Our User Product Reviews

লিঙ্গ আমাদের লিংক(সংযোগ) না ঘটিয়ে, বিচ্ছেদ বিভেদ আর বিভাজনের কারণ হয়েছে। “প্রেম” ক্রিয়াপদ না হয়ে স্রেফ নামপদ হয়ে আছে আমাদের কাছে। এখন “প্রেম” করা মানে কি? নামপদাশ্রয়ী ব্যবস্থায় “প্রেম” একটা সম্পর্কের ডাক নাম, এবং সেই সম্পর্ক কতক শর্তাধীন। কিন্তু “প্রেম” সে তো মুখেমুখে তত্ত্ব কথা কপচানো কিম্বা কতগুলো শর্ত স্বভাব আচরণ তৈরির বিষয় না। “প্রেম” করার বিষয়। ক্রিয়া করাই “প্রেম” করা। মহাপ্রকৃতি তাঁর সন্তানদের মধ্যে সংযোগ ঘ্টান সম্পর্ক চর্চার মাধ্যমে, এক এর সাথে অ-পর’র যোগ ক্রিয়ার দ্বারা। কিন্তু পৃথিবী নামক গ্রহের মানুষ নামক প্রানীর বিভেদ চর্চা এমন পর্যায়ে দাঁড়িয়েছে এখন প্রেমিক প্রেমিকা চেনা দায়। কেননা প্রেমিক বললেই ধরা হয় শিশ্নধারী কেউ আর প্রেমিকা হয়ে গেছে যৌনাস্ত্র। কিন্তু প্রেমীর অন্তর’র কোন লিঙ্গ’র খোঁজ আমরা অদ্যাবধি পাই নাই। প্রেমীর হৃদয়ের উদ্যানে দাঁড়িয়ে শুনেছি, মনের কোন লিঙ্গ নাই সে নিরপেক্ষ। যদি মনের লিঙ্গ না থাকে তাইলে মনের মানুষের লিঙ্গ আসে কোথা হতে? তাই প্রেম করতে গিয়ে লিঙ্গ’র ভেদ চর্চায় মত্ত হতে ইচ্ছা নাই। অসীম প্রেমময়ী প্রকৃতির অন্তরস্থল থেকে শুনতে পাই, যে প্রেমে পরে সেই প্রেমিক, যার প্রেমে পরা হয় সেই প্রেমিকা। হাজারো বিভাজনের এজেন্ডাকে পাশ কাটিয়ে, প্রেমিক খুঁজে নেবে তার প্রেমিকাকে। প্রেমিকা চুম্বনে সে খুঁজে পাবে নিজস্ব মোকাম। যে মোকামে ক্ষমতা আধিপত্য আর ঐশ্বর্যের ঈশ্বর নয়, নশ্বর মানুষই প্রেমিকা চুম্বনে স্বয়ং ঈশ্বর হয়ে উঠবে। জয় হোক প্রেমিকা। বিনয়াবনত থাক প্রেমিক। বিধুনন জাঁ সিপাই