Our User Product Reviews

নিঃসন্দেহে অসাধারণ একটি বই। অনুবাদ খুবই ভালো, বইয়ের অনুবাদক রাকিবুল রকি কে অসংখ্য ধন্যবাদ।

আমার পড়া এ পর্যন্ত সেরা একটি বই?

it is one of the best book.

⭐⭐⭐⭐⭐

Exquisitely written.Everyone can easily absorb this book.

onnnk valo.kichu kichu line just wow

গল্পটা অসাধারণ। খুব ভালো লেগেছে।

যারা ভ্রমণ করতে পছন্দ করেন তাদের জন্য সেরা একটি বই !

It was very good translation. Thanks to writer

Bhalo Translation

Good quality ?

good book

বাস্তব জীবনের সাথে বেশ মিল আছে বইটির!!!

দারুণ বাংলা সাবটাইটেল।এক কথায় অসাধারণ গল্প।ধন্যবাদ

বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম, শুরুতেই বলি বইটির অনুবাদ যথার্থ হয়েছে। কিছু কিছু বানানে ত্রুটি থাকলেও বুঝতে কোন সমস্যা হয় না। খুবই সাবলীল একটি অনুবাদ। এবার আসা থাক বইটিতে:বইটি খুবই আবেগপ্রবণ। আপনি যখন বইটি পড়া শুরু করবেন শেষ পাঁচ পৃষ্ঠা আগ পর্যন্ত আপনার কিছু মনে না হলেও শেষ পাঁচ পৃষ্ঠা আপনাকে কাঁদাবেই। তাই বলে রাখি আপনি যদি বইটি পড়া শুরু করেন তাহলে অবশ্যই টিস্যু নিয়ে বসবেন। সত্যি অসাধারণ একটি বই ???

jotoh din a ashar kotha tar 1 din ageh e eshe porse..ar boi er quality, condition sob e perfect chilo

বইটা ভালো ✅?। বইটা পড়তে পড়তে মাঝে মধ্যে একটু বোরিং লাগবে ‼️ কিন্তু বইটা আসলেই খারাপ না। সবচেয়ে মজা বিষয়টা হলো, বইয়ের শেষ কাহিনিতে, মানে কাহিনি এখন শেষ হবে, ?তখন ১০৯ নাম্বার পৃষ্ঠায় এতো বড় একটা টুইস্ট ছিলো ??, যে কি আর বলবো আমার মাথা পুরা উল্টা- পাল্টা হয়ে গেছে?‍।বইয়ের সবকিছু ঠিকঠাক, কিন্তু শেষে গিয়ে এমন একটা কথা বলে "১০৯ নাম্বার পৃষ্ঠা " মাথাটা পুরো ঘুরে যাবে ??। অ্যালকেমিস্ট সেই টুইস্টটা জানতো, তাই সন্ন্যাসীকে স্বর্ণের একখণ্ড টুকরা, সান্তিয়াগোকে দিতে বলেছিলো, ? প্রথমে ব্যাপার টা বুজি নাই, কিন্তু ১০৯ নাম্বার পৃষ্ঠাটা পুরো কাহিনি, ঘুরে দেয় ?।টুইস্টটা না বলাই ভালো, তাহলে বইটা পড়ে আপনারা মজা পাবেন না,। ? তাও এটুকু বলি ? " বইয়ের প্রথম পৃষ্ঠায়, সব সমাধান আছে ? " । কাহিনীটা শুরু হয়েছে প্রথম পৃষ্ঠায় শেষও হলো প্রথম পৃষ্ঠায়। আজব একটা বই, কেউ ভাবতেই পারবে না ফিনিশিং টা এভাবে হবে। বইটা ভালো ভাবে পড়লেই বুজতে পারবেন ?❤️।

আমার খুব একটা বই পড়ার অভ্যাস ছিল না, জীবনের প্রথম এই বই টা অর্ডার দিয়েছিলাম, আলহামদুলিল্লাহ, বইটি পড়ে অনেক কিছু শিখতে পেরেছি, বই পড়ার ইচ্ছে টাও বেড়ে গেছে । অসাধারণ একটা বই

অসাধারণ

beat seller best book

Average

অনুবাদ খুবই ভালো

অনুবাদটা অসাধারণ

THE BEST BOOK EVER

অসাধারণ বই, অনেক কিছু শিক্ষণীয় আছে। অনুবাদ যথেষ্ট ভালো।

ভাল, অনুবাদের কোয়ালিটি মোটামোটি

অসাধারণ

পড়ার সময় মনের অজান্তেই কাহিনীর বাস্তবতায় নিজেকে কখন যে হারিয়ে ফেলেছি, টেরই পাইনি।এই কাহিনীর উপর মুভি নির্মাণ করা উচিত।

Satisfactory

good

Ok

just wow .. a book

অসাধারণ একটি বই। স্বপ্ন কে লক্ষ্য রেখে কিভাবে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হয় এই বই তার সর্বোচ্চ উদাহরণ।

Nice

good

অসাধারণ

Good

চমৎকার আত্মউন্নয়নমূলক একটি বই। বাধা পেরিয়ে স্বপ্ন পূরণের পথ দেখায় এই বইটি।

বইগুলো অনেক ভালো

Good

আমার পড়া প্রথম ও সেরা বই ?

ভালো বই?

JJJBJBJ

দারুন।

পাওলো কোয়েলহো মানেই অসাধারন কিছু। লেখনীর মাধ্যমে আপনার চিন্তাধারায় এক ধরনের পরিবর্তন নিয়ে আসার সাধ্য তার মধ্যে রয়েছে। দ্য আলকেমিস্টও তার ব্যতিক্রম নয়। আপনার জীবনের স্বপ্ন পূরণ কিংবা ভাগ্য অনুসন্ধান সম্পর্কিত এক জাদুকরী উপন্যাস এটি। খুব সহজভাবে সবকিছু বোঝানো হয়েছে। অযথা কাহিনী দিয়ে উপন্যাসকে বড় করা হয় নি। অনুবাদটিও যথেষ্ট ভালো ছিল। খুব সহজ সরল ভাষায় উপস্থাপন করা হয়েছে। তবে আরেকটু সাহিত্যিক মাধুর্য দিয়ে উপস্থাপন করতে পারলে হয়ত আরও ভালো লাগত।

বইটা অসাধারণ ?? একটা বই ।৫ ⭐ পাওয়ার যোগ্য। তবুও ৩ জন ১⭐ দিয়েছে ???

boiti porar por ami ekti kothai bolbo, "joto badha bipotti e asuk hal chara jabe na" writter er ekti kotha khub e valo legeche "jokhon tmi kono kichu mon theke pete chawo, puro duniya seti tomake paiye dewr jnno sorojontro suru kore dey"

Everyone must read this one. I also gifted in many occasions.

বইটি ভালো।

Great

Was a great book to read

it's so good ...anyone can read it...so you should try

খুবই বিখ্যাত একটি বই, গুডসরিডে অনেকের লিস্টে থাকায় কিনেছি। ঝরঝরে অনুবাদ আর আকারে ছোট হওয়ায় এক বসায়ই পড়ে ফেলা যায়। মোটিভেশনাল পারপাজে এর চেয়ে ভালো বই আর হয়না।

Osadharon ekti boi.....

খুব সুন্দর অনুপ্রেরণামূলক একটি বই। আমাদের সবারই জীবনে কোন না কোন স্বপ্ন থাকে যেটা আমরা খোলা চোখে দেখি, রাতে ঘুমের মধ্যে নয়। আর এধরণের স্বপ্নই আমার জীবনের লক্ষ্য নির্ধারণ করে দেয়। পাওলো-এর লেখাটা আমাকে সে স্বপ্নে বিশ্বাস করতে শেখায়। সব বয়সের পাঠকদের জন্য পড়ার মত একটি উপন্যাস।

গল্পে একজন ভেড়া পালক বালকের জীবন কাহিনী বলা হয়েছে, যে তার বাবাকে বলেছে যে সে পৃথিবী ভ্রমন করতে চায়। তর বাবা এতে বাধ সাধেনি। ফলে সে ভেড়াদের নিয়ে সে ভ্রমন করে আর নতুন নতুন বই কিনে পড়ে। কিন্তু এতে বাধ সাধল তার একটা স্বপ্ন, যা সে পর পর দুই রাত দেখে। এর ব্যাখ্যা জনার জন্য সে একজন স্বপ্ন বর্ণনা কারীর কাছে যায়।এর পরই মূল গল্প শুরু হয়।নানা প্রকার ঘটনার মধ্য দিয়ে গল্প এগিয়ে যায়।যার প্রতিটিই শিক্ষামূলক।

অসাধারণ বই অামার জীবনে পড়া সেরা উপন্যাস এটি

বইটি অসাধারণ ?

সুন্দর একটি গল্প! অনুবাদ টি আরো ভালো হতে পারতো

It's a very bad experience of ordering books from rokomari. I have ordered books on 4th June and also paid in advance. It's 11 July and I didn't get my parcel yet. I have sent mail for several times and also try over call. But they had never response. Their service is so poor than any local online book shop. May be this is the last time of my online shopping from rokomari!

অনুবাদটা অন্যদের থেকে ভালো লাগছে। রাকিবুল রকি ভাই বাংলার ছাত্র হবার কারনে অনেকটাই প্রাঞ্জল ভাষায় লিখেছেন। কোথায়ও পড়তে গিয়ে খেই হারাইনি।

Best book, I hope you will get some spiritual energyby reading it?

"জগতে চলার পথে তোমার মূল লক্ষ্য হতে বিচ্যুত হওয়া যাবেনা। আবার কেবল লক্ষ্যের পথে অন্ধভাবে হেটে জগতের সৌন্দর্য ও নান্দনিকতাকে উপেক্ষা করা যাবেনা। এটাই জীবনে সুখের মূল রহস্য। " এখন তোমার জীবনের মূল লক্ষ্য কি? কিংবা কি হওয়া উচিত সেটা তুমি নিজে ঠিক করবে। আমাদের জীবন সম্পর্কে জানতে হলে অবশ্যই পাওলো কোয়েলহোর দ্যা অ্যালকেমিস্ট বইটি পড়া উচিৎ।

বইটি পড়ে অনেক ভালো লেগেছে। সান্তিয়াগো নামের ছেলেটা গল্পের নায়ক। সে স্বপ্ন দেখতে মিশরে পিরামিডের কাছে গুপ্তধন রয়েছে।তারপর সে চিন্তা করল যে সে কি তার স্বপ্নের পিছনে ছুটার জন্য সব কিছু ছেড়ে মিশরে যাবে নাকি যেখানে আছে সেখানেই থেকে যাবে। শেষ পর্যন্ত সে সিদ্ধান্ত নিল যে সে তার স্বপ্নের পিছনে ছুটবে। কিন্তু যাত্রার মধ্যে তার সব কিছু ছিনতাই হয়ে যায়। কাজ করে আবার অনেক টাকার মালিক হয়। কিন্তু তারপরও গুপ্তধনের স্বপ্ন তার পিছু ছাড়ে না। সে আবার সবকিছু ছেড়ে মিশরে যেতে চায় এবং এবারো তাকে ছিনতাই করা হয়।তারপরও সে হাল ছেড়ে দেয় না।তারপর অনেক কষ্টেদেখা মেলে এলকেমিস্ট এর। সে সান্তিয়াগোকে আরো অনুপ্রেরণা জাগাতে সাহায্য করে এবংং এক পর্যায়ে সে তার স্বপ্ন পূরনে সফল হয়।

স্বপ্ন দেখতে আমরা সবাই ভালোবাসি। স্বপ্নকে সফলভাবে বাস্তবায়ন করতে বেশ কাঠখড়ি পুড়াতে হয়। দি আলকেমিস্ট বইটি অসাধারণ। এই বইটি পড়লে আপনা-আপনি চিন্তাধারার একটু টনক নড়বেই। আমি বইটি পড়তে পেরে আনন্দিত। বইটি আমাকে আমার চিন্তাধারা কে অনেকেটাই পাল্টে দিয়েছে। আমি মনে করি যারা বই পড়ুয়া তাদের এই বইটি পড়া উচিৎ।

দ্য অ্যালকেমিস্ট বইটি একটি মোটিভেশনাল বই। আমরা সবাই আমাদের স্বপ্ন গুলোকে বাস্তবায়িত করতে চাই। এই বইটিতে কিভাবে আমরা আমাদের কাংখিত লক্ষ্যে পৌছাবো তার দিক নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বইটিতে এক স্বপ্নচারী যুবকের ভাগ্যের সন্ধানে ছোটা আর স্বপ্ন পূরণের গল্প বলা হয়েছে। বইটি আপনার মধ্যে ইতিবাচক চিন্তা ধারার সৃষ্টি করবে। বইটি শুধু পড়লেই হবে না অনুসরণও করতে হবে।

#দ্য_এ্যালকেমিস্ট #পাওলো_কোয়েলহো প্রত্যেকের জন্য একটা গুপ্তধন আল্লাহ নির্দিষ্ট করে রেখেছে আর সে গুপ্তধন টা খুঁজে বের করার দায়িত্ব আপনার আমাদের জানতে হবে আমরা আসলে কি চায় আর হ্রদয়ের কথা শোনতে হবে। আমরা অনেকেই একটা নির্দিষ্ট সপ্ন দেখি কিন্তু ব্যর্থতার ভয়ে আবার পিছুটান দেই ঠিক মরুভূমির মরিচীকার মতো দেখি সামনে পানি আছে কিন্তু বাধাঁ-বিপত্তি পেরিয়ে সেই পানি পান করার ধৈর্য আমাদের নেই তাই আমরা আমাদের লক্ষ্যটা জেনে ভয়ের কারনে পরিপূর্ণ করতে পারি না। আপনি যখন আপনার লক্ষ্যের পিছনে ধাওয়া করবেন তখন সমস্ত পৃথিবী আপনাকে সেটা পাইয়ের দেওয়ার জন্য ফিসফিস শুরু করে দিবে সাহায্য করবে। তাই আপনার সপ্নকে মরতে দিয়েন না আপনার লক্ষ্যে অবিচল থাকুন বিজয় হবেই আপনার হয়তো অনেক বাঁধা-বিপত্তি অতিক্রম করতে হবে তবে বিজয় সুনিশ্চিত। #দ্য_এ্যালকেমিস্ট আপনার মনোজগৎ আর জীবনকে বদলে দিবে আপনার লক্ষ্যের পিছনে ছুটতে আপনাকে সহায়তা করবে। #আবু_ইউসুফ_আকাশ

আচ্ছা স্বপ্ন কি কখনো সত্যি হয়? নাকি শুধুই উর্বর মস্তিষ্কের কোনো কৌশল? যা সাময়িকের জন্য অলীক রাজ্যে পরিভ্রমণের সুযোগ করে দেয়! সান্তিয়াগো বুঝতে পারে না তার দেখা বিশেষ স্বপ্নটার ইঙ্গিত। পুরোপুরি বোঝার আগেই হারিয়ে যায় অতলে। তার কি স্বপ্নটাকে অনুসরণ করা উচিত? স্পেনের আন্দালুসিয়ার সান্তিয়াগো বেড়ে উঠেছে আর দশটা ছেলের মতই। তবে পার্থক্য হচ্ছে বাবার চাওয়া মোতাবেক যাজক না হয়ে বেছে নিয়েছে রাখাল জীবন। তবে পড়া ছাড়েনি। মেষপাল নিয়ে ঘুরে বেড়ালেও বই তার নিত্য সঙ্গী। বইয়ের অক্ষরগুলো কথা বলে। আর তাইতো চারপাশের এত বিচিত্র জিনিসের রূপ, রস, গন্ধ প্রাণভরে উপভোগ করতে পারে। মেষপাল তার জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে গেছে। ইচ্ছে স্বাধীন জীবনটা নিয়ে সে সুখী। তবে ইচ্ছে হয় পশম বিক্রি করতে গিয়ে যে বণিকের মেয়ের সাথে দেখা হয়েছিল তার কাছে ফিরে যেতে। এর মধ্যেই স্বপ্নটা তাকে তাড়া করে বেড়ায়। তাবির জানতে হাজির হয় এক জিপসি বুড়ির কাছে। বুড়ি তাকে শোনায় পিরামিড আর গুপ্তধনের গল্প। বিনিময়ে দাবি করে গুপ্তধনের একাংশ। যে জিনিসের অস্তিত্বই প্রশ্নবিদ্ধ সেটার ভাগ চাওয়াটা বিচিত্রই বৈকি! পথে নামে রাখাল বালক। এবার তাকে লক্ষ্য স্থির করতে হবে আসলে সে কি চায়? ঘটনাচক্রে দেখা হয়ে যায় এক বুড়োর সাথে। বুড়ো নিজেকে দাবি করে সালেমের রাজা বলে। প্রথমে তার উপস্থিতিতে বিরক্ত হলেও একসময় তার প্রজ্ঞা আর দর্শনে অভিভূত হয় সান্তিয়াগো। গুপ্তধনের ব্যাপারে নতুন করে আশাবাদী হয়। সালেমের রাজা তার হাতে তুলে দেয় লক্ষণ পাথর উরিম-থুমিম। গুপ্তধনের সন্ধানে প্রয়োজনে পথ দেখাবে তারা। কেউ যদি প্রাণপনে কোনো কিছু চায় মহাবিশ্বের প্রতিটি কণা যোগসাজশে লেগে পড়ে সেই চাহিদা মেটাতে। যাত্রা শুরু হয় রাখাল বালকের। এগুতে হবে প্রতিটি লক্ষণ বিচার করে। প্রতিদিন ঝুলিতে যোগ হতে থাকে কতশত অভিজ্ঞতা! নতুন দেশ, নতুন মানুষ আর বিচিত্র তাদের জীবনযাত্রা। এতদিনের ছোটগন্ডিতে কতকিছু তার অজানা ছিল! আর তাই নিজের অজান্তেই ফাঁদে পড়ে যায়। কিন্তু থামলে চলবে না। লক্ষ্য স্থির করা হয়ে গিয়েছে বহু আগেই। আবার অভিজ্ঞতা সঞ্চয়ে নেমে পড়ে রাখাল বালক। এবার সে শেখে স্বপ্ন কেমন করে মানুষকে বাঁচিয়ে রাখে, স্ফটিকও কেমন করে জীবনকে রঙিন করে তোলে! অবশেষে একদিন আবার বেরিয়ে পড়ে অর্ধসমাপ্ত যাত্রায়। এবার তার শিক্ষক মরুভূমি। বৈরী আবহাওয়া, লুকিয়ে থাকা বিপদ আর নতুন নতুন লক্ষণ তার অভিজ্ঞতার ঝুলিকে বড় করতে থাকে। জীবনে আসে ভালোবাসাও। তবে তার জন্য নিজেকে প্রমাণ করতে হবে। সে কি ধরতে পারবে ধাতুকে সোনা বানানোয় পারদর্শী সালেমের রাজার ইঙ্গিত? বৈশ্বিক ভাষার সাথে আত্মার ভাষা যোগাযোগ স্থাপন করতে পারবে? স্বপ্ন কি সত্যি হয়ে ধরা দেবে? গল্পটা মূলত দু'ভাগে বিভক্ত। একদিকে রাখাল বালকের স্বপ্নপূরণে যাত্রা আর অন্যদিকে পাঠকের স্বপ্নকে পূরণ করার আহ্বান। জীবন আমাদের ততটুকুই দেয় ঠিক যতটুকু আমরা চাই। চেয়েও কোনো কিছু না পাওয়া গেলে বুঝতে হবে চাওয়াটা জোরালো ছিল না। স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দেয়ার সাহস হয় খুব কম মানুষেরই। স্বপ্নকে অধরা মনে করে এড়িয়ে যাওয়া লোকের সংখ্যাই বেশি। তবে যারা সাহসী হয় তারা সন্ধান পায় পরশ পাথরের। যা হয়ত ছিল তার খুব কাছেই। অনুধাবন করতে না পারায় অনাবিষ্কৃত রয়ে গিয়েছিল বহুকাল। ধাতুকে সোনায় পরিণত করার বিদ্যেটা শুধু এক জায়গায় বা এক অর্থেই সীমাবদ্ধ নয়। চাইলে এই জ্ঞান বদলে দিতে পারে সবকিছু। স্বপ্নকে পুঁজি করেই মানুষের বেঁচে থাকা। কেউ চায় আজীবন স্বপ্নটাকে জিইয়ে রাখতে আবার কেউ চায় তার মুখোমুখি হতে। আত্মতৃপ্তি তখনই আসে যখন স্বপ্নকে ছোঁয়া যায়। রাখাল বালকের গল্প অগোচরে আমাদের বলে যায় সেই অজানা সত্যের কথা। লক্ষণ বিচার করতে পারাটাই আসল। প্রবল ইচ্ছাশক্তি একসময় নিয়ে যায় আকাঙ্ক্ষিত স্বপ্নের দ্বারপ্রান্তে। জীবনের কাছে সঠিক উপায়ে চাইতে শিখলে সে খালি হাতে ফেরায় না। বরং প্রত্যাশার অতীত প্রাপ্তিতে ভরিয়ে দেয়। দি আলকেমিস্ট বইটি পড়ার সুযোগ হয়েছিল অনেক আগেই। তবে যে অনুবাদটি আমি পড়েছি অতি দুঃখের সাথে বলতে হচ্ছে অভিজ্ঞতা সুখকর ছিল না। পড়ে কোনো ইন্টারেস্ট পাচ্ছিলাম না। এক রকম জোর করেই শেষ করেছি। এরপর গল্পটা যখন নিজ থেকে চিন্তা করলাম তখন বুঝতে পারলাম আসলে চমৎকার একটা গল্প ছিল। অনুবাদের দূর্দশার কারণে এত বিরক্ত লাগছিল। সে যাই হোক পরে যখন শুনলাম মোঃ ফুয়াদ আল ফিদাহ-র অনুবাদ বের হচ্ছে তখন ঠিক করি আরেকবার পড়ব। যেহেতু তার অনুবাদের সাথে আগে থেকেই পরিচিতি ছিল তাই ভরসা করতে দ্বিধা হয়নি। এরপর যখন হাতে পেলাম আর পড়লাম বুঝতে পারলাম আমার ধারণা মিথ্যে ছিল না। ভীনদেশী বই অনুবাদের ক্ষেত্রে অনেক সীমাবদ্ধতা থাকে। আর আক্ষরিক অনুবাদের কারণে ক্ষেত্রবিশেষে বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তবে এ বইয়ের ক্ষেত্রে তেমনটা ঘটেনি। যেহেতু বইটি দর্শন ঘেঁষা তাই অনেক কথা বলা হয়েছে ইঙ্গিতপূর্ণ ভাষায়। শব্দচয়ন কখনো কখনো জটিল মনে হতে পারে। তবে বইটির গাম্ভীর্য ধরে রাখতে এইটুকু প্রয়োজন ছিল। একটানে শেষ করার মত বই নয় এটি। ধীরে ধীরে অনুভব করে পড়লে তবেই এর প্রকৃত স্বাদ উপভোগ করা সম্ভব হবে। যারা অনুবাদ পড়া নিয়ে দ্বিধায় ছিলেন এতদিন, তারা এবার আর হতাশ হবেন না আশা করি। প্রকাশনীর বাঁধাই, কাগজ, মূল্যমান বরাবরের মতই সন্তোষজনক। তবে কিছু জায়গায় প্রিন্টিং মিস্টেক চোখে পড়েছে। আর ভেতরের চমৎকার ইলাস্ট্রেশনগুলোর কথা উল্লেখ না করলে অন্যায় হবে। প্রচ্ছদ বেশ নান্দনিক। তবে আর দেরি কেন? আজই যাত্রা শুরু হোক সান্তিয়াগোর সাথে।

অসাধারণ উপন্যাস।প্রত্যেকের একবার পড়া উচিত।

Truly a life changer book, that will help you to understand the meaning of life.

Good. Thanks!

amr first order kra boi onk tara tari paichi. Akhn o pori nai. Tbe mone hoy valo. Thank u rokomari ato quickly dewar jonno.

বই- দ্য এ্যালকেমিস্ট লেখক- পাওলো কোয়েলহো এ্যালকেমিস্ট কাহিনী সংক্ষেপঃ সান্তিয়াগো, স্পেনের অধিবাসী । কিন্তু মনে প্রাণে ভালোবাসে পিরামিডের দেশ মিশর। সে জানে, সেখানে রয়েছে গুপ্তধন। আর এই গুপ্তধন এর জন্যই সান্তিয়াগো চষে বেড়াতে চায় মিশরের পথে পথে, সাহারা মরুভুমির পথে পথে । সান্তিয়াগো মনে করে মানুষ যতো তা লক্ষ্যের কাছা কাছি চলে আসে ততই লক্ষ্যটা তাঁর জন্য বড় হয়ে দেখা দেয়। পথিমধ্যে সে পেয়েছে অনেককেই । রাজা, ব্যবসায়ী, এ্যালকেমিস্ট সহ আরো অনেককেই। পিরামিড এর দেশ পাড়ি দিতে গিয়ে তাকে সম্মুখীন হয়েছে অনেক নির্যাতনের। ভালোবাসাও খুজে পাবেন বইটি তে । রূপবতী ফাতেমার সাথে সান্তিয়াগোর দেখা । ফাতেমা হলো এক আরবীয় নারী। ফাতেমার রূপে মুগ্ধ হয়ে সান্তিয়াগো প্রেমে পড়ে গিয়েছিল। ফাতেমাকে কতটুকু ভালোবেসেছিল তা বইটি না পড়লে বুঝতে পারবেন না। পৃথিবীতে ভালোবাসা জিনিসটা কী এ বইয়ের প্রতিটি পাতায় তা খুজে পাবেন । সমস্ত যাদুকরী ভ্রমণকাহিনীর শ্রেষ্ঠ কাহিনী দ্য এ্যালকেমিস্ট। উক্তিঃ ১।“তুমি যখন কাউকে ভালবাসবে, অনেক ব্যাপার স্পষ্ট হয়ে যাবে তোমার সামনে”। ২। “মানুষ কাজ করতে গেলে ঈশ্বর বসত করেন তার ভেতরেই। পৃথিবীর বুকে যতো মানুষ আছে তাদের সবার জন্য আছে কোনো না কোনো গুপ্তধন”। ৩। “কেউ যদি খাঁটি পদার্থে তৈরি কিছু পায়, তা কখনো ক্ষয়ে যাবে না। যে কোনো কিছু সবসময় ফিরে আসতে পারে। কিন্তু সেই ফিরে আসাটা কোন বেশে তা খুব গুরুত্বপূর্ণ”। ৪। “ভালোবাসা কখনো কাউকে লক্ষ থেকে সরিয়ে দিতে চায় না। কেউ যদি লক্ষ ছেড়ে দেয়, তাহলে বুঝতে হবে সে ভালোবাসা সত্যি নয়”। ৫। “যারা স্বপ্নের পিছুধাওয়া করে, জীবন কোনো না কোনোভাবে তাদের সহায়তা করবে”। ৬। “যে জায়গা চোখে অশ্রু আনে, সে জায়গার ব্যাপারে সাবধান থেকো”। ৭। “ভালোবাসা হলো সে শক্তি, যা পরিণত হয় বিশ্বের আত্মায়। সমৃদ্ধ করে পৃথিবীর আত্মাকে”। ৮। “একবার যা হয় তা আর কখনো হতে পারে না। কিন্তু যা দুবার হয় তা তৃতীয়বার হবেই”। ৯। “পৃথিবীর প্রতিটা মানুষ এ গ্রহের ইতিহাসে একটা কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালন করে। সাধারণ যা সে নিজেও জানে না”। ১০। “কোনো মানুষ লক্ষ্য নিয়ে জীবন কাটালে সে প্রয়োজনীয় প্রতিটা ব্যাপার জানে। স্বপ্নকে অসম্ভব করে তোলে মাত্র একটা ব্যাপার: ব্যর্থ হবার ভয়।”

‘দ্য অ্যালকেমিস্ট’ (The Alchemist) বইটা পড়েছেন? না পড়লে পড়ে ফেলুন। একজন মানুষের জীবনের লক্ষ্য ঠিক করার জন্য যতগুলো ভালো বই পড়া প্রয়োজন- ‘দ্য অ্যালকেমিস্ট’ তার মধ্যে অন্যতম। একদম বাড়িয়ে বলছি না। সময় করে পড়ে ফেলুন। এরপর বুঝবেন, একজন লেখক কতটা গভীরভাবে মানুষের জীবনবোধকে তুলে আনতে পারে। কতটা সহজ ভাষায় পাঠকের চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়- তুমি ঠিক কি কারণে কখনোই সফল হতে পার না। খুব আফসোস হচ্ছে, বইটা যদি ছাত্রজীবনে পড়ার সুযোগ পেতাম। বিশেষ করে যখন স্কুলে পড়ি বা আরও পরে বিশ্ববিদ্যালয়ে- তখন এমন একটা বই হয়তো দৃষ্টিভঙ্গিটাকে বদলে দিত। আরও অনেক বিষয়ে সুন্দর সিদ্ধান্ত গ্রহণে সাহায্য করত। যা হবার তাতো হয়েই গেছে। এটাকে বরং বইয়ের ‘ইংলিশম্যানের’ মতো করে বলি, ‘তাও ভালো যে এটা এখন পড়তে পেরেছি। এমনওতো হতে পারত যে এটা আরো দশ বা পনের বছর পরে পড়ার সুযোগ পেতাম। অথবা কখনোই পেতাম না। এটা কি বিরাট ব্যাপার না?’

"যদি তুমি কোন কিছু মন থেকে চাও, তাহলে পুরো দুনিয়া তোমাকে সেটা পাওয়ানোর জন্য এক হয়ে যায়" বইটির সবথেকে মুল্যবান উক্তি। সান্তিয়াগো একজন রাখাল বালক, যে কিনা স্বপ্ন দেখে সেটার সত্যতা যাচাইয়ের জন্য উঠে পড়ে লেগেছে। সে জানে এই স্বপ্ন পুরন করার জন্য তাকে পাড়ি দিতে হবে অনেক পথ। তারপর নিজের ভাগ্য কে মেনে নিয়ে সে সামনে এগোচ্ছে। কি এমন স্বপ্ন দেখে সান্তিয়াগো?? আর শেষ পর্যন্ত কি সে তার খোঁজ পাবে?? কতোটুকু ত্যাগ স্বীকার করা লাগবে তার?? জানতে হলে পড়তে হবে। আমার মনে হয় যতোগুলো মোটিভেশনাল বই পড়েছি তার মধ্যে এই বইটি সবগুলো বইকে ছাড়িয়ে যাওয়ার মতো। এই সুন্দর বই নিয়ে লিখলেও কম হয়ে যাবে। আশা করি সবার ভালো লাগবে।

কোহেলহোর সান্তিয়াগোর স্বপ্নের পেছনে ছুটে চলা এক রূপক বৈ কিছু নয়। কারণ পাওলো কোয়েলহোর সান্তিয়াগো একজন কিশোরের নিজের স্বপ্ন পূরণের সংগ্রাম নয়, এই সান্তিয়াগো হলো পুরো পৃথিবীর মানুষদের আশার প্রদীপ। কারণ কোয়েলহো সান্তিয়াগোর মাধ্যমে যে আশার বাণী ছড়িয়েছেন পাঠকের মাঝে তা অভূতপূর্ব। খুবই অনুপ্রেরণাদায়ক একটি বই। কত সহজে কঠিন কথাগুলো বলেছেন কোয়েলহো৷ গল্পের মধ্যে দিয়ে, একটি সফরের মাধ্যমে শিখিয়েছেন কখনোই হাল না ছেড়ে দেওয়ার মূলমন্ত্র।

A Ehsan

আমার মতে অনুবাদ আরো সুন্দর করার দরকার ছিলো। আমি খুবই disappointed...

অবশ্যই হাইলি রেকোমেন্ডেড বই। আত্নউন্নয়নের জন্য সেরা একটি বই। পরের পৃষ্ঠাতে কি হবে তা জানার কৌতুহল যেমন জাগে তেমনি চিন্তাভাবনাকে নতুন ভাবে সাজানোর ক্ষমতা রাখে বইটি।

খুবই সাধারন একটা গল্প এই "আলকেমিস্ট" বইটির । গল্পের মূল চরিত্র আন্দালুসিয়ান রাখাল বালক সান্টিয়াগো প্রায়শই স্বপ্নে দেখে একটি ছোট বালক তাকে মিশরের পিরামিডের নীচে লুকানো ধনরত্নের খোঁজ করতে বলে। সান্টিয়াগো এক জিপসির কাছে স্বপ্নের ব্যাখ্যা জানতে চায়। জিপসি তাকে মিশরে যেতে বলে। সেটাই তার লক্ষ্য হওয়া উচিত বলে জানায়। এক রহস্যময়ী লোক যে নিজেকে সালেমের রাজা বলে দাবী করে সেও তাকে জিপসির মত মিশরের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিতে বলে। সান্টিয়াগো তার পুরো ভেড়ার পাল বিক্রি করে তাঞ্জিয়ারে পৌছায় এবং সেখানে সে চুরির সম্মুখীন হয় ও নিঃস্ব হয়। তার এখন মিশরে পৌঁছানর টাকা নেই। সে হতাশাগ্রস্ত হয়ে পরে। সে একটি দোকানে কাজ নেয়। প্রায় এক বছর কাজ করে সে নিজ দেশে ফিরে ব্যাবসা করার মত যথেষ্ট পরিমান অর্থ জমিয়ে ফেলে। কিন্তু শেষ মুহূর্তে দেশে ফেরত না যেয়ে মিশরের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয়। মিশরের সাহারা মরুভুমিতে তার পরিচয় হয় এক ইংরেজের সাথে যে আল-ফাউমে আলকেমিস্টের সন্ধানে যাচ্ছে, যার কাছ থেকে সে আলকেমির রহস্য শিখে নিবে। চলতে থাকল সান্টিয়াগোর তার লক্ষ্যের উদ্দেশ্যে যাত্রা এবং তার পরিচয় হয় ২০০ বছর বয়সের আলকেমিস্টের সাথে। সান্টিয়াগো কী তার লক্ষ্য, যা ছিলো পিরামিডের নীচের গুপ্তধন সেই লক্ষ্যে অটুট থাকবে না আলকেমিস্টের সাথে পরিচয় হওয়ার পর নতুন লক্ষ্য ঠিক করবে?

শুরুতেই অনুবাদকে ধন্যবাদ, নির্ভুল অনুবাদ করার জন্য। বইটার পুরোটাই শিক্ষণীয় বিষয়; যেটা লেখকের অভিজ্ঞতার কথা থেকে বুঝা যায়। লেখক দেখিয়েছেন, স্বপ্ন থাকলে তা পূরণের কতটা দৃঢ়তা থাকা প্রয়োজন। যতো ঘাত-প্রতিঘাত আসুক না কেন স্বপ্ন থাকলে পূরণের প্রত্যাশা ভোলা যাবে না। #বইটা অসাধারণ!

'যখন কেউ সত্যি সত্যি কিছু পেতে চায়, পুরো বিশ্বব্রহ্মান্ড তাকে সেটা পাইয়ে দেয়ার জন্য ফিসফাস শুরু করে দেয়।' আপনার মনোজগত স্তব্ধ হয়ে গেছে?, বিরল স্থিরতায় ছেয়ে আছে? কিংবা অস্বাভাবিক অনুপস্থিতিতে ডুবে আছে সম্পূর্ণটাই? তাহলে এই শহরকে নতুন করে জাগিয়ে দেয়ার ডিনামাইট হচ্ছে এই বই! পরিবারের ইচ্ছার তাগিদে নিয়মের বেড়াজালে জীবন অতিবাহিত না করতে চেয়ে ঘর ছেড়ে যাবার সিদ্ধান্ত নেওয়া এক যুবক, বাবার কাছ থেকে শেষ বারের মতো যা পেয়েছিলো সেগুলো দিয়ে কয়েকটা ভেড়া কিনে রাখাল হয়ে যায়। সে রাখালের পায়ে হাঁটবে আর রাখালের চোখে বিশ্বকে দেখবো। বই পড়তে জানা রাখাল, ভেড়া চড়ানোর ফাঁকে ফাঁকে যে বইয়ের সমুদ্রে ভাসে! ভেড়া পালবে আর উল বিক্রি করে বই পড়ে পড়ে ছন্নছড়া জীবন পার করবে সে, মনের ভেতরে বিশ্ব দেখার উদ্যোম। এক স্বপ্নের অর্থ বের করতে গিয়ে বদলে যাওয়া শুরু হয় তার জীবনের। শুরু হয় বাচিত্র এক অভিযানের! নাম না জানা গুপ্তধনের খুঁজ। যেটা আছে হাজার মাইল দূরে পিরামিডে। সেই গুপ্তধনের খুঁজে বেরিয়ে পার করতে হয় কত চড়াই উতরাই। মনের সাথে যুদ্ধ করে ভাগ্যের লক্ষণে ভর করে একটু একটু করে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় মিলে! শত মাইল চলতে হয় মরুভূমিতে, জীবনের প্রথমে মরু যাত্রা। জীবন আর বালির এক নিবিড় সম্পর্ক বুঝতে শেখে সান্তিয়াগো। যাত্রার যুদ্ধবিরতিতে মরুদ্যানে এসে সে আদায় করে নেয় উটদেষ্টা হওয়ার সুযোগ, দেখা হয় ফাতেমার সাথে! জীবনের ফেলে আসা স্মৃতি, চলন্ত বর্তমান আর অনির্দিষ্ট ভবিষ্যত সব কিছু যেন ঘুরতে ঘুরতে বৃত্তে পরিণতে হয়ে আছে ফাতেমার চোখে! এটাই গুপ্তধন? এখানেই থেকে যাওয়া? না, ফাতেমার জন্য এবারের যাত্রা! এবারের যাত্রা দ্য এ্যালকেমিস্টের সাথে। রোমাঞ্চকর এক অভিযাত্রার শুরু হয় শেষের দিকে! কি সেই গুপ্তধন? কি হতে যাচ্ছে সান্তিয়াগোর সাথে? রাখাল ছেলের জীবনের কাহিনী কোথায় গিয়ে সমাপ্ত হচ্ছে? জানতে হলে পড়তে হবে 'দ্য এ্যালকেমিস্ট'। সাধারনত একটি বই পড়ে খুঁজতে হয় প্রথমেই বইয়ের মধ্যে কী আছে। কিন্তু এই বইয়ের বেলা বিষয়টা উল্টো। কী নেই এই বইয়ে!? এডভেঞ্জার, সাসপেন্স, থ্রিলার, প্রেম, সাইকোলজিকাল ইমপেক্ট! সব আছে! লেখকের কোন বই আগে না পড়লেও এখন আর কোন বই পড়ার বাকি থাকবেনা বলে আশা রাখছি! বইয়েন মধ্যে মন্ত্র লিখে দিয়ে সেগুলোর মাধ্যমে সুপাঠকের মস্তিষ্কের রন্ধ্রে রন্ধ্রে পৌছে যাওয়ার এক সুক্ষ্মদর্শী ভাব দেখেছি আমি! এই বই নিয়ে কথা বলতে গেলে আরও দুইটা বই লেখা হয়ে যাবে। আমি বইটা পড়া কয়েকটা সমুদ্র রচনা করে নিয়েছি মনের মধ্যে....... দাগ দেওয়া সব লাইন লেখলে অনেক বেশি হয়ে যাবে। মাত্রে একটাই লিখছি যেটা ফাতেমা বলেছিলো সান্তিয়াগোকে, ''মনে রেখ । সবসময় মনে রেখ, ভালবাসা কখনো কাউকে লক্ষ্য থেকে সরিয়ে দিতে চায় না। কেউ যদি লক্ষ্য থেকে ছেড়ে দেয়, বুঝতে হবে সে ভালবাসা সত্যি নয়... সে ভালবাসা, যা জগতের ভাষার কথা বলে ।"

বই : দ্যা এ্যালকেমিস্ট লেখক : পাওলো কোয়েলহো ধরন : অনুপ্ররণামূলক উপন্যাস আন্দালুসিয়ার এক রাখাল সান্তিয়াগো। যে মাঠে মাঠে ভেড়া নিয়ে চড়ে বেড়ায়। পৃথিবীকে দেখার জন্যই সে বেচে নিয়েছে রাখাল জীবন। সান্তিয়াগো এক বিচিত্র স্বপ্ন দেখে। যার ব্যাখ্যায় এক মহিলা বলে সে গুপ্তধন পাবে, মিশরের পিরামিডে আছে সেই গুপ্তধন। এরই মধ্যে সান্তিয়াগোর দেখা এক বৃদ্ধের সাথে যে নিজেকে সালেমের রাজা দাবী করে। সেই রাজা তাকে তাঁর জীবনের লক্ষ চিনে নিতে বলে। সেই লক্ষ ঠিক করতে বলে, লক্ষ অর্জন করতে পরিশ্রম করতে বলে। বৃদ্ধ রাজাই তাঁকে বলে, " যখন কেউ কোনো কিছু পেতে চায় তখন সারা বিশ্ব ফিসফাস শুরু করে দেয় সেই জীনিসটা তাঁকে পাইয়ে দেয়ার জন্য। " বৃদ্ধের কথাই সে তাঁর জীবনের লক্ষকে ঠিক করে। সে গুপ্তধন পাওয়ার জন্য মিশর যাত্রা করে। মিশর যাওয়ার পথে সাহারা মরুভূমিতে গোত্রে গোত্রে যুদ্ধের কারণে সান্তিয়াগোদের ক্যারাবন এক আরব গোত্রের আতিথেয়তা গ্রহণ করে। কেউ জানেনা যুদ্ধ কবে থামবে, কবে সান্তিয়াগোদের ক্যারাবন আবার যাত্রা শুরু করবে। ঘটনাপ্রবাহে সেই আরব গোত্রে সান্তিয়াগোর মর্যাদা বৃদ্ধি পায়, পায় বিপুল ঐশ্বর্য। আরবরা তাঁকে গোত্রপতি হতে আমন্ত্রণ জানায়। সেখানেই তাঁর দেখা হয় এক এ্যালকেমিস্টের সাথে, যে আসে তাঁর জীবনের অাশির্বাদ হয়ে, তাঁর জীবনকে পাল্টে দিতে। আর সেখানেই সে ভালবেসে ফেলে এক আরব রমণীর। সে পেয়ে গেছে সম্মান - মর্যাদা, সম্পদ - ঐশ্বর্য, সে পেয়েছে তাঁর মনের মানুষ ফাতেমাকে। সে ভাবে এখন মিশর গিয়ে কী হবে ? এই আরব গোত্রেই তো সে সব পেয়েছে। এখানে থাকলেই তো সে আরামে জীবন কাটাতে পারবে। সে ভাবে এখন ফাতেমাকে বিয়ে করে সম্মান আর ঐশ্বর্যের জীবন শুরু করা যাবে। আর পরে একসময় না হয় গুপ্তধনের সন্ধানে মিশর যাওয়া যাবে। কিন্তু এ্যালকেমিস্ট তাঁকে তাঁর লক্ষের কথা স্বরণ করিয়ে দেয়। এ্যালকেমিস্ট তাকে তার লক্ষ সঠিক সময়ে অর্জনের কথা বলে। সে উপদেশ দেয় ভালবাসার টানে নিজের লক্ষ অর্জনের পথ থেকে সরে না দাড়াতে। এবং লক্ষটা যথাসময়ে অর্জন না করলে পরে পস্তাবে। এ্যালকেমিস্ট বলে - " সবসময় মনেরেখ ভালবাসা কখনো কাউকে লক্ষ থেকে সরিয়ে দিতে চায় না। কেউ যদি লক্ষ থেকে সরে যায় বুঝবে সে ভালবাসা সত্য নয়।....... ভালবাসা হলো তা যা জগতের ভাষায় কথা বলে। " সে সান্তিয়াগোকে তাঁর লক্ষ অর্জনের জন্য পরিশ্রম করতে বলে, বলে পরিশ্রমের মধ্যমেই লক্ষ অর্জিত হয়। সে বলে - " সব খোঁজা শুরু হয় যে খুজছে তাঁর সৌভাগ্যের সাথে। শেষ হয় বিজয়ী বারবার পরীক্ষিত হবার পর। " এটা পড়লে জানতে পারবেন মরুভূমির মধ্যে আরবদের সংগ্রামী আর সাহসী জীবনের কথা। আরব রমণীদের অপেক্ষার প্রহর গুণার কথা। আর এ গ্রন্থের জাদুবাস্তবতা আপনাকে মোহিত করবে নিশ্চয়ই। সারা বিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টিকারী দ্যা এ্যালকেমিস্ট। এটা সম্পর্কে আমি কিছু বলব না বড় বড় ব্যক্তিরাই গ্রন্থটি সম্পর্কে যাথার্থ্য মন্তব্য করেছেন। আমি শুধু বলব এটা পড়ুন। পড়লে বুঝতে পারবনে নিজের জীবনের লক্ষ ঠিক করে নেয়ার প্রয়োজনীয়তা। সব হতাশা দূর করে নিজের লক্ষের দিকে এগিয়া যাবার প্রেরণা পাবেন এ গ্রন্থ থেকে। নিঃসন্দেহে এটা একটি অসাধারণ অনুপ্রেরণামূলক গ্রন্থ যা আপনাকে জীবন সংগ্রামে সাহসী করে তুলবে। এ থেকে পাবেন স্বপ্ন দেখার খোড়াক। পাবেন জীবনকে নতুন করে সাজিয়ে নেওয়ার উপলব্ধি। এ গ্রন্থের প্রত্যেকটি বাক্যই আপনার মনের ভেতরে দাগ কাটবে। তাই দেরী না করে পড়ে ফেলুন বইটা।

বইটি ভালই কিন্তু আমি কাউকে বাংলায় এই গল্পটা পড়ার উপদেশ দিব না কারন বাংলা অনুবাদে অনেক টপিক স্কিপ করা হয়েছে তাই গল্পটার মূল থিমটাই ভালভাবে বুঝা যায় না।যদি সম্ভব হয় ইংরেজি অনুবাদটা পড়িয়েন নাহলে এটাও পড়তে পারেন

☆☆☆☆☆

Very nice book.I like this book too much. This book is very interesting

বইয়ের নাম : দ্য অ্যালকেমিস্ট লেখক : পাওলো কোয়েলহো অনুবাদক : রাকিবুল রকি প্রকাশকাল : ১৯৮৮ ধরন : রূপক কল্পকাহিনী কাহিনী সংক্ষেপ : ’দ্য অ্যালকেমিস্ট’ সান্তিয়াগো নামক স্প্যানিশ এক মেষপালক তরুণের স্বপ্ন পূরণের গল্প । তার সখ ছিল পৃথিবী ঘুরে দেখা , নতুন পরিবেশ ও সংস্কৃতি সম্পর্কে জানা। তার এই সখের বশে পরিবারের অনিচ্ছাসত্ত্বেও কিছু ভেড়া কিনে সে হয়ে যায় পরিব্রাজক। নানা অঞ্চল ঘুরে নানা অভিজ্ঞতা অর্জন করতে থাকে সান্তিয়াগো। দীর্ঘদিন চারণভূমিতে মেষ চড়াতে চড়াতে এক সময় সে ও তার ভেড়াগুলো এক পরিত্যক্ত গির্জায় আশ্রয় নেয়। গির্জাটি দীর্ঘদিন অব্যবহারের ফলে এর মাঝখানে জন্মেছিল বিশাল এক সাইকামো গাছ। এই গির্জায় থাকাকালীন বেশ কিছুদিন পূর্বের এক রাতের স্বপ্নের পুনরাবৃত্তি হয় তার সাথে। প্রথমবার স্বপ্নটি দেখার পর স্বপ্নটিকে সে পাত্তা দেয় নি,কিন্তু দ্বিতীয়বার একই স্বপ্ন হুবহু দেখার পর তার মনে চিন্তার ছাপ দেখা দেয়। স্বপ্নটি ছিল এরকম - এক বালক তাকে মিশরের পিরামিডে কিছু গুপ্তধনের সন্ধান দিচ্ছে।কিন্তু গুপ্তধন কোথায় তা দেখার পূর্বেই দু’বারই তার ঘুম ভেঙে গিয়েছিল। সান্তাতিয়াগো তার এ বিচিত্র স্বপ্ন নিয়ে এক জিপসি বুড়ির কাছে জানতে চায়, কারণ সে শুনেছিল জিপসি বুড়িটি স্বপ্নের ব্যাখ্যা করতে পারত। সবকিছু শুনে বুড়ি তাকে তার স্বপ্নের পিছনে ছোটার তাগিদ দেয়। সপ্নের ব্যাখ্যার তাৎক্ষনিক কোনো পারিশ্রমিক না নিলেও বুড়ি গুপ্তধনের দশভাগের এক ভাগ দাবি করে সান্তিয়াগোর কাছে , যদি সে গুপ্তধন কখনো পায়। সান্তিয়াগো বুড়ির কথা পুরোপুরি বিশ্বাস না করেই চলে যায় সেখান থেকে। ঐ রাতে আরেক সন্ন্যাসী বৃদ্ধের সাথে দেখা হয় তার। ঐ বৃদ্ধও তাকে মিশরের পিরামিডে যাত্রা করতে বলে। তার সাথে ঘটতে থাকা এসব বিচিত্র ঘটনা ও মিশরের পিরামিড দেখার কৌতূহল থেকে সে গুপ্তধনের সন্ধানে নেমে পড়ে। এ সন্ধান যাত্রায় কখনো তার পথ ছিল অনুকূল , কখনো ছিল বিপদসংকুল। যাত্রাপথে ভিন্ন এক দেশ তান্জিয়ারে চোরের কবলে পড়ে সব হারিয়ে একসময় সে স্বপ্নের পেছনে ছোটা বন্ধ করতে চায়।এরপর দীর্ঘদিন এক দোকানে কাজ করে টাকা জমিয়ে পুনরায় সে তার স্বপ্নের পিছে যাত্রা শুরু করে । এবার মিশরে যাত্রাপথে তার সামনে আসে মরুভূমির বিশাল বাধা। কৌতূহল ও দৃঢ় মনোবলকে পুজি করে মরুভূমির প্রতিকূল পরিবেশে সে বেড়িয়ে পড়ে কাফেলার সাথে । স্পেন থেকে মিশরের এ দুর্গম যাত্রা তার অভিজ্ঞতার ভাণ্ডারকে করে তোলে আরোও সমৃদ্ধ। মরুর এ দুর্গম যাত্রার মাঝে শোনা যায় উপজাতিদের মধ্যে যুদ্ধের সমূহ সম্ভাবনার কথা। সান্তিয়াগোর কাফেলা বিপদ থেকে বাচতে আশ্রয় নেয় এক মরুদ্যানে। নিজের পূর্ব অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে সে ঐ মরুদ্যানকে শত্রুদের সম্ভাব্য আক্রমণ থেকে রক্ষা করে এবং ঐ মরুদ্যানের অভিজাতদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যায়। এসবের ফাকে মরুদ্যানের ফাতেমা নামে এক কিশোরীর সাথে তার ঘটে প্রেম। ধন সম্পত্তি, জীবনসঙ্গী পেয়ে সে গুপ্তধনের কথা ভুলতে শুরু করে। মরুদ্যানের এই অভিজাতপূর্ণ জীবণকেই সে চূড়ান্ত সফলতা মনে করতে থাকে। এ সময় আগমন ঘটে অ্যালকেমিস্টের। অ্যালকেমিস্ট তাকে বোঝায় এ ছোট সাফল্য তাকে আরোও বড় কোনো সাফল্য থেকে দূরে সরে নিয়ে যাচ্ছে। অ্যালকেমিস্টের এ কথায় সে তার অভিজাতপূর্ণ জীবন ছেড়ে আবার গুপ্তধনের সন্ধানে বেড়িয়ে পড়ে। এবারের যাত্রা পূর্বের চেয়ে আরোও কঠিনতর হয়ে পড়ে। তবু সব বাধা অতিক্রম করে সে এক সময় পৌছে যায় পিরামিডে। সেখানে সে এক লোকের স্বপ্নের কথা জানতে পারে । লোকটির দেখা স্বপ্নটি ছিল এরকম - এক বালক ঐ লোককে স্পেনের এক পরিত্যক্ত গির্জার কাছে গুপ্তধনেরর সন্ধান দিচ্ছিল , গির্জাটির মাঝখানে ছিল একটি সাইকামো গাছ। বারবার এই একই স্বপ্নের পুনরাবৃত্তি সত্ত্বেও লোকটি সান্তিয়াগোর মতো গুপ্তধনের সন্ধানে বেড়োতে পারেনি ব্যর্থ হবার ভয়ে। লোকটির এই দৈব স্বপ্নের কথা জানার পর সান্তিয়াগোর বুঝতে বাকি থাকেনা গুপ্তধন কোথায় লুকোনো। যে গির্জায় শুয়ে সে দু’বার গুপ্তধনের স্বপ্নটি দেখেছিল , সেই গির্জাতেই তার কাঙ্খিত গুপ্তধন সুপ্ত আছে। এটা বুঝতে পারার পর আপাতদৃষ্টিতে তার এ দীর্ঘ যাত্রা পন্ডশ্রম মনে হলেও সে কৃতজ্ঞ থাকে সৃষ্টিকর্তার কাছে। এ দীর্ঘ ভ্রমণ না করলে তার জীবনের প্রকৃত অর্থ সে কখনোও খুজে পেত না। এ ভ্রমণে বার বার বিপদের মধ্যে সে যেসব অভিজ্ঞতা অর্জন করেছিল তার মূল্য গুপ্তধনের চেয়েও বেশি ছিল। সে আরোও বুঝতে পারে জীবন তাদের কাছেই উদার যারা ভাগ্যের সন্ধান করে। বইটির নামকরণের সার্থকতা : মধ্যযুগে অ্যালকেমিস্ট বলতে তাদের বোঝানো হতো যারা যেকোনো ধাতুকে স্বর্ণে পরিণত করতে পারত। বইটিতে অ্যালকেমিস্ট চরিত্রের উপস্থিতি থাকলেও তার জন্য বইটির নাম ‘দ্য অ্যালকেমিস্ট’ করা হয়নি। বরং বইটির প্রধান চরিত্র সান্তিয়াগোকে ঘিরেই এর নামকরণ ’দ্য অ্যালকেমিস্ট’ করা হয়েছে। সান্তিয়াগো কঠোর পরিশ্রমের দ্বারা তার সাধারণ মেষবালকের জীবনকে করে তোলে মহিমান্বিত, ঠিক যেভাবে অ্যালকেমিস্টরা সাধারণ ধাতুকে পরিণত করত মূল্যবান সোনায়। তাই বলা যায় , সান্তিয়াগোর এই কঠোর পরিশ্রমকে রূপকার্থে অ্যালকেমিস্টদের সাথে তুলনা করে বইটির নামকরণ ’দ্য অ্যালকেমিস্ট’ করা অত্যন্ত সার্থক হয়েছে।

দ্য আলক্যামিস্ট একখানা রত্নখনি। বলতে গেলে পাওলো কোয়েলহোর মাস্টারপিস বলা চলে। একজন লেখক জীবনে কয়টি মাস্টারপিস তৈরী করতে জানা নেই। তবে পাওলো কোয়েলহোর উপন্যাসিক জীবন স্বার্থক। পাশাপাশি রকিবুল রকি ভাইকেও ধন্যবাদ চমৎকার একটা অনুবাদ করার জন্য। বাংলা ইংরেজি মিলিয়ে তিনবার পড়েছি বইটি। মানসিক ভাবে বেশ সবল করে তোলে গল্পটি। যেহেতু বইটি খুব বড় নয়, যে কেউ চাইলেই বইটি পড়তে পারেন এবং সংগ্রহে রাখার মত বই। সান্তিয়াগো নামের একজন রাখাল ছেলে, স্বপ্নবিলাসী বলা চলে। তবে ব্যাপারটা স্বপ্নের বললে একটু হালকা হয়ে যায়। ব্যাপারটা হবে বিশ্বাস। সে তার বিশ্বাসের উপর অটুট থেকে হৃদয়ের কথা শুনে পরিভ্রমণ করেছেন ত্যাগ করেছে হাতের কাছের নিছক লোভনীয় সব। অটুট বিশ্বাসে নিজের গন্তব্যে এগিয়ে গেলে সাফল্য আসবেই- এরকমটাই আমি বুঝেছি এ গল্পের মর্মকথা। ধন্যবাদ রকমারি।

দারুন একটি বই। ভ্রমন বিষয়ক বই পড়তে এমনিতে অনেক ভালো লাগে তার সাথে চমৎকার গল্প হলে কথাই নাই। শেষটায় দারুন চমক আছে যা ভালো লেগেছে।

আসসালামু আলাইকুম, আমি তৌফিক ফাহিম। আজ আপনাদের সাথে আলোচনা করব ব্রাজিলীয় লেখক পাউলো কোয়েলহোর বিখ্যাত বই 'The Alchemist' নিয়ে।বিশ্বব্যাপী এটি একটি Best Selling বই যার, ১৫০ মিলিয়ন কপি বিক্রি হয়েছে এবং এ পর্যন্ত ৮০ টি ভাষায় অনুবাদিত হয়েছে। 'The Alchemist' এমন এক জাদুকরি বই যা মানুষের জীবনকে প্রভাবিত করে।পাউলো কোয়েলহোর লেখার সবচেয়ে শক্তিশালী দিক হলো তারঁ লেখা পড়ে গণমানুষ তাদের ভাগ্য পরিবর্তনের অনুপ্রেরণা খুঁজে পায়।বইটিতে আপনারা গল্পে গল্পে অনেকগুলো Life Lesson পেয়ে যাবেন।যেমন: ১.শেখার একটাই পথ আছে।তা হলো:কাজের মাধ্যমে। ২.সহজ জিনিসটাই জীবনে সবথেকে কঠিন, শুধুমাত্র জ্ঞানী ব্যক্তিরাই বুঝতে পারে। ৩.যদি আপনি কোনো কিছু মন থেকে চান এবং তা পাওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে কাজ করেন তবে,অবশ্যই তা পাবেন। ৪.ভাগ্যের শেষ না দেখা পর্যন্ত কখনো ধৈর্য্যহারা হওয়া উচিত নয়। ৫.পৃথিবীর প্রতিটি জিনিসই পরিবর্তিত হয়।প্রতিটি জিনিসকেই আরো একটু উন্নতর হতে,নিজেকে রূপান্তরিত হতে হবে। বইটি কাদের জন্য? ১.যারা ভ্রমণ উপন্যাস পড়তে পচ্ছন্দ করেন; ২.যারা ভাগ্য অনুসন্ধানের যাত্রা আরম্ভ করছেন,করবেন। ৩.যারা লক্ষ্যে অটল থাকার দৃঢ় মানসিকতা অর্জন করতে চান। ৪.যারা Positive thinking মানসিকতা অর্জন করতে চান। ৫."আমাদের সাথে যা হয়,তা ভালোর জন্যই হয়",এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে চান। এটি মূলত ভ্রমণ উপন্যাস যার নায়ক সান্তিয়াগো ঘুরে বেড়াতে ভালোবাসত।তাই সে রাখাল জীবন বেছে নিয়েছিল।ভ্রমণ উপন্যাস হলেও বইটিতে আপনারা দেখতে পাবেন সত্যিকারের ভালোবাসার ক্ষমতা,বন্ধুত্বের ধোকায় নিঃস্ব হয়ে যাওয়া,ব্যবসায় সফলতার গল্প,শূন্য থেকে আরম্ভ করে আবার সফল হওয়ার গল্প,লক্ষ্যে লেগে থেকে সপ্নকে বাস্তবে রুপ দেওয়ার গল্প। যারা লক্ষ্যে অটল থাকার Guideline,Motivation খুজঁছিলেন বইটি তাদের জন্য খুবই উপকারি হবে,ইনশাল্লাহ। Reviewটি শেষ করব বইটির সেরা ৪টি উক্তি দিয়ে, ১."স্বপ্ন দেখা কখানো বন্ধ করো না", ২."যখন তুমি ভালোবাসবে তখন তুমি যা ইচ্ছা করো তাই করতে পারবে" ৩."শুধুমাত্র একটি জিনিসই স্বপ্নকে জয় করতে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে আর তা হচ্ছে ভয়" ৪."অমাবশ্যার পর পূর্ণিমারই আর্বিভাব", অর্থ্যাৎ,খারাপ সময়ের পর ভালো সময় আসবেই।

অনুবাদকে সুখপাঠ্য করে তোলবার জনু অনুবাদক যথাসাধ্য চেষ্টা করেছেন। ধন্যবাদ রাকিবুল রকিকে।

অনুবাদ অনেক স্থানে ছন্দপতন করছে বইটির।

অনেক ভাল একটা বই, পড়ে দেখুন অাশা করি ভালো লাগবে.. ??

Translation is little bit difficult to understand.

বইটা ভাল তবে শেষেরদিকে বাতাস, সূর্যের সাথে কথোপকথন আজগুবী লেগেছে। ৩/৫

অসাধারণ গল্প, মুহুর্তে মুহুর্তে উত্তেজনা, আর তার সাথে চমৎকার অনুবাদ।

এককথায় বলতে গেলে বইটি অসাধারণ । দারুন গল্প । অনুবাদ ভালো হয়েছে ।

not bad

STORY: Very inspirational story. You will get some spiritual energy by reading it. It will teach you many life's lessons, including never giving up. You will get a new perspective on Earth. Everything has a Spirit. TRANSLATION: Even though this translation is little short, the translator skipped some parts, but it's a very good translation.

nice book

অনুবাদক কে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ সর্বাত্নক নির্ভুল অনুবাদ করার জন্য।

দ্য অ্যালকেমিস্ট ব্রাজিলিয়ান লেখক পাওলো কোয়েলহোর একটি উপন্যাস যা 1988 সালে প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল। মূলত পর্তুগিজ ভাষায় রচিত হলেও এটি একটি বহুল ভাষায় অনুবাদিত উপন্যাস । আন্তর্জাতিক বেস্টসেলার একটি রূপক উপন্যাস এটি। অ্যালকেমিস্ট এ একজন আন্ডালুসীয় রাখালকে মিশরের পিরামিড ভ্রমণে অনুসরণ করেছিলেন, সেখানে একটি গুপ্তধন খুঁজে পাওয়ার স্বপ্ন বারবার দেখেন। এমন একটি বই যা একবার হলেও সকলের পরা উচিত। জীবন কে বুঝতে সাহায্য করবে এমন এক বই। গল্পের ছলে যে জীবনের শিক্ষা পাওয়া যায় তা এই বই না পড়লে বুঝতেই পারা সম্ভব হতো না। অ্যালকেমিস্টে সান্তিয়াগো নামে এক আন্দালুসীয় রাখাল ছেলের যাত্রার বণর্না রয়েছে। বার বার স্বপ্ন দেখার জন্য তিনি ভবিষ্যদ্বাণী জানতে নিকটবর্তী একটি শহরে রোমানি মহিলার কাছে স্বপ্নের অর্থ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেন। মহিলা স্বপ্নটিকে একটি ভবিষ্যদ্বাণী হিসাবে ব্যাখ্যা করেছেন এবং বলেন, যে সান্তিয়াগো মিশরীয় পিরামিডগুলিতে একটি গুপ্তধন আবিষ্কার করবেন। তাঁর যাত্রার প্রথম দিকে, তিনি একজন পুরাতন রাজার সাথে সাক্ষাত করেছিলেন, যিনি তাকে তাঁর ভেড়া বিক্রি করতে বলেছেন, যাতে মিশরে যাওয়ার জন্য অথের্র যোগান হয়। এবং এক কিংবদন্তির ধারণা প্রবর্তন করেন। আফ্রিকা পৌঁছানোর প্রথমদিকে, একজন ব্যক্তি সান্টিয়াগোকে পিরামিডগুলিতে নিয়ে যেতে সক্ষম বলে দাবি করেন, তার বদলে তার ভেড়া বিক্রি করে তিনি কী অর্থ উপার্জন করেছিলেন তা ছিনিয়ে নিয়ে যায়।সান্তিয়াগো তারপরে এক বণিকের পক্ষে কাজ করেন এবং দীর্ঘ পথে যাত্রা শুরু করে যাতে তার ব্যক্তিগত কিংবদন্তিটি পূর্ণ করার জন্য পর্যাপ্ত অর্থ উপার্জন করতে এবং পিরামিডগুলিতে যেতে পারে। পথে, ছেলেটি একজন ইংরেজ ব্যক্তির সাথে দেখা হয়েছিল, যিনি একজন আলকেমিস্টের সন্ধানে এসেছিলেন এবং তার সাথে ভ্রমণ চালিয়ে যান। তারা যখন মরূদানে পৌঁছে যায়, সান্তিয়াগো ফাতেমা নামে আরবীয় একটি মেয়ের প্রেমে পড়ে, যার কাছে সে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। তিনি তাঁর যাত্রা শেষ করার পরেই তা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। প্রথমে হতাশ হয়ে পরে তিনি শিখেছিলেন যে সত্যিকারের ভালবাসা শেষ হবে না বা তার ব্যক্তিগত নিয়তির জন্য কেউ ত্যাগও করতে হবে না, কারণ এটিই সত্য । তারপরে ছেলেটির সাথে একজন বিজ্ঞ জ্ঞানী আলকিমিস্টের মুখোমুখি হয় যিনি তাকে তাঁর আসল আত্মা উপলব্ধি করতে শেখায়। একসাথে, তারা যুদ্ধরত উপজাতিদের অঞ্চল জুড়ে যাত্রার ঝুঁকি নিয়েছে, যেখানে ছেলেটিকে "বিশ্বের আত্মা" দিয়ে নিজের একত্ব প্রদর্শন করতে বাধ্য করা হয়েছিল তাকে এগিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেওয়ার আগে নিজেকে সিমোমে পরিণত করেন। তিনি যখন পিরামিডগুলির নজরে খোঁড়াখুঁড়ি শুরু করেন, তখন তাকে আবারও ছিনতাই করা হয়, তবে দুর্ঘটনাক্রমে চোরদের নেতার কাছ থেকে শিখেছিলেন যে তিনি যে ধনটি সন্ধান করেছিলেন তা সেই ধ্বংসপ্রাপ্ত গির্জায় যেখানে তিনি স্বপ্ন দেখেছিলেন।

আমরা সবাই ভাগ্যে বিশ্বাস করি আর স্বপ্ন পূরণ করতে চাই। কিন্তু স্বপ্ন পূরণে আমাদের কি করতে হবে তার সুন্দর দিকনির্দেশনা এই বই। পর্তুগিজ ভাষায় রচিত বইয়ের মধ্যে সর্বকালের সর্বাধিক বিক্রিত বই পাওলো কয়েলহোর দ্য অ্যালকেমিস্ট। সান্তিয়াগো নামের এক স্বপ্নচারী যুবকের ভাগ্যের সন্ধনে ছোটা আর স্বপ্নকে বাস্তবরুপ দেওয়ার মাঝের করনীয় বর্জনীয় সবকিছু মিলিয়ে খুব সুন্দর গোছালো উপস্থাপনা এবং গভীর তাৎপর্যপূর্ণ সংলাপের সমন্বয় দ্য অ্যালকেমিস্ট। আশা করি বইটা পড়লে জীবনে অনেক বড় পরিবর্তন আসবে। চিন্তা ধারায় পরিবর্তন আসবে। ভাগ্যের সন্ধানটা সহজ হবে।