরাতে জাজাহ দিক। আয়েশা বিনতে মাহমুদ বুক রিভিউঃ দ্যা রিভার্টস,ফিরে আসার গল্প।
Was this review helpful to you?
or
আলহামদুলিল্লাহ!! অসাধারণ একটি বই। বইটিতে ফুটে উঠেছে ১৩ জন বিধর্মী ভাইয়ের ইসলামের ছায়াতলে ফিরে আসার বাস্তবিক সত্যি গল্প।। এরকম যুগে যুগে বহু বিধর্মী ভাইয়েরা ফিরে এসেছে ইসলামে...কারন এটিই যে কেবলমাএ সত্য ও ন্যায়ের ধর্ম। বর্তমানে বহু ভিন্ন ধর্মাবলী ভাই নিজের ধর্মের কূল না পেয়ে হাতড়ে বেড়াচ্ছে সত্যের ও ন্যায়ের চেরিফুল। তাদের জন্য বইটি হতে পারে উওম সংযোজন৷ আল্লাহ তায়ালা লেখকে উওম প্রতিদান দিক... আমিন।
Was this review helpful to you?
or
বইটিতে ইসলামের সৌন্দর্যের কিছু দিক উঠে এসেছে, তাদের লেখার মাধ্যমে যারা তাদের আগের জীবনে ইসলাম ধর্মের অনুসরণ করতেন না। তারা ছিলেন যাজক, বৌদ্ধ, বাবরি মসজিদ ভাঙ্গার কার্যে নেতৃত্বদেয়া শিবসেনা দলের গোড়া অনুসারি, পপস্টার, নাস্তিক প্রমুখ। সুতরাং ইসলাম এর কোন কোন দিক তাদেরকে অভিভূত করে ইসলামের পথে টেনে আনে তা এই বইতে তাদের জবানেই জানা হয়ে যায়। অনুবাদ সুন্দর ও প্রাণবন্ত এবং বর্ণনাভঙ্গি আকর্ষণীয়। সঠিক বিশ্বাস এর পথে নিজের বিশ্বাস কে পরিচালিত করার জন্য এই বইটি একটি সুন্দর ও মূল্যবান দলিল।
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ একটা বই।আমরা মুসলমান হয়ে ইসলামকে কীভাবে বুঝলাম আর আমুসিলমরা কীভাবে বুঝে ইসলামের ছায়াতলে আশ্রয় গ্রহন করে জানতে বইটি পড়ুন।আনেক আনেক ভালো একটা বই।
Was this review helpful to you?
or
দ্যা রিভার্টসঃ ফিরে আসার গল্প সামছুর রহমান ওমর (রূপান্তরকারী), কানিজ শারমিন (রূপান্তরকারী) গার্ডিয়ান পাবলিকেশন্স, ফেব্রুয়ারি ২০১৮ মূল্য: ৩৫০৳ পৃষ্ঠাসংখ্যা: ২৪০ ««« আ রিভার্ট অন দ্যা রিভার্টস »»» নিচের কোন শ্রেণির লোক ইসলামে ফিরে এলে সবচেয়ে বেশি অবাক হবেন? ইহুদি র্যাবাই? খ্রিষ্টান পাদ্রি? কমিউনিস্ট আন্দোলনের সক্রিয় নেতা? পপ স্টার? বাবরি মাসজিদের গম্বুজে আঘাত হানা প্রথম লোকটি? নাস্তিক? MTV’র ভিজে? তালেবান বন্দি? নাকি সুখ বলতে বর্তমান সমাজ যা বোঝায় তার সবকিছু পাওয়া একজন? অবাক হন, বা আদৌ অবাক না হন—ফিরে আসা অসংখ্য মুসলিমের মাঝে মাত্র ১৩ জন ফিরে আসা মুসলিমের জীবনের বাস্তব গল্প নিয়ে ‘দ্যা রিভার্টস’। পুরো বইটির অনুবাদ এত ভালো যে পড়ে একটি বারের জন্যও মনে হয়নি আমি কোনো অনুবাদ গ্রন্থ পড়ছি। মনে হচ্ছিল ‘সেবা প্রকাশনী’র কোনো রূপান্তর পড়ছি যেন। অনুবাদক দম্পত্তি অবশ্য একে রূপান্তরই বলেছেন। দীর্ঘদিন অনুবাদের সঙ্গে লেগে থাকার পর এ বইটি পড়ে মনে হয়েছে আমাকে তাদের কাছ থেকে নতুন করে অনুবাদ শিখতে হবে। আমরা যারা মুসলিম পরিবারে জন্ম নিয়েও ইসলামকে ভুলে গেছি, বা ভুলে যেতে চাই, তাদেরকে নতুন করে ভাবতে শেখাবে এ বই। যারা ইসলামের মতো মানিক হাতে পেয়েও মর্ম বোঝেন না, তাদেরকে নতুন করে রতন চেনাবে এ বই। প্রতিটি গল্পে পাঠক দেখবেন প্রত্যেকেই জীবনের কোনো না কোনো পর্যায়ে জীবনের উদ্দেশ্য খুঁজছেন। লাগাতার তালাশ করে যাচ্ছেন। বহু ঘাট ঘুরে অবশেষে ইসলামে এসে স্বস্তি খুঁজে পেয়েছেন। প্রত্যেকের ফিরে আসার ঘটনাটা অনেক দীর্ঘ সময়ের পরিক্রমা। একদিন দা‘ওয়াহ পেয়ে রাতারাতি কেউ মুসলিম হয়ে যাননি। অনেকে তো সরাসরি দা‘ওয়া-ই পাননি। আবার ইসলামের মধ্যে এসেও দুচারদিনেই কেউ দাঁড়ি রাখা বা নিকাব পরা শুরু করে দেননি। সময় লেগেছে। ইসলামের বিধি আত্মস্থ করতে দিন-মাস-বছর কেটে গেছে। আমরা যারা অনলাইনে দা‘ওয়াহ দিয়ে চোখের পলকে মানুষের বিশ্বাস বদলে ফেলতে চাই এসব বাস্তব নজিরগুলো তাদের খুব কাজে আসবে। জাফর ইকবাল সেদিন একটা ঘটনা শেয়ার করেছিলেন তার স্ট্যাটাসে। উনার আদর্শের সঙ্গে আমার অনেক দ্বিমত থাকলেও সেদিনের তার কথাটি মনে লেগেছে। গল্পে-উপন্যাসে কেউ মারা গেলে, কারও দুঃখে দুখী হলে তার প্রভাব ক্ষণস্থায়ী। কিন্তু তাকে যেদিন এক মা তার সন্তানের মৃত্যুর কথা লিখে ইমেল করেছিলেন সেদিনের সেই কষ্ট তিনি ভুলতে পারেননি। নিছক গল্প আর জীবনের গল্পের মাঝে এটা সবচেয়ে বড় পার্থক্য। বইটির কাভারের ইমেজটির রেজোল্যুশন কম থাকায় ছবিটি খাঁজকাটা হয়ে গেছে। বিষয়টা দৃষ্টিকটু। ভেতরের পৃষ্ঠাসজ্জায় বেশ কিছু অনুচ্ছেদকে অযথা চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। পুরো পৃষ্ঠার নান্দনিকতা নষ্ট হয়েছে এতে। খুব সম্ভবত কিছু গল্পকে নির্দিষ্ট কিছু পৃষ্ঠায় আঁটানোর জন্য এমন ঠাসাঠাসি। পাঠক হিসেবে বিষয়টা আমার টানা পড়ে যাওয়ার স্রোতে গাছের গুঁড়ি ফেলে দিয়েছে। আশা করব ‘গার্ডিয়ান পাবলিকেশন্স’ মাথায় রাখবে এ ধরনের সূক্ষ্ম বিষয়গুলো। এ দুটো জিনিস ছাড়া পুরো বইটির মান ভালো। নিজে একজন রিভার্ট* বা ফিরে আসা মুসলিম বলে এ বইয়ের আবেদন আমার কাছে অনেক অনেক বেশি। লিখেছেনঃ মাসুদ শরীফ