Our User Product Reviews

awesome ?

valo

loved it. boi khub ekta pora hoi nah. ai prothom kono boi 1 dine pore shesh korlam ❤️

?

অসাধারণ ইসলামি সংস্কৃতির সঙ্গে মিলে যায়।

বইটি কিছুটা অগুছালো প্রকৃতির। ইসলামি কিছু প্রয়োজনীয় বিষয় সুন্দর ভাবে উপস্থাপ্ন করেছেন তবে dialogue style er conversation কিছুটা বিরক্তিকর ছিল। চাইলে কিনেন। তবে আমি পরামর্শ দেই না কেনার কারন এই বইয়ের তথ্য গুলো আপ্নারা অনেকেই আগে থেকে জানেন। আর বই এর quality top notch। ঘর সাজানোর জন্য উত্তম

এটা আমার অনেক পছন্দ হয়েছে

Effective Book

khub e valo celo boi ta delivery man tao khub valo celolj?? apnara caila boita pore dekhte paren

অত্যন্ত ভালো একটি বই

Good book

♥️♥️

খুবই যুগোপযোগী লেখা।

very inspiring

Very interesting

ধর্মীয় বই। সাজেশন করার মত একটা বই।

Just pretty rational

খুব ভালো বই

good

good

ইসলামের বিরুদ্ধে অজ্ঞতার কারণে অভিযোগ কৃত কিছু বিষয়ের নিয়ে উনার এই লিখা সমূহ। রেফারেন্স সহ এবং যুক্তিভিত্তিক উনার লিখা গুলো চিন্তাশীল দের নতুন করে ভাবতে শিকারে।যদি তারা ভাবতে চায় সেটা

ভালো বই

অনেক সুন্দর করে সাজানো গোছানো লেখা। সকলেই পড়ে বুঝতে পরবেন। প্রায় প্রত্যেক টা পয়েন্টের দলিল দেয়া হয়েছে। কথা থেকে কি লিখেছেন। লেখন একজন ভালো গবেষক। ধন্যেবাদ লেখক কে এমন সুন্দর একটি বই আমাদের সকলের সামনে উপস্থাপন করার জন্যে।

চমৎকার লেখনি।

Goid

চমৎকার একটা বই

যুক্তি সম্মত লেখা

অত্যন্ত চমৎকার।

Good

Great book

চমৎকার

আস্তিকরা একবার পড়বেন আর নাস্তিকরা দুইবার।

?

????

Valo boi

সেরা বইদের তালিকায় প্রথম সারির বই।

ভালো লাগলো খুব <3

a masterpiece. highly recommended for every Muslim ?

Perhaps, a revolutionary Bengali book in the genre on Contemporary Islam

I will buy 2nd series, it's really informative for.

অসাধারণ বই! আল্লহ লেখককে উত্তম বিনিময় দান করুক।

It's really standard!! Just read it.

অকাট্ট যুক্তি ও বাস্তব উদাহরণ দ্বারা ইসলামের বিধানগুলোর যৌক্তিকতা দেখানো হয়েছে। খুব সুন্দর একটি বই।

পড়ার মত একটা বই

অসাধারণ

সংশয়বাদীরা অবশ্যই পড়ে নিক।

অসাধরণ বই।

দারুণ যুক্তি আর সুন্দর উপস্থাপনা। ?

অসাধারণ! পার্ট তিন চাই।

Good

দুই কথায় অসাধারণ। ❤️❤️

Very effective educational book..

প্যারাসিটামল সাজিদের চেয়ে এই বইটার যুক্তিগুলো বেটার।

মাশাল্লাহ

good

Packings, delivery, quality everything was perfect..

The author failed to do justice on the topic. Too many unnecessary explanations.

দারিণ একটি বই

Nice book. Pore valo laglo. Especially slavery niye sundor lekha. Khotka clear hoise

Coherently logical and very nice to read.

Whatever your ideology is You should read this book

অসাধারণ

one of the best books I ever read.

Very good

Fair.

Great Book indeed!!

no comments

ঈশ্বর কি সত্যিই আছেন? ঈশ্বর আছেন এমন কোন প্রমাণ আছে কী? যদি নন-প্র্যাক্টিসিং মুসলিম হন কিংবা যদি মনে করেন বিশ্বাসের জায়গাটা একটু নড়বড়ে সেক্ষেত্রে একবার এই বইটি পড়ে দেখতে পারেন। বইটিতে খুব চমৎকার ভাবে ছোট ছোট কিছু গল্পের মাধ্যমে লেখক ধর্মীয় কিছু দিক তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন। আধুনিক বিজ্ঞান ও বৈজ্ঞানিকের যুক্তি তর্কের দোহাই দিয়ে এখন অনেকেই বলতে চান পৃথিবী সৃষ্টি হয়েছে তার প্রাকৃতিক নিয়ম মেনে এই মহাবিশ্ব সৃষ্টির পেছনে আর কোন রহস্য নেই। আবার সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্ব প্রসঙ্গে বলেন অদেখা জিনিসে অবিশ্বাসের কথা। কিন্তু বাসার নিচে আগুন লেগেছে এই সংবাদ শুনলে আগুনের ধোঁয়া দেখার আগেই হয়তো তারা সিঁড়ি বেয়ে নামতে শুরু করে দিবেন। অথচ অদেখা যত অবিশ্বাস শুধু সৃষ্টি কর্তার বেলাতেই।

অসাধারন একটি বই

নাস্তিকদের অবশ্যই পড়া উচিত।

কিছু বইয়ের কমপ্লিমেন্ট দরকার হয় না।এই বই তেমনই ?

আলহামদুলিল্লাহ,তার বইগুলো ডাক্তার সমাজটাকে লিখার প্রতি অনেক উৎসাহী করবে ।

অসম্ভব সুন্দর। আর তার চেয়ে বড় কথা নাস্তিকদের মতো ৩য় শ্রেণির ফ্যালাসি ইউজ করে নি।

it's great

সত্যিই বইটি মুগ্ধ করার মতো।জ্ঞ্যানের তৃষ্ণা মেটানোর জন্য বইটি যথেষ্ট উপযোগী।শুধু এই বিষয়ের ছাত্র না, সবাই এই বইটি সমানভাবে উপভোগ করতে পারবে।শিখতেও পারবে অনেক কিছু।বইটি পড়ার পর ভালো লাগা কাজ করবেই।অনেক চিন্তার খোরাক যোগাবে বইটি।আমি সবাইকে রেফার করবো বইটি পড়ার জন্য।

I'm speechless. It's too good .Helpful to erase the doubt about some major facts of ISLAM.

কয়েক বছর আগে ইসলামি বইয়ের জগতে এক অভাবনীয় জাগরণ ঘটে যায়। লেখক আরিফ আজাদ রচিত প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ বইয়ের দ্বারা এই জোয়ারের সূচনা হয়। আল্লাহ্ তাকে নিরাপদ রাখুন। এরপর আরো অনেক বই প্রকাশ পেতে থাকে। গল্পের ধাঁচে মিথ্যাবাদিদের স্বরূপ উন্মোচনের প্রয়াসে অনেক ভাই কলম ধরেছেন। এরমাঝে অন্যতম হলো - ডা. শামসুল আরেফিন শক্তি রচিত বেস্ট সেলার বই ‘ডাবল স্ট্যান্ডার্ড’। প্রতিটা গল্পই আসলে ভাবনার উদ্রেককারী। এক কথায় – খুব উপভোগ্য বই। যদি না পড়ে থাকেন, তাহলে মিস করেছেন।

বইটি আসলেই অসাধার। ❤❤ ইসলামের কয়েকটি বিতর্কিত বিষয় তুলে ধরা হয়েছে।মহিলাদের পর্দা যেমন ফরজ তেমনিভাবে পুরুষের দাঁড়ি রাখা অনেকটা ওয়াজিব এর মতো, অনেকেই এটাকে সুন্নাত বলে ঠিকমতো পালন করে না।এই বিষয় টা সকলেরই বুজা দরকার যা এই বইয়ে সুন্দর ভাবে দেখনো হয়েছে।নিজের ঈমানের দুর্বলতা বুঝতে বইটি পড়া যেতে পারে।☺☺☺☺

ইসলামি কয়েকটি বই পড়ে ডা. শামসুল আরেফীন এর লেখা ডাবল স্ট্যান্ডার্ড বইটিও আমার নজর এরায় নি। পড়ে ফেললাম ডাবল স্ট্যান্ডার্ড। অসাধারন লেখা বইটি। ডা. শামসুল আরেফীন খুবই সুন্দর ও সহজ ভাষায় পাঠকদের সামনে তুলে ধরেছেন ইসলামের বিভিন্ন বিষয় । তার প্রতিটি বিষয়ের রেফারেন্স দেয়াটাও অসাধারন

মাসাল্লাহ ! অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি বই। এমন কাজ আরো হওয়া উচিৎ।

? বই নিয়ে আলোচনা ? বই: ডাবল স্ট্যান্ডার্ড লেখক: ডা. শামসুল আরেফীন প্রকাশনী: মাকবাতুল আযহার প্রচ্ছদ: আবুল ফাতাহ মুন্না মূল্য: ২৬০ টাকা বইটি লেখক লিখেছেন ২০১৭ সালে এবং ওই বছরই তার বইয়ের মোট ৫ টি মুদ্রণ বের হয়। কেন বইটির এতো জনপ্রিয়তা তা দেখা যাক। বইটি লেখক কোনো নির্দিষ্ট দল বা ধর্মের অনুসারীদের জন্য লেখেননি। তিনি এমন মানুষকে তায়া সত্তার তৃষ্ণায় আকণ্ঠ পান করানোর উদ্দেশ্যে লিখেছেন। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন তার এই নেক উদ্দেশের প্রতিদান তাকে দান করুক। এবার আসা যাক বইয়ের ভিতরের বিষয়বস্তুর ব্যাপারে। এখানে মোট ১১ টি গল্প রয়েছে। আসলে গল্পগুলো শুধু গল্প নয়। গল্পগুলোর মধ্য দিয়ে লেখক খুবই গুরুত্বপূর্ণ কিছু জিনিস তুলে এনেছেন। ১ম গল্পে তিনি একজন বুয়েটের ছাত্র যে কিনা চোখে না দেখে কিছু বিশ্বাস করতে চায় না ( নাস্তিকরা স্বাভাবিকভাবে যেটা বলে) তাকে যুক্তির মাধ্যমে যুক্তির মাধ্যমে চেনান সেই দয়াময় আল্লাহকে। ২য় গল্পটিতে উঠে এসেছে দাসপ্রথার বিষয়। ইসলাম যে আসলে একটি পূর্ণাঙ্গ ধর্ম তা আরও একবার উপলব্ধি করিয়ে দেয় এই গল্পটি। এখান থেকে আমরা বুঝতে পারি যে কেন ইসলামে যুদ্ধপরবর্তী অবস্থায় বন্দীদের দাস হিসেবে রাখতে বলে। কারণ এতেই কল্যাণ রয়েছে। কারও যদি আমার কথার সাথে দ্বিমত থাকে, তবে দয়া করে আগে গল্পটা পড়ুন তারপর এ বিষয়ে বলুন। ৩য় গল্পটিতে নারী দাসীর সাথে শারীরিক সম্পর্কের ব্যাপারে ইসলামে বৈধতা দেয়ার যৌক্তিক কারণ দেখানো হয়েছে। ৪র্থ গল্পটিতে বলা হয়েছে নারীর সম্মান এর বিষয়ে। নারীরা হলো ইসলামের মুক্তোর মতো, তাদের লুকিয়ে রাখাটাই হলো সৌন্দর্য। ৫ম গল্পে উঠে এসেছে জিযিয়া অর্থাৎ অমুসলিমদের নিরাপত্তা দেয়ার বিনিময়ে সরকার যে অর্থ পায় সে বিষয়টি। এখানে উল্লেখ্য যে, অনেকে এটিকে অতিরিক্ত কর মনে করেন, যা একটি প্রচলিত ভুল ধারণা। ৬ষ্ঠ গল্পটি লেখা হয়েছে শ্রেণিবৈষম্যহীন সমাজব্যবস্থাকে নিয়ে। যেখানে বলা হয়েছে ইসলামী অর্থনীতি কীভাবে অন্য সকল অর্থব্যবস্থা হতে ভিন্ন এবং এর যৌক্তিকতা। ৭ম গল্পে আবারও নাস্তিকদের চিরায়ত প্রশ্নের উত্তর দেয়া হয়েছে। তাদের সাধারণ একটা কথা হলো ইসলাম আরব সংস্কৃতি। লেখক তাদের এই ধারণা ভেঙে দিয়ে দেখিয়েছেন যে ইসলাম আরব সংস্কৃতি নয় বরং একটি (সর্বজনীন) জীবনব্যবস্থার নাম। ৮ম গল্পটি শুরু হয়েছে বনু কুরাইযা নামক এক অমুসলিম গোত্রের মৃত্যুদণ্ডের বিষয়কে কেন্দ্র করে। এ গল্পটি আপনারা পড়লে বুঝতে পারবেন। তবে, এক্ষেত্রে আমার সবচেয়ে ভালো লেগেছে লেখকের শেষ কথাটি যে নাস্তিকরা গোঁড়ামি করবেই। ভাববে মুসলিমরা ভুল, তাদের তুচ্ছতাচ্ছিল্য করবে, অবিশ্বাস করবে। কিন্তু তাই বলে তাদের ঘৃণা করলে চলবে না, তাদের ভালোবেসে দ্বীনের দাওয়াত দিয়ে যেতে হবে যতক্ষন না সে তা গ্রহণ করে। ৯ম গল্পটি হলো মুসলিম পুরুষের দাড়ি রাখার বিষয়ে। অত্যন্ত সময়োপযোগী বিষয় নিয়ে লেখক লিখেছেন৷ আমাদের সাধারণ একটা ধারণা যে দাড়ি রাখা হলো সুন্নত কিন্তু এটি হলো ওয়াজিব। তাই, এ বিষয়ে আমাদের সচেতন থাকা উচিৎ। শেষ গল্পটি রীতিমতো আমাকে নাড়িয়ে দিয়েছে। গল্পের প্রসঙ্গে আসার আগে নজরুলের একটা উক্তি দেখা যাক - " তোমার জন্মগত অধিকারটাই কি এত বড়?" গল্পের শেষে লেখক বলেছেন আমার মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করাটাই কি জান্নাতে যাওয়ার জন্য যথেষ্ট? যদি আমি আমল নাও করি? তবে, ওই মানুষগুলোর কি দোষ যাদের কাছে দীন পৌঁছে দেয়ার দায়িত্ব ছিল আমার। কিন্তু আমি তা পারিনি। তারা কি বিচার দিবসে এর দায় আমার ওপর চাপিয়ে দেবে না? তাই, আসুন হে ইসলামী ভাই-বোনেরা আমরা দ্বীনের দাওয়াত পৌঁছে দিই প্রত্যেকের কাছে যেন তারা আল্লাহর শান্তির পরশ অনুভব করতে পারে। লেখকের জন্য শুভকামনা। আল্লাহ তাকে উত্তম প্রতিদান দিক, আমিন। © শাহরিয়ার আহম্মেদ সিয়াম ১৬ জানুয়ারি, ২০২০ বন্দর, চট্টগ্রাম।

Good

১। আইন বিষয়ে আইন পড়ুয়ার মন্তব্য গ্রহণযোগ্য। বিজ্ঞান বিষয়ে বিজ্ঞান ফ্যাকাল্টির কেউ হতে হবে। একইভাবে সংশ্লিষ্ট বিষয়ের রেফারেন্স কর্তন করতে হলে সংশ্লিষ্ট বিষয়ের ব্যক্তি হতে হবে। ২। দাসপ্রথা- দাসীপ্রথা এসব সমাধান জাতীয় বিষয়ে শুধু সমালোচনা গ্রহণযোগ্য নয়। বিকল্প প্রস্তাব দিতে হবে। যে উদ্দেশ্যগুলো পূরণ করে। ইসলাম সমাধান দিয়েছে। ঐ সবগুলো উদ্দেশ্য পূরণ করে এমন বিকল্প সমাধান প্ৰস্তাব করতে হবে। উদ্দেশ্যগুলোর কথা গল্পে বলেছি। ৩। জিযিয়া-মানবধর্ম-বনু কুরাইযা-শ্রেণিবৈষম্যহীন সমাজ – এ বিষয়ে ডাবল স্ট্যান্ডার্ড ছেড়ে একপাল্লায় জবাব দিতে হবে। সেকুলার সিস্টেমে হলে ঠিক আছে, ইসলাম করলে দোষ— এই বুলি ছেড়ে ম্যাচিউরড জবাব লাগবে | ৪ । কোন তথ্য ভুল প্রমাণ করতে চাইলে সঠিক, যাচাইযোগ্য রেফারেন্স দিতে হবে। এখানে আমি সব যাচাইযোগ্য রেফারেন্স দিয়েছি। এখন আপনি যদি CIA এর সংরক্ষিত ওয়েবসাইটের reference দেন।তাহলে হবেনা। আর এড়িয়ে যাবনা। সময় এসেছে পালটা ধাওয়ার ও দুআরা। নাস্তিকদের জন্য দুআ, আর নাস্তিকতার জন্য ধাওয়া। আমি কিছু ভাবলাম। ভাবনায় অসম্পপূর্ণতা আছে। মানবীয় ত্রুটি আছে। আপনারাও ভাবুন। নতুন অ্যাঙ্গেল থেকে ভাবুন। শব্দের পর শব্দ গেথে নতুন অস্ত্ৰ বানান। ছড়তে থাকুন। ইতিহাসের ভাগাড়ে ঠাঁই হােক ইসলামবিদ্বেষের।

বঙ্গবন্ধুর কথাটা মনে পড়ে! “দেশ স্বাধীন করলে সবাই পায় সোনার খনি রুপার খনি, আমি পাইলাম চোরের খনি। আমার ডানে চোর, বাঁয়ে চোর,সামনে চোর, পেছনে চোর, চোর আর চোর!

আলহামদুলিল্লাহ পড়ে বেশ উপকৃত হয়েছি।মুসলিম অমুসলিম সকলের জন্য একবার পড়ে দেখা উচিত বলে মনে করি।আপনাদের মনে কোনো দ্বিধা থাকলে তা দূর হবে আশা করি। আল্লাহ সবাইকে কবুল করুন

“ডাবল স্ট্যান্ডার্ড” বইটিতে লেখক ডা. শামসুল আরেফীন প্রত্যেক গল্রে আলাদা আলাদা পেশার দায়ীকে উপস্থাপন করেছেন। আসলে আমরা মুসলমান ঘরে শুধু জন্মগ্রহণ করেছি কিন্তু নিজস্ব সংস্কৃতি জানিনা এবং জানার চেস্টাও করিনা, ফলে অপসংস্কৃতি লালন করার কারণে তাদের সংস্কৃতিই নিজস্ব সংস্কৃতি হিসেবে মনে করি।এখন ইসলামী সংস্কৃতির কথা বললে নতুন লাগে। সব মিলে বইটি অনেক ভাল লেগেছে। এরকম বই বেশি বেশি প্রয়োজন। আল্লাহ তায়ালা লেখক, প্রকাশকসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে উত্তম জাজা দান করুন। আমিন।।

ধনবাদ প্রথমেই এরকম কিছু বিষয় নিয়ে ভাবার জন্য। অনেক কষ্ট করা হয়েছে বোঝা যায়। লেখাটা পড়া শুরু করে মনে হয়েছিল ভাল কিছু পড়া শুরু করেছি; কিন্তু দুঃখ জনক কিছুদুর পড়ে আর ভাল লাগলো না। অনেক কথা বলা হচ্ছে কিন্তু কথাগুলো পাঠক আগ্রহ নিয়ে পরবে কিনা তা ভাবা হইনি; এবং অনেক ক্ষেত্রে অবান্তর মনে হয়েছে। লেখার মান আরও উন্নত হওয়া উচিৎ যাতে পাঠক কে আকৃষ্ট করা যায়।

নাস্তিকদের যুক্তি বাহ্যিকভাবে খুবই শক্তিশালী হলেও প্রকৃতপক্ষে সেসব খুবই দুর্বল। নাস্তিকদের সেসব যুক্তি যুক্তি দ্বারাই খন্ডন করেছেন "শামশুল আরেফীন " ভাই তার " ডাবল স্ট্যান্ডার্ড " বইয়ে। ধন্যবাদ রকমারি কে এমন বই উপহার দেওয়ার জন্য ❤।

সবার বইটি পড়া এবং বিষয়গুলো অনুধাবন করা উচিত

ডাবল স্ট্যান্ডার্ড বই টি অবিশ্বাসী নাস্তিক দের সকল প্রশ্নের এক যুক্তিময় উত্তর।এতে স্যার শামসুল আরেফিন কিছু উত্তর সরাসরি দিয়েছেন আবার কিছু উত্তর উদাহরণ দিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছেন।এটা যে শুধু নাস্তিক দের পড়া উচিত তা নয় বরং যারা নিজেদেএ ঈমান শক্ত ও মজবুত করতে চান তাদেরও পড়া উচিত।প্রত্যেকটা জবাব যেনো ধরে ধরে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।বই টি পড়ে আমার খুব ভালো লেগেছে।সকলকে পড়ার জন্য অনুরোধ রই। ধন্যবাদ।

বিভিন্ন গল্পের মাধ্যমে বাস্তবতার চিত্র দেখিয়ে লেখক অবিশ্বাসীদের ভুল ধারণা ভাঙ্গতে চেয়েছেন। যদি অন্ধ ভক্তি না হয়ে থাকে তবে সে ভুল ধারণা ভেঙ্গে শান্তির পথে আসবে বিপথে যাওয়া সব মানব । আর ইসলাম নিয়ে অপর্যাপ্ত জ্ঞানকে পুঁজি করে যেভাবে মানুষ ইসলাম নিয়ে কটাক্ষ করে তার উপযুক্ত জবাব লেখক তার লেখনীগুণ আর রেফারেন্স র মাধ্যমে দাঁতভাঙ্গা জবাব দিয়েছেন ।

কিছু বই হয় বইয়ের থেকেও বেশি কিছু, এই বইটা তেমনই একটা বই। বইটার কথাগুলো খুবই শক্তিশালী, কিন্তু তা আঘাত করেনা। বরং, মনের মধ্যে এমন এক বোধ সৃষ্টি করে যে মনে হয় আমার উচিৎ শত্রুকেও ভালোবাসা। হতে পারি আমি নাস্তিকতা বিরোধী, কিন্তু তারাও আল্লাহরই সৃষ্টি, নামাজ-কালামের বাইরেও যে একটা জীবন আছে আর সেখানে আমাদের প্রতিনিয়ত মুখোমুখি হতে হয় তিক্ত অভিজ্ঞতার। এই বইটা আমাদের তা হতে বিরত থাকতে সাহায্য করবে। বিশ্বাস খুবই সংবেদনশীল ব্যাপার। তবুও আমাদের উচিৎ নয় কাউকে তার বিশ্বাসের মূলে সরাসরি আঘাত করা। আমরা মুসলিমরা জানি, সৃষ্টিকর্তার আদেশ মানলে, নবীজীর সুন্নাত পালন করলে কোনো সমস্যা তো হয়ই না বরং জীবনটা আরও মধুর হয়ে ওঠে। তবুও আমরা তা মানিনা, এই বই আমাদের কঠোরভাবে তা মানতে নির্দেশ দেয়না, পড়ার পর তোমার বিবেকই তোমাকে তা করাতে বাধ্য করবে। এই বইটা আমাদের ভাবায় মানবিকতা নিয়ে, ইসলাম যবনদের সম্বন্ধে আসলে কি বলে? গণিমতের মাল, সে কি আসলেই আমার ভোগ্য? মানবধর্মই কি সব? ইসলাম কি কখনো আধুনিক জ্ঞানচর্চার বিরোধিতা করে? ইসলাম কি হুকুম দেয় কোনো বিজ্ঞানীকে আঘাত করার? অনেক প্রশ্নের জবাব মিলবে এই বইটা পড়লে। বইটা পড়ার পর আমার ব্যক্তিগত অনুভূতি একটাই, “ভালোবাসতে হবে সকলকে।”

বইটি পড়ে অসম্ভব ভাল লেগেছে । লেখকের লেখায় পরিপক্কতার ছাপ আছে। প্রত্যকটি প্রবন্ধে লেখক যথাযথ যুক্তি দিয়েছেন। বইটির সফলতা কামনা করছি।

অসাধারণ বইয়ের তালিকায় এটি অন্যতম হিসেবে আমি মনে করি। বইটি আজকের বর্তমান সময়ে অতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে সক্ষম। কেননা বইটিতে ইসলামিক অনেক গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলো আলোচনা করা হয়েছে যেগুলো সাধারণ কোন মুসলিম জ্ঞান হিসেবে বহন করেনা। এই বইটিতে নাস্তিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর যুক্তিসহ আলোচনা করা হয়েছে।

জাযাকাল্লাহ, বইটি ভালোই বলা যায় কারন অনেক প্রশ্নের ব্যাখ্যা পেয়েছি আর আমার মনেহয় লেখক তার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছেন সব বিষয় সুন্দর করে ব্যাখ্যা দিয়ে আলোচনা করতে বিশেষজ্ঞদের বইয়ের রেফারেন্স দেয়ার সাথে সাথে সহী হাদিসের রেফারেন্স দিলে আরো ভালো হত।দোয়া করি তিনি যেন ভবিষ্যতে আরো ভালো ভালো ইসলামিক বই লিখতে পারেন।

বই রিভিউ- ২০১৯, বইয়ের নামঃ ডাবল স্ট্যান্ডার্ড , বইয়ের লেখকঃ ডা. শামসুল আরেফীন , রেটিংঃ ৫/৫ ডাবল স্ট্যান্ডার্ড বইটি কয়েকটা চরিত্রের মাধ্যেমে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। না দেখে বিশ্বাস প্রথম অধ্যায়ে আলোকপাত করা হয়েছে কিভাবে আল্লাহকে না দেখে বিশ্বাস করতে হবে। আমরা কত কিছু না দেখেই বিশ্বাস করি। তাছাড়া ঈমানের মূল হচ্ছে না দেখে বিশ্বাস। দাশ প্রথা নিয়ে ভালো আলোচনা করা হয়েছে। দেশ প্রথা কেন ছিল, ইসলাম কিভাবে দেখতো দাশ প্রথাকে। সব মিলিয়ে নাস্তিকদের জন্য বড় ধরনের জবাব রয়েছে বইটিতে। আল্লাহ যে সত্যি আছেন এবং আমাদের বিশ্বাস যে সত্য এর বড় প্রমান দেওয়া হয়েছে বইটিতে।

নাস্তিকদের যুক্তি খণ্ডনে আমাদের দেশে বই লিখবার যে জোয়ার তৈরি হয়েছে, এর একদম শুরুর সময়ে লেখা এই বইটি। বইটির যে দিকটি আমার কাছে সবচেয়ে বেশি নজর কেড়েছে তা হল এর দরদভরা লেখনী। বইয়ের প্রতিটি গল্পে যা ফুটে উঠেছে। অসামান্য দরদের সাথে স্রষ্টায় অবিশ্বাসীদেরকে ইসলামের আলোর দিকে আহ্বান করেছেন। সন্দেহ নেই, একদম অবিশ্বাসী ব্যক্তিরও হৃদয় ছুঁয়ে যাবে যেটি। বইয়ের প্রতিটি গল্পইচমৎকার, তবে এর মাঝে বিশেষ করে উল্লেখ করতে হয় প্রথম ও শেষ গল্পটি। প্রথম গল্প "না দেখে বিশ্বাসঃ মানবজন্মের সার্থকতা" পড়েই চোখে পানি এসে গিয়েছিলো, এতো অসামান্যভাবে মহান স্রষ্টা আল্লাহ তা'আলার অস্তিত্বের পক্ষে যুক্তি প্রদর্শন করা হয়েছে সেখানে। শেষ গল্পটি [শ্বাশ্বত একত্ব] একটি সায়েন্স ফিকশন। আমাদের দেশে এতদিন কোনো কোনো বস্তুবাদী লেখক সায়েন্স ফিকশন লিখে চতুরতার সাথে নিজ মতামদর্শ পুশ করেছে। সুবহানাল্লাহ, এবার একজন ইসলামিস্ট লেখক চমৎকার একটি সায়েন্স ফিকশনের দ্বারা নাস্তিকতার কাঁচের দুর্গে ঢিল মারলেন।

ডাবল স্ট্যান্ডার্ড বইটিতে আলোচিত বিষয়গুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হলো গায়েবে বিশ্বাস নিয়ে আলোচনা; ইসলামের দাসপ্রথা, সামাজিক শ্রেণিবিন্যাস, দণ্ডবিধি; সংস্কৃতি; তাওহীদের সার্বজনীনতা ইত্যাদি। টিপিক্যাল আস্তিক-নাস্তিক বিতর্ক থেকে একটুখানি সরে এসে স্বতন্ত্র একটি পদ্ধতি অবলম্বন করা এই বইটির অনন্য বৈশিষ্ট্য। লেখক ইসলামী বিধানগুলোর ‘যৌক্তিকতা’ আলোচনার চেয়ে ‘কল্যাণময়তা’র আলোচনাকে প্রাধান্য দিয়েছেন, প্রচলিত অনৈসলামী বিকল্পগুলোর সাথে এগুলোর তুলনা দেখিয়েছেন, এবং নতুন ও অধিক কল্যাণকর বিকল্প সৃষ্টি করার চ্যালেঞ্জ রেখেছেন। ‘যুক্তি’ সংক্রান্ত আলোচনায় ২ ২=৪ এর মতো নৈর্ব্যক্তিক উত্তর আশা করা হয়। অথচ মানবজীবন গাণিতিক সমীকরণের মতো সরল নয় যে, অংক কষে কোনো পারিবারিক-সামাজিক-সাংস্কৃতিক-রাষ্ট্রীয় বিধানের ‘যৌক্তিকতা’ বের করে ফেলা যাবে। এ জন্যই একই টপিক আলোচনা করা অন্যান্য বইয়ের চেয়ে ডাবল স্ট্যান্ডার্ড বইটি অনেকটাই আলাদা।

নাস্তিকদের দন্তে আঘাত করতে অনেকটা কার্যকরী এক্টা বই।আমাদের সমাজে অনেকেই আছে যারা ধর্মীয় দিক আসলেই ডাবল স্ট্যান্ডার্ডবাজি করে,ধর্মটাকে পিছনে রেখে যেভাবেই হোক নাস্তিকতাকে প্রমানে ব্যাস্ত থাকে।নাস্তিকতা ছাড়াও সাধারণ কিছু মানুষের মনেও অনিচ্ছায় কিছু প্রশ্ন এসে যায় যেগুলো খুব সাবলীলভাবে এখানে লেখা হয়েছে।

"তার মানে মানবমস্তিকে একটা বিশেষ বৈশিষ্ট্য হল আগের অভিজ্ঞতা ও যুক্তির আলোকে একটি অপশনকে বেছে নেওয়া, সিদ্ধান্ত নিয়ে নেওয়া। দেখলাম ধোয়া, মানুষ না দেখেই সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললাম যে ওখানে একজন বিপদগ্রস্ত মানুষ আছে " এই অংশটুকু জটিল ছিল। বইটি একবার পড়েছি আরো পড়তে ইচ্ছা করে। অসাধারণ একটা বই।

অতীতের মত বর্তমানেও অনেক নাস্তিকরা ইসলামের বিভিন্ন বিধান নিয়ে হরেক রকম প্রশ্ন তুলছেন। কোন প্রশ্ন আসলে প্রশ্নই না, কোন প্রশ্ন করছে ইসলাম সম্পর্কে তার জ্ঞানের অভাবে।অন্য দিকে কিছু বিশ্বাসীদের মনেও কিছু প্রশ্ন জাগে যদিও সে তা অবিশ্বাস করে না। এই দুই পক্ষের জন্যই লেখক এই পুস্তকে কিছু প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন গল্প আকারে যা সহজেই যে কেউ বুঝতে পারে।জিজিয়া,দাসী প্রথা সহ আরো অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আলোচিত হয়েছে এই বইয়ে।তাই মনের জিজ্ঞাসিত পশ্নের উত্তর জানতে অধ্যয়ন করুন এই পুস্তক।

Everyone should read this book. It made me know and realize things about Islam. It's an important book. It clears out doubts and gives references to more books and hadiths and ayahs that everyone should know and understand. It made me fall in love with my deen and the Holy Quran and sunnah again, from a new light.

আমাদের একটা স্বভাব হলো বেশির ভাগ সময় বিপরীত পাশের মানুষটার কথা শুনতেই চাই না। অল্প জেনে স্বল্প জ্ঞানে, যেমন জ্ঞানীর ভান ধরি। আবার সেই ভানের ফাঁদে পা দিয়ে অনেকেই বিপদগামী হয়। ইসলাম ধর্মের বিভিন্ন রীতিনীতি নিয়ে মুসলমানদের পড়াশোনার কমতি থাকলেও তা পুষিয়ে নিয়েছে নাস্তিকরা। তাই যারা ইসলাম মানেন বা মানতে চেষ্টা করেন তাদের খুব সহজেই নানান প্রশ্ন জালে জর্জরিত করে সন্দেহের সাগরে ভাসিয়ে দিয়ে পার পায় নাস্তিক রা। তাদের কার্যসিদ্ধি হয়। এমনই নানান জটপাকানো প্রশ্নের সহজ সরল সমাধান দিয়ে হাবুডুবু খাওয়া যুবকদের জন্য একটি নৌকা এই বই। যুক্তি র সাথে খুব সুন্দর ভাবে প্রশ্নের জবাব দেওয়া হয়েছে। আমার খুব ভালো লেগেছে। এই ধরনের বইগুলো আমাদের পড়া উচিৎ, যেন সন্দেহের ঝড় আমাদের সহজে ভাসিয়ে নিতে না পারে। বইয়ের পেইজ এবং বাইন্ডিং ছিল দামের তুলনায় সত্যি প্রশংসার দাবীদার। পড়লে আশাকরি ভালো লাগবে সবার।

এটা অনেক ভাল বই।

কি ভাই নাস্তিকতায় বিলিভ করেন?বইটা পডুন তাহলে নাস্তিকতার ভুত নেমে যাবে ইনশাআল্লাহ।

Masha Allah Excellent book

অসাধারণ এক বই। কন্টেম্পরারি ইস্যুগুলো খুব চমৎকারভাবে তুলে ধরা হয়েছে

Best one

অনেক সুন্দর একটি বই।

যাজাকুমুল্লাহ খাইর

সুপার... থ্রিলিং বই। আল্লাহ লেখককে এমন আরো বারুদ-গোলা উপহার দেওয়ার তৌফিক দিন আমিন

আলহামদুলিল্লাহ্

Amar pora one of the best books :) Alhumdulillah ..

very quick delivery. just got actually in less than 24 hours. thanks rokomari.

Double standard likhen or triple standard likhen jara anti islamits tara kokhno islam ke valo choke dekhbe na. Mukh bondho kore rakhle jemon onno keu khawie dite pare na thik temni mon bondho kore rakhle islam acept korte parbe na.

সুন্দর বই!

আপনি যেই বিষয়ের পড়ুয়াই হোন না কেন, যদি যৌক্তিক কথাকে সম্মান দিতে প্রস্তুত থাকেন এটা পড়ুন!

খুব সুন্দর বইটি পড়তে পারেন

মাশাআল্লাহ

Good. Recommend to buy.

This book deserve 5 star.best book for knowledge.

এই ক্যাটাগরির বইয়ের মধ্যে আমার দেখা সবচেয়ে ভালো বই।

বইটির অনেক নাম-ডাক শুনেই বইটি কিনেছিলাম এবং বইটি পড়ে সত্যিই ভালো লাগলো। মূলত আধুনিকতার নামে বর্তমানে যে নাস্তিকতার প্রসার হচ্ছে চারিদিকে সেটার বিরূদ্ধেই জবাব দেওয়া হয়েছে বইটিতে এবং সুন্দর ভাষায়। ইসলাম শুধু ধর্ম নয়, এটা একটা পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধান। এতে ধার্মিক, রাজনৈতিক সকল কিছুরই সমাধান রয়েছে। ইসলামের রয়েছে নিজস্ব সংস্কৃতি। ১৪০০ বছর আগে মহান আল্লাহ্ পক্ষ থেকে প্রিয়নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যে ইসলাম প্রতিষ্ঠিত করে গেছেন তা এখনো আধুনিক।এখনো যেকোনো সমস্যার সেরা সমাধান হলো কুরআনে পাক। আর লেখক এই বিষয়টাকেই অনেক সুন্দর যুক্তির মাধ্যমে বুঝিয়েছেন। অবশ্য লেখক গতানুগতিক প্রবন্ধের মতো এগুলো লিখেননি বরং ইসলামের বিভিন্ন বিষয়গুলো নিয়ে বিভিন্ন গল্পের মাধ্যমে সুন্দর করে লিখেছেন। যার কারণে পাঠকদের পড়তে ভালো লাগবে, বিরক্তি আসবে না। এরকম বই যেমনঃ প্যারাডোক্সিকাল সাজিদ ১-২, ডুয়েল ক্যারেক্টার আগেও পড়েছি তবে "ডাবল স্ট্যান্ডার্ড" এর যুক্তি ও বোঝানোর ধরণটা আগের গুলো চেয়ে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। সকল ধরনের পাঠকই প্রতি গল্পের নাস্তিকতার যে জবাব ও যুক্তিগুলো সেগুলো সহজে বুঝবে। শুধু তাই না, লেখক প্রত্যেকটা বিষয় আরও সহজে বোঝানোর জন্য পাশে টিকাও দিয়েছেন যাতে কিছু বিষয়ের ব্যাখ্যা রয়েছে। তাই পড়ার সময় অবশ্যই টিকাগুলোও পড়বেন, ভালো লাগবে। এই বইয়ের সবচেয়ে বেশি যে জিনিসটা ভালো লাগলো তা হলো নাস্তিক এবং ইসলাম নিয়ে সন্দেহবাজনদের আঙুল দিয়ে তাদের ডাবল স্ট্যান্ডার্ডগিরি দেখিয়ে দেওয়া, যেটা পড়লে বুঝতে পারবেন। নেগেটিভের মধ্যে যদি বলি, লেখক কিছু একই ক্যারেক্টারদের নিয়ে কয়েকটাগল্প বলেছেন যেটা ভালো লাগেনি, যেহেতু লেখক প্রত্যেকটা বিষয়ে বিভিন্ন গল্প বলেতে চাইছেন সেখানে নির্দিষ্ট কিছু ক্যারেক্টারদের নিয়ে দুই-তিনটা গল্প না লিখে আলাদা ক্যারেক্টার নিয়ে লিখলেই ভালো হতো । তারপর, লেখক "-" এই চিহ্নটার ব্যবহার সঠিকভাবে করতে জানেননি বলে মনে হলো। কারণ, কয়েকটা গল্প পড়ার সময় চিহ্নটার সঠিক ব্যবহার না করার কারণে কোনটা কার কথা বুঝতে কনফিউশন তৈরি হয়ছিলো। তাছাড়া লেখকের অল্প কিছু বিষয়ে আমার দ্বিমত রয়েছে এবং লেখকের কিছু ক্ষেত্রে শব্দচয়নে আরো সতর্ক হওয়া উচিত। এই বইয়ের দাস-প্রথা ও বনু কুরায়যার পাঠটা আমার বেশ পছন্দ হয়েছে।আশা করি, সামনের বইগুলোতে নতুন বিষয়ে আরো ভালো কিছু জানতে পারব। সর্বোপরি, খুব ভালো একটা বই। হাইলি রিকমেন্ডেড।

আরেফীন ভাইয়ের এই বইটি খুবই ভালো হয়েছে।

as a masterpiece of nastik

ভালো লেগেছে

চোখ খোলো অবিশ্বাসীরা

শামসুল আরেফীন ভাইয়ের বই মানেই রেফারেন্স ভিত্তিক আলোচনা। তবে বেশি যৌক্তিকতা আনতে গিয়ে কিছু কিছু গল্পের ক্ষেত্রে রসহীন লেগেছে। ওভারল অবশ্যপাঠ্য একটা বই। ?

মোটামুটি ফালতু একটা বই। বইয়ে যে লজিক দেওয়া হয়েছে খুবই দুর্বল যুক্তি। বইটা এত জনপ্রিয় হওয়ার কারণ আমি বুঝি না। ইমাম গাজালি বা পূর্বের ইসলামি দার্শনিকগণ এর চেয়ে শতগুণ ভালো বই লিখেছেন, কিন্তু সেসব নিয়ে এত কথা হয় না। তবে বইটা আগাগোড়া খারাপ, সেটা বলছি না। যেমন গর্জে তেমন বর্শে না—একটা প্রবাদ আছে না? ও-ই প্রবাদের মতো। যেমন আলোচনা হয়েছে বইটি নিয়ে, তেমন কিছু নাই ভিতরে।

ইসলাম সম্পর্কে অনেকের অনেক ভুল ধারণা রয়েছে নাস্তিক থেকে শুরু করে বিধর্মী অনেক মানুষের অনেক ভুল ধারণা রয়েছে সত্যের ধর্ম শান্তির ধর্ম ইসলামকে নিয়ে তাদের এই সকল প্রশ্নের সুন্দর জবাব সন্দেহর মুছে দিয়েছেন লেখক এই বইটির মাধ্যমে। আমরা অনেক মুসলিম আছে যারা আমাদের নিজের ধর্ম সম্পর্কে ভালোভাবে জানি না আস্তে আস্তে বিশ্বাস হারিয়ে ফেলে আল্লাহর উপর থেকে কিন্তু আল্লাহ বলেন তোমরা ধৈর্য ধারণ করা আমি তোমাদের সাথেই আছে যারা সৃষ্টিকর্তাকে বিশ্বাস করে না বিশ্বাস থেকে দূরে সরে আসছে তাদের জন্য সবচেয়ে ভালো হবে অসাধারণ একটি বই

বইঃ ডাবল স্ট্যান্ডার্ড লেখকঃ ডা. শামসুল আরেফীন ধরণঃ ইসলামি আদর্শ ও মতবাদ প্রকাশনাঃ মাকতাবাতুল আযহার প্রকাশনী হতে প্রকাশিত । দামঃ ১৮৭ টাকা ইসলাম ধর্মের কথা নিয়ে যত ডাবল স্ট্যান্ডার্ড রয়েছে তাই তুলে ধরে তা বিশ্লেষণ করা হয়েছে অার চোখের সামনেই ভেঙ্গে দেয়া হয়েছে ভুল যুক্তিগুলো ।

বিপক্ষে সত্যের জয়। মনে কাপুঁন ধরাতে সক্ষম। সবগল্প যৌক্তিক ও বৈজ্ঞানিক তথ্য নির্ভর। দাসপ্রথা,নারীবিধান ও দন্ডবিধান গল্প সবচেয়ে চমৎকার লেগেছে। প্রচ্ছদটা দেখার মতো।গল্পগুলো গল্পের রূপ পায়নি।পরিপূর্ণ দাঁড়ি গল্পটা অতিরিক্ত। বাইন্টিং ভালো ছিল না। নায়ককে দলীয়করণ না করে মুসলিম নামে পরিচিত করা।

বই: ডাবল স্ট্যান্ডার্ড আল্লাহর নিকট একমাত্র মনোনীত ধর্ম ইসলাম। ইসলাম কেবলমাত্র একটি ধর্মই নয় বরং এটি পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধান। এখানে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে করণীয়- বর্জনীয় সব কিছু আলোচনা করা হয়েছে। ইসলামের এমন কোন বিধান নেই যা মানব সভ্যতার জন্য অকল্যাণকর। ইসলামী বিধান পালনে করলে নেই কোন ক্ষতিকর সাইড ইফেক্ট। এত কিছুর পরেও ইসলাম বিরোধী অপশক্তি তথা নাস্তিক ও সেক্যুলার সমাজ ইসলাম কে নিয়ে বিভিন্ন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। তারা বিভিন্ন যুক্তি দিয়ে কুরআন ও হাদীসে দেয়া ইসলামের বিধানগুলো নিয়ে মানুষের মাঝে সংশয়ের সৃষ্টি করছে। সাধারণ মানুষ তাদের ধোকায় পতিত হচ্ছে । কেউবা এসবের উত্তর খুজতে গিয়ে নাস্তিকদের পাতানো ফাদে পা দিচ্ছে। বর্তমান মুসলিম সমাজও অবাধ স্বাধীনতা ও তথ্য প্রবাহের এই যুগে ইসলামের প্রকৃত উদ্দেশ্য বুঝতে ব্যর্থ। কিন্তু ইসলাম কে বুঝতে হলে নাস্তিকদের যুক্তি দিয়ে বুঝানোর দরকার নেই। কেননা ইসলাম কোন যুক্তির ধর্ম না। বরং যুক্তি যেখানে শেষ সেখান থেকেই ইসলামের শুরু। ইসলাম থেকে খুজে নিতে হয় কল্যান। যে ইসলাম দুনিয়া ও আখিরাতের কল্যান লাভের একমাত্র মাধ্যম। ইসলামের বিধান বুঝার ক্ষেত্রে যুক্তি ও বিজ্ঞানের ব্যাখ্যা বিশ্লেষণের কার্যকারিতা আছে । কিন্তু সেটা একমাত্র মানদন্ড নয়। কেননা যুক্তি ও বিজ্ঞানের বিভিন্ন সীমাবদ্ধতা আছে। সেই সাথে এগুলো সর্বদা পরিবতনশীল । পক্ষান্তরে ইসলাম শাশ্বত জীবনব্যাবস্থা। ধর্ম, সমাজ, রাজনীতি, অর্থনীতি, যুদ্ধনীতি সহ সর্বক্ষেত্রে ইসলাম স্বমহিমায় উদ্ভাসিত। এই নীতিমালা সামনে রেখেই ডা: শামসুল আরেফিন রচনা করেছেন একটি অনন্য বই " ডাবল স্টান্ডার্ড "। বইটি নাস্তিকদের যুক্তি ও অপব্যাখায়া গুলোর প্রতিবাদ করেই লেখা। আস্তিক নাস্তিক বিভিন্ন চরিত্র সৃষ্টির মাধ্যমে বইটিতে মোট এগারোটি গল্প সন্নিবেশিত আছে । মন কে নাস্তিকদের বোনা অবিশ্বাসের বেড়াজাল থেকে মুক্ত করে একই সাথে বিশ্বাসের ভিত্তি মজবুত করার জন্য লেখক এখানে শব্দের পর শব্দের পশরা সাজিয়েছেন। কখনো বিজ্ঞান, কখনো ধর্ম, আবার কখনো যুক্তি, দর্শন, ও ইতিহাসের সাহায্যে তথ্যগুলোকে সহজ ও সাবলীল ভাষায় উপস্থাপন করেছেন। বইটির প্রতিটি গল্পই নাস্তিকদের বিভিন্ন সন্দেহ ও সংশয়ের জবাবে এক একটি হাতিয়ার স্বরুপ। এক্ষনে আমি প্রতিটি গল্প সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত ধারনা দিতে চেষ্টা করবো। ইনশাআল্লাহ . (১) না দেখে বিশ্বাস: মাননজন্মের স্বার্থকতাঃ- এটি বইয়ের প্রথম গল্প। আল্লাহ যে সত্যি আছেন তার প্রমান কি সেই নিয়েই আলোচনা করা হয়েছে এই গল্পে। ইসলামী আকিদারা অন্যতম দিক হলো আল্লাহকে না দেখেই তার অস্তিত্বে বিশ্বাস করা। লেখক এখানে আল্লাহ আছেন কি নেই এ এটা প্রমান করতে যুক্তি অথবা বিজ্ঞানের আশ্রয় নেননি। বরং মানুষ আল্লাহ কে চিনবে তার সৃষ্টি দেখে। আকাশে সুশৃঙ্খলভাবে ঘূর্ণায়মান গ্রহ, নক্ষত্রের গতিবিধি দেখে। কিভাবে আল্লাহ পৃথিবীতে বিভিন্ন উপাদানের সুষম বন্টনের মাধ্যমে মানুষের বসবাসের উপযুক্ত করেছেন তা দেখে। যা দেখে একজন বোধসম্পন্ন মানুষ সহজেই বুঝতে পারবে নিশ্চয়ই এত কিছুর পেছনে একজন স্রষ্টা আছেন। . (২) দাসপ্রথা: ঐশী বিধানের সৌন্দর্যঃ- নাস্তিকরা ইসলাম নিয়ে যেসব ধরাবাধা প্রশ্ন করে তার মধ্যে অন্যতম হলো দাস প্রথা। এখানে গল্পের ছলে বুঝিয়েছেন নাস্তিক ও সেক্যুলার সমাজের দাসপ্রথা আর ইসলামে দাসপ্রথার মধ্যে অনেক পার্থক্য রয়েছে। ইসলামে দাসপ্রথা একেবারে উচ্ছেদ করে নি। বরং ইসলামে দাসপ্রথার অনেক গ্রহনযোগ্য ও কল্যানকর দিক রয়েছে। ইসলামে দাসপ্রথার মাঝে কি কল্যান ও এর গ্রহনযোগ্যতাই বা কি ?? "জানতে হলে পড়ুন ডাবল স্টান্ডার্ড "। . (৩) দক্ষিণহস্ত মালিকানা: একটি নারীবাদী বিধানঃ- নাস্তিকদের একটি অন্যতম দাবী যুদ্ধক্ষেত্রে শত্রুপক্ষের নারীদের কেন দাসী করে রাখা হয় এই নিয়ে। এই গল্পের মাধ্যমে জানা যাবে ইসলাম যুদ্ধক্ষেত্রে প্রাপ্ত নারীদের শুধুমাত্র মালিকানাই গ্রহন করে না। বরং সামাজিক, অর্থনৈতিক, সহ সকল প্রকার নিরাপত্তা নিশ্চিত করে। . (৪) শষ্যক্ষেত্র: সম্পত্তি না সম্পদঃ- কুরআন কারীমে নারীদেরকে শষ্যক্ষেত্রের সাথে তুলনা করা হয়েছে। কেন নারীদের শষ্যক্ষেত্রের সাথে তুলনা করা হলো এ নিয়ে নারীবাদীদের অভিযোগের অন্ত নেই। এতে নাকি নারীদেরকে ছোট করা হয়েছে। এই প্রশ্নের জবাব প্রদানের নিমিত্তেই গল্পটি লেখা। কিন্তু নারীবাদীদের বুঝা উচিৎ শষ্যক্ষেত্রে যেমন আইল টেনে, যথাযথ ভাবে চাষ করে, সেচ দিয়ে পরম যত্নের সাথে ফসল ফলানো হয়। তেমনি ভাবে নারীদেরকেও পরম যত্ন ও আদরের সহিত আগলে রাখতে হয়। ক্ষেতের চাষীর জন্য যেমন তার ক্ষেতই বেচে থাকার একমাত্র সম্বল স্ত্রীও ঠিক তেমনি তার স্বামীর জন্য। . (৫) জিজিয়া: অমুসলিম নাগরিকের দায়মুক্তিঃ- এই গল্পের প্লট এগিয়েছে জিজিয়া প্রদানের বিষয়টি কেন্দ্র করে । জিজিয়া হলো মুসলিম রাষ্ট্রে বসবাসের নিমিত্তে অমুসলিমদের থেকে প্রাপ্ত কর। যাকে বর্তমান নাস্তিক সমাজ অমানবিক বলে অভিহিত করে থাকে। বস্তুত অমুসলিমদের থেকে জিজিয়া আদায় করা হয়। কিন্তু এর বিনিময়ে তারা সামরিক সুবিধা, নিরাপত্তা সুবিধা সহ বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা ভোগ করে থাকে। অতএব জিজিয়া কর সম্পূর্ণ যৌক্তিক একটি করব্যবস্থা। . (৬) শ্রেণি বৈষম্যহীন সমাজ: ওদের স্বপ্ন, আমাদের অর্জনঃ- এখানে গল্পের চরিত্র নাহিদ, স্বপন, ও রাশেদ এর আলাপ আলোচনার মাধ্যমে উঠে এসেছে কমিউনিজম, সাম্রাজ্যবাদ, ও সমাজতন্ত্র সহ বিভিন্ন মানব রচিত মতবাদের ভ্রান্তিকর দিক। যা কখনোই মানবতার জন্য কল্যান বয়ে আনে না। এর বিপরীতে অবস্থান ইসলামী অর্থনীতির। যেই অর্থনীতি শ্রেণিবৈষম্যহীন ও দারিদ্রমুক্ত সমাজ গড়ে তুলতে অত্যন্ত কার্যকর। এই গল্প ফুটিয়ে তোলা হয়েছে ইসলামী সমাজব্যবস্থার কল্যাণময় সব দিক। গল্পটি পড়ে পাঠক বুঝবেন বর্তমান অতীতের ন্যায় বর্তমানেও ইসলামী ব্যবস্থা অত্যন্ত কার্যকর। . (৭) আরব সংস্কৃতি মানবো কেন? যেসব নাস্তিকরা বলে আমাদের নিজস্ব সংস্কৃতি থাকতে আরবদের দেয়া সংস্কৃতি অনুযায়ী চলতে হবে কেন তাদেরকে মোক্ষম জবাব দেয়া হয়েছে এই গল্পের মাধ্যমে। বস্তুত মেসোপটেমিয়া, ইজিপশিয়ান সহ আরো যত সংস্কৃতি আছে সব মানুষের তৈরী সংস্কৃতি ও আলাদা একটা জাতীয়তাবাদ। পক্ষান্তরে ইসলামী সংস্কৃতি আল্লাহ প্রদত্ত। লেখক এখানে খুব জোরালো ভাবে প্রমান ক্রেছেন যে ইসলাম নিজেই একটা সংস্কৃতি। এই সংস্কৃতি আরব অনারব সহ সকল মুসলিম সমাজেই বিরাজমান। বস্তুত দেশীয় সংস্কৃতি মেনে চলতে বাধা নেই। কিন্তু ইসলামী সংস্কৃতির সাথে সাংঘর্ষিক হলে সেখানে ইসলামী সংস্কৃতিই প্রাধান্য পাবে। . (৮) সমাধান কি মানবধর্মেই? এখানে গল্পে ফুটে উঠেছে ইসলাম থেকে মানুষকে বের করার জন্য একটি অন্যতম ফাদ হলো মানবতা। বস্তুত মানবতার কোন নির্দিষ্ট সংজ্ঞা নাই। নির্দিষ্ট মাপকাঠি অনুযায়ী চলে না। প্রত্যেক সমাজে, প্রত্যেক প্রজন্মে মানবতা সদা পরিবর্তনশীল একটি মতবাদ। সুতরাং মানুষকে নিয়ম শৃঙ্খলার মধ্যে আনতে হলে ইসলামী অনুশাসন মেনে চলার কোন বিকল্প নাই। এখানে আরেকটি বিষয় জোরালো ভাবে দেখানো হয়েছে যে পৃথিবীতে এখন পর্যন্ত যত যুদ্ধ বিগ্রহ সংঘটিত হয়েছে তার মধ্য মাত্র ৭% যুদ্ধ হয়েছে ধ্ররমের কারনে। বাকি সব যুদ্ধ মানবধর্মের কারণেই হয়েছে। . (৯) বনু কুরাইজা হত্যাকান্ড ও বাংলাদেশ দন্ডবিধিঃ- বনু কুরাইজার মৃত্যুদণ্ড বিষয়ে সমালোচনার জবাব দেয়া হয়েছে এই গল্পে। বনু কুরাইজা গোত্রের মৃত্যদন্ড প্রদানের যুক্তি উপস্থাপন করে নাস্তিকরা দাবী করে ইসলাম আসলে বর্বর ধর্ম। এখানে লেখক খুব চমৎকার ভাবে দেখিয়েছেন তাদেরকে যে শাস্তি দেয়া হয়েছিল তা তাদের প্রাপই ছিল। এবং তারা নিজেরাই এই শাস্তি মাথা পেতে নিয়েছিল। সেই সাথে ইহুদীদের ধর্মগ্রন্থ ও বাংলাদেশের সংবিধানের সাথে তুলনা করে দেখিয়েছেন এই শাস্তি দিতে গিয়ে ইসলামই বরং উদারতার পরিচয় দিয়েছে। . (১০) পরিপূর্ণ দাড়ি: জঙ্গল নয়, ছায়াবিথীঃ- এই গল্পটি এমন এক শ্রেণির মুসিমদের উদ্দেশ্যে লেখা হয়েছে যারা মনে করে দাড়ি রাখা জরুরি নয় বিরং না রাখলেও চলে। এটা এত প্রয়োজনীয় কিছু নয়। দাড়ি রাখলে জঙ্গি জঙ্গি মনে হয়। এখানে লেখক বভিন্ন যুক্তি, প্রমান, ও কুরআন হাদীস থেকে দলীল প্রমানের মধ্যে দিয়ে দেখিয়াছেন যে দাড়ি রাখা মোটেও কোন অপ্রয়োজনীয় কিছু নয়। বরং এটি কেবল সুন্নাত নয়, বরং ওয়াজিব। . (১১) বিজ্ঞান কল্পকাহিনী: শাস্বত একত্বঃ- এটি একটি ইসলামী সায়েন্স ফিকশন। সচরাচর এ ধরনের সায়েন্স ফিকশন চোখে পড়ে না। পৃথিবীতেই আল্লাহর অস্তিত্বের অনেক অনেক নিদর্শন রয়েছে। অতীতের মানবজাতি গুলোর ইতিহাস পর্যালোচনা করলে তা সহজেই অনুমেয়। এখানে এই বিষয়টি সুস্পষ্ট ভাবে ফুটে উঠেছে। . ***ব্যক্তিগত অনুভূতি:-*** বইটির কভার, প্রচ্ছদ, বাইন্ডিং, ও ভিতরের পাতা মাশাআল্লাহ অনেক সুন্দর। অনূভুতি যদি বলতেই হয় তাহলে বলবো বইটি এককথায় অসাধারন। বিভিন্ন দলিল প্রমানাদি ও তথ্যসমৃদ্ধ প্রতিটি গল্পেই রয়েছে শিক্ষনীয় মেসেজ। সহজ, সাবলীল ও বোধগম্য ভাষায় রচিত। বাস্তবতা ও সুন্দর উপস্থাপনার মিশেলে বইটিকে নিয়ে গেছে অনন্য উচ্চতায়। বইটিতে নাস্তিকরা যেমন পাবে তাদের উপস্থাপিত প্রশ্নগুলোর উপযুক্ত জবাব। তেমনি আল্লাহতে বিশ্বাসী মুসলিমদেরও বিশ্বাসের ভিত্তি আরো মজবুত হবে। বইটিতে সকলের জন্যই রয়েছে চিন্তার খোরাক। বইতে ভালো লাগার আরেকটি দিক হলো এখানে নির্দিষ্ট কোন চরিত্র কে ইসলামি ভাবধারা অনুযায়ী উপস্থাপন করা হয়নি। বরং কখনো ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, শিক্ষক আবার কখনো ছাত্র প্রভৃতি সবাই ইসলামের প্রতিনিধিত্ব করছে। আমি দৃঢ় ভাবে বিশ্বাস করি একদিন সমাজ ও রাষ্ট্রের সকল পর্যায়ে ইসলামের সুমহান আলো ছড়িয়ে পড়বে। মুসলিমরা সবখানে তাদের বিরুদ্ধে উপস্থাপিত প্রশ্নগুলোর যুক্তি, বিজ্ঞান কুরআন হাদীস থেকে রেফারেন্স সমৃদ্ধ উত্তর প্রদানের মাধ্যমে সরিয়ে দিবে অবিশ্বাসের জঞ্জাল সেই সাথে ফুটিয়ে তুলবে ইসলামের সৌন্দর্য। . ***প্রিয় উক্তিঃ-*** (1) সময় এসেছে পাল্টা ধাওয়া ও দুআর। তাই নাস্তিকের জন্য দুআ, নাস্তিকতার জন্য ধাওয়া। (2) জমিটুকু চাষীর সম্বল। ওটাই তার দুনিয়া। পরম নির্ভরতা ও আবেগের জায়গা। তার কাছে ঐ জমিটুকুই সবকিছু। (৩) নাস্তিকরা হলো শিশুর মত। অবুঝ, অপরিণত। একই প্রশ্ন বারবার করে। . ***সমালোচনাঃ-*** একটি বই প্রকাশের পিছনে লেখক, সম্পাদক ও প্রকাশকের অসংখ্য রাত জাগার ইতিহাস থাকে, বইটিকে নির্ভুল করার জন্য। বইটিকে পঠনোপযোগী করতে প্রকাশনী যথাসাধ্য চেষ্টা করেছেন। আল্লাহ তাদের খেদমত কবুল করুক। তারপরও কিছু ভুলভ্রান্তি থেকে যায়। যা অনিচ্ছাগত। আমি সেগুলোই তুলে ধরব এই অংশে-- (1) বইটিতে অনেকগুলো বানান ভুল লক্ষ্য করেছি। কোন কোন জায়গায় দুটি শব্দ একখানে হয়ে গেছে। হয়তোবা এটা প্রথম সংস্করণ হওয়ার কারনেই হয়েছে। (2) সপ্তম অধ্যায়টির নাম " আরব সংস্কৃতি মানবো কেন " না হয়ে ইসলামী সংস্কৃতি মানবো কেন হলে ভালো হতো। . ***শেষ কথা:-*** পরিশেষে বলতে হয় বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপট অনুযায়ী এত সুন্দর একটি বই লেখার আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বইয়ের লেখক, প্রকাশক, পাঠক সহ সবাইকে কবুল করুন। দোয়া করি আল্লাহ লেখকের জ্ঞানের পরিধি বাড়িয়ে নেক হায়াত দান করেন এবং দ্বীনের পথে তার এই পরিশ্রম কবুল করেন । আমিন

ইসলামবিদ্বেষী শক্তি ইসলামের উপর ষড়যন্ত্রের প্রোপাগান্ডায় লিপ্ত। নতুন প্রজন্মকে ধোঁকা দিতে তাদের মনে বিভিন্ন সংশয়-সন্দেহের জাল বিছানোতে তারা সদা প্রস্তুত। অবাধ তথ্যপ্রবাহ ও বাক-স্বাধীনতার এ যুগে পর্যাপ্ত পরিমাণ ধর্মীয় জ্ঞানের অভাবে যুবসমাজ তার একমাত্র দ্বীন 'ইসলাম' এর প্রকৃত হাক্বীকাত বুঝতে ব্যর্থ। 'যুক্তির জবাব যুক্তি' -এটাই এখন সময়ের দাবি। তাই এ যুগে এমন কিছু ভাবনার সংকলন থাকা দরকার যা ইসলামের ওপর আপতিত অভিযোগগুলোর জবাব দেবে। "ডাবল স্ট্যান্ডার্ড" সে ধরনেরই একটি বই। পাঠপর্যালোচনা: মহান আল্লাহ প্রদত্ত মনোনীত দ্বীন 'ইসলাম'-এর পুরোটায় কল্যাণময়। কেননা, এ বিধান মানবজীবনের স্রষ্টা,সমস্যার স্রষ্টা, ফলাফলের স্রষ্টার থেকে প্রদত্ত। তাই সমস্যার সমাধান তাঁর চেয়ে ভাল আর কে দেবে? ইসলামবিদ্বেষী শক্তি সর্বদা ব্যস্ত ইসলামের খুত খুজতে। কিন্তু তা যে অসম্ভব, তা তাদের ধারণায় থাকে না। কারণ, এ বিধান ত্রুটিমুক্ত মহান রবের। তবে দুঃখজনক, খুত খুজতে যেয়ে তারা পেয়ে যায় পশ্চিমা ঐতিহাসিকদের কিছু প্রলাপ। ভাঙ্গা টেপ রেকর্ডারের মত বাজাতে থাকে গতবাধা কয়েকটি প্রশ্ন। 'ডাবল স্ট্যান্ডার্ড' হল সেই আপত্তিগুলোর ধারাবাহিক জবাব।

আসলে নাস্তিকের কোনো স্ট্যান্ডার্ডই নাই!

#রকমারি_বুক_রিভিউ বইয়ের নাম ••••••••••••••••••••••••ডাবল স্ট্যান্ডার্ড•••••♦••••••••••• কি মনে করে যেন বই কিনেছিলাম। অষাধারণ একটি বই। লেখক শামসুল আরেফীন কে ধন্যবাদ এমন একটি লেখার জন্য। বই মূলত ইসলামের অনেক বিষয় একটি বিস্তারিত ব্যাখা নাস্তিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেওয়া হয়েছে। আমাদের সমাজে এমন কিছু নাস্তিক আছে, যদের শুধুমাএ ইসলাম ধর্ম নিয়ে চুলকানি আছে। এই বই টিতে নাস্তিক দের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেওয়া হয়েছে। নাস্তিক রা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন যুক্তি দিয়ে ইসলাম কে অপমান বা হেয় করার চেষ্টা করে। অনেক সময় আমরা তাদের সাথে তর্ক করতে গিয়ে পেরে উঠি, সঠিক ভাবে আমরা আমাদের বিষয় গুলোকে উপস্থাপন করতে পারি না। কিন্তু এই বইয়ে অনেক যাচাইযোগ্য রেফারেন্স দিয়ে সব গুলো বিষয় সুন্দর ভাবে তুলে ধরা হয়েছে।

যুক্তির অসাধারণ সংমিশ্রণে লিখা অতুলনীয় একটি বই

বাংলা ভাষায় এমন দুর্দান্ত লেখা! আপনি যেই বিষয়ের পড়ুয়াই হোন না কেন, যদি যৌক্তিক কথাকে সম্মান দিতে প্রস্তুত থাকেন এটা পড়ুন!

প্রচ্ছদেই(শেষে) অতি সুন্দর ভাবে লেখক বর্ণনা করেছেন বই কাদের পড়া উচিত। :) শরঈ সম্পাদনার দিকে বিশেষ দৃষ্টি , অর্থবহ প্রচ্ছদ আর সহজ পাঠ্য! আর কি চাই গল্প শুষে নিতে! বইটির প্রতিটি গল্পের মাঝে কখনো হারিয়ে গেছি, কখনো ভাবনায় বসে গেছি কখনো হেসেছি প্রাণ ভরে। রাগতে গিয়েও রাগতে পারি নি। কেনো রাগ হবো না সেটাও যে বলেছেন লেখক। ‎শেষ গল্পের ম্যাসেজ এত গভীর ছিলো যে চোখের কোনে মেঘের ঘনঘটা আসতে বাধ্য হয়েছে। এই তো সামনেই ডাবল স্ট্যান্ড বাজির দিন শেষ হবে ইনশা আল্লাহ। আমরাও প্রতিবাদ করতে জানি। ‎ ‎আল্লাহ লেখকের লেখনীতে বারাকাহ দান করুক। আর ‎যাদের জন্য বইটি লেখা তাদের সবাইকে হেদায়েত দান করুক(এর মধ্যে আমিও এক অধম)। আমিন।

কিছু কিছু স্থানে সমস্যা আছে। যেমন - টিকাগুলো অধ্যায়ের শেষে না দিয়ে যে পেজের টিকা সে পেজের নিচে দেয়া উত্তম। ভাষাগত কিছু দুর্বলতা ছিল। কাহিনীগুলো কেমন জানি খাপ ছাড়া মনে হয়েছে। নাটকীয়তা একটু বেশীই মনে হয়েছে। এরপরেও আমি সর্বোচ্চ রেটিং দিব কারণ আমাদের সকলের যা করা উচিত ছিল তা লিখক করেছেন। আশা করছি ধীরে ধীরে পরিণত একজন লিখক হবেন। আর হ্যা পথ চলা যেন শেষ না হয়ে শুরু হয়।

Valo Boi :)

only a handful of books i have finished in a single sitting. it is one of them. Muslims who want to clear their concepts and have answers for a strong belief,this book is, for them, a must.

বেস্ট অব দ্য বেস্ট। কোন দ্বিধা ছাড়াই কিনে ফেলুন। পড়ুন। জীবন বদলে যাবে ইনশাআল্লাহ।

ডাবল স্ট্যান্ডার্ড বইটি চমৎকার একটা বই যা একটা বার সবার সম্ভব হলে পড়া উচিৎ। নাস্তিকদের কিছু কঠিন প্রশ্নের অসাধারণ উত্তর প্রদান করা হয়েছে। ইসলামের দাশ প্রথার ব্যাখা, জিজিয়া, মুসলিম পুরুষদের দাড়ির অনেক সুন্দর বিশ্লেষণ করা হয়েছে। ইসলাম নিয়ে কিছু বিষয়ে সংশয় দুর করতে বইটি সাহায্য করবে।

নাস্তিক্যবাদীদের ঠুনকো আর্গুমেন্টের সামনে ইসলাম কে ডিফেন্ড করার জন্য আমরা অনেকেই বেশ ডিফেন্সিভ ওয়েতে চলে যাই, আলহামদুলিল্লাহ ডাক্তার সাহেব এই ক্ষেত্রে বেশ ব্যাতিক্রম - ইসলামে যা যেভাবে যতটুকু আছে ততটুকুনই আমরা কনভে করবো। কুফফাররা কে কি মনে করলো আমাদের গোনায় ধরার টাইম নাই... একদম রাবি ইবনে আমর (রাদিয়াল্লাহু তালা আনহুর) মত। অবশ্যই রিকমন্ডেড।

Very exceptional book for this time .

ডাক্তার সাহেবের সব গুলো বই অসাধারণ অনন্য।???

আমার মনে হয় এরকম বই আরো অনেক দরকার। আমরা এমন এক বাস্থবতার মাঝে বসবাস করতেছি যেখানে বাবা-মা সন্তানের কাছে, বড় ভাই/বোন ছোট ভাইয় বোনের কাছে, বন্ধু বন্ধুর কাছে নানবিদ প্রশ্নের সম্মুখিন হচ্ছে। বিশেষ করে ধর্মিয়(ইসলাম) বিষয়গুলো বারবার সামনে আসছে, প্রশ্নে আসছে। কিন্তু এর যথাযত সমাধান দেয়া যাচ্ছেনা(অনেক ক্ষেত্রে)। যার ফলে আমাদের অনেক ভাই-বোন পথহারা হয়ে যাচ্ছে। আমি মনেকরি বইটি সবাই পড়ব এবং অনেক প্রশ্নের উত্তরের জন্য সাথে তথা সংরক্ষণে রাখব।

নাস্তিক , বিশ্বাসী প্রায় সবারই এই বইটা পড়া দরকার আর বিশেষ করে তাদের পড়া দরকার যারা দিধা বা ঘোরের মধ্যে আছেন ।

জাকির নায়েকের বাংলা ভার্শন পড়তে ফালতু লেগেছে। ইদানীন সবাই এমন জাকির কপিয়ার হয়েছে যে কোণটা কার লেখা বোঝাই যাচ্ছেনা।

অত্যন্ত ভালো বই । নাস্তিকদের নানা প্রশ্ন যা শুনে একজন মুসলমান পর্যাপ্ত জ্ঞানের অভাবে যখন সংশয়বাদী হয়ে পড়ে তাদের জন্য এবং প্রতিটি মুমিনের আত্মতুষ্টির জন্য বইটি মারাত্মক ভাবে । বইটির সবচেয়ে চমকপ্রদ অধ্যায় হচ্চছে "দাসপ্রথা" । দাস হচ্ছে নাম শুনলে আমাদের সামনে যে খারাপ একটি চিত্র ফুটে উঠে ,তার উপর নিভর করে আমাদের মনে প্রশ্ন জাগে এই রকম একটি প্রথা ইসলাম কিভাবে সমর্থন করে? ইসলাম না মানবতার ধর্ম?যদি এর উত্তর জানতে চান তাহলে এই বইটি পড়তে পারেন।কারণ,এই বিষয়টি বইটিতে গল্প আকারে চমৎকার ভাবে তুলে ধরা হয়েছে । এছাড়া খন্দকের যুদ্ধে বনু কুরাইযার ৭০০ জন লোকের হত্যাকাণ্ড নিয়ে যাদের মনে সংশয় রয়েছে বা যারা এর পিছনের সঠিক ইতিহাস জানে না ,তাদের জন্য এই বইটি অত্যন্ত উপযোগী । মনের খোরাক মেটানোর জন্য বইটি সহায়ক হবে ।গল্প আকারে লেখায় পাঠকদের জন্য আরও সহজ হবে পড়তে । ধন্যবাদ।

ডাবল স্ট্যান্ডার্ড নিয়ে মন চায় বিশাল একখান রিভিউ লিখে ফেলি। বইটা যতই পড়ছি ততই এর অকাট্য যুক্তি আর শক্তিশালী দলিল দেখে লেখক আর মূল লক্ষ্যের প্রতি ভালবাসা বেড়েই যাচ্ছে। আজকে ৬ নং অধ্যায়টা শেষ করলাম মাত্র। কম্যুনিজম আর পুঁজিবাদকে ধুয়ে সাফ করে দেয়া হয়েছে ইসলামী অর্থনীতি ব্যবস্থার থিউরি দিয়ে। সহজ সরল গল্পের আলোকে, ব্যপক তথ্যবহুল লেখা। পড়তে গিয়ে পাঠক নিশ্চিত মনে মনে আশা করবে গল্পের যেন শেষ না হয়! জাঝাকাল্লাহু খইরান মুহতারাম - Shamsul Arefin Shakti

ডা শামসুল আরেফিনের এ-ই ডাবল স্ট্যান্ডার্ড বই আল্লাহর রহমত। এ-ই বইয়ে ইসলামের কিছু স্পর্শকাতর বিষয় নিয়ে অনেক চমৎকার লেখা রয়েছে। বিশেষ করে ইসলামের দাস প্রথা,যুদ্ধ নীতি, জিজিয়া, স্ত্রীর অধিকার, দাড়ি রাখার নিয়ম আরও অনেক কিছু নিয়ে তিনি লিখেছেন। এ-ই বইটি মুলত সবার জন্য। বিশেষ করে তাদের জন্য জারা ইসলাম সম্পর্কে জানতে চায় নতুন করে। ডাবল স্ট্যান্ডার্ড এর এ-ই বইটি প্রথম। এমনকি এ-ই বইয়ের ২য় খন্ড ও চলে এসেছে। XOSS একটা বই। না পড়লে LOSS!!!!

গল্পগুলো ছোট। তবে শিক্ষামূলক। বেশ তথ্যসমৃদ্ধ। হাস্যরসে ভরা। প্রতিটি বিষয়, প্রতিটি আলোচনায় বাস্তবতার কোমল পরশ বিশেষভাবে লক্ষণীয়। ধারালো যুক্তি, শাণিত বক্তব্য আর সুন্দর উপস্থাপনা বইটির প্রধান বৈশিষ্ট্য। লেখকের দক্ষ হাতের সুনিপুণ লেখনী নিমিষেই পাঠকের মন জয় করে নেবে– এ ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই। . ব্যক্তিজীবনে বইটি আমার খুব কাজে এসেছে। ইসলাম নিয়ে নতুন করে ভাবার সুযোগ পেয়েছি। বুঝতে শিখেছি, এটা কেবল স্রেফ একটি ধর্ম নয়; একটি জীবনব্যবস্থা। জীবনের পরতে পরতে যত সমস্যা রয়েছে, তার সব সমাধানই এখানে রয়েছে। এবং এর প্রতিটি সমাধান প্রতিটি জাতির জন্য প্রতিটি সমাজের জন্য কল্যাণকর। কখনো মনে হতে পারে, আল্লাহ হয়ত শরীয়াতের বিধান দ্বারা আমাদের উপর যুলম করছেন (নাউজুবিল্লাহ)। কিন্তু না, তিনি যে বিধান তৈরি করেছেন তা সকলের ভালোর জন্যই করেছেন। এর বাইরে যে অন্য কোনো বিধান পৃথিবীর বুকে বেশিদিন টিকে থাকতে পারত না, তা আর নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না। . নিভুনিভু অন্তরকে সত্যের আলোয় প্রজ্বলিত করতে, ভেতরের সব সন্দেহ-সংশয় দূর করতে, দ্বীনের পথে নিজেকে পরিচালিত করতে, এ বইটি প্রত্যকের জীবনে খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা ভূমিকা পালন করবে। লেখকের উদ্দেশ্যও এখানে খুব স্পষ্ট– নাস্তিকের জন্য দোয়া আর নাস্তিকতার জন্য ধাওয়া। আল্লাহ আমাদের সবাইকে ইসলামের সুশীতল ছায়াতলে আশ্রয় নেয়ার তৌফিক দান করুন। আমীন।

পাঠ প্রতিক্রিয়া/ বুক রিভিউ- বই- ডাবল স্ট্যান্ডার্ড লেখক- ডা. শামসুল আরেফীন (বি সি এস, স্বাস্থ্য) ---------------------------------------------------------- অজ্ঞতা, মূর্খতা এবং বিভ্রান্তির এই যুগে অধিকাংশ জন্মগত মুসলিমের কাছে ইসলাম যখন অন্যান্য সকল মানব রচিত বা বিকৃত ধর্মের মত শুধুমাত্র প্রথাগত আমল রিচুয়াল টাইপ বিষয়ে পরিণত হয়েছে ঠিক এই ক্রান্তিলগ্নে মানব জীবনের একমাত্র জীবনবিধান, সকল সমস্যার সমাধান ইসলামের প্রকৃত সত্যতার স্বরুপ সঠিক উপায়ে অন্ধকারের গোলকধাঁধায় বিভ্রান্ত মানুষদের দ্বারে পৌঁছে দেওয়া যেন প্রত্যেকটি সত্য উপলব্ধিকারী মানুষের প্রধান দায়িত্ব হয়ে দাঁড়িয়েছে! নিজেদের সোনালী অতিত এবং স্রষ্টার দাসত্ব ভুলে আমরা যখন নিজেদের নফসের কাছে, পশ্চিমা প্রভুদের কাছে, তাদের সাজানো ইসলাম বিদ্বেষী প্রোপাগান্ডার কাছে আত্মসমর্পন করে ইসলামের প্রকৃত শিক্ষা থেকে দূরে সরে যাচ্ছি ততই আমাদের চারপাশের জেনারেশন যেনো সেই শিক্ষা, বিচক্ষণতা, উপলব্ধির অভাবে জড়িয়ে পড়ছে সংশয়বাদে, নাস্তিকতায়। তারা ইসলাম কে জানছে ইসলাম বিদ্বেষী নাস্তিকদের প্রোপাগান্ডার চোখ দিয়ে আর নিজেকে স্রষ্টার চেয়ে অধিক জ্ঞানী ভেবে আত্মতৃপ্তিতে ভোগার ব্যর্থ প্রয়াস চালাতে মরিয়া হয়ে জাহান্নামের দিকে সগৌরবে দৌড়ে চলেছে। তাইতো প্রায় ই তাদের মুখে শোনা যায়- -ইসলামের এই নিয়ম এমন কেনো? - ইসলামের ঐ বিধান এতো বর্বর কেনো? - আল্লাহ কেনো এমন বিধান দিলেন? ব্লা ব্লা ব্লা... এই রকম দিশেহারা প্রজন্মকে ইসলাম এর সঠিক বার্তাটি যুগের হিসেবে সুন্দর যৌক্তিক উপায়ে গল্প আকারে তুলে ধরতে যারা এগিয়ে আসছেন তাদের মাঝে ডা শামসুল আরেফীন ভাই অন্যতম। আরিফ আজাদ ভাইয়ের সারা জাগানো "প্যারাডক্সিয়াল সাজিদ" বইটিতে ইসলামকে বিজ্ঞান এবং যুক্তির বিচারে যেভাবে তুলে ধরা হয়েছিল সেই ধারাবাহিকতায় শামসুল আরেফীন ভাই এর "ডাবল স্ট্যান্ডার্ড" বইটি যেনো ইসলামের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, সামরিক বিভিন্ন প্রেক্ষাপটে প্রায়োগিক ক্ষেত্রকে তুলে ধরতে তথ্য, বিশ্লেষণ, যুক্তিতর্কের বিচারে এক অনন্য সংযোজন। লেখক বইটিতে এমন সব বিষয় গল্প আকারে তুলে ধরেছেন যা সম্পর্কে অধিকাংশ মুসলিমদের পড়াশোনা নেই বললেই চলে, যার সুযোগ কাজে লাগিয়ে মুক্তমনা, নাস্তিকরা তাদেরকে বিভ্রান্ত করে দলে ভিড়াচ্ছে। যেমন ইসলামে দাসপ্রথার স্বরুপ, অমুসলিমদের কাছ থেকে জিযিয়া কর নেয়ার যৌক্তিকতা, বনু কুরায়যার হত্যাকান্ডের যৌক্তিকতা, যুদ্ধবন্দিনীদের সাথে যৌন সম্পর্কের স্বরুপ অন্যদিকে সমাজতন্ত্রের ফাঁকা বুলি বনাম ইসলামের অর্জন, মানব ধর্মের নামে ইসলাম বিরোধিতার হিপোক্রিসি এই সকল সেনসিটিভ বিষয়গুলো নিয়ে লেখক এতো সুন্দরভাবে তথ্য, বিশ্লেষণ, যৌক্তিকতার ছাপ রেখেছেন তা সত্যি প্রশংসার যোগ্য! পাশাপাশি, শুরুতে স্রষ্টার অস্তিত্ব উপলব্ধির প্রাথমিক সূচনা আর শেষে বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী দিয়ে সর্বকালে সকল জায়গায় একত্ববাদের প্রতি মানুষের যে বিশ্বাসের স্বরূপ তা তুলে ধরেছেন চমৎকার চিত্রায়নে। বই এর যেই বিষয়গুলো আমাকে বেশি মুগ্ধ করেছে- * বইটিতে নির্দিষ্ট কোন ক্যারেক্টার কে ধার্মিক দেখিয়ে তাকে দিয়েই সকল গল্প টানা হয়নি। বরং ভিন্ন ভিন্ন প্রেক্ষাপটে ভিন্ন ভিন্ন চরিত্রের মাধ্যমে গল্পগুলো ফুটিয়ে তোলা হয়েছে, যা প্রমাণ করে একজন হুজুর, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, ছাত্র, প্রাক্তন সাম্যবাদী নেতা বিভিন্ন চরিত্রগুলো ইসলাম কে উপলব্ধি করে যেভাবে যার যার জায়গা থেকে ইসলাম এর সঠিক স্বরূপ তুলে ধরার চেষ্টা করেছে যা ইসলামের উপলব্ধির সার্বজনীনতা প্রকাশ করে। * বই এর নামকরণ- নাস্তিকতা সংশয়বাদের ভিত্তি ই জড়িত ডাবল স্ট্যান্ডার্ড এর উপর, যেখানে নিজের অস্তিত্বের সত্যতা কে অস্বীকার করে প্রতিনিয়ত নিজেকে বিদ্রুপ করা হয়, সেটাই এই নামকরণ এবং গল্পগুলোর বাক্যবিনিময়ের ধরণ তুলে ধরে সুচারুরূপে। *তথ্য, বিশ্লেষণ, যুক্তি এবং ১৪০০ বছর পরেও ইসলামের এই যুগে প্রায়োগিক ক্ষেত্রর স্বরূপ আসলে কেমন হওয়া উচিত তার গল্পায়ন যথাযথ মনে হয়েছে। -বই এর কিছু কিছু লাইন এবং যুক্তি, রেফারেন্স চিত্রায়ন হঠাৎ করেই যেনো নিজের জীবনের অতীতের সাথে হুবুহু মিলে গেছে, এক ধরণের নস্টালজিয়ার স্বাদ দিয়েছে। যেই ব্যাপারগুলো নেগেটিভ মনে হয়েছে- * প্রথম বই হিসেবে কিছু ভুল থাকা স্বাভাবিক। সেই ক্ষেত্রে প্রিন্টিং মিস্টেক টা কিছুটা দৃষ্টিকটু লেগেছে, যদিও তা লেখকের দোষ নয়। *কিছু গল্পে অপরপক্ষ থেকে তেমন এঙ্গেইজমেন্ট ছিল না, প্রশ্ন, তর্ক এর পরিমাণ আরো জমানো যেতো যেনো তা আরো জীবন্ত হয়ে উঠে। তবে এটাও ঠিক, তাতে গল্পের পরিণতি পেতে বেগ পেতে হতো বটে। লেখকের ভাষায় বলতেই হয়- " কথা শোনা নাস্তিক বড়ই বিরল প্রজাতির প্রাণি"! * রেফারেন্সগুলো এভাবে দেয়া হয়েছে যেনো দেখে মনে হয়, এটা নিজেই আরেকটা গল্প! আরো সংক্ষিপ্ত, ছোট ফন্টে দেয়া যেতো। সকল সংশয়বাদে জর্জরিত মানুষের জন্য, মুসলিম অমুসলিম নির্বিশেষে সকলের জন্য অবশ্যপাঠ্য একটি বই। তবে উগ্র অন্ধ নাস্তিকদের জন্য অবশ্য কোন টনিকেই কাজ হবার নয়, কারণ তারা নফসের দাসত্বের কাছে আল্লাহর দাসত্বকে চিরতরে বিক্রি করে দিয়েছে। শেষ করবো একটা সাসপেন্স এর সহিত- বই এর সবচেয়ে বেশি সুন্দর, আকর্ষণীয়, নাম এর সার্থকতা প্রকাশকারী একটি পৃষ্ঠা ছিল "১২৯" নং পৃষ্ঠা টি। যেনো পুরো বই এর সামারি ঐ এক পৃষ্ঠাতেই। কি আছে সেই পৃষ্ঠাটিতে জানতে হলে পড়তে হবে "ডা. শামসুল আরেফীন" ভাই এর চমৎকার এই "ডাবল স্ট্যান্ডার্ড" বইটি।

ডাবল স্ট্যান্ডার্ড বইটি ড. শামসুল আরেফীনের লেখা। বইটি ইসলাম ধর্ম নিয়ে লেখা। ইসলাম শান্তির ধর্ম, ইসলাম কল্যাণের ধর্ম। যুগে যুগে এই ধর্ম নিয়ে পশ্চিমা মনীষীগণ নানারকম প্রশ্ন তুলেছে। বিতর্কে লিপ্ত হয়েছেন। নানাভাবে আঘাত করতে চেয়েছেন। সেই সব প্রশ্নের যথোপযুক্ত উত্তর নিয়েই এই বইটি লেখা। কারও ভিতরে যদি ইসলাম নিয়ে কোন সংশয় থাকে এই বইটি পড়ে নিতে পারেন। ইসলামের প্রতিটি বিধানই কল্যাণময়। এই কল্যান কখনো তাৎক্ষণিক পাওয়া যায়, আবার কখনো ধৈর্য্য ধরে অপেক্ষা করতে হয়। আল্লাহ তাআলা নিজে বলেছেন- ‘আমি ধৈর্য্যধারনকারীদের সাথে আছি’। অনেক কর্মের কল্যাণ পেতে হলে ধৈর্য্য সহকারে অপেক্ষা করতে হয়। আপাতদৃষ্টিতে হয়তো মনে হতে পারে কোন কল্যাণ নেই, কিন্তু কল্যাণ আসবেই। এরকম নানা বিষয় গল্প সহযোগে সুন্দর ভাবে ব্যাখ্যা করা আছে। বইটি যা যা পাওয়া যাবে বইয়ের ভেতরে রয়েছে- ১. না দেখে বিশ্বাস : মানবজন্মের সার্থকতা ২. দাসপ্রথা : ঐশী বিধানের সৌন্দর্য ৩. দক্ষিণ হস্ত মালিকানা : একটি নারীবাদী বিধান ৪. আরব সংস্কৃতি মানবো কেন? ৫. সমাধান কি মানবধর্মেই? ৬. বনু কুরাইজা ও বাংলাদেশ দণ্ডবিধি ৭. শ্রেণীবৈষম্যহীন সমাজঃ ওদের স্বপ্ন, আমাদের অর্জন ৮. শস্যক্ষেত্র ও নারী : সম্পত্তি, না সম্পদ? ৯. পরিপূর্ণ দাড়িঃ জঙ্গল, নাকি ছায়াবীথি? ১০. জিযিয়া :অমুসলিম নাগরিকের দায়মুক্তি ১১. বিজ্ঞান কল্পকাহিনী : শাশ্বত একত্ব (Eternal Oneness) ১১টি অধ্যায় ১১টি ছোটগল্পে সহকারে সাজানো আছে, যেকোন বক্তব্যের সাথেই রেফারেন্স দেয়া আছে। ইসলাম নিয়ে আরও গভীরে জানতে চাইলে, বইটি পড়ুন।

১/আমি বলব বই টা পড়া উচিত................... ্তবে যেমন বলা হয়েছে তেমন নয় ইসলাম ধর্মের সব চেয়ে বিতর্কিত বিষয় দাস প্রথা --যে বিতর্ক সে বিতর্কই রয়ে গেছে...তিনি ৫৩ পৃষ্ঠায় সম্মতিতে সেক্স করা যাবে জাতীয় কথা লেখেছেন --অথচ কোরান-হাদিসের কোন রেফারেন্স টানেন নি টেনেছেন কিছু ফিকহ শাস্ত্রের পন্ডিত দের রেফারেন্স...বিষয় হল ফিকহ শাস্ত্রের পন্ডিত দের আরও এমন কথা আছে যা আরও বেশি বিতর্কের জন্ম দেয় এবং এক জন পন্ডিতের বক্তব্য আরেক জন এসে মানেন না। সব থেকে বড় কথা ফিকহ শাস্ত্রের বড় বড় লেখক দের কথাই তার লেখার বিরুদ্ধে চলে যায় । আর তাদের বক্তব্য কোরান হাদিস বাদে কত টা গ্রহ্নণ যোগ্য ।।-----এতে সত্যি কারের বিতর্ক একে বারেই যায় না ...-আলকাহাফে ২৬ নং আয়াতে আছে আমরা যদি "আল্লাতালার হুকুমের মাঝে আমরা অন্য কোন হুকুম মানতে পারব না যদি মানি তবে মুশরিক হয়ে যাব" একই পৃষ্ঠায় প্রেমময় শারীরিক সম্পর্কের কথা আছে দাসীর সাথে ...যার স্বামীকে কে কেবলই হত্যা করা হয়েছে ১মাস ব্যবধানে কেমন ভাবে তার সাথে প্রেমময় শারীরিক সম্পর্ক হবে সেই বিষয়ে ক্লিয়ার কোন কনসেপ নেই ...যেই বিতর্ক সেই বিতর্কই আছে ২/ তিনি ১২১ পৃষ্ঠা থেকে শুরু করেছেন ইসলাম মানবতার উর্ধে----ইসলাম কে কি মানবতার সাথে গুলিয়ে ফেলা যাবে।।এইটা একটা জীবন ব্যবস্থা যা সুন্দর ভাবে মানবিক গুনাবলি নিয়ে বেচে থাকার পথ দেখায় । হাদিসে মানুষের মন ভাঙ্গা সম্পুর্কে কঠোর উক্তি আছে যদি সাহস "কোরান কাবাঘর ভেঙ্গে ফেল কোরান শরীফ জালিয়ে ফেল কিন্তু মানুষের মন ভেঙ্গ না"--যে কোন আলেম গন জানেন কই থেকে আমি উদ্ধৃতি দিয়েছি । এইটা সহীহ হাদিস ...আলেম গন থেকে জেনে নিতে পারেন। হাদিসেই যখন মানুষের মন কে (মানবতাকে) বড় গুরুত্ব দিয়েছেন তখন তিনি নানা ভাবে ব্যক্ত করার চেষ্টা করেছেন মানবতা কে ইসলাম লাগাম দিয়েছেন ...কিন্তু মানবতা এক জিনিস ইসলাম এক জিনিস ...তার কথা কেবল বিতর্ক সৃষ্টি করেছ ...ইসলাম জীবন বিধান যার মধ্যে মানবতার কথাও আছে তার মানে এই না যে সেইটা নিজেই মানবতা ।। মানবতা মানুষের সহজাত পরিবৃত্তি ।খুব বাচ্চা কালে মানবতা গঠিত হয় ।বয়স কালে ইসলাম কে চিনতে শিখে তার মানবতার মাপখাটি দাড়া ।লেখক এই খানে মানবতা কে পরিবর্তন যোগ্য বলেছেন ।উদাহারন হিসেবে চোর-বাটপার দের উদাহারন টেনেছেন ।দারুন হাস্যকর ।তিনি তার কথা প্রমানের জন্যে নেগেটিভ দিক গ্রহন করেছেন । যে কেও এই ভাবে বলতে পারে ধর্ম পরিবর্তন যোগ্য একের পর আরেক ধর্ম আসে। ধর্মের ভিতরও পরিবর্তনের মাধ্যমে পূর্নাংগ জীবন বিধান এসেছে ইসলাম ।তেমনি মানবতার সকল দাবি যেই মানবতা মানবে সেইটা আদর্শ মানবতার যোগ্য তা রাখে ।।মানবাতা আসে বিবেক বোধ থেকে যা সম্পর্কে কোরানে আছে "আমি তাদের বিবেক দিয়েছে ভালমন্দ নির্ধারনের"////কিন্তু লেখকের কথা দারা আল্লাহ তালার মানুষকে যা দিয়েছেন সেই আল্লাহতালার দেওয়া প্রাপ্ত গুন কে খাট করে দেখানো হয়েছে ।মূলত মানুষকেই খাট করে দেখানো হয় এর মাধ্যমে ...।ইসলাম কে বলা হয় মানবতার সমাধান।। লক্ষ্যনীয় এই খানে মানবতাকে মূল ধরা হয়েছে। লেখক তার ইচ্চামত যুক্তি দিয়ে তা পাল্টাতে চেয়েছে। ৩/সুরা তহা ২০ নং ঃ অনুযায়ী বুঝা যায় সকল নবী দাড়ি রেখেছিল ..। কিন্তু কোরানের কোথাও বলা নেয় দাড়ি রাখা ফরজ ।এই মর্মে সহীহ বুখারির হাদিস খন্ড নং ৭ হাদিস নং ৫৮০৯২- "মূর্তি পূজারিরা যা করে তোমরা তার বিপরিত কর দাড়ি রাখ ও মুচ কেটে ফেল ""-এই হাদিস অনুযায়ী অনেক বিশেষজ্ঞ বলেন দাড়ি রাখা ফরজ অনেক বিশেষজ্ঞ বলেন এইটা সুন্নাত । লেখক সকল বিশেষজ্ঞ এর কথা বলেন নি ।তিনি বলেছেন দাড়ি রাখা ওয়াজীব ।তিনি এই ব্যাপারে , তার যুক্তি প্রমানে সুবিধামত বিশেষজ্ঞ এর কথা বলেছেন ।। পূর্বের কিছু ইসলামি বিশেষজ্ঞ এর মতে ও উওর আমেরিকার ফিকহ কাওন্সলে মতে দাড়ি রাখা সুন্নাত /মুস্তাহাব । সকল বিশেষজ্ঞ এর মতামত তুলে ধরা উচিত ছিল । বেশির ভাগ বিশেষজ্ঞ দাড়ি রাখা কে ফরজ বলেছেন ।খুব কম যারা ওয়াজীব বলেছেন। কোরানে কোথাও বলা নায় দাড়ি রাখ। ফরজ এর কথা কোরানে স্পষ্ট ভাবে বলা থাকে ।নবীর পালনীয় কাজ গুলো আমরা সুন্নাত জানি ।।সকল সাহাবি গন সুন্নাত খুব কঠোর ভাবে পালন করেছেন। কিন্তু এত কিছুর পর প্রমান হয় না দাড়ি রাখা ফরজ /ওয়াজীব। যেহেতু এসব ফিকহ শাস্ত্রের আলেম দের মতামত ।এবং সকল আলেম গন এক মত নন...তখন কেবল এক জনের মতামত নিয়ে একটা যুক্তি ১০০% ভাবে ইসলামের বিধান বলে চালিয়ে দেওয়া কতটা যুক্তিযুক্ত। এই ধরনের ছোট খাট বিতর্ক বুদ্ধিমান পাঠক মাত্রই পাবেন পুরো বই জুরে। তবে বই টাতে আরো অনেক বিষয়ে ভাল তথ্য তুলে ধরা হয়েছে -যদি ও সেসব টপিক খুব বিতর্ক সৃষ্টি করে না / ৮/ ২১ পৃষ্ঠায় বিবর্তন বাদকে Hypothesis বলা হয়েছে ।। যারা এখনও সেটা মানেন তাদেরকে বলব এসএম জাকির হাসানের "কোরান ও জেনেটিক্স " পড়তে । সম্ভবত এক মাতে লেখক জিনি সব সময় কোরান থেকে সকল কিছুর ব্যাখ্যা দেন ।।আর আধুনিক গবেষনা জানতে ।এটা সত্যিই কি এখনও Hypothesis আছে? বিশ্লেষনে আমার ভুল হলে ক্ষমা চাচ্ছি পাঠকের আছে । বুদ্ধিমান পাঠক যেন সকল ভাবে আরো তথ্য গ্রহন করে বিবেচনা করেন খোদা আমাদের কে ইসলাম পরিপূর্ন ভাবে বুঝার জ্ঞান দান করুন।। আমিন।

ডাবল্ স্ট্যান্ডার্ড বই টা নাস্তিকদের কঠিন প্রশ্নের জবাবে কোরআনের আলোকে বিজ্ঞানের বিবর্তনে যৌক্তিক ব্যখ্যা দিয়ে ইশ্বর আছেন তার উপযুক্ত প্রমাণ দিয়েছেন। যারা শুধুমাত্র বিজ্ঞানকে বিশ্বাস করে, আল্লাহ নেই এই অদ্ভুত যুক্তি দেখিয়েছেন। তাদের যুক্তির উপর পাল্টা যুক্তি দিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছে, পৃথিবীর স্রষ্টা অবশ্যই কেউ আছে। এই বিশ্বজগৎ আপনা আপনি সৃষ্টি হয় নি। রহস্যময় মহাবিশ্বেরর সব রহস্যই যেখানে উৎঘাটন করতে পারেনি। তথাকথিত বিজ্ঞানমনস্ক যুক্তিবাদী(সুবিধাবাধী) নাস্তিকগণ, সেখানে রহস্যময় মহাবিশ্বেরর স্রষ্টা মহান আল্লাহ তায়ালার অস্তিত্ব আছে কী নেই, প্রমাণ করতে চান যুক্তি আর বৈজ্ঞানিক প্রমাণ দিয়ে।