User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
#বুক_রিভিউ শাপমোচন ফাল্গুনী মুখোপাধ্যায় শারদীয় দূর্গাপুজা। ঘরে ঘরে উৎসব আর আয়োজনের মহা সমারোহ। কিন্তু মহেন্দ্র ওরফে মহীন কিছুই করতে পারলো না, ঘরে বৌদি, অন্ধ দাদা আর সোনার টুকরো ভাতিজা খোকন। মহীনদের অবস্থা ভালোই ছিল, বাবা ছিলেন বড় ভালো মানুষ, আয় রোজগার ভালোই ছিল দিনকাল ভালোই যেত, বাবার মৃত্যুর পরে দাদা হাল ধরলেন, দাদা দেবেন্দ্রনাথ সংগীত ভালো করতেন তাই দিয়ে ভালো রোজগারও করতেন মহীনকে স্কুলে পড়াশোনা করালেন, কিন্তু কপালের অদৃষ্টে দুচোখের দৃষ্টি হারালেন অবস্থা খারাপ হতে শুরু করল। মহীন অনেক চেস্টা করেও কিছু উপায় খুজে পেলেন না যাতে করে দুমুঠো খেয়ে দিনাতিপাত করা যায়। ভাগ্যের সন্ধানে নবমীর দিন কলকাতায় রওনা হলো মহীন গন্তব্য পিতৃবন্ধু উমেশ ভট্টাচার্যের বাড়ি। উমেশ ভট্টাচার্যের অনেক উপকার করেছেন মহীনের বাবা মৃত্যু শয্যা থেকে ফিরিয়ে এনেছিলেন মহীনের বাবা। তার কাছে যাওয়া কাজ বা চাকরি যেকোনো একটা করে সংসার টাকে সচল রাখা আর তার চেয়ে বড় স্বপ্ন খোকাকে মানুষের মত মানুষ করা। উমেশ ভট্টাচার্যের কাছে কোন দয়া নয়, কারণ মহীনদের বংশ অনেক উচু কারো কাছে দয়া নেয়া এ বংশে নেই। মহীনের মেট্রিকের সময় দাদা অন্ধ হয়ে যায়, তারপর আর পড়তে পারে নি মহীন কিন্তু খোকার কপালেও যেন এরকম না হয়। খোকাকে নিয়েই সকল আশা মহীনের, খোকার জন্যই আদরের খোকাকে ছেড়ে কলকাতায় যাত্রা। ২৪ নং কাঠালবাড়ি লেন সুবিশাল বাড়ি উমেশ বাবুর, গেটের ভিতরে টেনিস কোট, গাড়ি রয়েছে পার্ক করা, বিশাল তিন তলা ভবন, রয়েছে তিন জন দারোয়ান। উমেশ বাবু উন্নতি করেছেন আয় রোজগার করেছেন জীবনে অনেক। গেটের ভিতরে প্রবেশ করে মহীন মনে মনে ভাবতেছিল এই বুঝি দারোয়ান ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দিল। মহীনের পোশাকের যা অবস্থা তাতে বের করে না দেয়াই অস্বাভাবিক। পরনে রয়েছে জীর্ণ শীর্ণ ধুতি খানি আর পাতলা গেঞ্জি, খালি পায়ে হেটে এসে আর ধুলোবালিতে ভিক্ষুকের চেয়েও অধম দেখাচ্ছিল মহীনকে। প্রবেশ করল মহীন দারোয়ান আটকালেন না, উমেশ বাবুরই সাক্ষাত পেল প্রথমে, উমেশ বাবু জিজ্ঞেস করলেন কার কাছে এসেছো কি চাও। উত্তরে মহীন জানাল, আমি ক্ষেত্রনাথ মুখুর্যের ছেলে মহীন চন্ডীগড় থেকে আসছি বলে গড় প্রনাম করল। উমেশবাবু খুব সাদরে গ্রহণ করলেন মহীন। জানালেন মহীনের পিতা তার কতবড় উপকার করেছিলেন। উমেশবাবুর তিন ছেলে এক মেয়ে অতীন যতীন রতীন আর মাধুরী। বড় ছেলেই এখন ব্যবসা বানিজ্য সবকিছু দেখাশোনা করছেন, বিয়েও দিয়েছেন সতীলক্ষ্মীর সাথে। মেজ ছেলে বিয়ে করেছেন বিলেতি মেমকে। মহীন এ বাড়িতে আসার পর পরই উমেশবাবু ৫০ টাকা পাঠালেন দাদা দেবেন্দ্রনাথ কে আর মহীনের পৌছানোর খবর। দেবেন্দ্রনাথ যখন বুঝতে পারলেন এ টাকা মহীনের রোজগারের টাকা নয় এ টাকা দান করেছেন উমেশবাবু দেবেন্দ্রর মরমে মরে যেতে ইচ্ছে করল। আজ অসহায় হয়ে অন্যের দানের টাকা টা নিতে হচ্ছে তাকে। মহীন উমেশ বাবুর বাড়িতে আড়াই মাস থাকলো কিন্তু তার কোন কাজ বা চাকরি নিয়ে কারো কোনো মাথা ব্যাথা নেই। সারাদিনে শুধু একটু টাইপিং শিখছে আর টুকটাক গান সাহিত্যের আসর। আর প্রতিদিন মাধুরীর সাথে গাড়িতে করে বেড়ানো বাইরে ঘুরাঘুরি খাওয়া দাওয়া। এখানে এসে খোকার কথা ভুলেই গেছিলো মহীন যখন মনে পড়ল কিভাবে সে খোকাকে ভুলে থাকল সে নিজেও ভেবে পেল না। না এজীবন তার নয় এভাবে চলবে না। মহীন কেরানীর চাকরি পেল ৬০ টাকা বেতনের। আর একটা সাহিত্য ম্যাগাজিন গল্প লিখে জমা দিল সেখান থেকে পেল ১৫ টাকা। এই টাকা পেয়ে সাথে সাথে মানি অর্ডার করে দিল দাদার নামে সাথে চিঠি।কেননা মহীন জানে যে তার দাদা কতটা অনিচ্ছায় উমেশবাবুর পাঠানো টাকা টা গ্রহন করেছেন। মানি অর্ডার হাতে পেয়ে দেবেন্দ্রনাথ বুঝলেন এবারের টাকা মহীনের রোজগারের টাকা, আনন্দে কেদে ফেললেন দেবেন্দ্র। চাকরি পেয়ে মহীন মেসে উঠলে উমেশবাবুর বাড়ির কেউ কিছু না বললেও সকলে মনক্ষুন্ন হলেন। মেসে প্রতি শনিবার মাধুরী আসে মহীনকে নিয়ে গাড়িতে করে বাইরে যায় কত আড্ডা হয়। আসলে মাধুরী মহীনকে ভালবেসে ফেলেছিল, কিন্তু মহীন যখন তা বুঝতে পারে সে নিজে কে দূরে সরিয়ে নিতে চায়। কিছুতেই এ হতে পারে না মহীনও ভালবেসে ফেলে মাধুরী কে। মহীন মাধুরীকে আঘাত করে দূরে সরিয়ে দেয় কিন্তু মহীন বুঝতে পারে সে আঘাত কতখানি তার নিজের উপরই এসে পড়েছে। মাধরীর বড় বৌদি বুঝতে পারে যে মাধুরী মহীনকে ভালবাসে, তাই তো সে অন্য কাউকেই বিয়ে করতে চায় না। কিন্তু মাধুরীর দাদারা তাকে খুব বেশি কিছু বলে না একটা মাত্র বোন ওর যাতে খুশি তাই করুক। মহীন মাধুরীকে আঘাত করে বদলী নিয়ে মাদ্রাজ শাখায় চলে যায়। মাধুরী তাকে ভুলে যাক, ভালো ঘরে সুবধূ হয়ে সুখের ঘরকন্যা করুক। কত কষ্ট যে মহীন নিজে পাচ্ছিল তা হারে হারে টের পাচ্ছে, মাঝরাতে মাধুরীর দেয়া সেতারখানা বাজিয়ে সুরের ঝংকার তুলে। হটাৎ মহীন মরনব্যাধিতে আক্রান্ত হয়, ডাক্তার বলেছেন বাড়ি চলে যান শেষ ক'টা দিন আপন জনদের কাছেই কাটান। বাড়ি চলে আসে মহীন, বৌদি অপর্ণা কাদছেন। খোকা কিছুই বুঝতে পারে না, তার কাকা বাড়ি এসেছে এতো খুশির খবর কিন্তু তার মা কেন কাদছেন, বাবাই বা কেন এত নিশ্চুপ হয়ে আছেন। মহীন মারা গেল। মহীনের তিন টা উপন্যাস আর একটা গানের ক্যাসেট বের হয়েছিল। "মন যমুনা" উপন্যাস টি বেশ ভালো সাড়া জাগায় যেটি উৎসর্গ করেছিল মাধুরী ভট্টাচার্য কে। মাধুরী মহীনের বাড়ি আসা মারা যাওয়া কিছুই জানতে পারে নি। মাধুরী বিয়ে করেনি, দমদমার বাগানে গোশালা বানায় সমাজসেবায় আত্ম নিয়োগ করে, সমাজের দুঃখী মানুষের সেবায় নিয়োজিত করে নিজেকে। মাধুরী প্রতি বছর দশমীতে বাড়ির ঠিকানায় নীল কাগজে চিঠি পাঠায় ভালবেসে যায় নিজের মত করে মহীনকে। কলকাতায় পড়াশোনা করে খোকা, নয় বছর পরে খোকা যখন চিঠিদাতা সম্পর্কে জানতে পারে খুজে বের করে মাধুরী দেবিকে, মাধুরী খোকাকে কাছে পেয়ে অনেক আদর করে, মহীন কেমন আছে জিজ্ঞেস করে, মহীনের ছেলে মেয়ে কয়টা ইত্যাদি। খোকা ভেবে পায় না কি করে কাকার মৃত্যু সংবাদ দিবে দেবীকে, যে দেবী তার কাকাকে এত ভালবেসে যাচ্ছে আপনার মত করে তাকে কি করে এ সংবাদ সে দিবে। খোকার চোখে বার বার কান্না এসে পরছিল মাধুরীর বিভিন্ন কথায়। খোকা অনেক কষ্টে নিজেকে সংবরণ করে সেখান থেকে চলে যায়। অজানায় থাক এ সত্য। পড়ছি..... ( রানী শেবার আংটি -স্যার হেনরি রাইডার হ্যাগার্ড)
Was this review helpful to you?
or
একটা উপন্যাস পড়ার পর সেই গল্পের চরিত্রগুলো মনে গেথে থাকে,নিজের ভেতর ঘুরপাক খায়।অনেক সময় চরিত্রগুলো ভালো লাগা দেয়,আবার অনেক সময় খারাপ লাগা। শাপমোচন খুব ই ছোট্ট একটা উপন্যাস।কিন্তু কোনো একদিক থেকে এটার ওজন টা যেনো বিশাল! জীবনের সাথে মিলে যাওয়া জীবনভিত্তিক এই গল্পগুলো,চরিত্রগুলো অনেক বেশি পীড়া দেয়। ভালো লাগল বইটি পড়ে।
Was this review helpful to you?
or
ভালো ছিলো
Was this review helpful to you?
or
গ্রামের সহজ- সরল, আত্মসচেতনতাসম্পন্ন সাধারণ এক যুবক নাম মহেন্দ্র। অভাবের কারণে বেশি পড়াশোনা করার সুযোগ হয় নি। কোনরকমে ম্যাট্রিক পর্যন্ত যেতে পেরেছে। বাবা-মা কেউ নেইই সংসারে। থাকার মধ্যে আছে শুধু দাদা দেবেন্দ্র, বউদি অপর্ণা আর এক ভাইপো খোকন। এদের নিয়ে মহেন্দ্রর জগৎ। এক সময় মহেন্দ্র আবিষ্কার করলো মাধুরীর প্রতি তার দূর্বলতা। নিজের অবস্থান আর মাধুরীর অবস্থান সকল কিছু বুঝেও মহেন্দ্র দূর্বল হয়ে পড়ে মাধুরীর উপর।
Was this review helpful to you?
or
শাপ মোচন Ñ ফাল্গুনী মুখোপাধ্যয় Ñ প্রধান চরিত্র Ñ (মহেন্দ্র ও মাধুরি) র্বতমান জগত যুদ্ধরে বর্পিযয়ে ব্যাধগ্রিস্থ জগত শুধু বলষ্ঠি আর বচিত্রি সাহত্যিই চাইছনো, বহর্মিুখী চন্তিাকে আজ আবার কনে অর্ন্তমুখী করার জন্য ইকটা অনুপ্ররেোনা জগেছেে মানুষরে। নর্জিন গৃহ কোনরে শুদ্ধ ধ্যান মোহতার যে শান্ত,ি যে সুরভ,ি যে শুখাবশে তাকে মানুষ উপক্ষো করছে বলষ্ঠি আর বহর্মিুখী বচৈত্রি দয়ি,ে কন্তিু যুদ্ধ বদ্ধিস্ত পৃথবিী আজ যনে আবার অন্তররে আত্নচত্নোকে জাগয়িে তুলতে চায়। মানুষরে মনরে এই দাবীকে মটিাতে হলে শুধু বলষ্ঠি আর বচিত্রি হলে হবনো। সে সৃষ্টি কে করতে হবে সান্ত এবং সম্মানতি, সে হবে লোক সাহত্যিে শুধু নয় আগামি শতাব্দরিও। তার আনন্দ আধুনকি নয় অনন্তকালরে। আমার মনে হয় মাটরি কাছাকাছি আছনে যে কবগিন তারা অন্তর কে উদঘটতি করে অন্ত্রকে নন্দতি করবনে, আনন্দতি করবনে রস পপিাসুদরে। দুর্বলকে জয় করতে যাওয়ায় কোন মহিমা নেই। সপ্তরথি কে ঘিওে অভিমন্যুকে হত্যার কলঙ্ক শুধু মহাভারতের কলঙ্ক নয় আপনাদেরও। শিল্প, সাহিত্য আর সংগিতের মধ্যে আছে অন্য একটা গতি, অন্তর্মুখী গতি যে পথে মানুষ নিজ আত্মাকে খুজে পায় আর অতিমানষকে ধরতে পারে। সোনা যতক্ষণ খনিতে থাকে তাকে খুজতে জায় কম লোক আবার যখন গিনি হয়ে গহনা হয়ে মানিকের শোÑকেসে বসে তখন রাস্তার পথচারিও তাকে দেখতে দারিয়ে যায় Ñ তাতে খনির সোনার দাম কমেনা। প্রেম যদি সত্য হয়, তাহলে তার থেকে বড় কিছু নাই, সে অন্তরের লিলা বিলাসের চারনভুমি, সে তোমার ক্ষেত্র কিন্তু সে প্রেম সুদূর্লভ, সে প্রেম সুপ্ত, সে প্রেম খনির সোনা তাকে হাটে বাজারে পাওয়া যায়না। বা¯প যতক্ষন বাস্প থাকে ততক্ষন ভেসে থাকে আকাশে, কি›তু শিতলতার সান্নিধ্যে এলেই তাকে পরতে হয় এসে সবুজ ঘাসে তা তপ্ত বালিতেও সে পরতে পারেÑ দেশে ইফেকশান চলছে কিন্তু মানুষের এত দৈন্য যে দেখা যায় না। ভাত নাই কাপড় নাই কচি ছেলের দুধ নাই, কি আছে মহিন দা জানো? আছে ভাষন, আছে ভেজাল, আছে ভন্ডামি। মানুষ বড় অসহায় মাধুরি তার জীবনে মধু থেকে জল বেশী, তার বিষ মধুকেই শুধু নষ্ট করেনাÑমৌচাকেও শত শত ছিদ্র করে দেয়। আকশের চাদকে মাটিতে নামাবার সাধনা শুধু নির্বুদ্ধিতা নয় অন্যায়। তাতে গোটা পৃথিবী কে চাদের আলো থেকে বঞ্চিত করা হয়।