User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
মোগল আমলে রাজকীয় হারেমে (বিশেষত) হিজরাদের বিশেষ কদর ছিল। 'হিজরা' শব্দটায় আজকাল অনেকে আপত্তি জ্ঞাপন করেন, তবু এখানে এই শব্দটাই ব্যবহার উপযুক্ত। এই গল্পের শুরুটাও একজন হিজরাকে নিয়ে। জন্মগতভাবে নারী পুরুষের প্রভেদ চিহ্নতে সে না পুরুষ, না নারী। কিন্তু বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দেখা গেলো, পুরুষের চেয়ে নারীর বেশ, ভঙ্গী তার পছন্দ। দিল্লীতে নিজ বাড়ি থেকে একটু দূরে হিজরাদের ঠেকে সময় কাটাতেই তার আগ্রহ। অস্ত্রোপচার করেও তাকে পুরুষ করা গেলো না। শেষতক একদিন সে খুঁজে পেলো নিজের ঠিকানা। কিন্তু এ পর্যন্তই কি গল্প? একদম না। অরুন্ধতীর এ উপন্যাসের কেবল একটা অংশ। আনজুমের চরিত্র দিয়ে লেখিকা আমাদের মনের দ্বন্দ্ব, সিদ্ধান্তের দোলাচালের দিকে আঙুল তুললেন। তারপর দাঙ্গা, যুদ্ধ, প্রতিবাদ। গেরুয়া পোষাক জড়িয়ে একবার ভারতে ঘটে গেলো দাঙ্গা। অথচ তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন একজন 'কবি'। উপন্যাসে লেখিকা তাকে বারবার কবি বলে সম্বোধন কিংবা বিদ্রুপ করলেন। রক্তে ভাসা গুজরাত উঠে এলো চোখের সামনে। প্রতিবাদ চলে লালকেল্লা, দিল্লী দরওয়াজার কাছে। কিন্তু সে আন্দোলনের স্বরুপ কি? খেয়াল করে দেখলে দেখা যাবে ভেতরে অন্তঃসারশূন্য। কখনও হাস্যকর। তিলোত্তমা চরিত্রটি লেখিকার এক দারুন সংযোজন। নারী স্বাধীনতার এক প্রতিনিধি বলা যায় তাকে। অথচ কোথাও কোথাও সে নিজের কাছেই পরাধীন। নিজেকে স্বাধীন করতে চেয়ে পরাধীনতার জালে জড়িয়ে এক জটিল ঘুর্নাবর্তে আছে তিলোত্তমা, যেমন কাশ্মীর। কাশ্মীরের স্বাধীনতা আন্দোলন, সেখানকার ইতিহাস, সংগ্রামের কথা এমন দৃঢ়ভাবে কেউ তুলে ধরেছেন কিনা জানা নেই। ভারত, পাকিস্তান কিংবা যে কোন দেশই তাদের সেনাবাহিনী নিয়ে গর্ব করে। কিন্তু তাদের মহত্ত্বের মুখোশের তলায় নির্মম নির্দয় চরিত্র সহজে কেউ প্রকাশ করে না। অরুন্ধতী এই উপন্যাসে তুলে ধরেছেন সেকথা। কাশ্মীর নিয়ে মানুষের আবেগের পাশাপাশি রাজনীতি, সেনাবাহিনীর দৌরাত্ম্যের গল্প লিখেছেন। অরুন্ধতীর গল্প কখনও সরল পথে চলে, কখনও জটিল। কখনও সোজাসাপ্টা বক্তব্য, কখনও উদাহরণ উপমা দিয়ে প্রকাশ করেছেন। বর্তমান কিংবা কাছাকাছি সময়ের গল্প বলতে বলতে দুই তিনশো বছর পেছনে গিয়ে ইতিহাসের সাথে বর্তমানের মিল খুঁজেছেন। সেই সঙ্গে দেখিয়েছেন, মানুষ এখন নিজেকে জানে না। সে বোঝে না তার স্থান কোথায়, কি তার করনীয়।
Was this review helpful to you?
or
The novel, set mainly in 1959, follows Florence Green, a middle-aged widow, who decides to open a bookshop in the small coastal town of Hardborough, Suffolk (a thinly-disguised version of Southwold[2]). The location she chooses is the Old House, an abandoned, damp property said to be haunted by a "rapper" (a poltergeist). After many sacrifices, Florence manages to start her business, which grows for about a year after which sales slump. She is opposed by the influential and ambitious Mrs Gamart who wants to acquire the Old House to set up an arts centre. Mrs Gamart's nephew, a member of parliament, sponsors a bill that empowers local councils to buy any historic building that has been left uninhabited for five years. The bill is passed, the Old House is compulsorily purchased, and Florence is evicted.
Was this review helpful to you?
or
excellent historic fiction. will definitely recommend it.
Was this review helpful to you?
or
The Ministry of Utmost Happiness is the second novel by Indian writer Arundhati Roy, published in 2017, twenty years after her debut, The God of Small Things. The novel deals with some of the darkest and most violent episodes of modern Indian history, from and reform that disowned poor farmers to the 2002 Godhra train burning and Kashmir insurgency. Roy's characters run the gamut of Indian society and include a trans woman (hijra), a rebellious architect, and her landlord who is a supervisor in the intelligence service. The narrative takes place in Delhi. -Wiki
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগিতা RF-07-031 "কাশ্মীর গিয়েছো কখনো? ঐ যে যাকে ভূস্বর্গ বলে... তোমায় নিয়ে কাশ্মীর যাবার অনেক অনেক শখ- পাহাড় চূড়োয় দাঁড়িয়ে তুমি মেঘ ছুঁয়ে দেবে, তোমায় ছুঁয়ে আমি ছুঁয়ে দেব আকাশ..." হিমালয়ের তুষার আবৃত পর্বত শ্রেনীর মাঝে নয়নাভিরাম কাশ্মীর উপত্যকা। আপেল, আখরোট আর চেরী ফলের দেশ, চিনার গাছের সৌন্দর্য্যে ছায়া বর্ণময় পুষ্পশোভায় ভরা এক নন্দনকানন কাশ্মীর যেনো অনিন্দ্য সুন্দর প্রাকৃতিক ছবি।যেন এক রুপকথার রাজ্য, রুপসী উপত্যকার নাম কাশ্মীর। ভুস্বর্গ কাশ্মীরের সৌন্দর্যে সত্যিই কোন খুত নেই। এই সৌন্দর্য মনে একেই কোন একদিন লিখেছিলাম ওই কবিতা। কিন্তু তখন কি আর ওই বিভীষিকার কথা জানতাম! নয়তো এতো জায়গা ফেলে কে চায় প্রেয়সীকে নিয়ে মৃত্যুপুরীতে যেতে! কোন সে এক কালে মুঘল সম্রাট আকবর কাশ্মীরের রূপ সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে নাম দিয়েছিলেন ভূস্বর্গ। সেই স্বর্গই যেন আজ অগ্নীগর্ভ রুপ ধারণ করেছে তা কি তিনি জানেন? ধীরে ধীরে এই জনপদটি যেন আত্মমর্যাদার দাবী আদায়ের প্রতিবাদী লড়াইয়ের কীর্তন ভুমীতে পরিনত হতে চলেছে। যেখানে মায়ের সকাল হয় আতঙ্কের মাঝে, শিশুর ঘুম ভাঙ্গে বুলেটের আওয়াজে, স্কুল কলেজগুলি বন্ধ প্রায়! কাশ্মীরের দুটি অংশ। একটি ভারত শাষিত জম্মু কাশ্মীর এবং অন্যটি পাকিস্তান অধিভুক্ত আযাদ কাশ্মীর। জম্মু কাশ্মীর ভারতের একটি রাজ্য। এখানে মুসলমানদের পরীক্ষা দিতে হয় দেশপ্রেমের, না হয় চিহ্নিত হতে হয় পাকিস্তানপন্থী হিসাবে। অন্যদিকে বিপরীত চিত্রও আছে। কাস্মীর উপত্যকা থেকে হিন্দু পন্ডিতদের প্রায় সবাইকে পালিয়ে আসতে হয়েছে। উপরের এই পটভুমিতেই অরুন্ধতী রায় লিখেছেন তারমহাকাব্যিক উপন্যাস দ্য মিনিস্ট্রি অব আটমোস্ট হ্যাপিনেস। জঙ্গী তৎপরতা আর ভারতীয় বাহিনীর অকারণ নিষ্ঠুরতা জনজীবনকে করে তুলেছে বিপন্ন।দুই পক্ষে দুই নায়ক। কাস্মীরের মুক্তির পক্ষে উচ্চশিক্ষিত মুসা, অন্যদিকে দখলদার বাহিনীর পক্ষে মেজর অমৃকা সিংহ। মুসার চরিত্রটি খুবই মানবিক, অন্যদিকে মেজর অমৃকা পুরই বিপরীত। কী হয় তাদের দু জনের ভাগ্যে??? গল্পের অন্যতম অংশ হলো নাগা, মুসা ও তিলোত্তমার ত্রিভুজ প্রেম। কেরালা থেকে আসা সিরিয়ান ক্রিশ্চিয়ান মেয়ে তিলোত্তমা, মূসাকেই যে একান্ত ভালবাসে। কিন্তু বিয়ে করে রাষ্ট্রদূতের ছেলে নাগারাজকে! কেনো? কেনো?? কেনো?!!! জানতে হলে পড়তে হবে বইটি :) ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী ও গো-রক্ষা বলয়ের প্রধান ব্যক্তিত্ব নরেন্দ্রমোদিকে যেভাবে আক্রমণ করা হয়েছে তা সত্যিই বিস্ময়কর! রাজনৈতিক গল্প হয়েও যে গল্পের এতো গতিময়তা....তা শুধু অরুন্ধতী রায়ের নিপুন বর্ণনার জন্যেই সম্ভব হয়েছে... আমার রেটিং ৪/৫