User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
দারুণ, হজের সফরনামা নিয়ে পড়তে চান, এমন যে কোনো পাঠকের জন্য মাস্টরিড।
Was this review helpful to you?
or
প্রাচীনকালে হজ্জ কতটা কঠিন ছিল, এই বইটি পড়লে তা অনুধাবন করা যায়
Was this review helpful to you?
or
যারা হজ নিয়ে ভ্রমণ কাহিনী পড়তে চান তাদের জন্যে এই বই। আজ থেকে প্রায় ১০০ বছর আগের হজ কেমন ছিল তা লিপিবদ্ধ হয়েছে এই বইতে। লেখক তার নিজের ১৯২৯ সালের হজ করার অভিজ্ঞতা অত্যন্ত সুনিপুন ভাবে তুলে ধরেছেন। বইয়ের প্রথম কয়েক পৃষ্ঠা বেশ ধীর গতিতে শুরু হলেও কিছুক্ষন পর হতে বেশ তরতর করে দ্রুত এগিয়ে গেছে ভ্রমণ। অনুবাদক বেশ সাবলীল ভাষায় অনুবাদ করেছেন। আগেকার দিনের হজ সফর যে বেশ কষ্টসাধ্য ছিল বর্তমানের তুলনায় তা এই বই পড়লে ভালো ভাবে বুঝা যায়। হজ এর দিক নির্দেশনা ও হজ এর মাদ্ধমে নিজের জীবন ও আত্মার পরিশুদ্ধি করে কিভাবে জীবন গঠন করা যায় তও বলা হয়েছে এই বইতে। প্রায় ১০০ বছর বাজেট মক্কা মদিনা সম্পর্কে ও পাঠক জানতে পারবেন। হজ এর ইতিহাস ও যারা মক্কা মদিনা গিয়ে হজ করতে চান তারা পরে ফেলতে পারেন এই বইটি।
Was this review helpful to you?
or
এই সফরনামাটি তিনি চল্লিশটি শিরোনামে সাজিয়েছেন। এবং সফরের শুরু থেকে নিয়ে ফিরে আসা পর্যন্ত সবকিছুই তিনি খুব সুন্দরভাবে কগজের বুকে ফুটিয়ে তুলেছেন। বিভিন্ন স্থানে তিনি বিভিন্ন আমলের ক্ষেত্রে কুরআানের আয়াত-হাদিস এবং ফিকহি বিষয়েও সামান্য আলোকপাত করেছেন। এক. শুরুতেই তিনি কুআানের আয়াত এবং হাদিস দিয়ে হজের গুরুত্ব এবং তা ফরজ হওয়ার বিষয়টি এনেছেন। এরপর তিনি দীর্ঘ সফরের জন্য সাচের পাঠকদের কাছে তাঁর অবর্তমানে পত্রিকা প্রকাশ না হওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করেছেন। কারন তখন জাহাজে করে হজের সফরে যেতে হত। তাই সময়ও অনেক বেশি লাগত। এরপর যথারীতি তিনি বম্বে (যা এখন মুম্বাই) পৌঁছান এবং সেখান থেকে জেদ্দায় রওনা হওয়ার যাবতীয় বর্ণনা দেন । তখনকার বম্বে শহরের অবস্থাকে তিনি ইয়াজুজি শহর বলে অবিহিত করেছেন। এরপর তিনি গুরুত্বপূর্ণ যে বিষয়টি এনেছেন তাহলো সফরে তিনি সস্ত্রীক ছিলেন। তার সাথে ষোল জনের যে কাফেলা ছিল তার মাঝে উল্লেখযোগ্য ব্যাক্তিরা হলেন, মাওলানা মানাযির আহসান গিলানী,মাওলানা আবদুল বারী নদভী, যিনি থানভী রাহ. এর খলিফা ছিলেন এবং মাওলান মুহাম্মদ আলী মুঙ্গেরী, যিনি নদওয়াতুল উলামার প্রতিষ্ঠাতা এবং তার ভাতিজাও ছিলেন। মোটকথা, জীবনী ও সফরনামার গ্রন্থসমগ্রে তথ্য ও ইতিহাসের চেয়ে অনেক বেশী পরিমানে রয়েছে জীবন গঠনের উপাদান ও দিকনির্দেশনা। সচেতন মানুষ তা থেকে সমষ্টিগত জীবনের নিয়মনীতি, চিন্তার বিশুদ্ধতা, আত্মার পরিশুদ্ধি ও হৃদয়ের উত্তাপ গ্রহণ করতে পারেন। আর এ সকল উপাদান সবচেয়ে বেশী পরিমানে পাওয়া যায় হজের সফরে। বিশেষত সেই মুসাফির যদি হন যিন্দা কলব ও যিন্দা কলমের অধিকারী তাহলে তা তো অতি উদাসীনকেও জাগিয়ে তোলে। তখন তাদের মৃত হৃদয়েও জাগে জীবনের স্পন্দন এবং প্রাণের উত্তাপ। বহু বছরের শুকনো চোখও তখন সিক্ত হয় অশ্রুর উষ্ণ স্পর্শে। সুতরাং ইতিহাসে আগ্রহী ও মক্কা-মদিনার জিয়ারত প্রত্যাশী প্রত্যেকরই উচিত এই বইটি সংগ্রহ করে পড়ে ফেলা।