User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
বইয়ের নাম-দূরে কোথাও লেখক- বদরুল মিল্লাত প্রকাশনী- আদী প্রকাশণ স্বাধীনতার বিশ বছর পরের পটভূমিকে উপজীব্য করে সৃষ্টি হয়েছে এই উপন্যাসের। গল্পের শুরুটা ডেনমার্কে। বাবা ও বড় ভাই-বোনের সাথে বাস করে এমা। তার ভাইয়ের মেয়ে হলে মেয়ে বাবা নাকি মায়ের মত হয়েছে সেটা নিয়ে তর্ক শুরু হয়। তখনি প্রথমবারের মত একুশ বছর বয়সী এমার মাথায় প্রশ্নটা উঁকি দেয়। সে কেন তার পরিবারের কারো মত দেখতে না। সে কেন ড্যানিশদের থেকে অন্যরকম। একসময় বাধ্য হয়েই বাবাকে নিজের পরিচয় নিয়ে প্রশ্ন করে এমা। জানতে পারে নিজের আসল পরিচয়। আসলে সে একজন যুদ্ধ শিশু। তার বর্তমান বাবা-মা তাকে বাংলাদেশের এক সংগঠন এর কাছ থেকে দত্তক নিয়েছে। অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে বাংলাদেশে আসে এমা। তার মাকে কীভাবে খুঁজে পায়? খুঁজের পাবার পরেই বা কি হয়? ভালোবাসা, অস্তিত্ব, দ্বিধা নিয়ে এগিয়ে যায় উপন্যাস। পাঠ পতিক্রিয়া- একথায় বলতে গেলে ভালো লেগেছে। হয়ত উপন্যাসের বিষয়বস্তুটা একটু বেশীই স্পর্শকাতর তাই ভালো লাগার পরিমাণটাও বেশী। একটা যুদ্ধ শিশু আর তার মায়ের পরিস্থিতি কেমন ছিল একাত্তরে তা তুলে ধরা হয়েছে। মাকে খুঁজে পাবার পরের কাহিনীটাও আমাকে একই সাথে আনন্দ ও বেদনার মিশ্র অনুভূতি দিয়েছে। তিরানব্বইয়ের রক্ষণশীল বাংলাদেশের চেহারা দেখে এমার বিস্ময় প্রকাশের ব্যাপারটাও মন্দ ছিলনা। সাধারণ গ্রামীণ জীবনের চিত্র ও দেখা যায় বইটিতে। শেষে কিছু মেসেজও ছিল। ব্যক্তিগতভাবে আমার অনেক ভালো লেগেছে। অনেকদিন পর কিছু পড়ে মন খারাপ লাগল। যদিও এসব আবেগ-অনুভূতি আমার নেই বললেও চলে। তাও কেন জানি!
Was this review helpful to you?
or
সাপ্তাহ চারেক পর অবশেষে একটা বই পড়ে শেষ করলাম। মনে হচ্ছিল বই পড়া আমার আর হবে না। পড়ছিলাম সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় এর লেখা জনপ্রিয় কাকাবাবু সিরিজের গল্প,“নীলমূর্তি রহস্য” কাকাবাবু সিরিজের অন্যসব গল্পের মতোই এটা। ঠিক বলিনি এটায় রম্য ছিল প্রচুর। সন্তর বন্ধু জোজো ছিল টেনিদার মতো গুলবাজ। তার বড় বড় কথায় হাসতে হাসতে পেট ফেটে যাচ্ছিল। কাকাবাবুর কাছে দুজন এলো একটা নীলমূর্তি আদিবাসিদের থেকে উদ্ধার করে দিতে। কোন এক সময় নাকি মূর্তিটা তাদের বাড়ি থেকে চুরি যায়। মূর্তিটা যে তাদের ছিল তেমন কোন প্রমাণ দিতে না পারায় কাকাবাবু রাজি হয়নি। মোটামুটি অপমান করে বাড়ি থেকে তাদের বের করে দেন তিনি। ওই দিকে সন্ত জোজোর পিসেমশাই এর বাড়ি যায়।অদ্ভুত চরিত্রের এই পিসেমশাই একজন বিজ্ঞানী। প্রফেসর শঙ্কু মার্কা। আশ্চার্য সব জিনিস আবিষ্কার করেছেন তিনি। জীব জন্তু সহ্য করতে পারেন না এমন তাদের গন্ধও। সন্ত সেখানে গিয়ে জানতে পারে তার কাকাবাবুর সাথে এই বিজ্ঞানীর শত্রুতা আছে। উনি প্রতিশোধ নিতে চায়। এদিকে কিডনাপ হয়ে গেল কাকাবাবু। অন্যদিকে সন্ত আর জোজোও। ঠিক কিডনাপ নয়! কিন্তু কেন? কে ? খুবই উপভোগ করেছি গল্পটা। কাকাবাবু প্রতিটি গল্পই আমার ভালো লাগে এর ইতিহাস এবং এডভেঞ্জার এর জন্য। এই গল্পে সেগুলো ছিল সাথে কমেডিও। বিজ্ঞানী মানুষটা মজার। সমান্য বিড়ালের ছা তার পায়ে মাথা ঘষায় যা কান্ডটা করল না!অনেকদিন পর বই পড়ে প্রাণ খুলে হাসলাম। রেটিং....... ৪/৫
Was this review helpful to you?
or
বই: দূরে কোথাও জনরা: মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক উপন্যাস লেখক: বদরুল মিল্লাত প্রকাশনী: অাদী প্রকাশন প্রকাশ কাল: বইমেলা ২০১৭ পৃষ্ঠা: ১২৮ প্রচ্ছদ: বদরুল মিল্লাত মুদ্রিত মূল্য: ২০০৳ কাহিনী সংক্ষেপ: গল্পের শুরুটা ডেনমার্কের এক হাসপাতালে। এমার বড়ভাই সাইমনের মেয়ে হলে সবাই অানন্দ উৎসবে মেতে ওঠে। মেয়েটা কার মত দেখতে হয়েছে এমন কথা বলাবলি করা শুরু করলে এমার মনেও প্রশ্ন জাগে সে কার মত দেখতে। সে তো তার বাবা, মা, ভাইবোন কারো মত নয়, এমনকি তার গায়ের রংটাও তাদের মত ফর্সা না। বাবা ড্যানিয়েলের কাছে নিজের সঠিক পরিচয় জানতে চাইল এমা। প্রথমে বলতে না চাইলেও ড্যানিয়েল জানে এমা অনেক বুদ্ধিমতী মেয়ে তাই তাকে সব বুঝিয়ে বলে। এমা একজন যুদ্ধ শিশু, ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ থেকে তাকে দত্তক নেয়া হয়। কিন্তু কে তার অাসল মা, বাবা জানার জন্য উদগ্রীব হয়ে ওঠে এমা। ইন্টারনেট ঘেটে জানতে শুরু করে বাংলাদেশ অার দেশের ভয়াবহ্ মুক্তিযুদ্ধ ও তার পরবর্তী নৃশংসতার ঘটনা। পাকহানাদরের নয় মাসের বোনা নষ্ট বীজের ফসল যে কত নারীর সারাজীবনের চোখের জল হয়েছিল, যুদ্ধ পরবর্তী দেশে তাদের অবস্থা কতটা ভয়াবহ ছিল তার করুণ বর্ণনা। নিজের মাকে খুঁজে বের করার জন্য এমা সিদ্বান্ত নেয় বাংলাদেশে অাসবে। অবশেষে অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে চলে অাসে বাংলাদেশে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কী হয়েছিল এমার, খুঁজে কী পেয়েছিল তার জন্মদাত্রী মাকে, কেমন অাছে সে এখন? এসব জানতে অবশ্যই পড়তে হবে বইটা। নিজস্ব মতামত: বইটা অনেক দিন অাগে পড়া থাকলেও নতুন করে অাবার নেড়েচেড়ে দেখলাম। কিছু কিছু বই অামার কয়েকবার পড়তে ভালো লাগে। এ বইটাও তার মধ্যে একটা। অামার পড়া লেখকের সব বইয়ের মধ্যে এটা বেষ্ট একটা বই বলব অামি।অস্তিত্ব, ভালোবাসা অার দ্বীধার গল্প "দূরে কোথাও"। গল্পের প্লটের জন্যই হয়তো বইটা এতটা প্রিয়। ১৯৭১'র যুদ্ধটা যে সেই ডিসেম্বরের স্বাধীনতার পরেও নিরব ঘাতকের মত কাজ করছিল সেটা উপজীব্য করেই এ বই। যুদ্ধ পরবর্তীতে একজন বীরাঙ্গনা নারীর কতটা সংগ্রাম করে সমাজে টিকে থাকতে হয়েছে তার কল্পনাশ্রয়ী বাস্তবচিত্রই যেন লেখক পাঠকের সামনে তুলে ধরেছেন। যদিও বইয়ের শুরুতে লেখক বলেছেন গল্পটা বাস্তব কাহিনী অবলম্বনে হলেও চরিত্র, স্থান সবটা কাল্পনিক তবে কেন জানি অামি এটাকে বাস্তবে দেখতে পাই পুরোটাই।