User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
বেশ ভালো
Was this review helpful to you?
or
প্রসঙ্গ কথা: শায়খ মুহাম্মদ ইবনে আবদুল ওয়াহহাব ও তাঁর আন্দোলন—আলোচিত সমালোচিত সমগ্র মুসলিম বিশ্বে। ভারতীয় উপমহাদেশে ওয়াহাবি আন্দোলন নিয়ে সমালোচনা, তর্ক-বিতর্ক শোনেনি এমন মানুষ কম। কারণ এ অঞ্চলে 'ওয়াহাবি' শব্দটি একটি ধর্মীয় গালিতে পরিণত হয়েছে! . যেভাবে এটি বই হলো : মদিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রের প্রশ্নের উত্তরে মূলত বইটি লিখিত হয়। ঐ ছাত্র লেখকের কাছে জানতে চেয়েছিলেন ওয়াহাবিদের ব্যাপারে তাঁর এবং উলামায়ে দেওবন্দের মূল্যায়ন কী। কারণ তিনি জানতে পেরেছিলেন উলামায়ে দেওবন্দের মহান দুই বুযুর্গ ওয়াহাবিদের ব্যাপারে তাঁদের বইতে নেতিবাচক কথা লিখে গিয়েছেন। . ওয়াহাবিদের পরিচয় : মাওলানা রশিদ আহমদ গঙ্গুহী রহ. ওয়াহাবিদের ব্যাপারে গবেষণাপ্রসূত ও দূরদৃষ্টিসম্পন্ন অভিমত ব্যক্ত করেছিলেন। তাঁর ভাষায়, "মুহাম্মদ ইবনে আবদুল ওয়াহহাবের অনুসারীদের ওয়াহাবি বলা হয়। তাদের ধর্মবিশ্বাস ভালো। তারা হাম্বলি মাযহাবের অনুসারী। অবশ্য তাদের মানসিকতার মাঝে কঠোরতা ছিলো; কিন্তু তিনি ও তার অনুসারীগণ ভালো। তবে যারা সীমা ছাড়িয়ে গিয়েছিলো তাদের মাঝে ফ্যাসাদ চলে আসে। সবার ধর্মবিশ্বাস এক। আমলের মাঝে হানাফি, শাফেয়ি, মালেকি ও হাম্বলির মাযহাবসুলভ পার্থক্য মাত্র" . একটি ভুল ধারণা : ওয়াহাবি আন্দোলনটি শুরু করেছিলেন শায়খ মুহাম্মদ ইবনে আবদুল ওয়াহহাব অর্থাৎ আবদুল ওয়াহহাব এর ছেলে মুহাম্মদ। এ হিসেবে হিসেবে তাঁর আন্দোলনটির নাম হওয়া উচিত ছিলো—মুহাম্মদী আন্দোলন! পিতা আবদুল ওয়াহহাব ছেলের এ আন্দোলন থেকে নিজেকে সরিয়ে রেখেছিলেন—ছেলের এহেন দাওয়াতি কার্যক্রম ও ক্ষেত্রবিশেষে সশস্ত্র জিহাদ তিনি সমর্থন করতেন না। . শায়খ মুহাম্মদ ও তাঁর দাওয়াতি মিশনের মূল উদ্দেশ্য ছিলো বিশুদ্ধ তাওহীদের প্রচার, শিরক দমন, সুন্নাত পালন ও কঠোরভাবে বিদআত প্রতিরোধ। সমস্ত রকম কবরপূজা, তাযিয়াবাজি, বিদআত ও কুসংস্কারের বিরুদ্ধে ছিলেন কঠোরহস্ত। এ কারণেই যারা এগুলোকে নিজেদের ধর্ম বানিয়ে নিয়েছিলো তারা বিভিন্ন ধর্মীয় ও রাজনৈতিক ইস্যুতে শায়খ মুহাম্মদ ও তাঁর অনুসারীদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও বিদ্বেষ ছড়াতে থাকে। হজের মৌসুমে হাজীদের মধ্যে অপপ্রচার চালানো হতো যা হাজী সাহেবান বহন করে নিয়ে যেতেন নিজ নিজ এলাকায়। এবার সেখানকার বিদআতিরা আরো ডালপালা যোগ করে তিলকে তাল বানাতো! অবস্থা এমন হয়ে গিয়েছিলো যে, কেউ ওয়াহাবিদের ব্যাপারে মন্তব্য করতে প্রমাণ খোঁজার প্রয়োজন মনে করতো না!! . মুসলিম জাহানে সম্ভবত অন্য কোনো দলের প্রতি এত্তো পরিমাণ অপপ্রচার চালানো হয়নি। কথায় আছে, একটি মিথ্যা ১০০ বার বললে সত্যের মতো শোনায়!! এ কারণেই বোধহয় মুসলিম জাহানের সর্বত্র—সাধারণ মানুষ থেকে নিয়ে যুগশ্রেষ্ঠ আলেমগণ পর্যন্ত বিভ্রান্ত হয়েছেন সেই সমস্ত প্রোপাগান্ডা দ্বারা। যেমন- ১. মাওলানা খলিল আহমদ সাহারানপুরী ২. মাওলানা হুসাইন আহমদ মাদানী ৩. আল্লামা ইবনে আবিদীন শামী ৪. নবাব সিদ্দিক হাসান খান প্রমুখ। প্রথমোক্ত দু'জন তাঁদের জীবদ্দশাতেই প্রকৃত সত্য জানতে পেরে জবান ও কলমের মাধ্যমে পূর্বের অবস্থান থেকে সরে আসার সুস্পষ্ট ঘোষণা দিয়েছিলেন। . চতুর্মুখী অপপ্রচারে প্রভাবিত হয়ে মক্কা মুকাররমার প্রসিদ্ধ আলেম, শাফেয়ী মাযহাবের মুফতি শায়খ আহমদ যায়নি দাহলান তাঁর বইতে ওয়াহাবিদের বিরুদ্ধে যা লিখেছিলেন তা এককথায়—ভয়াবহ! . শায়খ মুহাম্মদ জীবিত থাকাকালেই এসব অপপ্রচারের ধারাবাহিকতা শুরু হয়। এগুলোর বিরুদ্ধে তিনি, তাঁর ছেলে আবদুল্লাহ ও অন্যান্য ওয়াহাবি আলেমগণ যথোপযুক্ত জবাব দিয়ে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন। . শেষ কথা: নৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে শায়খ মুহাম্মদ ইবনে আবদুল ওয়াহহাব এর চিন্তাধারা ও মতাদর্শ (কিছু শাখাগত বিষয় ব্যতীত) ভারতীয় উপমহাদেশের হানাফি উলামায়ে কেরামের পুরোধা হযরত শাহ ওয়ালী উল্লাহ মুহাদ্দিসে দেহলভী ও তাঁর পৌপুত্র শাহ ইসমাঈল শহীদ রহ. এর সাথে প্রায় শতভাগ মিলে যায়। বাংলা ভাষায় ভালো একটি বই হয়েছে। পড়তে পারেন।
Was this review helpful to you?
or
শায়খ মুহাম্মাদ বিন আব্দুল ওয়াহাব এর অনুসারীদের ওয়াহাবি বলা হলেও আমাদের উপমহাদেশে ওয়াহাবি একপ্রকার গালি হিসেবেই ব্যবহার হয়েছে । কখনো খারিজি দের বুঝাতে অথবা মতের অমিল যেই দলের সাথে সেই দল কে ওয়াহাবি তকমা লাগিয়ে দেয়া হতো । আবার এই ওয়াহাবিদের আকিদা নিয়ে অনেক কথা সমাজে প্রচলিত আছে যেমন তারা রাসুল সাঃ কে অবজ্ঞা করে , তারা ওয়াহাবি বাদে বাকি সবাইকে কাফের মনে করে , এমনকি কোন মুসলিম জামাতে সালাত আদায় না করলে তাকে হত্যা করা জায়েজ মনে করে ইত্যাদি । খুব চমৎকার ও সাবলীলভাবে লেখক দলিল সহকারে ওয়াহাবি আন্দলনের ভ্রান্তি নিরসন করেছেন । প্রকৃত ওয়াহাবি কারা এবং তাদের সত্যিকারের আকিদা কি এসব নিয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করেছেন । তিনি শায়খ মুহাম্মাদ বিন আব্দুল ওয়াহাব এর সাথে শাহ ইসমাইল শহিদ রহঃ এর দাওয়াত ও আন্দোলনের মাঝে সামঞ্জস্য দেখিয়েছেন । পাশাপাশি ওয়াহাবিদের বিষয়ে মাওলানা খলীল আহমদ সাহারানপুরি রহ. , মাওলানা রশিদ আহমদ গাঙ্গুহি রহঃ , মাওলানা হুসাইন আহমাদ মাদানি রহঃ ,নবাব সিদ্দীক হাসান খান এবং মাওলানা আনওয়ার শাহ কাশ্মিরী রহ ইত্যাদি আকাবির দের মতামত যুক্তিসহ পর্যালোচনা করেছেন । বইটির শেষে আছে শায়খুল হাদীস যাকারিয়া রহ. ও দারুল উলূম দেওবন্দের মুহতামিম কারী মুহাম্মদ তাইয়্যেব রহ. কর্তৃক বইটির মূল্যায়ন ও সত্যায়ন । আল্লাহ সবচেয়ে ভালো জানেন ।