User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_পাঠক_সমাগম_বুক_রিভিউ_প্রতিযোগিতা_৩ পর্ব - ৩ মাসঃ আগস্ট সপ্তাহঃ ১ম বইয়ের নামঃ রসাতলের রহস্য লেখকঃ সমরেশ মজুমদার প্রকাশনীঃ পত্র ভারতী প্রথম প্রকাশকালঃ ২০১৫ প্রথম অণ্বেষা প্রকাশন সংস্করণঃ একুশে গ্রন্থমেলা, ২০১৭ পৃষ্ঠা সংখ্যাঃ ১১৮ মুদ্রিত মূল্যঃ ১৫০ রুপি (পত্র ভারতী) এবং ২০০ টাকা (অণ্বেষা প্রকাশন সংস্করণ) প্রচ্ছদঃ ধ্রুব এষ ব্যক্তিগত রেটিংঃ ৪.৬/৫ ◆লেখক পরিচিতিঃ বিখ্যাত ভারতীয় বাঙালি ঔপন্যাসিক সমরেশ মজুমদারের দুই বাংলাতেই রয়েছে সমান জনপ্রিয়তা ও পাঠক। এখন সমরেশ মজুমদার সম্পর্কে সংক্ষেপে জেনে নেওয়া যাক। ১৯৪২ সালের ১০ মার্চ (বাংলা ১৩৪৮ সনের ২৬ শে ফাল্গুন) জন্মগ্রহন করেন। তাঁর প্রাথমিক শিক্ষা শুরু হয় জলপাইগুড়ি জেলা স্কুল থেকে। তিনি বাংলায় গ্রাজুয়েশন সম্পন্ন করেন কোলকাতার স্কটিশ চার্চ কলেজ থেকে এবং মাষ্টার্স সম্পন্ন করেন কোলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। স্কটিশ চার্চ কলেজ থেকে বাংলায় অনার্স নিয়ে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এম-এ করেন।কর্মজীবনে তিনি আনন্দবাজার প্রকাশনার সাথে যুক্ত ছিলেন। গ্রুপ থিয়েটারের প্রতি তাঁর প্রচন্ড আসক্তি ছিলো। তাঁর প্রথম গল্প ‘অন্যমাত্রা’ লেখাই হয়েছিলো মঞ্চনাটক হিসাবে, আর সেখান থেকেই তার লেখকজীবনের শুরু। তাঁর লেখা অন্যমাত্রা ছাপা হয়েছিলো দেশ পত্রিকায় ১৯৬৭ সালে। সমরেশ মজুমদারের প্রথম উপন্যাস “দৌড়” ছাপা হয়েছিলো দেশ পত্রিকায় ১৯৭৬ সালে। তাঁর উল্লেখযোগ্য উপন্যাসগুলো হলো- গর্ভধারিণী, সাতকাহন, উত্তরাধিকার, কালবেলা, কালপুরুষ, মৌষলকাল, আট কুঠুরি নয় দরজা ইত্যাদি। তিনি ১৯৮২ সালে আনন্দ পুরষ্কার, ১৯৮৪ সালে সত্য আকাদেমী পুরষ্কার, বঙ্কিম পুরস্কার এবং আইয়াইএমএস পুরস্কার জয় করেছেন। স্ক্রীপ্ট লেখক হিসাবে জয় করেছেন বিএফজেএ, দিশারী এবং চলচিত্র প্রসার সমিতির এওয়ার্ড। সমরেশ কলকাতা, তথা বাংলার সর্বকালের অন্যতম সেরা লেখক হিসাবে পাঠক মন জয় করেছেন। তথ্যসূত্রঃ উইকিপিডিয়া ◆গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রসমূহঃ নীল, ফারুক সাহেব, ডিসিলভা, ক্যাপ্টেন, স্যাম এবং একদল জলদস্যু। ◆কাহিনী সংক্ষেপঃ নীল, এই উপন্যাসের মূল চরিত্র। মা কে নিয়ে থাকতো সে। কিন্তু একদিন সড়ক দুর্ঘটনায় নীলের মা মারা যায়। তার মা মারা যাওয়ার পরে সে বুঝতে পারে যে সে কতোটা অসহায়। তার জীবন কেমন যেন খাপছাড়া হয়ে যায়। কোনো কিছুর সাথে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারছিলো না সে। এরপরে তাদের পাশের ফ্ল্যাটের মহিলা তার ভাইয়ের মাধ্যমে নীলকে জাহাজে চাকরির কথা জানায়। নীলও সেই প্রস্তাবে সহজেই রাজি হয়ে যায়। তবে বেশ আগ্রহের সাথে জাহাজের চাকরিতে রাজি হলেও পরে গিয়ে দেখল শুধুমাত্র জাহাজ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করার বিভাগে পদ খালি আছে। বাড়িতে নিজের একাকীত্বের কথা ভেবে সেই পদেই কাজ করতে রাজি হয়ে যায় নীল। সেই জাহাজে ছিলো এক কোটি ডলারের দামি ইলেকট্রনিক্স। সেগুলো নিয়ে তারা যাত্রা শুরু করে আফ্রিকার ডারবান বন্দরের উদ্যেশ্যে। জাহাজের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করার বিভাগের প্রধান ফারুক সাহেব। তিনি অত্যন্ত ধার্মিক একজন ব্যক্তি। সে দিনে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়েন এবং রাতে তাহাজ্জুদের নামাজও পড়েন। তার একটাই ইচ্ছা, সেটা হলো মহান আল্লাহ তায়ালার রহমত লাভ করা। ফারুক সাহেব নীলকে সব কাজ বুঝিয়ে দিলেন। আর ফারুক সাহেবের সাথে ধীরে ধীরে ভালো সম্পর্ক তৈরি হতে লাগলো নীলের। একদিন জাহাজের এক কর্মচারী মদ খেয়ে মাতলামি করছিলো। সেটা দেখে নীলের মেজাজ অত্যন্ত খারাপ হয়ে যায়। একসময় মাতলামির মাত্রা ছাড়িয়ে গেলে নীল তাকে গিয়ে চড় মারে। এই ঘটনার পরের দিন ক্যাপ্টেন ডেকে এসে নীলকে বলেন তার সাথে দেখা করতে। ক্যাপ্টেন অত্যন্ত বিচক্ষণ একজন লোক। তিনি সকল কাজ করার ক্ষেত্রে চিন্তা-ভাবনা করেন এবং বিশেষ করে কোনো জরুরি সিদ্ধান্ত তিনি হেড অফিসের অনুমতি না নিয়ে করেন না। নীল ভেবেছিলো হয়তো শাস্তি দেওয়ার জন্য ক্যাপ্টেন ডেকেছিলেন। কিন্তু তাকে অবাক করে দিয়ে ক্যাপ্টেন তার কাছে জানতে চাইলো যে সে টাইপ করতে পারে কি না। বাড়ির কাছের এক কম্পিউটারের দোকান থেকে কম্পিউটারের কাজ শিখেছিলো নীল। তাই ক্যাপ্টেনকে নীল জানালো যে সে টাইপ এর কাজ করতে পারে। এটা জানার পরে ক্যাপ্টেন নীলকে অফিসিয়াল কাজকর্মের বিভাগে ডিসিলভা সাহেবের কাছে পাঠান। জাহাজের অফিসিয়াল কাজকর্মের চার্জে আছেন ডিসিলভা সাহেব। তিনি অত্যন্ত কাজপাগল মানুষ। তিনি কাজের মধ্যে এতোটাই ডুবে থাকেন যে খাওয়া-দাওয়ার ব্যাপারটাও তার মাথায় থাকে না। ডিসিলভা সাহেবের প্রথম প্রথম নীলের কাজ পছন্দ হলো না। আর নীলও ডিসিলভা সাহেবের কাজের চাহিদা দেখে প্রথমে ঘাবড়ে গিয়ে ঠিকমতো কাজ করতে পারছিলো না। তবে কিছুক্ষণ পরে সে নিজেকে সামলে নিয়েছিলো এবং ডিসিলভা সাহেবেরও তার কাজ পছন্দ হলো। এরপরে একদিন তাদের জাহাজ ঝড়ের কবলে পড়লে বিপদের ভয় করে ফারুক সাহেব নীলকে গোপন একটি কথা বলতে গিয়েও বললেন না। পরের দিন সকালে নীল সেই গোপন কথা জানতে চাইলেও ফারুক সাহেব তা এড়িয়ে যান। তবে কিছুদিন পরেই সে নীলকে সেই কথা বলেছিলো। সেটা হলো, একবার ফারুক সাহেবের বন্ধু ইয়াসিন ধরা পড়েছিলো জলদস্যুদের কাছে। সেখান থেকে কোনোমতে পালিয়ে এসেছিলো ইয়াসিন। আসার সময় কিছু হীরা চুরি করে নিয়ে এসেছিলো সে। তবে অনেকের ধারণা সেই হীরাগুলো ছিলো অশুভ। কেউ যদি এই হীরাগুলো নিজের কাজে ব্যবহার করতে চায় তাহলে না কি তার মৃত্যু হয়। এরপরে সে ফারুক সাহেবকে কক্সবাজারে ডেকে হীরাগুলোর ব্যাপারে। ইয়াসিন পরিকল্পনা করেছিলো হীরা বিক্রির অর্ধেক টাকা দিয়ে তার গ্রামের উন্নয়ন করা। আর বাকি টাকা সে এবং ফারুক সাহেব নিতে চেয়েছিলো। কিন্তু কক্সবাজারের একটি নারিকেল গাছের নিচে হীরাগুলো পুঁতে রেখেছিলো তারা। এরপরে ঢাকায় ফিরে এসেছিল ফারুক সাহেব। কিন্তু দুই দিন পরেই খবর পেল ইয়াসিন মারা গেছে। তো, সেই ঝড়ে জাহাজের তেমন কোনো ক্ষতি না হলেও যেটুকু ক্ষতি হয়েছিলো সেটা সারিয়ে নিতে চেয়েছিলো ক্যাপ্টেন। সেওন্যই আফ্রিকার এক অখ্যাত বন্দরে জাহাজ ভেড়ালো তারা। সেখানে এসে সবাইকে অল্প সময়ের জন্য ছুটি দেওয়া হলো। সবাই ঘুরতে বের হলো। স্যাম গেলো সেখানে প্রচলিত এক ডাইনি বুড়ির কাছে তার ইচ্ছা পূরণের আশায়। ফারুক সাহেব প্রথমে জাহাজের বাইরে যেতে না চাইলেও নীলের কথায় সে যেতে রাজি হলো। যদিও ফারুক সাহেব মদ খান না কিন্তু তারপরেও সে নীলের সাথে একটা বারে ঢুকলো। কিন্তু কিছু খেলেন না। সেখান থেকে বেরিয়ে নীলের বাথরুমে যাওয়ার প্রয়োজন হলো। ফারুক সাহেব বাইরে তার জন্য অপেক্ষা করছিলেন। কিন্তু বাইরে বেরিয়ে অবাক হয়ে নীল দেখলো ফারুক সাহেব সেখানে নেই। অনেক খোঁজ করেও তাকে পাওয়া গেলো না। জাহাজে ফিরে ক্যাপ্টেনের কাছে জানালে সে স্থানীয় পুলিশকে জানায়। পুলিশ স্যামের লাশ খুজে পায় এবং নীলকে দিয়ে প্রায় জোর করে স্বীকার করিয়ে নেয় যে সেটা ফারুক সাহেবের লাশ। এরপরে নীলও ফারুক সাহেবের খোঁজে বেরিয়ে পড়ে। সে আবার বারে গিয়ে জানতে পারে ফারুক সাহেবকে নাকি ‘পিরানহা’ নামক জাহাজে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সে জাহাজে এসে ক্যাপ্টেনকে এই কথা জানায় এবং পিরানহা জাহাজে তল্লাশি চালাতে বলে। কিন্তু শুধুমাত্র সন্দেহের উপর ভিত্তি করে ক্যাপ্টেন তা করতে রাজি হন নি। কারণ এতে হিতে বিপরীত হতে পারে। হেড অফিসকে জানালে তারা সময়মতো বন্দর ছাড়তে বলে তাদের। জাহাজ ছাড়ার আগেই নীল দেখতে পেল ‘পিরানহা’ জাহাজটাকে। কিন্তু তখন তার কিছুই করার নেই। বন্দর ছেড়ে চলতে শুরু করে জাহাজ। কিন্তু হঠাৎ ঝড়ের কবলে পড়ে যায় জাহাজ। ঝড় এড়ানোর জন্য জাহাজকে উল্টোদিকে ঘুরিয়ে দেয়া হয়। যেমন হঠাৎতকরে ঝড় এসেছিলো তেমন একসময় হঠাৎ করেই ঝড় থেমে যায়। কিন্তু জাহাজ পড়ে যায় জলদস্যুদের কবলে। জলদস্যুরা প্রথমে নীলদের জাহাজে অস্ত্র দ্বারা আক্রমণ শুরু করে। তাদের সামনে বেশিক্ষণ টিকতে পারলো না। আক্রমণে জয়লাভ করার পরে নীলদের জাহাজ নিজেদের দখলে নেয় জলদস্যুরা। এবং নীলদের জাহাজের সকলকে জলদস্যুরা নিজেদের জাহাজে উঠিয়ে নেয়। এরপরে তারা গিয়ে থামে এক নির্জন, ভয়ংকর জঙ্গলে। সেখানে জলদস্যুর দল তাদের একসাথে কোমরে রশি বেঁধে হাঁটিয়ে নিয়ে যেতে লাগলো। অনেকক্ষণ পরে জলদস্যুরা ওই জঙ্গলের মধ্যেই একটি ঝর্ণার পিছনে তাদের এক গোপন জায়গায় সকল বন্দীদের নিয়ে আটকে রাখলো। কিছুক্ষণ পরে জলদস্যুদের নেতা নীলকে ডেকে পাঠালো। সেখানে গিয়ে নীল দেখলো একজন শুয়ে আছে, যার শরীরের অবস্থা খুব খারাপ। কাছে যাওয়ার পরে নীল বুঝতে পারলো সেটা ফারুক সাহেব। নীলকে দেখে কিছু বলতে চাচ্ছিলেন ফারুক সাহেব। কিন্তু সেই কথা শেষ করতে পারলেন না তিনি। তার আগেই মারা গেলো সে। ফারুক সাহেব মারা যাওয়ার পরে তার লাশ খুব সহজভাবেই ফেলে দিয়ে এলো জলদস্যুরা। যেন কিছুই হয় নি। ওদিকে, যেখানে জলদস্যুদের সর্দারের সাথে দেখা করতে এসেছিলো নীল, সেখান থেকে চলে আসার সময় দেখতে পেল সেখানে কেউ নেই এবং খোলা জানালার মতো রয়েছে। সেখান থেকে অতি কৌশলে পালিয়ে যায় নীল। পালিয়ে গিয়ে পাহাড়ের কাছে চলে আসে সে। পাহাড়ের কাছে চলে আসার পরপরেই জলদস্যুদের হৈ চৈ শুনেই নীল বুঝতে পারলো তার পালিয়ে আসার খবর জলদস্যুরা জেনে গেছে। সে নিচে তাকিয়ে দেখলো সমুদ্র। কিন্তু পাহাড় থেকে মোটামুটি দূরত্বের নিচে একটি বড় পাথর বেরিয়ে ছিলো। সে কোনোমতে পাহাড় থেকে নেমে সেই পাথরের উপর দাঁড়ালো। একটু পরেই জলদস্যুর দল সেখানে পৌঁছল এবং নীলকে দেখতে পেয়ে তার দিকে বন্দুক তাক করলো। এরপর নীলকে উদ্দেশ্য করে জলদস্যুরা গুলি করলো এবং তার সাথে সাথেই নীলও পাহাড় থেকে সমুদ্রে লাফ দিলো। কি হলো নীলের? নীল কি বেঁচে গিয়েছিল নাকি মারা গিয়ে হারিয়ে গিয়েছিল সমুদ্রে? কিভাবে ফারুক সাহেব এসেছিলেন জলদস্যুদের ডেরায়? কি হয়েছিল ইয়াসিন সাহেবের লুকানো হীরাগুলোর? আর কোথায় ই বা গিয়েছিলেন জাহাজের ক্যাপ্টেন? এই সবকিছুর উত্তর রয়েছে ‘রসাতলের রহস্য’ বইটিতে। ◆পাঠ প্রতিক্রিয়াঃ সমরেশ মজুমদারের বই মানেই যেন অন্যরকম একটা অনুভূতি, একটা অন্যরকম ভালোলাগা। তার লেখার বরাবরই পাঠকের আকর্ষণ ধরে রাখতে সক্ষম। ‘রসাতলের রহস্য’ বইটিও তার ব্যতিক্রম নয়। বইটি মূলত একটি সমুদ্র যাত্রার। যার ফলে সামদ্রিক সৌন্দর্যের বিষয়টা ভালোই প্রকাশ পেয়েছে। সেই সাথে জাহাজের বিভিন্ন নিয়ম-কানুন, জাহাজের বর্ণনা ইত্যাদি খুব সুন্দরভাবে ফুটে উঠেছে। বইটি পড়ার সময় বেশ উপভোগ করছিলাম। সেই সাথে জাহাজের ডেক, কেবিন, অফিসঘর ইত্যাদির বর্ণনা পড়তে পড়তে সেগুলোকে বাস্তব মনে হচ্ছিলো। আবার সেই সাথে বিভিন্ন বন্দরের নিয়মকানুন, বিভিন্ন স্থানের মানুষের বর্ণনা, বিভিন্ন স্থানের প্রাকৃতিক বর্ণনা ইত্যাদি বেশ সুন্দরভাবে ফুটে উঠেছে। ◆ব্যক্তিগত মতামতঃ বইটি আমার মনে যথেষ্ট কৌতূহল জাগিয়েছিল। প্রথম দিকে তেমন কোনো চমক না থাকলেও বইটির মাঝামাঝি থেকে কাহিনী বেশ উপভোগ করছিলাম। বেশ কিছুক্ষণ পর পর ছোটখাটো টুইস্টগুলো খুব ভালো লেগেছে। তবে কাহিনীর ধারাবাহিকতা যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছিলো, সেই হিসেবে যেরকম সমাপ্তি আশা করেছিলাম তেমনটা হয় নি। সেক্ষেত্রে সামান্য আশাহত হয়েছি। যেন হঠাৎ করেই কাহিনী শেষ হয়ে গেলো। তবে এই বইয়ের জাহাজের অনেক কিছুর বর্ণনা, জলদস্যুদের ভয়াবহতা, প্রাকৃতিক পরিবেশের বর্ণনা ইত্যাদি বিষয় সত্যিই খুব ভালো লেগেছে। নতুন কিছু তথ্য জানতে পেরেছি। যাদের জাহাজ বা সমুদ্র নিয়ে আগ্রহ আছে এবং ভ্রমন কাহিনী ভালো লাগে তাদের জন্য বেশ উপযুক্ত একটি বই। রিভিউটা আপনাদের কেমন লেগেছে সেটা কমেন্টে জানান। কারণ রিভিউয়ের মাধ্যমে যদি আপনাদের বইটার প্রতি আগ্রহ জাগাতে পারি তাহলেই তো আমার কষ্টটা সফল হয়। ধন্যবাদ। রিভিউ লিখেছেনঃ শাহরুল ইসলাম সায়েম