User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
শিশুতোষ
Was this review helpful to you?
or
Not good
Was this review helpful to you?
or
রাজিব আহমেদের ভাঙামন্দির অভিযান একটি রহস্য উপন্যাস।গল্পটি পড়ে মুগ্ধ হয়েছি।তরুণ হাতে কিভাবে লেখক একটা সিম্পল কাহিনীকে রহস্য ময়ী করে তুলছে তা বইটি না পড়ে কেউ বুঝতে পারবেন না।শুরু থেকে শেষ অবদি না পড়ে রহস্য কোথায় মোড় দিচ্ছে তা বোঝা যায়নি।প্রতিটা মুহুর্তে মনে হয়েছে গল্পে এই বুঝি রহস্য খুজে পেয়েছি।কিন্তু না তা খুঁজতে শেষ পযন্ত গল্পটা আমাকে শেষ পৃষ্ঠা অবধি টেনে নিয়ে গেল।আমাদের সমাজ কুসংষ্কার ভরপুর।কিছু মানুষ এসব কুসংস্কার পুজি করে আমাদের মনে সাধু সেজে আছে।লেখক তার গল্পের ভিতর এসব কিছু আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে।আমি আশা করি লেখক তার কাচা হাতে লিখতে লিখতে একদিন পরিপূর্ণ গল্পকার হয়ে উঠবে।
Was this review helpful to you?
or
ব্যাপারি দীর্ঘ নিঃশ্বাস ছাড়ে।আমরা হাটতে হাটতে গ্রামের ভিতর ঢুকে পড়ি।হঠাৎ কিছু লোকের হৈই-চৈই চোখে পড়ে।দৌড়ে ভিড়ের কাছে যাই।দেখি এক লোকের পা ভেঙ্গে গ্যাছে।সবাই বলাবলি করে, সিদেল বাবাকে খবর দিবে।সিদেল বাবার কাছে গেলে লোকটি ভালো হয়ে যাবে।কেউ কেউ তো বলেই ফ্যাললো,--"জয়.. সিদেল বাবার জয়।" ভিড়ের ভিতরে কেউ একজন সিদেল বাবাকে ফোন দ্যায়।মিনিট বিশেক পরে সিদেল বাবার ভ্যান গাড়ি আসে।না সিদেল বাবা আসেনি।তার পাঠানো কথিত অ্যাম্বুলেন্স নামক ভ্যানগাড়ি এসেছে।সিদেল বাবার লোকজন পা ভাঙ্গা লোকটিকে ভ্যানগাড়িতে উঠায়। বাবার নাম নিয়ে সিদ্ধির কল্কিতে টান দ্যায়।ভ্যানগাড়ি বাবার আস্তানার দিকে রওনা হয়।একজন বাবরীওয়ালা লোক মাথা নাড়াচ্ছে আর গান ধরছে। "বাবা আমার ভবের নেশায় দমেদমে ডাকছে আল্লার নাম ওহে বাবার নামে জপে আমরা হইছে রহমত বাবা আমার আল্লার ওলি ওহে কুতুবরব্বানা" ভ্যানে বসা অন্যরা বলছে।"ওরে বাবা...আরে বাবা...বাবারে বাবা...আমার বাবা...তোমার বাবা...সিদেল বাবা...সিদেল বাবা।" পা ভাঙ্গা লোকটি ব্যাথায় চিৎকার করছে সেদিকে কেউ খেয়াল করে না।ওরা নিজের মনে সিদেল বাবার গুনও কীর্তন করে যাচ্ছে। আমার কাছে ব্যাপার কেমন যেন লাগলো।লতিফ ভাইকে বলি,--"এইসব লোকতো বোকা।পা ভাঙ্গলো, হসপিটালে না গিয়ে বাবার কাছে যাচ্ছে কেন?" ভিড়ের ভিতরে একজন বললো,--"বাবাকে নিয়ে কিছু বলবে না।একেবারে সাবধান করে দিচ্ছি।বাবাকে নিয়ে খারাপ কিছু বললে জবান বন্ধ হয়ে যাবে।বাবার পা ধরে কাঁদলেও ক্ষমা পাবে না।" সজল বলে,--" এমন কামেলদার বাবাকে তো দেখতে হয়।" এমনি রহস্য গল্প নিয়ে ভাঙামন্দির অভিযান
Was this review helpful to you?
or
মন্দিরটির কথা শুনেছি সেই ছোটবেলা থেকেই। তখন আমার জন্ম হয়নি। বাবা বলতেন, দেশ ভাগের সময় এদেশে প্রচুর মন্দির ভেঙে ফেলা হয়। হিন্দুদের কোন চিহ্নই রাখবে না বলে। ঐ মন্দিরটা ভাঙতে যায়। তবে পুরোপুরি ভাঙ্গতে পারেনি। শোনা যায় মন্দির ভাঙার সময় দুই জন শ্রোমিকের গলাকাটা লাশ পাওয়া যায়। অন্যরা ভয়ে পালিয়ে যায়। সেই থেকে ঐ মন্দির সবাই অভিশপ্ত বলে। মা কালী উদ্দেশ্য করে কেউ আর পাঠা বলি দেয় না। হিন্দু নাই, কে পূজো করবে? কালী মা তাই রাগে অভিমানে প্রতিবছর কাৰ্ত্তিক মাসের অমাবস্যায় একটি করে যুবক ধরে নিয়ে বলি দেয়। আর সেই যুবকদের হাত, পা, মাথা, রক্ত মাখা জামাকাপর মন্দিরের এক এক স্থানে পাওয়া যায়। এছাড়াও কালী-মা মাঝে মধ্যে অভিমান করে দুই চারটে বলি দেয়। এ জন্য ওই মন্দিরের আশে পাশে কেউ ঘর বাড়িও তৈরি করে না। একবার আশু ব্যাপারি। সবার মানা করা সত্যেও মন্দিরের কিছু দূরে বনের ভেতর একটা বাংলো তৈরি করে। বেশ কয়েক দিন ভালোই চলছিলো। ভদ্র মাসে মাগী পূর্ণিমায় ব্যাপারির ছেলে আজাদ রাতে বাংলোয় ঘুমায়। রাত দুটাের দিকে সবাই আজাদের চিৎকার শুনতে পায় । কেউ ভয়ে বের হয়। না। সকালে সবাই আজাদের রক্তমাখা দেহ মন্দিরের পাশে আবিষ্কার করে। সেই থেকে ব্যাপারির ওই বাংলোয় কেউ থাকে না।