User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
মানুষের মন বড় বিচিত্র জিনিস। সে কি চায় তা খুব কম মানুষই বুঝতে পারে। কেউ কেউ সারাজীবন এই হিসাবই মেলাতে পারে না যে মন কি চায়। তবে মন কখনও একাকিত্ব চায় না। মানুষ সব সময় একজন সঙ্গী খোজে। আর সেই সঙ্গী যদি হয় বিপরীত লিঙ্গের কেউ তাহলে তো কথাই নেই। তবে মানুষের সব চাওয়া কি বিপরীত লিঙ্গের মানুষকে কাছে পাওয়া? একজন পুরুষ একজন নারীর কাছে কি চায়। বর্তমানে দেশের ধর্ষনের প্রেক্ষাপট বাদ দিয়ে চিন্তা করে দেখুন। অনেক ক্ষেত্রেই পুরুষ নারীকে ছাড়া চলতে পারে না। তবে সব পুরুষ একই রকম ভাবে নারীকে চায় না। কিছু পুরুষ আছে যারা কুরুচিপূর্ণ মানসিকতা নিয়ে জন্মায়। তারা নারীসঙ্গ চায় তাদের জৈবিক চাহিদা পুরনের জন্য। কিছু পুরুষ শুধু মনের কথাগুলো শেয়ার করার জন্যই সঙ্গ চায়। কিছু মানুষ কেন সঙ্গ চায় তাই হয়ত জানে না। মনকে বোঝা অনেক কঠিন। উপরে বর্ণিত যে পুরুষের কথা বললাম, যারা নিজেই জানে না তারা কেন নারীসঙ্গ চায়; তেমনই একজন বিচিত্র সত্তার মানুষ রবিউল ইসলাম। কলেজ জীবনে প্রথম ঘনিষ্ঠ নারীসঙ্গ পায় রবিউল। বিরহকাতর তরুণী শিক্ষিকা স্বর্ণকুমারির সাথে অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে সে। কিন্তু সম্পর্ক কিছুদিন চলার পরে এক পর্যায়ে সংস্কারাচ্ছন্ন রূপবতী শিক্ষিকা রবিউলকে ফিরিয়ে দেয়। সে সময় বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন রবিউল। রবিউলের ভার্সিটি লাইফ নিরানন্দে কাটে। কারন সে ভুলতে পারে না স্বর্ণকুমারীকে। চাকরি জীবনেও বিয়েতে তার আগ্রহ দেখা যায় না। বাবা-মা বিয়ে ঠিক করেন সুন্দরী মেয়ে পাপিয়ার সাথে। প্রথমে রবিউল বিয়েতে রাজি না হলেও পরবর্তীতে বিভিন্ন কারনে যখন পাপিয়া আর রবিউল দুইজনে বিয়ের সিদ্ধান্ত নেয় তখন পাপিয়ার বাবা বেকে বসলো। পাপিয়া প্রস্তাব দেয় নিজেরাই বিয়ে করবে। কিন্তু রবিউল রাজি হয় না। পরবর্তীতে রবিউলের বিয়ে হয় কিন্তু সেই বিয়েতে রবিউলের কোনো আগ্রহ ছিলো না। একরকম জোর করেই তাকে বিয়ে দেওয়া হয়। রবিউলের স্ত্রী পারুল গ্রামের সরল মেয়ে। লেখাপড়া শেষ করে সামান্য চাকরি করে। জগতের নিয়মেই তাদের দুই সন্তান হয়। কিন্তু রবিউল বরাবর পরনারীতে আসক্ত। তার স্ত্রী কখনো তাকে আকর্ষন করে না। এখানে তার বিচিত্র সত্তা কাজ করে। সে নারীসঙ্গ চায় কিন্তু কারো সাথেই সে শারীরিক সম্পর্ক করতে চায় না। তাহলে কেন এই ব্যাকুলতা! প্রায় ২০ বছর পরে তার জীবনে আবার আবির্ভাব ঘটে স্বর্ণকুমারী ও পাপিয়ার। রবিউল তখন পঞ্চাশোর্ধ প্রবিন ব্যাক্তি। স্বর্ণকুমারীর কথা নাহয় বই পড়ে জেনে নিবেন। এখানে বলি পাপিয়ার কথা। লম্পট স্বামীর অত্যাচারে পাপিয়া লন্ডন থেকে ঢাকায় এসেছে। একটা চাকরি খুব দরকার। রবিউল না চাইলেও চাকরিটা হয় রবিউলের অধীনেই। অফিসের কর্মকান্ডের বাইরে তারা আবার একে অপরের কাছে চলে আসে। কিন্তু এর পরিনতি কি? ব্যাক্তিগত মতামতঃ রবিউলের মত চরিত্রের মানুষ এই সমাজে খুব বেশি না থাকলেও একেবারে যে নেই, তেমন না। পড়ার সময় আপনার রাগ হতে পারে তার নারীঘেসা চরিত্রের জন্য। কিন্তু চরিত্রের গভীরে গেলে বোঝা যায় তার ব্যাতিক্রমি সত্তাটিকে। একই সাথে সে ভিষন একাও বটে। বানান ভুল চোখে পড়েনি। তবে নামের ভুল চোখে পড়ছে। বইয়ে এক জায়গায় এসে সালমা হয়ে গেছে মায়া। যেই মায়া আগেই আত্মহত্যা করছে। এবং সালমার ঘটনার শেষ পর্যন্ত সেটা আর ঠিক করা হয়নি। প্রচ্ছদটা সবার কাছে কেমন লাগবে জানি না, আমার ভালো লাগছে। অনেকদিন যাবত রিডার্স ব্লকে থাকার কারনে বই ধরতে পারতিছি না। আশা করি এই বইটার মাধ্যমে ব্লক কাটবে