User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ লেখনী। খুব ভালো হয়েছে।
Was this review helpful to you?
or
জীবনের ২য় বই ছিল যেটা একের অধিক পড়েছি ? পিউর একটা ভালবাসা 'চে'
Was this review helpful to you?
or
চে গুয়েভারার লেখা- "বলিভিয়ান ডায়েরী" পৃথিবীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ গেরিলাযোদ্ধার রোজনামচা। চে গুয়েভারা, একজন বিপ্লবী সৈনিক- তাঁর পুরো নাম আর্নেস্তা চে গুয়েভারা-পেশা হিসেবে ডাক্তারীকে বেছে নিলেও তাঁর দুচোখে ছিল অন্য এক স্বপ্নবীজ। সমাজের পরিবর্তনের কথা ভেবেছিলেন আর্নেস্তা। সেই স্বপ্নকে সত্য করতেই ১৯৫৬ সালে ফিদেল কাস্ত্রোর সাথে কিউবার বিপ্লবী প্রচেষ্টার অংশীদার হয়ে উঠেন তিনি। পথে ছিল অনেক রক্ত-অনেক মৃত্যু। তারপরও নানান চড়াই-উতরাই পার করে ১৯৫৯ সালের ২রা জানুয়ারি স্বাধীন হয় কিউবা। পৃথিবী জুড়ে কিউবার প্রতিনিধি হয়ে সফর করেন চে। কিন্তু স্বপ্নপাখির ডাকে আবার ঘরছাড়া হতে হল তাঁকে। রওনা হলেন নতুন এক ইতিহাস গড়ার লক্ষ্যে, বলিভিয়ার স্বাধীনতার জন্য লড়াই করতে এগিয়ে গেলেন। আবারো শূন্য থেকে শুরু করলেন তিনি, পাহাড়-জঙ্গল-অনাহার-অনিদ্রা এবং জন্মগত হাঁপানি। বলিভিয়ায় চলাকালীন বিপ্লবের মধ্যবর্তী সময় চে প্রত্যেকটি ছোটখাটো বিবরণ তাঁর ডায়েরীতে লিখে রাখতেন। পরবর্তীতে তারই পূর্ণাঙ্গ রূপ হিসেবে প্রকাশিত হয় "বলিভিয়ান ডায়েরী"। বিপ্লব চলাকালীন সময় একদল দৃঢ় মনোবলসম্পন্ন সৈনিক গড়ে তোলা এবং স্বৈরাচারী শাসকদের দৃঢ়ভাবে মোকাবেলা করার কাহিনী-ই মূলত চিত্রায়িত হয়েছে এই বইটিতে। ডায়েরীটি পূর্ণাঙ্গ রূপ পায় একটি জীবন্ত ইতিহাস হিসেবে। ডায়েরী লেখক আর্নেস্তা, নিজেই যেন এই গল্পের এক অদম্য সাহসিকতার প্রতীক, যার রয়েছে স্বৈরাচারী শাসকদের নিপীড়ন দমনের সুতীব্র বাসনা এবং সমাজ ব্যবস্থার পরিবর্তন ঘটানোর জন্য দৃঢ় মনোবল। এই বইটিতে চে এমন একজন ব্যক্তিত্- যিনি মৃত্যুকে তুচ্ছজ্ঞান করে জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত নিজ সঙ্কল্পে অটুট থেকেছেন। দলনেতা হিসেবে তিনি পালন করেছেন অনন্য ভূমিকা। তাঁরই নেতৃত্বে গঠিত হয় একদল দুঃসাহসী যোদ্ধা, যাদের অন্তরে লালিত হচ্ছিল স্বাধীনতার ঘ্রাণ নেয়ার অদম্য ইচ্ছা। একজন আদর্শ সৈনিকের জীবনের কঠোর বাস্তবতা সুনিপুণভাবে চিত্রকল্পিত হয়েছে তাঁর এই ডায়েরীতে। একদল নির্ভীক সৈনিক, যারা কিনা অনাহার-অনিদ্রা, যুদ্ধ-রক্ত-মৃত্যু সমস্ত প্রতিকূলতা-কে জয় করার সামর্থ রাখে। বইটি থেকে জানা যায়, বিপ্লবের প্রস্তুতি চলাকালীন সময়, দুজন গেরিলা, মার্কেস এবং পাচোর মধ্যে দ্বন্দ গড়ে ওঠে। কিন্তু পরবর্তীতে আর্নেস্তার দৃষ্টিগোচর হলে তিনি তাঁদের যুক্তিসঙ্গত সমালোচনার মাধ্যমে অভ্যন্তরীণ কোন্দঢ় পরিহারের নির্দেশ দেন এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তির জন্য কঠোর শাস্তির ঘোষণা করেন। এ থেকে বোঝা যায়, চে-র মধ্যে একজন দৃঢ় শাসক হিসেবে নেতৃত্ব দেওয়ার গুণাবলী অটুট ছিল। ফলে তিনি এ ধরনের অভ্যন্তরীণ কোন্দল দৃঢ়ভাবে দমন করতে সক্ষম হন। আবার অন্য একটি পর্যায়ে- যখন মনজে তাঁকে সামরিক নেতৃত্ব হস্তান্তর করতে বলেন, তিনি দৃঢ়ভাবে এর প্রতিবাদ জানালে তাঁর গেরিলা বাহিনীর বেশিরভাগ সদস্য-ই চে-র নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হয়ে বিপ্লবে অংশগ্রহণ করার ইচ্ছা প্রকাশ করে। সৈনিকদের সাথে তাঁর অটুট স্নেহের বন্ধন থাকার কারণেই তিনি এধরনের দৃঢ় মনোবল বিশিষ্ট জল গঠন করতে সক্ষম হন। আবার জীবনের শেষ মুহূর্তে যখন বলিভিয়া স্বাধীন প্রায়, গেরিলারা নিজেদের আবিষ্কার করলেন একটি খোদলের মধ্যে। খবর এল চারদিক হতে সৈন্যরা ঘিরে ফেলেছে, চে তখন ছোট দলটাকে দুভাগে করে ফেললেন। প্রথম দলে ছিলেন চারজন সৈনিক, যাদের মধ্যে তিনজন-ই ছিলেন অসুস্থ। চে তাঁদের নির্দেশ দিলেন যত দ্রুত সম্ভব, নিকটস্থ নদীর দিকে চলে যেতে। প্রথম দলটিকে বেরিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য শত্রুর মনোযোগ নিজেদের দিকে টেনেআনলেন চে-রা। পরবর্তীতে সেনাবাহিনীর সাথে দ্বিতীয় দলটি একটি বন্দুকযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে এবং পরাজিত হয়। চে-র দল মৃত্যু ঘটে অদম্য সাহসী একজন বিপ্লবী যোদ্ধার। জীবনের শেষ মুহূর্তেও এই মহাপুরুষ নিজে না পালিয়ে সৈন্যদের জীবন রক্ষায় ব্যস্ত হয়ে পড়েন। অতএব বলা যায়, নেতা হিসেবে তিনি ছিলেন দৃঢ় মনোবল সম্পন্ন, অকুতোভয় বীর এবং একজন চেতনাসম্পন্ন বিপ্লবী। তাঁর মধ্যে একজন আদর্শ নেতার সকল গুণাবলী নিহিত ছিল বলেই মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি ছিলেন নির্ভীক। একটি গেরিলা বাহিনীকে নিয়ে বলিভিয়ান বিপ্লবের বিভিন্ন সংকল্প-সংঘাত-মৃত্যু, প্রতিনিয়ত মুখোমুখি হতে হয়েছে যে বাস্তবতার, তার সবই লেখক অত্যন্ত আকর্ষণীয় ভাবে চিত্রিত করেছেন তাঁর ডায়েরীতে। পরবর্তীতে পূর্ণাঙ্গ রূপে প্রকাশিত ডায়েরীটিই যেন বর্তমানে ইতিহাসের এক জীবন্ত দলিল। বইটির মধ্যে যেন নিহিত রয়েছে একজন বিপ্লবী নেতার সমস্ত চিন্তা-চেতনা। অতএব বলা যায়, এককথায় "বলিভিয়ান ডায়েরী" চে গুয়েভারার লেখা এক অনবদ্য রচনা এবং পৃথিবীর নিপীড়িত, নিগৃহীত, বঞ্চিত মানুষের উদ্দেশ্যে লেখা অন্যতম শ্রেষ্ঠ বিপ্লবীযুদ্ধের রোজনামচা। নাম: ফাতেমা তুজ জোহরা মুনমুন ঠিকানা:১/৫১/১, দক্ষিণ মুগদা পাড়া, ব্যাংককলোনী, ঢাকা-১২১৪ ফোন নাম্বার: 01622738075