User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
আমি "কাজুও ইশিগুরো" এর অরজিনাল উপন্যাস থেকে তৈরি করা মুভিটি দেখেছি অনেক আগেই,,,,বইটাও পড়ার খুব ইচ্ছা,,তাই ইংলিশটাই পড়ার জন্য "রকমারি" তে সার্চ করলাম,, এখন দেখি বাংলা অনুবাদ করাও আছে,,,,,,তাই প্রথম দুই পাতা পড়েই ফেললাম,,,,,এক কথায় --এখন এই বইটা অর্ডার করা থেকে কেউ আমাকে আটকাতে পারবে না??
Was this review helpful to you?
or
বইয়ের নাম : নেভার লেট মি গো লেখক : কাজুও ইশিগুরো অনুবাদ : হাবীব কাইউম জনরা : রোমান্টিক সাইন্সফিকশন। প্রকাশ কাল : ২০০৫ অনুবাদ প্রকাশকাল : ২০১৮। প্রকাশনী : ইনভেলাপ পাবলিকেশন্স পৃষ্টা সংখ্যা : ৩৭৬ পেজ মূল্য : ৪৭৫ টাকা, গায়ের দাম। কাহিনী সংক্ষেপ :: ক্যাথি, ৩১ বছর বয়সী এক তরুনী। ক্যাথি, রুথ আর টমি তিন বন্ধু। তাদের পরিচয় ইংল্যান্ডের একটি বোর্ডিং স্কুল হেইলশাম এ। হেইলশাম অদ্ভুত এক স্কুল, তাদের নিয়ম কানুনও অদ্ভুত। বাচ্চাদের নিজেদের তৈরিকৃত জিনিশ গুলো তারা কৌশলে ছিনিয়ে নেয় গ্যালারিতে সংরক্ষনের জন্য। ক্যাথি রুথ টমি সহ সবাই একেকজন ক্লোন মানব। অর্থাৎ তাদের জন্য দেয়া হয়েছে টেস্ট টিউবে এবং তাদের জন্য এর উদ্দেশ্য তাদের অঙ্গ দান করা। তারা প্রতেক্যে একেক জন দাতা। তারা পূর্নবয়স্ক হলে মৃত্যু এর আগ পর্যন্ত তাদের অঙ্গ দান করবে। ক্যাথি রুথ টমি এভাবেই হেইলশামের সাথে বেরে উঠে। শুরুতে ক্যাথি টমিকে পছন্দ করলেও একপর্যায় সে সরে এসে, রুথ টমির সাথে থাকে, কিন্তু ঘটনা ক্রমে ক্যাথি আবার টমির পরিচালিকা হিসাবে আবার টমির সাথে । এবং শেষ মূহুর্ত পর্যন্ত টমিকে ভালোবেসে ফেলে ক্যাথি। পাঠ প্রতিক্রিয়া :: নেভার লেট মি গো, আমাকে কখনো যেতে দিও না। প্রথমেই বলি যে বইটি ২০১৭ সালে নোবেল প্রাইজ পেয়েছে, ২০০৫ সালে প্রকাশিত বেস্টসেলার এর তালিকায় বইটি ছিলো অন্যতম। মূলত বইটি সাইফাই জনরা ফেললেও এটি আমি বলবো রোমান্টিক বই। ক্যাথি টমিকে পছন্দ করতো সেই ছোটবেলা থেকেই, কিন্তু চতুর রুথ টমিকে নিজের জন্য ব্যবহার করে। এভাবেই ত্রিমুখী প্রেমের গল্প হিসাবে অখ্যায়িত করা যেতে পারে, অন্যদিকে ক্লোন মানব তৈরি এবং তাদের অঙ্গ ছিনিয়ে নেয়া ইত্যাদি বিষয়াবলির দিক থেকে আমি সাইফাই বলবো। পাঠ প্রতিক্রিয়ায় বলবো ক্যাথি রুথ টমির প্রেম, তাদের বয়ঃসন্ধিকাল, তাদের হেইলশাম এবং কটেজ এর জীবন, তাদের বড় হওয়া সেক্স ইত্যাদি বিষয় গুলো যথেষ্ট ভালো লেগেছে। শেষে দিকের কিছু কথা কিছু মুহূর্ত গুলো দারুন লেগেছে। ক্যাথি টমির শেষ পরিণতি পাঠককে কাদাঁবে। কাজুও ইশিগুরো এর লেখা প্রথম পড়লাম, সত্যি বলতে দাঁরুন লেগেছে। রোমান্টিক সাইফাই এর আদলে লেখক যথেষ্ট সুন্দর একটি কাহিনী তুলে এনেছেন। শুরুর দিকে একটু বোরিং লাগলেও মধ্যম অংশে এসে এবং শেষ দিকে দারুন হৃদয়দায়ক কাহিনী। সো অভার অল বইটা দারুন ছিলো। অনুবাদ প্রসঙ্গে :: হাবীব কাইউম ভাইয়ের অনুবাদ মোটামুটি ভালো। তবে কিছু ক্ষেত্রে আমার জটিল মনে হয়েছে, বারবার মনে হচ্ছিলো যে নেশা ছুটে গেলো। মোটামুটি ভালো অনুবাদ। বইটার প্রতি আমার একটা আর্কষন ছিলো অনেক আগে থেকেই। তো অনুবাদ বের হওয়ার পর অনেক লেট এই আমি কালেক্ট করে পড়লাম, তো পাঠ প্রতিক্রিয়া পজেটিভ। ইনভেলাপ পাবলিকেশন এর সাথে পরিচিত হলাম এই অনুবাদ দিয়ে, পেপার ব্যাক বই, ক্রিম কালার পেজ, পেজ এর মান ভালো, ছাপা মুদ্রাক্ষর সুন্দর, দুএকটা বানান ভুল লক্ষনীয়। পারসোনাল রেটিং : ৫/৫ অনুবাদ রেটিং : ৩/৫ মিদুল চকবাজার, ইসলামবাগ ঢাকা। দুপুর ১:৩০, ০৪-০২-২০২০।
Was this review helpful to you?
or
বইটি পড়া শেষ হলে আমার মত অনেকেই ধাক্কা খাবে এবং প্রচন্ড ভাবে বিষন্নতায় ভরে যাবে মন। কিছু কিছু বই আছে যেগুলো পড়ার পর কোন কিছু আর ভাল লাগে না, প্রচন্ড আবেগে চারিদিক অন্ধকার হয়ে যায়। কাজুও ইশিগুরোর নেভার লেট মি গো উপন্যাসের কাহিনীটি সেধরনের একটি কাহিনী। বইটি পড়ার সময় আমার আসে-পাসের সব কিছু আমি ভুলে ছিলাম। বইটি শেষ না-করে কিছুতেই নামাতে পারছিলাম না হাত থেকে। নিজের সাথে যুদ্ধ করেছি চোখের পানি আটকানোর জন্য অনেক বার। অনেকদিন পর কোন বই আমার এতো ভাল লাগল। শুরু থেকে কাজুও ইশিগুরো আমাকে বিষন্নতার চাদড়ে মুরিয়ে রেখেছিল, কি জানি হাড়িয়ে ফেলছি টাইপের অনুভুতি কাজ করেছে উপন্যাসটির শেষ পৃষ্ঠা পর্যন্ত। উপন্যাসটিকে অনেকে বলেন সাইন্স ফিকশন, আমি বলবো বেদনাদায়ক এক ত্রিভূজ প্রেমের উপন্যাস। সাইন্স ফিকশন টাইপের কনো কিছু এই গল্পটিতে পাওয়া যাবে না। বরং এই গল্পটিতে আছে মানুষের গল্প, কিছু সুন্দর সম্পর্কের গল্প, বিজ্ঞান ও নৈতিকতা নিয়ে পরীক্ষার গল্প। এই উপন্যাসটি নিয়ে আসলে বেশি কিছু লিখার নেই। উপন্যাসটি পড়ে অনুভবের ব্যাপার, আর এই বইয়ের মূল সোন্দর্যই এটা। একটি বোর্ডিং স্কুলে অসংখ্য বাচ্চাকে বড় করা হচ্ছে।এই বাচ্চাগুলো জন্ম নিয়েছে অন্য কারো ক্লোন থেকে। তাদেরকে লেখা-পড়া শিখিয়ে সুন্দর জীবন-যাপনের সুবিধা দিয়ে বড় করার একটি মাত্র কারন, তারা পূর্ণ বয়স্ক হয়ে উঠবার পর তাদের সকল অঙ্গ দান করে তাদের ডিএনএর উৎসকে দীর্ঘ জীবন দান করতে পারে। একদল মানুষ নিজের বিকল হতে পারে এমন অঙ্গ প্রত্যঙ্গের নিরাপদ সরবরাহ নিশ্চিত করতেই এদের জন্ম দিয়েছে। কাজুও ইশিগুরোর লেখা নেভার লেট মি গো বইটি না পড়লে জানতেই পারতাম না বিষন্নতার এত রুপ।
Was this review helpful to you?
or
শক্তিশালীরা সব সময়ই দুর্বলদেরকে তাদের স্বার্থে ব্যবহার করে আসছে। ব্রিটিশরা নীল চাষের জন্য আমাদের দেশের চাষীদের উপরে কোন নির্যাতন না করেছে? নেভার লেট মি গো উপন্যাসে তেমনি বুদ্ধিমান মানুষেরা তাদের নিজেদের ক্ষতিগ্রস্ত অঙ্গ প্রতিস্থাপনের জন্য ক্লোনদেরকে ব্যবহার করে। ক্লোনরা তাদের অঙ্গ দান করতে করতে এক সময় মৃত্যুকে গ্রহণ করে। বুদ্ধিমান মানুষরা মনে করে ক্লোনরা তো ক্লোন। তাদের কোনো আবেগ নেই, অনুভূতি নেই। তাদের মন বলতেই কিছু নেই। আসলে কি তাই? মানুষের ক্লোনদের মধ্যেও মানুষের সব বৈশিষ্ট্যই আছে। কিন্তু বুদ্ধিমান মানুষেরা সেটা বুঝতে পারে না। না কি বুঝতে চায় না? ক্লোনরা ফেলে দেয়া ছেঁড়া পলিথিনের মতো উড়ে যায়।
Was this review helpful to you?
or
নেভার লেট মি গো’ যে উপন্যাস সম্পর্কে ইশিগুরো নিজেই বলেন- ‘‘আমার উপন্যাস আনন্দদায়ক। আমি তিনজন মানুষকে দেখিয়েছি, যারা সুন্দর , কিন্ত তাদের সময় সীমাবদ্ধ।’’ বইটি পড়া শেষ হলে আমার মত অনেকেই ধাক্কা খাবে এবং প্রচন্ড ভাবে বিষন্নতায় ভরে যাবে মন। কিছু কিছু বই আছে যেগুলো পড়ার পর কোন কিছু আর ভাল লাগে না, প্রচন্ড আবেগে চারিদিক অন্ধকার হয়ে যায়। কাজুও ইশিগুরোর নেভার লেট মি গো উপন্যাসের কাহিনীটি সেধরনের একটি কাহিনী। বইটি পড়ার সময় আমার আশে-পাশের সব কিছু আমি ভুলে ছিলাম। বইটি শেষ না-করে কিছুতেই নামাতে পারছিলাম না হাত থেকে।
Was this review helpful to you?
or
প্রথম দুই পৃষ্ঠা পড়ে দেখলাম। অনুবাদকের অন্যান্য লেখার মান কেমন আমি জানি না। কিন্তু এই দুই পৃষ্ঠার লেখনীই আমাকে অনেক পীড়া দিয়েছে। অনুবাদ অনেক কঠিন এবং সৃষ্টিশীল একটি কাজ। মূল লেখাকে তুলে আনার পাশাপাশি সেখানে অনূদিত ভাষার সাহিত্য ভঙ্গিমা অনুসৃত হওয়ার ব্যাপার আছে। লেখক মনে হচ্ছে এ জায়গাটা এড়িয়ে গেছেন। লাইনের পর লাইন শুধু ভাষান্তরই করে গিয়েছেন। তাই এই অনুবাদকর্মের ভাষা হয়েছে মাধুর্যহীন এবং পীড়াদায়ক।