User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ একটি বই। ইসলামের অনেক অর্থনৈতিক প্রস্তাবনার সাথে কমিউনিজমের সাদৃশ্য বুঝার জন্য দারুন উপকারী।
Was this review helpful to you?
or
great
Was this review helpful to you?
or
Written in linguistic language.
Was this review helpful to you?
or
বই রিভিউ:"ইসলাম ও কমিউনিজম"। লেখক:গোলাম মোস্তফা। বইয়ের ধরণ:বিশ্লেষণধর্মী ও সমালোচনামূলক। আমরা হয়তো অনেকেই কমিউনিজম সম্পর্কে জানি।কিন্তু কমিউনিজমকে যখন ইসলামের মানদণ্ডের কাছে নিয়ে এসে বাঁচবিচার করা হয় তখন সেটার স্থায়িত্ব কার্যকারিতা, প্রয়োজনীয়তা কতটুকু আছে সেই প্রশ্নটা এসে যায়।আমাদের মধ্যে যারা তুলনামূলক ধর্ম ও তথাকথিত আধুনিক জীবনধারা সম্পর্কে জানতে আগ্রহী বইটা তাদের জন্য একটা পারফেক্ট কম্বিনেশন। মুসলিম তরুণদের অনেকেরই কমিউনিজমের প্রতি বেশ খানিকটা ঝাঁকুনি আছে।অনেকের কাছে কমিউনিজম অনেকটা উত্তম পন্থা।তাদের এই ভ্রষ্টতা কার্যত ইসলাম তথা কুরআন সুন্নাহের ব্যাপারে তাদের অজ্ঞতাকেই প্রকাশ করে। পৃথিবীতে যতো ইজম এসেছে যেমন ক্যাপিটালিজম, সোশ্যিয়ালিজম,ফ্যাসিজম,ইত্যাদি ইজম মূলত কুরআনের নির্যাসেই নিজেকে সুঘ্রাণি করতে চেয়েছিলো।বইটি যেহুতু ইসলাম ও কমিউনিজম নিয়ে অত্যন্ত সাবলীল সাধু ভাষায় রচিত হয়েছে তাই "কমিউনিজম ও ইসলামের" সম্পর্ক কিরূপ তা বইটি পাঠের মাধ্যমে পাঠক খুব ভালোভাবেই বুঝতে পারবে। তার আগে আমাদের জানতে হবে কমিউনিজম বা সমাজতন্ত্র আসলে কী?কমিউনিজম হচ্ছে চরম সাম্যবাদীতা। ধনতান্ত্রিক বা পুঁজিবাদী সমাজের অন্তর্জালে আবদ্ধ হয়ে রাজা -প্রজা প্রথায় যখন মধ্য ইউরোপের বাসিন্দারা নাজেহাল তখন এই রাজা বা ভূ-স্বামী এবং নিম্নশ্রেণীর কৃষকদের সাথে বিরোধ দেখা দেয়।ঘটে যায় অনেক সংগ্রাম-আন্দোলন ;যার মধ্যে রয়েছে ঐতিহাসিক ফরাসী বিপ্লব। এই পরিস্থিতি থেকে জনসাধারণকে মুক্তি দেয়ার জন্য জার্মান মনীষী কার্ল মার্কস সর্বপ্রথম কমিউনিজম তথা সমাজতন্ত্র বা সাম্যবাদীতার ধারণাকে সামনে নিয়ে আসেন।শ্রেনী বৈষম্যে স্বীকার হওয়া জনসাধারণকে মুক্তি দিয়ে সমাজে নিরেট সাম্য প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য থেকেই আবির্ভাব কমিউনিজমের।অর্থাৎ কোন মালিক থাকতে পারবে না।ব্যক্তি নিজেই মালিক। কারো উপর কারো কর্তৃত্ব থাকতে পারবে না।কার্ল মার্কসের এই তত্ব বা মতবাদকে সামনে রেখে লেনিন ১৯১৭সালে জারতন্ত্রের (পুঁজিবাদের) পতন ঘটিয়ে সর্বপ্রথম সোভিয়েত ইউনিয়নে (বর্তমান রাশিয়ায়) সমাজতন্ত্র কায়েক করেন। জারতন্ত্রকে ধ্বংস করে সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য তদানীন্তন সোভিয়েতবাসীকে কমিউনিজমের মূল স্বরূপের উপর ভিত্তি করে;দেয়া হয় কতিপয় ইশতেহার। যেখানে দেখানো হয় ;রাষ্ট্র একক মালিক থাকবে।জনগণ সকলে সমান।সবাই সমান টাকায় কাজ করবে।কাজের টাকা রাষ্ট্র নিয়ে নিবে।জনগনের যখন টাকা প্রয়োজন হবে রাষ্ট্র তাকে তৎপ্রয়োজনুযায়ী তা দিবে। জনগন কোন ধরনের অর্থ বা সম্পদ পুঁজি করতে পারবে না ইত্যাদি।এই ইশতেহারের উপর ভিত্তি করে সোভিয়েত ইউনিয়নে লেনিনের হাত ধরে সমাজতন্ত্র বা কমিউনিজমে সয়লাব করে। বাহ্যিকভাবে কমিউনিজম ভ্রাতৃত্ব ও মানবতার কথাই তো বলে তবে ইসলাম কমিউনিজমকে কেন সমর্থন করে না?লেখক সেইটাই খুব সুচারুভাবে কুরআন সুন্নাহর মানদণ্ডে তুলে ধরেছেন। আগেই বলেছি,পৃথিবীর বুকে যতো ইজম সৃষ্টি হয়েছে সব ইসলামের নির্যাসে সুঘ্রাণিত।কমিউনিজমও তাই।কিন্তু এক্ষেত্রে কমিউনিজমের প্রবক্তারা নিজেদের আত্মোপলব্ধিকে জাহেল করার জন্য অনেক বেশি বাড়াবাড়ি করে ফেলেছেন।যার দরুন কমিউনিজমের গোড়ায় গলদ।প্রথমত কার্ল মার্কস থেকে শুরু করে লেনিন,ফ্রেডারিক এঙ্গেলস সবাই ছিলেন বস্তুবাদী। তারা দেহকে স্বীকার করলেও দেহের ভিতর যে একটি আত্মা আছে এই নিরেট সত্যটাকে অবিশ্বাস করতো।তাই এইসব জড়বাদীদের নিকট স্রষ্টার অস্তিত্বের কোন স্থান ছিলো না। তাই কমিউনিজম বা সমাজতন্ত্র মূলত ছিলো নাস্তিক্যবাদীতার অপর নাম।তাছাড়া কার্ল মার্কস, লেনিন প্রমূখ কমিউনিস্টদের আত্মার স্লোগান ছিলো জগৎ থেকে ধর্মগুলোকে বিতাড়িত করে দেও।ধর্ম আফিমের মতো ক্ষতিকারক।তাদের এই বস্তবাদি বিশ্বাসই ইসলাম থেকে কমিউনিজম কে পৃথক করে দিয়েছে। কমিউনিজমে ধারকবাহকরা লোকদের এই শিক্ষা দিতে থাকে যে, সকল মানুষ জন্মগত ভাবে সমান। কিন্তু আদলে এই সত্য চির অসত্য।জন্মগতভাবে মানুষ নামে মানুষ শুধু সমান;আকেল,জ্ঞান- বুদ্ধি,আকার-আকৃতি ইত্যাদি কী একজন মানুষের সাথে সকল মানুষের সমান হয়।কোনদিনও না।এইখানেও কমিউনিজম ফতুরের পরিচয় দিয়েছে।কমিউনিস্টদের দৃষ্টিতে রাষ্ট্রের সবাই সমান কাজ করে সমান টাকা নিবে।মালিক-শ্রমিক প্রথা থাকতে পারবে না। অথচ এটা কী আদলে সম্ভব? সকল কাজ সবাই কীভাবে করবে।যে রাষ্ট্রীয় কাজ করবে তার মাইনে বেশি হবে সেটাই স্বাভাবিক। কারণ হতে পারে তার চৌদ্দ ঘন্টা কাজ করা লাগছে। অপরদিকে সাধারণ শ্রমিক আট ঘন্টা কাজ করে যদি যে ব্যক্তি রাষ্টীয় কাজ করছে তার সমপরিমাণ টাকা পান তাহলে সাম্যবাদীতা গেলো কই?লেখক এই যতো বিষয়গুলো যুক্তি ও তর্ক এবং প্রজ্ঞার সাথে উপস্থাপন করেছেন। অথচ ইসলাম বলে ব্যক্তি যার যার যোগ্যতানুসারে অর্থ উপার্জন করবে।এ ব্যাপারে ব্যক্তি স্বাধীনতা রয়েছে।কেউ বেশি কাজ করে বেশি অর্থ উপার্জন করতে পারবে। কমিউনিজম বা সমাজতন্ত্রে পুঁজিবাদ সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ। আপনি ধন সম্পদ কিছুই গুচ্ছ করতে পারবেন না।কিন্ত ইসলামে পুঁজিবাদ নিষিদ্ধ নয়।আপনি যতো ইচ্ছা সম্পদ উপার্জন করে পূঁজি করতে পারেন। কোন নিষেধাজ্ঞা নেই।তবে সেই সম্পদ ব্যয়ের যথাযথ পন্থাও বলে দেয়া হয়েছে।সেইটা না মানলে আপনার সম্পদ বৃথা গেলো আল্লাহর কাছে। কমিউনিজমের সাথে ইসলামের এরকম সাংঘর্ষিকতা থাকার পরেও রয়েছে কিছু অন্ত্যমিল। যেমন:-কমিউনিজম সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে চায়।ইসলামও সমাজতন্ত্রের পক্ষে।সকল শ্রেণীবৈষম্যের বিরুদ্ধে ইসলামের অবস্থান।তাই সাম্যবাদের কথা ইসলাম বলে। আবার কমিউনিস্টরা বিশ্ব মানবতার কথা বলে ;অন্যদিকে ইসলামও বলে মুসলমান মুসলমান পরষ্পরের ভাই।কমিউনিজম পুঁজিবাদের বিরুদ্ধে। ইসলামও তার শর্ত না মানলে পুঁজিবাদ নিষিদ্ধ করে দিয়েছে। কমিউনিজম শ্রমের মর্যাদার কথা বলে ইসলামও সেই ব্যাপারে ব্যাপক জোরগলায় বলা হয়েছে।এইরকম অনেক সাদৃশ্যতা ও বৈসাদৃশ্যতা ইসলাম ও কমিউনিজমের মাঝে রয়েছে।এখন প্রশ্ন হলো ১৯১৭'র কমিউনিজম পৃথিবীর বুকে আগে এসেছে নাকি ১৪০০ বছর পূর্বের ইসলাম আগে এসেছে? বস্তুত সমাজতন্ত্রের সকল মূল উপাদান ইসলাম থেকেই নেয়া। সবকটার মূল উৎস কুরআন সুন্নাহ।কিছুটা বিকৃতি ঘটিয়ে প্রবেশ করানো হয়েছে। লেখক গোলাম মোস্তফা (রহ:) তার এই বইটিতে উপমহাদেশ,মধ্যপ্রাচ্য,ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশের কমিউনিজম বা সমাজতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থার চিত্রও তুলে ধরেছেন ধারাবাহিকভাবে।যা পাঠককে যোগাবে আত্মপরিতৃপ্তি। পরিশেষে লেখক ইসলামি জীবনব্যবস্থার জয়গান গেয়েছেন;এবং আমরা এইটার দিকেই প্রত্যাবর্তিত হবো সেই আশাও ব্যক্ত করেছেন।
Was this review helpful to you?
or
কবি গোলাম মোস্তফা । তিনি মুসলিম কবি । তিনি ইসলামের কবি । তিনি বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবি। তিনি সুন্দরের ভাষ্যকার । তিনি আত্মা ও অমরতার মহাকবি । তিনি বাংলা সাহিত্যের যুবরাজ । তিনি সুন্দরের তুলনাহীন জাদুকর । তিনি চিরকালের কবি সার্বভৌম । তিনি পরম প্রেমের অজেয় সেনাপতি । শব্দের পর শব্দ গেঁথে সুললিত বাক্যে তিনি উপস্থাপন করেছেন ইসলামের সোন্দর্য । তাঁর চিন্তা-চেতনায় ভাবে-অনুভবে ভেসে ওঠে ইসলামী ভাবধারা ও সত্যের ফোয়ারা । তাঁর এক অভিভাষণে তা স্বচ্ছ আয়নার মতো ফুটে উঠে । “যে যুগে আমার জন্ম , সে যুগ বাংলার মুসলমানদের অবসাদের যুগ । সে যুগে আমাদের সাহিত্যের না ছিলো কোন স্বাতন্ত্র্য,না ছিলো কোন স্বকীয়তা । প্রত্যেক জাতির মননশক্তি,ঐতিহ্য,ধ্যান-ধারণা ও আশা-আকাঙ্ক্ষা রূপায়িত হয় মাতৃভাষার মধ্যে । জাতির অন্তরমূর্তি ছায়া ফেলে তার সাহিত্যের মনোমুকুরে । সাহিত্য তাই জাতির মনের প্রতিধ্বনি । সাহিত্যের ভিতর দেয়েই জাতির সাচ্চা চেহারা দেখা যায় । সেই হিসেবে বাংলার মুসলমানদের কোন সাহিত্যই তখন রচিত হয়নি । আমি তাই ছোটবেলা থেকেই চেয়েছিলাম মুসলমানদের জাতীয় সাহিত্য রচনা করতে । রবীন্দ্রনাথ বা সত্যেন্দ্রনাথের অনুরাগী হলেও আমার মনে জেগেছিল আমাদের নিজস্ব সাহিত্য সৃষ্টির দুর্জয় আকাঙ্ক্ষা । সাম্প্রদায়িক ভেদবুদ্ধির তাগিদে নয় সহজভাবেই আমি বাংলা সাহিত্যে চেয়েছিলাম ইসলামী কৃষ্টির রূপায়ণ । মাইকেল,বঙ্কিম , রবীন্দ্র , শরৎ এরা প্রত্যেক ছিলেন হিন্দু জাতির মর্মবাণীর উদ্গাতা । …বাঙ্গালীর অর্ধেকের বেশী হলো মুসলমান । কাজেই বাঙলা সাহিত্যে মুসলমানদের জীবনের প্রকাশ যদি না থাকে তবে সে সাহিত্য কিছুতেই পূর্ণাঙ্গ হতে পারে না । বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে ইসলামের রূপায়ণ তাই অত্যন্ত স্বাভাবিকভাবেই অনিবার্য হয়েছিল এবং এখনো আছে।” তাইতো আমরা তাঁর লেখায় সঙ্গতভাবেই তাঁর কাঙ্ক্ষিত ‘বংলা ভাষা ও সাহিত্যে ইসলামের রূপায়ণ’ তথা ‘মুসলমানদের জাতীয় সাহিত্য’ সৃষ্টির প্রয়াস লক্ষ্য দেখতে পায় ।
Was this review helpful to you?
or
যদি সাম্য চেয়ে থাকেন আমিও তাই চাই, আসুন বইটি পড়া যাক