User login

Sing In with your email

Email Address
Password
Forgot Password?

Not Account Yet? Create Your Free Account

Send

Recipients:
Message:

Share to your friends

Copy link:

    Our Price:

    Regular Price:

    Shipping:Tk. 50

    • Size:
    • Color:
    QTY:

    প্রিয় ,

    সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
    মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?

    Please Login to Continue!

    Our User Product Reviews

    Share your query and ideas with us!

    Customer Reviews

      By Md. Alamgir Hossain

      12 Oct 2024 02:16 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      Good. Recommend to buy.

      By Alamin Shuvo

      22 May 2022 08:11 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      অসাধারণ

      By Mostofa Mahbub Ullah

      22 Mar 2022 03:20 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      চমৎকার লেখনী। বইটির প্রথম ভাগে আফগানিস্তান আক্রমণের শুরুর সময়টা উঠে এসেছে , মধ্য ভাগে আফগানিস্তানে লেখকের অনুপ্রবেশ ও সেখানের বন্দী জীবন এবং শেষ ভাগে মুক্তি ও ইসলামকে জানা।

      By Abid Hasan Rizve

      29 May 2021 07:34 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      best one

      By Arif Hasan Anik

      26 Dec 2020 08:47 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      boring story

      By Shahriar Fahim

      10 Dec 2020 01:13 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      Good

      By A. S. M. Mohibullah

      25 Sep 2020 09:23 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      ভাল।

      By Aman uddin

      24 Aug 2020 09:09 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      বই গুলা পড়ে অসম্ভব ভালো লেগেছে । এবং অনেক অজানা বিষয় সম্পর্কে জানতে পেরেছি।

      By Abu Tarek

      03 Aug 2020 11:21 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      ব‌ইটি পড়ে অনেক কিছু জানতে পেরেছি অনুবাদ এর ভাষা অনেক সহজ ছিলো ধন্যবাদ

      By Md. Mahfojur Rahman Sabuj

      28 Jun 2020 12:13 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      ইভন রিডলির বই পড়ে খুবই মজা পেলাম। পরবর্তী বই "টিকিট টু প্যারাডাইজ"- এর অনুবাদের অপেক্ষায় রইলাম।

      By MdRedwan

      01 Feb 2020 09:42 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      প্রথম কথাঃ বইটি এত বড় করার কোন বিশেষ কারণ দেখছি না।আসলে বইটি পড়ে মনে হচ্ছে, এটি লেখিকার মুসলমান হওয়ার পূর্বের কোন জীবন কাহিনী।দ্বিতীয় কথাঃ অনুবাদক ইসলামের বিধান সম্পর্কে একজন অজ্ঞ ব্যাক্তি কারণ উনি নিজের পক্ষ থেকে প্রতিবাদ করে কোন 'টিকা; বা কোন নতুন বিষয় সংযোজন করেন নি যে লেখিকা এ কথা গুলো ভুল বলেছেন।কারণ ইসলাম মেয়েদের অনেক বেশি স্বাধিনতা দিয়েছে যা কোন পশ্চিমা ব্যাক্তি স্বীকার করতে চান না।আর লেখিকাও একজন পশ্চিমা লোক, কেননা একজন নব মুসলিম ইসলাম সম্পর্কে আর কতটুকুই বা অবগত হতে পারে। তৃতীয় কথাঃ বইটি পড়ে কোন মানুষ তালেবান সম্পর্কে ভালো মন্তব্য করবে বলে মনে হয়না। এর অনুবাদ না করলেই বা আপনি কি এমন অপরাধী হয়ে যেতেন।এই বইটি অনুবাদ করার বিশেষ কোন কারণ আমার দৃষ্টিতে পড়ে না।এর চেয়ে অনেক ভালো বই আছে অনুবাদ করার। যতসম্ভব লেখিকা বইটি মুসলমান হওয়ার পূর্বে লিখেছিল।বিশেষকরে এ বইটিতে তালেবানদের ইসলামি হুকুমত সম্পর্কে ভালো ধারণা দেওয়া হয় নি।এবং এই বই পড়ে যতটুকু জানতে পারলাম বাস্তব কথা হলো লেখিকাএখন পর্যন্ত ইসলামি অনেক বিধান সম্পর্কে অজ্ঞ।

      By Nadimmoon

      12 Jan 2020 03:18 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      বইটা বেশ আগ্রহ নিয়েই পড়তে শুরু করেছিলাম। কিন্ত বেশি দূর আগাতে পারি নি। কেন? কারণ হল, পড়তে গিয়ে আমার মনে হচ্ছিল, লেখিকা নিজেও মনে হয় বাংলাতেই লিখেছেন ঘটনাখানা। অনুবাদ একটু বেশিই প্রাঞ্জল মনে। হচ্ছিল। ইংরেজি অনুবাদের সাথে যাদের । কম বেশি পরিচয় আছে তারা জানে । এতটা প্রাঞ্জল হওয়ার কথা না। তাই মূল ইংলিশ বই ডাউনলােড করে মিলিয়ে। দেখা শুরু করি। ব্যস, তাতেই চক্ষু। ছানাবড়া হয়ে যায়! মূল বইয়ের প্রথম অধ্যায়ের শিরােণাম "The Day That Changed The World" অথচ বাংলা করা হয়েছে "নাইন ইলেভেনের বিস্মৃতি"!! মজা এখানেই শেষ নয়, মূল একটু পড়ে দেখুন।বিস্মৃতি"!! মজা এখানেই শেষ নয়, মূল বইয়ের প্রথম প্যারা হল: "Tuesday 11 September should have been a really pleasant day for me. Although I started the day at the Sunday Express newsroom with six weeks' worth of expenses forms to fill in, I was expecting to have a fairly relaxing time." আর অনুবাদক সাহেব। লিখেছেন: "বুধবার। ১১ সেপ্টেম্বর ২০০১। অন্যান্য স্বাভাবিক দিনের তুলনায় এই দিনটির তাৎপর্য অন্যরকম। আগামী ছয় মাসের জন্য রসদপাতি। জোগাড়ের চিন্তা মাথায় থাকলেও মনে হচ্ছিল একটা শান্তিময় ভ্রমণ অপেক্ষা করছে।" Tuesday এর মানে যে মঙ্গলবার का on नित ना

      By Md.Azad

      06 Jan 2020 05:33 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      আলহামদুলিল্লাহ

      By Enamul Islam

      05 Jan 2020 09:15 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      ইন দ্য হ্যান্ড অব তালেবান অপ্রিয় বাস্তবতা হলো, তালেবান রা তাদের কুখ্যাতির বদলে বরং আমার সাথে সম্মান ও সৌজন্যমূলক আচরন করেছে। লোকগুলো চাইলেই বর্বর ও নিষ্ঠুর হতে পারতো। অথচ আমার সঙ্গে অমায়িক ব্যাবহার ই করেছে। সাংবাদিক সহকর্মীরা হয়তো এখনোই নিষ্ঠুর ও নির্মমতার গল্প ফেদে বসবে। ইন দ্যা হ্যান্ড অফ তালেবান!! আমার পড়া কোন বৃটিশ লেখকের প্রথম বই। এবং অসাধারন বইগুলোর একটি।

      By MD PIARUL ISLAM

      01 Jan 2020 08:08 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      মন্ত্রমুগ্ধের মতো পড়েছি, আসলেই অনবদ্য একটা জীবনী। লেখিকা যে সাহসিকতার মাধ্যমে সত্যকে বাস্তবে এনেছেন তা এক কথায় অসাধারন।

      By piyas arnab

      29 Dec 2019 08:51 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      এক কথায় অসাধারন। মন্ত্রমুগ্ধের মত বইটা শেষ করেছি। প্রতিটা ঘটনার বর্ননা এত ক্লিয়ার ছিল যে, পাঠক বইটা পড়ার সময় ভিজুয়ালাইজ করতে পারবে।

      By sayed hanzala

      04 Dec 2019 08:21 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      Good

      By Bayezid Hossain

      22 Nov 2019 09:33 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      খৃস্টান নারী সাংবাদিক ইভন রিডলি (Yvonne Ridley)। ২০০১ সালে আমেরিকার সন্ত্রাসবাদী যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর আফগানিস্তানে সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে তালেবানের হাতে বন্দী হয়েছিলেন এ নারী সাংবাদিক এবং পরবর্তীতে মুক্তি পেয়ে গ্রহণ করেছিলেন ইসলাম। শুধু তাই নয়, ইসলাম গ্রহণের পর তিনি হয়ে উঠেন ইসলামের একজন অকুতোভয় দায়ী। ‘ইন দ্য হ্যান্ড অব তালেবান’ তারই আত্মজীবনী গ্রন্থ। যেখানে তিনি টুইন টাওয়ার হামলা থেকে শুরু করে সংবাদ সংগ্রহের জন্য তার আফগান যাত্রা, ওয়ার অন টেরর, তালেবানের হাতে বন্দী হওয়া, মুক্তি, স্বদেশ প্রত্যাবর্তন এবং ইসলামে দীক্ষিত হওয়ার চমকপ্রদ কাহিনি বর্ণনা করেছেন নিঃশঙ্কোচে। ইউরোপ ও আমেরিকায় ইসলাম নিয়ে যে ভীতি ও শঙ্কা দিন দিন ঘৃণার জন্ম দিচ্ছে, কীভাবে পশ্চিমারা ইসলাম ও মুসলিমদের দোষী সাব্যস্ত করে পৃথিবীর সামনে উপস্থাপন করছে, নির্দোষ মানুষকে কীভাবে মানবতার শত্রু বলে চিহ্নিত করছে— তার এক নির্মোহ বয়ান এ গ্রন্থ।

      By Abir Hossain

      31 Oct 2019 12:33 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      darun

      By Mehedi Hasan

      26 Oct 2019 09:38 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      বই রিভিউ- ২০১৯, বইয়ের নামঃ ইন দ্য হ্যান্ড অব তালেবান, লেখকঃ ইভন রিডলি। বইয়ের ভালো রিভিউ আর নামের প্রতি আকর্ষিত হয়ে বইটি কিনেছিলাম। কিন্তু প্রকাশনীর রিভিউ এর সাথে অনেক কিছুই মিল ছিল না। বইটির লেখক পুরোপুরি মদ্যপ এক মহিলা চরিত্র ছিল। একজন সাংবাদিক যেভাবে জীবন যাপন করে ঠিক তেমনি। পরবর্তীতে কাজের জন্য পাকিস্থান যেতে হয়, সেখান থেকে আফগানিস্তান। তালেবান সম্পর্কে অনেক তথ্য উনি দিয়েছেন ঠিকি কিন্তু অনেক মন্তব্য মনগড়া মনে হয়েছে। এটা লেখকের ত্রুটি নাকি অনুবাদক ভুল করেছে বুঝতে পারছিলাম না। তবে অনুবাদের মান আরো বাড়াতে হবে। আরো মনোযোগী হয়ে অনুবাদ করতে হবে।

      By Kawsar Ahmed

      25 Oct 2019 10:10 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      ‘ইন দ্য হ্যান্ড অব তালেবান’ মূলত তার আত্মজীবনীর ২০০১ সালে আমেরিকার সন্ত্রাসবাদী যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর আফগানিস্তানে তালেবানের সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে একজন নারী সাংবাদিক অপহৃত হয়েছিলেন এবং পরবর্তীতে মুক্তি পেয়ে ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন তিনি। পুরো পশ্চিমাবিশ্বকে কাঁপিয়ে দিয়েছিলেন।

      By Sabbir

      09 Oct 2019 11:51 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      "ইন দ্য হ্যান্ড অব তালেবান" মনে আছে তালেবানের হাতে বন্দী সেই খৃস্টান নারী সাংবাদিকের কথা? ২০০১ সালে আমেরিকার সন্ত্রাসবাদী যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর আফগানিস্তানে তালেবানের সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে অপহৃত হয়েছিলেন এক নারী সাংবাদিক। মনে আছে সেই সাহসী নারীর কথা? পুরো পশ্চিমাবিশ্বকে যিনি কাঁপিয়ে দিয়েছিলেন তার আত্মজীবনী বয়ান করে। তার নাম ইভন রিডলি (Yvonne Ridley)। পশ্চিমাবিশ্বে যিনি এক বিস্ময়ের নাম! ‘ইন দ্য হ্যান্ড অব তালেবান’ তারই আত্মজীবনী গ্রন্থ। যেখানে তিনি টুইন টাওয়ার হামলা থেকে শুরু করে সংবাদ সংগ্রহের জন্য তার আফগান যাত্রা, ওয়ার অন টেরর, তালেবানের হাতে বন্দী হওয়া, মুক্তি, স্বদেশ প্রত্যাবর্তন এবং ইসলামে দীক্ষিত হওয়ার চমকপ্রদ কাহিনি বর্ণনা করেছেন নিঃশঙ্কোচে।

      By Alauddin

      02 Oct 2019 07:22 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      ইন দ্যা হ্যান্ড অব তালেবান। ইভান রিডলি। লেখিকা একজন সাবেক বৃটিশ সাংবাদিক। মুল বইটা যেহেতু আমার পড়া হয়নি, সেহেতু অনুবাদকৃত বইয়ের উপরই আমার রিভিউ। ৯/১১ এরপর পৃথিবীর সাংবাদিকেরা ঝাপিয়ে পরে আফগানিস্তানে। উদ্দেশ্য আসন্ন আমেরিকান হামলা সম্পর্কে তালিবানের বক্তব্য জানা। তাদেরই মধ্যে একজন হচ্ছেন ইভান রিডলি। যাকে তালেবানরা অপহরণ করে। অপহরণ করা অবস্থায় তার প্রতি তালেবানদের করা আচরণ বইটিতে ফুটে উঠেছে। তালিবান তাকে ইসলাম গ্রহণের আমন্ত্রণ জানায়। কিন্তু সে ইসলাম গ্রহণ করেনি। সে কথা দেয় মুক্তি পেলে কুরআন পড়ে দেখবে। অতঃপর সে কুরআন পড়ে এবং কুরআনের মুজিজায় অভিভুত হয়ে ইসলাম গ্রহণ করে।

      By Mehedi Hassan

      31 Aug 2019 12:12 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      লেখক মূলকাহিনী থেকে স্মূতিচারণ বেশি করছে।

      By Bibi Rasheda Afrin Rumi

      03 Dec 2017 03:18 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      #রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগিতাঃ #ডিসেম্বরঃ (৪) বইঃ ইন দ্য হ্যান্ড অন তালেবান। মূলঃ ইভন রিডলি। অনুবাদঃ আবরার হামীম। প্রকাশনীঃ নবপ্রকাশ। প্রকাশকালঃ মে ২০১৭ ধরনঃ আত্মজীবনী পৃষ্ঠাঃ ২৫৩ রকমারি মূল্যঃ ২৪০ লেখক পরিচিতিঃ বইটির ধরণ যেহেতু আত্মজীবনী,তাই একটু লেখক পরিচিতি যোগ করলাম। ১৯৫৮সালের ২৩ এপ্রিল ইংল্যান্ডে ইভন রিডলির জন্ম।তিন বোনের মধ্য রিডলি ছোট।রিডলি পেশায় একজন সাংবাদিক।ছোটবেলা থেকেই সংবাদ ও সাংবাদিকতা ছিল তাঁর ধ্যানজ্ঞান। সাংবাদিকতা তার নেশার মতো ছিল।যার ফলে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন সংবাদপত্র ও নিউজ চ্যানেলে চাকরি করেছেন এবং নিউজ যোগাড় করতে চষে বেড়িয়েছেন দেশ বিদেশের নানান জায়গায়।২০০১সালে টুইন টাওয়ার হামলার পর আফগানিস্তানে অনুপ্রবেশের চেষ্টাকালে তিনি তালেবানদের হাতে বন্দি হন।দশদিন পর তারা তাকে নিঃশর্তে মুক্তি দেয়।২০০৩সালে রিডলি ইসলাম গ্রহণ করেন।২০১৪সালে তিনি ব্রিটিশ মুসলিম অ্যাওয়ার্ড লাভ করেন। রিভিউঃ বইটি এক অর্থে ইভন রিডলির আত্মজীবনী নয়,আবার অন্য অর্থে এটা তার আত্মজীবনীর অসামান্য দলীল। ২০০১সালে টুইন টাওয়ার হামলা হলে এর পিছনে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের হাত রয়েছে বলে সন্দেহ করা হয়।নিজের নিউজ চ্যানেলের সংবাদ সংগ্রহের জন্য রিডলির বস জিম তাকে পাকিস্তান পাঠায়।রিডলি ইসলামাবাদ যায় এবং সেখান থেকে আফগানিস্তান অনুপ্রবেশ করে।প্রবল নারীবাদী রিডলি আফগানিস্তানে নারীদের দূরাবস্থা দেখে প্রতিবেদন করার তৈরি করার জন্য জালাবাদ যান এবং ফিরে আসার সময় তালেবানদের হাতে বন্দি হন।তিনি প্রায় দশদিন তাদের হাতে বন্দি ছিলেন।অসম্ভব হলেও সত্যি যে,বন্দি রিডলির উপর তালেবানরা কোন শারীরিক বা মানসিক নির্যাতন করেনি।২০০৩সালে রিডলি ইসলাম গ্রহণ করলে হইচই পড়ে যায়।অনেকে তাকে স্টোকহোম সিনড্রোমে আক্রান্ত বলে ঘোষণা করেন।কিন্তু রিডলি তা নাকচ করে দেয়,বলে দীর্ঘ ৩বছর পর তা সম্ভব নয়।তিনি জানান যে,তালেবানদের মহানুভবতা নয় বরং ইসলামের বক্তব্য,শান্তির বাণী আর ইসলামে নারীদের মর্যাদায় তাকে টেনে এনেছে আলোর পথে। পাঠপ্রতিক্রিয়াঃ এই বইয়ের কোথাও রিডলির ইসলাম গ্রহণ সম্পর্কে উল্লেখ নেই বা তালেবানদের নিয়ে কোন উচ্চ প্রশংসা নেই।২০০১ সালে ১১সেপ্টেম্বর বুধবার টুইন টাওয়ার হামলার দিন থেকে শুরু করে তালেবানদের হাতে বন্দি,দশদিন পর মুক্তিলাভ এবং বন্দি পরবর্তী কিছু সময়ের প্রতিটি মুহূর্ত ও ঘটনা খুব নিখুঁত ভাবে বর্ণনা করা হয়েছে।অনুবাদ একদম সাবলীল ও প্রাঞ্জল।পড়ার সময় মনেই হয়নি অনুবাদ পড়ছি।বইটি পড়ে তালেবানদের জীবন ব্যবস্থা ও বন্দিদেরর অবস্থা সম্পর্কে নিখুঁতভাবে বর্ণনা করা হয়েছে।লেখিকার নিজস্ব বয়ানে সুন্দরভাবে ফুটে উঠেছে পুরো কাহিনী।আমার অনেক ভালো লেগেছে। রেটিং: ৫/৫

      By Hmd jakaria ferdous

      18 Nov 2017 10:33 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      The book is really excellent.

      By murad

      27 Oct 2017 02:16 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      “ওরা আমার সঙ্গে সম্মানসূচক ব্যবহার করেছে। এই কথা হয়তো অনেকেরই পছন্দ হবে না, তবে অপ্রিয় হলেও সত্যটা আমাকে বলতেই হবে।”এভাবেই নিজের বন্দিজীবনের অভিজ্ঞতার কথা বলছিলেন ইভন রিডিলি। তিনি তালেবানের হাতে বন্দী হয়েছিলেন ২০০১ এর দিকে, বইটিও সেইসময়কার যখন তার মন মস্তিষ্ক জুড়ে সেক্যুলারিজম পুরোপুরি গেঁথে ছিল। বন্দিজীবনে কেন তার সাথে ভালো আচরণ করা হয়েছিল এর কোন সদুত্তর তিনি দিতে পারেন নি, বারবার তাদের সেই বদান্যতার কথা আসলেই তিনি একপ্রকার চেপে চলে যেতেন বিষয়টি কিংবা অগত্যা কিছুটা স্বীকার করতেন।বইটি থ্রিলার পাঠকদের জন্যে একেবারেই উপযুক্ত হবে, তবে পার্থক্য এই যে থ্রিলার হয় কিছু বানোয়াট কাহিনী দিয়ে কিন্তু বইটিতে উঠে এসেছে নিজের জীবনের কিছু বাস্তব সত্য সহকারে। পাঠকমাত্রই এই বইটি পাঠে রোমাঞ্চিত হয়ে উঠবেন, তিনিও ইভনের সঙ্গী হয়ে চলে যাবেন আফগানের বন্ধুর এবড়োথেবড়ো পথে এক অনুপ্রবেশকারী হয়ে। আফগানের সৌন্দর্যে বিমুগ্ধ হয়ে পাঠকও লেখিকার সাথে সমস্বরে বলে উঠবেন, ‘ভ্রমণ করতে গিয়ে পৃথিবীর অনেক দেশ আর শহরের প্রেমে পড়েছি কিন্তু বুনো প্রাকৃতিক আর দুর্ধর্ষ আফগান হৃদয় চুরি করেছে আমার।’এতে পাঠক শুধু আফগানের ‘তালিবদে’র কথাই খুঁজে পাবেন না, খুঁজে পাবেন ইভনের জীবনের বিভিন্ন দিক। তার তিনটি বিয়ে, একমাত্র মেয়েটি তিনস্বামী ব্যতীত অন্য আরেকজনের হওয়া, মেয়ের সঙ্গে মায়ের এক নিবিড় সম্পর্ক। উঠে এসেছে তালেবানের কাছে তার দশদিনের বন্দিজীবন, তাদের সাথে তার অভদ্রোচিত আচরণ প্রতিদানে প্রত্যেকটি বার শুধু মিষ্টি মধুর একটি হাসি, অতঃপর সেখান থেকে মুক্তিলাভ।পাঠক বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব খুঁজে পাবেন বইটিতে, বলা হয়েছে কিজন্য তাকে সেখান থেকে মুক্তি দেওয়া হল, কেনইবা তাকে আমেরিকা কতৃক টোপ হিসেবে ব্যবহার করা হলো ইত্যাদি।

      By Abraham Ahmed

      09 Aug 2021 03:03 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      অনুবাদকে অনেক ধন্যবাদ যে এতো সুন্দর এবং তথ্যপূর্ন একটি বই অনুবাদ করে আমাদের সাঝে পৌছানোর। অনেক অজানা তথ্যও জানতে পারলাম বইটি পরে।

      By rafkan

      31 Jul 2021 03:54 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      খুব ইন্টারেস্টিং বিষয়বস্তু,কৌতুহল ও আগ্রহ উদ্রেককারী প্রসঙ্গ। লেখিকার নিজ অভিজ্ঞতা গুলো গল্পের চেয়েও বর্নিল নিঃসন্দেহে। তবে,অনুবাদের দিক দিয়ে আমাদের দেশের দৈন্যতা কবে ঘুচবে.. কে জানে! বাংলাভাষায় অনুবাদে মূল লেখার সাবলীলতা আনা কি এতই কস্ট?!!

      By Farid Uddin

      22 Mar 2021 01:43 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      মঙ্গলবার, ১১ই সেপ্টেম্বর ২০০১। আট দশটা দিনের মতই ডেইলি এক্সপ্রেস এর নিউজ রুমে কাজ করছেন ইভন রিডলী। সহকর্মীরাও যে যার মত কাজ করছে কিছুক্ষণ পর দেখলেন, টিভি'র সামনে সহকর্মীদের ভিড় বাড়ছে, টিভিতে চোখ বুলাতেই দেখলেন এক ধ্বংসস্তূপ খেলা! বোস্টন বিমান বন্দর থেকে উড়ে আসা দুটি বিমান পরপর হামলক চালায় টুইন টাওয়ারে মধ্যে। মুহূর্তে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয় টুইন টাওয়ারের আশপাশ। এই হামলার রহস্য উদঘাটন করতে মরিয়া সাংবাদিকরা যে যার মত করে নিউজ কাভার করতে ছুটে যান। ইভন রিডলীও আমেরিকা যাওয়ার প্রস্তুতি নেন কিন্তু এর মধ্যেই আমেরিকার সরকার সকল ভিসা বন্ধ করে দেন। কাউকে ভেতরে প্রবেশ করতে দিচ্ছে না কাউকে বের হতেও দিচ্ছে না। রাষ্ট্রীয়ভাবে এই হামলার দায় চাপানো হয় তালেবান, আল কায়েদাদের উপর। ডেইলি এক্সপ্রেস এর বার্তা কক্ষ থেকে তাকে বার্তা পাঠায় চারদিক থেকে পূর্বাভাস শুনা যাচ্ছে আমেরিকা আফগানিস্তানে হামলা চালাবে তাই সেখানে পৌঁছাতে গোপন নিউজ কাভার করতে। তিনি ফন্দি বের করলেন, কিভাবে আফগানিস্তানে যাওয়া যায়। উপায় বের করলেন, বোরকা পরে ছদ্মবেশে পাকিস্তান সীমানা দিয়ে যাবেন। যথারীতি তাই করলেন। কিন্তু সীমান্ত পার হতেই ধরা পড়লেন তালেবানদের হাতে! বিশ্ব মিডিয়া, খবরে চাপানো হলো ইভন রিডলীকে নির্যাতন করা হচ্ছে, ধর্ষণ করছে তালেবানরা, কোন কোন খবরে তো তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে ছাপানো হলো! কিন্তু আসলে কি ঘটেছে সেসময় জানতে পড়তে হবে বইটি। তালেবানদের হাত বন্দি থাকা সময়গুলোর অভিজ্ঞতা নিয়ে লিখে ফেললেন যুগান্তকারী বই 'ইন দ্য হ্যান্ড অব তালেবান' এর অল্প কিছুদিনের মাথায় তিনি ইসলাম ধর্ম গ্রহন করে ফেলছেন। তার তিনি হয়ে গেলেন, পশ্চিমা মিডিয়ায় সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দু! তিনি নিরঙ্কুশ কণ্ঠে জানিয়ে দিলেন, আমি জেনে বুঝে ইসলাম গ্রহণ করেছি। ইসলাম সত্য এবং সঠিক ধর্ম। বই : ইন দ্য হ্যান্ড অব তালেবান লেখক : ইভন রিডলি অনুবাদ: আবরার হামিম #In_The_Hand_Of_Taliban_by_Yvonne_Ridley #In_The_Hand_Of_Taliban #Yvonne_Ridley_Convert_to_Muslim #In_The_Hand_Of_Taliban_Abrar_Hamim #In_The_Hand_Of_Taliban_Naboprokash #ইন_দ্য_হ্যান্ড_অব_তালেবান_ইভন_রিডলি #ইন_দ্য_হ্যান্ড_অব_তালেবান_নবপ্রকাশ #ইন_দ্য_হ্যান্ড_অব_তালেবান_আবরার_হামিম #Yvonneridley #ইভনরিডলি #Yvonne_ridley_Journalist

      By Md. Sakib Mahmud Khan

      03 Nov 2019 06:27 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      আলহামদুলিল্লাহ্ অসাধারন বই

      By Shawon Shafi

      05 Aug 2017 02:54 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      ইভান রিডলি পেশায় একজন সাংবাদিক ছিলেন। শুধু সাংবাদিক বললে আবার ঠিকভাবে বলাও হয় না। সাংবাদিকতা ছিল তার কাছে নেশার মতো। হাসিখুশি প্রাণোচ্ছল উদ্যমি এক মেয়ে। অথচ কি তার সাহসিকতা আর কাজের প্রতি একগ্রতা! বিস্ময়কর! সবার আগে সংবাদ সংগ্রহের জন্য ছুটে বেড়িয়েছেন পৃথিবীর নানা প্রান্ত। কখনো রুক্ষ মরুময় আরব প্রান্তর আবার কখনো বা আলোকজ্জ্বল পশ্চিমা শহরে। ঝুঁকি নিতে কখনো কার্পন্য করতেন না। ঘুরে বেড়াতে ভালবাসতেন। স্বপ্নের মত জীবন ইভান রিডলির, সেলুলয়েডের ফিতাকেও হার মানিয়ে দেয়। “In The Hand Of Taliban” বইটি প্রথম দেখি সাদী ভাইয়ের ভাষায়। হাতে নিয়ে পড়া শুরু করি, সেদিন কাজের জন্য চলে যেতে হল- বইটা আর পড়া শেষ হল না। তবে ইভান রিডলি নামটা মনে গেঁথে রইলো। পাকাপোক্ত ভাবে এখানেই চলে আসলাম কিছুদিন পর। আবার বইটা হাতে নিলাম- দু দিনেই পড়া শেষ হয়ে গেল। এই দুই দিন যেন একটা ঘোরের মধ্যে ছিলাম, ইভান রিডলির পাশে ছিলাম। কখনো কখনো মনে হয়েছে আমি তার প্রেমিক। ভীষন স্বাধীনচেতা নারী প্রেম তাকে ওভাবে বেঁধে রাখতে পারেনি। না আমি, না কর্নেল দাউদ জারোরা, কেউ নয়। বইটার শুরুই এমন “ বুধবার। ১১ সেপ্টেম্বর ২০০১। অন্যান্য স্বাভাবিক দিনের তুলনায় এই দিনটির তাৎপর্য অন্যরকম। আগামী ছয় মাসের জন্য রসদপাতি যোগাড়ের চিন্তা মাথায় থাকলেও মনে হচ্ছিল একটা শান্তিময় ভ্রমন অপেক্ষা করছে।” বুঝতেই পারছেন? তবে ভ্রমন আর শান্তিময় কোথায় হল? তারিখটা কি পরিচিত মনে হচ্ছে? হ্যাঁ, মানব ইতিহাসে আরও একটি কলঙ্কময় দিন। টুইন টাউয়ারে আত্মঘাতি বিমান হামলা। রিডলি সংবাদ সংগ্রহের জন্য চলে যান পাকিস্তান। পাকিস্তান থেকে আফগান নারীর ছদ্মবেশে খাইবার পাস হয়ে সীমানা পেরিয়ে আফগানিস্তানে। নানা চড়াই উতরায় পেরিয়ে ফিরে আসার সময় তালেবানদের হাতে বন্দী হন। দিন দশেক বন্দী থাকার পর মুক্তও হয়ে যান। “In The Hand Of Taliban” আমার প্রিয় বইগুলোর একটি আর ইভান রিডলি আমার প্রিয় মানুষের একজন। বইটা সবারই পড়া উচিত।

      By Pie

      18 Oct 2019 09:40 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      বই. ইন দ্য হ্যান্ড অব তালেবান (মুহাব্বতের মোড়কে বিদ্বেষ) . ইন দ্য হ্যান্ড অব তালেবান-- বৃটিশ নারী সাংবাদিক ইভন রিডলির লেখা বই। ৯/১১ পরবর্তীকালে রিডলি আফগানিস্তানে গিয়ে তালেবানদের হাতে দশদিন বন্দি থাকেন। দশদিনের বন্দিজীবনের অভিজ্ঞতা ও আফগানিস্তান নিয়ে তার চিন্তা নিয়ে লেখেন ইন দ্য হ্যান্ড তালেবান। . ফ্ল্যাপে লেখা, ইভন রিডলি পশ্চিমে মুসলিমদের একজন অচেনা অভিভাবকের মতোই। দশদিন কাছ থেকে তালেবানদের জীবনযাপন দেখে ইসলামের প্রতি আকৃষ্ট হয়েছেন। . বইটার নাম আর ফ্ল্যাপে প্রকাশকের পক্ষ থেকে দেওয়া মন্তব্য দেখলে যেকোনো মানুষ বইটার প্রতি আগ্রহ বোধ করবেন এই ভেবে যে, বইতে তালেবানদের উত্তম আখলাকের এক বড় ফিরিস্তি জানা হবে। কিন্তু বাস্তবতা হলো, পুরো বইতে তালেবান বিদ্বেষ আর ইসলাম গ্রহণের পূর্বে এক খ্রিষ্টান নারীর মদ্যপ জীবনের কাহিনি ছাড়া আর তেমন কিছুই নেই। সত্যি কি তাই? এই প্রশ্নের উত্তরের আগে বই সম্পর্কে অনুবাদকের অনুভূতি জেনে নেওয়া দরকার। অনুবাদক "কৈফিয়ত" শিরোনামে লেখেন, . "ইন দ্য হ্যান্ড অব তালেবান-এর নাম যখন থেকে শুনেছি তখন থেকেই ইচ্ছা ছিলো বইটি পড়ার। যখন পড়তে পারলাম তখন মনে হলো, এ বইটি বাংলাভাষী পাঠকের পাঠসম্ভারে যুক্ত করতে না পারলে একজন মুসলিম হিসেবে নিজের কাছেই অপরাধী হয়ে থাকবো। সেই প্রেরণা থেকেই বইটি অনুবাদ.......।" . এই হলো অনুবাদকের তালেবান বিদ্বেষ নিয়ে ভরপুর এক বই সম্পর্কে আবেগ! আর আমার মন্তব্য হলো, যেকোনো পাঠক বইটা পড়ার পর মনে হবে, বইটা অনুবাদ করে অনুবাদক একজন মুসলিম হিসেবে অপরাধ করেছেন। . . বই সম্পর্কে : . বইটা পড়ে যতটুকু বুঝেছি বইটা লেখিকার ইসলাম গ্রহণের পূর্বে লেখা। কারণ, কোনো মুসলিমের পক্ষে সম্ভব নয় নিজের মদ খাওয়ার জীবন সম্পর্কে এত চমকপ্রদ বর্ণনা করবে। বই কিনলেন তালেবান সম্পর্কে জানতে আর পড়া শুরু করার পর ১০০ শ পৃষ্ঠা পর্যন্ত এক নারীর মদ্যপ জীবন এবং বিভিন্ন পুরুষের সাথে কাটানো বিবাহ বহির্ভূত জীবনের 'আকর্ষণীয়' বর্ণনা। অদ্ভুত না! অথচ, ভাবতে অবাক লাগছে-- এইরকম বই অনুবাদ না হলে মুসলিম হিসেবে অনুবাদক নিজেকে অপরাধী ভেবে বসে আছেন! . বই সম্পর্কে প্রকাশকের পক্ষ থেকে ফ্ল্যাপে যে মন্তব্য জুড়ে দেওয়া হয়েছে, তা দেখলে যেকোনো মানুষ ভেবে নেবেন-- তালেবানদের উত্তম আচরণেই লেখিকা ইসলাম গ্রহণ করেছেন। অথচ, পাঠ শেষে পাঠক এই বক্তব্যের সাথে স্পষ্ট দ্বিমত করতে বাধ্য হবেন। কেননা, পুরো বইতে লেখিকা আগাগোড়া শুধু তালেবান-বিদ্বেষই ঝেড়েছেন। ভালো কোনো মন্তব্য করেননি। বরং, তালেবান কেন নারীদেরকে শরয়ি পর্দার ভেতর রাখে, কেন বহিরাগত অমুসলিমদের ক্ষেত্রে কঠোরতা অবলম্বন করে, এইসব বিষয় একজন অজ্ঞ অমুসলিমের বিদ্বেষী চোখ দিয়ে দেখেছেন। সেসবের বর্ণনাও দিয়েছেন বেশ রাখঢাকবিহীন, নগ্নভাবে। পাতায়-পাতায় বপন করা হয়েছে ভুল ও স্থুল চিন্তার বীজ। অসতর্ক পাঠকের মনে যা তৈরি করবে এক ভুল চিত্র। ইসলাম ও ইসলামি শাসন এবং আফগানের তৎকালীন তালেবান-শাসন সম্পর্কে যারা জানেন, তারা বিষয়টি ভালোভাবে অনুধাবন করতে পারবেন। অবশ্য যারা পশ্চাদপদ ইসলামকে আধুনিকায়নের ব্রত নিয়ে মডারেট চিন্তা লালন করেন, তাদের কথা ভিন্ন। . পুরো বইতে তালেবান সম্পর্কে কত জঘন্য ও নগ্ন মন্তব্য করা হয়েছে তার একটা সংক্ষিপ্ত নমুনা এখানে দিচ্ছি। . মোল্লা ওমর নিয়ে মন্তব্য : রিডলি লেখেন, "সেদিন সন্ধ্যাতেই মোল্লা ওমর নতুন এক আইন জারি করেন। বিদেশিদের কোনো ধরনের সহায়তা বা তথ্য প্রদানের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। ব্যাটা নিশ্চয়ই প্রতিদিনই নতুন নতুন আইন প্রণয়নের চিন্তা করে।" পৃ.১০০ . "মোল্লা ওমর কি এসব গোপন যোগাযোগ নিষিদ্ধ করেছেন? সেক্ষেত্রে আমার কী হবে? আমার বন্দিত্বের মাঝেই হয়তো সে আবার উদ্ভট কোনো আইন জারি করেছে। নারীরা বাইরে খেতে বা বনভোজনে যেতে পারবে না এবং খেতে পারবে না। যদি না তাদের জন্য কোনো তাবু টাঙানো হয়, যেখানে তারা পুরুষের চোখের আড়ালে থেকে খাওয়াদাওয়া করতে পারবে। যত্তসব অনর্থক বকোয়াজ।" পৃ. ১৮০-১৮১। . . তালেবানদের সম্পর্কে লেখিকার মন্তব্য : . তালেবানদের সম্পর্কে রিডলি লেখেন, "প্রত্যেক মানুষের জীবনের একটা লক্ষ্য থাকতে হয়। দিতে হয় এগিয়ে চলার প্রেরণা। তালেবানরা কেন এদের (আফগানীদের) সহজ করে নিশ্বাস নিতে দিচ্ছে না? অবশ্যই আন্দোলনের শুরুটা ছিলো মহৎ উদ্যোগে। কিন্তু কোনো না কোনোভাবে এরা পথভ্রষ্ট হয়েছে।" পৃ. ১১৬ . (ব্যাপারটা মজার নাকি আফসোসের, দ্বিধায় আছি। একজন ইসলামবিদ্বেষী অমুসলিম জানাচ্ছে একটি মুসলিম গোষ্ঠীর পথভ্রষ্টতার কথা!) . . তালেবানদের নারীভাবনা সম্পর্কে বিষোদ্গার : . ১৯৯৬ পরবর্তী আফগান সম্পর্কে যারা জানেন তারা জেনে থাকবেন, তালেবানশাসিত আফগানিস্তান ছিল একটি ইসলামি শাসনব্যবস্থা। শতভাগ ইসলামি শাসন ছিল কি না, ইসলামি খেলাফত বলা যাবে কি না-- এইসব বিষয় বাদ দিয়ে শুধু শাসনব্যবস্থার ইতিহাস দেখলে একথা স্পষ্ট হয়ে যায় যে, তালেবান সর্বক্ষেত্রে ইসলামি অনুশাসন বাস্তবায়ন করার সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়েছে। সেই হিসেবে আফগান নারীদের ক্ষেত্রেও তারা ইসলামের অনুশাসন শতভাগ প্রয়োগ করার চেষ্টা করেছে। ইসলামি অনুশাসন শতভাগ আপনি মানতে না পারলেও, একজন মুসলিম হিসেবে একে অস্বীকার কিংবা ব্যাঙ্গ করার অধিকার ইসলাম আপনাকে দেয়নি। ফলে, আফগান কিংবা পৃথিবীর যেকোনো জায়গার ইসলামি অনুশাসন মানা কোনো নারীকে নিয়ে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করা ইমানের জন্য আশঙ্কাজনক। রিডলি আফগান নারীদের ইসলামি অনুশাসন মানা সম্পর্কে যা লিখেছেন, পাঠকমাত্রই বুঝতে পারবেন-- সেসবে কতটা বিদ্বেষ তিনি উগড়ে দিয়েছেন। বোঝার সুবিধার্থে কিছু কথা নোট করে দিচ্ছি। . রিডলি লিখেছেন, "আমি জানি, তালেবানদের কাছে নারী জাতির কোনো মূল্য নেই। তারা আফগান নারীদের সঙ্গে অমানুষের মত ভয়ংকর ব্যবহার করে।..." পৃ.২২৮ . "বোরকা পরা আফগান রমণীরা আধুনিক দাসত্বের প্রতীক"। পৃ.১১৫। . (সিরিয়াসলি! তালেবানের মহান আচরণে মুগ্ধ হয়ে ইসলাম গ্রহণ করা একজন সাংবাদিকের উক্তি এটি!) . আরও লিখেছেন, "পথিমধ্যে সঙ্গের লোকজনের প্রাকৃতিক ডাকে সাড়া দেওয়া ও নামাজ আদায় করার জন্য গাড়ি থামানো হলো। কেউ একবারও জানতে চাইল না আমার কোনো প্রয়োজন আছে কি না। অবশ্য আফগানিস্তানের নারীদের কোনো বাস্তব অস্তিত্ব নেই। " পৃ.১৫১ . "খোঁজ নিয়ে জানতে পারি, ওই ঘরে দুজন আফগান নারীকে বন্দি করে রাখা হয়েছে। তাদের অপরাধ , কার্পেট কিনতে আসা দুজন অপরিচিত লোককে তারা বাড়িতে ঢুকতে দিয়েছিলেন। . তালেবান রাজত্বে আফগানিস্তানের নারীদের কোনো অধিকার নেই। তবে এর আগেও যে নারীদের অবস্থা খুব একটা ভালো ছিলো, এমনও নয়। ব্যপারটা খুবই দুঃখজনক, নারীরা চরম মাত্রায় বঞ্চিত ও নিষ্পেষিত। বাচ্চা উৎপাদনের যন্ত্র ব্যতীত তাদের আর কোনো ভূমিকা নেই।" পৃ.১৭২ . এই হলো তালেবানদের মহান আচরণে মুগ্ধ হয়ে ইসলাম গ্রহণ করা সাংবাদিক ইভন রিডলির মুগ্ধতার সংক্ষিপ্ত ফিরিস্তি। এছাড়া দুয়েক জায়গা ব্যতীত পুরো বইতে যখনই তালেবানদের আলোচনা করা হয়েছে, খুবই ব্যঙ্গাত্মকভাবে করা হয়েছে। . ইভন রিডলি ছিলেন খ্রিষ্টান, হয়েছেন মডারেট মুসলিম। বইতেও সেসব চিন্তাই স্থান দিয়েছেন। এমন একটি বই অনুবাদক কীসের ভিত্তিতে অনুবাদ করলেন? উম্মাহর কী এমন ফায়দা লুকিয়ে আছে এর পরতে-পরতে; যার জন্য অনুবাদক ব্যাকুল হয়ে পড়েছেন? কী এমন মহান তথ্য ও সত্য অনুবাদক এতে খুঁজে পেয়েছেন, যার অনুবাদ করতে না পারলে নিজেকে অপরাধী মনে করতেন? আল্লাহ আমাদের হেফাযত করুন! . . পাদটীকা আর প্রকাশক : . এ তো গেলো লেখিকার অবস্থান। এইবার আসি প্রকাশক আর অনুবাদকের আফগান নিয়ে ভাবনা। বইয়ের শেষে একটি পাদটীকা যুক্ত করা হয়েছে। পূর্বাপর ও পাদটীকা দেখে যতটুকু বোঝা গেছে-- এটি অনুবাদক কিংবা প্রকাশকের পক্ষ থেকে জুড়ে দেওয়া। রিডলির যে নয়, এটা স্পষ্ট। ভেবেছিলাম, লেখিকার কিছু অসংগতির ছাফাই প্রকাশকের পক্ষ থেকে দেওয়া হবে। যতটা ভেবেছিলাম, টীকাকার তার চেয়ে বেশিই দিয়েছেন। পুরো বইতে যতটা বিরক্ত হয়েছি তার চেয়েও বেশি বিরক্ত হয়েছি পাদটীকা নামক এই বস্তু পড়ে। টীকাকার লেখেন, . "খোদ তালেবানদের পাশবিক অত্যাচার আর নারীকে দমিয়ে রাখার প্রথারও ঘোর সমালোচনা করেন। সন্ধ্যার আগে মেয়েরা প্রকৃতিক ডাকে সাড়া দিতে পারবে না কিংবা মেয়েশিশুদের জন্য শিক্ষার প্রয়োজন নেই- এসব ধারণা তার মতে তালেবানদের ধর্মান্ধতা ও মূর্খতা। তবে তালেবান পরবর্তী স্বাধীন যুগে আফগানিস্তানে যখন সৌন্দর্য প্রতিযোগিতার খবর নিয়ে পশ্চিমা মিডিয়ায় বাহবা অনুনাদিত হয়, রিডলি তখনো দীর্ঘশ্বাস ফেলেছেন।" . টীকাকার 'তার মতে' বলে কি লেখিকার কথাই সমর্থন করছেন? আফগানিস্তান নিয়ে যারা নির্ভরযোগ্য কোনো ডকুমেন্টারি বা বিস্তারিত তথ্য দেখেছেন, পড়েছেন, তারা জেনে থাকবেন-- মেয়েশিশুদের শিক্ষার প্রয়োজন নেই-- এই অভিযোগ পুরোপুরি সত্য নয়। ব্যবস্থাপনার অপর্যাপ্ততা থাকতে পারে, তবে চেষ্টায় কমতি নেই। সম্প্রতি বিবিসি উর্দুতে দেওয়া তালেবান-মুখপাত্র সুহাইল শাহিনের সাক্ষাৎকার দেখলে তালেবানদের নারীশিক্ষা সংক্রান্ত নীতির বিষয়টি পাঠক নিশ্চিত হতে পারবেন। টীকাকার কী ভেবে এই পাদটীকা জুড়ে দিলেন, আরও কিছু বিদ্বেষবাণী ছাড়া নতুন কীইবা পাঠককে দিলেন-- বিষয়টি বোধগম্য নয়। . টীকাকার তালেবান পরবর্তী আফগানের স্বাধীন যুগ বলতে কোনটা বুঝিয়েছেন? আমেরিকার হাতে নিরীহ মানুষের হত্যার সময়টা? সুসংগঠিত হয়ে উঠতে থাকা আফগানের ধ্বংসের সময়টা? . টীকাকার আরও লিখেছেন, "ইসলামী জঙ্গীগোষ্ঠী শাসিত বিভিন্ন এলাকায় পরিবারের সম্মান রক্ষায় মেয়ে সন্তান হত্যা ও...।" . "ইসলামী জঙ্গীগোষ্ঠী শাসিত"! . আফসোস! ইসলাম ও মুসলিমদের শত্রুদের বানানো উদ্দেশ্যপ্রণোদিত শব্দগুচ্ছ যখন আমরা নিজেরা ইসলাম ও মুসলিমদের ক্ষেত্রে ব্যবহার করি, তখন আফসোস করা ছাড়া আসলেই আর কিছু করার থাকে না। . . শেষ কথা : . বহু আগে থেকে শুনছি, নবপ্রকাশ মটারেডর মন-মানসিকতার। কথাটা এড়িয়ে গিয়েছি। এরপর তারা আহমদ আমিনের মত একজন স্বঘোষিত ওরিয়েন্টালিস্টের বই আনলে একটু বিরক্ত হই। জুরজি যাইদানের মতো ইসলামি ইতিহাস নিয়ে খেল-তামাশা করা ব্যক্তির বইও তারা এনেছে। তখন বিশ্বাস কিছুটা হলেও এই বই পড়ার পর আর কোনো সন্দেহ আমার অন্তত নেই। ইসলামি গ্রন্থসম্ভারে এত গ্রন্থ থাকার পরেও পশ্চিমের প্রতি কেন এত আকর্ষণ তারা বোধ করেন, এর সমাধান আজও পাইনি। এরা আসলে কী ধরনের ইসলাম আর কী ধরনের ইসলামি বই আমাদের দিতে চায়, ব্যাপারটা ভাববার মতো। তালেবানদের সম্পর্কে বিদ্বেষে ভরপুর এমন একটা বই বাজারে না আনলে এমন কোনো অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে যেত না। প্রশ্ন তো এখন এটাও উঁকি দিচ্ছে, তারা নিজেরাও কি তালেবানদের সম্পর্কে লেখিকার মনোভাবই লালন করে?

      By ASHEK AHMED

      30 Mar 2019 03:20 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      Does not match very much with the Title of the book. Too small description regarding her imprisonment in the hands of Taliban. More or less, this book created negative impact on Islamic ruling or culture like wearing of Hijab and few others. In one sentence- simply wastage of money.

      By A MAHMUD

      14 Oct 2019 08:07 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      মনে আছে তালেবানের হাতে বন্দী সেই খৃস্টান নারী সাংবাদিকের কথা? ২০০১ সালে আমেরিকার সন্ত্রাসবাদী যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর আফগানিস্তানে তালেবানের সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে অপহৃত হয়েছিলেন এ নারী সাংবাদিক এবং পরবর্তীতে মুক্তি পেয়ে গ্রহণ করেছিলেন ইসলাম। শুধু তাই নয়, ইসলাম গ্রহণের পর তিনি হয়ে উঠেন ইসলামের একজন অকুতোভয় দায়ি। মনে আছে সেই সাহসী নারীর কথা? পুরো পশ্চিমাবিশ্বকে যিনি কাঁপিয়ে দিয়েছিলেন তার আত্মজীবনী বয়ান করে। তার নাম ইভন রিডলি। পশ্চিমাবিশ্বে যিনি এক বিস্ময়ের নাম! ‘ইন দ্য হ্যান্ড অব তালেবান’ তারই আত্মজীবনী গ্রন্থ। যেখানে তিনি টুইন টাওয়ার হামলা থেকে শুরু করে সংবাদ সংগ্রহের জন্য তার আফগান যাত্রা, ওয়ার অন টেরর, তালেবানের হাতে বন্দী হওয়া, মুক্তি, স্বদেশ প্রত্যাবর্তন এবং ইসলামে দীক্ষিত হওয়ার চমকপ্রদ কাহিনি বর্ণনা করেছেন নিঃশঙ্কোচে। ইউরোপ ও আমেরিকায় ইসলাম নিয়ে যে ভীতি ও শঙ্কা দিন দিন ঘৃণার জন্ম দিচ্ছে, কীভাবে পশ্চিমারা ইসলাম ও মুসলিমদের দোষী সাব্যস্ত করে পৃথিবীর সামনে উপস্থাপন করছে, নির্দোষ মানুষকে কীভাবে সন্ত্রাসী, জঙ্গি, মানবতার শত্রু বলে চিহ্নিত করছে- তার এক নির্মোহ বয়ান এ গ্রন্থ।

      By Imam Abu Hanifa

      16 Nov 2018 06:26 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      রকমারির সাইটে ঘুরতে ঘুরতে বইটা চোখে পড়ে। বর্তমান সময়ের বেশ সাড়া জাগানো বই। নামটা আগ্রহ জন্মানোর জন্য বিশেষ ভূমিকা রাখে। বেশ কিছু রিভিউ পড়ার পরেই বইটা কেনার সিদ্ধান্ত নেই। আগ্রহের মূল কারনটা হলো, ‘একটা মানুষ তালেবানদের হাতে বন্দি হওয়ার পরে মুক্তি পেয়ে মুসলমান হলো’ ব্যাপারটা যেন কেমন লাগছিলো। যদি সে তালেবানদের কাছ থেকে ইসলামের দীক্ষা পেয়ে থাকে তাহলে দুইটা খটকা থেকে যায়। প্রথমটা হলো, সে কি সঠিক ইসলামকে চিনতে পেরেছে? কারন আমরা জানি এই সন্ত্রাসী দলগুলো কিভাবে ধর্মের নামে ব্রেইন ওয়াশ করে নির্বিচারে মানুষ মারে। দ্বিতীয় খটকা হলো, যদি সে সঠিক ইসলামকেই জানে তাহলে কি তালেবানদের সম্পর্কে মিডিয়ায় ভিত্তিহীন কিছু প্রচার হচ্ছে? কারন এটা এখন আমরা সবাই জানি কিভাবে পশ্চিমা গনমাধ্যম ইসলামকে টার্গেট করে ভিলেন বানাচ্ছে। তারা চাইলেই রাতকে দিন, পানিকে আগুন, টম ক্রুজকে হিরো আলম বানিয়ে দিতে পারে। তাই যদি কোনোদিন জানতে পারি যে এতদিন তালেবানদের নামে যা জেনেছি সব মিথ্যা, হয়তো অবাক হবো না। যাহোক, উপরের দুটো কারনেই মূলত বইটা পড়ার আগ্রহ জন্মায়। এবার একটু বইয়ের ভিতরে ঢুকি। বইয়ের পটভূমিটা শুরু ২০০১ সালের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে সন্ত্রাসী হামলার মধ্য দিয়ে। লেখিকা তখন লন্ডন ভিত্তিক সানডে এক্সপ্রেসে কাজ করেন। খবর সংগ্রহের জন্য নিউইয়র্ক যাওয়ার কথা থাকলেও তাকে পাঠানো হয় ইসলামাবাদ। কারন ঘটনার পিছনে দায়ী তালেবানদের ডেরা এই অঞ্চলেই। ইসলামাবাদ এসে লেখিকা খবর সংগ্রহে লেগে পড়েন। আরো ভালো ভাবে অবস্থা পর্যবেক্ষনের জন্য আফগানিস্তান যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। বৈধভাবে অনুমতি না পাওয়ায় ঝুকি নিয়ে চোরা পথে যাত্রা করেন আফগানিস্তান। এবং ফেরার পথে ধরা পড়েন তালেবানদের হাতে। তবে যে কারনে বইটা পড়া, অথবা বলা যেতে পারে যে বিষয় নিয়ে বইটার প্রচার করা হয় সেটা এই বইতে পাওয়া যাবে না। আমি বলছি লেখিকার ধর্মান্তরীত হওয়ার ঘটনা। লেখিকা তালেবানদের হাত থেকে ছাড়া পান বন্দির ১০ দিন পর ২০০১ সালের ৮ অক্টবর। এবং ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত হন ২০০৩ সালে। বইটা এর মাঝামাঝি সময়ে লেখা। বইটার ভালো লাগা আর খারাপ লাগা নিয়ে বলতে গেলে ভালো লাগাই বেশি বলতে হবে। সংবাদ সংগ্রহের জন্য সংবাদ কর্মিরা কতটা ঝুকি নিয়ে কাজ করেন সেটা খুব ভালো ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। শুধু নিজের কথা না, বলেছেন আরো কয়েকজন সহকর্মির সংগ্রামের কথা। তার আফগানিস্তানের সময়টুকু এতই থ্রিলিং যে মনে হচ্ছিলো আমি যেন কোনো ফিকশন বই পড়ছি। মুক্তি পাওয়ার পরে নিজের অনুভূতি, নতুন চোখে বিশ্বকে আর বিশ্ব রাজনীতিকে, এমন কি সাধারন মানুষকে নতুন ভাবে চিনতে শিখেছেন। খারাপ লাগার শুরুটা মুলত এখানে। এই নতুন বিশ্বটাকে তিনি আরেকটু ব্যাখ্যা করতে পারতেন। বন্দি হওয়ার আগে নিজের বাবা-মা আর মেয়েকে নিয়ে যত কথা বললেন মুক্ত হওয়ার পরে সেটা খুব কমে গেছে। মুক্তি পাওয়ার পরে বইটা খুব দ্রুত শেষ হয়ে গিয়েছে। এতে আমি লেখিকার দোষ দিচ্ছি না। তার উদ্দেশ্য ছিলো বন্দি জীবনের গল্পটা বলার। সেটা তিনি বলেছেন। এবং চমৎকার ভাবেই বলেছেন। তবে শেষটা আরেকটু দীর্ঘায়িত করলে লেখাটা আরো পরিপূর্ণ হতো। আর হ্যা, তার মুসলিম হওয়ার ঘটনাটা? সেটার মূল কারন বইটা শেষ করার পরে আপনি নিজেই খুজে নিবেন। না পারলে আমাকে বলেন।

      By Arshad Ansary

      27 May 2017 09:28 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      লেখিকা পরিচিতি : ইভন রিডলি, জন্ম তার ১৯৫৮ সালের ২৩ শে এপ্রিল ইংল্যান্ডের কাউন্টি ডারহ্যামে। ছোটবেলা থেকেই প্রচণ্ড নারীবাদী হিসেবে পরিচিত ইভন প্রায় সব বিখ্যাত সংবাদমাধ্যমে চাকরী করার সুযোগ পান। এসুবাদে তাকে ভ্রমণ করতে হত বিশ্বের অবস্থাসংকটাপন্ন দেশ সমূহে। ২০০১ সালে যখন টুইনটাওয়ার নামক বিশ্ব বাণিজ্য কেন্দ্রে বড়সড় বিমান হামলা চালানো হয় তখন তিনি ডেইলি এক্সপ্রেসে। সংবাদ সংগ্রহের জন্যে তাকে পাঠানো হয় পাকিস্তানে কিন্তু সেখান থেকে তিনি অনুপ্রবেশ করেন আফগানে। এবং তাতেই তিনি বন্দীনি হন তালেবানের। ২০০৩ সালে তিনি ইসলামধর্ম গ্রহন করেন। এবং বর্তমানে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ইসলামী সংগঠনের নারীদের প্রতিনিধিত্ব করছেন। রিভিউ : "ওরা আমার সঙ্গে সম্মানসূচক ব্যবহার করেছে। এই কথা হয়তো অনেকেরই পছন্দ হবে না, তবে অপ্রিয় হলেও সত্যটা আমাকে বলতেই হবে।" এভাবেই নিজের বন্দিজীবনের অভিজ্ঞতার কথা বলছিলেন ইভন রিডিলি। তিনি তালেবানের হাতে বন্দী হয়েছিলেন ২০০১ এর দিকে, বইটিও সেইসময়কার যখন তার মন মস্তিষ্ক জুড়ে সেক্যুলারিজম পুরোপুরি গেঁথে ছিল। বন্দিজীবনে কেন তার সাথে ভালো আচরণ করা হয়েছিল এর কোন সদুত্তর তিনি দিতে পারেন নি, বারবার তাদের সেই বদান্যতার কথা আসলেই তিনি একপ্রকার চেপে চলে যেতেন বিষয়টি কিংবা অগত্যা কিছুটা স্বীকার করতেন। বইটি থ্রিলার পাঠকদের জন্যে একেবারেই উপযুক্ত হবে, তবে পার্থক্য এই যে থ্রিলার হয় কিছু বানোয়াট কাহিনী দিয়ে কিন্তু বইটিতে উঠে এসেছে নিজের জীবনের কিছু বাস্তব সত্য সহকারে। পাঠকমাত্রই এই বইটি পাঠে রোমাঞ্চিত হয়ে উঠবেন, তিনিও ইভনের সঙ্গী হয়ে চলে যাবেন আফগানের বন্ধুর এবড়োথেবড়ো পথে এক অনুপ্রবেশকারী হয়ে। আফগানের সৌন্দর্যে বিমুগ্ধ হয়ে পাঠকও লেখিকার সাথে সমস্বরে বলে উঠবেন, 'ভ্রমণ করতে গিয়ে পৃথিবীর অনেক দেশ আর শহরের প্রেমে পড়েছি কিন্তু বুনো প্রাকৃতিক আর দুর্ধর্ষ আফগান হৃদয় চুরি করেছে আমার।' এতে পাঠক শুধু আফগানের 'তালিবদে'র কথাই খুঁজে পাবেন না, খুঁজে পাবেন ইভনের জীবনের বিভিন্ন দিক। তার তিনটি বিয়ে, একমাত্র মেয়েটি তিনস্বামী ব্যতীত অন্য আরেকজনের হওয়া, মেয়ের সঙ্গে মায়ের এক নিবিড় সম্পর্ক। উঠে এসেছে তালেবানের কাছে তার দশদিনের বন্দিজীবন, তাদের সাথে তার অভদ্রোচিত আচরণ প্রতিদানে প্রত্যেকটি বার শুধু মিষ্টি মধুর একটি হাসি, অতঃপর সেখান থেকে মুক্তিলাভ। পাঠক বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব খুঁজে পাবেন বইটিতে, বলা হয়েছে কিজন্য তাকে সেখান থেকে মুক্তি দেওয়া হল, কেনইবা তাকে আমেরিকা কতৃক টোপ হিসেবে ব্যবহার করা হলো ইত্যাদি। নেতিবাচক দিক : তবে যেহেতু বইটি তার ইসলাম গ্রহণের পূর্বে লিখিত তাই এতে ইসলাম সম্পর্কে বেশ নেতিবাচক কথা তুলে ধরা হয়েছে, যেমন : বোরকা ও হিজাবের স্পষ্ট বিরোধিতা। যেহেতু তখন তার মনমানসিকতা জুড়ে সেক্যুলারি চিন্তাভাবনাই বিদ্যমান ছিল। এবং এই বিষয়টিই বইটির অন্যতম খারাপ দিক যা বঙ্গীয় মুসলিমদের মানসিকতার সাথে যায় না। তবে বই শেষে অনুবাদক কতৃক সংযুক্ত 'পাদটীকা'য় তার ইসলাম গ্রহণ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। পরিশেষে এটিই বলবো, আশাকরি সকল পাঠকের জন্য এটি সুখপাঠ্য হবে। ইতিহাসপ্রেমী, থ্রিলারপ্রেমী পাঠক বইটি উপভোগ করতে সক্ষম হবে।

      By Shifat E Mahmud

      08 Oct 2017 08:39 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      বইটা বেশ আগ্রহ নিয়েই পড়তে শুরু করেছিলাম। কিন্ত বেশি দূর আগাতে পারি নি। কেন? কারণ হল, পড়তে গিয়ে আমার মনে হচ্ছিল, লেখিকা নিজেও মনে হয় বাংলাতেই লিখেছেন ঘটনাখানা। অনুবাদ একটু বেশিই প্রাঞ্জল মনে হচ্ছিল। ইংরেজি অনুবাদের সাথে যাদের কম বেশি পরিচয় আছে তারা জানে এতটা প্রাঞ্জল হওয়ার কথা না। তাই মূল ইংলিশ বই ডাউনলোড করে মিলিয়ে দেখা শুরু করি। ব্যস, তাতেই চক্ষু ছানাবড়া হয়ে যায়! মূল বইয়ের প্রথম অধ্যায়ের শিরোণাম "The Day That Changed The World" অথচ বাংলা করা হয়েছে "নাইন ইলেভেনের বিস্মৃতি"!! মজা এখানেই শেষ নয়, মূল বইয়ের প্রথম প্যারা হল: "Tuesday 11 September should have been a really pleasant day for me. Although I started the day at the Sunday Express newsroom with six weeks’ worth of expenses forms to fill in, I was expecting to have a fairly relaxing time." আর অনুবাদক সাহেব লিখেছেন: "বুধবার। ১১ সেপ্টেম্বর ২০০১। অন্যান্য স্বাভাবিক দিনের তুলনায় এই দিনটির তাৎপর্য অন্যরকম। আগামী ছয় মাসের জন্য রসদপাতি জোগাড়ের চিন্তা মাথায় থাকলেও মনে হচ্ছিল একটা শান্তিময় ভ্রমণ অপেক্ষা করছে।" Tuesday এর মানে যে মঙ্গলবার অনুবাদক, প্রুফ রিডার বা প্রকাশক তা খেয়ালই করেন নি!!! তাছাড়া ৬ সপ্তাহ হয়ে গেছে ৬ মাস, Proper Noun ও অনুবাদ করে দিয়েছেন অনুবাদক সাহেব!! যে সব জায়গা অনুবাদে ক্লেশ হয়েছে সেখানে নিজের মনের তুলিতে অনুবাদ করেছেন ইচ্ছেমত!! এমন অনুবাদ খিয়ানতের সামিল। অনুবাদক ভূমিকায় বলেছেন, এই গ্রন্থ অনুবাদ না করলে তিনি অপরাধী হয়ে থাকবেন। আমার মতে অনুবাদ করেও আপনি অপরাধীর কাছাকাছিই আছেন। এমনিতেই লেখিকা কোন রয়েলটি পাবে না তার উপর অনুবাদের আমানত রক্ষা হয় নি। খুবই দু:খজনক। তাছাড়া নবপ্রকাশের অন্যান্য বই সম্পর্কেও আমি অভিযোগ পেয়েছি। আল্লাহ্‌ আমাদের অনুধাবনের তৌফিক দান করুন আমিন।

    •  

    Recently Viewed


    Great offers, Direct to your inbox and stay one step ahead.
    • You can pay using


    JOIN US

    icon Download App

    Rokomari.com is now one of the leading e-commerce organizations in Bangladesh. It is indeed the biggest online bookshop or bookstore in Bangladesh that helps you save time and money. You can buy books online with a few clicks or a convenient phone call. With breathtaking discounts and offers you can buy anything from Bangla Upannash or English story books to academic, research or competitive exam books. Superfast cash on delivery service brings the products at your doorstep. Our customer support, return and replacement policies will surely add extra confidence in your online shopping experience. Happy Shopping with Rokomari.com!