User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
বইটি অনেক দিন ধরে কেনার ইচ্ছে সিলো অবশেষে আজ বইটি হাতে পেলাম কেনা শেষ এখন শুধু পড়া বাকি?
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ লেখা একটি বই?
Was this review helpful to you?
or
nice
Was this review helpful to you?
or
one of the favorite book ✨
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ বইটা ?....এত্তো ভালো লাগছে বলার মতো না ?
Was this review helpful to you?
or
পছন্দের
Was this review helpful to you?
or
হুমায়ূন আহমেদ এর অসাধারণ একটি বই।বইয়ের কোয়ালিটি ভাল ছিল।
Was this review helpful to you?
or
খুব সুন্দর একটি প্রেমের উপন্যাস।
Was this review helpful to you?
or
শুধু এটুকু বলবো বইটি পড়তে পড়তে আমি এক কল্পনা জগতে হারিয়ে গিয়েছিলাম। সে অংশের জন্য মোটেও প্রস্তুত ছিলাম না। হুমায়ূন আহমেদ মানেই সব সময় সেরা উপহার।
Was this review helpful to you?
or
খুলনার কেউ অর্ডার দিয়েন না। একমাসেও ডেলিভারি পাবেন না।
Was this review helpful to you?
or
আমার জন্মদিনে বইটা আমাকে গিফট করেছিলেন একজন! উনাকে আমি আবারো ধন্যবাদ দিতে চাই এতো সুন্দর কিছু আমাকে উপহার দেওয়ার জন্য। ? হুমায়ুন আহমেদ এর প্রতেকটি বই ই আমার ভিষণ ভালো লাগে। কিন্তু এই বইটা আমার মনে দাগ কেটে গেছে। ৪,৫ দিন আমি বইটার রেশ কাটাতে পারিনি। It is a masterpiece! ❤️
Was this review helpful to you?
or
অসম্ভব সুন্দর একটি বই!
Was this review helpful to you?
or
din sheshe holud panjabir opekkhay....thaka... manush gulo .kotkote holud rong ta matha dhoriye dy tobu oi jonno e opekkha...ar chokher jol ..oshadharon smiriti
Was this review helpful to you?
or
এক কথায় অসাধারণ। বইটি এত সুন্দরভাবে দেয়া হয়েছে যে দেখেই মন মুগ্ধ হয়ে গেছে, সাথে অত্যন্ত সুন্দর একটি রিড মার্ক দেয়া হয়েছে। ধন্যবাদ রকমারি কে।
Was this review helpful to you?
or
গল্প ভালো ছিলো। কিন্তু অনেকদিন পর বই কিনে আমি হতাশ, বইটা এমন মিন্ট কালারের কাগজে ছাপা আগে জানলে কখনোই কিনতাম না। সাদা বা অফ হোয়াইট কাগজে ছাপা বই পড়তে আমি সাচ্ছন্দ্যবোধ করি।
Was this review helpful to you?
or
Nice
Was this review helpful to you?
or
কৃষ্ণপক্ষ বইটা পড়ে যত সুন্দর লাগে সেটা হয়তো টিভিতে দেখে এত সুন্দর লাগেনা। এই বইটা পড়ার মাঝেই সৌন্দর্য।
Was this review helpful to you?
or
balo
Was this review helpful to you?
or
Good
Was this review helpful to you?
or
fine it was
Was this review helpful to you?
or
যতটা ভালো মনে করেছিলাম ততটা ভালো উপন্যাস নয়
Was this review helpful to you?
or
শুরুটা হয় বিশ টাকার নোট দিয়ে, আর সমাপ্তি ঘটে হলুদ পাঞ্জাবি পুড়িয়ে ফেলার মাধ্যমে। মন ছুয়ে যাওয়ার মতো একটা উপন্যাস, যা একবারে শেষ না করে উঠা সম্ভব নয়।
Was this review helpful to you?
or
একটি উপন্যাস একই সাথে এতটা সাবলীল, সুন্দর , আর কষ্টের কীভাবে হয়? না কেঁদে পারিনি। বই আর সিনেমায় অনেক পার্থক্য থাকে। বই টা হাতে নিয়ে পড়লে নিজের কল্পনায় হারিয়ে যাওয়া যায়। এটি পড়ার সময় আমি তেমনই এক রাজ্যে হারিয়ে গিয়েছিলাম। একটি বার হলেও পড়বেন, কাল্পনিক ই কিন্ত বুঝতে পারবেন ভাগ্যের কি খেলা! ধন্যবাদ রকমারিকে একদিনের মধ্যেই ডেলিভেরি করার জন্য এই সুন্দর বই টা।
Was this review helpful to you?
or
oshadharon
Was this review helpful to you?
or
osadharon boi
Was this review helpful to you?
or
sundor tomo
Was this review helpful to you?
or
just awesome
Was this review helpful to you?
or
good
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ একটা গল্প, চোখ চল চলে আসছে
Was this review helpful to you?
or
হুমায়ুন আহমেদ এর বই সবসময়ই ভালো
Was this review helpful to you?
or
আহা….
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ একটি বই.... ভালোবাসার ভিন্ন ধরনের একটি গল্প।
Was this review helpful to you?
or
অনেক ভালো লেগেছে।
Was this review helpful to you?
or
vlo ❤️
Was this review helpful to you?
or
It was an awesome book
Was this review helpful to you?
or
ভালো
Was this review helpful to you?
or
বেকারত্ব আর প্রেম দুটো জীবনে একসাথে থাকার পরিনাম, ,,,,ভালোই লেগেছে ৷
Was this review helpful to you?
or
অসম্ভব ভালো লাগার বই।। ভালোবাসা অভিরাম ??
Was this review helpful to you?
or
অসাধারন এক অনুভূতি লুকিয়ে আছে এই বইটিতে।
Was this review helpful to you?
or
কৃষ্ণপক্ষ বইটি আসলেই অনেক সুন্দর
Was this review helpful to you?
or
এতো সুন্দর একটা গল্প যে, শেষটা পড়ে আমার চোখে পানি এসে পড়েছে! খুবই সুন্দর একটি ভালোবাসার গল্প
Was this review helpful to you?
or
valoo
Was this review helpful to you?
or
Ak kothay oshadharon ekti boi…❤️
Was this review helpful to you?
or
khub vlo but finishing tai kharap lagce
Was this review helpful to you?
or
nice book
Was this review helpful to you?
or
খুব সুন্দর
Was this review helpful to you?
or
Good book
Was this review helpful to you?
or
Sob gula e oenk joss
Was this review helpful to you?
or
প্রতিবারের মতো রকমারি কে ধন্যবাদ জানাই তাদের পারফরমেন্সের জন্য। এক কথায় অসাধারণ লেগেছে এই বইটি।
Was this review helpful to you?
or
Its really a nice novel to read.
Was this review helpful to you?
or
5/5
Was this review helpful to you?
or
onek valo
Was this review helpful to you?
or
I have no words. Just wanna say,it makes me cry.
Was this review helpful to you?
or
Gonna give a 5 star rating. This is one of the best novels of Humayun Ahmed so far. And the theme is so beautiful and tragic. It made me cry. Couldn't stop my tears from streaming down my face. Will always be my favorite and highly recommended
Was this review helpful to you?
or
খুব ভালো
Was this review helpful to you?
or
ঠিক যেমনটা ছেয়েছিলাম
Was this review helpful to you?
or
হুমায়ুন আহমেদের বই মানে সেখানে নতুন করে বলার কিছু নেই। অসাধারণ লেখা। একজনকে গিফট দেওউয়ার জন্য নিছিলাম। সে বই পেয়ে খুব খুশি। রকমারি কে ধন্যবাদ সুন্দরভাবে বইটি আমাদের কাছে পৌঁছে দেওউয়ার জন্য।
Was this review helpful to you?
or
appreciated with end.
Was this review helpful to you?
or
অসাধারন সার্ভিস, আর বই গুলো আরো অসাধারন
Was this review helpful to you?
or
best
Was this review helpful to you?
or
বরাবরই হুমায়ুন স্যারের বইয়ের খুব ভক্ত। এই বইটা আসলেই ভালো লাগার মতো।
Was this review helpful to you?
or
দুইটি বই পড়ে অনেক ভালো লেগেছে।
Was this review helpful to you?
or
Good
Was this review helpful to you?
or
অনেক সুন্দর একটি বই, রোমান্টিক বইয়ের জন্য আদর্শ চয়েজ। কিছু মানুষ কিভাবে এই বইটিকে ১ স্টার দিলো বুঝলাম না। হাসি,রোমান্টিকতা,সুঃখ সব মিলয়ে হুমায়ুন আহমেদ স্যারের এক অনন্য সৃষ্টি বইটা।
Was this review helpful to you?
or
Vlo
Was this review helpful to you?
or
অঅসাধারন বই
Was this review helpful to you?
or
খুবই ভালো লাগলো বইটি পড়ে।হুমায়ুন আহমেদ স্যার লিগেন্ড।
Was this review helpful to you?
or
v
Was this review helpful to you?
or
ছোট উপন্যাস কিন্তু অসাধারণ
Was this review helpful to you?
or
লেখকের নিজেরি খুব প্রিয় বই ছিলো।
Was this review helpful to you?
or
good
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ বই?
Was this review helpful to you?
or
উপন্যাসের শেষ টা পড়ে চোখে জল এসে গিয়েছিল।ভালবাসার মানুষকে এইভাবে হারিয়ে ফেলার মতো কষ্ট আর কিছু হতে পারেনা
Was this review helpful to you?
or
বইটা পড়ে অনেক্ষণ কান্না করছিলাম। "আমি আমার সব কিছুর বিনিময়ে তোমাকে চেয়েছি, তোমায় পেয়েছি, তোমায় হারাতে চাই না"
Was this review helpful to you?
or
অসম্ভব সুন্দর কাহিনি
Was this review helpful to you?
or
বাংলা সাহিত্যের এক কিংবদন্তী হুমায়ূন আহমেদ। বিংশ শতাব্দীর বাঙালি লেখকদের মধ্যে তিনি অন্যতম স্থান দখল করে আছেন। একাধারে ঔপন্যাসিক, ছোটগল্পকার ও নাট্যকার এ মানুষটিকে বলা হয় বাংলা সায়েন্স ফিকশনের পথিকৃৎ। নাটক ও চলচ্চিত্র পরিচালক হিসেবেও তিনি বেশ সমাদৃত। বাদ যায়নি গীতিকার কিংবা চিত্রশিল্পীর পরিচয়ও। সৃজনশীলতার প্রতিটি শাখায় তাঁর সমান বিচরণ ছিল। অর্জন করেছেন সর্বোচ্চ সফলতা এবং তুমুল জনপ্রিয়তা।
Was this review helpful to you?
or
"একটা মানুষ কেন হলুদ পাঞ্জাবি পড়ে বিয়ে করতে যাবে???" এইতো শুরু। এই উপন্যাসে ওই সময়ের সামাজিক জীবন খুব ভালোভাবে ফুটে উঠেছে। একটা বেকার ছেলের জীবন আর তার ভালোবাসাকে কেন্দ্র করেই এই উপন্যাস।
Was this review helpful to you?
or
অনেক ভালো ছিল।
Was this review helpful to you?
or
*বইঃ-কৃষ্ণপক্ষ *লেখকঃ-হুমায়ুন আহমেদ *ধরণঃ-উপন্যাস *ভাষাঃ-বাংলা *প্রকাশণীঃ-সুবর্ণ *প্রথম প্রকাশঃ-ফেব্র্রুয়ারি ১৯৯২ *প্রচ্ছদঃ-ধ্র্রুব এষ *মোট পৃষ্ঠাঃ-৯৬ *মূল্যঃ-১৫০৳ =হুমায়ুন আহমেদ।একটা নাম;একটা ইতিহাস।বাংলা সাহিত্যের এক অসাধারণ লেখক।যার জন্মই হয়েছিল হয়তো সাহিত্যিক হওয়ার জন্য।বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন পরিসংখ্যানে উঠে এসেছে-বাংলা সাহিত্যের মধ্যে সবচে’ জনপ্রিয় দুইজন লেখক হলো-শরৎ আর হুমায়ুন।সেই হুমায়ুন আহমেদের লেখা পর্যালোচনা করতে বসেছি।হয়তো একটু ধৃষ্টতাই!তাও আবার সেই উপন্যাসের যা লেখকের নিজের অত্যন্ত প্রিয় একটি উপন্যাস।হুমায়ুন আহমেদ তার অনেক লেখার মধ্যেই আকারে-ইঙ্গিতে বলে গিয়েছেন "কৃষ্ণপক্ষ"এর কথা।যদিও ক্ষুদ্র পাঠক হিসেবে আমার কাছে মনে হয়েছে আর দশটা সাধারণ উপন্যাসের মতোই এর প্লটও গড়ে উঠেছে সাধারণভাবেই।অরু আর মুহিব;প্রজন্মের দুই তরুন-তরুণী।যাদের মনে রয়েছে পরস্পরের জন্য গভীর ভালোবাসা।তবে কেন্দ্রীয় চরিত্র সম্ভবত অরু!তার দুই মেয়ে-রুচিরা ও কান্তা।বড় মেয়ের আজ বিয়ে।বর এসেছে রাত সাড়ে আটটায়।একটা কটকটে হলুদ পাঞ্জাবি পড়ে।হিমু প্রেমীরা ভেবে বসবে হয়তো হিমু এবার বিয়ে করছে!রাত প্রায় একটায় কান্তা ছুটে আসলো তার মায়ের ঘরে।বললো-মা!বনফায়ার হবে।আপা দুলাভাইয়ের পাঞ্জাবি পোড়াবে!অরুর চোখে জল এসে গেছে।সেই জলের রহস্য জানতে হলে ফিরে যেতে হবে পচিশ বছর আগে।একটা কটকটে হলুদ পাঞ্জাবি পড়ে বিয়ে করতে এসেছে মুহিব।যদিও আমার কাছে মনে হলো মুহিবের মাধ্যমে হুমায়ুন দেখাতে চেয়েছেন মূলত হিমুকে।এই মনে হওয়ার পিছনে অনেকগুলো কারণও রয়েছে।মুহিব ঠিক হিমুর মতোই এতিম।সে তার বোন জেবার বাসায় থাকে।তার দুলাভাই এটাকে ভালো চোখে দেখে না।মুহিব তাকে খুব ভয় পায়।এদিক দিয়ে আবার সে বেকার।কিন্তু তার মাঝে ছন্নছাড়া ভাবটা ঠিকই বজায় থাকে।তার চাকরি না থাকা,ছন্নছাড়া হয়ে ঘুরে-ফেরার মাঝ দিয়েও অরু তার প্রেমে পড়ে।আসলে হিমুদের প্রেমে তো কতজন-ই পড়ে!যাইহোক,মুহিবও তাকে ভালোবাসে।একসময় তারা পরিবারে না জানিয়ে বিয়ের সিদ্ধান্ত নেয়।বিয়ের দিনে মুহিব পরে আসে একটা কটকটে হলুদ পাঞ্জাবি!ঠিক পঁচিশ বছর পরে অরুর মেয়ে রুচিরার বিয়েতে তার স্বামীও পরে আসে একটা কটকটে হলুদ পাঞ্জাবি!মুহিব আর অরু বিয়ে সেরে তাদের একটা বন্ধুর বাসায় যায়।সেখানেই তাদের বাসর হবে।কিন্তু মুহিবকে তার দুলাভাইয়ের অফিসে যেতে হয়!কয়েকঘন্টা বসিয়ে রাখার পর তার দুলাভাই তাকে ডেকে নেয় এবং তাকে চাকরি দেয়।মুহিব তার বন্ধুর বাসায় ফিরে আসে।অরু শাড়ি পাল্টাতে যায় আর এমন সময় মুহিবের ঘুম চলে আসে!বাসর রাতে ঘুম!সকালে উঠে নাস্তা সেরে সে যাত্রা শুরু করে।সেদিনই মুহিব যে গাড়িতে যায় তা অ্যাক্সিডেন্ট করে।হাসপাতালে নেওয়ার পর সে মারা যায়।সে কথা শুধু অরু,মুহিবের বোন,দুলাভাই,ভাগনী,বন্ধু বজলু আর পাঠকরা জানে।এই হলো ”কৃষ্ণপক্ষ”এর সংক্ষিপ্ত কাহিনী।অনেক আগে থেকেই পড়ার ইচ্ছে ছিল উপন্যাসটি।যদিও সুযোগ করে উঠতে পারিনি।অবশেষে পড়ে ফেললাম।সাধারণ কিছু ঘটনার খামে আবৃত এক অসাধারণ সৃষ্টির নাম "কৃষ্ণপক্ষ"।একটা প্রেমের উপন্যাস।তবে বিয়োগান্ত নাকি রোমান্টিক সে বিচার অন্য পাঠকরা করবেন।শেষে বলবো পড়ার মতোই একটি উপন্যাস।হ্যাপি রিডিং? রেটিংঃ-৫/৫ #রকমারি_রিভিউ_প্রতিযোগ #এপ্রিল ২০২০ ~ফখরুল ইসলাম
Was this review helpful to you?
or
অন্যতম শ্রেষ্ট রোমান্টিক উপন্যাস।
Was this review helpful to you?
or
it’s awesome. just awesome ??
Was this review helpful to you?
or
চোখের পানি ধরে রাখতে পারলাম না
Was this review helpful to you?
or
সত্যিই বইটি মুগ্ধ করার মতো।জ্ঞ্যানের তৃষ্ণা মেটানোর জন্য বইটি যথেষ্ট উপযোগী।শুধু এই বিষয়ের ছাত্র না, সবাই এই বইটি সমানভাবে উপভোগ করতে পারবে।শিখতেও পারবে অনেক কিছু।বইটি পড়ার পর ভালো লাগা কাজ করবেই।অনেক চিন্তার খোরাক যোগাবে বইটি।আমি সবাইকে রেফার করবো বইটি পড়ার জন্য।
Was this review helpful to you?
or
This book is undoubtedly the best book that I have read, written by Humayun Ahmed. I read this book back in 2010. This book is a realistic book. It not only focuses on the profound images of love and happiness but also depicts how reality can take away human happiness within a moment. The uncertainty of life and loss is described masterfully in the novel. Similarly, the novel portrays loss is a part of human life yet the intercourse of our life cannot be stopped because of pain of loss.The only thing that we all are left is some scattered moments of past happiness. © Shemonti Hasan
Was this review helpful to you?
or
অতিরিক্ত অসাধারণ একটি উপন্যাস।শুরুটা এক প্রেম কাহিনী যা অন্যরকম ধরনের।যখন প্রেম এর পরিনতি আসলো তখন ই লেখক দেখিয়ে দিলেন তার সফলতার জায়গা।সবথেকে সুন্দর অংশ মনে হয় শেষ অং শ টি।যেখানে দেখি সব কিছুর পরেও জীবন থেমে থাকে নাহ।
Was this review helpful to you?
or
Just Amazing
Was this review helpful to you?
or
এই বইটি নিঃসন্দেহে হুমায়ূন আহমেদের রচিত আমি সবচেয়ে ভাল বইটি পড়েছি। আমি 2010 সালে এই বইটি পড়েছি। এই বইটি একটি বাস্তবসম্মত বই। এটি কেবল প্রেম এবং সুখের গভীর চিত্রগুলিতে দৃষ্টি নিবদ্ধ করে না তবে চিত্রিত করে যে বাস্তবতা কীভাবে একটি মুহুর্তের মধ্যে মানুষের সুখকে কেড়ে নিতে পারে। জীবন ও ক্ষতির অনিশ্চয়তা উপন্যাসটিতে দুর্দান্তভাবে বর্ণনা করা হয়েছে। একইভাবে, উপন্যাসটি লোকসানকে চিত্রিত করা মানুষের জীবনের একটি অঙ্গ, তবুও আমাদের জীবনের সহবাস বন্ধনের ব্যথার কারণে থামানো যায় না we কেবলমাত্র আমরা সবাই বাকি রয়েছি অতীতের সুখের কিছু বিক্ষিপ্ত মুহুর্ত।
Was this review helpful to you?
or
#রিভিউ~ বইঃ-কৃষ্ণপক্ষ,,লেখকঃ-হুমায়ূন আহমেদ.. আমার জানামতে এই উপন্যাসটি লেখকেরও অত্যন্ত প্রিয় একটি উপন্যাস,,আর প্রিয় হবেনা কেন গল্পটাই এমন যে যে কারো প্রিয় হতে বাধ্য... আমার কখনো বই পড়ার অভ্যাস ছিলোনা হঠাৎ একদিন ফেসবুকে রকমারির এ্যাড দেখি সেখানে কভারে ছিলো এই কৃষ্ণপক্ষটি তারপর কি মনে করে যেনো কমেন্ট পড়তে যাই দেখলাম সবাই বইটির খুব প্রশংসা করছে তারপর আমিও ভাবলাম অর্ডার করি তারপর অর্ডার করে দেই একদিন পড়েই বইটি হাতে পাই এবং সেদিনই পড়া শুরু করে.. এইবার বই সম্পর্কে কিছু বলি উপন্যাসে কেন্দ্রীয় চরিত্র হচ্ছে দু'জনকে ঘিরে তাদের মধ্যে একজন হচ্ছে মুহিব অন্যজন অরু এছাড়াও আরও অনেকে রয়েছে... মুহিব এবং অরু একে অপরকে ভালোবাসা.. মুহিব হলো বেকার ছেলে এদিকে অরু বিয়ের জন্য তাকে চাপ দিচ্ছে.... একদিন হঠাৎ দুজন পরিবারের চোখ ফাকি দিয়ে না জানিয়ে দুজন বিয়ে করে ফেলে বিয়ে করে উঠে বন্ধুর বাসায়... এদিকে বিয়ের রাত্রেই মুহিবের দুলাভাই তাকে তার অফিসে ডাকায় চাকরির কথা বলে মুহিবও তার ডাকে চলে যায় এদিকে মাত্র বিয়ে করে আসা ঘরে নব্য বধু..... অনেক রাত্র পর্যন্ত অপেক্ষা করার পর অরুর অপেক্ষার প্রহর কাটে মুহিব ফিরে আসে.. এসে বলে সকালেই তাকে চিটাগাংয়ের উদ্দেশ্যে ভের হতে হবে চাকরির জন্য.... সকাল হয় মুহিব চিটাগায়ের উদ্দেশ্যে ভের হয় ওদিকে অরুও তার বাসায় ফিরে যায় গিয়ে দেখে সব কিছু ঠিকঠাকই আছে... কিছুখনপর অরুর বাসায় ফোন আসে রিসিভ করব অরুর বোন!পরে উনি অরুকে ধরিয়ে দেয় খবর আসে `মুহিব এক্সিডেন্ট করেছে' এই খবর শুনে অরু পাগলের মতো ছুটে যায় তার বাবার কাছে বাবার পা ধরে বলতে থাকে `বাবা আমার স্বামি মারা যাচ্ছে আমাকে যেতে হবে আমাকে যেতে দাও' সবাই থমকে যায় অতঃপর সবাই হসপিটাল যায় এবং কিছুক্ষনপর মুহিব মারা যায়... এইখানেই শেষনা আরও কাহিনি আছে তারপর কি করেছিলো অরু? অন্য কাওকে কি বিয়ে করেছিলো? জানতে হলে অবশ্যই বইটি পড়তে হবে.. আগেই বলেছিলাম আমার বই পড়ার অভ্যাস ছিলোনা কিন্তু এই বইটি পড়ার পর থেকে এখন বইপোকা হয়ে গেছি.. তাহলে দেরি না করে এখনই অর্ডার করুন...
Was this review helpful to you?
or
khubi sundor akta boi, kisu kisu ongsho bar bar poresi
Was this review helpful to you?
or
একটা মানুষ যে কীভাবে এতো সুন্দর করে যেকোনো উপন্যাসকে অনন্য রূপ দিতে পারে, তা হুমায়ূন আহমেদের লেখা না পড়লে বোঝা হয়তো অসম্ভব। আমি বলতে পারবোনা, তাঁর এমন কোনো উপন্যাস পড়েছি কি না যা মুগ্ধ করতে ব্যর্থ হয়েছিলো। বই পড়া থেকে এক দীর্ঘ বিরতি নেবার পর পুনরায় শুরু করি "কৃষ্ণপক্ষ" দিয়ে৷ এই উপন্যাস নিয়ে কিছু বলতে গেলেই একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলতে হয় আমার! প্রথমবার পড়েই যে পরিমাণে কেঁদেছিলাম, তাই আজপর্যন্ত দ্বিতীয়বার পড়ার সাহস আমি পাইনি। এখনো ভাবলে কষ্টটা ঠিক সমানভাবে অনুভূত হয় যেন! রকমারির পণ্য নিয়ে আলাদা করে এটুকুই বলবো, এখান থেকে বরাবরই ভালো মানের পণ্য পেয়ে এসেছি আমি।
Was this review helpful to you?
or
ভালো ছিলো
Was this review helpful to you?
or
এটি একটি রোমান্টিক ঘরানার ছোট একটি উপন্যাস। তবে পরিণতিই বলুন কিংবা সমাপ্তি বিয়োগাত্মক মিলনাত্মকের মিশেলে অদ্ভুত দোলাচলে ঘটেছে। অবশ্য এই স্টাইলটা হুমায়ূন আহমেদের একটা চিরায়ত বৈশিষ্ট্যই বলা যায়। সর্বোপরি, স্যারের লেখা উপন্যাসগুলোর মধ্যে নিঃসন্দেহে এটি একটি মাস্টারপিস।
Was this review helpful to you?
or
অনেক সাধারণ একটি গল্প, তবুও গল্পটি যেভাবে লেখা হয়েছে এ কারণেই লেখক-কে ভালোবাসি। অনেকগুলো উপন্যাসের মধ্যে প্রিয় একটি উপন্যাস কৃষ্ণপক্ষ
Was this review helpful to you?
or
মনে হয় বার বার পড়ি ।
Was this review helpful to you?
or
যা বলবো তাই কম। প্রথমে অনেক দিধায় ছিলাম, এই বই নিয়ে। পড়ার পর, পুরা দিনটা ঘোরে ছিলাম। বই টি অসাধারণ, বলার বাইরে, যারা আমার মত দিধাই আছেন তারা নিশ্চিন্তে কিনে ফেলুন, আর ঘুরে আসুন এক রোমাঞ্চকর দুনিয়াই।
Was this review helpful to you?
or
আমার পড়া হুমায়ুন আহমেদ স্যারের অসাধারণ বইগুলোর মধ্যে একটি। একটি নিষ্পাপ ভালোবাসার কাহিনি যার শেষ টা বিয়োগান্তক...
Was this review helpful to you?
or
হুমায়ুন আহমেদ স্যার এর মুল্যবান কিছু বইয়ের মধ্যে অন্যতম একটি উপন্যাস। সময় আর প্রকৃতি থেকে ছাড় পাওয়া নিতান্তপক্ষেই ভাগ্যের ব্যাপার।তবে অসাধারন একটি উপন্যাস যা ক্ষনিকের জন্যে হলেও মনের আবেগ আটকাতে পারেনা।প্রিয় মানুষ চলে যাওয়ার পর তার দেওয়া নাম সত্যিই হৃদয় স্পশকারক।
Was this review helpful to you?
or
আমার কাছে হুমায়ুন আহমেদের বই বরাবরই ভালো লাগে। এটিও তার ব্যাতিক্রম নয়। তবে কৃষ্নপক্ষ বইটি যেহেতু রোম্যান্টিক ধাচের সাথে একটু কষ্টেরও তাই বেশি ভালো লাগায় বই টি গিফট হিসেবেও দিয়েছিলাম। যাকে গিফট দিয়েছিলাম তার উপন্যাসটি খুবই ভালো লেগেছে। সবাইকে রেকমেন্ড করার জন্যই রিভিউ দেয়া। আশা করি সবার ভালো লাগবে পড়ে।
Was this review helpful to you?
or
ঠিক এমনই একটা বই চাচ্ছিলাম। হুমায়ুন আহমেদের রুমান্টিক উপন্যাস গুলোর মধ্য থেকে অন্যতম একটি উপন্যাস ছিলো এটি। যতটা আশা করেছিলাম তার থেকে বেশি তৃপ্তি পেলাম! সব মিলিয়ে দারুণ ছিলো। যদি রুমান্টিকতার সাহিত্য পড়ে দেখতে চান, তাহলে নিশ্চিন্তে বইটি একবার পড়তে পারেন!
Was this review helpful to you?
or
সচারচর আমি কোনো উপন্যাস বই পড়ি না।। প্রেম ভালবাসা আবেগ মিশ্রিত কোনো রোমান্টিক উপন্যাস বই কখনো পড়ার ইচ্ছে হয় নি।। আবেগ মিশ্রিত কোনো কিছু যেন আমাকে গ্রাস না করতে পারে সেই কারনেই না পড়া।। এই বইটা যে উপন্যাস বই কিনার আগে জানতাম না।। মূলত " কৃষ্ণপক্ষ" এই নামটা দেখেই বইটা কেনা।। অনেকটা কৌতূহল নিয়েই একটানা পড়ে বইটা শেষ করেছি।। সত্যিই অসাধারণ একটা বই ছিল। নিপাট ভালবাসার গল্প। এই গল্পের একটি চরিত্র অরু।। অরুর দুই মেয়ে।। বড় মেয়ের আজ বিয়ে।। বর বিয়েতে কটকটে হলুদ পান্জাবী পরে এসেছে মেজো মেয়ে এসে মাকে খবর দিল।। মা এই হলুদ পান্জাবি দেখে কিছুটা আবেগে আপ্লুত হয়ে গেলেন।। কারন ঠিক ২৫ বছর আগে গল্পের প্রধান চরিত্র মুহিবও ঠিক এই রকম পান্জাবী পড়ে এসেছিল অরুকে বিয়ে করার জন্য ।। অরুর চোখে তখন মুহিবকে সবচেয়ে বাজে দেখাচ্ছিল।। এই ভাবেই চলছিল।। শুধু যে এই দুইজনের ভালবাসা দেখানো হয়েছে এমনটা না।। ভাই বোনের ভালবাসা ও দেখানো হয়েছে।। বোনের মেয়েকে মুহিব " প্রিয়দর্শিনী" বলে ডাকত।। দুলাভাই মুহিবকে বেশী একটা দেখতে পারত না। এই নিয়ে বোনের সাথে কথা কাটাকাটি হত।। চাকরির জন্য মুহিবকে চট্টগ্রাম পাঠানো হলে রোড এক্সিডেন্টেে সে মারা যায়।। স্পষ্টভাবে হয়ত লিখতে পারি নাই তবে সত্যি চমৎকার একটা বই ছিল।
Was this review helpful to you?
or
বইটির সাথে অনেক আবেগ জড়িয়ে আছে।খুবই ভালো একটি বই।হুমায়েন আহমেদ এর সব বই এর মতই এটা অনেক ভালো লেগেছে। ক্যারাক্টের গুলা অনেক ভালো ফুটেছে।তাছাড়া এই বই নিয়ে ছবিটাও অনেক সুন্দর ছিলো।
Was this review helpful to you?
or
আসলেই বইটি অসাধারণ। আমার পছন্দের কিছু বই এর মধ্যে এক অন্যতম বই এটি।।??
Was this review helpful to you?
or
best
Was this review helpful to you?
or
Krishnopokkho boiti chilo osadaron .osadaron ek romantic uponnas. Humayun ahmder ei boiti amr kache khbi vlo legeche .Ami ASA kori onnanno ra pore khb moja paben .
Was this review helpful to you?
or
আমার পছন্দের অন্যতম রোমান্টিক একটা উপন্যাস 'কৃষ্ণপক্ষ'। শুধু আমারই না হুমায়ুনআহমেদ এর ও একটি পছন্দের উপন্যাস। উপন্যাস শুরু হয় অরু আর রিকশাওয়ালার মধ্যকার কথোপকথন দিয়ে। কথোপকথন পড়তে মজাই লাগে। আর আমরা সবাই জানি হুমায়ুনআহমেদ সহজ সরল ভাষায় পাঠকের মন জয় করে নেন। অরুর দুই মেয়ে। অরুর মেয়ে রুচিরার বিয়ে। ঘটনা প্রবাহে রুচিরা তার বরের পান্জাবি ইচ্ছে করে পুড়িয়ে ফেলে। কারণ হলুদ ক্যাট ক্যাটা পান্জাবি পছন্দ হয়নি। রুচিরার এই ঘটনা অরুকে ফিরিয়ে নিয়ে যায় তার পুরোনো দিন গুলোতে। যেই দিন গুলো ছিল শুধু তার আর মুহিবের। মুহিব আর অরু গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র। গল্প যতো সামনের দিকে প্রবাহিত হয় ততোই ভালো লাগা শুরু করে। সব গুলো চরিত্রই ছাপ ছেড়ে যায় নিজেদের। হয়তো মনে হতে পারে 'কৃষ্ণপক্ষ' সিনেমা আর উপন্যাস এক। তাদের বলবো সিনেমার থেকে বইটি বেশি রোমান্টিক এবং সুন্দর। যারা নরম, সুন্দর,সাবলীল ভাষার রোমান্টিক বই পড়তে চান তাদের জন্য এই বইটি। মাত্র ১৩২ টাকায় আপনি পড়ে ফেলুন হুমায়ুনআহমেদ এর 'কৃষ্ণপক্ষ' আর হারিয়ে যান মুহিব আর অরুর প্রেমে।
Was this review helpful to you?
or
নন্দিত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের এক নির্মল সৃষ্টি কৃষ্ণপক্ষ। উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্র অরু ও মুহিব। বাংলাদেশের আর কয়েকটা বেকার ছেলের মতোই মুহিবের জীবন। দুলাভাই এবং বোন এর আশ্রয়ে দিন কাটে তার। অন্যদিকে অরু ভীষণভাবে ভালোবাসা মুহিবকে। সে ভালোবাসা থেকেই তাঁরা বিয়ে করেন নেয় কাউকে না জানিয়ে। মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় স্বপ্নগুলো নষ্ট হয়ে যায়। একসাথে থাকা হয়না তাদের। জীবন কারো জন্য থেমে থাকে না। মুহিব অরুর জীবনে ফিরে আসে আবার 25 বছর পর তার মেয়ের পাঞ্জাবি পুড়ানোর মাধ্যমে।
Was this review helpful to you?
or
হুমায়ূন আহমেদের জনপ্রিয় রোমান্টিক উপন্যাসের তালিকা করলে 'কৃষ্ণপক্ষ' পয়লাদিকেই থাকবে। মাত্র ৮৪ পাতার উপন্যাস অথচ দারুণ ও সুগভীর তার ব্যপ্তি। আজকে অরুর মেয়ের বিয়ে। কিন্তু হঠাৎ অরু নিজেই ফিরে গেল পঁচিশ বছর আগে৷ তখন অরু এবং মুহিব দু'জনই দু'জনকে খুব ভালোবাসে। বিয়েও করে ফেললো। কিন্তু তারপরই সবকিছু এলোমেলো হয়ে গেল। একেবারেই মন খারাপ করে দেওয়া একটি উপন্যাস।
Was this review helpful to you?
or
বইটি পড়তে পড়তে খুব কেঁদেছি। অতৃপ্ত ভালোবাসা,,এক জনমে কাউকে না পাওয়ার কষ্ট,,ব্যাকুলতায় ভরপুর উপন্যাস।গল্পের মূল চরিত্র অরু এবং মুহিব।আমাদের চারপাশে এমন অনেক অরু মুহিব আছে, যারা এক জনম ভালোবাসার মানুষকে না পাওয়ার হাহাকার নিয়েই কাটিয়ে দেয়,,পেয়েও হয়তো হারিয়ে ফেলে।তারপরেও জীবন জীবনের নিয়মে চলে কিন্তু একেক সময় থমকে যায়। পুরনো মানুষ বুকের ভেতর জাপটে বসে থাকে, মায়ায় জড়িয়ে থাকে হারিয়ে যাওয়া মানুষটি।
Was this review helpful to you?
or
ভালো লেগেছে
Was this review helpful to you?
or
Humayun sir is a legend on romanticism. He describes the romance in a very simple way, because of it i like sir most. In his novels, his story telling is so muvh charming that no one can't be able rest the pages unreaded of his novel. His charecters on this novel is so much lively. If any one start to read this romantic novel, he or she should really fall in love with the cherecters. I would say it was one of the master piece novel of sir Humayun Ahmed. Good luck for reading.
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণএকটি উপন্যাস
Was this review helpful to you?
or
বইঃ কৃষ্ণপক্ষ লেখকঃ হুমায়ূন আহমেদ কৃষ্ণপক্ষ হুমায়ূন আহমেদ সারের সেরা রোমান্টিক উপন্যাসগুলোর মধ্যে অন্যতম। অরু আর মুবিবের গল্পটি সত্যিই আমার হৃদয়ে নাঁড়া দিয়েছে। আর মনের অজ্ঞাতসারেই চোখকে ঝাপসা করে দিয়েছে । সত্যিই এই উপন্যাসটির তুলনা হয়না।
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ সুন্দর একটি বই । ফ্ল্যাপে লেখা কিছু কথা অরু ও মুহিব বর্তমান প্রজম্মের দুই তরুণ তরুণী। হৃদয় জুড়ে আছে তাদের অকৃত্রিম ভালোলাগা ও ভালোবাসা। তাইতো একে অপরের কাছে এসেছে প্রকৃতির নিয়মে খুব সহজেই।টুকরো টুকরো আনন্দময় কিছু মুর্হুত তাদের জীবনে ছিল। সময়ের স্রোতে এগিয়ে গেছে তারা স্থির সিন্ধান্তের দিকে। কিন্তু নাহ্। তারা পারেনি। বিবাহিত জীবন শুরু করেও পারেনি সুখময় দাপম্পত্য জীবন গড়ে নিতে। অকস্মৎ এক দুর্ঘটনায় মুহিব বিদায় নেয় এই মায়াময় পৃথিবী থেকে। স্বভাবতই অরুর জীবনে নেমে আসে এক ভয়াবহ বিচ্ছিন্নতা। কিন্তু অরুকে তবুও বাঁচতে হবে। বাস্তবের মুখোমুখি হয়ে পারিবারিক নির্দেশে সে আবার ঘর বাঁধে। সময়ও দ্রুত এগিয়ে চলে। সে হয় জননী। দীর্ঘ পঁচিশ বছর পর তার প্রথম মেয়ের বিয়েতে দুই যুগ পূর্বের নির্দিষ্ট স্মৃতি তাকে হঠাৎ অসুস্থ করে তুললো। ছোট মেয়ে কান্তার একটা কথা।আপা দুলাভাইয়ের পাঞ্জাবী আগুন দিয়ে পুড়াচ্ছে।‘বন ফায়ার হবে’ অরুর চোখে জল এসে যাচ্ছে তিনি সেই জল সামলাবার প্রাণপণ চেষ্টা করছেন।..
Was this review helpful to you?
or
কৃষ্ণপক্ষ রোমান্টিক জনরার একটি উপন্যাস।বইটিতে অরু আর মুহিবের প্রেমকাহিনী ছাড়াও বাকি চরিত্রগুলোর বর্ণনা খুব সহজেই আপনার মনে গেথে যাবে।অরু আর মুহিব কাউকে কিছু না জানিয়ে লুকিয়ে বিয়ে করে ফেলে।কিন্তু কাউকে কিছু জানানোর আগেই মুহিবের চলে যেতে হয় চাকরিতে যোগদানের জন্য। ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে মুহিবের এক্সিডেন্ট হয়।এক্সিডেন্টের কথা জানার পর মুহিবের বড় বোন জেবার চরিত্রের বিশাল একটা পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়।জেবার প্রতিটি কথা লেখকের মনে গেথে যাবে। মুহিবের শেষ পরিণতি কি হয় আর তাছাড়া অরুর জীবনেই বা কি হয়,মুহিব কি সুস্থ হয়?এই উত্তরগুলো পেতে পড়ে ফেলতে হবে বইটি। পাঠ প্রতিক্রিয়া: কৃষ্ণপক্ষ আমার খুব পছন্দের একটি উপন্যাস।অরুর অনুভূতির বর্ণনা আর জেবার প্রত্যেকটি কথা আমার খুব ই পছন্দের।ব্যক্তিগত রেটিং ৫/৫
Was this review helpful to you?
or
গল্পের শুরুটা অরু এবং মুহিবের শেষ ও তাদের দিয়েই..তবে মাঝে ঘটে যায় অনেক জীবনের পরিবর্তন। সেই পরিবর্তন টা জানার জন্যই বই টা পড়া দরকার।
Was this review helpful to you?
or
চমৎকার একটি উপন্যাস
Was this review helpful to you?
or
কিছু গল্প আছে যার ধারা পাঠককে বইয়ের ভেতর টেনে নিয়ে যায়। যে বইটি সম্পর্কে বলতে চলছি তা এমনি একটি গল্প যার ধারা আপনাকে মোহিত করবে। হৃদয়ের কোণে লুকিয়ে থাকা মুক্ত সত্তাকে নাড়া দেবে, নিঃশব্দে বলে যাবে অনেক কিছু ।
Was this review helpful to you?
or
আমার সবচেয়ে প্রিয় লেখকের এই অসাধারণ বই পড়ে একটু লেখকপণা করব না তা কি হয়। হুমায়ূন আহমেদের প্রতি টা লেখাকে আমি শ্রেষ্ঠ ছাড়া আর কিছুই বলতে পারি না। কৃষ্ণপক্ষ আমি আগে ছবি দেখেছিলাম।তাও আবার পুরোটা না অর্ধেকটা। তখন কিছু বুঝিস নি আবার কোনো অনুভূতি ও তৈরি হয় নি। কিন্তু যখন আমি বই পড়ি তখন আমি পুনরায় সগর্বে স্বীকার করে নিলাম যে HUMAYUN AHMED IS THE BEST. গল্প পড়তে পড়তে গল্পের ভেতর এত বেশি ডুবে গিয়েছিলাম যে নিজের অজান্তেই নিজেকে গল্পের নায়িকা অরু ভাবতে শুরু করেছিলাম।আলুর কষ্টে কষ্ট পেতে শুরু করলাম। শেষ মুহূর্তের সে ইসলাম বেদনাদায়ক পরিণতি আমি কিছু তেই মানতে পারি নি।অরু যখন তার ব্যথিত হৃদয় নিয়ে প্রাণপণে মুহিবকে একটি বার চোখ খুলে সাড়া দিতে বলছিল তখন আমার দুচোখ যেন কিছুতেই তার আবেগ প্রকাশ থেকে বিরত থাকতে পারছিলাম না। এখনো পারছিনা আর তাই আমার দুচোখ এখন অশ্রু সজল।
Was this review helpful to you?
or
বই-কৃষ্ণপক্ষ লেখক-হুমায়ূন আহমেদ ধরন-উপন্যাস পৃষ্ঠা-৮৪ মূল্য-১২৫ কৃষ্ণপক্ষ" হুমায়ূন আহমেদের একটি রোমান্টিক উপন্যাস। অনেক ছোট্ট একটি গল্প। এই গল্পের নায়িকা অরু আর নায়কের নাম মুহিব। তাদেরই এক ভালবাসার গল্প নিয়েই লেখা এই বইটি। অরুর বাবা একজন অবসর প্রাপ্ত পুলিশ অফিসার। পৃথিবীতে কিছু মানুষ আছে যারা ভাবে তাদের সব সিদ্ধান্তই সঠিক। অরুর বাবা সেই চিন্তাধারী মানুষদের একজন। অরুদের নিজস্ব একটি একতলা বাড়ি আছে। বাড়ির বাহির দেখলে ভিতরের অবস্থা সম্পর্কে বিন্দুমাত্র কোন ধারণা পাওয়া যাবে না। অরুর মা কলেজে চাকরি করে। বাবা অবসরে যাওয়ার পর তার পেনশন আর মায়ের চাকরির টাকায় সংসার চলছে। অরুর বড় একটি বোন আছে মীরু। প্রচন্ড স্বামীভক্ত একটি মেয়ে। মীরুর ছোট একটি ছেলে আছে। এইতো গেলো অরু আর তার পরিবারের কথা। এবার বলি মুহিবের কথা। মুহিবের বাবা-মা কেউ নেই। বড় বোন জেবার কাছে মানুষ হয়েছে। বড় বোন মায়ের মতো আদর দিয়ে তাকে সেই ছোট্টবেলা থেকে বড় করেছে। বোন যতোটা মাতৃস্নেহ দেয় দুলাভাই ততটাই বিমুখ ততটাই বিরক্ত মুহিবের উপর। এভাবেই চলছিলো দিন। হুট করে পালিয়ে বিয়ে করে ফেলে অরু আর মুহিব। অরুর বাসায় মুহিবের কথা বলা সম্ভব না। মুহিব এম,এ পাশ করেও এখনও বেকার। আর মুহিবের দুলাভাইয়ের প্রচন্ড রাগের কথা ভেবে বিয়ের কথা জানাতে সাহস হয় নি মুহিবের। বিয়ে করে দুজনের একসাথে সুখের সংসার করার স্বপ্ন অরু আর মুহিবের। কিন্তু মানুষ যা ভাবে যা চায় সবসময় কি তা হয়..? বাস্তবতা কি এতোই সহজ..? জীবন সংসারের হিসাব কি আর দুইয়ে দুইয়ে চারের মতোই সহজ যা খুব সাধারণ নিয়মে মিলে যাবে..? উহু না সবকিছু এতোটা সহজ না! তাই তো ঘুরে গেলো অরু আর মুহিবের গল্পের মোড়....! কি হয় তবে ওদের..? এমন একটি গরিব ঘরের মেয়েকে মেনে নিবেন মুহিবের দুলাভাই??? নাকি অরুর বিয়ে হয়ে যাবে মুহিব ফিরে আসার আগেই???? আবার এটাওতো হতে পারে মুহিব টাকার নেশায় অরুকে ভুলে গেলো???? জানতে হলে পড়ে ফেলুন "হুমায়ূন স্যারের কৃষ্ণপক্ষ"। পাঠ প্রতিক্রিয়া:- উপন্যাসটি পড়ার সময় কোথায় যেন হারিয়ে গিয়েছিলাম। এটা রোমান্টিক উপন্যাস হলেও পুরো উপন্যাস ফালতু রোমান্সে ভর্তি ছিল না,বাস্তবতা ছিলো।তাই পড়ে ভালো লেগেছে।এটা সম্পর্কে অনেক রিভিউ পড়েছি,কারো কাছে বইটা অসম্ভব ভালো লেগেছিলো,আবার কারো কাছে একেবারে ফালতু মনে হয়েছে।আমার কাছে অতি ভালোও লাগেনি,আবার ফালতুও মনে হয়নি।মোটামুটি ভালোই লেগেছে।তবে কেউ যদি মুভি দেখতে চাই,তার উচিত বই পড়ে তবেই মুভি দেখা। রেটিং:- ৪/৫
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগিতা #ডিসেম্বরঃ (১২) বইঃ কৃষ্ণপক্ষ লেখকঃ হুমায়ূন আহমেদ প্রকাশনঃ সূবর্ণ প্রকাশন ধরণঃ রোমান্টিক উপন্যাস পৃষ্ঠাঃ ৮৪ রকমারি মূল্যঃ ১৩২টাকা . কৃষ্ণপক্ষ নামটা যদিও সুন্দর,তবে নামটার মধ্যই জড়িয়ে আছে একটা অশুভ ইঙ্গিত।কৃষ্ণ অর্থ কালো,ঘুটঘুটে অন্ধকার,অমাবস্যা।আমরা জানি ১৫দিনে হয় এক পক্ষ।অমাবস্যার আগের ১৫দিনকে শুক্লপক্ষ ও পরের ১৫দিনকে কৃষ্ণপক্ষ বলা হয়। কৃষ্ণপক্ষ উপন্যাসটি হুমায়ূন আহমেদের নিজেরই অনেক প্রিয়,যা তিনি নিজেই বিভিন্ন সময় তাঁর লেখার মাধ্যমে জানিয়েছেন। . রিভিউঃ উপন্যাসের মূল চরিত্র অরু ও মুহিব।যাদেরকে ঘিরেই মূলত পুরো উপন্যাস এগিয়েছে।মুহিব এম.এ পাশ করে চাকরীর সন্ধানে ঘুরে বেড়ানো এক যুবক।ছোটবেলা থেকে মানুষ হয়েছে বোন ও দুলাভাইয়ের সংসারে।বাবা মা মরা মুহিবের একমাত্র বড়বোনের যখন বিয়ে হয়ে যাচ্ছিল তখন মুহিব একদম ছোট।বোনকে না দেখে এক মুহূর্তও থাকতে পারে না সে।বোনও ছোটবেলা থেকে তাকে মায়ের মত আগলে রাখে।তাই বিয়ের দিন বোনের সাথে মুহিবও বোনের শ্বশুর বাড়ি চলে যায়। কিছু কিছু মানুষ আছে যারা বস হবার ক্ষমতা নিয়ে জন্মায়।মুহিবের দুলাভাই সেই প্রকৃতির মানুষ।সবসময় একটা গম্ভীর,রাশভারী ভাব নিয়ে থাকেন।তার দুলাভাই মুহিবকে কখনওই মেনে নিতে পারেননি।ছোটবেলা থেকেই তাকে উটকো ঝামেলা মনে করতেন।তাই বোনের অধিক স্নেহ সত্ত্বেও প্রচুর অবহেলার মাঝে মুহিব বড় হয়েছে। ওদিকে অরুরা শুধুই দুবোন।অরু পরিবারের ছোটমেয়ে,বড়বোন মিরু।অরুর বাবা অসম্ভব স্বৈরাচারী ও খিটখিটে মেজাজের লোক।কিছু মানুষ আছে যারা ভাবেন তাদের সিদ্ধান্তই ঠিক,কখনওই ভুল হয়না।অরুর বাবা তেমনই একজন।অরুর বাবা তার জন্য একটা পাত্রও ঠিক করে ফেলে।তার নাম আবরার।আবরার ডাক্তার,প্রচুর ধনসম্পদের মালিক।তাছাড়া সে বড্ড লাজুক ও ভালো।তাকে অরুর বাবার অসম্ভব পছন্দ হয়।কিন্তু ওই আবরারকে অরু কিছুতেই বিয়ে করতে পারবেনা।কারণ মুহিব আর অরু একে অপরকে ভালোবাসে।কিন্তু বাবার মুখের উপর কিছু বলার সাহস নেই।একদিন অরু আর মুহিব বিয়ে করে ফেলে।কাজী অফিসে একেবারে সাদামাটাভাবে বিয়ে হয় তাদের।একরকম পালিয়েই বিয়ে করেছে তারা।কেউই তাদের বাসায় জানায় নি।অবশ্য অরু একটি চিঠি লিখে রেখে এসেছে বাসায়।মুহিবের বন্ধু বজলুর বাসায় তাদের বাসার সাজানো হয়।বিয়ের রাতেও মুহিবের দুলাভাই তাকে নিস্তার দেননি।অবশ্য তিনি জানতেন না যে মুহিব আজকে বিয়ে করেছে।মুহিবকে তিনি জরুরি ভিত্তিতে তার অফিসে ঢেকে পাঠান।অফিসে গিয়ে মুহীব যথারীতি অপেক্ষা করতে থাকে।কিন্তু দুলাভাই তাকে বিশেষ পাত্তা দেয় না,অনেকক্ষণ অপেক্ষা করিয়ে রাখে।অবশেষে তার দুলাভাই রাত দশটায় জানায়,তার চাকরি ঠিক হয়েছে।খবরটা যেন মুহীব বিশ্বাস করতে পারে না।মুহিবের দুলাভাই আর বলেন,চাকরি নিশ্চিত করতে মুহীবকে পরদিনই চট্রগ্রামে যেতে হবে। এদিকে দুলাভাইয়ের অফিসে যাওয়ার সময় মুহীব অরুকে বলে এসেছিল তার আসতে মাত্রএকঘন্টা লাগবে,কিন্তু সে ফিরে আসল পাঁচ ঘন্টা পর।বাসর রাত বলে অরু কোন ঝগড়া করেনা।বাসর রাতটা স্মরনীয় করে রাখার জন্য মুহিবের কটকটে হলুদ পাঞ্জাবীটা পোড়তে চাই। মুহিব পাঞ্জাবী পোড়াতে দেয়া না,সে বলে এই পাঞ্জাবী পরেই তার ছেলে বিয়ে করতে যাবে।খাওয়া শেষ করার পর মুহিব যখন বিছানায় পিঠ রাখল,তার চোখে রাজ্যর ঘুম নেমে আসে।অরু সারারাত জেগে থাকে।পরদিন সকাল আটটায় মুহিব চট্রগ্রাম যাওয়ার জন্য বাসা থেকে বের হল।এদিকে অরু ভয়ে ভয়ে নিজের ঘরে ফিরে যায়।তারপর.......... পঁচিশ বছর পরের ঘটনা।আজ অরুর বড় মেয়ে রুচির বিয়ে।রুচির বর কটকটে হলুদ একটা পাঞ্জাবী পড়ে এসেছে।আর রুচি বলছে সে না কী এই পাঞ্জাবীটা পুড়িয়ে ফেলবে।অরুর ছোট মেয়ে কান্তা অরুকে এই খবর দেয়।বলে আপা দুলাভাইয়ের পাঞ্জাবী আগুন দিয়ে পুড়াচ্ছে,বন ফায়ার হবে।কান্তার উৎসাহের কোন কমতি থাকেনা।অরুর চোখে জল এসে যাচ্ছে তিনি সেই জল সামলাবার প্রাণপণ চেষ্টা করছেন।কথাটি শুনামাত্র তার পঁচিশ বছর আগের কথা মনে পড়ে যায়। . পাঠপ্রতিক্রিয়াঃ শাওন যখন কৃষ্ণপক্ষ মুভিটা পরিচালনা করছেন জানতে পারলাম এবং বিভিন্ন নিউজে শাওনসহ সবার সাক্ষাতকারে জানলাম এটা হুমায়ূন আহমেদের একটা বিখ্যাত বই,তখনি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম বই না পড়ে কোন মতেই মুভি দেখবো না।কারণ আগে মুভি দেখে ফেললে বই পড়ার মজাটা চলে যায়।কিন্তু পড়বো পড়বো করেও পড়া হচ্ছিলো না।অবশেষে একদিন রাত জেগে পড়ে ফেললাম।বইটা আহামরি কিছু ছিলো না,তবে হুমায়ূন আহমেদ তার অসাধারণ লেখনির ছোঁয়ায় সাধারণ গল্প কে অাসাধারণ করে তুলেছেন।আমার কাছে মোটামুটি মানের ভালো লেগেছে।তবে শেষের দিকে খুব খারাপ লেগেছিলো,চেয়েছিলাম কোন মিরাক্কেল ঘটুক।কিন্তু!..... এটা রোমান্টিক উপন্যাস হলেও পুরো উপন্যাস ফালতু রোমান্সে ভর্তি ছিল না,বাস্তবতা ছিলো।তাই পড়ে ভালো লেগেছে।এটা সম্পর্কে অনেক রিভিউ পড়েছি,কারো কাছে বইটা অসম্ভব ভালো লেগেছিলো,আবার কারো কাছে একেবারে ফালতু মনে হয়েছে।আমার কাছে অতি ভালোও লাগেনি,আবার ফালতুও মনে হয়নি।মোটামুটি ভালোই লেগেছে।তবে কেউ যদি মুভি দেখতে চাই,তার উচিত বই পড়ে তবেই মুভি দেখা। রেটিং:- ৪/৫
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগিতা বই-কৃষ্ণপক্ষ লেখক-হুমায়ূন আহমেদ ধরন-উপন্যাস পৃষ্ঠা-৮৪ মূল্য-১২৫ প্রকাশনী-সুবর্ণ "কৃষ্ণপক্ষ" অসাধারন একটা নাম । আমাবস্যার আগের ১৫ দিনকে শুল্কপক্ষ আর পরের ১৫ দিনকে কৃষ্ণপক্ষ বলা হয়। কথায় আছে বৃক্ষ তোমার নাম কি? ফলেই পরিচয়। তবে ফল খাওয়ার আগে আমরা তার সুন্দর্য্যটা দেখি। যা দেখতে ভালো তা খেতেও ভালো। দেখতে ভালো নাহলে খাওয়ার আগ্রহ জন্মায় না। এই কৃষ্ণপক্ষ নামটার মাঝেই একটি ভালো লাগা কাজ করে। একটি রোমান্টিক গল্প। লেখকের সহজ সাবলিল বর্ণনা গল্পটিকে চমৎকার ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। হুমায়ূন আহমেদের উপন্যাসের তালিকায় পছন্দের একটি বইয়ের নাম "কৃষ্ণপক্ষ"। গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র অরু এবং মুহিব। মুহিব এম এ পাশ করা এক বেকার যুবক। সে চাকরির খোঁজে থাকে। মা বাবা নেই, বড় হয়েছে বোন আর দুলাভাইয়ের কাছে। বোন তার স্নেহময়ী মায়ের চেয়েও বেশি স্নেহময়ী। কিছু মানুষ জন্মথেকে বস হবার ক্ষমতা নিয়েই জন্মে। যাদের দেখলেই একটি চাপা ভয় কাজ করে মানুষের মধ্যে। মুহিবের দুলাভাই এমন একজন মানুষ। বোনের ভালোবাসার আবরণ মুহিবকে ততোটা আড়াল করে রাখেতে পারে না বোন জামাইয়ের অবহেলা থেকে। অরু ও মুহিব সিন্ধান্ত নেয় বিয়ে করার। হৃদয় জুড়ে আছে তাদের অকৃত্রিম ভালোবাসা। এই ভালোবাসার জোড়েই একে অপরের কাছে এসেছে খুব সহজেই।টুকরো টুকরো আনন্দময় কিছু মুর্হুতগুলো সাথে নিয়ে। সময়ের স্রোতে এগিয়ে গেছে তাদের সিন্ধান্তের দিকে। সবাইকে না জানিয়ে শেষ পর্যন্ত বিয়েটা করেই ফেলল। দুলাভাইয়ের ভয়ে আপন বোনকেও নিজের বিয়ের কথা জানাতে পারে না মুহিব। দুলাভাই মুহিবের চাকরির ব্যবস্থা করেন। বেতনও নেহাত কম নয় । নববধূকে রেখেই চট্রগাম রওনা হয় মুহিব। অপরদিকে অরুর বাবা রিটায়ার্ড পুলিশ কর্মকর্তা। চাকরি জীবনে সৎ একজন পুলিশ ছিলেন। রিটায়র্ডমেন্টের টাকা দিয়ে একটি দুতলা বাড়ির একতলা কম্পিলিট করেছেন। এমন একটি গরিব ঘরের মেয়েকে মেনে নিবেন মুহিবের দুলাভাই??? নাকি অরুর বিয়ে হয়ে যাবে মুহিব ফিরে আসার আগেই???? আবার এটাওতো হতে পারে মুহিব টাকার নেশায় অরুকে ভুলে গেলো???? জানতে হলে পড়ে ফেলুন "হুমায়ূন স্যারের কৃষ্ণপক্ষ"। #পাঠ_প্রতিক্রিয়া:- কৃষ্ণপক্ষ হুমায়ূন আহমেদের সাম্পতিক সময়ের হৃদয় ছোঁয়া এক প্রেমের উপন্যাস। এই উপন্যাস সম্পর্কে লেখক নিজেই ‘অত্যন্ত প্রিয়’ লেখা হিসেবে উল্লেখ করেছে। আমি তো হুমায়ূন স্যারের সামনে নেহাতই শিশু এখানে আর প্রতিক্রিয়া দিবো কি? আর তাছাড়া প্রেমের উপন্যাস পড়লে আমার মাথা ঘুরে, বিরক্ত বিরক্ত লাগে সেখানে এই উপন্যাসটি অসাধারন লেগেছে। এতোটাই ভালো যা কয়েক লাইনের ফিডব্যাক দিয়ে প্রকাশ করা সম্ভব নয়। রেটিং-৫/৫
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগিতা বইয়ের নামঃ কৃষ্ণপক্ষ বইয়ের ধরণঃ প্রেমের উপন্যাস বইয়ের লেখকঃ হুমায়ূন আহমেদ প্রচ্ছদঃ ধ্রুব এষ প্রকাশকালঃ ১৯৯২ প্রকাশনীঃ সুবর্ণ পৃষ্ঠাঃ ৭০ মূদ্রিত মূল্যঃ ১২৫ টাকা "রাত একটার মত বাজে। বিয়ে বাড়ি মোটামুটি শান্ত হয়েছে। বরযাত্রীরা চলে গেছে। শুধু বর আর তাঁর কিছু বন্ধু বান্ধবরা রয়েছে। এই বাড়িতে বাসর হবে। অল্পবয়স্ক মেয়েদের উৎসাহের সীমা নেই। তারা অকারণে চিৎকার ছোটাছুটি করছে। কান্তার উৎসাহই সবথেকে বেশি। যেন বাসরের যাবতীয় খুঁটিনাটি সংবাদ চারদিকে ছড়িয়ে দেওয়ার পুরো দায়িত্ব তার উপর।তাঁর বার বছর জীবনে এমন উত্তেজনার মুহূর্ত আসেনি। সে ছুটতে ছুটতে মা’র ঘরে এসে ঢুকল। হাঁপাতে হাঁপাতে বলল, এখন খুব মজা হচ্ছে মা। আপা করছে কি দুলাভাইয়ের পাঞ্জাবী আগুন দিয়ে পুড়াচ্ছে। ‘বন ফায়ার’ হবে। সবার সামনে আগুন দিয়ে পোড়ানো হবে। অরুর চোখে জল এসে যাচ্ছে। তিনি সেই জন সামলাবার প্রানপণ চেষ্টা করছেন। আজ তাঁর মেয়ের বিয়ে। এমন আনন্দের দিনে কি আর চোখের জল ফেলতে আছে......????" লেখক পরিচিতিঃ বইটির লেখক হুমায়ূন আহমেদ। এর বেশি আর কিছু লিখছি না। কারণ কিছু কিছু মানুষের পরিচয় তুলে ধরার জন্যে শুধু তাদের নামটাই যথেষ্ঠ! পাঠ-প্রতিক্রিয়াঃ ২০০৭ কি ৮ হবে... বয়স তখন খুব কম আমার। খুলনা থেকে ঢাকা এসেছি বড় চাচার বাসায় বেড়াতে। ফাইনাল পরীক্ষা শেষ। রেজাল্টের অপেক্ষা। রেজাল্ট বের হলো। আশানুরূপ হয়নি। মন খারাপ। বাচ্চা ছেলেরা সামান্য ব্যর্থতাতেই চোখের জল ফেলে। আমি ফেলছি। বিকালে চাচা অফিস থেকে এসে দেখলেন আমি কাঁদছি। আমার কান্না দেখে তিনি আমাকে বেড়াতে নিয়ে গেলেন। ঢাকা ক্লাবে পার্টি ছিল তাঁর। জীবনে বড়লোকদের পার্টি ওই প্রথম দেখেছিলাম। দেখেছিলাম প্রথম মদ খাওয়ার দৃশ্য। যা হোক, ঐ পার্টিতে শহরের অনেক নামী দামী লোক ছিলেন। রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী, লেখক, সাহিত্যিক। ছিলেন হুমায়ুন আহমেদ স্যারও। কোণার এক টেবিলে বসে ছিলেন তিনি। আমাকে চাচা তার পাশের টেবিলে বসিয়ে কোথায় যেন গিয়েছিলেন। আমার মন ছিল খারাপ। মাথা নিচু করে একটু একটু কাঁদছিলাম। স্যার কোনভাবে সেটা বোধহয় লক্ষ্য করেছিলেন। উনি কথাবার্তা কম বলতেন। তবে সেদিন আমাকে ডেকে বললেন, " এই ছেলে শোন। জীবন বহতা নদী। এর এক তীরে পড়ে থাকলে হয়না!" আমি অবাক হয়ে তাকালাম। বিরক্তও হলাম। এত কঠিন কথা বোঝার বয়স আমার হয়নি তখন। তাঁর দিকে একবার তাকিয়ে আবার মাথা নিচু করে ফেললাম। বলাই বাহুল্য, আমি তখনও হুমায়ুন আহমেদ স্যারকে চিনতাম না। একটু পর চাচা ডাক দিলেন দূর থেকে। আমি উঠে চলে গেলাম। চাচাকে জিজ্ঞেস করলাম, "উনি কে?" চাচা অবাক হয়ে বললেন, "উনি হুমায়ুন আহমেদ। চিনিস না?" উপরের গল্পটি সত্য। ওই প্রথম আমি স্যারকে সামনাসামনি দেখি। আলোচ্য উপন্যাসের রিভিউ লেখার সময়। আমার বার বার তাঁর বলা সেই কথা মনে পড়ছে। আলোচ্য উপন্যাসটি একটি প্রেমের উপন্যাস। মুহিব আর অরু নামের দুজন তরুণ তরুণীর গল্প। তারা একে অপরকে ভালোবাসে। স্বপ্ন দেখে একসাথে থাকার। কপটহীন সংসার করার। এক সাথে কাঁদার, এক সাথে হাসার, একসাথে ঝগড়া করার। এমনকি সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের প্রাথমিক পদক্ষেপও তারা নিয়ে নিল। বিয়ে করে ফেলল। কিন্তু জীবন যে বহতা নদী। কখনো জোয়ার আসে। কখনও ভাঁটা। সেই জোয়ার ভাটার মধ্যেও বেঁচে থাকতে হয়। চরম বিপর্যয়ের মাঝেও টিকিয়ে রাখতে হয় নিজেকে। কারণ বাস্তবতাই হলো এই পৃথিবীর সবচেয়ে বড় বাস্তব। আলোচ্য উপন্যাসটি স্যার হুমায়ূন আহমেদের খুব প্রিয় একটি উপন্যাস ছিল। তিনি এটিকে নতুন প্রজন্মের লেখা বলতেন। তাই ১৯৯২ সালে প্রকাশিত হওয়ার পরে আজও এই বইয়ের কাহিনী সামান্যতম অবাস্তব বা ভুল বলে মনে হয়না। চাঁদের কৃষ্ণপক্ষ এর সময় অন্ধকার অনেক বেশি হয়। আলোচ্য উপন্যাসেও সেরকম অন্ধকারের কথা বলা হয়েছে। মানুষের মনের অন্ধকার। অনেক দুঃখ, কষ্ট, বেদনার মধ্যে দিয়েও যে মানুষ টিকে থাকতে পারে তার চমৎকার উদাহরণ পাওয়া যায় বইটিতে। বইটির পৃষ্ঠা সংখ্যা বেশি না। ১০০ এরও কম। তারপরেও এর ব্যপ্তি চোখে লাগার মত বিশাল। বইয়ের প্রচ্ছদটি চমৎকার। বাইন্ডিং ও কাগজের মান নিয়ে তো কথাই নেই। তাই আপনাদের বলছি, পড়ে দেখুন। হুমায়ূন আহমেদ স্যারের অন্যতম মাস্টারপিস এটি। কথা দিচ্ছি, মুগ্ধ হবেন! ধন্যবাদ! হ্যাপি রিডিং! রেটিংঃ দুঃখিত! হুমায়ূন আহমেদ স্যারের বইয়ের রেটিং দেবার ক্ষমতা আমার নেই!
Was this review helpful to you?
or
"কৃষ্ণপক্ষ" হুমায়ূন আহমেদের একটি রোমান্টিক উপন্যাস। অনেক ছোট্ট একটি গল্প। এই গল্পের নায়িকা অরু আর নায়কের নাম মুহিব। তাদেরই এক ভালবাসার গল্প নিয়েই লেখা এই বইটি। অরুর বাবা একজন অবসর প্রাপ্ত পুলিশ অফিসার। পৃথিবীতে কিছু মানুষ আছে যারা ভাবে তাদের সব সিদ্ধান্তই সঠিক। অরুর বাবা সেই চিন্তাধারী মানুষদের একজন। অরুদের নিজস্ব একটি একতলা বাড়ি আছে। বাড়ির বাহির দেখলে ভিতরের অবস্থা সম্পর্কে বিন্দুমাত্র কোন ধারণা পাওয়া যাবে না। অরুর মা কলেজে চাকরি করে। বাবা অবসরে যাওয়ার পর তার পেনশন আর মায়ের চাকরির টাকায় সংসার চলছে। অরুর বড় একটি বোন আছে মীরু। প্রচন্ড স্বামীভক্ত একটি মেয়ে। মীরুর ছোট একটি ছেলে আছে। এইতো গেলো অরু আর তার পরিবারের কথা। এবার বলি মুহিবের কথা। মুহিবের বাবা-মা কেউ নেই। বড় বোন জেবার কাছে মানুষ হয়েছে। বড় বোন মায়ের মতো আদর দিয়ে তাকে সেই ছোট্টবেলা থেকে বড় করেছে। বোন যতোটা মাতৃস্নেহ দেয় দুলাভাই ততটাই বিমুখ ততটাই বিরক্ত মুহিবের উপর। এভাবেই চলছিলো দিন। হুট করে পালিয়ে বিয়ে করে ফেলে অরু আর মুহিব। অরুর বাসায় মুহিবের কথা বলা সম্ভব না। মুহিব এম,এ পাশ করেও এখনও বেকার। আর মুহিবের দুলাভাইয়ের প্রচন্ড রাগের কথা ভেবে বিয়ের কথা জানাতে সাহস হয় নি মুহিবের। বিয়ে করে দুজনের একসাথে সুখের সংসার করার স্বপ্ন অরু আর মুহিবের। কিন্তু মানুষ যা ভাবে যা চায় সবসময় কি তা হয়..? বাস্তবতা কি এতোই সহজ..? জীবন সংসারের হিসাব কি আর দুইয়ে দুইয়ে চারের মতোই সহজ যা খুব সাধারণ নিয়মে মিলে যাবে..? উহু না সবকিছু এতোটা সহজ না! তাই তো ঘুরে গেলো অরু আর মুহিবের গল্পের মোড়....! কি হয় তবে ওদের..?
Was this review helpful to you?
or
last part ta onnorokom sundor...
Was this review helpful to you?
or
এই নামে একটা সিনেমা আছে দেখেছি, সিনেমাটা দেখে ভালো লেগেছে তাই বইটা পড়তে মন চাইলো, আগেও পড়েছি ইবুক। অসম্ভব সুন্দর একটা বই তাই নিজের সংগ্রহে রাখতে মন চাইলো। হুমায়ূন স্যারের সব বই ভালো লাগে❤
Was this review helpful to you?
or
valo na
Was this review helpful to you?
or
This novel was amazing for me.
Was this review helpful to you?
or
nice
Was this review helpful to you?
or
কৃষ্ণপক্ষ বইটি (উপন্যাস) হুমায়ূন আহমেদ এর লেখা একটি জনপ্রিয় বই । বইটিতে লেখক খুব সহজ সরল ভাবে ঘটনাবলি উপস্থাপন করেছেন । বইটির কাহিনি আসাধারন । এটি মূলত একটি হৃদয়ছোঁয়া প্রেমের উপন্যাস। লেখক এই উপন্যাসটিকে তার প্রিয় লেখা হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। আমার কাছে বইটি খুবই ভালো লেগেছে । বইটি পড়ার সময় আমি প্রতিটি মুহূর্তে পুলকিত হয়েছি । হুমায়ূন আহমেদ এর লেখা বরাবর-ই আমার খুবই ভালো লাগে । এই বইটিও তার ব্যতিক্রম নয় । বইটি পড়তে পারেন ,আমার মনে হয় বইটি পড়ার পর আপনার অবশ্যই ভালো লাগবে...............।
Was this review helpful to you?
or
সত্যিই উপন্যাসটির ভালোবাসার দিকগুলো দুর্দান্ত।
Was this review helpful to you?
or
অরু আর মুহিব। দুই তরুণ তরুণী । খুব সাধারণ প্রেম ছিল তাদের মাঝে । কিন্তু এই সাধারণের সীমানাটা ছিল অনেক দূরে, অনেক স্থির । তাই নিজেদের সিদ্ধান্তে বিয়ে করে তারা। বিয়ের পরদিনই চাকরির খোঁজে চট্টগ্রাম ছুটতে হয় মুহিবকে। পথিমধ্যে ঘটে দুর্ঘটনা । অরু জীবনে নেমে আসে স্থির বিষাদ । পারিবারিক ভাবে আবার বিয়ে হয় তার। পঁচিশ বছর পরে তার মেয়ের বিয়েতে পাঞ্জাবি পোড়ানো দেখে মনে পড়ে যায় তার নিজের কথা । হুমায়ূন আহমেদের ছোটো কলেবরের এই উপন্যাসটি ভীষণ পছন্দের । হৃদয় ছোঁয়া এক প্রেমের উপন্যাস । ভালোলাগা, বেদনায় ঘেরা এক উপন্যাস ।
Was this review helpful to you?
or
বইটা পড়ার সময় শুধু একবার উঠেছিলাম। মুহিবের তখন সিরিয়াস অবস্থা,প্রায় মরো মরো। একটা অস্বস্তিকর মুহূর্ত। এমন মুহূর্তে বই ছেড়ে উঠে যাওয়া একদম ঠিক না কিন্তু আমি তখন ইচ্ছে করেই চা খেতে চলে গেলাম। আমার ভয় হচ্ছিল মুহিব মারা গেলো আমি হয়তো বেশি ইমশোনাল হয়ে যাব হয়তো হাউমাউ করে কেঁদে ফেলতাম। কিন্তু না গল্প টা যেভাবে ভেবেছিলাম সেভাবে হয়নি,শেষটা একেবারেই অদ্ভুত। মুহিব পূনর্জন্ম নিয়ে ফিরে এলো। অরু বেঁচে থাকতেই তার মেয়ের মধ্যে পূনর্জন্ম নিল। গল্পটা অসম্পন্ন তাই রিভিউটাও......
Was this review helpful to you?
or
Khub valoa kta boi pore onnek moja pailam...
Was this review helpful to you?
or
বুক রিভিউ: "কৃষ্ণপক্ষ" এ বইটির নাম মনে পড়লেই কষ্ট হয় খুব বেশি কষ্ট হয় মুহিবের জন্য। খুব বেশি সাধারণ এবং অসম্ভব ভালো একটি যুবক। বইটি আমাকে বারবার কাঁদিয়েছে কখনো মুহিব এর বড় বোনের জন্য আবার কখনো মুহিব এর ভালোবাসার মানুষ, স্ত্রী অরুর জন্য। মুহিব চলে যায় এ পৃথিবী থেকে বইয়ের শেষ অংশ যখন বুঝতে পারি অসম্ভব রকমের কষ্ট পেয়েছি এই কাল্পনিক চরিত্র মুহিব এর জন্যে।
Was this review helpful to you?
or
Ekmatro boi... Jeta hridoy e mochor day shesh page e.pore dekhben hotash hobenna eto tuki sure. Its a masterpiece not because of its story, but for its emotion ♥
Was this review helpful to you?
or
#বুক_রিভিউ বইঃ কৃষ্ণপক্ষ লেখকঃহুমায়ূন আহমেদ ধরণঃ উপন্যাস পৃষ্ঠাঃ৮৪ মূল্যঃ১২৫ প্রকাশনীঃ সুবর্ণ নাম করণের সার্থকতাঃ সাতশ কোটি পৃথিবীবাসীর জীবনের সাতশ কোটি সংজ্ঞা। সেখানে কারোর জীবন আলোয় ভরা জোছনা তো কারোর জীবন চাঁদহীন নিকোষকালো কৃষ্ণপক্ষ। গল্পে বর্ণীত মূল চরিত্র মুহীব ও অরু,আর সব সাধারণ মানুষের মতো সাধারণ থেকেই একে ওপরের জন্য অসাধারণ। তাদের জীবন শুরু হয়েছিল এক আকাশ ভালোবাসা দিয়ে, কিন্তু কখন কার জীবন কোথায় বাঁক নেয় তা কেইবা জানে! জীবন থেমে থাকেনা। একজনের হারিয়ে যাওয়ার পরও, বেঁচে থাকে ওপরজন ,কিন্তু তা হয় "কৃষ্ণপক্ষকে" সঙ্গী করে বেঁচে থাকা। বইয়ের নামকরণ যদি হৃদয়স্পর্শীই না হয় তবে তা সাহিত্যাঙ্গনের কলঙ্ক। সব দিক থেকেই কৃষ্ণপক্ষ উপন্যাস এর মতো তার নামটিও অতিশয় যথার্থতা বহন করে। লেখক পরিচিতিঃ হুমায়ূন আহমেদ স্যার ১৩ই নভেম্বর ১৯৪১ সালে মোহনগঞ্জ ময়মনসিংহ জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা শহীদ ফয়জুর রহমান আহমেদ এবং মাতা আয়েশা আক্তার। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক। তিন কন্যা, এক পুত্র ও শতাধিক গ্রন্থের জনক তিনি। বলা হয়ে থাকে তাঁর মতো জনপ্রিয় লেখক সমগ্র বাংলা সাহিত্যে আর আসেনি। বইয়ের বর্ণনাঃ কৃষ্ণপক্ষ হুমায়ুন আহমেদ স্যারের এক অনবদ্য উপন্যাস। বইটিকে এককথায় বিশ্লেষণ করতে যদি বলা হয় তবে আমি বলব রহস্যময়ী। রহস্য, উত্তেজনা, প্রবল অনুভূতির এক তীক্ষ্ণ লেখনীর বই এটি। বইয়ের প্রাককালেই দেখা যায় একে অপরের প্রতি ভালোবাসা থেকে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয় মুহীব ও অরু। বেকার মুহীবকে ভালোবেসে বিয়ে করে নেয় অরু,তবে তার পরিবারকে তা সে জানতে দেয় না। মোটামুটি স্বচ্ছল পরিবারের মেয়ে অরুর একজন ডাক্তারের সাথে বিয়ের কথা ঠিক হতে থাকে। অরু বলবে বলবে করেও বলে উঠতে পারে না তার পরিবারকে, মুহীবের কথা। অন্যদিকে মুহীব তার দুলাভাই এর বদৌলতে একটা চাকরি পেয়ে যায়, পাঠক মনে আশা জাগে এবার বোধহয় সবকিছুই ঠিক হবে। কিন্তু সব কি এতো সহজেই ঠিক হয়? ঠিক হওয়া বোধহয় অরু মুহীব এর জন্য ছিল না। অনাকাঙ্খিতভাবে মুহীব সড়ক দূর্ঘটনার স্বীকার হয়। অতঃপর, মুহীব কি আদৌ বেঁচে যায়? অরু কি পারে, মুহীবকে নিয়ে সুখের ঘর সাজাতে? নাকি মৃত্যুর মধ্যে দিয়ে মুহীব মিশে যায় কৃষ্ণপক্ষের অসীম রহস্যময় জগতে? এই প্রশ্নগুলোর উত্তর দিতে পারবে কৃষ্ণপক্ষ বইটিই। বইয়ের আরও উল্লেখযোগ্য চরিত্র সমূহ হলো অরুর বড় বোন, অরুর মা-বাবা, অরুর সাথে বিয়ের কথা চলতে থাকা ডাক্তার,মুহীবের বড় বোন ও দুলাভাই, মুহীবের বন্ধু-বান্ধব,ড্রাইভার ও মুহীবের সড়ক দূর্ঘটনার সময় উপস্থিত থাকা পরিবার। পাঠ প্রতিক্রিয়াঃ বইটি এতোটাই মনোমুগ্ধকর ছিল যে আমি পুরো বইটি একবারে না পড়ে থামতে পারছিলাম না, চুম্বকের ন্যায় এটি আকর্ষণ করছিল। বইটি পড়া শেষে আমি বেশ খানিকক্ষণ সম্পূর্ণ নির্বাক হয়ে গিয়েছিলাম। আমি যেন আমার চোখ বন্ধ করলেই দেখতে পাচ্ছিলাম হলুদ পাঞ্জাবি পড়া মুহীবকে, দেখতে পাচ্ছিলাম অরুকে। যেন হাত বাড়ালেই আমি গল্পের চরিত্রগুলোকে স্পর্শ করতে পারব,কিন্তু কোন এক অজানা কারণে স্পর্শ করতে পারছি না,তারা হারিয়ে যাচ্ছে ধীরে ধীরে অতলান্তের বিষাদ সমুদ্রে! ব্যক্তিগত রেটিংঃ ৪/৫
Was this review helpful to you?
or
একটা বইয়ের রিভিউ সম্ভবত এরকম হওয়া উচিত না। কিন্তু সত্যি বলতে , এই বইটা পড়া শুরু করার পর আমি বেশ বিরক্ত হচ্ছিলাম। এত সাদামাটা একটা কাহিনি যে আর দশটা সাধারণ গল্প থেকে এটাকে আলাদা করা যাচ্ছিল না। বিরক্তির চূড়ান্ত পর্যায়ে যখন পৌঁছলাম, ঠিক তখন থেকেই ভালো লাগতে শুরু করল ! বিশেষ করে শেষের দিকে এসে আমাকে এতটাই স্পর্শ করল যে এরকম আবেগতাড়িত একটা রিভিউ রাতেই লিখে ফেললাম ! খুব সাধারণ/ সাদামাটা একটা প্লটকে শুধুমাত্র এক্সিকিউশন আর ফিনিশিং টাচ দিয়ে এত অসাধারণ করা যায় , সেটাই মুগ্ধতার প্রধান কারণ ।
Was this review helpful to you?
or
#রিভিউ বইঃ-কৃষ্ণপক্ষ.. লেখকঃ-হুমায়ূন আহমেদ.. কোথা থেকে শুরু করবো বুঝতেছিনা.. আচ্ছা রিভিউতে জাস্ট ফাইভ স্টার দেওয়া কেন?কেনো নিজের ইচ্ছেমতো স্টার দেওয়া যায়না?ইশ যদি নিজের ইচ্ছে মতো স্টার দেওয়া যেতো আমি প্রতিদিন এই কৃষ্ণপক্ষ বইটিতে স্টার দিতাম.. হুমায়ূন আহমেদ স্যারের লেখা যে বইটি আমি প্রথম পড়ি তা হচ্ছে এই কৃষ্ণপক্ষ এবং বইটি Rokomari.com থেকেই কালেক্ট করি.. বিলিভ মি এই বইটি পড়ে আমি পুরো ফিদা হয়ে যাই হুমায়ুন স্যারের এবং রকমারির। আগে আমার বই পড়ার অভ্যাস ছিলোনা কিন্তু এই কৃষ্ণপক্ষ বইটি পড়ে এখন আমার ঘরে আলহামদুলিল্লাহ বেশকিছু বইয়ের আগমন হয়েছে এবং এই সবকিছু rokomari.com থাকার কারনেই সম্ভব হয়েছে। আপনি যদি নতুন পাঠক হন বা বই পড়ার অভ্যাস গড়তে চান আপনি এই বইটি পড়তে পারেন বিশ্বাস করুন আপনিও ফিদা হয়ে যাবেন আমার মতো.. তাহলে দেরি কিশের এখনি Add To Cart চাপুন আর অর্ডার করুন..
Was this review helpful to you?
or
"কৃষ্ণপক্ষ" একটা রোমান্টিক উপন্যাস।বর্তমান প্রজন্মের দুই তরুণ তরুণীর ভালবাসাকে ঘিরে রচিত এটি।কুড়ি বছরের একটি মেয়ে অরু অপেক্ষা করছে তার ভাললাগা ভালবাসার মানুষ মুহিবের জন্য কারণ তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিয়ে করার।পরিবারকে না জানিয়েই তাদের এই সিদ্ধান্ত নেওয়া।শুরুটা অনেক মিষ্টি।হালকা মনমালিন্যর পর কয়েকজন বন্ধুর উপস্থিতিতে তারা শুভ কাজটা সেরে ফেলে।কিন্তু এটা যে খুব বেশিদিন স্থায়ী ছিলনা :-( এক ভয়াবহ দূর্ঘটনায় কুড়ি বছরের মেয়েটির সব স্বপ্ন চোখের পলকেই কেমন ভেস্তে গেল :-( বইটি পড়ার পর দুই ঘন্টা কেঁদেছি।অরুর স্থানে নিজেকে কল্পনা করে খুব অসহায় লাগছিল।এতোদিনের পরিচিত মুখ যাকে চিরদিনের জন্য আপন করে নিয়েছি তাকে বিয়ের দুদিন পর হারিয়ে ফেলবো এই শক্তিটা সত্যি আমার নেই। পরিস্থিতি যেন কখনো কারো সাথে এমন নিষ্ঠুর আচরণ না করে :-( এটি হুমায়ূন আহমেদ এর একটি প্রিয় লিখা তিনি নিজেই বলেছেন। তিনি সবসময় ভাল লিখেছেন।আমাদের প্রাত্যহিক জীবনে যা ঘটে তাই তিনি রূপক অর্থে প্রকাশ করেন।কী অসাধারণ ক্ষমতা তাঁর পাঠককে একদিকে হাসাতে পারেন অন্যদিকে কাঁদাতেও পারেন। আমি প্রায় সব বই পড়ে কান্না করি কিন্তু এটা এমন একটা হৃদয়স্পর্শী বই যেটা পড়ে, মনে করে এমনকি এখনো আমার চোখ ভিজে আসছে। ২০১৬ সালে এটি নিয়ে চলচ্চিত্রও নির্মিত হয় কিন্তু বই পড়ার মত আনন্দ, ভাললাগা কি অন্য কোথাও আছে?! বই এর পৃষ্ঠা উল্টানোর মধ্যে একটা অন্যরকম ঘ্রাণ পাওয়া যায়।মুভিটাও দেখেছি সেখানে পুরোটা নেই।পড়ার মধ্যে যে অনুভূতি অনুভব করতে পেরেছিলাম মুভি দেখে ঠিক ততটা পাইনি।বইটি সবার পড়া উচিৎ।
Was this review helpful to you?
or
12345 By Jannatul Naym Pieal 29 Apr 2014 02:11 AM একটি 'ভালোবাসা'র উপন্যাস 'কৃষ্ণপক্ষ' উপন্যাসটি হুমায়ুন আহমেদের নিজেরই অত্যন্ত প্রিয় একটি উপন্যাস, এবং সে কথা তিনি নিজেই বিভিন্ন সময় তাঁর নানা রচনার মাধ্যমে জানিয়ে গেছেন। নতুন করে কি তাই এই উপন্যাসকে আর বিশেষায়িত করা বা বিশিষ্টতা দান করার খুব বেশি দরকার আছে? আমার তো মনে হয় না। শুধু একটা কথাই বলতে পারি, শুধু হুমায়ুন আহমেদের লেখাই নয়, বিশ্বের লক্ষ লক্ষ লেখকের লক্ষ লক্ষ সেরা লেখার মধ্য থেকেও আমি এই লেখাটাকে আলাদা করে নিতে পারব। তার অন্তরালের কারণ শুধু এই নয় যে উপন্যাসটা আমার প্রিয় লেখক ও প্রিয় ব্যক্তিত্বের পছন্দের উপন্যাস। আমার কাছে এই উপন্যাসটার গুরুত্ব আলাদা কারণ এই লেখাটি অনেকদিন পর আমার চোখ ঝাপসা করে দিতে সক্ষম হয়েছে। জানি না এই উপন্যাসের উপাদান আসলেই খুব একটা বিয়োগান্ত কিনা আর বিয়োগান্ত হলেও সেটা আরোপিত কিনা বা তাতে কিছুটা হলেও ন্যাকামো মিশে আছে কিনা। সেসব বিচারের দায়িত্ব অন্য পাঠকদের। আমি শুধু আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি, জীবনের একটা খুব চেনা ও পরিচিত গল্পকে হুমায়ুন আহমেদ যেভাবে চেনা ছকের মাধ্যমেই যে আন্তরিকতার সাথে উপন্যাসের পাতায় তুলে এনেছেন, তা আমার হৃদয়কে আন্দোলিত করতে যথেষ্ট ছিল। আমার জানা নেই এত সহজ এবং সাবলীল ভাষায় কিভাবে একজন মানুষ এরকম একটা উপন্যাস লিখতে পারেন। কিন্তু যে কাজটা অন্যদের কাছে অসম্ভব, সেই কাজটাই অনেক বেশি আয়াসের সাথে করে গেছেন হুমায়ুন আহমেদ। 'কৃষ্ণপক্ষ' উপন্যাসেও তার কোন ব্যতিক্রম হয়নি। অথচ সেই অতি সাধারণ ভঙ্গিমায় বলে চলা কাহিনীর বিষয়বস্তু আর ঘটনাপ্রবাহ এত বেশি হৃদয়ছোঁয়া ছিল যে তার ফলে সামগ্রিকভাবে তা লেখকের অন্যান্য উপন্যাসের থেকে এই উপন্যাসটিকে এক নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে। 'কৃষ্ণপক্ষ'কে লেখক এর রচনাকালের সাথে তাল মিলিয়ে 'সমসাময়িক' বলে আখ্যায়িত করেছিলেন। সময়ের সাথে সাথে নিশ্চয়ই সমসাময়িকতার যে নির্দিষ্ট সময়কাল তা অতিক্রান্ত হয়ে গেছে। তারপরও আমার কাছে মনে হয়েছে এই উপন্যাসে যে ভালোবাসার কাহিনী তুলে ধরা হয়েছে তা শুধু সমসাময়িকই নয়, তা চিরন্তন। লেখকের বক্তব্যের সাথে দ্বিমতপোষণ করলাম এবং তা দৃষ্টিকটু স্পর্ধা কিনা জানি না। কিন্তু এটুকু আমি জানি, ২০১৪ সালের আজকের এই দিনে এসেও এই উপন্যাসের কাহিনী এতটুকু সেকেলে মনে হবে না। একেবারে বাস্তব বলে গণ্য হবে যেকোন পাঠকের কাছে। একটু আশাপাশে চোখ বুলালেই দেখা যাবে হাজারটা অরু আর হাজারটা মুহিবকে। অরু আর মুহিব হল সেই দুই চরিত্র যারা নিজ নিজ পরিবারের কাউকে না জানিয়ে বিয়ে করে বসে। তাদের দুজনের পারিবারিক প্রেক্ষাপট একেবারে ভিন্ন। কিন্তু ভালোবাসার বাঁধনে আটকা পড়ে তারা বাকি সবকিছু ভুলে বিয়েটা করেই ফেলে। কিন্তু হায়! বিয়েই যে জীবনের সব না তা সৃষ্টিকর্তা তাদের চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিল। এক মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় মারা গেল মুহিব। অরু আর মুহিবের পার্থিব ভালোবাসারও কি বিচ্ছেদ ঘটল না? কে জানে! তাহলে কেন ২৫ বছর পরও অরুর মনে পড়ে যাবে মুহিবের সাথে বিয়ের সেই দিনটার কথা? বাস্তবতা তো এমনই। তারচেয়েও বড় কথা, ভালোবাসার শক্তি যে এতটাই প্রবল। ভালোবাসার এই প্রাবল্যই দারুণভাবে ফুটে উঠেছে এই উপন্যাসে। কিন্তু সেই প্রাবল্যের মান আক্ষরিক অর্থেই এত প্রবল ছিল যে তা যে কারো চোখ ভিজিয়ে দিতে যথেষ্ট। শুধু মুহিব আর অরুর ভালোবাসার কাহিনীই যে এখানে বলা হয়েছে তা না। অরুর বোন মীরুর কথা এসেছে, মুহিবের বোন জেবার কথা এসেছে, মুহিবের ভাগ্নী প্রিয়দর্শিনীর কথা এসেছে, গাড়ি এক্সিডেন্টের সময় যে বাচ্চা মেয়েটা মুহিবের কোলে ছিল তার কথা এসেছে, মুহিবের দুলাভাইয়ের কথা এসেছে, মুহিবের বন্ধুদের কথা এসেছে, আবার অরুর সাথে যে ছেলেটার বিয়ের কথা চলছিল তার কথাও এসেছে। আপাতদৃষ্টিতে মনে হতে পারে মুহিব আর অরুর ভালোবাসার কাহিনীতে তাদের উল্লেখ অপ্রয়োজনীয়। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে 'কৃষ্ণপক্ষ' তো আর শুধু মুহিব আর অরুর ভালোবাসার গল্প না। ভালোবাসাই হল এই গল্পের প্রধান চরিত্র। আর তাই অন্য প্রতিটি চরিত্র এসে ভালোবাসার কনসেপ্টটাকে আরও অনেক বেশি সুদৃঢ় করেছে। সত্যিকারের ভালোবাসার উপন্যাস কাকে বলে তা জানা না থাকলেও, আমাকে যদি কেউ বলে তোমার পছন্দের ভালোবাসার উপন্যাস কোনটা বা কোনগুলো, তার জবাবে যে ছোট্ট তালিকাটা আমার মুখ থেকে বেরিয়ে আসবে তার মধ্যে 'কৃষ্ণপক্ষ' এর উল্লেখ অবশ্যই থাকবে।অকস্মৎ এক দুর্ঘটনায় মুহিব বিদায় নেয় এই মায়াময় পৃথিবী থেকে। স্বভাবতই অরুর জীবনে নেমে আসে এক ভয়াবহ বিচ্ছিন্নতা। কিন্তু অরুকে তবুও বাঁচতে হবে। বাস্তবের মুখোমুখি হয়ে পারিবারিক নির্দেশে সে আবার ঘর বাঁধে। সময়ও দ্রুত এগিয়ে চলে। সে হয় জননী। দীর্ঘ পঁচিশ বছর পর তার প্রথম মেয়ের বিয়েতে দুই যুগ পূর্বের নির্দিষ্ট স্মৃতি তাকে হঠাৎ অসুস্থ করে তুললো ছোট মেয়ে কান্তার একটা কথা- আপা দুলাভাইয়ের পাঞ্জাবী আগুন দিয়ে পুড়াচ্ছে।‘বন ফায়ার হবে’। অরুর চোখে জল এসে যাচ্ছে, তিনি সেই জল সামলাবার প্রাণপণ চেষ্টা করছেন।/ ‘কৃষ্ণপক্ষ’ উপন্যাস অবলম্বনে ‘কৃষ্ণপক্ষ’ চলচ্চিত্র পরিচালনার মাধ্যমে মেহের আফরোজ শাওন চলচ্চিত্র পরিচালনায় আত্মপ্রকাশ করেন।চলচ্চিত্রে মুহিব ও অরুর চরিত্রে অভিনয় করে রিয়াজ ও মাহিয়া মাহী।
Was this review helpful to you?
or
humayun sir ar laekha uponnash gulor maje amr sob ceye poconder uponnash ati. ai boi ta porar somoy kokon ki hobe konoi age theke thik kora jay ni.... oshadharon akta boi.
Was this review helpful to you?
or
"কৃষ্ণপক্ষ" হুমায়ূন আহমেদ স্যার এর অসাধারণ একটি বই।এই উপন্যাস টি হুমায়ূন আহমেদ স্যার এর নিজের ও খুব পছন্দের আর কেন পছন্দ তা যে কোন পাঠক উপন্যাস টি পড়লেই বুঝতে পারবেন। অতি সাধারণ একটি গল্প যা পাঠকের অজান্তেই তাকে আবেগপ্রবণ করে দেয়। অরু আর মুহিব এর সেই অসাধারণ গল্পটি হুমায়ূন আহমেদ স্যার এর রোমান্টিক উপন্যাস গুলোর মধ্যে উপরের দিকেই থাকবে।
Was this review helpful to you?
or
এক অভূতপূর্ব সুন্দর, সাবলীল,প্রাঞ্জল কিছু চারণমালা কথনশৈলীর সংমিশ্রণে উপন্যাসটি লেখা। শুরু থেকে শেষ অবধি অজানা এক টান ও অবেশ ধরে রাখার আবেদন ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে "কৃষ্ণপক্ষ" বইটির আনাচে কানাচে। উপন্যাসটি একটি প্রণয়োপান্যাস,মুহিব আর অরুর প্রণয় ও পরিণতিকে ঘিরে.. উপন্যাসটির শুরুতে অরু ভালোবাসতো এক ছেলেকে।এম এ পাশ, চাকরীর সন্ধানে হণ্যে হয়ে উঠা এক বেকার যুবক মুহিব,তার ভালবাসার মানুষ। মা-বাবা হারানো "মুহিব" তার বড়বোন ও দুলাভাই এর সংসারে বেড়ে উঠে। মায়ের মতো আগলে রাখে "জেবা" তার ভাইটিকে,এদিকে "শফিকুর রহমান" এর আচরণ অতি শাসন আর অস্বাভাবিক রকম অবজ্ঞা মেশানো.. ভালবাসার ঘাটতি না থাকলেও ভয়ের কমতি ছিলোনা মুহিবের দুলাভাই এর গাম্ভীর্যপূর্ণ এ আচরণ। যার দরূন হয়তো একমাত্র ভাগনীর নাম রেখেও নামধরে ডাকার অধিকারটুকু হারিয়েছেন। সম্পর্কের এ টানাপোড়নেরর মাঝেও ভাইবোনের যে এক অকৃত্রিম আত্মার সম্পর্ক থাকে তা লেখক "হুমায়ুন আহমেদ" নিপুণ হাতে লিখে গেছেন, যারপরনাই ভালোলাগা, ভালবাসার আবেশ ছড়িয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপনের মাধ্যমে। অরু জামিল সাহেবের ছোটমেয়ে। বড়বোন মিরু,অসম্ভব স্বৈরাচারী খিটখিটে স্বভাবের লোক অরুর বাবা। কথা ঘোরাবার লোক তিনি নন।অরুর বিয়ের কথা তিনি ভাবতে থাকেন এবং আবরারের সাথে তার বিয়ের কথা চলতে থাকে। ঠিক যে সময় বিয়ে ঠিক হয় সেই সময়ই তার বিয়ে সুসম্পন্ন হয়..... কিন্তু ঠিক এই মুহূর্তে কি ভাবছে অরু? কিংবা তার পরিবার?? এদিকে মুহিবেরও সুদিন আসে। কিন্তু সেই সুদিনটাকে সে উপভোগ করতে পারেনা, তাকে ছুটতে হয় বেকারত্ব ঘোচানোর প্রয়াসে আকাঙ্ক্ষিত সম্ভাবনার দোড়গোড়ায়.. এরপর যা হবার হবে,এ পর্যন্ত তারা পরস্পর থেকে আলাদাই থাকবে,স্থির হয় এটাই। কিন্তু ভাগ্যের ফেঁড়ে এক্সিডেন্টে মুহিবের প্রাণ ওষ্ঠাগতপ্রায়। অরু কি খবর পায়? কিংবা অরুর জন্য কোন ট্রাজেডি অপেক্ষা করছে সামনে? তার ভালবাসা কি পরিণতি লাভ করে, না নির্মম কোন বাস্তবতার অপেক্ষা করছে!? পড়তে পড়তে হৃদয়ের কান্নাগুলো কখন দুমরে মুচরে গলার মধ্যে আটকে যেতে থাকে। অজানা কোন অনুভূতিতে মিলিয়ে গিয়ে পুনঃপুন চক্রাকারে ঘটতে থাকে এ ক্রিয়া। পরের পৃষ্ঠায় কি অপেক্ষা করছে সে শঙ্কায় দুচোখের পাতা এক হয়না, একটা শুভ পরিণতির উৎকন্ঠায়, অভিলাষে.. #পাঠপ্রতিক্রিয়া : উপন্যাসটি নানা দোটানা, অজানা অনুভূতি, চাওয়া পাওয়ার মিশ্রণে খুব আবেদনময়ী হয়ে উঠে। পাঠক হৃদয় তোলপাড় করা এক অনুভব,চরিত্রগুলোতে খুঁজে পাওয়া যায়। এতোটা বাস্তব আর সৃজনধর্মী শব্দের প্রয়োগ কখনো হাসায় কখনো হৃদয় নিংড়ে গুমরে কাঁদায়,কখনোবা রেশ রয়ে যায় অকৃত্রিমতায়.. একটি ঘোরময় রচনাশৈলী। যা পুরোটা না পড়লে বুঝা যাবেনা সেটি কি ছিলো মূলত( ?) স্বপ্ন না বাস্তবের। উপন্যাসটির ঘটনা পরাম্পরা বুঝতে হলে পাঠকের সম্পুর্ণ মনযোগ ধরে রাখা আবশ্যক। হ্যাপী রিডিং। :)
Was this review helpful to you?
or
#বুক_রিভিউ কৃষ্ণপক্ষ হুমায়ুন আহমেদ শুরুটা বিয়ে দিয়ে, মুহিব বেকার যুবক বোন দুলাভাইয়ের সাথে থাকে, উপন্যাসের নায়িকা হলেন অরু, তারা গোপনে বিয়ে করল। অথচ অরুর বিয়ে ঠিক হয়ে আছে আবরার নামক একজন চিকিৎসকের সাথে। বিয়ে করতে মুহিব হলুদ পাঞ্জাবি পরে, যেটা অরুর পছন্দ হয়নি। বিয়ের পরে মুহিবের বন্ধু বজলুর বাসায় গিয়ে উঠে, সে রাতেই মুহিবের দুলাভাই তাকে চাকরির জন্য জরুরি ভিত্তিতে যেতে বলে। এবং সে রাতেই মুহিবের চাকরি কনফার্ম হয় পরদিন সকালেই চট্টগ্রাম যেতে হবে পিকআপ ঠিক করা থাকে। দুলাভাইয়ের অফিস থেকে ফিরে বন্ধু বজলুর বাসায় গিয়ে দেখে অরু একাই, বন্ধু বজলুর স্ত্রী ঝগড়া করে ভাইয়ের বাসায় চলে গেছে বজলু তাকে আনতে গেছে। মুহিব অরুকে অনেক হাসির গল্প শোনায় খেতে খেতে, অরু একসময় বলে পাঞ্জাবি খুলো পুড়িয়ে ফেলবো, আগেই বলে রেখেছিল যে এটাই আমাদের বাসর রাতের স্মৃতি হিসেবে থাকবে বাসর রাতে পাঞ্জাবি পুড়িয়েছি। কিন্তু পাঞ্জাবি পুড়ানো হয় না, মুহিব বলে আজ সারারাত জেগে থাকবো কিন্তু সে নিজেই ঘুমিয়ে পড়ে। পরদিন সকাল হওয়ার আগেই মুহিব বেড়িয়ে পড়ে চট্টগ্রাম যাওয়ার উদ্দেশ্যে। ড্রাইভার কিছু যাত্রী তুলেছিল ভাড়ার বিনিময়ে, লীনা নামের একটি ছোট্ট মেয়ে ছিল যে মুহিবের কোলে বসে মামা ডাকে আর ছড়া শোনায় একটার পর একটা, পিছনে ছিল লীনার মা বাবা। এদিকে অরু সকাল হলে বাসায় ফেরে, তার ভিতরে রয়েছে বিভিন্ন ভয়, কেননা তার বাবা অলরেডি দুবার স্ট্রোক করেছে কি জানি কি হয়েছে বুক টা দুরু দুরু করছিল অরুর, যেহেতু সে তার বড় আপু মীরুর টেবিলে বিয়ে সম্পর্কিত চিঠি লিখে রেখে গেছিল। এতক্ষণে কত কি হুলস্থুল কান্ডই না ঘটে গেছে কে জানে। কিন্তু অরু বাসায় গিয়ে দেখে সব কিছুই স্বাভাবিক ভাবে চলতেছে মীরু তার চিঠি পড়েই নি, অরু ভাবে তাড়াতাড়ি চিঠিটা সরিয়ে ফেলতে হবে, দু চার দিন পরে জানাজানি হলে বিষয় টা আরো সহজ হবে। চট্টগ্রাম যাওয়ার পথে একটা ট্রাক পিছনের সবগুলো গাড়িকে সাইড দিচ্ছিল শুধুমাত্র মুহিবদের গাড়িকে সাইড দিচ্ছিল না। ড্রাইভার মহসিন অনেক ক্ষেপে গালাগাল দেয় ট্রাক ড্রাইভার কে কিন্তু সাইড পাচ্ছিলেন না, তাকে সাইড না দিয়ে একধরনের মজা করছিল ট্রাকের হেল্পার ড্রাইভার। এ দেখে মুহিব বলে যে চায়ের তৃষ্ণা পেয়েছে তার চেয়ে কোথাও একটু থামিয়ে চা খেয়ে নিলে ওদের থেকে দূরত্ব বাড়বে। মহসিনের ইচ্ছে না থাকা সত্ত্বেও দাঁড়ায় সে মনে মনে ভাবতেছিল তারা থামলে ট্রাকটাও সামনে কোথাও দাড়িয়ে তাদের অপেক্ষা করবে সে গিয়ে দেখবে সামনে আবার সেই ট্রাক, আসলেও তাই-ই ঘটে। কিছুদূরে যাওয়ার পরে সাইড দেয় সেই ট্রাক কিন্তু ওভারটেক করতে গিয়ে মহসিন দেখেন সামনে আসছে বাস তার আর কিছুই করার থাকে না এক্সিডেন্ট করে মুহিবদের গাড়ি। অরু বাড়িতে একদিন ডাক্তার আবরার আসেন, অরু তাহার সহিত গল্প করে ডাক্তার অরুকে দেখে আর অবাক হয় কত সুন্দর করে কথা বলে মেয়েটা। অরুর বাড়িতে রয়েছে মা বাবা বড় বোন মিরু আর দুলাভাই থাকেন প্রবাসে আর রয়েছে মীরুর ছেলে। অরুর বাবাই আবরার কে পছন্দ করেছেন সুতরাং অরুর কিছুই করার নেই। এক্সিডেন্টে গাড়ির কারো কিছু হয় না শুধু মাত্র মুহিবই জ্ঞান হারিয়ে অচেতন হয়ে যায়। তাকে ঢাকায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয় অবস্থা খুবই আশংকাজনক। মুহিবের বোন জেবা ছুটে আসেন হাসপাতালে মুহিবের বন্ধু বান্ধব সকলে চলে আসে। অরুকেও খবর দেয়া হয় টেলিফোনে কিন্তু মীরু ফোন ধরে অরুকে জানাবে বলে ভুলে যায় যে অরুর একটা জরুরি ফোন এসেছিল। কিছু সময় পরে মুহিবের বোন জেবা- দুলাভাই শফিকুর রহমান ও ভাগ্নি সারা বাসায় ফিরেন যেহেতু তাদের কারোরই খাওয়া দাওয়া কিছুই হয়নি। সারাকে মুহিব ডাকতো প্রিয়দর্শিনি নামে দুলাভাই শফিকুর রহমান সেটা পছন্দ করতেন না। মুহিবের কোন কিছুই শফিকুর রহমান পছন্দ করতেন না। বাসায় ফিরে জেবা তার স্বামীর প্রতি জমে থাকা সকল ঘৃনা প্রলাপের মত বকতে থাকে, শফিক সাহেবকে সারজীবনের জন্য ছেড়ে যাচ্ছেন বলে বেড়িয়ে হাসপাতালে চলে আসেন। অরুকে আবার ফোন করা হয় রাতে, অরু সাথে সাথে হাসপাতালে চলে আসে। মুহিবের পাশে থেকে কিছু সময় কথা বলতে চাইলে ডাক্তাররা অরুকে ভিতরে যেতে দেয়। মুহিব অচেতন হয়ে পরে আছে শুধুমাত্র শ্বাস দেখে বোঝা যাচ্ছে যে সে বেচে আছে। অরু- মুহিব তুমি এভাবে চুপ করে থাকতে পারো না, পৃথিবীর সব কিছুর বিনিময়ে তোমাকে চেয়েছি, পেয়েছি। কিন্তু এভাবে আমাকে ছেড়ে তুমি যেতে পারো না। পচিশ বছর পরের কথা ডাক্তার আবরারের সাথে বিয়ে হয়েছিল অরুর আজ অরুর বড় মেয়ে রুচির বিয়ে, ধুমধাম করে আয়োজন করা হয়েছে। রুচির বাসর হবে এ বাড়িতেই, আত্মীয় স্বজনের ভীড় কমে গেছে আস্তে আস্তে। অরুর খারাপ লাগছিল তাই ঘরে গিয়ে বসে আবরারও ঘরে, এমন সময় অরুর ছোট মেয়ে কান্তা এসে বলে, আপা করছে কি দুলাভাইয়ের পাঞ্জাবী আগুন দিয়ে পুড়াচ্ছে। ‘বন ফায়ার‘ হবে সবার সামনে আগুন দিয়ে পুড়ানো হবে। (বর হলুদ পাঞ্জাবি পড়ে এসেছিলেন)। অরুর চোখে জল এসে যাচ্ছে। তিনি সেই জল সামলাবার প্রাণপণ চেষ্টা করছেন। আজ তাঁর মেয়ের বিয়ে। এমন আনন্দের দিনে কি আর চোখের জল ফেলতে আছে? (ভুল ত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন প্লিজ) নেক্সট -(শাপমোচন -ফাল্গুনি মুখোপাধ্যায়)
Was this review helpful to you?
or
এই গল্পটি দুটি হাত নিয়ে। সব রোমান্টিক উপন্যাসে যেমন দুটি হাত থাকে,এই উপন্যাসেও সেরকমটা আছে। একটি হাত মুহিব নামের একটি বেকার ছেলের, আর অন্য হাতটা একজন রিটায়ার্ড পুলিশ কর্মকর্তার মেয়ের যার নাম অরু।মেয়েটির পরিবারটাকে একটি মধ্যবিত্ত পরিবার বলা চলে।তবে তাদের বাড়িটি দেখে সেটি অনুমান করার কোন উপায় নেই। দুটি হাতই একটি অপরটিকে ধরে বাঁচতে চায়। খুব ভালবাসে তারা একজন আরেকজনকে... গল্পের শুরুতেই দুটি হাতই এক হয়ে যায়। শুরুতেই দেখানো হয় অরু আর মুহিব পালিয়ে বিয়ে করেছে। তাদের বাসর ঘর সাজানো হয়েছে মুহিবের বন্ধু বজলুর বাসায়। সব বাসর রাতেই প্রত্যেক নরনারীর একটি নতুন জীবন শুরু হয়। একেবারে অচেনা দুজন মানুষ কাবিন নামক একটি কাগজের মাধ্যমে একরকম লিখিত দেয় যে তারা সারাটি জীবন একসাথে থাকবে।একটি ছাদের নিচেই থাকবে।তবে অরু আর মুহিব খুব পরিচিত আর কাছের দুটো মানুষ হলেও তাদের দুজনার বাসর রাতটা সেরকম হলনা। বাসর রাতে অরুর হাতটা ধরে গল্প করার বদলে তাকে আসতে হয়েছে তার দুলাভাইয়ের অফিসে। দুলাভাই তাকে একটি চাকরী দেবেন বলেছেন।দুলাভাইয়ের নির্দেশেই পরেরদিন তাকে চট্টগ্রাম যেতে হবে... মুহিব মনে মনে খুব আনন্দিত হয়। মুহিব রাতেই ফিরে আসে বজলুর বাসায়।বজলুর বাসায় ফিরে এলে অরু মুহিবকে বাসর রাতে ইন্টারেস্টিং কিছু একটা করার কথা বলে।যেটি তাদের বাসর রাতটিকে স্মরনীয় করে রাখবে।ইন্টারেস্টিং কাজ হিসেবে অরু মুহিবের পাঞ্জাবী পোড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়। পরে যেন তারা এ গল্পটা সবাইকে বলতে পারে যে দাম্পত্য জীবন তারা শুরু করেছিল পাঞ্জাবী পোড়ানোর মাধ্যমে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা আর হলনা। মুহিব এক রাজ্য ঘুম নিয়ে ঘুমিয়ে গেল। অরু তাকিয়ে আছে মুহিবের ঘুমন্ত চেহারার দিকে। মুহিবকে যেন আরো কাছ থেকে অনুভব করতে পারছে অরু। তাই সে বলেও ওঠে "আমি যে তোমাকে কতটা ভালবাসি তা তুমি কখনও জানবেনা.... " অরু পরেরদিন বাবার বাড়িতে এসে হাজির হয়। বাড়িতে অরুর বড় বোন মীরুও আছেন।যিনি নিজের বাচ্চার খাওয়া দাওয়ার ব্যাপারে অত্যাধিক সচেতন। অরুর বিয়ে ঠিক হয়ে আছে আরেকটা ছেলের সাথে। তার নামটি এ মূহুর্তে মনে করতে পারছিনা। তবে ছেলে ডাক্তার। বাড়ি থেকে পালিয়ে যাবার সময় অরু একটি চিঠি লিখে গিয়েছিল। কিন্তু চিঠিটা কেউ পায়নি। অরু যে বিয়ে করে এসেছে সেটিও কেউ জানতে পারেনি। তবে অরু আরেকটি চিঠি লিখল।এ চিঠিটি ডাক্তার ছেলেটির জন্যে। চিঠিতে মুহিবের কথাও উঠে এসেছে। বেশ বড় একটি চিঠি। হঠাত করেই মীরুর ছেলে খাওয়া দাওয়ায় ব্যাঘাত ঘটে। ছেলে কিছু মুখে নেয়না দেখে অরুর মাকে বলে ওই ডাক্তার ছেলেটাকে খবর দেয়ার জন্যে। সেটি আর হয়নি। মীরু বাবার ঘর থেকে টেলিফোন এনে তার প্রবাসী হাজবেন্ডকে ফোন করে। ছেলের অবস্থা জানানোর জন্যে। তার হাজবেন্ডের সাথে কথা বলার আগেই সে টেলিফোনে পরিচিত এক ফোন কল আসে। ফোনটি বজলুর। অরুকে চাচ্ছিলেন। মীরুকে বললেন যে অরুকে যেন বলে যে মুহিব এক্সিডেন্ট করেছে। এক্সিডেন্ট হয়ে ডাকা চট্টগ্রাম রোডে। মীরু বলে দিল যে জানাবে পরে অরুকে। পরে মীরু তার হাজবেন্ডের সাথে কথা বলল।কথা বলার মাঝে কাঁদলোও। শেষে আর বজলুর ফোন কলের কথা আর মনেই ছিল না তার। ওইদিকে অরু বিছানায় এক কাত হয়ে ঘুমাচ্ছে্। ঘুমের মাঝে মুহিবকে নিয়ে একটি স্বপ্ন দেখছে। অদ্ভূত স্বপ্ন। মুহিব খালি গায়ে তাদের বাড়িতে এসেছে। অরুকে নেয়ার জন্যে... এরপর উপন্যাসটির পাতা উল্টাতে উল্টাতে যখন পাঠক শেষ পর্যায়ে এসে পৌছাবেন ততক্ষনে অরুর জীবন থেকে আরো ২৫ টি বছর কেটে যায়।অরুর বড় মেয়ের বিয়ে আজ। ছোট মেয়ে কান্তার একটি কথা অরুকে হঠাৎ অসুস্থ করে তুললো। "আপা দুলাভাইয়ের পাঞ্জাবী আগুন দিয়ে পুড়াচ্ছে।‘বন ফায়ার হবে’"। অরুর চোখে জল এসে যাচ্ছে ।সেই জল সামলাবার প্রাণপণ চেষ্টা করছে সে। নোনা জলটুকু আর থাকতে চাইছেনা কিছুতেই চোখের ভেতর। গাল বেয়ে নেমে যেতে চাইছে... উপন্যাসটি সম্পর্কে শুধু এটুকুই বলতে পারি, আজকের এই দিনে এসেও এই উপন্যাসের কাহিনী এতটুকু সেকেলে মনে হবে না। একেবারে বাস্তব বলে গণ্য হবে যেকোন পাঠকের কাছে। একটু আশাপাশে চোখ বুলালেই দেখা যাবে হাজারটা অরু আর হাজারটা মুহিবকে। যারা এখনও হাত ধরাধরি করে ঘুরে বেড়ায়।স্বপ্ন দেখে একসাথে থাকার.. কিন্তু মুহিবের কি হল? কোথায় সে? উপন্যাসের মাঝে এমন কি ঘটেছে যে অরুকে কাঁদতে হবে? সবটা জানার জন্যে পড়তে হবে উপন্যাসটি
Was this review helpful to you?
or
”কৃষ্ণপক্ষ” হুমায়ূন আহমেদের লেখা অসাধারণ এক প্রেমের উপন্যাস। এই উপন্যাসকে লেখক নিজেই ‘অত্যন্ত প্রিয়’ লেখা হিসেবে উল্লেখ করেছেন। হুমায়ূন আহমেদ তাঁর বই ”এই আমি”তে বলেছেন- “অনেকেই আমাকে বলেছেন, কৃষ্ণপক্ষ উপন্যাস থেকে হলুদ পাঞ্জাবীর অংশটা বাদ দিলে উপন্যাসটা সুন্দর হত। উপন্যাসে এই অংশটুকু দূর্বল। হিন্দী ছবির মত মেলোড্রামা। অথচ উপন্যাসটি লেখাই হয়েছে হলুদ পাঞ্জাবীর ব্যাপারটির জন্যে। আমি কি আমার বোধ পাঠকদের কাছে ছড়িয়ে দিতে ব্যর্থ হচ্ছি? এরা হিমুর বাইরের রুপটি দেখে। তার উদ্ভট কাণ্ড-কারখানায় মজা পায়-কিন্তু এর বাইরেও তো হিমুর অনেক কিছু বলার আছে। হিমু ক্রমাগত বলেও যাচ্ছে-কেন কেউ তা ধরতে পারছে না? লেখক হিসেবে এর চেয়ে বড় ব্যর্থতা আর কি হতে পারে?/ ছোট বেলায় মুহিব তার বাবা মাকে হারায়। একমাত্র বোন জেবার বিয়ের পর তার সাথে থাকতে এসে দুলাভাইয়ের কঠিন অনুশাসনের মুখোমুখি হয়। তারপরও এই দু:খী ভাইবোনের জীবন চলতে থাকে পরস্পরের প্রতি পরম মমতায়। অরুর হাত ধরে মুহিবের জীবনে ভালোবাসা স্পর্শ করে। অরুকে সঙ্গে নিয়ে মুহিব নতুন করে স্বপ্ন দেখতে শুরু করে। প্রকৃতির নিয়মে খুব সহজেই একে অপরের কাছাকাছি চলে আসে।একসময় নিজ নিজ পরিবারের কাউকে না জানিয়ে বিয়ে করে বসে। তাদের দুজনের পারিবারিক প্রেক্ষাপট একেবারে ভিন্ন। বিবাহিত জীবন শুরু করেও তারা সুখী দাম্পত্য জীবন গড়তে পারেনি। অকস্মৎ এক দুর্ঘটনায় মুহিব বিদায় নেয় এই মায়াময় পৃথিবী থেকে। স্বভাবতই অরুর জীবনে নেমে আসে এক ভয়াবহ বিচ্ছিন্নতা। কিন্তু অরুকে তবুও বাঁচতে হবে। বাস্তবের মুখোমুখি হয়ে পারিবারিক নির্দেশে সে আবার ঘর বাঁধে। সময়ও দ্রুত এগিয়ে চলে। সে হয় জননী। দীর্ঘ পঁচিশ বছর পর তার প্রথম মেয়ের বিয়েতে দুই যুগ পূর্বের নির্দিষ্ট স্মৃতি তাকে হঠাৎ অসুস্থ করে তুললো ছোট মেয়ে কান্তার একটা কথা- আপা দুলাভাইয়ের পাঞ্জাবী আগুন দিয়ে পুড়াচ্ছে।‘বন ফায়ার হবে’। অরুর চোখে জল এসে যাচ্ছে, তিনি সেই জল সামলাবার প্রাণপণ চেষ্টা করছেন।/ ‘কৃষ্ণপক্ষ’ উপন্যাস অবলম্বনে ‘কৃষ্ণপক্ষ’ চলচ্চিত্র পরিচালনার মাধ্যমে মেহের আফরোজ শাওন চলচ্চিত্র পরিচালনায় আত্মপ্রকাশ করেন।চলচ্চিত্রে মুহিব ও অরুর চরিত্রে অভিনয় করে রিয়াজ ও মাহিয়া মাহী।
Was this review helpful to you?
or
বই: কৃষ্ণপক্ষ লেখক: হুমায়ূন আহমেদ প্রকাশনা: সুবর্ণ প্রকাশনী মূল্য: ১২৫ টাকা মাত্র রুচিরার বিয়ে উপলক্ষে তার বরের পাঞ্জাবী পুড়ানো হচ্ছে। না, এখানে পাঞ্জাবীর কোন দোষ নেই। দোষ হলো হবু বরের। কেননা, পাঞ্জাবীর রং কটকটে হলুদ যা কুৎসিত রুচির পরিচায়ক। এই গল্পে রুচিরা নামক একটি চরিত্র আছে। আছে কান্তা নামের একটি চরিত্র। যাদের আসলে এই বইয়ে শেষেরদিক ছাড়া আর কোথাও অস্তিত্ব নেই। অথচ তাদের দ্বারা সংঘটিত সেই হলুদ কটকটে পাঞ্জাবী আর তা পুড়ানোর দৃশ্য গল্পকে পিছিয়ে নিয়ে যাবে পঁচিশ বছর পূর্বে। অরুর গল্পে। যে গল্প দুই তরুণ-তরুণীর অকৃত্রিম ভালোবাসার। যে গল্প এক ভাইয়ের প্রতি বোনের গভীর মমতার। সর্বোপরি এ গল্প মুহিব নামের একজনের। হুমায়ূন আহমেদের উপন্যাসের সমাপ্তি মানেই রবীন্দ্রনাথের ঐ কথাটির মতো, "যেন শেষ হইয়াও হইলো না শেষ"। সে হিসেবে কৃষ্ণপক্ষকে একটু আলাদা বলা যায়। এ গল্পে সমাপ্তি আছে। যদিও শেষেরদিকের স্মৃতিকাতরতাটুকু না থাকলে উপন্যাসটি একেবারে সাদামাটা হয়ে যেত বলেই আমার ধারণা। মুহিব। বাবা-মাকে হারানোর পর বড় বোন আর দুলাভাইয়ের কাছেই বড় হওয়া। কিন্তু দাম্ভিক দুলাইভাইয়ের দাম্ভিকতায় পিষ্ট মুহিব বোনকে অকৃত্রিম ভালোবাসে। ফলে শত বঞ্চনা সহ্য করেও সে থেকে যায় আপার সাথে। মুহিবের প্রেমিকা অরু। যদিও অরু মুহিবকে কেন ভালোবাসে সেটার ব্যাখ্যা সে জানে না। সে শুধু জানে যে করেই হোক মুহিবকে তার স্বামী হিসেবে পেতেই হবে। তাই একদিন হঠাৎ করেই কাউকে না জানিয়ে কাজি অফিসে বিয়ে করে ফেলে দুজন। তারপর উঠে এক বন্ধুর বাড়িতে.. বাস্তবতার মোড়কে লেখা হুমায়ূন আহমেদের প্রত্যেকটা উপন্যাস জীবনদর্শনের এক একটি উপাখ্যান। মুহিবকে স্বামী হিসেবে পেয়েও বাস্তবতার নির্মম পরিহাস। বন্ধুর মতো স্বামী আবরার কিংবা ভাইয়ের প্রতি বোনের ভালোবাসার যে স্বরুপ তুলে ধরা হয়েছে তা পড়তে পড়তে যেকোন পাঠকের চোখের কোণে লবনাক্ত পানি চিকচিক করে উঠবে নিশ্চিত। কোনো এক অদ্ভুত কারণে হুমায়ূন আহমেদের প্রতিটি গল্পে হঠাৎ করেই সমাপ্তি চলে আসে। যা যথেষ্ঠ বিভ্রান্তিকর। তবে আপনি যতক্ষণ পড়তে থাকবেন ততক্ষণ অরু, মুহিব কিংবা বড় আপাকে নিজের একান্ত আপনজন বলেই বোধ হবে। এই বই থেকে একটি সিনেমাও বানানো হয়েছে। যদিও হুমায়ূন আহমেদের প্রায় প্রতিটি উপন্যাস সেলুলয়েডে বন্দি করার যোগ্য! কিন্তু কৃষ্ণপক্ষ নামে যে সিনেমাটি তৈরী করা হয়েছে বইয়ের সাথে তুলনা করতে গেলে সিনেমাটিকে বইয়ের আবেদন নষ্ট করার উপাদান বৈ অন্যকিছু মনে হয়নি।
Was this review helpful to you?
or
অরু ও মুহিব বর্তমান প্রজম্মের দুই তরুণ তরুণী।হৃদয় জুড়ে আছে তাদের অকৃত্রিম ভালোলাগা ও ভালোবাসা। তাইতো একে অপরের কাছে এসেছে প্রকৃতির নিয়মে খুব সহজেই।টুকরো টুকরো আনন্দময় কিছু মুর্হুত তাদের জীবনে ছিল। সময়ের স্রোতে এগিয়ে গেছে তারা স্থির সিন্ধান্তের দিকে। কিন্তু নাহ্। তারা পারেনি। বিবাহিত জীবন শুরুকরেও পারেনি সুখময় দাপম্পত্য জীবন গড়ে নিতে। অকস্মৎ এক দুর্ঘটনায় মুহিব বিদায় নেয় এই মায়াময় পৃথিবী থেকে। স্বভাবতই অরুর জীবনে নেমে আসে এক ভয়াবহ বিচ্ছিন্নতা। কিন্তু অরুকে তবুও বাঁচতে হবে। বাস্তবের মুখোমুখি হয়ে পারিবারিক নির্দেশে সে আবার ঘর বাঁধে। সময়ও দ্রুত এগিয়ে চলে। সে হয় জননী। দীর্ঘ পঁচিশ বছর পর তার প্রথম মেয়ের বিয়েতে দুইযুগ পূর্বের নির্দিষ্ট স্মৃতি তাকে হঠাৎ অসুস্থ করে তুললো। ছোট মেয়ে কান্তার একটা কথা।আপা দুলাভাইয়ের পাঞ্জাবী আগুন দিয়ে পুড়াচ্ছে।‘বন ফায়ার হবে’ অরুর চোখে জল এসে যাচ্ছে তিনি সেই জল সামলাবার প্রাণপণ চেষ্টা করছেন।........ কৃষ্ণপক্ষ হুমায়ূন আহমেদের সাম্পতিক সময়য়ের হৃদয়ছোঁয়া এক প্রেমের উপন্যাস। এই উপন্যাস সম্পর্কে লেখক নিজেই ‘অত্যন্ত প্রিয়’ লেখা হিসেবে উল্লেখ করেছে।
Was this review helpful to you?
or
সারের রোমান্টিক উপন্যাস মধ্য আমার পরা মতে সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ উপন্যাস এটি যখনি পড়ি মনের অজান্তেই চোখের কোনায় পানি বেরিয়ে আসে।।
Was this review helpful to you?
or
অনেক কষ্টে চোখের পানি ধরে রাখলাম আর কিছু বলবো না।
Was this review helpful to you?
or
পাঠ প্রতিক্রিয়া দিয়েই শুরু করি প্রথমে। এই বইটি এর আগে একবার আমার পড়া হয়েছিল। গ্রুপে সবার কাছে এত তুমুল প্রশংসা শুনেছি যে শেষ পর্যন্ত ভাবলাম পড়ে ফেলা দরকার। কিন্তু পড়ে আমি পুরোপুরি হতাশ হয়েছিলাম । ভাল লাগেনি খুব একটা। এরপরেও যখন বইটির প্রশংসা ক্রমাগতই শোনা যাচ্ছিলো, তখন ভাবলাম বইটি আরেকবার পড়ে দেখা দরকার।দেখা যাক নতুন কিছু পাওয়া যায় কিনা। তাই নয়ুন করে আবার হাতে নেয়া। এবারের পড়াটি আমার বৃথা যায়নি। অসাধারন লেগেছে। প্রথমবার ভাল লাগেনি, অথচ দ্বিতীয়বার এসে ভাল লেগেছে। এটির কারন কি হতে পারে সেটি এখনো বুঝে উঠতে পারিনি.. যাক, বইটির প্রসঙ্গে আসি এবার.. এই গল্পটি দুটি হাত নিয়ে। সব রোমান্টিক উপন্যাসে যেমন দুটি হাত থাকে। সে সব উপন্যাসে দুটি হাত সর্বদা মিলিত হতে চায়। এই হাত মিলিত হবার ব্যাপার নিয়েই কাহিনী বইয়ের শেষ পৃষ্ঠা পর্যন্ত এগিয়ে যায়। এই উপন্যাসেও সেরকমটি রয়েছে। দুটি হাত।একটি হাত মুহিব নামের একটি বেকার ছেলের, আর অন্য হাতটা একজন রিটায়ার্ড পুলিশ কর্মকর্তার মেয়ের, যার নাম অরু।মেয়েটির পরিবারটাকে একটি মধ্যবিত্ত পরিবার বলা চলে।তবে তাদের বাড়িটি দেখে সেটি অনুমান করার কোন উপায় নেই। পুলিশ কর্মকর্তার বাড়িগুলো যেমন হয় আরকি। মজার ব্যাপার হচ্ছে, এই বইয়ে গল্পের শুরুতেই দুটি হাত এক হয়ে যায়। বইয়ের শেষ পৃষ্ঠা পর্যন্ত আপনাকে যেতে হবেনা সেজন্যে।শুরুতেই দেখা যায় অরু আর মুহিব পালিয়ে বিয়ে করে। তাদের বাসর ঘর সাজানো হয় মুহিবের বন্ধু বজলুর বাসায়। তবে তাদের দুজনের সে রাতে আর মন ভরে গল্প করা হয়নি। দুলাভাইয়ের অফিসে হুট করেই যেতে হয়েছিলো মুহিবকে। দুলাভাই তাকে একটি চাকরী দেবেন বলেছেন। সকালেই চট্টগ্রাম যেতে হবে। তাই না গিয়েও উপায় ছিল না তার। দুজন যে পরেরদিন আবার মন ভরে গল্প করবে সে সুযোগও হয়নি। অরু পরেরদিন তার বাড়িতে যায়। যাওয়াটা প্রয়োজন ছিল। কারন অরুর বিয়ে ঠিক হয়ে আছে একটি ডাক্তার ছেলে সাথে। বিয়ে ঠিক হওয়া পরিস্থিতিতে একদিন ঘরের বাইরে থাকাটা খুব ভয়াবহ ব্যাপার। আর বেশী ভয়াবহ হতে দেয়া যায় না। সেটি ভেবেই অরু ফিরেছে বাসায়। বাড়ি থেকে পালিয়ে যাবার সময় অরু একটি চিঠি লিখে গিয়েছিল। কিন্তু চিঠিটা কেউ পায়নি। অরু যে বিয়ে করে এসেছে সেটিও কেউ জানতে পারেনি। এবার অরু আরেকটি চিঠি লিখল।এ চিঠিটি ডাক্তার ছেলেটির জন্যে। চিঠিতে মুহিবের কথাও উঠে এসেছে। বেশ বড় একটি চিঠি। ডাক্তার ছেলেটি মাঝে মাঝেই অরুদের বাসায় আসতো।অরুর বিয়ে হবে কিছুদিন পর এই ছেলেটির সাথে।অরুর বাবা হার্টের রুগী। ইতোপূর্বে দুইবার স্ট্রোক করেছেন। অরু এ ছেলেকে বিয়ে করতে বাধ সাধলে তার বাবার কিছু একটা হয়ে যেতে পারে। শুধু ডাক্তার ছেলেটিই নয়, মুহিবও তাদের বাসায় আসতো। তবে বাস্তবে নয়। সে এক কাত হয়ে ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে স্বপ্ন দেখতো মুহিব তার বাসায় এসেছে। তবে খালি গায়ে এসেছে। হাতে দু কেজি স্পঞ্জ রসগোল্লা। স্বপ্নে অরু মুহিবকে বলে, -খালি গায়ে এলে? - খালি গায়ে না এসে কি করব? তুমি তো আমার পাঞ্জাবীটা সে বাসর রাতেই পুড়িয়ে ফেললে। না এসে আর কি করব। স্বপ্নের পরবর্তী অংশে দেখা যায় মুহিব বিছানায় ঘুমিয়ে আছে। তার গায়ে সাদা একটি চাদর। অরু ঘরের মেঝেতে বসে নতুন কিছু কাপড় নিয়ে পাঞ্জাবী বানাচ্ছে। পাঞ্জাবীর গলার দিকটায় সুতোর কাজ করছে। কাজটা খুব দ্রুত করতে হচ্ছে বলে বারবার অরুর আঙ্গুলে সুচ ফুটে যাচ্ছে। আঙ্গুলের রক্ত লেগে আচ্ছে পাঞ্জাবীতে। অরু যতই তাড়াহুড়ো করছে, পাঞ্জাবীটা ততই রক্তে মাখামাখি হয়ে যাচ্ছে। উপন্যাসটিতে আরো অনেক চরিত্রের দেখা মিলবে। মুহিবের বোনের দেখা পাবেন উপন্যাসের প্রায় মাঝামাঝিতে এসে। বোনের একটি ছোট্ট মেয়ের দেখাও পাবেন। মুহিব যাকে আদর করে প্রিয়দর্শিনী বলে ডাকতো। বজলু নামের একটি বন্ধুর দেখাও পাবেন উপন্যাসের প্রথম এবং শেষের দিকে, যার বাসায় মুহিব আর অরুর বিয়ের প্রথম রাতে থেকেছিলো। একসাথে তারা দুজন পাঞ্জাবী পোড়ানোর পরিকল্পনা করেছিল। রিভিউতে নাকি কখনো গল্পের বেশী অংশ লিখা ঠিক না। তারপরেও লিখা হয়ে গেল। একবার মনে হচ্ছিলো যা লিখেছি তা কিছু কাটছাট করে দেই। তারপর আবার ভাবলাম কষ্ট করে লিখলাম যখন থাক। কোন স্পয়লার না গেলেই হলো। এরপর উপন্যাসটির পাতা উল্টাতে উল্টাতে যখন আপনি শেষ পর্যায়ে এসে পৌছাবেন ততক্ষনে অরুর জীবন থেকে আরো ২৫ টি বছর বিয়োগ হয়ে যাবে। ২৫ বছর পর আপনি আবারো আরেকটি পাঞ্জাবী পুড়তে দেখবেন। তবে এ পাঞ্জাবীটি মুহিবের নয়। এ নতুন পাঞ্জাবী্টি পোড়ার সময়ে অরুর খুব কষ্ট হয়। অরুর চোখে জল এসে যায় ।সেই জল সামলাবার প্রাণপণ চেষ্টা করে সে। উপন্যাসটি সম্পর্কে শুধু এটুকুই বলতে পারি, আজকের এই দিনে এসেও এই উপন্যাসের কাহিনী এতটুকু সেকেলে মনে হবে না। একেবারে বাস্তব বলে গণ্য হবে যেকোন পাঠকের কাছে। একটু আশাপাশে চোখ বুলালেই আপনি দেখতে পাবেন হাজারটা অরু আর হাজারটা মুহিবকে। যারা এখনও দুটো হাত এক করে ঘুরে বেড়ায়।স্বপ্ন দেখে একসাথে থাকার.. তবে থাকতে পারবে কি পারবেনা , সেটি বের করার কোন গাণিতিক সূত্র কেউ আবিষ্কার করতে পারেনি... পারবেও না বোধহয়... [কিছুদিন আগে এ বইটির কাহিনী দিয়ে মুভি হয়েছে। মোটেও ভাল লাগেনি আমার কাছে। যাদের কাছে ভাল লেগেছে , তাদের বেশীরভাগই দেখলাম যারা উপন্যাসটি পড়েনি, যেটি সচরাচর দেখা যায় আরকি। সর্বপরি ঘুরেফিরে এ বিষয়ে সে একই কথা আবার চলে আসে। মুভি বইয়ের বিকল্প হয় না কখনো... :) । বই সবসময় বই-ই :) ।]
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগিতা বই-কৃষ্ণপক্ষ লেখক-হুমায়ূন আহমেদ ধরন-উপন্যাস পৃষ্ঠা-৮৪ মূল্য-১২৫ প্রকাশনী-সুবর্ণ "কৃষ্ণপক্ষ" অসাধারন একটা নাম । কিন্তু খুবই সাধারণ একটা গল্প। তবে রোমান্টিক গল্প। গল্পের চরিত্র গুলোর ভালোবাসায় এই গল্প রোমান্টিক হতে বাধ্য। লেখকের খুবই সহজ বর্ণনা। একেবারে নরম সরম ভাবে শুরু। কিন্তু গল্প পাঠের পর পাঠককের কাছে অনুভূতি খুবই, এবং খুবই তীক্ষ্ণ। হুমায়ূন আহমেদের প্রেমের উপন্যাসের তালিকায় পছন্দের একেবার প্রথম দিকের একটি বইয়ের নাম কৃষ্ণপক্ষ। নিপাট ভালোবাসার গল্প। গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র অরু। অরুর দুই মেয়ে রুচিরা আর কান্তা। আজ রুচিরার বিয়ে। কান্তা হঠাৎ তার মাকে জানালো রুচিরা তার বরের পাঞ্জাবী পুড়ে ফেলছে। না, কোন অঘটন নয়। মূলত হলুদ রঙের ক্যাট ক্যাটা পাঞ্জাবী যে কারো দেখলেই বাজে লাগতেই পারে। অরু যখন একথা জানতে পারে, হঠাৎ সে বর্তমান ছেড়ে চলে যায় তার ফেলে আসা আরো ২৫ বছর আগের জীবনে। যেখানে অরু তার বিশ্বাসে, ভালবাসায় মোড়ে রেখেছে একটা মানুষকেই সে হলো মুহিব। মুহিব এম এ পাশ করা এক বেকার যুবক। সে চাকরির খোঁজে থাকে। মা বাবা নেই, বড় হয়েছে বোন আর বোন জামাইএর কাছে। বোন তার স্নেহময়ী মায়ের থেকে আরো বেশী মমতার। আর তার বিপরীত হলো তার বোনজামাই। বোনের ভালোবাসার আবরণ মুহিবকে যতোটা আড়াল করে রাখে, বোন জামাইয়ের অবহেলা তার থেকেও দ্বিগুন হয়ে প্রকাশিত। এরকমই যখন অবস্থা। তখন অরু আর মুহিব ভাবে তারা বিয়ে করে ফেলবে। আর কিছু নেই তাতে কি। হৃদয় জুড়ে আছে তাদের অকৃত্রিম ভালোলাগা আর ভালোবাসা। আর তাতেই একে অপরের কাছে এসেছে খুব সহজেই। তাদের আছে টুকরো টুকরো আনন্দময় মুর্হুত, যা সবসময় সাহস যুগিয়েছে এক সাথে থাকার। আর এভাবেই এগিয়ে গেছে তাদের স্থির সিন্ধান্তের দিকে। সবাইকে না জানিয়ে শেষ পর্যন্ত বিয়েটা করেই ফেলল। অথচ বিয়ে মানেই যে ভালোবাসাকে পুরো মুটোই পাওয়া নয়, বেশ কিছু দিন পর অরু তা ঠিকই বুঝতে পারলো। বাস্তব যে বড় কঠিন। কোন কিছুর জন্যই কোন কিছু থেমে থাকে না। সময়ের আবরনে ঢেকে চলতে হয় কত কিছু। আর তাই অরুকেও বাস্তবের মুখোমুখি হতে হয়েছে বেশ বাধ্য হয়ে। সময়, সে তো তার গতিতেই চলে। বাস্তবতায়, ব্যস্ততায় অরু কাটিয়ে দেয় পুরো দুই যুগ। অথচ এই দু যুগ আবার সে মুখোমুখি হয় ফেলে আসা অতীতের সামনে। আমি হিসেব মিলাতে পারি না, এতো সহজ সাবলীল ভাবে কে পারে চোখের কোনে চিক চিক করা জলের উপস্থিতি জানাতে। মাত্র তো ৮৪ টি পৃষ্ঠা! আর এটুকু সময়ে শ্বাস প্রশ্বাসের প্রায় কমতি ফেলে দেবার মতো অবস্থা। তবুও ভালো লাগাটা যেন একটু কমে না। উপন্যাসটা যত বার পড়ব। পড়া শেষে আমার ঢোক গিলতে প্রচুর কষ্ট হয়। জ্বালাময়ী একটা গলা ব্যথা শুরু হয়। শুধুই কি মুহিব বা অরুর জন্য? নাহ, জেবা চরিত্রটার মতো অসহায় বোন বোধহয় আর হয় না। কৃষ্ণপক্ষ লেখকেরই প্রিয় বই গুলোর মধ্য অন্যতম। সেখানে আমার মতো সাধারণ পাঠক কি করে সমালোচনা করবে! এতটুকুই বলতে পারবো, এই বই পড়া মানে নিদারুণ একটা কষ্টের সাথে সেধে গিয়ে আলাপ করার মতো । খুবই সাধারণ একটা গল্প, যা বর্ণনার অসাধারন ভঙ্গির জন্যই পুরো গল্পটাই পাঠকের কাছে অসাধারন হয়ে উঠেছে। রেটিং-৫/৫ রকমারি লিংক- https://www.rokomari.com/book/1354/কৃষ্ণপক্ষ
Was this review helpful to you?
or
'কৃষ্ণপক্ষ' উপন্যাসটি হুমায়ুন আহমেদের নিজেরই অত্যন্ত প্রিয় একটি উপন্যাস, এবং সে কথা তিনি নিজেই বিভিন্ন সময় তাঁর নানা রচনার মাধ্যমে জানিয়ে গেছেন। নতুন করে কি তাই এই উপন্যাসকে আর বিশেষায়িত করা বা বিশিষ্টতা দান করার খুব বেশি দরকার আছে? আমার তো মনে হয় না। শুধু একটা কথাই বলতে পারি, শুধু হুমায়ুন আহমেদের লেখাই নয়, বিশ্বের লক্ষ লক্ষ লেখকের লক্ষ লক্ষ সেরা লেখার মধ্য থেকেও আমি এই লেখাটাকে আলাদা করে নিতে পারব। তার অন্তরালের কারণ শুধু এই নয় যে উপন্যাসটা আমার প্রিয় লেখক ও প্রিয় ব্যক্তিত্বের পছন্দের উপন্যাস। আমার কাছে এই উপন্যাসটার গুরুত্ব আলাদা কারণ এই লেখাটি অনেকদিন পর আমার চোখ ঝাপসা করে দিতে সক্ষম হয়েছে। জানি না এই উপন্যাসের উপাদান আসলেই খুব একটা বিয়োগান্ত কিনা আর বিয়োগান্ত হলেও সেটা আরোপিত কিনা বা তাতে কিছুটা হলেও ন্যাকামো মিশে আছে কিনা। সেসব বিচারের দায়িত্ব অন্য পাঠকদের। আমি শুধু আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি, জীবনের একটা খুব চেনা ও পরিচিত গল্পকে হুমায়ুন আহমেদ যেভাবে চেনা ছকের মাধ্যমেই যে আন্তরিকতার সাথে উপন্যাসের পাতায় তুলে এনেছেন, তা আমার হৃদয়কে আন্দোলিত করতে যথেষ্ট ছিল। আমার জানা নেই এত সহজ এবং সাবলীল ভাষায় কিভাবে একজন মানুষ এরকম একটা উপন্যাস লিখতে পারেন। কিন্তু যে কাজটা অন্যদের কাছে অসম্ভব, সেই কাজটাই অনেক বেশি আয়াসের সাথে করে গেছেন হুমায়ুন আহমেদ। 'কৃষ্ণপক্ষ' উপন্যাসেও তার কোন ব্যতিক্রম হয়নি। অথচ সেই অতি সাধারণ ভঙ্গিমায় বলে চলা কাহিনীর বিষয়বস্তু আর ঘটনাপ্রবাহ এত বেশি হৃদয়ছোঁয়া ছিল যে তার ফলে সামগ্রিকভাবে তা লেখকের অন্যান্য উপন্যাসের থেকে এই উপন্যাসটিকে এক নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে। 'কৃষ্ণপক্ষ'কে লেখক এর রচনাকালের সাথে তাল মিলিয়ে 'সমসাময়িক' বলে আখ্যায়িত করেছিলেন। সময়ের সাথে সাথে নিশ্চয়ই সমসাময়িকতার যে নির্দিষ্ট সময়কাল তা অতিক্রান্ত হয়ে গেছে। তারপরও আমার কাছে মনে হয়েছে এই উপন্যাসে যে ভালোবাসার কাহিনী তুলে ধরা হয়েছে তা শুধু সমসাময়িকই নয়, তা চিরন্তন। লেখকের বক্তব্যের সাথে দ্বিমতপোষণ করলাম এবং তা দৃষ্টিকটু স্পর্ধা কিনা জানি না। কিন্তু এটুকু আমি জানি, ২০১৪ সালের আজকের এই দিনে এসেও এই উপন্যাসের কাহিনী এতটুকু সেকেলে মনে হবে না। একেবারে বাস্তব বলে গণ্য হবে যেকোন পাঠকের কাছে। একটু আশাপাশে চোখ বুলালেই দেখা যাবে হাজারটা অরু আর হাজারটা মুহিবকে। অরু আর মুহিব হল সেই দুই চরিত্র যারা নিজ নিজ পরিবারের কাউকে না জানিয়ে বিয়ে করে বসে। তাদের দুজনের পারিবারিক প্রেক্ষাপট একেবারে ভিন্ন। কিন্তু ভালোবাসার বাঁধনে আটকা পড়ে তারা বাকি সবকিছু ভুলে বিয়েটা করেই ফেলে। কিন্তু হায়! বিয়েই যে জীবনের সব না তা সৃষ্টিকর্তা তাদের চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিল। এক মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় মারা গেল মুহিব। অরু আর মুহিবের পার্থিব ভালোবাসারও কি বিচ্ছেদ ঘটল না? কে জানে! তাহলে কেন ২৫ বছর পরও অরুর মনে পড়ে যাবে মুহিবের সাথে বিয়ের সেই দিনটার কথা? বাস্তবতা তো এমনই। তারচেয়েও বড় কথা, ভালোবাসার শক্তি যে এতটাই প্রবল। ভালোবাসার এই প্রাবল্যই দারুণভাবে ফুটে উঠেছে এই উপন্যাসে। কিন্তু সেই প্রাবল্যের মান আক্ষরিক অর্থেই এত প্রবল ছিল যে তা যে কারো চোখ ভিজিয়ে দিতে যথেষ্ট। শুধু মুহিব আর অরুর ভালোবাসার কাহিনীই যে এখানে বলা হয়েছে তা না। অরুর বোন মীরুর কথা এসেছে, মুহিবের বোন জেবার কথা এসেছে, মুহিবের ভাগ্নী প্রিয়দর্শিনীর কথা এসেছে, গাড়ি এক্সিডেন্টের সময় যে বাচ্চা মেয়েটা মুহিবের কোলে ছিল তার কথা এসেছে, মুহিবের দুলাভাইয়ের কথা এসেছে, মুহিবের বন্ধুদের কথা এসেছে, আবার অরুর সাথে যে ছেলেটার বিয়ের কথা চলছিল তার কথাও এসেছে। আপাতদৃষ্টিতে মনে হতে পারে মুহিব আর অরুর ভালোবাসার কাহিনীতে তাদের উল্লেখ অপ্রয়োজনীয়। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে 'কৃষ্ণপক্ষ' তো আর শুধু মুহিব আর অরুর ভালোবাসার গল্প না। ভালোবাসাই হল এই গল্পের প্রধান চরিত্র। আর তাই অন্য প্রতিটি চরিত্র এসে ভালোবাসার কনসেপ্টটাকে আরও অনেক বেশি সুদৃঢ় করেছে। সত্যিকারের ভালোবাসার উপন্যাস কাকে বলে তা জানা না থাকলেও, আমাকে যদি কেউ বলে তোমার পছন্দের ভালোবাসার উপন্যাস কোনটা বা কোনগুলো, তার জবাবে যে ছোট্ট তালিকাটা আমার মুখ থেকে বেরিয়ে আসবে তার মধ্যে 'কৃষ্ণপক্ষ' এর উল্লেখ অবশ্যই থাকবে।