User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
সহজবোধ্য উপস্থাপনা ও প্রাঞ্জল লেখনী।
Was this review helpful to you?
or
best book in world
Was this review helpful to you?
or
Marriage is a religious contract, a social relationship. Two people around it, two families, how many aspirations, how many dreams! It takes a concerted effort from all of them to make the relationship beautiful. So this book is not only for married, newly married or married people but also for their parents, in-laws, relatives. Here are some discussions on the nature of marriage, responsibilities, dos and don'ts that may bring fresh thinking. There are some stories that reflect the reality of life.
Was this review helpful to you?
or
বিয়ে একটি ধর্মীয় চুক্তি, একটি সামাজিক সম্পর্ক। একে ঘিরে দু’জন মানুষ, দুটি পরিবারের কত আকাঙ্খ, কত স্বপ্ন! সম্পর্কটিকে সুন্দর করার জন্য প্রয়ােজন এদের সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টা। তাই এই বইটি কেবল বিবাহেচ্ছ, নববিবাহিত বা বিবাহিতাদের জন্য নয় বরং তাদের বাবা-মা, শ্বশুর-শাশুড়ি, আত্মীয়স্বজনদের জন্যও। এখানে বিয়ের স্বরূপ, দায়িত্বসমূহ, করণীয় এবং বর্জনীয় বিষয়াদি নিয়ে কিছু আলােচনা রয়েছে যা হয়ত চিন্তার দিগন্তে নতুনত্ব আনতে পারে। রয়েছে কিছু গল্প যা জীবনের বাস্তবতার প্রতিফলন।
Was this review helpful to you?
or
vlo
Was this review helpful to you?
or
বিয়ে একটি ধর্মীয় চুক্তি, একটি সামাজিক সম্পর্ক। একে ঘিরে দুজন মানুষ, দুটি পরিবারের কত আকাঙ্ক্ষা, কত স্বপ্ন! সম্পর্কটিকে সুন্দর করার জন্য প্রয়োজন তাদের সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টা। তাই এই বইটি কেবল বিবাহেচ্ছু, নববিবাহিত বা বিবাহিতদের জন্য নয় ; বরং তাদের বাবা-মা, শ্বশুর শাশুড়ি, আত্নীয়স্বজনদের জন্যও। এখানে বিয়ের স্বরূপ, দায়িত্বসমূহ, করণীয় এবং বর্জনীয় বিষয়াদি নিয়ে কিছু আলোচনা রয়েছে, যা হয়তো চিন্তার দিগন্তে নতুনত্ব আনতে পারে। রয়েছে কিছু গল্প-যা জীবনের বাস্তবতার প্রতিফলন।
Was this review helpful to you?
or
বিয়ে স্বপ্ন থেকে অষ্টপ্রহর বইটা পড়ছিলাম, লেখক সুরা রুমের ২১ নম্বর আয়াতের মাধ্যমে বিয়ের আলোচনার সূত্রপাত করেছেন, আয়াতে বিয়েকে সুকুন বা স্থির বলে অবিহিত করা হয়েছে। অর্থাৎ তোমরা বিয়ে করো, যেন স্ত্রীর কাছে সুকুন পাও। এখানে সুকুনের বাংলায়ন ‘শান্তি’ বলতে পারি। মানে বউ হলো শান্তির স্থান। একটু এগিয়ে দেখলাম বিয়ের গুরুত্ব ও প্রচ্ছন্ন সংজ্ঞা দেওয়া হলো এভাবে— তারা আল্লাহকে সাক্ষী রেখে এই প্রতিজ্ঞা করছেন যে, তারা জীবনসঙ্গীর কাছ থেকে পূরণীয় একান্ত বিষয়গুলো আর কোথাও খুঁজবেন না। তাদের চোখ, কান ও হৃদয় জীবনসঙ্গী ছাড়া অন্য কোথাও গিয়ে দিকহারা হবে না। তারা জীবনসঙ্গীর প্রতি কোনো অবহেলা করবে না, তাকে ছেড়ে যাবে না, ফেলে যাবে না। জীবনের গুরুত্বপূর্ণ একটি অধ্যায় বিয়ে। বিয়ের প্রয়োজনীয়তা কেন—এইটা আর এখন বয়ান করার অপেক্ষা রাখে না; কিন্তু বিবাহপূর্ব কিছু আলাপ জরুরি বটে। প্রথমেই আমাদের অ্যাকাডেমিক শিক্ষাব্যবস্থার সময়কাল নিয়ে আলোচনা করা যায়। এটা খুবই দুঃখের বিষয় যে, আমাদের শিক্ষাকাল খুবই দীর্ঘ এবং শিক্ষা সমাপন হওয়ার পর কারও কারও বয়স ২৫-২৬-এ এসে ঠেকে। একজন ছেলেকে মোটামুটি প্রতিষ্ঠিত হতে পাঁচ থেকে দশ বছর অপেক্ষা করতে হয়। সাধারণত এই অঞ্চলের মানুষের গড় আয়ু ৭০ বছর বলে জানা যায়, কিন্তু মানুষের জীবনের মূল সময় হচ্ছে ২৫-৫০। এটা যেকোনো কাজের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ। এর পরের সময়টাকে অবসর বলা যায়। কেউ যদি ৩০/৩৫-এ এসে বিয়ে করে, তাহলে এই লোকের অবসরযাপন আর হয়ে ওঠে না। পরিবারের হাল নিয়েই তার পড়ন্তবেলা পার করতে হয়। আর এটা যে কী দুঃখ ও বিষাদময় জীবন, ভুক্তভোগী মাত্রই এটা বুঝেন। দ্বিতীয় ব্যাপার হচ্ছে বিয়ের কথা বললেই একটা কমন প্রশ্ন শুনতে হয়—বিয়ে করে খাওয়াবি কী? কুরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেন—আল্লাহ হচ্ছেন রিজিকদাতা, আরেক জায়গায় বলেছেন—তিনিই উত্তম রিজিকদানকারী। মানুষের রিজিক যেহেতু আল্লাহ দান করেন, পরিবারপ্রধান কেবল একজন মাধ্যম। তার অধীনে থাকা তার স্ত্রী-সন্তান সবাই ওসিলা হয়ে তার বরকতকে বৃদ্ধি করে। রাসুল বলেছেন, রিজিক হচ্ছে বণ্টিত, মানুষ তাকে যত বেশি খুঁজে তার চেয়েও রিজিক তাকে বেশি খুঁজে। সুতরাং ‘খাওয়াবি কী’ জাতীয় প্রশ্ন বেমানান। সবচেয়ে বড় ব্যাপার হচ্ছে গার্জিয়ানদের অসতর্কতা এবং খাওয়াবি কী টাইপের নানা মন্তব্য অধুনা ছেলেমেয়েদের বিয়ের মনমানসিকতা দূর করে দেয়। বয়সে বিয়ের যে চাহিদা সেটাও এক সময় হতাশায় পরিণত হয়, হতাশ হওয়া যাবে না। জীবন সম্পর্কে জানুন, নিরাশা দূর করতে পড়ুন সিয়ানের বই—বিয়ে স্বপ্ন থেকে অষ্টপ্রহর।
Was this review helpful to you?
or
বই টা ভালো, অনেক ভালো।
Was this review helpful to you?
or
The book is good, very good. But very basic level knowledge can be obtained by reading the book Because, if I have a minimum sense of humanity, then automatically I will understand how to accept husband, father-in-law and how to behave with them. On the contrary, I will also become mother-in-law, Nanad, Biyani one day, what should I do? It would have been better if the book was a little more organized
Was this review helpful to you?
or
বিয়ে ছোট্ট একটা শব্দ হলেও এর ওজন অনেক ভারী। বিয়ে একটি ধর্মীয় চুক্তি। একটি সামাজিক সম্পর্ক। একে ঘিরে দুইজন মানুষ দুটি পরিবার কত আকাঙ্ক্ষা কত স্বপ্ন। সম্পর্ক টাকে সুন্দর করার জন্য প্রয়োজন সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টা। তার জন্য রয়েছে কিছু গল্প যা জীবনে বাস্তবতার প্রতিফলন ঘটিয়ে হয়তো চিন্তার দিগন্তের নতুনত্ব আনতে পারে।'
Was this review helpful to you?
or
একটি ধর্মীয় চুক্তি, একটি সামাজিক সম্পর্ক। একে ঘিরে দুজন মানুষ, দুটি পরিবারে কত আকাক্সক্ষা, কত স্বপ্ন! সম্পর্কটিকে সুন্দর করার জন্য প্রয়োজন সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টা। তাই এই বইটি কেবল বিবাহেচ্ছু, নববিবাহিত বা বিবাহিতাদের জন্য নয়; বরং তাদের বাবা-মা, শ্বশুর-শাশুড়ি, আত্মীয়স্বজনদের জন্যও। এখানে বিয়ের স্বরূপ, দায়িত্বসমূহ, করণীয় ও বর্জনীয় বিষয়াদি নিয়ে কিছু আলোচনা রয়েছে; যা হয়তো চিন্তার দিগন্তে নতুনত্ব আনতে পারে। রয়েছে কিছু গল্প; যা জীবনের বাস্তবতার প্রতিফলন।
Was this review helpful to you?
or
বইয়ের নামঃবিয়ে লেখকঃরেহনুমা বিনতে আনিস প্রকাশনীঃগার্ডিয়ান পাবলিকেশন্স মূল্যঃ১৭৫টাকা ||বুক রিভিউ|| কারাে বিয়ের খবর শুনলেই প্রথমে প্রশ্ন জাগে, 'কনে দেখতে কেমন?' কিংবা 'বর কি করে? অথচ বৈজ্ঞানিক-অবৈজ্ঞানিক সমস্ত জরিপের ফলাফলে দেখা যায়, বৈবাহিক জীবনে সুখের ক্ষেত্রে সৌন্দর্যের ভূমিকা বড়জোর ছ'মাস থেকে একবছর। আর অনেক ধনী মানুষ মুহূর্তে সব হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছেন এমন উদাহারণও আছে। অথচ ক্ষণস্থায়ী এই দুটো গুণ কিভাবে বিয়ের মতাে একটা চিরস্থায়ী বন্ধনের মূল ক্রাইটেরিয়া হয়? যেখানে ছেলের চরিত্র, মেয়ের চরিত্র উপেক্ষা করে বাহ্যিক গুণগুলাে প্রাধান্য লাভ করে এমন একটা সম্পর্কের ক্ষেত্রে যে সম্পর্ক সম্পর্কে বলা হয়েছে। "পােশাকস্বরূপ।' এমন অনেক সুন্দরী বউ আছে যার চাহিদা পূরণের জন্য স্বামীকে ঘুষ খেতে হয়। আর এমন অনেক দাড়ি-টুপিওয়ালা স্বামীও আছেন যারা সুন্দরী স্ত্রীকে প্রদর্শনীর সামগ্রীতে পরিণত করে রাখেন। এটিকে কি ভালােবাসা বা পারিবারিক সম্প্রীতি বলা যায়? অথচ অনেক দরিদ্র পরিবারেও দেখা যায়, বড় মাছ এনে স্বামী- স্ত্রী মিলে গল্প করতে করতে কাটান, সেখানে 'প্রেমের উৎসব' বয়ে যায়। কনের পিতা কন্যার বিয়ের দিন সবকিছু উজার করে কন্যাকে দিতে চান। সব ভালােবাসা যে বিয়ের দিনই দিয়ে দিতে হবে এমন তাে কোনাে কথা নাই । আর যে বরপক্ষ বিয়ের আগেই যৌতুক তথা 'উপহার সামগ্রী' চেয়ে কনের পিতাকে হেনস্তা করে ফেলে, বিয়ের পর সেই ঘরে মেয়ে কতােটাই বা সুখী হতে পারবে? এইসব প্রশ্নের উত্তর কনের বাবাকে মেয়ে বিয়ে দেবার আগেই হিসেবে মিলাতে হবে, চোর পালালে বুদ্ধি বাড়তে পারে কিন্ত কন্যাকে একবার বিয়ে দিলে সেই চোর পালানাের পর বুদ্ধি আর কোনাে কাজে আসবেনা । বিয়ের পর আমাদের দেশে একটা প্রচলিত অভ্যাস দেখা যায় স্ত্রীর নামের শেষে স্বামীর নাম জুড়ে দেওয়া কিংবা স্ত্রীর নামের আগে মিসেস বলে স্বামীর নাম লাগানাে (যেমন :মিসেস রহমান) । অথচ পৃথিবীর সবচেয়ে ভালাে স্বামী হিসেবে পরিচিত রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহিসালাম এর স্ত্রীদের নামের সাথে কি এমন বলা হয় মিসেস আয়েশা মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহিসালাম ? বরং তাঁর নাম বিয়ের আগে পরে আয়েশা বিনতে আবু বকরই ছিলাে । স্বামীর সাথে সম্পর্ক একটা শব্দ তিনবার উচ্চারণ করলে পরিবর্তন হয়ে যায়। কিন্তু বাবার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন হয়না। এই অনুচ্ছেদটি লেখিকা অনেক সুন্দর একটা শিরােনামে লিখেছেন, 'অনেক কিছু আসে যায়। বইটির মােট অনুচ্ছেদ ২২ টি। প্রথম ৮ টি অনুচ্ছেদ লেখিকার বিভিন্ন অভিজ্ঞতা নিয়ে। পরের ১৪ টি অনুচ্ছেদ বিয়ে নিয়ে কয়েকটি সুন্দর গল্প নিয়ে। অভিজ্ঞতা নিয়ে লিখা অনুচ্ছেদগুলাের শিরােনামও চিত্তাকর্ষক। বইটি পড়ে অখাদ্য-কুখাদ্য কিছুই পেলাম না; বরং ইসলামিক সাহিত্য চর্চার জন্য বইটি গ্রহণযােগ্যতা অবশ্যই অত্যধিক। বইটির ঘটনাগুলাে পড়ে আপনি বিবাহের মাধ্যমে সৃষ্ট আত্মীয়ের সম্পর্কগুলাে কেমন হয় তা জানতে পারবেন। বিয়ের জন্য যারা মানসিকভাবে প্রস্তুতি গ্রহণ করছেন, তাদের সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য একবার হলেও বইটি পড়া প্রয়ােজন। আপনি যদি একজন মা, স্ত্রী কিংবা বাবা, স্বামী হয়ে থাকেন তবে আপনিও বইটি পড়বেন। বুঝতে পারবেন, আপনার বৌমা কতটা মানুসিক চাপের মধ্যে থাকে। তার উপর এমন অসহনীয় আচরণ করা আদৌ উচিত কি না? . এ বইটিতে তিনি বিয়ের গুরুত্ব এবং বিয়ে প্রকৃত অর্থ ও উদ্দেশ্য তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন।সাধারন দিক বিবেচনা করে বইটি নারীদের জন্যে তুলনামূলক বেশী গুরুত্বপূর্ন বলে আমার মনে হয়েছে। আমাদের দেশে বিয়েতে মেয়েদের মতামত কিংবা বিয়ে সম্পর্কে ধারন খুবই সীমিত। লেখিকা এই দিকটি বিশেষ ভাবে আলােকপাক করার চেষ্টা করেছেন। ছােট ছােট গল্পের মাধ্যেমে বিভিন্ন সমস্যা ও তার সমাধান তুলে ধরেছেন। শেষের দিকে গল্পগুলাে স্রেফ গল্প নয়, আমাদের সমাজের বাস্তবতা। কখনাে বউ-শ্বাশুড়ির দা- কুমড়াে সম্পর্ক। কখনাে আবার বউ-শ্বাশুড়ির মিষ্টি সম্পর্ক, বউমাকে নিজের মেয়ের মতাে আগলিয়ে রাখার সম্পর্ক। আবার কখনাে স্বামীর পরকীয়ার সম্পর্ক নিয়ে লেখিকা এখানে স্ত্রীর ভূমিকা কি হওয়া উচিত ছিলাে সেটাও গল্পের মাধ্যমে তুলে ধরেছেন। কিছু বই আছে যেগুলাে বিপ্লব আনতে পারে । বিয়ে বইটাও আশা করি বিপ্লব আনবে । বিয়ে নিয়ে সমাজের কুসংস্কারগুলাে দূর হবে, প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়া স্বত্তেও ছেলেদেরকে বিয়ে দিতে বাবা-মা দ্বিমত করবেনা, পাত্র-পাত্রী নির্বাচনেও বস্তুকেন্দ্রীক মনােভাবের পরিবর্তন আসবে। বইটির প্রতিটি গল্পের ইন্ডিংগুলাে ছিল অনেক ক্ষেত্রে মিলনাত্মক এবং প্রশান্তিদায়ক। আমার কাছে এই বইটির 'অনেক ভালাে লেগেছে' এমন গল্প হলাে- 'হঠাৎ বিয়ে, "একজন বেহেস্তি নারী" আর সবার শেষের গল্প "অন্ত পথের সাথি" গল্পটি। আরও অনেক আছে। যেগুলাে মিলেই; ঘটনাপ্রবাহ ভালাে লেগেছে বলে সাথে সাথে ভালােলাগা সৃষ্টি হয়েছে বইটির প্রতি। ভালাে লাগার মতােই একটি বই এটি। সর্বোপরি সমাজের মধ্যে বিয়ে প্রথা যেরকম হওয়া উচিত সেরকম হওয়ার পথে বইটা পাথেয় হতে পারে এই আশা করি।
Was this review helpful to you?
or
বিয়ে নিয়ে তরুণ প্রজন্মের মাঝে হাজারো স্বপ্ন। প্রতিটি পরিবারের কত ইচ্ছা-আকাঙ্ক্ষা জড়িয়ে থাকে একটা বিয়েকে ঘিরে। শুধুমাত্র বিয়ে কোনো সামাজিক বন্ধন নয়; বিয়ে ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতা যা পরিপূর্ণ করে দ্বীনের অর্ধেক। কিন্তু এই বিয়েকে ঘিরে সমাজে, পরিবারে নানা সমস্যার সূত্রপাত। শুধুমাত্র পরিবারের সদস্যদের মাঝেই নয় বরং স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের মাঝেও ভাঙন ধরে অনেক সময়। "বিয়ে" বইটি এমন একটি বই যাতে বৈবাহিক জীবনের সমস্যা, সমাধান, দায়িত্ব-কর্তব্যের বিষয় গুলো লেখিকা বাস্তবতার মাধ্যমে তুলে ধরেছেন। বই আলাপন: ★★★★ বিয়ে বইটিতে মূলত ২২টি শিরোনামে কখনো প্রবন্ধ, কখনো লেখিকার বাস্তবতা, কখনো গল্পে বাস্তবতার ছোঁয়ায় লিখাকে সাজানো হয়েছে। বিয়ের এই সম্পর্কে টা শুনতে যতটা ছোট তেমনি অনেক ভারী ওজনে। বর্তমান সমাজে বেশিরভাগ বিয়ে সংঘটিত হয় বাহ্যিক সৌন্দর্যের বিচারে। অথচ বিবাহ হওয়া উচিত ছিল দ্বীনদারিতার বিবেচনায়। বাহ্যিকরূপ পরিহার করে অন্তদৃষ্টি দিয়ে বিবেচনা করার সিদ্ধান্ত সবার মাঝে পৌঁছে দেওয়ার কথা লিখেছেন। ভাল সঙ্গী পেতে হলে দোয়ার দুয়ার বন্ধ হতে দেওয়া চলবেনা। বিশ্বজাহানের মালিকের পক্ষে যেহেতু কিছুই অসম্ভব নয় সেহেতু তাঁর কাছে চাওয়ার বিকল্প না করে যেন তার দুয়ারেই হাত বাড়াই–এই বিষয়গুলো তেও লেখিকা বইয়ে উল্লেখ করেছেন। বিয়ের সম্পর্ক হোক বন্ধুত্বপূর্ণ এবং তা হোক আত্মমর্যাদাপূর্ণ। সমাজের অনেক পরিবারে মেয়েদের নামকরণের ক্ষেত্রে ভ্রুক্ষেপহীনতার দেখা যায়। এই বিষয় গুলোর গুছালো উত্তর লেখিকার এই বইয়ে উঠে এসেছে। স্বামী-স্ত্রীর মাঝের বন্ধন দৃঢ় করার আলোচনা করেছেন লেখিকা তার বইয়ে৷ শুধুমাত্র এই সম্পর্কের মাঝের বন্ধন-ই না বরং পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের মাঝের সমঝোতা নিয়েও গুছালো আলোচনা রয়েছে তার বইয়ে৷ অনেক পরিবারেই আজ মেয়েদের মতামত কে কোনো প্রাধান্য দেওয়া হয়না। অথচ মেয়েটার জীবনের গুরুত্বপূর্ণ একটা ব্যাপার তার মতামত ছাড়াই পিতামাতার সিদ্ধান্তে সম্পন্ন হয়। প্রতিপত্তির কাছে আজ শরীয়াহ বিসর্জন দেয় পরিবার– ফলশ্রুতিতে মেয়ের জীবনের সুখের যাত্রা শুরু না হয়ে যুদ্ধের যাত্রার সূচনা ঘটে৷ সম্পর্কের মাঝে কি কি বিষয় জরুরি তা নিয়েও লেখিকার আলোচনার ঘাটতি ছিল না বইয়ে। সম্পর্কের বুননকৌশল আর স্থায়িত্বের মাত্রার নতুন রুপ দিয়ে লেখিকা তার লেখনী দিয়েই পাঠককে মুগ্ধ করেছে। বইটি কাদের জন্য: ★★★★★★★ বইটি বিশেষভাবে তরুন সমাজের মাঝে পৌঁছে দেওয়া জরুরি বলে মনে করি। যেহেতু বিয়ে প্রতিটি মানুষের জীবনেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে সেহেতু এই বিষয় নিয়ে জানা আর প্রতিবন্ধকতা দূর করাই তো সফলতা। মা-বাবার মাঝেও বইটি ছড়িয়ে দেওয়া আবশ্যক। এছাড়াও পরিবারের সদস্যদের বইটি পড়তে দেওয়া উচিত। কারন বিয়ে কেবল দুইটি মানুষের মধ্যেই নয়; এই সম্পর্কের মধ্যে আরও অনেক সদস্য জড়িয়ে রয়েছে। সম্পর্কের এই ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র একক কে নতুনভাবে গড়ে তুলার জন্য 'বিয়ে' বইয়ের ভূমিকা অনেক। বইটির প্রয়োজনীয়তা: ★★★★★★★★ পরিবারের সম্পর্কগুলোর মাঝের ভিত কে মজবুত করে বিয়ের সম্পর্ক কে আরও সুন্দর এবং সহজ করতে বইটির প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য। বিয়ের ক্ষেত্রে কি কি বিষয় গ্রহণযোগ্য এবং কোন কোন বিষয় পরিহার আবশ্যক তা জানলে পারিবারিক সমস্যা দূর করা সহজেই সম্ভব হবে। অনুভূতির কিছু কথা: ★★★★★★★ বইটিতে বাস্তবসম্মত কথা গুলো গুছিয়ে লেখা হয়েছে যার মাধ্যমে সহজেই বোধগম্য হয়েছে। বিয়ের বিষয়গুলো ইসলামের আলোকে এবং সমাজের তথাকথিত ভুলের বিপরীতে গিয়ে লেখা হয়েছে যা ইন শা আল্লাহ ভবিষ্যতে জীবনে কাজে লাগাতে সহায়ক হবে। বই সম্পর্কে সংক্ষেপে- বই: বিয়ে লেখক: রেহনুমা বিনত আনিস মূল্য: ২২০ ( পেপারব্যাক) প্রকাশন: গার্ডিয়ান পাবলিকেশন
Was this review helpful to you?
or
অসাধারন লিখোছেন লেখিকা, মনে হচ্ছিল বিয়ে নিয়ে যতরকমের দ্বিধাদ্বন্ধ ছিল সব মিটে গেছে।
Was this review helpful to you?
or
valo lagse
Was this review helpful to you?
or
আমি বৈঠকে পড়ে ফেলেছি
Was this review helpful to you?
or
� লেখিকা পরিচিতি : ----------------- জন্ম চট্রগ্রামে, শৈশব ঢাকায়, কৈশোর আবুধাবিতে ও ভারতে। বিয়ের পর আবার চট্রগ্রামে ফিরে আসা। বর্তমানে স্বামী ও দুই সন্তান নিয়ে কানাডায় আছেন। আদর্শবাদী ও জ্ঞানানুরাগী একটি পরিবারে বেড়ে ওঠা। ছোটবেলা থেকেই মুখচোরা। বইপোকা। ইংরেজীতে অনার্স মাস্টার্স। ছাত্রাবস্থায় চট্রগ্রামের সিজিএস এ প্রেসিডেন্সি ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে শিক্ষকতা। মাস্টারের পর ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ইউনিভার্সিটি চট্রগ্রামের ইংরেজি বিভাগে শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা অনেক দিনের। ভালো লাগে বিশ্বসাহিত্য। অত্যধিক আগ্রহের ফলে জ্ঞানের সব শাখাতেই অল্পবিস্তর বিচরণ। ছোটবেলায় "শিশু" ম্যাগাজিনে ছোটদের লেখা পড়ে উদ্দীপ্ত হয়ে লেখালেখিতে হাতেখড়ি। পাঁচ বছর বয়স থেকে কবিতা লেখা দিয়ে সূত্রপাত হলেও প্রথম প্রকাশ নয় বছর বয়সে, আবুধাবির ইয়াং টাইমস ও জুনিয়র নিউজে। ইয়াং টাইমস এ নির্বাচিত লেখিকা হয়ে সামান্য পরিচিতি। এস এস সির পর দেশে ফিরে প্রথম বাংলায় লেখালেখি শুরু। পরবর্তীতে বৃহত্তর অঙ্গনে পদচারনা, নানান কাজে সংশ্লিষ্টতা এবং শিক্ষকতার সুবাদে নানা রঙ্গের অভিজ্ঞতা দিয়ে বোঝাই হয়েছে ঝুলি। সমাজের নানা সংগতি-অসংগতি নিয়ে ভাবনাটা আর দশজনের সাথে ভাগাভাগি করতে গিয়ে লেখালেখির বিস্তৃতি। � গ্রন্থ পর্যালোচনা : ----------------- বইটি রচিত হয়েছে ইসলামী শরীয়ায় যতগুলো বৈধ সম্পর্ক রয়েছে তারমধ্যে পবিত্র এবং অন্যতম একটি সম্পর্ক "বিয়ে" কে কেন্দ্রবিন্দু করে। বিয়ে যে শুধুমাত্র ছোট্ট একটি শব্দ নয় বরং তার সাথে জড়িয়ে আছে অনেক আশা, অনেক স্বপ্ন এবং তা যে শুধুমাত্র দুইজনের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয় বরং দুটি পরিবার কোন কোন ক্ষেত্রে দুটি গোষ্ঠীর সম্পর্ক নির্ণায়ক তা লেখিকা অত্যন্ত চমৎকার ভাবে তার লেখনিতে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছেন। লিখার বিভিন্ন অংশে লেখিকা বিয়ে নিয়ে মহান আল্লাহ্ তায়ালার বানী এবং মহানবী হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) বিভিন্ন হাদিসের উদৃতি টেনে বইটিতে দিয়েছেন অন্যমাত্রা। . বইটি ছোট হলেও বইটির প্রতিটি পাতায় ফুটে উঠেছে আমাদের সমাজের বিয়ে বিষয়ক বাস্তব চিত্র। . কিভাবে আমাদের সমাজের মেয়েরা বিয়ের পরে নতুন পরিবেশে যেয়ে নিজেকে প্রমানে ব্যার্থ হয়ে খেই হারিয়ে ফেলে অথবা স্বামী সংসার, শশুর শাশুড়ির মন জয় করতে না পেরে পরাজয় মেনে নিয়ে পৃথিবী থেকে হারিয়ে যায় তা তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন লেখিকা। . আমাদের পরিবারের শাশুড়িরা যে ভুলে যান তিনিও একদিন বউ ছিলেন, তিনিও অন্যের ছেলের উপর নিজের অধিকার খাটিয়েছেন অথচ তার ছেলের বউয়ের ক্ষেত্রে তা তিনি মেনে নিতে পারেন না! অন্যদিকে বেচারা শশুড়, যে কিনা পরিবারের নেতা হয়েও কতটা অসহায় তা চিত্রায়ন এবং এর সমাধানের চেষ্টা অত্যন্ত প্রশংসার দাবিদার। . বউ শাশুড়ির সম্পর্ক কেমন হওয়া উচিৎ, তাদের সম্পর্ক কি মা মেয়ের হওয়া সম্ভব নাকি রেষারেষি করেই জীবন শেষ করে দিবেন? বেচারা বউয়ের স্বামী এবং শাশুড়ির ছেলের অবস্থা দুজনের মাঝখানে পরে কতটা দুর্বিষহ হয়ে ওঠে তা সাবলীলভাবে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছেন। একজন ভাল স্ত্রী একটি পরিবারের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ এবং তার উপর তার স্বামীর ইহকাল এবং পরকাল কতটুকু নির্ভর করে লেখিকার লিখনিতে তা ফুটে উঠেছে। . বইটিতে পরবর্তী প্রজন্মের কথাও বলা হয়েছে, বিয়ে যে একটি বাগান এবং পরিবারের শাশুড়িদের পরবর্তী প্রজন্মের তথা বাগানের ফলের কথা চিন্তা করে হলেও কিভাবে সুন্দর পরিবার গড়ে তোলা উচিৎ তা লেখিকা সুন্দরভাবে তুলে ধরেছেন যা বইটিকে আরও প্রানবন্ত করেছে। . বইটিতে বাস্তবতার ঝুলি ও কল্পনার মিশেলে লেখিকার বিয়ে নিয়ে ১২ টি অত্যন্ত চমৎকার ও বাস্তবধর্মী কাহিনী বইটিতে এনেছে ভিন্নমাত্রা। এছাড়াও আমাদের পাত্রপাত্রী নির্বাচনে নিজেরা নিজেদের কিভাবে পন্য বানিয়ে ফেলি এবং বাইরের চাকচিক্যময় জীবন অথবা রুপ লাবণ্য অথবা পাত্রের বেতন দেখে পাত্রপাত্রী নির্বাচনে জীবনের গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়ে কতটা নির্বুদ্ধিতার পরিচয় দেই লেখিকা বিভিন্ন বাস্তবমুখি বিভিন্ন উদাহরণ টেনে সুন্দর সাবলীলভাবে বুঝানোর চেষ্টা করেছেন। . শুধুমাত্র চাকচিক্য, রুপ লাবণ্য, অর্থসম্পদ যে বিবাহিত জীবনে সুখ এনে দেয়না তা বইটির প্রতিটি পাতায় ফুটে উঠেছে! . প্রতিদিন খবরে নববধূর আত্মহত্যা অথবা গৃহবধূর আত্মহত্যার খবর পড়ে অনেকেই সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলে "যাহ বিয়েই করবো না!" আসলেই কি বিয়ে না করলেই নয়? বইটিতে সে বিষয়ের উপরেও কিছুটা আলোচনা করা হয়েছে। � বইটির বিশেষত্ব : --------------—-- বিয়ে সম্পর্কিত বইগুলো অধিকাংশই একপেশে হয়! হয় সাংসারিক অশান্তি অথবা শুধুমাত্র প্রেম ভালবাসা নির্ভর। অথচ এই বইটি সম্পূর্ণ ভিন্নধর্মী বই, এখানে যেমন স্বপ্নের কথা বলা হয়েছে সেইসাথে রয়েছে স্বপ্নভঙ্গের কথাও। বাস্তবতা, কল্পনা মিলেমিশে একাকার হয়ে গেছে। লেখিকার নিজের অভিজ্ঞতার মিশেলে বাস্তবধর্মি কাহিনীর মাধ্যমে সমাধানের চেষ্টা করা হয়েছে বিবাহসম্বন্ধীয় সমাজের নানান সমস্যার। যা বইটিকে দিয়েছে অন্যমাত্রা! � কাদের জন্য এই বইটি : ------------------ ১. করা দরকার তাই করলাম, সুন্দরী, ভালো বেতন, হ্যান্ডসাম, সম্পদশালী এসব দেখেই করলাম। আরে বিয়ের আগে একটু আধটু থাকেই এসব ঠিক হয়ে যাবে বিয়ের পরে! এই থিউরিতে যারা আছেন। ২.বিয়ে করবেন অথচ মানসিকভাবে প্রস্তুতি নিতে পারছেন না। ৩.নতুন শাশুড়ি হয়েছেন, ৪.নতুন শশুর হয়েছেন, ৫.নতুন পরিবেশে মানিয়ে নিতে কষ্ট হচ্ছে যাদের। � আপনার কেন বইটি পড়া উচিৎ : ------------------- ১.বিয়ে সম্পর্কে আপনার দৃষ্টি ভঙ্গির পরিবর্তন। ২.বিয়ের মুল উদ্দেশ্য সম্পর্কে জানতে। ৩.আদর্শ সুখী পরিবার গড়ে তুলতে। ৪.ইহকাল এবং পরকাল দুই জায়গায় সুখী হতে। ৫.বিয়ে যে কোন শান্তিচুক্তি নয় তা জানত। � প্রাপ্ত শিক্ষা : ------------------- বিয়ে একটি বাক্যের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, সুন্দরী হলেই যে ভাল মেয়ে অথবা বেতন ভাল হলেই যে মেয়ে সুখী হবে এসব ধ্যান ধারণা থেকে বের করে বিয়ে নিয়ে নতুন করে ভাবতে শেখাবে সেইসাথে বাস্তবধর্মি কাহিনী গুলো চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিবে উপরের চাকচিক্য আর অর্থসম্পদ জীবনে সুখ আনতে পারেনা। � মন্তব্য : ------------------- বিয়ে নিয়ে বাস্তবতা জানতে এবং বিবাহিত জীবনকে আরও অর্থবহ করতে ছোট্ট এই পুস্তিকা আপনাকে সহায়তা করবে অনেকখানি। বইটি পড়তে বসলেই আপনি কোথায় হারিয়ে যাবেন টের ই পাবেন না। বইটির প্রতিটি পাতায় ফুটে উঠবে আমাদের চারপাশের ঘটে যাওয়া বাস্তবতা, যা বইটি পড়ার শেষে তৃপ্তির ঢেকুর তুলে আপনাকে বলতে বাধ্য করবে আলহামদুলিল্লাহ। বইটি না পড়লে হয়তো অনেক অজানা অজানাই থেকে যাবে আপনার। বারাকাল্লাহু লানা ও লাকুম।
Was this review helpful to you?
or
বইঃ বিয়ে লেখকঃ রেহনুমা বিনতে আনিস। ইসলামের দৃষ্টিতে বিবাহ ও বৈবাহিক সম্পর্ক কিভাবে হবে সেই বিষয়ে বর্ণনা করা হয়েছে। বিয়ের জন্য নিজেকে মানসিকভাবে প্রস্তুত করে তুলতে বইটি আদর্শ। দাম্পত্য জিবনের যেমন কথা আছে তেমনি আছে অন্যান্য আত্মীয়স্বজনের কথা। এক কথায় অসাধারণ একটি ইসলামিক ধরণার বই।
Was this review helpful to you?
or
একদিন বই পড়ছিলাম। হঠাৎ আমার ন'বছর বয়সি ভাই আমার হাতে এই ‘বিয়ে’ নামক বইটি দেখে ভ্রু-যুগল কুঁচকে, চাপা হাসি মুখে বলছিল,‘কী আপু? কী বই পড়ছো? বিয়ের বই?’ কথাটি বলেই হা...হা... করে হেসে দিলো দৌড়। এতটুকু বাচ্চা কী ভেবে হেসে দিলো, কেনই-বা হেসে দিলো তার আগাগোঁড়া না বুঝতে পেরে তাঁকে ডেকে এনে বইটি থেকে ‘এক বেহেস্তি নারী’ গল্পটি বুঝিয়ে বুঝিয়ে পড়িয়ে শুনালাম। দেখলাম, তাঁর মুখটা কিছুটা ফ্যাকাশে হয়ে গেল। সে কিছুক্ষণ চুপ থেকে তারপর বলল, ‘আমি আমার স্কুল ড্রেস একলা পরতে পারি, সাইকেল চালাতে পারি, কিন্তু বাচ্চাটা পারে না!’ আলহামদুলিল্লাহ! ভাইটার ভেতর বইটি সম্পর্কে পজিটিভ থিংক জাগাতে পেরেছিলাম। অবসরে পড়ব বলে বইটি একদিন কলেজেও নিয়ে গিয়েছিলাম। ক্যাম্পাসে বসে বইটি খুলে পড়ছিলাম। এক বান্ধবী দেখে জিজ্ঞাসা করল, ‘দেখি তো মেহের কী বই পড়ছে!’ বইটির নাম দেখে একটু অবাক স্বরে বলল, ‘ওরে বাবারে! মাস্টার্স কমপ্লিট না করে এ শব্দ মুখেও নিতে চাই না।’ তাকে অনুরোধ করলাম, অন্তত একটি গল্প হলেও পড়ে দেখার জন্য। তখন সে আমার দিকে তাকিয়ে বলল, যেহেতু এটা হুমায়ুন আহমেদের কিংবা অন্য কোনো রাইটারের বই নয়, সেহেতু বইটি ভালোই বলে মনে করছে সে । তা ছাড়া পাঠক মেহের পড়ছে বলে তার বিশ্বাস বইটি খারাপ হতেই পারে না। সে ছাড়াও অনেকে বইটি দেখে অস্বাভাবিক এক দৃষ্টি নিক্ষেপ করে। যাহোক, ঘটনা দুটো বললাম ‘বিয়ে’ শব্দটায় মানুষের নেতিবাচক মনোভাব দেখে। আমার পিচ্চি ভাই না হয় ‘বিয়ে’ শব্দটি দেখে লজ্জা পেয়ে লুকিয়ে হাসি হেসেছে; কিন্তু বুঝবান মানুষগুলোর এমন আচরণ করার কারণ? তার কারণ হলো, বাংলা সাহিত্যে অবাধ ‘অশ্লীলতা’ নামক শব্দটির উপস্থিতি। যার কারণে ‘বিয়ে’ শব্দটি দেখে সমগ্র বইয়ের পাতা জুড়ে লুতুপুতু প্রেম-কাহিনি, অবশেষে বিয়ে; তেমন কিছুই ধরে নেয় অনেকে। অথচ, ‘বিয়ে’ শব্দটির সাথে জড়িয়ে থাকে কতগুলো মানুষের উপস্থিতি, ভালোবাসা, নানা রকম দায়িত্ব, কর্তব্য । লেখক অবৈধ প্রেম-কাহিনি বলতে বলতে সে সম্পর্ক এবং বিষয়গুলোর কথা অনেক ক্ষেত্রে চাপা পড়ে। তাই হয়তো... বইটি সম্পর্কে কিছু কথা বলি। বইটি পড়ে অখাদ্য-কুখাদ্য কিছুই পেলাম না; বরং ইসলামি সাহিত্য চর্চার জন্য বইটি গ্রহণযোগ্যতা অবশ্যই অত্যধিক। বইটির ঘটনাগুলো পড়ে আপনি বিবাহের মাধ্যমে সৃষ্ট আত্মীয়ের সম্পর্কগুলো কেমন হয়, তা জানতে পারবেন। বিয়ের জন্য যারা মানসিকভাবে প্রস্তুতি গ্রহণ করছেন, তাদের সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য একবার হলেও বইটি পড়া প্রয়োজন। যদি আপনি একজন মা, স্ত্রী কিংবা বাবা অথবা স্বামী হয়ে থাকেন, তবে আপনারও বইটি পড়া উচিত। বুঝতে পারবেন, আপনার বৌমা কতটা মানসিক চাপের মধ্যে থাকে। তার উপর এমন অসহনীয় আচরণ করা আদৌ উচিত কি না? বইটির প্রতিটি গল্পের ইন্ডিংগুলো ছিল অনেক ক্ষেত্রে মিলনাত্মক ও প্রশান্তিদায়ক। আমার কাছে এই বইটির ‘অনেক ভালো লেগেছে’ এমন গল্প হলো- ‘হঠাৎ বিয়ে’, ‘একজন বেহেস্তি নারী’ আর সবার শেষের গল্প ‘অনন্ত পথের সাথি’ গল্পটি। আরও অনেক আছে। যেগুলো মিলেই বইটির প্রতি ভালোলাগা সৃষ্টি হয়েছে । ভালো লাগার মতোই একটি বই ‘বিয়ে’।
Was this review helpful to you?
or
বিয়ে হল আল্লাহর একটি নির্দেশ।এ নির্দেশ এর ফল হল এক জোড়া মানব দম্পতি। একটি দেশ টিকে থাকে ন্যায়বিচারের উপর ঠিক তেমনি একটি মানব সভ্যতা টিকে থাকে নারী-পুরুষের সুস্থ সম্পর্কের উপর। নারী- পুরুষের সুস্থ সম্পর্কের এক মাত্র বৈধ ভিত্তি হল বিবাহ। যে জাতি বৈবাহিক পবিত্রতা রক্ষা করে ,তারা উন্নত সভ্যতা নির্মানে এগিয়ে থাকে। ইসলামে এ বিষয়ে অনেক নির্দেশ আছে। বইটিতে আধুনিক সমাজ ও রসম রেওয়াজের নামে কিভাবে মানুষের জীবনকে জটিল ও কুঠিল করেছে, যে দম্পতি গড়ে উঠে সুখের আশায় সেখানে আসে দুঃখের বন্যা। এর কারণ কি? লেখক এই বইটিতে বিবাহ পুর্ব ও পরবর্তী বিভিন্ন বাস্তব ঘটান তুলে ধরেছেন , দেখিয়েছেন নারী ও পুরুষ কিভাবে ভুল চিন্তা ও ভুল পথ বেছে নিয়েছেন আর তার ফল দাম্পত্য অশান্তি। এ থেকে উত্তরণের পথ দেখিয়েছে , গল্পের আদলে লেখা ভিন্ন মাত্রার এই বইটি বিবাহিত ও অবিবাহিত , বাবা-মা সকল কে চিন্তার জায়গায় নতুন করে ভাবতে শিখাবে।
Was this review helpful to you?
or
নব দম্পত্তির জন্য মাস্ট রিড একটি বই এই বই টি ।
Was this review helpful to you?
or
আমরা হাজবেন্ড- ওয়াইফ বইটি পড়ে দাম্পত্য জীবনে কিভাবে জীবনকে ইসলামের রংগে রাংগাতে হয় কিছুটা হলেও অনুধাবন করতে পারলাম।ধন্যবাদ কর্তৃপক্ষকে।
Was this review helpful to you?
or
Great
Was this review helpful to you?
or
খুব সুন্দর
Was this review helpful to you?
or
MasaAllah, Good books. :)
Was this review helpful to you?
or
এক কথায় অসাধারণ
Was this review helpful to you?
or
বিয়ে বইটা অসাধারণ। সবারই উচিত এটা পড়া।
Was this review helpful to you?
or
good
Was this review helpful to you?
or
বিয়ে এবং সংসার জীবন নিয়ে বাস্তব সম্মত কিছু উপদেশ এই বইটাতে তুলে ধরা হয়েছে।
Was this review helpful to you?
or
very good
Was this review helpful to you?
or
Golpo gulo valo legeche.. onek dik diye futiye tola hoyeche.
Was this review helpful to you?
or
বলতে গেলে খুব বেশিই ভালো লেগেছে
Was this review helpful to you?
or
বইটি প্রথমে একটু ভাল না লাগতেও পারে । কেননা প্রথম দিকের ব্যাপার গুলো আমাদের সরারচর জানাই থাকে । তবে পুরো বইটা পরে অনন্য আরো বিষয় আছে যা আমাদের জানা অজানা সে বিষয়গুলো খুব সুন্দর করেই ফুটিয়ে তোলা হয়েছে । তবে প্যারাডক্সিকাল সাজিদ , ফেরা এসব বই পড়ার পর এই বই পড়ে কিছুটা ভাল না লাগার কারন থেকেই যায় আমার মতে ।
Was this review helpful to you?
or
Good.
Was this review helpful to you?
or
বই টা ভালো, অনেক ভালো। তবে খুব প্রাথমিক লেভেলের জ্ঞান পাওয়া যাবে বইটা পড়ে৷ কারণ, আমার মাঝে নূন্যতম মনুষ্যত্ব বোধ যদি থেকে থাকে তাহলে অটোমেটিক আমি বুঝতে পারব স্বামী, শ্বশুর - শাশুড়ীকে কিভাবে গ্রহন করতে হবে এবং কিভাবে তাদের সাথে বিহেভ করতে হবে৷ বিপরীত ভাবে আমিও একদিন শাশুড়ী, ননদ, বিয়ানী হব তখন আমার কি করা উচিত। বইটা আরো একটু গোছালো হলে ভালো হত৷
Was this review helpful to you?
or
বইয়ের নামঃবিয়ে লেখকঃরেহনুমা বিনতে আনিস প্রকাশনীঃগার্ডিয়ান পাবলিকেশন্স মূল্যঃ১৭৫টাকা লেখিকা রেহনুমা বিনতে আনিসের খুবই সাবলীল ভাষায় রচিত এ বইটিতে তিনি বিয়ের গুরুত্ব এবং বিয়ে প্রকৃত অর্থ ও উদ্দেশ্য তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন।সাধারন দিক বিবেচনা করে বইটি নারীদের জন্যে তুলনামূলক বেশী গুরুত্বপূর্ন বলে আমার মনে হয়েছে। আমাদের দেশে বিয়েতে মেয়েদের মতামত কিংবা বিয়ে সম্পর্কে ধারন খুবই সীমিত। লেখিকা এই দিকটি বিশেষ ভাবে আলোকপাক করার চেষ্টা করেছেন। ছোট ছোট গল্পের মাধ্যেমে বিভিন্ন সমস্যা ও তার সমাধান তুলে ধরেছেন। পরিশেষে, বইটি পড়ার পর বিয়ে সম্পর্কে লো ধারণা সৃষ্টি হবে।বইটি আমার কাছে বিষয় ভিত্তিকভাবে সমৃদ্ধ মনে হয়েছে।
Was this review helpful to you?
or
Good stories with some lame stories..... :)
Was this review helpful to you?
or
বিয়ে একটি সামাজিক বন্ধন। বিবাহ জীবনে একজন স্ত্রী স্বামীর মধ্যকার যে দায়িত্ব থাকে এবং পারিবারিক যে বন্ধন থাকে তা তুলে ধরা হওয়েছে। একজন স্বামীর কি কি দায়িত্ব থাকে স্বামী হিসেবে এবং একজন স্ত্রীর কি কি দায়িত্ব থাকে স্ত্রী হিসেবে তা বর্ননা করা হয়েছে।।
Was this review helpful to you?
or
বইটি পড়ে অখাদ্য-কুখাদ্য কিছুই পেলাম না; বরং ইসলামিক সাহিত্য চর্চার জন্য বইটি গ্রহণযোগ্যতা অবশ্যই অত্যধিক। বইটির ঘটনাগুলো পড়ে আপনি বিবাহের মাধ্যমে সৃষ্ট আত্মীয়ের সম্পর্কগুলো কেমন হয় তা জানতে পারবেন। বিয়ের জন্য যারা মানসিকভাবে প্রস্তুতি গ্রহণ করছেন, তাদের সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য একবার হলেও বইটি পড়া প্রয়োজন। আপনি যদি একজন মা, স্ত্রী কিংবা বাবা, স্বামী হয়ে থাকেন তবে আপনিও বইটি পড়বেন। বুঝতে পারবেন, আপনার বৌমা কতটা মানুসিক চাপের মধ্যে থাকে। তার উপর এমন অসহনীয় আচরণ করা আদৌ উচিত কি না?! . বইটির প্রতিটি গল্পের ইন্ডিংগুলো ছিল অনেক ক্ষেত্রে মিলনাত্মক এবং প্রশান্তিদায়ক। আমার কাছে এই বইটির 'অনেক ভালো লেগেছে' এমন গল্প হলো- 'হঠাৎ বিয়ে', "একজন বেহেস্তি নারী" আর সবার শেষের গল্প "অন্ত পথের সাথি" গল্পটি। আরও অনেক আছে । যেগুলো মিলেই; ঘটনাপ্রবাহ ভালো লেগেছে বলে সাথে সাথে ভালোলাগা সৃষ্টি হয়েছে বইটির প্রতি। ভালো লাগার মতোই একটি বই এটি।
Was this review helpful to you?
or
ই রিভিউ : বিয়ে লেখিকা: রেহনুমা বিনত আনিস --------------------------------------------------- রিভিউ লেখক: আরিফুল ইসলাম বইয়ের নাম: বিয়ে লেখিকাঃ Rehnuma Bint Anis প্রকাশনী: গার্ডিয়ান পাবলিকেশন্স Guardian Publications মুদ্রিত মূল্য: ২৫০ টাকা। ---------------------------------------------------- বই পড়ার জন্য আমার প্রিয় জায়গা রেস্টুরেন্ট । ২১ তলার উপরে নিরবে নির্বিঘ্নে বই পড়া যায়, সাথে ইচ্ছামতো চা-কফি খাওয়া তো যায়ই। নিচ থেকে যানবাহনের কিছুটা টুংটাং আওয়াজ আসে, বই পড়তে ক্লান্তি লাগলে রেস্টুরেন্টের ছাদের উপর থেকে আলোয় জ্বলমল ঢাকা শহর দেখে অবসাদ মিলে। তাই বই পড়ার জন্য রেস্টুরেন্টই আমার প্রিয়। তার ওপর এই বইটা ক্লাসে গিয়ে, লাইব্রেরিতে নিয়ে কিংবা রুমে বসে যে পড়বো সেটাও করা সম্ভব হয়নি। একটু পর পর একেকজন বইয়ের কাভার আর নাম দেখে হাতে নিয়ে জিজ্ঞেস করে, "বিয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছো নাকি?" কারো বিয়ের খবর শুনলেই প্রথমে মনে প্রশ্ন জাগে, 'কনে দেখতে কেমন?' কিংবা 'বর কি করে?' অথচ বৈজ্ঞানিক-অবৈজ্ঞানিক সমস্ত জরিপের ফলাফলে দেখা যায়, বৈবাহিক জীবনে সুখের ক্ষেত্রে সৌন্দর্যের ভূমিকা বড়জোর ছ'মাস থেকে একবছর। আর অনেক ধনী মানুষ মুহূর্তে সব হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছেন এমন উদাহারণও আছে। অথচ ক্ষণস্থায়ী এই দুটো গুণ কিভাবে বিয়ের মতো একটা চিরস্থায়ী বন্ধনের মূল ক্রাইটেরিয়া হয়? যেখানে ছেলের চরিত্র, মেয়ের চরিত্র উপেক্ষা করে বাহ্যিক গুণগুলো প্রাধান্য লাভ করে এমন একটা সম্পর্কের ক্ষেত্রে যে সম্পর্ক সম্পর্কে বলা হয়েছে 'পোশাকস্বরূপ।’ এমন অনেক সুন্দরী বউ আছে যার চাহিদা পূরণের জন্য স্বামীকে ঘুষ খেতে হয়। আর এমন অনেক দাড়ি-টুপিওয়ালা স্বামীও আছেন যারা সুন্দরী স্ত্রীকে প্রদর্শনীর সামগ্রীতে পরিণত করে রাখেন । এটিকে কি ভালোবাসা বা পারিবারিক সম্প্রীতি বলা যায়? অথচ অনেক দরিদ্র পরিবারেও দেখা যায়, বড় মাছ এনে স্বামী-স্ত্রী মিলে গল্প করতে করতে কাটান, সেখানে 'প্রেমের উৎসব' বয়ে যায়। কনের পিতা কন্যার বিয়ের দিন সবকিছু উজার করে কন্যাকে দিতে চান । সব ভালোবাসা যে বিয়ের দিনই দিয়ে দিতে হবে এমন তো কোনো কথা নাই । আর যে বরপক্ষ বিয়ের আগেই যৌতুক তথা 'উপহার সামগ্রী' চেয়ে কনের পিতাকে হেনস্তা করে ফেলে, বিয়ের পর সেই ঘরে মেয়ে কতোটাই বা সুখী হতে পারবে? এইসব প্রশ্নের উত্তর কনের বাবাকে মেয়ে বিয়ে দেবার আগেই হিসেবে মিলাতে হবে, চোর পালালে বুদ্ধি বাড়তে পারে কিন্ত কন্যাকে একবার বিয়ে দিলে সেই চোর পালানোর পর বুদ্ধি আর কোনো কাজে আসবেনা । বিয়ের পর আমাদের দেশে একটা প্রচলিত অভ্যাস দেখা যায় স্ত্রীর নামের শেষে স্বামীর নাম জুড়ে দেওয়া কিংবা স্ত্রীর নামের আগে মিসেস বলে স্বামীর নাম লাগানো (যেমন :মিসেস রহমান) । অথচ পৃথিবীর সবচেয়ে ভালো স্বামী হিসেবে পরিচিত রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহিসালাম এর স্ত্রীদের নামের সাথে কি এমন বলা হয় মিসেস আয়েশা মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহিসালাম ? বরং তাঁর নাম বিয়ের আগে পরে আয়েশা বিনতে আবু বকরই ছিলো । স্বামীর সাথে সম্পর্ক একটা শব্দ তিনবার উচ্চারণ করলে পরিবর্তন হয়ে যায়। কিন্ত বাবার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন হয়না। এই অনুচ্ছেদটি লেখিকা অনেক সুন্দর একটা শিরোনামে লিখেছেন, 'অনেক কিছু আসে যায়।’ বইটির মোট অনুচ্ছেদ ২২ টি। প্রথম ৮ টি অনুচ্ছেদ লেখিকার বিভিন্ন অভিজ্ঞতা নিয়ে। পরের ১৪ টি অনুচ্ছেদ বিয়ে নিয়ে কয়েকটি সুন্দর গল্প নিয়ে। অভিজ্ঞতা নিয়ে লিখা অনুচ্ছেদগুলোর শিরোনামও চিত্তাকর্ষক । লেখিকার আগের একটা বই পড়েছিলাম 'নট ফর সেল' নামে। বইটার নাম যেমন চিত্তাকর্ষক বইয়ের শিরোনামও ছিলো চিত্তাকর্ষক (যেমন : আমার মা কেন বিশ্বসুন্দরী নয়?) । এই বইটার অনুচ্ছেদের শিরোনামগুলোও আমার ভালো লেগেছে । যেমন : প্যাকেট না প্রোডাক্ট? ভালো বর পেতে হলে তুমি ছিলে গো মোর প্রার্থনায় বিয়ে না হলে নাইবা হলো অনেক কিছু আসে যায় প্রতিটা ফোঁড়েই জীবন প্রত্যুষের প্রত্যাশা। শেষের দিকে গল্পগুলো স্রেফ গল্প নয়, আমাদের সমাজের বাস্তবতা । কখনো বউ-শ্বাশুড়ির দা-কুমড়ো সম্পর্ক। কখনো আবার বউ-শ্বাশুড়ির মিষ্টি সম্পর্ক, বউমাকে নিজের মেয়ের মতো আগলিয়ে রাখার সম্পর্ক। আবার কখনো স্বামীর পরকীয়ার সম্পর্ক নিয়ে লেখিকা এখানে স্ত্রীর ভূমিকা কি হওয়া উচিত ছিলো সেটাও গল্পের মাধ্যমে তুলে ধরেছেন । কিছু বই আছে যেগুলো বিপ্লব আনতে পারে । বিয়ে বইটাও আশা করি বিপ্লব আনবে । বিয়ে নিয়ে সমাজের কুসংস্কারগুলো দূর হবে, প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়া স্বত্তেও ছেলেদেরকে বিয়ে দিতে বাবা-মা দ্বিমত করবেনা, পাত্র-পাত্রী নির্বাচনেও বস্তুকেন্দ্রীক মনোভাবের পরিবর্তন আসবে । সর্বোপরি সমাজের মধ্যে বিয়ে প্রথা যেরকম হওয়া উচিত সেরকম হওয়ার পথে বইটা পাথেয় হতে পারে এই আশা করি।
Was this review helpful to you?
or
একদিন বই পড়ছিলাম। হঠাৎ আমার ন'বছর বয়সি ভাই আমার হাতে এই ‘বিয়ে’ নামক বইটি দেখে ভ্রু-যুগল কুঁচকে, চাপা হাসি মুখে বলছিল,‘কী আপু? কী বই পড়ছো? বিয়ের বই?’ কথাটি বলেই হা...হা... করে হেসে দিলো দৌড়। এতটুকু বাচ্চা কী ভেবে হেসে দিলো, কেনই-বা হেসে দিলো তার আগাগোঁড়া না বুঝতে পেরে তাঁকে ডেকে এনে বইটি থেকে ‘এক বেহেস্তি নারী’ গল্পটি বুঝিয়ে বুঝিয়ে পড়িয়ে শুনালাম। দেখলাম, তাঁর মুখটা কিছুটা ফ্যাকাশে হয়ে গেল। সে কিছুক্ষণ চুপ থেকে তারপর বলল, ‘আমি আমার স্কুল ড্রেস একলা পরতে পারি, সাইকেল চালাতে পারি, কিন্তু বাচ্চাটা পারে না!’ আলহামদুলিল্লাহ! ভাইটার ভেতর বইটি সম্পর্কে পজিটিভ থিংক জাগাতে পেরেছিলাম। অবসরে পড়ব বলে বইটি একদিন কলেজেও নিয়ে গিয়েছিলাম। ক্যাম্পাসে বসে বইটি খুলে পড়ছিলাম। এক বান্ধবী দেখে জিজ্ঞাসা করল, ‘দেখি তো মেহের কী বই পড়ছে!’ বইটির নাম দেখে একটু অবাক স্বরে বলল, ‘ওরে বাবারে! মাস্টার্স কমপ্লিট না করে এ শব্দ মুখেও নিতে চাই না।’ তাকে অনুরোধ করলাম, অন্তত একটি গল্প হলেও পড়ে দেখার জন্য। তখন সে আমার দিকে তাকিয়ে বলল, যেহেতু এটা হুমায়ুন আহমেদের কিংবা অন্য কোনো রাইটারের বই নয়, সেহেতু বইটি ভালোই বলে মনে করছে সে । তা ছাড়া পাঠক মেহের পড়ছে বলে তার বিশ্বাস বইটি খারাপ হতেই পারে না। সে ছাড়াও অনেকে বইটি দেখে অস্বাভাবিক এক দৃষ্টি নিক্ষেপ করে। যাহোক, ঘটনা দুটো বললাম ‘বিয়ে’ শব্দটায় মানুষের নেতিবাচক মনোভাব দেখে। আমার পিচ্চি ভাই না হয় ‘বিয়ে’ শব্দটি দেখে লজ্জা পেয়ে লুকিয়ে হাসি হেসেছে; কিন্তু বুঝবান মানুষগুলোর এমন আচরণ করার কারণ? তার কারণ হলো, বাংলা সাহিত্যে অবাধ ‘অশ্লীলতা’ নামক শব্দটির উপস্থিতি। যার কারণে ‘বিয়ে’ শব্দটি দেখে সমগ্র বইয়ের পাতা জুড়ে লুতুপুতু প্রেম-কাহিনি, অবশেষে বিয়ে; তেমন কিছুই ধরে নেয় অনেকে। অথচ, ‘বিয়ে’ শব্দটির সাথে জড়িয়ে থাকে কতগুলো মানুষের উপস্থিতি, ভালোবাসা, নানা রকম দায়িত্ব, কর্তব্য । লেখক অবৈধ প্রেম-কাহিনি বলতে বলতে সে সম্পর্ক এবং বিষয়গুলোর কথা অনেক ক্ষেত্রে চাপা পড়ে। তাই হয়তো... বইটি সম্পর্কে কিছু কথা বলি। বইটি পড়ে অখাদ্য-কুখাদ্য কিছুই পেলাম না; বরং ইসলামি সাহিত্য চর্চার জন্য বইটি গ্রহণযোগ্যতা অবশ্যই অত্যধিক। বইটির ঘটনাগুলো পড়ে আপনি বিবাহের মাধ্যমে সৃষ্ট আত্মীয়ের সম্পর্কগুলো কেমন হয়, তা জানতে পারবেন। বিয়ের জন্য যারা মানসিকভাবে প্রস্তুতি গ্রহণ করছেন, তাদের সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য একবার হলেও বইটি পড়া প্রয়োজন। যদি আপনি একজন মা, স্ত্রী কিংবা বাবা অথবা স্বামী হয়ে থাকেন, তবে আপনারও বইটি পড়া উচিত। বুঝতে পারবেন, আপনার বৌমা কতটা মানসিক চাপের মধ্যে থাকে। তার উপর এমন অসহনীয় আচরণ করা আদৌ উচিত কি না? বইটির প্রতিটি গল্পের ইন্ডিংগুলো ছিল অনেক ক্ষেত্রে মিলনাত্মক ও প্রশান্তিদায়ক। আমার কাছে এই বইটির ‘অনেক ভালো লেগেছে’ এমন গল্প হলো- ‘হঠাৎ বিয়ে’, ‘একজন বেহেস্তি নারী’ আর সবার শেষের গল্প ‘অনন্ত পথের সাথি’ গল্পটি। আরও অনেক আছে। যেগুলো মিলেই বইটির প্রতি ভালোলাগা সৃষ্টি হয়েছে । ভালো লাগার মতোই একটি বই ‘বিয়ে’।