User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় এর লেখা সম্পর্কে নতুন করে কিছু বলার নেই।বাংলা সাহিত্যের সবসময়ের শ্রেষ্ঠ একজন লেখক বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তার প্রতিটি লেখায় তুলনা বিহীন ,অসাধারণ। অশনি সংকেত উপন্যাস এর ব্যাপ্তি ছোট হলেও এটি বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় এর শ্রেষ্ঠ উপন্যাস এর মধ্যে অন্যতম। এখানে বাংলার ভয়াবহ দুরবিক্ষের ভয়ংকর রুপ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রাভাব লেখক তুলে ধরেছেন আমাদের সামনে একটি গ্রামের একটি ব্রাহ্মণ পরিবারের মাধ্যমে। নতুন গা নামে এক গ্রামের এক ব্রাহ্মণ পরিবার। পরিবারের কর্তা গঙ্গাচরণ চক্কতি। নতুন গায়ে একি সাথে সে মাস্টার আবার পূজা পাঠ ও করে। কারন তারাই গ্রামে এক মাত্র উচ্চবর্ণ ব্রাহ্মণ।বাকিরা নিম্ন বর্ণ। ভালোই চলছিল গঙ্গাচরণ চক্ততির সংসার। এমন সুখ সচ্ছলতায় তারা বহু বছর দিন কাটায় নি। কিন্তু এক সময় শুরু হল দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধ। যে যুদ্ধের ঢেউ এসে একদিন গঙ্গাচরণ চক্কতির গায়েও লাগল। শুরু হল ধানের দাম বৃদ্ধি হওয়া থেকে। চার টাকা মনের ধান কিছু দিনের মধেই হল চব্বিশ টাকা মণ। ধানের দাম বাড়তে বাড়তে এমন পরযায়ে পৌছালো এক সময় যে আর ধান কিনে খাওয়া স্মভব নয়। সেই সাথে যাদের ঘরে কিছু হলেও ধান চাল ছিল তারা দুর্ভিক্ষের ভয়ে না খেয়ে থাকার ভয়ে একটু চাল ও কাউকে দেয়া দূরে থাক।বিক্রিও করলনা।এক সময় গ্রাম এর পর গ্রামেও আর চাল পাওয়া গেলো না। মানুষ ভাত খাওয়া ছেরে দিল। প্রথম প্রথম যাদের সামর্থ্য ছিল তারা কলাই খওয়া শুরু করল।যাদের সেই সামর্থ্য ও ছিল না।তারা কচু, মেটে আলু, জঙ্গুলে শাক এসব খাওয়া শুরু করল। কিন্তু এক সময় এসব ও শেষ হয়ে গেলে। তখন মানুষ গেঁড়ি গুগলি শামু্ক ঝিনুক খওয়া শুরু করল। তাও খাবার জুটাতে পারলনা। একসময় অনাহারে মানুষের মৃত্যু হওয়া শুরু করল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কারনে বাংলায় ঘটে যাওয়া এই দুর্ভিক্ষের বর্ণনা এতো স্বল্প আকারে এত চমৎকার ভাবে অন্য কোনো ঔপন্যাসিক মনে হয় দিতে পারেননি।পারবেন ও না।এ কারনেই বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় এর শ্রেষ্ঠ উপন্যাস এর মধ্যে এটি একটি