User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
বই - আঁধারের জানালাটা খোলা লেখক - সুস্ময় সুমন নোয়াপাড়া, সীমান্তবর্তী একটা গ্রাম। গ্রামে তেমন মানুষ নাই বললেই চলে৷ সীমান্তবর্তী হওয়ায় ভারতীয় শাড়ি ও ফেনসিডেলের রমরমা ব্যবসা চলে। চৌদ্দ বছরের ময়না তার মা'কে নিয়ে এই গ্রামেই থাকে। ময়নার বাবা চোর হওয়ায় বেশির ভাগ সময় থাকে অন্য গ্রামে। ময়নার বাবা চোর হওয়ায় গ্রামবাসীর কাছে তাকে সব সময় ছোট হতে হয়, শুনতে হয় নানান রকম কথা। তার বন্ধু লালমিয়া সব সময় তার বাবা নিয়ে কথা শুনায়। দোকানদার সালামও কম যায় না, ময়নাকে গালি দেয় এমন কি ময়নার মা কুলসুমের সাথে ভাব করতে চায়। কিন্তু ময়নাকে কেউ গালি দিলে, অপমান করলে ময়না সেটা মেনে নিতে পারে না। তার মাথার ভেতর তখন খুনের নেশা ঘুরে আর সেটাতে সাহায্য করে তার পোকা বন্ধু। একদিন হঠাৎ করে উধাও হয়ে যায় লালমিয়া। তারপর থেকে পল্টু হয়ে যায় ময়নার ভালো বন্ধু, পল্টুর ধারণা লালমিয়াকে ছেলে ধরা নিয়ে গেছে। কিন্তু তার ধারণা মিথ্যে করে দিয়ে পুকুর থেকে লালমিয়ার লাশ পাওয়া। গ্রামের মানুষের বলাবলি করে যে ছেলেটা সাঁতার জানতো না তাই পানিতে পড়ে মারা গেছে। একে একে সালাম দোকানদার, পল্টু ও জমশেদ মিয়া খুন হয় যায়৷ এসব নিয়ে গ্রামে ভয়ের সৃষ্টি হয়, টনক নড়ে ওসি থাহেবের। এই লেখকের পড়া ৩য় বই এটি৷ বইটির ভাষা সহজ এবং রহস্যময় কাহিনী বেশ সুন্দর। প্রথম থেকে সব একদম সব ঠিকঠাক ছিল কিন্তু শেষে গিয়ে যে লেখক গল্পের মোড় ঘুরায় দিবেন সেটা জন্য মোটেও প্রস্তুত ছিলাম না! তবে পাগলের ভূমিকা অন্য রকম হতে পারতো, উঁকুন না খেলেও চলতো। দুইটা ভুল বানান চোখে পড়েছে৷ সব কিছু মিলায় আমার কাছে ভালোই লেগেছে, শেষ দিকে এসে বেশ চমকে গেছি!?
Was this review helpful to you?
or
বই: আঁধারের জানালাটা খোলা লেখক: সুম্ময় সুমন প্রকাশনী: বাতিঘর প্রথম প্রকাশ: ফেব্রুয়ারি ২০১৭ মূল্য: একশত দশ টাকা মাত্র সীমান্তবর্তী অঞ্চলের একটি গ্রাম। গ্রামের নাম নোয়াপাড়া। চোদ্দ বছরের ময়না মায়ের সাথে ঐ গ্রামেই থাকে। ময়নার বাবা হারুন অন্য গ্রামে গিয়ে চুরি করে, তাই গ্রামের সবাই তাকে হারুন চোরা হিসেবেই চিনে। ময়না সারাদিন তার বন্ধু লালমিয়ার সাথেই খেলাধুলা করে। এত অল্প বয়সেই ময়না কেমন যেন অস্বাভাবিক রকমের পাকা হয়ে উঠেছে। বড়দের মত তীক্ষ্ণদৃষ্টি আর প্রতিশোধপরায়ণ আচরণ। সারাক্ষণ তার মাথার মধ্যে গিজগিজ করে শয়তানি বুদ্ধি। একদিন সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে উধাও হয়ে যায় ময়নার ঘনিষ্ঠ বন্ধু লালমিয়া। কোথায় গেলো সে? কে ওকে উধাও করলো? অন্যদিকে, ময়নার মা জানে.. তার ছেলের মাথায় সারাক্ষণ একটি পোকা খোঁচাচ্ছে... খুন কর, ময়না! খুন কর। ছেলেকে নিয়ে তাই কঠিন পরিস্থিতিতে পড়েছে। লালমিয়া নিখোঁজ হওয়ার পর ময়নার পল্টু নামের ছেলের সাথে ঘনিষ্ঠতা গড়ে ওঠে। এভাবেই দিন চলছিলো। কিন্তু হঠাৎ ই এলাকায় শুরু হয় একের পর এক খুন। প্রেক্ষাপটে হাজির হয় ক্ষ্যাপাটে এক পাগল, রহস্যময় কিছু চরিত্র এবং রাতের অন্ধকারে নিঃশব্দে হেঁটে চলে বেড়ানো রক্তপিশাচ। কে বা কারা একের পর এক এই খুন করে চলছে এবং তাদের উদ্দেশ্যই বা কি? এলাকার মানুষ তার কিছুই জানেনা। আঁধারের জানালাটা খোলা একটি মার্ডার মিস্ট্রি নভেলা। #পাঠ_প্রতিক্রিয়া: লেখকের লেখা এটাই আমার পড়া প্রথম বই। একদম সাধারণ একটা গল্পের মতই লেগেছে আমার কাছে। কারণ আমি আগে থেকেই বুঝে গিয়েছিলাম খুন কে বা কারা কারতে পারে। তাই আমি তেমন কোনো টুইস্ট বা সাসপেন্স পাইনি। পাগলের উঁকুন খেয়ে ফেলার বিষয় টা একটুও ভালো লাগে নি, গা গুলিয়ে উঠছিলো আমার। পাগলের চরিত্রটা অন্যভাবে ফুটিয়ে তুললে সুন্দর হতো। বানান ভুল তেমন একটা চোখে পড়েনি। সবদিক মিলিয়ে বইটা আমার তেমন একটা ভালো লাগেনি। সবার ভালো লাগা তো একরকম নয়, তাই আপনারা পড়ে দেখতে পারেন। ভালো লাগতেও পারে। #হ্যাপি_রিডিং
Was this review helpful to you?
or
☆☆☆☆
Was this review helpful to you?
or
চোদ্দ বছরের ময়না কেমন যেন অস্বাভাবিক রকমের পাকা হয়ে উঠেছে । বড়দের মতাে তীক্ষ্ণদৃষ্টি , প্রতিশােধপরায়ণ আচরণ । সারাক্ষণ মাথার । ভেতর গিজগিজ করছে শয়তানি বুদ্ধি । একদিন সীমান্তবর্তি এলাকা থেকে । উধাও হয়ে যায় ময়নার ঘনিষ্ঠ বন্ধু লালমিয়া । কোথায় গেল সে ? কে ওকে উধাও করলাে ? ময়নার মা সারাক্ষণ ছেলের মুখের দিকে তাকিয়ে থাকলেও নির্লিপ্ত অভিব্যক্তিতে কোনাে সদুত্তর খুঁজে পায় না । কিন্তু মা জানে , তার ছেলের মাথায় সারাক্ষণ একটা পােকা খোচাচ্ছে : খুন কর , ময়না ! খুন কর ! ছেলেকে নিয়ে তাই কঠিন পরিস্থিতিতে পড়েছে সে । এরই মাঝে হঠাৎ এলাকায় শুরু হয় একের পর এক খুন । প্রেক্ষাপটে হাজির হয় ক্ষ্যাপাটে এক পাগল , রহস্যময় কিছু চরিত্র এবং রাতের অন্ধকারে নিঃশব্দে হেঁটেচলে বেড়ানাে রক্তপিশাচ ! আঁধারের জানালাটা খােলা একটি শ্বাসরুদ্ধকর মার্ডার মিস্ট্রি নভেলা ।
Was this review helpful to you?
or
চোদ্দ বছরের ময়না। তার বাবা হারুণ মিয়া চোর। বাড়িতে শুধু ময়না আর তার মা কুলসুম বানু এবঙ তার মাথায় তার ‘পোকা বন্ধু’ থাকে। পোকা বন্ধু অবশ্য ময়নার খুব কাছের বন্ধু। ময়নাকে যখন কেউ রাগিয়ে তোলে তখন তাকে খুন করতে পোকা বন্ধুই তো সাহায্য করে। এর মধ্যেই খুন হয়ে গেল গ্রামের কয়েকজন, নিখোজও হলো। গ্রামে নতুন এক পাগলের উপস্থিতি ব্যাপারটাকে আরো ঘোলাটে করে দিল।
Was this review helpful to you?
or
সীমান্তবর্তী গ্রাম নোয়াপাড়া। ছোট্ট একটা অঞ্চলে মাকে নিয়ে বসবাস করে চৌদ্দ বছরের ময়না। ময়না কেমন যেন অস্বাভাবিক রকমের পাকা হয়ে উঠেছে। বড়দের মতাে তীক্ষ্ণদৃষ্টি, প্রতিশােধপরায়ণ আচরণ। সারাক্ষণ মাথার ভেতর গিজগিজ করছে শয়তানি বুদ্ধি। একদিন সীমান্তবর্তি এলাকা থেকে উধাও হয়ে যায় ময়নার ঘনিষ্ঠ বন্ধু লালমিয়া। কোথায় গেল সে? কে ওকে উধাও করলাে? প্রেক্ষাপটে হাজির হয় ক্ষ্যাপাটে এক পাগল, রহস্যময় কিছু চরিত্র এবং রাতের অন্ধকারে নিঃশব্দে হেঁটেচলে বেড়ানাে রক্তপিশাচ! | আঁধারের জানালাটা খােলা একটি শ্বাসরুদ্ধকর মার্ডার মিস্ট্রি নভেলা। রহস্যে ঘেরা বইটা থ্রিলার প্রেমিকদের জন্য অসাধারণ একটা বই। যারা থ্রিলার পছন্দ করেন এখনি বইটি পড়ে ফেলুন।
Was this review helpful to you?
or
কাহিনী সংক্ষেপঃগল্পটি নোয়াপাড়া গ্রামের ১৪ বছরের একজন কিশোর ময়না কে নিয়ে।ময়নার বাবা হারুন মিয়া পেশায় একজন চোর। ময়নার মা কুলসুম বানু একজন গৃহিণী।ময়না তার মায়ের আদরের একমাত্র ধন।সে সব সময় ময়না কে নিয়ে দুশ্চিন্তায় থাকে। বাবা চোর হওয়ার ছোট বেলা থেকেই ময়না আর তার মায়ের কষ্টের জীবনের শুরু হয়েছিলো। ময়না বড় হবার সাথে নানা প্রতিকূলতার সম্মুখীন হচ্ছিলো।চোরের ছেলে হওয়ায় মানুষের কটাক্ষ তাকে সহ্য করতে হতো। সে এসব সহ্য করতে পারতো না বলে ধীরে ধীরে কেমন যেন প্রতিশোধ পরায়ণ হয়ে উঠছিলো কেও গালি গালাজ করলেই তার মাথার পোকা নাড়া দিয়ে উঠতো এই পোকা টা আবার তার খুব ভালো বন্ধু।এছাড়াও তার আর দুইটা বন্ধু আছে লালমিয়া এবং পিন্টু।একদিন ময়না এবং পিন্টু তাদের প্রতিবেশী সালমা ফুফু ও জামশেদ ফুফার ব্যক্তিগত কাজের প্রত্যক্ষদর্শী হয়।এরপরেই পিন্টু এবং ময়নার মাঝে ঝামেলার শুরু।পিন্টুর জন্যই জামশেদ ময়নাকে প্রহার করে। ভালো বন্ধু হলেও লালমিয়া এবং পিন্টু কে কালক্রমে শাস্তি দেয় ময়না।জামশেদের পরিণতিও ভালো হয় না। গল্পের আরেকটা চরিত্র ছিলো সালাম দোকানদার লোকটা ভীষণ খারাপ সে তার বউ মেরে ফেলে এখন নজর দিয়েছে কুলসুম বানুর দিকে । এই সালাম দোকানদারের জন্যই তো ময়নার বাবা হারুন হুট করে উধাও হয়ে গেলো।সালাম দোকানদারের পরিণতিও হয় খুব খারাপ।এখানে রহস্যজনক আরেক চরিত্র ছিলো এক পাগলের সে হঠাৎ করেই গ্রামে আসে তারপর ই ঘটনাগুলো ঘটতে থাকে।রাতের আঁধারে একে একে খুন হয় ময়নার সাথে খারাপ ব্যবহার করার মানুষগুলো।আচ্ছা মানুষগুলো কে খুন করছিলো আর কিভাবে?পিন্টু আর লালমিয়া কে কি শাস্তি দিয়েছিলো ময়না?পিন্টু কি করেছিলো ময়নার সাথে যে জামশেদের হাতে তাকে মার খেতে হয়?জামশেদের কি হয়েছিলো পরে? সালাম দোকানদার কি করেছিলো হারুন মিয়ার সাথে?হারুন মিয়াই বা কোথায় হারিয়ে গেলো?সে কি ফিরেছিলো?সালাম মিয়ার পরিণতি কি ছিলো?আর পাগল সেই লোকটিই বা কে?তার উদ্দেশ্য কি?ময়না কি তাহলে এসব কিছু করছিলো নাকি অন্যকেও তাহলে সে কে?রাতের আঁধারে ঘটে যাওয়া এমন সব রসহ্যময় শত প্রশ্নের উওর পেতে হলে পড়তে হবে এই শ্বাসরুদ্ধকর মার্ডার মিস্ট্রি থ্রিলার টি। পাঠ প্রতিক্রিয়াঃআমি খুব বেশি থ্রিলার উপন্যাস পড়িনি হাতে গনা কয়েকটা হবে।থ্রিলারের সাথে পরিচয়ের সাথে সাথেই থ্রিলার প্রমী হয়ে গেছি বলা যায়।লেখকের পড়া এটিই প্রথম বই।বইটা পড়ার আগ্রহ জন্মেছিলো বইয়ের নাম এবং প্রচ্ছদ দেখে। গল্পের সহজ ভাষা আর রহস্যময় সব ঘটনা মিলিয়ে সত্যি বলতে বইটা এক বসায় পড়ে ফেলেছি।মজার একটা ব্যাপার বা স্পয়লার বলতে পারেন বইটা পড়ার পুরোটা সময় মনে হচ্ছিলো ময়না এসব করেছে কিন্তু লেখক পুরো কাহিনীকে ঘুরিয়ে দিয়েছে শেষটায়। যেটা আপনি যেটা ভাবতেও পারবেন না সেটাই হয়েছে শেষটায়!কিন্তু সেটা কি?সেটা জানার জন্য দারুণ সব মিস্ট্রি দিয়ে ভরা বইটি পড়ার আমন্ত্রণ রইলো পড়ে দেখবেন ভালো লাগবে আশা করি।
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগিতা || রিভিউ || বই : আঁধারের জানালাটা খোলা লেখক : সুস্ময় সুমন প্রকাশক : বাতিঘর প্রকাশনী প্রকাশকাল : ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ ঘরানা : মার্ডার মিস্ট্রি/সাইকোলজিক্যাল থ্রিলার প্রচ্ছদ : সিরাজুল ইসলাম নিউটন পৃষ্ঠা : ৯৬ মুদ্রিত মূল্য : ১১০ টাকা এই গল্প ময়নার। ময়না চৌদ্দ বছর বয়সী এক কিশোর, যার বাস সীমান্তবর্তী ছোট একটা গ্রাম নোয়াপাড়ায়। সংসারে মা কুলসুম বানু ও বাবা হারুন মিয়া। বাবাকে বলতে গেলে একেবারেই কাছে পায়না ময়না। কারণ, তার বাবা একজন বিশিষ্ট চোর। চৌর্যবৃত্তি সামলাতে তাকে বেশিরভাগ সময়েই বাড়ির বাইরে থাকতে হয়। মাঝে মাঝে দিনের পর দিন পার হয়ে যায় অথচ হারুন মিয়া বাড়িমুখো হয়না। এই ব্যাপারটা নিয়ে কিশোর ময়না ও তার মা কুলসুম বানুর মধ্যে একটা আলাদা রকমের ক্ষোভ আছে। ছেলে আর মা'র ক্ষোভ কার চেয়ে কারটা তীব্র এটা বলা বেশ কঠিন। আর দশজন সাধারণ কিশোরের চেয়ে ময়না একেবারেই আলাদা ধরণের। কেমন যেন ইঁচড়েপাকা হয়ে উঠেছে সে। চিন্তাভাবনাও যেন অনেকটাই পরিণত বয়সীদের মতো। গম্ভীর স্বভাবের ময়না তাকে ও তার পরিবারকে কেউ কটু কথা বললে পাগল হয়ে যায়। সারাক্ষণই তার মাথার মধ্যে একটা কথাই বাজতে থাকে - "খুন কর, ময়না! খুন কর!" এছাড়াও তার একমাত্র কাছের 'বন্ধু' বলতে আছে তারই মাথায় বসবাসকারী এক পোকা। ময়না যখনতখন এই পোকার সাথে বিড়বিড়িয়ে আলাপ-আলোচনা করে। ছেলের এই ব্যাপারটা নিয়ে কুলসুম বানু সর্বদাই দুশ্চিন্তাগ্রস্ত থাকেন। সীমান্তবর্তী এলাকা হওয়ায় নোয়াপাড়ার মানুষজন নানারকম ছোটখাটো অপরাধের সাথে পরিচিত। কিন্তু তাদের নড়েচড়ে বসা শুরু হলো কিশোর লালমিয়া নিখোঁজ হবার পর থেকে। ধীরে ধীরে পরিস্থিতি আরো জটিল হলো যখন নারকীয় কিছু হত্যাযজ্ঞের ঘটনা ঘটলো। রাতের আঁধারে মানুষ ভয় পেতে লাগলো নিশ্চিন্তে পথ চলতে। এদিকে রহস্যময় একক পাগলের আমদানি ঘটলো নোয়াপাড়া এলাকায়। যার কাজই হলো 'হেঁউ হেঁউ' করে কি যেন একটা বলার চেষ্টা করা। অন্ধকারের এক গাঢ় চাদর যেন ঘিরে ফেললো সবাইকে। আর এভাবেই ব্যক্ত হতে লাগলো ততোধিক আরেক অন্ধকারের গল্প। ব্যক্তিগত মতামত : একুশে বইমেলা ২০১৭-তে বাতিঘর প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত 'আঁধারের জানালাটা খোলা' বইটা মূলত একটা নভেলা। প্রচারবিমুখ অথচ সুলেখক সুস্ময় সুমন যেখানে তুলে মানবমনের ভয়াবহ এক কালো দিক। বইয়ের প্রথম কয়েকটা পৃষ্ঠা পড়লেই আপনি বুঝতে পারবেন যে দারুন একটা মার্ডার মিস্ট্রির জগতে প্রবেশ করতে চলেছেন আপনি। লেখক সুস্ময় সুমন এই নভেলার মূল চরিত্র কিশোর ময়না সহ অন্যান্য চরিত্রদেরকে এমনভাবে তুলে ধরেছেন যে মনে হচ্ছিলো ওদেরকে আমি একবারে চোখের সামনে দেখতে পাচ্ছি। কিশোর ময়নার আপনমনেই পোকার সাথে বিড়বিড় করা, তার মা কুলসুম বানুর ছেলেকে নিয়ে ভয়, রহস্যময় পাগলের মনস্তত্ত্ব, লম্পট সালাম দোকানদারের লালসা - সব মিলিয়ে অসাধারণ লেগেছে 'আঁধারের জানালাটা খোলা'। আর ক্লাইম্যাক্সে এসে লেখক সাহেব যে জবরদস্ত টুইস্টের খেল দেখিয়েছেন, তা এক কথায় লাজওয়াব! অদূর ভবিষ্যতে তাঁর কাছে বড়সড় পরিসরের মার্ডার মিস্ট্রি আশা করাটা কি অন্যায় কিছু হবে? আমার তা মনে হয়না। 'আঁধারের জানালাটা খোলা' বইতে প্রচ্ছদ করেছেন সিরাজুল ইসলাম নিউটন। তাঁর আগের কাজগুলোর মতোই এই প্রচ্ছদটাও অসাধারণ হয়েছে। বইয়ের কাগজের মান ও বাঁধাইও মানসম্মত ছিলো। প্রিন্টিং মিসটেক ছিলো দুই-এক জায়গায়। ওটা ব্যাপার না। চাইলে পড়ে ফেলতে পারেন বইটা। সময়টুকু দারুন কাটবে। রেটিং : ৪.৫/৫ © শুভাগত দীপ
Was this review helpful to you?
or
''আঁধারের জানালাটা খোলা'' --সুস্ময় সুমন কাহিনী সংক্ষেপ: ১৪ বছরের ছেলে ময়না।বয়সের সাথে তার চরিত্রের কোনো মিল নেই।বরং একটু বেশিই বড়।সবসময় প্রতিশোধ নেওয়ার আকাঙ্খা।বড্ডো অভিমানী।কারো সামান্য অবহেলা, খোঁচা দিয়ে কথা বলা তার মোটেও ভালো লাগে না।রক্ত এক্কেবারে মাথায় উঠে যায়।তার মায়ের চোখেও ব্যাপারটা খুব সহজেই ধরা পরে।সীমান্তবর্তী এলাকায় প্রত্যন্ত অঞ্চলে কয়েকঘর লোকের বাস।তাদের মধ্যে ময়নারা একঘর।ময়নার বাপে চোর।মায়ের আছে বদনাম।কিন্তু রূপের কারণে ময়নার মাকে পোহাতে হয় নানান উটকো ঝামেলা। যা সে চায় না, চায় শান্তির সংসার।এদিকে ময়নার খেলার সাথী লালমিয়া হঠাৎ উধাও।ময়নার মা জানে তার ছেলের মাথার মধ্যে কি ঘুরপাক খায়।ময়না ভাবে তার মা কি তবে টের পেয়ে গেছে পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ডের কথা।এদিকে গ্রামে একের পর এক খুন।লাশের হদিশ মিললেও ধরা পড়ে না খুনি। আঁধারের জানালাটা খোলা।..........একটি মার্ডার মিস্ট্রি নভেলা। পাঠ প্রতিক্রিয়া: কোনো একজনের রিভিউ দেখে ভাবলাম বইটা যখন প্রাইজ পেয়েছি পড়েই দেখি।ছোট বই, নিমিষেই একদিনের মধ্যে শেষ হয়ে গেলো।প্রচ্ছদ আর ফ্ল্যাপে লেখা কথাগুলো পড়লে থ্রিলার পাঠক হিসেবে আপনার মনে হবে, হ্যা দেখি তো বইটা তো ভালোই মনে হচ্ছে।কিন্তু না। শেষটা খুব তাড়াহুড়ার।আর কাহিনীর মাঝে অনেক গ্যাপ।আসল কথাটা বলা হয়নি অনেক জায়গায়।সাইকোলজি নিয়ে খেলা করতে গেলেও অনেক উপাদান লাগে, যেখান থেকে পাঠক বিশ্বাস করতে বাধ্য থাকবেন যে হ্যা এরকম জগতে কিছু ঘটে।ময়না কিংবা ময়নার মায়ের চরিত্র বড় স্বতন্ত্র।কিন্তু হায়রে! শেষটা একদম গোলমেলে।লেখক আসলে একরকম চিন্তা করে লিখেছেন, কিন্তু নিজেই যেন অঙ্কটা মেলাতে না পেরে হাল ছেড়ে দিয়েছেন এমন মনে হলো। আরো অনেককিছু লিখে গল্প বড় করা যেত, সাইকোলজিক্যাল টার্মগুলো নিয়ে আসা যেত।কোনো যুক্তিখন্ডন নেই।একরাশ হতাশা বইটি পড়ার পর। তবে শিশু বা কিশোরদের মনস্তাত্ত্বিক যে বিকাশের ব্যাপারটা লক্ষণীয়, তার সাথে লর্ড অফ টি ফাইলস এর ব্যাপক মিল পেলাম। ভায়োলেশন চার্ট থেকে জানা যায় শিশুর এই বিকাশে একটা সুন্দর পরিবেশ কিভাবে প্রভাব ফেলে।আর তার চারপাশ ভয়াল হলে তার শিশুবৃত্তি থেকে পিশাচে রূপান্তরিত হওয়া শুধু সময়ের ব্যাপার।