User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
Very good
Was this review helpful to you?
or
বইয়ের নাম: নিষ্কৃতি লেখক: শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় শৈলজার আত্মসম্মান বোধ আমাকে বিমোহিত করেছে |নীরবতার মাধ্যমেও যে প্রতিবাদ করা যায় তার এক দৃষ্টান্ত দেখলাম | সিদ্বেশরী ও শৈলজার মধ্যেও এক শক্তিশালী বন্ধনও দেখা যায় | শৈলর অসাধারন ব্যক্তিত্ব সত্যিই মুগ্ধকর।উপন্যাস টা পড়ে আর একটা নতুন জিনিস শিখলাম,"অভাবে স্বভাব নষ্ট" এ কথাটা সবার জন্য প্রযোজ্য নয়। কিছু মানুষ তীব্র অভাবেও নিজের চরিত্রসঙ্খলন হতে দেয় না।
Was this review helpful to you?
or
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় এর প্রায় সব গল্পই আমার কাছে ভালো লাগে।ঠিক নিষ্কৃতি উপন্যাসটি পড়ে আরো ভালো লেগেছে।বাঙ্গালী গৃহবধূ কতটা পতিভক্ত ছিলো,কতটা স্বতী ছিলো,সন্তান বাৎসল ছিলো আর কতটা কর্মনিপূনা ছিলো তা এই উপ্নযাস এ পুরোপুরি ফুটে উঠেছে।এই উপঅন্যাস আমাকে কাঁদতে বাধ্য করেছে।
Was this review helpful to you?
or
বুক রিভিউ : নিষ্কৃতি
Was this review helpful to you?
or
#বই_নিষ্কৃতি #লেখক_শরৎচন্দ্র_চট্টোপাধ্যায় #প্রধান_চরিত্র_শৈল_সিদ্ধেশ্বরী_নয়নতারা ধরন - চিরায়ত উপন্যাস প্রকাশনায় - বিশ্বসাহিত্য ভবন মুদ্রিত মুল্য - ৮০ টাকা #উপমাঃ কামার যখন হাতিয়ার তৈরি করিবার জন্য লোহা কে আগুনে গরম করিয়া লয়, যাহারা লোহা গরম করিতে দেখে নাই তাহারা দেখিলে অবশ্যই আশ্চর্য হইবেন। কিন্তু কামার কখনই ইহা দেখিয়া আশ্চর্য হয় না। কেননা কামার ইহা ভালো করিয়াই জানেন লোহা গরম করিলে তাহার রঙ পরিবর্তন হয়। তখন লোহাকে পিটাইয়া যে কোন আকার ধারন করানোই সম্ভব, কারন লোহার যে নিজস্বতা বলিয়া কিছুই থাকেনা। এই কথা কেন উল্লেখ করিলাম বলিতে পারিবোনা, বই খানা শেষ হইবা মাত্রই কথা গুলি মনের মধ্যে বাসা বাধিয়াছিলো তাই লিখিয়া দিলাম। ইহার ভাবার্থ জিজ্ঞেস করিয়া লজ্জা দিবেন না। এখন একটু বই লইয়া আলোচনা করিবো। #বই_আলোচনাঃ সম্পূর্ণ বইখানাতে একটা পরিবার কে কেন্দ্র করিয়া আলোচনা করা হইয়াছে। তিন ভাইয়ের যৌথ সংসার গিরীশ, হরিশ ও রমেশ। গিরীশ এবং হরিশ আপন ভাই হইলেও রমেশ ছিলো তাহাদের খুরতুত ভাই। রমেশ গিরীশের সংসারেই থাকিত স্ত্রী, সন্তানদের লইয়া। কিন্তু আপন ভাইয়ের মতই অধিকার পাইতো রমেশ। তিন ভাইয়ের তিন স্ত্রী যথাক্রমে, সিদ্ধেশ্বরী,নয়নতারা ও শৈল। শৈল ছোট হইলেও সংসারের সমস্ত দায়িত্ব ছিলো তাহার উপরেই। কিন্তু হঠাৎ করিয়াই এই সুন্দর সংসারে এক চিরচেনা ঝড় আসিয়া সব কিছু ছিন্ন ভিন্ন করিয়া দিয়া যায়। যে শৈল কে শিশু বয়সে রমেশের সহিত বিবাহ দিয়া আনিয়া নিজ কন্যার ন্যায় বড় করিয়া তুলিয়াছিলো, নিজ সন্তান হইতে অধিক ভালোবাসিত সেই শৈলই আজ চক্ষুশুল হইয়া গেলো। ইহার কি হেতু? বাংলার চিরচেনা যৌথ পরিবার গুলির দিকে তাকাইলে এই যৌথ পরিবার সম্পর্কে একটা ধারনা পাওয়া যায়। সকলে একত্রে বাস করিয়া থাকে বিধায় এক একজন এক এক ধরনের হইয়া থাকে। কেহ হইয়া থাকে শান্ত প্রকৃতির আবার কেহ হইয়া থাকে কুটিল প্রকৃতির। তেমনি এক কুটিল চরিত্র হইলো নয়নতারা। সে বড়জা সিদ্ধেশ্বরী কে যে কি মন্ত্র শুনাইয়া দিলো যে কন্যা তুল্য শৈল কে স্বামী সন্তান লইয়া গৃহত্যাগ করিতে হইলো। স্বর্গ সুখ ছাড়িয়া অকুল সমুদ্রে ঝাপ দিয়া পড়িলো। অন্যদিকে গিরীশ বাবু রমেশ কে মন্দ বলিয়া জানিলেও শৈল কে খুব ভালোবাসিতেন। শৈলর ভাগ্য কি ফিরিবে? কি কারনেই বা সিদ্ধেশ্বরী শৈল কে ত্যাগ করিয়াছিলো? কি কারনেই বা নয়নতারা শৈল কে দেখিতে পারিতো না? ইত্যাদি অনেক প্রশ্নের উত্তর জানিতে বইখানা অবশ্যি পড়িতে হইবে। #উপলব্ধিঃ আমাদের বাড়িতে আম গাছ ছিলো না, কিন্তু ছোট বেলায় যে আম খাইতে বড্ড ইচ্ছা করিতো। কিন্ত নিজেদের গাছ না থাকিলে মন ভরিয়া কি আর খাওয়া যায়? তবে আমাদের মত যাহাদের আম গাছ ছিলো না তাহাদের জন্য ছিলো আমাদের এক চাচার বাড়ির আম গাছ। কিন্তু খুব সহজে তাহাতে ভাগ বশাইতে পারিতাম না। তাহাদের গাছের আম খাইতে হইলে অনেক কষ্ট সহ্য করিতে হইতো। কেহ আসিয়া বকা-ঝকা করিত, আবার কেহ লাঠি লইয়া মারিতে আসিতো, আবার কেহ বাড়িতে গিয়া আম্মুর কাছে গিয়া নালিশ করিয়া আসিতো। কিন্তু এখন যখন সেই বাড়িতেই যাই, বাড়ির দেখিয়া মন খারাপ হইয়া যায়। আগের মত বাড়িতে কেহ নাই, এখন দেখিবা মাত্রই আদর করিয়া গাছ হইতে পাকা আম পাড়িয়া খাওয়াইতে চায়। এক সময় যে বাড়িতে মানুষ ধরিত না এখন তাহা জনশূন্য প্রায়। ইহাই হয়তো মহা কালের সংকেত। অনেক আপন মানুষ ছিলো চোখের সামনেই তাহারা কেমন করিয়া যেন পর হইয়া গেলো। অনেক কাছের বন্ধু ছিলো কেমন করিয়া তাহারাও যেন দূরে চলিয়া গেলো। ইহা হয়তো প্রাকৃতিক। কিন্তু যখন এই বিচ্ছেদ মনুষ্য দ্বারা সৃষ্টি হয় তাহা মানিয়া লওয়া কঠিন হইয়া পরে। অপরের কথায় যাহারা আপন জনকে দূরে ঠেলিয়া দেয় তাহাদের ভবিষ্যত যে কি হইবে তাহা সময়ের সাথেই অনেকেই প্রত্যক্ষ করিয়া থাকে। তাই প্রকৃত আপন কে নিজ স্বার্থ বা অন্যের কথায় দূরে ঠেলিয়া দেওয়া মূর্খতা বৈ কিচ্ছু নয়। #সমালোচনাঃ শরৎচন্দ্র কে লইয়া সমালোচনা করিবার ক্ষমতা আমার নাই। তবু নিজ মতামত দুই কথায় তুলিয়া ধরিলাম। যেহেতু উপন্যাস সামাজিক প্রেক্ষাপট লইয়া হইয়া থাকে সেহেতু বাস্তবের সাথে মিল থাকা অত্যান্ত আবশ্যক। গল্পের পরিণতিতে গিয়া আমার ইহাই মনে হইয়াছে মানুষ কি এতটাই ভালো হইতে পারে? এখনো এই রকম তো দর্শন করিয়া উঠিতে পারি নাই। তাই ইহা মানিয়া লইতে একটু কষ্টই হইয়াছে। আর নয়, পরে দেখা যাইবে অনেকের ক্রোধের কারন হইয়া দারাইবো। #শরৎ_বাণী ১. একটা জিনিস হয়নি বলে কখনো হবেনা, তার মানে নেই। ২. লোভ একটা সংক্রামক ব্যাধি। ৩. স্বার্থের জন্য নিরীহ লোকের মনে সংশয়ের বীজ বপন করিলে যথাকালে তাহার ফল্ভোগ হইতে নিজেকেও দূরে রাখা যায় না। ৪. কোন একটা অভাব লইয়া তা সে যতই গুরুতর হউক, মানুষ অনন্তকাল শোক করিতে পারে না। বিঃ দ্রঃ যদিও বইখানা একটা পরিবার ভিত্তিক, কিন্তু যাহা শিখাইয়াছে তাহা সার্বজনীন। তাই ইহা হইতে নিজেকে বঞ্চিত না করাই উওম।