User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
সুন্দর লেখনী। বই এর পেজ কোয়ালিটিও অসম্ভব ভালো ছিল। পড়ার সময়টা উপভোগ করেছি।
Was this review helpful to you?
or
well
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ লেখনী। সমরেশের অন্নান্ন বই এর থেকে এর গল্পের গাঁথুনি অনেক মজবুত।
Was this review helpful to you?
or
রহস্যে ভরপুর একটা বই,,,রহস্য পছন্দকারীরা নিতে পারেন
Was this review helpful to you?
or
ভারতবর্ষের কাছাকাছি পাহাড়ি এক রাজ্যে ঘুরতে আসে এক নবদম্পতি। পৃথার জন্য শুধু ঘুরতে আসা হলেও স্বামী ডা স্বজনের ছিল অন্য উদ্দেশ্য। অন্য এক মিশন ! একনায়কতান্ত্রিক এই রাজ্যের জনগণের প্রিয় ও বিপ্লবী নেতা আকাশলালকে ঘিরে রচিত হয়েছে এই উপন্যাসের কাহিনী। হন্যে হয়ে খোঁজার পরেও পুলিশ ব্যার্থ হয় আকাশলালকে ধরতে। এ যেন এক লুকোচুরি খেলা। অতঃপর একদিন নিজেই পুলিশের কাছে ধরা দেয় আকাশলাল। পুলিশি হেফাজতে থাকাকালীন মৃত্যু হয় তার। জনগণ ক্ষেপে যাওয়ার ভয়ে রাতের নিকষ কালো আঁধারে কবর দেয়া হয় আকাশলালকে। কিন্তু সেই রাতেই চুরি হয়ে যায় আকাশলালের লাশ। হয়না কোনো আন্দোলন , হয়না কোনো বিপ্লব , আর খুঁজে পাওয়া যায় না আকাশলালের লাশকে। আট কুঠুরি নয় দরজা ভেদ করে অন্য এক জগতে প্রবেশ করে আকাশলাল। মরা লাশ যেন জিন্দা হয়ে আবার ফিরে আসে সবার মাঝে। কিন্তু এই পৃথিবী আর আগের পৃথিবী যেন এক নয়। কেউ আর স্বপ্ন দেখে না স্বাধীন হওয়ার, কেউ আর করেনা বিপ্লব। সেই পৃথিবীর এক কোণে বসে পুলিশ কমিশনার ভার্গিস যেন মেলাতেই পারছে না আট কুঠুরি নয় দরজা ভেদের রহস্য। কীভাবে সম্ভব!!! বিঃদ্রঃ মানবদেহের আটটি গ্রন্থির সাথে যুক্ত শরীরের নয়টি দ্বার যেগুলো নিয়ন্ত্রণ করে আমাদের স্নায়ুতন্ত্র। এটিকে রূপক অর্থে বলা হয়েছে আট কুঠুরি নয় দরজা।
Was this review helpful to you?
or
বিপ্লব!? নাকি বুর্জোয়া? দেশপ্রেম নাকি প্রতারণা? আকাশ লাল ও তার বিপ্লবের বীজে অঙ্কুরিত হওয়া চারাগুলো নিয়ে সাজানো একটি পলিটিক্যাল থ্রিলার। প্রত্যেকটি পৃষ্ঠায় থ্রিল অনুভব করেছি।
Was this review helpful to you?
or
☆☆☆☆
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগিতা #অক্টোবর : ১৪ বই : আট কুঠুরি নয় দরজা লেখক : সমরেশ মজুমদার ধরন : থ্রিলার মূল্য : ২৫০ টাকা ফ্ল্যাপ থেকে : এই দুর্দান্ত কৌতূহলকর থ্রিলারের পটভূমি ভারতবর্ষের কাছাকাছি এক পাহাড়ী রাজ্য। একনায়কতন্ত্রী শাসনব্যবস্থাধীন এই রাজ্যের স্বৈরাচারী শাসকের বিরুদ্ধে তলে-তলে চলতে থাকে বিপ্লব সংগঠনের প্রয়াস। আকাশলাল ছিল এই বিপ্লববাহিনীরই নেতা। প্রশাসনিক তৎপরতায় বিদ্রোহ দমিত হল; গা ঢাকা দিল আকাশলাল ও তার প্রধান সঙ্গীরা। পুলিশের জাল কেটে বেরুতে গিয়ে একে-একে নিহত হল আকাশলালের সঙ্গীরা। অবশেষে একদিন আকশলালও হল বন্দী। পুলিশী হেফাজতে আকস্মিক মৃত্যু ঘটে গেল আকাশলালের। সম্ভাব্য জনরোষ ও উত্তেজনা এড়াতে চুপিচুপি কবর দেওয়া হল তাকে। আশ্চর্য, কীভাবে যেন আবার একদিন ফিরে এল অমর বিপ্লবী আকাশলাল। কীভাবে? আট কুঠুরি ও নয় দরজার কী সেই অনন্য রহস্য যার সহায়তায় মৃত্যুকেও জয় করল আকাশলাল? তারপর? শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত দুরন্ত রহস্য-রোমাঞ্চ-উত্তেজনায় ভরপুর ‘আট কুঠুরি নয় দরজা’। সম্পূর্ণ মৌলিক, তবু যে-কোনও রুদ্ধশ্বাস বিদেশী থ্রিলারকেও হার মানায় সমরেশ মজুমদারের কীর্তিময় কলমের এই কাহিনী। পাঠ প্রতিক্রিয়া : পাঠ প্রতিক্রিয়া বলার আগে বলি, আপনারা কি "আট কুঠুরি নয় দরজা" কথাটির মানে জানেন? যারা পড়েছেন তারা জানেন। আর যারা জানেন না, তাদের জন্য বলি, আট কুঠুরি হল শরীরের আটটা গ্রন্থি। পিটুইটারি, থাইমাস, থাইরয়েড, প্যরা থাইরয়েড, এলড্রিনাল, প্যারোটিড, প্যাংক্রিয়াস, ওভারিস। এই শরীরটা বেঁচে আছে এই আটটি গ্রন্থির মধ্য দিয়ে হরমোন সিক্রিয়েশনের জন্য। আর এই আটটি গ্রন্থির সঙ্গে শরীরের নয়টি দ্বার যুক্ত। তিনতলা হল, মস্তিস্ক, কোমর থেকে শরীরের ঊর্ধ্বভাগ এবং নিম্নভাগ। নাক, কান, চোখ, মুখ ইত্যাদি নয়টা দ্বার এই তিনতলায় ছড়িয়ে আবদ্ধ , যা স্নায়ুশক্তির দ্বারা নিয়ন্ত্রন করা যায়। এইবার গল্পে আসা যাক। এই কাহিনী ভারত ও ভুটানের মধ্যস্থলের একটি দেশের মধ্যে। দেশটিতে স্বৈরশাসন চলছে। বোর্ড নামক এক সংস্থা নিজেদের মতো শাসন ব্যবস্থা জারি করে রেখেছে। সেখানকার সর্বময় ক্ষমতা মিনিষ্টার, পুলিশ কমিশনার ভার্গিস ও বোর্ডের হাতে। এই বোর্ডটির প্রধান আবার এক রহস্যময় মহিলা। তিনি সকলের কাছে ম্যাডাম নামে পরিচিত। তার সামান্য ইশারায় যার যা কিছু ইচ্ছে হয়ে যেতে পারে। যেহেতু স্বৈরশাসন, তাই পুলিশের অত্যাচার এখানে সর্বত্র বিরাজমান। এই অবস্থায় মানুষকে মুক্তি দিতে আবির্ভাব হয় এক বিপ্লবী নেতার। তার নাম আকাশলাল। দীর্ঘসময় ধরে সে দেশে বিপ্লব ঘটিয়ে সরকারের পতন ঘটাতে চাচ্ছে। তার প্রধান সঙ্গী হায়দার, ডেভিড ও ত্রিভুবন। এরা প্রত্যেকেই কোনো না কোনোভাবে সরকারের দ্বারা অত্যাচারিত হয়ে সব হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছিলেন। এদিকে আবার চমৎকার একটি বর্ণনা দিয়ে গল্প শুরু হয়েছে। স্বজন আর পৃথা স্বামী - স্ত্রী। খুব অল্পদিন বিয়ে হয়েছে তাদের। স্বজন পেশায় একজন ডাক্তার। কাজের চাপে ওদের হানিমুনে যাওয়ার সময় হয়নি তাদের। এর মধ্যেই এক বিশেষ কাজ পড়ে স্বজনের। শহর থেকে দূরে এক পাহাড়ি এলাকায়। স্বজন ভাবে এই ফাকে তাদের হানিমুনটাও সেরে নেয়া যাবে। কাজটাও হবে সাথে বেড়ানো টাও হয়ে যাবে। তাই নিজেদের লাল গাড়িটা সাথে নিয়ে বেরিয়ে পড়ে তারা। পৃথা অবশ্য কাজের কথা এখনো কিছু জানেনি। পথে ওদের একটা অ্যাকসিডেন্ট হয়ে যায়। গাড়ী খারাপ হয়ে পড়ায় জঙ্গলে থেমে যেতে হয় তাদের। সেখানে কিছুদূর গিয়ে একটা বাংলো দেখতে পায় তারা। সেখানে গিয়ে রাতটা কাটানোর জন্য আশ্রয় নিতেই এক ভয়াবহ ব্যাপার তারা আবিষ্কার করে। কয়েকদিনের পচা একটা লাশ পড়ে আছে সেখানে। শহরে ঢুকতেই পুলিশের হাতে পড়ে স্বজন ও পৃথা। অনেক ঝামেলার পর পুলিশের হাতে থেকে রেহাই পেলেও, এইবার তাদের ধরে নিয়ে যায় আকাশলাল। কিন্তু কেন? স্বজন কে দিয়ে কি করাবে তারা? আর আকাশলালের কি হবে? কোথায় গিয়ে থামবে তাদের বিপ্লব? অদ্ভুত রোমাঞ্চকর একটি বই " আট কুঠুরি নয় দরজা"। সমরেশ মজুমদার আরো অনেক রাজনৈতিক ঘরানার বই লিখেছেন। কিন্তু কোনটিই এই বইকে অতিক্রম করে যেতে পারেনি বলে মনে হয়। যারা যার পড়েননি শীঘ্রই পড়ে ফেলুন।
Was this review helpful to you?
or
#সপ্তর্ষি_রকমারি_বুকরিভিউ_প্রতিযোগিতা নাম : মোঃ শাহরিয়ার খান শিক্ষা প্রতিষ্ঠান : পাবনা জিলা স্কুল, পাবনা জেলা : পাবনা কন্টেন্ট বিভাগ : বুক রিভিউ বইয়ের নাম : আট কুঠুরি নয় দরজা বইয়ের লেখকের নাম : সমরেশ মজুমদার বইয়ের ধরণ : রোমাঞ্চকর উপন্যাস প্রকাশনী : আনন্দ প্রকাশনী বইয়ের পৃষ্ঠা সংখ্যা : ২৩২ নিজস্ব রেটিং : ৭.৫ / ১০ “ নতুন পথের যাত্রা পথিক চালাও অভিযান উচ্চকণ্ঠে উচ্চার আজ "মানুষ মহীয়ান!" “ — কাজী নজরুল ইসলাম [ অভিযান কবিতার অংশ বিশেষ ] এ কাহিনী পাহাড়ি কোনো শহরের এক দুর্ধর্ষ, শান্ত এবং চালাক চিতার। যদিও পাহাড়ি জঙ্গলে চিতার আবাস হতে পারে তবে এ এক মানুষরূপী চিতা। যে চিতা হিংস্র নয়, অধিকার আদায়ের তরে আঁচর দিতে ছাড়ে না। সমরেশ মজুমদার তাঁর লেখার দ্বারা দেশের মানুষের বিংশ শতাব্দীর শেষ প্রান্তের অন্তঃ সার শূন্য অবস্থা তুলে ধরতে চেষ্টা করেছেন। তারই ধারাবাহিকতার এক পরিণাম ' আট কুঠুরি নয় দরজা '। উপন্যাসটির নায়ক 'আকাশলাল' - কে লেখক চিতা সম্বোধন করেছেন বুলডগের চেহারার মতন পুলিশ কমিশনার সাহেবের দ্বারা। স্বজন, পৃথা এবং সোম বড় কোনো ভূমিকায় না থাকলেও উপন্যাসের শুরু এবং মোড় ঘুরানোর জন্য তাঁদের তিনজনের লেখকের বিশেষ প্রয়োজন ছিল। বুড়ো ডাক্তারকে আকাশলালের এই ঘটনার পুরোটা না হলেও বেশিরভাগে বেশ বড় এবং রহস্যময় অংশ হিসেবে ভূমিকায় রেখেছেন। মন্ত্রী খুবই সামান্য, একদমই ক্ষুদ্র অংশ ছিলেন কিন্তু, পুলিস কমিশনারের ঘাম ছুটিয়ে তবেই দম নিয়েছেন। হায়দার, ডেভিড ও ত্রিভুবন ছিল তিন বিশ্বস্ত, কাছের এবং সংগ্রামকে এগিয়ে নিয়ে যাবার মানুষ আকাশলালের এবং এদেরও কিছু সহযোগী ছিল, তাদের মধ্যে অন্যতম ছিল ত্রিভুবনের প্রেমী হেনা। আনীকা " The Mysterious Reporter " - এর ভূমিকায় লেখক তাঁকে চমৎকার কিছু সূত্র দেন।গোরস্থানের সেই হেলকি ভেলকি বুড়োর অযাচিত আচরণ মোড় ঘুরিয়েছে কিছুটা এবং কিছু মানুষের ক্ষতির কারণ। লেডি প্রধানের সেই বিশাল বাড়িটি একটি আশ্রয় কেন্দ্র বলা চলে। কুংলুর গ্রামের সেই বুড়ো লোকটির ভাইয়ের মেয়েকে সম্বল করে আরেকটু এগিয়েছে উপন্যাসটিকে লেখক। সর্বশেষে ম্যাডাম, যে সবচেয়ে বড় ক্ষমতার এবং দাবার রাণী বলা যেতে পারে, যার চলনে, বলনে রাজ্য চলে, সরকার চলে, বোর্ড চলে অর্থাৎ, জনগণ চলতে বাধ্য। এই পঁয়ত্রিশ অধ্যায়ের উপন্যাসটির প্রতিটি অধ্যায়ের সূচনা এবং সীমানা যেন সুঁই ফুটয়েছে। রোমহর্ষক প্রতিটি বাক্যের ভাবনা। চরিত্রের মধ্যে অবগাহন করতে হবে তা না হলে এ উদ্দীপনা পাবে না কেউ। কল্পনার সীমা যেন বৃহৎ করতে হবে আরো। নায়ক 'আকাশলাল' থেকে শুরু করে খলনায়ক ( মূলত খলনায়িকা ) 'ম্যাডাম', প্রতিটি চরিত্রের স্বাদ নিজের কল্পনা দ্বারা গ্রহণ করতে হবে, উপভোগ করতে হবে। তবে এ উপন্যাসে সব থেকে অল্প সময়ের উপস্থিতিতে সবচেয়ে মির্জাফরী ভূমিকায় ছিল আকাশলালের আপন চাচা। আকাশলাল এক স্বার্থপর বিপ্লবী নেতা, যার তিনজন বিশ্বস্ত মানুষ থাকলেও, ডেভিড সংকোচে ছিল কিন্তু, অন্য দু'জন ছিল বদ্ধপরিকর।স্বজন ও পৃথার সাহসের কদর করতে হবে। সোমের নির্বুদ্ধিতা তাকেই গ্রাস করেছে। ভার্গিস পাষাণ, বুদ্ধিমান হলেও সময়জ্ঞান ছিল না তার। বুড়ো ডাক্তার লোভ এবং হিংসার কারণে নিজের পায়ে নিজেই কুড়াল মেরেছেন। মন্ত্রী শুনতেই ভালো লাগে, মন্ত্রীর যেন কোনো দামই ছিল না কারোর কাছে এক ভার্গিস ছাড়া। লেডি প্রধান একজন সমাজসেবক এবং ধার্মিক মানুষ, তাঁকে অপরাধী ভাবতে মানুষ কিংবা, অপরাধীকে আশ্রয় দিলেও তা শুনতে আশ্চর্য হবার কথা সবার। গোরস্থানের বুড়ো মানুষটা যে কোন সময় কী করে তা বোঝা বড় দায় ! হেনা সত্যিই একটা হতভাগা, সব পেয়েও যেন পেল না কিছুই। আনীকা এক ভিন্নদেশী সাংবাদিক তবু সে এ দেশের প্রশাসনকে ভয় না পেয়ে দুর্দান্ত এক তদন্ত করেছে। সবচেয়ে ভয়াল ছিল আকাশলালের চাচা যাকে ভার্গিসের মতো পাষাণ্ড লোকও তিরস্কার করতে বাধে নি। আর সবচেয়ে সরল মনের চরিত্র হলো সেই ছোট্ট গ্রামের মেয়েটি। খলনায়ক ম্যাডাম তো তার আখের গুছিয়েছে সে কবাই কিন্তু, এই বিধবা যে এত রহস্যের ধারণকারী তা কে জানত ! মানুষের অধিকারের জন্য যারা লড়াই করে তারা অবশ্যই সম্মানের উপযোগী, তাদের হতে হয় স্বার্থহীন। তারা স্বার্থ দেখলে তাদের বিপ্লবী বলে না, নেতা বলা চলে না, ওরা তো জনগণের রক্তচোষা পিশাচ। মানুষ অধিকারের জন্য লড়াই করতে প্রস্তুত তবে তাদের নেতা কেন পুলিশে ধরা দিল ? কেন ইচ্ছা করে মারা গেল ? তারপর তার কী হলো ? তার সহযোগীদের কী হলো ? পুলিশ কমিশনার তো তাকে মেরে ফেলতে চায় নি তবে তারই বা কী হলো ? নাটের গুরু, যে করেছিল গদিতে বসার লোভের খেলা শুরু সেই বিধবা ক্ষমতাশালী ম্যাডামের কী হলো ? জনগণের কী হলো ? কেন লেডি প্রধানের বাড়ি আশ্রয় কেন্দ্র ? সোম " The Foolish Police Man " - এর কী হলো ? কেন হেনা কিছু পেল না, কেনই বা হায়দার, ডেভিড, ত্রিভুবনের মতো সাধারণ মানুষ আকাশলালের সাথী ? কী তাদের অতীত ? কেন এত রোমহর্ষক এবং রহস্যময় উপন্যাসটি ? কেন এই উপন্যাসের নাম ' আট কুঠুরি নয় দরজা ' তাও এক রহস্য ! শেষ পর্যন্ত আসলে কী ঘটল তা জানতে আপনাকে অবশ্যই অবশ্যই বইটি পড়তে হবে এবং খুঁজতে হবে কে আসল অপরাধী ? তাই এমন চমৎকার সব সাজানো কিন্তু, মিশ্রিত কাহিনীর বইটি পড়ে রহস্য উন্মোচন করুন। “ বইয়ের সাথে থাকুন, জ্ঞান আহোরণ করুন।” ©Shahriar Khan Argho
Was this review helpful to you?
or
নেপালে দীর্ঘদিন ধরে রাজতন্ত্র ছিল। রাজতন্ত্র বিলোপ করে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে মাওবাদী গেরিলারা দীর্ঘদিন আন্দোলন করছিল। ১৯৯৬ থেকে তাদের আন্দোলনে আনুমানিক ১৬,০০০ নেপালী মারা যায়। দীর্ঘ আন্দোলনের পর ২০০৬ সাল থেকে নেপালে গণতন্ত্র চলছে। রাজারা এখন আর ক্ষমতায় নাই। আট কুঠুরি নয় দরজা বইটা একটা থৃলার গল্প। কাহিনীর ব্যাকগ্রাউন্ড এর সাথে নেপাল পুরোপুরি মিলে যায়৷ সমরেশ মজুমদার বইয়ের মধ্যে 'নেপাল' নামটা কোথাও লিখেন নাই। বরং লিখেছেন - হিমালয়ের কাছাকাছি ভারত ও ভুটান ঘেষা একটা ছোট পাহাড়ী রাজ্য। ( স্পয়লার এলার্ট) গল্পের কাহিনী অনুযায়ী, একজন আন্ডারগ্রাউন্ড বিল্পবী নেতা, মিস্টার আকাশলাল কে গ্রেফতার করার জন্য সরকারী পুলিশ অনেক টাকা পুরষ্কার ঘোষণা করেছিল। একদিন আকাশলাল নিজেই এসে প্রকাশ্য সমাবেশে পুলিশের কাছে সারেন্ডার করে৷ পুলিশ তাকে নিয়ে যায় জেলখানায়। কয়েকঘন্টা পরেই জেলে তার মৃত্যু হয়। এদিকে, আকাশলালের বিপ্লবী বন্ধুরা তার ডেডবডি চুরি করে এনে তার মৃত দেহ আবার জটিল অপারেশনের মাধ্যমে জ্যান্ত করার চেষ্টা করে। প্লাস্টিক সার্জারি সহ বেশ কিছু চেঞ্জ করে আগের আকাশলাল কে বদলে নতুন চেহারা নতুন আইডেন্টিটি নিয়ে বিপ্লব করবে -- এটাই ছিল প্লান। কিন্তু সবকিছু প্লান মাফিক ঘটে না। অনেক কিছুই উল্টেপাল্টে যায়। একসময় সন্দেহ জাগে, ওরা কিসের জন্য এত বিপ্লব করছে? আল্টিমেট উদ্দেশ্য কি? দেশী কিংবা বিদেশী কেউ কি তাদের ইউজ করছে? নেপালের পলিটিকাল ব্যাকগ্রাউন্ড এর সাথে মিলিয়ে মিলিয়ে, একটুখানি গুগল করে করে বইটা পড়লে দারুন উপভোগ্য হবে।
Was this review helpful to you?
or
ভাল একটা বই অনেক ভাল লাগল
Was this review helpful to you?
or
বইটি সম্পর্কে অনেক বেশি প্রশংসা শুনে খুবই আগ্রহ নিয়ে শুরু করেছিলাম। শুরু থেকেই টানটান উত্তেজনা ছিল, এরপর কি হবে এটা জানার জন্য ব্যাকুল হয়ে ছিলাম। কিন্তু শেষটা কেন যেন আমার কাছে একেবারেই যুৎসই মনে হয়নি। ফিনিশিংটা একদম বাজে লেগেছে। আরো অনেক ভালো হতে পারত।