User login

Sing In with your email

Email Address
Password
Forgot Password?

Not Account Yet? Create Your Free Account

Send

Recipients:
Message:

Share to your friends

Copy link:

    Our Price:

    Regular Price:

    Shipping:Tk. 50

    • Size:
    • Color:
    QTY:

    প্রিয় ,

    সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
    মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?

    Please Login to Continue!

    Our User Product Reviews

    Share your query and ideas with us!

    Customer Reviews

      By 880****987

      14 Mar 2025 08:00 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      Excellent

      By S M Niaz Arifin

      08 Dec 2024 04:03 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      A very well-written book. Kudos for the writer!

      By 880****860

      30 Aug 2024 11:37 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      আলহামদুলিল্লাহ,আল্লাহর ইহসানে অনেক ইতিহাস পড়া হয়েছে।কিন্ত ভাই এটার মতো কিচ্ছুই পাই নি।অধিকাংশ ইতিহাসে অনেক অহেতুক গাল-গল্প,গাইরে মাহরামের অবাধ মেলা-মেশার জঘন্য বিষয়টি ফুটে উঠেছে।যা অনেকটা বিব্রতকর।কিন্ত এই বইটি উজ্জ্বল ব্যাতিক্রম।অফুরন্ত জাযাকাল্লাহ লেখক এবং কালান্তর প্রকাশনী কে।?।

      By Md. Juwel Rana

      20 Nov 2023 09:04 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      সুলতান রুকনুদ্দিন বাইবার্স বা চিতারাজ যিনি ছিলেন আইয়ুবি সাম্রাজ্যের একজন সেনাপতি এবং ক্রুসেডারদের ত্রাসের কারণ । বাইতুল আকসা রক্ষার্থে যার অবদান ছিলো পরোক্ষভাবে। বইটি এমন এক বীর, নিষ্টাবান, লড়াকু সৈনিককে নিয়ে রচিত যিনি ইতিহাসে বাইবার্স উপাধি নামে খ্যাত।

      By Md. Mahfuj Alam

      20 Nov 2023 08:07 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      দ্য প্যান্থার~ ক্রুসেডারদের বিরুদ্ধে যিনি কোনো যুদ্ধেই পরাজিত হন নাই তিনি হলেন বীরযোদ্ধা বাইবার্স। প্যান্থার নামেই যিনি হয়েছেন বহুল প্রসিদ্ধ। সুলতান সালাহুদ্দিন আইয়ুবি রাহ. এর মৃত্যুর পর আবার যখন ক্রুসেডাররা মাথা চাড়া দিতে শুরু করেছে, আবার যখন তারা মুসলিমবিশ্বে একের পর এক আঘাত হানা শুরু করেছে ঠিক সেই সময়ে বীরযোদ্ধা বাইবার্স এর আগমন ঘটে। তার জীবন যুদ্ধ সব কিছুই এক রহস্যময় ইতিহাস। এই ইতিহাসকে জানতে পড়তে হবে দ্য প্যান্থার।

      By Siraajam Binte Kamal

      20 Nov 2023 03:44 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      দ্য প্যান্থার— সুলতান রুকনুদ্দিন বাইবার্স। মোঙ্গলদের বিরুদ্ধে যিনি লড়াই করেছিলেন এবং তিনিই ছিলেন প্রথম বিজয়ী। ক্রুসেডারদের বিরুদ্ধেও যুদ্ধ করেছেন তিনি। বইটিতে একজন বীর পুরুষের চিত্র ফুটে উঠেছে। পাঠক দেখবে প্রকৃত মুসলিম, উম্মাহ দরদী পুরুষ কেমন হয়! অকুতোভয়। অন্যায়ের কাছে মাথা নত করে না। বইটি পড়তে গেলে টান টান উত্তেজনা কাজ করে। এরপর কী হলো, এরপর কী হয়েছে জানার জন্য। রুকনুদ্দিন বাইবার্সের পরিচয়, সংগ্রামী জীবন, তাঁর রাজনৈতিক জীবন, শত্রুর বিপক্ষে লড়ে যাওয়া ইত্যাদি বিষয়গুলো বইয়ে রয়েছে। রয়েছে তাঁর মৃত্যু ও দাফন। এক বৈঠকে পড়ে ফেলার মতো বইটি। যেকোনো থ্রিলারকেও হার মানাবে। কিছুটা হলেও ঈমানকে জাগ্রত করবে। মুসলিম যুবকদের জন্য বইটি পড়তে সাজেস্ট করব আমি। তাছাড়া প্রতিটি মুসলিমেরই তার নিজের ইতিহাস জানা উচিত। তাই এই বইটা সকলেই পড়তে পারেন।

      By ফায়যান মিসবাহ

      13 Nov 2023 07:54 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      ইসলামের ইতিহাসে সবচেয়ে ভীতিকর শত্রুদের কথা উঠলে নিশ্চিতভাবে 'ক্রুসেড- মঙ্গোল-হাশাসিন' ত্রয়ী প্রথমেই থাকবে। লাখের পর লাখ মানুষকে হত্যা, শহরের পর শহর ধ্বংস, আর হাজারো মুসলিম মনীষা যাদের গুপ্তহত্যার শিকার। ক্রুসেডার এবং হাশাসিনদের বিপক্ষে মহাবীর সুলতান সালাহুদ্দিন আইউবি সহ অনেক মুসলিম শাসকেরা যুদ্ধ করেছেন, কখনো কখনো জয় পেলেও চূড়ান্তভাবে তাদের নির্মূল করতে পারেননি তারা। থেমে থেমে শক্তি সঞ্চয় করে মুসলিম দেশগুলোতে নির্মমতা চালিয়ে যাচ্ছিলো এরা। সালাহুদ্দিন আইউবি বিশাল সফলতা এনে দিলেও চূড়ান্তভাবে তাদের বিহিত করতে দ্বিতীয় একজন আইউবি'র দরকার ছিলো সেসময়। দ্য প্যান্থার খ্যাত সুলতান রুকুনুদ্দিন বাইবার্স সেই চূড়ান্ত সফলতার নেতৃত্ব দিয়েছিলেন প্রচন্ড সৎসাহসের সাথে। তার তীব্রগতির আক্রমণ আর বজ্রথাবার পর দ্বিতীয়বার আর উঠে দাঁড়াতে পারেনি ক্রুসেড-হাশাসিনরা। মুসলিম বিশ্বে তাতারিদের ধ্বংসযজ্ঞের বন্ধ হয়ে ছিলো তার বীরত্বেই। কিন্তু আফসোসের ব্যাপার হলো মহান এই মুজাহিদের জীবন নিয়ে খুব একটা সপ্রশংস আলোচনা দেখা যায় না। ইতিহাসের ধূসর খাতায় বন্দি যেন.. তবে ইমরান আহমাদের কলম এবং কালান্তর প্রকাশনীর প্রকাশনায় বাংলা ভাষায় শেষতক কিছু আলো দেখা দিয়েছে দ্য প্যান্থার নামে। ২০১৭ তে প্রকাশের পর আলোড়ন তুলেছে এই গ্রন্থ। চমৎকার গদ্য টানটান ভাষায় শিহরিত অনুভবে পড়তে পারেন এই বাইবার্সনামা।

      By Ruponti Shahrin

      13 Nov 2023 01:07 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      রুকনুদ্দিন বাইবার্স এর উপাধি "দ্য প্যান্থার"। কারো কাছে তিনি "দ্বিতীয় সালাউদ্দিন", সেরা রণকৌশলী, সমরনায়ক। যিনি ৩৩ বছরের যুদ্ধজীবনে তিনি একটা যুদ্ধও হারেননি! ৫৪ বছরের দাপটে জীবনে যে উত্থান ও পৃথিবীর মানচিত্র বদলে দেওয়ার আখ্যান সেটাই বড় কথা। আধুনিক মিসর, ইসরাইল, ফিলিস্তিন, জর্দান, লেবানন, সিরিয়া, তুরস্ক ছিল তাঁর অবাধ বিচরণক্ষেত্র। তিন মহাদেশ ছিল কুরুক্ষেত্র। তাঁকে একসঙ্গে লড়তে হয়েছে তিন-তিনটি দুর্ধর্ষ পরাশক্তির বিরুদ্ধে। তাঁর দুর্দান্ত থাবায়ই মোঙ্গলদের পিলে চমকে উঠেছিল। ক্রুসেডমানসে ভীতি ছড়িয়েছিল। গুপ্তঘাতকরা পথ হারিয়েছিল। লড়াকু এই মহাবীরের জীবনাখ্যান হৃদয় ছুয়ে যাবে।

      By alamgir manik

      02 Nov 2023 06:26 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      অসাধারণ দুর্দান্ত একটা বই। রুকনুদ্দিন বাইবার্সকে জানার জন্য এই বইয়ের বিকল্প কিছু হতেই পারে না।

    • Was this review helpful to you?

      or

      খুব সম্ভব এটি কালান্তরের প্রথম বই। বইটি পড়ার আগে জানতাম ও না যে আমাদের আরো একজন সালাহউদ্দিন ছিলেন, যিনি মুসলিমবিশ্বকে তাতারিদের ইয়াজুজ-মাজুজ ও অপরাজেয় জ্ঞান করা থেকে বাঁচিয়েছেন। এবং তৎকালীন নিজেদের অপরাজেয় ভাবা এই তাতারিদের পরাজয়ের স্বাদ চাখিয়েছেন। রহিমাহুমাল্লাহু রহমাতান ওয়াসিআহ।

      By আবু লাবীব

      31 Oct 2023 12:38 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      টানটান উত্তেজনাপূর্ণ এক অসম্ভব সুন্দর বই

      By Md Maruf Miah

      29 Oct 2023 09:39 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      সুলতান রুকনুদ্দিন বাইবার্স ইতিহাস থেকে হারিয়ে যাওয়া এক বীর।তার নাম আগে কখনো শোনা হয়নি। এই বইয়ের মাধ্যমেই তার সম্পর্কে জেনেছে।তিনি ছিলেন এক অপারেজয় বীর।তিনি মোঙ্গলীয়,ক্রুসেড,গুপ্তঘাতক তিন পরাশক্তির বিরুদ্ধে লড়েছেন।তিনি চারটি ক্রুসেড লড়েছেন প্রত্যেকটির ফল তার পক্ষেই ছিল।বইটিতে তার বিভিন্ন বীরত্বপূর্ণ অভিযান ফুটে উঠেছে।তার ৫৪ বছরের জীবনে বেশিরভাগ সময়ই যেন যুদ্ধের পিছনে কাটিয়েছেন।

      By Manajir Ahsan Jamil

      31 Oct 2023 01:24 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      সেরা একটি বই। সেরা। পড়ে মুগ্ধ হলাম।

      By Md. Sakibul Hasan

      02 Sep 2023 01:23 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      রুকনুদ্দিন বাইবার্স শুধু একটি নাম নয়, একটি ইতিহাস। রুকনুদ্দিন বাইবার্স ১৯ জুলাই ১২২৩ সালে কিপচাক উপত্যকার (বর্তমান কাজাখস্তান) কুমান গোত্রে জন্মগ্রহণ করেন। কিপচাক উপত্যকায় যাযাবর সম্প্রদায়ের লোকজন বসবাস করতো। মংগোলরা প্রথম পরাজয় বরণ করে ঐতিহাসিক আইন জালুত যুদ্ধ দিয়ে। আইন জালুত ছিল পৃথিবীর ইতিহাস বদলে দেওয়া এক লড়াই। এই লড়াই ছিল মোঙ্গলদের কাছ থেকে মুসলিমদের প্রথম বিজয় এবং ইতিহাসের বাঁকবিন্দু৷ অন্যদিকে ক্রুসেডাররা যখন পুরো আরবকে আস্তে আস্তে দখল করতে চক্রান্ত করছে, তখন উত্থান হয় বাইবার্সের। সাধারণভাবে ক্রুসেড বলতে পবিত্র ভূমি অর্থাৎ জেরুজালেম এবং কনস্টান্টিনোপলের অধিকার নেওয়ার জন্য ইউরোপের খ্রিস্টানদের সম্মিলিত শক্তি মুসলিমদের বিরুদ্ধে যে যুদ্ধ পরিচালনা করে সেগুলোকে বোঝায়। ১২৬০ সালের পর চারদিকে মোঙ্গল-ক্রুসেডারদের কাছে বাইবার্স হয়ে যায় অপ্রতিরোধ্য।

      By Nur Media Tune

      16 May 2023 11:38 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      বাকওয়াজ

      By Jahid Mohammad al Ayeni

      22 Apr 2023 09:33 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      #কালান্তর_অনুভূতি২০২৩ বইটি পড়তে একটুও ক্লান্তি আসে নি। এমন সুখপাঠ্য বই ইতিপূর্বে পড়ি নাই। দৃঢ় বিশ্বাস আছে আপনি বইটি পড়তে গিয়ে ক্লান্ত হবেন না। সবচেয়ে বড় বিষয় হলো বইটি এমন এক বীরকে নিয়ে লিখা যার নামটাও ইতিপূর্বে অনেকে হয়তো শুনেন নাই। দুর্দান্ত সব কীর্তি গাঁথা পড়ে আপনি অবাক হবেন। তখন একরাশ বিস্ময় নিয়ে বলবেন, আমাদের মাঝে এমন সেনানায়ক ও ছিলেন!! বইঃ সুলতান রুকনউদ্দিন বাইবার্স দ্যা প্যান্থার লেখকঃ ইমরান আহমদ কালান্তর প্রকাশনী

      By Sayem Bin Karim

      22 Apr 2023 12:49 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      কালান্তর প্রেম শুরু যে বইয়ের হাত ধরে সে বই সম্পর্কে অনুভূতি না লিখে কি পারা যায়! নাহলে স্মৃতি নামক "ইমোশনাল" জিনিস আমারে ছেড়ে কথা কইবে না। এই বই সম্পর্কে কোনো রিভিউ না লিখলেও একটুকুন বলতে পারি, এটা আমার পড়া দুর্দান্ত থ্রিল(ইতিহাস) টাইপের একটি বই। সুলতান রুকুনুদ্দিন বাইবার্স সম্পর্কে বাংলা ভাষাভাষী মানুষের অধিকাংশ প্রশ্নের উত্তর আমার মতে এই বইতে আছে। তবে আসল কথা হলো বই বিমুখ এই সমাজের কতজনই বা এই উম্মাহের এই মহান সেনাপতি/সুলতান সম্পর্কে জানেন!? তাই সবার প্রতি অনুরোধ থাকবে ইতিহাসের কালিতে সূক্ষ্ম ভাবে ঢেকে দেওয়া এই মহান মামলুক শাসক সম্পর্কে জানার চেষ্টা করবেন। শুরু হোক আইনে জালুতের অন্যতম বীর সম্পর্কে জানার এক নতুন অধ্যায়।?? #কালান্তর_অনুভূতি -২০২৩ ছবি :© কালান্তর প্রকাশনী

    • Was this review helpful to you?

      or

      বইটি পড়তে একটুও ক্লান্তি আসে নি। এমন সুখপাঠ্য বই ইতিপূর্বে পড়ি নাই। দৃঢ় বিশ্বাস আছে আপনি বইটি পড়তে গিয়ে ক্লান্ত হবেন না। সবচেয়ে বড় বিষয় হলো বইটি এমন এক বীরকে নিয়ে লিখা যার নামটাও ইতিপূর্বে অনেকে হয়তো শুনেন নাই। দুর্দান্ত সব কীর্তি গাঁথা পড়ে আপনি অবাক হবেন। তখন একরাশ বিস্ময় নিয়ে বলবেন, আমাদের মাঝে এমন সেনানায়ক ও ছিলেন!!

      By Sami Afif

      18 Apr 2023 07:35 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      উম্মাহর ক্রান্তিলগ্নে এক অবিস্মরণীয় বীর। যার নামে পুরো ইউরোপ কাপত। ছিলেন কায়রোর বজ্র, ক্রুসেডারদের উন্মত্ত ত্রাস, যার বিষ্ময়ে অভিভূত হয়ে খোদ ইউরোপ ই তাকে বলত দ্যা প্যান্থার। নিজের নামের প্রমাণ অজস্র বার দিয়েছেন ময়দানে। ৫৪ বছরের ছোট জীবনে যার বেশিরভাগ সময়ই কেটেছে অশ্বপৃষ্ঠে। সারা বিশ্ব যখন মোঙ্গল আতংকে দিনাতিপাত করছে, মোঙ্গলসহ পুরো ইউরোপ তখন একনামে ই কাপছে ‘দ্যা প্যান্থার’।যিনি কি না একাই সামলেছেন চার চারটি ক্রুসেড। দিয়েছেম চারটিতেই ক্রুসেডারদের দাত ভাঙ্গা জবাব। এই মহান বীরাজ না থাকলে হয়তো ইতিহাস ভিন্ন আঙ্গিকেই লেখা হতো কাফিরদের প্রতি যেমন ছিলেন বজ্রকঠিন, নিজের মুসলিম ভাইদের জন্য তেমন ই ছিলেন কোমল।যুগের আলেকজান্ডার বলা হতো তাকে। কিন্ত আজ এই বীরের বীরত্বগাথা সুকৌশলে চাপা দেওয়া হয়েছে। এই দুঃসময়ে সৎ সাহস নিয়ে বীরের এই মহান বীরত্বগাথা প্রকাশ করেছে ভালোবাসার প্রিয় প্রকাশনী কালান্তর। বাংলা ভাষায় ইতিহাস পাঠকদের জন্য বর্তমানে সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য প্রকাশনী এটিকেই ধরা যায়। আল্লাহ তায়ালা তাদের চলার পথকে সহজ করে দিন। বইটির সাথে জড়িত সকলের খেদমতকে কবুল করুন, তাদেরকে জাযায়ে খায়ের দান করুন।

      By MD. Lokman Mahmud

      16 Jul 2022 05:07 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      very nice

      By SAIHUM SHAHRIAR SAMI

      17 Jun 2022 10:35 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      it was so good.

      By Zobaid Haq

      19 Feb 2022 07:51 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      Excellent

      By Mainul 123

      15 Feb 2022 05:48 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      ইতিহাসের বই হিসেবে এরকম পক্ষপাতিত্বপূর্ন লেখা খুবই দুঃখজনক। লেখকের মনে সুলতান বাইবার্স এর প্রতি এত বেশি ভালোবাসা যে, তিনি সমসাময়িক এমন কাউকে তিরষ্কার বা গালিগালাজ করতে ছাড়েন নি যারা বাইবার্স এর সামান্যতম বিরোধিতা করে। আর বাইবার্স এর মিত্রদের সাফাই গাওয়ার সময়ও তিনি ছিলেন "নির্ভীক"। কথাটা একটু কঠিন শোনালেও আমি বলতে বাধ্য হচ্ছি যে লেখকের ইতিহাস লেখার যোগ্যতা ছিল না।

      By Ahtasham Nabil

      03 Nov 2021 01:50 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      আলহামদুলিল্লাহ, বইটি মুসলিম ইতিহাসের এক অজানা বীরের কৃতিত্বকে খুব ভালোভাবে উপস্থাপন করেছে।এর নতুন ইডিশনে আগের ভুলত্রুটি গুলোও শুধরে দেয়া হয়েছে।বইটি অবশ্যই সংগ্রহে রাখার মতো বলেই আমি মনে করি। তবে কিছু ভাষাগত পরিমার্জন করা হলে এটি আরো দুর্দান্ত হয়ে উঠবে।

      By Kazi Arnob

      30 Aug 2021 07:15 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      good

      By shamim anwar

      03 Jul 2021 09:56 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      'ক্রুসেড যুদ্ধ 'মধ্যযুগীয় ইতিহাসের অন্যতম একটি আলোচিত অধ্যায়। ঐতিহাসিকগণের মতে এই যুদ্ধ ইতিহাসের সবচেয়ে বিভ্রান্তিকর অধ্যায়ের সূচনা করেছিল।ঐতিহাসিক আমীর আলি বলেন, ধর্মান্ধতাই ছিল ক্রুসেডের অন্যতম প্রধান কারণ। প্রায় দুই শতাব্দী (১০৯৫-১২৯১ খ্রিস্টাব্দ) ধরে চলা এই রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে মুসলমানদের এক অকুতোভয় সেনাপতি ছিলেন সুলতান আল মালেক আল জাহির রুকনুদ্দিন বাইবার্স।যিনি ছিলেন মুসলমানদের চিতাবাঘ।ক্রুসেড যুদ্ধে তাঁর অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি স্বরুপ ঐতিহাসিকগণ তাকে দিয়েছেন ২য় সালাহউদ্দিন উপাধি।তিনি এমন এক সময় ক্ষমতা লাভ করেন যখন মুসলিম উম্মাহ বিপদের দরিয়ায় কূলহারা জাহাজের যাত্রীদের ন্যায় একজন পাঞ্জেরীর পথ চেয়ে ছিল।একদিকে হিংস্র ক্রুসেডারদের আক্রমণ, অপর দিকে বাগদাদের পতন ঘটিয়ে মুসলমানদের নামনিশানা দুনিয়া থেকে মুছে দেওয়ার নেশায় মত্ত বর্বর মোংগলদের মধ্যপ্রাচ্য ধ্বংস করে আফ্রিকামুখী অগ্রযাত্রা, আর সেই সাথে আছে পারস্যের বাতেনী হাশাশিনদের গুপ্ত হামলার প্রকোপ,এই সব ধ্বংসাত্মক শত্রুদের শক্ত হাতে দমনের প্রতিজ্ঞা নিয়েই ক্ষমতায় বসেন সুলতান বাইবার্স।সুলতান বাইবার্স একজন সামান্য ক্রীতদাস থেকে স্বীয় যোগ্যতা ও দক্ষতার দ্বারা নিজেকে মামলুক সালতানাতের শ্রেষ্ঠ শাসকে পরিণত করেন।তাকে বলা হয় মিসরে মামলুক সালতানাতের প্রকৃত প্রতিষ্ঠাতা।তিনি ১২৪৪-৭৭ খ্রীস্টাব্দ পর্যন্ত মোট ৩৩ বছর ক্ষমতায় ছিলেন।এই সময়ে তিনি খ্রিস্টানদের বিরুদ্ধে ষষ্ঠ থেকে নবম মোট ৪টি ক্রুসেড যুদ্ধ পরিচালনা করেন।মুসলমানদের মাঝে এই কৃতিত্ব অন্য কোন শাসকের নেই।তাঁর হাতেই প্রথম কোন খ্রিস্টান রাজা বন্দী হয়েছিল, যা ছিল ক্রুসেডের ইতিহাসের একমাত্র ঘটনা।সপ্তম ক্রুসেডে তিনি ফ্রান্সের রাজা নবম লুইকে বন্দী করেন।তাঁর নেতৃত্বে মুসলমানরা ক্রুসেডারদের বিরুদ্ধে ২১টি যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে,যার সবকটাতেই জয়ী হয়।সুলতান বাইবার্স ছিলেন সকল যুদ্ধে অপরাজিত । তিনি একে একে এন্টিয়ক,সিলিসিয়া,কায়সারিয়া, আথলিয়া ও হাইফা জয় করেন।টায়ার আর আক্কা ছাড়া ক্রুসেডারদের হাত থেকে অন্য সকল অঞ্চলই তিনি উদ্ধার করতে সক্ষম হন।তাঁর এন্টিয়ক বিজয়কে এনসাক্লোপিডিয়া অব ইসলামে সুলতান সালাহউদ্দিন আইয়ুবীর জেরুজালেম জয় অপেক্ষা অধিক গুরুত্বপূর্ণ বলে অভিহিত করা হয়েছে।খলিফাহীন উম্মাহর জন্য ১২৬১ সালে তিনি পুনরায় আব্বাসীয় খিলাফত প্রতিষ্ঠা করেন।অন্যদিকে তিনি আইনজালুত, হিমস ও বিরার যুদ্ধে মোঙ্গলদের শোচনীয়ভাবে পরাজিত করেন।হাশাশিনদের বিরুদ্ধে তিনি ১২৭০-৭২ সালে একাধিক যুদ্ধ পরিচালনা করেন।ফলে তাদের সব দূর্গের পতন ঘটে।হিট্টির মতে,বাইবার্স গুপ্তঘাতক সম্প্রদায়কে সমূলে উৎপাটিত করেন এবং সিরিয়া থেকে তাদের নির্মূল করেন।তিনি জাহিরিয়া মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেন, সালতানাতে মদ ও জুয়া নিষিদ্ধ করেন। এই মহান সুলতানের অবদান বলে শেষ করা কষ্টসাধ্য কাজ।ইসলামের এই মহাবীর সম্পর্কে জানতে হলে আপনাদের পড়তে হবে দ্য প্যান্থার বইটি।বাংলায় সুলতান এর সম্পর্কে এত সুন্দর, বিস্তারিত ও নির্ভরযোগ্য রচনা এই প্রথম। লেখককে অনেক ধন্যবাদ এতদিনের এই আফসোস এর অবসান ঘটিয়ে এই মহাবীর এর জীবনকাহিনী বাংলায় রচনা করার জন্য । লেখক বইটিতে সুনিপুণভাবে সহজ ও প্রাঞ্জল ভাষায় ধারাবাহিকভাবে ইতিহাসের কালচিত্র তুলে ধরেছেন।গতানুগতিক ইতিহাস বইয়ের মত এই বই পড়ে আপনার একটুও একগুয়েমি লাগবে না।বরঞ্চ বইটির প্রতিটি পাতায় আপনি রোমাঞ্চিত হবেন,মনে হবে যেন আপনিও হাজির আছেন সুলতান এর সাথে কোন এক যুদ্ধের ময়দানে।২১৪ পৃষ্ঠার এই বইটিতে প্রায় ২৬টি অধ্যায় আছে।প্রতি অধ্যায়ে আবার কিছু পরিচ্ছেদও আছে।গুরুত্বপূর্ণ তথ্যের ফুটনোটও দেয়া আছে।২০১৭ সালে বইটি প্রথম প্রকাশিত হয়।সব মিলিয়ে ইতিহাসপ্রেমীদের জন্য এই বইটি অত্যন্ত সুখপাঠ্য বিবেচিত হবে বলে আমি আশান্বিত।

      By Raihan Rouf

      30 Jun 2021 08:07 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      চমৎকার বই

      By Noman Siddiq

      30 Jun 2021 03:19 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      good.

      By Rashed Hasan

      09 May 2021 01:29 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      Good

      By mizanur rahman

      25 Apr 2021 01:50 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      "এলো সব জালিয়ে পুড়িয়ে চলে গেল" মোংগলদের ধ্বংস আর তান্ডব লীলা সংহ্মেপে বুঝানোর জন্য একটি প্রবাদ মাত্র। মোংগলদের উত্থান অর্থাৎ চেঙিস খানের শুরু হতে তাদের ভয়-ভীতি ও গণহত্যার উপর টিকে থাকা সাম্রাজ্যের প্রধান লক্ষ্য ছিলো মুসলমান। হালুাকু খানের বাগদাদে গণহত্যা ও ধ্বংস করার একমাত্র অবশিষ্ট মুসলমান ভূখন্ড উত্তর আফ্রিকায় কে এই নর পশুদের থামালো?, "ক্রুসেড" নামকরন করে মুসলমান হত্যার উৎসবে মেতে থাকা হিংস্র খ্রিস্টানদের কে থামালো? পৃথিবীর তৎকালীন সময়ের শ্রেষ্ঠ গুপ্তঘাতক দল "হাশাশিন" কে ধ্বংস করল? তিনি আর কেউ নন তিনি "সুলতান আল মালেক আল জাহির রুকুনুউদ্দীন বাইবার্স" জন্ম ও জীবন বৃত্তান্তঃ ১২২৩ সালের ১৯ জুলাই আধুনিক কাজাখাস্তানের কিপচাপ ভ্যালিতে এই মহান অকুতোভয় মুসলিম বীরের জন্ম। তিনি এক সামান্য মামলুক ক্রীতদাস হরে স্বীয় যোগ্যতা ও দক্ষতার দ্বারা মামলুক সাম্রাজ্যের শ্রেষ্ঠ শাসক হন। প্রকৃত অর্থে তিনিই মিসর ও শামে মামলুক সালতানাতের প্রতিষ্ঠাতা। তিনি ১২৪৪-৭৭ পর্যন্ত টানা ৩৩ বছর ন্যায়-নিষ্ঠার দক্ষতার দ্বারা মামলুক সাম্রাজ্যকে সমৃদ্ধির সর্বোচ্চ শিখরে আরোহন করান। সামরিক কৃতিত্বঃ তিনি ষষ্ঠ হতে নবম ৪টি ক্রুসেড বীরত্বের সাথে প্রতিরোধ করেন এবং সপ্তম ক্রুসেডে ক্রুসেডারদের সবচেয়ে শক্তিশালী নেতা ফ্রান্সের রাজা নবম লুইকে বন্দী করেন যা ক্রুসেডের ইতিহাসে একমাত্র ঘটনা একইসাথে মুসলমান শাসকদের মাঝে তিনিই একমাত্র এই কৃতিত্বের অধিকারী। তিনি ক্রুসেডারদের বিরুদ্ধে ২১টি যুদ্ধ পরিচালনা করেন এবং প্রত্যেকটিতে জয়ী হন। পবিত্র জেরুজালেম এবং এর আশেপাশের শহরগুলো নিয়ে প্রতিষ্ঠিত "কিংডম অফ জেরুজালেম " সমূলে উচ্ছেদ করে পুনরায় মুসলিম শাসন প্রতিষ্ঠা করেন। এ কারণে তাকে "২য় সালাউদ্দিন " বলা হয়। মোংগলদের বিরুদ্ধে ঐতিহাসিক আইন-ই-জালুত,হিমস ও বিরার যুদ্ধে মোঙলদের শোচনীয় ভাবে পরাজিত করেন। তাঁর বীরত্ব ও সাহসিকতার সামনে "বাগদাদ কসাই" খ্যাত হালাকু খান তার সৈন্যদের রেখে দুবার পালিয়ে গিয়েছিল। নরপশু মোঙলদের মাথা ব্যাথার কারণ ছিলেন তিনি। হাশাশিনদের বিরুদ্ধে ১২৭০-৭২ সালে একাধিক যুদ্ধ পরিচালনা করেন যার তাদের সবগুলো দুর্গের পতন ঘটে। জনহিতকর কাজঃ ভন্ড নুসাইরি ও ফেদাইনদের সমূলে উৎখাত করেন জাহিরিয়া মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেন। দক্ষ প্রাদেশিক প্রশাসক নিযুক্ত করেন। প্রদেশের নাগরিক অবস্থা জানার জন্য প্রতি দু-দিন পর পর প্রশাসকদের কেন্দ্রে চিঠি পাঠাতে হত। মুসলিম উম্মাহর কথা ভেবে আব্বাসীয় খেলাফত পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেন। বাংলা ভাষায় এই প্রথম রচিত এই মুসলিম মহাবীরের জীবনী। লেখককে ধন্যবাদ অত্যন্ত সহজ ও প্রাঞ্জল ভাষায় ধারাবাহিকভাবে ইতিহাসের বাঁকগুলো তুলে ধরার জন্য। এটি আমার জীবনের পড়া অন্যতম একটি শ্রেষ্ঠ বই। প্রত্যেককেই এই বই পড়ার অনুরোধ রইলো।

      By Fatin Fuad Nabid

      20 Feb 2021 02:01 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      এক মহান সুলতানের জীবনী নিয়ে লেখা, অসাধারণ লেখনী

      By Rakib Musabbir

      16 Jan 2021 09:28 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      ইতিহাসকে বিকৃত করা হয়েছে বইটিতে।৫ স্টারগুলো পেইড বলে মনে হয়।

      By Ahasan Al Rabbi

      28 Jul 2020 12:40 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      অসাধারন সুন্দর একটি বই, এক নিশ্বাসে পড়ে ফেলার মত একটি বই।

      By Abdullah-Al-Tareq

      15 Jul 2020 05:49 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      খুবই ভাল বই। ভাল লাগবে।

      By Sifat

      20 Jun 2020 05:51 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      নিঃসন্দেহে বাইবার্স ক্রুসেড ও ইসলামের ইতিহাসের অমর একটি নাম, কিন্তু তাকে বড় দেখাতে গিয়ে লেখক অন্যদের নগন্য বানিয়ে ছেড়েছেন ৷ বিশেষ করে আইন জালুতের মহানায়ক সাইফুদ্দিন কুতুজকে তো রীতিমতো কাপুরুষ, জালিম, ক্ষমতালোভী বানিয়ে দিয়েছেন যা মেনে নেয়া যায় না ৷ তাছাড়া অনেক জায়গায় ইতিহাস বিকৃত করেছেন বলে মনে হয়েছে ৷

      By Shihab Uddin

      27 Nov 2023 06:17 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      সুলতান বাইবার্সের কালজয়ী উপাখ্যান, বর্ণাঢ্য বীরত্বগাঁথা, মােঙ্গল ও ক্রসেডের যবনিকাপাত এবং গৌরবদীপ্ত সুলতান রুকনুদ্দিন বাইবার্সের বীরত্বপূর্ণ জীবনী জানতে পড়ুন ইমরান আহমাদ রচিত 'দ্য প্যান্থার'

      By Sheikh Mohammed Taz

      01 May 2022 01:15 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      দ্যা প্যানথার! হার না মানা এক মুসলিম সেনানায়কের উপখ্যান। অত্যাচারীদের জন্য যিনি ছিলেন অগ্নিমূর্তি। এমনকি জালেমদের সামান্য ভুলও তার কাছে ছিলো অপরাধের সামিল। এজন্যই তো জীবনের প্রায় সবটুকু সময়ই এদিক থেকে ওদিক তাড়া করে বেড়িয়েছেন তৎকালীন পরাশক্তি মোঙ্গল-ক্রুসেডারদের। এমনকি তার কাছেই বলতে গেলে আনুষ্ঠানিক পরাজয় বরণ করেছে হার না মানা মোঙ্গল সম্রাজ্য। পাঠক বইটি পড়া শুরু করলে পড়তেই থাকতে ইচ্ছে করবে, আর যখন শেষ করবে, মনোকষ্টে হয়তো অবসাদে ভুগতে পারে। এমনই একজন মুসলিম সেনানায়কের নাম সুলতান রুকুনুদ্দিন বাইবার্স। যার জীবন জুড়ে আছে নানা কাহিনী, কিভাবে দাস থেকে ক্ষমতাধর মামলুক সুলতান হলেন বইটিতে অল্প কথায় সেইসব ইতিহাসের কথায় লিখেছেন ইমরান আহমদ।

      By Monjurul Hoque

      23 Oct 2023 09:04 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      বইটি অনাদরে পড়ে ছিল দু'বছর। মাস দুয়েক আগে বইটি হাতে নিই। যখন পড়া শেষ হয়, আমি স্তব্ধ হয়ে যাই! কি রত্ন অবহেলায় ফেলে রেখেছিলাম আমি। অনেক থ্রিলার পড়েছি কল্পনা -ফ্যান্টাসির সংমিশ্রণে, কিন্তু বাস্তব যে আরো বেশি থ্রিলিং হয় সেটা এই বই না পড়লে বুঝতে পারতাম না। তাছাড়া প্রকাশকের প্রতি অন্য রকম বিশ্বাস আছে, বইয়ে তিনি কোনো ভুল তথ্য রাখবেন না। তাই তো কেউ যখন বলে একটা হার্ড থ্রিলারের নাম বলেন কিংবা ইতিহাস পড়তে আগ্রহ পাবো এরকম একটা বইয়ের নাম বলেন, তখন বলি দ্য প্যান্থার পড়েন।

      By Muhammad Tamimul Ihsan

      12 Mar 2021 11:46 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      || বুক রিভিউ || ▪︎বইয়ের নাম: সুলতান রুকনুদ্দিন বাইবার্স দ্য প্যান্থার ▪︎লেখক: ইমরান আহমাদ ▪︎প্রকাশক: কালান্তর প্রকাশনী ▪︎বইয়ের ধরন:ইতিহাস ঐতিহ্য ও ইসলামী ব্যক্তিত্ব ▪︎প্রচ্ছদমূল্য: ২৭০/- ▪︎প্রকাশকাল: জুলাই ২০২০ (তৃতীয় সংস্করণ ও চতুর্থ মুদ্রণ) ■ শুরুর কথা: তুর্কি মুসলিমদের মধ্যে একটা প্রবাদ আছে,"যে জাতি তার পূর্ব পুরুষের ইতিহাস ভূলে যায়,সে জাতির অধঃপতন কেউ ঠেকাতে পারেনা"। আমাদের সমগ্র মুসলিম জাতির অবস্থটাও হয়েছে ঠিক অনুরুপ। নিজের শেকড় ভুলে আমরা মেতে উঠি পাশ্চাত্যের এক জগন্য খেলায়। যেখানে ক্রুসেডার,টেম্পলার নাইটদের দেখানো হয় নায়ক আর সেখানে আমাদের দেখানো হয় নারীলোভী,অর্থলোভী ভোগ-বিলাসিতা প্রিয় এক জাতি হিসেবে।আসলেই কি আমরা এমনটা ছিলাম। প্রকৃত ইতিহাস কী বলে?আমাদের বীরত্ব গাঁথাকে তো এক প্রকার আড়াল করে রাখা হয়েছে বলা যায়। তাই আজ আলোচনা করবো আমাদেরই এক চিতারাজ সুলতান রুকনুদ্দিন বাইবার্স সম্পর্কে। যিনি তীব্রগতি ও বজ্রথাবার কারণে ক্রুসেডারদের চোখে ছিলেন দ্য প্যান্থার—চিতারাজ। ■ কাকে নিয়ে লেখা বইটি: লেখক ইমরান আহমাদ কর্তৃক রচিত এই ইতিহাসের বইটির নায়ক মুসলিম সালতানাতের এক অবিস্মরণীয় সিংহপুরুষ দ্য প্যান্থার খ্যাত সুলতান আবুল ফাতিহ আল মালিকুজ জাহির রুকনুদ্দিন বাইবার্স আল বানুকদারি। যিনি ছিলেন উম্মত্ত ক্রুসেডের ত্রাস,বর্বর মোঙ্গলদের বিনাশ,হারামি ফেদাইনদের অভিশাপ। তিনিই ছিলেন মূলত ক্রুসেডের কোমর ভাঙ্গার কারিগর। যার লৌহ কঠিন থাবায় ক্রুশের নাগপাশ থেকে দ্বিতীয়বার মুক্ত হয়েছিল পবিত্র মাসজিদুল আকসা।সর্বাধিক চার চারটি ক্রুসেড যুদ্ধ যিনি একাই তার সৈন্য নিয়ে সামলিয়েছেন। তিনিই পৃথিবীর একমাত্র মুসলিম সেনাপতি যিনি ইউরোপের কোনো সম্রাটকে খাঁচায় পুরেছেন। বাগদাদের কসাইখ্যাত নরখাদক হালাকু খানকে যিনি সর্বদাই রেখেছেন দৌড়ের উপর।আনাতোলিয়া,হোমস,বিরা ও আইনে জালুতের যুদ্ধে মোঙ্গলদর্প তিনিই চূর্ণ করেছেন। সেই মহান মুসলিম সেনাপতির জীবনপরিক্রমা নিয়েই রচিত ইতিহাসের এই অসাধারণ বইটি। ■ বই আলাপন: বইটিকে ভাগ করা হয়েছে বেশ অনেকগুলো ভাগে। যেখানে শুধু সুলতান বাইবার্সের বর্ণাঢ্য জীবনীই উঠে আসেনি,এসেছে তার সমসাময়িক অন্যান্য ঘটনাগুলোও। মোট দু'শ পনেরো পৃষ্ঠায় উঠে এসেছে আল মালিকুজ জাহির সুলতান রুকনুদ্দিন বাইবার্সের জীবনী। • প্রথম অংশে আলোচনা করা হয়েছে সুলতান রুকনুদ্দিন বাইবার্সের জন্ম,জন্মস্থান,বংশপরিচয়,দাশবাজারে বিক্রি,আইয়ুবি বাহিনীতে সুলতান রুকনুদ্দিন বাইবার্স কীভাবে সৈনিক পদ লাভ করলেন তা নিয়ে। এছাড়াও তৎকালীন আইয়ুবী সাম্রাজ্য নিয়ে এক ছোটোখাটো বিশ্লেষণ ছিলো অধ্যায়টিতে। • দ্বিতীয় অংশে উঠে এসেছে সুলতান রুকনুদ্দিন বাইবার্সের ক্রুসেডারদের মুখোমুখি হওয়া নিয়ে। যেখানে বাইবার্সের হাতে প্রিন্স রবার্টের শোচনীয় পরাজয়,সম্রাট নবম লুইয়ের পরাজয় ও বন্দীদশার চিত্র অসাধারণ ভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। এরপর মিশরে মামলুকদের আগমন, খাওয়ারিজম সাম্রাজ্যে মোঙ্গল তান্ডব নিয়েও আলোচনা করা হয়েছে অধ্যায়টিতে। • বইটির তৃতীয় অংশে আলোচনা করা হয়েছে মোঙ্গলদের পরিচয়, চেঙ্গিস খানের বংশধর, হাশাশিনদের নিয়ে। বাগদাদে আব্বাসি খিলাফাহর পতন,মোঙ্গলদের তান্ডব এসব নিয়েই একপ্রস্থ আলোচনা করা হয়েছে বইটির এি অংশে। • বইটির চতুর্থ অংশে এসে আলোচনা করা হয়েছে আইনে জালুত যুদ্ধ নিয়ে। যেখানে মোঙ্গলদের কোমর ভেঙ্গে দিয়েছিলেন সুলতান সাইফুদ্দিন কুতজ এবং সুলতান রুকনুদ্দিন বাইবার্স। মোটকথা অধ্যায়টিতে আইন জালুত যুদ্ধের এক পূর্ণাঙ্গ রুপ পেশ করা হয়েছে। • বইটির পঞ্চম অংশে এসে সুলতান কুতজ হত্যা,হত্যার কারণ,মামলুকদের সিংহাসন আরোহরনের পদ্ধতি, রুকনুদ্দিন বাইবার্সের সুলতান হওয়া এসব নিয়েই বিস্তর আলাপ করা হয়েছে। হালাকু খান ও ভন্ড ফেদাইন গ্রুপের কোমর ভাঙ্গার গল্পও উঠে এসেছে অধ্যায়টিতে। বাগদাদের খিলাফাহ ফিরিয়ে আনা, ক্রুসেড নির্মূলে বাগদাদের অবদান, বার্কে খান-বাইবার্স মৈত্রীচুক্তি,হালাকু-বার্কে দ্বন্দ্ব, কারাকের যুদ্ধ এসব নিয়েই বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে এই অংশে এসে। • বইটির ষষ্ঠ অংশে এসে সম্পূর্ণ আলোচনা করা হয়েছে ক্রুসেড যুদ্ধ নিয়ে। দ্বিতীয়বার আল আকসা পুনরুদ্ধার হসপিটালার নাইট,টেম্পলার নাইটদের কোমর ভাঙ্গা,এন্টিয়ক আক্রমণ, হাশাশিনদের নির্মূল করা, সপ্তম,অষ্টম,নবম এবং দশম ক্রুসেড মোকাবিলা, বাইবার্সের বিজয়রথ এগুলো নিয়েই চমৎকারভাবে আলোচনা করা হয়েছে এই অংশে। • আর সর্বশেষ আলোচনা করা হয়েছে আল মালিকুজ জাহির সুলতান রুকনুদ্দিন বাইবার্সের ইন্তেকাল ও দাফন নিয়ে। এক নজরে সুলতান বাইবার্স নামে ছোট্ট একটা রিমাইন্ডার দিয়ে দেওয়া হয়েছে বইটির শেষাংশে। মহান আল্লাহ সোনালী যুগ পরবর্তী উম্মাহর সর্বশ্রেষ্ঠ এই যোদ্ধাকে যথাযথ প্রতিদানে সম্মানিত করুন।আমিন। ■ আলোচনা-সমালোচনা: ইতিহাসের বইয়ের একটা কলঙ্ক আছে।সবাই বলে থাকে ইতিহাসের বইয়ের মতো বোরিং আর কাঠখোট্টা বই নাকি দুনিয়াতে নাই। তাই অনেকেই ইতিহাসের বই ছুঁয়েও দেখতে চায় না। কিন্তু দ্য প্যান্থার বইটির শব্দচয়ন বেশ সাবলীল আর সুখপাঠ্য।একবার বইটি নিয়ে বসলে আর উঠতে ইচ্ছে করবে না এমন টাইপ বই। বইটিতে সবচেয়ে ভালো লাগার বিষয়টি হলো বইটির কেন্দ্রীয় চরিত্র। সুলতান রুকনুদ্দিন বাইবার্স, এক মামলুক দাস কীভাবে পুরো মোঙ্গল ও ক্রুসেড শক্তিকে নাকানিচুবানি খাইয়েছিলেন। এই সুদূর গাঙ্গেয় বদ্বীপে বসেও বিশ্বজয়ের স্বপ্ন দেখায় সাহস সঞ্চার করেছে বইটি। প্রয়োজনীয় টীকা ও তথ্য সংযোজন বইটিকে আরো প্রাণবন্ত করেছে। এতো এতো ভালো লাগার পাশাপাশি কিছু কিছু ক্ষেত্রে কমতিও চোখে পড়েছে। যেমন সুলতান বাইবার্স যেসব জায়গায় অভিযান চালিয়েছেন তা যদি মানচিত্রের সাহায্যে ফুটিয়ে তোলা যেতো তাহলে বইটি আরো প্রাণবন্ত ও আকর্ষণীয় হতো। ■ প্রচ্ছদ-পৃষ্ঠাসজ্জা: হার্ডকভারের বই নিয়ে আমার আনার এলার্জি থাকলেও বইটির বাঁধাই এবং প্রচ্ছদ দারুন ছিলো।দুর্গের ছবি এক আলাদা ভাবগাম্ভীর্য বহন করছে। এছাড়াও বইটির লিখনশৈলী,পৃষ্ঠাসজ্জা,টীকা আর শব্দচয়নও ভালো লাগার মতো। ■ কারা পড়বেন এবং কেন পড়বেন...?? দিন দিন যেন আমরা অনুভূতিহীন হয়ে যাচ্ছি। মুসলিমদের পশ্চাদপসরণ দিন দিন যেন বেড়েই।অথচ আমরা কি আসলেই এমন জাতি ছিলাম।আমরা জয় করেছি মিসর,সিরিয়া আর অজেয় কনস্টান্টিনোপল। তারপরও কেন এত হীনম্মন্যতা....!! নতুন করে ক্রুসেড আবার জেগেছে কিন্তু জি|হা|দ কি আর জেগেছে,জেগেছে কি ক্রুসেড দমনে বাইবার্স আর গ্রেট সালাদিনের তরবারি। নিজের বিবেককে, নিজের ঘুমন্ত বোধকে জাগ্রত করতে যারাই চান তাদের জন্য বইটি আরেকটা মাস্টারপিস। ■ শেষ কথা : দিনশেষে বইটি পাঠকপ্রিয় হোক,মুসলিম উম্মাহর চেতনা জাগরনে বইটি যেন সহায়ক হয়। মহাকালের ইতিহাসের ঘনকালো সে পর্দা সরে যাক। অনালোচিত ইতিহাসের দ্বার খুলুক। প্রজন্মের চিন্তায় গতি পাক। আবার জেগে উঠুক যুগের নতুন বাইবার্স-সালাদীন। কবির ভাষায়, "তুমি উঠে এসো তুমি উঠে এসো মাঝি মাল্লার দলে, দেখবে তোমার কিশতী আবার ভেসেছে সাগর জলে।" ★ ব্যক্তিগত রেটিং: ৫/৫ ▪︎রিভিউয়ার: মুহাম্মাদ তামিমুল ইহসান

      By Alauddin

      16 Oct 2019 01:09 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      বইঃ মামলুক সুলতান রুকনুদ্দিন বাইবার্সের বীরত্বপূর্ণ জীবনী 'দ্য প্যান্থার' লেখকঃইমরান আহমাদ দুনিয়া তখন মোঙল ঝড়ে বিধ্বস্ত। দুনিয়ার পূর্ব থেকে পশ্চিম পর্যন্ত আদিগন্ত বিস্তৃত ভূখণ্ড মোঙল থাবায় জর্জরিত। সুবিশাল খাওয়ারিজম সাম্রাজ্য ত্রাসের ঘরের মত ভেংগে পড়ে বাণের পানির মত ধেয়ে আসা মোঙল বাহিনীর সামনে। জ্ঞান-বিজ্ঞানে,ইতিহাস-ঐতিহ্যে নেতৃত্ব দেয়া আব্বাসীয় খিলাফাহ শেষ দেখে ফেলেছিল যার আক্রমণে। বাগদাদ ধুলোয় মিশিয়ে দিয়েছিল যে বাহিনী। এক মিশর আর ভারতবর্ষ ছাড়া গোটা মুসলিম ভূখন্ড যারা গিলে নিয়েছিল। পৃথিবীর প্রান্তে প্রান্তে ছড়িয়ে পড়ে মোঙল ভীতি। কান্নার রোল পড়ে যায় কি প্রাচ্য কি পাশ্চাত্য সব জায়গায়। সবাই এ কথা বিশ্বাস করে নেয় মোঙলরা অপরাজেয়। অনেকে আবার তাদেরকে ইয়াজুজ-মাজুজ বলে ভূল করে বসে। কার এমন সাহস আছে মোঙল ঝড়ের সামনে দাঁড়ায়? আইন জালুত প্রান্তর যেখানে-মোঙলদের এতদিনের সমস্ত অহংকার ধুলোয় মিশে যায়। মোঙলরা অপরাজেয় এ কথাকে ভূল প্রমাণিত করে এই প্রথম মোঙলদের হারের স্বাদ আস্বাদন করায়। মূহুর্তেই ঘুরে যায় ইতিহাসের মোড়। কে সে? যার নেতৃত্বে মোঙলরা ত্রাসের মত ভেংগে পড়ে। তিনি আর কেউ নন মামলুক সুলতান রুকনুদ্দিন বাইবার্স। পাশ্চাত্য যাকে থমকে দাঁড়িয়ে নাম দেয় চিতারাজ-দ্য প্যান্থার। বইটির পরতে পরতে আপনার জন্য অপেক্ষা করছে রোমাঞ্চ, বিস্ময়। আপনি শিহরিত হয়ে উঠবেন চিতারাজ 'দ্য প্যান্থার' এর ক্ষিপ্রতা দেখে। আপনি এমন একজন ব্যাক্তির সাক্ষাত লাভ করবেন যিনি জীবনের অধিকাংশ সময় ঘোড়ার জীনের উপরেই কাটিয়ে দিয়েছেন। যিনি ভেংগে দিয়েছিলেন উন্মত্ত ক্রুসেডের মাজা। ক্রুসেডারদের বারবার মুসলিম সীমান্তে হানা দেওয়ার স্বাদ মিটিয়ে দিয়েছিলেন যিনি দারুণভাবে । কুখ্যাত হালাকু খা যার হাতে পর্যুদস্ত হয়েছিল প্রতিটি সাক্ষাতে।

      By ছদ্রনাম

      30 Jun 2022 11:54 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      দ্য প্যান্থার

      By md siam ali

      10 Oct 2021 10:50 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      ভাল একটি বই। কিন্তু ইতিহাসে রুকনউদ্দিন বাইবার্স নামটি কেন খ্যাতি পায়নি সেটাই রহস্য। তার সম্পর্কে আরও অনেক বিস্তারিত জানতে ইচ্ছে হয় - যেমনটি সুলতান সালাহউদ্দিন আইয়ুবী এর অনেক বই আছে # বাইবার্স সম্পর্কে আরও ইতিহাসের বই থাকলে আমরা অনেক জানতে পারতাম

      By Nazmul Hasan Riaz

      01 Oct 2019 09:31 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      ইসলামের ইতিহাসের অন্যতম বড় দুর্যোগকাল হিসেবে ধরা হয় দ্বাদশ ও ত্রয়োদশ শতাব্দীকে। এই পুরোটা সময়ব্যাপী মুসলিম উম্মাহ তার শত্রুদের চতুর্মুখী আক্রমণ হজম করে যাচ্ছিল। প্রথমে ক্রুসেড তারপর নেমে এলো তাতারি গজব। গোদের উপর বিষফোঁড়ার মত ছিল খুনে হাসাসিন বাহিনী ও নিজেদের মধ্যে থাকা অযোগ্য নামধারী মুসলিম শাসকরা। চতুর্মুখী এসব আঘাতে মুসলিম উম্মাহ হয়ে গেল লণ্ডভণ্ড। শত শত বছর ধরে গড়ে ওঠা মুসলিম শহর,জ্ঞানবিজ্ঞান ধ্বংস হয়ে গেল। উম্মাহর অজস্র নিরীহ মানুষ দুঃখজনক পরিণতি বরণ করলো। উম্মাহর দুর্দিন যেমন মুসলিমদের নিজেদের ধ্বংস দেখিয়ে শিক্ষা দিয়েছিল তেমনি পরিচয় করিয়ে দিয়েছিল এমন কিছু বীরের সাথে যারা মুসলিম উম্মাহর জন্য চিরকাল গর্বের কারণ। যাদের বীরত্ব, সাহস ও আত্মত্যাগ কল্পনাকেও হার মানিয়েছিল। সুলতান রুকনুদ্দীন বাইবার্স ছিলেন তেমনই একজন। সুলতান বাইবার্স ছিলেন একজন ককেশীয় বংশোদ্ভূত মামলুক। কিপচাক-কুমান তুর্কি জাতিসত্তার বাইবার্স খুবই অল্প বয়সে দাস হিসেবে বিক্রি হন আইয়্যুবীদের কাছে। বীরত্ব ও অস্ত্র চালনায় দক্ষতা তাকে ধীরে ধীরে পরিণত করে অসামান্য এক যোদ্ধায়। আইয়্যুবী সুলতানের মামলুক রেজিমেন্টের প্রধান হয়ে যান রাতারাতি অল্পবয়সেই। খুবই অল্পবয়সেই তিনি তার সামরিক প্রতিভার প্রমাণ দেখান দ্বিতীয়বার বাইতুল মাকদিস জয়ে বীরত্ব ও রণকুশলের পরিচয় দিয়ে। ইউরোপ থেকে ঘোষিত সপ্তম ক্রুসেডের লক্ষ্য যখন হয় মিসর তখন মামলুক হিসেবে সেনাবাহিনীতে থাকা বাইবার্স নিজের যোগ্যতায় শক্তিশালী ফরসী বাহিনীকে পরাস্ত করে রাজা নবম লুইকে বন্দী করে প্রথমবারের মতো কোনো ইউরোপীয় সম্রাটকে বন্দী করার নজির স্থাপন করেন। বাইবার্সকে বিশ্ব যেকারণে সবচেয়ে বেশি স্মরণ করে তা হচ্ছে আইন জালুতের ময়দানে তার মোঙ্গল বধ। মুসলিম বিশ্বের কাছে একসময় এরা ইয়াজুজ-মাজুজ হিসেবে পরিচিত হয়ে উঠেছিল। ‘মোঙ্গলরা পরাজিত হয় না’ এই কথাটিকে মানুষের মন থেকে মুছে দেন বাইবার্স। আইন জালুত যুদ্ধের পর একাই মোঙ্গলদের তাড়া করে ফোরাত নদী পর্যন্ত তাড়িয়ে নিয়ে যান। আইন জালুত যুদ্ধজয় ও সুলতান কুতুযের মৃত্যুর পর বাইবার্স মিসরের নবগঠিত মামলুক সম্রাজ্যের সুলতান হিসেবে সিংহাসনে আরোহন করেন। বস্তুত তিনিই মামলুক সালতানাতের প্রকৃত প্রতিষ্ঠাতা। বাইবার্সের অন্যতম বড় একটি অর্জন ছিল পুনরায় আব্বাসীয় খিলাফাতকে মিসরে প্রতিষ্ঠিত করে খলিফাহীন মুসলিম বিশ্বকে আবারো ঐক্যবদ্ধ করার প্রচেষ্টা। সুলতান হবার পর সামান্যই তিনি শান্তিতে ছিলেন। তাকে প্রায়ই ছুটতে হতো শত্রুর বিরুদ্ধে।ক্রুসেডারদের হাত থেকে লেভান্তের প্রায় সবটুকুই মুসলিম উম্মাহর জন্য ফিরিয়ে আনেন বাইবার্স। একাই চারটি ক্রুসেডের বিরুদ্ধে লড়াই করেন।হাসাসিন নামে পরিচিত শিয়া ফেদাইম গুপ্তঘাতকগোষ্ঠীকে ধ্বংস করে দেন। একাই মোঙ্গল,ক্রুসেডার,হাসাসিনদের সাথে লড়াই করেছেন। কিন্তু এতকিছুর পরও বাইবার্স ছিলেন অপরাজিত।একটি যুদ্ধেও তিনি পরাজিত হননি। মহান এই বীর ১২৭৭ খ্রিস্টাব্দে দামেস্কে ইন্তেকাল করেন।বিষপ্রয়োগ করে তাকে হত্যা করা হয়েছিল। বইটির ভালো ও খারাপ দিক : বইটিতে মূলত জীবনী লেখা থাকলেও বইটিকে আদতে জীবনী নয় বরং ইতিহাস বলাই ভাল। বইটির আরো কিছু ভাল দিক হলো,এখানে একই সাথে মোঙ্গল,ক্রুসেডার ও হাসাসিনদের ব্যাপারে অনেক তথ্য উঠে এসেছে। যুদ্ধের ইতিহাস প্রাধান্য পাওয়ায় ইতিহাস হিসেবে একেবারে খারাপ বলা যাবে না বইটিকে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে ভালোর চেয়ে অনেক বেশি অভিযোগ আছে বইটির ব্যাপারে। বইটিতে সময়ের ধারাবাহিতা নেই কোনো। বাংলা শব্দের মাঝে মাঝে অনেক ইংরেজী শব্দ চলে এসেছে যেগুলো যথেষ্ট দৃষ্টিকটু। তাছাড়া সুলতান সাইফুদ্দীন কুতুযের মত একজন লোকের ব্যাপারে আপত্তিকর অনেক কথাই রয়েছে সাথে কয়েকলাইন পরপরই বিভিন্ন উপমায় সুলতান বাইবার্সকে সম্বোধন যেটা রীতিমতো চাটুকারিতার পর্যায়ে পড়ে,এহেন উপমার প্রয়োগে সুলতান বাইবার্সও হয়ত বিরক্ত হতেন। ইতিহাসের নায়করা সবাই মানুষ ছিলেন। তাদের দোষ ছিল আবার গুণও ছিল,দুর্বলতা ছিল সাথে অনেক সংকীর্ণতা ছিল। তাই বলে একজনকে নিয়ে লিখতে গিয়ে অন্যদের প্রতি অবিচার করা বেইনসাফি। ইতিপূর্বে অনলাইনের একজন ইতিহাস গবেষক বইটির একটি বড় অংশ অনুমতি ছাড়াই তার লেখা থেকে নেয়া বলে দাবী করেছিলেন। সত্যি বলতে কি, সেই দাবী খুব একটা অযৌক্তিক ছিল না। যেহেতু বইটির দ্বিতীয় সংস্করণে রেফারেন্স হিসেবে Sultan Baibars and Mamluks নামক পেইজটিকে যুক্ত করা হয়েছে তাই এ বিষয়ে কিছু বলার নেই। নয়ত এই বিষয়টা নিন্দনীয় পর্যায়ে চলে যেত।

      By Mehedi Hassan

      31 Aug 2019 12:13 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      ভাল না লাগার কোন কারণ নেই। বইটি কেনার পর পড়ে শেষ করতে বেশি সময় লাগবে না।

      By Md Mazharul Islam

      16 Jan 2021 09:25 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      বইটির একটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় এসে মনে হলো শুধু শুধু টাকা নষ্ট করলাম। সুলতান কুতুজপর নিকট প্রেরিত হালাকু খানের চিঠি এই নিয়ে বিভিন্ন বই/ব্লগে অনেকবার পড়েছি। তাঁ ঔদ্ধত্যপূর্ণ চিঠি প্রায় মুখস্ত কিন্তু লেখক বইটিতে সম্পূর্ন ভিন্ন আঙ্গিকে চিঠিটির ভাষ্য তুলে ধরেছেন। লেখক হালাকুর চিঠিতে কোরআনের আয়াত সংযুক্ত করেছেন এছাড়াও হালাকু মসজিদ ভাঙ্গার যেই হুমকি দিয়েছিলো সেটাও গায়েব করে দিয়েছেন।হালাকুকে আল্লাহওয়ালা লোক হিসেবে উল্ল্যেখ করার চেষ্টা করা হয়েছে কেনো জানিনা। একটি ঐতিহাসিক চিঠির ভাষ্য অবশ্যই ১০০% সঠিক হওয়া উচিত।অন্য বইগুলোতে যদি চিঠিটি ভুল হয়ে থাকে তাহলে লেখক সঠিক দলিল দিবেন আশা করি

      By murad

      27 Oct 2017 02:13 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      মহান সেনাপতি রুকনুদ্দীন বাইবার্স (রহিমাহুল্লাহ)-কে নিয়ে লেখা বইটি। প্রিয় বইয়ের কাতারে ফেলতে এতটুকুই যথেষ্ট ছিল। কিন্তু বইটি সম্পর্কে কিছু কথা বলা দায়িত্ব মনে করছি। কারণ, আলোচনা-সমালোচনা থাকলেই শুদ্ধতা থাকে। বইটি বাইবার্স কেন্দ্রীক আবর্তিত হওয়াতে অন্যান্য অনেক মহান চরিত্রকেই তুচ্ছ করা হয়েছে। ইসলামী বইয়ের তাকমা লাগা কোন বই থেকে এটা আশা করি না। কারণ আমাদের নিকট মুখ্য দ্বীনের বিজয়।ব্যক্তি এখানে ওয়াসীলাহ মাত্র। ব্যক্তি বাইবার্স রহিমাহুল্লাহ ভুল করলেও আমরা অকপটে স্বীকার করে নিবো। দ্বীনের স্বার্থে, পরবর্তী প্রজন্মকে ভুল থেকে বাঁচানোর লক্ষে। বইটিতে সপ্তম ক্রুসেডের আল-মানসুরার যুদ্ধে বাইবার্স কে প্রধান ব্যক্তিত্ব বানিয়ে ফারিস উদ্দীন অকতাই রহিমাহুল্লাহর ভূমিকা বাদ দেয়া হয়েছে। এমনকি বইয়ে তার নামটুকুও উল্লেখ করা হয়নি। অথচ তিনিই ছিলেন সেই যুদ্ধের প্রধান সেনাপতি। বইয়ে বাইবার্সকে মামলূক সালতানাতের প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রথম সুলতান বলা হয়েছে। কিন্তু বাস্তবতা হল তিনি মূলত এই সালতানাতকে একটি শক্ত ভিত্তি দেন এবং তাকে তৃতীয় বা চতুর্থ সুলতান বলা যায়। তবে সবচেয়ে ভয়ানক এবং মর্ম পীড়াদায়ক ঘটনা ঘটেছে আইন জালুতের মহানায়ক মহান সেনাপতি সাইফুদ্দীন কুতয (রহিমাহুল্লাহ)-র মত দরবেশ ব্যক্তিত্বের প্রতি লেখকের অপরিণামদর্শী কলম চালনায়। বইটিতে তাকে যেভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে, ওয়াল্লাহি, সেটাকে জুলম ছাড়া আর কিছু বলা যায় না। লেখক লিখেছে আইন জালুতের যুদ্ধে সুলতান কুতুয না কি তার সেনাপতি বাইবার্সকে যুদ্ধে নামতে দিচ্ছিলেন না। যুদ্ধে নিজের দাপট খর্ব হওয়ার ভয়ে। অথচ ইতিহাস বলে, বাইবার্সকে যুদ্ধ করার জন্যই তিনি তাকে সিরিয়া থেকে আমন্ত্রণ করে নিয়ে এসেছিলেন। আইন জালুত মানেই সাইফুদ্দীন কুতয। আইন জালুত মানেই সাইফুদ্দীন কুতযের গগণ বিদারী হুংকার “ওয়া ইসলামাহ”। যুগে যুগে সংগ্রামী মুসলিমদের কানে বেঁজেছে এই ” ওয়া ইসলামাহ”। তৈরী হয়েছে গল্প-উপন্যাস। অনেকে বানিয়েছে মুভি-সিনেমা। সেই “ওয়া ইসলামাহ”-কে লেখক উপস্থাপন করেছে কুতুযের যুদ্ধ থেকে পালানোর কুটকৌশল হিসেবে। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রজিউন। মুসলিমদের চেতনার আকাশের একটি উজ্জল নক্ষত্র হল সাইফুদ্দীন কুতয। তারা তারিক বিন যিয়াদ, ইউসুফ বিন তাশফীনের পাশাপাশি স্বরণ করেন সাইফুদ্দীন কুতযকে। সেই কুতযকে লেখক উপস্থাপন করেছে একজন ক্ষমতা লোভী হিসেবে। যার কাছে না কি যুদ্ধ ক্ষেত্রে মুসলিমদের পতনের হাত থেকে রক্ষার চেয়েও ক্ষমতা বেশী গুরুত্বপূর্ণ।

    •  

    Recently Viewed


    Great offers, Direct to your inbox and stay one step ahead.
    • You can pay using


    JOIN US

    icon Download App

    Rokomari.com is now one of the leading e-commerce organizations in Bangladesh. It is indeed the biggest online bookshop or bookstore in Bangladesh that helps you save time and money. You can buy books online with a few clicks or a convenient phone call. With breathtaking discounts and offers you can buy anything from Bangla Upannash or English story books to academic, research or competitive exam books. Superfast cash on delivery service brings the products at your doorstep. Our customer support, return and replacement policies will surely add extra confidence in your online shopping experience. Happy Shopping with Rokomari.com!