User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
নতুন কিছু খুঁজে পাইনি। পুনরাবৃত্তিমূলক গল্প বলা। কখনও কখনও এটি বাস্তব ইতিহাসের চেয়ে ব্যক্তিগত মতামত অনুভূত হয়।
Was this review helpful to you?
or
Very Very Informative & Good One
Was this review helpful to you?
or
বইটি কিনবো ভাবছি। কিন্তু নেগেটিভ রিভিউ দেখে বিরক্ত। মাসুদ কামাল বইটি পড়েছেন তো ভালোভাবে?
Was this review helpful to you?
or
পঁচাত্তর থেকে একাশি বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের মোড় ঘুরিয়ে দেওয়া নানা ঘটনার সাক্ষী৷ দুইজন রাষ্ট্রপতি হত্যা, অসংখ্যবার সেনাবিদ্রোহ ইত্যাদি কলঙ্কজনক অধ্যায়ের পরিসমাপ্তি জেনারেল জিয়ার হত্যার মূল 'অভিযুক্ত' মেজর জেনারেল আবুল মঞ্জুরের মতো সাহসী মুক্তিযোদ্ধা ও চৌকস সেনাপতির ধোঁয়াশাচ্ছন্ন মৃত্যুকে কেন্দ্র করে। আবুল মঞ্জুরের হত্যাকান্ড তখনও দেশের রাজনীতিকে দারুণভাবে প্রভাবিত করেছিল৷ এখনও মঞ্জুর হত্যা মামলার রায়ের টোপ বাংলাদেশের ক্ষমতার রাজনীতিতে অনেক বড় ফ্যাক্টর।১৯৮১ সালের ৩০ মে মধ্যরাতে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে জিয়াউর রহমান নিহত হন সেনাবাহিনীর কতিপয় মাঝারি কর্মকর্তার হাতে।এখানে চট্রগ্রামের তৎকালীন জিওসি ( জেনারেল অফিসার ইন কমান্ডিং) মেঃ জেঃ আবুল মঞ্জুরের ভূমিকা কি ছিল? মঞ্জুরের মতো চৌকস সেনাপতি কেন ভাবলেন চট্টগ্রাম থেকে ক্যু পরিচালনা করে ক্ষমতা দখল সম্ভব? রাষ্ট্রপতির সাথে শেষ সময়ে কেন এলেন না তৎকালীন সেনাপ্রধান এরশাদ - এসব প্রশ্নের সাধারণী উত্তরের অন্তরালের জবাবের সন্ধান করেছেন অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা মোঃ নূরুল আনোয়ার। মঞ্জুর, জিয়া কিংবা এরশাদ - এ ত্রয়ী সম্পর্কে ন্যূনতম ধারণা না থাকলে ঘটনা বোঝা সম্ভব নয়। এজন্যই হয়তো এই তিনজনকে নিয়ে অধ্যায়ভিত্তিক লেখা সাজিয়েছেন নূরুল আনোয়ার। আবুল মঞ্জুরের জন্ম বাংলাদেশে হলেও বেড়ে ওঠা, পড়াশোনা দুটোই পশ্চিম পাকিস্তানে৷ একইকথা খাটে জিয়া সম্পর্কেও৷ তিনি তাঁর স্বাধীনতা যুদ্ধ পূর্ববর্তী সময়ের প্রায় সবটাই কাটিয়েছেন পশ্চিম পাকিস্তানে। এদিক দিয়ে দুইজনই পশ্চিম পাকিস্তানের হাবভাব ভালো বুঝতেন বাংলাদেশের চে' তা বলাই যায়। কিন্ত জিয়া ও মঞ্জুর হত্যার সবচেয়ে বড় সুবিধাভোগী এরশাদ কিন্তু বাংলাদেশেই বেড়ে উঠেছেন। যদিও জন্ম ভারতের কুচবিহারে। বাংলাদেশের সেনাবাহিনীতে এর উত্থান সবদিক থেকেই চমকপ্রদ। স্বাধীনতা সংগ্রামের পুরো সময়টিই পাকিস্তানে কাটিয়ে ১৯৭৩ সালে দেশে ফিরে ভারতে চলে যান প্রশিক্ষণে। এরপর, " ১৯৭৬ সালে ডবল প্রমোশন নিয়ে জেনারেল এরশাদের ঢাকা আগমন। আগমনের পরপরই ক্যান্টনমেন্টে সিপাইদের মধ্যে তার মতো এক অখ্যাত অফিসারের এক বছরে ডবল প্রমোশনের বিষয়ে তখনই যথেষ্ট উষ্মার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। " আসলে এরশাদের মতো অমুক্তিযোদ্ধা কর্মকতাদের সেনাবাহিনীতে জাঁকিয়ে পুনর্বাসনের বিষয়টিতেই জিয়ার শাসনামলে বারবার ক্যু এবং পরিণতিতে স্বয়ং জিয়ার মৃত্যুর মূল গ্রোথিত। নিজে একজন বীরউত্তম হয়ে সেনাবাহিনীতে দলভারি করার সুবর্ণ সুযোগ দিয়েছিলেন জিয়া। জিয়ার মরদেহ যে সেনাকর্মকর্তা মোজাফফর প্রথমে গোপনে কবর দিয়েছিলেন তার সাক্ষ্য, " জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় আসার পরই তার মুক্তিযুদ্ধের অতীত থেকে সরে যেতে শুরু করলেন। সামরিক বাহিনীর ভেতরে থাকা অমুক্তিযোদ্ধা এবং পাকিস্তান ফেরত সামরিক অফিসাররা তার খুব কাছের লোক হয়ে দাঁড়াল। আর সুবিধাবাদী অমুক্তিযোদ্ধারাও জিয়ার এই দুর্বলতাকে কাজে লাগিয়ে তাদের হীন স্বার্থ হাসিল করে চলেছিল৷ " ২৪ মে, ১৯৮১ ইরাক ইরান যুদ্ধে সমাঝোতার জন্য জেদ্দা যেতে চেয়েছিলেন জিয়া৷ কিন্ত তা স্থগিত হলে রাজশাহী সফরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন৷ ইতিমধ্যে চট্টগ্রামে বিএনপির দলীয় কোন্দল চরম আকার ধারণ করে। তা মেটাতেই হঠাৎ চট্টগ্রাম সফরের আয়োজন জিয়ার৷ চট্টগ্রামের জিওসি আবুল মঞ্জুরের সাথে সম্পর্ক ঠিক ব্যাটে বলে যাচ্ছিল না জিয়ার।ইস্যু ঐ মুক্তিযোদ্ধা-অমুক্তিযোদ্ধা দ্বন্দ্ব। আবার সেনাপ্রধান পদের দাবিদার আবুল মঞ্জুরকে সেনাপ্রধান না বানিয়ে এরশাদকে সেনাপ্রধান বানানো এবং মঞ্জুরকে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে বদলির বিষয়টিও তিক্ততা বাড়িয়েছিল জিয়া ও মঞ্জুরের মাঝে। এমনকি ঢাকায় বিদায়ী ভোজসভায় সস্ত্রীক অনুপস্থিত থেকে এর জানানও দেন মঞ্জুর। চট্টগ্রামে যাওয়ার মাত্র চারদিন আগে মঞ্জুরকে ঢাকায় তুলনামূলক কম গুরুত্বপূর্ণ পদে বদলি করে দেওয়া হয়৷ এবং সাথে সাথে তাকে ঢাকায় যোগদানের আদেশও দেন জিয়া। আরও জানানো হয়, রাষ্ট্রপতি চট্টগ্রামে এলে তাকে যেন অভ্যর্থনা জানাতে মঞ্জুর না যান৷ কিন্তু জিয়া পতেঙ্গা বিমানবন্দরে নেমেই আগে চানতে চান মঞ্জুর কেন আসেন নি?রাষ্ট্রপতি এলেন অথচ সেনাপ্রধান এলেন না কেন? আরও কৌতূহলউদ্দীপক তথ্য হল জিয়াকে যে সেনাকর্মকর্তা মতি গুলি করে হত্যা করে, সেই মেজর মতি ও এরশাদ, " হত্যাকান্ডের চারদিন আগে চট্টগ্রামে মতির সাথে হিলটপ মেসে এরশাদের দু'ঘন্টা অন্তরঙ্গ পরিবেশে আলোচনা হয়েছিল৷ " সকল প্রটোকল ভেঙে জুনিয়র এক কর্মকর্তার সাথে কি এমন আলাপ করেছিলেন সেনাপ্রধান এরশাদ? আরও ভাববার বিষয় জিয়াকে হত্যার পরিকল্পনা ছিল না বিদ্রোহীদের। ঘটনা যা ঘটে, " বিদ্রোহী অফিসারদের নজট জিয়ার ওপর। জিয়াকে গ্রেফতারের দায়িত্বপ্রাপ্ত লে. মোসলেহউদ্দিন থতমত খেয়ে যায়, সেই মুহূর্তে আকস্মিকভাবে উপস্থিত হওয়া লে. কর্নেল মতির আগ্নেয়াস্ত্র গর্জে উঠল। " এখনও প্রশ্ন জাগে অযাচিতভাবে কেন গুলি করতে গেলেন মতি?
Was this review helpful to you?
or
বড় আগ্রহ নিয়ে বইটি পড়া শুরু করেছিলাম। কিন্তু হতাশ হলাম। নতুন তেমন কোন তথ্যই নেই। বাজারে থাকা বিভিন্ন জনের লেখা বই থেকে তথ্য নিয়ে এখানে এলোমেলো ভাবে বসিয়ে দেয়া হয়েছে। এটা করতে যেয়ে কোথাও কোথাও দু'তিন পৃষ্ঠা পর্যন্ত হুবহু মেরে দেয়ার ঘটনা ঘটেছে। লেখক ভদ্রলোক পুলিশের শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা ছিলেন। আশা করেছিলাম, উনি বোধকরি তার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার কিছু কথা এখানে বলবেন। কিন্তু সেরকম কিছু পাইনি। বইটির সম্পাদনার মানও খুবই নিম্ন। ফলে একই তথ্য একাধিক জায়গায় চলে এসেছে, ধারাবাহিকতা ক্ষুণ্ন হয়েছে। নেতিবাচক কথা বলতে হলো বলে দুঃখিত। আসলে একটু বেশি প্রত্যাশাটা ছিল বলেই হয়তো লিখলাম।
Was this review helpful to you?
or
সম্প্রতি প্রকাশিত ‘মেজর জেনারেল মঞ্জুর হত্যাকাণ্ড—দুর্যোধনটি কে?’ বইয়ে এ তথ্য দিয়েছেন বইটির লেখক সাবেক আইজিপি মো. নূরুল আনোয়ার।বইয়ে চট্টগ্রামের তৎকালীন পুলিশ সুপার শেখ মারুফুল ইসলামের লেখা একটি চিঠি রয়েছে। তৎকালীন এআইজি ওয়ালিউর রহমান গাজীকে লেখা চিঠিটি জেনারেল মঞ্জুরের লাশ দাফনসংক্রান্ত। চিঠিতে বলা হয়, তৎকালীন ব্রিগেডিয়ার আজিজ নিহত মঞ্জুরের লাশ আইনানুগ ব্যবস্থা ছাড়াই চট্টগ্রামের যেকোনো কবরস্থানে দাফন করার অনুরোধ করেছিলেন।নূরুল আনোয়ারের বই থেকে জানা যায়, মঞ্জুরের লাশ দাফন করতে হলে লাশের সুরতহাল প্রতিবেদনসহ কিছু নিয়ম মেনে করতে হবে বলে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়। এরপর ব্রিগেডিয়ার আজিজ ময়নাতদন্ত করার পর সেনানিবাসেই মঞ্জুরকে কবর দেওয়ার নির্দেশ দেন। এর আগে তৎকালীন সেনাপ্রধানের সম্মতি নেওয়া হয়। পরে সেনাবাহিনীর সদস্যরাই কবর দেন। তবে লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন করা হয়নি। একটি মৃত্যু সনদ তৈরি করা হয়েছিল।পুলিশের সহকারী ইন্সপেক্টর জেনারেলকে ৩ জুন, ১৯৮১ তারিখে এক চিঠিতে এসপি শেখ মারুফুল ইসলাম লেখেন, ‘০২.০৬.১৯৮১ সালে ১১টার সময় আমি, ডিআইজি চট্টগ্রাম, পুলিশ কমিশনার চট্টগ্রাম ও ডিসি চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারের সঙ্গে এক সভা করছিলাম। চট্টগ্রাম ক্যান্টনমেন্ট থেকে ব্রিগেডিয়ার আজিজ ফোনে বিভাগীয় কমিশনারকে বলেন, চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি ও এসপিকে তাত্ক্ষণিকভাবে তাঁর দপ্তরে গিয়ে জেনারেল মঞ্জুরের লাশ দাফনসংক্রান্ত বিষয়ে কথা বলার জন্য দেখা করতে হবে। আমরা সিদ্ধান্ত নেই, পুলিশের কাছে লাশ হস্তান্তর করলে আমরা আইনানুগ প্রক্রিয়া ছাড়া লাশ দাফন করব না। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আমরা সেনানিবাসে ব্রিগেডিয়ার আজিজের সঙ্গে দেখা করি। ব্রিগেডিয়ার আজিজ আমাদেরকে জেনারেল মঞ্জুরের লাশ গ্রহণ করার অনুরোধ করেন। আমরা তাঁকে জানাই, আইনগত প্রক্রিয়া ছাড়া আমরা লাশ দাফন করতে পারব না। তখন ব্রিগেডিয়ার আজিজ বলেন, কত লাশই তো আইনগত প্রক্রিয়া ছাড়া দাফন হয়। কিন্তু আমরা আইনের দিকটি তুলে ধরি। পরে ব্রিগেডিয়ার জানান, তিনিই লাশ দাফনের ব্যবস্থা নেবেন।’