User login

Sing In with your email

Email Address
Password
Forgot Password?

Not Account Yet? Create Your Free Account

Send

Recipients:
Message:

Share to your friends

Copy link:

    Our Price:

    Regular Price:

    Shipping:Tk. 50

    • Size:
    • Color:
    QTY:

    প্রিয় ,

    সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
    মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?

    Please Login to Continue!

    Our User Product Reviews

    Share your query and ideas with us!

    Customer Reviews

      By Iftekhar

      01 Nov 2021 12:09 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      সুন্দর সামাজিক উপন্যাস।

      By Utpal Barna Barua

      01 Nov 2021 10:40 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      3

      By Osman Goni

      06 Feb 2021 09:01 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      #বুক_রিভিউ বইয়ের নামঃ এপিলেপটিক হায়দার লেখকঃ তকিব তৌফিক ধরণঃ উপন্যাস প্রচ্ছদঃ এপিলেপটিক হায়দারের সুন্দর প্রচ্ছদটি করেছেন হিমেল হক। উৎসর্গঃ লেখক বইটি উৎসর্গ করেছেন উনার শ্রদ্ধেয় মা-বাবা ও বোনদের এবং আত্মশুদ্ধির পথগামীদের। পাঠ প্রতিক্রিয়াঃ তরুণ কথাসাহিত্যিক তকিব তৌফিক এর প্রথম উপন্যাস এপিলেপটিক হায়দার।যেকোন লেখকদের প্রথম লিখা বই নিয়ে মনের ভিতর যেমন একটা উৎফুল্লতা কাজ করে ঠিক তেমনি একটু দ্বিধাও কাজ করে। কেননা প্রথম লিখা বই পাঠকগন সাধরে গ্রহণ করবে কিনা অথবা পাঠকগণ এটাকে কিভাবে বিচার বিশ্লেষণ করবে এসব প্রশ্ন নিয় মনের মধ্যে সংশয় ও কাজ করে। তবুও লেখকরা এগিয়ে যান আনন্দ ও সংশয় নিয়ে। তকিব তৌফিক ভাইয়া প্রথম বই এপিলেপসি রোগ তথা মৃগী রোগ নিয়ে। কোন রোগ নিয়ে উপন্যাস লিখা সত্যিকার অর্থেই অনেক কষ্টসাধ্য ব্যাপার।তবুও তরুণ কথাসাহিত্যিক তকিব তৌফিক অসম্ভবকে সম্ভবে রুপান্তর করে দেখিয়েছেন।সে অর্থে লেখককে সফল বলা চলে।আর সে সফলতা হাতেখড়ি হয়েছে উনার প্রবল ইচ্ছাশক্তি আর পরিশ্রমের কারণে। সৃষ্টির শুরু থেকে আজ পর্যন্ত বিভিন্ন রোগের আবির্ভাব হয়েছে। এপিলেপসি বা মৃগী রোগও সে আওতায় পড়ে। তবুও আমাদের সমাজে এ রোগ নিয়ে বিভিন্ন ভ্রান্ত ধারণা ও কুসংস্কার রয়েছে।এ কুসংস্কারের কারণে হাজারো রোগী প্রতিনিয়ত পরিবার কিংবা সমাজ বা আপন জনের কাছে অবহেলার পাত্রে পরিণত হয়। ফলশ্রুতিতে এপলিপটিকদের জীবন আরো দুর্বিষহ হয়ে উঠে। উপন্যাসে লেখক এপলিপসি রোগ নিয়ে সমাজ ও পরিবারের চরম বাস্তবতা সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন যা আমাকে মুগ্ধ করেছে। সার সংক্ষেপঃ উপন্যাসের প্রধান চরিত্র হায়দার। ছেলে প্রচুর মেধাবী কিন্তু সেটা পাঠ্যবইয়ের জন্য নয়। উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করে সিটি কলেজে অনার্সে ভর্তি হয়।তখন থেকে মহুয়া নামের একটা মেয়ের সাথে হায়দারের বন্ধুত্ব হয়।তারা কখনো কর্ণফুলী নদীর তীরে পড়ন্ত বিকাল উপভোগ করত কখনোবা ঝুম বৃষ্টিতে ভিজত।কিন্তু তাদের মধ্যে প্রেম-ভালোবাসা হয়ে উঠেনি বলে মনে করত হায়দার। কিন্ত অনার্স ৩য় বর্ষে অধ্যয়নকালে হঠাৎ তার এপিলেপসি ধরা পড়ল। ফলে হায়দার ভীষণভাবে ভেঙে পড়ে এবং নিজেকে অভিশপ্ত ভাবতে শুরু করে। কেননা তৎকালীন সমাজে এ রোগকে অভিশাপ হিসাবে বিবেচনা করা হত। তার কর্মের ফল বলে ধারণা করা হত। আর তখনি হায়দারের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠে।তার মা নাহার খাতুন মৃগী রোগটাকে স্রষ্টা প্রদত্ত অভিশাপ বলে, সমাজের মানুষের কটু কথার ভয়ে প্রিয় ছেলেকে শহরে পাঠিয়ে দেয়। হায়দার এপিলেপসি রোগ নিয়ে শহরে একা বসবাস করতে শুরু করে।প্রায় সময় তার খিঁচুনি উঠত এবং উদ্ভট সব স্বপ্ন দেখত। একটা সময় অনার্স পরীক্ষা শেষ হয়ে যায়, আর সাথে সাথে মহুয়াও তার জীবন থেকে চলে যায়। তাছাড়া মাঝে মাঝে এমনও দেখা যায় হায়দার শহর থেকে গ্রামে আসে রাতের আঁদারে যাতে কেউ দেখতে না পাই।সে আঁধারেই আবার তাকে পাড়ি দিতে হয় নগরে। আর তখনি হায়দারের মনটা খুবই ব্যথিত হয়ে যেত। উপন্যাসে লেখক আতাউল হকের মত বইপ্রেমী মানুষ ও মহাকাল সম্পর্কে সুন্দরভাবে বর্ণনা দিয়েছেন। #প্রিয়_উক্তি বিশ্বাস আছে এটুকুই বিশ্বাস নয়, বিশ্বাস উপস্থাপন হয় কর্মে, কর্মটাই হলো বিশ্বাসের বহিঃপ্রকাশ। বিশ্বাসের বহিঃপ্রকাশ ছাড়া তো বিশ্বাস কেবলই একটি স্বচ্ছ আয়না, অল্প আঘাতে চুরমার হয়।

      By A.H.M RAFSAN

      03 Dec 2020 01:11 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      সেরা বই

      By Sadia sristy

      01 Dec 2020 06:01 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      #বুক_রিভিউ বইয়ের নাম : এপিলেপটিক হায়দার লেখক : তকিব তৌফিক প্রকাশক:রেদুওয়ানুর রহমান জুয়েল প্রচ্ছদ :হিমেল হক প্রকাশনী : নালন্দা প্রথম প্রকাশকাল: ২০১৮ পৃষ্ঠা সংখ্যা : ৮০ মলাট মূল্য : ২০০ ♦লেখক পরিচিতি :এ সময়ের তরুণ প্রজন্মের পাঠকপ্রিয় কথা সাহিত্যিক লেখক তকিব তৌফিক জীবন সংগ্রামে কঠিনতর ও দূর্গম পথ পাড়ি দেয়া একজন আত্মপ্রত্যয়ী মানুষ।চট্টগ্রাম জেলার ফটিকছড়ি উপজেলার লেলাং ইউনিয়নে লেখকের জন্ম।২০১২ সাল থেকে লেখালেখির শুরু টা হলেও ২০১৮ সালে বইমেলায় প্রকাশিত তার প্রথম উপন্যাস " এপিলেপটিক হায়দার " দিয়ে আবির্ভাব ঘটে অক্ষরে ছাপানো সাফল্যের। লেখক তকিব তৌফিক পড়াশোনা শেষ করে বর্তমানে লেখালেখির পাশাপাশি ব্যক্তিগত জীবনে চাকুরীরত অবস্থায় আছেন। স্বপ্নপূরণের উদ্দেশ্য পরিশ্রমী এই লেখকের ছুটে চলা সার্থক ও সুন্দর হোক। উজ্জ্বল হোক সাহিত্যভুবন। ♦এপিলেপটিক হায়দার নিয়ে কিছু কথা : " এপিলেপটিক একজন রোগী, অভিশপ্ত কেউ নয়।" মূলত এই কথা কে প্রাধান্য দিয়েই সুচনা হয় এপিলেপটিক হায়দার এর। এই গল্পে লেখক খুব সুন্দর ভাবে তুলে ধরেছেন সামাজিক গোঁড়ামি, কুসংস্কার, শিক্ষিত ও প্রতিষ্ঠিত পরিবারের মধ্যেও এপিলেপসি বা মৃগী রোগ নিয়ে ভুল ধারণা। আল্লাহর দেয়া একটি রোগ নিয়ে সমাজের কিছু মানুষ কিভাবে জীবনকে করে তোলে অতিষ্ঠ ও অভিশপ্ত। এমন কঠিন মুহূর্তে সৃষ্টিকর্তার প্রতি বিশ্বাস রেখে,মনোবল ও ইচ্ছাশক্তির মাধ্যমে জীবন আলোকিত করার সন্ধান ও দিয়েছেন লেখক এই উপন্যাসে। ♦উপন্যাসের সংক্ষিপ্ত আলোচনা : সরকারী সিটি কলেজের ছাত্র হায়দার। মহুয়া ও কলেজে পড়াশোনা করে। ১ম বর্ষে ভর্তির সময় তাদের পরিচয় ও বন্ধুত্ব। পড়াশোনা ছাড়াও দুজনে দু'জনার মন খারাপের ভাগিদার। শ্যাম বর্ণের মায়াবী মেয়ে মহূয়া ছিল অভিমানী ও কঠোর প্রকৃতির। অভিমান ও ঝগড়া মাঝে মাঝেই হতো। দুজনের মধ্যে প্রেম কিংবা ভালোবাসা হয়ে উঠেনি তবে দু'জনার অনুপস্থিতি বেশ অনুভব করতে পারতো।ক্লাশ শেষে তারা প্রায়ই কর্ণফুলী তীরে হাঁটতে যেতো।পৌষের বিকেল বা সন্ধ্যায় কেশবতী মহূয়াকে নিয়ে যখন ঘুরে বেড়াতো তখন পশ্চিমের শো শো হাওয়া মেয়েটার চুল গুলো এলেমেলো করে দিয়ে যেতো।জুলাই আগষ্টে কর্ণফুলী সমুদ্রে রূপ নিতো।সেই সৌন্দর্যে অমৃত ভোগে মগ্ন থাকতো তারা। শুধু পৌষে কেনো! বর্ষায় ঝুম বৃষ্টিতেও বৃষ্টিজলও হিমশীতল বাতাসে রয়েছে তাদের অসংখ্য অনুভূতির স্মৃতি। হায়দারের অসুস্থতার কথা জানতো মহূয়া।তার এই বিষন্নতা ভরা জীবনে ভালো থাকার জন্য পাশে ছিল মেয়েটা। সব টা ঠিক ছিল।কিন্তু হঠাৎ-ই হারিয়ে গেলো মহুয়া। হায়দার অসুস্থতার সময় এক দুঃস্বপ্ন তাড়া করে বেড়াতো। মহকালের দুঃস্বপ্ন। এর ভয়াবহতা তাকে প্রতিনিয়ত অনুশোচনায় ভোগাতো।এই স্বপ্নের ব্যাখ্যা খুঁজতে মরিয়া হয়ে পড়লো।এদিকে মা কে নিয়ে সংগ্রামী জীবন চালিয়ে রাখতে একটা চাকরির ভীষণ প্রয়োজন। সেখানেও বাঁধা হয়ে দাঁড়ায় তার অসুস্থতা। কি হবে শেষ পর্যন্ত? হায়দার কি মাকে নিয়ে সুন্দর জীবন ফিরে পাবে? আর মহুয়া? কোথায় পাবে তাকে? আদৌ কি খুঁজে পেয়েছিল তাকে? তাড়া করা মহাকালের দুঃস্বপ্ন? যার ব্যাখ্যা খুঁজতে খুঁজতে সে ক্লান্ত! জানতে পেরেছিল কি? অনুশোচনায় পুড়ে নিজেকে শুদ্ধ করে সঠিক পথে পরিচালিত করতে পেরেছিল? সব টা জানতে, পড়তে হবে এপিলেপটিক হায়দার। ♦পাঠ প্রতিক্রিয়া : চমৎকার এই উপন্যাস টি পড়ে আমি সত্যি অভিভূত। হায়দার ও মহূয়া ছাড়াও সুবেদার,আসমান মিয়া,ফুলকি, আতাউল হক প্রতিটি চরিত্র ফুটিয়ে তুলেছেন অত্যন্ত দক্ষতার সাথে।অসম্ভব ভালো লেগেছে "এপিলেপটিক হায়দার" পড়ে। নিজের মধ্যে চিন্তা ও সৃষ্টিকর্তার প্রতি বিশ্বাসের দৃঢ়তা বৃদ্ধি পায়। তাই আমি বলবো এখনো যারা উপন্যাস টি পড়েননি তারা চাইলেই নিঃসন্দেহে পড়ে নিতে পারেন " এপিলেপটিক হায়দার "। ♦একটি বিশেষ বার্তা : জীবন সমগ্রের কঠিন অধ্যায় ছাড়াও লেখক একটি বিশেষ বার্তা দিয়েছেন এই উপন্যাসে।তা হলো; সৃষ্টিকর্তার প্রতি অগাধ বিশ্বাসের দাবি নয় শুধু ধর্মের কর্ম সম্পন্নই হলো ধর্মানুভূতি।বিশ্বাস যেমন জরুরি, তেমনি ধর্মের কর্ম এবং আত্মশুদ্ধিও ভীষণ জরুরি। ♦লেখকের অন্যান্য বইসমূহ: লেখক তকিব তৌফিক এর এপিলেপটিক হায়দার ছাড়াও রয়েছে 'অধ্যায়' 'কাঙালের সংলাপ', 'নিদাস্তিয়া'এবং সবথেকে সাড়া জাগানো কাব্যগ্রন্থ 'ক্যাকটাস'। অমর একুশে গ্রন্থমেলা২০২১ এ আসছে লেখকের নতুন উপন্যাস 'রিঙ্গণপুর'। লেখক সফলতা কামনা করছি। রিঙ্গণপুর হয়ে উঠুক পাঠকের ভালোবাসার জায়গা। ♦ব্যক্তিগত রেটিং : ১০/১০ বিষন্নতায় মোড়ানো প্রচ্ছদে "এপিলেপটিক হায়দার" এর প্রতি টা শব্দে ঘটেছে লেখকের সৃজনী চিন্তা বহিঃপ্রকাশ। আশা করছি এই উপন্যাস পাঠকের হৃদয়ে স্থান পাবেই।

      By Ankon Erik

      28 Sep 2020 12:12 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      সামাজিক কুসংস্কার নিয়ে দারুণ উপস্থাপন।

      By Xavier Rahman

      23 Jul 2020 06:42 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      সামাজিক কুসংস্কার আর আত্মশুদ্ধির দারুণ উপাখ্যান হলো 'এপিলেপটিক হায়দার'।

      By Akhi nur

      12 Jul 2020 01:11 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      এপিলেপটিক হায়দার বইটি একটি হৃদয়স্পর্শি বই,চিন্তাজগৎকে করে উন্নত।সমাজের অবহেলিত এপিলেপটিকদের জীবন লেখক সুন্দর করে উপস্থাপন করেছেন।লেখক এই বইটা উৎসর্গ করেছেন আত্মশুদ্ধীর পথগামীদের জন্য।বইটি প্রথম থেকে শেষ অব্দি না পড়লে বুঝতে পারবেন না। এপিলেপসি এক ধরনের রোগ।যা মৃগী রোগ নামে পরিচিত।আমাদের সমাজে দেখা যায় এসব রোগীদের অভিসাপ হিসেবে চোখে দেখে।গ্রাম-গঞ্জের ব্যাপারটা কেমন যেন!এছাড়া শিক্ষিত সমাজেও এপিলেপটিকদের অর্থাৎ স্টিগমার হিসেবে প্রচলন আছে। এটি একটি রোগ মাত্র।কিন্ত সামাজিক স্টিগমার এর কথা যদি বলি,এপিলেপসিকে শয়তানের শক্তি হিসেবে আখ্যায়িত হতো,যা ছিল সম্পূর্ণ কুসংস্কার। তাদের পোহাতে হতো ওঝাদের সব শারীরিক নির্যাতন।ছেলেদের ক্ষেত্রে কিছুটা রেহাই আছে।কিন্ত মেয়েদের তাও নেই।যুগ যুগ ধরে সমাজের প্রতিটা স্তরের মানুষের মাঝে গেঁথে রয়েছে।একাংবিশ শতাব্দীতে এসেও পরির্বতন হয়নি মানুষের মন মানসিকতা । সারমর্ম: হায়দার উপন্যাসের মূল চরিত্রের ভূমিকা পালন করে। সে একজন এপিলেপসি রোগী।সমাজে কীভাবে তাকে বেঁচে থাকতে হয় তা বইটি পড়ে জানা যায়।আপন মানুষ পরের মত আচারণ শুরু করে। তাকে হতে হয় সমাজের সামনে অভিসাপ্ত মুর্তি । এছাড়াও আরেকটি বিষয় রয়েছে যা উপন্যাসের মূল টুইস্ট।গুপ্ত মেসেজ ও বলতে পারেন। বইটা পড়ে বুঝতে পারবেন। মানুষ স্বপ্নঘোরে অনেক কিছু দেখে,ভয়ানক,সুন্দর।কিন্ত হায়দার দেখে অজ্ঞান অবস্থায়। কি সাংঘাতিক ব্যাপার! আচ্ছা মানুষকি দেখে এমন সাংঘাতিক স্বপ্ন?জানতে হলে পড়তে হবে কিন্ত। হায়দারের স্বঘোরে কি আসে তবে? কেন আসে এমন দৃশ্য?এইটুকুই বিশ্বাস নয়।বিশ্বাস উপস্থাপন হয় কর্মে,কর্মটাই হলো বহিঃপ্রকাশ। বিশ্বাসের বহিঃপ্রকাশ ছাড়া তো বিশ্বাস শুধু স্বচ্ছ আয়না,স্বল্প আঘাতে চুরমার হয়। বিশ্বাসের চর্চা না থাকলে তার মরিচাকা হয়, শুরু হয় ক্ষয়। তারপর বিশ্বাসের শেষ।তবুও মনে হয় বিশ্বাস ঠিকঠাক আছে।শুধু ধর্মে বিশ্বাসী দাবি করলে হয় না।ধর্মের কর্মই সম্পূর্ণ ধর্মানুভুতি। মহুয়া,আসমান মিয়া,সুবেদার,জোয়ারদার আলী, নাহার খাতুন, মলিনা, নেওয়াজ সাহেব,শিউলি,ফুলকি প্রভৃতি চরিত্রের সম্বনয়ে গড়ে ওঠে বইটি।

      By Kawsar Ahmed

      24 Oct 2019 03:31 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      মৃগীরোগী হায়দার। হঠাৎ করে খিঁচুনি ওঠে তার। অনার্স ৩য় বর্ষে পড়াকালীন সর্বপ্রথম এই রোগ ধরা পড়ে। তাকে সবাই অভিশাপের চোখে দেখে। এভাবেই কাহিনির ডালপালা গজায়। আস্তিক-নাস্তিক ইস্যুটাকেও এই উপন্যাসে হাইলাইট করা হয়েছে। এটা পড়ে আমি বেশকিছু অজানা যেনেছি যা আগে যানতাম না । ভালই লাগছে। শুধুই ভালো লেগেনি “এপিলেপটিক হায়দার” চমৎকার ছিলো

      By Abdul Alim Hawlader

      24 Apr 2019 12:44 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      সর্বোপরি, বিশ্বাস আছে এটুকুই বিশ্বাস নয়, বিশ্বাস উপস্থাপন হয় কর্মে, কর্মটাই হলো বিশ্বাসের বহিঃপ্রকাশ। বিশ্বাসের বহিঃপ্রকাশ ছাড়া তো বিশ্বাস কেবলই একটি স্বচ্ছ আয়না, অল্প আঘাতে চুরমার হয়। বিশ্বাসের চর্চা না থাকলে তার মরিচিকা হয়, শুরু হয় ক্ষয়, তারপর বিশ্বাসের শেষ। তবুও মনে হয় বিশ্বাস ঠিকঠাক আছে। “অধ্যায়” দিয়েই তকিব তৌফিক ভাইয়ার সাথে আমার পরিচয়। “অধ্যায়” সংগ্রহ করার পর জানতে পারি “অধ্যায়” তকিব তৌফিক ভাইয়ার দ্বিতীয় উপন্যাস। এবং “এপিলেপটিক হায়দার” তার প্রথম উপন্যাস। “অধ্যায়” অসাধারণ ছিলো আমার কাছে। তাই লেখকের প্রথম উপন্যাস পড়ার জন্য অধীর আগ্রহ সৃষ্টি হয়। সংগ্রহ করি “এপিলেপটিক হায়দার”। ভালই লাগছে। শুধুই ভালো লেগেনি “এপিলেপটিক হায়দার” চমৎকার ছিলো। এটা পড়ে আমি বেশকিছু অজানা যেনেছি যা আগে যানতাম না এপিলেপটিকদের কথা (বা তাদের অ্যাটাক এর বিষয়), স্বপ্নের বিষয়। স্বপ্নেরও যে প্রকারভেদ থাকে তাও জানতাম না। শুধুমাত্র আমল ছাড়া বিশ্বাস যে আমাদের মুক্তির পথ হতে পারেনা, সেই উপলব্ধি তৈরিতে দারুন কাজ করবে তকিব ভাইয়ার এই প্রথম উপন্যাস “এপিলেপটিক হায়দার”। উপন্যাসের দুঃস্বপ্ন দুটি ছিলো ভয়াবহ… ★বই নিয়ে কথা হোক। বইয়ের কথা ছড়িয়ে যাক সর্বত্র।★ জীবন হোক বইময়।❤? পৃথিবী হোক বইময়।?? ★সকলের প্রতি রইলো অফুরন্ত শ্রদ্ধা ও ভালবাসা।★

      By Salah Uddin Shuvo

      15 Feb 2018 12:39 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      বুক রিভিউ এপিলেপটিক হায়দার লেখকঃ তকিব তৌফিক প্রকাশকঃ নালন্দা পৃষ্ঠাঃ ৮০ মূল্যঃ ২০০টাকা বইয়ের শুরুতেই হায়দার নিজের সম্পর্কে যা ভাবে এটা জানিয়ে লেখক প্রথমেই পাঠকের সেন্টিমেন্টালে টাচ করে। এপিলেপসি একটা রোগ, অভিশাপ না। আমাদের সমাজে আমরা এপিলেপসি বা মৃগী রোগীকে অভিশপ্ত বলেই জেনে এসেছি। এপিলেপটিকদের নিয়ে সামনে পেছনে শত বাজে কথা কিংবা উপহাসের মাধ্যমে তাদের হেয় করে আমরা একপ্রকার পৈচাশিক আনন্দ পেয়ে থাকি। কেন পেয়ে থাকি জানিনা, আমার মনে হয় আমাদের জ্বীনগত সমস্যার কারনে। আমাদের পূর্বপুরুষদের পূর্বপুরুষরা খুব একটা ভাল শ্রেণীর ছিল না, পোষাক বদলালেও তাদের চিন্তাচেতনা অবচেতনভাবে আমাদের মাঝে রয়ে গেছে। তাই এপিলেপটিকদের নিয়ে রষবোধে মেতে ওঠাটা খুব স্বাভাবিক আমাদের কাছে। তো এই এপিলেপটিক হায়দারই আমাদের উপাখ্যানের নায়ক। পুরো বই জুড়ে এত এত ডোমেন নলেজে ভরপুর যা সত্যিই অসাধারণ লেগেছে। যারা হুমায়ন পড়ে তারা বুঝবে অন্যান্য লেখক আর হুমায়নের পার্থাক্য কি। তিনি প্রাসঙ্গিক লেখার মধ্যে এত ছোট ছোট কিছু ইনফরমেশন দিয়ে থাকেন যে পাঠক মোহ হয়ে সেই কথাগুলো নিতে থাকে ভেতরে। এই ইনফরমেশনগুলো যেন উপন্যাসের অবিচ্ছেদ্য অংশ। লেখক তকিব তৌফিক এনালাইটিকাল সিগমেন্ট, নলেজবেজড, ক্রিটিকাল এনালাইসিসসহ প্রচুর ইনফরমেশন দিয়ে সাজিয়েছেন বইটিকে যা সত্যিই অসাধারণ। হায়দারের ছোট খালাতো বোনের ভেন্ট্রিলোকুইজম নিয়ে জানতে চাওয়া এবং খাস্তা বিস্কুটে মুখের ভেতরে শব্দ হওয়ার মত অনবদ্য কিছু ইনফরমেশন রয়েছে বইটিতে। বইটির সব থেকে বেষ্ট পার্ট হল দুইটি। প্লট এবং আনপ্রেডিক্টেবিলিটি। হায়দার চরিত্রটিকে লেখক ফুললি আনপ্রেডিক্টেবল রেখেছেন। পাঠকমন প্রতিটি পরিচ্ছদে পরিচ্ছদে তার প্রেডিক্টেবিলিটি চেঞ্জ করতে বাধ্য হবেন। সর্বপ্রথম হায়দারের ফ্যামিলিচিত্র চিত্রের বর্ণনা শুনে মনে মনে যে চিত্র সাজিয়েছিলাম কিছুক্ষণ পরই মহুয়ার সাথে বর্ষার মুহুর্তে রোমাঞ্চিত হয়ে ধরেই নিয়েছিলাম এটা রোমান্টিক বেজড কাহিনী। উপাখ্যানের শুরু এবং শেষ বিষদ ফারাক। এত সুনিপুণভাবে লেখক কাহিনী বুঝেছেন তার জন্যে তিনি পাঠকদের অসীম ভালবাসা পাবেন। সর্বশেষ হল মেসেজ, আমরা মুসলিম কিংবা হিন্দু, খৃষ্টান কিংবা বৌদ্ধ। সবাই সম্ভবত মহাকালে বিশ্বাসী। মহাপ্রলয়ের দিনের খুব সুন্দর মজার বর্ননা হয়ত কোন ধর্মেই দেইনি। সেদিন বিচার হবে সকল পাপ পূন্যের। হায়দারকে নরকের প্রথম স্তরে পাঠানো হল সৃষ্টিকর্তায় অবিশ্বাস করার কারনে। কিন্তু হায়দার কিন্তু সৃষ্টিকর্তায় বিশ্বাসী ছিল। সে ছিল সেইসকল বিশ্বাসীদের একজন যারা ধর্মকে শুধু ধর্ম হিসেবে গ্রহণ করেছে, যার কর্মফল হয় নরকের প্রথম এবং সবচেয়ে ভয়ংকর স্তর। প্রাকটিসিং না হলে কোন ধর্মেই থাকার কোন মানে হয়না। এর থেকে অবিশ্বাসী হয়ে যাওয়াই ভাল। নামের ট্যাগলাইনে মুহাম্মাদ সাইফুল ইসলাম কিংবা শ্রী গোপাল চন্দ্র রায় লাগানো কিংবা শুক্রবারদিন মসজিদে গিয়ে কপাল ঠেকালেই ধর্মপালনকারী হওয়া যায়না। যারা চর্চা করেনা, নরম হয়ে যায় তাদের ভীত, সেই ভীত জুরে স্থান দখল করে শয়তান। যার ফলাফল অবিশ্বাসীদের একজন। লেখকের প্রতি কৃতজ্ঞ থাকবো অনেকগুলো মেসেজের পাশাপাশি এত সুন্দর একটা মেসেজ দেয়ার জন্যে। আমাদের জেনারেশন সত্যিই অনেক বেশি দূরে সরে গেছে এসব থেকে। তারা নিজেকে একপ্রকার এক্ট অব গড মনে করে বিভিন্ন ক্ষেত্রে। তাদের কাছে ধর্মচর্চা ওল্ড ফ্যাশন ছাড়া আর কিছুই না। এজন্যেই ননপ্রাক্টিসিংদের মধ্য থেকেই খুব সহজেই তৈরি হয় অবিশ্বাসী। এপিলেপটিক হায়দার এমন একটা অভিজ্ঞতা ছিল, যেটা পড়ার পর অন্ধকার রুমে বিছানায় শুয়ে এপাশওপাশ করতে করতে রাত কেটে যায়। যে অভিজ্ঞতা নেয়ার পর মনের ভেতরে তৈরি হয় অদৃশ্য এক অনুরোননা, অনুশোচনা। যে অভিজ্ঞতা নেয়ার পর হায়দারদের জন্যে তৈরি হয় মমতা আর একরাশ ভালবাসা। এই সমাজের আনাচেকানাচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে লক্ষ এপিলেপটিকদের প্রতিচ্ছবি এপিলেপটিক হায়দার...

    •  

    Recently Viewed


    Great offers, Direct to your inbox and stay one step ahead.
    • You can pay using


    JOIN US

    icon Download App

    Rokomari.com is now one of the leading e-commerce organizations in Bangladesh. It is indeed the biggest online bookshop or bookstore in Bangladesh that helps you save time and money. You can buy books online with a few clicks or a convenient phone call. With breathtaking discounts and offers you can buy anything from Bangla Upannash or English story books to academic, research or competitive exam books. Superfast cash on delivery service brings the products at your doorstep. Our customer support, return and replacement policies will surely add extra confidence in your online shopping experience. Happy Shopping with Rokomari.com!