User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
অনেকগুলো ছোট ছোট গল্প রয়েছে মূলতঃ ১৩৬ পৃষ্ঠার এই বইটিতে।লেখকের অতীত স্মৃতিচারণ এবং কাছের মানুষের কিছু বর্ণনা ছাড়াও রয়েছে জঙ্গীবাদ,রাজনীতি, পাইরেসি কিংবা ধর্মান্ধতা নিয়ে সুন্দর সব গল্প।প্রতিটি গল্পই পাঠকের মন ছুয়ে যাবে।এপার বাংলা আর ওপার বাংলার মানুষের বই পড়ার পার্থক্য কিংবা বাঙালীত ধর্ম সম্পর্কে অদ্ভুত কিছু মিথের জটও খুলবে বইটি পড়ে। এরকম অনেকগুলো গল্প সম্পর্কে জানতে পড়ে ফেলুন বইটি।যা লিখতে বা পড়াতে লেখকের মনে পাপ নেই। পার্সোনাল রেটিং ৫/৫
Was this review helpful to you?
or
#বই_নিয়ে___ বর্তমান সময়ের একটা অতি পরিচিত শব্দ জঙ্গিবাদ! হোটেল তাজ হামলা, লাদেনের কথা, সেই আততায়ীর কথা তো আপনাদের মনেই আছে, যে রাজীব গান্ধীকে মারার জন্য নিজের সাথে বোমা বেধে এগিয়ে এসেছিল! বিশেষ করে ভাবার বিষয় যে তাদের পরিবারবর্গ ঠিক কি ভাবছে? তাজ হামলার ১১ জন দুষ্কৃতিকারীদের বাড়িতে দেড় লাখ করে টাকা দিয়েছে! মাত্র দেড় লাখ টাকায় কলকাতার কোনো ট্যাক্সিওয়ালাও এভাবে এগুবে না। কেননা তারা বছরে দুলাখের মত কামাই করবে! তাহলে কেন তাদের জঙ্গি কাজ? লেখক সমরেশ ব্যক্তি হিসেবে কি ভাবে সেটা নিয়ে? আপনি হিন্দু ধর্মের কিংবদন্তীগুলো নিয়ে শুনেছেন তো অবশ্যই। সেগুলো কি আদৌ বাস্তবে বিশ্বাসযোগ্য? আত্মা বা ভুত নিয়ে কথা যদি আসে, জানেন একটা সময় রবীন্দ্রনাথ নিয়মিত প্ল্যানচেট করতেন তার মেয়ের আত্মা ডাকতে। তাঁর মত বিজ্ঞানমনা একজন মানুষের এই কাজ বাঙালীর ওপর কতটা প্রভাব রাখতে পারে তা বলার দরকার বোধ করছি না। সেই বিষয়ে বর্তমান কালের বিখ্যাত একজন লেখক সমরেশ ঠিক কি ভাবেন? কেনই বা তেমন ভাবেন? আচ্ছা আপনি শ্রাদ্ধের অনুষ্ঠানে গেছেন? সেখানে যেসব মন্ত্র পড়া হয় তার অর্থ জানেন? সেখানে বলা হয় যে ভুত বা অপছায়া হয়ে মৃত লোকটার আত্মা যেন তাদের অনিষ্ট না করে, যেন কাক হয়ে এসে দেয়া খাবার খেয়ে স্বর্গে পাড়ি জমায়। আচ্ছা আপনি কি আপনার মা বাবা বা আত্মীয়দের ভুত বলে ভাবছেন? তাদের থেকে ক্ষতির আশঙ্কা আপনার আছে? হনুমান তার বগলে সূর্যকে ধারন করেছে, বানর সেনা সমুদ্রের ওপর ব্রীজ বানিয়েছে! এসব আদৌ বিশ্বাসযোগ্য? সমরেশ একদিন একজনকে বাজারে পেলেন, যার মাসেহারা খুব বেশি না তবে জামাইষষ্ঠীর জন্যে তাকে ধার দেনা পর্যন্ত করতে হচ্ছে! আসলে এটা কি পুণ্যলাভের জিনিস? এটাকি কি কোনো পুজো ধরনের? তাহলে পুরোত ডেকে মন্ত্র কেন পড়া হয় না? পুরোতের মন্ত্রের কয়টা শব্দ সাধারণ মানুষ বুঝতে পারে? যদি পুরোত উচ্চারণে ভুল করেন তবে সেটা আদৌ ধরা যাবে!! বইটার একটা বেশ আকর্ষণ আমাদের এপাড়ের হুমায়ূন আহমেদ। সমরেশের সাথে হুমায়ূন আহমেদের পরিচয় বেশ পুরান। যখন তিনি কেবল বিখ্যাত হওয়া শুরু করেছেন তখন থেকেই.... বেশ কাছের মানুষের মত তাকে দেখতেন সমরেশ মজুমদার। কিন্তু তিনি এবার নিজেদের সমালোচনায় নামলেন! পশ্চিম বাংলায় কোনো বই তে মুসলিম নাম দেখলে পাঠক সমাজ তা পড়তে আগ্রহী হোন না। কেন পাঠকের পাঠে এরকম বিভেদ? হুমায়ূন আহমেদের কিছু বই স্বউদ্যোগে দেশ পাবলিশিং প্রকাশ করেছে, কিন্তু চলে নি বইটা। সেটার জন্য সমরেশ দুঃখ প্রকাশ করেন, ভৌগলিক সীমা যখন সাহিত্যেও ছড়ায় তখন সাহিত্যের রসবোধ কতটা থাকে তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। সমরেশের হুমায়ূন স্যারের অসুস্থতা নিয়ে প্রতিক্রিয়া আর মৃত্যুর খবরে প্রতিক্রিয়া কি ছিল তা নিয়েও তিনি আত্মসমালোচনা করতে ছাড়েন নি। আদ্য প্রসঙ্গ পাইরেটেড কপি! সুনীল সমরেশ বুদ্ধদেব, সুচিত্রা, শীর্ষেন্দু এদের বই এর লোকাল প্রিন্ট বা পাইরেটেড কপিতে বাজার ভরে গেছে, বিশেষত নীলক্ষেত, নিউ মার্কেটের বই এর দোকানগুলো। একদিন সমরেশ নীলক্ষেতের দোকানের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় নিজের বইগুলোর নকল প্রিন্ট দেখে দাম জিঙ্গেস করলেন, প্রত্যুত্তর, সমরেশের বই দামাদামি করে না, প্রতি পিস ২০০ টাকা। সময়টা তখনকার যখন এই পরিমাণটা অনেক বেশি বলেই বিবেচ্য হত। আবার সমরেশ একদিন নিউ মার্কেটে গিয়ে একটা বই দেখলেন নাম "সারারাত তোমার সাথে" আনন্দ পাবলিশার্সের বই। লেখক সমরেশ মজুমদার। কিন্তু মজার ব্যাপার এই যে তিনি কস্মিনকালেও এই বই লিখেন নি। তিনি পুনঃপুন ট্রেড ইউনিটের কাছে পাইরেটেড কপি বন্ধের আবেদন করেও প্রতিকার পাননি। এসংক্রান্ত অভিযোগও তিনি তোলে ধরলেন বইটাতে। এধরনের শ খানেক ঘটনার অনুসৃতি বইটি। নির্জন দ্বীপে কেউ একা থাকলে যেমন আত্মোসমালোচনা করার সুযোগ থাকে তেমনি সমরেশ নিজের দুনিয়ার ভেতর নিজের ছোট্ট দুনিয়াতে থেকেই অনুভবের জগত থেকে নিজের ভেতরের কথাগুলো, যা নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হতে পারে তা অকপটে বলে গেছেন বই এর পাতায় পাতায়। সব গোপন কথা কথা বলার পর হয়ত পাঠকের মনে হবে আসলেই ব্যক্তি সমরেশের মনে পাপ নেই....... #পাঠ_প্রতিক্রিয়া আমরা যখন কোনো কিছুকে দেখি বা পড়ি তখন একটা নিজস্ব অনুভবের জগত তৈরি হয়। আর সেই জগতটা যখন বই এর পাতায় পাতায় অনুসৃত তখন যেন ব্যক্তির পাপ পুণ্যের ফিরিস্তি হাতে পড়ে। তেমনি একটা বই এটি। আমরা হয়ত ব্যক্তি হিসেবে সমরেশ মজুমদারকে ঠিক সেভাবে জানি না, হয়ত জানতেও পারব না। কিন্তু বইটাতে তার নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গির পরিচয় পাওয়া যায়। একদিকে প্রতিটি গল্পই সামাজিক আবার প্রতিটি গল্পই একান্ত সমরেশের। বর্ণনার ভাষা নিখঁাদ রম্যে পরিপুষ্টা । তবে তাতে গল্পের সিরিয়াস মোটিভ কখনোই ফল করেনি। শুরু থেকে শেষ একটা অসামান্য হাস্যরসের মাঝে নিজেকে তোলে ধরা নিঃসন্দেহে একজন বড় মাপের কথা শিল্পীর দ্বারাই সম্ভব। অতি মাত্রায় সুখপাঠ্য বই। বইটার আলোচ্য বিষয়গুলো খুব আকর্ষনীয়, কলকাতার বইগুলোর প্রুফ রিডিং এম্নিতেই ভালো হয়, এটাতে একটা বানান ভুল চোখে পড়েছে। বাইন্ডিং বেশ ভালো। সমরেশের লেখার ধরণ বর্ণনাত্মক। কিন্তু তিনি যে স্বল্প পরিসরে খুব বেশি ধরনের ভালো লিখতে পারেন তার প্রমাণ তিনি দিয়েছেন প্রতি পৃষ্ঠায়। পাঠক হিসেবে অনুভুতি আর রম্যের মজায় আমার মন ভরে ওঠেছে আবেগে। বস্তুত সেটাই একজন পাঠক আর একজন লেখকের লেখার সার্থকতা নয় কি? #বইটার_খুউব_বেশি_প্রিয়_একটা_অংশ আচ্ছা মানুষ মরার পরে শুধু উপরে কেন যায়? নিচে কেন যায় না? মানুষের আত্মা উপরে যেমন যায় তেমন হয়ত মাটির নিচেও যায়, একেবারে পৃথিবী কেন্দ্রে! আমার কথা শুনে পাঁচ বছরের ছেলেটা বলল --বুঝেছি মানুষ মরার পর মাটির নিচে যায় তারপর গাছ হয়ে আবার উঠে আসে। আমি হাসি। ভালোই হবে। পৃথিবী ভরে যাক সবুজ গাছে।
Was this review helpful to you?
or
সমরেশ মজুমদার হচ্ছেন বিখ্যাত ভারতীয় বাঙালি ঔপন্যাসিক । তিনি খুব জনপ্রিয় কিন্তু আমি নতুন পাঠক হওয়ায় তার সম্পর্কে কম জানি। স্যার এর লিখা " দিন যায় রাত যায় " বই পড়েই তার লিখার সাথে প্রথম পরিচিত হই । " মনে পাপ নেই " বইটা মূলত প্রবন্ধের বই । তার আশেপাশের মানুষদের নিয়ে লিখেছেন , তুলে ধরেছেন সামাজিক অবস্থা । স্যার এর সময়ের চিত্র আর আমাদের এই বর্তমান সময়ের চিত্র তার ভাষ্য অনুযায়ী খুব সুন্দর করে বলেছেন । দু ' বাংলা বলা চলে না , বলতে গেলে বলতে হয় বাঙালীদের মাঝে যে ধর্মান্ধতা একটা কুশ্রী রূপ ধারণ করছে তিনি তা বিভিন্ন ভাবে বোঝাতে চেয়েছেন । বাঙ্গালী জাতিতে নারীদের চিন্তা ধারণা আর পুরুষের অবস্থান নিয়ে তিনি কি ভেবেছেন তাও বলেছেন । বই - সাহিত্য - পত্রিকা নিয়ে যে আলোচনা করেছেন সে সবে উঠে এসেছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর , কাজী নজরুল ইসলাম , সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়, শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায , হুমায়ূন আহমেদ ইত্যাদি বড় বড় ব্যাক্তিদের কথা । বই প্রকাশক আর বিক্রেতাদের মধ্যে যে বিষয় গুলো আসে এবং বই পাইরেসি যা আমাদের মতো সাধারণ পাঠকের না জানা এসব তথ্য এই বইতে লিখেছেন সমরেশ স্যার । সব মিলিয়ে তিনি তার মনের কথা গুলো প্রকাশ করতে চেয়েছেন যেখানে ছিল না কোন লুকোচুরি বা কারচুপি । বইটা পড়ে শেষ করতে মাত্র ৫ ঘন্টা লেগেছে অর্থাৎ আমার ১দিনে পড়ে শেষ করতে পারা ষষ্ঠ বই “মনে পাপ নেই ”। সত্যি বলতে বইটা ভালো লেগেছে , বড় মানুষদের ভাবনা গুলো জানতে কার না ভালো লাগে ! । তাই সময় না নিয়ে “মনে পাপ নেই ” বইটি সংগ্রহ করেই পড়ে ফেলুন। শুভ হোক আপনার পাঠ্য কার্যক্রম।