User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
বই তিনটি শিক্ষার্থীদের জন্য কার্যকর ভূমিকা রাখছে...
Was this review helpful to you?
or
ছড়াকবিতার ব্যাকরণের ক্লাস মনের ভাব প্রকাশ করার জন্য ছড়াকবিতা একটি লিখিত মাধ্যম। মনের ভাব লিখিত আকারে প্রকাশ করতে ভাষাকে বিজ্ঞানসম্মত অর্থাৎ শুদ্ধ, সুন্দর ও শৃঙ্খলাবদ্ধ হওয়া প্রয়োজন; এটি করে থাকে ব্যাকরণ। ব্যাকরণ দিয়ে কবিতা রচিত হয় না। ব্যাকরণ সৃজনশীল নয়। ব্যাকরণ কবিতাকে শাসন বা শোষণ করে না। কবিতা আবেগের ফসল তাই ব্যাকরণের দড়ি কবিতাকে বাঁধার ক্ষমতা রাখে না। কিন্তু শুদ্ধশব্দ, প্রমিত বানান, ক্রিয়া, প্রত্যয়, নিদের্শক, বচন, বাচ্য, বিভক্তি, কারক, সমার্থক শব্দ, প্রবাদ, বাগধারা, যতি ইত্যাদি একটি ছড়া বা কবিতার অর্থ, পরিমাপ, সৌন্দর্য, রস, ও গ্রহণযোগ্যতা বাড়াতে সাহায্য করে। সেক্ষেত্রে ব্যাকরণকে কী করে অবজ্ঞা করা যায়! ‘ছড়াকবিতার ব্যাকরণের ক্লাস’ সম্পূর্ণ ব্যাবহারিক একটি গ্রন্থ তাই গ্রন্থটি পড়া জরুরি। আবৃত্তির ক্লাস একজন মানুষের বড় গুণ সে সুন্দর করে কথা বলতে পারে। জড়োতা ছাড়া ভাব বিনিময় করতে পারে। অন্য মানুষ মুগ্ধ হয়ে তার কথা শোনে। মুগ্ধপ্রিয়তায় তিনি বাচিক হয়ে ওঠেন। একসময় কবি হয়ে ওঠেন। এতসব গুণ কে দান করে? কে তাকে বাগমুগ্ধতার চূড়ায় উঠায়! সে আর কেউ না, সে আবৃত্তি। আবৃত্তি শিখলে শুধু মঞ্চের বাচিক শিল্পী নয়-জীবনের সকল ক্ষেত্রে বাচিকশিল্পী হওয়া যায়। মহানবি বলেছেন, ‘তোমাদের শিশুদের আবৃত্তি শেখাও তাহলে তাদের কণ্ঠ সুরেলা ও মধুর হবে।’ আবৃত্তি একটি টেকনিক্যাল শিল্প; এটি কণ্ঠ ও উচ্চারণের ওপর নির্ভরশীল। এ সম্পর্কে পবিত্র সরকার বলেছেন, ‘সবচেয়ে জরুরি হলো কণ্ঠনির্মাণ এবং উচ্চারণে উপযোগী হওয়া। কণ্ঠনির্মাণ ও উচ্চারণ হলো অবৃত্তির টেকনিক্যালের দিক। টেকনিক আয়ত্ত না হলে কোনো শিল্পেই সাফল্য আসে না।’ আবৃত্তির জন্য সাধারণ জ্ঞান, আবৃত্তির উপাদান, বিরতি, রস, ছন্দ, শব্দালংকার, কথার ধীরতা, শুদ্ধশব্দ, শুদ্ধবাক্য, শব্দের দরদি উচ্চারণÑ ব্যাস এটুকুই; সবাইকে মুদ্ধতার চাদরে জড়িয়ে রাখা যায়। এসবের কারণে গল্প, প্রবন্ধ, চিঠি, ছড়া, কবিতা- সবই স্থান পায় কণ্ঠের নাটকীয়তায়। ‘আবৃত্তির ক্লাস’ সম্পূর্ণ ব্যাবহারিক একটি গ্রন্থ তাই গ্রন্থটি পড়া জরুরি। উচ্চারণের ক্লাস উচ্চারণ হলো শব্দের ধ্বনিগত প্রকাশ। ধ্বনির সাথে উচ্চারণের গভীর সম্পর্ক রয়েছে। শুধু ধ্বনির অবস্থান জানলেই উচ্চারণ সঠিক করা যায়। উচ্চারণের সাথে বাগযন্ত্রেরও গভীর সম্পর্ক রয়েছে। যার বাগযন্ত্র অর্থাৎ ঠোঁট, দাঁত, তালু, জিভ, নাক, কণ্ঠ, ফুসফুস ইত্যাদি স্বাভাবিক নয় সে শুদ্ধ উচ্চারণ করতে ব্যর্থ হবে; এতে লজ্জার কিছু নেই। কিন্তু যার বাগযন্ত্র স্বাভাবিক তবুও সে সফলভাবে শব্দ উচ্চারণ করতে পারছে না; তার তো বড় লজ্জা! একজন বাঙালি যে দেশপ্রেমিক তার প্রথম ও প্রধান প্রমাণ সে বাংলা শব্দের অর্থ জানে, প্রমিত বানান জানে এবং শুদ্ধ উচ্চারণ করতে পারে। তাই সঠিক উচ্চারণ একজন খাঁটি বাঙালির অহংকার। শুদ্ধবাক্য ও শুদ্ধ উচ্চারণ একজন ব্যক্তিকে মার্জিত ও শালীন করতে সাহায্য করে। কিন্তু নিম্নক্ষেত্রে অশুদ্ধ বেশি লক্ষ করা যাচ্ছে। এই অহংকার রক্ষার জন্য আজ আর প্রাণ দিতে হবে না; শুধু ৬১টি নিয়ম সচেতনভাবে জানলেই হবে। শব্দ স্বাভাবিকভাবে বলার জন্য সঠিক উচ্চারণ জরুরি। ‘কঅবি’ কষ্টদায়ক উচ্চারণ কিন্তু ‘কোবি’ উচ্চারণটি কী আরামদায়ক! অশুদ্ধ উচ্চারণ শুধু লজ্জা নয় মুখকেও কষ্ট দেয়। মাত্র ৬১টি নিয়মের মাধ্যমে সবার নিকট থেকে সারা জীবনের জন্য ভালোবাসা পাওয়া বড় একটি অর্জন, নয় কি? ‘উচ্চারণের ক্লাস’ সম্পূর্ণ ব্যাবহারিক একটি গ্রন্থ তাই গ্রন্থটি পড়া জরুরি।
Was this review helpful to you?
or
ছড়াকবিতার ব্যাকরণের ক্লাস মনের ভাব প্রকাশ করার জন্য ছড়াকবিতা একটি লিখিত মাধ্যম। মনের ভাব লিখিত আকারে প্রকাশ করতে ভাষাকে বিজ্ঞানসম্মত অর্থাৎ শুদ্ধ, সুন্দর ও শৃঙ্খলাবদ্ধ হওয়া প্রয়োজন; এটি করে থাকে ব্যাকরণ। ব্যাকরণ দিয়ে কবিতা রচিত হয় না। ব্যাকরণ সৃজনশীল নয়। ব্যাকরণ কবিতাকে শাসন বা শোষণ করে না। কবিতা আবেগের ফসল তাই ব্যাকরণের দড়ি কবিতাকে বাঁধার ক্ষমতা রাখে না। কিন্তু শুদ্ধশব্দ, প্রমিত বানান, ক্রিয়া, প্রত্যয়, নিদের্শক, বচন, বাচ্য, বিভক্তি, কারক, সমার্থক শব্দ, প্রবাদ, বাগধারা, যতি ইত্যাদি একটি ছড়া বা কবিতার অর্থ, পরিমাপ, সৌন্দর্য, রস, ও গ্রহণযোগ্যতা বাড়াতে সাহায্য করে। সেক্ষেত্রে ব্যাকরণকে কী করে অবজ্ঞা করা যায়! ‘ছড়াকবিতার ব্যাকরণের ক্লাস’ সম্পূর্ণ ব্যাবহারিক একটি গ্রন্থ তাই গ্রন্থটি পড়া জরুরি। আবৃত্তির ক্লাস একজন মানুষের বড় গুণ সে সুন্দর করে কথা বলতে পারে। জড়োতা ছাড়া ভাব বিনিময় করতে পারে। অন্য মানুষ মুগ্ধ হয়ে তার কথা শোনে। মুগ্ধপ্রিয়তায় তিনি বাচিক হয়ে ওঠেন। একসময় কবি হয়ে ওঠেন। এতসব গুণ কে দান করে? কে তাকে বাগমুগ্ধতার চূড়ায় উঠায়! সে আর কেউ না, সে আবৃত্তি। আবৃত্তি শিখলে শুধু মঞ্চের বাচিক শিল্পী নয়Ñজীবনের সকল ক্ষেত্রে বাচিকশিল্পী হওয়া যায়। মহানবি বলেছেন, ‘তোমাদের শিশুদের আবৃত্তি শেখাও তাহলে তাদের কণ্ঠ সুরেলা ও মধুর হবে।’ আবৃত্তি একটি টেকনিক্যাল শিল্প; এটি কণ্ঠ ও উচ্চারণের ওপর নির্ভরশীল। এ সম্পর্কে পবিত্র সরকার বলেছেন, ‘সবচেয়ে জরুরি হলো কণ্ঠনির্মাণ এবং উচ্চারণে উপযোগী হওয়া। কণ্ঠনির্মাণ ও উচ্চারণ হলো অবৃত্তির টেকনিক্যালের দিক। টেকনিক আয়ত্ত না হলে কোনো শিল্পেই সাফল্য আসে না।’ আবৃত্তির জন্য সাধারণ জ্ঞান, আবৃত্তির উপাদান, বিরতি, রস, ছন্দ, শব্দালংকার, কথার ধীরতা, শুদ্ধশব্দ, শুদ্ধবাক্য, শব্দের দরদি উচ্চারণÑ ব্যাস এটুকুই; সবাইকে মুদ্ধতার চাদরে জড়িয়ে রাখা যায়। এসবের কারণে গল্প, প্রবন্ধ, চিঠি, ছড়া, কবিতাÑ সবই স্থান পায় কণ্ঠের নাটকীয়তায়। ‘আবৃত্তির ক্লাস’ সম্পূর্ণ ব্যাবহারিক একটি গ্রন্থ তাই গ্রন্থটি পড়া জরুরি। উচ্চারণের ক্লাস উচ্চারণ হলো শব্দের ধ্বনিগত প্রকাশ। ধ্বনির সাথে উচ্চারণের গভীর সম্পর্ক রয়েছে। শুধু ধ্বনির অবস্থান জানলেই উচ্চারণ সঠিক করা যায়। উচ্চারণের সাথে বাগযন্ত্রেরও গভীর সম্পর্ক রয়েছে। যার বাগযন্ত্র অর্থাৎ ঠোঁট, দাঁত, তালু, জিভ, নাক, কণ্ঠ, ফুসফুস ইত্যাদি স্বাভাবিক নয় সে শুদ্ধ উচ্চারণ করতে ব্যর্থ হবে; এতে লজ্জার কিছু নেই। কিন্তু যার বাগযন্ত্র স্বাভাবিক তবুও সে সফলভাবে শব্দ উচ্চারণ করতে পারছে না; তার তো বড় লজ্জা! একজন বাঙালি যে দেশপ্রেমিক তার প্রথম ও প্রধান প্রমাণ সে বাংলা শব্দের অর্থ জানে, প্রমিত বানান জানে এবং শুদ্ধ উচ্চারণ করতে পারে। তাই সঠিক উচ্চারণ একজন খাঁটি বাঙালির অহংকার। শুদ্ধবাক্য ও শুদ্ধ উচ্চারণ একজন ব্যক্তিকে মার্জিত ও শালীন করতে সাহায্য করে। কিন্তু নিম্নক্ষেত্রে অশুদ্ধ বেশি লক্ষ করা যাচ্ছে। এই অহংকার রক্ষার জন্য আজ আর প্রাণ দিতে হবে না; শুধু ৬১টি নিয়ম সচেতনভাবে জানলেই হবে। শব্দ স্বাভাবিকভাবে বলার জন্য সঠিক উচ্চারণ জরুরি। ‘কঅবি’ কষ্টদায়ক উচ্চারণ কিন্তু ‘কোবি’ উচ্চারণটি কী আরামদায়ক! অশুদ্ধ উচ্চারণ শুধু লজ্জা নয় মুখকেও কষ্ট দেয়। মাত্র ৬১টি নিয়মের মাধ্যমে সবার নিকট থেকে সারা জীবনের জন্য ভালোবাসা পাওয়া বড় একটি অর্জন, নয় কি? ‘উচ্চারণের ক্লাস’ সম্পূর্ণ ব্যাবহারিক একটি গ্রন্থ তাই গ্রন্থটি পড়া জরুরি।