User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
ভালোই থ্রিল দিতে সক্ষম
Was this review helpful to you?
or
chole
Was this review helpful to you?
or
tan tan uttejona
Was this review helpful to you?
or
সাইকোলজিক্যাল থ্রিলার গুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশী পাঠক জনপ্রিয়তা পেয়েছিলো ‘রবার্ট ব্লক’ এর ‘সাইকো'। বইটি প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯৫৯ সালে। প্রকাশের সাথে সাথেই বইটি পাঠক জনপ্রিয়তা পায় এবং বেস্ট সেলারে পরিণত হয়। পরবর্তীতে তুমুল জনপ্রিয় এই বইটি নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মান করেন ‘আলফ্রেড হিচকক' এবং চলচ্চিত্রটির নামও রাখা হয় ‘সাইকো’। এই চলচ্চিত্রটি বিশ্বের সেরা দশটি সাইকো-থ্রিলারের মধ্যে স্থান করে নেয়। গল্পটির মূল চরিত্র নরম্যান বেটস ও তার মা নরমা বেটস। তাদের মোটেল ব্যবসা আছে। নরমা বেটস ছেলে নরম্যানকে প্রচুর শাসন করেন। তার শাসনে ছেলে মাঝেমাঝে খুব বিরক্ত হয় কিন্তু সে জানে যে তার মা ছাড়া সে চলতে পারবে না। এদিকে মেরি ক্রেন নামের একটি মেয়ে তাদের মোটেলে এসে উঠে। নরম্যানের মা মেয়েটিকে পছন্দ করেন না। এর একমাত্র কারণ তার ছেলে মেয়েটির প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়েছে। তাই নরমা বেটস খুন করে মেরী ক্রেনকে। মেরী ক্রেনকে খুঁজতে খুঁজতে সেখানে এসে উপস্থিত হয় প্রাইভেট ইনভেস্টিগেটর আরবোগাস্ট, মেরীর বোন লীলা ও বয়ফ্রেন্ড স্যাম। ইনভেস্টিগেশন করতে গিয়ে নরম্যানের মোটেলে গিয়েই নিখোঁজ হন আরবোগাস্ট। উপায়ন্তর না দেখে স্যাম ও লীলা উপস্থিত হয় স্থানীয় শেরিফের কাছে। অভিযোগ করে যে আরবোগাস্ট নরম্যানের মোটেলে মেরীর থাকার প্রমাণ পেয়েছে এবং সে নরম্যানের মায়ের সাথে কথা বলতে গিয়েছিলো মেরীর ব্যাপারে। এরপর থেকেই নিখোঁজ আরবোগাস্ট। কিন্তু শেরিফ জানালেন যে নরম্যানের মা মারা গেছেন প্রায় ২০ বছর আগে! তাহলে কে খুন করলো মেরীকে? আর আরবোগাস্টই বা কেনো মিথ্যে বললো স্যাম এবং লীলাকে! রহস্যের শেষ জানতে পড়ে ফেলুন বইটি। এই বইটির পরতে পরতে লুকিয়ে আছে শ্বাসরুদ্ধকর উত্তেজনা ও রোমাঞ্চ। গল্পটির ভিতরে একবার ঢুকে পড়তে পারলে একদমে শেষ করে ফেলতে ইচ্ছে হবে। বইটির শুরুর দিকটা একটু নিষ্প্রাণ লেগেছিলো, হয়ত অনুবাদের কারনে। কিন্তু ধীরেধীরে যতই পড়া এগিয়েছে ততই প্রাণবন্ত হয়ে উঠেছে। থ্রিলার লাভারদের জন্য এই বইটি একটি হটকেক।
Was this review helpful to you?
or
#বুক_রিভিউ (৫) বইয়ের নাম: সাইকো লেখক: রবার্ট ব্লক রূপান্তর: সাজিদ রহমান প্রকাশনী: আদী প্রকাশনী প্রকাশকাল: আগস্ট, ২০১৭ পৃষ্ঠা: ১২৮ মূল্য: ২৫০ টাকা সাইকো?? হ্যাঁ, ঠিকই শুনেছেন।সাইকো... শব্দটা শুনলেই কেমন একটা গা রি রি করে ওঠে... শিহরণ জাগে মনে, তাই না? কিন্তু কেন? কি করে এই সাইকোরা? যার জন্য এই শব্দটা শুনা মাত্রই এমন একটা অনুভূতির সৃষ্টি হয় আমাদের মাঝে। সাইকো মূলত তাদের বলা হয়, যারা দীর্ঘদিন ধরে মানসিক রোগে আক্রান্ত। এই মানসিক রোগ তাদের শারীরিক এবং দৈনন্দিন জীবনকে প্রভাবিত করে, যার ফলে তারা নানা উদ্ভট বৈশিষ্ট্যের অধিকারী হয় এবং উদ্ভট সব কাজ কর্ম করে বেড়ায়। নরম্যান বেটস পাহাড়ের উপর পুরনো এক বাড়িতে থাকে সে মায়ের সাথে। বাড়ির পাশেই রয়েছে তাদের একটি মোটেল। সেখান থেকে আসা অল্প কিছু অর্থেই পেট চালায় মা-ছেলে। তাদের এই মোটেল টা পুরনো হাইওয়ে রাস্তার এদিকে বলে তেমন কেউ আসে না এখানে। তাই মোটেলের দিকে নরম্যান বেটসের তেমন আগ্রহও নেই, নরম্যান বেটস ঘর থেকে বের হয়না তেমন...সে নানান বই পড়ে ঘরে বসে। সারাদিন তার এই আলসেমী আর ঘরে বই পড়া দেখা তার মা নরমা বেটস তার উপর এক প্রকার বিরক্ত। নরম্যান বেটসের উপর রেগে গিয়ে কর্তৃত্বপরায়ণ মায়েদের মত কিছু কথাও শুনিয়ে দেয় তাকে। সাতাশ-আটাশ বছরের মেরি। সতেরো বছর বয়সেই বাবা মারা যায় একটি গাড়ি দূর্ঘটনায়। তখন জীবন থেকে হারিয়ে গিয়েছিল কলেজে পড়ার সুযোগ। অতটুকু বয়সেই চাকরী জীবনে ঢুকে পড়তে হয়েছিলো তাকে। তা না হলে যে মা আর ছোট বোন লিলাকে নিয়ে না খেয়ে মরতে হতো। কিন্তু শেষে মাকেও আর বাঁচাতে পারেনি মেরি, তিন বছর রোগে ভুগে মারা গেলেন তার মা। তারপর থেকে দুইবোনের সংসার। মেরি লাউরি এজেন্সিতে চাকরি করে... ছোটবোন লিলার পড়াশোনা এবং সংসারের খরচ চালায়। অবশ্য কিছুদিনের মাঝেই একটা রেকর্ড শপে কাজ জুটিয়ে ফেলল লিলা। এমনকি দুই বোন মিলে উঠে এলো একটা ছোট এপার্টমেন্টে। লিলার কথায় অনুপ্রাণিত হয়েই এস.এস. ক্যালেডোনিয়ায় চড়ে ক্যারিবিয়ানে পাড়ি জমিয়েছিলো মেরি। মেরির ই মতো স্যাম লুমিস নামের এক তরুণও তখন ঘুরতে আসে এখানে। স্যাম লুমিসের ফেয়ারভিল নামক এক শহরে একটা হার্ডওয়্যার স্টোর আছে। তার আর্থিক অবস্থাও খুব খারাপ, কেননা তার ঘাড়ে চেপে বসে আছে এক বিশাল দেনা। সেখানেই পরিচয় হয় মেরি এবং স্যামের। আর তাদের মধ্যে গড়ে উঠে প্রেমের সম্পর্ক। তারপর ই হঠাৎ একদিন মেরিকে তার অফিসের বস চল্লিশ হাজার ডলার দেয় ব্যাংকে জমা করার জন্য। কিন্তু মেরি সেই টাকা টা ব্যাংকে জমা না করে, কাউকে কিছু না বলে পাড়ি জমায় ফেয়ারভিলে স্যামের কাছে আসার উদ্দেশ্যে। কিন্তু মেরি শেষ ফেয়ারভিলে এসেছিলো এক বছর আগে তাও আবার দিনের বেলায়। কিন্তু সন্ধ্যার অন্ধকারে সেদিন মেরি রাস্তা ভুল করে। আর বিগত আঠারো ঘন্টা লাগাতার গাড়ি চালানোর ফলে সে খুবই ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলো। গাড়িতে বসেই চিন্তা করছিলো রাতটা কোথায় কাটানো যায়। ঠিক তখনি নজরে পড়লো,,, রাস্তার পাশে বিজ্ঞাপনে লিখা, মোটেল খালি। রাতটা এখানে থাকবে বলেই ঠিক করলো মেরি। যেই ভাবনা সেই কাজ। হঠাৎ ই লিলা ছুটে এলো স্যাম লুমিসের কাছে। কারণ এক সপ্তাহ যাবৎ মেরি নিখোঁজ। আর লিলার সাথে এসেছে প্যারিটি মিউচুয়ালের লাইসেন্সপ্রাপ্ত গোয়েন্দা "মিলটন আরবোগাস্ট"। লাউরি এজেন্সির পক্ষেই কাজ করছে সে। তাদের ধারণা ছিলো টাকাগুলো নিয়ে মেরি স্যামের কাছেই এসেছে। কিন্তু স্যামকে অনেক জিজ্ঞাসাবাদের পর তারা বুঝতে পারলো যে, স্যাম এ ব্যাপারে সত্যি ই কিছু জানেনা। তাহলে? মেরি গেলো কোথায়? এদিকে স্যাম ও লিলা ফেয়ারভিলের স্থানীয় পুলিশ শেরিফের শরণাপন্ন হয়। শেরিফ তাদের এসে জানায় মোটেলে নরম্যান একাই থাকে এবং খুব সাধারণ একজন মানুষ তিনি। কিন্তু আরবোগাস্ট... স্যাম ও লিলাকে জানিয়েছিলো সে মোটেলে ঢুকার সময় বাড়ির বারান্দার দোতলায় একজন মহিলাকে দেখতে পেয়েছে, ইনি নাকি নরম্যানের মা। অথচ শেরিফ তাদের কে বললো নরম্যানের মা বিশ বছর আগে মারা গেছেন এবং তিনি নিজে ওর মা'র কফিন বহন করেছে। তাহলে আরবোগাস্টের দেখা ঐ মহিলাটা কে? আর মেরিকে খুঁজতে গিয়ে আরবোগাস্ট ই বা কোথায় নিখুঁজ হয়ে গেলেন? শেষে বাধ্য হয়ে স্যাম এবং লিলা স্বামী-স্ত্রীর পরিচয়ে মেরির খোঁজে উঠে নরম্যানের সেই মোটেলে। যদি মেরির কোনো সন্ধান পাওয়া যায় সেটা ভেবেই। কিন্তু তারপর তারা সেখানে যা আবিষ্কার করলো তা একদম ই অবিশ্বাস্য। স্যাম আর লিলা কি পারবে আরবোগাস্ট ও মেরিকে খুঁজে বের করতে? এই সব প্রশ্নগুলোর উত্তর পেতে হলে পড়ে ফেলুন রবার্ট ব্লকের "সাইকো" বইটি। #পাঠ_প্রতিক্রিয়া: লেখকের লেখা পড়া এটাই আমার প্রথম বই। বইয়ের প্রচ্ছদ, বাইন্ডিং, প্রিন্টিং ছিলো চমৎকার। পুরো গল্পে এমন কিছু টুইস্ট এবং সাসপেন্স আছে যা আমাকে চমকে দিয়েছে। আমি শেষ টা ভেবেছিলাম একরকম হবে কিন্তু আসলে সেরকম হয়নি, আমার ভাবনার সাথে মিলেনি শেষ টা। বইটা শেষ করা মাত্রই রিভিউ লিখতে বসে গেলাম। অনুবাদ বেশ ভালো ছিলো। তবে বানানে বেশকিছু জায়গায় ভুল ছিলো, একই শব্দ দুইবার করে ছিলো কিছু জায়গায়, লেখার মাঝে স্পেস সমস্যা ছিলো... যেমন: দিয়েআরবোগাস্টের, পরিমাণেবিশ্রাম। এরকম আরো বেশ কিছু জায়গায় ছিলো। এসব কারণে পড়ার মাঝে একটু বিরক্ত লেগেছে। পরবর্তীতে এসব বিষয়গুলোতে নজর দেয়ার জন্য লেখকের কাছে অনুরোধ রইলো। #হ্যাপী_রিডিং!??
Was this review helpful to you?
or
অসাধারন একটি বই। প্রতি সেকেন্ডে সেকেন্ডে শিহরিত হয়েছি।
Was this review helpful to you?
or
সাইকো?? হ্যাঁ, ঠিকই শুনেছেন।সাইকো... শব্দটা শুনলেই কেমন একটা গা রি রি করে ওঠে... শিহরণ জাগে মনে, তাই না? কিন্তু কেন? কি করে এই সাইকোরা? যার জন্য এই শব্দটা শুনা মাত্রই এমন একটা অনুভূতির সৃষ্টি হয় আমাদের মাঝে। সাইকো মূলত তাদের বলা হয়, যারা দীর্ঘদিন ধরে মানসিক রোগে আক্রান্ত। এই মানসিক রোগ তাদের শারীরিক এবং দৈনন্দিন জীবনকে প্রভাবিত করে, যার ফলে তারা নানা উদ্ভট বৈশিষ্ট্যের অধিকারী হয় এবং উদ্ভট সব কাজ কর্ম করে বেড়ায়। নরম্যান বেটস পাহাড়ের উপর পুরনো এক বাড়িতে থাকে সে মায়ের সাথে। বাড়ির পাশেই রয়েছে তাদের একটি মোটেল। সেখান থেকে আসা অল্প কিছু অর্থেই পেট চালায় মা-ছেলে। তাদের এই মোটেল টা পুরনো হাইওয়ে রাস্তার এদিকে বলে তেমন কেউ আসে না এখানে। তাই মোটেলের দিকে নরম্যান বেটসের তেমন আগ্রহও নেই, নরম্যান বেটস ঘর থেকে বের হয়না তেমন...সে নানান বই পড়ে ঘরে বসে। সারাদিন তার এই আলসেমী আর ঘরে বই পড়া দেখা তার মা নরমা বেটস তার উপর এক প্রকার বিরক্ত। নরম্যান বেটসের উপর রেগে গিয়ে কর্তৃত্বপরায়ণ মায়েদের মত কিছু কথাও শুনিয়ে দেয় তাকে। সাতাশ-আটাশ বছরের মেরি। সতেরো বছর বয়সেই বাবা মারা যায় একটি গাড়ি দূর্ঘটনায়। তখন জীবন থেকে হারিয়ে গিয়েছিল কলেজে পড়ার সুযোগ। অতটুকু বয়সেই চাকরী জীবনে ঢুকে পড়তে হয়েছিলো তাকে। তা না হলে যে মা আর ছোট বোন লিলাকে নিয়ে না খেয়ে মরতে হতো। কিন্তু শেষে মাকেও আর বাঁচাতে পারেনি মেরি, তিন বছর রোগে ভুগে মারা গেলেন তার মা। তারপর থেকে দুইবোনের সংসার। মেরি লাউরি এজেন্সিতে চাকরি করে... ছোটবোন লিলার পড়াশোনা এবং সংসারের খরচ চালায়। অবশ্য কিছুদিনের মাঝেই একটা রেকর্ড শপে কাজ জুটিয়ে ফেলল লিলা। এমনকি দুই বোন মিলে উঠে এলো একটা ছোট এপার্টমেন্টে। লিলার কথায় অনুপ্রাণিত হয়েই এস.এস. ক্যালেডোনিয়ায় চড়ে ক্যারিবিয়ানে পাড়ি জমিয়েছিলো মেরি। মেরির ই মতো স্যাম লুমিস নামের এক তরুণও তখন ঘুরতে আসে এখানে। স্যাম লুমিসের ফেয়ারভিল নামক এক শহরে একটা হার্ডওয়্যার স্টোর আছে। তার আর্থিক অবস্থাও খুব খারাপ, কেননা তার ঘাড়ে চেপে বসে আছে এক বিশাল দেনা। সেখানেই পরিচয় হয় মেরি এবং স্যামের। আর তাদের মধ্যে গড়ে উঠে প্রেমের সম্পর্ক। তারপর ই হঠাৎ একদিন মেরিকে তার অফিসের বস চল্লিশ হাজার ডলার দেয় ব্যাংকে জমা করার জন্য। কিন্তু মেরি সেই টাকা টা ব্যাংকে জমা না করে, কাউকে কিছু না বলে পাড়ি জমায় ফেয়ারভিলে স্যামের কাছে আসার উদ্দেশ্যে। কিন্তু মেরি শেষ ফেয়ারভিলে এসেছিলো এক বছর আগে তাও আবার দিনের বেলায়। কিন্তু সন্ধ্যার অন্ধকারে সেদিন মেরি রাস্তা ভুল করে। আর বিগত আঠারো ঘন্টা লাগাতার গাড়ি চালানোর ফলে সে খুবই ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলো। গাড়িতে বসেই চিন্তা করছিলো রাতটা কোথায় কাটানো যায়। ঠিক তখনি নজরে পড়লো,,, রাস্তার পাশে বিজ্ঞাপনে লিখা, মোটেল খালি। রাতটা এখানে থাকবে বলেই ঠিক করলো মেরি। যেই ভাবনা সেই কাজ। হঠাৎ ই লিলা ছুটে এলো স্যাম লুমিসের কাছে। কারণ এক সপ্তাহ যাবৎ মেরি নিখোঁজ। আর লিলার সাথে এসেছে প্যারিটি মিউচুয়ালের লাইসেন্সপ্রাপ্ত গোয়েন্দা "মিলটন আরবোগাস্ট"। লাউরি এজেন্সির পক্ষেই কাজ করছে সে। তাদের ধারণা ছিলো টাকাগুলো নিয়ে মেরি স্যামের কাছেই এসেছে। কিন্তু স্যামকে অনেক জিজ্ঞাসাবাদের পর তারা বুঝতে পারলো যে, স্যাম এ ব্যাপারে সত্যি ই কিছু জানেনা। তাহলে? মেরি গেলো কোথায়? এদিকে স্যাম ও লিলা ফেয়ারভিলের স্থানীয় পুলিশ শেরিফের শরণাপন্ন হয়। শেরিফ তাদের এসে জানায় মোটেলে নরম্যান একাই থাকে এবং খুব সাধারণ একজন মানুষ তিনি। কিন্তু আরবোগাস্ট... স্যাম ও লিলাকে জানিয়েছিলো সে মোটেলে ঢুকার সময় বাড়ির বারান্দার দোতলায় একজন মহিলাকে দেখতে পেয়েছে, ইনি নাকি নরম্যানের মা। অথচ শেরিফ তাদের কে বললো নরম্যানের মা বিশ বছর আগে মারা গেছেন এবং তিনি নিজে ওর মা'র কফিন বহন করেছে। তাহলে আরবোগাস্টের দেখা ঐ মহিলাটা কে? আর মেরিকে খুঁজতে গিয়ে আরবোগাস্ট ই বা কোথায় নিখুঁজ হয়ে গেলেন? শেষে বাধ্য হয়ে স্যাম এবং লিলা স্বামী-স্ত্রীর পরিচয়ে মেরির খোঁজে উঠে নরম্যানের সেই মোটেলে। যদি মেরির কোনো সন্ধান পাওয়া যায় সেটা ভেবেই। কিন্তু তারপর তারা সেখানে যা আবিষ্কার করলো তা একদম ই অবিশ্বাস্য। স্যাম আর লিলা কি পারবে আরবোগাস্ট ও মেরিকে খুঁজে বের করতে? এই সব প্রশ্নগুলোর উত্তর পেতে হলে পড়ে ফেলুন রবার্ট ব্লকের "সাইকো" বইটি। #পাঠ_প্রতিক্রিয়া: লেখকের লেখা পড়া এটাই আমার প্রথম বই। বইয়ের প্রচ্ছদ, বাইন্ডিং, প্রিন্টিং ছিলো চমৎকার। পুরো গল্পে এমন কিছু টুইস্ট এবং সাসপেন্স আছে যা আমাকে চমকে দিয়েছে। আমি শেষ টা ভেবেছিলাম একরকম হবে কিন্তু আসলে সেরকম হয়নি, আমার ভাবনার সাথে মিলেনি শেষ টা। বইটা শেষ করা মাত্রই রিভিউ লিখতে বসে গেলাম। অনুবাদ বেশ ভালো ছিলো। তবে বানানে বেশকিছু জায়গায় ভুল ছিলো, একই শব্দ দুইবার করে ছিলো কিছু জায়গায়, লেখার মাঝে স্পেস সমস্যা ছিলো... যেমন: দিয়েআরবোগাস্টের, পরিমাণেবিশ্রাম। এরকম আরো বেশ কিছু জায়গায় ছিলো। এসব কারণে পড়ার মাঝে একটু বিরক্ত লেগেছে।
Was this review helpful to you?
or
It was a dark and stormy night when Mary Crane glimpsed the unlit neon sign announcing the vacancy at the Bates motel. Exhausted, lost, and at the end of her rope, she was eager for a hot shower and a bed for the night. Her room was musty but clean and the plumbing worked. Norman Bates, the manager, seemed nice, if a little odd.
Was this review helpful to you?
or
সাইকো?? হ্যাঁ, ঠিকই শুনেছেন।সাইকো... শব্দটা শুনলেই কেমন একটা গা রি রি করে ওঠে... শিহরণ জাগে মনে, তাই না? কিন্তু কেন? কি করে এই সাইকোরা? যার জন্য এই শব্দটা শুনা মাত্রই এমন একটা অনুভূতির সৃষ্টি হয় আমাদের মাঝে। সাইকো মূলত তাদের বলা হয়, যারা দীর্ঘদিন ধরে মানসিক রোগে আক্রান্ত। এই মানসিক রোগ তাদের শারীরিক এবং দৈনন্দিন জীবনকে প্রভাবিত করে, যার ফলে তারা নানা উদ্ভট বৈশিষ্ট্যের অধিকারী হয় এবং উদ্ভট সব কাজ কর্ম করে বেড়ায়। নরম্যান বেটস পাহাড়ের উপর পুরনো এক বাড়িতে থাকে সে মায়ের সাথে। বাড়ির পাশেই রয়েছে তাদের একটি মোটেল। সেখান থেকে আসা অল্প কিছু অর্থেই পেট চালায় মা-ছেলে। তাদের এই মোটেল টা পুরনো হাইওয়ে রাস্তার এদিকে বলে তেমন কেউ আসে না এখানে। তাই মোটেলের দিকে নরম্যান বেটসের তেমন আগ্রহও নেই, নরম্যান বেটস ঘর থেকে বের হয়না তেমন...সে নানান বই পড়ে ঘরে বসে। সারাদিন তার এই আলসেমী আর ঘরে বই পড়া দেখা তার মা নরমা বেটস তার উপর এক প্রকার বিরক্ত। নরম্যান বেটসের উপর রেগে গিয়ে কর্তৃত্বপরায়ণ মায়েদের মত কিছু কথাও শুনিয়ে দেয় তাকে। সাতাশ-আটাশ বছরের মেরি। সতেরো বছর বয়সেই বাবা মারা যায় একটি গাড়ি দূর্ঘটনায়। তখন জীবন থেকে হারিয়ে গিয়েছিল কলেজে পড়ার সুযোগ। অতটুকু বয়সেই চাকরী জীবনে ঢুকে পড়তে হয়েছিলো তাকে। তা না হলে যে মা আর ছোট বোন লিলাকে নিয়ে না খেয়ে মরতে হতো। কিন্তু শেষে মাকেও আর বাঁচাতে পারেনি মেরি, তিন বছর রোগে ভুগে মারা গেলেন তার মা। তারপর থেকে দুইবোনের সংসার। মেরি লাউরি এজেন্সিতে চাকরি করে... ছোটবোন লিলার পড়াশোনা এবং সংসারের খরচ চালায়। অবশ্য কিছুদিনের মাঝেই একটা রেকর্ড শপে কাজ জুটিয়ে ফেলল লিলা। এমনকি দুই বোন মিলে উঠে এলো একটা ছোট এপার্টমেন্টে। লিলার কথায় অনুপ্রাণিত হয়েই এস.এস. ক্যালেডোনিয়ায় চড়ে ক্যারিবিয়ানে পাড়ি জমিয়েছিলো মেরি। মেরির ই মতো স্যাম লুমিস নামের এক তরুণও তখন ঘুরতে আসে এখানে। স্যাম লুমিসের ফেয়ারভিল নামক এক শহরে একটা হার্ডওয়্যার স্টোর আছে। তার আর্থিক অবস্থাও খুব খারাপ, কেননা তার ঘাড়ে চেপে বসে আছে এক বিশাল দেনা। সেখানেই পরিচয় হয় মেরি এবং স্যামের। আর তাদের মধ্যে গড়ে উঠে প্রেমের সম্পর্ক। তারপর ই হঠাৎ একদিন মেরিকে তার অফিসের বস চল্লিশ হাজার ডলার দেয় ব্যাংকে জমা করার জন্য। কিন্তু মেরি সেই টাকা টা ব্যাংকে জমা না করে, কাউকে কিছু না বলে পাড়ি জমায় ফেয়ারভিলে স্যামের কাছে আসার উদ্দেশ্যে। কিন্তু মেরি শেষ ফেয়ারভিলে এসেছিলো এক বছর আগে তাও আবার দিনের বেলায়। কিন্তু সন্ধ্যার অন্ধকারে সেদিন মেরি রাস্তা ভুল করে। আর বিগত আঠারো ঘন্টা লাগাতার গাড়ি চালানোর ফলে সে খুবই ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলো। গাড়িতে বসেই চিন্তা করছিলো রাতটা কোথায় কাটানো যায়। ঠিক তখনি নজরে পড়লো,,, রাস্তার পাশে বিজ্ঞাপনে লিখা, মোটেল খালি। রাতটা এখানে থাকবে বলেই ঠিক করলো মেরি। যেই ভাবনা সেই কাজ। হঠাৎ ই লিলা ছুটে এলো স্যাম লুমিসের কাছে। কারণ এক সপ্তাহ যাবৎ মেরি নিখোঁজ। আর লিলার সাথে এসেছে প্যারিটি মিউচুয়ালের লাইসেন্সপ্রাপ্ত গোয়েন্দা "মিলটন আরবোগাস্ট"। লাউরি এজেন্সির পক্ষেই কাজ করছে সে। তাদের ধারণা ছিলো টাকাগুলো নিয়ে মেরি স্যামের কাছেই এসেছে। কিন্তু স্যামকে অনেক জিজ্ঞাসাবাদের পর তারা বুঝতে পারলো যে, স্যাম এ ব্যাপারে সত্যি ই কিছু জানেনা। তাহলে? মেরি গেলো কোথায়? এদিকে স্যাম ও লিলা ফেয়ারভিলের স্থানীয় পুলিশ শেরিফের শরণাপন্ন হয়। শেরিফ তাদের এসে জানায় মোটেলে নরম্যান একাই থাকে এবং খুব সাধারণ একজন মানুষ তিনি। কিন্তু আরবোগাস্ট... স্যাম ও লিলাকে জানিয়েছিলো সে মোটেলে ঢুকার সময় বাড়ির বারান্দার দোতলায় একজন মহিলাকে দেখতে পেয়েছে, ইনি নাকি নরম্যানের মা। অথচ শেরিফ তাদের কে বললো নরম্যানের মা বিশ বছর আগে মারা গেছেন এবং তিনি নিজে ওর মা'র কফিন বহন করেছে। তাহলে আরবোগাস্টের দেখা ঐ মহিলাটা কে? আর মেরিকে খুঁজতে গিয়ে আরবোগাস্ট ই বা কোথায় নিখুঁজ হয়ে গেলেন? শেষে বাধ্য হয়ে স্যাম এবং লিলা স্বামী-স্ত্রীর পরিচয়ে মেরির খোঁজে উঠে নরম্যানের সেই মোটেলে। যদি মেরির কোনো সন্ধান পাওয়া যায় সেটা ভেবেই। কিন্তু তারপর তারা সেখানে যা আবিষ্কার করলো তা একদম ই অবিশ্বাস্য। স্যাম আর লিলা কি পারবে আরবোগাস্ট ও মেরিকে খুঁজে বের করতে? এই সব প্রশ্নগুলোর উত্তর পেতে হলে পড়ে ফেলুন রবার্ট ব্লকের "সাইকো" বইটি।
Was this review helpful to you?
or
সাইকো?? হ্যাঁ, ঠিকই শুনেছেন।সাইকো... শব্দটা শুনলেই কেমন একটা গা রি রি করে ওঠে... শিহরণ জাগে মনে, তাই না? কিন্তু কেন? কি করে এই সাইকোরা? যার জন্য এই শব্দটা শুনা মাত্রই এমন একটা অনুভূতির সৃষ্টি হয় আমাদের মাঝে। সাইকো মূলত তাদের বলা হয়, যারা দীর্ঘদিন ধরে মানসিক রোগে আক্রান্ত। এই মানসিক রোগ তাদের শারীরিক এবং দৈনন্দিন জীবনকে প্রভাবিত করে, যার ফলে তারা নানা উদ্ভট বৈশিষ্ট্যের অধিকারী হয় এবং উদ্ভট সব কাজ কর্ম করে বেড়ায়। নরম্যান বেটস পাহাড়ের উপর পুরনো এক বাড়িতে থাকে সে মায়ের সাথে। বাড়ির পাশেই রয়েছে তাদের একটি মোটেল। সেখান থেকে আসা অল্প কিছু অর্থেই পেট চালায় মা-ছেলে। তাদের এই মোটেল টা পুরনো হাইওয়ে রাস্তার এদিকে বলে তেমন কেউ আসে না এখানে। তাই মোটেলের দিকে নরম্যান বেটসের তেমন আগ্রহও নেই, নরম্যান বেটস ঘর থেকে বের হয়না তেমন...সে নানান বই পড়ে ঘরে বসে। সারাদিন তার এই আলসেমী আর ঘরে বই পড়া দেখা তার মা নরমা বেটস তার উপর এক প্রকার বিরক্ত। নরম্যান বেটসের উপর রেগে গিয়ে কর্তৃত্বপরায়ণ মায়েদের মত কিছু কথাও শুনিয়ে দেয় তাকে। সাতাশ-আটাশ বছরের মেরি। সতেরো বছর বয়সেই বাবা মারা যায় একটি গাড়ি দূর্ঘটনায়। তখন জীবন থেকে হারিয়ে গিয়েছিল কলেজে পড়ার সুযোগ। অতটুকু বয়সেই চাকরী জীবনে ঢুকে পড়তে হয়েছিলো তাকে। তা না হলে যে মা আর ছোট বোন লিলাকে নিয়ে না খেয়ে মরতে হতো। কিন্তু শেষে মাকেও আর বাঁচাতে পারেনি মেরি, তিন বছর রোগে ভুগে মারা গেলেন তার মা। তারপর থেকে দুইবোনের সংসার। মেরি লাউরি এজেন্সিতে চাকরি করে... ছোটবোন লিলার পড়াশোনা এবং সংসারের খরচ চালায়। অবশ্য কিছুদিনের মাঝেই একটা রেকর্ড শপে কাজ জুটিয়ে ফেলল লিলা। এমনকি দুই বোন মিলে উঠে এলো একটা ছোট এপার্টমেন্টে। লিলার কথায় অনুপ্রাণিত হয়েই এস.এস. ক্যালেডোনিয়ায় চড়ে ক্যারিবিয়ানে পাড়ি জমিয়েছিলো মেরি। মেরির ই মতো স্যাম লুমিস নামের এক তরুণও তখন ঘুরতে আসে এখানে। স্যাম লুমিসের ফেয়ারভিল নামক এক শহরে একটা হার্ডওয়্যার স্টোর আছে। তার আর্থিক অবস্থাও খুব খারাপ, কেননা তার ঘাড়ে চেপে বসে আছে এক বিশাল দেনা। সেখানেই পরিচয় হয় মেরি এবং স্যামের। আর তাদের মধ্যে গড়ে উঠে প্রেমের সম্পর্ক। তারপর ই হঠাৎ একদিন মেরিকে তার অফিসের বস চল্লিশ হাজার ডলার দেয় ব্যাংকে জমা করার জন্য। কিন্তু মেরি সেই টাকা টা ব্যাংকে জমা না করে, কাউকে কিছু না বলে পাড়ি জমায় ফেয়ারভিলে স্যামের কাছে আসার উদ্দেশ্যে। কিন্তু মেরি শেষ ফেয়ারভিলে এসেছিলো এক বছর আগে তাও আবার দিনের বেলায়। কিন্তু সন্ধ্যার অন্ধকারে সেদিন মেরি রাস্তা ভুল করে। আর বিগত আঠারো ঘন্টা লাগাতার গাড়ি চালানোর ফলে সে খুবই ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলো। গাড়িতে বসেই চিন্তা করছিলো রাতটা কোথায় কাটানো যায়। ঠিক তখনি নজরে পড়লো,,, রাস্তার পাশে বিজ্ঞাপনে লিখা, মোটেল খালি। রাতটা এখানে থাকবে বলেই ঠিক করলো মেরি। যেই ভাবনা সেই কাজ। হঠাৎ ই লিলা ছুটে এলো স্যাম লুমিসের কাছে। কারণ এক সপ্তাহ যাবৎ মেরি নিখোঁজ। আর লিলার সাথে এসেছে প্যারিটি মিউচুয়ালের লাইসেন্সপ্রাপ্ত গোয়েন্দা "মিলটন আরবোগাস্ট"। লাউরি এজেন্সির পক্ষেই কাজ করছে সে। তাদের ধারণা ছিলো টাকাগুলো নিয়ে মেরি স্যামের কাছেই এসেছে। কিন্তু স্যামকে অনেক জিজ্ঞাসাবাদের পর তারা বুঝতে পারলো যে, স্যাম এ ব্যাপারে সত্যি ই কিছু জানেনা। তাহলে? মেরি গেলো কোথায়? এদিকে স্যাম ও লিলা ফেয়ারভিলের স্থানীয় পুলিশ শেরিফের শরণাপন্ন হয়। শেরিফ তাদের এসে জানায় মোটেলে নরম্যান একাই থাকে এবং খুব সাধারণ একজন মানুষ তিনি। কিন্তু আরবোগাস্ট... স্যাম ও লিলাকে জানিয়েছিলো সে মোটেলে ঢুকার সময় বাড়ির বারান্দার দোতলায় একজন মহিলাকে দেখতে পেয়েছে, ইনি নাকি নরম্যানের মা। অথচ শেরিফ তাদের কে বললো নরম্যানের মা বিশ বছর আগে মারা গেছেন এবং তিনি নিজে ওর মা'র কফিন বহন করেছে। তাহলে আরবোগাস্টের দেখা ঐ মহিলাটা কে? আর মেরিকে খুঁজতে গিয়ে আরবোগাস্ট ই বা কোথায় নিখুঁজ হয়ে গেলেন? শেষে বাধ্য হয়ে স্যাম এবং লিলা স্বামী-স্ত্রীর পরিচয়ে মেরির খোঁজে উঠে নরম্যানের সেই মোটেলে। যদি মেরির কোনো সন্ধান পাওয়া যায় সেটা ভেবেই। কিন্তু তারপর তারা সেখানে যা আবিষ্কার করলো তা একদম ই অবিশ্বাস্য। স্যাম আর লিলা কি পারবে আরবোগাস্ট ও মেরিকে খুঁজে বের করতে? এই সব প্রশ্নগুলোর উত্তর পেতে হলে পড়ে ফেলুন রবার্ট ব্লকের "সাইকো" বইটি।
Was this review helpful to you?
or
আমার পড়া এখনো পর্যন্ত সেরা সাইকো থ্রিলার। যদিও বইটি একইসঙ্গে রহস্য ও গোয়েন্দা ভিত্তিক। শ্বাসরুধ্বকর ও টান টান উত্তেজনায় ভরা এই বইটির শেষ ২-৩ পৃষ্ঠার আগে পাঠক অনুধাবন ই করতে ব্যর্থ হবে আসল রহস্য এবং বইটি যে সাইকো থ্রিলার। একজন সাইকো, তার ভিতরে একই সংগে বিরাজমান ভিন্ন ভিন্ন সত্তা ভিন্ন ভিন্ন সময়। পাঠক যে ধরনের বইয়ের ভক্ত হোক না কেন, এই বইটি তার অন্যরকম লাগবেই। এবং পড়ার পর সাইকো ২ পড়ার বাসনা থাকবে শতকরা ৯৯.৯৯ %।
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_পাঠক_সমাগম_বুক_রিভিউ_প্রতিযোগিতা_৪ মাস : আগষ্ট সপ্তাহ : তৃতীয় পর্ব : ৪ বইয়ের নাম : সাইকো লেখক : রবার্ট ব্লক রূপান্তর : সাজিদ রহমান প্রচ্ছদ : আদনান আহমেদ রিজন প্রকাশনী : আদী প্রকাশন পৃষ্ঠা : ১২৮ মূদ্রিত মূল্য : ২৫০ টাকা রেটিং : ৮/১০ রিভিউ ফেয়ারভিলের এক প্রান্তে পাহাড়ের উপর এক পুরনো বাড়িতে থাকে নরম্যান বেটস। মা'কে খুব ভালোবাসে সে। তাকে নিয়েই তার ছোট্ট পৃথিবী। বাড়ির পাশেই একটা মোটেল চালায় মা-ছেলে। নাম বেটস মোটেল। যদিও নতুন হাইওয়ে হওয়ার পর লোকজন বড় একটা আসে না এদিকে। তবুও মোটেলটা থেকে যা আয় হয় তাতে দুজনের দিব্যি চলে যায়। মায়ের একান্ত বাধ্যগত নরম্যানের জীবন বেশ নির্বিবাদেই কাটছিল। এদিকে মি. লাউরি নামক এক ব্রোকারের অফিসে চাকরি করে সুন্দরী মেরি। জীবনের চরাই উতরাই পার করতে করতে বয়স নেহাত কম হয়নি। তবুও সে প্রেমে পড়েছে। কিন্তু তার কপালটাই যেন পোড়া। যাকে সে ভালোবাসে তার ঘাড়ে আছে মস্ত ঋণের বোঝা। আর ঋণ শোধ না করে সে মেরিকে বিয়েও করতে চায় না। কিন্তু অপেক্ষা করাটা মেরির একদমই পছন্দ হচ্ছে না। তাইতো সুযোগ পাওয়া মাত্রই মি. লাউরির চল্লিশ হাজার ডলার নিয়ে উধাও হয়ে যায় সে। বেরিয়ে পড়ে প্রেমিক স্যাম লুমিসের কাছে ফেয়ারভিলে যাবার উদ্দেশ্যে। কিন্তু ঘটনার শুরু হলো তখনই, যখন মেরি পথ ভুলে গিয়ে পৌছালো নরম্যান বেটসের মোটেলে। হয়ত নরম্যানও জানতো না এরপর কী ঘটতে চলেছে তার জীবনে। এদিকে বোনকে খুজতে খুজতে ছোট বোন লিলা হাজির হলো ফেয়ারভিলে স্যামের কাছে। আর গল্পে আবির্ভাব ঘটলো প্রাইভেট ডিটেকটিভ মিলটন আরবোগাষ্টের। সেও খুজছে মেরিকে। মেরিকে খুজতে খুজতে আরবোগাষ্টও একসময় হাজির হলো বেটস মোটেলে। কিন্তু মেরির মতো তারও আর কোনো খোজ পাওয়া গেল না। আর তারপর ............ আর তারপর কি হলো সেটা জানতে হলে পড়ে ফেলুন রবার্ট ব্লকের এই মাস্টারপিসটি। আশা করি নিরাশ হবেন না। পাঠ প্রতিক্রিয়া: এক কথায় অসাধারণ একটা থ্রিলার। টানটান উত্তেজনায় ভরা প্রতিটি চ্যাপ্টার। অনুবাদটাও যথেষ্ট ভালো। তবে মাঝে মাঝে দু-একটা বনানের ভুল চোখে পড়েছে। তারপরএ বলবো এক বসায় পড়ে ফেলার মতো একটা বই। আর বইয়ের শেষ দিকের একটা টুইস্ট আপনার মাথা ঘুড়িয়ে দেবার পক্ষে যথেষ্ট। - হাসান মাহমুদ রনি
Was this review helpful to you?
or
এক নিঃশ্বাসে পড়ে ফেলার মত একটি বই ৷বইটিতে একবার মনসংযোগ ঘটলে তার বিচ্যুতি ঘটানো কঠিন হবে ৷মেরি,স্যাম,নরম্যান বেটস এং লিলা- প্রত্যেকটি চরিত্রের অপূর্ব পরিস্ফুটন আর পরতে-পরতে চমক ৷ সর্বপরি নরম্যান বেটস এবং তার মোটেলের গোলক ধাঁধা থেকে বের হওয়া যে কোন পাঠকের জন্য নিঃসন্দেহে কঠিন হবে ৷ আমার পড়া অন্যতম সেরা থ্রিলার।
Was this review helpful to you?
or
পুরনো এক হাইওয়ের পাশে পাহাড়ের উপর ছোট বেলা থেকেই মা এর সাথে বড় হয়েছে নরম্যান বেটস। মা নরমা বেটস এর ছত্রছায়ায় বড় হওয়া নরম্যান, তার বাড়ি ও আয়ের একমাত্র উৎস বেটস মোটেল এর বাহিরে গিয়েছেন খুবই অল্প। বাড়ির পেছনের জঙ্গলে কাঠ কাটতে যেতে হয় প্রতি সপ্তাহের শনিবার। আগুনের উৎস ও সেই কাঠ থেকেই আসে। শিশু নরম্যান থেকে চল্লিশ বছরের নরম্যান পর্যন্ত - জীবনের সবটা দিয়ে ভালোবেসে গিয়েছেন নিজের মা নরমা বেটস কে। বাবার চলে যাওয়ার পর মা যখন জো কনসিডাইন এর সাথে সম্পর্ক গড়তে শুরু করে তখন নরম্যান হিংসার অনলে হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। তবু মাকে কষ্ট দিতে চায়না নরম্যান। কারণ সে মনে প্রাণে বিশ্বাস করে, মা কে ছাড়া সে এক দিনও চলতে পারবে না। স্যাম লুমিস আর মেরি ক্রেইন। দুজন একে অপরকে জীবনের সবটা দিয়ে ভালোবাসে। স্যাম মা বাবা হারা একা একজন মানুষ যার জীবিকার জন্য একটা হার্ডওয়ার এর দোকান ছাড়া কিছুই নেই। এবং প্রতি বছরে আয় করা টাকার সিংহভাগ তার বাবার করা ঋণ মিটাতে খরচ হয়ে যায়। তাই বাগদান হবার পরও মেরির কাছে দুই বছর সময় চায় স্যাম। আশ্বাস দেয় দুই বছরেই তার সব ঋণ সুধ হয়ে যাবে এবং মেরিকে বিয়ে করে সুন্দর এক জীবন কাটাতে পারবে তারা৷ অন্যদিকে বাবা মা হারা মেরিও স্যাম এর কথায় বিশ্বাস করে এবং ছোট বোন লিলা ক্রেন কে নিয়ে নিজেদের একটা ফ্লাটে বসবাস করে। লিলা একটা মিউজিক স্টোরে কাজ করে আর মেরি করে মি. লাউরি এর অফিসে তার সেক্রেটারির কাজ। স্যামের কষ্ট কমাতে ও তার সাথে দু বছর সময়ের আগেই একসাথে থাকার আশায়, একদিন মেরি ক্রেন চুরি করে বসে চল্লিশ হাজার ডলারের বিশাল অংকের। চুরির পর ছোট বোন লিলাকে না জানিয়েই রওয়ানা করে ফেয়ারবিলে তার ভালোবাসা স্যামের কাছে যাওয়ার। নতুন হাইওয়ে হবার পর থেকে বেটস মোটেলে তেমন খদ্দের আনাগোনা দেখা যায়না। তাই সন্ধ্যা নামলেও মোটেলের বোর্ডটায় বাতি জ্বালাতে আগ্রহ পায়না নরম্যান। তেমনি এক সন্ধ্যায় শুরু হয় বৃষ্টি। রাত হতে হতে মোটেলে কামরা নিতে এসে হাজির হয় সুন্দরী যুবতী এক মেয়ে। নাম জানায় জেন উইলসন। মোটেলের ছয় নম্বর কামরাটা তৈরি করে জেনের থাকার ব্যবস্থা করে মি. বেটস। কিন্তু অনেক চেষ্টা করেও গোসল করার সময় লুকিয়ে মেয়েটাকে দেখার লোভ সামলাতে পারলো না বেটস। উকি মারলো অফিস রুমের ছোট হোলটা দিয়ে। এমন কুচিন্তা থেকে তাকে বাচায় তার মা মিসেস নরমা বেটস। একের পর এক নরকীয় সব ঘটনা ঘটতে থাকে বেটস মোটেল কে ঘিরে। অসংখ্য নাটকীয়তায় অজানা রহস্য বেরিয়ে আসে চল্লিশ বছর বয়সি নরম্যান বেটস ও তার মা মিসেস নরমা বেটস এর। অনুসন্ধান চলে চল্লিশ হাজার ডলার চুরি করে পালিয়ে যাওয়া মেরি ক্রেনকে খুজে বের করার। প্যারিটি মিউচুয়ালের লাইসেন্সপ্রাপ্ত গোয়েন্দা মিলটন আরবোগাস্ট এর অনুসন্ধানে, সাহায্যে নামে মেরি ক্রেন এর ছোট বোন লিলা ক্রেন এবং প্রেমিক স্যাম লুমিস। অবশেষে কি খুঁজে পাওয়া যাবে মেরি ক্রেন এর অস্তিত্ব? চুরি করা টাকা নিয়ে কেন সে স্যাম এর কাছে যায়নি? বেটস মোটেল ও নরম্যান দের বাড়িতে লুকিয়ে থাকা বিশ বছর আগের রহস্য কি উদঘাটন করা সম্ভব হবে? জানতে হলে পড়তে হবে রবার্ট ব্লক এর লেখা চমৎকার এই "সাইকো" বইটি। লম্বা একটা সময় ধরে অপেক্ষায় ছিলাম সাইকো সিরিজ এর বইগুলো পড়ার। বই পড়ার শুরু থেকেই রহস্য ও অভিযানে ভরপুর গল্পগুলো আমাকে বেশি টানে। তাই যখন লেখালেখি শুরু করি তখন আমার লেখার প্রথম ধরণ বা জনরা ছিলো সাইকো। কারণ এই জনরার নৃশংসতা আমি খুব উপভোগ করি। আমরা ভাবি একটা কিন্তু গল্প ঘুরে দাড়ায় আরেকটা। এটাই এই জনরার মূল আকর্ষণীয় দিক। লেখক রবার্ট ব্লক আমাকে বোকা বানাতে সক্ষম হয়েছেন গল্পটার শুরু থেকেই। একের পর এক সাধারণ ঘটনা এমন অসাধারণ ভাবে লিখে গেছেন যেনো এই কাজগুলো বই এর চরিত্রগুলো প্রতিদিন করে আসছে। আহা, গল্পের প্রতিটা অংশে পাক খাইয়ে গেছেন একের পর এক সুতা। অনুবাদক আদি প্রকাশনীর সাজিদ রহমান ভাই যথেষ্ট সুন্দর করে অনুবাদ করেছেন বইটির। কিন্তু আমার অভিযোগগুলো অনুবাদক না, প্রকাশকের কাছে। কারণ আদী প্রকাশনীর মতো একটা নামি প্রকাশনীর বই এ ছোটখাটো টাইপিং মিস্টেকও প্রচন্ড মেজাজ খারাপ করার মতো। বই এর অনেক যায়গায় শব্দগুলোর মাঝে স্পেস নাই৷ বিরাম চিহ্ন ব্যবহার করার পর কোন ধরণের স্পেস ব্যবহার না করেই নতুন লাইন শুরু হয়ে গেছে। এই বিষয়গুলো পড়তে গেলে বিরক্তিকর মনে হয়। আশা করি প্রকাশক বিষয় গুলো ভবিষ্যতে ঠিক করে নিবেন। বই এর বাইন্ডিং ও পেইজ কোয়ালিটি আদী প্রকাশনীর মতোই। প্রচ্ছদ মনমতো। যদি ওভারঅল গল্পটার রেটিং দেই তবে দশ এ সাড়ে নয় দেওয়ার মতো। যদিও রেটিং মাথায় নিয়ে বই পড়া আমার পছন্দ না। বইটা এর আগে পড়ে না থাকলে বলবো তাড়াতাড়ি পড়ে ফেলুন। যদি রহস্য আর নারকীয়তা আপনার পছন্দের বিষয় হয়ে থাকে তাহলে আশা করি আপনারও ভালো লাগবে রবার্ট ব্লকের লেখা সাইকো বইটি। পড়তে থাকুন, ধন্যবাদ। বইঃ সাইকো লেখকঃ রবার্ট ব্লক অনুবাদঃ সাজিদ রহমান প্রকাশনীঃ আদী প্রকাশন লিখিত মূল্যঃ ২৫০৳ পৃষ্ঠা সংখ্যাঃ ১২৮